Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস (World Meditation Day)। মেডিটেশন হল আসলে মনের ব্যায়াম। নিরবে এক জায়গায় চুপ করে বসে একমনে ধ্যান করলে বৃদ্ধি পায় মনোযোগ ও সচেতনতা। এছাড়াও নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এর সুফল হিসাবে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব কেটে ইতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টি হয়। 
    জানা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। তাই প্রতি বছর এই ২১ মে দিনটিকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে পালন করা হয়। 

    জেনে নেওয়া যাক  এই মেডিটেশনের বিশেষ কিছু উপকারিতা-(Health Benefits of Meditation)

    মানসিক চাপ থেকে মুক্তি- মেডিটেশন আমাদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করা যায় তবে মানুষের চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে। 
    মনকে শান্ত রাখা- মানসিক চাপ মুক্তির পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে মন শান্ত হবে। অর্থাৎ সারাদিন কাজের পর যে খিটখিটে ভাব আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় তা থেকে নিমিষেই মুক্তি লাভ হবে। 
    মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। এছাড়াও ডিপ্রেশন বা অনেক রকম নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকেও মুক্তি লাভ ঘটে।
    মনোযোগ বৃদ্ধি- মেডিটেশন (World Meditation Day) এর আরো একটি উপকারিতা হলো মনোযোগ বৃদ্ধি হওয়া। অর্থাৎ সামান্য ছোট ছোট জিনিস যেগুলো আমরা কারণে অকারণে ভুলে যাই বা মনে রাখতে পারি না সেই সব ক্ষেত্রে নিয়মিত মেডিটেশন করলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি হবে। ও যেকোনও কাজে একাগ্রতা আসবে। 
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- নিয়মিত মেডিটেশন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মত বিপদের ঝুঁকিও কম থাকে। 
    স্মৃতিশক্তির উন্নতি- নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। 
    অনিদ্রা থেকে মুক্তি- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মিলবে অনিদ্রা থেকে মুক্তি। একইসঙ্গে তৈরি হবে একটা ভালো ঘুমের রুটিন।

    আরও পড়ুন: ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    বর্তমানে ডিপ্রেশন বা হতাশার শিকার বহু মানুষ। এই প্রতিযোগীতার সমাজে লড়াইয়ে নেমে অনেকেই ভেঙে পরেন। আর ঠিক তখনই তারা নেন চিকিৎসকের পরামর্শ। আর চিকিৎসক এইসব বিষয়ে সবার আগে পরামর্শ দেন মেডিটেশনের (World Meditation Day)। কারন আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন খুবই উল্লেখযোগ্য। তাই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে রোগ নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি, সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও মানসিক প্রশান্তির একমাত্র রাস্তা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে। শিশুর দেহের উচ্চতা ঠিকমতো না বাড়লে, অধিকাংশ অভিভাবকেরাই দুশ্চিন্তা করেন। জিনগত ও হরমোন ঘটিত একাধিক কারণ শিশুর দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে‌। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শিশুর বিকাশে, বিশেষত উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Child Growth)। এখন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা?

    নিয়মিত কলা বাড়তি সাহায্য করবে (Child Growth)

    আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়। কারণ, কলা এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। ছোটরা খেলাধুলো করে। তাদের বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। কলার মতো ফল সেই এনার্জির জোগান দেয়। এছাড়াও, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। এর ফলে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে কলা খুবই উপকারী। এছাড়াও ফাইবার ও প্রোবায়োটিক কলায় রয়েছে। তাই কলা খেলে শিশুর সার্বিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়।

    উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে মাছ

    সন্তানের পাতে নিয়মিত মাছ দিলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো একাধিক উপাদান। এই উপাদানগুলো শারীরিক বিকাশে (Child Growth) বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শিশুর উচ্চতা বাড়ে।

    রোজের মেনুতে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবার

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুর সুষম আহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই শিশুর বিকাশ ঠিকমতো হবে। উচ্চতা বাড়বে। অর্থাৎ, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবকিছুই দেহে পর্যাপ্ত জোগান রাখতে হবে। আর তার জন্য দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়াতেই হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দু’বেলা দুধের পাশাপাশি দই ,ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। তবেই দেহের উচ্চতা বাড়বে। শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেটের জোগান ঠিকমতো থাকবে।

    নিয়মিত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন বাড়াবে উচ্চতা (Child Growth)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্ভিদজ প্রোটিন হিসাবে সোয়াবিন বিশেষ উপকারী।‌ তাই নিয়মিত সন্তানকে অন্তত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন খাওয়ানো জরুরি। সোয়াবিনে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন‌ এবং প্রোটিন। তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক এই খাবার‌।

    নিয়মিত একটা ডিম থাকুক মেনুতে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধের মতোই ডিম হল সুষম খাবার। ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং একাধিক ভিটামিন। বিশেষত ভিটামিন বি ১২ ডিম থেকে পাওয়া যায়। যা শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত এই ভিটামিন উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ডিম শিশু স্বাস্থ্যে খুবই উপকারী। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত অন্তত ১টা ডিম শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে (Child Growth)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দাপট। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও বাড়ছে এই দুই রোগ। আর তার নেপথ্যে রয়েছে হাইপারটেনশন। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে বড় বিপদ ঘটছে। মস্তিষ্কের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। ফলে, স্ট্রোক হচ্ছে (Stroke)। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ালে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর তাহলেই হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদকে এড়ানো সহজ হবে। দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখবে হাইপারটেনশন?

    নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, নিয়ম করে অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের সর্বত্র ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। পাশপাশি স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে। ফলে, হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। আর হাইপারটেনশন কাবু করতে স্থূলতা রুখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাড়তি নুন একেবারেই না

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে হাইপারটেনশন বাড়ার অন্যতম কারণ খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের তুলনায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নুন খান। আর তার জেরে রক্ত সঞ্চালনে সরাসরি প্রভাব পড়ে। ফলে, হাইপারটেনশনের (Stroke) মতো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে, অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস বদল করতেই হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ধূমপান বাড়াচ্ছে বিপদ (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সারের পাশপাশি ধূমপান হৃদরোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিশোর বয়স থেকেই ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। মহিলাদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস বাড়ছে। এই অভ্যাস বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে। হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ অন্তত ১০ গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তাকে ত্যাগ করা জরুরি।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সঠিক খাবারে অভ্যস্ত হলে হাইপারটেনশনের মতো রোগকেও সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই কিসমিস, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দেওয়া প্রিজারভেটিভ খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে। এতে দেহে বাড়তি চর্বি তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে (Stroke)।

    শরীরের পাশাপাশি জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা!

    শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। হাইপারটেনশনের মতো রোগ কাবু করতে মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই মানসিক চাপ বাড়লে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ লাগাতার মানসিক চাপ কিংবা মানসিক অবসাদের শিকার হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরের পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখা জরুরি (Stroke)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দশেক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও করোনা ভাইরাস থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত নয় বিশ্ববাসী। নভেম্বর থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Corona KP2 Flirt) ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতির ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এই প্রজাতির নিকনেম ‘FLIRT’। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতাতেও শেষ ৭ দিনে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ওদিকে মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৯১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন উপপ্রজাতি KP2-এর প্রকোপ বাড়বাড়ন্ত। কলকাতায় নতুন করে করোনার সংক্রমণের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন মানুষ করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কী এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডিজের উপরে হামলা করে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে আড়াইশো জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১২৮ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Corona KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাতে-পায়ে যন্ত্রণাতেই ভোগান্তি আটকে নেই। কিছুক্ষণ একটানা হাঁটাচলা করলেই, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটু, কোমরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আধুনিক জীবন যাপনের জেরে মানুষের শরীরে একাধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর আর্থ্ররাইটিস কেবল ব্যথা-যন্ত্রণার ভোগান্তি বাড়ায় না। এতে আক্রান্ত হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যেমন, হৃদরোগ, ত্বকের সমস্যা, চোখের শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) নিয়ে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন আপনি আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ আর্থ্ররাইটিসের লক্ষণ স্পষ্ট করে‌। প্রথমত, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কোমরে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্ক‌ থাকা জরুরি। লাগাতার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে আর্থ্ররাইটিসের প্রকোপ কমবে। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকে কম বয়সিরাও‌ রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে হঠাৎ পড়ে যান।‌ বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, বুঝতে হবে শরীরের ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) আক্রান্ত হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়। তখন শারীরিক কসরতের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তবেই শারীরিক ফিটনেস বাড়বে। শরীরের ওজন মারাত্মক বেড়ে গেলে আর্থ্ররাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মারাত্মক স্থূলতায় ভোগেন। স্থূলতা দেখা দিলে হাড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। আর্থ্ররাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি জরুরি।

    সন্তানের কোন দিকে নজরদারি ঝুঁকি কমাবে? (Arthritis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর্থ্ররাইটিস আর প্রবীণ বয়সের রোগের সীমারেখায় আটকে নেই। এই রোগের দাপট তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকেরা সচেতন হলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ জরুরি। খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই দরকার ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিম, সমুদ্রের মাছ, ওলিভের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 

    ক্যালসিয়ামের অভাব যেন না থাকে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড় মজবুত হলেই আর্থ্ররাইটিসের (Arthritis) ঝুঁকি কমবে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তাই নিয়মিত ডিম ও দুধ, পনীর, ছানা, মুসুর, ছোলার মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এগুলো হাড় শক্ত করে। 

    নিয়মিত যোগাভ্যাস করা জরুরি (Arthritis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকে। একদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিটনেস বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত শিশুকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করলে আর্থ্ররাইটিসের‌ মতো রোগের ঝুকি কমানো‌ যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘরোয়া উপাদানেই বাজিমাত। বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে অব্যর্থ নিরাময়। জটিল রোগের মোকাবিলা করবে রান্নাঘরের মশলা (Spices)। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজদিনের রান্নায় এমন কিছু মশলার ব্যবহার করা হয়, যাতে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা সম্ভব। কিন্তু কোন‌ মশলায় কোন‌ রোগের মোকাবিলা হবে?

    এলাচে কমবে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি

    সাম্প্রতিক এক‌ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ বিশেষত ছোট এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। পায়েস থেকে মাংস, সব রকমের রান্নায় সুগন্ধের জন্য এলাচের ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই বয়স্ক ও শিশুদের রান্নায় এলাচ ব্যবহার করলে‌ বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হন। বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। ভাইরাসের দাপটে ফুসফুসে নানান সংক্রমণ দেখা দেয়। নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই এলাচ বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপকার দেবে দারুচিনি (Spices) 

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রান্নার পাশাপাশি চায়ে দারুচিনি দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকাও জরুরি। কারণ হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা এড়াতে জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই দারুচিনি বিশেষ সাহায্য করবে।

    হৃদরোগ কিংবা হাড়ের সমস্যা কাবু হবে ধনে গুঁড়োয়

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে অন্তত যে কোনও একটা রান্নায় ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করলে‌ একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধনে গুঁড়োয় থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড। তাই এই মশলা (Spices) রান্নায় ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    রক্তাল্পতা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো জরুরি

    জিরে গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিরে গুঁড়ো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও জিরের উপাদান লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালোভাবে হয়।

    ক্যান্সার সহ একাধিক রোগের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় লবঙ্গ (Spices)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগেরও মোকাবিলা সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। যেমন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। এগুলো‌ দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। পাশপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন এ সহ‌ একাধিক ভিটামিনের‌ জোগান দেয় লবঙ্গ। তাই যে কোনও সংক্রামক রোগের মোকাবিলা করতে বাড়তি শক্তি জোগায় লবঙ্গ। এছাড়াও দেহের প্রতিরোধ‌ শক্তি বাড়ায়।

    পেটের রোগ থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথির গুণ প্রচুর। তাই রান্নায় মেথির ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। পেটের যে কোনও সমস্যায় মেথি বিশেষ উপকার করে। কারণ মেথি লিভার ও পাকস্থলীর জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও মেথির উপাদানগুলো দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Spices)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্কের নতুন নাম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাসঘটিত (West Nile virus) জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সের মানুষ। আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বর এখন কেরলে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার শুধু কেরলে নয়। এই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এর আগেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    কীভাবে আটকানো‌ যাবে এই রোগ? (West Nile virus)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি‌। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে‌। আর সেখান থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়ায়। তাই ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো সরাসরি ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরীরে আসে না। বরং মাধ্যম হিসাবে মশা মানুষের শরীরে এই রোগ আনে। কিউলেক্স মশা এনসেফেলাইটিসর মতো একাধিক রোগের জীবাণু বহন করে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস রুখতেও তাই জরুরি মশার দমন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ (West Nile virus) রুখতে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সম্ভব।

    কখন বিপদ বাড়ায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? (West Nile virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রকোপ ছড়ালে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের আলাদা বিশেষ কোনও উপসর্গ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। তবে গোটা শরীরে র‍্যাশ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে‌। এর জেরে মেরুদণ্ডের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়‌। স্নায়ুতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ এবং টিকা নেই। তাই এই রোগ (West Nile virus) মোকাবিলা কঠিন‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রোগ আটকানোর জন্য যেমন মশার বংশবিস্তার রুখতে হবে, তেমনি জ্বর হলে বা দেহে কোনও লাল রঙের দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে দেহের তাপমাত্রা না বাড়ে।

    কাদের জন্য এই রোগ বাড়তি বিপজ্জনক? (West Nile virus)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়। কারণ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়েস্ট নাইল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাসও স্নায়ুর কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই এই রোগ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম, তাদের জন্য এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরও বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (West Nile virus)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। বাদ নেই ভারত। এদেশেও ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত, কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের দরকার বাড়তি সতর্কতা। খাবার থেকে জীবন যাপন, সব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ না রাখলে পরবর্তীকালে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। আর তার জেরেই আরও শারীরিক ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ দেশের অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাত ও রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। নিয়মিত ভাত কিংবা রুটির মতো খাবার না খেলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা বিশেষত কম বয়সিরা ডায়েট তৈরির আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিন। না হলে‌ অসচেতনতার জেরে বাড়তি ভোগান্তি হতে পারে।

    কেন নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের জোগান থাকা দরকার। না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। ভাত এবং রুটি এই দুই খাবার থেকেই মূলত শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের বাইরে কাজ করতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম বেশি। তাই শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন। ভাত-রুটির মতো‌ খাবার একেবারেই বাদ দিলে বিপদ‌ বাড়বে। শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে ক্লান্তি বাড়বে। মনঃসংযোগ কমবে (Diabetes)। এছাড়াও পেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশপাশি, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি, ফুসফুস এবং হৃদরোগ‌ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান জরুরি। তাই ডায়াবেটিস হলেও মেনুতে নিয়মিত ভাত এবং রুটি রাখা জরুরি।

    কতখানি ভাত-রুটি খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিনের মোট খাবারে অন্তত ৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। কারণ, শরীরে সমস্ত খাবারের ভারসাম্যের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস দরকার। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবারের ভারসাম্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই‌ শুধু ভাত কিংবা অনেকটা পরিমাণ রুটি খাবেন না। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে অবশ্যই ছোলা কিংবা মুসুর ডাল রাখতে হবে। এতে ফাইবার ও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। সঙ্গে রাখতে হবে অন্তত এক বাটি সবজি। বিশেষত পটল, করলা, পালং শাক, লাউয়ের মতো সবজি নিয়মিত খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হবে। এছাড়াও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (Diabetes)। তাই মাছ অথবা মাংস নিয়মিত মেনুতে রাখা জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। ভারসাম্য রেখে নিয়মিত খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে রাতের খাবার সহজপাচ্য হওয়া জরুরি।‌ তাই রাতে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে ছানা, পনীর, সোয়াবিনের মতো পদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooking Oil: ওজন কমাতে রান্নায় তেল একেবারেই বাদ দিচ্ছেন? জানেন কী রোগ হতে পারে?

    Cooking Oil: ওজন কমাতে রান্নায় তেল একেবারেই বাদ দিচ্ছেন? জানেন কী রোগ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্থূলতা রুখতে অনেকেই রান্নায় তেল (Cooking Oil) একেবারেই ব্যবহার করেন না। অনেকই আবার এয়ার ফ্রায়ারেই অধিকাংশ রান্না করেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যেমন অস্বাস্থ্যকর, তেমনি ভালো নয় একেবারেই তেল ব্যবহার না করা, যাকে বলে নো-অয়েল কুকিং। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন একেবারেই তেলবিহীন রান্না খেলে, এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। অতিরিক্ত তেল যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তেমনি তাঁরা বলছেন, তেল খাওয়ার কিছু উপকার রয়েছে। তাই ন্যূনতম তেল অবশ্যই রান্নায় ব্যবহার করতে হবে।

    রান্নায় তেলের ব্যবহার কেন উপকারী? (Cooking Oil)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে রান্নায় যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অধিকাংশ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই অল্প পরিমাণ তেল নিয়মিত রান্নায় দেওয়া দরকার।

    সর্ষের তেলের উপকার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্ষের তেলের তৈরি খাবার খেলে, শরীরে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্সের দারুণ ভারসাম্য তৈরি হয়। এর জেরে ত্বক ভালো থাকে। পাশপাশি চুল পড়ার মতো সমস্যা কমে। একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সর্ষের তেলে (Cooking Oil) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধেও রান্নার এই উপকরণ বিশেষ সাহায্য করে।

    সূর্যমুখী তেলের উপকার (Cooking Oil)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটের জোগান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারি ফ্যাট সহজেই পাওয়া যায় সূর্যমুখী তেল থেকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেলে ম্যানুস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এছাড়াও থাকে ওমেগা থ্রি। তাই এই তেল হার্টের জন্য উপকারী। এছাড়াও থাকে ভিটামিন ই। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রান্নায় পরিমিত সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার শরীরের পক্ষে ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাইস অয়েল থেকে বিশেষ উপকার 

    রান্নায় রাইস অয়েলের (Cooking Oil) ব্যবহার বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই তেল হৃদপিণ্ডের জন্য বিশেষ উপকারী। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই তেলে হার্টের জন্য উপকারী চর্বি থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই থাকে না। তাই এই তেল দিয়ে রান্না করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। পাশপাশি ডায়বেটিস আক্রান্তদের জন্যও এই তেল উপকারী। কারণ এই তেল রক্তে অতিরিক্ত শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণ আনে।

    তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় ন্যূনতম তেল অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার জরুরি। তবে ভিন্ন রকমের তেল মিশিয়ে রান্না করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেল, রাইস অয়েল কিংবা সর্ষের তেল (Cooking Oil) মিশিয়ে রান্না করলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের জোগান ঠিকমতো হয়। ভারসাম্যও বজায় থাকে।

    তেলবিহীন রান্না খেলে কী সমস্যা হতে পারে? (Cooking Oil)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তেলবিহীন রান্না দিনের পর দিন খেলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে একেবারেই উপকারী ফ্যাটের জোগান‌ বন্ধ হতে পারে। এর জন্য হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। একাধিক হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। পাশপাশি ভিটামিন ই-র অভাব শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ই-র জোগান মূলত তেল থেকেই পাওয়া যায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঠিকমতো জোগান পাওয়া যাবে না। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে পারে (Cooking Oil)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের অনুপাতে শরীর বড়ই ছিপছিপে! খাবার নিয়েও নানান বায়না। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন কম থাকে।‌ সন্তানের এই কম ওজন নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা মায়েদের। বিশ্বজুড়ে স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও বহু শিশু কম ওজনের সমস্যায় ভোগে (Child Nutrition)। বিশেষত বছর বারোর পরে বহু শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না। যার প্রভাব পড়ছে তাদের শারীরিক গঠন এবং পড়াশোনার ওপরেও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স অনুপাতে ঠিকমতো‌ ওজন‌ না‌ বাড়লে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। তাই বয়স অনুপাতে ঠিকমতো ওজন বৃদ্ধি জরুরি। এখন দেখা যাক, কোন ধরনের খাবার নিয়মিত দিলে ওজন দ্রুত বাড়াবে?

    দুধের পাশপাশি মেনুতে নিয়মিত পনির থাকুক (Child Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো জরুরি। শুধু এক গ্লাস দুধের পরিবর্তে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা কাজু, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় জিনিস দুধে মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। এগুলো খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায়। দুধ সুষম খাবার। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক উপাদান দুধে রয়েছে। এতে কর্নফ্লেক্স বা বাদাম জাতীয় উপাদান মেশানো হলে‌ শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান বাড়ে। তাই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে দুধের পাশপাশি কয়েকটি দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে সন্তানের ওজন দ্রুত বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনির নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। কারণ, পনীরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। তাই পেশিকে শক্তিশালী করতে বাড়তি সাহায্য করে পনির।

    নিয়মিত ডাল সিদ্ধ বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিয়মিত ভাত, ডাল জাতীয় খাবার খেতে চায় না। বায়নার জেরে ভোগান্তি বাড়ে মায়েদের। কিন্তু সন্তানের পুষ্টির জন্য জরুরি নিয়মিত ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের ডাল খাওয়া জরুরি। ভাতের সঙ্গে ডাল না খেতে চাইলেও, দিনের অন্য সময় ডাল সিদ্ধ মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডালে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার (Child Nutrition)। তাই নিয়মিত ডাল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পেশি শক্তিশালী হয়। ওজন বাড়ে। পাশপাশি দেহে এনার্জির জোগান সহজে‌ হয়‌।

    নিয়মিত ডিম সিদ্ধ বাড়াবে ওজন (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম সিদ্ধ রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে‌ একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম,‌ প্রোটিন। তাই এই জাতীয় খাবার একদিকে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। দুর্বলতা কমায়। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এই‌ সময়ে তাদের শরীরের পরিবর্তন হয়। তাই জরুরি বাড়তি যত্নের।‌ তাই নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের জোগান দেবে। শরীর সুস্থ রাখতে‌ বাড়তি সাহায্য করবে।

    নিয়মিত কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খেলে ওজন বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ওজন বাড়াতে এবং শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় রাখতে এই দুই ড্রাই ফ্রুটস খুবই উপকারী। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। তাই এগুলো শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে‌। অধিকাংশ শিশুই দিনভর ছোটাছুটি করে। পর্যাপ্ত এনার্জি জাতীয় খাবার না পেলে ওজন বাড়বে না। তাই নিয়মিত খেজুর জাতীয় খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জির জোগান পাওয়া যাবে (Child Nutrition)। এর জেরে ওজন ঠিকমতো‌ থাকবে।

    খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশাপাশি জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। এর জেরে বিকাশের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Child Nutrition)। তাই খাবারের পাশাপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই নিয়মিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছোট থেকেই যেন হয়, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের অধিকাংশের অনেক ভোরে উঠতে হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে অভ্যস্ত না হলে ঘুম পর্যাপ্ত হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস তৈরি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share