Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আয়রন ঘাটতি বেশি। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি (Iron deficiency) তৈরি হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ তৈরি করে। রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা হবে‌। রক্তকণিকা দেহের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ে‌। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বোধ তৈরি হয়। ফলে কোনও কাজ ঠিকমতো করা যায় না। হরমোনের ভারসাম্যেও প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, ত্বক, চুল, নখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতির দিকে নজরদারি জরুরি। এই সমস্যা থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Iron deficiency)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি বেশি। ১২ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় চার হাজার মেয়ের উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়‌। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই চার হাজার মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ এত কম বয়স থেকেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও দেখা দিতে পারে‌। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রতি ৫ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জনের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। গ্রামে কিন্তু প্রতি পাঁচ জন পিছু ২ জনের আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্রামের তুলনায় শহরের মেয়েদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি হচ্ছে।

    কেন শহরের মেয়েরা আয়রনের অভাবে ভুগছে? (Iron deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস আয়রনের ঘাটতি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। এগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কম বয়সী মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা মোচা, থোর, ডুমুর, কাচকলার মতো সবজি নিয়মিত খান না। কিন্তু এই সবজিগুলির পুষ্টিগুণ অনেক। বিশেষত শরীরে আয়রনের জোগান দিতে এগুলি খুবই উপকারী। শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চটজলদি খাবার পছন্দ করেন। ন্যুডলস, হটডগের মতো খাবারে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং নানান রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারবেটিভ খাবার শরীরে নানান রোগের (Anemia) কারণ হয়ে ওঠে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত নানান ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কলা, বেদানা, আপেলের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ এই ফলে আয়রন রয়েছে। তাছাড়া, বারো পেরোনোর পরে মেয়েদের আয়রনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে‌। তাই মেনুতে রোজ মাছ থাকা জরুরি‌। দুপুর অথবা রাতের মেনুতে রোজ মাছ রাখতেই হবে। মাছে থাকে আয়রন। এই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হলে আয়রনের ঘাটতি কমবে। রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌ (Iron deficiency)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    Fatty liver: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, জানেন না ৪০ শতাংশ আক্রান্তই! কোন বিপদের হাতছানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেও হজম করা যাচ্ছে না। প্রায়ই বমি হচ্ছে। শরীরের ওজন ক্রমশ বাড়ছে। আর তার সঙ্গে কমছে কাজের শক্তি। শরীরকে গ্রাস করছে ক্লান্তি। কিন্তু কেন এমন সমস্যা, জানেন না অনেকেই‌। রেহাই পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো হজমের ওষুধ খাচ্ছেন। আবার অনেকে ওজনকে রাশে আনতে খাবার খাওয়াই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর তার জেরে বিপদ আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসচেতনতার জেরেই রোগ (Fatty liver) নির্ণয় হচ্ছে না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Fatty liver)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক কিংবা ক্যান্সার নিয়ে যে সামান্য সচেতনতাও রয়েছে, ফ্যাটি লিভার নিয়ে সেটাও নেই। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের ৪০ শতাংশ জানেন না, এই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। ফলে, আরও অনেক বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

    ফ্যাটি লিভার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাটের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেলে, ফ্যাটি লিভার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Fatty liver) সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁদের মধ্যেও এই রোগ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। এমনকী শিশুদের শরীরেও এই রোগ বাসা বাঁধছে।

    কেন বাড়ছে এই রোগ? (Fatty liver)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ধরনের জেরেই এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। মদ্যপান না করলেও লিভারের এই অসুখের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাই এই রোগের দাপট থেকে শিশুরাও বাদ যাচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না। শিশুদের মাঠে দৌড়নো বা খেলাধুলার সময় কমছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে ফাস্টফুড খাওয়ার রেওয়াজ। রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস ভাজা খাওয়ায় এখন অনেকেই অভ্যস্ত। শিশুরাও পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার নিয়মিত খাচ্ছে। বরং মোচা, পালং শাক, পটলের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস কমছে। যার জেরে চাপ পড়ছে লিভারে। প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিনের মধ্যে ব্যালান্স থাকছে না। তাই দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হচ্ছে। তার জেরেই দেহের ওজন বাড়ছে। আর লিভারে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বারবার বমি, পেটে ব্যথা কিংবা ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি‌। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া দরকার। নিয়মিত কম তেলমশলার হালকা খাবার বাড়িতে রান্না করে খেলে এই ধরনের অসুখ (Fatty liver) এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উপদ্রব বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের। এবার প্রকাশ্যে এল জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেই পেশায় চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রের পুণের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    জিকা ভাইরাস (Zika Virus)

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী কন্যা। জ্বর না সারায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত পিতা-পুত্রী। যদিও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। জিকা ভাইরাস ডিজিজ একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এই এডিস মশাই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ইয়োলো ফিভার। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

    রোগের লক্ষণ

    এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হালকা জ্বর হবে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেবে। মাথাব্যথা করবে। পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হবে। চোখের নীচে হবে প্রদাহ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোনও গর্ভবতী এই রোগে ভুগলে তাঁর শিশুর দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেল্থ অফিসার রাজেশ দিঘে বলেন, “৪৬ বছরের এক চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী মেয়ে যাঁরা পুণে শহরের এরান্ডওয়ান এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দুজনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের শরীরে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। ২১ জুন রিপোর্ট মেলে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতেই জানা যায়, তাঁর মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি।”

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    তিনি জানান, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে এলাকাবাসীকে তাঁদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৪৭ সালে, আফ্রিকার উগান্ডায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Summer Fruits: আম, জাম আর কাঁঠাল শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? জেনে নিন খাওয়ার আগে

    Summer Fruits: আম, জাম আর কাঁঠাল শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? জেনে নিন খাওয়ার আগে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের দাপট আর কমছে না। তাপমাত্রার পারদ চড়ছেই।‌ তার সঙ্গে অস্বস্তিকর আবহাওয়া। তবে গরম মানেই বাঙালির আম, জাম আর কাঁঠাল খাওয়ার সময়। এই সময়ে বাঙালির পছন্দের এই তিন ফল (Summer Fruits) বাজারে দেদার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই তিন ফল শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া দরকার, কতখানি খাওয়া যেতে পারে।

    জাম খেলে কী উপকার পাওয়া যায়? (Summer Fruits)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, জাম খুবই উপকারী একটা ফল। বিশেষ করে গরমে জাম খাওয়া আরও ভালো। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই নিয়মিত জাম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। জামে রয়েছে একাধিক ভালো ব্যাকটেরিয়া। এই সব ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। গরমে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু জাম খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। গরমে অধিকাংশের ত্বকের একাধিক সমস্যা হয়। অনেকেই লাল দাগ, চুলকানি, সান বার্নের মতো নানান ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। জাম ত্বকের জন্য খুব উপকারী। জামে রয়েছে ভিটামিন। এছাড়াও রয়েছে নানান খনিজ পদার্থ। যেগুলো ত্বকের জন্য ভালো। গরমে ত্বকের সমস্যা কমায় জাম। 
    তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জাম (Summer Fruits) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাই জাম খুব উপকারী। এতে রক্তের শর্করা প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু যাদের শর্করা হঠাৎ করেই কমে যায়, তাদের অতিরিক্ত জাম খাওয়া উচিত নয়। পরিমিত জাম খেলে কোনও বিপদ হবে না।‌ বরং শরীর সুস্থ থাকবে।

    আমে কি বাড়বে ডায়াবেটিস?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়া নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা আছে। কিন্তু গরমে আম খাওয়া ভালো। তাঁরা জানাচ্ছেন, আম হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এই আবহাওয়ায় শরীরের উত্তাপ বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত ঘামে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমের মতো রসালো ফল (Summer Fruits) খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও আম কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড। এগুলো‌ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। চোখের জন্য আম বিশেষ উপকারী। আমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন। এই ভিটামিন চোখের সমস্যা, শুষ্ক চোখের মতো রোগ মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে ২৫ ধরনের ক্যারোটিন রয়েছে। এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। 
    ডায়াবেটিস রোগী মানেই আম খাওয়া যাবে না, এমনটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে একটা বা দুটো আম খেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রত্যেক দিন একাধিক আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত আম খেলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    কাঁঠাল খেলে কি পেটের সমস্যা হবে? (Summer Fruits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে কাঁঠাল খাওয়া যেতেই পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁঠালে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তিন উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। এই তিন উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। এই দুই উপাদান চোখের জন্য খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁঠাল খেলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কমবে। কাঁঠালে রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্স। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান থাকার জন্য কাঁঠাল খেলে আলসার, কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তবে, কাঁঠাল হজমের গোলমালের ঝুঁকি বাড়ায়। কাঁঠাল সহজপাচ্য নয়। তাই অনেক সময় অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা হয়। অনেকের আবার পেটের গোলমাল হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,‌ কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ অতিরিক্ত থাকে। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কাঁঠাল (Summer Fruits) এড়িয়ে চলাই ভালো।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malnutrition: কোন ভাবনা বাড়াচ্ছে অপুষ্টি? কী বলছে ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Malnutrition: কোন ভাবনা বাড়াচ্ছে অপুষ্টি? কী বলছে ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে অপুষ্টি! ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট (UNICEF’s latest report) অনুযায়ী, ভারতে প্রতি চার জনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে (Malnutrition) ভুগছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে অপুষ্টিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। পাশপাশি লিভার, পাকস্থলীর নানান রোগের প্রকোপও বাড়ছে। বিশেষত খুব কম বয়স থেকেই তাই নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বিকাশেও তার প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে।

    কেন বাড়ছে অপুষ্টি? (Malnutrition)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ পরিবারেই ‘কিছু একটা খেয়ে নিলেই হবে’ এই মনোভাব দেখা দিচ্ছে। অনেকেই সুষম আহার কিংবা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। আর তার থেকেই বিপত্তি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবারে অধিকাংশ সময়েই বাইরের চটজলদি খাবার খাওয়া হচ্ছে (Malnutrition)। তরুণ প্রজন্মের একাংশ কলেজে যাওয়ার পরে প্রথম ব্রেকফাস্ট করছে। আবার স্কুল পড়ুয়ার টিফিনেও থাকছে নানা রকমের ভাজা কিংবা প্যাকেটজাত খাবার। এই ধরনের খাবারে অধিকাংশ সময়েই কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। ফলে পেট ভরলেও পুষ্টি পাচ্ছে না‌। এর জেরেই বাড়ছে‌ বিপদ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই বাইরের নানান প্রিজারভেটিভ খাবারে শিশুরা অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। নানান মাংসের পদ প্রিজারভেটিভ করে খাওয়ার চল বেড়েছে। এর জেরে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সুষম আহারের ধারণা অধিকাংশ পরিবারেই নেই। তাই শিশুদের মধ্যেও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি হচ্ছে না। এর জেরেই স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে।

    কোন বিপদ হতে পারে? (Malnutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন অপুষ্টি শরীরে একাধিক রোগ তৈরি করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। ফলে নানান সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা পক্স, যে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশপাশি বিকাশেও সমস্যা দেখা যায়। মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হয় না‌। সর্বদাই ক্লান্তি অনুভব হয়। এছাড়া, হাড় ও পেশিতেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। হাড়ে নানান রোগ হতে পারে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পাকস্থলী ও লিভারেও অপুষ্টির জন্য নানান রোগ হতে পারে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Malnutrition)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কিংবা রাতের খাবারের সময় নির্দিষ্ট করা সবচেয়ে জরুরি। পুষ্টি সুনিশ্চিত করতে সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস প্রাথমিক শর্ত। সকালের জলখাবার দুধ, ফল কিংবা রুটি থাকা জরুরি। তেলেভাজা খাবার সকালে একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। রাতে দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জেরে পাকস্থলী খালি থাকে। তাই সকালের প্রথম খাবার তেলেভাজা হলে, তা হজমের সমস্যা তৈরি করে‌। দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও ফ্যাটের পরিমাণ ঠিকমতো থাকা জরুরি। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল, সবজি এবং মাছের মতো পদ থাকতে হবে (Malnutrition)। শিশু বয়স থেকেই সবজি, ডাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। না হলে শরীরের সবরকম চাহিদা মিটবে না। রাতের খাবার ন’টা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে শেষ করা জরুরি। হালকা খাবার যেমন স্ট্রু, তার সঙ্গে রুটি কিংবা ডাল আর সবজি এই জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সহজেই হজম হবে, এমন খাবার খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি মাছ-মাংসের সঙ্গে সবজি যেন সমান ভাবেই খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। তবেই শরীরে ঠিকমতো পুষ্টি পাবে‌। তেলে ভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। যা হোক খেয়ে পেট ভরানো নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া হচ্ছে কিনা সে দিকে নজরদারি জরুরি। তবেই একাধিক রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিনোদন কিংবা অবসর যাপনের সঙ্গী হিসেবেই নয়। রোগ নিরাময়েও বিশেষ সাহায্য করে গান‌। মনের জটিল রোগ থেকে স্নায়ুর সমস্যা কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যার মতো একাধিক কঠিন রোগে ওষুধের মতো কাজ করতে পারে সঙ্গীত। রাগের ওঠা-নামার সঙ্গে তাল মেলাতে পারলেই কমবে নানান জটিল শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বয়স্ক, বিভিন্ন বয়সের মানুষের নানান জটিল রোগ নিরাময়ে মিউজিক (Music Therapy) থেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেনে নিন কোন কোন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    পারকিনসন্স-এ বিশেষ উপকারী মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের স্নায়ুর এক জটিল রোগ হল পারকিনসন। এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা কমে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। রোগী কোনও সিদ্ধান্ত ঠিকমতো নিতে পারেন না। এমনকি প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো করতে পারেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বছর চল্লিশের পরে এই রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন‌। ৬০-র চৌকাঠ পেরতেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি এই রোগ নিরাময়ে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সঙ্গীত শুনলে শরীরে নিউরো-কেমিক্যাল বাড়ে। আর এই নিউরো-কেমিক্যাল মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পারকিনসন রোগীর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়েই সমস্যা হয়। তাই মিউজিক থেরাপি এই রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।

    সিজোফ্রেনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে সঙ্গীতের বিশেষ ভূমিকা

    মিউজিক থেরাপি সবচেয়ে বেশি‌ প্রভাব ফেলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর উপরে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী (Music Therapy)। বিশেষত সঙ্গীত খুব দ্রুত স্ট্রেস হরমোনকে কাবু করতে পারে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বিপদ বাড়ায় এই স্ট্রেস হরমোন। তাই মিউজিক থেরাপি নিলে এই রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    কথার আড়ষ্টতা কাটায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে কথা বলা নিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিশু একা থাকে। ছোট পরিবার। তাই সারাদিন কথা শোনার মানুষ কমছে। শিশুর তাই কথা শিখতেও অসুবিধা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জটিল শারীরিক সমস্যা না থাকলেও শিশুর কথায় মারাত্মক আড়ষ্টতা রয়েছে। ফলে শিশুর বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। শিশু মনস্তাত্ত্বিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের ছ’মাস পর থেকেই নিয়মিত শিশুকে রুচিশীল গান শোনালে শিশুর কথার আড়ষ্টতা সহজেই কাটবে। স্পষ্ট কথা বলতে শিখবে।

    রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের অনিয়ন্ত্রিত ওঠা-পড়া স্বাভাবিক করে

    মানসিক অবসাদ কিংবা মানসিক চাপে ভুগলে তার সরাসরি প্রভাব রক্তচাপের উপরে পড়ে‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হৃদস্পন্দনের ওঠানামা হয়‌। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার সমস্যা হয়। এই ধরনের সমস্যা কমায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)। মানসিক চাপকে সঙ্গীত সহজেই কাবু করতে পারে। ফলে রক্তচাপ ও স্বাভাবিক থাকে। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    মিউজিক থেরাপি কী? (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি দু’ধরনের হয়ে থাকে। অ্যাক্টিভ থেরাপি এবং প্যাসিভ থেরাপি। কোন ধরনের থেরাপি প্রয়োজন, তা রোগীর সমস্যা কতখানি গুরুতর, তার উপরে নির্ভর করেই বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাক্টিভ থেরাপিতে রোগী থেরাপিস্টের সঙ্গে একসাথে কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজান। কিংবা অনেক সময় সঙ্গীত রচনাও করেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিস্টিক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এই অ্যাক্টিভ মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী। শিশু কোনেও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারলে কিংবা নির্দিষ্ট কিছু গান নিজের মতো করে তৈরি করতে পারলে, তাদের শরীরের বিভিন্ন পেশির মধ্যে সমন্বয় বাড়ে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। আবার, প্যাসিভ থেরাপিতে রোগী বিশ্রামে থাকেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো গান শোনেন। কিংবা কোনও নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্র শোনেন। যেমন বহু গর্ভস্থ মহিলা নানান জটিল সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য এই প্যাসিভ মিউজিক থেরাপি খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের থেরাপিতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকে। বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয় (Music Therapy)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের চৌকাঠের সঙ্গে রোগের মাপকাঠি সব সময় মেলে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট একটি বয়সের পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক ভোগান্তি। চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছেন, শরীরে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, আর তার জেরেই অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন উপাদানের হেরফের হয়। ফলে অনেক সময়েই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের দোড়গোড়ায় পৌঁছে মহিলাদের মধ্যে নানান রোগের (Women’s Health) ঝুঁকি বাড়ছে। ত্বক, চোখের সমস্যার পাশপাশি হাড়ের সমস্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে‌। হাড় ক্ষয়, কোমরের সমস্যা, হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। কর্মশক্তি কমছে। এর পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ছে। এর জেরে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের শরীরে চল্লিশ বছরের পরে নানান হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন হয়। এর জেরেই রোগের দাপট বাড়তে পারে। কিন্তু শরীরে তিনটি উপাদানের জোগান থাকলে বড় রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। দেখে নিন, কোন তিন উপাদানে নজর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ম্যাগনেসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে হবে (Women’s Health)

    চল্লিশের পরে অধিকাংশ মহিলা নানান স্নায়ুর সমস্যায় ভোগেন। পাশপাশি পেশিতে টান ও রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যাও দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা বাড়ে। হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, হঠাৎ করেই শক্তি হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি বেশি হয়। আবার হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ায় ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের জোগান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষত চল্লিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের নিয়মিত ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজন। তাই তাদের কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তার মতো বাদাম জাতীয় খাবার রোজ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবার থেকে সহজে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।

    ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত জরুরি

    মহিলাদের শরীরে নানান রোগের (Women’s Health) অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন হয়। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে সেই হাড় আরও দুর্বল হয়। এর জেরে কোমর, হাঁটু, দাঁত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাড় ক্ষয়ের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, চল্লিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার। এই খাবার একদিকে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়, আবার পাকস্থলী, অন্ত্রও সুস্থ রাখে। টক দই ছাড়াও নিয়মিত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার, ডিম, লেবু খাওয়া দরকার। এই খাবারগুলো থেকে শরীরে সহজেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।

    ভিটামিন ডি-র অভাব যেন না থাকে (Women’s Health)

    মহিলাদের শরীরে নানান জটিল রোগের কারণ হল ভিটামিন ডি-র অভাব। স্নায়ু, পেশি কিংবা হাড়ের একাধিক রোগের কারণ ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত না থাকা। তাই ভিটামিন ডি-র জোগানে সজাগ থাকা জরুরি। পালং শাক, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম নিয়মিত খেলে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sensorineural deafness: রোগী হারিয়ে ফেলেন শোনার ক্ষমতা,  জানুন সেন্সরিনিউরাল ডেফনেস সম্পর্কে

    Sensorineural deafness: রোগী হারিয়ে ফেলেন শোনার ক্ষমতা, জানুন সেন্সরিনিউরাল ডেফনেস সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী অলকা ইয়াগনিকের জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। তাতেই হারিয়েছেন শোনার শক্তি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগের নাম সেন্সরিনিউরাল ডেফনেস। অভ্যন্তরীণ কানের সংবেদনশীল কোষ বা মস্তিষ্কে শ্রবণ স্নায়ু পথের ক্ষতির কারণে এই রোগ হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে মস্তিকে শব্দের সিগন্যাল পৌঁছায় না। ফলে শোনার শক্তি থাকে না।

    সেন্সরিনিউরাল ডেফনেস কীভাবে হয়? 

    বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে শব্দ তরঙ্গকে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায় কক্লিয়ার স্টেরিওসিলিয়া, যা আসলে এক ধরনের স্নায়ু তন্তু। যদি ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দের সংস্পর্শে আসে কান, তখন তন্তুগুলি ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কক্লিয়ার স্টেরিওসিলিয়া ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বধিরতা আসে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই রোগের ফলে উভয় কানই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

    রোগের কারণ কী?

    এই রোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা, সংক্রমণ, মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার, অটোমিউন ডিজিজ, মিনিওর ডিজিজ, যেকোনও বিরল রোগ, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, জেনেটিক কারণ, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা, তীব্র আওয়াজ, জিনগত অসুস্থতা, মাদকের প্রভাবকেই দায়ী করছেন।

    কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

    এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। পিছনে চলা যেকোনও রকমের গোলমালেরও শব্দ শুনতে পান না রোগীরা। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হয়। মাথা ঘুরতে থাকে। এই রোগে আক্রান্তের পক্ষে আশপাশের শব্দ ও আসল শব্দগুলি আলাদা করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে কানে গুনগুন শব্দ হতে থাকে বা স্পষ্ট শোনা যায় না। কানের কাছে অসাড়তা দেখা দিতে শুরু করে। চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন এই রোগ থেকে দূরে থাকতে উচ্চ মানের শব্দ এবং হেডফোনের হেভি এক্সপোজার থেকে প্রত্যেকে যেন দূরে থাকেন।

    চিকিৎসা

    এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয়। যদি দ্রুত উন্নতি না হয়, সরাসরি ইন্ট্রাটাইমপ্যানিক স্টেরয়েড কানে দেওয়া হয়। উন্নতি তিন সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান হয়। চিকিৎসকদের মতে, রোগীর যদি ইতিমধ্যেই কোনও রোগ থাকে বা খুব গুরুতর ভাইরাস আক্রমণে ভুগে থাকে, তবে এটি নিরাময় করা কিছুটা কঠিন। তবে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suicide in India: মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যা বেড়েছে আড়াই গুণ! কেন জানেন? 

    Suicide in India: মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যা বেড়েছে আড়াই গুণ! কেন জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে অবসাদ। ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমশ আরও বিপন্ন হচ্ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি দেখা যাচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে। আর অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর জেরে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা (Suicide in India)।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ বাড়ছে। মূলত ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে মানসিক অবসাদে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide in India) কয়েক গুণ বেড়েছে। ২০১৪ সালে ভারতে ৮৯ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে ১ লাখ ৩০ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয় পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে আত্মহত্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আড়াই গুণ বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই আন্তর্জাতিক পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপন্ন হচ্ছে। আর তার জেরেই এই ভয়ানক পরিণতির ঘটনা‌ বাড়ছে। এই নিয়ে সর্বস্তরে সচেতনতা না বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে? (Suicide in India)

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক সমস্যা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ পুরুষদের আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক সমস্যা। সম্পর্কের জটিলতা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের দায়িত্ব ও বিশাল প্রত্যাশার সঙ্গে অনেক সময়েই তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। এর জেরেই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হচ্ছে। এর থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide in India) জন্ম নিচ্ছে। পাশপাশি ভারতীয় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষ বুঝতেই পারেন না তার স্বাস্থ্য সমস্যা। এর জেরে রোগ নির্ণয় কিংবা চিকিৎসা কিছুই হয় না। তাই আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতির ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি কর্মশালা জরুরি। সব‌ বয়সের মানুষদের এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে। তবেই পরিবারের কেউ মানসিক অবসাদে ভুগছেন কিনা কিংবা আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে উঠেছেন কিনা তা‌ বোঝা সহজ হবে। তাহলে এই ধরনের চরম বিপদ আটকানো‌ সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share