Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) চোখ না রাখলে দিন যেন সম্পূর্ণ হয় না। দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন দেওয়া হয়, তেমন আবার নিজের দিনভর নানা কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের। অফিস কিংবা ক্লাসের মাঝেও সময় পেলেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। আবার অনেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করতে করতে সময়ের হিসেব রাখাই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানোর অভ্যাস, একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? (Social Media)

    বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয়তা বাড়ছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের। মূলত তরুণ প্রজন্মের কাছেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো। আমেরিকার একদল গবেষক বিশ্ব জুড়ে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত প্রজন্ম নিয়ে এক গবেষণা চালিয়েছেন। আর সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক বিপদের ঝুঁকির আশঙ্কা। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে শরীর ও মনের একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এই অভ্যাসে তাদের নানা কাজের মধ্যে গভীর প্রভাব পড়ছে। তাই এবিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আসক্তি বাড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া

    মনোরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস আসক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় কাটানোর অভ্যাস মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তার জেরেই এক ধরনের আসক্তি বাড়ায়। আর এই আসক্তির জেরে যে কোনও বিষয়ে আসক্তির প্রবৃত্তি বাড়ায়। এর জেরে সামাজিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে মেশা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ক্রমাগত লাইক, কমেন্ট এবং ফলোয়ার বাড়ানোর ইচ্ছে এই আসক্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে‌। ফলে জটিলতা আরও বাড়ে।

    মনঃসংযোগ নষ্ট করে (Social Media)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে মনোসংযোগ নষ্ট হয়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিকাংশ ভিডিও খুব কম সময়ের হয়। তার জেরে বড় কোনও ছবি দেখা কিংবা দীর্ঘ সময় একটি বই পড়ার জন্য যে‌ ধরনের ধৈর্য্য দরকার তা থাকে না। দীর্ঘ সময় ধরে একটা কাজ যত্ন করে করার জন্য যে ধরনের ক্ষমতা প্রয়োজন হয়, মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা কমতে থাকে। যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ হারায়। কোনও কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হলে এক ধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। যার প্রভাব কাজে পড়ে।

    ড্রাই আইয়ের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে

    সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে চোখের শুষ্কতার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ড্রাই আই কিংবা চোখের শুষ্কতার মতো রোগ অর্থাৎ, চোখ দিয়ে লাগাতার জল পড়া, চোখ জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া আর চোখে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইলের স্ক্রিনের আলো দীর্ঘ সময় চোখে পড়ার জেরে বিশেষত রাতে অন্ধকার ঘরে দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখার জেরে এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ে।

    সমস্যা এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Social Media)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের ওতোপ্রোত অংশ। কোনও ভাবেই তাকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যাবে না। বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, সরকারি তথ্যও অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারা যায়। তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাদ্দ থাকবে, সে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ সতর্ক না থাকলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়বে। কখনই একটানা আধঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো যাবে না। পাশপাশি , কোনও জরুরি কাজের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সময় কাটানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তবেই মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে প্রচণ্ড গরম। ঘন ঘন লোডশেডিং। রাতে ঘুমের দেখা নেই। তার উপর মশার বাড়াবাড়ি। অনেকেই মশার ধুপ কিংবা স্প্রে (Mosquito Repellent) ব্যবহার করেন। কিন্তু রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অনেকেরই এসবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এই সকল রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আগে অনেকেই ধুপ ব্যবহার করতেন। কিন্তু তাতেও বহু মানুষের নিঃশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়। তাহলে মশা তাড়াবার বিকল্প উপায় কী?

    কর্পূর

    কর্পূর (Camphor) একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান। মশার ধুপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তাঁরা বিকল্প হিসেবে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়া হয় না। যাঁদের নিঃশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কর্পূর একেবারে নিরাপদ। বর্তমানে ভেষজ তেল মিশ্রিত কর্পূরের মশা তাড়ানোর তরল পাওয়া যায়। সেগুলি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করতে পারেন।

    পোশাক

    হাত পা ঢাকা পোশাক পড়লে মশা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায় শরীরের অনাবৃত অংশে মশা বেশি কামড়ায়। তাই খোলামেলা পোশাকের পরিবর্তে শরীরের যতটা অংশ ঢেকে রাখা যায় ততটাই ভাল।

    মশারি

    রাতে শোওয়ার সময় মশারির ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয় না। মশারি (Mosquito Net) ব্যবহার করলে শুধু সাধারণ মশা নয় ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মশা থেকেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

    বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখা

    বাড়ির আশেপাশে আগাছা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন অন্তর বাড়ির আশেপাশে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। বাড়ির আশেপাশে যাতে জল না জমে এবং মশা যাতে বংশবিস্তার না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে নর্দমার যে সকল জায়গায় জল জমা হয় সেখানে কেরোসিন তেল ছড়ালে বসার লার্ভা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মশা বংশবিস্তার করতে পারে না।

    আরও পড়ুন: গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি ঘরে! সাময়িক আরাম কি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

    সঠিক আলোর ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হলুদ আলো মশার বড়ই প্রিয়। তাই ঘরে হলদেটে আলো কিংবা চড়া আলো থেকে বিরত থাকা উচিত। এর পরিবর্তে সাদা আলোতে মশার দাপট অনেকটাই কমে।

    প্রাকৃতিক উপায়

    নিম, সিনামন, ল্যাভেন্ডার ও ইউক্লিপ্টাস ও থাইমের তেল জাতীয় বেশ কিছু প্রাকৃতিক তেলের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। এই তেল তুলোয় মিশিয়ে ঘরের চারকোণে রেখে দিলে মশা পালিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

    শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
    ২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
    ৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
    ৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
    ৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Good Sleep Benefits: বসে কাজ নয়! প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই সুস্থ থাকার রসায়ন

    Good Sleep Benefits: বসে কাজ নয়! প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই সুস্থ থাকার রসায়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতায় পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব (Good Sleep Benefits) অপরিসীম। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতি দিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। প্রতিটি মানুষের সুস্থ জীবন ও দীর্ঘ জীবনীশক্তির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বলা হয়ে থাকে ঘুম আর ব্যায়াম যথার্থ শয্যাসঙ্গী। ভালো ঘুম শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। আর ব্যায়াম শরীর এবং পেশী মজবুত রাখে। ঘুম কম হলে একজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে।

    ঘুম ও ব্যায়াম

    ব্রেন বা মস্তিষ্কে বেশি পরিমাণে অ্যাডনোসিন তৈরির ক্ষেত্রে ব্যায়ামের একটি রাসায়নিক প্রভাব রয়েছে, আর অ্যাডেনোসিন আমাদের মধ্যে  ঘুমের ভাব (Good Sleep Benefits) তৈরি করে। কয়েকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ-তীব্রতার (হাই ইনটেনসিটি)ব্যায়ামের ফলে ঘুমবর্ধনকারী হরমোন অ্যাডেনোসিন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় প্রমাণিত, ব্যায়াম শরীরকে ক্লান্ত করে দেয় আর ঘুম বাড়ায়। শরীর সক্রিয় থাকলে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করলে আর পরিমিত ঘুমোলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমে যায়।

    বসে থেকে কাজ নয়

    দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস এখন সবার মধ্যেই তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কর্মজীবীরা বাধ্য হয়েই বসে কাজ করেন। শুধু অফিসের কারণেই নয়, অনেক তরুণরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন। একটানা বা দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকার ফলে নিজের অজান্তেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন অনেকেই। জানলে অবাক হবেন, মাত্রাতিরিক্ত বসে থাকার কারণে আয়ু কমে যেতে পারে। এ ছাড়াও আক্রান্ত হতে পারেন হৃদরোগ, ডায়াবেটি-সহ স্থূলতায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত বসে থাকার কারণে আয়ু অনেকখানি কমে যায়। এর মূল কারণ হলো কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়া। এটা ঠিক নয় যে, ওয়ার্ক আউট বা এক্সারসাইজ করলে আয়ু বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শরীর সুস্থ রাখতে অনেকখানি সাহায্য করে শরীরচর্চা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা বসে থাকার কারণে অনেকেরই ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়ার রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এসব রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘক্ষণ না বসে একটু হাঁটাচলা করুন। টানা বসে থাকায় আপনার মেরুদণ্ড, পিঠ ও ঘাড়ে চাপ পড়ে। তাই পিঠ ও কোমরে ব্যথা শুরু হয়। এক্ষেত্রে যতো আরামদায়ক চেয়ারই বেছে নেওয়া হোক না কেন, দিন শেষে এই ব্যথা থাকবেই। তাই চেষ্টা করুন টানা বসে না থেকে আধা ঘণ্টা পরপর উঠে হাঁটাচলা করা।

    কতক্ষণ ওয়ার্কআউট করবেন

     সারা দিনে আপনার ঘুমনোর সময়, বসে থাকার সময় হিসেব করে সেই অনুপাতে ওয়ার্কআউট করুন। বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে সবার মধ্যেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সঙ্গে একটানা বসে থাকার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এর কারণ হলো শরীর থেকে কোনো ক্যালরি বা ফ্যাট না ঝরানো। যে কারণে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণ কম হয় ও রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম প্রয়োজন। আপনার যদি টানা বসে থাকেন; তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও শরীরের নিম্নাঙ্গে মেদ জমে। এজন্য অতিরিক্ত ওজন যাতে না বেড়ে যায়, এজন্য নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করুন। পাশাপাশি বসে থাকার পরিমাণ কমাতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত বসে কাজ করার কারণে অনেকেরই ঠিকমতো ঘুম হয় না। এক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে দুশ্চিন্তার মাত্রা বেড়ে যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা বার্ধক্য ঠেকাতে পারে।

    আরও পড়ুন: শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    কতক্ষণ ঘুমোবেন

    যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের (Good Sleep Benefits) সময়টাও ভিন্ন হবে। শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। যেমন শিশুদের একটু বেশি ঘুমাতে হয় প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়। শূন্য থেকে ৩ মাস বয়সি শিশুদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ৪ মাস থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের জন্য ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।  ১ থেকে ২ বছর বয়সি শিশুদের দরকার হয় ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টার ঘুম। ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের জন্য ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা। ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সি শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে।  ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সি মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সিদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, অনশনে মানুষ ১৪ দিন বাঁচতে পারে। না ঘুমিয়ে ১০ দিনের বেশি বাঁচা যায় না। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ ভালো করতে ও মগজকে রিচার্জ করতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Heart Attack Stroke Risks: ৮ মিনিটের রাগে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়, বলছে গবেষণা

    Heart Attack Stroke Risks: ৮ মিনিটের রাগে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রবল রাগ ওঠামাত্র শরীরে প্রচুর স্ট্রেস হরমোন তথা নিউরোকেমিক্যাল বেরোতে শুরু করে। তাদের প্রভাবে হার্টরেট ও প্রেশার বাড়ে। করোনারি আর্টারি সঙ্কুচিত হয়। আবার করোনারি আর্টারিতে যদি কোনও চর্বির প্লাক জমে থাকে তা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি (Heart Attack Stroke Risks)। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, মাত্র ৮ মিনিট ধরে যদি কেউ রেগে থাকেন, তাহলে তাঁর হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। ‘জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’- এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি। যেখানে দেখানো হয়েছে রাগ এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক।

    গবেষণা

    এই গবেষণাটিতে যুক্ত ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরভিং মেডিক্যাল সেন্টার, নিউইয়র্কের ‘সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি’ সমেত অন্যান্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। ২৮০ জনের ওপরে এই গবেষণাটি চালানো হয়। যাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক। অংশগ্রহণকারীদের চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। তারপর তাঁদেরকে এমন কিছু ঘটনাক্রমের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রাগ, দুঃখ এবং উদ্বেগের অনুভূতিগুলি কাজ করতে থাকে। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মনকে শান্ত ও আবেগহীন রেখে ৮ মিনিট ধরে উচ্চস্বরে ১-১০০ গোনে। এদের প্রত্যেকের রক্তের নমুনা নেওয়া হয় এবং তাদের ব্লাড প্রেশারও মাপা হয়। সেখানেই উঠে আসে এই তথ্য। ৮ মিনিট ধরে রেগে থাকলে বাড়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের (Heart Attack Stroke Risks) ঝুঁকি। প্রসঙ্গত, গবেষণার আগেও একইভাবে তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ব্লাড প্রেশার মাপা হয়। দুই ক্ষেত্রে ফারাক লক্ষ্য করা যায়। গবেষণাটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডক্টর ডাইচি শিম্বো, তিনি জানান, অতীতে বেশ কিছু এ ধরনের গবেষণা চালানো হয় যেখানে দেখা গিয়েছে, রাগের অনুভূতি, উদ্বেগের অনুভূতি, দুঃখের অনুভূতির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক থাকে ভবিষ্যতে। গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এর পাশাপাশি যাঁরা দুঃখ এবং উদ্বেগে ছিলেন তাঁদেরও রক্তনালী সংকুচিত হয়। রক্তনালীর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলেই শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি বা হ্রাস হয়।

    স্ট্রোক  এবং হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack Stroke Risks)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে যখন রক্ত সরবরাহ বন্ধ বা হ্রাস পায়, তখনই মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষগুলি অক্সিজেন এবং পুষ্টি পায় না। মস্তিষ্কের কোষগুলি তখন মারা যেতে শুরু করে। এই সময়ে স্ট্রোক হয়। আর এক ধরনের স্ট্রোক হয়, যখন মস্তিষ্কের রক্তনালী ফুটো হয়ে যায়। ফেটে যায় এবং সেখানে রক্তক্ষরণ ঘটে। অন্যদিকে, হার্ট অ্যাটাক তখনই হয় যখন মানুষের হৃদপিণ্ডতে রক্ত চলাচল কমে যায়, অথবা হৃদপিণ্ড ব্লক হয়ে যায়।

    রাগ কমানোর দশ মহাবিদ্যা 

    (১) আপনার রাগ বেশি সেটা বুঝুন। এজন্য আপনি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়। কারণ যে ঘটনায় আপনি রেগে যান, তাতে অন্য অনেকেই দিব্যি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন।

    (২) এ বার ঠিক করুন রাগ কমাবেন এবং সেরকম প্রস্তুতি নিন।

    (৩) কোন কোন ঘটনায় আপনি রেগে যান তা বুঝুন। সে রকম পরিস্থিতি যাতে না হয় সে চেষ্টা করুন। তার জন্য যদি নত হতে হয় সে-ও ভাল।

    (৪) নত হতে হয়েছে বলে যদি খারাপ লাগে, ভেবে দেখুন এর বিনিময়ে আপনার শরীর, মানসিক শান্তি, সম্পর্ক সবই কিন্তু রক্ষা পেল।

    (৫) চেষ্টা করেও পরিস্থিতি এড়াতে না পারলে প্রতিজ্ঞা করুন, যা-ই ঘটুক আপনি শুধু শুনে বা দেখে যাবেন, রাগবেন না৷ এমন কথা বলবেন না যাতে পরিস্থিতি জটিল হয়।

    (৬) ধৈর্য ধরুন। মুখ বন্ধ রাখুন। সম্ভব হলে সে জায়গা থেকে সরে যান। হনহন করে হেঁটে আসুন, মাথায় জল ঢালুন, ঘরের কাজ করুন বা কারও সঙ্গে কথা বলে মাথা ঠান্ডা করে নিন।

    (৭) এ সব কোনওটাই সম্ভব না হলে কাজে আসবে সুইচ অফ–সুইচ অন মেকানিজ্ম এবং ভিস্যুয়াল ইমেজারি, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ হল পরিস্থিতির মাঝখানে বসে গভীর ভাবে অন্য পছন্দের কিছু ভাবা যাতে মন চলে যায় অন্য কোনও রাজ্যে। বিশেষজ্ঞের কাছে শিখে ঘরে প্র্যাকটিস করলে বিপদের সময় কাজে লাগবে।

    (৮) ডিপ বেলি ব্রিদিং, যোগাসন, মেডিটেশনে শরীর–মন ঠান্ডা থাকে। চট করে রাগ ওঠে না। বা উঠলেও সহজে নেমে যায়। নিয়মিত প্রশিক্ষকের কাছে যোগা প্রাকটিস করুন।

    (৯) জীবনের চাহিদা কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন এতে রাগও কমে যাবে। নিজের মধ্যে কোনও রকমের ইগো রাখবেন না।

    (১০) আধ্যাত্মিকতার বিভিন্ন বই পড়ুন। মহাপুরুষদের বাণী পড়ুন, এতে মন শান্ত থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Laughter Day 2024: আজ ‘বিশ্ব হাসি দিবস’! জেনে নিন হাসির সুফলগুলি

    World Laughter Day 2024: আজ ‘বিশ্ব হাসি দিবস’! জেনে নিন হাসির সুফলগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কত রকমের হাসি আছে! কেউ হাসে হি হি করে, কেউ বা হা হা করে। কেউ হো হো করে। হাসির কবিতা, নাটক গল্প সবকিছু স্থান পেয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সাহিত্যে। সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোল পড়লে তো পেটে হাত দিয়ে হাসতে হয়। যোগাসন বা যে কোনও থেরাপির অন্যতম উপাদান হল হাসি। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন একদল লোক যোগাসন করছে, আর হো হো করে হাসছে। আসলে হাসলে শরীর-মন সুস্থ থাকে, কাজে আগ্রহ, একাগ্রতা বাড়ে।

    ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ (World Laughter Day 2024)

    প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবার পৃথিবীব্যাপী পালিত হয় ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ (World Laughter Day 2024)। চলতি বছরে আজ সেই দিন, অর্থাৎ ৫ মে। এই দিনটির তাৎপর্য হল বিশ্বজুড়ে সচেতনতা ছড়ানো হাসির সুফল নিয়ে, এর পাশাপাশি এই দিনে সচেতনতা ছড়ানো হয়, খুশি থাকলে মানুষের রোগ অনেক গুণে কমে যায়, অথবা রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। বিশ্ব হাসি দিবস চালু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর নেপথ্যে ছিলেন ডঃ মদন কাটারিয়া, যিনি ছিলেন বিশ্বব্যাপী ‘হাসি-যোগা আন্দোলনে’র অন্যতম উদ্যোক্তা। ‘বিশ্ব হাসি দিবসে’র (World Laughter Day 2024) অন্যতম লক্ষ্য হল, পৃথিবীব্যাপী সংস্কৃতিভেদে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব স্থাপন। এই দিনটিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হয় যে হাসলে চাপমুক্ত হওয়া যায়, টেনশন কমানো যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটে।

    হাসির (World Laughter Day 2024) সুফলগুলি কী কী

    – কাজে দক্ষতা বাড়ে:  একজন মানুষ যখন সারাক্ষণ হাসিখুশিতে থাকেন তখন সাধারণভাবে প্রতিটা কাজেই তিনি উৎসাহ পান। একাগ্রতার সঙ্গে সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। যার ফলে কাজের দক্ষতা আপনাআপনি বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী অনেক সংস্থা রয়েছে যারা তাদের কর্মচারীদের মধ্যে প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাসির অনুশীলন করায়।

    – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী: বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসলে স্ট্রেস ব্যাপকভাবে কমে যায় এবং হাসি (World Laughter Day 2024) সাহায্য করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। এর ফলে কোনও মানুষের রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

    – হাসলে বিভিন্ন হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসলে এন্ড্রোফিন হরমোন ভালোমতো নিঃসৃত হয় এবং এর পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোন যেমন অ্যাড্রিনালিন কমতে থাকে। হাসি, ক্যালরি পোড়াতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    – মন এবং শরীরে পরিবর্তন আনে হাসি: হাসি মানুষকে তৃপ্তি দেয় এবং এই অনুভূতি যে কোনও কাজে আগ্রহ বাড়ায়। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যাকেও সমাধান করতে পারে হাসি। হাসলে ডিপ্রেশন, উদ্বেগ কমে যায় এবং এটি যে কোনও মানুষকে সবকিছুতে ইতিবাচক করে তোলে। এর প্রভাব দেখা যায় শরীরেও। 

    – হাসলে জীবন অনেক সহজ সরল হয়ে যায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যত বেশি হাসবেন তত আপনার জীবনের সমস্যাগুলি কমতে শুরু করবে। খুব তাড়াতাড়ি ইতিবাচক মানসিকতায় সেগুলিকে সমাধান করে ফেলবেন। হাসি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং জীবনকে সহজ সরল করে তুলবে।

    – হাসি মুড ভালো রাখে: হাসি সব সময় আপনার মুড ভালো রাখবে এবং যেকোনও রকমের অস্বস্তি শরীর এবং মনে আসতে দেবে না।

    – যে কোনও অনুভূতির ভারসাম্য বজায় থাকে: হাসলে আপনার মন সব সময় আশাবাদী থাকবে। আপনি ইতিবাচক হবেন। আপনার একাগ্রতা বাড়বে। মনে এক গভীর শান্তি অনুভব করবেন। তৃপ্তি পাবেন। যার ফলে আপনাকে যে কোনও রকমের খারাপ অনুভূতি বিব্রত করতে পারবেনা।

    – হাসি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে:  যে কোন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হাসির বিকল্প নেই। হাসিখুশিতে থেকে কথাবার্তা বললে সামনের জন সহজেই আপনার প্রতি ইমপ্রেস হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি ঘরে! সাময়িক আরাম কি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

    Heatwave: গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি ঘরে! সাময়িক আরাম কি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের দাপট অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। বাইরে চরম অস্বস্তি। কিন্তু ঘরের ভিতরেও থাকা কষ্টকর হয়ে উঠছে। এর জেরে অনেকেই দিনভর ঘরের ভিতরে এসি চালিয়ে থাকছেন‌। আবার অনেকেই ঘরের তাপমাত্রা ১৭ কিংবা ১৮ ডিগ্রিতে নামিয়ে রাখছেন‌ (Heatwave)। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। দিনভর এই তাপমাত্রায় থাকার জেরে বাড়ছে একাধিক সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসি ঘরে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকলেই বড় শারীরিক সমস্যা এড়ানো যাবে। এসিতে থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    দিনভর নয়, দিনের নির্দিষ্ট সময় এসি ঘরে থাকতে হবে (Heatwave)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় কখনই দিনভর এসি ঘরে থাকা উচিত নয়। বরং দিনের কিছুটা সময় আরামের জন্য থাকা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে‌। এই ক্ষমতা মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই পেয়েছে। কিন্তু এই চরম তাপমাত্রায় দিনভর এসি ঘরে থাকলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার অনেকটাই পার্থক্য হবে। আর এর জেরে শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার (Heatwave) সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে‌। এর জেরে কমবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। এর ফলে পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে। বাইরের কাজ করতেও কষ্ট হবে‌। তাই দিনভর এসি চালিয়ে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়।

    ১৭-১৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা একেবারেই নয়, কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রিতে রাখতেই হবে

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরে এসি চালালে কখনই তাপমাত্রা ১৭-১৮ ডিগ্রিতে রাখা যাবে না। কারণ বাইরের তাপমাত্রা ৪১- ৪২ ডিগ্রির উপরে‌। কোথাও আবার তাপমাত্রা ৪৬-৪৭ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই ঘরের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকলে সমস্যা বাড়বে। ঘরের বাইরে বেরলেই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন, ফুসফুসের সংক্রমণের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়বে। কারণ তাপমাত্রার বিরাট তারতম্যে (Heatwave) শরীরে একাধিক ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ২৬-২৭ ডিগ্রিতে ঘরে এসি চালিয়ে কিছুক্ষণ থাকা যেতে পারে। এর ফলে শরীরে সাময়িক আরাম পাওয়া যেতে পারে। আবার রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    সকালে কিছু সময় অবশ্যই ঘরের জানালা খুলে রাখতে হবে (Heatwave)

    সূর্যের তাপে নাজেহাল। কিন্তু তারপরেও ঘরে সূর্যের আলো ঢোকা আবশ্যিক। কারণ সূর্যের আলো না ঢুকলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ‌ তৈরি হয়। তাই দিনভর দরজা-জানালা বন্ধ রেখে এসি চলিয়ে রাখা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ঘরের ভিতরে কিছুটা সময় আলো ঢোকার জন্য জানালা খুলে রাখা জরুরি। অনেক সময়েই সকাল দশটার পরে আর রোদের দাপট নেওয়া যাচ্ছে না। তাই ভোরে জানলা খুলে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসি ঘরে দরজা-জানলা বন্ধ থাকার জন্য একাধিক ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষত ফুসফুসের জন্য যা ক্ষতিকারক। তাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা জরুরি।

    শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি

    এই গরমেও এসি ঘরে থাকার জন্য শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পাশপাশি, ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে থাকায় অভ্যস্ত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। আবার হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্তদের ও এসি ঘরে দীর্ঘ‌সময় থাকা এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকেরা (Heatwave)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Children: জানেন পাহাড়ে বসবাসকারী ভারতীয় শিশুদের বৃদ্ধি তুলনায় কম কেন?

    Indian Children: জানেন পাহাড়ে বসবাসকারী ভারতীয় শিশুদের বৃদ্ধি তুলনায় কম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে বসবাসকারী ভারতীয় শিশুদের বয়স তাদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল নিউট্রিশন, প্রিভেনশন অ্যান্ড হেলথ-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণা অনুসারে, ভারতের পাহাড় ও পাহাড়ে বসবাসকারী শিশুদের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপ (NFHS-4) থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে, ২০০০ মিটার বা তার উপরে বসবাসকারী শিশুদের জন্য স্টান্টিংয়ের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০০০ মিটার নীচে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায়, এই উচ্চ-উচ্চতা অঞ্চলের শিশুদের ৪০ শতাংশের বৃদ্ধি কম হয়।

    বৃদ্ধি রোধ বা স্টান্টিং

    দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি হিসাবেও পরিচিত, গর্ভাবস্থায় মায়ের দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে সন্তানের স্টান্টিংয়ের (stunting) অবস্থা জন্মের আগে থেকেই শুরু হয়, যার ফলে শিশুর অস্বাভাবিক ও অসম্পূর্ণ বৃদ্ধি ঘটে। দীর্ঘ সময় ধরে স্টান্টিং ঘটে এবং তাই এর দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি হয়। শিশুর স্টান্টিংয়ের মূল কারণগুলি হল দুর্বল বুকের দুধ খাওয়ানো, শরীরে পুষ্টির অপর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অবিরত সংক্রমণ। স্টান্টিং বিপজ্জনক, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে অপরিবর্তনীয় হয়ে যায়। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় সঠিক স্বাস্থ্য এবং জন্মের পরে সন্তানের ব্যাপক যত্ন নিশ্চিত করা গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়িয়া অঞ্চলের শিশুদের জন্য স্টান্টিং একটি বড় সমস্যা। 

    ভারতে কোথায় দেখা যায়

    মূলত অপুষ্টির কারণে শিশুদের বয়স অনুযায়ী উচ্চতা বাড়ে না বা তারা ‘স্টান্টিং’-এর শিকার হয়। পার্বত্য অঞ্চল এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি শারীরিকভাবে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে অসংখ্য জেলায় স্টান্টিং, অপচয় এবং কম ওজনের প্রকোপ দেখা যায়। স্টান্টিংয়ের জন্য জনতাই পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড়, এবং মেঘালয়ের রিভোই এবং আসামের জেলার ধুবরি, বোঙ্গাইগাঁও এবং বারপেটা পরিচিত। ভারতের এই পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে শিশুদের উচ্চতা কম হয়। 

    স্টান্টিংয়ের ঝুঁকি

    ভারতে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ  হল স্টান্টিং। এটি পাঁচ বছরের কম বয়সী এক তৃতীয়াংশ শিশুকে প্রভাবিত করে। চিকিৎসক ও গবেষকদের মতে, পাতলা বাতাসের কারণে উচ্চ উচ্চতায় থাকা শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। উচ্চ উচ্চতায় বাতাস হালকা হয়। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। অক্সিজেন কম থাকায় খাদ্য থেকে শক্তির রূপান্তর করা কঠিন হয়। এর ফলে বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গবেষকরা বলছেন, স্টন্টেড বাচ্চাদের দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকে, যা তাদের পরবর্তী জীবনে সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্টন্টেড হল এক ধরনের হরমোনাল অসুখ যা বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। শিশুদের পেশি শক্তি কম হয়ে যায়। শারীরিক সক্ষমতা কমে যায়। উচ্চ উচ্চতায় বা পাহাড়ি অঞ্চলে খাদ্য সমস্যা এবং কঠোর জলবায়ু এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।

    আরও পড়ুুন: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    গবেষকদের পরামর্শ

    গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে উচ্চ উচ্চতায় বসবাসকারী শিশুদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ক্যালোরি এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। যা তাঁদের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে। সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত স্টান্টিংকে শনাক্ত করত হবে। শুরু থেকেই চিকিৎসা করালে এটি কমে যেতে পারে। সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের শিক্ষিত করা শিশুর স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া। অভিভাবকদের বোঝাতে হবে যে, সন্তানের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফ্যাট এবং শর্করা জাতীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ এক ভারসাম্যযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা জরুরী। একটি শিশুর সর্বোত্তম বৃদ্ধি এবং বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য একটি সুষম খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে প্রচুর হওয়া উচিত। এই উপাদানগুলি শক্তিশালী হাড়ের পাশাপাশি সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Education: দিনরাত পড়েও সন্তান পরীক্ষায় বসেই সব ভুলে যাচ্ছে? কীভাবে বাড়বে মনঃসংযোগ?

    Child Education: দিনরাত পড়েও সন্তান পরীক্ষায় বসেই সব ভুলে যাচ্ছে? কীভাবে বাড়বে মনঃসংযোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো নিয়মিত পড়তে বসে। দিনের অনেকটা সময় পড়াশোনায় বরাদ্দ থাকে। তারপরেও পরীক্ষায় বসে অনেক সময়েই ভুল হয়ে যায়। বারবার চর্চার পরেও মনে থাকে না অনেক বিষয়। অনেকের সন্তান এই সমস্যায় ভুগছে। আর তার জেরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে বাবা-মায়ের। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটা‌‌ বিষয়ে অভিভাবকেরা নজরে রাখলেই সন্তানের এই সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর (Child Education) কিছু সহজ কৌশল প্রথম থেকেই রপ্ত করা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাহলেই সন্তান একাধিক কাজ সহজে করতে পারবে। কিন্তু কোন দিকে বাড়তি নজর বাড়াবে স্মৃতিশক্তি ও মনঃসংযোগ?

    পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যিক (Child Education)

    আধুনিক জীবনে বাড়ছে ব্যস্ততা। আর তার জেরেই কমছে ঘুমের সময়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হওয়ার জেরে বাড়ছে সমস্যা। বিশেষত মনঃসংযোগ আর স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর তার জেরে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে। ক্লান্তিবোধ বাড়ে। ফলে মনঃসংযোগ করতেও অসুবিধা হয়। তাই রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অনেক পড়ুয়াকেই খুব ভোরে স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু তারাও গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে‌। ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। যার জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। তাই রাত বেশি জাগা যাবে না বলেই সাফ‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাদ্যাভ্যাসে বদল জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি (Child Education) বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই সন্তানের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যান্ডি, চকলেট, চিনি খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। নিয়মিত বাদাম, আখরোট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বাদাম জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সবুজ ও রঙিন সবজি খেতে হবে। যেমন, কুমড়ো, গাজর, টমেটো, পালং শাক, পটল জাতীয় সবজি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এর পাশপাশি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই মনঃসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

    যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হোক সন্তান (Child Education)

    নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় সন্তানকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস বিশেষত মেডিটেশন মনোসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সন্তানের শরীর ও মনের একাধিক সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ বাড়বে। মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    পড়ার পাশপাশি সৃজনশীল কাজ শেখা

    পরিবারের সকলের জন্য সপ্তাহে একদিন রান্না করা কিংবা গান‌ শেখা, ছবি আঁকা, যে কোনও এক ধরনের সৃজনশীল কাজ করার অভ্যাস থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও কাজে একঘেয়েমি হলেই তার প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। দিনরাত লাগাতার শুধু পড়াশোনার চাপ তৈরি হলে, পড়ুয়াদের সেই একঘেয়েমি লাগবে। তখন মনঃসংযোগ নষ্ট হবে‌। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমবে। তাই পড়াশোনার (Child Education) পাশাপাশি অন্য কোনও সৃজনশীল কাজ করা জরুরি। অন্তত সপ্তাহে একদিন ভিন্ন রকম কাজ করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মানসিক চাপ তৈরি হবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health News: হাতে অলঙ্কার পরে আর চিকিৎসা নয়! নয়া নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    Health News: হাতে অলঙ্কার পরে আর চিকিৎসা নয়! নয়া নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবার বড় নির্দেশিকা (Health News)। কর্তব্যরত অবস্থায় কনুইয়ের নীচে কোনও অলঙ্কার (jewellery) পরতে পারবেন না চিকিৎসক, নার্স , স্বাস্থ্য কর্মীরা। নয়া নির্দেশিকা (New guidelines) পাঠাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অর্থাৎ এবার থেকে কোনও রকম অলঙ্কার পরে চিকিৎসা করতে পারবেন না চিকিৎসকরা (Doctors)। এমনকি ব্যবহার করা যাবেনা মোবাইল, পরা যাবে না ঘড়িও। সব কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) অধীনস্থ হাসপাতালের সুপার ও ডিরেক্টরকে এমনই নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

    ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায় (Health News)?

    স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry) তরফে যে নির্দেশিকা (Health News) দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় কনুইয়ের নীচে কোনও অলঙ্কার পরতে পারবেন না চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা (Health workers)। কারণ চুড়ি, ব্রেসলেট, আংটি, ঘড়ি, মোবাইল ফোন থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। আইসিইউ (ICU), এইচডিইউ (HDU), অপারেশন থিয়েটার (OT), পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে এই নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    কী কারণে এই নির্দেশিকা?

    অনেক সময়ই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী সেরে ওঠার শেষ মুহূর্তে অন্য কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রক্তে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তাই এবার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ (Health News) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অতুল গয়াল বলেছেন,”কনুইয়ের নিচে গয়না পড়লে তা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও কর্মরত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করায় তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।”

    এর পাশাপাশি গোয়েল জানিয়েছেন যে, এর আগে অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে ডাক্তারের অবহেলার কারণে অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের (patient) গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সেই সব ঘটনা পর্যালোচনা করেই এবার এমন সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য করোনার ফার্স্ট ওয়েভেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, হাতের চুড়ি, আংটি, ঘড়ি, ইত্যাদির মাধ্যমেও সংক্রমণ (infections) হতে পারে করোনা ভাইরাসের। তখন সংক্রমণ এড়াতে এসব অলঙ্কারের ব্যবহার কমিয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু সংক্রমণ তো নানা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার হতে পারে। তাই এবার সচেতনতা বাড়াতে এই নির্দেশিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share