Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    দেশ জুড়ে বাড়ছে থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের ৪২ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। আর তার ফলেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা (Thyroid Treatment) না বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

    থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। গলার মাঝে, স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে এই গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কিন্তু এই হরমোন‌ অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে শুরু হলেই, তা বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব কম বয়স থেকেই বিশেষত মহিলাদের ভারসাম্যহীন ভাবে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হচ্ছে। এর ফলে ফুসফুস, শ্বাসনালী, ত্বক এবং মহিলাদের জরায়ুর উপরেও প্রবল প্রভাব পড়ছে।

    কেন ভারতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েড যে কোনও বয়সের মানুষের হতেই পারে। তবে মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ আয়রন এবং আয়োডিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় কম নিঃসরণ আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিঃসরণ, দুটোই বিপজ্জনক। দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রন এবং আয়োডিন, এই দুই উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট‌ হলেই এই ধরনের থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা তৈরি হয়।

    আবার, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ‌এর ফলে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, জিনগত বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ থাইরয়েডের সমস্যায় (Thyroid Disease) আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই থাইরয়েড একটি বংশানুক্রমিক রোগ বলা যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড মানেই কি ক্যান্সারের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলেই তা ক্যান্সার হবে এমন নয়। তবে দীর্ঘদিন থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা থাকলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি অবশ্যই বেড়ে‌ যায়।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ থেকেই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। ফলে অকারণেই মেজাজ খিটখিটে থাকে। কোনও কাজেই বেশি সময় মনোযোগ থাকে না।‌ আবার থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা (Thyroid Disease) থাকলে ত্বক রুক্ষভাব থাকে। চুল পড়ার সমস্যা হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় না।‌ ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়। ফলে দিনভর ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে গলার স্বরে পরিবর্তন হয়। গলার স্বর কর্কশ হয়ে যায়। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধ (Thyroid Treatment) করতে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা এড়াতে খাবারে নজরদারি জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় সচেতন হওয়া জরুরি।‌ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই যাবে না।‌ আবার প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরেও প্রভাব পড়ে।

    থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Disease) এড়াতে ধূমপান বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ধুমপান করলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট‌ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তাই বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বের মোট থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের বড় অংশ ভারতেই! আর তাই এই রোগ মোকাবিলায় এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৫ কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি বছর ভারতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। যা যথেষ্ট আর্থিক বোঝা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির বারবার রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই এই চিকিৎসা যথেষ্ট জরুরি। পাশপাশি এই রোগে আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন অনেক সময়েই ব্যহত হয়। সব মিলিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পথে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে জানানো হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সচেতনতা কর্মসূচি। তাই স্কুল স্তর থেকেই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাই প্রত্যেক স্কুলে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) নিয়ে কর্মসূচি চালানো‌ হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পর্ব থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি শুরু হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ কী সে সম্পর্কে জানানোর পাশপাশি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কেও জানানো হবে। রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে। যাতে কম বয়সি ছেলেমেয়েরা রক্তদান কর্মসূচিতে যোগদান করে। কারণ বিশাল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য রক্তের প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি ছাড়া সেই রক্তের জোগান থাকা মুশকিল। তবে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, সে দিকেও নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।‌ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের যাতে কোনও রকম সামাজিক সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেও স্কুল স্তরে নানান কর্মসূচি।

    থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং

    থ্যালাসেমিয়া রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং জরুরি। তাই গ্রামীণ এলাকায় এবং স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শিশুদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা! তাই নিয়মিত এই পরীক্ষা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা হবে। তাহলে সহজেই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে। ফলে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার কাজ সহজ হবে।
    থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের চিকিৎসা সহজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় ব্লাড ব‌্যাঙ্ক ব্যবস্থা এবং স্টেম সেল রেজিস্ট্রি-র মতো কাঠামো আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের জীবন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রক্ত জরুরি হয়। শরীরে যাতে রক্তের ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়। আবার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। তাই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের চিকিৎসা যাতে সহজেই হয়, রক্তের জোগান যাতে ঠিকমতো থাকে আবার প্রয়োজন মাফিক অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার ও করা যায়, সেই দিকে নজর রাখতেই এই দুই পরিকাঠামোর উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

  • Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলার মাঝেই কিংবা বাড়িতে নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বারবার পেটের ভিতরে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হয়। আবার অনেক সময়েই দিনের একাধিকবার মলত্যাগ হয়। পেটের গোলমালে জেরবার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পেটে ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবণতা এমন নানান উপসর্গের জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময়েই নানান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable Bowel Syndrome) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই রোগ সাধারণত দেখা যেত। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বয়সিদের মধ্যে ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বেড়েছে। এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাড়ছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের ধরনের জেরেই খুব কম বয়সিদের মধ্যেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা বাড়ছে। লাগাতার পেটের এই অসুখের জেরে আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই শারীরিক সমস্যা দেখা যেত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি কমে। তার জেরেই পেটের এই সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাদ্যতালিকায় সহজ পাচ‌্য খাবার থাকে না। আবার অনেক সময়েই কম বয়সিদের খাবারের সময় অনিয়মিত থাকে। খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাচনতন্ত্রের উপরে। তার ফলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কোন ছয় খাবার এড়িয়ে চললে বিপদ কমানো‌ যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের এই লাগাতার সমস্যা (IBS Treatment) নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ছয়টি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ক্যাফিন জাতীয় খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অতিরিক্ত কফি-প্রেমী! যা অনেক সময়েই‌ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে বারবার কফি খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। পেটের সমস্যা থাকলে তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার পাশপাশি চকোলেট এবং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ এগুলোতেও ক্যাফিন থাকে।

    চিনি এড়িয়ে চলা দরকার!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা রুখতে চিনি একদম বর্জন করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। চিনি হলো প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি। এটা শরীরের উপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত হজমের সমস্যা তৈরি করে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই চিনি এড়িয়ে চলা দরকার।

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। যা লিভার, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ বা কোনও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।

    অ্যালকোহল পান চলবে না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। তার ফলে পেটের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    ফাইবার জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত সময় লাগে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে। তবে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক সময়েই তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তার উপরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) থাকলে আরও ভোগান্তি বাড়ায়। তাই মটর, ছোলা বা যেকোনও দানা শস্য খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    দুগ্ধজাত খাবারে রাশ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবার বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই জৈব উপাদানের জেরেই হজমের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ভোগান্তি বাড়ায় (IBS Treatment)। পেটের সমস্যাও‌ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দুধ, টক দই কিংবা পনীরের মতো খাবারে রাশ জরুরি। তার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ কেউ ছায়াসঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছে, কিংবা সব সময়েই কেউ ক্ষতি করবে বলে ষড়যন্ত্র কষে চলেছে! এমন নানান ভয়ে শিউরে থাকেন অনেকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই নানান কারণে উদ্বেগে থাকে। পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। বরং নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করে। অনেক সময়েই তারা নানা রকম আশঙ্কায় ভোগে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং পরিবারের কেউ এমন সমস্যায় ভুগলে, তাঁর দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কারণ এগুলোই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) লক্ষণ হতে পারে।

    ভারতে বাড়ছে সমস্যা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    সম্প্রতি, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। মানসিক এই রোগ নিয়ে সচেতনতাও তলানিতে। তার জেরে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া সচেতনতা দিবসে (World Schizophrenia Awareness Day) তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। যাতে সহজেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার মূল সমস্যা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। রোগীর অধিকাংশ সময়েই সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না।‌ যার জেরেই বিপদ বাড়ে‌।

    কীভাবে রোগীকে সনাক্ত করবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত থাকেন। ফলে, বাইরের মানুষের পক্ষে খুব আলাদা ভাবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা, সব সময় একসঙ্গে থাকলে রোগ সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে জীবনের যেকোনও পর্বেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত (World Schizophrenia Awareness Day) হলে মেলামেশা বা সামাজিক যোগাযোগের চাহিদা কমে যায়। রোগী কখনোই পরিবারের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করা কিংবা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো পছন্দ করবেন না। অতিরিক্ত নির্জনতা তাঁর পছন্দ হবে। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করলে, তা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অকারণ নানান আশঙ্কায় ভুগলে কিংবা মনগড়া ভয় (Delusion) তৈরি হলে, তা সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে, রোগী অনেক সময়েই নানান ভয়ের কল্পনা করেন। যাকে হ্যালোসিনেশন (Hallucination) বলা হয়। তাই পরিবারের কেউ যদি সব সময় নানান আশঙ্কার কথা জানান এবং তার সঙ্গে যদি বাস্তবের বিশেষ মিল না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    কেন বাড়ছে এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বদলে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর নয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। এগুলো ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপ তৈরি করছে। যার জন্য সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামাজিক প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। সাফল্য কিংবা সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে খুব কম বয়স থেকেই মানুষের উপরে অসম্ভব চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে‌। সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা মনে করছেন। তবে অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবেও অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত থাকলে, জিনগত ভাবে এই রোগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে হচ্ছে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই এই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে সিজোফ্রেনিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। অনেক সময়েই আক্রান্তের এই মনগড়া উদ্বেগ অবহেলা হয়। ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়। আক্রান্তের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা (World Schizophrenia Awareness Day) গড়ে তোলা জরুরি। পাশপাশি, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পরে, রোগীর যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসার মাঝপথে রোগী ওষুধ নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন। থেরাপিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যাতে আক্রান্ত ওষুধ খান, প্রয়োজনীয় থেরাপি নেন, সেটা নিশ্চিত করাই পরিবারের দায়িত্ব।

    রোগীকে কখনোই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা করা যাবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিয়ে কিংবা পুজো, যেকোনও আনন্দ অনুষ্ঠান, যেখানে সমাজের বহু মানুষের মেলামেশা করার সুযোগ থাকবে, সেখানে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব, তাঁর সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। মাঝেমধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের। আর আবহাওয়ার এই রকম ফেরে বাড়ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। তার সঙ্গে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড (Typhoid)। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় কমবেশি টাইফয়েড আক্রান্ত দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ভরা গরমেই বাড়ছে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে, বাড়তি সতর্কতা (Expert Health Tips) জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গরমে কেন বাড়ছে টাইফয়েড (Typhoid) আক্রান্তের সংখ্যা?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড জলবাহিত রোগ। মূলত দূষিত জল থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এবছরেও টাইফয়েডের দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ জল। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমে সাময়িক আরামের জন্য অনেকেই নানান রঙিন সরবত নিয়মিত খান। আর সেখান থেকেই বিপদ বাড়ে‌। অপরিশ্রুত জল থেকে সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে তা আশপাশের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে।

    জলের পাশাপাশি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রাস্তার অপরিচ্ছন্ন কাটা ফলের স্যালাড খান। এগুলো অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয় না। ফলে নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সেখান থেকেও টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগ ছাড়তে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অর্থাৎ হাত পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহারের মতো অভ্যাস না থাকলেও যথেষ্ট বিপদ বাড়ে। টাইফয়েডের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে।

    কোন উপসর্গ দেখলে বাড়তি সতর্কতা দরকার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্তের প্রথম পর্বেই ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব (Expert Health Tips)। তাই এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাবে। অর্থাৎ রোগীর হাই-ফিভার থাকবে। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা অনুভব হবে। ক্লান্তি বোধ হবে। কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যাবে না।‌ মানসিক ভাবেও একধরনের আচ্ছন্নতা বোধ হবে। অনেক সময়েই বারবার বমি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে দেরি করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের দাপট রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শৌচালয় পরিষ্কার করা জরুরি। গরমের এই আবহাওয়ায় নানান ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই শৌচালয় থেকে নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। বাইরে শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শৌচালয় ব্যবহারের পরে ভালোভাবে হাত ও মুখ ধোয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    পাশপাশি খাবারের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের সংক্রমণ খাবার থেকেই হয়। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা সব্জি বা ফলের স্যালাড এড়িয়ে চলা দরকার। কম তেলমশলায় তৈরি ভালোভাবে সেদ্ধ করা খাবার খেলে হজমের ঝুঁকি কমে। আবার নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Expert Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে রঙিন ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের হানা দিচ্ছে করোনা (Covid-19)! বাড়ছে আতঙ্ক! করোনা ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে এক অতিপরিচিত নাম! কয়েক বছর আগে অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এর মাঝেই ফের করোনা আতঙ্ক! দেশ জুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। ২০২০ সালের মতোই কি আবার করোনা অতিমারির আকার ধারণ করবে? আবার কি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে?! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। করোনা (Coronavirus) দাপট বাড়ালেও এই মুহূর্তে অতিমারির আকার ধারণ করতে পারবে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অযথা আতঙ্ক পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।

    উদ্বেগ নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের (Covid-19) দাপট বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশের অধিকাংশ জায়গায় তীব্র গরম। আবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা শুরু হবে। অর্থাৎ, আবহাওয়ায় রকমফের হতে চলেছে। তাপমাত্রায় ওঠানামা চলতে থাকবে। এই সময়ে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত অসুখের দাপট বাড়ে। ফলে সর্দি-কাশি-জ্বরের জেরে ভোগান্তি বাড়ে। তাই জ্বর হলেই বা সর্দি-কাশি হলেই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্কতা জরুরি। সাধারণ জ্বর হোক কিংবা করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত, এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, টানা তিন-চার দিন সর্দি-কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে যেকোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। তাতে করোনা আক্রান্ত কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার। তারপরে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করতে হবে। সর্দি-কাশি হলেই আইসোলেশন জরুরি। অর্থাৎ করোনা (Covid-19) আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই আলাদা ঘরে থাকা জরুরি। কারণ এতে সহজেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হয়। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ, বাইরে থেকে ফিরে হাত পরিষ্কার করা, নিয়মিত ঘর ও আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, বাইরে বিশেষত ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনা সংক্রমণ সহজেই আটকানো যাবে। ভোগান্তি ও কমবে।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা (Covid-19) দাপট বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে কিছুক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কো-মরবিটি থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে তাঁদের এই পরিস্থিতি বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত যাদের ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, অর্থাৎ হাঁপানি রোগী কিংবা কোনো অ্যালার্জিতে ভুগলে, তাঁদের এই সময় মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করা দরকার, এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। কোনও ভাবেই যাতে সর্দি-কাশি বা জ্বর না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া, হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা থাকলেও বাড়তি সতর্কতা দরকার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে জটিল অসুখ থাকলে, করোনা শরীরকে সহজেই কাবু করে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি। তাহলে করোনা (Covid-19) নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ থাকবে না।

  • Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার পারদ ক্রমেই চড়ছে। আর তার ফলে দেখা দিচ্ছে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি (Summer Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে গরমের দাপট বাড়তেই ফুসফুস কিংবা পেটের নানান অসুখের মতোই হানা দিচ্ছে মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময়েই সংক্রমণ প্রাথমিক ভাবে কমে গেলেও, ফের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বারবার সংক্রমণের জেরে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কেন গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমের জেরে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের অভাবেই মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া লাগামহীন এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকছেন আবার কিছু সময় থাকার পরেই ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন।

    এর ফলে শরীরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস এবং পেটে নানান ধরনের সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ছে। আর তার থেকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এড়াতে শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশপাশি গরমে শরীরে যাতে বাড়তি জলের চাহিদা পূরণ হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি (Summer Health Problems)।

    এই রোগের উপসর্গ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection) হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বারবার জ্বর হয়। এর পাশপাশি পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত মূত্রত্যাগের সময় আরও বেশি যন্ত্রণা শুরু হয়। পায়ে খিঁচ ব্যথাও অনুভব হতে পারে।‌ এই সমস্যা দেখা দিলে বারবার বমি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। যাতে পেটে এবং মূত্রনালিতে কোনও রকম সংক্রমণ না হয়।

    ● নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। এতে শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাবে। পেটের সমস্যা কমবে। এমনকি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে‌।

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে নিয়মিত সবুজ সব্জি খাওয়া জরুরি। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ফলে যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা (Summer Health Problems) সহজ‌ হয়। তাই নিয়মিত অন্তত এক গ্লাস লেবুর সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ● বারবার চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গরমে বারবার চা কিংবা কফি জাতীয় পানীয় খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    ● শৌচাগার পরিষ্কারভাবে রাখার পাশপাশি নিজেও সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়মগুলো মেনে চললে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)। বয়স মাত্র কুড়ির চৌকাঠ পেরনোর পরেই দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। অনেকেই খুব কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে হৃদপিণ্ডের নানান সমস্যা (Health Problems)। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও বাড়ছে। ভারতেও কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত, কমবয়সি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই হৃদরোগের জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগের জেরে কর্ম জীবনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই প্রথম থেকেই জীবন‌ যাপনে, বিশেষত খাদ্যাভাসে রাশ টানার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হৃদরোগ নিয়ে আয়োজিত এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটা জানালেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোন চার খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি (Foods To Avoid)। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের নিয়মিত খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মক বেশি থাকে। অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার খান। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। যার জেরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। বিশেষত রক্তসঞ্চালনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়ার জেরে হৃদপিণ্ডে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে (Heart Attack)।

    পেস্ট্রি হোক বা রসগোল্লা, মিষ্টিতে থাকুক নিয়ন্ত্রণ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি বিশেষত চিনি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, পেস্ট্রি, কেক বা রসগোল্লা, যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Foods To Avoid)। নিয়মিত রান্নায় চিনির ব্যবহারেও লাগাম দেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একদিকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরেকদিকে মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বয়স চল্লিশ পেরোলে (Diet After 40), আরও বেশি খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন নয়…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রাণীজ প্রোটিনে অভ্যস্থ। অনেক সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাবারের মেনুতে ভিটামিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল একেবারেই থাকছে না। শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন থাকছে। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন নির্ভর খাবার খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। এর ফলে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আবার অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার জেরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। রক্তে চাপ বাড়ছে। তার ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই নিয়মিত খাবারে পরিমিত পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন জরুরি। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার দরকার (Health Tips)। অর্থাৎ, সবুজ সব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার এবং দানাশস্য নিয়মিত জরুরি। তবেই হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো থাকে।

    মদ্যপান এবং ধূমপানে না…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ‌্যপান এবং ধূমপানের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ। ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক (Foods To Avoid)। পাশপাশি অনেকেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হৃদপিণ্ডের উপরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপানে না বলা জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের (Health Tips)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi government)। এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে “আয়ুর্বেদ দিবস” (Ayurveda Day)। এতদিন আয়ুর্বেদ দিবস ধনতেরস উপলক্ষে পালিত হত, যা হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে। তবে এবার থেকে একটি নির্দিষ্ট দিনে আয়ুর্বেদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, ধনতেরস-এর তারিখ প্রতিবার তিথি ও নক্ষত্র মেনে পরিবর্তিত হওয়ায়, আয়ুর্বেদ দিবসের (Ayurveda Day) উদযাপন নিয়মিত ও সুসংগঠিতভাবে করা যাচ্ছিল না। ২০২৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ধনতেরসের তারিখ ১৫ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে—এই অনিশ্চয়তা কাটাতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা বিকল্প তারিখ খুঁজে বার করেন। তাদের পরামর্শে চারটি সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনা করা হয়। সব দিক বিচার করে ২৩ সেপ্টেম্বরকে চূড়ান্ত করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাত প্রায় সমান। এই দিনটি প্রকৃতির ভারসাম্যের প্রতীক। আয়ুর্বেদের (Ayurveda Day) মূল দর্শনও এই ভারসাম্য—মন, শরীর ও আত্মার মধ্যে সুষম অবস্থান বজায় রাখা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে একটি পরম্পরাগত এবং বিজ্ঞানের সমন্বিত সিদ্ধান্ত হিসেবে।

    আয়ুর্বেদে গুরুত্ব সরকারের

    আয়ুষ মন্ত্রক বলেছে, এই নতুন তারিখ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আয়ুর্বেদকে নতুন পরিচয় দেবে। ভারতের প্রাচীন জ্ঞান-ভাণ্ডারকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এখন থেকে দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সংস্থা, গবেষণা কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে ২৩ সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মোদি সরকার বরাবরই আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার ও প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশে একাধিক আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ‘আয়ুষ’ শিল্পও গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বিকশিত হয়েছে।

  • Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবারে নরম তুলতুলে ডিমের পোচ কিংবা ফ্রায়েড এগ অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। আবার অনেকে‌ই স্কুল-কলেজ যাওয়ার আগে ঘি-আলু সিদ্ধ ভাতের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ নিয়মিত খান। একদিকে পুষ্টি আরেকদিকে স্বাদ! ডিমের (Eggs) এই যুগলবন্দিতে শিশু থেকে বয়স্ক বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এই খাবার নিত্যসঙ্গী! তবে, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের ভোগান্তি বাড়তে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। তাহলে স্বাস্থ্য সমস্যা হবে না। দেখা যাক, কোন কোন খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চা কিংবা কফি খাওয়া উচিত নয় (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে অনেকেই নিয়মিত ডিম খান। কখনও ফ্রায়েড, কখনও পোচ আবার কখনও সিদ্ধ। তবে তার সঙ্গে অনেকেই চা কিংবা কফি জাতীয় গরম পানীয় খেতে পছন্দ করেন। আর এতেই বিপদ বাড়ে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কফি কিংবা চা জাতীয় পানীয়তে ক্যাফিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। এই উপাদান শরীরে অন্যান্য খাবারের পুষ্টিগুণ সহজে পৌঁছতে দেয় না। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে নানান ভিটামিন, প্রোটিন থাকে। এর সঙ্গে কফি বা চা খেলে সেই পুষ্টি শরীরে পৌঁছতে পারে না।

    দই খেলে বাড়বে বিপদ

    শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই এবং ডিম-এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই দুই পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই এবং ডিম (Eggs) এই দুই খাবারেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, সকালে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে, দুপুরের খাবারের পরে টক দই খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ এই দুই খাবার খাওয়ার সময়ের মধ্যে একটা ব্যবধান জরুরি।

    প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    যে কোনও প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত সসেজ কিংবা হ্যাম জাতীয় খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থাকে। সসেজ কিংবা হ্যাম হল নানান রকমের মাংসের পদ। এগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। একসঙ্গে এত বেশি পরিমাণ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ইংলিশ ব্রেকফাস্ট পছন্দের হলেও হজমের গোলমাল রুখতে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সসেজ সহ ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারেই নয়

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ডিমে (Eggs) থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এই প্রোটিন ও ফ্যাট একসাথে শরীরে প্রবেশ করলে, পেট ব্যথা, হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া দরকার। এড়িয়ে চলতে হবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো পদ।

    চিনি এবং কলা একেবারেই এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    ডিম সিদ্ধ, পাউরুটি এবং কলা, জলখাবারের এই পদ প্রায় প্রত্যেকের খুবই পরিচিতি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম সিদ্ধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কলায় রয়েছে‌ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই বিষক্রিয়া হতে পারে। অর্থাৎ পেটের গোলমাল, পেট ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই কারণে ডিমের সাদা চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।

    চিজ এড়িয়ে চলা জরুরি

    চিজ অমলেট অনেকেই খুব পছন্দ করেন। কিন্তু নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ দেওয়া অমলেট একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিজ অমলেট নিয়মিত খেলে ক্লান্তিবোধ বাড়ে। শরীরে এনার্জির ঘাটতিও‌ দেখা দেয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share