Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Good Sleep: ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! স্ট্রোক রুখতে ঘুম কেন জরুরি?

    Good Sleep: ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! স্ট্রোক রুখতে ঘুম কেন জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    প্রত্যেক মিনিট জরুরি। দিনের প্রতিটি মিনিট কীভাবে কাটানো হচ্ছে, সেই অভ্যাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, আমরা সুস্থ থাকব কিনা! প্রতিদিন ঘুমের জন্য কতখানি সময় বরাদ্দ হয়, সেই হিসাব অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি! সম্প্রতি ছিল ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে। আর সেই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা কর্মসূচি পালন হয়। আর সেখানেই উঠে আসে মূলত দুই দাওয়াই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই দুই পরামর্শ মেনে চললেই স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

    স্ট্রোকের বিপদ এড়াতে কোন দুই দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চাই পর্যাপ্ত ঘুম

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। পঞ্চাশের পরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি অন্যরকম। দেখা যাচ্ছে, তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই স্ট্রোকের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আর কম বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস। অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। ভোরে ঘুমোতে যান। বেলায় ঘুম থেকে ওঠেন। অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোনোর সময় পান না। এর ফল হয় মারাত্মক। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিত ঘুম মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। তাছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করে।

    উপসর্গের উপরে বাড়তি নজর

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যেমন পর্যাপ্ত ঘুমের উপরে নজর দিচ্ছে তেমনি স্ট্রোকের বড় জটিলতা এড়াতে উপসর্গের উপরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও এ বছরে স্ট্রোক সচেতনতার মূল বার্তা, প্রত্যেক মিনিট জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। শরীরে অন্য কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু প্রয়োজন। তবেই বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট এড়ানো সম্ভব। কিন্তু অনেক সময়েই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক মিনিট গুরুত্বপূর্ণ!

    ভারতে স্ট্রোকের দাপট কতখানি?

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে স্ট্রোকের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি বছর ১৮ লক্ষ ভারতীয় স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। ২০১৯ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা তুলনামূলকভাবে‌ বেশি‌ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তালিকার প্রথমেই রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় জেরেই এ রাজ্যে স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জীবন যাপন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই স্ট্রোক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন উপসর্গ স্ট্রোকের জানান দেয়?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তচাপ ওঠা নামা করলে কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে স্বাস্থ্যকর খাবারে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ কারণ উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া হঠাৎ করেই মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে না পারার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সচেতন থাকা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার, কারণ এগুলো স্ট্রোকের লক্ষণ। হাত-পায়ের পেশি ঠিকমতো কাজ না করা, স্নায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তীব্র মাথার যন্ত্রণা স্ট্রোকের উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Winter Cold Cough: হেমন্তের আবহাওয়ায় বাড়ছে কাশির দাপট! কাদের জন্য বিপদ বাড়াচ্ছে খামখেয়ালী আবহাওয়া?

    Winter Cold Cough: হেমন্তের আবহাওয়ায় বাড়ছে কাশির দাপট! কাদের জন্য বিপদ বাড়াচ্ছে খামখেয়ালী আবহাওয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা! দেবী-আরাধনার উৎসবের বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে চললো। বঙ্গবাসী মেতে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর উৎসবে। তবে উৎসবের শেষ বেলায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেমন্তের হাওয়া! বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু বৃষ্টির উপস্থিতি মাঝেমধ্যেই জানান দিচ্ছে। তার মাঝেই হাজির হয়েছে হেমন্ত। রাতের দিকে বাইরে গেলেই হালকা ঠান্ডা আমেজ। কিন্তু দুপুরে রোদের দাপট বাড়ছে। ফলে অনেক ঘরেই এখনো এসি চলছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে বাড়ছে শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সময়ে শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি। না হলেই ভোগান্তি বাড়বে।

    জ্বর-সর্দির পাশপাশি ভোগাচ্ছে কাশি

    কী সমস্যা দেখা দিচ্ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশু থেকে প্রবীণ, বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেই নানান সংক্রামক রোগের দাপট দেখা দিচ্ছে। জ্বর-সর্দির পাশপাশি সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে কাশি। অধিকাংশ রোগী কাশির জেরে নাজেহাল। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি জাতীয় সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    বাড়ে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ায় রকমফেরের জেরেই এই ধরনের ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আর মাত্র কিছু দিন পরেই শীত শুরু হবে। এই হেমন্তের আবহাওয়ায় বাতাসে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। তাই প্রত্যেক বছরেই এই সময়ে বাতাসে নানান ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। এই বছরে দেখা যাচ্ছে দিন ও রাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে হচ্ছে। বিশেষত তাপমাত্রার পরিবর্তন মারাত্মক। দিনে রোদের প্রকোপ থাকছে। বেলা বাড়লে ঘাম হচ্ছে। অস্বস্তিকর আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে। আবার রাত বাড়লে বিশেষত ভোরের দিকে ঠান্ডার আমেজ স্পষ্ট। তাপমাত্রার এতখানি ঘনঘন পরিবর্তন ক্ষতিকারক ভাইরাসের সক্রিয়তাও বাড়িয়ে দেয়। তাই নানান সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ে‌। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও বাড়তে থাকে।

    কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    আরাম পেতে আদা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাঙালির রান্নাঘরের পরিচিত একাধিক উপাদান এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এবং কাশি হলে, আরাম পেতে নিয়মিত রান্নায় আদা ব্যবহার করা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যার ফলে নানান সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই বিভিন্ন রান্নায় নিয়মিত আদা খেলে সংক্রামক রোগের দাপট কমে।

    মধু এবং তুলসী পাতা

    শিশুদের নিয়মিত সকালে এক চামচ মধু এবং কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু এবং তুলসী পাতা সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। এই দুই ঘরোয়া উপাদানে সংক্রামক রোগ নিরাময়ের শক্তি রয়েছে। এই সময়ে অধিকাংশ শিশু ভাইরাস ঘটিত অসুখের জেরেই সর্দি-কাশি এবং জ্বরে ভুগছে। তাই নিয়মিত মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে।

    দারুচিনি দেওয়া চা

    প্রবীণদের চা খাওয়ার সময় দারুচিনি দেওয়া চা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে দারুচিনি বিশেষ উপকারি। তাই গরম চা খাওয়ার সময় তাতে এক টুকরো দারুচিনি ফেলে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রান্নায় এলাচ

    রান্নায় এলাচ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিরামিষ তরকারি, পায়েস হোক কিংবা মাংস কষা, যেকোনও রান্নায় সুগন্ধ বাড়াতে বাঙালি এলাচের ব্যবহার করে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি শ্বাসনালী সুস্থ রাখতেও এলাচ বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় কাশির দাপটে অনেকেই নাজেহাল। শ্বাসনালীর সংক্রামণের জেরেই কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ শ্বাসনালীর সংক্রামণের ঝুঁকি কমায়।

    তিন থেকে চার লিটার জল

    শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ যায়। তাই নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ যায়। তাছাড়া তাঁরা সবুজ সব্জি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Down Syndrome: অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, ডাউন সিনড্রোম মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক অসচেতনতা!

    Down Syndrome: অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, ডাউন সিনড্রোম মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক অসচেতনতা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, বরং সামাজিক অসচেতনতাই হয়ে উঠছে চ্যালেঞ্জ! ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত নিয়ে নয়া পাঠ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার! সচেতনতা মাসে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শরীরের জিনগত গঠনে ত্রুটি বাড়ায় জটিলতা। কিন্তু সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতাই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক করে তোলে। তাই বিশেষজ্ঞ মহল ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সামাজিক সচেতনতাকেই মূল হাতিয়ার করতে চাইছেন। অক্টোবর মাস ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আলাদা ব্যবস্থা নয়। বরং একসঙ্গে সকলে মিলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই মানুষদের নিয়ে চলাই এ বছরের সচেতনতা কর্মসূচি।

    ডাউন সিনড্রোম কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় শিশুদের জিনগত ত্রুটির কারণে ডাউন সিনড্রোম হয়। মানুষের শরীরে ৪৬ ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু ত্রুটির কারণে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের শরীরে ৪৭ ক্রোমোজোম থাকে। এর ফলে কোষের গঠন ঠিকমতো হয় না। তাই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হয় না। বয়সের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা বাড়ে না। ফলে, নিজের কাজ ঠিকমতো করা কিংবা সাধারণ জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত জিনঘটিত কারণেই ডাউন সিনড্রোম হয়। বংশানুক্রমিক এই রোগ। তবে অন্যান্য কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মায়ের অতিরিক্ত বয়স সন্তানের ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।

    ভারতে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার শিশু ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়। প্রতি ৮০০ জন শিশুর মধ্যে ১ জন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের আগে বংশানুক্রমিকভাবে কেউ ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলো কিনা, সে সম্পর্কে হবু মা ও বাবার ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তাছাড়া, আধুনিক শহুরে জীবনে বহু মেয়েই ৩৫ বছরের পরে মাতৃত্বের পরিকল্পনা করছেন। যা সন্তানের ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কীভাবে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত চিহ্নিত হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত কিনা তা জানা যায়। এর পাশপাশি শিশুর জন্মের দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর শারীরিক গঠন দেখে বোঝা যায়, শিশুটি এই জিনঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত কিনা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের মুখের গঠন চ্যাপ্টা হয়। জিভ বড় হয়। কান তুলনামূলকভাবে ছোটো হয়। পাশপাশি হাত-পা সহ শরীরের একাধিক অঙ্গের গঠনে ত্রুটি দেখা যায়। আঙুলে বাড়তি ফাঁক থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না।‌ মস্তিষ্কের বিকাশও ঠিকমতো হয় না। তাই বুদ্ধির বিকাশ ও বয়সের অনুপাতে সমান হয় না।

    ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন পথের হদিশ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো‌ হয়েছে, সচেতনার অভাব ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সচেতনতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি দিকে বিশেষ খেয়াল রাখলেই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের জীবন তুলনামূলক ভাবে সহজ হবে।

    পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হলে তাকে একা রাখা উচিত নয়। বরং পরিবারের অন্য সদস্যদের তার প্রতি বাড়তি যত্নবান হওয়া দরকার। তাঁদের পরামর্শ, শিশু ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত হলে তাকে একা ঘরে রেখে দেওয়া কিংবা অন্যদের সঙ্গে মিশতে না দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে জটিলতা বাড়ে। বরং পারিবারিক অনুষ্ঠানে সবসময় তাদের নিয়ে যাওয়া দরকার। যাতে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করা ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের পক্ষে সহজ‌ হয়। অনেক সময়েই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে সকলের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না। আবার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এমনকি শিশুরাও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে না। আর এক্ষেত্রেই সচেতনতা জরুরি। আলাদা রকম হলেই তাকে বাদ দেওয়া নয়। বরং একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার পারিবারিক মূল্যবোধ ও শিক্ষা প্রয়োজন।

    সময় মতো লাগাতার থেরাপি!

    ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের কথা বলার ক্ষমতা বাড়াতে এবং সাধারণ কাজ করার মতো শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে লাগাতার থেরাপি চালিয়ে যাওয়া জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিনঘটিত জটিলতার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়। তাই তাদের শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতি করতে দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীদের কর্মশালা জরুরি। তাই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুর নিয়মিত স্পিচ থেরাপি এবং অন্যান্য থেরাপি প্রয়োজন।

    স্কুলে লাগাতার সচেতনতা কর্মসূচি!

    শুধুই আলাদা ক্লাসরুম নয়। বরং সকলের সঙ্গে বসে একসঙ্গে পড়াশোনা করা। অন্যান্য সহপাঠীদের থেকে সমান ভালোবাসা পাওয়া সহজ করে দেবে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের জীবন। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুও আর পাঁচজন শিশুর সঙ্গে মিশতে চায়। স্বাভাবিক ভাবেই খেলাধুলা করতে চায়। তাদের একসঙ্গে নিয়ে চললে তবেই তাদের জীবনের জটিলতা কমবে। আলাদা রকম হলেও যে একসঙ্গে চলা যায় এই শিক্ষা বছরভর স্কুলে চালাতে হবে। সেটা শুধু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্য নয়, যেকোনও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা। তাই এ নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র আলাদা বিশেষ ক্লাসরুমে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুদের রাখলে, বাকিদের থেকে আইসোলেট থাকলে তাদের বিকাশে আরও জটিলতা তৈরি হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একটা আপেলেই রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ নিছক কথার কথা নয়। ফের একবার এমন তথ্য প্রকাশ করলেন ইংল্যান্ডের একদল গবেষক-চিকিৎসক। এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে আপেলের (Apple Benefits) মতো ফলেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে নানান লাইফস্টাইল ডিজিসের দাপট বাড়ছে। আর তাদের কাবু করতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। তাই ডায়াবেটিস থেকে ওবেসিটি কিংবা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত অসুখে আপেল রাশ টানতে পারে (Health Tips)।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়ছে। অর্থাৎ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, চুল পড়া এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এগুলোকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত মেনুতে একটা আপেল (Apple Benefits) থাকলে, এই রোগ মোকাবিলা সহজ হয়‌। ব্রিটেনের ওই গবেষক-চিকিৎসকদের মতে, আপেল একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপেল খেলে শরীরে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়‌।

    কোন রোগ মোকাবিলায় আপেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ওবেসিটি রুখতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে জেরবার। এই অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা এমনকি বন্ধ্যাত্বের কারণ হলো ওবেসিটি। এই বাড়তি ওজনের জেরে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। আপেল এই ওবেসিটি রুখতে বিশেষ সাহায্য (Apple Benefits) করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে ফাইবার। ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই আপেল খেলে পেট ভরে কিন্তু শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। ওবেসিটি রুখতে এই ধরনের খাবার বিশেষ উপকারি।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারি!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগ স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনির অসুখের মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে সাহায্য করে আপেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা প্রি-ডায়াবেটিক পিরিয়ডে খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ (Apple Benefits)। কোন খাবার খেতে হবে আর কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, এই সচেতনতার উপরেই সুস্থ থাকা নির্ভর করে। তাই আপেল এক্ষেত্রে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফল‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিকদের বিশেষ উপকার হয়।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে‌। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে তিরিশের কম বয়সিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে স্ট্রোকের ঘটনা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল থাকা ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে‌।

    হজমের সমস্যা কমিয়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই কম বয়সি ছেলেমেয়ে। মদ্যপান না করলেও লিভারের বাড়তি মেদ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আপেল খেলে এই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমবে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আপেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে লিভার, অন্ত্র সুস্থ থাকে। কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে‌।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    পরিবেশে বদল হচ্ছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ছে। স্বাস্থ্যের উপরে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। সুস্থ থাকতে তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। আপেল এই কাজে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে (Apple Benefits)। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে।

    কাদের আপেল এড়িয়ে চলা উচিত?

    শরীরের জন্য উপকারি হলেও দিনে দুটির বেশি আপেল খাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা দিনে দুটোর বেশি আপেল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের আপেলের রস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গোটা আপেলের পরিবর্তে আপেলের রস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাছাড়া যদি কোনও রকম অ্যালার্জি থাকে, তাহলে আপেল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Health Tips)। পেটের গোলমাল হলেও আপেল না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই অতিরিক্ত আপেল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। শরীর সুস্থ রাখতে দিনে দুটো আপেল যথেষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Colon Cancer: ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যান্সার! দায়ী জীবন যাপনের ধারা, বলছেন চিকিৎসকরা

    Colon Cancer: ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যান্সার! দায়ী জীবন যাপনের ধারা, বলছেন চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের প্রকোপ।‌ ভারতে গত পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আক্রান্তের বয়স। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে কম বয়সি অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধারা কোলন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। কী ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়া হয়, সেটাই এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি সমীক্ষার তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, যে সব ক্যান্সারে ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়, সেই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোলন ক্যান্সার। কোলন ক্যান্সারে মৃত্যু হার ও বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব ক্যান্সারে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশি, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানেই রয়েছে কোলন ক্যান্সার। ভারতেও কোলন ক্যান্সারে মৃত্যু হার উদ্বেগজনক। ভারতে ৫০ হাজারের বেশি পুরুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। মহিলা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নতুন ভাবে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের ১০.৬ শতাংশ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই নতুন আক্রান্তদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের একাংশ রয়েছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন।

    মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ মদ্যপান, ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত। আর তার জেরেই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভার, অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোলনে যার প্রভাব পড়ে। তার ফলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মদ্যপান ও ধূমপানের মতো অভ্যাস শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি করার পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এগুলো আবার ক‌্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। আর তার জেরেই কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত ফাইবার জাতীয় খাবার খাচ্ছেন না। কম বয়সিদের অনেকেই নিয়মিত গম, বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্যে তৈরি রুটি, ডাল, পালং শাক, নাশপাতির মতো‌ ফল খান না। বরং তারা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খান। নানান রকমের প্রক্রিয়াজাত খাবার খান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে। নিয়মিত মলত্যাগ ঠিকমতো হয় না। অন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দেয়। তার থেকেই কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে!

    কোলন ক্যান্সারে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো রোগ একাধিক অন্য রোগের কারণ। তার মধ্যে কোলন ক্যান্সার ও রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজিস বাড়ছে। ওবেসিটি লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস একদিকে কিডনির কার্যকারিতা কমায়। আরেকদিকে হৃদযন্ত্রের কার্যশক্তি কমিয়ে দেয়। এগুলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরেও‌ গভীর প্রভাব ফেলে। তার জেরেই কোলন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন।‌ তাই প্রথম থেকেই খাদ্যাভাস ও জীবন যাপন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে শারীরিক কসরত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। আর তার জেরেই ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়। যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে হবে। যোগাভ্যাস থাকলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। আবার হজমের সমস্যাও কমবে। এর ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমবে।

    নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু, তরমুজ, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন‌ সি এবং ফাইবার এই দুই উপাদান অন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিকমতো থাকলেই কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে। তাছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই এই ফল যেকোনও রোগ মোকাবিলায় বাড়তি সাহায্য করে।

    রোগ সম্পর্কে সচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এই রোগ অনেক দেরিতে নির্ণয় হয়।‌ অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্বে ওয়াকিবহাল থাকেন না। ফলে রোগ নির্ণয় করতেই অনেক সময় পেরিয়ে যায়। তাই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই পরিস্থিতিও জটিল হয়ে ওঠে। মলত্যাগের সময় বারবার রক্তপাত হলে, হজমের গোলমাল লাগাতার হতে থাকলে একেবারেই এই উপসর্গকে অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাদের বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bhai Phonta 2025: মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! ভাইফোঁটার ভুরিভোজের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা

    Bhai Phonta 2025: মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! ভাইফোঁটার ভুরিভোজের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইফোঁটা! ভাই-বোনের সম্পর্কের উদযাপন।‌ বছরের এই দিনটা (Bhai Phonta 2025) প্রত্যেক ভাই-বোনের কাছেই বিশেষ। আর বিশেষ দিনে খাবারে বিশেষ পদ ছাড়া চলে না। বাঙালির যে কোনও উদযাপনেই খাওয়া-দাওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইফোঁটাও সেই তালিকা থেকে আলাদা নয়। বছরের এই বিশেষ দিনে বোনেরা নানান রকমারি পদ ভাইদের জন্য সাজিয়ে দেন। কিন্তু উদযাপনের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত কতখানি হয়? সতর্কতা বজায় না রাখলে সুস্থ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) খাওয়া-দাওয়াতেও দরকার বিশেষ নজরদারি। তবেই সুস্থভাবে জীবনযাপন (Health Digestion Tips) সম্ভব।

    কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি? (Bhai Phonta 2025)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্বাদু খাবার মানেই অতিরিক্ত তেল-মশলা দিয়ে তৈরি খাবার, এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাই রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা একেবারেই চলবে না। অতিরিক্ত তেল শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। খাবারের তালিকায় টাটকা সব্জি এবং প্রাণীজ প্রোটিন যেমন নানান ধরনের মাছ, মাংস থাকতে পারে। কিন্তু প্রসেসড প্রাণীজ প্রোটিন থাকলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রান্নার একাধিক মেনুতে নানান প্রসেসড মাংস রাখেন। এই ধরনের প্রসেসড মাংসে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। সেগুলো লিভার, কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এইসব খাবার একাধিক রোগের কারণ। তাই মেনু নির্বাচনের সময়ে প্রসেসড মাংস বাদ দেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    সব্জি রাখার পরামর্শ

    তবে খাবারের পদে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি সব্জি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু প্রাণীজ প্রোটিন একেবারেই স্বাস্থ্যকর মেনু নয়। তাই সব্জির পদ রাখাও দরকার। এতে ব্যালেন্স ডায়েট হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থুলতার সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta 2025) একাধিক প্রাণীজ প্রোটিন পদে রাখেন। মটন কষা থেকে দই কাতলা কিংবা ইলিশ পাতুরির মতো পদ থাকে। কিন্তু এই খাবারগুলোতে একদিকে শরীরে মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে, আবার এই খাবারে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই একসঙ্গে এই জাতীয় একাধিক পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

    মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ (Bhai Phonta 2025)

    বাঙালির উৎসব উদযাপনের অন্যতম অংশ মিষ্টি। ভাইফোঁটার উদযাপনেও মিষ্টি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিংবা স্থুলতার সমস্যায় ভুগলে এই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Health Digestion Tips)। একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যার জেরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মিষ্টির পরিবর্তে মেনুতে নানান রকমের ফল রাখা যেতে পারে। স্ট্রবেরি, লেবু, আপেলের মতো নানান রকমের ফল খাবারে বৈচিত্র্য আনবে। আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।‌ তাই ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) বিশেষ পদে এমন নানান ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশী ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দুপুরে চোদ্দ রকমের শাক খেতে হয় এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানো হয় চোদ্দটি প্রদীপ। মনে করা হয়, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথি নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কেন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি? (Kali Puja 2025)

    বাঙালীদের ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীতে (Bhoot Chaturdashi 2025) দুটি নিয়ম মূলত পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশে চোদ্দ শাক খাওয়া এবং চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে অনেক আচার-বিচার। যেমন, ধরুন খাওয়া-দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলিতে গৃহস্থ কত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়া আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে?

    পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে!

    কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি-প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

    কী কী শাক খাওয়া হয়?

    চোদ্দ রকমের শাকগুলি (14 Saag) হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতিগুলির পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা (Kali Puja 2025)। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালের শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।

    কোন কোন শাকে কী কী রোগ সারে?

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলির (14 Saag) কী কী গুণ রয়েছে। জয়ন্তী-উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে। শাঞ্চে-রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হিংচে- পিত্তনাশক। ওল-অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়। পুঁই-হজমে সহায়ক। বেতো-কৃমিনাশক। সর্ষে-যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে। কালকাসুন্দে-অর্শ, কাশি দূর করে। নিম-যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে। পলতা-শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে। শুলকা-হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। গুলঞ্চ-উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে। ভাঁটপাতা-ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শুষণী-স্মৃতিবর্ধক (Kali Puja 2025)।

  • Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতা থেকে হৃদরোগ— শরীরের একাধিক রোগের কারণ খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বেশিরভাগ জীবনযাপন আর খাদ্যাভাসের কারণেই জটিল আকার নিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি নিয়মিত খাচ্ছেন। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাত্র কয়েক দিন পরেই দেশজুড়ে দীপাবলির উৎসবে মাতবেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! উৎসবের উদযাপনে চলবে মিষ্টি মুখ। কিন্তু সতকর্তা না থাকলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই উৎসবের আমেজ ও যাতে সচেতনতা থাকে, মিষ্টিমুখে চিনির পরিবর্তে অন্য বিকল্প মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বিপদ বাড়াচ্ছে চিনি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। তাই অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। কারণ এই অতিরিক্ত শর্করা ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটায়। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে‌। সারা বিশ্বের ডায়াবেটিস আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি বোঝা ভারতে। কম বয়সিদের মধ্যে প্রবলভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস বিপজ্জনক। কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি সহ একাধিক কার্যকারিতা কমে।

    কী কী বিপদ ডেকে আনছে চিনি?

    স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধি

    চিনিতে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। ওবেসিটি বা বাড়তি ওজনের মতো রোগ শরীরের একাধিক স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করে। হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের কারণ ওবেসিটি। আর এই বাড়তি ওজনের সমস্যার পিছনে অনেক সময়েই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস দেখা যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

    চিনি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই উপাদান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

    লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক

    চিনি লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক। চিনি খেলে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও চিনি ক্ষতিকারক। চিনি খেলে শরীরের নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে মানসিক উদ্বেগ বাড়ে। অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা যায়।

    চিনির বিকল্প কোন খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    উৎসবের মরসুম হাজির। দীপাবলি হোক কিংবা ভাইফোঁটা, উৎসবের উদযাপনে মিষ্টিমুখের রেওয়াজ রয়েছে। রসগোল্লা থেকে পায়েস, বাঙালির নানান ধরনের মিষ্টিতেই চিনি থাকে।‌ আর এই সময়ে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া হয়। যা শরীরের ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।

    গুড় প্রাকৃতিক উপাদান

    তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি খাওয়ার পরিবর্তে গুড় খাওয়া যেতে পারে। নাড়ু, পায়েসের মতো নানান মিষ্টি তৈরির সময় উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড় প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরের জন্য উপকারি। তাই গুড় উপকারি।

    মিষ্টি ফলও উপকারী

    তাছাড়া, তরমুজ, পাকা পেঁপে, আমের মতো ফলের তৈরি মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফলের তৈরি খাবারে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে না। চিনির মতো অপকারিতা নেই। তাই ফলের তৈরি মিষ্টি বাড়তি ঝুঁকি কমাবে।

    চিনির বদলে মধু

    মিষ্টির উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড়ের মতো মধু হলো প্রাকৃতিক উপাদান। তাই মধুতেও রয়েছে নানান খনিজ পদার্থ। তাছাড়া মধুতে প্রোটিন, ভিটামিন রয়েছে। এই আবহাওয়ায় অনেকেই সর্দিকাশিতে ভোগেন। মধু নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। তবে গুড় হোক কিংবা মধু পরিমাণের দিকে নজর জরুরি। অতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের জন্য উপকারি হয় না। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে ফের বিপদ বাড়ছে। আগাম সতর্কতা জারির পরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সচেতন না হলে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। দুর্গাপুজো শেষ! কিন্তু আর মাত্র কয়েক দিন পরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন বঙ্গবাসী। কিন্তু তার মধ্যেই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। উৎসবের আমেজের তাল কাটতে পারে মশাবাহিত এই রোগ। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র কলকাতা কর্পোরেশন এলাকাতেই নতুন ভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৬ জন। কিন্তু অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮০ জন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বিগত বছরে কেন্দ্রের তরফে কলকাতার ৬৯টি ওয়ার্ডকে ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির পরামর্শ ও দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে কলকাতার ১১টি ওয়ার্ডকে বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, টালিগঞ্জের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশপাশি হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেও গত এক মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    উৎসবের মরশুমে কেন ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপ‌ট বৃদ্ধির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গা থাকে জলমগ্ন। আর এই আর্দ্র আবহাওয়া এবং জলমগ্ন পরিবেশ মশার বংশবিস্তারের আদর্শ। তাই বছরের এই সময়ে মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ এই রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়। তাই বছরের এই সময়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট রুখতে আগাম পরিকল্পনা জরুরি। স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, আগামী কয়েক বছরে দেশজুড়ে ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়তে পারে। ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা হবে। তাই আগাম নানান পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিভিন্ন স্তরে একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতি আশানুরূপ হয়নি এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    পুজো কমিটি ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এবং সর্বপরি সচেতনতার অভাবকেই ম্যালেরিয়ার দাপট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির জন্য জমা জল‌ পরিষ্কার হয়নি। এমনকি আশপাশের আবর্জনা ও সময় মতো পরিষ্কার করা হয়নি। পাশপাশি দুর্গাপুজোর উৎসব শেষের পরেও কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে। এর ফলে মশার দাপট বাড়ছে। তাই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও কলকাতার অধিকাংশ পুজো কমিটি এবং পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহর পরিষ্কারের কাজ তৎপরতার সঙ্গে হয়েছে। ম্যালেরিয়া রুখতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। তাই ওয়ার্ড ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ম্যালেরিয়ার বিপদ এড়াতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশা কামড়ানোর ঝুঁকি কমাতে মশারি টাঙানোর রেওয়াজ ফিরিয়ে আনা জরুরি। এছাড়া আশপাশের এলাকা পরিষ্কার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। জমা জল মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই বাড়িতে কিংবা আশপাশের এলাকায় জমা জল যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। জ্বরে তিন দিনের বেশি সময় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তপরীক্ষা জরুরি। তাতে রোগ সহজে ধরা পড়বে। সময় মতো‌ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

  • Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজম থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। কিন্তু আধুনিক জীবন‌যাপন আর খাদ্যাভ্যাস লিভারের উপরেই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। তার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। লিভার সুস্থ রাখতে তাই বিশেষ কিছু খাবার ফি-দিনের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কেন লিভারের বাড়তি যত্ন জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ খুব কম বয়স থেকেই লিভারের অসুখে কাবু। নিয়মিত হজমের গোলমাল, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো নানান সমস্যাও দেখা যায়। লিভার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সেই ভারসাম্য নষ্ট হলে চুল ও ত্বকের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন চালাতে লিভারের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন চটজলদি প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই সমস্ত প্যাকেটজাত খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে কমবেশি প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা মানুষের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে লিভারের উপরেই। তাছাড়া, পিৎজা, বার্গার কিংবা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ায় অনেকেই অভ্যস্ত। তাই লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই লিভারের সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    কোন তিন ফল বাজিমাত করবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত তিনটি ফল খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রাখছেন আপেল। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে আপেলের কয়েকটি টুকরো নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে দারচিনির গুঁড়ো মেশানো আপেল অত‌্যন্ত উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে পেকটিন এবং পলিফেনলসের মতো উপাদান। আবার দারচিনি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই খাবার ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে।

    পাতিলেবুর রস মেশানো তরমুজের সরবত সপ্তাহে তিন দিন খেলেই লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরমুজ নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। আবার লেবু হলো‌ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই এই ফল শরীরের জন্য বাড়তি উপকারি।

    লিভারের ভিতরে ক্ষত কিংবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা নিরাময়ে সাহায্য করে বেদানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেদানায় রয়েছে পলিফেনল। এই যৌগ উপাদান লিভারের ভিতরের ক্ষত সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বেদানাকে খাবারের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    এই তিন ফলের পাশপাশি বেরি জাতীয় ফল এবং বিট, গাজর, পালং শাকের মতো নানান রঙের সব্জি নিয়মিত খেলে হজমের ক্ষমতা বাড়বে। লিভারের শক্তিও বাড়বে। শরীর সুস্থ থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share