Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Malaria Vaccine: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    Malaria Vaccine: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও প্রতিষেধকই বাগে আনতে পারছে না প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপরামকে (ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া)। সারা পৃথিবীতেই দাপট দেখাচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria Vaccine)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ফলাও করে জানিয়েছিল, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক এসে গিয়েছে। এ বার মারণ অসুখের প্রকোপ কমে যাবে। আদতে তা হয়নি। তবে, এবার দিশা দেখাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা নাশ করবে ম্যালেরিয়ার জীবানুকে। তবে এনিয়ে গবেষণা চলছে। 

    জেএনইউ গবেষকদের দাবি

    দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন, এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা ম্যালেরিয়ার জীবাণুকে সমূলে নাশ করবে। আইসায়েন্স বিজ্ঞান পত্রিকায় এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। জেএনইউ-এর মলিকিউলার মেডিসিন বিভাগের দুই অধ্যাপক শৈলজা সিং এবং আনন্দ রঙ্গনাথন এমন এক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীকে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে বাধা দেবে। গোড়া থেকেই রুখে দেবে সংক্রমণ। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) কোপে বিশ্বে চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে আফ্রিকায় মহামারীর চেহারা নিয়েছে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষের। এত মানুষের মৃত্য়ুতে চিন্তিত আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহল। ভারতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম নয়। বর্ষা এলেই ম্যালেরিয়া বিভিন্ন রাজ্য়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করে। 

    আরও পড়ুন: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    কীভাবে রোখা যাবে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ

    অধ্যাপক শৈলজা সিং, অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং তাঁদের দল এমন এক রিসেপটর প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার পরজীবীকে মানুষের শরীরে ঢুকে বংশবিস্তার করতে সাহায্য করে। সাধারণত, ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবী মশার লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তারপর তা রক্তস্রোতে বয়ে গিয়ে যকৃতে সোজা পৌঁছে যায়। যকৃতে বংশবিস্তার করে পৌঁছয় মেরোজয়েট দশায়। তারপর সরাসরি লোহিত রক্তকণিকাকে ধাক্কা দেয়। সেখানেও ম্যালেরিয়ার জীবাণুর একটা জীবনচক্র শুরু হয়। সংখ্য়ায় তারা দ্রুত বাড়তে থাকে তারা। একটা সময় লোহিত রক্তকণিকার দেওয়াল ফাটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে রক্তে। যে নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাহায্যে এই জীবাণুরা মানুষের শরীরের সুস্থ কোষগুলিকে সংক্রমিত করে সেই প্রোটিনটিকে আলাদা করে জেএনইউ-এর গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন। এর উদ্দেশ্য হল, ওই প্রোটিন দিয়েই ভ্যাকসিন তৈরি করে ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীদের মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দিতে পারবে।গবেষকরা (JNU Scientists) বলছেন, গবেষণা চলছে ওই প্রোটিন নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলা যাবে আরও উন্নত মানের ম্যালেরিয়ার টিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Schizophrenia Day: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    World Schizophrenia Day: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক রোগ নিয়ে আমাদের দেশের মানুষ যতটা খোলামেলা, ঠিক তার উল্টোটা হয় মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে। আমারা কেবল বাইরে থেকেই নিজেদের উন্নত করেছি। কিন্তু মন এখনও পড়ে পুরনো যুগে। তাইতো মানসিক রোগ নিয়ে আমাদের এখনও ট্যাবু কাটেনি। পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করানোর আগে সমস্যা লুকোতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক সমস্যাকে সাধারণত কেউ তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। যে কারণে মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। আর তখন পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমনই এক ভয়ানক মানসিক রোগ হল সিজোফ্রেনিয়া। বর্তমানে গোটা বিশ্বে শুধুমাত্র সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি যার বেশীরভাগই মূলত অবহেলার শিকার। তাই সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ২৪ মে বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া দিবস (World Schizophrenia Day) পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কাদের হয় এই রোগ? (World Schizophrenia Day) 

    সম্প্রতি এক সমিক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষ সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত। সাধারণ মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর আয়ু প্রায় ১৫-২০ বছর কমে যায়। অর্থাৎ, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীর মৃত্যু সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই আগে হয়। ২০-৪৫ বছর বয়েসি কিশোর-কিশোরী, পুরুষ-মহিলা, যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

    কী কারনে হয় সিজোফ্রেনিয়া? 

    ঠিক কী কারণে কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় (World Schizophrenia Day) আক্রান্ত হন তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে কোনও অভিজ্ঞতার ফলে অত্যধিক মানসিক চাপ থেকে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও বংশগত কারণ, মস্তিষ্কে রাসায়নিকের ভারসাম্যের অভাব, অনেক সময় ভয়াবহ ভাইরাল ইনফেকশন থেকেও হতে পারে সিজোফ্রেনিয়া। 

    সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ

    সিজোফ্রেনিয়া (World Schizophrenia Day) রোগের প্রধান লক্ষণগুলি মূলত ৩ ভাবে প্রকাশ পায়—১)চিন্তার মধ্যে অসংলগ্নতা, ২)আচরনগত সমস্যা, ৩)অনুভূতি বিষয়ক সমস্যা। অর্থাৎ কোনও অবাঞ্ছিত বিষয় নিয়ে মনে অযথা সন্দেহ,ভুল জিনিসকে সত্যি ভেবে তার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস কিংবা হটাৎ করেই জোরে হেঁসে ওঠা, আবার কোনও কারণ ছাড়াই কেঁদে ফেলা, হঠাত করেই খুব বেশি রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হয়ে ওঠা,কোনও কারণ ছাড়াই এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকা,আগে একেবারেই যা করতেন না, সে ধরনের আচরণ করতে থাকা। বিশেষ কোনও কিছুর গন্ধ পেতে থাকা, যদিও সেই গন্ধ অন্যেরা কেউই পাচ্ছেন না অথবা কেউ তার সঙ্গে কথা না বললেও, মনে হতে পারে কেউ যেন তার সঙ্গেই কথা-বার্তা বলছে। সিজফ্রেনিয়ার রোগীরা এ ভাবেই পশুপাখির ডাকও শুনতে পান।

    আরও পড়ুন: ৪০০ পেলেই কাশী-মথুরায় বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণ, ফের হুঁশিয়ারি হিমন্তের

    এই রোগের প্রভাব 

    উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলি যদি কারও মধ্যে ৬ মাসের বেশি সময় দেখতে পাওয়া যায় তাহলে তিনি সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা না করানো হলে তা ক্রমেই বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশে মানসিক রোগ সম্পর্কে ধারণায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চরম অবস্থায় পৌঁছে যায় সিজোফ্রেনিয়া (World Schizophrenia Day)। এই রোগে আক্রান্তের ভাবনা-চিন্তা, অনুভূতি, কাজের উপর প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মনরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সামান্য অবহেলাও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তবে সময় মত চিকিৎসা করালে অনেক ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: জলেই মুশকিল আসান! জল খেলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    Drinking Water: জলেই মুশকিল আসান! জল খেলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে একাধিক রোগের ঝুঁকি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি সহজ বিষয় নজরে রাখলেই এই ব্যস্ত জীবনেও শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। আর তার মধ্যে অন্যতম হল জল খাওয়া। জল (Drinking Water) স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। এমন একাধিক রোগ রয়েছে, যা পর্যাপ্ত জল খেলে সহজেই এড়ানো সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ জীবনের পথ অনেকটাই সহজ হয়। এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন রোগ এড়িয়ে চলা সহজ করে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস?

    হজম ক্ষমতা বাড়ায় জল (Drinking Water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে হজমের ক্ষমতা বাড়ে। হজমের গোলমালের অন্যতম কারণ পাকস্থলী এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো না থাকা। জল ঠিকমতো খেলে অন্ত্র, পাকস্থলী সুস্থ থাকে। তাদের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হজম ক্ষমতাও বাড়ে, শরীর সুস্থ থাকে।

    স্থূলতা কমাতে জল জরুরি

    স্থূলতা এড়াতে এবং মেদ ঝরাতে জল খুবই উপকারী। কারণ, জল শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে স্থূলতার ঝুঁকি কমে। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিশেষ উপায়ে জল খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভারী খাবার খাওয়ার আগে একটু বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। এতে খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছে কমবে। ফলে বাড়তি খাওয়া হবে না। এতে শরীরে মেদ কম জমবে। পাশপাশি সকালে খালি পেটে জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে সহজেই মেদ কমে। স্থূলতা কমাতে তাই জল (Drinking Water) অত্যন্ত উপকারী।

    লিভারের রোগের ঝুঁকি কমায় জল (Drinking Water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখার চাবিকাঠি জল। পরিশ্রুত জল না খেলে যেমন জন্ডিস, হেপাটাইটিস সহ একাধিক লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তেমনি পরিশ্রুত পর্যাপ্ত জল লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে হজমের অসুবিধা কমে। একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমে।

    হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় জল

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। তাই হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যায় এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কমবেশি চিন্তিত। তবে পর্যাপ্ত জল খেলে এই বিপদ কাটবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশনের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই জল (Drinking Water) পর্যাপ্ত খেলে এই রোগের ঝুঁকি কমবে।

    ত্বক ভালো রাখে জল

    ত্বকের শুষ্কতা কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার জল। ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ত্বকের সমস্যার কারণ জল‌ কম খাওয়ার অভ্যাস। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। ত্বকের রোগ কম হয়।

    পর্যাপ্ত জল বলতে কী বলা হয়? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়মিত অন্তত ৪-৫ লিটার পরিশ্রুত জল (Drinking Water) খাওয়া জরুরি। একাধিক রোগ এড়াতে এই জল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতেই হবে। শিশুদের দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খেতে হবে বলেই‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Singapore Covid wave: সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ২৬ হাজার, চিন্তার ভাঁজ বঙ্গেও

    Singapore Covid wave: সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ২৬ হাজার, চিন্তার ভাঁজ বঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের আরেকটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পাড়ে? সেই আশঙ্কা নতুন করে দানা বাঁধছে। ভারতের পূর্বের একটি দেশ সিঙ্গাপুর। ছোট্ট এই দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিরেছে মাস্ক। নিতে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ। ভারতেও গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে কোভিড। মহারাষ্ট্রের পরেই দুই নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    কতটা ভয়ঙ্কর এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। শরীরের ইমিউনিটিকে ফাঁকি দিতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডির উপরে হামলা করে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে ৩০০ জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৫০ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Covid KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: সুগার কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে। ভারতীয় সার্স-সিওভি-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম ‘ইনসাকগ’  (INSACOG) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩২৪টি কেভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে কেপি.১-এর ৩৪টি কেস এবং কেপি.২-এর ২৯০টি রয়েছে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

    বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) কো-চেয়ারম্যান রাজীব জয়দেবন বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এমন কোনও রোগ নয় যা চলে যায়। এটি কোনও না কোনও আকারে ফিরে আসবেই। এই কেপি.২ সাব-ভেরিয়েন্টটি তার পূর্বপুরুষ এবং অন্যান্য ওমিক্রন রূপগুলিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেপি.২, বিশেষ করে, বেশি শক্তিশালী স্ট্রেন বলে মনে করা হচ্ছে, যা টিকা এবং পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে তৈরি অনাক্রম্যতাকেও (immunity) ফাঁকি দিতে পারে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mobile Phone: লাগাতার মোবাইল ঘেঁটে চলেছেন? জানেন কী হতে চলেছে? বিপদ বাড়ছে কতটা? 

    Mobile Phone: লাগাতার মোবাইল ঘেঁটে চলেছেন? জানেন কী হতে চলেছে? বিপদ বাড়ছে কতটা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কখনও কাজের জন্য, আবার কখনও নিছক বিনোদন। কখনও আবার অবসর যাপনে, সর্বদাই মোবাইল আমাদের নিত্যসঙ্গী। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের দিনের অধিকাংশ সময়ই কাটছে মোবাইলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করে কিংবা সার্চ ইঞ্জিনেই কাটে দিনের অনেকটা সময়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ। মাত্র ১৬-১৭ বছর বয়স থেকেই দেখা দিতে পারে সমস্যা। হতে পারে মারাত্মক বিপত্তি। তাই সাবধান করছেন বিশেষজ্ঞ মহল (Mobile Phone)। বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের দরকার সচেতনতা। না হলে পরবর্তী জীবনে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন।

    লাগাতার স্ক্রিনে স্ক্রোল কী বিপদ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের টাচ স্ক্রিনে লাগাতার স্ক্রোল করলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ মানুষ এই বিষয়ে সচেতন নয়। তার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে।

    স্নায়ুতন্ত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে (Mobile Phone)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার স্মার্ট ফোন ব্যবহারের জেরে স্নায়ুতন্ত্রে গভীর প্রভাব পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তর্জনী, বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং কনিষ্ঠা এই তিনটি আঙুল দিয়েই মূলত স্মার্টফোন ধরে রাখা হয় বা ল্যাপটপে টাইপ করা হয় কিংবা স্ক্রোল করা হয়। আর দেহের একাধিক পেশি এবং স্নায়ুর যোগাযোগ থাকে। এই তিনটি আঙুল লাগাতার ব্যবহারের ফলে স্নায়ুর উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। অতিরিক্ত চাপের জেরে স্নায়ুর কার্যকারিতা হারায় (Mobile Phone)। পাশপাশি পেশি সংকুচিত হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ঠিকমতো সামঞ্জস্য বজায় থাকে না। তাই একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌।

    কোমর, পিঠ এবং ঘাড়ের পেশি ও স্নায়ু, হাড়ের সমস্যা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার মোবাইল Mobile Phone কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারের জেরে দেহের মূলত তিনটি অংশে মারাত্মক চাপ পড়ে। কোমর, পিঠ এবং ঘাড়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে ব্যবহারকারী স্ক্রিনে চোখ আটকে রাখেন। একটানা ওই অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসার জেরে ঘাড়ের পেশি স্টিফ বা শক্ত হয়ে যায়। কার্যকারিতা কমে। আবার পিঠের পেশিতেও মারাত্মক টান অনুভব হয় (Mobile Phone)। কোমরের হাড়েও ব্যথা অনুভব হয়। একনাগাড়ে বসে থাকার জেরেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাই স্পন্ডেলাইসিসের মতো রোগের প্রকোপও বাড়ছে।

    বাড়ছে চোখের সমস্যা (Mobile Phone)

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে চোখের সমস্যা। দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়ছে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই চোখের শুষ্কতা বা ড্রাই আই-র মতো রোগের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এর ফলে চোখে নানা রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। কোন কিছু একনাগাড়ে দেখার ক্ষমতাও কমছে। তার কারণ লাগাতার মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা বলেই মনে করছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সচেতনতা একেবারেই নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিনোদনের জন্য মোবাইল অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে (Mobile Phone)। এর ফলে স্মৃতিশক্তি কমছে। সৃজনশীল কাজের দক্ষতাও কমছে। দিনে কতক্ষণ মোবাইল বা ল‌্যাপটপে সময় কাটানো হচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। কখনই একটানা‌ আধঘণ্টার বেশি সময় স্ক্রিনে কাটানো উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, ছোট থেকেই স্ক্রিন টাইম নির্দিষ্ট করে রাখা জরুরি। না হলে বিপদ মারাত্মক। প্রয়োজনে শিশুদের কাউন্সেলিং করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস (World Meditation Day)। মেডিটেশন হল আসলে মনের ব্যায়াম। নিরবে এক জায়গায় চুপ করে বসে একমনে ধ্যান করলে বৃদ্ধি পায় মনোযোগ ও সচেতনতা। এছাড়াও নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এর সুফল হিসাবে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব কেটে ইতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টি হয়। 
    জানা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। তাই প্রতি বছর এই ২১ মে দিনটিকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে পালন করা হয়। 

    জেনে নেওয়া যাক  এই মেডিটেশনের বিশেষ কিছু উপকারিতা-(Health Benefits of Meditation)

    মানসিক চাপ থেকে মুক্তি- মেডিটেশন আমাদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করা যায় তবে মানুষের চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে। 
    মনকে শান্ত রাখা- মানসিক চাপ মুক্তির পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে মন শান্ত হবে। অর্থাৎ সারাদিন কাজের পর যে খিটখিটে ভাব আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় তা থেকে নিমিষেই মুক্তি লাভ হবে। 
    মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। এছাড়াও ডিপ্রেশন বা অনেক রকম নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকেও মুক্তি লাভ ঘটে।
    মনোযোগ বৃদ্ধি- মেডিটেশন (World Meditation Day) এর আরো একটি উপকারিতা হলো মনোযোগ বৃদ্ধি হওয়া। অর্থাৎ সামান্য ছোট ছোট জিনিস যেগুলো আমরা কারণে অকারণে ভুলে যাই বা মনে রাখতে পারি না সেই সব ক্ষেত্রে নিয়মিত মেডিটেশন করলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি হবে। ও যেকোনও কাজে একাগ্রতা আসবে। 
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- নিয়মিত মেডিটেশন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মত বিপদের ঝুঁকিও কম থাকে। 
    স্মৃতিশক্তির উন্নতি- নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। 
    অনিদ্রা থেকে মুক্তি- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মিলবে অনিদ্রা থেকে মুক্তি। একইসঙ্গে তৈরি হবে একটা ভালো ঘুমের রুটিন।

    আরও পড়ুন: ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    বর্তমানে ডিপ্রেশন বা হতাশার শিকার বহু মানুষ। এই প্রতিযোগীতার সমাজে লড়াইয়ে নেমে অনেকেই ভেঙে পরেন। আর ঠিক তখনই তারা নেন চিকিৎসকের পরামর্শ। আর চিকিৎসক এইসব বিষয়ে সবার আগে পরামর্শ দেন মেডিটেশনের (World Meditation Day)। কারন আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন খুবই উল্লেখযোগ্য। তাই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে রোগ নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি, সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও মানসিক প্রশান্তির একমাত্র রাস্তা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    Child Growth: সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কোন খাবার পাতে রাখলেই মিলবে উপকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে। শিশুর দেহের উচ্চতা ঠিকমতো না বাড়লে, অধিকাংশ অভিভাবকেরাই দুশ্চিন্তা করেন। জিনগত ও হরমোন ঘটিত একাধিক কারণ শিশুর দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে‌। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শিশুর বিকাশে, বিশেষত উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Child Growth)। এখন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা?

    নিয়মিত কলা বাড়তি সাহায্য করবে (Child Growth)

    আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়। কারণ, কলা এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। ছোটরা খেলাধুলো করে। তাদের বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। কলার মতো ফল সেই এনার্জির জোগান দেয়। এছাড়াও, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। এর ফলে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে কলা খুবই উপকারী। এছাড়াও ফাইবার ও প্রোবায়োটিক কলায় রয়েছে। তাই কলা খেলে শিশুর সার্বিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়।

    উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে মাছ

    সন্তানের পাতে নিয়মিত মাছ দিলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো একাধিক উপাদান। এই উপাদানগুলো শারীরিক বিকাশে (Child Growth) বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শিশুর উচ্চতা বাড়ে।

    রোজের মেনুতে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবার

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুর সুষম আহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই শিশুর বিকাশ ঠিকমতো হবে। উচ্চতা বাড়বে। অর্থাৎ, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবকিছুই দেহে পর্যাপ্ত জোগান রাখতে হবে। আর তার জন্য দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়াতেই হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দু’বেলা দুধের পাশাপাশি দই ,ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। তবেই দেহের উচ্চতা বাড়বে। শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেটের জোগান ঠিকমতো থাকবে।

    নিয়মিত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন বাড়াবে উচ্চতা (Child Growth)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্ভিদজ প্রোটিন হিসাবে সোয়াবিন বিশেষ উপকারী।‌ তাই নিয়মিত সন্তানকে অন্তত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন খাওয়ানো জরুরি। সোয়াবিনে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন‌ এবং প্রোটিন। তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক এই খাবার‌।

    নিয়মিত একটা ডিম থাকুক মেনুতে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধের মতোই ডিম হল সুষম খাবার। ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং একাধিক ভিটামিন। বিশেষত ভিটামিন বি ১২ ডিম থেকে পাওয়া যায়। যা শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত এই ভিটামিন উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ডিম শিশু স্বাস্থ্যে খুবই উপকারী। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত অন্তত ১টা ডিম শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে (Child Growth)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দাপট। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও বাড়ছে এই দুই রোগ। আর তার নেপথ্যে রয়েছে হাইপারটেনশন। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে বড় বিপদ ঘটছে। মস্তিষ্কের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। ফলে, স্ট্রোক হচ্ছে (Stroke)। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ালে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর তাহলেই হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদকে এড়ানো সহজ হবে। দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখবে হাইপারটেনশন?

    নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, নিয়ম করে অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের সর্বত্র ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। পাশপাশি স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে। ফলে, হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। আর হাইপারটেনশন কাবু করতে স্থূলতা রুখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাড়তি নুন একেবারেই না

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে হাইপারটেনশন বাড়ার অন্যতম কারণ খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের তুলনায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নুন খান। আর তার জেরে রক্ত সঞ্চালনে সরাসরি প্রভাব পড়ে। ফলে, হাইপারটেনশনের (Stroke) মতো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে, অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস বদল করতেই হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ধূমপান বাড়াচ্ছে বিপদ (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সারের পাশপাশি ধূমপান হৃদরোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিশোর বয়স থেকেই ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। মহিলাদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস বাড়ছে। এই অভ্যাস বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে। হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ অন্তত ১০ গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তাকে ত্যাগ করা জরুরি।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সঠিক খাবারে অভ্যস্ত হলে হাইপারটেনশনের মতো রোগকেও সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই কিসমিস, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দেওয়া প্রিজারভেটিভ খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে। এতে দেহে বাড়তি চর্বি তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে (Stroke)।

    শরীরের পাশাপাশি জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা!

    শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। হাইপারটেনশনের মতো রোগ কাবু করতে মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই মানসিক চাপ বাড়লে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ লাগাতার মানসিক চাপ কিংবা মানসিক অবসাদের শিকার হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরের পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখা জরুরি (Stroke)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দশেক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও করোনা ভাইরাস থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত নয় বিশ্ববাসী। নভেম্বর থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Corona KP2 Flirt) ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতির ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এই প্রজাতির নিকনেম ‘FLIRT’। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতাতেও শেষ ৭ দিনে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ওদিকে মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৯১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন উপপ্রজাতি KP2-এর প্রকোপ বাড়বাড়ন্ত। কলকাতায় নতুন করে করোনার সংক্রমণের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন মানুষ করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কী এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডিজের উপরে হামলা করে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে আড়াইশো জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১২৮ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Corona KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাতে-পায়ে যন্ত্রণাতেই ভোগান্তি আটকে নেই। কিছুক্ষণ একটানা হাঁটাচলা করলেই, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটু, কোমরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আধুনিক জীবন যাপনের জেরে মানুষের শরীরে একাধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর আর্থ্ররাইটিস কেবল ব্যথা-যন্ত্রণার ভোগান্তি বাড়ায় না। এতে আক্রান্ত হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যেমন, হৃদরোগ, ত্বকের সমস্যা, চোখের শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) নিয়ে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন আপনি আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ আর্থ্ররাইটিসের লক্ষণ স্পষ্ট করে‌। প্রথমত, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কোমরে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্ক‌ থাকা জরুরি। লাগাতার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে আর্থ্ররাইটিসের প্রকোপ কমবে। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকে কম বয়সিরাও‌ রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে হঠাৎ পড়ে যান।‌ বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, বুঝতে হবে শরীরের ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) আক্রান্ত হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়। তখন শারীরিক কসরতের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তবেই শারীরিক ফিটনেস বাড়বে। শরীরের ওজন মারাত্মক বেড়ে গেলে আর্থ্ররাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মারাত্মক স্থূলতায় ভোগেন। স্থূলতা দেখা দিলে হাড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। আর্থ্ররাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি জরুরি।

    সন্তানের কোন দিকে নজরদারি ঝুঁকি কমাবে? (Arthritis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর্থ্ররাইটিস আর প্রবীণ বয়সের রোগের সীমারেখায় আটকে নেই। এই রোগের দাপট তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকেরা সচেতন হলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ জরুরি। খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই দরকার ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিম, সমুদ্রের মাছ, ওলিভের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 

    ক্যালসিয়ামের অভাব যেন না থাকে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড় মজবুত হলেই আর্থ্ররাইটিসের (Arthritis) ঝুঁকি কমবে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তাই নিয়মিত ডিম ও দুধ, পনীর, ছানা, মুসুর, ছোলার মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এগুলো হাড় শক্ত করে। 

    নিয়মিত যোগাভ্যাস করা জরুরি (Arthritis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকে। একদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিটনেস বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত শিশুকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করলে আর্থ্ররাইটিসের‌ মতো রোগের ঝুকি কমানো‌ যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share