Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ঠান্ডা পানীয়ের ওপর অনেক সময়ই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাইরের তীব্র গরমে নিজের শরীরকে কিছু সময়ের জন্য ঠান্ডা করতে নানান ফলের জুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই গরমে আরও এক পানীয় হল আখের রস (Sugarcane Juice), যা অনেকেরই প্রিয়। ভারতীয় ঐতিহ্য এবং আয়ুর্বেদিক দিক থেকে আখের রস একটি পুষ্টিকর ও উপকারী পানীয় নামেই পরিচিত। এতে ফাইবার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে, যা মানুষের শরীরকে ঠিক রাখতে নানান ভাবে সাহায্য করে। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, তাদের এই আখের রস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ এটি আচমকা মানব শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

    কোথায় মেলে? (Sugarcane Juice)

    ভারতের বিভিন্ন জায়গা যেমন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পন্ডিচেরি এবং কেরলে আখ চাষ হয়। এই আখের রস একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যা গরম আবহাওয়া থেকে মানব শরীরকে সুস্থ সতেজ রাখে। তাছাড়াও ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে শরীরকে দূরে থাকে। গরমে মানুষের শরীরকে হাইড্রেট রাখাটা খুবই দরকারি। তাই এই আখের রসই হয়ে উঠতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ পানীয়। আসুন, দেখে নিই, কী কী উপকারিতা আছে এই আখের রসের।

    প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক

    এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস আখের রস (Sugarcane Juice) এই তীব্র গরমে আপনার ক্লান্ত শরীরকে নিমেষে শক্তি জোগাতে পারে। আখের রসে আছে গ্লুকোজ, এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরকে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

    ক্যান্সার রোধে সাহায্যকারী (Sugarcane Juice)

    বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই আখের রসের মধ্যে আছে ক্যান্সার রোধের গুণাবলী। আখের রস শরীরে পাওয়া ফ্লেভোন ক্যান্সার কোষের উৎপাদন ও বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের পিএইচ-এর মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    কিডনি ভালো রাখে

    আখের রস উপকারী মূত্রবর্ধক (Sugarcane Juice) হিসেবেও পরিচিত। কারণ এটি কিডনির কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখে, দেহের অতিরিক্ত লবণ অপসারণ করে এবং শরীরকে কিডনি জনিত নানান সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

    ত্বক ভালো রাখতে উপকারী

    আখের রসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ যা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ও স্বাভাবিক রাখে যা সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে। তাছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে ত্বককে দূরে রাখে (Sugarcane Juice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ঝুঁকি! কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুদের বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি একেবারে সদ্য স্কুলের গন্ডিতে পা রেখেই ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত হচ্ছে, এমন সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে‌। ছোটদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে‌। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে এই বিপদ রুখতে। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, বিশেষত বাবা বা মায়ের ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সন্তানের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি হয়। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। মন্ত্রকের তরফে লাগাতার ডায়াবেটিস স্ক্রিনিংয়ের বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত স্কুল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে বাড়তি উদ্যোগ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো দরকার। কারণ, ভারতীয় শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে বুঝবেন সন্তান ডায়াবেটিস আক্রান্ত? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এই রোগে দেহে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে কৃত্রিম ইনসুলিন হরমোন দিতে হয়। কিন্তু, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস। মূলত কিশোর বয়সে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু উপসর্গ জানান দেয়, সন্তান‌ ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিনা।

    কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই খিদে বেড়ে গেলে সতর্ক হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ইচ্ছে, ঠিকমতো খাবার খাওয়ার পরেও পেট ভরছে না মনে হওয়া, ওজন মারাত্মক বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। তাঁদের পরামর্শ, সন্তানের ওজন মারাত্মক বাড়লে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। কারণ, ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি স্থূলতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ অত্যন্ত বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যদি খুব সামান্য কাজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিসের আরেকটি উপসর্গ এই ক্লান্ত হয়ে পড়া। কিংবা দুর্বল হয়ে পড়া। ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে, দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাই নানান রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে সন্তান বারবার আক্রান্ত হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি।

    মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে? (Diabetes)

    এছাড়াও, মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে গেলে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটা ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ। আবার খুব কম বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে রোগী অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একে ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস বলা হয়। এর জেরে পেটে ব্যথা, এক ধরনের খিঁচুনি, এমনকি দেহে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এমন ঘটনা বারবার ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। না হলে প্রাণঘাতী বিপদ ঘটতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। 
    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের ত্বকেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। ঘাড়ের কাছে কালো দাগ‌ দেখা দেয়। এমন উপসর্গ দেখ দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে রুখবেন সন্তানের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি?

    পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবে এখন যে হারে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে, তাতে সব অভিভাবকদের সচেতন থাকা দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর হলেই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই শিশুদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের মতো শারীরিক কসরতে অভ্যস্ত করতে হবে। যাতে তাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের সমস্ত অংশ সচল থাকে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। পাশপাশি মেদ কমবে। স্থূলতার ঝুঁকি কমবে। নিয়মিত খেলাধুলায় অভ্যস্ত করা জরুরি। যাতে শারীরিক কসরত ঠিকমতো হয়। পাশপাশি খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত ভাজা খাবার একেবারেই নয়। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রিজারভেটিভ খাবারে শিশুদের অভ্যস্ত করতে চলবে না। বরং শাক, সব্জির সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়েট তৈরি করতে হবে। যাতে শিশুর চাহিদা মতো ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবকিছুই শরীরে পৌঁছয়। ব্যালান্স খাবার খেলে বেশির ভাগ রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indoor Plants: বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট! কোন গাছ বসালে কমবে অসুখের ঝুঁকি?

    Indoor Plants: বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট! কোন গাছ বসালে কমবে অসুখের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ি‌ সাজাতে নানান রকমারি ছবি কিংবা শো-পিস‌ এখন পুরানো রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। নতুন ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি সাজানোর ফ্যাশনে এখন এগিয়ে রয়েছে গাছ। হরেক রকমের গাছ, বিশেষত ইন্ডোর প্ল্যান্ট দিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট সাজানোই এখন রেওয়াজ। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই ফ্যাশনের জন্য নয়। বাড়িতে এমন কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) রাখা উচিত, যাতে পরিবারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এমন কয়েকটি গাছ রয়েছে, যা শোওয়ার ঘরে কিংবা বাইরের ঘরে রাখলে পরিবেশ ভালো থাকে। রোগের ঝুঁকি কমে। এমনকি সেই গাছের পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। একদিকে বাসস্থানের সৌন্দর্য, আরেকদিকে রোগ প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য। ইন্ডোর প্ল্যান্টের গুণ অনেক। কিন্তু কোন ইন্ডোর প্ল্যান্ট সুস্বাস্থ্যের পথ সহজ করে?

    বায়ুদূষণ কমায় স্নেক প্ল্যান্ট! (Indoor Plants)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্নেক প্ল্যান্ট একটি জনপ্রিয় ইন্ডোর প্ল্যান্ট। লম্বাটে হলুদ-সবুজ পাতার স্নেক প্ল্যান্ট শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, এই গাছ বাড়ির পরিবেশও ভালো রাখে। বাতাসে দূষণ বাড়ছে‌। ফুসফুসের সমস্যা কিংবা বক্ষঃরোগের অন্যতম কারণ হল দূষিত বাতাস। স্নেক প্ল্যান্ট বাতাসের খারাপ উপাদান সহজেই শোষণ করে নেয়। এই গাছ বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ারের মতোই কাজ করে‌। তাই স্নেক প্ল্যান্ট অত্যন্ত উপকারী একটি ইন্ডোর প্ল্যান্ট।

    অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর একাধিক উপকার! 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়িতে অ্যালোভেরা কিংবা ঘৃতকুমারীর মতো ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সবুজ সতেজ এই গাছ বাড়ির সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আবার অ্যালোভেরার স্বাস্থ‌্যগুণ অপরিসীম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক ত্বকের রোগ কমাতে অ্যালোভেরার (Indoor Plants) বিকল্প নেই। তাই বাড়িতে এই গাছ রাখলে তার পাতার ভিতরের জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে‌। অ্যালোভেরার পাতার জেলি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয়। ত্বকের একাধিক রোগ কমে।

    পিস লিলি অক্সিজেনের জোগান দেয় (Indoor Plants)

    বাড়ি সাজাতে অনেকেই নানান সুন্দর গাছ ব্যবহার করেন। তার মধ্যে অন্যতম হল পিস লিলি। এই গাছ বাড়ির যে কোনও জায়গায় রাখলেই আলাদা মাত্রায় সৌন্দর্য বাড়াবে। এই গাছ কম আলোতেও ভালো থাকে। এই শোওয়ার ঘরের কোণেও এই গাছ রাখা যায়।  তবে এই গাছের গুণ বিশেষ রকমের। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অক্সিজেন দ্রুত তৈরি করতে পারে পিস লিলি। তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে বাড়ির পরিবেশ সুস্থ থাকে। রোগের দাপট কমাতে পারে পিস লিলি। 

    আরেকা পাম সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী 

    যে কোনও পাম জাতীয় গাছ বাতাসের দূষিত কণা দ্রুত টেনে নেয়। তবে ইন্ডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants) হিসেবে সব চেয়ে জনপ্রিয় আরেকা পাম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ সহজ। এই গাছ সহজেই বাড়ির বাতাস বিশুদ্ধ করে। বাতাসের দূষিত কণা টেনে নেওয়ার পাশপাশি বাড়ির পরিবেশকেও স্বাস্থ‌্যকর করে তোলে এই গাছ। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ভুগছে নানান‌ হৃদ সমস্যায়। খুব কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের কবলে পড়ছেন অনেকেই। আর এর জেরেই বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ মানেই মৃত্যুভয় নয়! বরং সচেতনতা থাকলেই কমবে প্রাণ-সংশয়। তাই বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং চটজলদি সচেতন ভাবে কিছু পদক্ষেপ নিলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তাহলে জেনে নিন, কোন তিন পদক্ষেপ কমাবে মৃত্যুর আশঙ্কা?

    গোল্ডেন আওয়ারে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হবে (Heart Attack)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয় না। হার্ট অ্যাটাকের পরের ৪৫ মিনিট সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এই সময়কেই বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এই গোল্ডেন আওয়ারের পরে হাসপাতালে পৌঁছন। চিকিৎসা শুরু হয় অনেকটাই দেরিতে। এর জেরে সমস্যা আরও জটিল হয়। প্রাণ-সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা না বাড়লে এই সমস্যা কমবে না। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়বে। পরিবারের কেউ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে তার নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। এর পরেও হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর খুব ঘাম হওয়া, জ্ঞান হারানো কিংবা বুকে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই দেরি করা চলবে না। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে সময় মতো নিয়ে যেতে পারলে, মৃত্যু ঝুঁকি কমবে।

    আক্রান্তকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে (Heart Attack) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেই জ্ঞান হারান। আর এই উপসর্গ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পরিবারের সদস্যদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আক্রান্তকে সজাগ রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে, যেন রোগী জ্ঞান না হারান, সে দিকে নজর দিতে হবে (Heart Attack)। এতে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ার ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ফলে, শারীরিক পরিস্থিতি সহজে অবনতি হয় না। পাশপাশি তার শ্বাস নেওয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ বুকের যন্ত্রণা অনুভব করলে কিংবা শারীরিক অস্বস্তি হলে, ভিড় এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। আশপাশের পরিবেশ যাতে শান্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অকারণ উত্তেজনা তৈরি হলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

    চেস্ট কম্প্রেসন সম্পর্কে সচেতন হলেই ঝুঁকি কমবে (Heart Attack)

    হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে তা খুবই উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়ে একাধিক কর্মশালা হয়। তাই পরিবারের কেউ হৃদ সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে, সদস্যদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। মিনিটে ১০০ বার হালকা চেস্ট কম্প্রেসন করলে হৃদ রোগে আক্রান্তের প্রাণের ঝুঁকি অনেক কমে। রক্ত সঞ্চালন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক চেষ্টা হয়। তাই হাসপাতালে আনার পথে এই চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে রোগীর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    তবে, হার্ট অ্যাটাক রুখতে সচেতনতা ও সতর্কতা আরও বাড়ানো দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর করলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়নো সম্ভব (Heart Attack)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্যালাড হিসেবে, কিংবা স্যান্ডুইচে কয়েক টুকরো টম্যাটো (Tomato) ব্যবহার করা হয়। অথবা, যে কোনও নিরামিষ কিংবা আমিষ তরকারিতেও দেওয়া হয় টম্যাটো। আর নিয়মিত টম্যাটো খেলে উপকার অনেক! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত একটি টম্যাটো খেলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে কিংবা যে কোনও তরকারিতে টম্যাটো ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জেনে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Tomato)

    হৃদ সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের একাধিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এমনকি দেশ জুড়ে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। টম্যাটো হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং টম্যাটোয় শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টম্যাটো খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়

    টম্যাটো রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে (Tomato) থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে‌ তোলে। তাই নিয়মিত টম্যাটো খেলে নানা ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। দেহে প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সাহায্য করে (Tomato)

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য টম্যাটো বিশেষ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে টম্যাটো খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রুখতে নিয়মিত টম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    টম্যাটো অন্ত্রের জন্য ভালো। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টম্যাটো (Tomato) খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো হয়। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। 

    তবে, শিশু ও বয়স্কদের টম্যাটো খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টম্যাটো অনেক সময় হজম করতে সময় লাগে। বিশেষত হজমের সমস্যা থাকলে টম্যাটো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তাতে নানান সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিয়মিত টম্যাটো হজম করতে পারছে কিনা, সেদিকে নজর রেখেই মেনুতে টম্যাটো (Tomato) রাখা যাবে কিনা,তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম জলে মিশিয়ে, কিংবা‌‌ জলখাবারে এক চামচ, অথবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকেই নিয়মিত মধু (Honey) খান। দিনের যে কোনও সময় এক চামচ মধু নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষত বাড়ির ছোটদের নিয়মিত মধু খাওয়ালে দীর্ঘ জীবনে নানা উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের সতর্কবার্তা, এক বছরের কম বয়সি শিশুদের একেবারেই মধু খাওয়ানো উচিত নয়। মধুর কিছু উপাদান সদ্যোজাতদের শরীরে সহ্য হয় না। এর জেরে পেটে নানান সংক্রমণ শুরু হয়।  আবার মধু মিষ্টিজাতীয় খাবার, তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নিয়মিত মধু খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে কিংবা বয়স এক বছরের বেশি হলে নিয়মিত মধু খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

    নিয়মিত মধু খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Honey)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি যে কোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে। কারণ, মধুতে একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে‌, যার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। পাশপাশি মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নিয়মিত মধু খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। শরীরে ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে। গলাব্যথা, কাশি কিংবা আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে।

    মধু হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু (Honey) নিয়মিত খেলে রক্তে পলিফোনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, মধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত দারুচিনি গুঁড়ো মধু দিয়ে খেলে ১০ শতাংশ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি, বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। মধু ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থুলতা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধুতে রয়েছে একাধিক প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। এর জেরে মধু নিয়মিত গরম জলে খেলে দেহের অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যায়।

    মধু হজম শক্তি বাড়ায় (Honey)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু নিয়মিত খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। তাই মধু হজমশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু দেহের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে‌। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। তাই মধু নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের শুষ্কভাব কমে যায়। তাই যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ত্বকের সমস্যা কম থাকে (Honey)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মানের প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পূর্ণ, বিশ্বের সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টিতে ঠাসা ব্রেকফাস্টগুলির মধ্যে একটি হল ডিম। ডিম হল একেবারে যাকে বলে মুঠোতে ভরা পুষ্টি এবং স্বল্প মূল্যের প্রাণীজ উৎস প্রোটিনগুলির মধ্যে একটি। ফলে ডিমকে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাকে বলা হয় সুপার ফুড (National Egg Day)। 

    অনেকে কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম খান না। কিন্তু এটি ঠিক নয়। কারণ, একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা খুব বেশি নয়। একটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইন ও জেক্সানথিন। প্রতি বছর ৩ জুন জাতীয় ডিম দিবস (National Egg Day) হিসেবে পালিত হয়। সাশ্রয়ী মূল্যের পুষ্টিকর খাবার সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক।

    ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা- (Benefits of Eating Eggs) 

    শরীরের ভেতরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ডিম। যদিও ডিম খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের দিকে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

    শরীরে প্রোটিনের জোগান 
    ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। আর এই প্রোটিনে রয়েছে হাইড্রোলাইসেট নামক উপাদান, যা মস্তিষ্কের যত্ন নেয়। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে এই রাসায়নিক উপাদান, যা মনোযোগ বাড়ায়, সৃজনশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্বেগ কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডিম দারুণ কার্যকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    ভরপুর পুষ্টিগুণ
    ডিমে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ডিমের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, যেমন ভিটামিন এ, ডি, বি১২ এবং আয়রন। এই পুষ্টিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের ছোট এবং বড় অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    চোখের যত্ন
    ডিমে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য (Benefits of Eating Eggs) করতে পারে। 

    শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
    অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে ডিম শরীরে তাপ তৈরি করে। তা কিন্তু একেবারেই না। বরং এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের একটি ভালো উৎস, যা শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

    আরও পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাস
    হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ডিম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই যদি ডিম খাওয়া যায়, তা হলে আর হার্টের সমস্যা দেখা দেয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, সপ্তাহে ৪-৭টি ডিম খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ। 

    কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
    সাম্প্রতিককালে ডায়াবিটিসি, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে রোজ যদি ডিম খেতে পারেন, তাহলে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
    শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েটে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর ডিম হল সেই প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। প্রোটিনের গুণে ওজন ঝরে (Benefits of Eating Eggs) দ্রুত। তাই ডায়েট করলেও ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সিগারেট, বিড়ির মাধ্যমে কিংবা পান, গুটখার মাধ্যমে। তামাক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক (Tobacco) সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। পুরুষদের পাশপাশি মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যেও তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত ধূমপানে আসক্তি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, তামাক সেবন না করলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সুস্থ জীবনযাপনের প্রথম শর্ত তামাকে আসক্ত না হওয়া। দেখে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক?

    ১. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের তামাক শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট, বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আবার পান, গুটখায় ব্যবহৃত তামাক মুখ ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলকাতরা সহ একাধিক উপাদান তামাকজাত দ্রব্যে থাকে, যার প্রভাব স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ঙ্কর পরে। তাই তামাক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

    ২. তামাক বাড়ায় ফুসফুসের অসুখ

    ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) থেকে অ্যাজমা, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ তামাক। অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।‌ ফুসফুসে বায়ু যাতায়াতের এক ধরনের জাল থাকে, তা নষ্ট করে দেয় তামাক। এর জেরে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে। এর জেরেই সিওপিডি, অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তামাক ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে (Tobacco)।

    ৩. তামাক বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি

    নিয়মিত তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে রক্ত ও স্নায়ুর উপরে চাপ পড়ে। রক্ত ও স্নায়ুর চাপ বাড়লে, মস্তিষ্কের উপরে প্রভাব পড়ে। তার জেরেই হয় স্ট্রোক। তাই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ৪. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক। তামাকজাত দ্রব্য শরীরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি করে। এর সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক মতো হয় না‌। এর জেরে একাধিক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    ৫. মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকের রয়েছে নিকোটিন। তাই যে কোনও তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত সেবন করলে স্নায়ু ও হরমোন তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তামাকজাত দ্রব্যের জেরে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। এই নিকোটিনের জেরেই মানসিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটে। মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় (Tobacco)। তাই তামাক শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও খুবই ভয়ঙ্কর।

    ৬. বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকজাত দ্রব্য বাড়ায় বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ তামাক সেবন। তামাক জরায়ু এবং ওভারির বিশেষ ক্ষতি করে। তবে শুধু মহিলাদের নয়, তামাক পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

    ৭. ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ায় তামাক। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তামাক সেবনকারীরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হন। ভোগান্তিও বেশি হয়। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের এই সমস্যা বেশি হয়।

    ৮. ডায়বেটিস রোগীদের বিপদ বাড়ায় তামাক সেবনের অভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী ধূমপানে অভ্যস্ত হলে কিংবা তামাক সেবন করলে আরও বিপদ বাড়ে। ডায়বেটিস আক্রান্তদের হৃদরোগ ও কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি থাকে। তার সঙ্গে ধূমপানের অভ্যাস সেই ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। ধূমপান করলে নানান রোগের ঝুঁকি বিশেষত সংক্রমণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই অভ্যাস ফুসফুস ও শ্বাসনালীকে দূর্বল করে দেয়। তাই ডায়বেটিস আক্রান্তদের ধূমপানের অভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করে (Tobacco)। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর ৫০ লাখের বেশি মানুষ তামাক সেবনের জন্য মারা যাচ্ছে। সময়ের আগেই মৃত্যুর কারণের তালিকায় তামাক সেবনের জেরে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তামাকমুক্ত জীবন জরুরি। তবেই সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World No Tobacco Day: আজ ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’, ধূমপান কোন কোন রোগ টেনে আনে জানেন?

    World No Tobacco Day: আজ ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’, ধূমপান কোন কোন রোগ টেনে আনে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মে সারা পৃথিবী জুড়ে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালিত হয়। এই দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে তামাক ব্যবহারের নানা বিপদ সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর পাশাপাশি তামাক সেবন ছাড়াতে প্রচারও চালানো হয়। চলতি বছরের ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে’র (World No Tobacco Day) থিম হল ‘তামাকের প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা’।

    তামাকের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা

    সাধারণভাবে দেখা যায়, বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে যাঁরা তামাক সেবন করেন, তাঁদের সংস্পর্শে আসা শিশুদের মধ্যে পরবর্তীকালে ধূমপায়ী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে দেখা যায়। ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে’ (World No Tobacco Day) তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদেরকে তামাকমুক্ত পরিবেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তামাকের কুপ্রভাবগুলি থেকে শিশুদের রক্ষা করার ওপরেও জোর দিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্যের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে চলতি বছরের প্রচারে।

    শরীরকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ধূমপান

    বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সাধারণভাবে কিশোর বয়স থেকেই ধূমপানের (World No Tobacco Day) প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে টিন-এজাররা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের ফলে স্বাস্থ্যের প্রভূত ক্ষতি হয়। নিয়মিতভাবে মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। শরীরকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ধূমপান।

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়: চিকিৎসকদের মতে, ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, রক্তনালী সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

    পাচনতন্ত্রকে ক্ষতি করে:  বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপানের ফলে পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার হতে পারে। এর পাশাপাশি আলসারের মতো রোগও দেখা যায়।

    ত্বকের স্বাস্থ্য: ধূমপানের (World No Tobacco Day) ফলে মানুষের মধ্যে দ্রুত বার্ধক্য আসে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    যৌন রোগ: ধূমপানের ফলে নানা রকমের যৌন রোগও দেখা যায়। যথা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, গর্ভাবস্থায় জটিলতা প্রভৃতি।

    মুখের স্বাস্থ্য: ধূমপানের ফলে মুখের ক্যানসার, মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষতি সমেত নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ প্রভৃতি রোগ দেখা যায়। এর পাশাপাশি দাঁত অপরিষ্কার হয়ে যায় এবং সেখানে কালো ছোপ দেখা যায়।

    দৃষ্টি শক্তিহ্রাস: ধূমপানের (World No Tobacco Day) ফলে মানুষের দৃষ্টিশক্তি অনেকটাই হ্রাস পায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ছানি পড়ারও কারণ হিসেবে ধূমপানকে দায়ী করেন অনেক চিকিৎসক।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়:  ধূমপানের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীরে তখন স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণ চালায় সংক্রমণ।

    মানসিক স্বাস্থ্য: গবেষকরা বলছেন, ধূমপানের ফলে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা সমেত মানসিক রোগগুলির ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digestion: নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছেন? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মানলেই মুশকিল আসান!

    Digestion: নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছেন? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মানলেই মুশকিল আসান!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার পরেই এক ধরনের অস্বস্তি। আবার অনেকের খাওয়ার ইচ্ছেই অধিকাংশ সময় থাকে না। পেটে অস্বস্তি, বমি কিংবা হজমের একাধিক সমস্যায় জেরবার অনেকেই। আর সমস্যা শুধু হজমের গোলমালেই আটকে থাকছে না। বরং, দীর্ঘদিন হজমের গোলমাল (Digestion) থাকার জেরে গ্যাস্ট্রিক, আলসার সহ নানান জটিল রোগ তৈরি হচ্ছে। ফলে, ভোগান্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান এবং কিছু সহজ উপায় মেনে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করলেই এই ধরনের লাগাতার সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। খিদে বাড়বে, হজম হবে সহজেই, আর সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব হবে‌। কিন্তু জীবনযাপনের কোন বদল হজমের গোলমাল কমিয়ে দেবে?

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের অন্যতম কারণ জল পর্যাপ্ত না খাওয়ার অভ্যাস। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে। পাশপাশি সারাদিনে অন্তত ৪-৫ লিটার জল একজন প্রাপ্তবয়স্কের খাওয়া উচিত। দেহে পর্যাপ্ত জলের জোগান থাকলেই হজমের সমস্যা কমবে। জল পাকস্থলীকে ভালো রাখে। ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি আটকায়। তাই হজম শক্তি বাড়ে‌।

    খাবার সময়ের ব্যবধান কমানো জরুরি (Digestion)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে হজমের সমস্যা তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হল খাবার সময়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের খাবার খাওয়ার সময় ঠিক নেই। অনেকেই জলখাবার খান না।‌ অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। সরাসরি লাঞ্চ করেন। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। আবার অনেকেই ভারী ব্রেকফাস্ট করেন। লাঞ্চ একদম বাদ দেন। আবার ডিনার করেন‌। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার আবার বিকেলে হালকা খাবার খাওয়া, রাতের খাবার সময় মতো খাওয়া জরুরি। অনেকেই অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। তাঁরা অনেক সময়েই রাতের খাবার অনেকটা দেরিতে খান‌‌। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস জারি থাকলে হজমের গোলমাল দেখা দেবে। এছাড়াও গলব্লাডার স্টোন, গ্যাস্ট্রিকের (Digestion) মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে পাকস্থলীতে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়। যা দেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছু খাবার খাওয়া উচিত।

    খাওয়ার পরে কিছু নির্দিষ্ট যোগাভ্যাস বাড়াবে হজমের ক্ষমতা

    যোগাভ্যাস একাধিক রোগ নির্মূল করতে সক্ষম। আর তার মধ্যে অন্যতম হজমের গোলমাল। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে নিয়মিত হাঁটলে হজমের ক্ষমতা বাড়ে। খিদে বাড়ে। ফলে অন্ত্র সক্রিয় থাকে। এর পাশপাশি ভারী খাবার খাওয়ার পরেই বিশ্রাম নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুপুরে কিংবা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বজ্রাসনের মতো কিছু যোগাভ্যাস করা জরুরি। এতে হজম শক্তি বাড়ে‌। সুস্থ থাকা যায়।

    রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই নয় (Digestion)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ রাতের ডিনার অধিকাংশ সময় রেস্তোরাঁয় করেন। কিংবা বাইরের খাবার আনিয়ে খান।‌ আর এই অভ্যাস বিপদ‌ বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে বিশেষত বেশি রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এর জেরে অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়‌। হজমের গোলমাল হয়। রাতে একেবারেই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। এতে হজম দ্রুত হয়। কিন্তু কোন ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়বে?

    প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার

    নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে হজম শক্তি বাড়বে। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে কলা কিংবা আপেলের মতো ফল‌ থাকা জরুরি।‌ কারণ এগুলো‌তে প্রচুর প্রোবায়োটিক রয়েছে। এছাড়াও ভারী খাবার খাওয়ার পরে টক দই খাওয়া জরুরি।‌ কারণ টক দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো অন্ত্রে গিয়ে হজম ক্ষমতা বাড়ায়। পাকস্থলী ও লিভার সুস্থ রাখে।‌

    প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড দারুচিনি, থাকুক চায়ে

    দারুচিনি হজম শক্তি বাড়াতে এবং হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনিকে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড বলা হয়। এই মশলা রান্নায় ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। যাঁরা খুব হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা চায়ে এক টুকরো দারুচিনি দিয়ে নিয়মিত খেলে বিশেষ উপকার পাবেন (Digestion)।

    ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যে কোনও রকমের ডাল, নাশপাতির মতো ফল কিংবা আটার তৈরি রুটি খাওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে হজমের গোলমাল কমে‌‌।

    আদার ব্যবহার কমাবে গ্যাসের সমস্যা (Digestion)

    অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে একটুকরো কাঁচা আদা খেতে পারলে গ্যাসের সমস্যা‌ কমে। এমনকি গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকিও কমে। তবে যাঁরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন না, তাঁরা তরকারিতে নিয়মিত আদা বাটা ব্যবহার করুন। এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share