Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • COVID-19: করোনাকালে বিশ্বজুড়ে গড় আয়ু কমেছে ১.৬ বছর, বলছে রিপোর্ট

    COVID-19: করোনাকালে বিশ্বজুড়ে গড় আয়ু কমেছে ১.৬ বছর, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর (COVID-19) কারণে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু কমেছে ১.৬ বছর। এমনই তথ্য উঠে এলো ল্যানসেট জার্নাল নামের একটি পত্রিকার রিপোর্টে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, গড় আয়ু কমার কারণ হিসেবে আলাদা আলাদা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং অন্যান্য অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে থাকতে পারে। গবেষকদের সমীক্ষায় অনেকেই ছিলেন যাঁরা বার্ধক্য জনিত সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

    বিশ্বের মোট ৮৪ শতাংশ দেশেই কমেছে গড় আয়ু

    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের মোট ৮৪ শতাংশ দেশ এবং অঞ্চলে এই গড় আয়ু হ্রাসের ঘটনা ঘটেছে। গবেষণাতে দেখা যাচ্ছে, মেক্সিকো সিটি, পেরু, বলিভিয়ার মতো দেশগুলিতে গড় আয়ু কমার হার (COVID-19) সবচেয়ে বেশি। ২০২০ এবং ২০২১ সাল নাগাদ করোনা মহামারীর দাপটে বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর সব থেকে বেশি হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। অন্যদিকে, মহামারীর সময় শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, এমনটা রিপোর্টে উঠে এসেছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের তুলনায় শিশুদের গড় আয়ু বেড়েছে দেখা যাচ্ছে এবং এই সময়ের মধ্যে পাঁচ লাখ শিশু মৃত্যু কম হয়েছে।

    কোন কোন সংস্থা করেছে এই গবেষণা?

    তবে গবেষকরা এও জানিয়েছেন, সারা বিশ্বজুড়ে শিশু মৃত্যুর হারে আঞ্চলিকভাবে নানা পার্থক্য রয়েছে। যেমন বিশ্বে মারা যাওয়া (COVID-19) প্রতি চারজন শিশুর মধ্যে একজনই দক্ষিণ এশিয়ার দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, চারজন শিশুর মধ্যে প্রতি দুইজনকে দেখা দিয়েছে তারা আফ্রিকা মহাদেশের। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই রিপোর্ট সামনে আসার ফলে ভবিষ্যতে কী কী পরিবর্তন হতে পারে, মানুষের গড় আয়ুর, তা আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (IHME), ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন (UW), গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি (GBD)-এর যৌথ উদ্যোগে। গবেষণাতে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেড়েছে। পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়েছে ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে এই হার ১৭ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: কিডনি নিয়ে দুশ্চিন্তায়? কোন দিকে নজর দিলেই কমবে রোগের ঝুঁকি?

    Kidney Disease: কিডনি নিয়ে দুশ্চিন্তায়? কোন দিকে নজর দিলেই কমবে রোগের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়ালিসিস সেন্টারের সামনে লম্বা লাইন। রোগী ও তাঁর পরিজনদের দীর্ঘ অপেক্ষা। শুধু ডায়ালিসিস নয়, কিডনির একাধিক রোগে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কিডনির চিকিৎসার (Kidney Disease) দীর্ঘ প্রক্রিয়ার খরচ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু প্রবীণদের নয়। কিডনির জটিলতায় ভোগান্তি বাড়ছে কম বয়সীদেরও। আধুনিক জীবনযাপনের ধরনের জন্য কিডনি রোগ বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, সতর্ক ও সচেতন থাকলে কিডনির রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। এবার দেখা যাক, কোন দিকে নজরদারি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মদ্যপান চলবে না! (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে অনেকেই মদ্যপানে অভ্যস্ত। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে নিয়মিত মদ্যপান করেন। আর তার জেরেই কিডনির একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। আর নিয়মিত মদ্যপান করলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান চলবে না বলেই সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অতিরিক্ত কফি কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে! (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কফি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। দিনে একবারের বেশি কফি পান করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফির মধ্যে থাকা উপাদান কিডনির কার্যকারিতা অত্যাধিক বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। তাই অতিরিক্ত কফি পান করলে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) দেখা দিতে পারে।

    অনিয়মিত ঘুম নিয়ে সতর্কতা জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম খুব বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তা কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ রাত জাগতেই অভ্যস্ত। অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস কিডনির রোগের অন্যতম কারণ। রাত জাগার জেরে বা অনিয়মিত ঘুম হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। রক্তচাপ ওঠানামা করে। আর তার জেরেই একাধিক অঙ্গে প্রভাব পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাতেও প্রভাব পড়ে (Kidney Disease)। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রত্যেক দিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি।‌ দীর্ঘদিন কম ঘুম হলে সচেতন হতে হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ করতেই হবে। তা না হলে কিডনির রোগ‌ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে।

    জল মেপে খাওয়া জরুরি! (Kidney Disease)

    শরীরে জলের অভাব একাধিক রোগের কারণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার, ত্বকের মতো দেহের একাধিক অংশের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি জল। জল নিয়মিত পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। জল কম খেলে কিডনির কাজ ঠিকমতো হয় না। এর জেরে কিডনির একাধিক রোগ (Kidney Disease) হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই নিয়মিত অন্তত ৪ থেকে ৫ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Curdled Milk: নিয়মিত ছানা খান? কতটা উপকারী ছানা? কোন রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সাহায্য করে? 

    Curdled Milk: নিয়মিত ছানা খান? কতটা উপকারী ছানা? কোন রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুধ খেলে অনেকেরই হজমের গোলমাল হয়। অনেকে আবার নিয়মিত দুধ খেতে পছন্দ করেন‌ না। তাই তাঁদের জন্য উপকারী হল ছানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ছানা খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। এমনকী একাধিক রোগ প্রতিরোধেও ছানা (Curdled Milk) সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত ছানা খাওয়া দরকার। দিনের যে কোনও সময় একবার ছানা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ ছানাতে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত ছানা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়।

    কোন কোন রোগ রুখতে সাহায্য করে ছানা? (Curdled Milk)

    নিয়মিত ছানা খেলে স্থূলতার সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। আবার শিশুদের মধ্যেও এখন স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাই নিয়মিত ছানা খেলে এই সমস্যা কমে। ছানায় যে ধরনের প্রোটিন থাকে, তাতে পেশি মজবুত হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ছানা (Curdled Milk) সব বয়সীদের জন্য খুব উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছানায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের‌ মতো উপাদান থাকে। তাই নিয়মিত ছানা খেলে হাড় মজবুত হয়। বয়স বাড়লে অনেকেই হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই হাঁটু, কোমরের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাঁটাচলাতেও হয়রানি হচ্ছে। তাই হাড়কে মজবুত রাখা জরুরি। নিয়মিত ছানা খেলে এই সমস্যা কমবে। হাড় মজবুত হবে।

    হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে (Curdled Milk)

    হার্টকে সুস্থ ও কার্যকরী রাখতে নিয়মিত ছানা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছেন, ছানায় থাকে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়াতে নিয়মিত ছানা (Curdled Milk) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি, ছানা কোলেস্টেরল কমাতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত ছানা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। শরীর সুস্থ থাকে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় ছানা। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছানায় থাকে প্রচুর ভিটামিন। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ছানা বিশেষ‌ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gallbladder: বাঙালির কেন বাড়ছে গলব্লাডার স্টোন? মহিলা নাকি পুরুষ, কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Gallbladder: বাঙালির কেন বাড়ছে গলব্লাডার স্টোন? মহিলা নাকি পুরুষ, কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গত কয়েক বছরেই বাঙালির একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের পাশপাশি আরেক রোগে কাবু হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। আর তা হল গলব্লাডার স্টোন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে গলব্লাডার (Gallbladder) স্টোনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জীবনযাপনের ধরনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বাঙালিদের মধ্যে এই রোগ বাড়ছে? (Gallbladder)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের ধরনের জেরেই বাড়ছে গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল কিংবা বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হয়। পেটের ডান দিকে যন্ত্রণা, বমি, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলো গলব্লাডার স্টোনের উপসর্গ। গত কয়েক বছরে কোলেস্টেরলের সমস্যা মারাত্মক বেড়েছে। তাই গলব্লাডার স্টোনের সমস্যাও বাড়ছে। এছাড়া ওজন কমাতে অনেকেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডায়েট করছেন। এর জেরে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। তাই গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা আরও বেশি দেখা দিচ্ছে।

    মহিলা নাকি পুরুষ, কাদের বিপদ বেশি? (Gallbladder)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই রোগের বিপদ বেশি। পুরুষেরাও গলব্লাডার স্টোনের সমস্যায় আক্রান্ত হন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। তার অন্যতম কারণ হরমোনের ভারসাম্যের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার পরে মহিলাদের দেহে একাধিক হরমোনের পরিবর্তন হয়। এর জেরে গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা হতে পারে‌। আবার বহু মহিলা দীর্ঘদিন ধরে গর্ভনিরোধক ওষুধ খান। এর জেরেও দেহে হরমোনের ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। তাই গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি দেখা দেয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মহিলারা দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অবৈজ্ঞানিক ভাবে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। বহু সময় পেট খালি থাকার জেরে গলব্লাডার (Gallbladder) স্টোনের ঝুঁকি বাড়ছে।

    গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি কমাতে খাবার অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস বদলে দিতে হবে। সকালের জলখাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। রুটি, সব্জি, ওটস কিংবা যবের তৈরি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। গলব্লাডার স্টোন রুখতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা‌।‌ পাশপাশি দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়বে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া খুব জরুরি। 
    দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যা থাকলে গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ স্থূলতা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তার জন্য অবৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস নয়। বরং নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। খাবারের পরিমাণের দিকে নজরদারি প্রয়োজন। 
    অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার গলব্লাডার স্টোনের (Gallbladder) অন্যতম কারণ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: আগের রাতের রান্না মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে খান? পুষ্টিগুণ থাকছে কি? 

    Nutrition: আগের রাতের রান্না মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে খান? পুষ্টিগুণ থাকছে কি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতের খাবার বাড়তি হলে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা, কিংবা অফিসের তাড়াহুড়ো এড়াতে রাতেই রান্না করে রাখা, এমন অভ্যাস এখন অনেকের। তাড়াতাড়ি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলেই হয়ে গেল। চটজলদি মিটে গেল রান্নার ঝামেলা। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে কমবেশি অনেকেই এভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন অভ্যাসে নিজের বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। অজান্তেই একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সতর্কতা (Nutrition) জরুরি।‌ নিয়মিত এই বাসি খাওয়ার অভ্যাস বদল করতে না পারলেই বিপদ বাড়বে।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি খাবার নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই যাঁরা নিয়মিত বাসি খাবার খান, তাঁদের হজমের গোলমাল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আগের দিনের রান্না করা খাবার, পরের দিন‌ ফের গরম করে খেলে অধিকাংশ সময়েই একেবারেই পুষ্টিগুণ থাকে না। এর ফলে তা কোনও কাজেই লাগে না।‌ বিশেষত বেশ কিছু খাবার বারবার গরম করলে শরীরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি আলুর তরকারি খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, আলু রান্না করার পরে দীর্ঘ সময় রাখলে তাতে ক্লোস্ট্রিডিয়ম বোটুলিনম নামে একরকম ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর জেরে মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পালং শাক বারবার গরম করে খাওয়া বিপজ্জনক (Nutrition) বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। রান্নার পরে বারবার তাকে গরম করলে কার্সিনোজেনিক নাইট্রোসিমাইন্সে পরিণত হয়ে যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক এলার্জি হতে পারে।

    কোন খাবারে একেবারেই না (Nutrition)

    চিংড়ি কিংবা কাঁকড়ার মতো সামুদ্রিক খাবার বাসি না খাওয়ার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সামুদ্রিক মাছের পদে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই পদগুলো রান্না করে গরম গরম খাওয়া যেতে পারে।‌ কিন্তু একাধিক বার ফুটিয়ে খেলে তাতে অন্ত্র এবং পাকস্থলীতে যে কোনও রকমের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যে কোনও রকমের ভাজা জাতীয় পদ একেবারেই বাসি খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তেলেভাজা বাসি খেলে‌ কিংবা পুনরায় ভেজে খেলে এতে নানা রকম রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। যার প্রভাব রক্ত সঞ্চালনে পড়ে। পাশপাশি হজমের গোলমাল (Nutrition) দেখা দিতে পারে। এছাড়া, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে অনেক সময়েই খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায় এমনটাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকের। আবার কেউ কেউ শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে (Obesity) বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের ওজনে নজরদারি জরুরি। দুশ্চিন্তা নয়, বরং সতর্কতা দরকার। তবেই বড় বিপদ এড়ানো‌ যাবে। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগ থেকে কিডনির অসুখ, একাধিক শারীরিক সমস্যায় বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে স্থূলতা। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন চারটি দিকে বাড়তি নজর দিলেই দ্রুত নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চারটি বিষয়ে বাড়তি বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই দ্রুত শরীরের ওজন কমানো যাবে। স্থূলতার সমস্যার সহজে মোকাবিলা করা যাবে।

    সকালে নিয়মিত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের একাংশ মারাত্মক স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। আর তার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন জরুরি। স্থূলতা রুখতে প্রথম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবনের অভ্যাস। তাই নিয়মিত অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে এই দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলে দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হবে। যার জেরে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে (Obesity)। পাশপাশি খোলা মাঠে দৌড়লে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের পেশি মজবুত হবে। তাই কম বয়সীদের সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো।

    অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ 

    শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের মধ্যেই এই সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই স্থূলতা থেকে হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। স্থূলতার (Obesity) দ্রুত মোকাবিলা করতে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্থূলতা রুখতে হলে পিৎজা, বার্গার, হটডগ কিংবা মটনকারির মতো পদ মেনু থেকে বাদ দিতে হবে।

    সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের অনেকেই কাজের চাপে নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে পারেন না। অফিসে ল্যাপটপের সামনে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। কিন্তু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত জরুরি। জুম্বা, অ্যারোবিক কিংবা যোগাভ্যাস, যে কোনও ধরনের শারীরিক কসরত করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্থূলতা রুখতে হলে অন্যান্য কাজের মতোই শারীরিক কসরতের জন্য সপ্তাহে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তু সেটা হতে হবে নিয়মিত। তাই রুটিন জরুরি। অন্তত তিনদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় শারীরিক কসরতের জন্য ব্যয় করতে হবে।

    দিনে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার নয়

    শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে লাগাম টানতে হবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে। ভাত, রুটি কিংবা আলুর তরকারি কতখানি পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে সেদিকে নজর জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে দিনে অন্তত একবার ভাত, আলু জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তবে ওজন‌ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।‌ তার পরিবর্তে শরীর সুস্থ রাখতে (Obesity) সব্জি, ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Nutrition: সন্তানকে খাওয়াতে নাজেহাল! কোন দিকে নজর দিলে সমস্যা মিটবে?

    Child Nutrition: সন্তানকে খাওয়াতে নাজেহাল! কোন দিকে নজর দিলে সমস্যা মিটবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জন্মের প্রথম ছ’মাসের পর থেকেই অধিকাংশ বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার কারণ হয় সন্তানের খাবার। কী খাবার খাওয়ানো হবে, সেই চিন্তার পাশপাশি অনেকেই নাজেহাল হন খাওয়ানোর সময় নিয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া, খেতে বসে টিভি কিংবা মোবাইল ছাড়া খাওয়ানো যায় না অনেককেই। আর এর জেরে ভোগান্তি বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই খাওয়ানোর অভ্যাস স্বাস্থ্যকর না হলে পুষ্টি (Child Nutrition) পর্যাপ্ত হবে না। কী খাবার খাচ্ছে, তার পাশপাশি কীভাবে খাচ্ছে সেটাও জরুরি। অনেক সময়েই শিশুর খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি হয়ে যায়। এর জেরে পুষ্টি ঠিকমতো হয় না। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে শিশুর বিকাশে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয় নজরে রাখলে শিশুর খাবার খাওয়ার সুঅভ্যাস তৈরি করা সহজ হবে। অভিভাবকদেরও ভোগান্তি কমবে।

    কোন দিকগুলি নজরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Child Nutrition)

    পরিবার নিয়ে একসাথে বসে খাওয়া!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই শিশুকে আলাদা ভাবে খাওয়ানো হয়। প্রথম থেকেই বাড়ির সকলের সঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। খাবার খাওয়া শুধু কাজ নয়। বরং খাওয়ার সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো‌ যায়। একসঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ অনুভব করানো দরকার। তাহলে শিশুদের মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ কাজ করবে। পাশপাশি অনেকেই শিশুকে কোলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে খাওয়ায়। এটা একেবারেই সুঅভ্যাস নয়। প্রথম থেকেই পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, খাওয়ানো অনেক সহজ হবে‌।পাশপাশি পরিবারের সঙ্গে একসাথে খাবার খেলে মোবাইল বা টিভি দেখার অভ্যাস এড়ানোও সহজ হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করার অভ্যাস তৈরি হলে সহজেই সব কিছু ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস হবে। এতে মোবাইলে বা টিভির পর্দায় চোখ আটকে থাকবে না (Child Nutrition)।

    নানা রকমের খাবারে অভ্যস্ত করা জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই শিশুকে নানান রকমের খাবারে অভ্যস্ত করা জরুরি। এতে শিশুর খাবারের প্রতি একঘেয়েমি লাগবে না। অনেক সময়েই দেখা যায়, শিশুদের প্রত্যেক দিন এক ধরনের খাবার দেওয়া হয়‌। এর জেরে একঘেয়েমি তৈরি হতে পারে। পুষ্টিকর নানা রকমের খাবার দেওয়া হলে শিশুদের স্বাদবোধ সহজে তৈরি হবে। নানা রকমের সব্জি, ফল, দুধের নানান পদ, মাছ, মাংসের স্ট্রু জাতীয় নানান পদ খেতে দিলে তাদের পুষ্টি (Child Nutrition) ঠিকমতো হবে। আবার বিভিন্ন রকমের খাবারের সঙ্গে পরিচিত হবে। এতে খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকবে‌।

    খাবারের সময়ের মধ্যে ব্যবধান জরুরি!

    শিশুকে সময় মতো খেতে দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি দরকার শিশুর খিদে (Child Nutrition) অনুভব করা। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের পরামর্শ, শিশুর খাবার সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধান জরুরি। খাবারের চাহিদা অনুভব করানোও দরকার। খিদে পাওয়ার আগেই সব সময় পেট ভরে খেলে, অনেক সময়েই খাবার ইচ্ছে তৈরি হয় না। তাই কতক্ষণ পরে খেতে দেওয়া হচ্ছে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। অনেক সময়েই আপাতভাবে হাল্কা খাবার বারবার শিশুকে দেওয়া হলে দিনের বা রাতের ভারী খাবার খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। তাই শিশুকে কখন কী খাবার দেওয়া হবে, কত সময় অন্তর খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেদিকেও নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: সন্তানের বয়স বারো পেরিয়েছে? কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত খেলে কমবে রক্তাল্পতার ঝুঁকি? 

    Anemia: সন্তানের বয়স বারো পেরিয়েছে? কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত খেলে কমবে রক্তাল্পতার ঝুঁকি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তানের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করেন অনেক বাবা-মা। ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে শরীরের বিকাশেও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে শিশুকালের মতোই বয়ঃসন্ধিকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছর বারো বয়স পেরলেই বাড়তি সজাগ থাকা জরুরি। কারণ এই বয়সের পর থেকেই শরীরে একাধিক হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। তাই শরীর ও মনের একাধিক নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে‌। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে দরকার বাড়তি যত্নের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালের সময় থেকেই অনেকে রক্তাল্পতার (Anemia) সমস্যায় ভোগে। বিশেষত মেয়েদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই বছর বারো পেরলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। 

    কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Anemia)

    দিনে অন্তত চারটে খেজুর! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত চারটে খেজুর খাওয়া জরুরি। তাদের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া দরকার। তাহলে শরীরের একাধিক চাহিদা পূরণ হবে। খেজুর খেলে আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে এনার্জির জোগান দিতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দিনের যে কোনও সময় চারটে খেজুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল (Anemia)। 

    প্রাতঃরাশে থাকুক কলা! 

    প্রত্যেক দিনের সকালের জলখাবারে একটা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। নিয়মিত একটা কলা খেলে শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। এতে রক্তাল্পতার ঝুঁকি অনেক কমে‌ (Anemia)। 

    পাতে নিয়মিত থাকবে মোচা, আলু, ব্রোকলি, পালং শাকের মতো সব্জি! 

    শরীরে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত সবুজ সব্জি খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত টমেটো, আলু, পালং শাক, মোচা, ব্রোকলির মতো সব্জি থাকা জরুরি। এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে। শরীরের দূর্বলতা কমবে। ক্লান্তি ভাব থাকবে না (Anemia)। 

    মাছ খেতে হবে! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে আয়রনের জোগান বজায় থাকে। বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের রোজ মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি মাছে থাকে ফসফরাস, ওমেগা থ্রি-র মতো উপাদান।‌ যা হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে‌ (Anemia)। 

    সোয়াবিন কমাবে ঝুঁকি! 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সোয়াবিন খেলেও আয়রনের ঘাটতি কমবে। সোয়াবিন একদিকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে আবার রক্তাল্পতার ঝুঁকিও কমাবে। তাই বারো বছর পেরলেই সন্তানের ডায়েটে নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ (Anemia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Eggs: সকালের জলখাবারে রোজ কি ডিম খান? ডিমের কোন পদ শরীরে রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

    Eggs: সকালের জলখাবারে রোজ কি ডিম খান? ডিমের কোন পদ শরীরে রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবারে অনেকেরই পছন্দ ডিম সিদ্ধ! আবার অনেকেই হাফ সিদ্ধ ডিম (Eggs) খেতে ভালোবাসেন! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে‌। ডিমের উপকার অনেক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ডিম বিপদও বাড়ায়। তাই ডিম খাওয়ার সময় সতর্কতা জরুরি। না হলেই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ডিম কীভাবে খাবেন? (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, একাধিক ভিটামিন এবং প্রোটিন। নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। তাছাড়া, ডিম নিয়মিত খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমে। পেশি মজবুত হয়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে‌। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডিম কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেই নির্ভর করছে ডিম শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারবে কিনা। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, ডিম সিদ্ধ করে খেলেই এর সবরকম পুষ্টিগুণ শরীরে ঢোকে। ডিমের (Eggs) সাদা অংশ এবং কুসুমে দু’রকমের পুষ্টিগুণ আছে‌। সাদা অংশ ক্যালসিয়াম জোগান দেয়। কুসুমে থাকে প্রোটিন এবং ভিটামিন। তাই সিদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। ডিম আধসিদ্ধ করে খাওয়া কিংবা অতিরিক্ত কাঁচা সানি সাইড আপের মতো পদ বানিয়ে খাওয়া, একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, এতে ডায়ারিয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম ঠিকমতো সিদ্ধ না হলে তাতে সালমোনেল্লা নামে এক প্রকার জীবাণু থাকে‌। এতে ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আধ-সিদ্ধ, ঠিকমতো রান্না না হওয়া ডিম একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    দিনে কতগুলি ডিম খাওয়া যেতে পারে? (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম উপকারী। কিন্তু সেটাও পরিমাণ মতো খাওয়া দরকার। তা না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দিনে একটা সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিরিশ বছর পর্যন্ত নিয়মিত কুসুম সহ একটা ডিম খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তিরিশের পরে একটু সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে সপ্তাহে চার দিন কুসুম সহ একটা ডিম (Eggs) এবং বাকি তিন দিন ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যেতেই পারে। তবে যাঁরা অতিরিক্ত শরীর চর্চা করেন, তাঁদের বাড়তি প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তাই তাঁরা একাধিক ডিম একদিনে খেতেই পারেন‌। তবে সেক্ষেত্রে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের‌। কারণ, তাঁদের শরীরের ওজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    শিশুদের নিয়মিত ডিম দেওয়া যেতে পারে? (Eggs)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স আট মাসের পর থেকেই শিশুকে ডিম দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই শিশুকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে ডিম দিতে‌ হবে। না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশপাশি একসঙ্গে গোটা ডিম নয়। বরং অর্ধেক ডিম দেওয়াই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কারণ শিশুদের অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার দিলে হজমের অসুবিধা হতে পারে। তবে বছর দেড়েকের শিশুদের নিয়মিত একটা সিদ্ধ ডিম (Eggs) খাওয়া ভালো বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। কারণ এতে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে! কিন্তু অনেকেই আবার নিয়ন্ত্রণ বলতে একেবারেই রোগা থাকতে চাইছেন। জিরো সাইজে পৌঁছনোর জন্য নিজেই ঠিক করছেন কী খাবেন, কখন‌ খাবেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই রোগা হওয়ার চাহিদায় বাদ দিচ্ছেন খাবার। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সামান্য খাবার খাওয়ার (Dieting) জেরে হচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যাও। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মেনে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ীই হোক ডায়েট। চলতি সপ্তাহ ইটিং ডিস‌অর্ডার উইক। খাওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সচেতন ও সতর্কভাবে খাবারের অভ্যাস না থাকার জেরেই আধুনিক জীবনে নানা রোগের ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন কমানোর ইচ্ছের জেরে অনেকেই খুব কম পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ছে। সব সময়েই ক্লান্তি ভাব দেখা দিচ্ছে। শরীরে মারাত্মক এনার্জি ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরে ভুক্তভোগীরা কোনও কাজ ঠিক মতো করতে পারছেন না। অধিকাংশ সময়েই ভাত, আলু, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট খাবার মেনু থেকে বাদ পড়ছে। এর জেরে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যাচ্ছে না। 
    পাশপাশি এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। এনার্জির ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাই ভুক্তভোগীরা যে কোনও রোগে সহজেই কাবু হয়ে পড়ছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখ কিংবা কোনও সংক্রামক রোগ, যে কোনও সময়েই তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। 
    দীর্ঘ সময়ের খাবারের ব্যবধান ও অতিরিক্ত কম পরিমাণ খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্ত্রের একাধিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। 
    অনেকেই প্রোটিন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন না খেলে (Dieting) পেশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ওজন কমাতে অনেকেই একেবারেই প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    তবে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, একেবারেই কম খাবার খাওয়ার জেরে এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর তাগিদ এক ধরনের অবসাদ তৈরি করে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। এর ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। সামাজিক সম্পর্কেও সমস্যা তৈরি হয়। তাছাড়া, যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন কতখানি ঠিক, এই মাপকাঠি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। নিজের উচ্চতা, বয়স সবকিছুর বিচারে ঠিক ওজন নির্ধারিত হয়। প্রত্যেকের জন্য ‘পারফেক্ট’ ওজনের মাপকাঠি আলাদা। তাই ওজন কমানোর প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিজে নয়, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। তবে পরিমাণ মতো খাওয়া জরুরি। ভাত, রুটি, আলুর মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। নিয়মিত এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। শরীরের প্রয়োজন মতো প্রোটিনও জরুরি।‌ কারণ, প্রোটিন পেশিকে শক্তিশালী করে। হাড় মজবুত করে। তাছাড়া নানা রকমের ফল, বাদাম, খেজুর কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার শরীরে খনিজ পদার্থ, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক চাহিদা পূরণ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রিজারভেটিভ খাবার এবং অতিরিক্ত তেল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ডায়েট তৈরি করার জন্য দরকার পুষ্টিবিদদের পরামর্শ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ডায়েট মেনে চললে (Dieting) উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share