Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দশেক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও করোনা ভাইরাস থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত নয় বিশ্ববাসী। নভেম্বর থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Corona KP2 Flirt) ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতির ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এই প্রজাতির নিকনেম ‘FLIRT’। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতাতেও শেষ ৭ দিনে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ওদিকে মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৯১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন উপপ্রজাতি KP2-এর প্রকোপ বাড়বাড়ন্ত। কলকাতায় নতুন করে করোনার সংক্রমণের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন মানুষ করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কী এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডিজের উপরে হামলা করে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে আড়াইশো জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১২৮ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Corona KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    Arthritis: আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানবেন কীভাবে? ছোট থেকে কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাতে-পায়ে যন্ত্রণাতেই ভোগান্তি আটকে নেই। কিছুক্ষণ একটানা হাঁটাচলা করলেই, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটু, কোমরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আধুনিক জীবন যাপনের জেরে মানুষের শরীরে একাধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর আর্থ্ররাইটিস কেবল ব্যথা-যন্ত্রণার ভোগান্তি বাড়ায় না। এতে আক্রান্ত হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যেমন, হৃদরোগ, ত্বকের সমস্যা, চোখের শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) নিয়ে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন আপনি আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ আর্থ্ররাইটিসের লক্ষণ স্পষ্ট করে‌। প্রথমত, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কোমরে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্ক‌ থাকা জরুরি। লাগাতার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে আর্থ্ররাইটিসের প্রকোপ কমবে। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকে কম বয়সিরাও‌ রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে হঠাৎ পড়ে যান।‌ বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, বুঝতে হবে শরীরের ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) আক্রান্ত হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়। তখন শারীরিক কসরতের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তবেই শারীরিক ফিটনেস বাড়বে। শরীরের ওজন মারাত্মক বেড়ে গেলে আর্থ্ররাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মারাত্মক স্থূলতায় ভোগেন। স্থূলতা দেখা দিলে হাড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। আর্থ্ররাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি জরুরি।

    সন্তানের কোন দিকে নজরদারি ঝুঁকি কমাবে? (Arthritis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর্থ্ররাইটিস আর প্রবীণ বয়সের রোগের সীমারেখায় আটকে নেই। এই রোগের দাপট তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকেরা সচেতন হলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ জরুরি। খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই দরকার ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিম, সমুদ্রের মাছ, ওলিভের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 

    ক্যালসিয়ামের অভাব যেন না থাকে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড় মজবুত হলেই আর্থ্ররাইটিসের (Arthritis) ঝুঁকি কমবে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তাই নিয়মিত ডিম ও দুধ, পনীর, ছানা, মুসুর, ছোলার মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এগুলো হাড় শক্ত করে। 

    নিয়মিত যোগাভ্যাস করা জরুরি (Arthritis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকে। একদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিটনেস বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত শিশুকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করলে আর্থ্ররাইটিসের‌ মতো রোগের ঝুকি কমানো‌ যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘরোয়া উপাদানেই বাজিমাত। বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে অব্যর্থ নিরাময়। জটিল রোগের মোকাবিলা করবে রান্নাঘরের মশলা (Spices)। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজদিনের রান্নায় এমন কিছু মশলার ব্যবহার করা হয়, যাতে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা সম্ভব। কিন্তু কোন‌ মশলায় কোন‌ রোগের মোকাবিলা হবে?

    এলাচে কমবে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি

    সাম্প্রতিক এক‌ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ বিশেষত ছোট এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। পায়েস থেকে মাংস, সব রকমের রান্নায় সুগন্ধের জন্য এলাচের ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই বয়স্ক ও শিশুদের রান্নায় এলাচ ব্যবহার করলে‌ বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হন। বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। ভাইরাসের দাপটে ফুসফুসে নানান সংক্রমণ দেখা দেয়। নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই এলাচ বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপকার দেবে দারুচিনি (Spices) 

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রান্নার পাশাপাশি চায়ে দারুচিনি দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকাও জরুরি। কারণ হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা এড়াতে জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই দারুচিনি বিশেষ সাহায্য করবে।

    হৃদরোগ কিংবা হাড়ের সমস্যা কাবু হবে ধনে গুঁড়োয়

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে অন্তত যে কোনও একটা রান্নায় ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করলে‌ একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধনে গুঁড়োয় থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড। তাই এই মশলা (Spices) রান্নায় ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    রক্তাল্পতা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো জরুরি

    জিরে গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিরে গুঁড়ো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও জিরের উপাদান লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালোভাবে হয়।

    ক্যান্সার সহ একাধিক রোগের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় লবঙ্গ (Spices)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগেরও মোকাবিলা সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। যেমন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। এগুলো‌ দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। পাশপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন এ সহ‌ একাধিক ভিটামিনের‌ জোগান দেয় লবঙ্গ। তাই যে কোনও সংক্রামক রোগের মোকাবিলা করতে বাড়তি শক্তি জোগায় লবঙ্গ। এছাড়াও দেহের প্রতিরোধ‌ শক্তি বাড়ায়।

    পেটের রোগ থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথির গুণ প্রচুর। তাই রান্নায় মেথির ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। পেটের যে কোনও সমস্যায় মেথি বিশেষ উপকার করে। কারণ মেথি লিভার ও পাকস্থলীর জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও মেথির উপাদানগুলো দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Spices)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্কের নতুন নাম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাসঘটিত (West Nile virus) জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সের মানুষ। আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বর এখন কেরলে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার শুধু কেরলে নয়। এই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এর আগেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    কীভাবে আটকানো‌ যাবে এই রোগ? (West Nile virus)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি‌। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে‌। আর সেখান থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়ায়। তাই ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো সরাসরি ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরীরে আসে না। বরং মাধ্যম হিসাবে মশা মানুষের শরীরে এই রোগ আনে। কিউলেক্স মশা এনসেফেলাইটিসর মতো একাধিক রোগের জীবাণু বহন করে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস রুখতেও তাই জরুরি মশার দমন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ (West Nile virus) রুখতে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সম্ভব।

    কখন বিপদ বাড়ায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? (West Nile virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রকোপ ছড়ালে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের আলাদা বিশেষ কোনও উপসর্গ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। তবে গোটা শরীরে র‍্যাশ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে‌। এর জেরে মেরুদণ্ডের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়‌। স্নায়ুতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ এবং টিকা নেই। তাই এই রোগ (West Nile virus) মোকাবিলা কঠিন‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রোগ আটকানোর জন্য যেমন মশার বংশবিস্তার রুখতে হবে, তেমনি জ্বর হলে বা দেহে কোনও লাল রঙের দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে দেহের তাপমাত্রা না বাড়ে।

    কাদের জন্য এই রোগ বাড়তি বিপজ্জনক? (West Nile virus)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়। কারণ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়েস্ট নাইল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাসও স্নায়ুর কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই এই রোগ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম, তাদের জন্য এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরও বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (West Nile virus)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। বাদ নেই ভারত। এদেশেও ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত, কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের দরকার বাড়তি সতর্কতা। খাবার থেকে জীবন যাপন, সব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ না রাখলে পরবর্তীকালে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। আর তার জেরেই আরও শারীরিক ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ দেশের অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাত ও রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। নিয়মিত ভাত কিংবা রুটির মতো খাবার না খেলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা বিশেষত কম বয়সিরা ডায়েট তৈরির আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিন। না হলে‌ অসচেতনতার জেরে বাড়তি ভোগান্তি হতে পারে।

    কেন নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের জোগান থাকা দরকার। না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। ভাত এবং রুটি এই দুই খাবার থেকেই মূলত শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের বাইরে কাজ করতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম বেশি। তাই শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন। ভাত-রুটির মতো‌ খাবার একেবারেই বাদ দিলে বিপদ‌ বাড়বে। শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে ক্লান্তি বাড়বে। মনঃসংযোগ কমবে (Diabetes)। এছাড়াও পেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশপাশি, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি, ফুসফুস এবং হৃদরোগ‌ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান জরুরি। তাই ডায়াবেটিস হলেও মেনুতে নিয়মিত ভাত এবং রুটি রাখা জরুরি।

    কতখানি ভাত-রুটি খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিনের মোট খাবারে অন্তত ৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। কারণ, শরীরে সমস্ত খাবারের ভারসাম্যের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস দরকার। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবারের ভারসাম্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই‌ শুধু ভাত কিংবা অনেকটা পরিমাণ রুটি খাবেন না। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে অবশ্যই ছোলা কিংবা মুসুর ডাল রাখতে হবে। এতে ফাইবার ও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। সঙ্গে রাখতে হবে অন্তত এক বাটি সবজি। বিশেষত পটল, করলা, পালং শাক, লাউয়ের মতো সবজি নিয়মিত খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হবে। এছাড়াও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (Diabetes)। তাই মাছ অথবা মাংস নিয়মিত মেনুতে রাখা জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। ভারসাম্য রেখে নিয়মিত খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে রাতের খাবার সহজপাচ্য হওয়া জরুরি।‌ তাই রাতে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে ছানা, পনীর, সোয়াবিনের মতো পদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooking Oil: ওজন কমাতে রান্নায় তেল একেবারেই বাদ দিচ্ছেন? জানেন কী রোগ হতে পারে?

    Cooking Oil: ওজন কমাতে রান্নায় তেল একেবারেই বাদ দিচ্ছেন? জানেন কী রোগ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্থূলতা রুখতে অনেকেই রান্নায় তেল (Cooking Oil) একেবারেই ব্যবহার করেন না। অনেকই আবার এয়ার ফ্রায়ারেই অধিকাংশ রান্না করেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যেমন অস্বাস্থ্যকর, তেমনি ভালো নয় একেবারেই তেল ব্যবহার না করা, যাকে বলে নো-অয়েল কুকিং। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন একেবারেই তেলবিহীন রান্না খেলে, এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। অতিরিক্ত তেল যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তেমনি তাঁরা বলছেন, তেল খাওয়ার কিছু উপকার রয়েছে। তাই ন্যূনতম তেল অবশ্যই রান্নায় ব্যবহার করতে হবে।

    রান্নায় তেলের ব্যবহার কেন উপকারী? (Cooking Oil)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে রান্নায় যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অধিকাংশ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই অল্প পরিমাণ তেল নিয়মিত রান্নায় দেওয়া দরকার।

    সর্ষের তেলের উপকার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্ষের তেলের তৈরি খাবার খেলে, শরীরে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্সের দারুণ ভারসাম্য তৈরি হয়। এর জেরে ত্বক ভালো থাকে। পাশপাশি চুল পড়ার মতো সমস্যা কমে। একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সর্ষের তেলে (Cooking Oil) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধেও রান্নার এই উপকরণ বিশেষ সাহায্য করে।

    সূর্যমুখী তেলের উপকার (Cooking Oil)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটের জোগান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারি ফ্যাট সহজেই পাওয়া যায় সূর্যমুখী তেল থেকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেলে ম্যানুস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এছাড়াও থাকে ওমেগা থ্রি। তাই এই তেল হার্টের জন্য উপকারী। এছাড়াও থাকে ভিটামিন ই। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রান্নায় পরিমিত সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার শরীরের পক্ষে ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাইস অয়েল থেকে বিশেষ উপকার 

    রান্নায় রাইস অয়েলের (Cooking Oil) ব্যবহার বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই তেল হৃদপিণ্ডের জন্য বিশেষ উপকারী। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই তেলে হার্টের জন্য উপকারী চর্বি থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই থাকে না। তাই এই তেল দিয়ে রান্না করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। পাশপাশি ডায়বেটিস আক্রান্তদের জন্যও এই তেল উপকারী। কারণ এই তেল রক্তে অতিরিক্ত শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণ আনে।

    তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় ন্যূনতম তেল অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার জরুরি। তবে ভিন্ন রকমের তেল মিশিয়ে রান্না করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেল, রাইস অয়েল কিংবা সর্ষের তেল (Cooking Oil) মিশিয়ে রান্না করলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের জোগান ঠিকমতো হয়। ভারসাম্যও বজায় থাকে।

    তেলবিহীন রান্না খেলে কী সমস্যা হতে পারে? (Cooking Oil)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তেলবিহীন রান্না দিনের পর দিন খেলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে একেবারেই উপকারী ফ্যাটের জোগান‌ বন্ধ হতে পারে। এর জন্য হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। একাধিক হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। পাশপাশি ভিটামিন ই-র অভাব শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ই-র জোগান মূলত তেল থেকেই পাওয়া যায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঠিকমতো জোগান পাওয়া যাবে না। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে পারে (Cooking Oil)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের অনুপাতে শরীর বড়ই ছিপছিপে! খাবার নিয়েও নানান বায়না। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন কম থাকে।‌ সন্তানের এই কম ওজন নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা মায়েদের। বিশ্বজুড়ে স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও বহু শিশু কম ওজনের সমস্যায় ভোগে (Child Nutrition)। বিশেষত বছর বারোর পরে বহু শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না। যার প্রভাব পড়ছে তাদের শারীরিক গঠন এবং পড়াশোনার ওপরেও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স অনুপাতে ঠিকমতো‌ ওজন‌ না‌ বাড়লে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। তাই বয়স অনুপাতে ঠিকমতো ওজন বৃদ্ধি জরুরি। এখন দেখা যাক, কোন ধরনের খাবার নিয়মিত দিলে ওজন দ্রুত বাড়াবে?

    দুধের পাশপাশি মেনুতে নিয়মিত পনির থাকুক (Child Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো জরুরি। শুধু এক গ্লাস দুধের পরিবর্তে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা কাজু, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় জিনিস দুধে মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। এগুলো খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায়। দুধ সুষম খাবার। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক উপাদান দুধে রয়েছে। এতে কর্নফ্লেক্স বা বাদাম জাতীয় উপাদান মেশানো হলে‌ শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান বাড়ে। তাই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে দুধের পাশপাশি কয়েকটি দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে সন্তানের ওজন দ্রুত বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনির নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। কারণ, পনীরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। তাই পেশিকে শক্তিশালী করতে বাড়তি সাহায্য করে পনির।

    নিয়মিত ডাল সিদ্ধ বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিয়মিত ভাত, ডাল জাতীয় খাবার খেতে চায় না। বায়নার জেরে ভোগান্তি বাড়ে মায়েদের। কিন্তু সন্তানের পুষ্টির জন্য জরুরি নিয়মিত ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের ডাল খাওয়া জরুরি। ভাতের সঙ্গে ডাল না খেতে চাইলেও, দিনের অন্য সময় ডাল সিদ্ধ মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডালে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার (Child Nutrition)। তাই নিয়মিত ডাল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পেশি শক্তিশালী হয়। ওজন বাড়ে। পাশপাশি দেহে এনার্জির জোগান সহজে‌ হয়‌।

    নিয়মিত ডিম সিদ্ধ বাড়াবে ওজন (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম সিদ্ধ রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে‌ একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম,‌ প্রোটিন। তাই এই জাতীয় খাবার একদিকে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। দুর্বলতা কমায়। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এই‌ সময়ে তাদের শরীরের পরিবর্তন হয়। তাই জরুরি বাড়তি যত্নের।‌ তাই নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের জোগান দেবে। শরীর সুস্থ রাখতে‌ বাড়তি সাহায্য করবে।

    নিয়মিত কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খেলে ওজন বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ওজন বাড়াতে এবং শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় রাখতে এই দুই ড্রাই ফ্রুটস খুবই উপকারী। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। তাই এগুলো শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে‌। অধিকাংশ শিশুই দিনভর ছোটাছুটি করে। পর্যাপ্ত এনার্জি জাতীয় খাবার না পেলে ওজন বাড়বে না। তাই নিয়মিত খেজুর জাতীয় খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জির জোগান পাওয়া যাবে (Child Nutrition)। এর জেরে ওজন ঠিকমতো‌ থাকবে।

    খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশাপাশি জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। এর জেরে বিকাশের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Child Nutrition)। তাই খাবারের পাশাপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই নিয়মিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছোট থেকেই যেন হয়, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের অধিকাংশের অনেক ভোরে উঠতে হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে অভ্যস্ত না হলে ঘুম পর্যাপ্ত হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস তৈরি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    Social Media: দিনরাত চোখ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন রোগের কবলে পড়ছেন জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) চোখ না রাখলে দিন যেন সম্পূর্ণ হয় না। দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন দেওয়া হয়, তেমন আবার নিজের দিনভর নানা কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের। অফিস কিংবা ক্লাসের মাঝেও সময় পেলেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। আবার অনেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করতে করতে সময়ের হিসেব রাখাই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানোর অভ্যাস, একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? (Social Media)

    বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয়তা বাড়ছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের। মূলত তরুণ প্রজন্মের কাছেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো। আমেরিকার একদল গবেষক বিশ্ব জুড়ে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত প্রজন্ম নিয়ে এক গবেষণা চালিয়েছেন। আর সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক বিপদের ঝুঁকির আশঙ্কা। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে শরীর ও মনের একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এই অভ্যাসে তাদের নানা কাজের মধ্যে গভীর প্রভাব পড়ছে। তাই এবিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আসক্তি বাড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া

    মনোরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস আসক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় কাটানোর অভ্যাস মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তার জেরেই এক ধরনের আসক্তি বাড়ায়। আর এই আসক্তির জেরে যে কোনও বিষয়ে আসক্তির প্রবৃত্তি বাড়ায়। এর জেরে সামাজিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে মেশা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ক্রমাগত লাইক, কমেন্ট এবং ফলোয়ার বাড়ানোর ইচ্ছে এই আসক্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে‌। ফলে জটিলতা আরও বাড়ে।

    মনঃসংযোগ নষ্ট করে (Social Media)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটালে মনোসংযোগ নষ্ট হয়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিকাংশ ভিডিও খুব কম সময়ের হয়। তার জেরে বড় কোনও ছবি দেখা কিংবা দীর্ঘ সময় একটি বই পড়ার জন্য যে‌ ধরনের ধৈর্য্য দরকার তা থাকে না। দীর্ঘ সময় ধরে একটা কাজ যত্ন করে করার জন্য যে ধরনের ক্ষমতা প্রয়োজন হয়, মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা কমতে থাকে। যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ হারায়। কোনও কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হলে এক ধরনের বিরক্তি তৈরি হয়। যার প্রভাব কাজে পড়ে।

    ড্রাই আইয়ের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে

    সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে চোখের শুষ্কতার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ড্রাই আই কিংবা চোখের শুষ্কতার মতো রোগ অর্থাৎ, চোখ দিয়ে লাগাতার জল পড়া, চোখ জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া আর চোখে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোবাইলের স্ক্রিনের আলো দীর্ঘ সময় চোখে পড়ার জেরে বিশেষত রাতে অন্ধকার ঘরে দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখার জেরে এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ে।

    সমস্যা এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Social Media)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের ওতোপ্রোত অংশ। কোনও ভাবেই তাকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যাবে না। বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, সরকারি তথ্যও অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারা যায়। তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাদ্দ থাকবে, সে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ সতর্ক না থাকলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়বে। কখনই একটানা আধঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো যাবে না। পাশপাশি , কোনও জরুরি কাজের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সময় কাটানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তবেই মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে প্রচণ্ড গরম। ঘন ঘন লোডশেডিং। রাতে ঘুমের দেখা নেই। তার উপর মশার বাড়াবাড়ি। অনেকেই মশার ধুপ কিংবা স্প্রে (Mosquito Repellent) ব্যবহার করেন। কিন্তু রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অনেকেরই এসবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এই সকল রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আগে অনেকেই ধুপ ব্যবহার করতেন। কিন্তু তাতেও বহু মানুষের নিঃশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়। তাহলে মশা তাড়াবার বিকল্প উপায় কী?

    কর্পূর

    কর্পূর (Camphor) একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান। মশার ধুপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তাঁরা বিকল্প হিসেবে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়া হয় না। যাঁদের নিঃশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কর্পূর একেবারে নিরাপদ। বর্তমানে ভেষজ তেল মিশ্রিত কর্পূরের মশা তাড়ানোর তরল পাওয়া যায়। সেগুলি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করতে পারেন।

    পোশাক

    হাত পা ঢাকা পোশাক পড়লে মশা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায় শরীরের অনাবৃত অংশে মশা বেশি কামড়ায়। তাই খোলামেলা পোশাকের পরিবর্তে শরীরের যতটা অংশ ঢেকে রাখা যায় ততটাই ভাল।

    মশারি

    রাতে শোওয়ার সময় মশারির ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয় না। মশারি (Mosquito Net) ব্যবহার করলে শুধু সাধারণ মশা নয় ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মশা থেকেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

    বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখা

    বাড়ির আশেপাশে আগাছা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন অন্তর বাড়ির আশেপাশে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। বাড়ির আশেপাশে যাতে জল না জমে এবং মশা যাতে বংশবিস্তার না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে নর্দমার যে সকল জায়গায় জল জমা হয় সেখানে কেরোসিন তেল ছড়ালে বসার লার্ভা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মশা বংশবিস্তার করতে পারে না।

    আরও পড়ুন: গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি ঘরে! সাময়িক আরাম কি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

    সঠিক আলোর ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হলুদ আলো মশার বড়ই প্রিয়। তাই ঘরে হলদেটে আলো কিংবা চড়া আলো থেকে বিরত থাকা উচিত। এর পরিবর্তে সাদা আলোতে মশার দাপট অনেকটাই কমে।

    প্রাকৃতিক উপায়

    নিম, সিনামন, ল্যাভেন্ডার ও ইউক্লিপ্টাস ও থাইমের তেল জাতীয় বেশ কিছু প্রাকৃতিক তেলের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। এই তেল তুলোয় মিশিয়ে ঘরের চারকোণে রেখে দিলে মশা পালিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

    শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
    ২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
    ৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
    ৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
    ৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share