Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাশরুম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এটি (Mushrooms) রান্নাঘরের নিত্যদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক বাড়িতেই। এটি দিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, স্যুপ, সবজি ও স্ন্যাক্স তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি যেমন খেতে ভালো, ঠিক তেমনই এর আছে বিভিন্ন উপকারিতা যা কম নয় এবং অনেক মানুষই তা জানেন না।

    মাশরুমের উপকারিতা (Mushrooms)

    ১) বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিরাময়ে মাশরুম: বর্তমানে প্রায় বাড়িতেই ডায়াবেটিস রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই মাশরুম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমের মধ্যে ফ্যাট ও শর্করার পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমানো সহজ হয়ে ওঠে।
    ২) চর্মরোগ প্রতিরোধে মাশরুম: বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন চুলকানি, দাদ প্রভৃতি থেকে মাশরুম (Mushrooms) অনেক উপকার করে। মাশরুম থেকে এমনকি মাথার খুশকি প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়।
    ৩) গর্ভবতী ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ: আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের সমন্বয় আছে এই মাশরুমে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ যেমন স্কার্ভি, পেলেগ্রা প্রভৃতি থেকে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রক্ষা করা যায় এই মাশরুম থেকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে নিয়োসিন ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। 
    ৪) দাঁত ও হাড় গঠন: মাশরুমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম, যা শিশুদের হার ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত উপকারী।
    ৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী: মাশরুমের (Mushrooms) মধ্যে আছে ল্যামপট্রোল, বেটা-ডি, বেনজো পাইরিন, টারপিনোয়েড যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করতে সাহায্যকারী। জাপানের একটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম ক্যান্সার প্রতিহত করতে অত্যন্ত উপকারী। এমনকি ফ্রান্সের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে মাশরুম খান বলে তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব কম। 
    ৫) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: মাশরুমের মধ্যে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন ইরিটাডেনিন, লোভাস্টনিন, এনটাডেনিন, কিটিন, ভিটামিন বি, সি ও ডি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 
    ৬) হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধক: মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন এবং লিংকজাই ৮ নামক এমাইনো অ্যাসিড থাকায় হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    ৭) অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ: শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দিলে মাশরুম (Mushrooms) খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে মাশরুম খুবই উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শ্যাম্পু করেও খুশকি যাচ্ছে না? ঘরোয়া উপাদানেই হতে পারে অসাধ্য সাধন

    Dandruff: শ্যাম্পু করেও খুশকি যাচ্ছে না? ঘরোয়া উপাদানেই হতে পারে অসাধ্য সাধন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শ্যাম্পু করেও কমছে না সমস্যা। বিশেষত বছরের এই সময়ে খুশকির (Dandruff) সমস্যা আরও বাড়ে।‌ তাই বাড়তি ভোগান্তি। শীতের শুরু থেকেই খুশকির সমস্যা বাড়ে। বছরের এই সময়ে অর্থাৎ শীতের শেষে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরেই আছে খুশকিকে‌ মোকাবিলা করার উপাদান।

    কেন হয় খুশকি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুষ্কতার কারণেই মূলত খুশকি হয়। খুশকি আসলে এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। মালাসেজিয়া নামে এক ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি বাড়ে। তবে খুশকি হওয়ার আরেক কারণ অপরিচ্ছন্নতা। মাথার ত্বক‌ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এই ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে। আর সেখান থেকেই খুশকির সমস্যা তৈরি হয়‌। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত শ্যাম্পু করা এবং মাথার চামড়া যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাহলেই খুশকির (Dandruff) সমস্যা মোকাবিলা সহজ হবে।

    কোন ঘরোয়া উপাদান খুশকি কমাতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথার চামড়ার যত্ন নিলেই খুশকি কমবে। তাই নিয়মিত মাথার চামড়া পরিষ্কার রাখা জরুরি। খুশকি ফাঙ্গাস থেকে হয়। তাই জরুরি ফাঙ্গাসের মোকাবিলা করা। আর এই কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। সপ্তাহে তিন-চার দিন নিমপাতার রস মাথার চামড়ার লাগিয়ে আধঘণ্টা রাখার পরে, শ্যাম্পু করলে খুশকি কমবে‌। ফাঙ্গাসের প্রকোপ কমবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, বারো থেকে পনেরোটা নিমপাতা বেটে সামান্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখলে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে। নিমপাতার অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান খুশকি (Dandruff) কমাতে সাহায্য করে।

    লেবুর রস

    নিমপাতার পাশপাশি খুশকি (Dandruff) কমাতে সাহায্য করে লেবুর রস। সপ্তাহে অন্তত একদিন লেবুর রস মাথায় মাখলে খুশকি কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাথার চামড়া শুষ্ক হয়ে গেলে খুশকির রস মাথায় মাখলে সেই সমস্যা কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে একদিন লেবুর রস মাথায় লাগিয়ে পনেরো মিনিট থাকতে হবে। তারপরে শ্যাম্পু্ করলে চুল ভালো থাকবে। লেবুর রসে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি মাথার চামড়া শুষ্ক হতে দেয় না। তাই খুশকি মোকাবিলায় লেবু্র রস বিশেষ উপকারী।

    পেঁয়াজ (Dandruff)

    খুশকি কমাতে পেঁয়াজ বিশেষভাবে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেঁয়াজের রসে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান খুশকি কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে একদিন পেঁয়াজ বেটে তার রস মাথার চামড়ায় লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। তবে পেঁয়াজের রস মাথায় মিনিট দশেকের বেশি রাখা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারপরেই ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। 
    এগুলোর পাশপাশি আপেল ভিনিগারে চুবিয়ে মিনিট দশেক মাথায় লাগিয়ে রাখলে খুশকি (Dandruff) কমতে পারে। তবে ভিনিগারে চুবিয়ে রাখা আপেল চুলে বেশি‌ ব্যবহার না‌ করাই ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে অনেক সময়েই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Almonds: নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া সত্যিই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    Almonds: নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া সত্যিই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    রোজ সকালে ঘুম থেকে অনেকেই কাঠবাদাম (Almonds) খান! আবার অনেকে সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গেও বাদাম খান। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে তার প্রভাব পড়ে। কতখানি স্বাস্থ্যকর নিয়মিত বাদাম খাওয়া? কী বলছেন চিকিৎসকেরা!

    নিয়মিত বাদাম খেলে কী উপকার হতে পারে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে (Almonds) রয়েছে ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। তাই নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। শরীরের পরিপাকতন্ত্রের জন্য কাঠবাদাম খুবই উপকারী।‌
    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি কম বয়সীদের মধ্যেও হৃদসমস্যা বাড়ছে। বিশেষত অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগ‌ মোকাবিলায় খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে ভেজানো বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ, বাদামে থাকে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম। যা রক্ত সঞ্চালনে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগ রুখতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা (Almonds)

    কাঠবাদাম খাওয়ার অন্যতম উপকার হল স্মৃতিশক্তি বাড়ে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের বাড়ছে অ্যালজাইমারের মতো‌ সমস্যা। অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে। আবার শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ জরুরি। অধিকাংশ অভিভাবক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। বাড়ির ছোট থেকে প্রবীণ, সবার জন্য উপকারী কাঠবাদাম। জলখাবারে নিয়মিত কয়েকটা কাঠবাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। কারণ, বাদামে থাকে রিবোফ্লাভিন এবং ক্যারনিটিন।‌ যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। 
    তবে ডায়বেটিস রোগীদের খাওয়ার পরে বাদাম (Almonds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর।‌ তাই নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়বেটিস রোগীরা বিশেষ উপকার পাবেন। তবে সেটা খাওয়ার পরে হলে বেশি‌ ভালো হবে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    খিদে কমে

    বাদাম খেলে খিদে কমে যায়। আবার অতিরিক্ত পরিমাণ কাঠবাদাম (Almonds) একসঙ্গে খাওয়া যায় না।‌ তাই স্থুলতার সমস্যা রুখতে কাঠবাদাম নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি কাঠবাদাম দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমায়। কাঠবাদামে থাকে ওমেগা থ্রি। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    কাঠবাদাম খুবই পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর ফসফরাস আর মিনারেল। ফলে এগুলো‌ হাড় আর দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারী।‌ তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা থাকলে নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। তাহলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Health: দিনভর দুষ্টুমি, লাফালাফি আর দৌড়, রাতে সন্তানের পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা! কীসের ইঙ্গিত?

    Child Health: দিনভর দুষ্টুমি, লাফালাফি আর দৌড়, রাতে সন্তানের পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা! কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দুষ্টুমি। লাফালাফি আর দৌড়। বাড়ির একরত্তির সারাদিনের হৈহৈ কাণ্ডে অস্থির সকলে। কিন্তু রাত বাড়লেই এক সমস্যা। প্রায় রাতেই পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। কখনও কেঁদে উঠছে।‌ সারা রাত পায়ের যন্ত্রণায় ঠিকমতো ঘুমও হচ্ছে না। সন্তানের কেন রাতে পায়ের যন্ত্রণা হচ্ছে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেক বাবা-মা! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্ক হতে হবে। না হলেই এই সমস্যার (Child Health) মোকাবিলা কঠিন হ‌য়ে উঠবে।

    রাত বাড়লেই কেন বাড়ে পায়ের যন্ত্রণা?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিন বছরের পর থেকেই বহু শিশু রাতে পায়ের যন্ত্রণায় কাবু হয়। বছর দশেক পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে‌। ছেলে-মেয়ে কমবেশি সকলেই এই সমস্যায় ভোগে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যার নাম গ্রোইং পেন (Child Health)। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিন বছরের পর থেকেই শিশুর শরীরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিকাশ হয়। অর্থাৎ, হাত-পায়ের হাড় ও পেশির বিকাশ ঘটে। উচ্চতা বাড়ে। বছর দশেক পর্যন্ত বিশেষ ভাবে দৈহিক পরিবর্তন ঘটে। আর তার জেরেই এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। শিশুরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত এই বয়সের শিশুরা দিনভর খুব ‘অ্যাক্টিভ’ থাকে। অর্থাৎ, দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি করে। ফলে, পেশি ও হাড় যথেষ্ট ক্লান্ত থাকে। পাশপাশি এগুলির এই বয়সে নতুন করে গঠন হয়। তাই রাতে বিশ্রামের সময় যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত পেশির যন্ত্রণা বেশি হয়।

    তবে যন্ত্রণা কি গ্রোইং পেন? (Child Health)

    চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, সব রকমের যন্ত্রণা কিন্তু গ্রোইং পেন নয়। তাই অভিভাবকদের সতর্কতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনভর ছটফটে রয়েছে। স্কুল যাওয়া কিংবা খেলাধুলো স্বাভাবিক ভাবেই করছে। রাতে পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা (Child Health) হলেও, সকালে ঘুম থেকে উঠে‌ একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাহলে বুঝতে হবে এটা গ্রোইং পেন। কিন্তু অনেক সময়ে শিশুদের হাড়ে একাধিক সমস্যা হয়। সেই যন্ত্রণা শুধু রাতে নয়, দিনেও হবে। যদি একটানা যন্ত্রণা অনুভব হয়, সারাদিন ক্লান্তিবোধ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। তাছাড়া, জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে হাতে-পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হলে, কখনই শিশুকে অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে অন্য কোনও সমস্যা দেখা‌ দিতে পারে।

    গ্রোইং পেন দেখা দিলে কীভাবে খেয়াল রাখতে হবে?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গ্রোইং পেন দেখা দিলে পেশি আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। তাতে সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে। শিশুদের এই পায়ের যন্ত্রণার জন্য কোনও রকমের ওষুধ বা মলম না লাগানোই ভালো বলে মনে করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক। তবে এই সময়ে পুষ্টির দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে পেশি ও হাড়ের বিকাশ ঘটে। তাই পুষ্টিতে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Child Health)। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি যাতে দেখা না‌ দেয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি দরকার। তাই শুধু ঘরের ভিতরে নয়, সূর্যের আলোতে শিশুদের খেলাধুলো প্রয়োজন। সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। পাশাপাশি হাড়ের শক্তি বাড়াতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম সিদ্ধ, কলা, লেবু খেতে হবে। পাশপাশি বাদাম খাওয়া জরুরি। শরীরে ভিটামিন এবং প্রোটিনের জোগান থাকা জরুরি। তবেই পেশি শক্তিশালী হবে বলে‌ জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। আর পেশি‌ শক্তিশালী হলে গ্রোইং পেন‌ মোকাবিলাও সহজ হবে। তাই মাছ, মাংস, পনির, এবং সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া দরকার। তবেই শিশুর বিকাশ‌ ঠিকমতো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Banana: ছেলের বুদ্ধি খুলছে না? একেবারে ছোট্ট থেকেই নিয়মিত কলা খাওয়ানো অভ্যাস করুন

    Banana: ছেলের বুদ্ধি খুলছে না? একেবারে ছোট্ট থেকেই নিয়মিত কলা খাওয়ানো অভ্যাস করুন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাসে শুধুই মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু তারপরেই ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া হয়। ভাতের পাশাপাশি‌ যেসব ফল নিয়মিত শিশুকে দেওয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে কলা। অধিকাংশ মায়েরাই শিশুকে নিয়মিত কলা (Banana) খাওয়ান। বিশেষত শিশুর সাত-আট মাস বয়স থেকেই কলা দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত কলা খেলে কী হতে পারে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা! 

    শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Banana) 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা হজমে খুব সাহায্য করে। শিশুরা প্রথম শক্ত খাবার খেতে শিখলে হজমের গোলমাল হতে পারে। অনেক শিশুই হজমের সমস্যায় ভোগে। পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে, এই ছয়-সাত মাস বয়সে কলা খাওয়ালে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। কলাতে ফাইবার থাকে। তাই হজমে বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি‌ অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। 
    শিশুরা অধিকাংশ সময়েই খুব ছোটাছুটি করে। ফলে তাদের বাড়তি এনার্জি জরুরি।‌ কলায় থাকে ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন, পটাশিয়াম। এগুলি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া এনার্জিও জোগান দেয়। নিয়মিত কলা খেলে শিশুদের সহজেই ক্লান্তি দূর হবে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    কলাতে ভিটামিন এ থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের জন্য কলা খুব উপকারী। তাই দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাছাড়া, কলায় প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত কলা (Banana) খেলে শিশুদের হাড় শক্ত হবে। 

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা (Banana) 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ‌ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলায় পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। 
    কলায় থাকে আয়রন। তাই হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ও রক্তাল্পতা রুখতে কলা নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেয়েরা রক্তাল্পতায় বেশি‌ ভোগে। যার জেরে পরবর্তী জীবনে নানান সমস্যাও দেখা যায়।‌ তাই ছোট থেকেই নিয়মিত কলা (Banana) খেলে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে। 
    তাছাড়া কলা‌ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। 

    তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করলেই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ানো উচিত। কলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত কলা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে রোগের ভোগান্তি। অনিয়মিত খাওয়া, কম ঘুম কিংবা অতিরিক্ত কাজের চাপ স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা তৈরি করছে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা নানান জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন‌ বাঙালি। তার উপরে অধিকাংশ বাঙালি মহিলা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই (Yogurt) এই সব সমস্যার দাওয়াই। প্রত্যেক দিন একবার মেনুতে টক দই রাখলে, একাধিক সমস্যা কমবে।

    কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে টক দই? (Yogurt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই হাড়ের সমস্যা রুখতে খুব সাহায্য করে টক দই। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। হাড় ক্ষয় রোগের দাপট চল্লিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত মহিলারা টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ফলে হাড়ের সমস্যাও কমবে‌। 
    টক দইতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড।‌ তাই টক দই পরিপাকতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ল্যাকটিক অ্যাসিড ডায়ারিয়া রুখতে সাহায্য করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও মোকাবিলা করে। তাই পেটের সমস্যায় বিশেষভাবে সাহায্য করে টক দই। 
    তাছাড়া, স্থূলতা কমাতে টক দই খুব উপকারী। তাই যাদের ওজন‌ দ্রুত বাড়ছে, মেদ কমানো জরুরি, তাদের নিয়মিত টক দই (Yogurt) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইতে এমন একাধিক উপাদান রয়েছে, যা শরীরে মেদ জমতে দেয় না। 
    পাশপাশি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ মোকাবিলায় টক দই খুব সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইয়ের মধ্যে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত টক দই খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর ফলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। 
    তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি।

    কতখানি টক দই খাওয়া প্রয়োজন? (Yogurt) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দই খুবই উপকারী। কিন্তু এটা প্রয়োজন মাফিক খেতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অতিরিক্ত টক দই খেলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, দেহের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে টক দই খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে ৩০০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন। তার বেশি পরিমাণে টক দই কখনই খাওয়া যাবে না। কারণ, টক দইতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দেহে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আবার নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, ফুসফুসের সংক্রমণ থাকলে অতিরিক্ত টক দই সমস্যা তৈরি করে। কারণ, টক দই ঠান্ডা খাবার। তাই বেশি টক‌ দই খেলে কাশির সমস্যা তৈরি হয়। তাই হাঁপানি বা ফুসফুসের কোনো বড় সমস্যা থাকলে টক দই খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, টক দই দ্রুত ওজন‌ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ টক দই খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই টক দই (Yogurt) খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রোগ (Obesity)। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী কয়েক বছরেই শিশুদের মধ্যে মহামারির আকার নেবে স্থূলতা। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু স্থূলতা রুখতে সচেতনতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্থূলতা রুখতে অনেক অভিভাবক ডায়েট করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ডায়েট অবৈজ্ঞানিক। ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এদিকে শারীরিক জটিলতাও দেখা গিয়েছে। 

    কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? (Obesity)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা অধিকাংশ শিশুদের এখন অন্যতম সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকেই আবার অপরিকল্পিত ডায়েট করছেন। বিশেষত অভিভাবকদের একাংশ শিশুদের জোর করে ডায়েট করাচ্ছেন।‌ আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের চাহিদা ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডায়েট না করলেই সমস্যা হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, বহু অভিভাবক স্যালাড, চিয়া সিড, ডিমের সাদা অংশ শিশুদের খাওয়াচ্ছেন।‌ অনেকেই স্থূলতা রুখতে শিশুদের ভাত কিংবা রুটির পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে কিন্তু শিশুদের মারাত্মক এনার্জির ঘাটতি হচ্ছে। আবার শুধুমাত্র সিদ্ধ বা স্যালাড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরে অন্য ধরনের খাবার একেবারেই হজম করার শক্তি পাচ্ছে না। এগুলো বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে। এর ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আবার অনেক সময়েই একেবারে ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার জেরে তাদের খাওয়ার ইচ্ছে ও চাহিদা চলে যাচ্ছে। এর জেরে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। শরীরের প্রয়োজন বুঝে ডায়েট না করলে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শিশুদের মধ্যে অমনোযোগী মনোভাব বাড়বে। তাছাড়া, শিশুদের একাংশ ধৈর্য হারাবে। এগুলো স্থূলতা (Obesity) রুখলেও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সমস্যা তৈরি করবে। 

    কীভাবে স্থূলতা রুখতে হবে? (Obesity) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জরুরি। কোনও অপরিকল্পিত ডায়েট নয়। বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতোই খাবার দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে ধরনের খাবারে শিশু অভ্যস্ত, তাকে সেই খাবারের মধ্যেই ডায়েট করতে হবে। অর্থাৎ, যেসব শিশুরা ভাত, রুটি, মাছ, মাংসের পদ খেতে অভ্যস্থ, হঠাৎ তাকে শুধুই স্যালাড আর চিয়া সিড টক দই দিলে, তার শরীরে উপকার হবে না। বরং একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। বরং সে কতখানি খাবে সে ব্যাপারে তাকে বোঝানো দরকার। পাশপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনোভাবেই জোর করে ডায়েট করানো‌ চলবে না। বরং নানান থেরাপির মাধ্যমে শিশুকে বোঝাতে হবে কেন স্থূলতা রুখতে হবে। কেন তাকে ডায়েট করতে হচ্ছে। তবেই বেশি কার্যকর হবে। তবে প্রথম থেকেই অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তাতে স্থূলতার সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শুধু ডায়েট নয়। শিশুদের স্থূলতার (Obesity) সমস্যা রুখতে শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিয়মিত যাতে সন্তান শরীর চর্চা করে সে দিকেও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলা অনেকের কাছেই কিছুটা একঘেয়ে। যন্ত্রের উপরে একটানা হেঁটে চলাতেও আগ্রহ কমছে।‌ তবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই আগ্রহের শরীরচর্চা হচ্ছে জুম্বা (Zumba)। তরুণ প্রজন্মের একাংশ তাই শরীরচর্চার অংশ হিসেবে জুম্বাকেই বেছে নিচ্ছেন।

    জুম্বা কী? (Zumba)

    জুম্বা এক ধরনের শরীরচর্চা। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের নাচের শৈলী হিসেবেই কয়েক দশক আগে জুম্বার পরিচিতি ছিল। কিন্তু বেশ কিছু রদবদল হয়ে এখন তা মূলত শরীরচর্চার এক ধরন হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে। গানের তালে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করা হল জুম্বা (Zumba)।

    জিমের থেকে বাড়তি সুবিধা কী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিমে একঘেয়েমি মনোভাব তৈরি হয়। কিন্তু জুম্বায় সেটা নেই। জুম্বায় মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। কারণ, গানের সঙ্গে এক সাথে অনেকে এই শরীরচর্চা করেন। ফলে, একঘেয়েমি থাকে না।‌ এর ফলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। অবসাদ কমাতে বাড়তি সাহায্য করে জুম্বা। এই শরীরচর্চায় সৃজনশীলতা রয়েছে‌। তাই অবসাদ কমাতেও এই শরীরচর্চা উপকারী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ছে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই শরীরচর্চা আগ্রহ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি জুম্বা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হৃদরোগের সমস্যাকে জটিল করে। জুম্বার শরীরচর্চার শৈলী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই শরীরচর্চা (Zumba) বিশেষ উপকারী। 
    ওজন কমাতে ও‌ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই শরীরচর্চা বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জুম্বায় খুব দ্রুত ওজন কমে। নিয়মিত জুম্বা করলে অনেকটাই ক্যালোরি বার্ন হয়। পাশাপাশি দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, এই শরীরচর্চায় ওজন কমে, মানসিক অবসাদ কমে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য জুম্বা বিশেষ উপকারী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই শরীরচর্চায় অংশ নিতে পারেন। তবে কম বয়সীদের জন্যই এই অভ্যাস বেশি কার্যকর বলে মনে করেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এই শরীরচর্চা অনেকটাই পরিশ্রমের। একটানা ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় গানের ছন্দে ক্রমাগত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেমে গেলেই ঠিকমতো শরীরে প্রভাব পড়বে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে প্রবীণদের পক্ষে অসুবিধার হতে পারে। 
    তবে কম বয়সীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জুম্বা (Zumba) অত্যন্ত উপকারী শরীরচর্চা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে। তার সঙ্গে রয়েছে একাধিক ছুটি! তাই সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে হৈ হৈ করে চলছে পিকনিক (Picnic)।‌ শীতের মরশুমে উৎসবের তালিকায় আরেক উৎসব হল এই পিকনিক। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর না রাখলেই ঘটতে পারে বিপদ। মারাত্মক স্বাস্থ্যসঙ্কটও তৈরি হতে পারে। তাই পিকনিকের মরশুমে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কোন দিকে নজরদারি জরুরি? (Picnic) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বনভোজনে খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত হাত পরিষ্কারে বিশেষ নজরদারি জরুরি।‌ অনেক ক্ষেত্রেই খোলা জায়গায় খাওয়া হয়। তাই যে থালায় খাওয়া হচ্ছে, তা আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা, সেটা খেয়াল‌ রাখা দরকার। পাশপাশি, হাত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি।‌ কারণ, এই ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে একাধিক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত পেটের সমস্যা, ডায়রিয়ার মতো বিপদ‌ বাড়তে পারে। তাই হাত পরিষ্কারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Picnic)। 
    জলের ব্যবহারের দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ বিপদ বাড়ায়। তাই বনভোজনের রান্নায় পরিশ্রুত জল ব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজরদারি জরুরি। খাওয়ার জল পরিশ্রুত কিনা, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জল থেকে জন্ডিস সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বনভোজনের জায়গায় শৌচালয় রয়েছে কিনা, তা পরিচ্ছন্ন কিনা, সেগুলোতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক বনভোজনের জায়গায় এই দিকটি একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শৌচাগারে পর্যাপ্ত জল থাকে না। আর এর জেরেই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এগুলোর দিকে নজরদারি জরুরি।

    অতিরিক্ত মদ্যপান? (Picnic)

    শীতের পিকনিকে অনেকের কাছেই মদ্যপান উদযাপনের অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।‌ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মদ্যপান যে কোনও বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।‌
    পাশপাশি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিকের মরশুমে অনেকেই অতিরিক্ত মাংস কিংবা তেলেভাজা খান। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। হজমের অসুবিধা ছাড়াও হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণ মাংসের পদ কিংবা তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা হতে পারে। তাই কতখানি খাবার খাবেন, সে সম্পর্ক সতর্ক থাকা জরুরি। তবেই সুস্থভাবে উদযাপন সম্ভব (Picnic)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক! কোন‌ কোন রোগে আর কার্যকর হচ্ছে না ওষুধ? 

    Antibiotics: যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক! কোন‌ কোন রোগে আর কার্যকর হচ্ছে না ওষুধ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ সর্দি-কাশি‌ কিংবা হাল্কা কোনও চোট লাগলেও দাওয়াই হয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। কখনও ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো কেনা, আবার কখনও নিজেই ঠিক করে খানকতক অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট মুখে পুড়ে দেওয়া। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই রেওয়াজ চলছে। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিয়মিত ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত বেশ কয়েকটি রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের। 

    কোন কোন রোগে সমস্যা বাড়ছে? (Antibiotics) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সংক্রমণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। পালমনোলজিস্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে কাজ করছে না। যে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক অনিয়মিতভাবে অতিরিক্ত খেলে, শরীরে এক  ধরনের প্রতিষেধক শক্তি গড়ে ওঠে। তখন আর অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না। তাই দেখা যাচ্ছে, অনিয়মিতভাবে, অকারণে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না।‌ ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ভোগান্তি বাড়ছে। 
    এছাড়া, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হচ্ছে না।‌ ফলে ভোগান্তি বাড়ছে। 
    এছাড়া যে কোনও দুর্ঘটনার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ঠিকমতো শরীরে প্রভাব ফেলছে না।‌ এর জেরে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Antibiotics) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিতভাবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।‌ সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা হাল্কা চোট লাগলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। বরং এই ধরনের সমস্যার অন্য ওষুধ রয়েছে। তাই অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। একমাত্র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। 
    তবে ফুসফুসের সংক্রমণ কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা এড়াতে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের অন্যতম কারণ জল কম খাওয়া। এছাড়া, ক্র্যানবেরি জুসের মতো ফলের রস নিয়মিত খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি এলাচ, রসুন, লেবু, তুলসি পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের সংক্রমণে ঝুঁকি কমে। কারণ, এগুলিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সংক্রমণের ঝুঁকি কমলে ভোগান্তিও কমবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share