Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tuberculosis: ফুসফুসেই নয়, হাড়েও হানা দিচ্ছে যক্ষ্মার জীবাণু! কীভাবে চিনবেন এই রোগ?

    Tuberculosis: ফুসফুসেই নয়, হাড়েও হানা দিচ্ছে যক্ষ্মার জীবাণু! কীভাবে চিনবেন এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লাগাতার কাশি, জ্বর, দুর্বলতা। আর তার সঙ্গে হঠাৎ মুখ থেকে রক্ত পড়ার মতো উপসর্গের বিষয়ে অনেকেই জানেন। ফুসফুসে যক্ষ্মা (টিবি) হলে এমনই লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টিবি শুধু ফুসফুসে নয়। হাড়েও হানা‌ দিচ্ছে এই জীবাণু। কিন্তু এই টিবির (Tuberculosis) উপসর্গ অনেকটাই আলাদা। অনেক সময়েই সচেতনতার অভাবে এই রোগ প্রাথমিক পর্বে চিহ্নিত হচ্ছে না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগ দেরিতে নির্ণয় হওয়ায় চিকিৎসা শুরু করতেও অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে বিপদ বাড়ছে। তবে প্রথম থেকেই সতর্ক হলে এই রোগ মোকাবিলা সম্ভব। এমনকি খাবারে বিশেষ নজরদারি রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম হয়। তাই হাড়ের যক্ষ্মা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

    কীভাবে এই রোগ‌ চিহ্নিত করা সম্ভব? (Tuberculosis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইক্রোব্যাকটেরিয়াল টিউবারকুলেসিস জীবাণুর জন্য হাড়ে যক্ষ্মা রোগ হয়। মূলত অপুষ্টি, সঠিক পুষ্টির অভাবের জেরেই হাড়ে এই রোগ বাসা বাঁধে।মেরুদণ্ডেই মূলত এই রোগ সংক্রমণ দেখা‌ যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, লাগাতার যন্ত্রণা এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। হাত ও পায়ের হাড়ের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। আবার কখনও কখনও আক্রান্ত হাড়ের নির্দিষ্ট অংশে অসাড়তা অনুভব করেন।‌ তবে এর পাশপাশি শরীরের ওজন মারাত্মক কমে যাওয়া হাড়ের টিবির অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া রাতের দিকে অত্যাধিক ঘাম হওয়া এবং হালকা জ্বর আসার উপসর্গ দেখা দেয়।

    হাড়ের যক্ষ্মা রুখতে কী ডায়েট মেনে চলা জরুরি? (Tuberculosis) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঠিকমতো খাবার না খাওয়ার জেরেই হাড়ের যক্ষ্মার মতো রোগ দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই খাবার না‌ থাকা মূল কারণ হয় না। আক্রান্তেরা জানেন না, কী ধরনের খাবার খেলে এই রোগ রুখতে পারবেন। তাই তাদের ভোগান্তি হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খেলে হাড়ের যক্ষ্মার মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সম্ভব হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দিন দুয়েক খিচুড়ি খাওয়া উচিত। খিচুড়িতে চাল ও বিভিন্ন রকমের ডালের পাশপাশি থাকে নানান রকম সবজি। এমন একটা খাবার হয় সহজপাচ্য। আবার শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সবকিছুর চাহিদা পূরণ করে। তাই খিচুড়ি খেলে অপুষ্টির ঝুঁকি কমে। নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছেন, টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। এটি হজম শক্তি বাড়ায়। আবার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। তাই হাড় মজবুত হয়। টিবির মতো রোগ রুখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি (Tuberculosis)। 

    পালং শাক, রসুন, কমলালেবু, পেয়ারা, সবুজ আপেল

    পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন‌ এবং আয়রন। এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। দেহে‌ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দিনে অন্তত একটি তরকারিতে রসুন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল শক্তি। এর জেরে যে কোনও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে‌ রসুন‌ সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে টিবির ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। 
    কমলালেবু, পেয়ারা, সবুজ আপেলের মতো ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক বেশি। তাই হাড়ের যক্ষ্মার মতো রোগ (Tuberculosis) রুখতে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: তাপমাত্রার হেরফেরে‌ বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা! রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

    Dengue: তাপমাত্রার হেরফেরে‌ বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা! রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের আঁচে পুড়ছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু দিন দুয়েকের মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছিল। তাপমাত্রার পারদও তাই ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া বেশ খামখেয়ালী। আর এই পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ‌ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে। শীতকালে কিছুটা সংক্রমণ কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। গরম পড়তেই কলকাতার মতো বড় শহর থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল, সর্বত্র মশার দাপট শুরু হয়েছে। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। আর এই তাপমাত্রার রকমফের সেই বিপদ আরও বাড়াচ্ছে।

    কেন‌ এই আবহাওয়ায় ডেঙ্গির বিপদ‌ বাড়ছে? (Dengue)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র নিকাশি প্রক্রিয়া ভালো নয়। তার জেরে বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে। জমা জলে মশা বংশবিস্তার করে। আর গরমে মশার উপদ্রব আরও বাড়ে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, বৃষ্টি এই সময়ে লাগাতার হবে না।‌ কিন্তু দিন কয়েকের বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় জমা জলের সমস্যা থাকবে। আর তার জেরেই বাড়বে‌ ডেঙ্গি। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি অব্যাহত। তাই এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক‌ হবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ সক্রিয় না‌ হলে চলতি বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এই বছরে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। বিশেষত যাঁরা একবার আক্রান্ত হয়েছেন, ফের তাঁরা ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।‌ আর তার জেরে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে। প্রথম থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে প্রশাসন কড়া মনোভাব না দেখালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বলেই আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ (Dengue)

    হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা সহ একাধিক জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকা‌ একেবারেই চোখে পড়ে না। তাদের অভিযোগ, চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব। নর্দমা পরিষ্কার কিংবা মশানিধন কর্মসূচি, কিছুই চোখে পড়ে না। এমনকি সময় মতো এলাকা পরিষ্কার করে না পুরসভা। এমন অভিযোগ হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম সহ একাধিক পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। যার ফলে তাদের ডেঙ্গির ভোগান্তি লেগেই আছে বলে জানাচ্ছেন এই সব এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।

    কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা?

    রাজ্য প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসন‌ যথেষ্ট সক্রিয়। বছরভর কর্মসূচি চলছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজও চলছে। তবে ডেঙ্গি নির্মূল সম্ভব নয়। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রশাসন যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। ডেঙ্গি রুখতে সব রকম কর্মসূচি চলছে। তারপরেও কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি পুরসভা কিংবা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো যায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্য রসিকদের অনেকেরই পছন্দের পদ! তবুও জলের পোকা বলে বদনাম তার আছেই! চিংড়ি (Prawns) নিয়ে তাই নানা লোকের নানা মত! অনেকেই মনে করেন, চিংড়ি খেলেই পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিংড়ির উপকার একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা চিংড়ি খেলে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে, চিংড়ির পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দেখা যাক, কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে চিংড়ি?

    সহজে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, তাই পেশির সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিংড়ি খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হয়। দেহের ৪২ শতাংশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম চিংড়ি। দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো সহজে পূরণ হলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষত পেশির সমস্যা সহজেই কমানো‌ যায়। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই পেশিতে ব্যথা ও দুর্বলতা তৈরি হয়। চিংড়ি (Prawns) প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করায় সহজেই পেশির সমস্যা কমে।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়িতে (Prawns) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং আয়োডিন। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আয়োডিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই এখন স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভুগছেন। চিংড়ি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হাড়ের শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আছে। এই উপাদানগুলো হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। দেশজুড়ে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই চিংড়ি মাছ খেলে হাড় মজবুত হবে। হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে। এমনই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, মিনারেল। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে চান? কোন‌ পাঁচ সবজি নিয়মিত খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করা? 

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে চান? কোন‌ পাঁচ সবজি নিয়মিত খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পৃথিবী জুড়ে‌ বাড়ছে ডায়াবেটিসের (Diabetes) সমস্যা।‌ বাদ নেই ভারত। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে। প্রবীণদের পাশপাশি এই রোগে আক্রান্ত কম বয়সিরাও। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, যে হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম একাধিক রোগে ভুগতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনি, চোখ থেকে বন্ধ্যাত্ব সহ একাধিক শারীরিক সমস‌্যার কারণ ডায়াবেটিস। তাই যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাই প্রয়োজন আগাম সচেতনতা। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। মূলত খাবারেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার ঠিকমতো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজে সম্ভব। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়তি নজর থাকুক খাবারে। কিন্তু কোন সবজি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে?

    রোজ মেনুতে থাকুক পালং শাক ও ব্রোকলি (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পালং শাক ও ব্রোকলি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পাশপাশি অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশপাশি পালং শাকে থাকে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

    ঢ্যাড়শ নিয়ন্ত্রণে রাখবে রক্তে শর্করার পরিমাণ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঢ্যাড়শ নিয়মিত খেলে শরীরে একাধিক উপকার হয়। বিশেষত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢ্যাড়শ বিশেষ সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ শিশুদের বিশেষ করে নিয়মিত ঢ্যাড়শ খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঢ্যাড়শে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। এগুলো‌ দেহের খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে। ফলে কিডনি ও পাকস্থলী ভালো থাকে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ায়। তাই শিশুদের ডায়বেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমাতে ঢ্যাড়শ বিশেষ উপকারী।

    পটল খেলে কমবে ঝুঁকি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পটলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-র পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা যেমন নিয়মিত পটল খেতে পারেন, তেমনি যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তারাও ডায়বেটিস রুখতে নিয়মিত পটল খেতে পারেন। এতে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। এর ফলে, এই সবজি চোখ ও ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পটলের তরকারি খেলে শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী (Diabetes)।

    ঝিঙে ডায়বেটিস রুখতে বিশেষ সাহায্য করে (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঝিঙেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি৬। তাই নিয়মিত ঝিঙে খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজে হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwaves: গরম পড়তেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাচ্ছেন? জানেন‌ কী ধরনের বিপদ‌ হতে পারে? 

    Heatwaves: গরম পড়তেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাচ্ছেন? জানেন‌ কী ধরনের বিপদ‌ হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এপ্রিল মাসের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকছে (Heatwaves)। আবহাওয়ার এই অস্বস্তির জেরে অনেকেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাচ্ছেন। কিন্তু লাগাতার ফ্রিজের জল খাওয়ায় হতে পারে একাধিক বিপত্তি। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল খেলে সমস্যা বাড়বে। তাই নিয়মিত ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?

    ব্রেন ফ্রিজের সমস্যা হতে পারে! (Heatwaves)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল খেলে ব্রেন ফ্রিজের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল রক্ত সঞ্চালনের উপর সরাসরি আঘাত করে। এর ফলে মস্তিষ্কে এর প্রভাব পড়ে। মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। একেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেন ফ্রিজ বলা হয়। মাথায় যন্ত্রণা এবং কোনও বিষয়ে মনোনিবেশ করতেও সমস্যা হয়। তাই নিয়মিত ঠান্ডা জল খাওয়ার আগে এই দিকে নজর দেওয়া জরুরি। যদি মাথাব্যথার সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত ঠান্ডা জল না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হজমের সমস্যা বাড়ে ঠান্ডা জলে!

    নিয়মিত ঠান্ডা জল বিশেষত ফ্রিজে রাখা জল খেলে হজমের সমস্যা বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরমে (Heatwaves) হজমের সমস্যা বাড়ে। তার উপরে ফ্রিজের জল বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা আরও বাড়ায়। কারণ, ফ্রিজের জল মাংসপেশিকে সঙ্কুচিত করে। এর জেরে পেশি‌ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর জেরে হজম দেরিতে হয়। তাই নিয়মিত ফ্রিজের জল খেলে বিপদ বাড়ে।

    হাত ও পায়ের যন্ত্রণা (Heatwaves)

    নিয়মিত ফ্রিজের জল খেলে হাত ও পায়ের পেশিতে এবং পেটে যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজে রাখা জল দেহের রক্ত সঞ্চালন এবং পেশির উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর জেরে একদিকে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয় না, আরেকদিকে পেশিও সঙ্কুচিত হতে থাকে। ফলে, পেটে ব্যথা এবং হাত ও পায়ের যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত প্রবীণদের এই সমস্যা বেশি হয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে তাপমাত্রার ওঠানামা প্রায় হয় (Heatwaves)। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস, সেই বিপদ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা জল খাওয়ার জেরে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে নানান সংক্রমণ দেখা দেয়। গলাব্যথার মতো উপসর্গ তা‌ জানান দেয়। আর তার জেরেই ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে। তাই নিয়মিত ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave Directives: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    Heatwave Directives: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা দেশ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রত্যেকের। মাস দুই আগে যে শীতকাল ছিল তা বোঝার কোনও উপায় নেই এখন। গরমে বাড়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও। নিজেকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে কী কী করবেন বা কী কী এড়িয়ে চলবেন- তারই এক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যেখানে উঠে এসেছে একাধিক বিষয় বিন্দু।

    পর্যাপ্ত জল খেতে হবে আমাদের

    এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে আমাদের সকলকে, তৃষ্ণার্ত (Heatwave Directives) না থাকলেও জল খেতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হওয়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। মন্ত্রকের পরামর্শ, যেখানেই যাবেন সঙ্গে করে জলের বোতল নিতে হবে। শাক-সবজি এবং ফলমূল খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। যেমন, তরমুজ, কমলালেবু, আঙুর, শশা- এই সমস্ত ফল খাদ্য তালিকায় বেশি রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    গরমে বাইরে না বেরনোর পরামর্শ

    গরমে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Heatwave Directives)। কিন্তু কর্মসূত্রে প্রত্যেককেই বাইরে হয়ত বেরোতে হয়। সে সময় কী ধরনের পোশাক আপনার পরনে থাকবে তাও বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই সময় হালকা সুতির জামা পরা সব থেকে ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোদে বের হলে আপনার মাথা যেন ঢাকা থাকে ছাতা, টুপি বা যেকোনও ধরনের টাওয়েল।

    বাড়ির জানলা বন্ধ করে রাখুন

    খালি পায়ে কখনোই যেন রাস্তায় হাঁটবেন না এ বিষয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় নাগরিকদের ঠান্ডা এবং ছায়া শীতল স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। সূর্যের আলো এবং উত্তাপ ঘরে যাতে না আসে সেজন্য সবসময় জানলা বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে। জানলা একেবারে সন্ধ্যাবেলাতেই খোলার পরামর্শ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর পাশাপাশি যদি বাইরে বের হতেই হয়, সেক্ষেত্রে বিকালের পরে অথবা সকালে বের হতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    কাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সব থেকে বেশি

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন কোন বয়সের জনসাধারণের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রবল থাকে। শিশু এবং যুবকদের মধ্যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর পাশাপাশি বাইরে যাঁদেরকে কাজ করতে হয় তাঁদেরও প্রবল ঝুঁকি থাকে। গর্ভবতী মহিলা, মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন যাঁরা, শারীরিকভাবে অসুস্থ বিশেষত হৃদরোগে আক্রান্তরা, এর পাশাপাশি যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাঁদেরও হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বহু গুন থাকে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    তাপপ্রবাহের সময়ে বাইরের জনবহুল স্থানগুলিকেও এড়িয়ে চলার পরামর্শ

    প্রখর তাপপ্রবাহের সময়ে বাইরের জনবহুল স্থানগুলিকেও (Heatwave Directives) এড়িয়ে চলতে বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর পাশাপাশি সর্বদাই হাইড্রেট থাকার কথা বলছে মন্ত্রক। তাপ প্রবাহের কারণে কোনও কিছু অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা জানানো হয়েছে। প্রত্যেককে প্রতি কুড়ি মিনিট অন্তর এক কাপ করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি সূর্যালোক এড়িয়ে চলতেও বলা হয়েছে। সমস্ত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করতে। যাতে তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থতা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

    অ্যালকোহল-চা-কফি এড়িয়ে চলুন

    বাইরে প্রখর সূর্যের তাপে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরকে বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। যাঁরা রান্না করেন, তাঁদেরকে প্রখর সূর্যের তাপে রান্না করতে নিষেধ করা হয়েছে। যে সময়ে রান্না করবেন সেই সময়ে যেন ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকে, তাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রখর তাপপ্রবাহে অ্যালকোহল-চা-কফি, এই সমস্ত কিছুকে এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে তার ভিতরে শিশু অথবা পোষ্যদের রাখবেন না

    গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে তার ভিতরে শিশু অথবা পোষ্যদের রাখতেও নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ভিতরে উষ্ণতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এমনিতেই ১৮তম লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে চারিদিকে মিটিং মিছিল করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ যে দিনের বেলাতে দুপুরে যে কোনও রকমের ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।

    টোল ফ্রি নম্বর চালু মন্ত্রকের

    যে কোনও ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, তাঁকে প্রথমে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে এবং ঠান্ডা জল খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, দেহের তাপমাত্রাও মাপতে হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে। ১০৮ বা ১০২ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলতে হয়েছে যদি কোথাও তাপজনিত অসুস্থতা দেখা যায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Care: গরম বাড়তেই সন্তানের পেটের অসুখে জেরবার? এই আবহাওয়ায় কীভাবে যত্ন‌ নেবেন? 

    Child Care: গরম বাড়তেই সন্তানের পেটের অসুখে জেরবার? এই আবহাওয়ায় কীভাবে যত্ন‌ নেবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরম বাড়তেই একাধিক শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। হঠাৎ ভ্যাপসা গরমে তাই নাজেহাল অনেকেই। বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বেশি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়তেই আবহাওয়ার অনেকটাই বদল হয়েছে। আর তার জেরেই বাড়ছে অস্বস্তি। একাধিক শারীরিক সমস্যায় অনেক শিশুই ভুগছে (Child Care)। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে পেটের সমস্যা। হজমের গোলমাল আর পেটের সমস্যার জেরে অধিকাংশ শিশু দুর্বল হয়ে পড়ছে। অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়ার হজমের গোলমাল ও পেটের সমস্যার জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। তাই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে অভিভাবকদের কয়েকটি‌ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই শিশুদের ভোগান্তি কমবে। এই গরমেও তারা সুস্থ থাকবে। গরমে পেটের অসুখের ভোগান্তি কমাতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞেরা?

    তাড়াহুড়ো নয়, চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকুক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুকে একেবারে নরম, গলা খাবার দেওয়া হয়, যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। একটু বড় হওয়ার পরে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ে তাদের হজমের একাধিক সমস্যা হয়। তাই প্রথম থেকেই চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস জরুরি (Child Care)। এর পাশাপাশি‌ স্কুল পড়ুয়াদের অনেকে আবার তাড়াহুড়োর জেরে ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খায় না।‌ কিন্তু খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে খেলেই হজমের সমস্যা অনেক কমে যাবে। তাই সন্তান ঠিকমতো চিবিয়ে খাচ্ছে কিনা, সেদিকে‌ নজরদারি জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    দিনভর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস জরুরি (Child Care)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক শিশুই খাওয়ার সময় অত্যাধিক জল খায়। জল দিয়ে ভাত বা রুটি জাতীয় খাবার গিলে নেওয়ার অভ্যাসও অনেকের থাকে। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। এর জেরে পাকস্থলীতে গ্যাসের সমস‌্যা তৈরি হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার সময় একেবারেই জল খাওয়া চলবে না।‌ তাঁদের পরামর্শ, দিনভর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। দিনভর জল ঠিকমতো খেলে হজমের সমস্যা কমে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কম হয়। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। তাই দিনভর পর্যাপ্ত জল যাতে সন্তান খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি।

    সময়মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সময় মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক শিশুই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খায় না। জলখাবারের সময়েও তাদের হেরফের হয়। এর জেরে পেট খালি থাকে। ফলে হজমের সমস্যা দেখা যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর, নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানো জরুরি (Child Care)। তবেই হজম ঠিকমতো হবে।পেটের গোলমাল এড়ানো সহজ হবে।

    গরমে মেনুতে থাকুক হালকা খাবার (Child Care)

    সন্তানকে কী খাওয়ানো হচ্ছে, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে তার সুস্থতা। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় একেবারেই হালকা জাতীয় খাবার দেওয়া দরকার। সহজে হজম হয় এমন খাবার খেলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমবে। তাই দুপুর বা রাতে সব্জি, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় কিংবা প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা‌ (Child Care)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়মিত বাদাম (Nuts) অনেকেই খান। বিশেষত অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ান। কিন্তু সব বাদামেই কি এক ধরনের উপকার পাওয়া যায়? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক ধরনের বাদামে রয়েছে আলাদা রকমের উপকার। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝে বাদাম খেলে তবেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে। শিশুদের খাওয়ানোর সময়েও সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তবেই বাদাম শরীরে কার্যকর প্রভাব দেখাতে পারবে।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে চিনাবাদাম! (Nuts)

    মুড়ি হোক কিংবা চায়ের সঙ্গে অনেকেই চিনাবাদাম খান। বাড়ির ছোটরাও এই ধরনের বাদাম খেতে ভালোবাসে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনাবাদামে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ম্যাগনেশিয়াম।‌ এর জেরে এই বাদাম নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয়। শিশুদের জন্য এই বাদাম তাই বিশেষ‌ উপকারী। আর ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এই বাদাম হার্টের জন্য উপকারী। এই বাদাম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও‌ কমে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্থূলতা আর কোলেস্টেরলের মোকাবিলা করবে হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট!

    হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট, এই দুই বাদাম সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত কোলেস্টেরল কমাতে সেলেনিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিয়মিত এই দুই ধরনের বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি ব্রাজিল নাট (Nuts) স্থূলতা কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্যও এই দুই বাদাম বিশেষ উপকারী।

    রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে পেস্তা বাদাম! (Nuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পেস্তা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেস্তায় থাকে ফাইবার। এই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। তাছাড়া, পেস্তায় থাকে ফসফরাস, ম‌্যাগনেশিয়াম এবং কপার। এই উপাদানগুলো‌ চোখের জন্য উপকারী। তাই শিশুদের নিয়মিত পেস্তা খাওয়ালে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় কাজু!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কাজু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজুতে থাকে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশপাশি কাজু দাঁত মজবুত করে। তাই শিশুরা নিয়মিত কাজু খেলে (Nuts) দাঁত মজবুত হবে। এতে দাঁতের সমস্যা কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে আখরোট!

    স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আখরোট। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্ক ও শিশুদের নিয়মিত আখরোট খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আখরোটে রয়েছে ভিটামিন বি, সি‌ এবং ই। তাছাড়া রয়েছে ফসফরাস। আখরোট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া আখরোট (Nuts) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই শিশু ও বয়স্কদের আখরোট বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম! (Nuts)

    ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান ত্বক, চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। পাশপাশি এই বাদাম দেহে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, আক্রান্তের পাশপাশি বাকি সদস্যের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ তাহলে আগে থেকেই দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Summer: ভ্যাপসা গরমে ঘামে নাজেহাল! কোন ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর? 

    Summer: ভ্যাপসা গরমে ঘামে নাজেহাল! কোন ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে রাখলে সুস্থ থাকবে শরীর? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে অস্বস্তি। ঘামের জেরে নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। ছোট থেকে বড়, সব বয়সিরাই হঠাৎ গরম আর ঘামের জেরে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘামের জেরে অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। স্কুল যাতায়াত করেই পড়ুয়ারা ক্লান্ত। তার জেরে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান নিত্যসঙ্গী করলেই ঘামে নাজেহাল হওয়া (Summer) কমানো যায়। এবার দেখা যাক, ঘাম আর গরমকে হারাতে কোন ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    মৌরি ভেজানো জল

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে মৌরি ভেজানো জল অন্তত এক গ্লাস খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি শরীর ঠান্ডা রাখে। মৌরি ভেজানো জল এই শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। পাশপাশি জলের চাহিদা মেটাবে। ডিহাইড্রেশনের (Summer) ঝুঁকি কমবে। এই আবহাওয়ায় শরীরে জলের জোগান দেওয়া জরুরি। তাই মৌরি ভেজানো জল বিশেষ উপকারী।

    নিয়মিত এক গ্লাস তরমুজের রস! (Summer)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত এক গ্লাস তরমুজের রস খেলে ঘামের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হবে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার পরে অন্তত এক গ্লাস তরমুজের রস দেওয়া দরকার। তরমুজের মতো রসালো ফল শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি ঘামের ক্লান্তি দূর করতেও সক্ষম। কারণ, তরমুজে রয়েছে প্রচুর শর্করা। তাই তরমুজ খেলে সহজেই শরীর এনার্জি ফিরে পায়। ঘামের জেরে শরীরের যে দুর্বলতা তৈরি হয়, তরমুজ তা দূর করতে সক্ষম।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন আপাতত বাদ, পাতে থাকুক সবুজ সব্জি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ ভ্যাপসা গরমে শরীরে অস্বস্তি বাড়ছে। এর জেরে হজমের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন আপাতত বন্ধ রাখা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, মটন কারি, কাতলা কালিয়ার মতো অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। বরং পটল, পেঁপে, কাঁচকলা, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জির তরকারি নিয়মিত খেলে বাড়তি উপকার (Summer)। এগুলো শরীর ঠান্ডা রাখে। হজম সহজে হয়। ফলে, শরীরে অস্বস্তি কমে। ঘাম কম হয়।

    ইচ্ছেমতো আইসক্রিম আর প্যাকেটজাত নরম পানীয় থাকুক নিয়ন্ত্রণে!

    হঠাৎ অস্বস্তিকর গরমে অনেকেই আরাম পাচ্ছেন আইসক্রিম আর নরম পানীয়তে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরে বিপদ বাড়ছে‌। শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এর জেরে কাশি, গলাব্যথা এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে (Summer)। তাই এই আবহাওয়ায় এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eye Protection: একরত্তির চোখে চশমা! সন্তানের চোখ ভালো রাখতে কী করবেন?

    Eye Protection: একরত্তির চোখে চশমা! সন্তানের চোখ ভালো রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাওয়ার সময় হোক কিংবা স্কুলের হোম ওয়ার্ক শেষ করা,‌ অধিকাংশ শিশুর চোখ আটকে থাকছে‌ মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে। পড়াশোনা থেকে বিনোদন, সবটাই এখন নির্ভর করে ইন্টারনেটের ওপর। তাই বাড়ছে চোখের সমস্যা। কারণ স্ক্রিন টাইমের জেরে চোখের ভিতরের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে ড্রাই আই-এর সমস্যা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে দৃষ্টিশক্তি কমছে। খুব কম বয়স থেকেই বহু শিশুকেই চশমা পরতে হচ্ছে। সন্তানের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে চিন্তিত বহু অভিভাবক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে তাই খাবারে বিশেষ নজরদারি (Eye Protection) জরুরি।

    কীভাবে সন্তানের চোখের যত্ন নেবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্ক্রিন টাইম নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কতক্ষণ একটানা মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে সন্তান চোখ রাখবে, সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাশপাশি দিনে একাধিকবার চোখ পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। তবে এই সবকিছুর পাশাপাশি নজর দিতে হবে কোন ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে। কারণ, কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে (Eye Protection)।

    কোন খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা? (Eye Protection)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত ছোট মাছ খাওয়া জরুরি। পুঁটি, মৌরলা, ছোট চিংড়ির মতো মাছ নিয়মিত খেলে চোখের উপকার হয়। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। কারণ এই মাছে ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি থাকে। যা চোখের জন্য উপকারী (Eye Protection)। এর পাশাপাশি নিয়মিত আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলকিতেও ভিটামিন ই থাকে। তাই নিয়মিত খাওয়ার পরে আমলকি খেলে চোখ ভালো থাকে। 

    যষ্ঠিমধু ও ডিমের কুসুম 

    যষ্ঠিমধু চোখের জন্য বাড়তি উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধে সঙ্গে যষ্ঠিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খেলে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে। নিয়মিত ডিম খেলে বিশেষত ডিমের কুসুম খেলে চোখের একাধিক সমস্যা কমে (Eye Protection) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের কুসুমে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। শরীরে ভিটামিন, বি, সি এবং ই-র মূল জোগান দেয় ডিমের কুসুম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে চোখের সমস্যা কমে। 

    পালং, পুঁই, লাউয়ের মতো শাক (Eye Protection)

    সন্তানকে নিয়মিত বিভিন্ন রকম শাক খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ শাক যেমন, পালং, পুঁই, লাউয়ের মতো শাক নিয়মিত খেলে চোখ ভালো থাকে। কারণ এই ধরনের শাক চোখকে ইউভি রশ্মি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এর জেরে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে (Eye Protection)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share