Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Malaria Day 2024: প্রচণ্ড গরমেও বাড়ছে ম্যালেরিয়া! কীভাবে চিনবেন? মোকাবিলাই বা করবেন কীভাবে?

    World Malaria Day 2024: প্রচণ্ড গরমেও বাড়ছে ম্যালেরিয়া! কীভাবে চিনবেন? মোকাবিলাই বা করবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের দাপট চলছেই। আর তার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ! ম্যালেরিয়ার (World Malaria Day 2024) দাপটও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমেও কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় অনেকেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সচেতনতা থাকলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে।

    কেন হয় ম্যালেরিয়া?

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া মশাবাহিত রোগ। স্ত্রী অ্যানোফিলিস‌ মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। এই মশা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে এই রোগ সংক্রমণ হয়। ম্যালেরিয়াকে প্রথম পর্যায়ে চিহ্নিত করতে হবে। তবেই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া World Malaria Day 2024) নিয়ে সতর্ক আর সচেতনতা না বাড়লে এই রোগ মহামারির আকার নিতে পারে। তাই এই রোগ নিয়ে জনসচেতনতা জরুরি।

    এই রোগের উপসর্গ কী? (World Malaria Day 2024) 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রোগের নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ রয়েছে‌। সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তবেই এই রোগ মোকাবিলা করা সহজ হবে‌। প্রথমত, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের প্রচণ্ড জ্বর হয়। গায়ের তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অত্যাধিক ঘাম হতে থাকে। আবার শরীরে মারাত্মক ক্লান্তিবোধ বাড়ে। দূর্বল লাগে। এক ধরনের যন্ত্রণাও অনুভব হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক থাকা দরকার। জ্বরের সঙ্গে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত রক্তপরীক্ষা জরুরি। রোগ নির্ণয় করলে তবেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে। তাঁরা অবশ্য জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার ওষুধ রয়েছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। পাশপাশি পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, অন্যদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা যথেষ্ট।

    ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কী খাবেন? আর কী এড়িয়ে চলবেন? (World Malaria Day 2024) 

    ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য চিকিৎসার পাশপাশি পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস থাকা দরকার। তা না হলে এই রোগে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যায়। ফলে অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার মতো বিপদও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। অন্তত কয়েক মাস এই ধরনের খাবারে রাশ টানতে হবে‌। কারণ ম্যালেরিয়া হলে তার প্রভাব পড়ে লিভার ও পাকস্থলীতে। অন্ত্রেও প্রভাব পড়ে‌। ফলে হজম শক্তি কমে‌। তাই কী ধরনের খাবার খাওয়া হবে, সেটা নির্বাচন জরুরি। আবার পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যায়। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন কখনই বাদ দেওয়া যাবে না। তাই স্ট্রু, স্যুপ জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডিম সিদ্ধ নিয়মিত খেতে হবে। যাতে সহজে এই প্রাণীজ প্রোটিন হজম হয়। আবার শরীরের পেশি শক্তিশালী হয়‌। দুর্বলতা কমে। 
    পাশপাশি, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভিটামিন বি এবং সি জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে। লেবু, বিট জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। তাতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হবে‌। তবে ময়দা ও পনির জাতীয় খাবারে রাশ টানতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার অনেক সময়েই হজম হয় না।‌ তাই অন্য ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে (World Malaria Day 2024)।
    কীভাবে ম্যালেরিয়া রুখবেন?
    পতঙ্গবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রয়োজন প্রশাসনের সক্রিয়তা ও জনসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ম‌্যালেরিয়া আটকানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমতে দেওয়া চলবে না। পার্ক হোক বা বাগান, অপরিচ্ছন্ন থাকলেই মশা বংশবিস্তার করবে। আর মশার উপদ্রব বাড়লে, ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়বে। তাই এলাকা পরিষ্কার করা জরুরি‌। কোনও এলাকায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত একাধিক হলে, সেই এলাকায় প্রশাসনিক স্তর থেকে সতর্কতা জারি করতে হবে। কারণ, তাতে এলাকাবাসী সচেতন হবেন। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোবেন, জ্বর হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এই বাড়তি সতর্কতা প্রচারের দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবেই ম্যালেরিয়ার (World Malaria Day 2024) দাপট কমানো সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: প্রবল গরমেও ত্বক শুষ্ক, ফাটছে ঠোঁট! কীভাবে যত্ন নেবেন? 

    Heatwave: প্রবল গরমেও ত্বক শুষ্ক, ফাটছে ঠোঁট! কীভাবে যত্ন নেবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বাড়ছে‌। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। এই তীব্র গরমে একাধিক শারীরিক সমস্যার মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্বকের সমস্যাও। এই গরমে (Heatwave) ত্বকের শুষ্কতা আরও বেড়েছে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত এ দেশের আবহাওয়ায় ত্বকের শুষ্কতা শীতকালে বেশি দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামে ত্বকে র‍্যাশ জাতীয় সমস্যা কিংবা সান বার্নের মতো অসুবিধায় ভোগেন অধিকাংশ রোগী। কিন্তু এবছরে গরমে বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে ত্বকের শুষ্কতা। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন জরুরি। পাশপাশি কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে চললেই শুষ্কতা কমানো যাবে। তবেই এই গরমেও এড়ানো যাবে ত্বকের সমস্যা।

    কোন দিক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Heatwave) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম থেকে বাঁচতে, আরামের জন্য অধিকাংশই এসির মধ্যে থাকছেন। আর এই অতিরিক্ত এসিতে থাকাই বিপত্তি বাড়াচ্ছে। কারণ, অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শুষ্কতা বাড়ে। তাছাড়াও অনেকেই এই সময়ে ছুটির দিনে সুইমিং পুলে সময় কাটান। অতিরিক্ত সময় সুইমিং পুলে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কারণ, সুইমিং পুলের জলে পিএইচ মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। তাই ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীরে জলের ঘাটতিতে শুষ্কতার সমস্যা বাড়ছে। গরমে (Heatwave) অনেক সময়েই প্রয়োজন‌ মাফিক জল খাওয়া হয় না। যতখানি ঘাম হয়, শরীর থেকে জল বের হয়, ততটা জল খাওয়া হয় না। এর ফলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই তিনটি বিষয়ে নজর দিলে শুষ্কতার সমস্যা কিছুটা কমানো যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কি এই সমস্যার সমাধান রয়েছে? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস এই গরমেও ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে, ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ‌ভাবে‌ সাহায্য করবে।

    তরমুজ, লেবু, ডাবের জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে (Heatwave) শরীর সুস্থ রাখতে কিছু ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পাশপাশি তরমুজ, লেবুর মতো রসালো ফল নিয়মিত খেতে হবে। এগুলো শরীর ও ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না। এছাড়া, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই লেবুর রস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়াও এই গরম মোকাবিলা করতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ত্বক ভালো থাকে।

    সপ্তাহে অন্তত একবার মধু মাখলে কমবে সমস্যা (Heatwave)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে মধু মাখলে উপকার পাওয়া যাবে। মধু ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ত্বক‌ মসৃণ করে।

    নিয়মিত টক দই দেবে বাড়তি উপকার

    ত্ব‌ক ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই লিভার ভালো রাখে। লিভার সুস্থ থাকলে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে। তাই এই গরমে (Heatwave) ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Plastic Pollution: ফ্রিজে প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখছেন? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    Plastic Pollution: ফ্রিজে প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখছেন? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সোমবার ছিল ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে। পরিবেশ, প্রকৃতি সম্পর্কে আরও একটু সতর্ক আর সচেতন হওয়ার দিন। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে প্লাস্টিকের দাপট। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই প্লাস্টিক শুধু জল, মাটির ক্ষতি করছে না। মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে মানুষের স্বাস্থ্যের। প্লাস্টিকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু অসচেতনতার জেরে মানুষ লাগাতার প্লাস্টিকের ব্যবহার করছেন। গরম খাবার দোকান থেকে কিনে আনার সময় হোক, কিংবা বাড়ির তৈরি খাবার অতিরিক্ত হলে ফ্রিজে ভরে রাখার সময়, দেদার ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখার রেওয়াজ এখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে। আর তার জেরেই শরীরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে (Plastic Pollution)। তাই বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের জিনিসে খাবার খাওয়া কিংবা খাবার রাখলে সতর্ক হতে হবে। এখন দেখে নেওয়া যাক, প্লাস্টিকের জিনিসে রাখা খাবার কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

    গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কে কুপ্রভাব

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের পাত্রে বিভিন্ন স্তর থাকে। সেগুলোতে থাকে ক্ষতিকারক মোনোমার। এই মনোমার হল এক ধরনের কৃত্রিম ইস্ট্রোজেন হরমোন। তাই প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা খাবার গরম করে গর্ভবতীকে খেতে দিলে, তার শরীরে এই কৃত্রিম হরমোনের প্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর জেরে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হয়। বিশেষত শিশুর হাইপার অ্যাকটিভ, অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।

    হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Plastic Pollution)

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রেখে নিয়মিত খেলে হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের পাত্র হয় নরম। এই নরম করার জন্য ফ্যালেটন নামে একপ্রকার উপাদান মেশানো হয়। এটার জেরেই হার্ট ও লিভারে উপরে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়। তাই হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    একাধিক স্নায়ুর রোগের কারণ

    প্লাস্টিক বাড়িয়ে দেয় স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি। এমনই জানাচ্ছেন দেশের গবেষক-চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্টাইরিন সহ একাধিক মনোমার প্লাস্টিকের পাত্রে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের মনোমার স্নায়ুর উপরে প্রভাব ফেলে। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে (Plastic Pollution)। তাই মাথাব্যথা, অবসাদ, অবসন্নতার মতো একাধিক সমস্যা বাড়ে। নানান জটিল স্নায়বিক‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

    স্তন ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায় (Plastic Pollution)

    প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খেলে, দেহে কৃত্রিম হরমোনের প্রবেশের ঝুঁকি তৈরি হয়। আর তার জেরেই ডায়াবেটিস এবং স্তন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের দেহে কৃত্রিম ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রবেশের ফলে, দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আবার পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জেরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, রোজের জীবনে বাদ দিতে হবে প্লাস্টিক। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু দেশের মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষত খাবার কেনা ও রাখার পাত্র হিসাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়েও সতর্কতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ভারতে সে নিয়ে সচেতনতার হার আরও বাড়ানো‌ দরকার বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত খাবার রাখার জন্য প্লাস্টিক একেবারেই উপযুক্ত নয়। বিশেষত খাবার গরম করা বা দীর্ঘ সময় খাবার রাখার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাচের পাত্রে খাবার রাখা যেতে পারে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করার ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক নয় (Plastic Pollution), বরং কাচের পাত্রে গরম করা উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজমের গোলমাল নিত্যসঙ্গী? প্রায় দিন‌ খাওয়ার পরে বমি হয়? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হতে হবে। পরবর্তীতে বাড়তে পারে বিপদ। লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নন অ্যালকোহলিক লিভারের অসুখ ভারতে আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষা। দেশের সাম্প্রতিক এক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা‌ গিয়েছে, নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ এ দেশে কয়েকগুণ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে এ দেশে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এখন দেশে ৯৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগে ভুগছেন পুরুষ, মহিলা। এমনকী শিশুরাও লিভারের নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে (World Liver Day)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তবেই লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ঠিকমতো‌ খাদ্যাভ্যাস থাকলে‌ এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    লিভারের বিপদ কে বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে। এই কথা অনেকেই জানেন। সে নিয়ে সচেতনতাও রয়েছে। কিন্তু মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগ হতে পারে। আর তার জন্য কিছু খাদ্যাভ্যাস দায়ী। একথা অবশ্য অনেকেই জানেন না। তাই দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগের প্রকোপ বাড়ছে (World Liver Day)। এমনকী শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ওয়ার্ল্ড লিভার ডে উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকেরা এই বিষয় সম্পর্কে সচেতন করেছেন।

    চিনি খাওয়ার অভ্যাসে বদল জরুরি (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনি লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরাসরি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে একাধিক রোগের কারণ হয়। পাশপাশি ক্যান্ডি, ললিপপ জাতীয় খাবার, যা মূলত চিনি দিয়েই তৈরি করা হয়, সেগুলোও লিভারের ক্ষতি করে।‌ তাই নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি কিংবা ক্যান্ডি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা বদল জরুরি। না হলে লিভারের অসুখ হতে পারে।

    অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারের অভ্যাস। তরুণ প্রজন্মের একাংশ বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা চাইনিজ খাবারে অভ্যস্ত। জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবার বলতে অনেকেই বোঝে ফাস্টফুড। এমনকী কলেজ বা অফিস ফেরত খাবারের তালিকায় থাকে চাউমিন, এগরোল কিংবা পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের মতো খাবার‌। এই ধরনের খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এগুলো লিভারে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রকম অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ বলা জরুরি।

    কুকিজ, পেস্ট্রিতে লাগাম জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, যে কোনও ধরনের বেকড করা খাবার অতিরিক্ত খেলে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কুকিজ, পেস্ট্রির মতো খাবারে লাগাম জরুরি।‌ নিয়মিত কখনই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (World Liver Day)।

    নরম পানীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের ক্ষতি হয়, এই নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সোডামিশ্রিত নরম পানীয় যে একই রকম ক্ষতিকারক, সে নিয়ে সচেতনতা খুবই কম। তাই গরম হোক কিংবা যে কোনও উৎসব উদযাপনের আনন্দে, এই ধরনের সোডামিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় লাগাতার খাওয়া হয়। এমনকী পরিবারের খুদে সদস্যেও এই ধরনের পানীয় খায়। তাই লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে।

    কীভাবে সুস্থ থাকবে লিভার?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কিছু খাবার বাদ দেওয়ার পাশপাশি লিভার সুস্থ রাখতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তবেই রোগের ঝুঁকি কমবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত সবুজ সবজি খেতে হবে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় সবজির থেকে শরীর প্রোটিন পেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ সবুজ সবজি থেকে পাওয়া প্রোটিন সহজপাচ্য হয়। তাই পালং শাক, লাউ, ব্রোকলির মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকে।

    তাছাড়া নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে (World Liver Day)।

    প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন লিভার সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত জল জরুরি। তাই নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল খেতে হবে। পাশপাশি ডাবের জল, ফলের রস খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ এগুলো‌ শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। আবার প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।

    লিভার সুস্থ রাখতে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ বাদামে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ লিভারের জন্য উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে বড় মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (World Liver Day)।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Insurance: এবার ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা!

    Health Insurance: এবার ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রসারিত হল স্বাস্থ্যবিমার (Health Insurance) পরিসর। স্বাস্থ্যবিমা করার ক্ষেত্রে কাটল বয়সের গেরো। এবার পঁয়ষট্টি বছরের ঊর্ধ্বেও করানো যাবে স্বাস্থ্যবিমা। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা করার বয়স সীমাবদ্ধ ছিল ৬৫ বছর পর্যন্ত।

    স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন কারা? (Health Insurance)

    নয়া বিধি অনুযায়ী, বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যে কেউই স্বাস্থ্যবিমা কিনতে পারবেন। বিমার ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় আইআরডিএআই। তারা জানিয়েছে, যাঁরা বিমা করাবেন, তাঁরা যে কোনও বয়সের মানুষেরই স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন (Health Insurance)। তাঁরা সিনিয়র সিটিজেন, পড়ুয়া, শিশু, মাতৃত্ব এবং অন্য যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন। বিমা নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমাকারী সংস্থাগুলি বয়সের কারণ দেখিয়ে আর কাউকে স্বাস্থ্যবিমা করানোয় বাধা দিতে পারবে না।

    নয়া সিদ্ধান্ত কেন জানেন?

    দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও সংযুক্ত করতে এবং বয়স্কদেরও বিমার আওতায় আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা। পঁয়ষট্টি বছরের ঊর্ধ্বে মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাই।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    কেবল বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালুই নয়, স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে আরও একটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জটিল বা দূরারোগ্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিমা করানোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হত। অনেক রোগের ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা মিলত না। বিমা নিয়ামক সংস্থার নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে গুরুতর অসুস্থ বা জটিল কোনও রোগ, যেমন ক্যান্সার, হার্ট ফেলিওর, রেনাল ফেলিওর কিংবা এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও বিমা করাতে পারবেন।

    এতদিন স্বাস্থ্যবিমার ওয়েটিং পিরিয়ড ছিল ৪৮ মাস। তা কমিয়ে ৩৬ মাস করা হয়েছে। যার অর্থ হল, এখন থেকে স্বাস্থ্যবিমা করানোর তিন বছরের পর থেকেই চিকিৎসায় বিমা কভারেজ পাওয়া যাবে। আগে থেকে শরীরে থাকা কোনও রোগের চিকিৎসাও অন্তর্ভুক্ত হবে কভারেজের (Health Insurance)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    Heatwave: তাপমাত্রা বাড়তেই গা গরম? সন্তানের শরীর জ্বরে পুড়ছে? কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ বাড়তেই (Heatwave) নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের একাধিক সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি সতর্ক না হলেই বিপদ বাড়বে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। একই অবস্থা রাজ্যের অন‌্যান্য জেলাগুলোতেও। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্র গরম বাড়বে। অস্বস্তি থাকবেই। আর এই পরিস্থিতিতেই শিশুদের এক বিশেষ সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী ধরনের জ্বর দেখা দিচ্ছে?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে শিশুদের জ্বর হচ্ছে। কিন্তু কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কারণে এই জ্বর নয়। একে জ্বর বলতেও নারাজ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বাড়ছে‌। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের শরীর আরও বেশি মানিয়ে নিতে পারছে না। পরিবেশের তাপমাত্রার (Heatwave) সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা মানিয়ে নিতে না পারলে অনেক সময়েই এই সমস্যা দেখা যায়। তাই বাইরে গরমের জেরে অনেক শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে দেখা যাচ্ছে, অনেক সময়েই শরীরের তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একে Heat exhaustion বলা যেতে পারে। শিশুদের এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। কারণ, পাঁচ বছরের কম বয়সি অধিকাংশ শিশুর ঘাম কম হয়। আর তার জেরেই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Heatwave) 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে জল বেশি পরিমাণে খাওয়ানো জরুরি। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মূত্রত্যাগের পরিমাণ কমছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দেড় থেকে দু’গুণ পরিমাণ জল খাওয়া বাড়াতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া জরুরি। তিন বছরের উর্ধ্বে শিশুদের গরমে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করতে ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে ডাবের জল। 
    তরমুজ জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই আবহাওয়ায় (Heatwave) রসালো ফল খাওয়া দরকার। তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো ফল শিশুরা খেলে একদিকে এনার্জির জোগান হবে আরেকদিকে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ফলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    প্রাণীজ প্রোটিনে সতর্কতা

    পাশপাশি প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া কতটা পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন শিশুকে দেওয়া হবে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন সহজপাচ্য নয়। তাই পরিমাণের দিকে বিশেষ‌ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার (Heatwave) পাশাপাশি ঝিমিয়ে থাকলে, হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি কিংবা অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। যাতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক না‌ হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    Panta Bhat: এই গরমে হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি ‘পান্তা ভাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাস থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্য দেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের তেজে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তাপপ্রবাহের (heat wave) সতর্কবার্তাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আর এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই হল চ্যালেঞ্জের। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। আর এই নাজেহাল পরিস্থিতিতে পান্তা ভাতের (Panta Bhat) উপকারিতা ভীষণ। এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, হিট স্ট্রোকের (heat stroke) ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। শরীরে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের বিপদ কমায় এই ‘পান্তা ভাত’।

    আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনেনি পান্তা ভাতের উপকারিতা

    পুষ্টিগুণের দিক থেকে পান্তাভাত একশোয় একশো

    রিহাইড্রেশন পান্তা ‘বডি রিহাইড্রেটিং ফুড’ হিসেবে পরিচিত। পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে।

    উপকারি ব্যাকটেরিয়া

    প্রোবায়োটিক্সে ভরপুর পান্তা ভাত। যা হজম শক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পান্তা সারাদিন কাজ করার জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

    অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি

    বিজ্ঞানীদের মতে পান্তাভাত পিএইচ ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবার।

    কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

    ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। অন্যদিকে পটাশিয়ামের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও অনিদ্রার সমস্যা দূরেও বিশেষ সহায়ক এই পান্তা ভাত।

    আরও পড়ুনঃ নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    গবেষণা কী বলছে?

    পান্তাভাতের প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ চিকিৎসকেরাও। গবেষণা বলছে যে আগের দিন রেঁধে রাখা ভাত জল দিয়ে রেখে দিলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও পান্তা ভাত (Panta Bhat) খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে। অসুখ-বিসুখ নাকি সহজে কাবু করতে পারে না। তাছাড়া খরচও কম আর খেতেও বেশ সুস্বাদু। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার ফেলে পান্তা ভাত খেয়ে কারও গায়ের জোর হতে পারে এটা ভাবাই যায় না। তাই আর দেরি নয় এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কাল থেকেই শুরু করুন পান্তা খাওয়া। রাত্রে খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভাতে জল ঢেলে সারারাত রেখে দিন। অথবা সকালের তৈরি গরম ভাতে জল ঢেলে রাত্রে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, লেবু সহযোগে তৃপ্তি করে খান পান্তা ভাত।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নতুন বছরের শুরুতে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ চিরন্তন। পেট পুজো আর মিষ্টি মুখ, নতুন বছর বরণে এই দুইয়ের জুটি সুপারহিট। কিন্তু উৎসবের খানাপিনা অনেক সময়েই বাঙালির বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষত এই আবহাওয়ায় তাই সচেতনতা আরও বেশি দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ বাংলা নতুন বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়ার পারদ চড়ছে। তার উপরে অতিরিক্ত ভুরিভোজ, বাঙালির ডায়াবেটিস (Diabetes) আর দেহের ওজন নিয়ে আরেকটু চিন্তা বাড়িয়ে দিল। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে গরম আবহাওয়ায় অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। তার উপরে নতুন বছরের শুরুর বাড়তি খাওয়াদাওয়া সেই বিপদ আরও বাড়ায়‌। এর জেরে অনেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। পাশপাশি ওজন বাড়ে। তাই এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কীভাবে এই দুই সমস্যার সমাধান সম্ভব? (Diabetes) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীরের ওজন ধরে রাখতে নিয়মিত হাঁটা জরুরি। গরমের জেরে দিনের অন্যান‌্য সময় শারীরিক কসরত করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ভোরে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। তাই ভোরে অন্তত চল্লিশ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হবে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে‌।কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে লাগাম টানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আলু, গাজর, ভাতের মতো খাবারে কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই দ্রুত ওজন ও ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে এই ধরনের খাবারে লাগাম টানতে হবে। তাহলে দুই সমস্যাই সমাধান হবে (Diabetes) ।

    দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু

    পটল, করলার মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু হয়। আর পটলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের সবুজ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষ করে মটন, বিরিয়ানি, কেক জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই ধরনের খাবারে দ্রুত ওজন বাড়ে। আবার এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় (Diabetes)।

    অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে (Diabetes) 

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘুমের ব্যাঘাত একদিকে স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। আরেক দিকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রাতের ঘুম না হলেই শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই রাতে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বেশি রাত পর্যন্ত না‌ জাগার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত গরম জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উপাদান ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে‌ (Diabetes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Hemophilia Day 2024: এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    World Hemophilia Day 2024: এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেটে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রক্তপাত বন্ধ হতেই চায় না। এই সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে। আজ অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস (World Hemophilia Day 2024)। হিমোফিলিয়া বা রক্ত বন্ধ না হওয়ার সমস্যায় ভুগছে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও অল্পবয়সী মেয়েরা। হিমোফিলিয়ার সমস্যা সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই এই সমস্যায় সচেতনতা (awareness) গড়ে তুলতে ১৭ এপ্রিলকে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে প্রতি ১০,০০০ জন্মে ১ জন (পুরুষ ও মহিলা) হিমোফিলিয়ায় ভুগছেন।

    কেন হয় হিমোফিলিয়া(World Hemophilia Day 2024)?

    সাধারণত বাবা অথবা মা, অথবা উভয়ের কাছ থেকেই এই রোগ শিশুর দেহে বাহিত হয়। আসলে, কখনও কখনও জন্মের পরে, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, ক্যানসার, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কখনও কখনও গর্ভাবস্থায়, ক্লোটিং ফ্যাক্টর প্রোটিন তৈরিকারী জিনটির সমস্যা হতে শুরু করে। যা এই রোগের কারণ হতে পারে । এমন অনেক জন্মগত রোগ রয়েছে, যেগুলির সময়মতো চিকিৎসা (Treatment) না হলে পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এরকম একটি মারাত্মক রোগ হল হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024)।

    রোগের লক্ষণ

    যে শিশুরা হিমোফিলিয়া (World Hemophilia Day 2024) নিয়ে জন্মায় তাদের শরীরে সহজে কালশিটে পড়ে বা ভিতরে ভিতরে রক্তপাত হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত শরীরের বিভিন্ন গাঁটের কাছে রক্তপাত হয়। রক্তপাতের সময় গাঁটে অস্বস্তি বা কোনও রকম ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়াও দুর্ঘটনা বা আঘাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষত থেকে অবিরাম রক্তপাত৷ ঘন ঘন নাক থেকে রক্তপাত (Bleeding)৷ মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং দাঁত অপসারণ বা ভাঙার পরে বা যেকোনও ধরনের অস্ত্রোপচারের পরে রক্তপাত বন্ধ করতে দেরি বা অক্ষমতা। টিকা বা ইনজেকশনের পরে রক্তপাত এই রোগের লক্ষণ৷

    আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায়, বিশেষ বুলেটিন হাওয়া অফিসের

    যদি চিকিৎসা না করা হয় তা হলে জয়েন্ট স্টিফনেস হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গাঁট ফুলে উঠতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, হিমোফিলিয়া (Hemophilia) নামের মারাত্মক রোগটি শিশুর জন্মের পর থেকেই ৮ এবং ৯ ফ্যাক্টরের অভাবের কারণে ঘটে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিমোফিলিয়া কখনই সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব নয়। তবে সচেতন থাকলে চিকিৎসার মাধ্যমে গুরুতর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি! কোন পাঁচ রোগের দাপট বাড়ছে? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    Heatwave: তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি! কোন পাঁচ রোগের দাপট বাড়ছে? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরম বাড়ছে! তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগামী কয়েক দিন এই অস্বস্তিকর গরম (Heatwave) থাকবে। রাজ্যের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা আরও বাড়বে। কলকাতা, হাওড়া সহ একাধিক শহরে গরমে মানুষের নাজেহাল হওয়াও অব্যাহত থাকবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে বাড়বে একাধিক রোগের ঝুঁকি! তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে সমস্যা আরও বাড়বে‌। তাই স্বাস্থ্য নিয়ে আগাম সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয় নজরে রাখলেই বিপদ কমবে। এই গরমেও শরীর সুস্থ থাকবে।

    কোন কোন রোগের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা? (Heatwave)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে বাড়ছে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি। গরমে শরীরে জলের পরিমাণ কমবে। বিশেষত যাঁরা বাইরে যাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীরে জলের পরিমাণ আরও কমছে। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশন হলে হাত-পায়ে খিঁচুনি হয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছয় না। আর তার জেরে প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশনের পাশাপাশি এই গরমে বাড়ে পেটের সমস্যা। যা যথেষ্ট বিপজ্জনক। বিশেষ করে পেটের সমস্যা শিশুদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বারবার পায়খানা হলে একদিকে যেমন শরীরে দুর্বলতা বাড়ে, ক্লান্তি আরও বাড়ে।

    তেমন আরেক দিকে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই গরমে পেটের গোলমাল যাতে না হয়, সেদিকে বাড়তি গুরুত্ব নেওয়া দরকার। গরমে হজমের গোলমাল এবং বমি হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। শরীরে অস্বস্তি বাড়ে। তাই এই গরমে (Heatwave) অনেক সময়েই ঠিকমতো খাবার হজম হয় না। তার জেরেই বমি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে ত্বকে এক ধরনের চুলকানি আর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গরমে অনেক সময়ে কোনও ভাইরাস ঘটিত সমস্যা না থাকলেও, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে‌। আবার ঘামের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানির সমস্যা হতে পারে। গরমের জেরে গায়ে লাল চাকা দাগও দেখা দিতে পারে‌।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এইসব সমস্যার? (Heatwave)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কয়েকটি বিষয়ে নজরদারি দিলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে‌। বড় বিপদের ঝুঁকিও কমানো যাবে। তাই তাঁদের পরামর্শ, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজন অতিরিক্ত জল খাওয়া। সাধারণত পাঁচ-ছয় লিটার জল নিয়মিত খাওয়া উচিত। কিন্তু এই গরমে আরও অতিরিক্ত দেড় থেকে দু’লিটার জল খাওয়া দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীরে যে জলের পরিমাণ কমছে, সেই ঘাটতি পূরণ করতেই এই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। 
    পাশপাশি খাবারের মেনুতেও নজর দেওয়া দরকার। কারণ, এই গরমে (Heatwave) অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বমি এবং পেটের গোলমালের ঝুঁকিও বাড়ে‌। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পাশপাশি সবুজ সব্জি খাওয়া দরকার। পটল, পেঁপে, কাঁচকলা, লাউয়ের মতো সব্জি সহজপাচ্য।‌ তাই এই ধরনের সব্জি নিয়মিত খেলে পেট ভালো থাকবে। 
    গরমে ত্বকের সমস্যা কমাতে বারবার ঠান্ডা জলে শরীর পরিষ্কার করা জরুরি। ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্তত দিনে দু’বার স্নান জরুরি। তাহলে গরম থেকে ত্বকে যে সংক্রমণ হয়, তা হওয়ার ঝুঁকি কমবে। তাই নিয়মিত সাবান দিয়ে দু’বার স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব দরকার না হলে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share