Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যের সর্বত্র তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। বড়দিনের আগে শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে। কিন্তু বছর শেষের আনন্দ মাটি হতে পারে। যে হারে সর্দি-কাশির ভোগান্তি বাড়ছে, তাতে ভাইরাসঘটিত জ্বরের দাপট বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস। বিশেষত শিশুরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের এই সময়ে চোখে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। বিশেষত কাশির দাপট মারাত্মক। তাপমাত্রার পারদ কমতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। যার জেরে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়েছে। ফলে, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের হার বাড়ছে। জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে কাবু হলেও, ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি। সপ্তাহ খানেক একটানা গলাব্যথা, কাশির মতো সমস্যা থাকছে। তবে, জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তার উপরে লাগাতার কাশি-সর্দি শ্বাসনালীর সংক্রমণের মতো সমস্যা, ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। 
    পাশাপাশি এই আবহাওয়ায় শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চোখ চুলকানো, লাল হয়ে যাওয়া, বারবার চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় জেরবার শিশুরা। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন ঘরোয়া উপাদান সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে? 

    বড় সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলতে হবে। কিন্তু ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতকাল জুড়ে কিউই, মাল্টা, কমলালেবুর মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। এই ধরনের ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল একটি করে খেলে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। 
    নিয়মিত এক চামচ মধু এবং হলুদ গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি মোকাবিলায় মধু উপকারী। হলুদ দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দুধের প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই দুটি একসঙ্গে খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হয়। 
    কাশির ভোগান্তি কমাতে দিনে একবার তুলসী পাতার সঙ্গে গোলমরিচ এবং লবঙ্গ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো গলার খুসখুসে ভাব কমাতে সাহায্য করে। 
    রসুন নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান পর্যাপ্ত থাকলে, সহজে কোনও রোগ কাবু করতে পারে না। তাই শীতকালে নিয়মিত রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা কমাতে দিনে একাধিকবার চোখ এবং হাত গরম জলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে আসলে অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে থাকলেও একাধিকবার পরিষ্কার তুলো দিয়ে গরম জলে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। হাত সাবান দিয়ে গরম জলে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: করোনার নতুন প্রজাতি বিপজ্জনক নয়, তবে সতর্কতা জরুরি, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Corona Update: করোনার নতুন প্রজাতি বিপজ্জনক নয়, তবে সতর্কতা জরুরি, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা‌‌ ভাইরাসের (Corona Update) চোখরাঙানি।‌ কেরলে হানা দিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি। উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। কিন্তু করোনার এই নতুন প্রজাতি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কী বলল বিশ্ব‌ স্বাস্থ্য সংস্থা?

    করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি জেএন ওয়ান (Corona Update) সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ নেই৷ এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা তীব্র নয়। তাই এই প্রজাতি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুব বিপজ্জনক নয়৷ কয়েক মাস আগেও করোনা ভাইরাসের আরেক প্রজাতি বিএ টু সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। এই নতুন প্রজাতি জেএন ওয়ান, ওই আগের প্রজাতির অংশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল।

    করোনার টিকা কি এই সংক্রমণ রুখতে পারবে?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনা (Corona Update) প্রতিরোধে যে ভ্যাকসিনগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলি এই নতুন প্রজাতি রুখতে পারবে। এছাড়াও কোভিড-১৯ ভাইরাসের সব প্রজাতির থেকে সৃষ্টি অসুস্থতা এবং প্রাণহানি ঠেকাতে কার্যকর হবে করোনা‌ টিকা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতকালে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ভোগান্তি বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা জরুরি। করোনা‌র নতুন প্রজাতির থেকে বাঁচতে তাই সচেতনতা দরকার।‌ বিশেষত বয়স্কদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাস্ক (Corona Update) পরে থাকা জরুরি। বাইরে থেকে ফিরলে অবশ্যই হাত পরিষ্কার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের ফুসফুস সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি থাকে। নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই করোনা‌ থেকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।‌ ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে মাস্ক জরুরি। তবে, পরিবারের কেউ সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ঘরে থাকতে হবে। তাহলে করোনার এই নতুন প্রজাতিকে সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। তাই এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদরোগের (Heart Disease) সমস্যা‌ বাড়ছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশপাশি ভারতেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমছে। ফলে, হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকিও‌ বাড়ছে।‌ কলকাতায় সম্প্রতি কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। সেখানেই একাধিক আলোচনায় উঠে আসছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। সতর্ক হতে না পারলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? (Heart Disease) 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোস্যাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে ‌হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট ফেলিওর অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমতে থাকছে।‌ ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ড কাজ করতে পারছে না।‌ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ ছাড়াও হার্ট ফেলিওরের জেরে যে কোনও রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের ঝুঁকি বাড়বে। ফলে, রোগ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের (Heart Disease) ঝুঁকি বাড়ছে। গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো যত্নের অভাবেই এই ঝুঁকি বাড়ছে।

    কেন গর্ভাবস্থার জন্য ঝুঁকি বাড়ছে? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের শরীরের গঠন গর্ভাবস্থায় অনেকটাই বদলে যায়।‌ শুধু বাইরের গঠন নয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে নানান উপাদানের পরিবর্তন হয়। যার প্রভাব পরবর্তী পর্বেও থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করতে না পারলে পরবর্তীতে বড় বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়। বিশেষত, প্লাজমা প্রোটিনকে ইস্ট্রোজেন হরমোন অনেকটাই প্রভাবিত করে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে জলের পরিমাণের অনেকটাই বদল হয়।‌ রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। হৃদপিণ্ড (Heart Disease) থেকে রক্ত শরীরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও গতির পরিবর্তন হয়। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। যা শরীরে অনেকটাই পরিবর্তন আনে।‌ বিশেষত লিভারের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন আনে।‌ পাশপাশি, মল-মূত্রত্যাগের নালীতেও পরিবর্তন হয়। আর এই সব হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এই একাধিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। এর জেরেই হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটে। অনেকক্ষেত্রেই তৈরি হয় হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হৃদরোগ (Heart Disease) বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সাধারণ মানুষের পাশপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই গর্ভবতীর শুধুমাত্র রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বোঝার জন্য শুধুমাত্র রক্তচাপের পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। তাই প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। হৃদযন্ত্র কাজ করতে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলে পরবর্তীতেও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বাড়ছে হয়রানি! শুধু অস্ত্রোপচার নয়, সাধারণ পরীক্ষাতেও জটিলতা!

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বাড়ছে হয়রানি! শুধু অস্ত্রোপচার নয়, সাধারণ পরীক্ষাতেও জটিলতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য‌বাসী নিখরচায় পাবেন স্বাস্থ্য পরিষেবা।‌ শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও অস্ত্রোপচার থেকে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে। এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু বাস্তবের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হয়রানি বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালে তো বটেই। অভিযোগ উঠছে, সরকারি হাসপাতালেও পিপিপি মডেলে গড়ে ওঠা পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।‌ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা রাস্তার হোর্ডিংয়েই আটকে রয়েছে। 

    কী সমস্যায় পড়ছেন ভুক্তভোগীরা? (Swasthya Sathi) 

    ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি করাতে বিস্তর হয়রানি পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই জরুরি পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিতে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল।‌ আবার যে কোনও অস্ত্রোপচার, গলব্লাডার থেকে হৃদযন্ত্র, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে করাতে হলে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করতে হয়। এবার সেই তালিকায় সংযোজন হচ্ছে নানা শারীরিক পরীক্ষা। এমআরআই, সিটি স্ক্যানের মতো শারীরিক পরীক্ষার পাশপাশি যে কোনও সাধারণ রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের শিক্ষক-চিকিৎসকের অনুমতি প্রয়োজন। এমন কর্তৃপক্ষ লিখিত অনুমতি দিলে তবেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে (Swasthya Sathi) শারীরিক পরীক্ষা করানো যাবে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ জায়গায় সহকারী অধ্যাপক স্তরের শিক্ষক-চিকিৎসক থাকেন না। এমন বহু সরকারি হাসপাতালে এই পর্যায়ের চিকিৎসক নেই। সেখানে তাই সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সরকারি হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি পরীক্ষাগারেও মোটা টাকার বিনিময়ে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যবাসী। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এমন সরকারি জটিলতা যেখানে, সেখানে কেন বারবার খোদ প্রশাসনিক প্রধান বলেন, এ রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পান।

    কী বলছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা? (Swasthya Sathi) 

    স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য হয়রানির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) অপব্যবহার রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় ভাবে সিটি স্ক্যান, এমআরআই সহ একাধিক ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা রাজ্যবাসী ঠিক মতো পান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রোগীকে কখন করাতে হবে, সেটা তো চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।‌ অনেক জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। তখন কীভাবে নির্দিষ্ট পদাধিকারীর লিখিত অনুমতির জন্য রোগী অপেক্ষা করবেন। এই ধরনের সিদ্ধান্তে আসলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Pressure: শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন কীভাবে সতর্ক হবেন

    Blood Pressure: শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন কীভাবে সতর্ক হবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকালে মানুষের শারীরিক সমস্যা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পায়। অনেক মানুষের শরীরে ব্যথা, বেশি ঠান্ডার ফলে সর্দি, হাঁচি ও কাশির মতো সমস্যা ও সব থেকে বেশি যে সমস্যা হয়, সেটি হল গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। শীতকালে জল কম খাওয়া হয় বলে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পায়। যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন, তাঁদের জন্য শীতকাল খুবই একটি খারাপ সময়। কারণ এই সময় সেই সব রোগ আরও বেশি বাড়তে পারে। আবার অপর দিকে হাঁপানির মতো সমস্যা এই সময় বৃদ্ধি পায়। আর এই সবের ঊর্ধ্বে সব থেকে বেশি যে সমস্যা হয়, তা হল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Blood Pressure)। শীতকালে প্রায় বেশির ভাগ মানুষের এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।

    কেন শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যায়?

    বিশেষ করে মাঝবয়সী মানুষদের এই শীতকালে উচ্চ রক্তচাপের (Blood Pressure) সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এর কিছু বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। আর এর ফলে মানব দেহের যে শিরা-ধমনীগুলো রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলো সাধারণত তুলনায় অনেক সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে তাপমাত্রা বজায় রাখা, রক্ত সঞ্চালন প্রভৃতি সব ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে রক্ত সঞ্চালন করার জন্য শরীরকে অনেক বল প্রয়োগ করতে হয়। ঠিক এই কারণে শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যা হার্টের রোগের মতো সমস্যা ডেকে আনে। কিন্তু কিছু জিনিস মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? (Blood Pressure)

    ১) শীতকালে অনেক মানুষই নিজের শরীর ঠিক রাখার জন্য মদ্যপান করেন। এই ভুল ধারণা ভেঙে মদ্যপান করা সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ মদ্যপান শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বাড়িয়ে দেয় ও শরীরের বাহ্যিক তাপমাত্রা কম হয়ে যায়। ফলে রক্ত নালিগুলো সংকুচিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতিকে বাধা দেয়।
    ২) শীতকালে অতিরিক্ত কফি পান করা ক্ষতিকর। তাই দিনে ২ থেকে ৩ বার কফি পান করলে এই সমস্যা (Blood Pressure) থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
    ৩) যাঁরা পরিশ্রম করেন তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে এই সময় অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীরের উপর চাপ প্রয়োগ করা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি মূল কারণ হতে পারে। শরীরচর্চা করার ফলে শরীরের বাইরের তাপমাত্রা ও ভেতরের তাপমাত্রার মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে যায়, যা হৃদরোগের মতো সমস্যা (Blood Pressure) ডেকে আনতে পারে।
    ৪) বেশি ঠান্ডা লাগানো চলবে না, প্রয়োজনে সোয়েটার, গ্লাভস, মোজা ব্যাবহার করতে হবে। বার বার জল খেতে হবে। বেশি চা না খেয়ে আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে জলে মিশিয়ে সেই জল পান করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে তবেই‌ দেখা দিত এই ধরনের সমস্যা। তবে, এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই রোগ (Liver Disease)।‌ শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়। স্কুল পড়ুয়ারাও কাবু হচ্ছে এই রোগে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক হতে না পারলে আজীবন ভোগান্তি চলবে।‌ ভারতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত পঞ্চাশ পেরনোর পরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক দশকে কম বয়সীরাও এই রোগে ভুগছে। সাম্প্রতিক এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ‌ বেড়েছে চিকিৎসক‌‌ মহলে।

    কী‌ বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। আর ভারতেও এই সমস্যা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১০ শতাংশ শিশু ফ্যাটি‌ লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় ভুগছে।‌ যা বছর দশেক আগেও‌ এত বেশি ছিল না। ফলে, আগামী দিনে শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী‌ এই ফ্যাটি লিভার রোগ? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লিভারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হলে, তাকে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেটের সমস্যা লাগাতার হতে পারে। ফলে, হজমের সমস্যা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে লিভারের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।

    কেন শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরন আর খাদ্যাভ্যাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে ফাস্ট ফুডে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুল বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন হোক কিংবা কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সব জায়গায় পিৎজা, বার্গার, হটডগের‌ মতো‌ খাবার স্কুল পড়ুয়াদের পছন্দ। আর সেটাই দেদার খাওয়া চলছে।‌ পাশপাশি নানা প্যাকেট জাত খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এগুলো খাওয়া চলছে। এর ফলে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ আর এটাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপ।‌ ওজন বাড়লেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।‌ অধিকাংশ শিশুই এখন ওবেসিটি বা স্থূলতার শিকার। এর ফলে ভারতে ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যাও বাড়ছে। 
    পাশপাশি, ফাইবার, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া কম হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রোটিন ও‌ ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ কম বয়সীরাই আটার রুটি, সুজি, ছাতু খায় না। ফলে, ফাইবার শরীরে কম যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ব্যালান্স হয় না।‌ যার জেরে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন‌ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু মাংস, মাছ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। প্রয়োজন তার সঙ্গে পরিমাণ মতো রুটি, ভাত, সবজির।‌ তবেই শরীর সবরকমের উপাদান পাবে। 
    পাশপাশি স্কুল পড়ুয়াদের খেলাধুলো কিংবা শারীরিক কসরত প্রয়োজন মতো হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ আর তার জেরেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পারলে তবেই ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) ঝুঁকি কমবে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিড ১৯ (Covid-19 India) এর আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে দেশে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে নতুন করে ১৬৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ। রবিবার, ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।  রিপোর্ট বলছে ১৬৬ টি নতুন করোনা ভাইরাস মামলার মধ্যে বেশিরভাগই এই মুহূর্তে কেরল থেকে এসেছে। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট

    সম্প্রতি বের হওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলের। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসের (Covid-19 India) আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৯৫ জন। ইতিমধ্যেই দেশের কোভিড-১৯ (Covid-19 India) মামলার সংখ্যা ৪,৫০,০৩,০৫৫ (৪.৫০ কোটি) এবং মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩০৬ (৫.৩৩ লাখ)। দেশে করোনা সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় দৃষ্টান্তমূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ জন। রিপোর্ট বলছে, ভারতে ১৬৬ টি নতুন কোভিড আক্রান্তের বেশিরভাগই এসেছে কেরল থেকে। যা বেশ উদ্বেগজনক। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা লোকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৪৪,৬৮,৮৫৪ (৪.৪৪ কোটি) এবং করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা রোগীর হার ৯৮.৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনায় মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.১৯ শতাংশে।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ

    তবে, এখনই এ নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই, বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে কোভিড (Covid-19 India) পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণগুলির উপর নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্কতা হিসেবে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্টের উপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তিরিশের চৌকাঠ পার করেনি। বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতার এক রেস্তোরাঁয় চলছিল খানাপিনা। হঠাৎ বুকে ব্যথা (Heart Attack) অনুভব করেন বছর আঠাশের যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই তরুণ মারা গিয়েছেন। যদিও ওই তরুণের ডায়বেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা ছিল না।
    সদ্য মাস ছয়েক মা হয়েছিলেন বছর পঁচিশের তরুণী। গর্ভাবস্থায় একাধিক শারীরিক পরীক্ষায় কোনও ত্রুটি ধরা পরেনি। কিন্তু হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই তরুণী। 
    এই ঘটনাগুলি একেবারেই ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে। তিরিশ বছর পেরনোর আগেই হৃদযন্ত্র হঠাৎ বিকল হওয়ার মতো ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত করোনা পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা‌ আরও বাড়ছে। আবার দেখা যাচ্ছে, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা বা কোমর্বিডিটি না থাকলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ তার জন্য উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। 
    সম্প্রতি কলকাতায় চলছে কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সম্মেলন। সেখানেই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার নতুন একাধিক কারণ দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে‌ আরও বিপদ বাড়বে।

    কোমর্বিডিটি না থাকলেও কেন হৃদরোগ বাড়ছে?(Heart Attack) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার মতো‌ সমস্যা হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্ত সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দূষণ হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক বাড়াচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, কারণ, দূষণ বাড়ছে। ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। কিন্তু যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একজন মানুষ ধূমপায়ীর মতোই ভুক্তভোগী হচ্ছেন।‌ 
    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, সম্প্রতি কলকাতা ও‌ তার আশপাশের এলাকায় দীপাবলি উপলক্ষে যে‌ হারে আতস বাজি পোড়ানো হয়েছে, তাতে বায়ুদূষণ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আর এর প্রভাব সরাসরি ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডে পড়ছে। যার জেরে বাড়ছে হৃদরোগ।

    কী পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Heart Attack)

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দূষণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।‌ বায়ুদূষণে‌ লাগাম টানতে না পারলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়বে। প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে। না হলে যে হারে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, প্রত্যেকের দিনের কিছুটা সময় খোলা‌ মাঠে কিংবা পার্কে‌ কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন‌ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোলা মাঠে হাঁটা কিংবা পার্কে ‌শারীরিক কসরত করলে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের।‌ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরি। 
    পাশপাশি খাবারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই তেল-মশলা যুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার রোজদিনের মেনুতে রাখতে হবে। কারণ, তাতেই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের আমেজ চলে এসেছে। যদিও তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার খেসারত দিচ্ছে শরীর। কিন্ত বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের লেবু। শীতের সকালের জলখাবার হোক কিংবা দুপুরের খাবার শেষে, চলছে দেদার লেবু খাওয়া (Lemon in Winter)। কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা।‌ নানান রকমের লেবু এখন নিত্যদিনের মেনুতে থাকছে। এই অভ্যাস শরীরের জন্য বাড়তি কোনও উপকার করছে, নাকি নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীতে উদ্বেগ বাড়াবে? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। সবার জন্য লেবু উপকারী নয়।

    নিয়মিত লেবু খেলে‌ শীতে কী সুবিধা হতে পারে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি।‌ কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা, যে কোনও ধরনের লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়। এই আবহাওয়ায় অধিকাংশই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সর্দি-কাশির দাপট কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত লেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। 
    তাছাড়া, কমলালেবু কিংবা মাল্টা জাতীয় ফলে থাকে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাড়ের রোগের সমস্যা কমে। বিশেষত, মধ্যবয়সী মহিলারা‌ অনেকেই হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। শীতে তাঁদের সমস্যা বাড়ে। তাই শীতকালে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস (Lemon in Winter) তাঁদের জন্য বাড়তি উপকারী হবে।‌
    শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। শীতে শুষ্কতা বাড়ে।‌ শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমাতে লেবু বিশেষ সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন থাকলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমে। বিশেষত কমলালেবু নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতা কমে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাই মাল্টার মতো‌ লেবু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস কোনও বিপদ ডেকে আনছে কি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লেবু উপকারী।‌ কিন্ত তা সত্ত্বেও‌ পরিমিত খাওয়া (Lemon in Winter) জরুরি‌। তা না হলেই পরবর্তীতে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ তাই লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রে সেসবে নজর জরুরি। 
    কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া বিপজ্জনক।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুর উপাদান কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে‌ পারে। তাই কিডনি রোগীর দিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। 
    শীতে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পেটের ‌গোলমাল হলে‌ লেবু (Lemon in Winter) এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অনেক সময়েই অতিরিক্ত লেবু ‌খেলে হজমের সমস্যা হয়।‌ তাই পেটের সমস্যায় লেবু খাওয়া একেবারেই চলবে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি মাল্টা জাতীয় লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও কতখানি খাওয়া হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাল্টা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত মাল্টা লেবু খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। তাই সেদিকে খেয়াল রেখেই খাওয়া জরুরি। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দিনে‌ একটা লেবু খাওয়া যেতেই পারে। কিন্ত উপকারী ফল বলে একাধিক লেবু খেলে সমস্যা হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ 

    Winter Disease: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খামখেয়ালি মেজাজ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি‌। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছিল। শহর থেকে জেলায় শীতের আমেজ চলে এসেছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই ছন্দপতন। তাপমাত্রার পারদ বাড়ে। সঙ্গে ঘাম আর অস্বস্তি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, অন্ধ্র উপকূলের নিম্নচাপের জেরেই আবহাওয়ার এই মেজাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হালকা শীতের আমেজের মাঝে এরকম হঠাৎ ঘাম আর অস্বস্তিকর আবহাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক (Winter Disease)। তাই বাড়তি সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়বে।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য এই আবহাওয়া বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল কিংবা রাতের দিকে ঠান্ডা, অথচ সন্ধ্যা বা দুপুরে ঘাম হচ্ছে, এর জেরে একাধিক ভাইরাস বাতাসে শক্তিশালী হচ্ছে। তাই জ্বর, সর্দির মতো সমস্য দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, যাদের শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই আবহাওয়া একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই আবহাওয়ায় শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কাশি হলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত শিশুদের কাশি হলে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর সংক্রমণের সমস্যা ফুসফুসের গুরুতর সঙ্কট তৈরি করে (Winter Disease)। নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। শ্বাসনালীর সংক্রমণ শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের পাশাপাশি যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির অসুখে ভুগছেন, এই আবহাওয়ায় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কীভাবে কমবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় পোশাক নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব মোটা পোশাক এই আবহাওয়ায় অস্বস্তিকর। ঘাম হবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। আবার পাতলা পোশাকও চলবে না। তাই পোশাক নির্বাচনে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত, কান এবং গলায় যাতে ঠিকমতো ঢাকা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এই ঠান্ডায় অধিকাংশ মানুষ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে (Winter Disease) ভুগছেন।  অর্থাৎ, শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণ হচ্ছে। তার জেরেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরম লাগলেও একেবারেই আইসক্রিম,  ঠান্ডা পানীয় খাওয়া চলবে না। এতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। পাশাপাশি হালকা খাবার খেতে হবে। যাতে হজমের গোলমাল না হয়। কারণ, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে বাড়ে হজমের সমস্যা। ভাইরাস ঘটিত সর্দি-জ্বর পেটের সমস্যা তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। বিভিন্ন ধরণের স্যুপ কিংবা স্ট্রু জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় উপকারী বলেও জানাচ্ছেন পু্ষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সহজপাচ্য অথচ গরম খাবার এই আবহাওয়ায় খুব উপকারী। 

    নিয়মিত মধু, গোলমরিচ আর তুলসিপাতা খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়বে। ফলে যে কোনও ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে (Winter Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share