Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকোহল এবং মিষ্টি জাতীয় সমস্ত রকমের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য-পানীয়ের ওপর বেশি করে কর চাপানোর পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মঙ্গলবারই বিশ্ব সংস্থা সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেরই মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের উপরে যে কর রয়েছে বর্তমানে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর এই সমস্ত পানীয়ের ওপর যে কর দেশগুলি চাপিয়েছে, তা খুবই কম। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মদের উপরে তারা কোনও করই চাপায়নি।

    মদ্যপানের কারণে প্রতিবছর মারা যান ২৬ লাখ মানুষ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছরই ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই ‘হু’ (WHO) মনে করে এই সমস্ত খাদ্য পানীয়গুলির উপরে অতিরিক্ত পরিমাণে কর চাপালে মানুষের মৃত্যুর হার অনেকটাই হ্রাস পাবে। এবং সারা বিশ্বের সামগ্রিক স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো হবে। এর পাশাপাশি মদ এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার জন্যও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ‘হু’ (WHO)।  অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদাহরণ দিয়েছে, মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে লিথুয়ানিয়া নামক দেশে। ২০১৭ সালে সেদেশের সরকার অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের ওপর করের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সে দেশের মৃত্যুর হার দু’ বছরে ২৩.৪ শতাংশ থেকে কমে ১৮.১ শতাংশ নেমে আসে।

    মদ্যপান এড়িয়ে গেলে কমে আসে নানা রোগের ঝুঁকি

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাও মনে করে যে মানুষের ওপর মদ বা মিষ্টি পানীয়গুলির খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলত্বের মতো সমস্যাগুলিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে রাডিগার ক্রেচ এবিষয়ে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর কর ধার্য করলে যদি মানুষের হুঁশ ফেরে। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, সমাজের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি মানুষ একটু সচেতন হন। মদের উপর করের পরিমাণ বাড়লে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কিংবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে বলে মনে হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দ ‘মহামারী’-র মতো রাজ্যে গ্রাস করছে এইডস। কিন্তু তারপরেও কমছে সচেতনতা। যার জেরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বড় খেসারত দিতে হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকার কবে তৎপর হবে? অন্তত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী স্পষ্ট, সব স্তরে সচেতনতা কর্মসূচি আর প্রয়োজনীয় কর্মশালা একেবারেই হচ্ছে না। এমনকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগ আছে কিনা, তা যাচাইও ঠিকমতো হচ্ছে না। যার জেরে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 
    বিশ্ব এইডস সচেতনতা দিবসে বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, রাজ্যে নেই প্রয়োজনীয় কর্মসূচি। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে বাড়ছে এই মারণ রোগ।

    কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইডস নিয়ে সচেতনতার হার কমছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে সেই সচেতনতার হার আরও কম। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ (এনএফএসএইচ ৫) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনতার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনতায় এগিয়ে মহিলারা। 
    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। যৌন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা জরুরি, সে নিয়ে বাঙালি পুরুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। 
    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারী’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    এইডস কী? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এইডস হলো একধরনের সংক্রামক রোগ। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। জীবন ভর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন না।

    এইডস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে হারে এইডস নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। কারণ, মা কিংবা বাবা এইডস আক্রান্ত কিনা, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কারণ, সরকারের তরফে ঠিকমতো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। অনেকের গর্ভস্থ অবস্থায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না। আর এর জেরেই নবজাতক এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জন্মের পরেই শিশু এইডস আক্রান্ত কিনা জানতে পারলেও শিশুকে আজীবন এই রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরে শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে, কোনও শিশুর এইডস থাকলে, তা এতটাই পরে জানা যাচ্ছে, যে তখন চিকিৎসার সুযোগ থাকছে না। যার জেরে আজীবন ভুগতে হচ্ছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পেটে মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা। ওষুধ না খেলেও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই মাঝেমধ্যে হতে থাকা যন্ত্রণা হঠাৎ ভোগান্তি বাড়ায়। অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, রক্তপাতের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ পরীক্ষা করে অধিকাংশ সময়েই জানা যায়, রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। 
    নভেম্বর মাস প্যানক্রিয়েটাইটিস ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)। জীবন যাপনের একাধিক বদল এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগের জটিলতা বাড়াচ্ছে অসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গ অবহেলা করেন। ফলে, যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই সতর্কতা আর সচেতনতা, এই দুই দাওয়াই রুখতে পারে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার।  

    কেন বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার? (Pancreatic Cancer) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খাবার খাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সকালের জলখাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারী খাবার খাচ্ছেন না। দুপুরে লাঞ্চ করছেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লাঞ্চের মেনুতে থাকছে কোনও রেস্তোরাঁর খাবার। দীর্ঘ ব্যবধানে এই খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়ার জেরে দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি হজমের লাগাতার গোলমাল হয়। এর জেরেই অন্ত্রে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Pancreatic Cancer)। 
    এর পাশপাশি, কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা প্রসেসড খাবার খেলে পাকস্থলী, অন্ত্রে আরও ক্ষত তৈরি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে বিরিয়ানি, মোগলাই, চাইনিজ খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। পাশপাশি বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রসেসড খাবার খেলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সব্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাবারের মধ্যে সমতা নেই। সবুজ সব্জিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান। যেগুলো অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল এবং সব্জি না খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া অগ্নাশয়ের জন্য ভালো নয় বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    পাশপাশি মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মাত্রায় নিয়মিত মদ্যপান অগ্নাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Pancreatic Cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। 
    পাশপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমাতে হবে। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। এতে হজমের সমস্যা কমবে। পাকস্থলী, অন্ত্র এবং অগ্নাশয় সুস্থ থাকবে। ফলে, যে কোনো রকম রোগ (Pancreatic Cancer) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। নিয়মিত সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার, ডিম, দুধ, রুটি, সব্জি, খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া অনিয়মিত হলে সঙ্গে রাখতে হবে ফল, ড্রাই ফ্রুটস। যাতে পেট ভর্তি থাকে। খেজুর, কিসমিস, পেস্তা, আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সবসময় খাওয়া সম্ভব হয় না, তাঁরা সঙ্গে এই জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন। 
    পাশপাশি বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় প্রসেসড খাবার নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই ধরনের খাবার এড়ানো দরকার। নিয়মিত বাড়ির তৈরি কম তেলমশলার খাবার মেনুতে রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ কমতেই ফুসফুস ও শ্বাসনালীর একাধিক সংক্রমণে জেরবার আট থেকে আশি, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আর এর মধ্যেই নতুন আরেক রোগের দাপট। যার জেরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। আর এই নতুন আতঙ্কের নাম ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)।

    কী এই ব্রুসেলোসিস? 

    ব্রুসেলোসিস হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গবাদি পশু থেকেই এই রোগ ছড়ায়। গরু, উট, কুকুরের মতো প্রাণী থেকে এই রোগের ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অনেক সময় গরু, ছাগল, মোষের মতো গবাদি পশু এই রোগে আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত প্রাণীর দুধ থেকেও মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়াতে পারে। মূলত, পশুর থেকেই এই রোগ (Brucellosis) মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কীভাবে চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট জানান দেয়। তাই উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ থাকলে এই রোগ দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে পেটে, পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা, হাঁটু কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা, জ্বরের মতো উপসর্গ (Brucellosis) দেখা দেয়। তার সঙ্গে হয় কাশি ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ। খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। রাতে অতিরিক্ত ঘাম হয়। পাশপাশি ওজন দ্রুত কমতে থাকে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। রক্ত পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জার কিছু নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়।

    কেন রাজ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) আক্রান্তের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরেই উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি নদীয়ায়। তাঁর বাড়িতে গরু রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরুর থেকেই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি জটিল হয়। তাই বাঁচানো যায়নি। এর আগেও বর্ধমান, আসানসোল সহ একাধিক জায়গায় ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। আরও কয়েকজনের ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কয়েক সপ্তাহ আগেই কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে একজন ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল।ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রায় আড়াইশো জন ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্য কর্তা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাদের বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। পশুর শরীরে কোনও রকম ঘা বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। গবাদি পশুর দেহে যাতে কোনও রকম বড় রোগ না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে জ্বর বা পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) চিকিৎসার নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয় এড়ানো সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু চলছেই! কলকাতা, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, এই জেলাগুলিতে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ ডেঙ্গি-আক্রান্ত হচ্ছেন। লাগাতার ডেঙ্গি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। শীতেও এবার ডেঙ্গির প্রকোপ জারি থাকবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, কয়েকটি ক্ষেত্রে ডেঙ্গি (Dengue) বিপদ বাড়াতে পারে। তাই বড় ক্ষতি এড়াতে আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়তি বিপদ? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মহিলাদের ডেঙ্গি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গি হলে মা ও গর্ভস্থ শিশু দু’জনের জন্যই বিপদ। গর্ভস্থ মহিলার শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের অভাব দেখা যায়। আর তার জেরেই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে প্রাণ সংশয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো, বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং এলাকায় কেউ সংক্রমিত (Dengue) হলে, বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন। শরীরে যাতে তরল পদার্থের অভাব না হয়, সেদিকে আরও বেশি খেয়াল রাখা জরুরি, পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা?

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণের পরে জটিলতা তৈরি করে কিডনি এবং লিভার। এই দুই অঙ্গ অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো কাজ করে না। তাই রোগীর শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তাই যাদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মশা বাহিত রোগ তাদের জন্য আরও বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    একবার হলে বাড়তি সতর্কতা (Dengue)

    যাদের একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, একাধিক বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রাণ সংশয় দেখা যায়। তবে, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) যে কোনও সময়েই বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। ডেঙ্গির জটিলতা বাড়ায়, একাধিক অঙ্গের কার্যশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের জ্বর কমলেও পরবর্তী কিছুদিন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাই ডেঙ্গির জ্বর কমলেও যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজগুলির বিশেষজ্ঞ কোর্সে প্রায় সমস্ত আসন খালি! কেন এই অনীহা?

    West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজগুলির বিশেষজ্ঞ কোর্সে প্রায় সমস্ত আসন খালি! কেন এই অনীহা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালে রোগীর অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেকটাই কম। দীর্ঘদিনের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি জরুরি অস্ত্রোপচারের দিন পেতেও মাসের পর মাস কেটে যায়। এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রথম সারির সরকারি হাসপাতাল হোক কিংবা পিছিয়ে পড়া কোনও জেলার হাসপাতাল, রোগী-ভোগান্তির চিত্র সর্বত্র এক। সেই ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তার অভাবের জেরেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও ভোগান্তি বাড়বে (West Bengal Health)।

    কেন বাড়তি ভোগান্তির আশঙ্কা? (West Bengal Health) 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সম্প্রতি স্নাতকোত্তর পর্বের বিশেষজ্ঞ কোর্সে প্রায় সমস্ত আসন খালি। অধিকাংশ বিভাগেই পড়ুয়া নেই। বিশেষত কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের মতো বিভাগে একেবারেই পড়ুয়া নেই। 
    শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শল্য চিকিৎসায় স্নাতকোত্তর পাশ করার পরে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারির মতো বিষয়গুলিতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য পড়াশোনা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সর্বশেষ কাউন্সেলিংয়ে এই বিভাগগুলিতে দশজন করেও পড়ুয়া পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ বিভাগ একেবারেই শূন্য। অর্থাৎ, চিকিৎসকেরা এই সমস্ত বিভাগে বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছেন। এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য পরিষেবায়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে (West Bengal Health)। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই হৃদরোগের অস্ত্রোপচার কিংবা স্নায়ুর জটিল অস্ত্রোপচার করতে অপেক্ষা করতে হয়। রোগী দীর্ঘ অপেক্ষার পরে পরিষেবা পান। তার কারণ, চিকিৎসকের অভাব। তার উপরে এই প্রবণতা চলতে থাকলে সেই অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘ হবে। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি শিশু বিভাগে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শিশু শল্য বিভাগ ও চিকিৎসকের অভাবে ভুগছে। এ বছরেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পর্যাপ্ত পাওয়া গেল না। ফলে, এর জেরে ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কেন অনীহা ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসায়? (West Bengal Health) 

    প্রবীণ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক পড়ুয়াদের মধ্যে এই অনীহা তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত দশ বছরে রাজ্যে একাধিক চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। শারীরিক নিগ্রহের শিকার হওয়ার পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে পাশে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের নির্দশন খুবই কম। যার ফলে, চিকিৎসক পড়ুয়াদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার ইচ্ছে কমেছে। পেডিয়াট্রিক সার্জারি হোক কিংবা জরুরি চিকিৎসা, এই ধরনের বিভাগে কাজ করার ক্ষেত্রে নানান জটিলতা তৈরি হয়। রোগীর প্রাণ বাঁচাতে কখনোই ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া যায় না। কিন্তু সব সময় রোগী মৃত্যুর দায় চিকিৎসকের নয়। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মারা যান, এমনটাও নয়। এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা করতে হলে চিকিৎসকের সুরক্ষা নিশ্চিত থাকা জরুরি। পরিস্থিতি অন্যরকম হলে যদি চিকিৎসকদের নিগ্রহের শিকার হতে হয়, তাহলে এই ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসার প্রতি তরুণ চিকিৎসকদের আরও বেশি অনীহা তৈরি হবে বলেই মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। অধিকাংশ চিকিৎসক সংগঠন জানাচ্ছে, এ রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা করার মতো পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আর সে দায়িত্ব প্রশাসনের। সেই কাজ রাজ্য প্রশাসন ঠিকমতো করতে না পারলে আগামী দিনে এ রাজ্যে জটিল চিকিৎসা আর হবে না (West Bengal Health) বলেই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের অধিকাংশ প্রবীণ চিকিৎসক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতার সমস্যা হোক কিংবা ডায়বেটিস, যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য ওষুধের পাশপাশি শরীরচর্চায় (Exercise) বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ মহল। এমনকি মানসিক চাপ কমাতেও প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। কিন্তু সেই শরীরচর্চাও ডেকে আনতে পারে বিপদ! শরীরচর্চার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ! এমনই কথা জানা গেল এক সাম্প্রতিক গবেষণায়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, যে কোনও কাজেই লাগাম জরুরি। তা না হলেই বিপত্তি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত শরীরচর্চা (Exercise) শরীরে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেন এবং সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী বিশ্বের পাঁচ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়েছেন। আর তার পরে তাঁরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা আসলে বিপজ্জনক। ওই গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত জিম বা শরীরচর্চার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। আর তার ফলেই যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে সাধারণ ভাইরাসঘটিত রোগ হোক কিংবা করোনার মতো মহামারি, যে কোনও ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়।

    কেন বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর চর্চা (Exercise) প্রয়োজন অনুযায়ী করা উচিত। কিন্তু অনেকেই দিনের বেশির ভাগ সময় জিমে কাটাচ্ছেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করছেন। পেশিকে দুর্বল করে তুলছেন। আবার সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া হচ্ছে না। এর ফলে, শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পেশি ক্লান্ত থাকছে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আর এর জেরেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জিমের প্রয়োজন আছে কিনা, তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই করা উচিত। শুধুমাত্র সখের জন্য নয়। শারীরচর্চা কতখানি জরুরি, তা না জেনে করলে বিপদ বাড়বে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারি। তাই নিয়ম করে ৪০ মিনিট হাঁটলে, স্থূলতা, ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগের মতো এড়ানো যাবে একাধিক সমস্যা। পাশপাশি যোগাভ্যাসে অভ্যস্থ হলেও একাধিক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে, নিয়মিত জিম করলেও উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া জিম করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো শরীরচর্চা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, শরীরচর্চার পাশপাশি পুষ্টিকর পরিমিত খাবার নিয়ম করে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, একদিকে শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চা (Exercise) জরুরি, তেমনি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তা না হলে শরীরচর্চায় বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Men’s Day: পুরুষদের আত্মহত্যা বাড়ছে দ্বিগুণ হারে! আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে উদ্বেগজনক তথ্য

    International Men’s Day: পুরুষদের আত্মহত্যা বাড়ছে দ্বিগুণ হারে! আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে উদ্বেগজনক তথ্য

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগের প্রকোপ আরও বেশি। তাই মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে (International Men’s Day) তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীরের পাশপাশি পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কতা জরুরি। কারণ, মানসিক অবসাদ ও চাপের জেরেই বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের আত্মহত্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ২০২৩ সালে তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে-র থিম ‘জিরো মেন সুইসাইড’।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    একাধিক আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে আত্মহত্যা। বিশেষত পুরুষদের আত্মহত্যা ক্রমশ বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের আত্মহত্যার নিরিখে ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কার পরেই রয়েছে ভারত। এ দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেন। প্রতি বছর প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা। আত্মহত্যার প্রবণতার এই উর্ধ্বমুখী গতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (International Men’s Day)।

    কেন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আধুনিক জীবনযাপনে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তার জেরেই তৈরি হচ্ছে মানসিক চাপ, অস্থিরতা, অবসাদ, উত্তেজনার মতো সমস্যা। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্ম জগতের টানাপোড়েন আর টার্গেট ভিত্তিক কাজের চাপের জেরে সব সময় এক ধরনের প্রতিযোগী মনোভাব দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন মানুষ জীবনের সব ক্ষেত্রে সেই প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে চলছে। যার জেরে সব সময়েই এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে (International Men’s Day)। যা মানসিক চাপ তৈরি করছে। ফলে, যে কোনও ব্যর্থতা অবসাদের মতো মানসিক রোগ ডেকে আনছে। এছাড়াও, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। তাই আরও বেশি মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে না। রোগ নির্ণয় না হওয়ার জেরেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ফলে, আত্মহত্যার মতো চরম বিপদ ঘটছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    মনোরোগ চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, যে কোনও ঘটনায় সব সময় উত্তেজনা অনুভব করলে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে কিংবা সামান্য ঘটনাতেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, বুঝতে হবে কোনও সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা চলবে না। বরং পরিবার ও আশপাশের মানুষদেরও সতর্ক হতে হবে। ভুক্তভোগীদের বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। তবেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা কমবে (International Men’s Day)। 
    তবে, জীবনযাপনেও কিছু বদল জরুরি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, নিয়মমাফিক জীবনযাপন দরকার। কারণ, নির্দিষ্ট সময় খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই এই দিকগুলোতে আরও বেশি নজর দিতে হবে। 
    পাশপাশি নিয়মিত যোগাভ্যাস ও সৃজনশীল কাজের জন্য সময় বরাদ্দ করতে হবে। কারণ, এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। আর সৃজনশীল কাজ আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ধরনের অভ্যাস শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী (International Men’s Day)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Problems: শীতের শুরুতে বাড়ছে ত্বকের শুষ্কতা! কোন কোন খাবারে কমবে সমস্যা? 

    Skin Problems: শীতের শুরুতে বাড়ছে ত্বকের শুষ্কতা! কোন কোন খাবারে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। শীত জাঁকিয়ে পড়ার কথা হাওয়া অফিস জানায়নি। কিন্তু শীতের আঁচ এসেছে। আর তার সঙ্গে এসেছে শুষ্কতা। ত্বকের শুষ্কতার সমস্যায় অনেকেই কাবু হয়ে যান। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শীত পড়ার আগেই খাবারে বিশেষ নজরদারি রাখলে শীতকালে আর ত্বকের শুষ্কতার (Skin Problems) সমস্যায় ভুগতে হবে না।

    কোন ধরনের খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে ত্বক সুস্থ রাখতে নিয়মিত টমেটো খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, টমেটোতে থাকে ভিটামিন ই, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে, সান বার্ন থেকে ত্বক বাঁচাতে টমেটো খুব উপকারী সব্জি। তাই স্যালাড হিসাবে হোক কিংবা রান্নায় ব্যবহার করে, যে কোনও ভাবে নিয়মিত টমেটো খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। 
    নিয়মিত বাদাম জাতীয় ড্রাই ফ্রুটস খেলেও ত্বকের শুষ্কতা কমবে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেস্তা, আখরোট, কাজু, যে কোনও ধরনের বাদামে থাকে ভিটামিন ই। যা ত্বককে যে কোনও রকম ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই বাদাম নিয়মিত খেলে শীতের শুষ্ক ত্বক (Skin Problems) রুখতে সুবিধা হবে। 
    প্রত্যেক দিন লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা, শীতে একাধিক রকমের লেবু বাজারে দেদার পাওয়া যায়। আর এই সময়ে ত্বক ভালো রাখতে লেবু খাওয়া জরুরি। কারণ, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি ত্বক মসৃণ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত লেবু খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    ডিম-মাছ খাওয়ার পরামর্শ

    নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের কুসুমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন। ডিমের সাদা অংশে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এই দুই উপাদান শরীরে এনার্জি জোগায়। যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতে নিয়মিত ডিম খেলে ত্বকের একাধিক সমস্যা (Skin Problems) কমবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 
    যাদের ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা বেশি, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তাদের চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্যতালিকা থেকে অনেকেই চর্বিযুক্ত মাছ সম্পূর্ণ বাদ দেন। কিন্তু চর্বিযুক্ত মাছ অস্বাস্থ্যকর, এ ধারণা ভুল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছের চর্বিতে থাকে ওমেগা থ্রি। যা শরীরে জন্য বিশেষ উপকারী। চর্বিযুক্ত মাছ খেলে ত্বকের শুষ্কতা কমে। তাই যাদের ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা বেশি, তাদের সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হল ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীপাবলির পরেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এতেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর পর থেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় অনেকে ভুগছিলেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু দীপাবলির পরে সিওপিডি-র সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় এই রোগীর ভোগান্তি বাড়ছে। কলকাতার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এরপরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    কেন পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিওপিডি হল ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। যার জেরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। দীপাবলির সময় কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় অবাধে বাজি পোড়ানো হয়েছে। শব্দবাজি, আলোবাজির ধোঁয়ার জেরে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে একাধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছে। যাদের ধারাবাহিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুসফুসের ধারাবাহিক সমস্যা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, শীতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তার উপর বাজির দাপট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষত যাদের সিওপিডি রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। 
    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বিশেষ যত্ন জরুরি। যে সব শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে কিংবা যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও রকম সমস্যা হলেই অবহেলা করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে যাদের সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে, মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যাদের বাতাসের অতিরিক্ত ধোঁয়া আর ধূলিকণার জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি না হয়। পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে যাতে ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, সর্দি-কাশি সিওপিডি-র রোগীর বিপদ বাড়ায়। 
    ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবারেও খেয়াল রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আপেল খাওয়া দরকার। আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। খনিজ থাকে। ফলে, ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা নিয়মিত খেলে সিওপিডি-র রোগীদের সমস্যা কমবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, কলাতে থাকে পটাশিয়াম। যা ফুসফুস সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পেয়ারা আর লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও বিশেষ উপকার হবে। কারণ, এগুলোতে থাকে ভিটামিন সি, যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share