Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Garlic: উচ্চ রক্তচাপ থেকে ক্যান্সার, এক কোয়া রসুনেই বহু রোগ কাবু!

    Garlic: উচ্চ রক্তচাপ থেকে ক্যান্সার, এক কোয়া রসুনেই বহু রোগ কাবু!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরকারির মশলা হিসেবে কিংবা খালি পেটে, দিনে অন্তত এক কোয়া রসুন (Garlic) খেলেই একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, রসুন খুবই উপকারী। নিয়মিত রসুন খেলে একাধিক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়ম করে রসুন খাওয়া জরুরি। তাহলে একাধিক রোগের থেকে মুক্তি সম্ভব! এবার দেখা যাক, কোন‌ কোন রোগের দাওয়াই রসুন?

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে (Garlic)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালে এক কোয়া রসুন (Garlic) খাওয়া দরকার। কারণ, এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। আর রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে‌।

    লিভার ও মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে

    নিয়মিত রসুন খেলে লিভার ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার এবং মূত্রাশয়ের সমস্যা কমাতে নিয়মিত রসুন (Garlic) খাওয়া জরুরি। এতে এই দুই অঙ্গের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য হয়।

    মহিলাদের হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায় (Garlic)

    রসুন খেলে দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়ে। তাই মহিলাদের নিয়মিত রসুন খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হাড়-ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই নিয়মিত রসুন খাওয়া জরুরি। এতে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ফলে হাড়ের ক্ষয়-রোগের ঝুঁকি কমবে।

    ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

    রসুনে (Garlic) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে শরীরে একাধিক রোগ প্রতিরোধের শক্তি বাড়ে। বিশেষত ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রসুন জরুরি। কারণ, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। নিয়মিত রসুন খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

    হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় (Garlic)

    রসুন দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে। যার জেরে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালে এক কোয়া রসুন খাওয়া খুবই উপকারি।

    স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    রসুনে দেহের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। বয়স বাড়লে অনেকের মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয় না। এর জেরে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই নিয়মিত রসুন খেলে সেই সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রসুন (Garlic) খালি পেটে এক কোয়া খেলে, আর তারপরে পর্যাপ্ত জল খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি ক্ষয়ের ঝুঁকিও কমানো‌ যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dry Fruits: দিনে খান চারেক খেজুরই মোক্ষম দাওয়াই! কোন‌ কোন‌ রোগ থেকে মিলবে রেহাই? 

    Dry Fruits: দিনে খান চারেক খেজুরই মোক্ষম দাওয়াই! কোন‌ কোন‌ রোগ থেকে মিলবে রেহাই? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় থাকুক খেজুর।‌ দিনে খান চারেক খেজুর খেলেই একাধিক রোগ থেকে মুক্তি সহজেই পাওয়া যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই কাজের চাপে দীর্ঘ সময় ভারী খাবার খাওয়ার সুযোগ পান না।‌ খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার ফলে নানান শারীরিক জটিলতাও দেখা দেয়। সেই সময়ে সঙ্গে থাকুক খেজুর। অন্তত কয়েকটা খেজুর খেয়ে নিলে সমস্যা কমবে। নিয়মিত খেজুর (Dry Fruits) খেলে এমন অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন কোন রোগের দাওয়াই খেজুর?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই যে কোনও বয়সের মানুষের রক্তাল্পতা দূর করতে নিয়মিত খেজুর খাওয়া জরুরি। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এ দেশে বহু মহিলা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। তাই নিয়মিত খেজুর খেতে হবে। খেজুরে থাকে ল্যাক্সাটিভ। তাই নিয়মিত খেজুর (Dry Fruits) খেলে পাকস্থলীর একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, হজমের গোলমাল কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করার পাশপাশি পাকস্থলীর আলসারের মতো গুরুতর সমস্যার মোকাবিলাতেও খেজুর খুব কার্যকর ভূমিকা নেয়। 
    হাড়ের ক্ষয়-রোগ রুখতে খেজুর বিশেষ কার্যকর। বিশেষত অস্ট্রিয়পোরেসিসের মতো রোগ মোকাবিলায় খেজুর (Dates) সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, তামা, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তাই খেজুর হাড় সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

    প্রচুর পরিমাণে শক্তি (Dry Fruits) 

    খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে। একশো গ্রাম খেজুরে ২৮২ কিলোক্যালোরি শক্তি থাকে। তাই শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খেজুর বিশেষ কার্যকর। কারণ, এদের দেহে বাড়তি শক্তি জোগান দেওয়া প্রয়োজন। তাই দরকার খেজুর। নিয়মিত খেজুর খেলে শক্তির ঘাটতি হবে না। ক্লান্তি সহজেই দূর হবে। অনিদ্রার সমস্যা মোকাবিলায় খেজুর বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। তাই হৃদযন্ত্রের পেশিকে কার্যকর করতে খেজুর (Dry Fruits) বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি খেজুর শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর পেশি ও হাড়ের পাশাপাশি শরীরের স্নায়ু সচল রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা কমবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর ল্যাপটপে কাজ করার পরে কোমর সোজা করে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়। আবার চেয়ারে বসে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পরেই পায়ে ব্যথা। এমনকী কয়েক পা হাঁটলেও গোড়ালিতে যন্ত্রণা। প্রৌঢ় বয়সে নয়, তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই এমন একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর চল্লিশের পরে সিঁড়ি দিয়ে নামা-ওঠা, প্রয়োজনে মেঝেতে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। হাঁটু, পা আর কোমরের ব্যথায় কাবু তরুণ প্রজন্মের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়ের (Bone Diseases) জেরেই বাড়ছে এই ধরনের সমস্যা।

    কেন বাড়ছে হাড়ের ক্ষয়-রোগ? (Bone Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়-রোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও হাড়ের শক্তি ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে, ভবিষ্যতে আরও বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টির ভারসাম্য না থাকার জেরেই এই সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। কিন্তু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার শরীর পর্যাপ্ত পাচ্ছে না। তার জেরেই স্থূলতা বাড়ছে। দেহের ওজন ধরে রাখতে পারছে না হাঁটু এবং পা‌। ফলে হাড়ের সমস্যা (Bone Diseases) আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা, এই দুই অস্ত্রেই কাবু হবে হাড়ের ক্ষয়-রোগ (Bone Diseases)। তাঁদের পরামর্শ, রুটিনমাফিক জীবনযাপন কমিয়ে দেবে হাড়ের রোগের দাপট। বিশেষত কোমর, পায়ের যন্ত্রণা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিন অন্তত একটানা তিরিশ মিনিট হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হবে। এতে স্থূলতার সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোমর, পিঠ, হাত এবং পায়ের পেশি সচল থাকবে। ফলে, ব্যথা কাবু করতে পারবে না। পাশপাশি, একটানা চেয়ারে বসে থাকা বা ল্যাপটপে কাজ করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, অন্তত তিরিশ মিনিট অন্তর একটু হাঁটাচলা করা জরুরি। তাতে ব্যথা কমবে। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ দিনের একটা বড় সময় এয়ারকন্ডিশন ঘরে থাকে। সূর্যের আলোতে বিশেষ সময় কাটানো হয় না। কিন্তু দিনের কিছুটা সময় রোদে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরে ভিটামিন‌ ডি পাওয়া যায়। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে।

    খাবারে বিশেষ নজরদারি (Bone Diseases)

    তবে, হাড়ের ক্ষয়-রোগ রুখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এতে দেহে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, হাড়ের ক্ষয় রুখতে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। দিনে অন্তত একটা ডিম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এছাড়া, কলা, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম এবং গাজর, পালং শাক, ব্রকোলির মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্তিশালী (Bone Diseases) করতে সাহায্য করে। পাশপাশি তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে থাকে ওমেগা থ্রি। এছাড়াও ভিটামিন ডি। যা শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ডাল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, ডালে থাকে প্রোটিন। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Carrots: আপনি কি নিয়মিত গাজর খান? জানেন, এর কত ধরনের উপকারিতা রয়েছে? 

    Carrots: আপনি কি নিয়মিত গাজর খান? জানেন, এর কত ধরনের উপকারিতা রয়েছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরকারি হোক কিংবা স্যালাড, গাজর (Carrots) অনেকেই খান।‌ আবার শিশুদের স্ট্রু কিংবা ঝোলেও অনেকেই কয়েক টুকরো গাজর দেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত গাজর খেলে শরীরে তার গভীর প্রভাব পড়ে।

    গাজর শরীরে কী প্রভাব ফেলে? (Carrots)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত শিশুকে গাজর খাওয়ালে হাড়ের গঠন ভালো হয়। আবার মহিলাদের জন্যও গাজর খুব উপকারী। কারণ, গাজরে থাকা ক্যালসিয়াম মহিলাদের শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে। হাড়ের ক্ষয় রোগ কমায়। চোখের সমস্যা কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, ক্যালসিয়ামের অভাবে চোখের একাধিক সমস্যা হয়। 
    পাশাপাশি গাজরে থাকে পটাশিয়াম। তাই যাদের রক্তচাপ বেশি, হৃদরোগের ঝুঁকিও রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত গাজর খাওয়া দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে পটাশিয়ামের জোগান দেয় গাজর। তাই নিয়মিত গাজর খেলে হৃদযন্ত্র সক্রিয় থাকে। 
    গাজরে থাকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই দুই প্রকার ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ উপকারী। পাশপাশি বার্ধক্য রোধেও এই দুই ভিটামিন কাজ করে। তাই ত্বকের বলিরেখা রুখতে নিয়মিত গাজর (Carrots) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    শিশুদের পাশপাশি পঞ্চাশোর্ধ্বদের জন্যও গাজর বিশেষ উপকারী। কারণ, গাজর কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গাজর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    হজমের সমস্যায় গাজর (Carrots)

    গাজর নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা কমে। কারণ, গাজরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার পরিপাকতন্ত্র এবং অন্ত্রের জন্য উপকারী। তাই গাজর সব বয়সীদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। এতে হজম শক্তি বাড়ে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজনের সমস্যা থাকলে স্থূলতা রুখতে নিয়মিত গাজর খেতে হবে। কারণ, গাজরে ফাইবার থাকে। এটা কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। নিয়মিত গাজর (Carrots) খেলে হজম ভালো হয়। আবার শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। তাই স্থূলতা রুখতে নিয়মিত গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    ক্যান্সার প্রতিরোধ (Carrots)

    পাশপাশি, গাজরে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজর হল ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত গাজর খেলে কোলন, পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত গাজর খাওয়া জরুরি। তবে স্যালাড বা তরকারির উপকরণ হিসেবে গাজর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মিষ্টি জাতীয় পদ গাজর (Carrots) দিয়ে তৈরি করলে তাতে ওজন ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Honey: রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না? নিয়ম মেনে মধু খেলেই মিলতে পারে সমাধান!

    Honey: রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না? নিয়ম মেনে মধু খেলেই মিলতে পারে সমাধান!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু কিংবা রাতে রুটির সঙ্গে সামান্য মধু (Honey) মিশিয়ে খেলেই পাওয়া যাবে নানা উপকার। এমনকী একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যাও কমবে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মধু খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে, কয়েকটি নিয়ম মেনে তবেই মধু খাওয়া উচিত। না হলে আবার বিপত্তি ঘটতে পারে।

    নিয়মিত মধু খেলে কী উপকার পাওয়া যায়? (Honey)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিদ্রার সমস্যা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ অনিদ্রার সমস্যায় ভোগে। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আবার মানসিক অস্থিরতাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়ে। এতে ঘুম ভালো হয়। 
    অনেকেই মুখের ভিতরে ঘায়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিনের অভাবে অনেকের মুখের ভিতরে ঘা হয়। যার জেরে খেতে অসুবিধা হয়। জ্বালা অনুভব হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মধু খেলে মুখের ঘা দ্রুত কমে। কারণ, মধুতে (Honey) রয়েছে অ্যান্টি-বায়োটিক। তাই তা ঘা সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    পাশপাশি, মধু ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বকের একাধিক রোগ প্রতিরোধে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকে লাল দাগ হলে কিংবা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে মধু খাওয়ার পাশপাশি মধু ত্বকে লাগালেও বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তাই ত্বকের সমস্যায় মধু বিশেষ কাজ করে। 
    ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে মধু বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে অনেকেই সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যায় ভোগেন। এর জেরে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত মধু খেলে এই ধরনের সমস্যা আটকানো‌ সম্ভব। কারণ, মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগ।‌ তাই সংক্রমণ রুখতে মধু বিশেষ উপকারী।

    মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন দিকে নজর দিতে হবে? (Honey)

    মধু খুবই উপকারী। কিন্তু মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বিশেষ‌ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত মধু খেলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস থাকলে মধু খাওয়ায় বিশেষ সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধুতে থাকে ফ্রুকটোস। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি‌ থাকলে মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে। 
    পাশপাশি ফ্যাটি লিভারের সমস‌্যা থাকলেও নিয়মিত মধু খাওয়া যাবে না। কারণ, মধু্তে হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের একেবারেই মধু খাওয়ানো যাবে না। কারণ, মধুর একাধিক উপাদান শিশুদের পেটে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই সদ্যোজাত থেকে জন্মের প্রথম এক বছর মধু (Honey) না‌ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাশরুম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এটি (Mushrooms) রান্নাঘরের নিত্যদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক বাড়িতেই। এটি দিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, স্যুপ, সবজি ও স্ন্যাক্স তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি যেমন খেতে ভালো, ঠিক তেমনই এর আছে বিভিন্ন উপকারিতা যা কম নয় এবং অনেক মানুষই তা জানেন না।

    মাশরুমের উপকারিতা (Mushrooms)

    ১) বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিরাময়ে মাশরুম: বর্তমানে প্রায় বাড়িতেই ডায়াবেটিস রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই মাশরুম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমের মধ্যে ফ্যাট ও শর্করার পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমানো সহজ হয়ে ওঠে।
    ২) চর্মরোগ প্রতিরোধে মাশরুম: বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন চুলকানি, দাদ প্রভৃতি থেকে মাশরুম (Mushrooms) অনেক উপকার করে। মাশরুম থেকে এমনকি মাথার খুশকি প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়।
    ৩) গর্ভবতী ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ: আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের সমন্বয় আছে এই মাশরুমে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ যেমন স্কার্ভি, পেলেগ্রা প্রভৃতি থেকে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রক্ষা করা যায় এই মাশরুম থেকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে নিয়োসিন ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। 
    ৪) দাঁত ও হাড় গঠন: মাশরুমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম, যা শিশুদের হার ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত উপকারী।
    ৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী: মাশরুমের (Mushrooms) মধ্যে আছে ল্যামপট্রোল, বেটা-ডি, বেনজো পাইরিন, টারপিনোয়েড যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করতে সাহায্যকারী। জাপানের একটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম ক্যান্সার প্রতিহত করতে অত্যন্ত উপকারী। এমনকি ফ্রান্সের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে মাশরুম খান বলে তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব কম। 
    ৫) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: মাশরুমের মধ্যে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন ইরিটাডেনিন, লোভাস্টনিন, এনটাডেনিন, কিটিন, ভিটামিন বি, সি ও ডি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 
    ৬) হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধক: মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন এবং লিংকজাই ৮ নামক এমাইনো অ্যাসিড থাকায় হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    ৭) অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ: শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দিলে মাশরুম (Mushrooms) খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে মাশরুম খুবই উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শ্যাম্পু করেও খুশকি যাচ্ছে না? ঘরোয়া উপাদানেই হতে পারে অসাধ্য সাধন

    Dandruff: শ্যাম্পু করেও খুশকি যাচ্ছে না? ঘরোয়া উপাদানেই হতে পারে অসাধ্য সাধন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শ্যাম্পু করেও কমছে না সমস্যা। বিশেষত বছরের এই সময়ে খুশকির (Dandruff) সমস্যা আরও বাড়ে।‌ তাই বাড়তি ভোগান্তি। শীতের শুরু থেকেই খুশকির সমস্যা বাড়ে। বছরের এই সময়ে অর্থাৎ শীতের শেষে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরেই আছে খুশকিকে‌ মোকাবিলা করার উপাদান।

    কেন হয় খুশকি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুষ্কতার কারণেই মূলত খুশকি হয়। খুশকি আসলে এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। মালাসেজিয়া নামে এক ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি বাড়ে। তবে খুশকি হওয়ার আরেক কারণ অপরিচ্ছন্নতা। মাথার ত্বক‌ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এই ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে। আর সেখান থেকেই খুশকির সমস্যা তৈরি হয়‌। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত শ্যাম্পু করা এবং মাথার চামড়া যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাহলেই খুশকির (Dandruff) সমস্যা মোকাবিলা সহজ হবে।

    কোন ঘরোয়া উপাদান খুশকি কমাতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথার চামড়ার যত্ন নিলেই খুশকি কমবে। তাই নিয়মিত মাথার চামড়া পরিষ্কার রাখা জরুরি। খুশকি ফাঙ্গাস থেকে হয়। তাই জরুরি ফাঙ্গাসের মোকাবিলা করা। আর এই কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। সপ্তাহে তিন-চার দিন নিমপাতার রস মাথার চামড়ার লাগিয়ে আধঘণ্টা রাখার পরে, শ্যাম্পু করলে খুশকি কমবে‌। ফাঙ্গাসের প্রকোপ কমবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, বারো থেকে পনেরোটা নিমপাতা বেটে সামান্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখলে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে। নিমপাতার অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান খুশকি (Dandruff) কমাতে সাহায্য করে।

    লেবুর রস

    নিমপাতার পাশপাশি খুশকি (Dandruff) কমাতে সাহায্য করে লেবুর রস। সপ্তাহে অন্তত একদিন লেবুর রস মাথায় মাখলে খুশকি কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাথার চামড়া শুষ্ক হয়ে গেলে খুশকির রস মাথায় মাখলে সেই সমস্যা কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে একদিন লেবুর রস মাথায় লাগিয়ে পনেরো মিনিট থাকতে হবে। তারপরে শ্যাম্পু্ করলে চুল ভালো থাকবে। লেবুর রসে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি মাথার চামড়া শুষ্ক হতে দেয় না। তাই খুশকি মোকাবিলায় লেবু্র রস বিশেষ উপকারী।

    পেঁয়াজ (Dandruff)

    খুশকি কমাতে পেঁয়াজ বিশেষভাবে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেঁয়াজের রসে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান খুশকি কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে একদিন পেঁয়াজ বেটে তার রস মাথার চামড়ায় লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। তবে পেঁয়াজের রস মাথায় মিনিট দশেকের বেশি রাখা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারপরেই ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। 
    এগুলোর পাশপাশি আপেল ভিনিগারে চুবিয়ে মিনিট দশেক মাথায় লাগিয়ে রাখলে খুশকি (Dandruff) কমতে পারে। তবে ভিনিগারে চুবিয়ে রাখা আপেল চুলে বেশি‌ ব্যবহার না‌ করাই ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে অনেক সময়েই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Almonds: নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া সত্যিই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    Almonds: নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া সত্যিই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    রোজ সকালে ঘুম থেকে অনেকেই কাঠবাদাম (Almonds) খান! আবার অনেকে সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গেও বাদাম খান। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে তার প্রভাব পড়ে। কতখানি স্বাস্থ্যকর নিয়মিত বাদাম খাওয়া? কী বলছেন চিকিৎসকেরা!

    নিয়মিত বাদাম খেলে কী উপকার হতে পারে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে (Almonds) রয়েছে ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। তাই নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। শরীরের পরিপাকতন্ত্রের জন্য কাঠবাদাম খুবই উপকারী।‌
    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি কম বয়সীদের মধ্যেও হৃদসমস্যা বাড়ছে। বিশেষত অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগ‌ মোকাবিলায় খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে ভেজানো বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ, বাদামে থাকে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম। যা রক্ত সঞ্চালনে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগ রুখতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা (Almonds)

    কাঠবাদাম খাওয়ার অন্যতম উপকার হল স্মৃতিশক্তি বাড়ে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের বাড়ছে অ্যালজাইমারের মতো‌ সমস্যা। অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে। আবার শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ জরুরি। অধিকাংশ অভিভাবক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। বাড়ির ছোট থেকে প্রবীণ, সবার জন্য উপকারী কাঠবাদাম। জলখাবারে নিয়মিত কয়েকটা কাঠবাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। কারণ, বাদামে থাকে রিবোফ্লাভিন এবং ক্যারনিটিন।‌ যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। 
    তবে ডায়বেটিস রোগীদের খাওয়ার পরে বাদাম (Almonds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর।‌ তাই নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়বেটিস রোগীরা বিশেষ উপকার পাবেন। তবে সেটা খাওয়ার পরে হলে বেশি‌ ভালো হবে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    খিদে কমে

    বাদাম খেলে খিদে কমে যায়। আবার অতিরিক্ত পরিমাণ কাঠবাদাম (Almonds) একসঙ্গে খাওয়া যায় না।‌ তাই স্থুলতার সমস্যা রুখতে কাঠবাদাম নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি কাঠবাদাম দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমায়। কাঠবাদামে থাকে ওমেগা থ্রি। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    কাঠবাদাম খুবই পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর ফসফরাস আর মিনারেল। ফলে এগুলো‌ হাড় আর দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারী।‌ তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা থাকলে নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। তাহলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Health: দিনভর দুষ্টুমি, লাফালাফি আর দৌড়, রাতে সন্তানের পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা! কীসের ইঙ্গিত?

    Child Health: দিনভর দুষ্টুমি, লাফালাফি আর দৌড়, রাতে সন্তানের পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা! কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দুষ্টুমি। লাফালাফি আর দৌড়। বাড়ির একরত্তির সারাদিনের হৈহৈ কাণ্ডে অস্থির সকলে। কিন্তু রাত বাড়লেই এক সমস্যা। প্রায় রাতেই পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। কখনও কেঁদে উঠছে।‌ সারা রাত পায়ের যন্ত্রণায় ঠিকমতো ঘুমও হচ্ছে না। সন্তানের কেন রাতে পায়ের যন্ত্রণা হচ্ছে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেক বাবা-মা! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্ক হতে হবে। না হলেই এই সমস্যার (Child Health) মোকাবিলা কঠিন হ‌য়ে উঠবে।

    রাত বাড়লেই কেন বাড়ে পায়ের যন্ত্রণা?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিন বছরের পর থেকেই বহু শিশু রাতে পায়ের যন্ত্রণায় কাবু হয়। বছর দশেক পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে‌। ছেলে-মেয়ে কমবেশি সকলেই এই সমস্যায় ভোগে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যার নাম গ্রোইং পেন (Child Health)। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিন বছরের পর থেকেই শিশুর শরীরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিকাশ হয়। অর্থাৎ, হাত-পায়ের হাড় ও পেশির বিকাশ ঘটে। উচ্চতা বাড়ে। বছর দশেক পর্যন্ত বিশেষ ভাবে দৈহিক পরিবর্তন ঘটে। আর তার জেরেই এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। শিশুরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত এই বয়সের শিশুরা দিনভর খুব ‘অ্যাক্টিভ’ থাকে। অর্থাৎ, দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি করে। ফলে, পেশি ও হাড় যথেষ্ট ক্লান্ত থাকে। পাশপাশি এগুলির এই বয়সে নতুন করে গঠন হয়। তাই রাতে বিশ্রামের সময় যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত পেশির যন্ত্রণা বেশি হয়।

    তবে যন্ত্রণা কি গ্রোইং পেন? (Child Health)

    চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, সব রকমের যন্ত্রণা কিন্তু গ্রোইং পেন নয়। তাই অভিভাবকদের সতর্কতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনভর ছটফটে রয়েছে। স্কুল যাওয়া কিংবা খেলাধুলো স্বাভাবিক ভাবেই করছে। রাতে পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা (Child Health) হলেও, সকালে ঘুম থেকে উঠে‌ একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাহলে বুঝতে হবে এটা গ্রোইং পেন। কিন্তু অনেক সময়ে শিশুদের হাড়ে একাধিক সমস্যা হয়। সেই যন্ত্রণা শুধু রাতে নয়, দিনেও হবে। যদি একটানা যন্ত্রণা অনুভব হয়, সারাদিন ক্লান্তিবোধ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। তাছাড়া, জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে হাতে-পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হলে, কখনই শিশুকে অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে অন্য কোনও সমস্যা দেখা‌ দিতে পারে।

    গ্রোইং পেন দেখা দিলে কীভাবে খেয়াল রাখতে হবে?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গ্রোইং পেন দেখা দিলে পেশি আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। তাতে সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে। শিশুদের এই পায়ের যন্ত্রণার জন্য কোনও রকমের ওষুধ বা মলম না লাগানোই ভালো বলে মনে করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক। তবে এই সময়ে পুষ্টির দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে পেশি ও হাড়ের বিকাশ ঘটে। তাই পুষ্টিতে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Child Health)। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি যাতে দেখা না‌ দেয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি দরকার। তাই শুধু ঘরের ভিতরে নয়, সূর্যের আলোতে শিশুদের খেলাধুলো প্রয়োজন। সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। পাশাপাশি হাড়ের শক্তি বাড়াতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম সিদ্ধ, কলা, লেবু খেতে হবে। পাশপাশি বাদাম খাওয়া জরুরি। শরীরে ভিটামিন এবং প্রোটিনের জোগান থাকা জরুরি। তবেই পেশি শক্তিশালী হবে বলে‌ জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। আর পেশি‌ শক্তিশালী হলে গ্রোইং পেন‌ মোকাবিলাও সহজ হবে। তাই মাছ, মাংস, পনির, এবং সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া দরকার। তবেই শিশুর বিকাশ‌ ঠিকমতো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Banana: ছেলের বুদ্ধি খুলছে না? একেবারে ছোট্ট থেকেই নিয়মিত কলা খাওয়ানো অভ্যাস করুন

    Banana: ছেলের বুদ্ধি খুলছে না? একেবারে ছোট্ট থেকেই নিয়মিত কলা খাওয়ানো অভ্যাস করুন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাসে শুধুই মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু তারপরেই ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া হয়। ভাতের পাশাপাশি‌ যেসব ফল নিয়মিত শিশুকে দেওয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে কলা। অধিকাংশ মায়েরাই শিশুকে নিয়মিত কলা (Banana) খাওয়ান। বিশেষত শিশুর সাত-আট মাস বয়স থেকেই কলা দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত কলা খেলে কী হতে পারে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা! 

    শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Banana) 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা হজমে খুব সাহায্য করে। শিশুরা প্রথম শক্ত খাবার খেতে শিখলে হজমের গোলমাল হতে পারে। অনেক শিশুই হজমের সমস্যায় ভোগে। পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে, এই ছয়-সাত মাস বয়সে কলা খাওয়ালে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। কলাতে ফাইবার থাকে। তাই হজমে বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি‌ অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। 
    শিশুরা অধিকাংশ সময়েই খুব ছোটাছুটি করে। ফলে তাদের বাড়তি এনার্জি জরুরি।‌ কলায় থাকে ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন, পটাশিয়াম। এগুলি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া এনার্জিও জোগান দেয়। নিয়মিত কলা খেলে শিশুদের সহজেই ক্লান্তি দূর হবে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    কলাতে ভিটামিন এ থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের জন্য কলা খুব উপকারী। তাই দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাছাড়া, কলায় প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত কলা (Banana) খেলে শিশুদের হাড় শক্ত হবে। 

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা (Banana) 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ‌ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলায় পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। 
    কলায় থাকে আয়রন। তাই হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ও রক্তাল্পতা রুখতে কলা নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেয়েরা রক্তাল্পতায় বেশি‌ ভোগে। যার জেরে পরবর্তী জীবনে নানান সমস্যাও দেখা যায়।‌ তাই ছোট থেকেই নিয়মিত কলা (Banana) খেলে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে। 
    তাছাড়া কলা‌ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। 

    তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করলেই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ানো উচিত। কলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত কলা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share