Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে রোগের ভোগান্তি। অনিয়মিত খাওয়া, কম ঘুম কিংবা অতিরিক্ত কাজের চাপ স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা তৈরি করছে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা নানান জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন‌ বাঙালি। তার উপরে অধিকাংশ বাঙালি মহিলা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই (Yogurt) এই সব সমস্যার দাওয়াই। প্রত্যেক দিন একবার মেনুতে টক দই রাখলে, একাধিক সমস্যা কমবে।

    কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে টক দই? (Yogurt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই হাড়ের সমস্যা রুখতে খুব সাহায্য করে টক দই। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। হাড় ক্ষয় রোগের দাপট চল্লিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত মহিলারা টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ফলে হাড়ের সমস্যাও কমবে‌। 
    টক দইতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড।‌ তাই টক দই পরিপাকতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ল্যাকটিক অ্যাসিড ডায়ারিয়া রুখতে সাহায্য করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও মোকাবিলা করে। তাই পেটের সমস্যায় বিশেষভাবে সাহায্য করে টক দই। 
    তাছাড়া, স্থূলতা কমাতে টক দই খুব উপকারী। তাই যাদের ওজন‌ দ্রুত বাড়ছে, মেদ কমানো জরুরি, তাদের নিয়মিত টক দই (Yogurt) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইতে এমন একাধিক উপাদান রয়েছে, যা শরীরে মেদ জমতে দেয় না। 
    পাশপাশি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ মোকাবিলায় টক দই খুব সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইয়ের মধ্যে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত টক দই খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর ফলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। 
    তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি।

    কতখানি টক দই খাওয়া প্রয়োজন? (Yogurt) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দই খুবই উপকারী। কিন্তু এটা প্রয়োজন মাফিক খেতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অতিরিক্ত টক দই খেলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, দেহের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে টক দই খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে ৩০০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন। তার বেশি পরিমাণে টক দই কখনই খাওয়া যাবে না। কারণ, টক দইতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দেহে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আবার নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, ফুসফুসের সংক্রমণ থাকলে অতিরিক্ত টক দই সমস্যা তৈরি করে। কারণ, টক দই ঠান্ডা খাবার। তাই বেশি টক‌ দই খেলে কাশির সমস্যা তৈরি হয়। তাই হাঁপানি বা ফুসফুসের কোনো বড় সমস্যা থাকলে টক দই খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, টক দই দ্রুত ওজন‌ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ টক দই খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই টক দই (Yogurt) খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রোগ (Obesity)। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী কয়েক বছরেই শিশুদের মধ্যে মহামারির আকার নেবে স্থূলতা। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু স্থূলতা রুখতে সচেতনতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্থূলতা রুখতে অনেক অভিভাবক ডায়েট করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ডায়েট অবৈজ্ঞানিক। ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এদিকে শারীরিক জটিলতাও দেখা গিয়েছে। 

    কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? (Obesity)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা অধিকাংশ শিশুদের এখন অন্যতম সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকেই আবার অপরিকল্পিত ডায়েট করছেন। বিশেষত অভিভাবকদের একাংশ শিশুদের জোর করে ডায়েট করাচ্ছেন।‌ আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের চাহিদা ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডায়েট না করলেই সমস্যা হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, বহু অভিভাবক স্যালাড, চিয়া সিড, ডিমের সাদা অংশ শিশুদের খাওয়াচ্ছেন।‌ অনেকেই স্থূলতা রুখতে শিশুদের ভাত কিংবা রুটির পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে কিন্তু শিশুদের মারাত্মক এনার্জির ঘাটতি হচ্ছে। আবার শুধুমাত্র সিদ্ধ বা স্যালাড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরে অন্য ধরনের খাবার একেবারেই হজম করার শক্তি পাচ্ছে না। এগুলো বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে। এর ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আবার অনেক সময়েই একেবারে ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার জেরে তাদের খাওয়ার ইচ্ছে ও চাহিদা চলে যাচ্ছে। এর জেরে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। শরীরের প্রয়োজন বুঝে ডায়েট না করলে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শিশুদের মধ্যে অমনোযোগী মনোভাব বাড়বে। তাছাড়া, শিশুদের একাংশ ধৈর্য হারাবে। এগুলো স্থূলতা (Obesity) রুখলেও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সমস্যা তৈরি করবে। 

    কীভাবে স্থূলতা রুখতে হবে? (Obesity) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জরুরি। কোনও অপরিকল্পিত ডায়েট নয়। বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতোই খাবার দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে ধরনের খাবারে শিশু অভ্যস্ত, তাকে সেই খাবারের মধ্যেই ডায়েট করতে হবে। অর্থাৎ, যেসব শিশুরা ভাত, রুটি, মাছ, মাংসের পদ খেতে অভ্যস্থ, হঠাৎ তাকে শুধুই স্যালাড আর চিয়া সিড টক দই দিলে, তার শরীরে উপকার হবে না। বরং একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। বরং সে কতখানি খাবে সে ব্যাপারে তাকে বোঝানো দরকার। পাশপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনোভাবেই জোর করে ডায়েট করানো‌ চলবে না। বরং নানান থেরাপির মাধ্যমে শিশুকে বোঝাতে হবে কেন স্থূলতা রুখতে হবে। কেন তাকে ডায়েট করতে হচ্ছে। তবেই বেশি কার্যকর হবে। তবে প্রথম থেকেই অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তাতে স্থূলতার সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শুধু ডায়েট নয়। শিশুদের স্থূলতার (Obesity) সমস্যা রুখতে শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিয়মিত যাতে সন্তান শরীর চর্চা করে সে দিকেও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলা অনেকের কাছেই কিছুটা একঘেয়ে। যন্ত্রের উপরে একটানা হেঁটে চলাতেও আগ্রহ কমছে।‌ তবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই আগ্রহের শরীরচর্চা হচ্ছে জুম্বা (Zumba)। তরুণ প্রজন্মের একাংশ তাই শরীরচর্চার অংশ হিসেবে জুম্বাকেই বেছে নিচ্ছেন।

    জুম্বা কী? (Zumba)

    জুম্বা এক ধরনের শরীরচর্চা। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের নাচের শৈলী হিসেবেই কয়েক দশক আগে জুম্বার পরিচিতি ছিল। কিন্তু বেশ কিছু রদবদল হয়ে এখন তা মূলত শরীরচর্চার এক ধরন হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে। গানের তালে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করা হল জুম্বা (Zumba)।

    জিমের থেকে বাড়তি সুবিধা কী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিমে একঘেয়েমি মনোভাব তৈরি হয়। কিন্তু জুম্বায় সেটা নেই। জুম্বায় মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। কারণ, গানের সঙ্গে এক সাথে অনেকে এই শরীরচর্চা করেন। ফলে, একঘেয়েমি থাকে না।‌ এর ফলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। অবসাদ কমাতে বাড়তি সাহায্য করে জুম্বা। এই শরীরচর্চায় সৃজনশীলতা রয়েছে‌। তাই অবসাদ কমাতেও এই শরীরচর্চা উপকারী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ছে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই শরীরচর্চা আগ্রহ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি জুম্বা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হৃদরোগের সমস্যাকে জটিল করে। জুম্বার শরীরচর্চার শৈলী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই শরীরচর্চা (Zumba) বিশেষ উপকারী। 
    ওজন কমাতে ও‌ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই শরীরচর্চা বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জুম্বায় খুব দ্রুত ওজন কমে। নিয়মিত জুম্বা করলে অনেকটাই ক্যালোরি বার্ন হয়। পাশাপাশি দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, এই শরীরচর্চায় ওজন কমে, মানসিক অবসাদ কমে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য জুম্বা বিশেষ উপকারী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই শরীরচর্চায় অংশ নিতে পারেন। তবে কম বয়সীদের জন্যই এই অভ্যাস বেশি কার্যকর বলে মনে করেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এই শরীরচর্চা অনেকটাই পরিশ্রমের। একটানা ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় গানের ছন্দে ক্রমাগত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেমে গেলেই ঠিকমতো শরীরে প্রভাব পড়বে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে প্রবীণদের পক্ষে অসুবিধার হতে পারে। 
    তবে কম বয়সীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জুম্বা (Zumba) অত্যন্ত উপকারী শরীরচর্চা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে। তার সঙ্গে রয়েছে একাধিক ছুটি! তাই সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে হৈ হৈ করে চলছে পিকনিক (Picnic)।‌ শীতের মরশুমে উৎসবের তালিকায় আরেক উৎসব হল এই পিকনিক। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর না রাখলেই ঘটতে পারে বিপদ। মারাত্মক স্বাস্থ্যসঙ্কটও তৈরি হতে পারে। তাই পিকনিকের মরশুমে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কোন দিকে নজরদারি জরুরি? (Picnic) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বনভোজনে খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত হাত পরিষ্কারে বিশেষ নজরদারি জরুরি।‌ অনেক ক্ষেত্রেই খোলা জায়গায় খাওয়া হয়। তাই যে থালায় খাওয়া হচ্ছে, তা আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা, সেটা খেয়াল‌ রাখা দরকার। পাশপাশি, হাত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি।‌ কারণ, এই ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে একাধিক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত পেটের সমস্যা, ডায়রিয়ার মতো বিপদ‌ বাড়তে পারে। তাই হাত পরিষ্কারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Picnic)। 
    জলের ব্যবহারের দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ বিপদ বাড়ায়। তাই বনভোজনের রান্নায় পরিশ্রুত জল ব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজরদারি জরুরি। খাওয়ার জল পরিশ্রুত কিনা, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জল থেকে জন্ডিস সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বনভোজনের জায়গায় শৌচালয় রয়েছে কিনা, তা পরিচ্ছন্ন কিনা, সেগুলোতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক বনভোজনের জায়গায় এই দিকটি একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শৌচাগারে পর্যাপ্ত জল থাকে না। আর এর জেরেই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এগুলোর দিকে নজরদারি জরুরি।

    অতিরিক্ত মদ্যপান? (Picnic)

    শীতের পিকনিকে অনেকের কাছেই মদ্যপান উদযাপনের অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।‌ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মদ্যপান যে কোনও বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।‌
    পাশপাশি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিকের মরশুমে অনেকেই অতিরিক্ত মাংস কিংবা তেলেভাজা খান। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। হজমের অসুবিধা ছাড়াও হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণ মাংসের পদ কিংবা তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা হতে পারে। তাই কতখানি খাবার খাবেন, সে সম্পর্ক সতর্ক থাকা জরুরি। তবেই সুস্থভাবে উদযাপন সম্ভব (Picnic)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক! কোন‌ কোন রোগে আর কার্যকর হচ্ছে না ওষুধ? 

    Antibiotics: যখন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক! কোন‌ কোন রোগে আর কার্যকর হচ্ছে না ওষুধ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ সর্দি-কাশি‌ কিংবা হাল্কা কোনও চোট লাগলেও দাওয়াই হয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। কখনও ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো কেনা, আবার কখনও নিজেই ঠিক করে খানকতক অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট মুখে পুড়ে দেওয়া। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই রেওয়াজ চলছে। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিয়মিত ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত বেশ কয়েকটি রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের। 

    কোন কোন রোগে সমস্যা বাড়ছে? (Antibiotics) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সংক্রমণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। পালমনোলজিস্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে কাজ করছে না। যে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক অনিয়মিতভাবে অতিরিক্ত খেলে, শরীরে এক  ধরনের প্রতিষেধক শক্তি গড়ে ওঠে। তখন আর অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না। তাই দেখা যাচ্ছে, অনিয়মিতভাবে, অকারণে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে। শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না।‌ ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ভোগান্তি বাড়ছে। 
    এছাড়া, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হচ্ছে না।‌ ফলে ভোগান্তি বাড়ছে। 
    এছাড়া যে কোনও দুর্ঘটনার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ঠিকমতো শরীরে প্রভাব ফেলছে না।‌ এর জেরে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Antibiotics) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিতভাবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।‌ সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা হাল্কা চোট লাগলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। বরং এই ধরনের সমস্যার অন্য ওষুধ রয়েছে। তাই অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। একমাত্র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। 
    তবে ফুসফুসের সংক্রমণ কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা এড়াতে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের অন্যতম কারণ জল কম খাওয়া। এছাড়া, ক্র্যানবেরি জুসের মতো ফলের রস নিয়মিত খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি এলাচ, রসুন, লেবু, তুলসি পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের সংক্রমণে ঝুঁকি কমে। কারণ, এগুলিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সংক্রমণের ঝুঁকি কমলে ভোগান্তিও কমবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Depression: মানসিক অবসাদ ৫৮ শতাংশ রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে! কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Depression: মানসিক অবসাদ ৫৮ শতাংশ রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে! কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের পাশপাশি বাড়ছে মনের রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের রোগ সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পাশপাশি মনের অসুখ নিয়েও সচেতনতা জরুরি। না হলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, মনের অসুখ বাড়িয়ে দিচ্ছে শরীরের একাধিক রোগ। তাই মানসিক রোগ (Depression) নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Depression)

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা‌ গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে মানসিক অবসাদ।‌ গোটা বিশ্বের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ মানসিক অবসাদে ভুগছেন।‌ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একাকিত্ব থেকেই অবসাদ হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম তিন অবসাদে (Depression) ভোগা দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ভারতীয় মানসিক অবসাদের শিকার। আর এই অবসাদের অন্যতম কারণ একাকিত্ব। 
    ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষত, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো সমস্যা বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিক অবসাদগ্রস্থের এই ধরনের রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ বেশি থাকে। অধিকাংশ মানসিক অবসাদগ্রস্থের নানান শারীরিক সমস্যা থাকে। যার অধিকাংশই জীবনযাপনের ধরনের জন্য হয়।

    কেন বাড়ছে মানসিক অবসাদ? (Depression)

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে মানসিক অবসাদের সমস্যা বাড়ছে। তার প্রধান‌ কারণ একাকিত্ব। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাকিত্ব মানে একা থাকা নয়। একাকিত্ব হল এমন এক মানসিক অবস্থা, যখন একজন ভাবেন, তিনি একা (Depression)। তাঁর পাশে কেউ নেই। তাঁর সমস্যা, তাঁর ভাবনা‌ বলার মতো কেউ তাঁর কাছে নেই। সেখান থেকেই অবসাদের সমস্যা তৈরি হয়। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অধিকাংশ মানুষ পরিবারের সঙ্গেও‌ ঠিকমতো সময় কাটাতে পারেন না।‌ ফলে, নিজের মনের কথা ভাগ করে‌ নেওয়ার সুযোগ ক্রমশ কমছে। সেখান থেকেই অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা বাড়ছে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব? (Depression)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাকিত্ব দূর করতে পারলেই অনেকটা সমস্যা মোকাবিলা হবে। মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ কমলে একাধিক শারীরিক সমস্যা কমে। এটা একাধিকবার প্রমাণ হয়েছে। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা কমাতে মানসিক স্বাস্থ্য (Depression) সুস্থ রাখতেই হবে। তবেই সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব। তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।‌ দিনে অন্তত একবার পরিবারের সকলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় একে অপরের সঙ্গে কথা বলে সারাদিনে কে কী করল, বিভিন্ন ঘটনা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। এতে মানসিক চাপ কমে। এছাড়া নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে‌ যোগাযোগ করা জরুরি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা সরাসরি বসে কথা বলা, নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ একাকিত্ব কাটাতে বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল জীবন বা কর্ম জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে একাকিত্ব কমে‌। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন কিছুটা সময় সমবয়সীদের সঙ্গে কাটানোর পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    তবে, মানসিক অবসাদের সমস্যা জটিল হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, অনেক সময় নির্দিষ্ট ওষুধ আর থেরাপির প্রয়োজন হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    Heart Disease: শীতে পারদ নামতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। শীত জাঁকিয়ে বসেছে কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র। শীতের দাপট বাড়তেই বাড়ছে স্ট্রোকের (Heart Disease) ঝুঁকি। সরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল, সর্বত্র স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়াবে।

    কেন শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম হয় না। রক্ত সঞ্চালনও তাই ধীরে হয়। পাশপাশি, ঘাম না‌ হওয়ার জেরে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে রক্ত সঞ্চালন ধীরে হওয়ার জেরে হৃদপিণ্ড থেকে দেহে রক্ত সঞ্চালনের গতিও কমে (Heart Disease)। রক্তচাপ ওঠানামা করে। আর এর জেরেই বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    শীতে কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে প্রবীণদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা প্রবীণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে, তরুণ প্রজন্মের সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাঁরা রক্তচাপ, স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, শীতে তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, রক্তচাপের ওঠানামার জেরেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্তের অধিকাংশের কোলেস্টেরল আর রক্তচাপের সমস্যা থাকে (Heart Disease)। তাই বয়স যাই হোক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এই বিপদের কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? (Heart Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। কারণ, রক্তচাপ অতিরিক্ত ওঠানামা করলে বিপদ বাড়ে।‌ তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ পাশপাশি, শীতে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ছাড়তে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে। তাই স্ট্রোকের মতো সমস্যার বাড়তি ঝুঁকি (Heart Disease) তৈরি করে। তাই শীতে নুন খাওয়ায় রাশ‌ টানা জরুরি। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবার খেলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। যা শরীরে রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এই সময়ে সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার। যদিও শীতে অনেকেই নানান পদের মাংস খান। আবার অনেকেই শীতে নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত হন।‌ কিন্তু এই অভ্যাস বিপজ্জনক। শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক কসরত বা‌ যোগাভ্যাস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে‌। নিয়মিত হাঁটলেও শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই এগুলো নিয়মিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital Infection: হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমণ, ফি-বছর বাড়ছে মৃত্যু!

    Hospital Infection: হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমণ, ফি-বছর বাড়ছে মৃত্যু!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কয়েক দিন আগেই উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খাঁ-র মৃত্যু ফের প্রশ্ন তুলল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সেখান থেকেই সংক্রমণ (Hospital Infection), আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে এই বিশিষ্ট সংগীত শিল্পীর। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা‌। তবে, রশিদ খাঁ-র ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এইভাবেই মারা যান। আর এই রোগের নাম হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন।

    হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন কী? (Hospital Infection) 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে কোনও কোনও রোগীকে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন ভর্তি থাকতে হয়। দেখা যায়, হাসপাতালে থাকার জন্য রোগীর দেহে নানা সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে‌। একেই বলে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন রোগী (Hospital Infection)। যেসব রোগীকে দীর্ঘ সময় ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করতে হয়, তাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অনেক সময়েই দেখা যায়, ভেন্টিলেশনে থাকার জেরে ফুসফুসে জল জমে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্লাড স্ট্রিম ইনফেকশন হয়। দীর্ঘ সময়ে রোগীর দেহে নানা ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম দেওয়া থাকলে, সেখান থেকে এই ব্লাড স্ট্রিম ইনফেকশন হতে পারে। আবার ইউরিনারি ট্র্যাকেও ইনফেকশন হয় হাসপাতাল থেকে। রোগী দীর্ঘ সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকলে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকেই মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকলে রোগীকে নানা যন্ত্র দেওয়া হয়। যেমন অক্সিজেন, স্যালাইন, ক্যাথেটার, এছাড়াও নানান জীবনদায়ী যন্ত্র। আর লাগাতার এই কৃত্রিম পরিবেশে থাকার জেরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীরা থাকেন।‌ বাতাসেও থাকে জীবাণুর দাপট। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।‌ তাই এক রোগের চিকিৎসা করাতে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, হাসপাতাল থেকেই আর এক সংক্রমণ রোগের শিকার হতে পারে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন।‌

    এই রোগের প্রকোপে মৃত্যুহার কত? (Hospital Infection) 

    বিশ্ব‌জুড়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, প্রতি বছর আমেরিকায় ৯৯ হাজার মানুষ হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশনে আক্রান্ত হন। যার একটি বড় অংশ মারাও যান। আমেরিকার মতো এই সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় চিকিৎসক মহল। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এ দেশে হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশনের হার গত কয়েক বছরে ক্রমশ বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এই সংক্রমণের হার ২.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ।‌ করোনা মহামারির সমস্যার পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও‌ মূলত প্রবীণ রোগীদের এই ধরনের ঝুঁকি (Hospital Infection) বেশি দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কম বয়সীরাও এই সমস্যায় ভুগছেন। 

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? (Hospital Infection) 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের পাশপাশি স্বাস্থ্য কর্মীদের এই সমস্যা নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তাঁঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় না। তাই এই ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। হসপিটাল-অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন (Hospital Infection) রোধ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হাত পরিষ্কার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অভ্যাস যেন‌ থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশপাশি মাস্ক পরা এবং এয়ার পিউরিফায়ারের দিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, হাসপাতালে একাধিক রোগী‌ একসঙ্গে থাকে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যে কোনও জীবনদায়ী যন্ত্র রোগীকে দেওয়ার আগে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Disease: চার বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন‌ মা! মানসিক অসুখ থেকেই কি এই কাজ?

    Mental Disease: চার বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন‌ মা! মানসিক অসুখ থেকেই কি এই কাজ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এক একরত্তির মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ।‌ চার বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যুতে অভিযুক্ত তার মা। অভিযোগ, নিজের পুত্রসন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন‌ মা। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।‌ ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ার একটি হোটেলে। খুনের পরে বেঙ্গালুরু পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপরেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত মা। অত্যন্ত মেধাবী বাঙালি বিজ্ঞানী মায়ের হাতে মাত্র চার বছরের শিশুর নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠছেন সকলেই। দেশ-বিদেশের একাধিক ডিগ্রি থাকা, বিজ্ঞানী মায়ের এমন আচরণে অবাক হচ্ছেন‌ অনেকেই।‌ কিন্তু মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক অসুখ থেকেই এমন কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন ওই মহিলা। প্রথম থেকেই তাঁর রোগ নির্ণয় হলে এবং চিকিৎসা করালে এই ধরনের বড় বিপদ হয়তো এড়ানো যেতে পারত। তাই মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ, সন্তানের আচরণ প্রথম থেকেই নজরে রাখা জরুরি। কিছু লক্ষণ স্পষ্ট করে, সন্তানের মনে অপরাধ প্রবণতা জন্ম নিচ্ছে কিনা। তাহলে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।

    কীভাবে জানবেন সন্তান‌ অপরাধমনস্ক?

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান অপরাধমনস্ক কিনা, তা জানার জন্য নজরদারি জরুরি। খুব‌ ছোট বয়সে অর্থাৎ, ৫ থেকে ৮ বছর, এই সময়ে বহু শিশু কল্পনা করে। তাদের কল্পনায় রাক্ষস থেকে রাজা-রানী, পরী অনেকে থাকে। তারা বাস্তবের সঙ্গে মিশিয়ে নানা কল্পনার গল্প বলে।‌ যা খুবই স্বাভাবিক। এগুলোকে কখনই মিথ্যে কথা বলা যায় না।‌ কারণ, তারা সচেতন ভাবে বানিয়ে কিছু বলছে না। কল্পনা আর বাস্তবের ফারাক করতে পারছে না। কিন্তু বছর দশেকের ছেলে-মেয়ে যদি খুব ছোট বিষয়েও মিথ্যে‌ কথা বলে, সেগুলো নজরে রাখা জরুরি। স্কুলের সামান্য ঘটনা কিংবা বন্ধুদের ব্যাপারে, যে কোনও গুরুত্বহীন বিষয়েও লাগাতার মিথ্যে বললে, বোঝা দরকার কোথাও সমস্যা হচ্ছে।‌
    পাশপাশি, সন্তানের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব কতখানি প্রবল, সেটাও বোঝা জরুরি বলে জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে দেখা যায়, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে কেউ কেউ মারাত্মক প্রতিযোগী।‌ যে কোনও বিষয়ে জেতাকে তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে এবং মরিয়া হয়ে উঠছে। এই মারাত্মক প্রতিযোগী মনোভাব একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পরবর্তীতে তা নানা মানসিক জটিলতা তৈরি করে। 
    পছন্দের জিনিস ভাগ করে নিতে রাজি হচ্ছে কিনা, এটাও দেখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিজের জিনিস নিয়ে মারাত্মক সচেতন হয়। খুব ছোট থেকেই খেলনা হোক বা পছন্দের জামা-কাপড়, চকোলেট ভাই-বোন বা বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই ভাগ করতে চায় না। এই কোনও কিছুই ভাগ করতে না পারা, সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
    স্কুলে বন্ধু হোক বা ভাই-বোন, একসঙ্গে খেলার সময় শিশু কেমন আচরণ করছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। যদি অতিরিক্ত মারধর করার প্রবণতা থাকে, তাহলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। কারণ, বারবার মারধর করার প্রবণতায় শিশু মনে হিংস্রতা জন্ম নেবে। 
    আবার একেবারে গুটিয়ে থাকা কিংবা অতিরিক্ত চুপচাপ থাকলেও সতর্ক হতে হবে। কারণ, সদ্য শৈশব পেরনো কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেমেয়ে খুব বেশি গুটিয়ে থাকলে বুঝতে হবে, কোনও রকম মানসিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে?

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান মিথ্যে কথা বললে প্রথম থেকেই তার স্বভাব পরিবর্তনে জোর দিতে হবে। কোনও রকম ভয় থেকেই শিশুরা মিথ্যের আশ্রয় নেয়। তাই কেন‌ মিথ্যে বলছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। তবেই এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব হবে। 
    শিশুদের সামনে কোনও ভাবেই হিংসার ঘটনা আনা চলবে না। বাড়ির বড়দের কোনও অশান্তি কিংবা পরিবারের হিংসার ঘটনা শিশুদের সামনে ঘটলে, তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। যা দীর্ঘমেয়াদি হয়। তারা হিংসাকেই বহু সমস্যার সমাধান ভাবতে শেখে।
    অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, কোনও বিষয়ে হেরে গেলেও তা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করার মতো বিষয়গুলো ছোট থেকেই বোঝানো‌ জরুরি। তারপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eye Infection: একরত্তি শিশুও মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে, শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি?

    Eye Infection: একরত্তি শিশুও মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে, শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা হোক বা শীত! যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময়েই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতোই ভোগান্তি বাড়ায় চোখের সংক্রমণ (Eye Infection)! চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে‌ যাওয়া কিংবা চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একরত্তি শিশুদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সংক্রমণ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সব সময় যে কনজাংটিভাইটিস হচ্ছে, এমন নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বছরে একাধিকবার শিশুরা চোখের সংক্রমণে ভুগছে।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বারবার চোখে সংক্রমণ হচ্ছে? (Eye Infection)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দূষণের জেরে বাড়ছে সংক্রমণ। ফুসফুস হোক‌ বা চোখ, সংক্রমণ রোগের দাপট বাড়াচ্ছে দূষণ। বিশেষত বায়ু দূষণের জেরে চোখের সংক্রমণে সমস্যা বাড়ছে।‌ চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে গেল যেমন ‌শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ে। তেমনি, চোখ জ্বালা করে। তার জেরেই সংক্রমণ হয়। তাই শীতে অনেকের চোখে সংক্রমণের সমস্যা হয়। কারণ, ওই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    তাছাড়া, ছোট থেকেই এখন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখতে অভ্যস্থ অনেকেই।‌ আর এর জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে।‌ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশুই মোবাইলের স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকছে।‌ তাই চোখে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকী চোখ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে (Eye Infection)। ফলে, এক ধরনের চুলকানি আর ব্যথা অনুভব হয়। যার জেরে শৈশবেই কমছে দৃষ্টিশক্তি।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা হবে‌?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি‌‌।‌ শিশুদের নিয়মিত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলির মতো খাবার খাওয়া জরুরি। এতে ভিটামিন এ, সি থাকে। তাই চোখের পক্ষে উপকারী। পাশপাশি, নিয়মিত ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ ডিমে ল্যুটিন থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট‌ চোখের জন্য ভালো। এছাড়া, কাজু, পেস্তা, বাদাম খাওয়া জরুরি। এগলিতে ভিটামিন ই থাকে। যা মায়োপিয়ার ঝুঁকি কমায়। গাজর, বিট নিয়মিত খেলে চোখের রেটিনা সুস্থ থাকে (Eye Infection)। কারণ, এই সব্জিগুলিতে ক্যারোটিন আছে।‌
    খাবারের পাশাপাশি স্ক্রিন টাইমের উপরেও বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে পড়াশোনার সঙ্গে ল্যাপটপ, মোবাইল বিশেষ ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তাই খুব কম বয়স থেকেই শিশুদের ল্যাপটপ, মোবাইলে সময় কাটাতে হয়। অভিভাবকদের নজর দিতে হবে, যাতে বিনোদনের জন্য শিশুরা এই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে নির্ভর হয়ে না‌ পড়ে। কতক্ষণ একজন‌ শিশু স্ক্রিন টাইম কাটাচ্ছে, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি জরুরি। কারণ, স্ক্রিন টাইম না কমালে, চোখের সমস্যা কমবে না। 
    নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস দেহের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।‌ এর ফলে, প্রত্যেক অঙ্গে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ হয়। শরীর সুস্থ থাকে। চোখও ভালো থাকে। পাশপাশি ধ্যান যোগাভ্যাসের অন্যতম অংশ।‌ এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশপাশি চোখের বিশ্রাম হয়। যা খুব জরুরি। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাসের অভ্যাস থাকলে শিশুদের চোখ ভালো থাকবে (Eye Infection)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share