Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Diabetes: ভারতে প্রায় ১ লাখ শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত! টাইপ ২ নিয়েও দুশ্চিন্তা

    Diabetes: ভারতে প্রায় ১ লাখ শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত! টাইপ ২ নিয়েও দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপিং মল হোক কিংবা পাড়ার দোকান, সর্বত্র রঙিন কাগজে জড়িয়ে থাকে নানান চকোলেট, ক্যান্ডি। প্যাকেটবন্দি থাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে চিকেন নাগেটের মতো সুস্বাদু খাবার। চটজলদি এই সব খাবারেই মজে থাকছে শৈশবের স্বাদ। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! শিশুকালে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস (Diabetes)। যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসকেরা তাই একাধিক সচেতনতা কর্মশালায় জানিয়েছেন, ১৪ বছরের কম বয়সীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ে সর্তক না হলে, ভবিষ্যৎ ভয়ানক হতে পারে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? (Diabetes) 

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার মধ্যে প্রায় ১ লাখ শিশু শুধু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়। তবে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ শিশুদের মধ্যে বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বছর পনেরো আগেও শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা যেত না। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের এই রোগ হত। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে। যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, জীবনযাপনে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জেরেই এই রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে।

    কোন অভ্যাস ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুই চটজলদি খাবারে অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। রুটি, তরকারি, ভাত, ডাল, মাছের ঝোলের পরিবর্তে তাদের জন্য থাকছে প্যাকেটজাত স্যান্ডউইচ, পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার। নাগেট, স্ট্রিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার অধিকাংশ শিশু খাচ্ছে। যার পুষ্টিগুণ নেই বললেই চলে। বরং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অতিরিক্ত তেলে ভাজা এই ধরনের খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রায় গোলমাল করছে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তাছাড়া, অধিকাংশ শিশু মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। তারা নানা রকম ক্যান্ডি, কেক, চকোলেট খায়। অনেক ক্ষেত্রেই এই খাওয়ার সময়ে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পরিমাণেও যথেচ্ছ হয়। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। 
    এছাড়াও, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর মাঠে খেলার সুযোগ কম। ব্যস্ত জীবন যাপনের জেরে শৈশবকাল মোবাইল আর ল্যাপটপের স্ক্রিনে কাটছে। আর এর জেরেই স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছি। যা ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনা কিংবা খেলাধুলোয় সমস্যা তৈরি করতে পারে? 

    ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এক ধরনের এনার্জি ঘাটতির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আর এই এনার্জি ঘাটতির জেরে শিশুদের খেলা হোক কিংবা পড়াশোনায় প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত শিশুদের মনোনিবেশের ক্ষেত্রেও এক ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই পড়াশোনায় অনেক সময়েই ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মনে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে স্মৃতি শক্তিতে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সেই সমস্যাও দেখা দেয়। তাছাড়া, যে কোনও খেলায় প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত পরিশ্রম একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের ক্ষেত্রে সব ধরনের খেলা সম্ভব হয় না। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না থাকলে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়বে। আর তার জেরেই তাদের ভবিষ্যতে একাধিক সমস্যাও দেখা দেবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: প্রশাসনের গাফিলতিতেই রাতভর শব্দবাজির দাপট! কোন কোন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল?

    Firecrackers: প্রশাসনের গাফিলতিতেই রাতভর শব্দবাজির দাপট! কোন কোন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কালীপুজোর আগের রাত থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই ইঙ্গিত আরও প্রকটভাবে টের পাওয়া গেল দীপাবলির রাতে! এমনকি তারপরেও রেহাই নেই। কলকাতা থেকে আশপাশের জেলা, সর্বত্র বাজির দাপটে নাজেহাল শিশু থেকে প্রৌঢ়। রেহাই পায়নি পোষ্যরাও। শব্দবাজির বিকট আওয়াজ (Firecrackers) থেকে আলোর বাজির ধোঁয়ার দাপটে নাজেহাল রাজ্যবাসী। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শীতের একাধিক রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

    কোন কোন রোগের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা? (Firecrackers)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন যেভাবে আলোর বাজির দাপট দেখা গিয়েছে, তাতে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। অধিকাংশ আতসবাজির থেকেই সাদা ধোঁয়া বের হয়। যার ফলে, বাতাসে নানান বিষাক্ত পদার্থ যোগ হয়। এর ফলে, বাড়বে ফুসফুসের রোগ। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, এর জেরে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়বে। বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বেশি হতে পারে। অ্যাজমা, হাঁপানির মতো একাধিক সমস্যা বাড়তে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের আছে, তাদের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। 
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গেল বলেও আশঙ্কিত চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে, তাতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। দীর্ঘদিন কাশির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। 
    বাজির দাপটে (Firecrackers) ত্বকের সমস্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ আলোর বাজিতে সীসা ব্যবহার হয়। সীসা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আর এই মাত্রাহীন আলোর বাজি পোড়ানোর জেরে বাতাসে সীসা মিশছে। এর জেরে নানা রকম ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
    আলোর পাশাপাশি সপ্তাহান্তে চলছে শব্দবাজির দাপট। আর এর জেরে অধিকাংশ হৃদরোগীর রক্তচাপের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতভর লাগাতার শব্দবাজির দাপটে অধিকাংশ মানুষের রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটেছে। হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদস্পন্দন ওঠানামার ক্ষেত্রেও ছন্দপতন ঘটেছে। আর এর জেরেই হৃদরোগে আক্রান্তদের সমস্যা বাড়ছে। 
    লাগাতার এই বাজির দাপটে শিশু মনে মারাত্মক ক্ষতি করছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তীব্র আওয়াজের জেরে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে শিশুরা কোনও কাজেই মনোযোগ দিতে পারছে না। এর সূদুর প্রসারী প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কী বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল? (Firecrackers)

    দীপাবলির উদযাপনে বাজির দাপটে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের প্রশ্ন, রাতে এলাকা পরিদর্শন আদৌও হয়েছে কি? আর পুলিশের এলাকা টহল ঠিকমতো হলে, রাতভর বাজি পোড়ানো (Firecrackers) হয় কীভাবে? কালীপুজোর আগে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে বাজি পোড়ানো যাবে। শব্দবাজি ফাটানো যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রাতভর কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র বাজির দাপট চলেছে, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 
    যদিও এখনও এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pollution: ধোঁয়া আর ধুলোয় বাড়ছে ফুসফুসের অসুখ! দেওয়ালি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    Pollution: ধোঁয়া আর ধুলোয় বাড়ছে ফুসফুসের অসুখ! দেওয়ালি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার বদল হচ্ছে। দিনের শেষে কমছে তাপমাত্রার পারদ। বছরের এই সময়ে বাতাসে বাড়ে ধুলোকণার পরিমাণ। তার সঙ্গে চলছে দীপাবলির উদযাপন। তাই দেদার বাজির দাপট। বাতাসে ধোঁয়ার পরিমাণও বাড়ছে (Pollution)। আর সব মিলিয়ে বিপদ বাড়ছে ফুসফুসের! বঙ্গবাসীর ফুসফুসের অসুখ নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পরিবর্তনের জেরে বছরের এই সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকেই ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে বাতাসে ধুলোকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। এ বছরেও দেখা গিয়েছে, অসংখ্য মানুষ ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকার বহু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফুসফুসের সংক্রমণের রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে শয্যাসঙ্কটও দেখা গিয়েছিল। আক্রান্ত শিশুদের ভোগান্তি বেড়েছিল। 
    দীপাবলির উদযাপনে বাজির দাপটে সেই ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলোর বাজি হোক কিংবা শব্দবাজি, পরিবেশ বান্ধব না হলেই ফুসফুসের বিপদ। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, আলোর বাজি পোড়ালেই এক ধরনের সাদা ধোঁয়া দেখা যায় (Pollution)। বিশেষত তুবড়ি, রংমশালের মতো বাজিতে মারাত্মক ধোঁয়া দেখা দেয়। আর এতে সীসা, লোহার মতো নানা রাসায়নিক পদার্থ পোড়ার ধোঁয়া মিশে যায়। ফলে, বাতাসের দূষণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শব্দবাজিও দূষণের প্রকোপ বাড়ায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। শব্দের দাপটের পাশাপাশি, শব্দ বাজি থেকে এক ধরনের ধোঁয়া বের হয়, যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। তাই বিপদ তৈরি হয়। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই দূষিত বাতাসের (Pollution) সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে ফুসফুসের উপরে। এর জেরে অ্যাস্থেমা, হাপানি সহ একাধিক শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অক্সিজেনের অভাবে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।

    ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমনকি এই সময়ে দূষিত বাতাসের (Pollution) জেরে শিশুদের হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। তবে, যাদের শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যা আছে, এই সময়ে তাদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। কারণ, এই সময়ে তাদের সমস্যা বাড়তে পারে। পাশপাশি পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কাও থাকছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আলোর উৎসবে সেজে উঠছে শহর থেকে গ্রাম। কিন্তু বছরের এই সময় শুধু আলো নয়, সঙ্গী হয় বাজি। নানা রকমের বাজি পুড়িয়ে উদযাপন হয় দীপাবলি। আর সেই তালিকায় থাকে শব্দবাজিও (Firecrackers)। শব্দবাজির প্রকোপ নিয়ে প্রত্যেক বছর একাধিক অভিযোগ উঠলেও, প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের এই ঢিলেঢালা আচরণের খেসারত দিতে হয় শিশু থেকে বয়স্ক সকলকেই। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে গুরুতর স্বাস্থ্যসঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমনই আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন পাঁচ বিপদের আশঙ্কা বেশি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড জোরে শব্দবাজি (Firecrackers) ফাটলে শরীরে একাধিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। ইএনটি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কানের। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। হঠাৎ খুব জোর আওয়াজে কানের পর্দায় চাপ পড়ে। লাগাতার সেই চাপ পড়লে শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা আরও বেশি।
    শব্দবাজির প্রভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। হৃদযন্ত্রের কার্যশক্তি হঠাৎ কমে যায়। আর এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    রক্তচাপের ক্ষেত্রেও মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে শব্দবাজি (Firecrackers)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজের জেরে রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। কারণ, হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীরের সর্বত্র রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এর জেরেই রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
    মস্তিষ্কেও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শব্দবাজি। স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমতে পারে শব্দবাজির জেরে। তাই মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় সমস্যা হয়। 
    মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে শব্দবাজি। শব্দবাজির জেরে একাগ্রতা নষ্ট হয়। ফলে, যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শব্দ খুবই ক্ষতিকারক।

    শব্দবাজিতে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক শব্দবাজি। এর ফলে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। 
    বয়স্কদের জন্যও শব্দবাজি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। কারণ, শ্রবণশক্তি হ্রাস সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে শব্দবাজি। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বাড়তি বিপদ শব্দবাজি (Firecrackers)। কারণ, শব্দবাজির জেরে হৃদরোগ, রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে শব্দবাজি। 
    মানুষের পাশপাশি পোষ্যদের জন্যও শব্দবাজি সমস্যা তৈরি করে। পোষ্যদের অস্থির করে তোলে শব্দবাজির দাপট।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময় কানে ইয়ার প্যাড পরে থাকা জরুরি। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের কানে ইয়ার প্যাড অবশ্যই পরানো দরকার। পাশপাশি হৃদরোগের গুরুতর সমস্যা থাকলেও ইয়ার প্যাড পরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে শব্দের (Firecrackers) তীব্রতা কিছুটা কম অনুভব হবে। 
    তবে, বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, একাংশের উদযাপনের জন্য অধিকাংশের ‘কানে তুলো’ গুঁজে থাকতে হয়, তা প্রশাসনের লজ্জা নয় কি?! এত বছরেও কেন শব্দবাজি নিয়ে সচেতনতা তৈরি হল না? কেন পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র শব্দবাজি প্রত্যেক বছর দাপট দেখায়, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: দীপাবলি উদযাপনে আলোর বাজি কতখানি বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Firecrackers: দীপাবলি উদযাপনে আলোর বাজি কতখানি বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শব্দবাজির তীব্রতা নিয়ে সরব নানা মহল। শব্দদূষণের পাশাপাশি হৃদরোগ, শ্রবণশক্তি হ্রাসের মতো একাধিক বিপদ বাড়ায় শব্দবাজি (Firecrackers)। কিন্তু আলোর বাজি! এ কি বিপদমুক্ত? বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, বিপদ লুকিয়ে আছে আলোর বাজিতেও। বিশেষত শিশুদের জন্য বাড়তি বিপদ বাড়াচ্ছে এই আলোর বাজি। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীপাবলির উদযাপনে আলোর বাজিতে মাতলে বিপদ বাড়বে। সতর্কতা জরুরি।

    কী ধরনের বিপদ বাড়াচ্ছে আলোর বাজি? (Firecrackers)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আলোর বাজির ধোঁয়া আর রাসায়নিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই আলোর বাজি একেবারেই বিপদমুক্ত নয়। বরং শীতের শুরুতে এই বাজির ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে ঋতু পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার অনেকটাই হেরফের হয়। এর ফলে, বাতাসে ধুলিকণার মাত্রা বাড়ে। এর জেরে এই সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আবার অনেকর নানান রকম অ্যালার্জি হয়। আর আলোর বাজির ধোঁয়া বাতাসে সেই ধুলিকণার মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে কয়েক গুণ (Firecrackers)। 
    ধোঁয়ার পাশপাশি আলোর বাজিতে যে সমস্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষত শিশুস্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু আলোর বাজি পুড়লে এক ধরনের সাদা ধোঁয়া আর আলো দেখা দেয়। এগুলোতে অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেসিয়ামের প্রভাবে পাকস্থলীর মারাত্মক ক্ষতি হয়। ক্যাডমিয়ামের জেরে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
    আবার কিছু আলোর বাজিতে কমলা আলো দেখা দেয়। এই ধরনের বাজিতে লোহা ও বিভিন্ন ধরনের কার্বনেট যৌগ ব্যবহার করা হয়। নীল বা হলুদ আলোর বাজিতে অতিরিক্ত তামার ব্যবহার হয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমবেশি সব ধরনের বাজিতেই (Firecrackers) সীসা, নাইট্রিক যৌগের ব্যবহার হয়। যা খুবই বিপজ্জনক। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সীসার জেরে আজীবন চর্মরোগের শিকার হতে পারে শিশুরা। এছাড়াও, কিডনি, লিভার এবং চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে সীসা। নাইট্রিক যৌগের প্রভাবে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে শিশুরা মানসিক অস্থিরতার সমস্যায় ভুগতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Firecrackers)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে খুবই সচেতনতা জরুরি। বিশেষত শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বাতাসের ধুলিকণা আর বাড়তি বিপজ্জনক বিষ এড়াতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহার জরুরি। এতে ফুসফুস ও শ্বাসনালীর একাধিক সংক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। বাজি পোড়ানোতেও লাগাম জরুরি। ছোটদের পাশপাশি অভিভাবকদেরও দূষণহীন দীপাবলির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরের বিশেষ দিন ভাইফোঁটা (Bhai Phonta)! ভাই-বোনের সম্পর্ক উদযাপনের এই বিশেষ দিন। তাই এই দিনে খাওয়ার পর্বও হয় বিশেষ! দাদা-ভাইদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন হয় বিস্তর। কিন্তু স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন পদ খাবারে রাখা জরুরি, যাতে স্বাস্থ্যের সমস্যা না হয়।

    কোন ধরনের খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) দেদার মিষ্টি খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু নানান রকম মিষ্টি একসঙ্গে খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষত ডায়বেটিস রোগীদের কিংবা যাদের রক্তে সর্করার মাত্রা বেশি থাকার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে। তাই নানান মিষ্টির পরিবর্তে ভাইফোঁটায় থাকুক নানা রকমের ফল। কমলালেবু, আপেল, কলা, নাশপাতি, বেদানা, কিউই, বেরির মতো ফল থাকুক পাতে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এতে, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবারের মতো উপাদান শরীর পাবে। আবার নানান রকমের সম্ভার ও হবে। 
    লুচির মতো তেলেভাজাকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জলখাবারের মেনুতে লুচির বদলে থাকুক সব্জির পুর দেওয়া পরোটা। কম তেলে আটা কিংবা ময়দার ভিতরে ফুলকপি, আলু, গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকামের মতো সব্জি ভরে পরোটা তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে। পাশপাশি খেতেও ভালো লাগবে। তাছাড়া, ডুবো তেলে ভাজা লুচি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ভাইফোঁটায় সুস্থ থাকতে কম তেলে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    দুপুরের খাবারে নিয়ন্ত্রণ

    দুপুরের খাবারেও তেল-মশলায় নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। মটন, ইলিশের মতো প্রচুর ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ঘী দিয়ে তৈরি পোলাওয়ের মতো খাবারের পরিবর্তে ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) পাতে থাকুক হার্ব রাইসের মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, চিকেন কিংবা মটন, দু’পিসের বেশি একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পাশপাশি, এই ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন রান্নার সময় খেয়াল রাখা জরুরি, তেল ও মশলার ব্যবহারে। অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার বিপজ্জনক। এতে একদিকে স্থুলতার সমস্যা তৈরি করে। আবার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি? (Bhai Phonta)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ভাইফোঁটায় খাওয়ার পরেও সুস্থ থাকার জন্য নজরে থাকুক খাদ্যতালিকা। তাই ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। পেটের সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। আবার পিৎজা, বার্গারের মতো খাবারেও রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোতে ব্যবহৃত একাধিক রাসায়নিক শরীরে সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ির তৈরি কম তেল-মশলার খাবারেই হোক ভাইফোঁটার ভুরিভোজ (Bhai Phonta)। এমনি পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তুরে হাওয়ার রেশ সবে শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিপদ (Winter Diseases)। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাবধানতা বজায় না রাখলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? (Winter Diseases)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শহরে আট থেকে আশি, সব বয়সীদের মধ্যেই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুর্গাপুজোর পর অনেকেই কাশি-সর্দিতে ভুগছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর-সর্দিকে কাবু করলেও, কাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অনেকের কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি হচ্ছে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময় অধিকাংশ শিশু কাশির সমস্যায় ভুগছে। দেখা যাচ্ছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা হচ্ছে। দু’বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংক্রমণ বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরে শুধু কাশির সমস্যা হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট। তাই দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের একাধিক শারীরিক জটিলতা (Winter Diseases) তৈরি হচ্ছে।

    কেন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হঠাৎ করেই বদলে যায়। গরম অনেকটাই কমে। তবে পুরোপুরি ঠান্ডা নয়। এর জেরে একাধিক ভাইরাস এই সময় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Winter Diseases)। শিশুদের ভাইরাসঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি বেশি হচ্ছে। আর এই ভাইরাসের হাত ধরেই আসছে কাশি। তবে, শ্বাসনালীর সংক্রমণের জটিলতা তৈরির আরেক কারণ বায়ুদূষণ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধি শ্বাসনালীর সংক্রমণের অন্যতম কারণ। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়তে থাকার জেরেই শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তবে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার জেরে হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে ভর্তি থাকা অধিকাংশ শিশু শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে আসছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। শয্যাসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের একেবারেই এসি ঘরে রাখা যাবে না। আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি-কাশির সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। দু’বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগলে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে শিশু সংক্রমিত (Winter Diseases) না হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের সীমানায় আর আটকে থাকছে না। বিপদ এখন তিরিশের চৌকাঠের আগেই। ভারতে বাড়ছে স্ট্রোকের (Stroke) ঘটনা। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সমস্যা থেকেই স্ট্রোক হয়। ভারত সহ গোটা বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ স্ট্রোক। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত তথা গোটা বিশ্বে যত মানুষ প্রত্যেক বছর মারা যাচ্ছেন, তাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ স্ট্রোক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, কম বয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এর ফলে আজীবন পঙ্গু হয়ে থাকার ঝুঁকিও দেখা দিচ্ছে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? (Stroke)

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। ২৫-৩০ বছর বয়সীদের প্রায় ৩০ শতাংশের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এই ঝুঁকি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হলে অনেকে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যায় না। তাঁদের নানান স্নায়বিক সমস্যা হয়। তাঁরা কাজ করতে পারেন না। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বেশি দেখা দিলে, তা বাড়তি উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তচাপ ওঠানামা করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। তাই তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হচ্ছে। পাশপাশি, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের রাতে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশের রাত জেগে অফিসের কাজ করতে হয়। কিংবা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জেরে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ভারতে কম বয়সীদের মধ্যে ডায়বেটিস বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রের চাপ, আধুনিক ব্যস্ত জীবনের জটিলতা হাইপারটেনশনের সমস্যা ডেকে আনছে। ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকের খাবার খাওয়ার ব্যবধান অনেক বেশি হচ্ছে। আবার অনেকেই ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। আর এগুলো স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস একদিকে শরীর সুস্থ রাখে, আরেকদিকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যাকে রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। 
    এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার মাঝের ব্যবধান কমাতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমিত খাবার খাওয়া দরকার। যাদের কাজের চাপে সময় মতো খাওয়া হয় না, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ড্রাই ফ্রুটস, বিস্কুট, ফলের মতো খাবার সঙ্গে রাখা দরকার। 
    বিরিয়ানি, পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা জানান, স্থূলতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারবে তরুণ প্রজন্ম।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চট করে ওঠা-নামা করতে কষ্ট হয়। একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলেও হাঁটুতে যন্ত্রণা শুরু হয়। বাঙালির হাড়ের জোর কি কমছে? সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সংগঠন হাড়ের রোগ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে জানা গিয়েছে, বাঙালিদের মধ্যে হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষত অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগ (Osteoarthritis) বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকেই সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? (Osteoarthritis) 

    সর্বভারতীয় ওই সংগঠনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশেই অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে, আক্রান্তের নিরিখে দেশের প্রথম চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যের ৪০ লাখের বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫৫ বছরের উর্ধ্বে মানুষদের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে এই রোগের প্রকোপ আরও বেশি। বাঙালি মহিলারাই এই রোগের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন।

    অস্টিওআর্থ্রাইটিস কী? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Osteoarthritis) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এক ধরনের হাড়ের সমস্যা। হাড়ের শক্তি ক্ষয় হলে এই ধরনের রোগ হয়। ঘুম থেকে উঠলে, মূলত সকালের দিকে হাত-পায়ে জোর পাওয়া যায় না। কোমড়, হাঁটু সহ দেহের একাধিক অঙ্গের সচলতা কমতে থাকে। পাশপাশি দেহের বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা হয়। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাঁটু, কোমড়, ঘাড়ের মতো দেহের নানান জয়েন্টে বারবার যন্ত্রণা হলে, কিছু সময় একটানা হাঁটলে, হাটুর ব্যথা কিংবা পায়ে যন্ত্রণা দেখা দিলে, একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো অস্টিওআর্থ্রাইটিসের (Osteoarthritis) লক্ষণ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই রোগের? (Osteoarthritis)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের একাধিক থেরাপি রয়েছে। আবার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু এই রোগ নির্মূল সম্ভব নয়। তাই রোগ যাতে শরীরে বেশি বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকে বরং নজর দেওয়া জরুরি। তাই তিরিশের পর থেকেই বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হাড়ের শক্তির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাই নিয়মিত ডিম, দুধ, আপেলের মতো খাবার খেতে হবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। পাশপাশি কিউই, নাশপাতি, লেবুর মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলো হাড়ের পুষ্টি জোগায়। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের ওজনের দিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত ওজনের জন্য হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। শরীরের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু, কোমড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই স্থূলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় সচেতনতা জরুরি। 
    নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরের সমস্ত অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় থাকে। শরীর সচল রাখতে নিয়ম করে শারীরিক কসরত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের প্রকোপ! তবে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ক্যান্সার সময়মতো নির্ণয় করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। রোগমুক্তির জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা। তবে, জীবনযাপনের বদল কমাতে পারে রোগের ঝুঁকি। তাই অক্টোবর মাসে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে সরকার ও চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন একযোগে নানা কর্মসূচি চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, রোগ নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Breast Cancer) 

    দিল্লি এইমস হাসপাতালের তরফে দেশ জুড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। আর এই প্রবণতার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। কারণ, কম বয়সীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ অসচেতনতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু রোগ (Breast Cancer) দ্রুত নির্ণয় হলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেও জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে কমবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের বদল কমিয়ে দিতে পারে এই রোগের (Breast Cancer) ঝুঁকি। তাই তাঁদের পরামর্শ, মা হওয়ার পরে সন্তানকে অবশ্যই স্তন্যপান করানো জরুরি। এতে সদ্যোজাতের একাধিক শারীরিক উপকারের পাশাপাশি মায়ের শরীরের উপকার হয়। আর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমা তার অন্যতম। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মায়ের দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    এর পাশপাশি, কিছু খাবার নিয়মিত খেলেও মহিলাদের এই রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ক্রানবেরির মতো যে কোনও এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল খাওয়া দরকার। কারণ, বেরিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের কোষকে সুস্থ রাখে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    পিচ, আপেল, নাশপাতি, আঙুরের মতো ফল নিয়মিত খেলে ৪০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ এই ফলগুলোতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফাইবার, যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 
    কমলালেবু হোক কিংবা পাতিলেবু, যে কোনও ধরনের লেবু নিয়মিত খেলেও ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি কমবে। কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আর লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। 
    ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ পুষ্টিবিদদের কথায়, এই ধরনের সব্জি দেহে অ্যান্টিক্যান্সার পোটেনশিয়াল তৈরিতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    এছাড়া যে কোনও ধরনের দানাশস্য যেমন মুসুর ডাল, ছোলা, মটর কিংবা সামুদ্রিক মাছ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড আর তেলে ভাজা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। কারণ, এতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share