Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cancer: মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে, ক্যান্সারজয়ীদের গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ

    Cancer: মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে, ক্যান্সারজয়ীদের গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপে কামড়ালে বিষে যতজনের না মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় আতঙ্কে। ক্যান্সার (Cancer) নামটা শুনলেও আতঙ্কে অর্ধমৃত হয়ে যান আক্রান্তরা, এমনকী তাঁদের বাড়ির লোকজনও। কিন্তু ক্যান্সারের আরোগ্য শুধু যে সম্ভব তা নয়, এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাও সম্ভব। সেটা দেখাতেই অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতার মহাজাতি সদনে। নতুন বছরের প্রথম রবিবার, ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠান মনে করিয়ে দিল রবীন্দ্রনাথের সেই অবিস্মরণীয় পংক্তি-“যত বড়ো হও, তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড়ো নও। আমি মৃত্যু-চেয়ে বড়ো”।

    গান গাইলেন হৃদয় দিয়ে (Cancer)

    ক্যান্সার (Cancer) জটিল রোগ হলেও এখন যে আর মারণ রোগ নয়, সেকথা শোনালেন এই রোগ থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরা, নিজের মুখে। দুবেলা মরার আগে না মরে তাঁরা যে শুধু মৃত্যুকে জয় করেছেন তা নয়, সযত্নে লালন করেছেন মননকেও। তাই গান-আবৃত্তিতে মুখর প্রেক্ষাগৃহ শুনল তাঁদের হৃদয়ের গান, হৃদয়ের ছন্দ। মনে করিয়ে দিল মান্না দে’র কণ্ঠে গাওয়া সেই অমর গান-“হদয়ের গান শিখে তো গায় তো সবাই/ ক’জনা হৃদয় দিয়ে গাইতে পারে?” অনুষ্ঠানে হৃদয় দিয়ে গান গাইলেন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষজন।

    স্বাভাবিক জীবনেও ফেরা যায় (Cancer)

    রক্তের বিবিধ রোগ, বিশেষ করে ব্লাড ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ রোগও রুখে দেওয়া যায় প্রকৃত চিকিৎসার মাধ্যমে। জটিল ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা ক্যান্সারজয়ীরা শোনালেন তাঁদের ক্যান্সার জয়ের কাহিনি। রবিবার কলকাতার মহাজাতি সদনে ‘উজ্জীবন’ নামে এক অনুষ্ঠানে তাঁরা জানান, ক্যান্সারের আরোগ্য শুধু যে সম্ভব তাই নয়, এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে একেবারে স্বাভাবিক জীবনেও ফেরা যায়।

    বার্ষিক মিলন উৎসব

    বিগত কয়েক বছর ধরে উপযুক্ত চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগীদের সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন যিনি, সেই বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌম্য ভট্টাচার্য-র ডাকে কয়েকশো ক্যান্সার সারভাইভার রবিবার এসেছিলেন এই বার্ষিক মিলন উৎসবে। এখানে তাঁরা নিজেদের ক্যান্সার জয়ের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। অনেকেই জানান, দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েও যখন তাঁদের ক্যান্সার রোগ সারছিল না, তখন সৌমবাবুর সান্নিধ্যে এসে চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁরা ধীরে ধীরে ক্যান্সারকে জয় করেছেন। সৌম্য ভট্টাচার্য বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে যে জটিল থেকে শুরু করে জটিলতর ক্যান্সার (Cancer) রোগকেও সারিয়ে তোলা যায়, এই ক্যান্সারজয়ীরাই তার উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pregnancy: গর্ভাবস্থায় ভোগান্তি বাড়ায় মর্নিং সিকনেস! গর্ভস্থ শিশুর জন্য কতখানি বিপজ্জনক? 

    Pregnancy: গর্ভাবস্থায় ভোগান্তি বাড়ায় মর্নিং সিকনেস! গর্ভস্থ শিশুর জন্য কতখানি বিপজ্জনক? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠলেই বমি, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, মাথার ভিতরে অস্বস্তি আর শরীরে এক ধরনের অস্থিরতা, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) এমন অসুবিধা অনেকের হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসকেরা এই সমস্যাকে মর্নিং সিকনেস বলেন।‌ কিন্তু স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই এই সমস্যায় নজর না দিলে‌ বাড়তে পারে জটিলতা।

    কেন হয় মর্নিং সিকনেস? (Pregnancy)

    স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মর্নিং সিকনেস হওয়ার নির্দিষ্ট একটি কারণ হয় না। তবে, একাধিক কারণে গর্ভবতীদের (Pregnancy) এই সমস্যা হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় দেহে হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন হয়। আর তার জেরেই এই মর্নিং সিকনেস হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, তার জেরেও মর্নিং সিকনেস হয়। পাশপাশি গর্ভাবস্থায় এক ধরনের মানসিক উত্তেজনা কাজ করে। তার জেরে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তবে, লাগাতার যাদের এই সমস্যা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের জেরেই অসুবিধা‌ বাড়ে।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে এই সমস্যার? (Pregnancy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসে বদল কিছুটা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে। তাই তাঁদের পরামর্শ, সকালে তেলেভাজা কিংবা অতিরিক্ত মশলা দিয়ে তৈরি খাবার জলখাবারের মেনুতে এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভাবস্থায় খাবারের চাহিদা‌ বাড়ে। সেই অনুযায়ী, দিনে একাধিকবার খাওয়া জরুরি। তাই একসঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে, কয়েক ঘণ্টা অন্তর অল্প পরিমাণে খাওয়া দরকার। তাতে হজমের অসুবিধা হবে না। আর মর্নিং সিকনেস (Pregnancy) কমবে। তবে, জলখাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় বাড়তি আয়রন আর প্রোটিনের জোগান জরুরি। তাই জলখাবার পুষ্টিকর হওয়ার দরকার। কারণ, সেটা দিনের প্রথম খাবার। তাই ডিম, রুটি, সোয়াবিন, মাছ, দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। অনেকেই শুধু স্বাদের জন্য নানান‌ চটজলদি আর ভাজা খাবার খায়।‌ কিন্তু বমির সমস্যা কমাতে এই ধরনের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    মর্নিং সিকনেস কি গর্ভস্থ শিশুর বিপদ বাড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মর্নিং সিকনেস গর্ভস্থ শিশুর জন্য (Pregnancy) বিপজ্জনক নয়। কিন্তু মর্নিং সিকনেসের জন্য যদি খাবারে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান হয়, তাহলে সেটা বিপজ্জনক। অনেকেই বমি হওয়ার জেরে সকালে ঠিকমতো খেতে পারেন না।‌ আর খাবার খাওয়ার দীর্ঘ ব্যবধান গর্ভস্থ শিশুর জন‌্য ক্ষতিকারক।‌ তার গঠনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মর্নিং সিকনেস বাড়লে, দ্রুত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • COVID19: করোনার নতুন প্রজাতি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি? কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    COVID19: করোনার নতুন প্রজাতি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি? কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার (COVID19) নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। করোনা সংক্রমণ যাতে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য একাধিক সরকারি পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু তারপরেও করোনার চোখ রাঙানি রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনার নতুন প্রজাতি হৃদযন্ত্রের বাড়তি বিপদ বাড়াচ্ছে।‌

    কেন হৃদযন্ত্র বিকলের আশঙ্কা? (COVID19)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাস (COVID19) ত্বক, চোখ আর ফুসফুসের ওপর কড়া প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, হৃদযন্ত্রের ওপর এই ভাইরাসের প্রকোপ মারাত্মক। সম্প্রতি জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে হৃদরোগের দাপট। তরুণ প্রজন্মের হৃদযন্ত্র বিকলের ঘটনা বেশি ঘটছে। করোনা ভাইরাসের জেরেই হৃদযন্ত্রের শক্তি কমছে, এমন একাধিক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে। 
    ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনার নতুন প্রজাতি সবচেয়ে বেশি হৃদযন্ত্রের উপরেই প্রভাব ফেলছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নতুন প্রজাতিতে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের একাংশ আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বারবার আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। পাশপাশি করোনা আক্রান্তের ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। ফলে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। আর তার জেরেই দেহের রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ফলে, হৃদযন্ত্রের শক্তি কমছে। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।‌

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (COVID19)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যের বিষয়ে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে যে কোনও বড় বিপদ ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনা আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার পরে খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযায়, সব কিছুতেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। যেহেতু এই করোনার (COVID19) প্রজাতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, তাই সুস্থ হওয়ার পরেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। রক্তচাপ লাগাতার ওঠানামা করলে কিংবা ধারাবাহিক উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, ওজনের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, স্থূলতা কোলেস্টেরল সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই করোনার পরে কম তেলমশলা যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। কিন্তু পুষ্টির দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি‌‌। কারণ, করোনার পরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তাই চোখ, ত্বক, লিভার সহ একাধিক অঙ্গে নানান সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত সিদ্ধ ডিম, দুধ, খিচুড়ি, আপেল, লেবু খাওয়া দরকার। তবেই দেহে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান হবে। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস করতে হবে। রক্তচাপ ঠিক রাখতে, হৃদপিণ্ডের কার্যশক্তি বাড়াতে যোগাভ্যাস সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। আর তার সঙ্গে উর্ধ্বমুখী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। ব্যতিক্রম নয় ভারত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও এই সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর যতজন এ দেশে মারা যান, সেই মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। যার নেপথ্যে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গিয়েছে, জীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা আর ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কী বলছে তথ্য? (Heart Attack)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ১৯ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। ১৫ বছরের উর্ধ্বে ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে ২৪ শতাংশ ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি (Heart Attack) দেখা দিচ্ছে। তুলনায় মহিলাদের ঝুঁকি কম। 
    তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার চেয়েও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্ত জানেন না, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ, আক্রান্ত যে আসলে কতজন, সেই হিসাব পাওয়া কঠিন। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ ভারতীয় রক্তচাপ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে? 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, জীবনে ঠিকমতো ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই বিপদ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের সময়ের পাশাপাশি পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এ নিয়ে নানান পারিবারিক সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন।‌ কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। এর জেরে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। কিংবা পরিবারের সঙ্গে অবসর যাপনের সুযোগ কম হয়। আর এর ফলে তৈরি হয় নানান জটিলতা। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ দেখা দেয়। যার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা (Heart Attack) তৈরি হয়‌। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভারসাম্য তৈরি করতে না পারলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন‌ হবে।

    কেন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, তার সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। বিশেষজ্ঞ মহল‌ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে চটজলদি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের সমস্যা। এগুলো সব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তার উপরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে বিপদ (Heart Attack) আরও বাড়বে। তাই তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে মোকাবিলা হবে‌ এই সমস্যার? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তবেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি।‌ রক্তচাপ ওঠানামা করছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন। রোগ নির্ণয় হলে তবেই মোকাবিলা সহজ‌ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকমতো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০৪০ সালের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা (Heart Attack) অর্ধেক কমে যাবে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি।

    যে কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। বই পড়া, গান‌ শোনা, ছবি আঁকার মতো যে কোনও কাজ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ সহজেই কমবে। 

    পাশপাশি, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কসরতের দিকে নজর দিতে হবে।‌ কারণ সহজপাচ্য হালকা খাবার নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ এড়ানো‌ যাবে। নিয়মিত হাঁটা এবং যোগাভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিরিয়ানি হোক কিংবা বার্গার, চটজলদি হাজির হয়ে যায় নানান পদ। তারপরেও প্রোটিনের অভাবে (Protein Deficiency) ভুগছেন‌ বেশিরভাগ মানুষ। শিশু থেকে প্রবীণ, অধিকাংশ শহুরে বাসিন্দার খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকছে না। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় উঠে আসছে এমনই তথ্য। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান‌ রোগ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, খাবারের মেনুতে ব্যালান্স না থাকলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Protein Deficiency)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতে শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌। গর্ভবতীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানেন না, গর্ভাবস্থায় কতখানি প্রোটিন জরুরি। তার প্রভাব তাঁদের খাবারে পড়ে। ফলে, তাঁরা প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ছেলেমেয়ে প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। কর্মরত মহিলাদের মধ্যে প্রোটিনের অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৭২ শতাংশ কর্মরত মহিলা প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌।

    প্রোটিনের অভাব কোন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে? (Protein Deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাব নানান‌ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের সমস্যার অন্যতম কারণ প্রোটিনের অভাব।‌ দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন না‌ থাকলে সহজেই হাড় ভাঙতে পারে। তাছাড়া পেশির একাধিক সমস্যার কারণ প্রোটিনের অভাব (Protein Deficiency)। বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে নানান সমস্যা হয়। পেশি দূর্বল হলে নিয়মিত জীবন‌যাপন, হাঁটাচলায় সমস্যা হয়। প্রোটিন পর্যাপ্ত না থাকলে পেশির এই সমস্যা বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।‌ তবে, প্রোটিনের অভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় লিভারে।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে। এমনকী লিভারে ঘা হয়ে যায়। ফলে, বড় বিপদ ঘটতে পারে।‌

    কেন প্রোটিনের অভাব শহরে বেশি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাবের (Protein Deficiency) অন্যতম কারণ অসচেতনতা। পুষ্টিবিদদের মতে, অধিকাংশ শহুরে‌‌ বাসিন্দা চটজলদি প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন‌ সোয়াবিন, পনির, দুধ নিয়মিত খাওয়া হয় না। আবার মাছ, মাংস, ডিম খেলেও, সেটা হয়তো বার্গার, পিৎজার মতো চটজলদি খাবারের মাধ্যমে খাওয়া হচ্ছে। ফলে, শরীর পুষ্টি পাচ্ছে না। আবার পুষ্টি নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণাও শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০ শতাংশের বেশি শহুরে বাসিন্দার ধারণা, প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ফলে, অনেকেই ফি-দিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন বাদ রাখেন।‌‌ যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবকিছুই শরীরে জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই বাড়ির তৈরি সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। যাতে প্রত্যেক উপাদান শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যের সর্বত্র তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। বড়দিনের আগে শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে। কিন্তু বছর শেষের আনন্দ মাটি হতে পারে। যে হারে সর্দি-কাশির ভোগান্তি বাড়ছে, তাতে ভাইরাসঘটিত জ্বরের দাপট বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস। বিশেষত শিশুরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের এই সময়ে চোখে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। বিশেষত কাশির দাপট মারাত্মক। তাপমাত্রার পারদ কমতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। যার জেরে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়েছে। ফলে, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের হার বাড়ছে। জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে কাবু হলেও, ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি। সপ্তাহ খানেক একটানা গলাব্যথা, কাশির মতো সমস্যা থাকছে। তবে, জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তার উপরে লাগাতার কাশি-সর্দি শ্বাসনালীর সংক্রমণের মতো সমস্যা, ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। 
    পাশাপাশি এই আবহাওয়ায় শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চোখ চুলকানো, লাল হয়ে যাওয়া, বারবার চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় জেরবার শিশুরা। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন ঘরোয়া উপাদান সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে? 

    বড় সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলতে হবে। কিন্তু ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতকাল জুড়ে কিউই, মাল্টা, কমলালেবুর মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। এই ধরনের ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল একটি করে খেলে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। 
    নিয়মিত এক চামচ মধু এবং হলুদ গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি মোকাবিলায় মধু উপকারী। হলুদ দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দুধের প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই দুটি একসঙ্গে খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হয়। 
    কাশির ভোগান্তি কমাতে দিনে একবার তুলসী পাতার সঙ্গে গোলমরিচ এবং লবঙ্গ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো গলার খুসখুসে ভাব কমাতে সাহায্য করে। 
    রসুন নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান পর্যাপ্ত থাকলে, সহজে কোনও রোগ কাবু করতে পারে না। তাই শীতকালে নিয়মিত রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা কমাতে দিনে একাধিকবার চোখ এবং হাত গরম জলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে আসলে অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে থাকলেও একাধিকবার পরিষ্কার তুলো দিয়ে গরম জলে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। হাত সাবান দিয়ে গরম জলে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: করোনার নতুন প্রজাতি বিপজ্জনক নয়, তবে সতর্কতা জরুরি, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    Corona Update: করোনার নতুন প্রজাতি বিপজ্জনক নয়, তবে সতর্কতা জরুরি, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা‌‌ ভাইরাসের (Corona Update) চোখরাঙানি।‌ কেরলে হানা দিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি। উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। কিন্তু করোনার এই নতুন প্রজাতি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কী বলল বিশ্ব‌ স্বাস্থ্য সংস্থা?

    করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি জেএন ওয়ান (Corona Update) সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ নেই৷ এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা তীব্র নয়। তাই এই প্রজাতি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুব বিপজ্জনক নয়৷ কয়েক মাস আগেও করোনা ভাইরাসের আরেক প্রজাতি বিএ টু সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। এই নতুন প্রজাতি জেএন ওয়ান, ওই আগের প্রজাতির অংশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল।

    করোনার টিকা কি এই সংক্রমণ রুখতে পারবে?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনা (Corona Update) প্রতিরোধে যে ভ্যাকসিনগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলি এই নতুন প্রজাতি রুখতে পারবে। এছাড়াও কোভিড-১৯ ভাইরাসের সব প্রজাতির থেকে সৃষ্টি অসুস্থতা এবং প্রাণহানি ঠেকাতে কার্যকর হবে করোনা‌ টিকা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতকালে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ভোগান্তি বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা জরুরি। করোনা‌র নতুন প্রজাতির থেকে বাঁচতে তাই সচেতনতা দরকার।‌ বিশেষত বয়স্কদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাস্ক (Corona Update) পরে থাকা জরুরি। বাইরে থেকে ফিরলে অবশ্যই হাত পরিষ্কার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের ফুসফুস সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি থাকে। নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই করোনা‌ থেকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।‌ ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে মাস্ক জরুরি। তবে, পরিবারের কেউ সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ঘরে থাকতে হবে। তাহলে করোনার এই নতুন প্রজাতিকে সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। তাই এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদরোগের (Heart Disease) সমস্যা‌ বাড়ছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশপাশি ভারতেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমছে। ফলে, হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকিও‌ বাড়ছে।‌ কলকাতায় সম্প্রতি কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। সেখানেই একাধিক আলোচনায় উঠে আসছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। সতর্ক হতে না পারলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? (Heart Disease) 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোস্যাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে ‌হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট ফেলিওর অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমতে থাকছে।‌ ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ড কাজ করতে পারছে না।‌ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ ছাড়াও হার্ট ফেলিওরের জেরে যে কোনও রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের ঝুঁকি বাড়বে। ফলে, রোগ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের (Heart Disease) ঝুঁকি বাড়ছে। গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো যত্নের অভাবেই এই ঝুঁকি বাড়ছে।

    কেন গর্ভাবস্থার জন্য ঝুঁকি বাড়ছে? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের শরীরের গঠন গর্ভাবস্থায় অনেকটাই বদলে যায়।‌ শুধু বাইরের গঠন নয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে নানান উপাদানের পরিবর্তন হয়। যার প্রভাব পরবর্তী পর্বেও থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করতে না পারলে পরবর্তীতে বড় বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়। বিশেষত, প্লাজমা প্রোটিনকে ইস্ট্রোজেন হরমোন অনেকটাই প্রভাবিত করে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে জলের পরিমাণের অনেকটাই বদল হয়।‌ রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। হৃদপিণ্ড (Heart Disease) থেকে রক্ত শরীরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও গতির পরিবর্তন হয়। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। যা শরীরে অনেকটাই পরিবর্তন আনে।‌ বিশেষত লিভারের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন আনে।‌ পাশপাশি, মল-মূত্রত্যাগের নালীতেও পরিবর্তন হয়। আর এই সব হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এই একাধিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। এর জেরেই হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটে। অনেকক্ষেত্রেই তৈরি হয় হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হৃদরোগ (Heart Disease) বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সাধারণ মানুষের পাশপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই গর্ভবতীর শুধুমাত্র রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বোঝার জন্য শুধুমাত্র রক্তচাপের পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। তাই প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। হৃদযন্ত্র কাজ করতে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলে পরবর্তীতেও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বাড়ছে হয়রানি! শুধু অস্ত্রোপচার নয়, সাধারণ পরীক্ষাতেও জটিলতা!

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বাড়ছে হয়রানি! শুধু অস্ত্রোপচার নয়, সাধারণ পরীক্ষাতেও জটিলতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য‌বাসী নিখরচায় পাবেন স্বাস্থ্য পরিষেবা।‌ শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও অস্ত্রোপচার থেকে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে। এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু বাস্তবের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হয়রানি বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালে তো বটেই। অভিযোগ উঠছে, সরকারি হাসপাতালেও পিপিপি মডেলে গড়ে ওঠা পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।‌ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা রাস্তার হোর্ডিংয়েই আটকে রয়েছে। 

    কী সমস্যায় পড়ছেন ভুক্তভোগীরা? (Swasthya Sathi) 

    ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি করাতে বিস্তর হয়রানি পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই জরুরি পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিতে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল।‌ আবার যে কোনও অস্ত্রোপচার, গলব্লাডার থেকে হৃদযন্ত্র, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে করাতে হলে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করতে হয়। এবার সেই তালিকায় সংযোজন হচ্ছে নানা শারীরিক পরীক্ষা। এমআরআই, সিটি স্ক্যানের মতো শারীরিক পরীক্ষার পাশপাশি যে কোনও সাধারণ রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের শিক্ষক-চিকিৎসকের অনুমতি প্রয়োজন। এমন কর্তৃপক্ষ লিখিত অনুমতি দিলে তবেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে (Swasthya Sathi) শারীরিক পরীক্ষা করানো যাবে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ জায়গায় সহকারী অধ্যাপক স্তরের শিক্ষক-চিকিৎসক থাকেন না। এমন বহু সরকারি হাসপাতালে এই পর্যায়ের চিকিৎসক নেই। সেখানে তাই সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সরকারি হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি পরীক্ষাগারেও মোটা টাকার বিনিময়ে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যবাসী। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এমন সরকারি জটিলতা যেখানে, সেখানে কেন বারবার খোদ প্রশাসনিক প্রধান বলেন, এ রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পান।

    কী বলছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা? (Swasthya Sathi) 

    স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য হয়রানির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) অপব্যবহার রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় ভাবে সিটি স্ক্যান, এমআরআই সহ একাধিক ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা রাজ্যবাসী ঠিক মতো পান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রোগীকে কখন করাতে হবে, সেটা তো চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।‌ অনেক জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। তখন কীভাবে নির্দিষ্ট পদাধিকারীর লিখিত অনুমতির জন্য রোগী অপেক্ষা করবেন। এই ধরনের সিদ্ধান্তে আসলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Pressure: শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন কীভাবে সতর্ক হবেন

    Blood Pressure: শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে? জেনে নিন কীভাবে সতর্ক হবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকালে মানুষের শারীরিক সমস্যা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পায়। অনেক মানুষের শরীরে ব্যথা, বেশি ঠান্ডার ফলে সর্দি, হাঁচি ও কাশির মতো সমস্যা ও সব থেকে বেশি যে সমস্যা হয়, সেটি হল গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। শীতকালে জল কম খাওয়া হয় বলে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পায়। যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন, তাঁদের জন্য শীতকাল খুবই একটি খারাপ সময়। কারণ এই সময় সেই সব রোগ আরও বেশি বাড়তে পারে। আবার অপর দিকে হাঁপানির মতো সমস্যা এই সময় বৃদ্ধি পায়। আর এই সবের ঊর্ধ্বে সব থেকে বেশি যে সমস্যা হয়, তা হল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Blood Pressure)। শীতকালে প্রায় বেশির ভাগ মানুষের এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।

    কেন শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যায়?

    বিশেষ করে মাঝবয়সী মানুষদের এই শীতকালে উচ্চ রক্তচাপের (Blood Pressure) সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এর কিছু বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। আর এর ফলে মানব দেহের যে শিরা-ধমনীগুলো রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলো সাধারণত তুলনায় অনেক সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে তাপমাত্রা বজায় রাখা, রক্ত সঞ্চালন প্রভৃতি সব ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে রক্ত সঞ্চালন করার জন্য শরীরকে অনেক বল প্রয়োগ করতে হয়। ঠিক এই কারণে শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যা হার্টের রোগের মতো সমস্যা ডেকে আনে। কিন্তু কিছু জিনিস মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? (Blood Pressure)

    ১) শীতকালে অনেক মানুষই নিজের শরীর ঠিক রাখার জন্য মদ্যপান করেন। এই ভুল ধারণা ভেঙে মদ্যপান করা সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ মদ্যপান শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বাড়িয়ে দেয় ও শরীরের বাহ্যিক তাপমাত্রা কম হয়ে যায়। ফলে রক্ত নালিগুলো সংকুচিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতিকে বাধা দেয়।
    ২) শীতকালে অতিরিক্ত কফি পান করা ক্ষতিকর। তাই দিনে ২ থেকে ৩ বার কফি পান করলে এই সমস্যা (Blood Pressure) থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
    ৩) যাঁরা পরিশ্রম করেন তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে এই সময় অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীরের উপর চাপ প্রয়োগ করা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি মূল কারণ হতে পারে। শরীরচর্চা করার ফলে শরীরের বাইরের তাপমাত্রা ও ভেতরের তাপমাত্রার মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে যায়, যা হৃদরোগের মতো সমস্যা (Blood Pressure) ডেকে আনতে পারে।
    ৪) বেশি ঠান্ডা লাগানো চলবে না, প্রয়োজনে সোয়েটার, গ্লাভস, মোজা ব্যাবহার করতে হবে। বার বার জল খেতে হবে। বেশি চা না খেয়ে আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে জলে মিশিয়ে সেই জল পান করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share