Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঢাকে কাঠি পড়বে। কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পরতে, আর নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে অনেকেই দ্রুত ওজন কমিয়ে একেবারে ফিট (Body Weight) হতে চাইছেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোর ইচ্ছে অন্য বিপদ বাড়াচ্ছে না তো?

    দ্রুত ওজন হ্রাস অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন (Body Weight) কমলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দ্রুত রোগা হওয়ার ইচ্ছে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান না। আর এই সবের জেরেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, রক্তচাপ কমে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। যে কোনো বড় শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    এছাড়া দ্রুত ওজন কমলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, দ্রুত ওজন কমালে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপরে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। ওজন সামান্য বেড়ে গেলেও তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    কীভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমবে? (Body Weight)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন কমানোর পরিকল্পনা করা উচিত নয়। তবে, পুজোর আগে কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া চলবে না। কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। পেট ভরে খাবার খাওয়া জরুরি। তাই প্রচুর সবুজ সব্জি যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক, গাজর, পেপে, লাউ খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে, শরীরের নানান চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। মটন একেবারেই চলবে না। কারণ মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেয় না। ডিম, সোয়াবিন, মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। 
    তবে, নিয়মিত ফল খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাল্টা, কিউই, সবুজ আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। আর ওজন (Body Weight) বাড়তে দেয় না। 
    তবে, খাওয়ার দিকে নজর দেওয়ার পাশপাশি জরুরি নিয়মিত যোগাভ্যাস। কারণ শারীরিক কসরত নিয়মিত করলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়ো নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিকল্পনা মাফিক নিয়মমাফিক জীবন যাপন ওজনে রাশ টানতে সাহায্য করবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় হাজির। কিন্তু মশা নিয়ে ভোগান্তি কমেনি রাজ্যবাসীর। পুজোর সময় সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বঙ্গবাসী। কলকাতা হোক কিংবা জেলা, বর্ষা বিদায় নিলেও ডেঙ্গি বিদায় নিচ্ছে না। তাই প্রত্যেক দিন বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। আর পুজোর মরশুমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আরও নাজেহাল হচ্ছেন রাজ্যবাসী।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে আবার বেড়েছে সংক্রমণ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেই ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে বলেও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কলকাতা। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। ডেঙ্গি সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের কমবেশি। গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গি সংক্রমণ ৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এবছরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি আরও বেশি দাপট দেখিয়েছে। পুজোর সময়েও ডেঙ্গির শক্তি অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

    পুজোয় বাড়তি কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল? (Dengue)

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত। পুজোর সপ্তাহেও ডেঙ্গি (Dengue) শক্তি প্রকাশ করবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তার জেরেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে প্রায় দু’সপ্তাহ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতাল অঘোষিত ছুটির মেজাজে চলে যায়। এমনকি সম্প্রতি কয়েক বছর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই চলে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার হন রোগী ও পরিজনেরা। ডেঙ্গি যে হারে বাড়ছে, তাতে হাসপাতালে ভর্তির চাপ বাড়বে। কিন্তু পুজোর সময় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, ভর্তি নিয়ে টালবাহানা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়নোর ভোগান্তি হতে পারে। 
    পাশাপাশি প্লেটলেটের আকাল আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রক্তদান শিবির তেমন হয়নি। আবার প্লেটলেটের চাহিদাও মারাত্মক বাড়ছে। তাই এই সময়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতির আসল চিত্র সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। তাই বিশেষজ্ঞদের আর্জি, রাজ্যবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করা, প্লেটলেটের জোগান বজায় রাখার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলেই ভোগান্তি কমবে। আর সেটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ! আবার আরেকটা বছরের অপেক্ষা। আর এই অপেক্ষার মুহূর্ত শুরু হয় মিষ্টিমুখে! উমাকে বিদায় জানানোর পরে পরিবারের ছোট থেকে বড়, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান। এই রেওয়াজ চিরকালীন। তাই তো কলকাতার নামিদামি মিষ্টির দোকান হোক কিংবা মফস্বলের কোনও গলির দোকান, মিষ্টি কেনার ভিড় সর্বত্র। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টিমুখের (Durga Puja Food) পর্বে বিপদ বাড়ছে শরীরের। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

    কাদের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একাধিক খেলে বিপদ বাড়তে পারে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের। বাঙালিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। পুজোর মরশুমে অনেকেই খাওয়ায় অনিয়ম করেন। তার উপরে দশমীতে মিষ্টি খেলে বিপদ আরও বাড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। 
    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাশাপাশি কিডনির রোগে আক্রান্তদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বিপদ বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির কোনও রকম সমস্যা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মিষ্টি (Durga Puja Food) রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কিডনির কোনও রোগে আক্রান্ত হলে দশমীতে মিষ্টি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 
    হৃদ সমস্যা থাকলে কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেও মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় মিষ্টি। তাই রসগোল্লা হোক কিংবা সন্দেশ, একাধিক খেলেই বিপদ বাড়তে পারে। 
    পাশপাশি স্থুলতার সমস্যায় জর্জরিত তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে একেবারেই মিষ্টি খাওয়া চলবে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মিষ্টিতে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই মিষ্টিতে রাশ জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? (Durga Puja Food) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়া যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তেমনি কৃত্রিম মিষ্টি একেবারেই চলবে না। অনেকেই চিনির পরিবর্তে নানান কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে নানান খাবার তৈরি করেন। এই কৃত্রিম মিষ্টি (Durga Puja Food) শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই কৃত্রিম মিষ্টি খাবার একেবারেই চলবে না। রসগোল্লা, পান্তুয়া কিংবা কেশরীভোগের মতো রসে ভেজা মিষ্টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। উৎসবের সময় হলেও একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাড়িতে চিনির পরিবর্তে সামান্য পরিমাণ মধু ব্যবহার করে নানান ধরনের মিষ্টি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নবমী মানেই পুজো শেষের প্রহর গোনা। বছরভর অপেক্ষার জন্য প্রস্তুতিপর্ব শুরু। নবমী মানেই উৎসবের শেষ মুহূর্তের সবটুকু উপভোগ করা। আর বাঙালির উৎসব উদযাপনের সঙ্গে ভুরিভোজ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই নবমীতে বাঙালির বিশেষ ভুরিভোজ। কেউ বাঙালি রেস্তরাঁয় আগে থেকেই টেবিল বুক করে রাখেন, আবার কেউ বাড়ির হেঁশেলেই জমিয়ে রান্না করেন। তবে, খাওয়া বাড়িতে হোক কিংবা রেস্তরাঁয়, বাঙালির নবমীর মেনুতে মটন থাকবেই (Durga Puja Food)। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে উৎসবের উদযাপনে যে হারে ভুরিভোজ চলে, নবমীর মটন কারি কিংবা কষা, স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করে কি? চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, ভুরিভোজে সাবধান! উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে বড় বিপদ ডেকে আনলে মুশকিল।

    পাতে মটন পড়লে কাদের বিপদ বেশি? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের। 
    রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, মটনে অতিরিক্ত চর্বি থাকে। আর এই চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে মটন একেবারেই পাতে নেওয়া চলবে না। 
    স্থূলতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মটনে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। যথেষ্ট ফ্যাট থাকে। তাই স্থুলতার সমস্যায় যারা ভুগছেন, মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা রাখতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরিমাণের দিকে নজরদারি খুবই জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja Food)

    বছরের বিশেষ দিনে অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়বেটিস, হৃদসমস্যা রয়েছে, তাদের রাত জেগে ঠাকুর দেখা কিংবা লাগাতার বাইরের অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না (Durga Puja Food)। 
    স্থুলতার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা পুজোর চার দিন যোগাভ্যাস কিংবা হাঁটাহাঁটি একেবারেই ছাড়বেন না। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে খাবার অনেক সময়েই মেপে খাওয়া হয় না। বাইরের খাবারের পাশপাশি বাড়ির খাবারেও অতিরিক্ত মশলা কিংবা তেল ব্যবহার হয়। তাই শারীরিক কসরত কমানো যাবে না। তাহলেই কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে। তবে, পরিমাণের দিকে নজর দিতেই হবে। ভালো লাগছে বলেই অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খেলে কিন্তু শরীর সুস্থ রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Care: পুজোর আগে দূষণ আর কড়া রোদের দাপট মোকাবিলা করবেন কীভাবে?

    Skin Care: পুজোর আগে দূষণ আর কড়া রোদের দাপট মোকাবিলা করবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মহালয়া শেষ! এবার ঢাকে কাঠি পড়ার শব্দ আরও জোরে! আর মাত্র কদিন পরেই দুর্গাপুজো! প্যান্ডেলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদেরও সেজে ওঠার শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সূর্যের তাপ বাড়ছে। তাই ত্বকে ট্যানের ঝুঁকিও বাড়ছে। কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব (Skin Care)?

    কোন ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ? (Skin Care)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া উপাদানেই রয়েছে উজ্বল ত্বকের রহস্য। তাঁদের পরামর্শ, কৃত্রিম কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা দরকার। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই ঝকঝকে উজ্বল ত্বক সম্ভব। তাঁদের আরও পরামর্শ, ট্যান মুক্তির জন্য নিয়ম করে টমেটোর রস মুখে মাখলে উপকার পাওয়া যাবে। টমেটোর রসে মুখের কালো ছোপ কমে। পাশপাশি টক দই, বেসন, শশার রস মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক চকচকে হয়। অনেকের আবার দূষণের জেরে মুখে শুষ্কতা দেখা যায়। তাঁরা বাড়িতেই হানি ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। তারপরে দুধ আর মধু একসঙ্গে ফেটিয়ে মুখে কিছুক্ষণ মেখে রাখার পরে, আবার মুখ পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে (Skin Care)। তাহলেই মুখের ত্বকের শুষ্কতা কমবে। 
    ত্বকের ট্যান কিংবা কালো ছোপের পাশপাশি ত্বকে অনেকের ব্রণ হয়। নিয়মিত রাতে অ্যালোভেরা পাতার জেল আর নিমপাতা একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে উপকার পাওয়া যাবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেমন হবে খাদ্যাভ্যাস? (Skin Care) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু রূপচর্চা করলেই চলবে না। পুষ্টিকর খাবার মেনুতে থাকলে তবেই ত্বক সুন্দর হবে। ত্বক সুন্দর রাখতে তাই পুষ্টিবিদদের প্রথমেই পরামর্শ, দিনে কমপক্ষে চার লিটার জল খেতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে তবেই শুষ্কতা, ত্বক খসখসে হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।
    ত্বকে ব্রণ বা লাল ছোপের মতো সমস্যা কমাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার মেনু থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার দেহের মেদ বাড়িয়ে দেয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ত্বকের একাধিক সমস্যা তৈরি করে। 
    স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ যেমন জরুরি, তেমনি সুন্দর ত্বকের প্রয়োজন পুষ্টি। দেহে পুষ্টির ঘাটতি হলে কিন্তু উজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সব্জি, ফল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সব্জি যেমন পালং শাক, পটল, লাউয়ের মতো সব্জি লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এগুলো খেলে ত্বক সতেজ থাকে। আবার সবুজ আপেলের মতো খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই ধরনের ফল খেলে ত্বক উজ্বল হয় (Skin Care)। 
    পাশপাশি ত্বক সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের নীচে কালো দাগ দেখা যায়। এছাড়াও ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। তাই পুজোয় ত্বক সুন্দর রাখতে খাবারের পাশপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব চলছে! পাড়ার গলি থেকে রাজপথ, আলোয় সেজে উঠেছে চারপাশ! রাত বাড়লেই যেমন আলোর রোশনাই বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিড়! ছোট থেকে বড়, সব বয়সীরাই ভিড় ঠেলে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেল যাচ্ছেন (Durga Puja 2023)। আর রাত থেকে ভোর হচ্ছে! রাত জেগে দুর্গা ঠাকুর দেখা এখন পুজোর আরেক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সারা রাত জেগে থাকা, আসলে কতখানি বিপজ্জনক? শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? চিকিৎসকরা কিন্তু জানাচ্ছেন, উদযাপনের জোয়ারে সতর্কতা জরুরি। তা না হলে পুজোর চারদিনের এই লাগামছাড়া আনন্দের মাশুল গুনতে হবে বছরভর!

    কোন ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত করছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। শরীরের প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মমাফিক খাবার, পরিমাণমতো জল জরুরি, তেমনি সময় মতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই পুজোর (Durga Puja 2023) সময় রাতভর ঠাকুর দেখেন। ফলে, শরীর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্নায়ুর কার্যশক্তি কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখলে একদিকে যেমন ক্লান্তি গ্রাস করে, তেমনি কাজ করার শক্তি কমে। পাশপাশি, মস্তিষ্কের সক্রিয়তাও কমে। ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকতে পারে না। কারণ, রাতে ঘুমের সময়েই আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও বাড়িয়ে দেয়। রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা না ঘুমোলে মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না।
    রাত জেগে ঘোরার (Durga Puja 2023) জেরে ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোলে ত্বকের বিশ্রাম হয়। যা অত্যন্ত জরুরি। চোখের নীচের কালো দাগ কমানো, ত্বক খসখসে না হতে দেওয়া কিংবা চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে নিয়ম করে ঘুমোনো জরুরি। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখা ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে। 
    সারা রাত জেগে থাকলে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে কিডনি আর লিভারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময় রাত জেগে শুধু প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ঘোরা হয় না। অধিকাংশের চলে রাতভর ভুরিভোজ। অনেকেই গভীর রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া নানান খাবার খান। ফলে, হজমের সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি, আরেকদিকে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার লিভার এবং অন্ত্রে চাপ তৈরি করে। ফলে, নানান জটিল রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি সময় মতো না ঘুমোলে অন্ত্রের কার্য শক্তি কমে। ফলে, পেটের একাধিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja 2023) 

    পুজোর চার দিন একটানা কখনই রাত জাগার পরিকল্পনা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানান হরমোন ভারসাম্য হারবে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একদিনের বেশি পুরো রাত জেগে ঠাকুর দেখার (Durga Puja 2023) পরিকল্পনা বছরভর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সে দিকে নজর রেখে উৎসবের পরিকল্পনা করতে হবে। রাত জেগে ঠাকুর দেখলে খাবারে বাড়তি নজর দিতে হবে। রাত দশটার পরে একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। হালকা খাবার খেয়ে একদিন রাত জাগা যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পাশপাশি জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাত জাগলে হজমের সমস্যা এড়াতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ জল খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নিরাময় অনেক দূরের পথ! রোগ আদৌ আছে কি! সে খবর জানার পথ সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু এই পথ পেরতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও অন্ধকার সময় আসতে পারে, এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ভারতের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার প্রত্যেক ভারতীয়ের মনের হদিশ (Mental Health) জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? 

    সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সচেতনতা দিবস উদযাপন হল। সেই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়রা যাতে যে কোনও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি জানাতে পারেন, বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন, তার জন্য সহজ এক পদ্ধতি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে টেলি মানস। যার সাহায্যে ভারতীয়রা তাঁদের মানসিক রোগ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।

    টেলি-মানসের কাজ কী? (Mental Health)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহ্যান্স)-এর তত্ত্বাবধানে দেশ জুড়ে ২৩টি কেন্দ্র চালু হয়েছে। যে কোনও মানসিক সমস্যা নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে এই সব কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যাবে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া যাবে। ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক ছুৎমার্গ কাটবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হবে। টেলি মানস (Tele Manas) এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে টেলি মানসে ফোন করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে।

    কেন জরুরি হয়ে উঠছে এই ধরনের পরিষেবা? 

    দেশ জুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) পরিষেবা সুনিশ্চিত করা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ভারতে মানসিক রোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয়র মানসিক রোগের চিকিৎসা হয় না। কোথায় কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে হবে, কোথায় সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে, এমনকি কার চিকিৎসার প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও অধিকাংশ ভারতীয়র ধারণা নেই। এর ফলে, ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক রোগ নিয়ে যেমন নানান সামাজিক ছুৎমার্গ তৈরি হয়, তেমনি রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা হয় না। এর ফলে, মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরে সিজোফ্রেনিয়া, আত্মহত্যা, অবসাদের মতো একাধিক রোগ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে, প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে। আর টেলি মানসের মতো প্রযুক্তি থাকলে, সেই কাজ সহজ হবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় করে থামলেই চলবে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। অবসাদ, চাপের মতো মানসিক রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে কমে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগ লুকিয়ে রাখলে, চিকিৎসা না হলে, পরিণতি হয় ভয়ানক। তাই যেভাবে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ টেলি-মানস করছে, তা এ দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরভর নানা উৎসব আর উদযাপন চললেও, বছরের এই ক’দিন সবার থেকে আলাদা। আট থেকে আশি, সব বয়সের জন্যই দুর্গাপুজোর চারদিন বিশেষ দিন! আর বিশেষ উৎসব উদযাপনে খাওয়া-দাওয়াও বিশেষ হয় (Durga Puja Food)। কিন্তু এই লাগাতার জমিয়ে ভুরিভোজ স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি বিপজ্জনক, সে নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকেই। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর বিশেষ খাবারেও থাকুক সুস্বাস্থ্যের ছোঁয়া, তবেই সুস্থ শরীরে উৎসব উদযাপন সম্ভব।

    পুষ্টিবিদরা কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? (Durga Puja Food)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দূর্গাপুজোর চারদিন কমবেশি সকলেই একটু অন্যরকম খাবার খেতে চান। কিন্তু স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, উৎসবের মরশুম হলেও সকালের জলখাবার বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকেই রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছুটির মরশুমে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোন। ব্রেকফাস্ট বাদ পড়ে। একেবারেই দুপুরে জমিয়ে খাওয়া হয়। অনেক সময়েই দিনের প্রথম খাবার হয় কোনও রেস্তোরাঁর অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার। আর এতেই বিপদ বাড়ে। হজমের গোলমাল কিংবা পেটের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই পুজোর সময় পুষ্টিসমৃদ্ধ জলখাবার খাওয়া দরকার। দুধ, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস কিংবা ডিম সেদ্ধ, ফল বা রুটি, সব্জির মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে থাকলে পাকস্থলী সুস্থ থাকবে। হজমের সমস্যার ঝুঁকি কমবে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুপুর-রাত একদিনে দুবেলা বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। উৎসবের মরশুমে অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু দুবেলা বাইরের খাবারে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
    খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের (Durga Puja Food) খেয়াল রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়ির খাবারের মেনুতে থাকুক নানান রকমের স্যালাড, বেকড খাবার। পুজোর দিনে নানা রকমের ফল দিয়ে নতুন নতুন স্যালাড বানানো যেতে পারে। এতে স্বাদ বদল হয়। আবার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। আবার মাছ কিংবা চিকেনের নানান বেকড আইটেম রান্না করা যায়। যাতে খুব কম পরিমাণ তেল আর মশলার ব্যবহার হয়। অথচ অন্যরকম খাবারে মন ভরে। শরীর ভালো থাকে।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া জরুরি? (Durga Puja Food)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে দেদার খাবার খাওয়ার সময়, স্থূলতা আর হৃদরোগের বিষয় ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই, পিৎজা, বার্গার, হটডগ, কিংবা অতিরিক্ত ভাজা খাওয়ার জেরে অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আর স্থূলতা নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই কী খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি এই সময় অনেকেই লাগামহীন চর্বিযুক্ত খাবার খান। ফলে, কোলেস্টেরল আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা পিৎজার মতো খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, খাবারের পাশপাশি পানীয়ের বিষয়েও সচেতনতা দরকার। পুজোর সময়ে অনেকেই প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় খান। অতিরিক্ত প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় কিন্তু স্থূলতার কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাছাড়া, আইসক্রিম আর নরম ঠান্ডা পানীয়ের জেরে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়ে বলে জানাচ্ছেন বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা রোদের মধ্যে লাগাতার ঘুরলে আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    পুজোর সময়ে আবার উদযাপনের অংশ হিসাবে অনেকেই মদ্যপান করেন। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মদ্যপান শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্রে নানান রোগের কারণ মদ্যপান। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। 
    শরীর সুস্থ রাখতে সতর্ক ও সচেতনভাবে ভুরিভোজ (Durga Puja Food) হোক। তবেই দুর্গাপুজোর উদযাপন সুন্দর হবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেই বাড়ছে শ্বাসনালীর সংক্রমণ! শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেই বাড়ছে শ্বাসনালীর সংক্রমণ! শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কিংবা টাইফয়েডের মতো জটিল জ্বরের পাশপাশি বর্ষার মরশুমে রাজ্যবাসীকে জেরবার করছে ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza)। সপ্তাহভর বৃষ্টি চলেছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ফলে, আবহাওয়ার অনেকটাই বদল হয়েছে। তাপমাত্রার এই দ্রুত ওঠানামার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আদ্রতা। কখনও শীত ভাব, আবার কখনও ঘাম ঝরছে! আর এর জেরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা শক্তি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই বর্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শুধু সর্দি-কাশি আর জ্বরের ভোগান্তিতেই শক্তি ক্ষয় করছে না। শ্বাসনালীর জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করছে।

    কাদের ভোগান্তি বেশি? (Influenza) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত দু’সপ্তাহে ফের বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenza) দাপট। সর্দি-কাশি আর জ্বরের সমস্যা বাড়ছে। তবে, এর সঙ্গে যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে, তা হল শ্বাসনালীর সংক্রমণ। কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা এমনকি ফুসফুসের নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে। বিশেষত, শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ শ্বাসনালীর সংক্রমণ হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাঁপানির মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। এছাড়া, জ্বর না কমলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও থাকছে। তাই পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? (Influenza) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরম বাড়তেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনেই শরীরে দ্রুত ভাইরাসঘটিত জ্বরের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সময় একেবারেই এসি চালানো উচিত নয়। বিশেষত, শিশুরা যে ঘরে রাতে ঘুমোবে, তাতে লাগাতার এসি চালানো একদম চলবে না। কারণ, এতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমনোর সময় শিশুকে হালকা চাদরে গা ঢেকে দেওয়া দরকার বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। প্রথম দিন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে কোনও সংক্রমণ বাড়াবাড়ি হতে না পারে। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza) আক্রান্তরা সকালে দুধে মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু সর্দি-কাশিতে বিশেষ উপকার দেয়। আর দুধ শরীরের দুর্বলতা দ্রুত কাটাতে সাহায্য করে। আর এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ হয়। তাছাড়া গলায় অসুবিধা কমাতে এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দশ-বারো বছরের শিশুদের গোলমরিচ গুঁড়ো করে তুলসী পাতার সঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গির (Dengue) প্রবল শক্তিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তার উপরে রয়েছে ম্যালেরিয়ার দাপট। আলাদা আলাদা ভাবে নয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে দুই মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত এই দুই রোগের জোড়া আক্রমণে নাজেহাল আক্রান্তরা। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে বিপদ মারাত্মক।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি এ বছর শক্তিশালী হয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। বিশেষত কলকাতাতে এই সমস্যা আরও বেশি। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণের ঘটনাও কলকাতায় বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর ৩০ শতাংশের ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়া একসঙ্গে হচ্ছে। বিশেষত বড়বাজার, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, যাদবপুর, তালতলা, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই সব এলাকা নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    কেন কলকাতায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপট? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এডিশ মশা ডেঙ্গি (Dengue) রোগ ছড়ায়। আর ম্যালেরিয়ার রোগ বহন করে অ্যানোফিলিস মশা। এডিশ মশা পরিষ্কার জলে জন্মায়। যেমন টব, বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক। আবার অ্যানোফিলিস মশা বড় জলা জায়গায় বংশবিস্তার করে। কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। কোথাও অল্প জল আবার কোথাও অপরিচ্ছন্ন এলাকা। ফলে, যে কোনও ধরনের মশার বংশবিস্তার সহজ। আর তাই কলকাতা জুড়ে মশার জোড়া দাপট। বৃষ্টি হলেই কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। বৃষ্টি থামলেও, জল নামতে কয়েক দিন চলে যায়। আবার কলকাতার অধিকাংশ পার্ক অপরিচ্ছন্ন থাকে। ফলে, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? (Dengue)  

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন দিন জ্বর থাকলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনেক সময়ই ডেঙ্গি (Dengue) আর ম্যালেরিয়ার আলাদা উপসর্গ বোঝা যায় না। শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাওয়া, কাঁপুনি বা খিচুনি, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ হয়। ফলে, ডেঙ্গি নাকি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর তিন দিন টানা থাকলে একসঙ্গে ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাহলে নিশ্চিত হওয়া সহজ হয়। পাশপাশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। কিন্তু ম্যালেরিয়ার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব। ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এক্ষেত্রে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি বেশি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share