Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে তবেই‌ দেখা দিত এই ধরনের সমস্যা। তবে, এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই রোগ (Liver Disease)।‌ শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়। স্কুল পড়ুয়ারাও কাবু হচ্ছে এই রোগে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক হতে না পারলে আজীবন ভোগান্তি চলবে।‌ ভারতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত পঞ্চাশ পেরনোর পরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক দশকে কম বয়সীরাও এই রোগে ভুগছে। সাম্প্রতিক এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ‌ বেড়েছে চিকিৎসক‌‌ মহলে।

    কী‌ বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। আর ভারতেও এই সমস্যা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১০ শতাংশ শিশু ফ্যাটি‌ লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় ভুগছে।‌ যা বছর দশেক আগেও‌ এত বেশি ছিল না। ফলে, আগামী দিনে শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী‌ এই ফ্যাটি লিভার রোগ? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লিভারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হলে, তাকে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেটের সমস্যা লাগাতার হতে পারে। ফলে, হজমের সমস্যা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে লিভারের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।

    কেন শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরন আর খাদ্যাভ্যাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে ফাস্ট ফুডে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুল বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন হোক কিংবা কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সব জায়গায় পিৎজা, বার্গার, হটডগের‌ মতো‌ খাবার স্কুল পড়ুয়াদের পছন্দ। আর সেটাই দেদার খাওয়া চলছে।‌ পাশপাশি নানা প্যাকেট জাত খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এগুলো খাওয়া চলছে। এর ফলে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ আর এটাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপ।‌ ওজন বাড়লেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।‌ অধিকাংশ শিশুই এখন ওবেসিটি বা স্থূলতার শিকার। এর ফলে ভারতে ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যাও বাড়ছে। 
    পাশপাশি, ফাইবার, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া কম হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রোটিন ও‌ ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ কম বয়সীরাই আটার রুটি, সুজি, ছাতু খায় না। ফলে, ফাইবার শরীরে কম যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ব্যালান্স হয় না।‌ যার জেরে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন‌ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু মাংস, মাছ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। প্রয়োজন তার সঙ্গে পরিমাণ মতো রুটি, ভাত, সবজির।‌ তবেই শরীর সবরকমের উপাদান পাবে। 
    পাশপাশি স্কুল পড়ুয়াদের খেলাধুলো কিংবা শারীরিক কসরত প্রয়োজন মতো হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ আর তার জেরেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পারলে তবেই ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) ঝুঁকি কমবে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিড ১৯ (Covid-19 India) এর আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে দেশে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে নতুন করে ১৬৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ। রবিবার, ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।  রিপোর্ট বলছে ১৬৬ টি নতুন করোনা ভাইরাস মামলার মধ্যে বেশিরভাগই এই মুহূর্তে কেরল থেকে এসেছে। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট

    সম্প্রতি বের হওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলের। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসের (Covid-19 India) আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৯৫ জন। ইতিমধ্যেই দেশের কোভিড-১৯ (Covid-19 India) মামলার সংখ্যা ৪,৫০,০৩,০৫৫ (৪.৫০ কোটি) এবং মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩০৬ (৫.৩৩ লাখ)। দেশে করোনা সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় দৃষ্টান্তমূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ জন। রিপোর্ট বলছে, ভারতে ১৬৬ টি নতুন কোভিড আক্রান্তের বেশিরভাগই এসেছে কেরল থেকে। যা বেশ উদ্বেগজনক। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা লোকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৪৪,৬৮,৮৫৪ (৪.৪৪ কোটি) এবং করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা রোগীর হার ৯৮.৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনায় মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.১৯ শতাংশে।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ

    তবে, এখনই এ নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই, বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে কোভিড (Covid-19 India) পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণগুলির উপর নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্কতা হিসেবে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্টের উপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মেরও! উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তিরিশের চৌকাঠ পার করেনি। বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতার এক রেস্তোরাঁয় চলছিল খানাপিনা। হঠাৎ বুকে ব্যথা (Heart Attack) অনুভব করেন বছর আঠাশের যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই তরুণ মারা গিয়েছেন। যদিও ওই তরুণের ডায়বেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা ছিল না।
    সদ্য মাস ছয়েক মা হয়েছিলেন বছর পঁচিশের তরুণী। গর্ভাবস্থায় একাধিক শারীরিক পরীক্ষায় কোনও ত্রুটি ধরা পরেনি। কিন্তু হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই তরুণী। 
    এই ঘটনাগুলি একেবারেই ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে। তিরিশ বছর পেরনোর আগেই হৃদযন্ত্র হঠাৎ বিকল হওয়ার মতো ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত করোনা পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা‌ আরও বাড়ছে। আবার দেখা যাচ্ছে, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা বা কোমর্বিডিটি না থাকলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ তার জন্য উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। 
    সম্প্রতি কলকাতায় চলছে কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সম্মেলন। সেখানেই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার নতুন একাধিক কারণ দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে‌ আরও বিপদ বাড়বে।

    কোমর্বিডিটি না থাকলেও কেন হৃদরোগ বাড়ছে?(Heart Attack) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার মতো‌ সমস্যা হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্ত সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দূষণ হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক বাড়াচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, কারণ, দূষণ বাড়ছে। ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। কিন্তু যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একজন মানুষ ধূমপায়ীর মতোই ভুক্তভোগী হচ্ছেন।‌ 
    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, সম্প্রতি কলকাতা ও‌ তার আশপাশের এলাকায় দীপাবলি উপলক্ষে যে‌ হারে আতস বাজি পোড়ানো হয়েছে, তাতে বায়ুদূষণ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আর এর প্রভাব সরাসরি ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডে পড়ছে। যার জেরে বাড়ছে হৃদরোগ।

    কী পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Heart Attack)

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দূষণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।‌ বায়ুদূষণে‌ লাগাম টানতে না পারলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়বে। প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে। না হলে যে হারে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, প্রত্যেকের দিনের কিছুটা সময় খোলা‌ মাঠে কিংবা পার্কে‌ কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন‌ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোলা মাঠে হাঁটা কিংবা পার্কে ‌শারীরিক কসরত করলে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের।‌ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত জরুরি। 
    পাশপাশি খাবারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই তেল-মশলা যুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি সহজপাচ্য খাবার রোজদিনের মেনুতে রাখতে হবে। কারণ, তাতেই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের আমেজ চলে এসেছে। যদিও তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার খেসারত দিচ্ছে শরীর। কিন্ত বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের লেবু। শীতের সকালের জলখাবার হোক কিংবা দুপুরের খাবার শেষে, চলছে দেদার লেবু খাওয়া (Lemon in Winter)। কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা।‌ নানান রকমের লেবু এখন নিত্যদিনের মেনুতে থাকছে। এই অভ্যাস শরীরের জন্য বাড়তি কোনও উপকার করছে, নাকি নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীতে উদ্বেগ বাড়াবে? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। সবার জন্য লেবু উপকারী নয়।

    নিয়মিত লেবু খেলে‌ শীতে কী সুবিধা হতে পারে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি।‌ কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা, যে কোনও ধরনের লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়। এই আবহাওয়ায় অধিকাংশই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সর্দি-কাশির দাপট কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত লেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। 
    তাছাড়া, কমলালেবু কিংবা মাল্টা জাতীয় ফলে থাকে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাড়ের রোগের সমস্যা কমে। বিশেষত, মধ্যবয়সী মহিলারা‌ অনেকেই হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। শীতে তাঁদের সমস্যা বাড়ে। তাই শীতকালে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস (Lemon in Winter) তাঁদের জন্য বাড়তি উপকারী হবে।‌
    শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। শীতে শুষ্কতা বাড়ে।‌ শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমাতে লেবু বিশেষ সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন থাকলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমে। বিশেষত কমলালেবু নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতা কমে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাই মাল্টার মতো‌ লেবু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস কোনও বিপদ ডেকে আনছে কি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লেবু উপকারী।‌ কিন্ত তা সত্ত্বেও‌ পরিমিত খাওয়া (Lemon in Winter) জরুরি‌। তা না হলেই পরবর্তীতে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ তাই লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রে সেসবে নজর জরুরি। 
    কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া বিপজ্জনক।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুর উপাদান কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে‌ পারে। তাই কিডনি রোগীর দিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। 
    শীতে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পেটের ‌গোলমাল হলে‌ লেবু (Lemon in Winter) এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অনেক সময়েই অতিরিক্ত লেবু ‌খেলে হজমের সমস্যা হয়।‌ তাই পেটের সমস্যায় লেবু খাওয়া একেবারেই চলবে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি মাল্টা জাতীয় লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও কতখানি খাওয়া হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাল্টা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত মাল্টা লেবু খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। তাই সেদিকে খেয়াল রেখেই খাওয়া জরুরি। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দিনে‌ একটা লেবু খাওয়া যেতেই পারে। কিন্ত উপকারী ফল বলে একাধিক লেবু খেলে সমস্যা হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ 

    Winter Disease: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খামখেয়ালি মেজাজ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি‌। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছিল। শহর থেকে জেলায় শীতের আমেজ চলে এসেছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই ছন্দপতন। তাপমাত্রার পারদ বাড়ে। সঙ্গে ঘাম আর অস্বস্তি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, অন্ধ্র উপকূলের নিম্নচাপের জেরেই আবহাওয়ার এই মেজাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হালকা শীতের আমেজের মাঝে এরকম হঠাৎ ঘাম আর অস্বস্তিকর আবহাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক (Winter Disease)। তাই বাড়তি সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়বে।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য এই আবহাওয়া বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল কিংবা রাতের দিকে ঠান্ডা, অথচ সন্ধ্যা বা দুপুরে ঘাম হচ্ছে, এর জেরে একাধিক ভাইরাস বাতাসে শক্তিশালী হচ্ছে। তাই জ্বর, সর্দির মতো সমস্য দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, যাদের শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই আবহাওয়া একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই আবহাওয়ায় শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কাশি হলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত শিশুদের কাশি হলে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর সংক্রমণের সমস্যা ফুসফুসের গুরুতর সঙ্কট তৈরি করে (Winter Disease)। নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। শ্বাসনালীর সংক্রমণ শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের পাশাপাশি যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির অসুখে ভুগছেন, এই আবহাওয়ায় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কীভাবে কমবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় পোশাক নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব মোটা পোশাক এই আবহাওয়ায় অস্বস্তিকর। ঘাম হবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। আবার পাতলা পোশাকও চলবে না। তাই পোশাক নির্বাচনে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত, কান এবং গলায় যাতে ঠিকমতো ঢাকা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এই ঠান্ডায় অধিকাংশ মানুষ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে (Winter Disease) ভুগছেন।  অর্থাৎ, শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণ হচ্ছে। তার জেরেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরম লাগলেও একেবারেই আইসক্রিম,  ঠান্ডা পানীয় খাওয়া চলবে না। এতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। পাশাপাশি হালকা খাবার খেতে হবে। যাতে হজমের গোলমাল না হয়। কারণ, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে বাড়ে হজমের সমস্যা। ভাইরাস ঘটিত সর্দি-জ্বর পেটের সমস্যা তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। বিভিন্ন ধরণের স্যুপ কিংবা স্ট্রু জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় উপকারী বলেও জানাচ্ছেন পু্ষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সহজপাচ্য অথচ গরম খাবার এই আবহাওয়ায় খুব উপকারী। 

    নিয়মিত মধু, গোলমরিচ আর তুলসিপাতা খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়বে। ফলে যে কোনও ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে (Winter Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    WHO: মিষ্টি পানীয় ও মদের ওপর বেশি কর চাপানোর প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকোহল এবং মিষ্টি জাতীয় সমস্ত রকমের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য-পানীয়ের ওপর বেশি করে কর চাপানোর পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মঙ্গলবারই বিশ্ব সংস্থা সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেরই মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের উপরে যে কর রয়েছে বর্তমানে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর এই সমস্ত পানীয়ের ওপর যে কর দেশগুলি চাপিয়েছে, তা খুবই কম। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মদের উপরে তারা কোনও করই চাপায়নি।

    মদ্যপানের কারণে প্রতিবছর মারা যান ২৬ লাখ মানুষ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছরই ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই ‘হু’ (WHO) মনে করে এই সমস্ত খাদ্য পানীয়গুলির উপরে অতিরিক্ত পরিমাণে কর চাপালে মানুষের মৃত্যুর হার অনেকটাই হ্রাস পাবে। এবং সারা বিশ্বের সামগ্রিক স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো হবে। এর পাশাপাশি মদ এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার জন্যও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ‘হু’ (WHO)।  অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদাহরণ দিয়েছে, মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে লিথুয়ানিয়া নামক দেশে। ২০১৭ সালে সেদেশের সরকার অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের ওপর করের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সে দেশের মৃত্যুর হার দু’ বছরে ২৩.৪ শতাংশ থেকে কমে ১৮.১ শতাংশ নেমে আসে।

    মদ্যপান এড়িয়ে গেলে কমে আসে নানা রোগের ঝুঁকি

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাও মনে করে যে মানুষের ওপর মদ বা মিষ্টি পানীয়গুলির খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলত্বের মতো সমস্যাগুলিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে রাডিগার ক্রেচ এবিষয়ে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর কর ধার্য করলে যদি মানুষের হুঁশ ফেরে। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, সমাজের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি মানুষ একটু সচেতন হন। মদের উপর করের পরিমাণ বাড়লে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কিংবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে বলে মনে হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দ ‘মহামারী’-র মতো রাজ্যে গ্রাস করছে এইডস। কিন্তু তারপরেও কমছে সচেতনতা। যার জেরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বড় খেসারত দিতে হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকার কবে তৎপর হবে? অন্তত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী স্পষ্ট, সব স্তরে সচেতনতা কর্মসূচি আর প্রয়োজনীয় কর্মশালা একেবারেই হচ্ছে না। এমনকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগ আছে কিনা, তা যাচাইও ঠিকমতো হচ্ছে না। যার জেরে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 
    বিশ্ব এইডস সচেতনতা দিবসে বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, রাজ্যে নেই প্রয়োজনীয় কর্মসূচি। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে বাড়ছে এই মারণ রোগ।

    কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইডস নিয়ে সচেতনতার হার কমছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে সেই সচেতনতার হার আরও কম। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ (এনএফএসএইচ ৫) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনতার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনতায় এগিয়ে মহিলারা। 
    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। যৌন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা জরুরি, সে নিয়ে বাঙালি পুরুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। 
    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারী’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    এইডস কী? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এইডস হলো একধরনের সংক্রামক রোগ। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। জীবন ভর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন না।

    এইডস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে হারে এইডস নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। কারণ, মা কিংবা বাবা এইডস আক্রান্ত কিনা, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কারণ, সরকারের তরফে ঠিকমতো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। অনেকের গর্ভস্থ অবস্থায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না। আর এর জেরেই নবজাতক এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জন্মের পরেই শিশু এইডস আক্রান্ত কিনা জানতে পারলেও শিশুকে আজীবন এই রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরে শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে, কোনও শিশুর এইডস থাকলে, তা এতটাই পরে জানা যাচ্ছে, যে তখন চিকিৎসার সুযোগ থাকছে না। যার জেরে আজীবন ভুগতে হচ্ছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পেটে মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা। ওষুধ না খেলেও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই মাঝেমধ্যে হতে থাকা যন্ত্রণা হঠাৎ ভোগান্তি বাড়ায়। অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, রক্তপাতের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ পরীক্ষা করে অধিকাংশ সময়েই জানা যায়, রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। 
    নভেম্বর মাস প্যানক্রিয়েটাইটিস ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)। জীবন যাপনের একাধিক বদল এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগের জটিলতা বাড়াচ্ছে অসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গ অবহেলা করেন। ফলে, যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই সতর্কতা আর সচেতনতা, এই দুই দাওয়াই রুখতে পারে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার।  

    কেন বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার? (Pancreatic Cancer) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খাবার খাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সকালের জলখাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারী খাবার খাচ্ছেন না। দুপুরে লাঞ্চ করছেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লাঞ্চের মেনুতে থাকছে কোনও রেস্তোরাঁর খাবার। দীর্ঘ ব্যবধানে এই খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়ার জেরে দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি হজমের লাগাতার গোলমাল হয়। এর জেরেই অন্ত্রে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Pancreatic Cancer)। 
    এর পাশপাশি, কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা প্রসেসড খাবার খেলে পাকস্থলী, অন্ত্রে আরও ক্ষত তৈরি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে বিরিয়ানি, মোগলাই, চাইনিজ খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। পাশপাশি বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রসেসড খাবার খেলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সব্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাবারের মধ্যে সমতা নেই। সবুজ সব্জিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান। যেগুলো অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল এবং সব্জি না খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া অগ্নাশয়ের জন্য ভালো নয় বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    পাশপাশি মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মাত্রায় নিয়মিত মদ্যপান অগ্নাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Pancreatic Cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। 
    পাশপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমাতে হবে। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। এতে হজমের সমস্যা কমবে। পাকস্থলী, অন্ত্র এবং অগ্নাশয় সুস্থ থাকবে। ফলে, যে কোনো রকম রোগ (Pancreatic Cancer) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। নিয়মিত সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার, ডিম, দুধ, রুটি, সব্জি, খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া অনিয়মিত হলে সঙ্গে রাখতে হবে ফল, ড্রাই ফ্রুটস। যাতে পেট ভর্তি থাকে। খেজুর, কিসমিস, পেস্তা, আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সবসময় খাওয়া সম্ভব হয় না, তাঁরা সঙ্গে এই জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন। 
    পাশপাশি বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় প্রসেসড খাবার নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই ধরনের খাবার এড়ানো দরকার। নিয়মিত বাড়ির তৈরি কম তেলমশলার খাবার মেনুতে রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ কমতেই ফুসফুস ও শ্বাসনালীর একাধিক সংক্রমণে জেরবার আট থেকে আশি, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আর এর মধ্যেই নতুন আরেক রোগের দাপট। যার জেরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। আর এই নতুন আতঙ্কের নাম ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)।

    কী এই ব্রুসেলোসিস? 

    ব্রুসেলোসিস হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গবাদি পশু থেকেই এই রোগ ছড়ায়। গরু, উট, কুকুরের মতো প্রাণী থেকে এই রোগের ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অনেক সময় গরু, ছাগল, মোষের মতো গবাদি পশু এই রোগে আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত প্রাণীর দুধ থেকেও মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়াতে পারে। মূলত, পশুর থেকেই এই রোগ (Brucellosis) মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কীভাবে চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট জানান দেয়। তাই উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ থাকলে এই রোগ দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে পেটে, পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা, হাঁটু কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা, জ্বরের মতো উপসর্গ (Brucellosis) দেখা দেয়। তার সঙ্গে হয় কাশি ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ। খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। রাতে অতিরিক্ত ঘাম হয়। পাশপাশি ওজন দ্রুত কমতে থাকে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। রক্ত পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জার কিছু নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়।

    কেন রাজ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) আক্রান্তের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরেই উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি নদীয়ায়। তাঁর বাড়িতে গরু রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরুর থেকেই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি জটিল হয়। তাই বাঁচানো যায়নি। এর আগেও বর্ধমান, আসানসোল সহ একাধিক জায়গায় ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। আরও কয়েকজনের ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কয়েক সপ্তাহ আগেই কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে একজন ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল।ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রায় আড়াইশো জন ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্য কর্তা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাদের বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। পশুর শরীরে কোনও রকম ঘা বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। গবাদি পশুর দেহে যাতে কোনও রকম বড় রোগ না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে জ্বর বা পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) চিকিৎসার নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয় এড়ানো সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু চলছেই! কলকাতা, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, এই জেলাগুলিতে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ ডেঙ্গি-আক্রান্ত হচ্ছেন। লাগাতার ডেঙ্গি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। শীতেও এবার ডেঙ্গির প্রকোপ জারি থাকবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, কয়েকটি ক্ষেত্রে ডেঙ্গি (Dengue) বিপদ বাড়াতে পারে। তাই বড় ক্ষতি এড়াতে আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়তি বিপদ? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মহিলাদের ডেঙ্গি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গি হলে মা ও গর্ভস্থ শিশু দু’জনের জন্যই বিপদ। গর্ভস্থ মহিলার শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের অভাব দেখা যায়। আর তার জেরেই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে প্রাণ সংশয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো, বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং এলাকায় কেউ সংক্রমিত (Dengue) হলে, বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন। শরীরে যাতে তরল পদার্থের অভাব না হয়, সেদিকে আরও বেশি খেয়াল রাখা জরুরি, পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা?

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণের পরে জটিলতা তৈরি করে কিডনি এবং লিভার। এই দুই অঙ্গ অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো কাজ করে না। তাই রোগীর শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তাই যাদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মশা বাহিত রোগ তাদের জন্য আরও বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    একবার হলে বাড়তি সতর্কতা (Dengue)

    যাদের একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, একাধিক বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রাণ সংশয় দেখা যায়। তবে, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) যে কোনও সময়েই বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। ডেঙ্গির জটিলতা বাড়ায়, একাধিক অঙ্গের কার্যশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের জ্বর কমলেও পরবর্তী কিছুদিন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাই ডেঙ্গির জ্বর কমলেও যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share