Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কমলেও দুর্বলতা সমস্যা তৈরি করছে। অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হলে তবেই বিপদ কমবে। তাই ডেঙ্গির পরে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    কোন ধরনের খাবার অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। হজমের গোলমাল হয়। অন্ত্রের একাধিক সমস্যা হয়। এতে শারীরিক জটিলতা বাড়ে। তাই ডেঙ্গির পরে জল কিংবা তরল জাতীয় খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে কমপক্ষে ৪ লিটার জল খেতে হবে। পাশাপাশি স্ট্রু, স্যুপ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাতে একদিকে দেহে জলের পরিমাণ ঠিক থাকে, পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার পেটের রোগ হয় না। ফলে দ্রুত সুস্থ (Dengue) হয়ে ওঠা যায়।

    নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ (Dengue)

    ডেঙ্গির পরে কিউই, মাল্টা, আপেল, নাশপাতির মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেল, নাশপাতির মতো ফলে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে ডেঙ্গি পরবর্তী সময়ে এই ফল বিশেষ উপকার করে। পাশাপাশি কিউই, মাল্টার মতো ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্রুত গড়ে ওঠে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে নিয়মিত ডিম সেদ্ধ খাওয়া জরুরি। ডিমে একাধিক ভিটামিন থাকে। তাছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় একদিকে যেমন দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে, তেমনি শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। 
    দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ডেঙ্গির পরে মলত্যাগে সমস্যা হয়। পেটে যন্ত্রণা হয়। আবার অন্ত্রে নানান অসুবিধা হয়। কিন্তু টক দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিত্যদিনের মেনুতে থাকলে হজম ভালো হবে। অন্ত্রের ঝুঁকি কমবে। ফলে, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত চিকেন স্ট্রু খাওয়া দরকার বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, চিকেন সহজপাচ্য। তাছাড়া চিকেন প্রাণীজ প্রোটিনে ভরপুর। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী জটিলতা কাটাতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত চিকেন স্ট্রু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে শিশুদের আরও বেশি দুর্বলতা দেখা দেয়। অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সময় লাগে। তাই শিশুদের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। নিয়মিত তাদের ফল আর সব্জি খাওয়ানো দরকার। পালং শাক, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ হবে। পাশপাশি দুধ, টক দই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। লেবুর রস, আপেলের পাশপাশি রোজ কলা খাওয়া দরকার। এতে শিশুদের ডেঙ্গি পরবর্তী শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি কমে। শরীরে অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে রোগের দাপট। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডে কাবু রাজ্যবাসী। তার মাঝেই নতুন উদ্বেগ হাজির। কালাজ্বরের (Black fever) দাপট ক্রমশ রাজ্যে বাড়ছে। ফলে, রাজ্যের মানুষের জন্য আরও এক বিপদ ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে কালাজ্বরে (Black fever) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ জন। মালদহ, বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় কালাজ্বরের দাপট রয়েছে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওঁই ব্যক্তি মালদহের বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান। এই ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, তা নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। কারণ, এই ধরনের রোগে সংক্রমণের প্রকোপ বোঝা জরুরি, পাশপাশি কোন ধরনের সমস্যা থাকলে রোগীর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা করা দরকার। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যায়।

    কীভাবে বুঝবেন কালাজ্বর (Black fever)? 

    চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। বারবার জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সতর্ক হতে হবে। পাশপাশি পেটে যন্ত্রণা হয়। কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ হল পেটের উপরের অংশে যন্ত্রণা। পেট ফুলে যাওয়া আর শরীরের ওজন দ্রুত কমে গিয়ে হাত-পা লিকলিকে রোগা হয়ে যাওয়া কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়া, কালাজ্বর হলে ত্বকে কালো ছোপ দেখা দিতে পারে। জ্বর হলে শরীরের কোন অংশের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়া, কালাজ্বরের (Black fever) অন্যতম উপসর্গ হল ডায়ারিয়া। জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা মারাত্মক বাড়লে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।

    কালাজ্বর কি সংক্রামক রোগ? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বর (Black fever) ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগ। তবে, কালাজ্বর মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এলাকার কেউ কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে, অন্যদের সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা না বাড়লে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের ওষুধ বহু বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। কালাজ্বর (Black fever) হলে তার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তাই কালাজ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু কালাজ্বর ঠেকাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি। বর্ষাকালে পেটের অসুখ, ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত জল খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। পরিশ্রুত জল খেতে হবে। বাচ্চাদের বাড়তি নজরদারি করতে হবে। যাতে তাদের কোনও ভাবে পেটের সমস্যা না হয়। তাহলেই সংক্রমণ রোগ ঠেকানো সহজ হবে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস (Diabetes) আর বয়স্কদের রোগের তালিকায় আটকে নেই! তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এই রোগ এখন শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত ১২ বছর পেরলেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে! যার প্রভাব পড়ছে পড়াশোনা, খেলাধুলোয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা না বাড়লে বিপদ বাড়বে! অভিভাবক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। না হলে বড় বিপদ হতে পারে!

    কাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তিরিশ পেরনোর আগেই অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। সন্তান জন্মের পর তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সব শিশুর জন্মের সময় ওজন ৩.৫ কেজির বেশি থাকে, তাদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, পরবর্তীতে তাদের স্থূলতা বাড়ার ঝুঁকি বেশি। ফলে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। পাশপাশি, যাদের জন্মের সময় ওজন ২.৫ কেজির কাছাকাছি থাকে, কিন্তু তিন-চার বছর বয়স থেকেই ওজন মারাত্মক বাড়তে থাকে, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। 
    ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দশ জন ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের মধ্যে আগে গড়ে ২-৩ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হত। কিন্তু গত দশ বছরে দেখা যাচ্ছে, প্রতি দশ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে গড়ে ৫-৬ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী থাকছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এছাড়া ভারতে শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রকোপও বাড়ছে।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের বদলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি বাড়ছে। ১২-১৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের শারীরিক কসরতের প্রবণতা কমে গিয়েছে। তারা অধিকাংশ সময়েই বসে থাকছে। কখনও পড়াশোনা, কখনও ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। মাঠে খেলাধুলোর সময় একেবারেই কম। দিনের খুব কম সময় তারা শারীরিক কসরত করে। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া আধুনিক জীবনের খাদ্যাভ্যাস এই রোগের প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন নানান প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবার স্থূলতা ডেকে আনে। তাছাড়া, ডোনাট, চকোলেট খাওয়ায় অভ্যস্ত অনেক শিশু। এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে? 

    সম্প্রতি সুইডেনের একদল গবেষক স্কুল পড়ুয়াদের ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াদের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। তাই তাদের অনেক সময়ই বুঝতে অসুবিধা হয়। ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত পড়ুয়ারা বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে, নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না। অনুপস্থিতির হার বেশি হয়। এর প্রভাব তাদের পড়ার ক্ষেত্রেও পড়ে। পাশপাশি খেলাধুলোর প্রতি অনীহা তৈরি হয়।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা কীভাবে সতর্ক হবেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত যদি সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা যায় কিংবা বারবার জল খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত থাকেন, তাহলে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা জরুরি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা। 
    অতিরিক্ত তেলে ভাজা আর মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের ডায়েটে সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত ডোনাট, চকোলেট একেবারেই দেওয়া যাবে না। শিশুদের জলখাবারে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। কর্নফ্লেক্স, দুধ, কিসমিস, কাজুর মতো ড্রাই ফ্রুট, আপেল, পেয়ারা, নাশপাতির মতো ফল খেতে হবে। ভাতের পরিমাণ না বাড়িয়ে ডাল, সব্জি, চিকেন, মাছের মতো খাবার বেশি খেতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। 
    স্কুল কর্তৃপক্ষকেও ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলে বহু পড়ুয়া এই রোগে আক্রান্ত থাকবে। তাদের সুস্থ রাখতে স্কুলে আলাদা ভাবে মেডিক্যাল স্টোর রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিজ্ঞাপনেই আটকে প্রতিশ্রুতি! ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে হয়রানির শেষ নেই

    Dengue: বিজ্ঞাপনেই আটকে প্রতিশ্রুতি! ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে হয়রানির শেষ নেই

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি হলেই সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ! এক ফোনেই পাওয়া যাবে প্রশাসনের সাহায্য! কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত জানাচ্ছেন, বিজ্ঞাপনেই আটকে আছে প্রতিশ্রুতি! তাই ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন!

    কী আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রয়েছে কন্ট্রোল রুম। দিনরাত সেখানে থাকবেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে পারেন রাজ্যবাসী। আক্রান্ত কী করবেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য থেকে প্লেটলেট কোথায় পাওয়া যাবে কিংবা হাসপাতাল সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানতে পারবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ রুখতে যে কোনও রকম সাহায্য পাবেন।

    কন্ট্রোল রুম নিয়ে কী অভিযোগ উঠছে? 

    বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই অন্য রকম বলে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তদের হয়রানি বিস্তর। কিন্তু প্রশাসনকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। গিরিশ পার্কের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের অতনু রায়ের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে তাঁর স্ত্রী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্লেটলেট এক লাখের নীচে নেমে গিয়েছিল। চিকিৎসক রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেও প্লেটলেট পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে তারাও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। কোথায় প্লেটলেট পাওয়া যেতে পারে, সেই তথ্যও তারা জানায়নি। পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে প্লেটলেট পাওয়া যায়। 
    দমদমের বাসিন্দা বছর তিরিশের পারমিতা সাহার অভিযোগ, ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায় না। কর্মীরা অধিকাংশ সময়েই ফোন ধরেন না। এমনকি ফোন ধরলেও তাঁরা সমস্যা জানার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁর অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর ষাটোর্ধ্ব বাবা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি ছিল। কিন্তু একাধিক সরকারি হাসপাতাল জানায়, শয্যা ফাঁকা নেই। কোথায় ভর্তি করা যেতে পারে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন পারমিতা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, কন্ট্রোল রুম সমস্যা শুনে ফোন কেটে দেয়। বারবার ফোন করলেও ঠিকমতো উত্তর পাননি।

    পুরসভাও নির্বিকার

    পারমিতা সাহা কিংবা অতনু রায় ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন রাজ্যের অধিকাংশ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের পরিবারের ভুক্তভোগীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রুখতে পুরসভাকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় জল জমছে। বারবার জানিয়েও তা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। তার উপর আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। সব মিলিয়ে হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    কন্ট্রোল রুম নিয়ে অভিযোগ মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) সমস্যা দেশ জুড়ে হচ্ছে। অযথা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা ঠিক নয়। রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কখনও হয়তো কেউ অসুবিধায় পড়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সাহায্য পাচ্ছেন। দরকারে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা নিজেরাই যোগাযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। একদিকে রাজ্যবাসী ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার। আর এই সময়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে আরেক সঙ্কট (Rabies Vaccination) ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। হয়রানির পাশপাশি প্রাণ সংশয় বাড়ছে রাজ্যের মানুষের। তাই চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, উদ্বিগ্ন সব মহল।

    কোন নতুন বিপদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে? 

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা রেবিস ভ্যাকসিনের (Rabies Vaccination) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্যান্সারের থেকেও বেশি ভয়াবহ এই রোগের একমাত্র মোকাবিলার উপায় রেবিস টিকা। কিন্তু এই টিকা এখন সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত নেই। তাই চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানুষ রেবিস টিকা নেওয়ার জন্য যান। কিন্তু সেখানেও এখন টিকা পর্যাপ্ত নেই। সবচেয়ে বেশি সঙ্কট মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পুরুলিয়ার মতো জেলার হাসপাতালগুলোতে। অধিকাংশ জেলার হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার।

    কী ধরনের হয়রানির অভিযোগ উঠছে? 

    কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রুখতে প্রয়োজন রেবিস টিকা। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পাঁচ বার এই টিকা নেওয়া জরুরি। নিয়ম মতো জলাতঙ্কের মতো এই মারণ রোগ রুখতে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রেবিস টিকা দেওয়া হবে। পাঁচটি ভ্যাকসিন (Rabies Vaccination) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে টিকা নেই। কিন্তু কোথায় টিকা পাওয়া যাবে, সে বিষয়েও রোগীকে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার। একের পর এক হাসপাতালে টিকার জন্য ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। এরফলে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। 
    এছাড়াও লাগামহীন ভাবে রেবিস টিকার দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে টিকা অমিল। আর এই সুযোগে অনেকেই টিকার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক ডোজের দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, বিনামূল্যের পরিষেবা কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিবার।

    কেন উদ্বেগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জলাতঙ্ক মারণ রোগ। সময় মতো টিকা (Rabies Vaccination) না নিলে মৃত্যু ঠেকানো মুশকিল। কিন্তু অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে এখন টিকা না থাকার অভিযোগ উঠছে। এমনকি হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমন্বয়ের অভাব চিন্তা বাড়াচ্ছে। কারণ, কোনও একটি এলাকার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে টিকা না থাকলে রোগী কোথায় যাবেন, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের জানানো উচিত। সেই তথ্য না দিলে সময় নষ্ট হবে। বিশেষত জেলার মানুষের ভোগান্তি বেশি। কারণ, অধিকাংশ জেলায় যাতায়াতের নানা অসুবিধা রয়েছে। অনেকেই সময় মতো টিকা পাচ্ছেন না। বিপদ বাড়ছে। তাই জলাতঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় রেবিস টিকার (Rabies Vaccination) জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক সময়ই কেন্দ্র টিকা পাঠাতে দেরি করে। তখন সঙ্কট তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও দায় নেই। সময় মতো টিকা এলেই তা রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে বন্টন করা হয়। 
    যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য টিকার চাহিদা জানাতে দেরি করে। ফলে, কেন্দ্রের টিকা পাঠাতে সময় লাগে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ঠিক সময়ে কাজ করতে না পারার জেরেই ভোগান্তি সাধারণ মানুষের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে এখন জ্বরের দাপট। কেউ সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, কেউ ভাইরাসঘটিত জ্বরে। আবার কোথাও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ দাপট দেখাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো জটিল ভাইরাসঘটিত জ্বর, নাজেহাল আট থেকে আশি। কিন্তু এর মধ্যেই বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাই প্রয়োজন সচেতনতার।

    কেন অ্যান্টিবায়োটিক বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামান্য সর্দি-কাশি হোক কিংবা কোনও সাধারণ ভাইরাসঘটিত জ্বর বা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ, অনেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক রোগীই ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) কিনে খাচ্ছেন। সম্পূর্ণ কোর্স করছেন না। অর্থাৎ, যে অ্যান্টিবায়োটিক চারটি খাওয়া দরকার, নিজের অনভিজ্ঞতার জেরে দুটো খাওয়ার পরেই বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে, শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

    কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক সব রোগের নিরাময় নয়। একথা অধিকাংশ মানুষ বোঝেন না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগ কমে না। বরং ভোগান্তি বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক যেমন রোগ কমাতে পারে না, তেমনি শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যার জেরে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। রক্তচাপ ওঠানামা করে। সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্বর আর সর্দি-কাশিতে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করলে একাধিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি হয় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। লিভার, কিডনির মতো অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বিশেষত শিশুদের যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন অধিকাংশ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের একাধিকবার সর্দি-কাশি হয়। বারবার অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাবে। দীর্ঘ জীবনে নানা জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমবে। যা পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
    অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরির ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হল, শরীরে আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা এমন কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে, যখন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা জরুরি, তখন শরীর সাড়া দেয় না। ফলে রোগীর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া চলবে না। ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বিপদ বাড়ায়। কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কখন খেতে হবে, কতগুলো খেলে শরীরের জন্য ঠিক, তা একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলতে পারবেন। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিলে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর তার জেরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট চরমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের ভর্তির জায়গা নেই। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। অনেক সময় মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকছেন ডেঙ্গি-আক্রান্ত। অনেক সময় আক্রান্তকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়িতে থাকলে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে!

    রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্ত কত? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসাবে পরিসংখ্যান অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী মাসে আরও কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবেন। তাই হাসপাতালে শয্যার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আক্রান্তের অনুপাতে পরিষেবা দেওয়া কতখানি সম্ভব, সে নিয়েও সংশয় থাকছেই। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি।

    বাড়িতে চিকিৎসায় (Dengue) কোন দিকে নজরদারি জরুরি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনেকে জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাতে দেরি করছেন। ফলে, রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বাড়ছে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। আবার অনেকের ডেঙ্গির (Dengue) সব উপসর্গ প্রকট হচ্ছে না। অর্থাৎ, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই সামান্য সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কয়েক দিন ভোগান্তির কারণ হলেও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    জল খাওয়ায় নজর

    ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে সবচেয়ে বেশি নজরদারি দিতে হবে জল খাওয়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বডি ফ্লুইড অর্থাৎ শরীরে তরল পদার্থ যাতে কোনও ভাবেই না কমে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ শরীরে তরল উপাদান কমলে মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়মিত যে পরিমাণ জল খান, তার থেকে অন্তত ১ লিটার বেশি জল খাবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি নিয়মিত ৩ লিটার জল খান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অন্তত ৪ লিটার খেতেই হবে। এর পাশপাশি ফলের রস, দুধ, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এই সব খাবারে একদিকে শরীরের পুষ্টি হবে, আরেকদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করবে।

    অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট

    ডেঙ্গি আক্রান্তকে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। যাতে তার থেকে অন্যদের রোগ না ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ খুব দ্রুত হয়। তাই আক্রান্তকে আলাদা ঘরে রাখার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিয়ম করে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট মাপা জরুরি। বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত এই দুটি বিষয় মাপার বিষয়ে নজরদারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, আবার প্লেটলেট কমলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই ঠিক রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করা প্রয়োজন। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরের কোনও অংশ লাল হচ্ছে কিনা, রক্তপাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ, এগুলো পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার লক্ষণ। তাই বাড়িতে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত থাকলে এসব বিষয়ে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। তবে, ভারতীয়দের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের সমস্যার বোঝা বাড়ছে এ দেশে! তাই ওয়ার্ল্ড লাং ডে (World Lung Day) উপলক্ষ্যে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশেষ কিছু দিকে নজর দিলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। কমবে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি।

    ভারতে কোন ধরনের ফুসফুসের রোগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের রোগ মানেই ক্যান্সার নয়। ক্যান্সার ছাড়াও একাধিক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বিভিন্ন বয়সীরা। তবে, ফুসফুসের রোগের তালিকায় প্রথমেই আছে হাঁপানি। দেশ জুড়ে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। শিশুকাল থেকেই অনেকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। প্রত্যেক বছর ৪-৫ শতাংশ শিশু হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। 
    হাঁপানির পরেই ফুসফুসের যে রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তা হল নিউমোনিয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ, ভারতে সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের রোগে মৃত্যুর কারণের পিছনে থাকে নিউমোনিয়া। ফুসফুসে জল জমে বিকল হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। 
    এর পাশাপাশি ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিসঅর্ডার (সিওপিডি) ভারতে অন্যতম ফুসফুসের রোগ (World Lung Day)। গোটা বিশ্বের মোট সিওপিডি রোগীর ৩৮ শতাংশ ভারতীয়। এর থেকেই স্পষ্ট, এ দেশে ফুসফুসের সমস্যা ক্রমশ উর্ধ্বগামী।

    কীভাবে ফুসফুস সুস্থ রাখা যাবে (World Lung Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। ভারতে ধূমপায়ীর সংখ্যা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কিশোর বয়স থেকেই ধূমপান করার প্রবণতা বাড়ছে। লাগাতার ধূমপানের জেরে যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি ফুসফুসের রোগের অন্যতম কারণ ধূমপান। হাঁপানি রোগীদের ধূমপানের অভ্যাস মৃত্যুর আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর কিশোরকাল থেকে লাগাতার ধূমপানের অভ্যাস সিওপিডি কিংবা লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 
    নিজে ধূমপান বন্ধ করার পাশপাশি পরিবারের কেউ যাতে ধূমপান না করে, সে দিকেও সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, ধূমপানের ধোঁয়া অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের জেরেও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অর্থাৎ, অন্য কেউ ধূমপান করছে, সেই ধোঁয়া লাগাতার নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলেও বিপজ্জনক। তাতেও হাঁপানি, সিওপিডি-র ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    নিয়মিত তুলসীপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে মধু আর তুলসরপাতা একসঙ্গে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে (World Lung Day)। এই অভ্যাস ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস ফুসফুসকে সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ফুসফুস ভালো থাকে। এছাড়াও বেরি, অ্যাপ্রিকটের মতো ফল ফুসফুস ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত সবজির তালিকায় টমেটো আর কুমড়ো রাখলে ফুসফুস ভালো থাকবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এই দুই সবজি ফুসফুসের সক্রিয়তা বাড়ায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Salt in Diet: অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস! কোন কোন  বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন কি?

    Salt in Diet: অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস! কোন কোন বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে রোগের ধরন বদলে যাচ্ছে। ভারতীয়দের অধিকাংশ শারীরিক সমস্যাই এখন জীবন যাপনের ধরন সম্পর্কিত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়দের অতিরিক্ত নুন খাওয়ার (Salt in Diet) অভ্যাস নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। ফলে, একাধিক নিঃশব্দ মহামারি হানা দিচ্ছে। জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, তার প্রভাবের ভয়াবহ রূপ নিয়ে মানুষ বুঝতে পারছেন। 

    কীভাবে নুন সমস্যা বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন এবং তেল সমস্যা বাড়াচ্ছে। দিনে যেমন চার চামচের বেশি তেল খাওয়া উচিত নয়, তেমনি নুন খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা দরকার। দিনে ২ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় দিনে ১০ গ্রামের বেশি নুন খান। এর ফলে দেহে নুন চাহিদার তুলনায় বেড়ে যায়। সবজি কিংবা মাছ-মাংস রান্না করার সময় নুন ব্যবহার ছাড়াও অনেকের আলাদা ভাবে নুন খাওয়ার (Salt in Diet) অভ্যাস রয়েছে। যা শরীরের জন্য আরও সমস্যা বাড়ায়। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নুন রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি করে। ফলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। 

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নুন (Salt in Diet)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন খেলে (Salt in Diet) সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বাড়ে হাইপারটেনশনের। রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। যার ফলে শরীর অস্থির হয়ে ওঠে। সর্বোপরি হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়দের মৃত্যুর কারণ হিসাবে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদরোগ। হার্ট অ্যাটাকের জেরে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আর হৃদরোগ বেড়ে চলার অন্যতম কারণ হাইপারটেনশন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশন একটা জীবন যাপনের ধরন সংক্রান্ত রোগ। তাই খাবারের ধরন বদল করলেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। 
    হাইপারটেনশনের পাশাপাশি অতিরিক্ত নুন খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পা ফুলে যাওয়া, কিডনিতে সমস্যার মতো একাধিক রোগের কারণ অতিরিক্ত নুন খাওয়া। এছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ নুন খাওয়া। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

    কোন পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, জীবন যাপনে বদল আনলেই বড় বিপদ এড়িয়ে চলা যাবে। তাই প্রথমেই তেল ও নুন খাওয়ায় (Salt in Diet) নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্যালাড বা ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় একেবারেই অতিরিক্ত নুন মেশানো চলবে না। অনেকেই শশা, পেঁপে, পেয়ারা জাতীয় খাবারে নুন মিশিয়ে খান। সেগুলো একেবারেই করা চলবে না। তাছাড়া, ফ্রোজেন খাবার, যেমন বার্গার, হটডগ, এই জাতীয় খাবারে যে ধরনের মাংস ব্যবহার করা হয়, তাতে অতিরিক্ত নুন থাকে। তাই এই খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    তবে, নুন খাওয়া কমানোর পাশপাশি তেলের দিকেও নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই তেলেভাজা, কিংবা অতিরিক্ত মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। পাশপাশি অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইপারটেনশনের মতো নিঃশব্দ মহামারি রুখতে খাবারের পাশপাশি নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম নেওয়া, মানসিক চাপ কমানোর জন্য দিনের নির্দিষ্ট সময় পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা, সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার মতো অভ্যাস রাখা জরুরি। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীর ও মন সুস্থ রাখা দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • World Alzheimer’s Day: নিজের লোককেও চিনতে পারছেন না? সব ভুলে যাচ্ছেন? সময় থাকতে সতর্ক হন

    World Alzheimer’s Day: নিজের লোককেও চিনতে পারছেন না? সব ভুলে যাচ্ছেন? সময় থাকতে সতর্ক হন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বদলে যাচ্ছে বয়স্কদের সমস্যা। শুধু শরীর নয়, একাধিক মানসিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আবার এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা শরীর আর মন দুটো দিকেরই ক্ষতি করছে। তেমনই এক স্বাস্থ্য সমস্যা হল অ্যালজাইমার্স। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব অ্যালজাইমার্স সচেতনা দিবস (World Alzheimer’s Day)। এই উপলক্ষ্যে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্কতা বড় বিপদ এড়াতে পারে। ভালো মানের জীবন যাপনের জন্য প্রথম উপসর্গ দেখা দিলেই সচেতন হওয়া জরুরি।

    অ্যালজাইমার্স কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালজাইমার্স এক ধরনের স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা। মানসিক, স্নায়বিক একাধিক সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষদের এই রোগ বেশি হয়। নিত্যদিনের ঘটনা এই রোগে আক্রান্তরা মনে রাখতে পারেন না। সাধারণ ঘটনা এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদের চিনতেও তাঁদের অসুবিধা হয়। আর এই সমস্যার জেরে তাঁদের শারীরিক ক্ষমতাও কমতে থাকে। ফলে, তাঁদের জীবন যাপনের মান কমে (World Alzheimer’s Day)।

    ভারতে অ্যালজাইমার্স আক্রান্ত কতজন? 

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে অ্যালজাইমার্স সমস্যা বাড়ছে (World Alzheimer’s Day)। প্রায় ৮০ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিক অ্যালজাইমার্সের সমস্যায় ভুগছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথম থেকে রোগ নির্ণয় করতে না পারার জেরে তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে।

    কোন ধরনের উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়? 

    স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হলেও একাধিক উপসর্গ রোগের ইঙ্গিত দেয়। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগে আক্রান্তদের ব্যবহারের পরিবর্তন দেখা যায়। অতিরিক্ত রাগ, কাছের মানুষদের অকারণে দুর্ব্যবহার করা, মানসিক অবসাদে ভোগার মতো উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী একাকিত্বে ভোগেন। ফলে, সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া অ্যালজাইমার্সের (World Alzheimer’s Day) মতো সমস্যা দেখা দিলে পেশির শক্তি কমতে থাকে। স্নায়ু ও পেশির একাধিক সমস্যা হতে থাকে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় লেখার ক্ষমতা থাকে না। এছাড়াও খুব অল্প দিন আগের ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা কিংবা খুব পরিচিত মানুষের নাম মনে রাখতে না পারার মতো সমস্যা প্রবীণ মানুষদের বারবার হলে সতর্ক থাকা জরুরি।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালজাইমার্সের (World Alzheimer’s Day) মতো সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি সম্ভব নয়। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা যেন বাড়াবাড়ি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে রোগী ও কেয়ার গিভার, দুজনের যত্ন প্রয়োজন। 
    অ্যালজাইমার্স আক্রান্তের সব সময় দেখভালের একজন মানুষ প্রয়োজন। আর তিনিই হলেন কেয়ার গিভার। তাঁর যত্ন সমানভাবে জরুরি। অ্যালজাইমার্স আক্রান্ত যাকে সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন, তিনিই হন কেয়ার গিভার। সাধারণত পরিবারের কোনও সদস্য কেয়ার গিভারের দায়িত্ব পালন করেন। তাই রোগী ও কেয়ার গিভারের সম্পর্ক যত গভীর হবে, সমস্যা তত কম হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে। অ্যালজাইমার্স আক্রান্তদের পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আক্রান্তের নিয়মিত বই এবং খবরের কাগজ পড়া দরকার। তাছাড়া, খুব সাধারণ হিসাব, যেমন সহজ যোগ, বিয়োগ নিয়মিত করা দরকার। এতে আক্রান্তের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে।
    নিয়মিত বাইরে যাওয়া, অন্তত এক ঘণ্টা খোলা মাঠ কিংবা পার্কে সময় কাটানো দরকার। তাতে আক্রান্তের একাকিত্ব বোধ কাটবে। কথা বলার ক্ষমতা বজায় থাকবে। 
    তবে, আক্রান্তের এই যত্ন ও থেরাপির পাশাপাশি কেয়ার গিভারের যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ, সব সময় আক্রান্তকে ছোট ছোট জিনিস মনে করিয়ে দিতে হয়। খাবার খাওয়া, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম ও পরিচয় বারবার দেওয়ার কাজও করতে হয়। অবিরত এই খেয়াল রাখার জন্য কেয়ার গিভারের মধ্যেও অবসাদ, ক্লান্তির মতো নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই তার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং বিনোদন জরুরি। যাতে একঘেয়েমি গ্রাস না করে। 
    আর এই সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের জন্য একাধিক কর্মশালার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share