Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে করোনার স্মৃতি! ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন। এবার অবশ্য নেপথ্যে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)! কিন্তু কেরলের পরে সংক্রমণের ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী এই নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, নিপা ভাইরাস এক ধরনের জুটোনিক ভাইরাস। প্রাণীর দেহ থেকেই মানুষের দেহে এই রোগ ছড়ায়। সাধারণত বাদুড় জাতীয় প্রাণীর থেকেই মানুষের দেহে এই ভাইরাস (Nipah Virus) হানা দেয়। তারপরে সংক্রমণ ছড়ায়।

    কেরলের কী পরিস্থিতি? 

    সম্প্রতি, কেরলে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus) দাপট বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কোঝিকোড় সহ একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় এড়ানো, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

    কেন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা থাকছে? 

    কেরলে নিপা ভাইরাসের দাপট বাড়তেই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেরলের পরে যে কয়েকটি রাজ্যের নিপা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও অসম, মেঘালয়, বিহার, তামিলনাড়ু নিয়েও বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ওই রিপোর্ট। 
    সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই সর্দি-কাশি আর জ্বরকে এই মরশুমে সাধারণ সমস্যা বলে আর অবহেলা করা চলবে না। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ হলেই নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। অর্থাৎ, আলাদা ঘরে আলাদা ভাবে থাকতে হবে। যাতে রোগ (Nipah Virus) সংক্রমণ না হয়। তাছাড়া, বাইরে গেলে মাস্ক পরা আবশ্যক বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাইরে থেকে ফিরে পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ঠিক মতো হাত পরিষ্কার করতে হবে। সাবান দিয়ে ঠিকমতো হাত ধোয়া দরকার। তাহলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, অধিকাংশ শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। তাই এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারত জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ! হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি একাধিক হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়দের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ (Heart Attack)। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ভারতীয়র ৫০ শতাংশ ৫৫ বছরের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উর্ধ্বে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত। মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

    তরুণ প্রজন্মের কেন বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের। বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপ এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাজের ডেড লাইনের চাপ বড্ড বেশি থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আর অধিকাংশের এই নির্দিষ্ট সময় আসলে খুবই সীমিত হয়। এছাড়াও আধুনিক কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা আর প্রতিযোগিতা বেশি। ফলে, অধিকাংশই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। যা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন এই চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। 
    মানসিক চাপের পাশপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ বিরিয়ানি, পিৎজার মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে অভ্যস্থ। অতিরিক্ত প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় মশলাদার খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। আর এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কীভাবে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমানো যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে নয়। হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমাতে কুড়ির শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘরে ঘরে হৃদরোগ আক্রান্তদের দেখা যাবে। ফলে, হৃদরোগ কমবেশি সকলের পারিবারিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে, কম বয়স থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না হয়। খাওয়ার দিকে তাই বিশেষ নজর দিতে হবে। খাবারে নুন, মশলা ও তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। তেলে ভাজা একেবারেই বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষত প্রিজারভেটিভ খাবার যেমন বার্গার, হটডগ, পিৎজা যেগুলোতে অতিরিক্ত নুন ও মশলা দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের স্বাদ ধরে রাখা হয়, সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। 
    পাশপাশি ভারতীয়দের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়মিত যোগভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে। এতে শরীর ও মন, দুই ভালো থাকবে। নিয়মিত হাঁটা, যোগাসন করার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার মতো মহামারি হোক, বা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত সংক্রামক রোগ, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যবাসী। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগ (Chickenpox) হাজির! বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, বছরের শেষে নতুন উদ্বেগ বিপদ বাড়াতে পারে! তাই আগাম সতর্কতা জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, বছরের শেষে হানা দিতে পারে চিকেন পক্স (Chickenpox)। শীতের শুরুতে প্রত্যেক বছরেই চিকেন পক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর উদ্বেগ বেশি। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি বছরে চিকেন পক্সের প্রকোপ বেশি। বিশেষত শিশুদের চিকেন পক্স বেশি হচ্ছে। তবে, বাড়তি উদ্বেগের কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের দেহে নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত ভারতে যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, তার থেকে ভিন্ন। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, ভারতীয় শিশুদের অধিকাংশের চলতি বছরে সেই প্রজাতির চিকেন পক্স হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয়, নতুন প্রজাতি নয়া রূপে হাজির হলে চিকিৎসায় সমস্যা হবে না তো!

    নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ কেন? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, একই রোগ (Chickenpox) নতুন প্রজাতি নিয়ে হাজির হলে অনেক সময়েই প্রচলিত চিকিৎসা কাজ করে না। তাই বিপদ বাড়ে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। যে ওষুধ ও টিকা চিকেন পক্স রুখতে ব্যবহার করা হয়, তারা নতুন প্রজাতির দাপট কমাতে কতখানি কার্যকর হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। চিকেন পক্সের সংক্রমণ শক্তি প্রবল। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, চিকেন পক্সের (Chickenpox) টিকা নেওয়া আবশ্যক। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের এই টিকা অবশ্যই দেওয়া দরকার। এতে বড় বিপদ এড়ানো যায়। নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স রুখতে প্রচলিত টিকা সক্ষম নয়, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই টিকা অবশ্যই নিতে হবে। এতে পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ না হলেও বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকেন পক্স হলে অনেক ক্ষেত্রে লিভার, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের বড় বিপদের ঝুঁকি কমে। তাই শিশুদের শীতের আগেই এই টিকা নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তার পাশপাশি, বড়দের জন্যও টিকাকরণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের হার খুব কম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড়দের থেকেই সংক্রামক রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই বড়দের সুস্থ থাকার দিকে বেশি নজরদারি জরুরি। টিকাকরণ হলে তবেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাই চিকেন পক্সের দাপট রুখতে জরুরি টিকাকরণ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ উর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডেঙ্গি আরও দাপট বাড়িয়েছে। আর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এ বছরে ডেঙ্গি আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই বাড়ছে প্রাণ সংশয়।

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য কী বলছে? 

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ বাড়ছে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রথম দশদিন পরে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার। অর্থাৎ, দশ দিনের মধ্যে রাজ্যে ছ’হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক।

    কোন জটিলতা তৈরি করছে ডেঙ্গি (Dengue)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) এবার শুধু জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, বমি কিংবা হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা আর ক্লান্তিভাবের মতো উপসর্গতেই আটকে থাকছে না। প্লেটলেট কমলেই একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যা আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অধিকাংশের প্লেটলেট কমলেই অন্তঃক্ষরণ শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ শরীরের ভিতরে রক্তপাত শুরু হচ্ছে। ফলে, বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে। যা প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি করে। 
    এছাড়াও, ডেঙ্গি আক্রান্তের হৃদস্পন্দনের গতি অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় এ বছরে অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্ত ভুগছে। কখনও হৃদস্পন্দন বেশি আবার কখনও কম হচ্ছে। ফলে, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকি হৃদপিণ্ডের জটিল সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। 
    প্লেটলেট কমার জেরে লিভার ও ফুসফুসে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের একটি বড় অংশের ফুসফুসে জল জমছে। ফলে, তাঁরা নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্ত্র ও লিভারের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের কিডনির কার্যকারিতা কমছে। ফলে, শারীরিক জটিলতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ থাকতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, সামান্য জ্বর কিংবা সর্দিকেও অবহেলা করা চলবে না। বমি, জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়া আটকানো কিছুটা সহজ হয়। পাশপাশি প্লেটলেট কাউন্ট অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেগুলো করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। 
    তবে, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির জেরে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যের মানুষ। তার পরেও কেন প্রশাসনিক সক্রিয়তা বাড়েনি? কবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? কারণ, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি রুখতে পারবে না। প্রশাসনিক সক্রিয়তা ছাড়া ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ আটকানো কঠিন বলেও মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার দাপটে শক্তি বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। মশাবাহিত এই রোগের দাপট কলকাতার পাশপাশি হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি জেলাতেও অব্যাহত। ম্যালেরিয়ার ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা বাড়ছে। ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু ঘটছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কোন ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে? 

    সম্প্রতি লেকটাউনের বছর ৭০-এর বাসিন্দা ম্যালেরিয়ায় (Malaria) আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ওই প্রৌঢ় প্রায় আট দিন ম্যালেরিয়ায় ভুগেছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। তিনি মারা যান। আর এই ঘটনায় স্পষ্ট হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও ম্যালেরিয়ায় প্রাণনাশের ঘটনা ঘটতেই পারে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি (Malaria)? 

    ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে, সাবধানতা অবশ্যই সকলের সমান নেওয়া দরকার। কিন্তু শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি বাড়তি চিন্তার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ায় (Malaria) জ্বরের পাশপাশি সর্দি, মাথাব্যথা হয়। তবে, জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে ডায়ারিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। অনেক সময়েই ম্যালেরিয়া হলে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ দেশে বয়স্ক ও শিশুরা নানান ফুসফুস ঘটিত রোগে ভোগেন। ফলে, তাঁদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফুসফুস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই পরিস্থিতি যে শ্বাসকষ্ট তৈরি করে, তা অত্যন্ত জটিল। তাই ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ। 
    এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া হলে ডায়ারিয়া হয়। ফলে, শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি বিপদ। ডিহাইড্রেশন শিশু ও বয়স্কদের প্রাণনাশের কারণ হতে পারে।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (Malaria)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বাড়ির আশপাশে জল জমতে দেওয়া চলবে না। আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। বাগান থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। টব বা অন্য কোনও জায়গায় যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই, মশাবাহিত রোগের দাপট কমানো সম্ভব। নিয়মিত নর্দমা ও আশপাশে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো জরুরি। 
    তবে, এরপরেও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয় না। তাই ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জ্বর তিনদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথাব্যথা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। তাই এই লক্ষণ স্পষ্ট হলে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করা উচিত নয়। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সব সময় আলাদা ঘরে মশারির ভিতরে থাকা উচিত বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। যাতে রোগ সংক্রমণ না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের জল খাওয়া দরকার। শরীরে যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ, ডিহাইড্রেশন রুখতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 
    পাশপাশি, ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের শৌচালয় ব্যবহারের আগে ও পরে ভালোভাবে শৌচালয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তাতে আক্রান্তের ডায়ারিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার অন্যদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই এদিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিক্ষকদের শাসন কিংবা বাবা-মায়ের কড়া কথা, নিত্যদিনের বিভিন্ন ঘটনায় হচ্ছে মন খারাপ। গ্রাস করছে অবসাদ (Mental Stress)। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক সমস্যা। আর তার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, শিক্ষক মহল থেকে মনোরোগ চিকিৎসকরাও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একাধিক কারণে বাড়ছে এই সমস্যা। তবে, সচেতনতা, যত্ন ও নজরদারি রুখতে পারে বড় কোনও বিপদ!

    কেন বাড়ছে মানসিক চাপ (Mental Stress)? 

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের সবচেয়ে জটিল সময়। এই পর্বে শিশুমন থেকে পরিণত মনে উত্তরণ হয়। তাই চিরকাল এই সময়ে সন্তানকে দেখভালের জন্য বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ এই বয়সে শরীরে একাধিক নতুন হরমোন কাজ করা শুরু করে। ফলে, মস্তিষ্কে নানান রাসায়নিক কাজ হয়। আর তার জেরেই মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হয়। আধুনিক সময়ের হাত ধরে এসেছে মোবাইল আর ইন্টারনেট। আর এর জেরেই স্কুল পড়ুয়াদের মুঠোতেও সমস্ত রকমের তথ্য। অনেক ক্ষেত্রে সেই তথ্যের অপব্যবহার তাদের বিপদ বাড়াচ্ছে। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখন ভার্চুয়াল জগতে অভ্যস্ত। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে। সরাসরি বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমছে। পাশপাশি বসে কথা বলার পরিবর্তে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেই বন্ধু হোক বা শিক্ষক, তাদের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা সবটাই হচ্ছে। আর দিনের পর দিন ভার্চুয়াল জগতে অধিকাংশ সময় কাটানোর জেরে অনেকেই বাস্তব বিমুখ হয়ে পড়ছে। ফলে, সামান্য রকম সমস্যা তাদের আরও বেশি অস্থির (Mental Stress) করে তুলছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরেই বাড়ছে সিদ্ধান্তহীনতা। স্কুলের প্রজেক্ট সময়ে জমা দিতে না পারার মতো সমস্যা হোক কিংবা বাড়িতে দেরিতে ফেরার জন্য অভিভাবকের শাসন, সবেতেই আশাহত হয়ে পড়ছে। মনে এক ধরনের নিরাশা তৈরি হচ্ছে। আর তখনই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক (Mental Stress) হবেন অভিভাবক? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক থাকলে বড় বিপদ (Mental Stress) এড়ানো সম্ভব। তাদের পরামর্শ, শিশুকে প্রথম থেকেই অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতার পাঠ পড়ানো দরকার। অনেক ক্ষেত্রে ছোটরা সময় মতো খাবার না খেলে কিংবা নিয়মিত পড়তে না বসলে, বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু দিনের পর দিন সময় মতো কাজ না করার অভ্যাস, তাদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার ঘাটতি তৈরি করে। যার জেরে, পরবর্তী কালে দায়িত্ব বাড়লেই চাপ তৈরি হয়। 
    নিয়মিত খেলাধূলার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালটেন্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, হকির মতো দলবদ্ধ খেলার অভ্যাস থাকলে হারা এবং জেতার অভ্যাসও থাকবে। পাশপাশি যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কাজ শিখতে পারবে। এর ফলে যেমন কোনও বিষয়ে ব্যর্থ হলেও আবার লড়াই করার মতো মানসিক জোর থাকবে, তেমনি শিখবে কীভাবে কোনও সমস্যায় পড়লে কাছের মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। 
    পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কোনও কাজ যেমন ছবি আঁকা, গান কিংবা নাচ শেখা দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিল্পী মনের বিকাশ ঘটায়। এতে মানসিক অস্থিরতা কমে।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সন্তান বড় হলে, তার সঙ্গে পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। তার ফলে সন্তানের বাস্তব বোধ বাড়ে। মন পরিণত হয়। তাঁদের পরামর্শ, বাজার করা, রান্না করার মতো নিত্যদিনের ঘরের কাজ হোক কিংবা অফিসে সময় মতো পৌছতে যানজটের সমস্যা, জীবনের ছোট-বড় বাধার গল্প সন্তানের সঙ্গে ভাগ করলে, তারা বাস্তব জীবন বুঝতে শিখবে। নানান সমস্যা পেরিয়ে বেঁচে থাকা যায়, সেই বোধ, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে পরিণত করবে। 
    তবে, সন্তান অতিরিক্ত চুপচাপ থাকলে, দিনের অধিকাংশ সময় একা ঘরবন্দি থাকলে, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। কারণ, সময় মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও চিকিৎসা বড় বিপদ আটকাতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Food And Nutrition: দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়া, বাদ পড়ছে জলখাবার! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Food And Nutrition: দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়া, বাদ পড়ছে জলখাবার! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন বাড়লেই কোপ পড়ে খাবারে! তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিয়মিত ওজন মাপেন। জিম করেন। আর নিজেই ঠিক করে ফেলছেন, কতখানি ওজন কমানো জরুরি। তাই নিজেরাই তৈরি করছেন খাদ্যতালিকা! কম বয়সী অনেকেই কাজের চাপে খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। রাত জেগে কাজ করে সকালে ওঠার পাট নেই। জলখাবার কী, সে তো ভুলতে বসেছেন অনেকেই! আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! নিউট্রিশন অ্যাওয়ারনেশ উইকে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অসময়ের খাবার (Food And Nutrition) শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

    কীভাবে সমস্যা বাড়ছে (Food And Nutrition)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কত পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে, কী খাওয়া হবে, এই প্রশ্নের মতোই জরুরি আরেকটি প্রশ্ন। তা হল, কখন খাওয়া দরকার! শরীর সুস্থ রাখার প্রাথমিক শর্ত সঠিক পুষ্টি। আর পুষ্টিকর খাবার সময় মতো খাওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের খাবারের সময় ঠিক থাকে না। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাওয়া জরুরি। অর্থাৎ, সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যে সর্বাধিক তিন ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে পারে। তেমনি রাতের খাবার ন’টার পরে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাওয়া (Food And Nutrition) একেবারেই উচিত নয়। পাশপাশি দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কোনও একটা বেলা একেবারেই খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। এমন ডায়েট অস্বাস্থ্যকর। বিশেষত সকালের জলখাবার খাওয়া কখনোই বন্ধ করা যাবে না। এতে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়।

    খাবারের সময়ে অতিরিক্ত ব্যবধান (Food And Nutrition) কোন বিপদ বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘক্ষণ খাবারের সময়ের ব্যবধানে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে বেশি হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত সময় খিদে সহ্য করে থাকলে গ্যাস, অম্বল হয়। হজমের সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময়ের পরে ভারী খাবার খেলে হজম হতে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যা হতে থাকলে পেটের একাধিক সমস্যা, বমি হতে থাকে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। 
    এছাড়াও জলখাবার না খেলে পেটে আলসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতের খাবার এবং সকালের প্রথম খাবারের মধ্যে যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান থাকে। কিন্তু জলখাবার না খেয়ে, যদি সরাসরি দুপুরের খাবার খাওয়া হয়, তাহলে কিন্তু সেই ব্যবধান আরও বেড়ে যায়। যার ফলে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে। যার ফলে, আলসারের মতো রোগ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর জলখাবার নিয়মিত খাওয়া (Food And Nutrition) জরুরি। যাতে সহজে হজম হয়, আবার পেট ভরা থাকে। 
    দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাওয়া লিভারের একাধিক রোগের কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, স্থূলতার সমস্যা এড়াতে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বিপদ আরও বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস দেহের ওজন কমাবে না। বরং শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ হয়ে উঠবে।

    কীভাবে কমানো যাবে খাবারের সময়ের ব্যবধান (Food And Nutrition)? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, জলখাবার সবসময় ভারী হওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দুধ কনফ্লেক্স, রুটি-সব্জি, স্যান্ডউইচ, ডিমের মতো খাবার জলখাবারে থাকা উচিত। এগুলো সহজপাচ্য, আবার পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার সঙ্গে আপেল, কলা, নাসপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। দুপুরের খাবার হালকা থাকা জরুরি। স্থূলতা এড়াতে কম পরিমাণে ভাত বা রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তবে, দেহে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে পরিমাণ মতো সব্জি, পনির, মাছ, মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। রাতের খাবার আটটা থেকে ন’টার মধ্যে খাওয়া জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। তাই বিকেল পাঁচটার মধ্যে হালকা খাবার (Food And Nutrition) খেতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, পেস্তা, কাজু, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস, রুটি কিংবা সব্জি দিয়ে বানানো উপমার মতো খাবার বিকেলে খাওয়া যেতে পারে। রাতে হাল্কা সহজপাচ্য খাবার মেনুতে রাখা জরুরি। বিশেষত, রাত জেগে কাজ করতে হলে অবশ্যই কোনও রকম ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া চলবে না। তবে, চিকেন স্ট্রু কিংবা হালকা মাছের ঝোল খাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা এড়িয়ে সুস্থ থাকতে চটজলদি, অতিরিক্ত তেল-মশলার চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কসরত অভ্যাস করতে হবে। কিন্তু অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস থাকলে দেহে একাধিক রোগ বাসা বাঁধবে। যা সুস্থ জীবনযাপনের পরিপন্থী!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Food And Nutrition: চুল পড়া থেকে জরায়ুর ক্যান্সার, পুষ্টিতেই লুকিয়ে আছে সমাধান?

    Food And Nutrition: চুল পড়া থেকে জরায়ুর ক্যান্সার, পুষ্টিতেই লুকিয়ে আছে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বিশ্রামের জায়গা। আর তার জেরেই হচ্ছে নানা সমস্যা। কেউ ত্বকের শুষ্কতায় ভুগছেন, আবার কেউ চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। আবার কোনও শরীরে বাসা বাঁধে ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন, স্থূলতার মতো সমস্যা। আবার কেউ জরায়ু কিংবা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পুষ্টি (Food And Nutrition) বদলে দিতে পারে শারীরিক পরিস্থিতি। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের মূল মন্ত্র ঠিকমতো পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নিউট্রিশন উইক। অর্থাৎ, পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা গড়ার বিশেষ সপ্তাহ। তাই সপ্তাহ জুড়ে পালন হচ্ছে নানা কর্মশালা। সেখানেই উঠে আসছে মহিলাদের পুষ্টি সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    কেন মহিলাদের পুষ্টিতে (Food And Nutrition) বাড়তি গুরুত্ব? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়ছে। অর্থাৎ, কম বয়স থেকেই মহিলাদের একটা বড় অংশ ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ৩০ বছরের পর অধিকাংশ মহিলা স্লূতার সমস্যায় ভুগছেন। আর এই সমস্যা ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগকে আরও জটিল করে তুলছে। তাছাড়া, এর জেরে জরায়ু ও ওভারির একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। পাশপাশি, মহিলাদের মধ্যে নানা ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জেরে একদিকে অবসাদ বাড়ছে, আরেকদিকে চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হাড়ের। অধিকাংশ মহিলা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। ফলে, হাড়ের একধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এসবের জেরে মহিলাদের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তাই মহিলাদের পুষ্টির (Food And Nutrition) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল।

    কোন ধরনের খাবার (Food And Nutrition) বিপদ কমাবে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েদের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাদের পরামর্শ, আয়রন জাতীয় খাবার মহিলাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া জরুরি। যাতে পরবর্তীতে মা হওয়ার সময় শরীর সুস্থ থাকে। তাছাড়া, এদেশে মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই নিয়মিত কলা, বেদানা, আপেল, মাছ, মাংস খাওয়া দরকার। তাতে আয়রনের ঘাটতি কমবে। 
    এছাড়া, নিয়মিত লেবু খাওয়া দরকার। কারণ, মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই ক্যালসিয়ামের জোগান থাকা দরকার। নিয়মিত লেবু খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। তার ফলে, হাড়ের সমস্যা কমবে। নিয়মিত দুধ কিংবা দুধ জাতীয় খাবার যেমন পনির কিংবা ছানা খাওয়াও জরুরি। এগুলো যেমন প্রোটিনের জোগান দেয়, তেমনি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রত্যেক দিন অন্তত একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে একাধিক ভিটামিন থাকে, ক্যালসিয়াম থাকে। প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটায় ডিম। তাই ডিম খেলে একদিকে চুল পড়ার মতো সমস্যা কমবে, তেমনি ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হবে (Food And Nutrition)।

    কোন খাবার (Food And Nutrition) রোগের বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চটজলদি খাবার বিপদ বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্থূলতার সমস্যা তৈরি করছে। আর স্থূলতা এড়াতে পারলে ক্যান্সার থেকে পিসিওডি-র মতো একাধিক রোগ আটকানো সহজ হবে। তাই বিরিয়ানি, রোল, পিৎজা, বার্গারের মতো ফাস্ট ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পাশপাশি, ফ্রোজেন খাবার, অর্থাৎ, নাগেট কিংবা হটডগের মতো খাবার একদম খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এই ধরনের খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ নুন ও নানা রাসায়নিক দেওয়া হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে যেমন স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি জরায়ু, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। 
    পাশপাশি তেলের পরিমাণেও নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ, অনেকেই বাড়ির খাবার খেলেও হজম কিংবা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে মোট চার চামচের বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ, তেল হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, পাকস্থলী, লিভারের জন্য নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই ভাজা খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত ভাজা খাবার (Food And Nutrition) ত্বকের জন্য ক্ষতিকর বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপট রয়েছে। তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাতেই শেষ নয়। এই বর্ষায় ঝড়ো ব্যাটিং করছে টাইফয়েড! তাই বাড়ছে উদ্বেগ!

    টাইফয়েড কেন বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড। বর্ষায় জলবাহিত নানা সমস্যার মধ্যে একটা বড় বিপদ এই টাইফয়েড। অপরিশ্রুত জল থেকেই টাইফয়েডের জীবাণু রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে। বর্ষায় একাধিক জায়গায় জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জেরেই জলবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে। তাই এই বর্ষায় টাইফয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড হলে দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হয়ে যায়। লাগাতার জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি ভয়ানক পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগে অসুবিধা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমনকী মলত্যাগের সময় রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পেটে যন্ত্রণা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পাশপাশি, হাত-পায়ের জোর কমে। ভীষণ ক্লান্ত বোধ হয়। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বর সাত দিনেও না কমলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে টাইফয়েড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। কারণ, প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে টাইফয়েড মারাত্মক বিপদ তৈরি করে। সাধারণ, সময় মতো টাইফয়েডের চিকিৎসা শুরু না হলে ৭০ শতাংশ রোগী মারা যান। কারণ, এই রোগ মানুষের অন্ত্রের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে, একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে থাকে। লিভার, পাকস্থলী কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাই দ্রুত চিকিৎসা শুরু জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী করবেন? 

    টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণেই একমাত্র রোগ মুক্তি সম্ভব। কিন্তু টাইফয়েড এড়াতে একাধিক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় কয়েকটি ঘরোয়া বিষয় নজরে রাখলেই টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগের আক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রসুন খুব উপকারী। রসুনে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের দাপট বাড়াতে দেয় না। তাই বর্ষায় নিয়মিত রসুন ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হবে। 
    তাছাড়া, প্রত্যেক দিন গোলমরিচ এবং তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে তুলসি পাতা এবং গোলমরিচ একসঙ্গে ফুটিয়ে রাখতে হবে। সেই জল প্রত্যেক দিন সকালে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের দাপট এড়ানো সহজ হবে। কারণ, এই দুই ঘরোয়া উপাদান যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি জোগায়। 
    এছাড়া, ভিনিগারে ভেজানো আপেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিনিগারে ভেজানো আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে জলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পানীয় জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি সবচেয়ে জরুরি। তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে সর্দি-কাশির ভোগান্তি (Monsoon Diseases) লেগেই থাকে। কিন্তু হঠাৎ জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে ভোগান্তি বাড়ছে। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর নাকি অ্যাডিনো কিংবা করোনার কোনও নতুন প্রজাতি, সে নিয়েই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কী ধরনের সমস্যা (Monsoon Diseases) দেখা দিচ্ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যাচ্ছে। পাশপাশি গলা ব্যথা, সর্দি, কাশির মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে (Monsoon Diseases)। অনেকের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। খাওয়ার ইচ্ছে থাকছে না। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। জ্বর কমলেও কাশির ভোগান্তি লেগেই থাকছে।

    কাদের ভোগান্তি (Monsoon Diseases) বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মূলত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেই ভোগান্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। বিগত দু’সপ্তাহে সাত থেকে বারো বছর বয়সিদের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরেই স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ (Monsoon Diseases) বাড়ছে।

    আশঙ্কার কারণ কী? 

    গত দু’সপ্তাহে শিশুদের মধ্যে জ্বর আর সর্দি-কাশিতে (Monsoon Diseases) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। চলতি বছরের প্রথমেই অসংখ্য শিশু অ্যাডিনোর দাপটে কাবু হয়েছিল। নবজাতক থেকে স্কুলপড়ুয়া, অনেকেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সাধারণ জ্বর কিংবা সর্দি মনে হলেও পরবর্তীকালে নানান জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এখন ফের জ্বর এবং কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ার জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি, করোনার নতুন প্রজাতি পিরোলা এবং এরিস সক্রিয় হচ্ছে। এই দুই প্রজাতি শুধু ভারতে নয়, পৃথিবী জুড়ে দাপট বাড়াচ্ছে। করোনা ও প্রথম পর্বে সাধারণ সর্দি-কাশি আর জ্বরের উপসর্গ নিয়েই হাজির হয়। তাই সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে এই সময়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাই জ্বর একেবারেই অবহেলা করা যাবে না।

    চিকিৎসকরা কী পরামর্শ (Monsoon Diseases) দিচ্ছেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই স্কুলে যাওয়া চলবে না। বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে হবে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ (Monsoon Diseases) দেখা দিলে শিশুকে ভিড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি হলে শরীর দুর্বল থাকে, যে কোনও ভাইরাস আরও দ্রুত দেহে প্রবেশ করতে পারে। তাই সর্দি-কাশি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও চিকিৎসকদের অনুরোধ, কোনও পড়ুয়া যাতে জ্বর হলে স্কুলে না আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে। কারণ, জ্বর হলেই সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা অ্যাডিনো, করোনার মতো মারাত্মক ভাইরাস, সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। পাশপাশি আক্রান্তেরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পাশপাশি, সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে গরম জলে স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এসি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওষুধ খেয়ে দেহের তাপমাত্রা কমার সময়ে খুব ঘাম হয়। শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন এসি ঘরে বাচ্চাদের রাখা হয়। তার জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে বারবার তাপমাত্রা মাপতে হবে। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই কারণ জানা যাবে। তাই জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share