Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু! আর সবচেয়ে বড় বদল হয়েছে দিন-রাতের হিসাবে! দিনভর খাটুনি শেষে রাতে শান্তির বিশ্রাম! এ হিসাব এখন আর মেলে না! তাই বদলে যাচ্ছে শরীর! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে (Lifestyle Diseases)!

    সমস্যা কোথায় (Lifestyle Diseases)? 

    ইনফরমেশন টেকনোলজির জগত হোক কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, যে কোনও ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ এখন স্বাভাবিক! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট আমেরিকার শিকাগো কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। আর কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের দিন-রাতের সময়ের বিস্তর ফারাক। কিন্তু ক্লায়েন্টের চাহিদা মেনেই রাত বারোটার পরে ল্যাপটপ খোলে। অধিকাংশের কাজ যখন শেষ হয়, তখন সূর্যের আলো আকাশ ছুঁয়ে ফেলে! একদিন বা দু’দিন নয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের বছরের পর বছর এভাবেই অফিস চলছে। রাতভর চলে অফিস আর দিনে ঘুম! ফলে, একদিকে রাত আর দিনের কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে। খাওয়ার সময়ও বদলে যাচ্ছে। তাই একাধিক সমস্যা (Lifestyle Diseases) দেখা দিচ্ছে।

    কোন কোন রোগের (Lifestyle Diseases) ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে মাসের পর মাস কাজ করা এবং দিনের বেলা ঘুমানো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর শরীরের একাধিক অঙ্গ তার জানান দিচ্ছে। লাগাতার রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা হয়। অধিকাংশের বমি, বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যার জেরে লিভার এবং অন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়ে। 
    হজমের সমস্যার পাশপাশি দীর্ঘ সময় রাত জাগার ফলে কিডনির উপরও চাপ পড়ে। সমস্যা হয় রক্তচাপের এবং হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রাতের পর রাত জেগে থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যার জেরে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। দিনের বেলা যতই গভীর ঘুম হোক, পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ওই হরমোন নিঃসরণ হয় না। ফলে, দীর্ঘ সময় রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে (Lifestyle Diseases)। পাশপাশি হয় অনীদ্রার সমস্যা।

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগা এবং দিনে ঘুম, অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। কাজ না থাকলেও রাতে ঘুমানোর ইচ্ছে চলে যায়। দেখা দেয় অনীদ্রা রোগ। আর এই রোগ একাধিক মানসিক সমস্যা তৈরি করে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    বিপদ (Lifestyle Diseases) এড়াতে কী করতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অফিসের জন্য জেগে থাকতে হলে, কিছু বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে। তা না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাত জাগতে হলে রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ভারী, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না। বিরিয়ানি, পিৎজার মতো খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাবার সন্ধ্যার মধ্যে খেতে হবে। যাতে রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা না হয়। রাত দশটার পরে খুব হালকা খাবার যেমন দুধ, কুকিজ, ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হালকা খাবার খেলে এবং হজমের সমস্যা কমানো গেলে হার্ট, লিভার, অন্ত্রের মতো একাধিক অঙ্গের বিপদ (Lifestyle Diseases) কমানো যাবে। 
    যাদের নিয়মিত রাত জাগতে হচ্ছে, তাদের জল পানের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। লাগাতার রাত জেগে থাকলে কিডনি থেকে ত্বক, সব কিছুর উপরেই কুপ্রভাব পড়ে। তাই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে কিডনিতে পাথর থেকে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সহ একাধিক সমস্যার মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি নিয়মিত যোগাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনীদ্রার মতো সমস্যা এড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে যোগাসন সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাসন জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Pregnancy: গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড বেশি! শিশু ও মাকে সুস্থ রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? 

    Pregnancy: গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড বেশি! শিশু ও মাকে সুস্থ রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গলার মাঝেই থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। সেই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। কিন্তু এই হরমোন প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হলেই ঘটে বিপদ! গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ বাড়লে হতে পারে নানান জটিলতা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বিপদের জানান দেয়। নজরদারির অবহেলা মা ও শিশুর বিপদ বাড়ায়।

    গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) কি থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা বাড়তে পারে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই গর্ভস্থ শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরি হয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুর দেহে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হতে থাকে। মায়ের তাই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তার উপরে মায়ের যদি থাইরয়েডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মা ও শিশু দুজনের জন্য সমান বিপজ্জনক। মায়ের শরীর থেকে অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে না। এছাড়াও শারীরিক নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে। মায়ের শরীরেও অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ জটিলতা তৈরি করে। ক্লান্তি বাড়ায়, মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। যার ফলে, রক্তচাপে প্রভাব পড়ে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। যা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক।

    অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ কীভাবে বুঝবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মমাফিক গর্ভবতীর (Pregnancy) থাইরয়েড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে হয়। তবে, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যা সমস্যা স্পষ্ট করে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতীর অতিরিক্ত গরম লাগা, ঘাম হওয়া, ক্লান্তি বোধ, মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া এবং মনে রাখার শক্তি কমে যাওয়া জানান দেয় দেহে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই লক্ষণ অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানানো দরকার। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব। থাইরয়েড প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে, অ্যান্টি থাইরয়েড ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধ নিয়ম মাফিক খেলে দেহে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) প্রথম তিন মাসে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য থাকবে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাদের পরামর্শ, নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার। পাশপাশি, আপেল, নাসপাতির মতো ফল খাওয়া জরুরি। ভূট্টা, জবের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়া উপকারি। এছাড়াও ব্রোকোলি, অ্যাভোকাডোর মতো ফল দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই এগুলো খেলে গর্ভবতীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার এমনকি ত্বক প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরিকাঠামো রয়েছে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও গড়ে উঠেছে পরিকাঠামো। তার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য রোগীদের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে! তাই ভরসা হচ্ছে ভিন রাজ্য! আর স্বাস্থ্য ভবনের এই গড়িমসির জন্য এবার কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন!

    অভিযোগ কী (Organ Transplantation) 

    করোনা মহামারির শেষে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে সব কিছু। স্বাস্থ্য পরিষেবাও আবার আগের রূপে ফিরছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) কর্মসূচি যেন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। করোনা পরবর্তী কালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে দেখা দিচ্ছে ব্যাপক ঢিলেঢালা মনোভাব। 
    সূত্রের খবর, করোনা মহামারি পর্বে রোগীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার এড়িয়ে চলা হচ্ছিল। কারণ, এই ধরনের গুরুতর রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, করোনা পর্ব মিটলেও প্রশাসনিক জটিলতার জেরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদনকারীদের বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ফলে, ঠিকমতো গ্রহীতা না পাওয়ার জেরেই আবেদনকারীদের চিকিৎসা হচ্ছে না। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। 
    আর এই গড়িমসির জেরেই অধিকাংশ রোগীকে ভরসা করতে হচ্ছে ভিন রাজ্যের উপরে। কারণ, অতিরিক্ত দেরি হলে রোগীদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হবে। তাই অন্য রাজ্যে বিশেষত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোয় উন্নত পরিকাঠামো ও সরকারি তৎপরতা দ্রুত হওয়ার জেরে পরিষেবাও দ্রুত পাওয়া যায়। তাই রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

    রোটোর কড়া বার্তা কী (Organ Transplantation)? 

    সম্প্রতি রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের (রোটোর) তরফে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কর্তাদের জানানো হয়েছে, এ রাজ্যের বহু রোগী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটছে। ঠিকমতো সমন্বয় ও কাউন্সেলিংয়ের অভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে না। বহু রোগী অঙ্গ প্রতিস্থাপন সময় মতো না হওয়ার জেরে সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারছেন না। তাই করোনা পরবর্তী পর্বে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে আরও বেশি সক্রিয়তা জরুরি। রোটোর তরফে জানানো হয়েছে, সরকারির পাশপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়ানো দরকার। কোনও রোগীর মস্তিষ্কের মৃত্যু বা ব্রেন ডেথ হয়েছে কিনা, তা দ্রুত স্বাস্থ্য ভবনের জানা জরুরি। দরকার সেই রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করা এবং তাদের অঙ্গ দানে (Organ Transplantation) আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু এই কাজে যথেষ্ট সক্রিয়তার অভাব রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো নোটিশে এমনি জানিয়েছে রোটো।

    স্বাস্থ্য কর্তারা কী বলছেন (Organ Transplantation)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ অবশ্য মেনে নিচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি কিংবা লিভার, ত্বক প্রতিস্থাপনের যে গতি গত করোনার আগে ছিল, মহামারি পরবর্তী পর্বে সেই গতি কমেছে। সচেতনতার অভাব তার অন্যতম কারণ বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। তবে, সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতা কর্মশালা তৈরি হচ্ছে। যাতে তাঁরা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। পাশপাশি, হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত সমস্যা কমবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য রাজ্যবাসীকে ভিন রাজ্যের উপরে নির্ভর করতে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু কিংবা শেষে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ রোগে (Monsoon Diseases) ভোগে অসংখ্য শিশু। কিন্তু এ বছর বর্ষার মরশুমেও দেখা দিয়েছে এই ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। না হলে, এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকবে। বাড়বে ভোগান্তি।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) এক ধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। কক্সেকি ভাইরাসের জেরে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত শিশুদের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। দু-তিন বছর থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) রোগের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের (Monsoon Diseases) উপসর্গ স্পষ্ট। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে অধিকাংশ আক্রান্ত হয় শিশুরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে জ্বর হয়। তার সঙ্গে হয় সর্দি-কাশি। পাশপাশি, হাত, পা এবং মুখে লাল রঙের গুটি হয়। গুটিগুলোর ভিতরে এক ধরনের রস থাকে, যা রোগ সংক্রমণ বাড়ায়। তাছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মুখ থেকে লালা ফেলার মতো উপসর্গ হয়।

    কেন বর্ষায় এই রোগের (Monsoon Diseases) প্রকোপ বাড়ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতের সময়ই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু এ বছর বর্ষাতেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের হাঁচি-কাশি-সর্দি হয়। আর এর জেরেই সক্রিয় হচ্ছে কক্সেকি ভাইরাস। একজনের দেহ থেকে সহজেই আরেকজনের দেহে বাসা বাঁধছে। তাছাড়া পেটের সমস্যা হলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বর্ষায় পরিশ্রুত জলের অভাবে বাড়ছে পেটের সমস্যা। তাই শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যেহেতু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই এই রোগ (Monsoon Diseases) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

    কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে সবচেয়ে বেশি নজরদারি জরুরি। শিশুদের খেলনা অনেক সময়ই ঘরে পড়ে থাকে। তাই বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়খানা করার পরে ভালোভাবে শিশুকে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া, হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সংক্রমণের (Monsoon Diseases) আশঙ্কা কমবে।

    কোন দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ (Monsoon Diseases) থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। চিকিৎসা শুরুর দিন সাতেকের মধ্যে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে, চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্তের খাবারের উপর বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত হলে ভাইরাসের দাপটে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে, শিশুদের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, যাতে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয়। তবে, এই রোগে যেহেতু পেটের সমস্যা হয়, তাই যাতে সহজেই হজম হয়ে যায়, এমন খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের সমস্যা আর শুধু বয়সের সীমানায় আটকে থাকছে না। ভারতে অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক একাধিক হাড়ের রোগে ভোগেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। রিকেট রোগে (Rickets Disease) কাবু বহু শিশু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না হলে বহু শিশুর স্বাভাবিক জীবন যাপনে অন্তরায় তৈরি হবে।

    রিকেট রোগ (Rickets Disease) কী? 

    রিকেট এক ধরনের হাড়ের রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ (Rickets Disease) দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। হাত-পা বেঁকে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করার শক্তি চলে যায়। কার্যত পঙ্গু হয়ে যায় তারা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Rickets Disease)? 

    সম্প্রতি তেলঙ্গানার এক মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক-চিকিৎসক রিকেট নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রিকেট এক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হতে চলেছে। ৩০ শতাংশের বেশি ভারতীয় শিশু রিকেট রোগে ভুগছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছেলে। রিকেট রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছেলে। মূলত নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সিরাই এই রোগে (Rickets Disease) আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই সতর্ক না হলে মারাত্মক বিপদ হতে চলেছে।

    রিকেট রোগের (Rickets Disease) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু উপসর্গ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় রিকেট রোগের লক্ষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হাড়ের সমস্যায় ভুগলে, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত, মা ভিটামিন ডি কিংবা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে গর্ভাবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এই হাড়ের রোগ সংক্রমিত হয়। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর হাতের কবজি, পায়ের পাতার গঠন রিকেট রোগের (Rickets Disease) জানান দেয়। অস্বাভাবিক চওড়া কপাল, হাতের কবজি বেঁকে যাওয়া, পা সোজা না থাকা এবং মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার মতো লক্ষণ স্পষ্ট করে রিকেট রোগ। পাশপাশি, শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যায়।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে এই রোগ (Rickets Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি, সচেতনতা পারে এই রোগের মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, মা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে শিশুরোগ চিকিৎসককে জানানো উচিত। তাহলে শিশুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তাতে রিকেট রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তাছাড়া, এই রোগের ঝুঁকি কমাতে, খাবারের উপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, ডিমের কুসুম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, এগুলো দেহে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি, মাল্টা, কমলালেবু, মুসুম্বি লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এগুলো শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। তাছাড়া, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে। এগুলো রিকেট (Rickets Disease) রুখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে হানা দেয় পেটের অসুখ (Monsoon Stomach Problem)। এছাড়া জলবাহিত রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। এ সময় বৃষ্টির কারণে চারদিকেই জমতে থাকে জল। বর্ষাকালেই শরীরে সবথেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া (Monsoon Stomach Problem) বা ভাইরাস প্রবেশ করে, যা খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। পেটের অসুখ, লিভারে সংক্রমণ সব কিছুই হয় বর্ষাকালে। গ্রামাঞ্চলে ভোট যায় ভোট আসে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার সমাধান যেন কোনওভাবেই হয় না। এখনও পর্যন্ত পুকুর, নদীর দূষিত জল (Monsoon Stomach Problem) অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জনসাধারণের ব্যবহার করার জন্য যে টিউবয়েলগুলি বসানো হয় সেগুলি অন্তত ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বিধি মানা হয় না। যার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে বেশিরভাগ বাসিন্দা আজ অপরিশোধ পানীয় জল খাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস (Monsoon Stomach Problem)।

    পেটের রোগ (Monsoon Stomach Problem) হলে কী করবেন?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগ হলেই বাড়িতে বসে না থেকে একেবারে চিকিৎসকের কাছে চলে যান। বর্ষাকালে ইঁদুর, ছুঁচো বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকেও রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় প্রাণীগুলি মাটিতে থাকে এবং বর্ষাকালে এই প্রাণীগুলির ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থ জলে (Monsoon Stomach Problem) মিশে যায় এবং সেই জমা জল থেকেই ছড়ায় নানা রকমের রোগ। যদি জল জমে যায় রাস্তাঘাটে তাহলে খালি পায়ে যেন কখনও সেই জলের ছোঁয়া (Monsoon Stomach Problem) না লাগে। সর্বদাই বর্ষাকালে জুতো পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গ্রামাঞ্চলের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাসিন্দারা পুকুরের জল ব্যবহার করেন। বদ্ধ পুকুরের জল বর্ষাকালে আরও বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেসিলারি এবং অ্যামিবার্ড নামক জীবাণু থেকে আমাশয় হয়। অন্যদিকে সালমানেলা টাইফি নামে জীবাণু সংক্রমণে হয় টাইফয়েড।

    কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখবেন বর্ষাকালে (Monsoon Stomach Problem)?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময় খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডায়েটে (Monsoon Stomach Problem) রাখতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার বর্ষাকালে ঈষদুষ্ণ গরম জল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    ১) কাঁচা খাবারে সংক্রমণের (Monsoon Stomach Problem) ঝুঁকি বেশি থাকে। এজন্য খাবার রান্না করে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ২) রাস্তার ধারের খাবার (Monsoon Stomach Problem) বর্ষাকালে একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ খাবারের জীবাণু তথা ছত্রাকের সংক্রমণ খুব বেড়ে যায়।

    ৩) খাবার আগে যেমন হাত ভালো করে ধোয়া উচিত, ঠিক একইভাবে সবজি, মাছ, মাংস এগুলো ভাল করে ধুয়ে নেবেন (Monsoon Stomach Problem)।

    ৫) নিজের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। কারণ জমা জলে সব থেকে বেশি মশার বংশবৃদ্ধি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Influenza: ভ্যাকসিন কি শীত-বর্ষার ভোগান্তি কমাতে পারে? ইনফ্লুয়েঞ্জা কমাতে কারা নেবেন টিকা? 

    Influenza: ভ্যাকসিন কি শীত-বর্ষার ভোগান্তি কমাতে পারে? ইনফ্লুয়েঞ্জা কমাতে কারা নেবেন টিকা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু হোক কিংবা লাগাতার বৃষ্টি, সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হন সকলেই। শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হন। আর বড়দের এই ভোগান্তি কমাতে পারে ভ্যাকসিন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, টিকাকরণে কমবে ভাইরাসের (Influenza) দাপট। তাই প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত প্রবীণদের এই টিকা বিশেষ সাহায্য করবে।

    ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) টিকা কাদের নেওয়া জরুরি? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুরা অধিকাংশ সময়ই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সর্দি-কাশি আর জ্বরে ভোগান্তি বাড়ে। তাই শিশুদের এই টিকা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো এই টিকা শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। তবে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শিশুদের পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenza) প্রকোপ কমাতে প্রাপ্তবয়স্কদেরও এই টিকা নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই পরিবারের বড়রা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাদের থেকে ছোটদের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে, টিকা নেওয়া থাকলে শিশুদের বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত প্রবীণদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাকরণ জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    বারবার ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza) আক্রান্ত হলে কোন বিপদ হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বারবার সর্দি-কাশি কিংবা ভাইরাস ঘটিত জ্বর অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসঘটিত রোগে কাবু হলে অন্য বড় রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষত ফুসফুসের জটিল রোগ হতে পারে। এমনকি নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। কারণ, লাগাতার সর্দি-কাশি বিপদ বাড়ায়। প্রবীণদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) বাড়তি বিপদ তৈরি করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পৃথিবী জুড়ে নানা কারণে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। প্রবীণদের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি। গত কয়েক বছরে বয়স্কদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ, ফুসফুসের সমস্যা। বারবার সর্দি-কাশি ও ভাইরাসঘটিত জ্বর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে যেমন ঋতু পরিবর্তনের সময়ের ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি কমবে, তেমনি অন্য বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। 
    তাছাড়া, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসঘটিত জ্বরের জন্য দুর্বলতা দেখা দেয়। শারীরিক শক্তি কমে। বয়স্করা তাই আরও কাবু হয়ে যান। সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর কমলেও দুর্বলতা কাটাতে পেরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ। ফলে, তাঁদের শারীরিক সক্রিয়তা কমে। যা একেবারেই ঠিক নয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ষাট পেরলেই অধিকাংশ পেশাতে অবসর! বাড়িতেই থাকতে হয় দিনের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু সন্তান কিংবা নাতি-নাতনি, তারা তো ব্যস্ত! অধিকাংশ পরিবারেই তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন শহরে এমনকি বহু দূরের দেশে থাকছেন। বাড়িতে থাকেন শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। আর তার জেরেই বাড়ছে প্রবীণদের একাকিত্ব। যা তাদের একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি করছে। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ২১ অগাস্ট, রবিবার ছিল বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। এই দিনটিতে তাই বয়স্কদের যত্ন নিতে একাধিক পরামর্শ (World Senior Citizen Day 2023) দিলেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ।

    কী ধরনের সমস্যা বাড়ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা বাড়ছে। ফলে, তাঁদের জীবন শক্তিতে প্রভাব পড়ছে। তাঁদের নিয়মিত কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে, তাঁদের ফি-দিনের জীবন যাপনে অসুবিধা হচ্ছে। আর ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমারের মতো স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ একাকিত্ব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত রোগ হলেও এই রোগে আক্রান্তদের অবস্থার অবনতির কারণ হলো একাকিত্ব। জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, প্রবীণদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু মানুষ চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বয়স থেকেই স্মৃতি হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন (World Senior Citizen Day 2023)। কিন্তু দেখা যায় ৬০-৬৫ বছর বয়সে সেই সমস্যা মারাত্মক হয়ে যায়। নিজের নাম, ঠিকানাও অনেক সময় মনে রাখতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কর্মজীবন থেকে অবসর এবং তারপরেই একা থাকা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে, হঠাৎ কিছু করতে না পারা, মনের কথা বলতে না পারা, আনন্দের সময় কাটাতে না পারার জেরে বাড়তে থাকে একাধিক রোগ। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার নয়। ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল এমনকি হৃদরোগের কারণ হয়ে ওঠে এই একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদ। কারণ, দুশ্চিন্তা, মনের কথা প্রকাশ করতে না পারা উদ্বেগ তৈরি করে। যার ফলে, ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ হয়। যার জেরে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে বহু ভারতীয় প্রবীণের এই ধরনের শারীরিক সমস্যা বেড়েছে (World Senior Citizen Day 2023)। যা প্রমাণ করে, একাকিত্ব,মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছে। আগাম বার্ধক্য ডেকে আনছে। অনেকের ছেলেমেয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেনের মতো পশ্চিমের দেশগুলোতে থাকেন। মহামারির সময়ে তাঁরা দীর্ঘদিন বাড়িতে ফিরতে পারেননি। সে সব দেশে মহামারির প্রকোপ পড়েছিল মারাত্মক। ফলে, বাবা-মায়ের উদ্বেগ বেড়েছে। এই উদ্বেগের জেরেই তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও অবসাদ। যার ফলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (World Senior Citizen Day 2023)? 

    বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছরের প্রবীণ দিবসে তাই বয়স্কদের একাকিত্ব কাটাতে তাদের সময় দেওয়ার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক বাড়িতে থাকলে নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে কাটানো দরকার। নিজেদের কাজের কথাও কিছুটা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, তাদের কথা শোনা, এগুলো নিয়মিত করলে, তাদের একাকিত্ব (World Senior Citizen Day 2023) কমবে। নিজেদের অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। ফলে, তাদের অবসাদ আটকানো যাবে। যদি কাজের জন্য দূরে থাকতে হয়, তাহলেও নিয়মিত তাদের ভিডিও কল করা দরকার। তবে, সামনাসামনি কথা বলাতেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই তাদের পরামর্শ, যাদের দূরে থাকতে হয়, তাদের পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের জন্য এমন কিছু সংস্থার সাহায্য নিতে হবে, যেখানে নিয়মিত বয়স্করা নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারবেন। নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারবেন। আনন্দ করতে পারবেন। তাতে তাদের মানসিক চাপ কমবে। একাকিত্বও হ্রাস পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির সঙ্গে মোকাবিলা করলেও তারপরের ক্লান্তি আর দুর্বলতা ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গির পরের দুর্বলতার জেরে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরের কয়েক সপ্তাহ খুব জরুরি। দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে ডেঙ্গি কমার পরের কয়েক সপ্তাহ বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজরদারি দরকার।

    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে কী ধরনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী ক্লান্তি কমাতে কোনও ওষুধ বিশেষ সাহায্য করে না। খাদ্যাভ্যাস ক্লান্তি দূর করতে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন যাপনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই কয়েকটি বিষয়ে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন কে জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর ক্লান্তি থাকে মারাত্মক। হাত ও পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। তাই দরকার ভিটামিন কে জাতীয় খাবার। বাঁধাকপি, ব্রোকলির মতো খাবারে ভিটামিন কে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    ছোলা, মটরশুঁটি, মুসুর ডালের মতো দানাশস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, যে কোনও দানাশস্য খেলেই এনার্জি পাওয়া যায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণের জন্য দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। 
    এছাড়াও, আপেল, কলা, মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। ডেঙ্গির পরে শরীর দুর্বল থাকে। কাজের শক্তি পাওয়া যায় না। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলোতে প্রচুর আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। 
    চিকেন স্টু আর সোয়াবিন নিয়মিত খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরে প্রোটিনের জোগান দেবে। ডেঙ্গির পরে দ্রুত সুস্থ হতে প্রোটিন জরুরি। আর এই দুই খাবার সহজ পাচ্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    তবে, খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ডেঙ্গির সময় যেমন ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে, তেমনি ডেঙ্গির পরেও দুর্বলতা থাকার কারণে জলের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার।

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Dengue Fever)? 

    ডেঙ্গির পরে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা দরকার বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীর দুর্বল থাকে, তাই এই বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেগুলো না মেনে চললে লিভার, কিডনির নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে একেবারেই তেলে ভাজা খাওয়া চলবে না। চপ, কাটলেট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ডিপ অয়েল ফ্রাই খাবার এই সময়ে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড অর্থাৎ, বিরিয়ানি, ফুচকা হোক কিংবা পিৎজা বার্গার একেবারেই খাওয়া যাবে না। এগুলো সহজপাচ্য নয়। তাই এগুলো খেলে বিপদ বাড়বে। এর পাশপাশি প্যাকেট জাত নরম ঠান্ডা পানীয় ডেঙ্গির পরে খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরে দুর্বলতা আরও বাড়বে। তাছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে এগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শেষ হোক কিংবা বর্ষার শুরু, অল্প জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিতে (Cough and Disease) জেরবার হতেই হয়। আট থেকে আশি, কমবেশি সব বয়সীরাই কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রেই জ্বর কিংবা সর্দি কমে গেলেও ভোগান্তি বাড়ায় কাশি। কিন্তু কাশি কি কোনও রোগ নাকি কাশি জানান দেয়, শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি লাগাতার হলে সতর্ক হন। কারণ, বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে কাশি।

    কাশি (Cough and Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কোনও রোগ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, কাশি আসলে উপসর্গ। অন্য কোনও রোগের উপসর্গ হিসাবে কাশি হয়। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের (Cough and Disease) কারণ একাধিক হতে পারে।

    কোন কোন রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি (Cough and Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় শ্বাসনালির উপরের অংশে ভাইরাস সংক্রমণ হয়, আর তার জেরেই কাশি হয়। আর এই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সংক্রমণ কমতে সময় লাগে। দেহের তাপমাত্রা সহজে স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই সংক্রমণ ভোগান্তি বাড়ায়। সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রমণ কমে। তবে, লাগাতার কাশি হলে সব সময় সাধারণ ভাইরাসঘটিত সমস্যা নয়। তা একাধিক জটিল রোগের ইঙ্গিত হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ফুসফুস ও শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত হল কাশি (Cough and Disease)। হাঁপানি কিংবা শরীরে কোনও ধরনের অ্যালার্জি হলেও কাশি হয়। তাছাড়া, ব্রংকাইটিস কিংবা ফুসফুস, গলার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত রোগ ছাড়া অন্য যে কোনও সমস্যায় কাশি হলে তা তিন সপ্তাহের বেশি থাকে। এছাড়াও যক্ষ্মার মতো রোগের জানান দেয় কাশি। তাই লাগাতার কাশি কিংবা কাশি থেকে রক্তপাত হলে তার জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেই কাশি কমাতে সিরাপ খান। কিন্তু সিরাপ আদৌ প্রয়োজন কিনা, তা আগে যাচাই করা জরুরি।

    কাশি (Cough and Disease) কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কেন হচ্ছে, সেই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। কাশির (Cough and Disease) কারণ না জানলে এর মোকাবিলা করা কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। ওষুধের পাশপাশি কিছু ঘরোয়া উপকরণও এই কাশিতে আরাম দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি সাধারণত রাতের দিকে ঘুমের সময় বেশি হয়। যার জন্য ঘুমে অসুবিধা হয়। শরীর আরও দূর্বল হয়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলমরিচ কিংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা আরাম দেয়। খুসখুসে কাশিতে গোলমরিচ আর লবঙ্গের ঝাঁঝ আরাম দেয়। তাছাড়া সকালে তুলসী পাতা মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তুলসী পাতা ও মধু গলা ও ফুসফুস সুস্থ রাখে। তাই কাশির প্রকোপ কমে। তবে, একটানা কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share