Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরের বিশেষ দিন ভাইফোঁটা (Bhai Phonta)! ভাই-বোনের সম্পর্ক উদযাপনের এই বিশেষ দিন। তাই এই দিনে খাওয়ার পর্বও হয় বিশেষ! দাদা-ভাইদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন হয় বিস্তর। কিন্তু স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন পদ খাবারে রাখা জরুরি, যাতে স্বাস্থ্যের সমস্যা না হয়।

    কোন ধরনের খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) দেদার মিষ্টি খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু নানান রকম মিষ্টি একসঙ্গে খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষত ডায়বেটিস রোগীদের কিংবা যাদের রক্তে সর্করার মাত্রা বেশি থাকার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে। তাই নানান মিষ্টির পরিবর্তে ভাইফোঁটায় থাকুক নানা রকমের ফল। কমলালেবু, আপেল, কলা, নাশপাতি, বেদানা, কিউই, বেরির মতো ফল থাকুক পাতে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এতে, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবারের মতো উপাদান শরীর পাবে। আবার নানান রকমের সম্ভার ও হবে। 
    লুচির মতো তেলেভাজাকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জলখাবারের মেনুতে লুচির বদলে থাকুক সব্জির পুর দেওয়া পরোটা। কম তেলে আটা কিংবা ময়দার ভিতরে ফুলকপি, আলু, গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকামের মতো সব্জি ভরে পরোটা তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে। পাশপাশি খেতেও ভালো লাগবে। তাছাড়া, ডুবো তেলে ভাজা লুচি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ভাইফোঁটায় সুস্থ থাকতে কম তেলে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    দুপুরের খাবারে নিয়ন্ত্রণ

    দুপুরের খাবারেও তেল-মশলায় নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। মটন, ইলিশের মতো প্রচুর ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ঘী দিয়ে তৈরি পোলাওয়ের মতো খাবারের পরিবর্তে ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) পাতে থাকুক হার্ব রাইসের মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, চিকেন কিংবা মটন, দু’পিসের বেশি একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পাশপাশি, এই ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন রান্নার সময় খেয়াল রাখা জরুরি, তেল ও মশলার ব্যবহারে। অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার বিপজ্জনক। এতে একদিকে স্থুলতার সমস্যা তৈরি করে। আবার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি? (Bhai Phonta)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ভাইফোঁটায় খাওয়ার পরেও সুস্থ থাকার জন্য নজরে থাকুক খাদ্যতালিকা। তাই ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। পেটের সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। আবার পিৎজা, বার্গারের মতো খাবারেও রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোতে ব্যবহৃত একাধিক রাসায়নিক শরীরে সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ির তৈরি কম তেল-মশলার খাবারেই হোক ভাইফোঁটার ভুরিভোজ (Bhai Phonta)। এমনি পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তুরে হাওয়ার রেশ সবে শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিপদ (Winter Diseases)। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাবধানতা বজায় না রাখলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? (Winter Diseases)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শহরে আট থেকে আশি, সব বয়সীদের মধ্যেই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুর্গাপুজোর পর অনেকেই কাশি-সর্দিতে ভুগছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর-সর্দিকে কাবু করলেও, কাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অনেকের কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি হচ্ছে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময় অধিকাংশ শিশু কাশির সমস্যায় ভুগছে। দেখা যাচ্ছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা হচ্ছে। দু’বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংক্রমণ বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরে শুধু কাশির সমস্যা হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট। তাই দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের একাধিক শারীরিক জটিলতা (Winter Diseases) তৈরি হচ্ছে।

    কেন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হঠাৎ করেই বদলে যায়। গরম অনেকটাই কমে। তবে পুরোপুরি ঠান্ডা নয়। এর জেরে একাধিক ভাইরাস এই সময় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Winter Diseases)। শিশুদের ভাইরাসঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি বেশি হচ্ছে। আর এই ভাইরাসের হাত ধরেই আসছে কাশি। তবে, শ্বাসনালীর সংক্রমণের জটিলতা তৈরির আরেক কারণ বায়ুদূষণ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধি শ্বাসনালীর সংক্রমণের অন্যতম কারণ। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়তে থাকার জেরেই শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তবে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার জেরে হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে ভর্তি থাকা অধিকাংশ শিশু শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে আসছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। শয্যাসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের একেবারেই এসি ঘরে রাখা যাবে না। আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি-কাশির সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। দু’বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগলে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে শিশু সংক্রমিত (Winter Diseases) না হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের সীমানায় আর আটকে থাকছে না। বিপদ এখন তিরিশের চৌকাঠের আগেই। ভারতে বাড়ছে স্ট্রোকের (Stroke) ঘটনা। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সমস্যা থেকেই স্ট্রোক হয়। ভারত সহ গোটা বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ স্ট্রোক। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত তথা গোটা বিশ্বে যত মানুষ প্রত্যেক বছর মারা যাচ্ছেন, তাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ স্ট্রোক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, কম বয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এর ফলে আজীবন পঙ্গু হয়ে থাকার ঝুঁকিও দেখা দিচ্ছে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? (Stroke)

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। ২৫-৩০ বছর বয়সীদের প্রায় ৩০ শতাংশের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এই ঝুঁকি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হলে অনেকে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যায় না। তাঁদের নানান স্নায়বিক সমস্যা হয়। তাঁরা কাজ করতে পারেন না। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বেশি দেখা দিলে, তা বাড়তি উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তচাপ ওঠানামা করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। তাই তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হচ্ছে। পাশপাশি, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের রাতে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশের রাত জেগে অফিসের কাজ করতে হয়। কিংবা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জেরে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ভারতে কম বয়সীদের মধ্যে ডায়বেটিস বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রের চাপ, আধুনিক ব্যস্ত জীবনের জটিলতা হাইপারটেনশনের সমস্যা ডেকে আনছে। ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকের খাবার খাওয়ার ব্যবধান অনেক বেশি হচ্ছে। আবার অনেকেই ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। আর এগুলো স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস একদিকে শরীর সুস্থ রাখে, আরেকদিকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যাকে রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। 
    এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার মাঝের ব্যবধান কমাতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমিত খাবার খাওয়া দরকার। যাদের কাজের চাপে সময় মতো খাওয়া হয় না, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ড্রাই ফ্রুটস, বিস্কুট, ফলের মতো খাবার সঙ্গে রাখা দরকার। 
    বিরিয়ানি, পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা জানান, স্থূলতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারবে তরুণ প্রজন্ম।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চট করে ওঠা-নামা করতে কষ্ট হয়। একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলেও হাঁটুতে যন্ত্রণা শুরু হয়। বাঙালির হাড়ের জোর কি কমছে? সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সংগঠন হাড়ের রোগ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে জানা গিয়েছে, বাঙালিদের মধ্যে হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষত অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগ (Osteoarthritis) বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকেই সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? (Osteoarthritis) 

    সর্বভারতীয় ওই সংগঠনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশেই অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে, আক্রান্তের নিরিখে দেশের প্রথম চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যের ৪০ লাখের বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫৫ বছরের উর্ধ্বে মানুষদের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে এই রোগের প্রকোপ আরও বেশি। বাঙালি মহিলারাই এই রোগের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন।

    অস্টিওআর্থ্রাইটিস কী? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Osteoarthritis) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এক ধরনের হাড়ের সমস্যা। হাড়ের শক্তি ক্ষয় হলে এই ধরনের রোগ হয়। ঘুম থেকে উঠলে, মূলত সকালের দিকে হাত-পায়ে জোর পাওয়া যায় না। কোমড়, হাঁটু সহ দেহের একাধিক অঙ্গের সচলতা কমতে থাকে। পাশপাশি দেহের বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা হয়। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাঁটু, কোমড়, ঘাড়ের মতো দেহের নানান জয়েন্টে বারবার যন্ত্রণা হলে, কিছু সময় একটানা হাঁটলে, হাটুর ব্যথা কিংবা পায়ে যন্ত্রণা দেখা দিলে, একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো অস্টিওআর্থ্রাইটিসের (Osteoarthritis) লক্ষণ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই রোগের? (Osteoarthritis)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের একাধিক থেরাপি রয়েছে। আবার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু এই রোগ নির্মূল সম্ভব নয়। তাই রোগ যাতে শরীরে বেশি বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকে বরং নজর দেওয়া জরুরি। তাই তিরিশের পর থেকেই বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হাড়ের শক্তির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাই নিয়মিত ডিম, দুধ, আপেলের মতো খাবার খেতে হবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। পাশপাশি কিউই, নাশপাতি, লেবুর মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলো হাড়ের পুষ্টি জোগায়। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের ওজনের দিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত ওজনের জন্য হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। শরীরের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু, কোমড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই স্থূলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় সচেতনতা জরুরি। 
    নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরের সমস্ত অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় থাকে। শরীর সচল রাখতে নিয়ম করে শারীরিক কসরত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের প্রকোপ! তবে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ক্যান্সার সময়মতো নির্ণয় করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। রোগমুক্তির জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা। তবে, জীবনযাপনের বদল কমাতে পারে রোগের ঝুঁকি। তাই অক্টোবর মাসে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে সরকার ও চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন একযোগে নানা কর্মসূচি চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, রোগ নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Breast Cancer) 

    দিল্লি এইমস হাসপাতালের তরফে দেশ জুড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। আর এই প্রবণতার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। কারণ, কম বয়সীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ অসচেতনতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু রোগ (Breast Cancer) দ্রুত নির্ণয় হলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেও জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে কমবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের বদল কমিয়ে দিতে পারে এই রোগের (Breast Cancer) ঝুঁকি। তাই তাঁদের পরামর্শ, মা হওয়ার পরে সন্তানকে অবশ্যই স্তন্যপান করানো জরুরি। এতে সদ্যোজাতের একাধিক শারীরিক উপকারের পাশাপাশি মায়ের শরীরের উপকার হয়। আর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমা তার অন্যতম। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মায়ের দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    এর পাশপাশি, কিছু খাবার নিয়মিত খেলেও মহিলাদের এই রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ক্রানবেরির মতো যে কোনও এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল খাওয়া দরকার। কারণ, বেরিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের কোষকে সুস্থ রাখে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    পিচ, আপেল, নাশপাতি, আঙুরের মতো ফল নিয়মিত খেলে ৪০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ এই ফলগুলোতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফাইবার, যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 
    কমলালেবু হোক কিংবা পাতিলেবু, যে কোনও ধরনের লেবু নিয়মিত খেলেও ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি কমবে। কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আর লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। 
    ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ পুষ্টিবিদদের কথায়, এই ধরনের সব্জি দেহে অ্যান্টিক্যান্সার পোটেনশিয়াল তৈরিতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    এছাড়া যে কোনও ধরনের দানাশস্য যেমন মুসুর ডাল, ছোলা, মটর কিংবা সামুদ্রিক মাছ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড আর তেলে ভাজা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। কারণ, এতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঢাকে কাঠি পড়বে। কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পরতে, আর নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে অনেকেই দ্রুত ওজন কমিয়ে একেবারে ফিট (Body Weight) হতে চাইছেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোর ইচ্ছে অন্য বিপদ বাড়াচ্ছে না তো?

    দ্রুত ওজন হ্রাস অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন (Body Weight) কমলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দ্রুত রোগা হওয়ার ইচ্ছে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান না। আর এই সবের জেরেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, রক্তচাপ কমে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। যে কোনো বড় শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    এছাড়া দ্রুত ওজন কমলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, দ্রুত ওজন কমালে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপরে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। ওজন সামান্য বেড়ে গেলেও তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    কীভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমবে? (Body Weight)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন কমানোর পরিকল্পনা করা উচিত নয়। তবে, পুজোর আগে কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া চলবে না। কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। পেট ভরে খাবার খাওয়া জরুরি। তাই প্রচুর সবুজ সব্জি যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক, গাজর, পেপে, লাউ খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে, শরীরের নানান চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। মটন একেবারেই চলবে না। কারণ মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেয় না। ডিম, সোয়াবিন, মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। 
    তবে, নিয়মিত ফল খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাল্টা, কিউই, সবুজ আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। আর ওজন (Body Weight) বাড়তে দেয় না। 
    তবে, খাওয়ার দিকে নজর দেওয়ার পাশপাশি জরুরি নিয়মিত যোগাভ্যাস। কারণ শারীরিক কসরত নিয়মিত করলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়ো নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিকল্পনা মাফিক নিয়মমাফিক জীবন যাপন ওজনে রাশ টানতে সাহায্য করবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় হাজির। কিন্তু মশা নিয়ে ভোগান্তি কমেনি রাজ্যবাসীর। পুজোর সময় সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বঙ্গবাসী। কলকাতা হোক কিংবা জেলা, বর্ষা বিদায় নিলেও ডেঙ্গি বিদায় নিচ্ছে না। তাই প্রত্যেক দিন বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। আর পুজোর মরশুমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আরও নাজেহাল হচ্ছেন রাজ্যবাসী।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে আবার বেড়েছে সংক্রমণ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেই ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে বলেও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কলকাতা। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। ডেঙ্গি সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের কমবেশি। গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গি সংক্রমণ ৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এবছরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি আরও বেশি দাপট দেখিয়েছে। পুজোর সময়েও ডেঙ্গির শক্তি অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

    পুজোয় বাড়তি কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল? (Dengue)

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত। পুজোর সপ্তাহেও ডেঙ্গি (Dengue) শক্তি প্রকাশ করবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তার জেরেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে প্রায় দু’সপ্তাহ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতাল অঘোষিত ছুটির মেজাজে চলে যায়। এমনকি সম্প্রতি কয়েক বছর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই চলে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার হন রোগী ও পরিজনেরা। ডেঙ্গি যে হারে বাড়ছে, তাতে হাসপাতালে ভর্তির চাপ বাড়বে। কিন্তু পুজোর সময় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, ভর্তি নিয়ে টালবাহানা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়নোর ভোগান্তি হতে পারে। 
    পাশাপাশি প্লেটলেটের আকাল আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রক্তদান শিবির তেমন হয়নি। আবার প্লেটলেটের চাহিদাও মারাত্মক বাড়ছে। তাই এই সময়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতির আসল চিত্র সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। তাই বিশেষজ্ঞদের আর্জি, রাজ্যবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করা, প্লেটলেটের জোগান বজায় রাখার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলেই ভোগান্তি কমবে। আর সেটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ! আবার আরেকটা বছরের অপেক্ষা। আর এই অপেক্ষার মুহূর্ত শুরু হয় মিষ্টিমুখে! উমাকে বিদায় জানানোর পরে পরিবারের ছোট থেকে বড়, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান। এই রেওয়াজ চিরকালীন। তাই তো কলকাতার নামিদামি মিষ্টির দোকান হোক কিংবা মফস্বলের কোনও গলির দোকান, মিষ্টি কেনার ভিড় সর্বত্র। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টিমুখের (Durga Puja Food) পর্বে বিপদ বাড়ছে শরীরের। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

    কাদের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একাধিক খেলে বিপদ বাড়তে পারে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের। বাঙালিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। পুজোর মরশুমে অনেকেই খাওয়ায় অনিয়ম করেন। তার উপরে দশমীতে মিষ্টি খেলে বিপদ আরও বাড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। 
    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাশাপাশি কিডনির রোগে আক্রান্তদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বিপদ বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির কোনও রকম সমস্যা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মিষ্টি (Durga Puja Food) রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কিডনির কোনও রোগে আক্রান্ত হলে দশমীতে মিষ্টি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 
    হৃদ সমস্যা থাকলে কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেও মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় মিষ্টি। তাই রসগোল্লা হোক কিংবা সন্দেশ, একাধিক খেলেই বিপদ বাড়তে পারে। 
    পাশপাশি স্থুলতার সমস্যায় জর্জরিত তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে একেবারেই মিষ্টি খাওয়া চলবে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মিষ্টিতে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই মিষ্টিতে রাশ জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? (Durga Puja Food) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়া যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তেমনি কৃত্রিম মিষ্টি একেবারেই চলবে না। অনেকেই চিনির পরিবর্তে নানান কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে নানান খাবার তৈরি করেন। এই কৃত্রিম মিষ্টি (Durga Puja Food) শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই কৃত্রিম মিষ্টি খাবার একেবারেই চলবে না। রসগোল্লা, পান্তুয়া কিংবা কেশরীভোগের মতো রসে ভেজা মিষ্টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। উৎসবের সময় হলেও একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাড়িতে চিনির পরিবর্তে সামান্য পরিমাণ মধু ব্যবহার করে নানান ধরনের মিষ্টি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নবমী মানেই পুজো শেষের প্রহর গোনা। বছরভর অপেক্ষার জন্য প্রস্তুতিপর্ব শুরু। নবমী মানেই উৎসবের শেষ মুহূর্তের সবটুকু উপভোগ করা। আর বাঙালির উৎসব উদযাপনের সঙ্গে ভুরিভোজ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই নবমীতে বাঙালির বিশেষ ভুরিভোজ। কেউ বাঙালি রেস্তরাঁয় আগে থেকেই টেবিল বুক করে রাখেন, আবার কেউ বাড়ির হেঁশেলেই জমিয়ে রান্না করেন। তবে, খাওয়া বাড়িতে হোক কিংবা রেস্তরাঁয়, বাঙালির নবমীর মেনুতে মটন থাকবেই (Durga Puja Food)। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে উৎসবের উদযাপনে যে হারে ভুরিভোজ চলে, নবমীর মটন কারি কিংবা কষা, স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করে কি? চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, ভুরিভোজে সাবধান! উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে বড় বিপদ ডেকে আনলে মুশকিল।

    পাতে মটন পড়লে কাদের বিপদ বেশি? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের। 
    রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, মটনে অতিরিক্ত চর্বি থাকে। আর এই চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে মটন একেবারেই পাতে নেওয়া চলবে না। 
    স্থূলতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মটনে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। যথেষ্ট ফ্যাট থাকে। তাই স্থুলতার সমস্যায় যারা ভুগছেন, মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা রাখতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরিমাণের দিকে নজরদারি খুবই জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja Food)

    বছরের বিশেষ দিনে অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়বেটিস, হৃদসমস্যা রয়েছে, তাদের রাত জেগে ঠাকুর দেখা কিংবা লাগাতার বাইরের অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না (Durga Puja Food)। 
    স্থুলতার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা পুজোর চার দিন যোগাভ্যাস কিংবা হাঁটাহাঁটি একেবারেই ছাড়বেন না। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে খাবার অনেক সময়েই মেপে খাওয়া হয় না। বাইরের খাবারের পাশপাশি বাড়ির খাবারেও অতিরিক্ত মশলা কিংবা তেল ব্যবহার হয়। তাই শারীরিক কসরত কমানো যাবে না। তাহলেই কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে। তবে, পরিমাণের দিকে নজর দিতেই হবে। ভালো লাগছে বলেই অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খেলে কিন্তু শরীর সুস্থ রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Care: পুজোর আগে দূষণ আর কড়া রোদের দাপট মোকাবিলা করবেন কীভাবে?

    Skin Care: পুজোর আগে দূষণ আর কড়া রোদের দাপট মোকাবিলা করবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মহালয়া শেষ! এবার ঢাকে কাঠি পড়ার শব্দ আরও জোরে! আর মাত্র কদিন পরেই দুর্গাপুজো! প্যান্ডেলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদেরও সেজে ওঠার শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সূর্যের তাপ বাড়ছে। তাই ত্বকে ট্যানের ঝুঁকিও বাড়ছে। কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব (Skin Care)?

    কোন ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ? (Skin Care)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া উপাদানেই রয়েছে উজ্বল ত্বকের রহস্য। তাঁদের পরামর্শ, কৃত্রিম কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা দরকার। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই ঝকঝকে উজ্বল ত্বক সম্ভব। তাঁদের আরও পরামর্শ, ট্যান মুক্তির জন্য নিয়ম করে টমেটোর রস মুখে মাখলে উপকার পাওয়া যাবে। টমেটোর রসে মুখের কালো ছোপ কমে। পাশপাশি টক দই, বেসন, শশার রস মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক চকচকে হয়। অনেকের আবার দূষণের জেরে মুখে শুষ্কতা দেখা যায়। তাঁরা বাড়িতেই হানি ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। তারপরে দুধ আর মধু একসঙ্গে ফেটিয়ে মুখে কিছুক্ষণ মেখে রাখার পরে, আবার মুখ পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে (Skin Care)। তাহলেই মুখের ত্বকের শুষ্কতা কমবে। 
    ত্বকের ট্যান কিংবা কালো ছোপের পাশপাশি ত্বকে অনেকের ব্রণ হয়। নিয়মিত রাতে অ্যালোভেরা পাতার জেল আর নিমপাতা একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে উপকার পাওয়া যাবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেমন হবে খাদ্যাভ্যাস? (Skin Care) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু রূপচর্চা করলেই চলবে না। পুষ্টিকর খাবার মেনুতে থাকলে তবেই ত্বক সুন্দর হবে। ত্বক সুন্দর রাখতে তাই পুষ্টিবিদদের প্রথমেই পরামর্শ, দিনে কমপক্ষে চার লিটার জল খেতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে তবেই শুষ্কতা, ত্বক খসখসে হওয়ার মতো সমস্যা কমবে।
    ত্বকে ব্রণ বা লাল ছোপের মতো সমস্যা কমাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার মেনু থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার দেহের মেদ বাড়িয়ে দেয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ত্বকের একাধিক সমস্যা তৈরি করে। 
    স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ যেমন জরুরি, তেমনি সুন্দর ত্বকের প্রয়োজন পুষ্টি। দেহে পুষ্টির ঘাটতি হলে কিন্তু উজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সব্জি, ফল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সব্জি যেমন পালং শাক, পটল, লাউয়ের মতো সব্জি লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এগুলো খেলে ত্বক সতেজ থাকে। আবার সবুজ আপেলের মতো খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই ধরনের ফল খেলে ত্বক উজ্বল হয় (Skin Care)। 
    পাশপাশি ত্বক সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের নীচে কালো দাগ দেখা যায়। এছাড়াও ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। তাই পুজোয় ত্বক সুন্দর রাখতে খাবারের পাশপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share