Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শেষ হোক কিংবা বর্ষার শুরু, অল্প জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিতে (Cough and Disease) জেরবার হতেই হয়। আট থেকে আশি, কমবেশি সব বয়সীরাই কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রেই জ্বর কিংবা সর্দি কমে গেলেও ভোগান্তি বাড়ায় কাশি। কিন্তু কাশি কি কোনও রোগ নাকি কাশি জানান দেয়, শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি লাগাতার হলে সতর্ক হন। কারণ, বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে কাশি।

    কাশি (Cough and Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কোনও রোগ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, কাশি আসলে উপসর্গ। অন্য কোনও রোগের উপসর্গ হিসাবে কাশি হয়। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের (Cough and Disease) কারণ একাধিক হতে পারে।

    কোন কোন রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি (Cough and Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় শ্বাসনালির উপরের অংশে ভাইরাস সংক্রমণ হয়, আর তার জেরেই কাশি হয়। আর এই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সংক্রমণ কমতে সময় লাগে। দেহের তাপমাত্রা সহজে স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই সংক্রমণ ভোগান্তি বাড়ায়। সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রমণ কমে। তবে, লাগাতার কাশি হলে সব সময় সাধারণ ভাইরাসঘটিত সমস্যা নয়। তা একাধিক জটিল রোগের ইঙ্গিত হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ফুসফুস ও শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত হল কাশি (Cough and Disease)। হাঁপানি কিংবা শরীরে কোনও ধরনের অ্যালার্জি হলেও কাশি হয়। তাছাড়া, ব্রংকাইটিস কিংবা ফুসফুস, গলার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত রোগ ছাড়া অন্য যে কোনও সমস্যায় কাশি হলে তা তিন সপ্তাহের বেশি থাকে। এছাড়াও যক্ষ্মার মতো রোগের জানান দেয় কাশি। তাই লাগাতার কাশি কিংবা কাশি থেকে রক্তপাত হলে তার জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেই কাশি কমাতে সিরাপ খান। কিন্তু সিরাপ আদৌ প্রয়োজন কিনা, তা আগে যাচাই করা জরুরি।

    কাশি (Cough and Disease) কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কেন হচ্ছে, সেই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। কাশির (Cough and Disease) কারণ না জানলে এর মোকাবিলা করা কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। ওষুধের পাশপাশি কিছু ঘরোয়া উপকরণও এই কাশিতে আরাম দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি সাধারণত রাতের দিকে ঘুমের সময় বেশি হয়। যার জন্য ঘুমে অসুবিধা হয়। শরীর আরও দূর্বল হয়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলমরিচ কিংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা আরাম দেয়। খুসখুসে কাশিতে গোলমরিচ আর লবঙ্গের ঝাঁঝ আরাম দেয়। তাছাড়া সকালে তুলসী পাতা মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তুলসী পাতা ও মধু গলা ও ফুসফুস সুস্থ রাখে। তাই কাশির প্রকোপ কমে। তবে, একটানা কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Cancer Rediotherapy: রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়! ক্যান্সার চিকিৎসায় তার পরেও কী ধরনের সমস্যা হয়?

    Cancer Rediotherapy: রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়! ক্যান্সার চিকিৎসায় তার পরেও কী ধরনের সমস্যা হয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy)। উন্নত ও আধুনিক এই চিকিৎসার ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের মোকবিলা সহজ হয়।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জরায়ু, থাইরয়েড, মুখ ও গলার ক্যান্সার কিংবা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর রেডিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরি। দেহের অন্য অংশকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন রেডিওথেরাপি। কিন্তু রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়। ক্যান্সার রোগীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে রেডিওথেরাপির পরবর্তী চিকিৎসাও জরুরি। সম্পূর্ণ চিকিৎসা হলে তবেই রোগী সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন।

    রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পর কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস পরে শুরু হয় রেডিওথেরাপি। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কতখানি রেডিওথেরাপি প্রয়োজন, চিকিৎসকরা সেই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেডিওথেরাপির পর রোগীর একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর বুকে এক ধরনের চাপা ব্যথা অনুভব হয়, বুকের মাঝখানে কিছু আটকে রয়েছে এমন অস্বস্তি বোধ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাশি হয়। দীর্ঘকালীন কাশি বা গলা খুসখুসের মতো উপসর্গ দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও অনেকের হয়। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ, প্রায় হাঁপানির মতো নানা সমস্যা, এমনকি নিউমোনিয়াও দেখা দেয়। এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পরে চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, শুষ্কতা, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

    কীভাবে সমস্যার (Cancer Rediotherapy) মোকাবিলা করা যাবে? 

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার জেরে সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না। ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হয় দেরিতে। আবার যেসব ক্যান্সারে উপসর্গ প্রকাশ হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার এবং রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) মতো জরুরি চিকিৎসা হয়। কিন্তু তার পরবর্তী সমস্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পরবর্তীতে যেসব সমস্যা রোগীর হয়, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তার চিকিৎসা জরুরি। রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে ফুসফুস কিংবা বক্ষঃরোগের সমস্যা হয়। কিন্তু এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা সম্ভব। পাশপাশি ত্বক ও চুলের যে সমস্যা দেখা যায়, সেগুলোর নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর এই ধরনের সমস্যার চিহ্নিতকরণ হয় না। ফলে, ক্যান্সার মোকাবিলার পরেও রোগীর সুস্থ জীবন যাপনে জটিলতা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় করে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। সচেতনতা ও সতর্কতাই সেই পথ সহজ করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর এবং ওজন নিয়ে সতর্ক তরুণ প্রজন্ম! তাই ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়ার পরিমাণ কমাচ্ছেন! কম বয়সীদের অনেকেই স্থূলতা এড়াতে ডায়েটিং (Obesity and Diet) করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হয় অপরিকল্পিত। অর্থাৎ, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নয়, নিজের মতোই তৈরি করেন ডায়েট চার্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ডায়েট প্ল্যান শুনে, অনেকে নিজেদের ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ! শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। এমনকি প্রাণসংশয়ও দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের কুফল ভুগতে হবে দীর্ঘদিন।

    কোন ধরনের ডায়েট (Obesity and Diet) বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়েট প্ল্যান সম্পূর্ণ ব্যক্তিবিশেষে তৈরি হয়। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির শরীর ঠিক রাখতে, স্থূলতা রুখতে কিংবা ওজন কমাতে কী করা দরকার, সেটা সকলের জন্য এক হবে না। একেক জনের জন্য, একেক ধরনের ডায়েট হয়। প্রত্যেকের যেমন রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা এক হয় না। একেক জনের ওজন, উচ্চতা একেক রকম হয়। ঠিক তেমনি ডায়েট প্ল্যান প্রত্যেকের আলাদা হয়। উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল সব কিছু মাপকাঠির নিরিখে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হয়। তবেই তা ঠিকমতো উপকারী হবে। পাশপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্থূলতা কমাতে হঠাৎ সম্পূর্ণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। ভাত কিংবা রুটি একদম খাচ্ছেন না। যা শরীরের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক। কারণ, কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগানে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকা থেকে হঠাৎ ভাত কিংবা রুটি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিলে, শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে। যা সমস্যা তৈরি করবে। আবার অনেকেই প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দেন। ফলে, পেশির মজবুতি কমতে থাকে। এগুলির জেরে নানা রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুই ডায়েট শরীর সুস্থ রাখতে পারে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মনে করেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলেই ওজন কমে যাবে (Obesity and Diet)। শরীর সুস্থ থাকবে। এ ধারণা ভুল। খাবারে রাশ ওজন কমাবে। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখবে না। শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শারীরিক কসরত, যোগাভ্যাস! তার সঙ্গে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার। এই দুইয়ের সমন্বয় না থাকলে বিপদ মারাত্মক।

    অপরিকল্পিত ডায়েট (Obesity and Diet) কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়? 

    অপরিকল্পিত ডায়েট শরীরে ডেকে আনে একাধিক রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ত্বকের রোগের মতো একাধিক রোগের কারণ হয় অপরিকল্পিত ডায়েট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের (Obesity and Diet) জন্য অনেক সময়ই শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়। অনেকেই প্রয়োজনের কম মিষ্টি খান। শরীরে মিষ্টির প্রয়োজন আছে কিনা, তা না জেনেই সিদ্ধান্ত নেন। ফলে, সুগার কমে যায়। যার জেরে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। এছাড়া, অপরিকল্পিত ডায়েটের জন্য হৃদরোগ হতে পারে। কারণ, রক্তচাপের উপরে অপরিকল্পিত ডায়েটের খারাপ প্রভাব পড়ে। রক্তচাপ মারাত্মক ওঠা-নামা করে। ফলে, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া, অতিরিক্ত কম খাবার খাওয়ার জেরে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। নানা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। 
    পাশপাশি, ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে ত্বকে রুক্ষতা দেখা দেয়। চুল পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, পুষ্টির অভাব শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়ে। ফলে, শরীরে দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি আজকালকার জীবনে একটি দৈনন্দিন সমস্যা। দূষণ যত বাড়ছে, একই হারে বাড়ছে শ্বাসজনিত সমস্যা। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হাঁপানি, সিওপিডি এবং শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পেতে নানা ওষুধ পত্তর দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। সেসবের পরেও দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবনের জন্য যোগাসনের (Yoga for Asthma) ওপর জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরাই। প্রাণায়ামের সঠিক নিয়ম  না জেনে করবেন না। একজন উপযুক্ত প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শিখুন। অনুলোম-বিলোম বা কপাল-ভাতি যে কোনও ধরনের প্রাণায়াম আপনাকে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। এটি দীর্ঘ দিন অভ্যাস করলে ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে। এমনটাই দাবি গবেষকদের।

    কী বলছে গবেষণা?

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাঁপানি সারানোর (Yoga for Asthma) সবথেকে ভাল উপায় হল ব্রেথিং এক্সারসাইজ এবং যোগব্যায়াম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে মেডিসিন জার্নালে। সেখানে হাঁপানি সারিয়ে তোলার নানা রকম উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে যে হাঁপানি (Yoga for Asthma) থেকে সেরে ওঠার জন্য ঠিক কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  হেনান নরমাল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের সহকারী অধ্যাপক শুয়াংতাও জিং এই গবেষণার অন্যতম গবেষক। তিনি বলছেন, ‘‘ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর সবথেকে ভাল উপায় হল যোগ ব্যায়াম।’’

    ৩০ কোটিরও বেশি হাঁপানি রোগী রয়েছে বিশ্বজুড়ে

    বিশ্বজুড়ে এই সংস্থা এনিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে এবং তাতে দেখা গিয়েছে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে হাঁপানিতে ভুগছেন। এই রোগ হল ফুসফুসের অসুস্থতা যেখানে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুক শক্ত হয়ে যাওয়া এ সমস্ত লক্ষণগুলি দেখা যায়। আগে আগে মনে করা হতো যে ব্যায়াম হয়তো হাঁপানির প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম (Yoga for Asthma) শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতাকে বাড়ায়। মোট ২,১৫৫ জন হাঁপানি রোগীর ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এবং সেখানে দেখা যায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এ সমস্ত ফুসফুসের কার্যকারিতা কে উন্নত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে হচ্ছে যথেচ্ছ রেফার! ঝুঁকি বাড়ছে রোগীর!

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে হচ্ছে যথেচ্ছ রেফার! ঝুঁকি বাড়ছে রোগীর!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে! কম বয়সী থেকে প্রৌঢ়, দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ (Heart Attack)! বাদ নেই এ রাজ্য। তবে, এ রাজ্যে হৃদরোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলছে সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। হার্ট অ্যাটাকের পরের চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু করা যায়, বিপদ তত কমে! কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর চিকিৎসা শুরু হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই মৃত্যু আটকানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

    কী অভিযোগ উঠছে (Heart Attack)? 

    রাজ্যের অধিকাংশ জেলাস্তরের হাসপাতাল, এমনকি জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলোর বিরুদ্ধেও একাধিক সময়ে অকারণ রেফার করার অভিযোগ ওঠে। রেফারের জেরে রোগীর চিকিৎসার সুযোগ কমে। রোগীর সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও এই রেফার রোগের ব্যতিক্রম হয় না। অভিযোগ, কালনা থেকে কৃষ্ণনগর কিংবা জলপাইগুড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, একাধিক জেলার হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা, হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) রোগী গেলেও হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। তাই অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। আর এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়েই চিকিৎসার সময় পাওয়া যায় না। যেমন দিন কয়েক আগে কালনার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়ার হার্ট অ্যাটাক হয়। তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যেতেই প্রয়োজনীয় সময় কেটে যায়। ফলে, কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান ওই প্রৌঢ়া। এমনই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। 
    একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বসিরহাটের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির। তাঁর হার্ট অ্যাটাকের পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে চিকিৎসা শুরু না করলে মৃত্যু আটকানো কঠিন।

    গোল্ডেন আওয়ার (Heart Attack) কী? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পরের ৯০ মিনিট হল গোল্ডেন আওয়ার। তবে, প্রথম এক ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগীর চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানান জটিলতার কারণে এই গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা যায় না। ফলে, হৃদরোগে আক্রান্তদের ঝুঁকি বাড়ে।

    এই সমস্যা (Heart Attack) রুখতে কী পদক্ষেপ নেবে স্বাস্থ্য ভবন? 

    সরকারি হাসপাতালের রেফার সমস্যা নিয়ে একাধিকবার স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি বদল হয়নি। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, রোগীর পরিজন হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। যদিও ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতা থাকলে অনেকেই সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারতেন। কিন্তু রেফার রোগের জেরে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন (Heart Attack)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শুধু অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয় না। বিপদ বাড়ায় হৃদরোগের। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি দ্বিগুণ করে তোলে পরিবেশের এই পরিবর্তন! সম্প্রতি এমনটাই জানাচ্ছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র গবেষণা। পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তাই নানা শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হৃদ সমস্যা।

    কী বলছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র সমীক্ষা (Heart Attack)? 

    ভারত, বাংলাদেশ কিংবা এশিয়ার একাধিক দেশ তো বটেই। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড সহ একাধিক পশ্চিমের দেশেও গত কয়েক বছরে মারাত্মক তাপমাত্রা বেড়েছে। তাই এ নিয়ে সমীক্ষা ও গবেষণা করেন আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র একদল চিকিৎসক। আর সেখানেই জানা গিয়েছে, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব পড়ে। হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে। পাশপাশি অতিরিক্ত ঘাম হয়। যার জেরে দেহে জলের অভাব তৈরি হয়। আর এই সবকিছুর জেরে হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মহিলাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলা বাইরের কাজের পাশপাশি বাড়ির কাজেও অধিক দায়িত্ব পালন করেন। ফলে পরিশ্রম বেশি হয়। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে।

    ঝুঁকি (Heart Attack) এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    বিশ্ব জুড়ে গরম বাড়বে। দ্রুত এর সমাধান পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। গরমে রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। তবে, রক্তচাপের সমস্যা না থাকলেও সচেতন হতে হবে। এমনকি কম বয়সীদের মধ্যেও গরমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজম হতে দেরি হয়। গরমে হজমের সমস্যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি তৈরি করে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে সহজ পাচ্য খাবার বিশেষত সব্জি, হালকা মাছের ঝোল আর ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    অতিরিক্ত নুন খাওয়া বাদ দিতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে নুন থাকে, তাতেই প্রয়োজনীয় আয়োডিন শরীর পায়। কিন্তু অনেকের অভ্যাস থাকে, যে কোনও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত নুন খাওয়া। এই অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    তাছাড়া, তাপমাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোদে দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অকালেই ঝরে পড়ছে চুল। চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে। শুষ্ক ত্বক সমস্যা বাড়াচ্ছে! সময়ের আগেই আসছে বার্ধক্য (Ageing and Health)। এই সমস্যা এখন অনেকের। তবে চটজলদি এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বরং শরীরের তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই সময়ের আগে বার্ধক্যকে এড়ানো যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং থাইরয়েড-এই তিন সমস্যা কমাতে পারলে তবেই সময়ের আগে বাধর্ক্য (Ageing and Health) এড়ানো যেতে পারে।  
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, থাইরয়েডের মতো হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলে চুল পড়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকী চোখের নিচের চামড়াও কুঁচকে যায়। এসব সময়ের আগেই বার্ধক্যের ইঙ্গিত দেয়। তাই থাইরয়েড এবং হরমোন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। 
    পাশপাশি রক্তে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়লেও বিপদ। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে হাত-পায়ের চামড়ায় শুষ্ক ভাব চলে আসে। যার জেরে চামড়া কুঁচকে যায়। ফলে দেখা দেয় আগাম বার্ধক্য। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম বার্ধক্য এড়াতে স্থূলতার সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত ওজন শরীরের কার্যক্ষমতা কমায়। পাশপাশি অতিরিক্ত মেদের জেরে ওজন বাড়ে। আর তার জেরে আগাম বার্ধক্য দেখা দেয়।

    কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই তিন সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিনা, তা জানা জরুরি। তাই আগাম বার্ধক্য (Ageing and Health) শরীরে জানান দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা জরুরি। স্থূলতার সমস্যা শরীরে সহজেই জানান দেয়। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া সহজ বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তবে, সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। এই তিনটি বিষয়কে যে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, সেই সচেতনতার অভাব রয়েছে।

    কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই তিন সমস্যাকে দূরে রাখতে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাতে একদিকে স্থূলতার সমস্যা কমবে, আরেকদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে।ডায়াবেটিসের সমস্যাও কমবে। তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। পাশপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে। আগাম বার্ধক্য এড়াতে হলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Ageing and Health)। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চটজলদি খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ডায়াবেটিস, স্থূলতা আর থাইরয়েডের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। এড়িয়ে চলতে হবে হটডগ, পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবার। এই সব খাবারে থাকে প্রিজারভেটিভ মশলা এবং মাত্রাতিরিক্ত নুন। যা থাইরয়েড এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়। পাশপাশি দেহে অতিরিক্ত মেদ জমায় এই ধরনের খাবার। তাই এই সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

    কৃত্রিম পদ্ধতি কি ভাল?
     
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। বরং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে সহজেই অকাল বার্ধক্য (Ageing and Health) এড়ানো যাবে। তাই নিয়মিত সবুজ সব্জি, মাছ, ডিম, সয়াবিনের মতো প্রোটিন বাড়িতে রান্না করে খেলে এবং ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। পাশপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে চার লিটার জল খেতে হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় জল থাকলে বহু রোগ আটকানো সহজ হয়। তার পাশপাশি জল ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Covid: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ইজি-৫’, মৃত্যুর ঝুঁকি সবথেকে বেশি, বলছে ‘হু’

    Covid: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ইজি-৫’, মৃত্যুর ঝুঁকি সবথেকে বেশি, বলছে ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের (Covid) নয়া প্রজাতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্ববাসীর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে নয়া এই প্রজাতির নাম EG.5। বর্তমানে ‘হু’ একাধিক করোনা ভাইরাসের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ‘হু’ জানিয়েছে, EG.5 প্রজাতির ভাইরাস আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আদহানম এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘এটা আরও ভয়াবহ প্রজাতি। এর ঝুঁকি আরও বেশি। এর জেরে রোগের প্রকোপ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মৃ্ত্যুর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়তে পারে।’’ শুধু তাই নয়, EG.5 নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঝুঁকি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে।

    প্রতিটি দেশের কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ

    বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড সম্পর্কিত ব্যাপারে একটা নয়া পরামর্শ সামনে এনেছে। সেখানে বিশ্বের সব দেশকেই বলা হচ্ছে যাতে তারা কোভিড সম্পর্কিত তথ্য দ্রুত জমা করে। শুধু জমা নয়, সেই তথ্য়ের উপর গবেষণাও করতে বলা হয়েছে। মূলত এই নয়া প্রজাতির ভাইরাসের (Covid) ক্ষেত্রে মৃত্যুহার কেমন, সেটা দেখার জন্যই একথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত দেশে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথাও কোনও ঘাটতি রয়েছে কি না, সেটা দেখতে বলা হয়েছে ওই সুপারিশে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নতুন প্রজাতির ভাইরাস

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারতে আঘাত হানে করোনা। তারপর চলতে থাকে একের পর এক ঢেউ। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে এদেশে ভ্যাকসিন আসে। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী ভ্যাকসিন হিসেবে আমাদের দেশের টিকা মান্যতা পেয়েছে। কোভিড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি আর তেমন নেই। এখন রাস্তাঘাটে আর সেভাবে মুখে মাস্কও দেখা যায় না। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্য়াও কমছে। তার সঙ্গেই কোভিড (Covid) নিয়ে উদ্বেগও কমেছে। তবে  ‘হু’-এর নতুন নির্দেশিকা অনুসারে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Virus: করোনায় ফের একের পর এক শিশুমৃত্যু! চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলে!

    Corona Virus: করোনায় ফের একের পর এক শিশুমৃত্যু! চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Corona Virus) ভাইরাসের চোখ রাঙানি! পর পর শিশুমৃত্যু। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। এমনিতেই রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট অব্যাহত। তার মধ্যেই করোনার প্রকোপ চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Corona Virus)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে পর পর তিনজন শিশু করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সাত মাসের শিশু মারা যায়। তারপরেই আরেকটি ন’মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। এর পরে দিন দুয়েক আগে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। এই তিনজনের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা আক্রান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 
    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, শিশুদের পাশপাশি ফের বয়স্কদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই ১০-১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে অনেকের বয়স ষাট বছরের বেশি। তবে প্রত্যেকের কোমরবিডিটি রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। 
    যে তিন শিশুর সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাদের অন্যান্য শারীরিক জটিলতা ছিল বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিডনি ও নিউমোনিয়ার সমস্যায় ভুগছিল ওই তিন শিশু। কিন্তু রাজ্যে একদিকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট। তার মধ্যেই করোনায় নতুন করে আক্রান্ত বৃদ্ধি বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা (Corona Virus) জরুরি বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সকলের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কিন্তু পাঁচ বছরের কম বয়সিদের বিশেষ সতর্কতা জরুরি। কারণ, সম্প্রতি শিশুদের নিয়েই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জ্বর তিনদিনের বেশি থাকলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। অনেক সময়েই জ্বর সামান্য কমলে, ফের জ্বর হচ্ছে। বার বার এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সর্দি-কাশি কিংবা বমির মতো উপসর্গ থাকলে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, যেসব শিশুদের কিডনি, হার্ট কিংবা ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, তাদের যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, তেমনি আক্রান্ত হলে শারীরিক জটিলতাও বেশি হতে পারে। তাই জ্বর কিংবা সর্দি হলে একেবারেই বাইরে যাওয়া চলবে না। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল (Corona Virus) হতে পারে। এমনই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকাল হোক বা সন্ধ্যায় সামান্য চা-বিস্কুট খেলেও অস্বস্তি শুরু হয়। কখনও বমি আবার কখনও পেটে যন্ত্রণা (Digestive Problems)। আর ভারী, তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে তো কথাই নেই। বুকের যন্ত্রণা, মাথা ঘোরার চোটে বিছানা থেকে ওঠার শক্তিও থাকে না। এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাবধান থাকা দরকার। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করলে বাড়বে বিপদ!

    কোন অসুখের (Digestive Problems) ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার খেলেই বমি, হজমের সমস্যা কিংবা বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এই সমস্যার নাম গ্যাস্ট্রোএসোফাগেল রিফ্লাক্স ডিজিজ! যাকে সহজে চিকিৎসকরা বলেন জিইআরডি! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আটটি উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়। খাবার পরেই বুক জ্বালা, বুকের মাঝখানে ব্যথা, লাগাতার হেচকি ওঠা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, বমি, হজমের সমস্যার মতো উপসর্গ প্রায় দেখা দিলে তা জিইআরডি-র লক্ষণ হতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন জিইআরডি-র মতো সমস্যায় ভুগলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তার মধ্যে অন্যতম হল লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্যা। কারণ, হজমের দীর্ঘ সমস্যা এবং বারবার বমি এই দুই অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা পাকস্থলীর আলসারের কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি, পরিপাকতন্ত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। লাগাতার হজমের সমস্যা (Digestive Problems) এবং সেই সংক্রান্ত অসুবিধার জেরে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হয়।

    কাদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পাশপাশি, যাঁরা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খান, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময়ের ব্যবধানে ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    কীভাবে উপশম (Digestive Problems) সম্ভব? 

    সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-এ এই রোগের উপশমের নতুন দিশা দেখিয়েছেন একদল চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপশমের জন্য প্রয়োজন তিনটি জিনিসের উপরে নজরদারি। এক, সঠিক ডায়েট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর জরুরি। প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন একেবারেই নয়। বিশেষত, প্রাণীজ প্রোটিন যাতে অতিরিক্ত খাওয়া না হয়, তার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করা কঠিন (Digestive Problems)। তাই শরীর কতখানি পরিশ্রম করছে সেই অনুপাতে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। খাবারের মেনুতে পর্যাপ্ত সব্জি থাকতেই হবে। পালং শাক, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, পেঁপের মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যে কোনও লেবুর রস খাওয়া দরকার। যাতে হজম ভাল হয়। এর পাশাপাশি নিয়মিত কলা, পেয়ারার মতো ফল খাওয়া দরকার। 
    খাবারের মেনুর পাশপাশি নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ব্রেকফাস্টের কতক্ষণ পরে দুপুরের খাবার, আবার সন্ধ্যের খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কিন্তু খুব জরুরি। সকালের জলখাবার যেমন সাড়ে ন’টার মধ্যে হতে হবে। তেমনি দুপুরের খাবার বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে খেতে হবে। রাত ন’টার পরে ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো। রাতে ঘুমোনোর আগে হাল্কা কিছু খাওয়া দরকার। এতে হজম ভালো হয়। অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাওয়া একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    খাবারের মেনু ও সময়ের পরে নজর থাকুক খাবারের পরে কী করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাবারের পরেই বসে থাকা বা শুয়ে পড়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই দুপুর হোক বা রাত ভারী খাওয়ার পরে অন্তত মিনিট দশেক হাঁটতেই হবে। বাড়ির বাগান কিংবা পাড়ার রাস্তায় অল্প হাঁটাহাটি করে তবেই শোয়া যাবে। এতে হজম হবে সহজেই। তার পাশপাশি ওজনের দিকে নজর দিতে হবে। স্থূলতা যেহেতু এই রোগের (Digestive Problems) ঝুঁকি বাড়ায়, তাই তা রুখতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share