Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব চলছে! পাড়ার গলি থেকে রাজপথ, আলোয় সেজে উঠেছে চারপাশ! রাত বাড়লেই যেমন আলোর রোশনাই বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিড়! ছোট থেকে বড়, সব বয়সীরাই ভিড় ঠেলে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেল যাচ্ছেন (Durga Puja 2023)। আর রাত থেকে ভোর হচ্ছে! রাত জেগে দুর্গা ঠাকুর দেখা এখন পুজোর আরেক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সারা রাত জেগে থাকা, আসলে কতখানি বিপজ্জনক? শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? চিকিৎসকরা কিন্তু জানাচ্ছেন, উদযাপনের জোয়ারে সতর্কতা জরুরি। তা না হলে পুজোর চারদিনের এই লাগামছাড়া আনন্দের মাশুল গুনতে হবে বছরভর!

    কোন ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত করছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। শরীরের প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মমাফিক খাবার, পরিমাণমতো জল জরুরি, তেমনি সময় মতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই পুজোর (Durga Puja 2023) সময় রাতভর ঠাকুর দেখেন। ফলে, শরীর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্নায়ুর কার্যশক্তি কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখলে একদিকে যেমন ক্লান্তি গ্রাস করে, তেমনি কাজ করার শক্তি কমে। পাশপাশি, মস্তিষ্কের সক্রিয়তাও কমে। ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকতে পারে না। কারণ, রাতে ঘুমের সময়েই আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও বাড়িয়ে দেয়। রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা না ঘুমোলে মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না।
    রাত জেগে ঘোরার (Durga Puja 2023) জেরে ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোলে ত্বকের বিশ্রাম হয়। যা অত্যন্ত জরুরি। চোখের নীচের কালো দাগ কমানো, ত্বক খসখসে না হতে দেওয়া কিংবা চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে নিয়ম করে ঘুমোনো জরুরি। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখা ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে। 
    সারা রাত জেগে থাকলে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে কিডনি আর লিভারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময় রাত জেগে শুধু প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ঘোরা হয় না। অধিকাংশের চলে রাতভর ভুরিভোজ। অনেকেই গভীর রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া নানান খাবার খান। ফলে, হজমের সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি, আরেকদিকে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার লিভার এবং অন্ত্রে চাপ তৈরি করে। ফলে, নানান জটিল রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি সময় মতো না ঘুমোলে অন্ত্রের কার্য শক্তি কমে। ফলে, পেটের একাধিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja 2023) 

    পুজোর চার দিন একটানা কখনই রাত জাগার পরিকল্পনা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানান হরমোন ভারসাম্য হারবে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একদিনের বেশি পুরো রাত জেগে ঠাকুর দেখার (Durga Puja 2023) পরিকল্পনা বছরভর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সে দিকে নজর রেখে উৎসবের পরিকল্পনা করতে হবে। রাত জেগে ঠাকুর দেখলে খাবারে বাড়তি নজর দিতে হবে। রাত দশটার পরে একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। হালকা খাবার খেয়ে একদিন রাত জাগা যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পাশপাশি জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাত জাগলে হজমের সমস্যা এড়াতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ জল খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নিরাময় অনেক দূরের পথ! রোগ আদৌ আছে কি! সে খবর জানার পথ সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু এই পথ পেরতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও অন্ধকার সময় আসতে পারে, এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ভারতের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার প্রত্যেক ভারতীয়ের মনের হদিশ (Mental Health) জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? 

    সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সচেতনতা দিবস উদযাপন হল। সেই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়রা যাতে যে কোনও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি জানাতে পারেন, বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন, তার জন্য সহজ এক পদ্ধতি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে টেলি মানস। যার সাহায্যে ভারতীয়রা তাঁদের মানসিক রোগ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।

    টেলি-মানসের কাজ কী? (Mental Health)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহ্যান্স)-এর তত্ত্বাবধানে দেশ জুড়ে ২৩টি কেন্দ্র চালু হয়েছে। যে কোনও মানসিক সমস্যা নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে এই সব কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যাবে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া যাবে। ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক ছুৎমার্গ কাটবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হবে। টেলি মানস (Tele Manas) এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে টেলি মানসে ফোন করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে।

    কেন জরুরি হয়ে উঠছে এই ধরনের পরিষেবা? 

    দেশ জুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) পরিষেবা সুনিশ্চিত করা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ভারতে মানসিক রোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয়র মানসিক রোগের চিকিৎসা হয় না। কোথায় কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে হবে, কোথায় সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে, এমনকি কার চিকিৎসার প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও অধিকাংশ ভারতীয়র ধারণা নেই। এর ফলে, ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক রোগ নিয়ে যেমন নানান সামাজিক ছুৎমার্গ তৈরি হয়, তেমনি রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা হয় না। এর ফলে, মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরে সিজোফ্রেনিয়া, আত্মহত্যা, অবসাদের মতো একাধিক রোগ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে, প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে। আর টেলি মানসের মতো প্রযুক্তি থাকলে, সেই কাজ সহজ হবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় করে থামলেই চলবে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। অবসাদ, চাপের মতো মানসিক রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে কমে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগ লুকিয়ে রাখলে, চিকিৎসা না হলে, পরিণতি হয় ভয়ানক। তাই যেভাবে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ টেলি-মানস করছে, তা এ দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরভর নানা উৎসব আর উদযাপন চললেও, বছরের এই ক’দিন সবার থেকে আলাদা। আট থেকে আশি, সব বয়সের জন্যই দুর্গাপুজোর চারদিন বিশেষ দিন! আর বিশেষ উৎসব উদযাপনে খাওয়া-দাওয়াও বিশেষ হয় (Durga Puja Food)। কিন্তু এই লাগাতার জমিয়ে ভুরিভোজ স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি বিপজ্জনক, সে নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকেই। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর বিশেষ খাবারেও থাকুক সুস্বাস্থ্যের ছোঁয়া, তবেই সুস্থ শরীরে উৎসব উদযাপন সম্ভব।

    পুষ্টিবিদরা কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? (Durga Puja Food)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দূর্গাপুজোর চারদিন কমবেশি সকলেই একটু অন্যরকম খাবার খেতে চান। কিন্তু স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, উৎসবের মরশুম হলেও সকালের জলখাবার বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকেই রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছুটির মরশুমে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোন। ব্রেকফাস্ট বাদ পড়ে। একেবারেই দুপুরে জমিয়ে খাওয়া হয়। অনেক সময়েই দিনের প্রথম খাবার হয় কোনও রেস্তোরাঁর অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার। আর এতেই বিপদ বাড়ে। হজমের গোলমাল কিংবা পেটের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই পুজোর সময় পুষ্টিসমৃদ্ধ জলখাবার খাওয়া দরকার। দুধ, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস কিংবা ডিম সেদ্ধ, ফল বা রুটি, সব্জির মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে থাকলে পাকস্থলী সুস্থ থাকবে। হজমের সমস্যার ঝুঁকি কমবে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুপুর-রাত একদিনে দুবেলা বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। উৎসবের মরশুমে অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু দুবেলা বাইরের খাবারে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
    খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের (Durga Puja Food) খেয়াল রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়ির খাবারের মেনুতে থাকুক নানান রকমের স্যালাড, বেকড খাবার। পুজোর দিনে নানা রকমের ফল দিয়ে নতুন নতুন স্যালাড বানানো যেতে পারে। এতে স্বাদ বদল হয়। আবার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। আবার মাছ কিংবা চিকেনের নানান বেকড আইটেম রান্না করা যায়। যাতে খুব কম পরিমাণ তেল আর মশলার ব্যবহার হয়। অথচ অন্যরকম খাবারে মন ভরে। শরীর ভালো থাকে।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া জরুরি? (Durga Puja Food)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে দেদার খাবার খাওয়ার সময়, স্থূলতা আর হৃদরোগের বিষয় ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই, পিৎজা, বার্গার, হটডগ, কিংবা অতিরিক্ত ভাজা খাওয়ার জেরে অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আর স্থূলতা নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই কী খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি এই সময় অনেকেই লাগামহীন চর্বিযুক্ত খাবার খান। ফলে, কোলেস্টেরল আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা পিৎজার মতো খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, খাবারের পাশপাশি পানীয়ের বিষয়েও সচেতনতা দরকার। পুজোর সময়ে অনেকেই প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় খান। অতিরিক্ত প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় কিন্তু স্থূলতার কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাছাড়া, আইসক্রিম আর নরম ঠান্ডা পানীয়ের জেরে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়ে বলে জানাচ্ছেন বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা রোদের মধ্যে লাগাতার ঘুরলে আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    পুজোর সময়ে আবার উদযাপনের অংশ হিসাবে অনেকেই মদ্যপান করেন। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মদ্যপান শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্রে নানান রোগের কারণ মদ্যপান। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। 
    শরীর সুস্থ রাখতে সতর্ক ও সচেতনভাবে ভুরিভোজ (Durga Puja Food) হোক। তবেই দুর্গাপুজোর উদযাপন সুন্দর হবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেই বাড়ছে শ্বাসনালীর সংক্রমণ! শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেই বাড়ছে শ্বাসনালীর সংক্রমণ! শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কিংবা টাইফয়েডের মতো জটিল জ্বরের পাশপাশি বর্ষার মরশুমে রাজ্যবাসীকে জেরবার করছে ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza)। সপ্তাহভর বৃষ্টি চলেছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ফলে, আবহাওয়ার অনেকটাই বদল হয়েছে। তাপমাত্রার এই দ্রুত ওঠানামার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে আদ্রতা। কখনও শীত ভাব, আবার কখনও ঘাম ঝরছে! আর এর জেরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা শক্তি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই বর্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শুধু সর্দি-কাশি আর জ্বরের ভোগান্তিতেই শক্তি ক্ষয় করছে না। শ্বাসনালীর জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করছে।

    কাদের ভোগান্তি বেশি? (Influenza) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত দু’সপ্তাহে ফের বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenza) দাপট। সর্দি-কাশি আর জ্বরের সমস্যা বাড়ছে। তবে, এর সঙ্গে যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে, তা হল শ্বাসনালীর সংক্রমণ। কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা এমনকি ফুসফুসের নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে। বিশেষত, শিশুদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ শ্বাসনালীর সংক্রমণ হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাঁপানির মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। এছাড়া, জ্বর না কমলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও থাকছে। তাই পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? (Influenza) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরম বাড়তেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনেই শরীরে দ্রুত ভাইরাসঘটিত জ্বরের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সময় একেবারেই এসি চালানো উচিত নয়। বিশেষত, শিশুরা যে ঘরে রাতে ঘুমোবে, তাতে লাগাতার এসি চালানো একদম চলবে না। কারণ, এতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমনোর সময় শিশুকে হালকা চাদরে গা ঢেকে দেওয়া দরকার বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। প্রথম দিন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে কোনও সংক্রমণ বাড়াবাড়ি হতে না পারে। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza) আক্রান্তরা সকালে দুধে মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু সর্দি-কাশিতে বিশেষ উপকার দেয়। আর দুধ শরীরের দুর্বলতা দ্রুত কাটাতে সাহায্য করে। আর এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ হয়। তাছাড়া গলায় অসুবিধা কমাতে এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দশ-বারো বছরের শিশুদের গোলমরিচ গুঁড়ো করে তুলসী পাতার সঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গির (Dengue) প্রবল শক্তিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তার উপরে রয়েছে ম্যালেরিয়ার দাপট। আলাদা আলাদা ভাবে নয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে দুই মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত এই দুই রোগের জোড়া আক্রমণে নাজেহাল আক্রান্তরা। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে বিপদ মারাত্মক।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি এ বছর শক্তিশালী হয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। বিশেষত কলকাতাতে এই সমস্যা আরও বেশি। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণের ঘটনাও কলকাতায় বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর ৩০ শতাংশের ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়া একসঙ্গে হচ্ছে। বিশেষত বড়বাজার, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, যাদবপুর, তালতলা, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই সব এলাকা নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    কেন কলকাতায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপট? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এডিশ মশা ডেঙ্গি (Dengue) রোগ ছড়ায়। আর ম্যালেরিয়ার রোগ বহন করে অ্যানোফিলিস মশা। এডিশ মশা পরিষ্কার জলে জন্মায়। যেমন টব, বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক। আবার অ্যানোফিলিস মশা বড় জলা জায়গায় বংশবিস্তার করে। কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। কোথাও অল্প জল আবার কোথাও অপরিচ্ছন্ন এলাকা। ফলে, যে কোনও ধরনের মশার বংশবিস্তার সহজ। আর তাই কলকাতা জুড়ে মশার জোড়া দাপট। বৃষ্টি হলেই কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। বৃষ্টি থামলেও, জল নামতে কয়েক দিন চলে যায়। আবার কলকাতার অধিকাংশ পার্ক অপরিচ্ছন্ন থাকে। ফলে, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? (Dengue)  

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন দিন জ্বর থাকলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনেক সময়ই ডেঙ্গি (Dengue) আর ম্যালেরিয়ার আলাদা উপসর্গ বোঝা যায় না। শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাওয়া, কাঁপুনি বা খিচুনি, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ হয়। ফলে, ডেঙ্গি নাকি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর তিন দিন টানা থাকলে একসঙ্গে ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাহলে নিশ্চিত হওয়া সহজ হয়। পাশপাশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। কিন্তু ম্যালেরিয়ার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব। ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এক্ষেত্রে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি বেশি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কমলেও দুর্বলতা সমস্যা তৈরি করছে। অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হলে তবেই বিপদ কমবে। তাই ডেঙ্গির পরে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    কোন ধরনের খাবার অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। হজমের গোলমাল হয়। অন্ত্রের একাধিক সমস্যা হয়। এতে শারীরিক জটিলতা বাড়ে। তাই ডেঙ্গির পরে জল কিংবা তরল জাতীয় খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে কমপক্ষে ৪ লিটার জল খেতে হবে। পাশাপাশি স্ট্রু, স্যুপ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাতে একদিকে দেহে জলের পরিমাণ ঠিক থাকে, পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার পেটের রোগ হয় না। ফলে দ্রুত সুস্থ (Dengue) হয়ে ওঠা যায়।

    নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ (Dengue)

    ডেঙ্গির পরে কিউই, মাল্টা, আপেল, নাশপাতির মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেল, নাশপাতির মতো ফলে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে ডেঙ্গি পরবর্তী সময়ে এই ফল বিশেষ উপকার করে। পাশাপাশি কিউই, মাল্টার মতো ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্রুত গড়ে ওঠে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে নিয়মিত ডিম সেদ্ধ খাওয়া জরুরি। ডিমে একাধিক ভিটামিন থাকে। তাছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় একদিকে যেমন দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে, তেমনি শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। 
    দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ডেঙ্গির পরে মলত্যাগে সমস্যা হয়। পেটে যন্ত্রণা হয়। আবার অন্ত্রে নানান অসুবিধা হয়। কিন্তু টক দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিত্যদিনের মেনুতে থাকলে হজম ভালো হবে। অন্ত্রের ঝুঁকি কমবে। ফলে, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত চিকেন স্ট্রু খাওয়া দরকার বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, চিকেন সহজপাচ্য। তাছাড়া চিকেন প্রাণীজ প্রোটিনে ভরপুর। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী জটিলতা কাটাতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত চিকেন স্ট্রু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে শিশুদের আরও বেশি দুর্বলতা দেখা দেয়। অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সময় লাগে। তাই শিশুদের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। নিয়মিত তাদের ফল আর সব্জি খাওয়ানো দরকার। পালং শাক, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ হবে। পাশপাশি দুধ, টক দই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। লেবুর রস, আপেলের পাশপাশি রোজ কলা খাওয়া দরকার। এতে শিশুদের ডেঙ্গি পরবর্তী শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি কমে। শরীরে অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে রোগের দাপট। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডে কাবু রাজ্যবাসী। তার মাঝেই নতুন উদ্বেগ হাজির। কালাজ্বরের (Black fever) দাপট ক্রমশ রাজ্যে বাড়ছে। ফলে, রাজ্যের মানুষের জন্য আরও এক বিপদ ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে কালাজ্বরে (Black fever) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ জন। মালদহ, বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় কালাজ্বরের দাপট রয়েছে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওঁই ব্যক্তি মালদহের বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান। এই ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, তা নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। কারণ, এই ধরনের রোগে সংক্রমণের প্রকোপ বোঝা জরুরি, পাশপাশি কোন ধরনের সমস্যা থাকলে রোগীর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা করা দরকার। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যায়।

    কীভাবে বুঝবেন কালাজ্বর (Black fever)? 

    চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। বারবার জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সতর্ক হতে হবে। পাশপাশি পেটে যন্ত্রণা হয়। কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ হল পেটের উপরের অংশে যন্ত্রণা। পেট ফুলে যাওয়া আর শরীরের ওজন দ্রুত কমে গিয়ে হাত-পা লিকলিকে রোগা হয়ে যাওয়া কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়া, কালাজ্বর হলে ত্বকে কালো ছোপ দেখা দিতে পারে। জ্বর হলে শরীরের কোন অংশের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়া, কালাজ্বরের (Black fever) অন্যতম উপসর্গ হল ডায়ারিয়া। জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা মারাত্মক বাড়লে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।

    কালাজ্বর কি সংক্রামক রোগ? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বর (Black fever) ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগ। তবে, কালাজ্বর মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এলাকার কেউ কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে, অন্যদের সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা না বাড়লে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের ওষুধ বহু বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। কালাজ্বর (Black fever) হলে তার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তাই কালাজ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু কালাজ্বর ঠেকাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি। বর্ষাকালে পেটের অসুখ, ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত জল খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। পরিশ্রুত জল খেতে হবে। বাচ্চাদের বাড়তি নজরদারি করতে হবে। যাতে তাদের কোনও ভাবে পেটের সমস্যা না হয়। তাহলেই সংক্রমণ রোগ ঠেকানো সহজ হবে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস (Diabetes) আর বয়স্কদের রোগের তালিকায় আটকে নেই! তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এই রোগ এখন শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত ১২ বছর পেরলেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে! যার প্রভাব পড়ছে পড়াশোনা, খেলাধুলোয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা না বাড়লে বিপদ বাড়বে! অভিভাবক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। না হলে বড় বিপদ হতে পারে!

    কাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তিরিশ পেরনোর আগেই অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। সন্তান জন্মের পর তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সব শিশুর জন্মের সময় ওজন ৩.৫ কেজির বেশি থাকে, তাদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, পরবর্তীতে তাদের স্থূলতা বাড়ার ঝুঁকি বেশি। ফলে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। পাশপাশি, যাদের জন্মের সময় ওজন ২.৫ কেজির কাছাকাছি থাকে, কিন্তু তিন-চার বছর বয়স থেকেই ওজন মারাত্মক বাড়তে থাকে, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। 
    ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দশ জন ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের মধ্যে আগে গড়ে ২-৩ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হত। কিন্তু গত দশ বছরে দেখা যাচ্ছে, প্রতি দশ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে গড়ে ৫-৬ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী থাকছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এছাড়া ভারতে শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রকোপও বাড়ছে।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের বদলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি বাড়ছে। ১২-১৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের শারীরিক কসরতের প্রবণতা কমে গিয়েছে। তারা অধিকাংশ সময়েই বসে থাকছে। কখনও পড়াশোনা, কখনও ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। মাঠে খেলাধুলোর সময় একেবারেই কম। দিনের খুব কম সময় তারা শারীরিক কসরত করে। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া আধুনিক জীবনের খাদ্যাভ্যাস এই রোগের প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন নানান প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবার স্থূলতা ডেকে আনে। তাছাড়া, ডোনাট, চকোলেট খাওয়ায় অভ্যস্ত অনেক শিশু। এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে? 

    সম্প্রতি সুইডেনের একদল গবেষক স্কুল পড়ুয়াদের ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াদের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। তাই তাদের অনেক সময়ই বুঝতে অসুবিধা হয়। ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত পড়ুয়ারা বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে, নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না। অনুপস্থিতির হার বেশি হয়। এর প্রভাব তাদের পড়ার ক্ষেত্রেও পড়ে। পাশপাশি খেলাধুলোর প্রতি অনীহা তৈরি হয়।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা কীভাবে সতর্ক হবেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত যদি সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা যায় কিংবা বারবার জল খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত থাকেন, তাহলে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা জরুরি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা। 
    অতিরিক্ত তেলে ভাজা আর মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের ডায়েটে সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত ডোনাট, চকোলেট একেবারেই দেওয়া যাবে না। শিশুদের জলখাবারে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। কর্নফ্লেক্স, দুধ, কিসমিস, কাজুর মতো ড্রাই ফ্রুট, আপেল, পেয়ারা, নাশপাতির মতো ফল খেতে হবে। ভাতের পরিমাণ না বাড়িয়ে ডাল, সব্জি, চিকেন, মাছের মতো খাবার বেশি খেতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। 
    স্কুল কর্তৃপক্ষকেও ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলে বহু পড়ুয়া এই রোগে আক্রান্ত থাকবে। তাদের সুস্থ রাখতে স্কুলে আলাদা ভাবে মেডিক্যাল স্টোর রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিজ্ঞাপনেই আটকে প্রতিশ্রুতি! ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে হয়রানির শেষ নেই

    Dengue: বিজ্ঞাপনেই আটকে প্রতিশ্রুতি! ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে হয়রানির শেষ নেই

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি হলেই সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ! এক ফোনেই পাওয়া যাবে প্রশাসনের সাহায্য! কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত জানাচ্ছেন, বিজ্ঞাপনেই আটকে আছে প্রতিশ্রুতি! তাই ডেঙ্গি মোকাবিলার কন্ট্রোল রুম নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন!

    কী আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রয়েছে কন্ট্রোল রুম। দিনরাত সেখানে থাকবেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে পারেন রাজ্যবাসী। আক্রান্ত কী করবেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য থেকে প্লেটলেট কোথায় পাওয়া যাবে কিংবা হাসপাতাল সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানতে পারবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ রুখতে যে কোনও রকম সাহায্য পাবেন।

    কন্ট্রোল রুম নিয়ে কী অভিযোগ উঠছে? 

    বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই অন্য রকম বলে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তদের হয়রানি বিস্তর। কিন্তু প্রশাসনকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। গিরিশ পার্কের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের অতনু রায়ের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে তাঁর স্ত্রী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্লেটলেট এক লাখের নীচে নেমে গিয়েছিল। চিকিৎসক রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেও প্লেটলেট পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে তারাও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। কোথায় প্লেটলেট পাওয়া যেতে পারে, সেই তথ্যও তারা জানায়নি। পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে প্লেটলেট পাওয়া যায়। 
    দমদমের বাসিন্দা বছর তিরিশের পারমিতা সাহার অভিযোগ, ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায় না। কর্মীরা অধিকাংশ সময়েই ফোন ধরেন না। এমনকি ফোন ধরলেও তাঁরা সমস্যা জানার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁর অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর ষাটোর্ধ্ব বাবা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি ছিল। কিন্তু একাধিক সরকারি হাসপাতাল জানায়, শয্যা ফাঁকা নেই। কোথায় ভর্তি করা যেতে পারে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন পারমিতা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, কন্ট্রোল রুম সমস্যা শুনে ফোন কেটে দেয়। বারবার ফোন করলেও ঠিকমতো উত্তর পাননি।

    পুরসভাও নির্বিকার

    পারমিতা সাহা কিংবা অতনু রায় ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন রাজ্যের অধিকাংশ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের পরিবারের ভুক্তভোগীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রুখতে পুরসভাকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় জল জমছে। বারবার জানিয়েও তা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। তার উপর আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। সব মিলিয়ে হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    কন্ট্রোল রুম নিয়ে অভিযোগ মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) সমস্যা দেশ জুড়ে হচ্ছে। অযথা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা ঠিক নয়। রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কখনও হয়তো কেউ অসুবিধায় পড়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সাহায্য পাচ্ছেন। দরকারে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা নিজেরাই যোগাযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। একদিকে রাজ্যবাসী ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার। আর এই সময়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে আরেক সঙ্কট (Rabies Vaccination) ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। হয়রানির পাশপাশি প্রাণ সংশয় বাড়ছে রাজ্যের মানুষের। তাই চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, উদ্বিগ্ন সব মহল।

    কোন নতুন বিপদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে? 

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা রেবিস ভ্যাকসিনের (Rabies Vaccination) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্যান্সারের থেকেও বেশি ভয়াবহ এই রোগের একমাত্র মোকাবিলার উপায় রেবিস টিকা। কিন্তু এই টিকা এখন সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত নেই। তাই চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানুষ রেবিস টিকা নেওয়ার জন্য যান। কিন্তু সেখানেও এখন টিকা পর্যাপ্ত নেই। সবচেয়ে বেশি সঙ্কট মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পুরুলিয়ার মতো জেলার হাসপাতালগুলোতে। অধিকাংশ জেলার হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার।

    কী ধরনের হয়রানির অভিযোগ উঠছে? 

    কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রুখতে প্রয়োজন রেবিস টিকা। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পাঁচ বার এই টিকা নেওয়া জরুরি। নিয়ম মতো জলাতঙ্কের মতো এই মারণ রোগ রুখতে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রেবিস টিকা দেওয়া হবে। পাঁচটি ভ্যাকসিন (Rabies Vaccination) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে টিকা নেই। কিন্তু কোথায় টিকা পাওয়া যাবে, সে বিষয়েও রোগীকে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার। একের পর এক হাসপাতালে টিকার জন্য ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। এরফলে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। 
    এছাড়াও লাগামহীন ভাবে রেবিস টিকার দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে টিকা অমিল। আর এই সুযোগে অনেকেই টিকার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক ডোজের দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, বিনামূল্যের পরিষেবা কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিবার।

    কেন উদ্বেগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জলাতঙ্ক মারণ রোগ। সময় মতো টিকা (Rabies Vaccination) না নিলে মৃত্যু ঠেকানো মুশকিল। কিন্তু অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে এখন টিকা না থাকার অভিযোগ উঠছে। এমনকি হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমন্বয়ের অভাব চিন্তা বাড়াচ্ছে। কারণ, কোনও একটি এলাকার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে টিকা না থাকলে রোগী কোথায় যাবেন, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের জানানো উচিত। সেই তথ্য না দিলে সময় নষ্ট হবে। বিশেষত জেলার মানুষের ভোগান্তি বেশি। কারণ, অধিকাংশ জেলায় যাতায়াতের নানা অসুবিধা রয়েছে। অনেকেই সময় মতো টিকা পাচ্ছেন না। বিপদ বাড়ছে। তাই জলাতঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় রেবিস টিকার (Rabies Vaccination) জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক সময়ই কেন্দ্র টিকা পাঠাতে দেরি করে। তখন সঙ্কট তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও দায় নেই। সময় মতো টিকা এলেই তা রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে বন্টন করা হয়। 
    যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য টিকার চাহিদা জানাতে দেরি করে। ফলে, কেন্দ্রের টিকা পাঠাতে সময় লাগে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ঠিক সময়ে কাজ করতে না পারার জেরেই ভোগান্তি সাধারণ মানুষের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share