Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে এখন জ্বরের দাপট। কেউ সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, কেউ ভাইরাসঘটিত জ্বরে। আবার কোথাও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ দাপট দেখাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো জটিল ভাইরাসঘটিত জ্বর, নাজেহাল আট থেকে আশি। কিন্তু এর মধ্যেই বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাই প্রয়োজন সচেতনতার।

    কেন অ্যান্টিবায়োটিক বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামান্য সর্দি-কাশি হোক কিংবা কোনও সাধারণ ভাইরাসঘটিত জ্বর বা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ, অনেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক রোগীই ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) কিনে খাচ্ছেন। সম্পূর্ণ কোর্স করছেন না। অর্থাৎ, যে অ্যান্টিবায়োটিক চারটি খাওয়া দরকার, নিজের অনভিজ্ঞতার জেরে দুটো খাওয়ার পরেই বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে, শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

    কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক সব রোগের নিরাময় নয়। একথা অধিকাংশ মানুষ বোঝেন না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগ কমে না। বরং ভোগান্তি বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক যেমন রোগ কমাতে পারে না, তেমনি শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যার জেরে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। রক্তচাপ ওঠানামা করে। সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্বর আর সর্দি-কাশিতে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করলে একাধিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি হয় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। লিভার, কিডনির মতো অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বিশেষত শিশুদের যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন অধিকাংশ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের একাধিকবার সর্দি-কাশি হয়। বারবার অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাবে। দীর্ঘ জীবনে নানা জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমবে। যা পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
    অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরির ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হল, শরীরে আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা এমন কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে, যখন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা জরুরি, তখন শরীর সাড়া দেয় না। ফলে রোগীর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া চলবে না। ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বিপদ বাড়ায়। কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কখন খেতে হবে, কতগুলো খেলে শরীরের জন্য ঠিক, তা একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলতে পারবেন। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিলে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর তার জেরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট চরমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের ভর্তির জায়গা নেই। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। অনেক সময় মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকছেন ডেঙ্গি-আক্রান্ত। অনেক সময় আক্রান্তকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়িতে থাকলে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে!

    রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্ত কত? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসাবে পরিসংখ্যান অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী মাসে আরও কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবেন। তাই হাসপাতালে শয্যার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আক্রান্তের অনুপাতে পরিষেবা দেওয়া কতখানি সম্ভব, সে নিয়েও সংশয় থাকছেই। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি।

    বাড়িতে চিকিৎসায় (Dengue) কোন দিকে নজরদারি জরুরি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনেকে জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাতে দেরি করছেন। ফলে, রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বাড়ছে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। আবার অনেকের ডেঙ্গির (Dengue) সব উপসর্গ প্রকট হচ্ছে না। অর্থাৎ, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই সামান্য সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কয়েক দিন ভোগান্তির কারণ হলেও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    জল খাওয়ায় নজর

    ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে সবচেয়ে বেশি নজরদারি দিতে হবে জল খাওয়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বডি ফ্লুইড অর্থাৎ শরীরে তরল পদার্থ যাতে কোনও ভাবেই না কমে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ শরীরে তরল উপাদান কমলে মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়মিত যে পরিমাণ জল খান, তার থেকে অন্তত ১ লিটার বেশি জল খাবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি নিয়মিত ৩ লিটার জল খান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অন্তত ৪ লিটার খেতেই হবে। এর পাশপাশি ফলের রস, দুধ, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এই সব খাবারে একদিকে শরীরের পুষ্টি হবে, আরেকদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করবে।

    অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট

    ডেঙ্গি আক্রান্তকে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। যাতে তার থেকে অন্যদের রোগ না ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ খুব দ্রুত হয়। তাই আক্রান্তকে আলাদা ঘরে রাখার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিয়ম করে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট মাপা জরুরি। বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত এই দুটি বিষয় মাপার বিষয়ে নজরদারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, আবার প্লেটলেট কমলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই ঠিক রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করা প্রয়োজন। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরের কোনও অংশ লাল হচ্ছে কিনা, রক্তপাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ, এগুলো পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার লক্ষণ। তাই বাড়িতে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত থাকলে এসব বিষয়ে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। তবে, ভারতীয়দের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের সমস্যার বোঝা বাড়ছে এ দেশে! তাই ওয়ার্ল্ড লাং ডে (World Lung Day) উপলক্ষ্যে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশেষ কিছু দিকে নজর দিলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। কমবে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি।

    ভারতে কোন ধরনের ফুসফুসের রোগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের রোগ মানেই ক্যান্সার নয়। ক্যান্সার ছাড়াও একাধিক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বিভিন্ন বয়সীরা। তবে, ফুসফুসের রোগের তালিকায় প্রথমেই আছে হাঁপানি। দেশ জুড়ে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। শিশুকাল থেকেই অনেকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। প্রত্যেক বছর ৪-৫ শতাংশ শিশু হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। 
    হাঁপানির পরেই ফুসফুসের যে রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তা হল নিউমোনিয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ, ভারতে সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের রোগে মৃত্যুর কারণের পিছনে থাকে নিউমোনিয়া। ফুসফুসে জল জমে বিকল হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। 
    এর পাশাপাশি ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিসঅর্ডার (সিওপিডি) ভারতে অন্যতম ফুসফুসের রোগ (World Lung Day)। গোটা বিশ্বের মোট সিওপিডি রোগীর ৩৮ শতাংশ ভারতীয়। এর থেকেই স্পষ্ট, এ দেশে ফুসফুসের সমস্যা ক্রমশ উর্ধ্বগামী।

    কীভাবে ফুসফুস সুস্থ রাখা যাবে (World Lung Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। ভারতে ধূমপায়ীর সংখ্যা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কিশোর বয়স থেকেই ধূমপান করার প্রবণতা বাড়ছে। লাগাতার ধূমপানের জেরে যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি ফুসফুসের রোগের অন্যতম কারণ ধূমপান। হাঁপানি রোগীদের ধূমপানের অভ্যাস মৃত্যুর আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর কিশোরকাল থেকে লাগাতার ধূমপানের অভ্যাস সিওপিডি কিংবা লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 
    নিজে ধূমপান বন্ধ করার পাশপাশি পরিবারের কেউ যাতে ধূমপান না করে, সে দিকেও সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, ধূমপানের ধোঁয়া অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের জেরেও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অর্থাৎ, অন্য কেউ ধূমপান করছে, সেই ধোঁয়া লাগাতার নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলেও বিপজ্জনক। তাতেও হাঁপানি, সিওপিডি-র ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    নিয়মিত তুলসীপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে মধু আর তুলসরপাতা একসঙ্গে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে (World Lung Day)। এই অভ্যাস ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস ফুসফুসকে সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ফুসফুস ভালো থাকে। এছাড়াও বেরি, অ্যাপ্রিকটের মতো ফল ফুসফুস ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত সবজির তালিকায় টমেটো আর কুমড়ো রাখলে ফুসফুস ভালো থাকবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এই দুই সবজি ফুসফুসের সক্রিয়তা বাড়ায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Salt in Diet: অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস! কোন কোন  বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন কি?

    Salt in Diet: অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস! কোন কোন বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে রোগের ধরন বদলে যাচ্ছে। ভারতীয়দের অধিকাংশ শারীরিক সমস্যাই এখন জীবন যাপনের ধরন সম্পর্কিত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়দের অতিরিক্ত নুন খাওয়ার (Salt in Diet) অভ্যাস নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। ফলে, একাধিক নিঃশব্দ মহামারি হানা দিচ্ছে। জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, তার প্রভাবের ভয়াবহ রূপ নিয়ে মানুষ বুঝতে পারছেন। 

    কীভাবে নুন সমস্যা বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন এবং তেল সমস্যা বাড়াচ্ছে। দিনে যেমন চার চামচের বেশি তেল খাওয়া উচিত নয়, তেমনি নুন খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা দরকার। দিনে ২ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় দিনে ১০ গ্রামের বেশি নুন খান। এর ফলে দেহে নুন চাহিদার তুলনায় বেড়ে যায়। সবজি কিংবা মাছ-মাংস রান্না করার সময় নুন ব্যবহার ছাড়াও অনেকের আলাদা ভাবে নুন খাওয়ার (Salt in Diet) অভ্যাস রয়েছে। যা শরীরের জন্য আরও সমস্যা বাড়ায়। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নুন রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি করে। ফলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। 

    কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নুন (Salt in Diet)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন খেলে (Salt in Diet) সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বাড়ে হাইপারটেনশনের। রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। যার ফলে শরীর অস্থির হয়ে ওঠে। সর্বোপরি হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়দের মৃত্যুর কারণ হিসাবে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদরোগ। হার্ট অ্যাটাকের জেরে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আর হৃদরোগ বেড়ে চলার অন্যতম কারণ হাইপারটেনশন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশন একটা জীবন যাপনের ধরন সংক্রান্ত রোগ। তাই খাবারের ধরন বদল করলেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। 
    হাইপারটেনশনের পাশাপাশি অতিরিক্ত নুন খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পা ফুলে যাওয়া, কিডনিতে সমস্যার মতো একাধিক রোগের কারণ অতিরিক্ত নুন খাওয়া। এছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ নুন খাওয়া। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

    কোন পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, জীবন যাপনে বদল আনলেই বড় বিপদ এড়িয়ে চলা যাবে। তাই প্রথমেই তেল ও নুন খাওয়ায় (Salt in Diet) নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্যালাড বা ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় একেবারেই অতিরিক্ত নুন মেশানো চলবে না। অনেকেই শশা, পেঁপে, পেয়ারা জাতীয় খাবারে নুন মিশিয়ে খান। সেগুলো একেবারেই করা চলবে না। তাছাড়া, ফ্রোজেন খাবার, যেমন বার্গার, হটডগ, এই জাতীয় খাবারে যে ধরনের মাংস ব্যবহার করা হয়, তাতে অতিরিক্ত নুন থাকে। তাই এই খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    তবে, নুন খাওয়া কমানোর পাশপাশি তেলের দিকেও নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই তেলেভাজা, কিংবা অতিরিক্ত মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। পাশপাশি অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইপারটেনশনের মতো নিঃশব্দ মহামারি রুখতে খাবারের পাশপাশি নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম নেওয়া, মানসিক চাপ কমানোর জন্য দিনের নির্দিষ্ট সময় পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা, সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার মতো অভ্যাস রাখা জরুরি। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীর ও মন সুস্থ রাখা দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • World Alzheimer’s Day: নিজের লোককেও চিনতে পারছেন না? সব ভুলে যাচ্ছেন? সময় থাকতে সতর্ক হন

    World Alzheimer’s Day: নিজের লোককেও চিনতে পারছেন না? সব ভুলে যাচ্ছেন? সময় থাকতে সতর্ক হন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বদলে যাচ্ছে বয়স্কদের সমস্যা। শুধু শরীর নয়, একাধিক মানসিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আবার এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা শরীর আর মন দুটো দিকেরই ক্ষতি করছে। তেমনই এক স্বাস্থ্য সমস্যা হল অ্যালজাইমার্স। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব অ্যালজাইমার্স সচেতনা দিবস (World Alzheimer’s Day)। এই উপলক্ষ্যে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্কতা বড় বিপদ এড়াতে পারে। ভালো মানের জীবন যাপনের জন্য প্রথম উপসর্গ দেখা দিলেই সচেতন হওয়া জরুরি।

    অ্যালজাইমার্স কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালজাইমার্স এক ধরনের স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা। মানসিক, স্নায়বিক একাধিক সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষদের এই রোগ বেশি হয়। নিত্যদিনের ঘটনা এই রোগে আক্রান্তরা মনে রাখতে পারেন না। সাধারণ ঘটনা এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদের চিনতেও তাঁদের অসুবিধা হয়। আর এই সমস্যার জেরে তাঁদের শারীরিক ক্ষমতাও কমতে থাকে। ফলে, তাঁদের জীবন যাপনের মান কমে (World Alzheimer’s Day)।

    ভারতে অ্যালজাইমার্স আক্রান্ত কতজন? 

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে অ্যালজাইমার্স সমস্যা বাড়ছে (World Alzheimer’s Day)। প্রায় ৮০ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিক অ্যালজাইমার্সের সমস্যায় ভুগছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথম থেকে রোগ নির্ণয় করতে না পারার জেরে তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে।

    কোন ধরনের উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়? 

    স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হলেও একাধিক উপসর্গ রোগের ইঙ্গিত দেয়। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগে আক্রান্তদের ব্যবহারের পরিবর্তন দেখা যায়। অতিরিক্ত রাগ, কাছের মানুষদের অকারণে দুর্ব্যবহার করা, মানসিক অবসাদে ভোগার মতো উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী একাকিত্বে ভোগেন। ফলে, সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া অ্যালজাইমার্সের (World Alzheimer’s Day) মতো সমস্যা দেখা দিলে পেশির শক্তি কমতে থাকে। স্নায়ু ও পেশির একাধিক সমস্যা হতে থাকে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় লেখার ক্ষমতা থাকে না। এছাড়াও খুব অল্প দিন আগের ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা কিংবা খুব পরিচিত মানুষের নাম মনে রাখতে না পারার মতো সমস্যা প্রবীণ মানুষদের বারবার হলে সতর্ক থাকা জরুরি।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালজাইমার্সের (World Alzheimer’s Day) মতো সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি সম্ভব নয়। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা যেন বাড়াবাড়ি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে রোগী ও কেয়ার গিভার, দুজনের যত্ন প্রয়োজন। 
    অ্যালজাইমার্স আক্রান্তের সব সময় দেখভালের একজন মানুষ প্রয়োজন। আর তিনিই হলেন কেয়ার গিভার। তাঁর যত্ন সমানভাবে জরুরি। অ্যালজাইমার্স আক্রান্ত যাকে সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন, তিনিই হন কেয়ার গিভার। সাধারণত পরিবারের কোনও সদস্য কেয়ার গিভারের দায়িত্ব পালন করেন। তাই রোগী ও কেয়ার গিভারের সম্পর্ক যত গভীর হবে, সমস্যা তত কম হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে। অ্যালজাইমার্স আক্রান্তদের পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আক্রান্তের নিয়মিত বই এবং খবরের কাগজ পড়া দরকার। তাছাড়া, খুব সাধারণ হিসাব, যেমন সহজ যোগ, বিয়োগ নিয়মিত করা দরকার। এতে আক্রান্তের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে।
    নিয়মিত বাইরে যাওয়া, অন্তত এক ঘণ্টা খোলা মাঠ কিংবা পার্কে সময় কাটানো দরকার। তাতে আক্রান্তের একাকিত্ব বোধ কাটবে। কথা বলার ক্ষমতা বজায় থাকবে। 
    তবে, আক্রান্তের এই যত্ন ও থেরাপির পাশাপাশি কেয়ার গিভারের যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ, সব সময় আক্রান্তকে ছোট ছোট জিনিস মনে করিয়ে দিতে হয়। খাবার খাওয়া, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম ও পরিচয় বারবার দেওয়ার কাজও করতে হয়। অবিরত এই খেয়াল রাখার জন্য কেয়ার গিভারের মধ্যেও অবসাদ, ক্লান্তির মতো নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই তার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং বিনোদন জরুরি। যাতে একঘেয়েমি গ্রাস না করে। 
    আর এই সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের জন্য একাধিক কর্মশালার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে করোনার স্মৃতি! ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন। এবার অবশ্য নেপথ্যে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)! কিন্তু কেরলের পরে সংক্রমণের ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী এই নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, নিপা ভাইরাস এক ধরনের জুটোনিক ভাইরাস। প্রাণীর দেহ থেকেই মানুষের দেহে এই রোগ ছড়ায়। সাধারণত বাদুড় জাতীয় প্রাণীর থেকেই মানুষের দেহে এই ভাইরাস (Nipah Virus) হানা দেয়। তারপরে সংক্রমণ ছড়ায়।

    কেরলের কী পরিস্থিতি? 

    সম্প্রতি, কেরলে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus) দাপট বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কোঝিকোড় সহ একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় এড়ানো, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

    কেন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা থাকছে? 

    কেরলে নিপা ভাইরাসের দাপট বাড়তেই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেরলের পরে যে কয়েকটি রাজ্যের নিপা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও অসম, মেঘালয়, বিহার, তামিলনাড়ু নিয়েও বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ওই রিপোর্ট। 
    সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই সর্দি-কাশি আর জ্বরকে এই মরশুমে সাধারণ সমস্যা বলে আর অবহেলা করা চলবে না। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ হলেই নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। অর্থাৎ, আলাদা ঘরে আলাদা ভাবে থাকতে হবে। যাতে রোগ (Nipah Virus) সংক্রমণ না হয়। তাছাড়া, বাইরে গেলে মাস্ক পরা আবশ্যক বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাইরে থেকে ফিরে পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ঠিক মতো হাত পরিষ্কার করতে হবে। সাবান দিয়ে ঠিকমতো হাত ধোয়া দরকার। তাহলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, অধিকাংশ শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। তাই এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারত জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ! হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি একাধিক হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়দের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ (Heart Attack)। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ভারতীয়র ৫০ শতাংশ ৫৫ বছরের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উর্ধ্বে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত। মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

    তরুণ প্রজন্মের কেন বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের। বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপ এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাজের ডেড লাইনের চাপ বড্ড বেশি থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আর অধিকাংশের এই নির্দিষ্ট সময় আসলে খুবই সীমিত হয়। এছাড়াও আধুনিক কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা আর প্রতিযোগিতা বেশি। ফলে, অধিকাংশই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। যা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন এই চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। 
    মানসিক চাপের পাশপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ বিরিয়ানি, পিৎজার মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে অভ্যস্থ। অতিরিক্ত প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় মশলাদার খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। আর এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কীভাবে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমানো যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে নয়। হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমাতে কুড়ির শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘরে ঘরে হৃদরোগ আক্রান্তদের দেখা যাবে। ফলে, হৃদরোগ কমবেশি সকলের পারিবারিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে, কম বয়স থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না হয়। খাওয়ার দিকে তাই বিশেষ নজর দিতে হবে। খাবারে নুন, মশলা ও তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। তেলে ভাজা একেবারেই বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষত প্রিজারভেটিভ খাবার যেমন বার্গার, হটডগ, পিৎজা যেগুলোতে অতিরিক্ত নুন ও মশলা দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের স্বাদ ধরে রাখা হয়, সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। 
    পাশপাশি ভারতীয়দের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়মিত যোগভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে। এতে শরীর ও মন, দুই ভালো থাকবে। নিয়মিত হাঁটা, যোগাসন করার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার মতো মহামারি হোক, বা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত সংক্রামক রোগ, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যবাসী। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগ (Chickenpox) হাজির! বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, বছরের শেষে নতুন উদ্বেগ বিপদ বাড়াতে পারে! তাই আগাম সতর্কতা জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, বছরের শেষে হানা দিতে পারে চিকেন পক্স (Chickenpox)। শীতের শুরুতে প্রত্যেক বছরেই চিকেন পক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর উদ্বেগ বেশি। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি বছরে চিকেন পক্সের প্রকোপ বেশি। বিশেষত শিশুদের চিকেন পক্স বেশি হচ্ছে। তবে, বাড়তি উদ্বেগের কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের দেহে নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত ভারতে যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, তার থেকে ভিন্ন। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, ভারতীয় শিশুদের অধিকাংশের চলতি বছরে সেই প্রজাতির চিকেন পক্স হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয়, নতুন প্রজাতি নয়া রূপে হাজির হলে চিকিৎসায় সমস্যা হবে না তো!

    নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ কেন? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, একই রোগ (Chickenpox) নতুন প্রজাতি নিয়ে হাজির হলে অনেক সময়েই প্রচলিত চিকিৎসা কাজ করে না। তাই বিপদ বাড়ে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। যে ওষুধ ও টিকা চিকেন পক্স রুখতে ব্যবহার করা হয়, তারা নতুন প্রজাতির দাপট কমাতে কতখানি কার্যকর হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। চিকেন পক্সের সংক্রমণ শক্তি প্রবল। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, চিকেন পক্সের (Chickenpox) টিকা নেওয়া আবশ্যক। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের এই টিকা অবশ্যই দেওয়া দরকার। এতে বড় বিপদ এড়ানো যায়। নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স রুখতে প্রচলিত টিকা সক্ষম নয়, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই টিকা অবশ্যই নিতে হবে। এতে পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ না হলেও বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকেন পক্স হলে অনেক ক্ষেত্রে লিভার, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের বড় বিপদের ঝুঁকি কমে। তাই শিশুদের শীতের আগেই এই টিকা নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তার পাশপাশি, বড়দের জন্যও টিকাকরণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের হার খুব কম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড়দের থেকেই সংক্রামক রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই বড়দের সুস্থ থাকার দিকে বেশি নজরদারি জরুরি। টিকাকরণ হলে তবেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাই চিকেন পক্সের দাপট রুখতে জরুরি টিকাকরণ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ উর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডেঙ্গি আরও দাপট বাড়িয়েছে। আর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এ বছরে ডেঙ্গি আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই বাড়ছে প্রাণ সংশয়।

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য কী বলছে? 

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ বাড়ছে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রথম দশদিন পরে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার। অর্থাৎ, দশ দিনের মধ্যে রাজ্যে ছ’হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক।

    কোন জটিলতা তৈরি করছে ডেঙ্গি (Dengue)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) এবার শুধু জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, বমি কিংবা হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা আর ক্লান্তিভাবের মতো উপসর্গতেই আটকে থাকছে না। প্লেটলেট কমলেই একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যা আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অধিকাংশের প্লেটলেট কমলেই অন্তঃক্ষরণ শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ শরীরের ভিতরে রক্তপাত শুরু হচ্ছে। ফলে, বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে। যা প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি করে। 
    এছাড়াও, ডেঙ্গি আক্রান্তের হৃদস্পন্দনের গতি অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় এ বছরে অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্ত ভুগছে। কখনও হৃদস্পন্দন বেশি আবার কখনও কম হচ্ছে। ফলে, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকি হৃদপিণ্ডের জটিল সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। 
    প্লেটলেট কমার জেরে লিভার ও ফুসফুসে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের একটি বড় অংশের ফুসফুসে জল জমছে। ফলে, তাঁরা নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্ত্র ও লিভারের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের কিডনির কার্যকারিতা কমছে। ফলে, শারীরিক জটিলতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ থাকতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, সামান্য জ্বর কিংবা সর্দিকেও অবহেলা করা চলবে না। বমি, জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়া আটকানো কিছুটা সহজ হয়। পাশপাশি প্লেটলেট কাউন্ট অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেগুলো করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। 
    তবে, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির জেরে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যের মানুষ। তার পরেও কেন প্রশাসনিক সক্রিয়তা বাড়েনি? কবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? কারণ, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি রুখতে পারবে না। প্রশাসনিক সক্রিয়তা ছাড়া ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ আটকানো কঠিন বলেও মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Malaria: ৬০ পেরিয়ে ম্যালেরিয়ায় কি বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা? কীভাবে বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার দাপটে শক্তি বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। মশাবাহিত এই রোগের দাপট কলকাতার পাশপাশি হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি জেলাতেও অব্যাহত। ম্যালেরিয়ার ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা বাড়ছে। ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু ঘটছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কোন ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে? 

    সম্প্রতি লেকটাউনের বছর ৭০-এর বাসিন্দা ম্যালেরিয়ায় (Malaria) আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ওই প্রৌঢ় প্রায় আট দিন ম্যালেরিয়ায় ভুগেছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। তিনি মারা যান। আর এই ঘটনায় স্পষ্ট হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও ম্যালেরিয়ায় প্রাণনাশের ঘটনা ঘটতেই পারে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি (Malaria)? 

    ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে, সাবধানতা অবশ্যই সকলের সমান নেওয়া দরকার। কিন্তু শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি বাড়তি চিন্তার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ায় (Malaria) জ্বরের পাশপাশি সর্দি, মাথাব্যথা হয়। তবে, জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে ডায়ারিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। অনেক সময়েই ম্যালেরিয়া হলে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ দেশে বয়স্ক ও শিশুরা নানান ফুসফুস ঘটিত রোগে ভোগেন। ফলে, তাঁদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফুসফুস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই পরিস্থিতি যে শ্বাসকষ্ট তৈরি করে, তা অত্যন্ত জটিল। তাই ম্যালেরিয়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ। 
    এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া হলে ডায়ারিয়া হয়। ফলে, শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি বিপদ। ডিহাইড্রেশন শিশু ও বয়স্কদের প্রাণনাশের কারণ হতে পারে।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (Malaria)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বাড়ির আশপাশে জল জমতে দেওয়া চলবে না। আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। বাগান থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। টব বা অন্য কোনও জায়গায় যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই, মশাবাহিত রোগের দাপট কমানো সম্ভব। নিয়মিত নর্দমা ও আশপাশে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো জরুরি। 
    তবে, এরপরেও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয় না। তাই ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জ্বর তিনদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথাব্যথা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। তাই এই লক্ষণ স্পষ্ট হলে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করা উচিত নয়। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সব সময় আলাদা ঘরে মশারির ভিতরে থাকা উচিত বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। যাতে রোগ সংক্রমণ না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। 
    ম্যালেরিয়া আক্রান্তের জল খাওয়া দরকার। শরীরে যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ, ডিহাইড্রেশন রুখতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 
    পাশপাশি, ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের শৌচালয় ব্যবহারের আগে ও পরে ভালোভাবে শৌচালয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তাতে আক্রান্তের ডায়ারিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার অন্যদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই এদিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share