Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফুসফুসের বাড়তি যত্ন জরুরি। শ্বাস নেওয়ার সময়েও নজর রাখতে হবে, কতখানি শুদ্ধ বাতাস ফুসফুস পেল! আর তা না হলে হয়তো ক্যান্সার বিজয়ীর তকমা পেতে হবে! কিন্তু বিজয়ী কি সকলে হতে পারবেন? বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার (Lung Cancer) সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে এই প্রশ্ন সকলের সামনে রাখল বিশেষজ্ঞ মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতোই অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি করা হয়। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছ, সচেতনতার ঘাটতি এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল চ্যালেঞ্জ!

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) প্রকোপ কতখানি? 

    ভারতে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যান্সার (Lung Cancer) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ভারতে প্রথম যে চারটি ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে একটি ফুসফুসের ক্যান্সার। তিরিশ থেকে ষাট বছরের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি দেখা যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট মৃত্যুর ৯ শতাংশের কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার।

    কোন উপসর্গ জানান দেয় এই রোগের (Lung Cancer)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তের রোগ (Lung Cancer) নির্ণয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। উপসর্গ জানান দিলেও, শরীরকে অবহেলা এবং সচেতনতার অভাব এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী সময়মতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কিন্তু ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা এতটাই দেরিতে শুরু হয় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বারবার জ্বর হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। খুসখুসে কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। অনেকেই কাশি অবহেলা করেন। এমনকী কাশি হলে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তন বলে অবহেলা করেন। ফলে, পরবর্তীতে বিপদ বাড়ে। তাছাড়া অনেক সময়ই কাশি থেকে রক্তপাত হয়, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে কে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তামাক! সিগারেট কিংবা বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্যের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের জেরে একাধিক ঝুঁকি বাড়ে। যেমন, মুখ ও গলার ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে ধূমপান। তবে, এই সব ক্ষেত্রে যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুতর। শুধু যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে না, ধূমপান যাঁদের সামনে করা হচ্ছে, তাঁদের ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কারণ, ধূমপান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়কেই সমান প্রভাব ফেলছে। এমনকী গর্ভবতী মহিলার সামনে ধূমপান করলে, গর্ভস্থ শিশুর ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও ৬০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা তামাকজাত দ্রব্য সরাসরি সেবন করেন না। কিন্তু তাঁদের পরিবারের কেউ ধূমপান করেন। আর সেই ধোঁয়ার জেরে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। 
    তবে, তামাক ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে প্রধান কাণ্ডারি হলেও বায়ুদূষণকেও বাদ দিতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে দূষণ বাড়ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের মতো উপাদান বাড়লে শুদ্ধ বাতাসের ঘাটতি হয়। যা ফুসফুসের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই বায়ু দূষণ বাড়লে ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। কোনও ভাবেই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা চলবে না। এতে নিজের পাশপাশি পরিবারের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সচেতনতা জরুরি। প্রয়োজনে নানান কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিয়ে এই অভ্যাস বর্জন করতে হবে। তার পাশপাশি নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue Mosquito: ডেঙ্গির মশা চিনবেন কীভাবে? এর শক্তি সবচেয়ে বেশি কখন থাকে?

    Dengue Mosquito: ডেঙ্গির মশা চিনবেন কীভাবে? এর শক্তি সবচেয়ে বেশি কখন থাকে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় ৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু সতর্ক হবেন কীভাবে! ডেঙ্গি (Dengue Mosquito) নিয়ে তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিল বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে চিনবেন ডেঙ্গির মশা (Dengue Mosquito)? 

    পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির রোগ বহনকারী মশার নাম এডিস অ্যাজিপ্টি (Dengue Mosquito)। এই মশা আকারে ছোট ও কালো রঙের হয়। এরা খুব বেশি উড়তে পারে না।

    কীভাবে মশা (Dengue Mosquito) সংক্রমণ ছড়ায়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির জীবাণু মশা সরাসরি বহন করে না। চার ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে রোগ সংক্রমিত হয়। মশা (Dengue Mosquito) সেই ভাইরাসকে বহন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় DEN 1, DEN 2, DEN 3, DEN 4। এই চার প্রকারকে বলা হয় সিরোটাইপ। বিভিন্ন ভাবেই এই চার প্রকার সিরোটাইপ মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডিকে প্রভাবিত করে। তাই একজন ব্যক্তির চার বার ডেঙ্গি হতে পারে।

    কখন দাপট বাড়ে ডেঙ্গির মশার (Dengue Mosquito)? 

    সূর্য ওঠার দু’ঘণ্টা পর থেকেই দাপট বাড়ায় ডেঙ্গির মশা। ডেঙ্গির মশার বিপদ দিনেই বেশি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগে থেকেই ক্ষমতা কমে এই মশার। তাই দুপুরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির মশার উপদ্রব। তাছাড়া, শপিং মল, অডিটোরিয়ামের মতো যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত সূর্যের আলো থাকে না, অথচ উজ্বল কৃত্রিম আলো থাকে, সেখানেও ডেঙ্গির উপদ্রব বাড়ে। তাছাড়া, গরম ও বর্ষায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এই মশার (Dengue Mosquito) জীবনকাল তিন সপ্তাহ। শীতকালে এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই শীতকালে ডেঙ্গি সংক্রমণ কম।

    ডেঙ্গি সংক্রমণ জানান দেবে কীভাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির মশা কামড়ানোর তিন দিনের মধ্যেই জ্বর হয়। শরীরের উত্তাপ মারাত্মক বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ের পেশিতে ব্যথা, বমি হওয়ার মতো উপসর্গ ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয়।

    প্লেটলেট কমছে টের পাওয়া যায় কীভাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রক্ত পরীক্ষা করেই প্লেটলেটের হিসাব পাওয়া যায়। তবে, শরীরে কিছু উপসর্গও জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কিছুতেই না কমলে বাড়তি সজাগ হতে হবে। তার পাশপাশি, মাড়ি কিংবা নাক থেকে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে প্লেটলেট কমে গিয়েছে। তাছাড়া বারবার বমি এবং বমির সঙ্গে রক্ত বেরলেও চিন্তা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল রঙের দাগ তৈরি হলে জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। এই রকম উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Conjunctivitis: দাপট বাড়াচ্ছে ‘গোলাপি চোখ’! কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী করবেন? 

    Conjunctivitis: দাপট বাড়াচ্ছে ‘গোলাপি চোখ’! কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ভোগান্তির তালিকা। একে সর্দি-কাশিতে নাজেহাল অনেকেই। বিশেষত শিশু আর বয়স্কদের বাড়ছে ভোগান্তি। আর তার সঙ্গে বাড়ছে আরেক সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় বাড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস। যার আরেক নাম ‘পিঙ্ক আই’!

    কনজাঙ্কটিভাইটিস কী? 

    কনজাঙ্কটিভাইটিস হল চোখে এক ধরনের অ্যালার্জি। ভাইরাসঘটিত এই অ্যালার্জি মূলত চোখের সাদা অংশে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়। আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেও আরেক জন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত হন।

    কাদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা লাগলেই এই কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাঁরা সর্দি-কাশিতে বেশি ভোগেন, তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, শিশুদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি। স্কুল থেকে বহু শিশুই এই রোগে সংক্রমিত হয়। পরিবারের যে কোনও একজনের এই রোগ হলে, বাকি সদস্যদের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা।

    কনজাঙ্কটিভাইটিসের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে এক ধরনের চুলকানি হয়। দেখতেও অসুবিধা হয়। ঘুম থেকে উঠে চোখ ফুলে যায়। চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। বারবার চোখে অস্বস্তি বোধ হলে, চুলকানি অনুভব হলে এবং চোখ লাল হলেই সতর্ক হতে হবে।

    কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রথম উপসর্গ থেকেই সতর্ক হলে ভোগান্তি কম হবে। পাশপাশি পরিবারের অন্যদের মধ্যেও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। চোখে সামান্য লাল ভাব কিংবা চোখে চুলকানি হলে একেবারেই চোখে হাত দেওয়া যাবে না। বারবার হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, হাতের মধ্যেই এই জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া, চোখ বারবার জল দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার জলে বারবার চোখ ধুয়ে ফেললে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখের পাতা পরিষ্কার করতে হবে। এতে দেখার সমস্যা কমে, আবার সংক্রমণের তীব্রতাও কমে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগে আক্রান্ত হলে আলাদা ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যাতে এই রোগ পরিবারের অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত না হয়, তাই কালো চশমা পরে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। গত কয়েক দিনে রাজ্যে সাত জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আর তার পরেই বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য সচিব। কিন্তু বৈঠকে গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত ছাড়া, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কোনও দিশা নেই বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

    কী সিদ্ধান্ত (Dengue) হল স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে? 

    নদিয়া, কলকাত সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি হাসপাতালের সুপার। এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা এই বৈঠকে ছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব জানান, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে কেউ এলেই, তার ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক বছরের মতোই হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু হবে। আক্রান্তের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শয্যার যাতে সঙ্কট না হয়, তার আগাম ব্যবস্থা করতে হবে। অকারণ রেফার চলবে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিসি রায় শিশু হাসপাতালকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশপাশি, রক্তের সঙ্কট আটকাতে প্লেটলেট সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতর দিয়েছিল, অর্থাৎ, দশ হাজারের কম হলে তবেই প্লেটলেট দেওয়া হবে, সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে বলে এদিন ফের জানান স্বাস্থ্য সচিব। 
    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার উপরে বাড়তি নজরদারির কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই দুই জেলার বর্ডার এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় মোকাবিলা করতে হবে।

    কতখানি কার্যকরী এই সিদ্ধান্ত (Dengue)? 

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়। কিন্তু তারপরেও রোগী ভোগান্তি অব্যাহত থাকে। ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রত্যেক এলাকায় প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। যা হয় না। বর্ষার মরশুমে অধিকাংশ জায়গায় জল জমছে। রাস্তা, পার্ক, বসতি এলাকা অপরিচ্ছন্ন। আর তার জেরেই বাড়ছে মশার উৎপাত। মশা দমন করতে না পারলে ডেঙ্গি কমানো মুশকিল। আর এই কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পুর, পঞ্চায়েত দফতরের একসঙ্গে সক্রিয়তা জরুরি। যে সব জেলা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, অর্থাৎ, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই সব জেলার বাসিন্দারা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কাজ হয় না। তাই এই সব এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। চিন্তা বাড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ। তাছাড়া, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত আসে না। ফলে, একদিকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়, আরেকদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত নয়। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের হাতে কলমে কাজ করতে হবে। যার অভাব রয়েছে। তার জেরেই ভোগান্তি বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওয়ান লাইফ, ওয়ান লিভার! সুস্থ জীবন যাপনের জন্য লিভার সুস্থ থাকা হল প্রাথমিক শর্ত! বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে (World Hepatitis Day) এই বার্তাই দিল চিকিৎসক মহল। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস ডে! বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে লিভারজনিত সমস্যা। হেপাটাইটিসের জেরে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। আর তাই সচেতনতাকে হাতিয়ার করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    হেপাটাইটিস কী (World Hepatitis Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস হয় (World Hepatitis Day)। এ, বি, সি, ডি এবং ই। এ এবং ই হল জলবাহিত রোগ। বর্ষার সময় অপরিচ্ছন্ন জল থেকে হতে পারে হেপাটাইটিস এ। বিশেষত শিশুদের জন্য যা মারাত্মক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্য হেপাটাইটিস ই প্রাণঘাতী বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস ই হয় জল থেকেই। গর্ভবতী মহিলার এই লিভারঘটিত সমস্যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে। তবে, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমিত হয় রক্তের মাধ্যমে। আবার হেপাটাইটিস বি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের দেহে হেপাটাইটিস বি থাকলে, সন্তানের দেহে তা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

    হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের হেপাটাইটিসের উপসর্গে কিছু মিল রয়েছে। যেমন, হেপাটাইটিস আক্রান্তের চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে যায়। এছাড়াও, হাত ও পায়ের পাতা অস্বাভাবিক রকমের ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এছাড়াও পেটে যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। জ্বর ও বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা কমাতে পারে হেপাটাইটিসের বিপদ (World Hepatitis Day)। তাঁদের পরামর্শ পরিশ্রুত জলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। হেপাটাইটিস এ ও ই যেহেতু জলবাহিত রোগ, তাই পরিশ্রুত জলের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষত, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের সব সময়েই জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকাকরণ সবচেয়ে জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস বি-র মতো মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা সবচেয়ে কার্যকর। তাই টিকা নিতেই হবে। পাশপাশি, হেপাটাইটিস রয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা দরকার। বিশেষত গর্ভবতীদের এই স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা আবশ্যিক। যদি কোনও গর্ভবতীর হেপাটাইটিস বি-র মতো সংক্রমণ থাকে, তাহলে তার বাড়তি নজরদারি জরুরি। সদ্যোজাত যাতে হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য জন্মের পরেই তার টিকাকরণ প্রয়োজন। এই সব দিক নজরে রাখলে হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আর সুস্থ দীর্ঘ জীবন যাপন সহজ হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই সর্দি-কাশি আর জ্বরে অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত, শিশুদের জ্বর আর সর্দি নিয়ে জেরবার অধিকাংশ পরিবার। জ্বর কমে গেলেও থাকছে সর্দি-কাশি। আবার দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের ফিরে আসছে জ্বর! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) শক্তি বাড়ছে। এক সপ্তাহে কলকাতায় তিনজন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু, আরও বিপদের জানান দিচ্ছে। সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ একাধিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিন্তু, ডেঙ্গির (Dengue Fever) দাপটের জেরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বর ভেবে অবহেলা করা হয়। যার জেরে সময় মতো ডেঙ্গির চিকিৎসা করা হয় না। তাই বিপদ বাড়ে। এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সময় মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তিন দিন একটানা জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিত। তবেই সময় মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

    কোন কোন উপসর্গ ডেঙ্গির (Dengue Fever) ইঙ্গিত দেয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও ডেঙ্গির জানান দেয় বিশেষ কিছু উপসর্গ। সেগুলো নজরে রাখলেই প্রথম থেকে সতর্ক হওয়া যাবে। বড় বিপদ হয়তো আটকানো যাবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রায় ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠে। ফলে, অতিরিক্ত তাপ জানান দেয়, রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারেন। 
    গোটা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব হয়। ডেঙ্গি (Dengue Fever) আক্রান্ত হলে বিশেষত হাত ও পায়ের পেশিতে, কোমরের হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। শুয়ে থাকলেও সেই যন্ত্রণা থাকে। তাই জ্বরের সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা হলে, তা ডেঙ্গির লক্ষণ। 
    ডেঙ্গির আরেক ইঙ্গিত হল বমি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে বার বার বমি হয়। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের মাথার যন্ত্রণা এমনকী মাঝেমধ্যে চিনতে না পারার মতো লক্ষণও দেখা যায়। তাই জ্বরের মধ্যে জ্ঞান হারানো বা চিনতে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
    শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার লাল দাগ দেখা দিলে, তা ডেঙ্গির (Dengue Fever) লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই জ্বরের সময় ত্বকে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • West Bengal Health: তিন রোগের সংক্রমণে দুশ্চিন্তা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ কি মানছে রাজ্য?

    West Bengal Health: তিন রোগের সংক্রমণে দুশ্চিন্তা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ কি মানছে রাজ্য?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তিনটি রোগের সংক্রমণ (West Bengal Health) বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। পশ্চিমবঙ্গের গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য নিয়ে তাই বাড়তি উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যকে সে বিষয়ে জানানোও হয়েছে। রোগ যাতে মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের দেহে না পৌঁছায়, সে বিষয়ে বাড়তি নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছে মন্ত্রক। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন।

    কোন তিন রোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র? 

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি-এই তিন রোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই তিনটি রোগ রক্ত ও দেহরসের দ্বারা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। আর শিশুদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকেই তাদের দেহে এই রোগ সংক্রমিত হয়েছে।
    সূত্রের খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই এই তিন রোগ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। দেশের সমস্ত রাজ্যেই তাই রোগ নির্ণয় করার পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে, এ রাজ্যের পরিস্থিতি (West Bengal Health) বেশ উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে মন্ত্রক। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে গর্ভবতীদের এই তিন রোগের স্ক্রিনিংয়ের হার কম। অর্থাৎ, হবু মায়ের এই তিন রোগ আছে কিনা, অধিকাংশ সময় তা গর্ভস্থ অবস্থায় পরীক্ষা করা হয় না। ফলে, মায়ের থেকে অজান্তেই শিশুর শরীরে এই তিন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ভুগতে হয় পরবর্তী প্রজন্মকে।

    কী পরামর্শ (West Bengal Health) দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ, গর্ভবতী মায়ের শারীরিক পরীক্ষা বাড়াতে হবে। সরকারি নজরদারিতে প্রসূতির সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলে সিফিলিসের মতো রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব। তাই প্রথমেই এই রোগ নির্মূলকে গুরুত্ব দিতে হবে। গর্ভবতীর এই রোগ থাকলে, তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে হবে। সরকারের তরফ থেকে ওষুধ দেওয়া হবে। গর্ভস্থ শিশুর মধ্যে যাতে রোগ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। 
    তবে, এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি নির্মূল সম্ভব নয়। কিন্তু গর্ভবতীর রোগ নির্ণয় হলে, মায়ের থেকে শিশুর শরীরে রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মা হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত জানতে পারলে, শিশু জন্মানোর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর শরীরে হেপাটাইটিস বি টিকা দিতে হবে। তারপরে টিকার আরও দুটো ডোজ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সদ্যোজাতকে দিতে হয়। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি নির্মূল করা যেতে পারে। তবে, এইচআইভি সংক্রমিত হলে, মায়ের বাড়তি চিকিৎসা জরুরি। কারণ, শিশু গর্ভস্থ অবস্থায় চিকিৎসা শুরু না করলে, এইডস আক্রান্ত শিশু জন্মানোর ভয় থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে ৪০ শতাংশের বেশি। তাই গর্ভবতীর অ্যান্টি-রেস্ট্রাভাইরাল থেরাপি শুরু করা জরুরি। এই থেরাপি করলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ১ শতাংশের কম হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ, এই দুই রোগে গর্ভবতী আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করে জানতে হবে। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে পরিবারকে বিষয়টি জানাতে হবে। এই রোগের চিকিৎসার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। রোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি, রোগ যাতে সদ্যোজাতের শরীরে বাসা না বাঁধে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো ট্রিপলট্রিগার ক্যাম্পেন (West Bengal Health) চালাতে হবে। অর্থাৎ, এই তিন রোগের উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    কী পদক্ষেপ করবে রাজ্য (West Bengal Health) ? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা জানাচ্ছেন, গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই তিন রোগের দাপট রুখতে স্ক্রিনিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বীরভূমের মতো জেলাগুলোকে বাড়তি নজর (West Bengal Health) দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ১২ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গড়ে তোলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রতি মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স কিংবা নারী নাকি পুরুষ, কোনও বিশেষ পরিচয় নয়। যে কেউ এই বিপদের শিকার হতে পারেন। বাঁচার একমাত্র উপায় খাদ্যাভ্যাস! ভারতে ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০ বছরের পর থেকেই ডাযাবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তবে, ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। শুধুমাত্র খাবার নিয়ন্ত্রণ করেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রাশ টানা যেতে পারে এই ক্রনিক সমস্যার।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের অনুমান ছিল, ৭ কোটির বেশি ভারতীয় ডাাবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র রিপোর্ট জানাল, পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ। ১০ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিক। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে তাঁরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবেন। আর এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    উদ্বেগের কারণ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস (Diabetes) জীবন যাপনের মান কমায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, অন্য যে কোনও রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আর ডায়াবেটিস আক্রান্তের হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, চোখ সহ একাধিক অঙ্গের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি গর্ভবতীর ডায়াবেটিস থাকলে, তা গর্ভস্থ শিশুর জন্য নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভারতে যে বিপুল হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম কতখানি সুস্থ জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    নতুন গবেষণা মুক্তির কী পথ (Diabetes) দেখাচ্ছে? 

    ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উঠে এসেছে স্বস্তির বার্তা। ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমে। ২০ থেকে ৬০ বছরের নানা বয়সের ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়ে একদল ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ গবেষণা চালান। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র খাবারে রাশ টানলে এক বছরের মধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কোনও ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারকেই মূল হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নানা রকমের খাবার মেনুতে থাকুক। ডায়াবেটিস আক্রান্তকে কখনোই এক রকমের খাবার যেমন, ভাত, রুটি বা ন্যুডলস বেশি পরিমাণে দিয়ে পেট ভরানো যাবে না। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সব রকমের খাবার অল্প অল্প পরিমাণে দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পর্যাপ্ত সব্জি, চিকেন কিংবা ডিম, তার সঙ্গে রাখতে হবে খেজুর, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস। তাহলে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ফাইবার আবার ভিটামিন পাওয়া যাবে। আবার জলখাবারে পাউরুটি বা মুড়ি খেলেও সঙ্গে থাকুক কলা, বেদানা, আপেল, পেয়ারার মতো ফল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানা রকমের ফল যেমন, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, নাশপাতি এক সঙ্গে টুকরো করে কেটে টক দই মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত দুধ, টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। নিজের ওজন বুঝে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন, কেক, রসগোল্লা, পেস্ট্রি একেবারেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, সবচেয়ে জরুরি সময় মতো খাবার খাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর খাবারের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে। সেটা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের সমস্যায় জেরবার অধিকাংশ ভারতীয়। শুধু প্রৌঢ় কালের নয়। এই সমস্যা এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। আর ডায়াবেটিসের সঙ্গে হাজির হচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো হাজার সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসকে অনেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। খাবারে রাশ টানলে অনেক বিপদ কমবে, এই ভাবনা থেকেই নিজের মতো করে ডায়েট (Diet) করছেন। আর তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের অনভিজ্ঞ ডায়েট নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। এমনকী একাধিক রোগের কারণ হচ্ছে এই ইচ্ছে মতো অবৈজ্ঞানিক ডায়েট।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ডায়েটিক সোসাইটির এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয় প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। দিনে প্রয়োজনের তুলনায় ৬০ গ্রাম কম প্রোটিন (Diet) খান অধিকাংশ ভারতীয়। পাশপাশি, ফাইবারের ঘাটতিতেও ভুগছেন অধিকাংশ ভারতীয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন ৮ থেকে ১৫ গ্রাম কম ফাইবার খাওয়ার জেরে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবারের অভাবে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি সমস্ত রোগকেই প্রতিরোধ করতে দেহকে তৈরি করে। ফাইবার, প্রোটিনের মতো জরুরি উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে, একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোলেস্টেরল ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (Diet) না খেলে সমস্যা বাড়বে। এছাড়া ফাইবার হৃদরোগ রুখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। তাই ফাইবারের ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও ফাইবার সাহায্য করে। মহিলাদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    আর প্রোটিনের অভাব শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, প্রোটিন শরীরের পেশি, মাংস, হাড়ের শক্তি বাড়ায়। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে হাড়ের জোর কমে। হাড় ক্ষয় হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনও কাজেই ক্লান্তি বোধ হয়। পাশপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে। যার জেরে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা তৈরি হয়।

    কোন খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগের জন্য ডায়েট (Diet) করতে হলে, সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করা দরকার। অনভিজ্ঞ ডায়েট চার্ট বিপজ্জনক। ফাইবারের ঘাটতি কমাতে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত, আপেল, ন্যাশপাতি, স্ট্রবেরির মতো ফল খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোসা শুদ্ধ আপেল খেলে অনেকটাই ফাইবার শরীরে যায়। তবে, স্ট্রবেরিতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরির মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। 
    পাশপাশি গাজর, মিষ্টি আলু, শিম, ব্রোকলির মতো সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ধরনের সব্জি নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতি কমে। 
    এছাড়াও রয়েছে ছোলার মতো দানা শস্য। যা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। 
    প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কুসুম সহ ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। ডিমে ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে। তাই যে কোনও ভাবেই ডিম খেলে, প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছ, চিকেনের মতো খাবার থেকে প্রাণীজ প্রোটিন পাওয়া যায়। তাছাড়া পনির, সোয়াবিন, তফু থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টেনিদার প্যালারাম দিনরাত পেটের অসুখে ভুগত! শিঙি মাছের ঝোল ছাড়া তার আর কিছুই সহ্য হত না। তবে, বাঙলা সাহিত্যের অনবদ্য চরিত্র প্যালারাম একা নয়। পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি অনেকেই। ক্রমাগত পেটে অস্বস্তি, কিছু খেলেই পেটের অসুখ-এই সমস্যা (Irritable bowel syndrome) অনেকের। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। 

    ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কাকে বলে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেটের ক্রনিক এক ধরনের অসুখের নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। এর জেরে পেটে এক ধরনের অস্বস্তি, যন্ত্রণা অনুভব হয়। বার বার মলত্যাগের মতো সমস্যা হয়। সামান্য খাবার খাওয়ার পরেও পেটে সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবারের পরিবর্তন এই রোগের (Irritable bowel syndrome) উপশমে সাহায্য করবে। 

    কোন খাবারে উপকার পাওয়া যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন অনেক খাবার আছে, যা বহু সময়েই এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable bowel syndrome) সেগুলো থেকে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পপকর্ন, আলু ভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস জাতীয় খাবারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। এগুলো খেলে সমস্যা কমতে পারে। 
    সবজির মধ্যে নিয়মিত গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, শশার মতো খাবার মেনুতে রাখলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। কারণ, এইসব সবজি সহজে হজম হয়। আবার প্রচুর ভিটামিন থাকে। তাই এই রোগে উপকার পাওয়া যায়। 
    ফলের মধ্যে স্ট্রবেরি, আঙুর আর আনারসের মতো ফলে ফাইবারের মতো উপাদান থাকে। পাশাপাশি আঙুরে থাকে নানান খনিজ পদার্থ। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। 
    প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, চিকেন নিয়মিত খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। বিশেষত, মাখনে রান্না করা চিকেন বা ডিম পেটের এই ক্রনিক সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত বাদাম খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কমতে পারে বলেও জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চললে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কমে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার এড়িয়ে গেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable bowel syndrome) মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর বাদ দেওয়া খাবারের তালিকায় প্রথমেই বিনস, পিয়াজ আর রসুন এই তিন খাবারকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা বাড়ায়। 
    তরমুজ, পিচ জাতীয় ফলকে খাবারে তালিকায় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো ক্রনিক পেটের সমস্যা থাকলে এই ধরনের ফল বিপদ বাড়ায়। পেটে যন্ত্রণা, অস্বস্তি আরও বাড়ে। 
    জলখাবারে অনেকেই পাউরুটি, সসেজ, মাফেন খান। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে বাড়তে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। তাই এগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পেস্তা, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারও তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে সমস্যা বাড়তে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share