Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিক্ষকদের শাসন কিংবা বাবা-মায়ের কড়া কথা, নিত্যদিনের বিভিন্ন ঘটনায় হচ্ছে মন খারাপ। গ্রাস করছে অবসাদ (Mental Stress)। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক সমস্যা। আর তার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, শিক্ষক মহল থেকে মনোরোগ চিকিৎসকরাও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একাধিক কারণে বাড়ছে এই সমস্যা। তবে, সচেতনতা, যত্ন ও নজরদারি রুখতে পারে বড় কোনও বিপদ!

    কেন বাড়ছে মানসিক চাপ (Mental Stress)? 

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের সবচেয়ে জটিল সময়। এই পর্বে শিশুমন থেকে পরিণত মনে উত্তরণ হয়। তাই চিরকাল এই সময়ে সন্তানকে দেখভালের জন্য বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ এই বয়সে শরীরে একাধিক নতুন হরমোন কাজ করা শুরু করে। ফলে, মস্তিষ্কে নানান রাসায়নিক কাজ হয়। আর তার জেরেই মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হয়। আধুনিক সময়ের হাত ধরে এসেছে মোবাইল আর ইন্টারনেট। আর এর জেরেই স্কুল পড়ুয়াদের মুঠোতেও সমস্ত রকমের তথ্য। অনেক ক্ষেত্রে সেই তথ্যের অপব্যবহার তাদের বিপদ বাড়াচ্ছে। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখন ভার্চুয়াল জগতে অভ্যস্ত। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে। সরাসরি বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমছে। পাশপাশি বসে কথা বলার পরিবর্তে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেই বন্ধু হোক বা শিক্ষক, তাদের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা সবটাই হচ্ছে। আর দিনের পর দিন ভার্চুয়াল জগতে অধিকাংশ সময় কাটানোর জেরে অনেকেই বাস্তব বিমুখ হয়ে পড়ছে। ফলে, সামান্য রকম সমস্যা তাদের আরও বেশি অস্থির (Mental Stress) করে তুলছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরেই বাড়ছে সিদ্ধান্তহীনতা। স্কুলের প্রজেক্ট সময়ে জমা দিতে না পারার মতো সমস্যা হোক কিংবা বাড়িতে দেরিতে ফেরার জন্য অভিভাবকের শাসন, সবেতেই আশাহত হয়ে পড়ছে। মনে এক ধরনের নিরাশা তৈরি হচ্ছে। আর তখনই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক (Mental Stress) হবেন অভিভাবক? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক থাকলে বড় বিপদ (Mental Stress) এড়ানো সম্ভব। তাদের পরামর্শ, শিশুকে প্রথম থেকেই অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতার পাঠ পড়ানো দরকার। অনেক ক্ষেত্রে ছোটরা সময় মতো খাবার না খেলে কিংবা নিয়মিত পড়তে না বসলে, বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু দিনের পর দিন সময় মতো কাজ না করার অভ্যাস, তাদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার ঘাটতি তৈরি করে। যার জেরে, পরবর্তী কালে দায়িত্ব বাড়লেই চাপ তৈরি হয়। 
    নিয়মিত খেলাধূলার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালটেন্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, হকির মতো দলবদ্ধ খেলার অভ্যাস থাকলে হারা এবং জেতার অভ্যাসও থাকবে। পাশপাশি যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কাজ শিখতে পারবে। এর ফলে যেমন কোনও বিষয়ে ব্যর্থ হলেও আবার লড়াই করার মতো মানসিক জোর থাকবে, তেমনি শিখবে কীভাবে কোনও সমস্যায় পড়লে কাছের মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। 
    পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কোনও কাজ যেমন ছবি আঁকা, গান কিংবা নাচ শেখা দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিল্পী মনের বিকাশ ঘটায়। এতে মানসিক অস্থিরতা কমে।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সন্তান বড় হলে, তার সঙ্গে পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। তার ফলে সন্তানের বাস্তব বোধ বাড়ে। মন পরিণত হয়। তাঁদের পরামর্শ, বাজার করা, রান্না করার মতো নিত্যদিনের ঘরের কাজ হোক কিংবা অফিসে সময় মতো পৌছতে যানজটের সমস্যা, জীবনের ছোট-বড় বাধার গল্প সন্তানের সঙ্গে ভাগ করলে, তারা বাস্তব জীবন বুঝতে শিখবে। নানান সমস্যা পেরিয়ে বেঁচে থাকা যায়, সেই বোধ, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে পরিণত করবে। 
    তবে, সন্তান অতিরিক্ত চুপচাপ থাকলে, দিনের অধিকাংশ সময় একা ঘরবন্দি থাকলে, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। কারণ, সময় মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও চিকিৎসা বড় বিপদ আটকাতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Food And Nutrition: দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়া, বাদ পড়ছে জলখাবার! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Food And Nutrition: দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়া, বাদ পড়ছে জলখাবার! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন বাড়লেই কোপ পড়ে খাবারে! তরুণ প্রজন্মের অনেকেই নিয়মিত ওজন মাপেন। জিম করেন। আর নিজেই ঠিক করে ফেলছেন, কতখানি ওজন কমানো জরুরি। তাই নিজেরাই তৈরি করছেন খাদ্যতালিকা! কম বয়সী অনেকেই কাজের চাপে খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। রাত জেগে কাজ করে সকালে ওঠার পাট নেই। জলখাবার কী, সে তো ভুলতে বসেছেন অনেকেই! আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! নিউট্রিশন অ্যাওয়ারনেশ উইকে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অসময়ের খাবার (Food And Nutrition) শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

    কীভাবে সমস্যা বাড়ছে (Food And Nutrition)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কত পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে, কী খাওয়া হবে, এই প্রশ্নের মতোই জরুরি আরেকটি প্রশ্ন। তা হল, কখন খাওয়া দরকার! শরীর সুস্থ রাখার প্রাথমিক শর্ত সঠিক পুষ্টি। আর পুষ্টিকর খাবার সময় মতো খাওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের খাবারের সময় ঠিক থাকে না। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাওয়া জরুরি। অর্থাৎ, সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যে সর্বাধিক তিন ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে পারে। তেমনি রাতের খাবার ন’টার পরে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাওয়া (Food And Nutrition) একেবারেই উচিত নয়। পাশপাশি দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কোনও একটা বেলা একেবারেই খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। এমন ডায়েট অস্বাস্থ্যকর। বিশেষত সকালের জলখাবার খাওয়া কখনোই বন্ধ করা যাবে না। এতে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়।

    খাবারের সময়ে অতিরিক্ত ব্যবধান (Food And Nutrition) কোন বিপদ বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘক্ষণ খাবারের সময়ের ব্যবধানে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে বেশি হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত সময় খিদে সহ্য করে থাকলে গ্যাস, অম্বল হয়। হজমের সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময়ের পরে ভারী খাবার খেলে হজম হতে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যা হতে থাকলে পেটের একাধিক সমস্যা, বমি হতে থাকে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। 
    এছাড়াও জলখাবার না খেলে পেটে আলসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতের খাবার এবং সকালের প্রথম খাবারের মধ্যে যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান থাকে। কিন্তু জলখাবার না খেয়ে, যদি সরাসরি দুপুরের খাবার খাওয়া হয়, তাহলে কিন্তু সেই ব্যবধান আরও বেড়ে যায়। যার ফলে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে। যার ফলে, আলসারের মতো রোগ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর জলখাবার নিয়মিত খাওয়া (Food And Nutrition) জরুরি। যাতে সহজে হজম হয়, আবার পেট ভরা থাকে। 
    দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাওয়া লিভারের একাধিক রোগের কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, স্থূলতার সমস্যা এড়াতে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বিপদ আরও বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস দেহের ওজন কমাবে না। বরং শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ হয়ে উঠবে।

    কীভাবে কমানো যাবে খাবারের সময়ের ব্যবধান (Food And Nutrition)? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, জলখাবার সবসময় ভারী হওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দুধ কনফ্লেক্স, রুটি-সব্জি, স্যান্ডউইচ, ডিমের মতো খাবার জলখাবারে থাকা উচিত। এগুলো সহজপাচ্য, আবার পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার সঙ্গে আপেল, কলা, নাসপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। দুপুরের খাবার হালকা থাকা জরুরি। স্থূলতা এড়াতে কম পরিমাণে ভাত বা রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তবে, দেহে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে পরিমাণ মতো সব্জি, পনির, মাছ, মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। রাতের খাবার আটটা থেকে ন’টার মধ্যে খাওয়া জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। তাই বিকেল পাঁচটার মধ্যে হালকা খাবার (Food And Nutrition) খেতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, পেস্তা, কাজু, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস, রুটি কিংবা সব্জি দিয়ে বানানো উপমার মতো খাবার বিকেলে খাওয়া যেতে পারে। রাতে হাল্কা সহজপাচ্য খাবার মেনুতে রাখা জরুরি। বিশেষত, রাত জেগে কাজ করতে হলে অবশ্যই কোনও রকম ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া চলবে না। তবে, চিকেন স্ট্রু কিংবা হালকা মাছের ঝোল খাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা এড়িয়ে সুস্থ থাকতে চটজলদি, অতিরিক্ত তেল-মশলার চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কসরত অভ্যাস করতে হবে। কিন্তু অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস থাকলে দেহে একাধিক রোগ বাসা বাঁধবে। যা সুস্থ জীবনযাপনের পরিপন্থী!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Food And Nutrition: চুল পড়া থেকে জরায়ুর ক্যান্সার, পুষ্টিতেই লুকিয়ে আছে সমাধান?

    Food And Nutrition: চুল পড়া থেকে জরায়ুর ক্যান্সার, পুষ্টিতেই লুকিয়ে আছে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ব্যস্ত জীবনে বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বিশ্রামের জায়গা। আর তার জেরেই হচ্ছে নানা সমস্যা। কেউ ত্বকের শুষ্কতায় ভুগছেন, আবার কেউ চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। আবার কোনও শরীরে বাসা বাঁধে ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন, স্থূলতার মতো সমস্যা। আবার কেউ জরায়ু কিংবা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পুষ্টি (Food And Nutrition) বদলে দিতে পারে শারীরিক পরিস্থিতি। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের মূল মন্ত্র ঠিকমতো পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নিউট্রিশন উইক। অর্থাৎ, পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা গড়ার বিশেষ সপ্তাহ। তাই সপ্তাহ জুড়ে পালন হচ্ছে নানা কর্মশালা। সেখানেই উঠে আসছে মহিলাদের পুষ্টি সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    কেন মহিলাদের পুষ্টিতে (Food And Nutrition) বাড়তি গুরুত্ব? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়ছে। অর্থাৎ, কম বয়স থেকেই মহিলাদের একটা বড় অংশ ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ৩০ বছরের পর অধিকাংশ মহিলা স্লূতার সমস্যায় ভুগছেন। আর এই সমস্যা ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগকে আরও জটিল করে তুলছে। তাছাড়া, এর জেরে জরায়ু ও ওভারির একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। পাশপাশি, মহিলাদের মধ্যে নানা ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জেরে একদিকে অবসাদ বাড়ছে, আরেকদিকে চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হাড়ের। অধিকাংশ মহিলা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। ফলে, হাড়ের একধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এসবের জেরে মহিলাদের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তাই মহিলাদের পুষ্টির (Food And Nutrition) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল।

    কোন ধরনের খাবার (Food And Nutrition) বিপদ কমাবে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েদের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাদের পরামর্শ, আয়রন জাতীয় খাবার মহিলাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া জরুরি। যাতে পরবর্তীতে মা হওয়ার সময় শরীর সুস্থ থাকে। তাছাড়া, এদেশে মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই নিয়মিত কলা, বেদানা, আপেল, মাছ, মাংস খাওয়া দরকার। তাতে আয়রনের ঘাটতি কমবে। 
    এছাড়া, নিয়মিত লেবু খাওয়া দরকার। কারণ, মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই ক্যালসিয়ামের জোগান থাকা দরকার। নিয়মিত লেবু খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। তার ফলে, হাড়ের সমস্যা কমবে। নিয়মিত দুধ কিংবা দুধ জাতীয় খাবার যেমন পনির কিংবা ছানা খাওয়াও জরুরি। এগুলো যেমন প্রোটিনের জোগান দেয়, তেমনি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রত্যেক দিন অন্তত একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে একাধিক ভিটামিন থাকে, ক্যালসিয়াম থাকে। প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটায় ডিম। তাই ডিম খেলে একদিকে চুল পড়ার মতো সমস্যা কমবে, তেমনি ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হবে (Food And Nutrition)।

    কোন খাবার (Food And Nutrition) রোগের বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চটজলদি খাবার বিপদ বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্থূলতার সমস্যা তৈরি করছে। আর স্থূলতা এড়াতে পারলে ক্যান্সার থেকে পিসিওডি-র মতো একাধিক রোগ আটকানো সহজ হবে। তাই বিরিয়ানি, রোল, পিৎজা, বার্গারের মতো ফাস্ট ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পাশপাশি, ফ্রোজেন খাবার, অর্থাৎ, নাগেট কিংবা হটডগের মতো খাবার একদম খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এই ধরনের খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ নুন ও নানা রাসায়নিক দেওয়া হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে যেমন স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি জরায়ু, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। 
    পাশপাশি তেলের পরিমাণেও নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ, অনেকেই বাড়ির খাবার খেলেও হজম কিংবা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে মোট চার চামচের বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ, তেল হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, পাকস্থলী, লিভারের জন্য নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই ভাজা খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত ভাজা খাবার (Food And Nutrition) ত্বকের জন্য ক্ষতিকর বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপট রয়েছে। তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাতেই শেষ নয়। এই বর্ষায় ঝড়ো ব্যাটিং করছে টাইফয়েড! তাই বাড়ছে উদ্বেগ!

    টাইফয়েড কেন বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড। বর্ষায় জলবাহিত নানা সমস্যার মধ্যে একটা বড় বিপদ এই টাইফয়েড। অপরিশ্রুত জল থেকেই টাইফয়েডের জীবাণু রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে। বর্ষায় একাধিক জায়গায় জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জেরেই জলবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে। তাই এই বর্ষায় টাইফয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড হলে দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হয়ে যায়। লাগাতার জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি ভয়ানক পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগে অসুবিধা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমনকী মলত্যাগের সময় রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পেটে যন্ত্রণা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পাশপাশি, হাত-পায়ের জোর কমে। ভীষণ ক্লান্ত বোধ হয়। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বর সাত দিনেও না কমলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে টাইফয়েড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। কারণ, প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে টাইফয়েড মারাত্মক বিপদ তৈরি করে। সাধারণ, সময় মতো টাইফয়েডের চিকিৎসা শুরু না হলে ৭০ শতাংশ রোগী মারা যান। কারণ, এই রোগ মানুষের অন্ত্রের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে, একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে থাকে। লিভার, পাকস্থলী কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাই দ্রুত চিকিৎসা শুরু জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী করবেন? 

    টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণেই একমাত্র রোগ মুক্তি সম্ভব। কিন্তু টাইফয়েড এড়াতে একাধিক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় কয়েকটি ঘরোয়া বিষয় নজরে রাখলেই টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগের আক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রসুন খুব উপকারী। রসুনে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের দাপট বাড়াতে দেয় না। তাই বর্ষায় নিয়মিত রসুন ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হবে। 
    তাছাড়া, প্রত্যেক দিন গোলমরিচ এবং তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে তুলসি পাতা এবং গোলমরিচ একসঙ্গে ফুটিয়ে রাখতে হবে। সেই জল প্রত্যেক দিন সকালে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের দাপট এড়ানো সহজ হবে। কারণ, এই দুই ঘরোয়া উপাদান যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি জোগায়। 
    এছাড়া, ভিনিগারে ভেজানো আপেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিনিগারে ভেজানো আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে জলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পানীয় জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি সবচেয়ে জরুরি। তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে সর্দি-কাশির ভোগান্তি (Monsoon Diseases) লেগেই থাকে। কিন্তু হঠাৎ জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে ভোগান্তি বাড়ছে। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর নাকি অ্যাডিনো কিংবা করোনার কোনও নতুন প্রজাতি, সে নিয়েই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কী ধরনের সমস্যা (Monsoon Diseases) দেখা দিচ্ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যাচ্ছে। পাশপাশি গলা ব্যথা, সর্দি, কাশির মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে (Monsoon Diseases)। অনেকের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। খাওয়ার ইচ্ছে থাকছে না। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। জ্বর কমলেও কাশির ভোগান্তি লেগেই থাকছে।

    কাদের ভোগান্তি (Monsoon Diseases) বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মূলত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেই ভোগান্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। বিগত দু’সপ্তাহে সাত থেকে বারো বছর বয়সিদের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরেই স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ (Monsoon Diseases) বাড়ছে।

    আশঙ্কার কারণ কী? 

    গত দু’সপ্তাহে শিশুদের মধ্যে জ্বর আর সর্দি-কাশিতে (Monsoon Diseases) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। চলতি বছরের প্রথমেই অসংখ্য শিশু অ্যাডিনোর দাপটে কাবু হয়েছিল। নবজাতক থেকে স্কুলপড়ুয়া, অনেকেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সাধারণ জ্বর কিংবা সর্দি মনে হলেও পরবর্তীকালে নানান জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এখন ফের জ্বর এবং কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ার জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি, করোনার নতুন প্রজাতি পিরোলা এবং এরিস সক্রিয় হচ্ছে। এই দুই প্রজাতি শুধু ভারতে নয়, পৃথিবী জুড়ে দাপট বাড়াচ্ছে। করোনা ও প্রথম পর্বে সাধারণ সর্দি-কাশি আর জ্বরের উপসর্গ নিয়েই হাজির হয়। তাই সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে এই সময়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাই জ্বর একেবারেই অবহেলা করা যাবে না।

    চিকিৎসকরা কী পরামর্শ (Monsoon Diseases) দিচ্ছেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই স্কুলে যাওয়া চলবে না। বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে হবে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ (Monsoon Diseases) দেখা দিলে শিশুকে ভিড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি হলে শরীর দুর্বল থাকে, যে কোনও ভাইরাস আরও দ্রুত দেহে প্রবেশ করতে পারে। তাই সর্দি-কাশি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও চিকিৎসকদের অনুরোধ, কোনও পড়ুয়া যাতে জ্বর হলে স্কুলে না আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে। কারণ, জ্বর হলেই সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা অ্যাডিনো, করোনার মতো মারাত্মক ভাইরাস, সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। পাশপাশি আক্রান্তেরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পাশপাশি, সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে গরম জলে স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এসি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওষুধ খেয়ে দেহের তাপমাত্রা কমার সময়ে খুব ঘাম হয়। শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন এসি ঘরে বাচ্চাদের রাখা হয়। তার জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে বারবার তাপমাত্রা মাপতে হবে। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই কারণ জানা যাবে। তাই জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু! আর সবচেয়ে বড় বদল হয়েছে দিন-রাতের হিসাবে! দিনভর খাটুনি শেষে রাতে শান্তির বিশ্রাম! এ হিসাব এখন আর মেলে না! তাই বদলে যাচ্ছে শরীর! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে (Lifestyle Diseases)!

    সমস্যা কোথায় (Lifestyle Diseases)? 

    ইনফরমেশন টেকনোলজির জগত হোক কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, যে কোনও ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ এখন স্বাভাবিক! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট আমেরিকার শিকাগো কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। আর কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের দিন-রাতের সময়ের বিস্তর ফারাক। কিন্তু ক্লায়েন্টের চাহিদা মেনেই রাত বারোটার পরে ল্যাপটপ খোলে। অধিকাংশের কাজ যখন শেষ হয়, তখন সূর্যের আলো আকাশ ছুঁয়ে ফেলে! একদিন বা দু’দিন নয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের বছরের পর বছর এভাবেই অফিস চলছে। রাতভর চলে অফিস আর দিনে ঘুম! ফলে, একদিকে রাত আর দিনের কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে। খাওয়ার সময়ও বদলে যাচ্ছে। তাই একাধিক সমস্যা (Lifestyle Diseases) দেখা দিচ্ছে।

    কোন কোন রোগের (Lifestyle Diseases) ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে মাসের পর মাস কাজ করা এবং দিনের বেলা ঘুমানো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর শরীরের একাধিক অঙ্গ তার জানান দিচ্ছে। লাগাতার রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা হয়। অধিকাংশের বমি, বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যার জেরে লিভার এবং অন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়ে। 
    হজমের সমস্যার পাশপাশি দীর্ঘ সময় রাত জাগার ফলে কিডনির উপরও চাপ পড়ে। সমস্যা হয় রক্তচাপের এবং হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রাতের পর রাত জেগে থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যার জেরে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। দিনের বেলা যতই গভীর ঘুম হোক, পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ওই হরমোন নিঃসরণ হয় না। ফলে, দীর্ঘ সময় রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে (Lifestyle Diseases)। পাশপাশি হয় অনীদ্রার সমস্যা।

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগা এবং দিনে ঘুম, অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। কাজ না থাকলেও রাতে ঘুমানোর ইচ্ছে চলে যায়। দেখা দেয় অনীদ্রা রোগ। আর এই রোগ একাধিক মানসিক সমস্যা তৈরি করে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    বিপদ (Lifestyle Diseases) এড়াতে কী করতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অফিসের জন্য জেগে থাকতে হলে, কিছু বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে। তা না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাত জাগতে হলে রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ভারী, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না। বিরিয়ানি, পিৎজার মতো খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাবার সন্ধ্যার মধ্যে খেতে হবে। যাতে রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা না হয়। রাত দশটার পরে খুব হালকা খাবার যেমন দুধ, কুকিজ, ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হালকা খাবার খেলে এবং হজমের সমস্যা কমানো গেলে হার্ট, লিভার, অন্ত্রের মতো একাধিক অঙ্গের বিপদ (Lifestyle Diseases) কমানো যাবে। 
    যাদের নিয়মিত রাত জাগতে হচ্ছে, তাদের জল পানের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। লাগাতার রাত জেগে থাকলে কিডনি থেকে ত্বক, সব কিছুর উপরেই কুপ্রভাব পড়ে। তাই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে কিডনিতে পাথর থেকে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সহ একাধিক সমস্যার মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি নিয়মিত যোগাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনীদ্রার মতো সমস্যা এড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে যোগাসন সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাসন জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Pregnancy: গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড বেশি! শিশু ও মাকে সুস্থ রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? 

    Pregnancy: গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড বেশি! শিশু ও মাকে সুস্থ রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গলার মাঝেই থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। সেই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। কিন্তু এই হরমোন প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হলেই ঘটে বিপদ! গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ বাড়লে হতে পারে নানান জটিলতা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বিপদের জানান দেয়। নজরদারির অবহেলা মা ও শিশুর বিপদ বাড়ায়।

    গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) কি থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা বাড়তে পারে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই গর্ভস্থ শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরি হয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুর দেহে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হতে থাকে। মায়ের তাই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তার উপরে মায়ের যদি থাইরয়েডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মা ও শিশু দুজনের জন্য সমান বিপজ্জনক। মায়ের শরীর থেকে অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে না। এছাড়াও শারীরিক নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে। মায়ের শরীরেও অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ জটিলতা তৈরি করে। ক্লান্তি বাড়ায়, মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। যার ফলে, রক্তচাপে প্রভাব পড়ে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। যা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক।

    অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ কীভাবে বুঝবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মমাফিক গর্ভবতীর (Pregnancy) থাইরয়েড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে হয়। তবে, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যা সমস্যা স্পষ্ট করে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতীর অতিরিক্ত গরম লাগা, ঘাম হওয়া, ক্লান্তি বোধ, মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া এবং মনে রাখার শক্তি কমে যাওয়া জানান দেয় দেহে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই লক্ষণ অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানানো দরকার। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব। থাইরয়েড প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে, অ্যান্টি থাইরয়েড ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধ নিয়ম মাফিক খেলে দেহে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) প্রথম তিন মাসে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য থাকবে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাদের পরামর্শ, নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার। পাশপাশি, আপেল, নাসপাতির মতো ফল খাওয়া জরুরি। ভূট্টা, জবের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়া উপকারি। এছাড়াও ব্রোকোলি, অ্যাভোকাডোর মতো ফল দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই এগুলো খেলে গর্ভবতীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার এমনকি ত্বক প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরিকাঠামো রয়েছে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও গড়ে উঠেছে পরিকাঠামো। তার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য রোগীদের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে! তাই ভরসা হচ্ছে ভিন রাজ্য! আর স্বাস্থ্য ভবনের এই গড়িমসির জন্য এবার কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন!

    অভিযোগ কী (Organ Transplantation) 

    করোনা মহামারির শেষে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে সব কিছু। স্বাস্থ্য পরিষেবাও আবার আগের রূপে ফিরছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) কর্মসূচি যেন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। করোনা পরবর্তী কালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে দেখা দিচ্ছে ব্যাপক ঢিলেঢালা মনোভাব। 
    সূত্রের খবর, করোনা মহামারি পর্বে রোগীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার এড়িয়ে চলা হচ্ছিল। কারণ, এই ধরনের গুরুতর রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, করোনা পর্ব মিটলেও প্রশাসনিক জটিলতার জেরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদনকারীদের বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ফলে, ঠিকমতো গ্রহীতা না পাওয়ার জেরেই আবেদনকারীদের চিকিৎসা হচ্ছে না। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। 
    আর এই গড়িমসির জেরেই অধিকাংশ রোগীকে ভরসা করতে হচ্ছে ভিন রাজ্যের উপরে। কারণ, অতিরিক্ত দেরি হলে রোগীদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হবে। তাই অন্য রাজ্যে বিশেষত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোয় উন্নত পরিকাঠামো ও সরকারি তৎপরতা দ্রুত হওয়ার জেরে পরিষেবাও দ্রুত পাওয়া যায়। তাই রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

    রোটোর কড়া বার্তা কী (Organ Transplantation)? 

    সম্প্রতি রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের (রোটোর) তরফে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কর্তাদের জানানো হয়েছে, এ রাজ্যের বহু রোগী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটছে। ঠিকমতো সমন্বয় ও কাউন্সেলিংয়ের অভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে না। বহু রোগী অঙ্গ প্রতিস্থাপন সময় মতো না হওয়ার জেরে সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারছেন না। তাই করোনা পরবর্তী পর্বে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে আরও বেশি সক্রিয়তা জরুরি। রোটোর তরফে জানানো হয়েছে, সরকারির পাশপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়ানো দরকার। কোনও রোগীর মস্তিষ্কের মৃত্যু বা ব্রেন ডেথ হয়েছে কিনা, তা দ্রুত স্বাস্থ্য ভবনের জানা জরুরি। দরকার সেই রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করা এবং তাদের অঙ্গ দানে (Organ Transplantation) আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু এই কাজে যথেষ্ট সক্রিয়তার অভাব রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো নোটিশে এমনি জানিয়েছে রোটো।

    স্বাস্থ্য কর্তারা কী বলছেন (Organ Transplantation)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ অবশ্য মেনে নিচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি কিংবা লিভার, ত্বক প্রতিস্থাপনের যে গতি গত করোনার আগে ছিল, মহামারি পরবর্তী পর্বে সেই গতি কমেছে। সচেতনতার অভাব তার অন্যতম কারণ বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। তবে, সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতা কর্মশালা তৈরি হচ্ছে। যাতে তাঁরা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। পাশপাশি, হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত সমস্যা কমবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য রাজ্যবাসীকে ভিন রাজ্যের উপরে নির্ভর করতে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু কিংবা শেষে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ রোগে (Monsoon Diseases) ভোগে অসংখ্য শিশু। কিন্তু এ বছর বর্ষার মরশুমেও দেখা দিয়েছে এই ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। না হলে, এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকবে। বাড়বে ভোগান্তি।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) এক ধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। কক্সেকি ভাইরাসের জেরে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত শিশুদের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। দু-তিন বছর থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) রোগের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের (Monsoon Diseases) উপসর্গ স্পষ্ট। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে অধিকাংশ আক্রান্ত হয় শিশুরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে জ্বর হয়। তার সঙ্গে হয় সর্দি-কাশি। পাশপাশি, হাত, পা এবং মুখে লাল রঙের গুটি হয়। গুটিগুলোর ভিতরে এক ধরনের রস থাকে, যা রোগ সংক্রমণ বাড়ায়। তাছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মুখ থেকে লালা ফেলার মতো উপসর্গ হয়।

    কেন বর্ষায় এই রোগের (Monsoon Diseases) প্রকোপ বাড়ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতের সময়ই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু এ বছর বর্ষাতেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের হাঁচি-কাশি-সর্দি হয়। আর এর জেরেই সক্রিয় হচ্ছে কক্সেকি ভাইরাস। একজনের দেহ থেকে সহজেই আরেকজনের দেহে বাসা বাঁধছে। তাছাড়া পেটের সমস্যা হলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বর্ষায় পরিশ্রুত জলের অভাবে বাড়ছে পেটের সমস্যা। তাই শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যেহেতু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই এই রোগ (Monsoon Diseases) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

    কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে সবচেয়ে বেশি নজরদারি জরুরি। শিশুদের খেলনা অনেক সময়ই ঘরে পড়ে থাকে। তাই বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়খানা করার পরে ভালোভাবে শিশুকে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া, হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সংক্রমণের (Monsoon Diseases) আশঙ্কা কমবে।

    কোন দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ (Monsoon Diseases) থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। চিকিৎসা শুরুর দিন সাতেকের মধ্যে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে, চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্তের খাবারের উপর বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত হলে ভাইরাসের দাপটে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে, শিশুদের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, যাতে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয়। তবে, এই রোগে যেহেতু পেটের সমস্যা হয়, তাই যাতে সহজেই হজম হয়ে যায়, এমন খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের সমস্যা আর শুধু বয়সের সীমানায় আটকে থাকছে না। ভারতে অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক একাধিক হাড়ের রোগে ভোগেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। রিকেট রোগে (Rickets Disease) কাবু বহু শিশু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না হলে বহু শিশুর স্বাভাবিক জীবন যাপনে অন্তরায় তৈরি হবে।

    রিকেট রোগ (Rickets Disease) কী? 

    রিকেট এক ধরনের হাড়ের রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ (Rickets Disease) দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। হাত-পা বেঁকে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করার শক্তি চলে যায়। কার্যত পঙ্গু হয়ে যায় তারা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Rickets Disease)? 

    সম্প্রতি তেলঙ্গানার এক মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক-চিকিৎসক রিকেট নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রিকেট এক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হতে চলেছে। ৩০ শতাংশের বেশি ভারতীয় শিশু রিকেট রোগে ভুগছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছেলে। রিকেট রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছেলে। মূলত নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সিরাই এই রোগে (Rickets Disease) আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই সতর্ক না হলে মারাত্মক বিপদ হতে চলেছে।

    রিকেট রোগের (Rickets Disease) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু উপসর্গ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় রিকেট রোগের লক্ষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হাড়ের সমস্যায় ভুগলে, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত, মা ভিটামিন ডি কিংবা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে গর্ভাবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এই হাড়ের রোগ সংক্রমিত হয়। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর হাতের কবজি, পায়ের পাতার গঠন রিকেট রোগের (Rickets Disease) জানান দেয়। অস্বাভাবিক চওড়া কপাল, হাতের কবজি বেঁকে যাওয়া, পা সোজা না থাকা এবং মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার মতো লক্ষণ স্পষ্ট করে রিকেট রোগ। পাশপাশি, শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যায়।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে এই রোগ (Rickets Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি, সচেতনতা পারে এই রোগের মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, মা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে শিশুরোগ চিকিৎসককে জানানো উচিত। তাহলে শিশুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তাতে রিকেট রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তাছাড়া, এই রোগের ঝুঁকি কমাতে, খাবারের উপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, ডিমের কুসুম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, এগুলো দেহে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি, মাল্টা, কমলালেবু, মুসুম্বি লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এগুলো শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। তাছাড়া, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে। এগুলো রিকেট (Rickets Disease) রুখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share