Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে হানা দেয় পেটের অসুখ (Monsoon Stomach Problem)। এছাড়া জলবাহিত রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। এ সময় বৃষ্টির কারণে চারদিকেই জমতে থাকে জল। বর্ষাকালেই শরীরে সবথেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া (Monsoon Stomach Problem) বা ভাইরাস প্রবেশ করে, যা খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। পেটের অসুখ, লিভারে সংক্রমণ সব কিছুই হয় বর্ষাকালে। গ্রামাঞ্চলে ভোট যায় ভোট আসে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার সমাধান যেন কোনওভাবেই হয় না। এখনও পর্যন্ত পুকুর, নদীর দূষিত জল (Monsoon Stomach Problem) অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জনসাধারণের ব্যবহার করার জন্য যে টিউবয়েলগুলি বসানো হয় সেগুলি অন্তত ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বিধি মানা হয় না। যার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে বেশিরভাগ বাসিন্দা আজ অপরিশোধ পানীয় জল খাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস (Monsoon Stomach Problem)।

    পেটের রোগ (Monsoon Stomach Problem) হলে কী করবেন?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগ হলেই বাড়িতে বসে না থেকে একেবারে চিকিৎসকের কাছে চলে যান। বর্ষাকালে ইঁদুর, ছুঁচো বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকেও রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় প্রাণীগুলি মাটিতে থাকে এবং বর্ষাকালে এই প্রাণীগুলির ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থ জলে (Monsoon Stomach Problem) মিশে যায় এবং সেই জমা জল থেকেই ছড়ায় নানা রকমের রোগ। যদি জল জমে যায় রাস্তাঘাটে তাহলে খালি পায়ে যেন কখনও সেই জলের ছোঁয়া (Monsoon Stomach Problem) না লাগে। সর্বদাই বর্ষাকালে জুতো পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গ্রামাঞ্চলের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাসিন্দারা পুকুরের জল ব্যবহার করেন। বদ্ধ পুকুরের জল বর্ষাকালে আরও বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেসিলারি এবং অ্যামিবার্ড নামক জীবাণু থেকে আমাশয় হয়। অন্যদিকে সালমানেলা টাইফি নামে জীবাণু সংক্রমণে হয় টাইফয়েড।

    কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখবেন বর্ষাকালে (Monsoon Stomach Problem)?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময় খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডায়েটে (Monsoon Stomach Problem) রাখতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার বর্ষাকালে ঈষদুষ্ণ গরম জল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    ১) কাঁচা খাবারে সংক্রমণের (Monsoon Stomach Problem) ঝুঁকি বেশি থাকে। এজন্য খাবার রান্না করে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ২) রাস্তার ধারের খাবার (Monsoon Stomach Problem) বর্ষাকালে একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ খাবারের জীবাণু তথা ছত্রাকের সংক্রমণ খুব বেড়ে যায়।

    ৩) খাবার আগে যেমন হাত ভালো করে ধোয়া উচিত, ঠিক একইভাবে সবজি, মাছ, মাংস এগুলো ভাল করে ধুয়ে নেবেন (Monsoon Stomach Problem)।

    ৫) নিজের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। কারণ জমা জলে সব থেকে বেশি মশার বংশবৃদ্ধি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Influenza: ভ্যাকসিন কি শীত-বর্ষার ভোগান্তি কমাতে পারে? ইনফ্লুয়েঞ্জা কমাতে কারা নেবেন টিকা? 

    Influenza: ভ্যাকসিন কি শীত-বর্ষার ভোগান্তি কমাতে পারে? ইনফ্লুয়েঞ্জা কমাতে কারা নেবেন টিকা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু হোক কিংবা লাগাতার বৃষ্টি, সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হন সকলেই। শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হন। আর বড়দের এই ভোগান্তি কমাতে পারে ভ্যাকসিন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, টিকাকরণে কমবে ভাইরাসের (Influenza) দাপট। তাই প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত প্রবীণদের এই টিকা বিশেষ সাহায্য করবে।

    ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) টিকা কাদের নেওয়া জরুরি? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুরা অধিকাংশ সময়ই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সর্দি-কাশি আর জ্বরে ভোগান্তি বাড়ে। তাই শিশুদের এই টিকা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো এই টিকা শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। তবে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শিশুদের পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার (Influenza) প্রকোপ কমাতে প্রাপ্তবয়স্কদেরও এই টিকা নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই পরিবারের বড়রা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাদের থেকে ছোটদের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে, টিকা নেওয়া থাকলে শিশুদের বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত প্রবীণদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাকরণ জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    বারবার ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza) আক্রান্ত হলে কোন বিপদ হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বারবার সর্দি-কাশি কিংবা ভাইরাস ঘটিত জ্বর অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসঘটিত রোগে কাবু হলে অন্য বড় রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষত ফুসফুসের জটিল রোগ হতে পারে। এমনকি নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। কারণ, লাগাতার সর্দি-কাশি বিপদ বাড়ায়। প্রবীণদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) বাড়তি বিপদ তৈরি করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পৃথিবী জুড়ে নানা কারণে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। প্রবীণদের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি। গত কয়েক বছরে বয়স্কদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ, ফুসফুসের সমস্যা। বারবার সর্দি-কাশি ও ভাইরাসঘটিত জ্বর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে যেমন ঋতু পরিবর্তনের সময়ের ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি কমবে, তেমনি অন্য বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। 
    তাছাড়া, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসঘটিত জ্বরের জন্য দুর্বলতা দেখা দেয়। শারীরিক শক্তি কমে। বয়স্করা তাই আরও কাবু হয়ে যান। সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর কমলেও দুর্বলতা কাটাতে পেরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ। ফলে, তাঁদের শারীরিক সক্রিয়তা কমে। যা একেবারেই ঠিক নয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ষাট পেরলেই অধিকাংশ পেশাতে অবসর! বাড়িতেই থাকতে হয় দিনের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু সন্তান কিংবা নাতি-নাতনি, তারা তো ব্যস্ত! অধিকাংশ পরিবারেই তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন শহরে এমনকি বহু দূরের দেশে থাকছেন। বাড়িতে থাকেন শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। আর তার জেরেই বাড়ছে প্রবীণদের একাকিত্ব। যা তাদের একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি করছে। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ২১ অগাস্ট, রবিবার ছিল বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। এই দিনটিতে তাই বয়স্কদের যত্ন নিতে একাধিক পরামর্শ (World Senior Citizen Day 2023) দিলেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ।

    কী ধরনের সমস্যা বাড়ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা বাড়ছে। ফলে, তাঁদের জীবন শক্তিতে প্রভাব পড়ছে। তাঁদের নিয়মিত কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে, তাঁদের ফি-দিনের জীবন যাপনে অসুবিধা হচ্ছে। আর ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমারের মতো স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ একাকিত্ব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত রোগ হলেও এই রোগে আক্রান্তদের অবস্থার অবনতির কারণ হলো একাকিত্ব। জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, প্রবীণদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু মানুষ চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বয়স থেকেই স্মৃতি হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন (World Senior Citizen Day 2023)। কিন্তু দেখা যায় ৬০-৬৫ বছর বয়সে সেই সমস্যা মারাত্মক হয়ে যায়। নিজের নাম, ঠিকানাও অনেক সময় মনে রাখতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কর্মজীবন থেকে অবসর এবং তারপরেই একা থাকা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে, হঠাৎ কিছু করতে না পারা, মনের কথা বলতে না পারা, আনন্দের সময় কাটাতে না পারার জেরে বাড়তে থাকে একাধিক রোগ। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার নয়। ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল এমনকি হৃদরোগের কারণ হয়ে ওঠে এই একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদ। কারণ, দুশ্চিন্তা, মনের কথা প্রকাশ করতে না পারা উদ্বেগ তৈরি করে। যার ফলে, ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ হয়। যার জেরে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে বহু ভারতীয় প্রবীণের এই ধরনের শারীরিক সমস্যা বেড়েছে (World Senior Citizen Day 2023)। যা প্রমাণ করে, একাকিত্ব,মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছে। আগাম বার্ধক্য ডেকে আনছে। অনেকের ছেলেমেয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেনের মতো পশ্চিমের দেশগুলোতে থাকেন। মহামারির সময়ে তাঁরা দীর্ঘদিন বাড়িতে ফিরতে পারেননি। সে সব দেশে মহামারির প্রকোপ পড়েছিল মারাত্মক। ফলে, বাবা-মায়ের উদ্বেগ বেড়েছে। এই উদ্বেগের জেরেই তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও অবসাদ। যার ফলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (World Senior Citizen Day 2023)? 

    বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছরের প্রবীণ দিবসে তাই বয়স্কদের একাকিত্ব কাটাতে তাদের সময় দেওয়ার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক বাড়িতে থাকলে নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে কাটানো দরকার। নিজেদের কাজের কথাও কিছুটা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, তাদের কথা শোনা, এগুলো নিয়মিত করলে, তাদের একাকিত্ব (World Senior Citizen Day 2023) কমবে। নিজেদের অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। ফলে, তাদের অবসাদ আটকানো যাবে। যদি কাজের জন্য দূরে থাকতে হয়, তাহলেও নিয়মিত তাদের ভিডিও কল করা দরকার। তবে, সামনাসামনি কথা বলাতেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই তাদের পরামর্শ, যাদের দূরে থাকতে হয়, তাদের পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের জন্য এমন কিছু সংস্থার সাহায্য নিতে হবে, যেখানে নিয়মিত বয়স্করা নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারবেন। নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারবেন। আনন্দ করতে পারবেন। তাতে তাদের মানসিক চাপ কমবে। একাকিত্বও হ্রাস পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির সঙ্গে মোকাবিলা করলেও তারপরের ক্লান্তি আর দুর্বলতা ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গির পরের দুর্বলতার জেরে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরের কয়েক সপ্তাহ খুব জরুরি। দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে ডেঙ্গি কমার পরের কয়েক সপ্তাহ বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজরদারি দরকার।

    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে কী ধরনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী ক্লান্তি কমাতে কোনও ওষুধ বিশেষ সাহায্য করে না। খাদ্যাভ্যাস ক্লান্তি দূর করতে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন যাপনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই কয়েকটি বিষয়ে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন কে জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর ক্লান্তি থাকে মারাত্মক। হাত ও পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। তাই দরকার ভিটামিন কে জাতীয় খাবার। বাঁধাকপি, ব্রোকলির মতো খাবারে ভিটামিন কে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    ছোলা, মটরশুঁটি, মুসুর ডালের মতো দানাশস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, যে কোনও দানাশস্য খেলেই এনার্জি পাওয়া যায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণের জন্য দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। 
    এছাড়াও, আপেল, কলা, মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। ডেঙ্গির পরে শরীর দুর্বল থাকে। কাজের শক্তি পাওয়া যায় না। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলোতে প্রচুর আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। 
    চিকেন স্টু আর সোয়াবিন নিয়মিত খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরে প্রোটিনের জোগান দেবে। ডেঙ্গির পরে দ্রুত সুস্থ হতে প্রোটিন জরুরি। আর এই দুই খাবার সহজ পাচ্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    তবে, খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ডেঙ্গির সময় যেমন ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে, তেমনি ডেঙ্গির পরেও দুর্বলতা থাকার কারণে জলের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার।

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Dengue Fever)? 

    ডেঙ্গির পরে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা দরকার বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীর দুর্বল থাকে, তাই এই বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেগুলো না মেনে চললে লিভার, কিডনির নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে একেবারেই তেলে ভাজা খাওয়া চলবে না। চপ, কাটলেট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ডিপ অয়েল ফ্রাই খাবার এই সময়ে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড অর্থাৎ, বিরিয়ানি, ফুচকা হোক কিংবা পিৎজা বার্গার একেবারেই খাওয়া যাবে না। এগুলো সহজপাচ্য নয়। তাই এগুলো খেলে বিপদ বাড়বে। এর পাশপাশি প্যাকেট জাত নরম ঠান্ডা পানীয় ডেঙ্গির পরে খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরে দুর্বলতা আরও বাড়বে। তাছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে এগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শেষ হোক কিংবা বর্ষার শুরু, অল্প জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিতে (Cough and Disease) জেরবার হতেই হয়। আট থেকে আশি, কমবেশি সব বয়সীরাই কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রেই জ্বর কিংবা সর্দি কমে গেলেও ভোগান্তি বাড়ায় কাশি। কিন্তু কাশি কি কোনও রোগ নাকি কাশি জানান দেয়, শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি লাগাতার হলে সতর্ক হন। কারণ, বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে কাশি।

    কাশি (Cough and Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কোনও রোগ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, কাশি আসলে উপসর্গ। অন্য কোনও রোগের উপসর্গ হিসাবে কাশি হয়। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের (Cough and Disease) কারণ একাধিক হতে পারে।

    কোন কোন রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি (Cough and Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় শ্বাসনালির উপরের অংশে ভাইরাস সংক্রমণ হয়, আর তার জেরেই কাশি হয়। আর এই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সংক্রমণ কমতে সময় লাগে। দেহের তাপমাত্রা সহজে স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই সংক্রমণ ভোগান্তি বাড়ায়। সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রমণ কমে। তবে, লাগাতার কাশি হলে সব সময় সাধারণ ভাইরাসঘটিত সমস্যা নয়। তা একাধিক জটিল রোগের ইঙ্গিত হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ফুসফুস ও শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত হল কাশি (Cough and Disease)। হাঁপানি কিংবা শরীরে কোনও ধরনের অ্যালার্জি হলেও কাশি হয়। তাছাড়া, ব্রংকাইটিস কিংবা ফুসফুস, গলার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত রোগ ছাড়া অন্য যে কোনও সমস্যায় কাশি হলে তা তিন সপ্তাহের বেশি থাকে। এছাড়াও যক্ষ্মার মতো রোগের জানান দেয় কাশি। তাই লাগাতার কাশি কিংবা কাশি থেকে রক্তপাত হলে তার জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেই কাশি কমাতে সিরাপ খান। কিন্তু সিরাপ আদৌ প্রয়োজন কিনা, তা আগে যাচাই করা জরুরি।

    কাশি (Cough and Disease) কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কেন হচ্ছে, সেই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। কাশির (Cough and Disease) কারণ না জানলে এর মোকাবিলা করা কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। ওষুধের পাশপাশি কিছু ঘরোয়া উপকরণও এই কাশিতে আরাম দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি সাধারণত রাতের দিকে ঘুমের সময় বেশি হয়। যার জন্য ঘুমে অসুবিধা হয়। শরীর আরও দূর্বল হয়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলমরিচ কিংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা আরাম দেয়। খুসখুসে কাশিতে গোলমরিচ আর লবঙ্গের ঝাঁঝ আরাম দেয়। তাছাড়া সকালে তুলসী পাতা মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তুলসী পাতা ও মধু গলা ও ফুসফুস সুস্থ রাখে। তাই কাশির প্রকোপ কমে। তবে, একটানা কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Cancer Rediotherapy: রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়! ক্যান্সার চিকিৎসায় তার পরেও কী ধরনের সমস্যা হয়?

    Cancer Rediotherapy: রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়! ক্যান্সার চিকিৎসায় তার পরেও কী ধরনের সমস্যা হয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy)। উন্নত ও আধুনিক এই চিকিৎসার ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের মোকবিলা সহজ হয়।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জরায়ু, থাইরয়েড, মুখ ও গলার ক্যান্সার কিংবা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচারের পর রেডিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরি। দেহের অন্য অংশকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন রেডিওথেরাপি। কিন্তু রেডিওথেরাপিতেই শেষ নয়। ক্যান্সার রোগীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে রেডিওথেরাপির পরবর্তী চিকিৎসাও জরুরি। সম্পূর্ণ চিকিৎসা হলে তবেই রোগী সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন।

    রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পর কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস পরে শুরু হয় রেডিওথেরাপি। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কতখানি রেডিওথেরাপি প্রয়োজন, চিকিৎসকরা সেই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেডিওথেরাপির পর রোগীর একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর বুকে এক ধরনের চাপা ব্যথা অনুভব হয়, বুকের মাঝখানে কিছু আটকে রয়েছে এমন অস্বস্তি বোধ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাশি হয়। দীর্ঘকালীন কাশি বা গলা খুসখুসের মতো উপসর্গ দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও অনেকের হয়। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ, প্রায় হাঁপানির মতো নানা সমস্যা, এমনকি নিউমোনিয়াও দেখা দেয়। এছাড়াও চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) পরে চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, শুষ্কতা, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

    কীভাবে সমস্যার (Cancer Rediotherapy) মোকাবিলা করা যাবে? 

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার জেরে সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না। ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হয় দেরিতে। আবার যেসব ক্যান্সারে উপসর্গ প্রকাশ হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার এবং রেডিওথেরাপির (Cancer Rediotherapy) মতো জরুরি চিকিৎসা হয়। কিন্তু তার পরবর্তী সমস্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রেডিওথেরাপির পরবর্তীতে যেসব সমস্যা রোগীর হয়, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তার চিকিৎসা জরুরি। রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে ফুসফুস কিংবা বক্ষঃরোগের সমস্যা হয়। কিন্তু এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা সম্ভব। পাশপাশি ত্বক ও চুলের যে সমস্যা দেখা যায়, সেগুলোর নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর এই ধরনের সমস্যার চিহ্নিতকরণ হয় না। ফলে, ক্যান্সার মোকাবিলার পরেও রোগীর সুস্থ জীবন যাপনে জটিলতা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় করে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। সচেতনতা ও সতর্কতাই সেই পথ সহজ করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Obesity and Diet: স্থূলতা কমাতে অপরিকল্পিত ডায়েট! কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর এবং ওজন নিয়ে সতর্ক তরুণ প্রজন্ম! তাই ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়ার পরিমাণ কমাচ্ছেন! কম বয়সীদের অনেকেই স্থূলতা এড়াতে ডায়েটিং (Obesity and Diet) করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হয় অপরিকল্পিত। অর্থাৎ, চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নয়, নিজের মতোই তৈরি করেন ডায়েট চার্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ডায়েট প্ল্যান শুনে, অনেকে নিজেদের ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ! শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। এমনকি প্রাণসংশয়ও দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের কুফল ভুগতে হবে দীর্ঘদিন।

    কোন ধরনের ডায়েট (Obesity and Diet) বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়েট প্ল্যান সম্পূর্ণ ব্যক্তিবিশেষে তৈরি হয়। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির শরীর ঠিক রাখতে, স্থূলতা রুখতে কিংবা ওজন কমাতে কী করা দরকার, সেটা সকলের জন্য এক হবে না। একেক জনের জন্য, একেক ধরনের ডায়েট হয়। প্রত্যেকের যেমন রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা এক হয় না। একেক জনের ওজন, উচ্চতা একেক রকম হয়। ঠিক তেমনি ডায়েট প্ল্যান প্রত্যেকের আলাদা হয়। উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল সব কিছু মাপকাঠির নিরিখে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হয়। তবেই তা ঠিকমতো উপকারী হবে। পাশপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্থূলতা কমাতে হঠাৎ সম্পূর্ণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। ভাত কিংবা রুটি একদম খাচ্ছেন না। যা শরীরের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক। কারণ, কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগানে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকা থেকে হঠাৎ ভাত কিংবা রুটি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিলে, শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে। যা সমস্যা তৈরি করবে। আবার অনেকেই প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দেন। ফলে, পেশির মজবুতি কমতে থাকে। এগুলির জেরে নানা রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুই ডায়েট শরীর সুস্থ রাখতে পারে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মনে করেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলেই ওজন কমে যাবে (Obesity and Diet)। শরীর সুস্থ থাকবে। এ ধারণা ভুল। খাবারে রাশ ওজন কমাবে। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখবে না। শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শারীরিক কসরত, যোগাভ্যাস! তার সঙ্গে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার। এই দুইয়ের সমন্বয় না থাকলে বিপদ মারাত্মক।

    অপরিকল্পিত ডায়েট (Obesity and Diet) কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়? 

    অপরিকল্পিত ডায়েট শরীরে ডেকে আনে একাধিক রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ত্বকের রোগের মতো একাধিক রোগের কারণ হয় অপরিকল্পিত ডায়েট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত ডায়েটের (Obesity and Diet) জন্য অনেক সময়ই শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়। অনেকেই প্রয়োজনের কম মিষ্টি খান। শরীরে মিষ্টির প্রয়োজন আছে কিনা, তা না জেনেই সিদ্ধান্ত নেন। ফলে, সুগার কমে যায়। যার জেরে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। এছাড়া, অপরিকল্পিত ডায়েটের জন্য হৃদরোগ হতে পারে। কারণ, রক্তচাপের উপরে অপরিকল্পিত ডায়েটের খারাপ প্রভাব পড়ে। রক্তচাপ মারাত্মক ওঠা-নামা করে। ফলে, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া, অতিরিক্ত কম খাবার খাওয়ার জেরে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। নানা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। 
    পাশপাশি, ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে ত্বকে রুক্ষতা দেখা দেয়। চুল পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, পুষ্টির অভাব শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বাড়ে। ফলে, শরীরে দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি আজকালকার জীবনে একটি দৈনন্দিন সমস্যা। দূষণ যত বাড়ছে, একই হারে বাড়ছে শ্বাসজনিত সমস্যা। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হাঁপানি, সিওপিডি এবং শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পেতে নানা ওষুধ পত্তর দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। সেসবের পরেও দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবনের জন্য যোগাসনের (Yoga for Asthma) ওপর জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরাই। প্রাণায়ামের সঠিক নিয়ম  না জেনে করবেন না। একজন উপযুক্ত প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শিখুন। অনুলোম-বিলোম বা কপাল-ভাতি যে কোনও ধরনের প্রাণায়াম আপনাকে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। এটি দীর্ঘ দিন অভ্যাস করলে ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে। এমনটাই দাবি গবেষকদের।

    কী বলছে গবেষণা?

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাঁপানি সারানোর (Yoga for Asthma) সবথেকে ভাল উপায় হল ব্রেথিং এক্সারসাইজ এবং যোগব্যায়াম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে মেডিসিন জার্নালে। সেখানে হাঁপানি সারিয়ে তোলার নানা রকম উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে যে হাঁপানি (Yoga for Asthma) থেকে সেরে ওঠার জন্য ঠিক কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  হেনান নরমাল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের সহকারী অধ্যাপক শুয়াংতাও জিং এই গবেষণার অন্যতম গবেষক। তিনি বলছেন, ‘‘ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর সবথেকে ভাল উপায় হল যোগ ব্যায়াম।’’

    ৩০ কোটিরও বেশি হাঁপানি রোগী রয়েছে বিশ্বজুড়ে

    বিশ্বজুড়ে এই সংস্থা এনিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে এবং তাতে দেখা গিয়েছে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে হাঁপানিতে ভুগছেন। এই রোগ হল ফুসফুসের অসুস্থতা যেখানে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুক শক্ত হয়ে যাওয়া এ সমস্ত লক্ষণগুলি দেখা যায়। আগে আগে মনে করা হতো যে ব্যায়াম হয়তো হাঁপানির প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম (Yoga for Asthma) শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতাকে বাড়ায়। মোট ২,১৫৫ জন হাঁপানি রোগীর ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এবং সেখানে দেখা যায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এ সমস্ত ফুসফুসের কার্যকারিতা কে উন্নত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে হচ্ছে যথেচ্ছ রেফার! ঝুঁকি বাড়ছে রোগীর!

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে হচ্ছে যথেচ্ছ রেফার! ঝুঁকি বাড়ছে রোগীর!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে! কম বয়সী থেকে প্রৌঢ়, দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ (Heart Attack)! বাদ নেই এ রাজ্য। তবে, এ রাজ্যে হৃদরোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলছে সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। হার্ট অ্যাটাকের পরের চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু করা যায়, বিপদ তত কমে! কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর চিকিৎসা শুরু হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই মৃত্যু আটকানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

    কী অভিযোগ উঠছে (Heart Attack)? 

    রাজ্যের অধিকাংশ জেলাস্তরের হাসপাতাল, এমনকি জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলোর বিরুদ্ধেও একাধিক সময়ে অকারণ রেফার করার অভিযোগ ওঠে। রেফারের জেরে রোগীর চিকিৎসার সুযোগ কমে। রোগীর সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও এই রেফার রোগের ব্যতিক্রম হয় না। অভিযোগ, কালনা থেকে কৃষ্ণনগর কিংবা জলপাইগুড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, একাধিক জেলার হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা, হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) রোগী গেলেও হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। তাই অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। আর এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়েই চিকিৎসার সময় পাওয়া যায় না। যেমন দিন কয়েক আগে কালনার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়ার হার্ট অ্যাটাক হয়। তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যেতেই প্রয়োজনীয় সময় কেটে যায়। ফলে, কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান ওই প্রৌঢ়া। এমনই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। 
    একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বসিরহাটের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির। তাঁর হার্ট অ্যাটাকের পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের পরের গোল্ডেন আওয়ারে চিকিৎসা শুরু না করলে মৃত্যু আটকানো কঠিন।

    গোল্ডেন আওয়ার (Heart Attack) কী? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পরের ৯০ মিনিট হল গোল্ডেন আওয়ার। তবে, প্রথম এক ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগীর চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানান জটিলতার কারণে এই গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা যায় না। ফলে, হৃদরোগে আক্রান্তদের ঝুঁকি বাড়ে।

    এই সমস্যা (Heart Attack) রুখতে কী পদক্ষেপ নেবে স্বাস্থ্য ভবন? 

    সরকারি হাসপাতালের রেফার সমস্যা নিয়ে একাধিকবার স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি বদল হয়নি। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, রোগীর পরিজন হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। যদিও ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতা থাকলে অনেকেই সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারতেন। কিন্তু রেফার রোগের জেরে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন (Heart Attack)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শুধু অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয় না। বিপদ বাড়ায় হৃদরোগের। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি দ্বিগুণ করে তোলে পরিবেশের এই পরিবর্তন! সম্প্রতি এমনটাই জানাচ্ছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র গবেষণা। পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তাই নানা শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হৃদ সমস্যা।

    কী বলছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র সমীক্ষা (Heart Attack)? 

    ভারত, বাংলাদেশ কিংবা এশিয়ার একাধিক দেশ তো বটেই। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড সহ একাধিক পশ্চিমের দেশেও গত কয়েক বছরে মারাত্মক তাপমাত্রা বেড়েছে। তাই এ নিয়ে সমীক্ষা ও গবেষণা করেন আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র একদল চিকিৎসক। আর সেখানেই জানা গিয়েছে, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব পড়ে। হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে। পাশপাশি অতিরিক্ত ঘাম হয়। যার জেরে দেহে জলের অভাব তৈরি হয়। আর এই সবকিছুর জেরে হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মহিলাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলা বাইরের কাজের পাশপাশি বাড়ির কাজেও অধিক দায়িত্ব পালন করেন। ফলে পরিশ্রম বেশি হয়। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে।

    ঝুঁকি (Heart Attack) এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    বিশ্ব জুড়ে গরম বাড়বে। দ্রুত এর সমাধান পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। গরমে রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। তবে, রক্তচাপের সমস্যা না থাকলেও সচেতন হতে হবে। এমনকি কম বয়সীদের মধ্যেও গরমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজম হতে দেরি হয়। গরমে হজমের সমস্যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি তৈরি করে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে সহজ পাচ্য খাবার বিশেষত সব্জি, হালকা মাছের ঝোল আর ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    অতিরিক্ত নুন খাওয়া বাদ দিতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে নুন থাকে, তাতেই প্রয়োজনীয় আয়োডিন শরীর পায়। কিন্তু অনেকের অভ্যাস থাকে, যে কোনও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত নুন খাওয়া। এই অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    তাছাড়া, তাপমাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোদে দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share