Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টিভির পর্দা, খবরের কাগজ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন, সর্বত্রই হিংসার দাপট (Political Violence)। রক্তের বন্যা। রাজনৈতিক নির্বাচন হোক কিংবা বিনোদনের ওটিটি চ্যানেল, হিংসার পাল্লা সর্বত্রই ভারী। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ, এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, হিংসা (Political Violence) প্রতিদিন বাড়ছে। রাজ্যে সবে শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। মনোনয়ন তোলা থেকে জমা দেওয়া, ভোট গ্রহণ থেকে ফল প্রকাশ, প্রত্যেক পর্বেই চলেছে হিংসা। শাসক দলের দাপটে কখনও বিরোধী দলের কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আবার কখনও গুলি চালানোর জেরে আহত অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তির খবর জানা গিয়েছে। লাগাতার হিংসার ঘটনার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। এই ধরনের হিংসার ঘটনার জেরে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রাজনৈতিক হিংসার পাশপাশি বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, বিনোদনের দুনিয়াতেও এখন হিংসাত্মক ঘটনা বেশি দেখানো হয়। বিশেষত ১৫-১৮ বছর বয়সি বহু ছেলেমেয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, সিরিজ দেখে। যেগুলোতে মূলত নানা ধরনের হিংসার ঘটনা বেশি দেখানো হয়। আর এই সব মিলিয়ে কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা।

    কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ, রাগ, মানসিক চাপ এবং সিদ্ধান্তহীনতার মতো সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব সামান্য ব্যাপারেই দেখা যাচ্ছে, কম বয়সি ছেলেমেয়েরা ভয়ানক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আবার ছোট কোনও সমস্যাতেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা এমন কিছু করে ফেলছে, যা অনভিপ্রেত। আসলে, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। কোনও কিছুর উপরে বিশ্বাস করতে পারছে না। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে হবে। সেটা সামাজিক হোক বা রাজনৈতিক (Political Violence)। নিয়মিত খবর দেখানো যেমন দরকার, তেমনি সেগুলো সম্পর্কে আলোচনাও জরুরি। কনসালট্যান্টদের মতে, হিংসার ঘটনা বাড়ির ছোটদের সামনে এলে, তাদের বোঝানো দরকার, যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। হিংসার মাধ্যমে আসলে সাফল্য পাওয়া যায় না। তবে, কখনই তাকে বাস্তব বিমুখ করা যাবে না। হিংসার ঘটনা (Political Violence) হচ্ছে বলে তা লুকিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কোন ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশে সে আছে, সে সম্পর্কে অবহিত থাকা জরুরি। তবে, বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত হিংসা যাতে কম বয়সিরা না দেখে, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা যাতে অপরাধমূলক অনুষ্ঠান বিশেষ না দেখে, সে সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে তারা এই ধরনের অপরাধ দেখে তা অনুকরণের চেষ্টা করে। যা তাদের জন্য মর্মান্তিক হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাসে ধুলোকণার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যার জেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা। বিশেষত ফুসফুস ঘটিত রোগের (Lungs Disease) সমস্যা আরও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো রোগের পাশপাশি একটানা কাশির সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ছে ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো রোগের দাপট বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা জরুরি। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    সম্প্রতি, এক সর্বভারতীয় সংস্থা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বড় শহরগুলোর শিশুদের বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা (Lungs Disease)। বড় শহরগুলোর ৫৩ শতাংশ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় ভোগে। যে তিনটি ফুসফুস ঘটিত সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি হচ্ছে, সেগুলো হলো, অ্যাস্থমা বা হাঁপানি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। সিওপিডি অর্থাৎ, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। এই রোগের জেরে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা আরও বেশি হয়। আর সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নিউমোনিয়ার জেরে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা শেষ হতে পারে। এছাড়াও বাড়ছে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ। সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যাও বড় বিপদ তৈরি করছে। 

    কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস (Lungs Disease) সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবার সুস্থ রাখে ফুসফুস। তাই শিশুদের সেই সব খাবার নিয়মিত দিলে অনেকটাই প্রতিষেধক (Lungs Disease) গড়ে তোলা যাবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ানো দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। দুধে থাকে একাধিক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। তাই এই দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। 
    নিয়মিত মধু ও তুলসি পাতা খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে। ফুসফুসও সুস্থ থাকে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের বাদাম ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ উপাদান ফুসফুসকে (Lungs Disease) সুস্থ রাখে। 
    পাশপাশি, যে কোনও রান্নায় আদা ও রসুন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, আদা ও রসুনে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের কার্যক্রম বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, শারীরিক জটিলতা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: স্থূলতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? বেশি উপকার যোগ এবং হাঁটার অভ্যাসে!

    Obesity: স্থূলতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? বেশি উপকার যোগ এবং হাঁটার অভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা স্থূলতা (Obesity)। ভারতের পাশপাশি গোটা বিশ্বের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে স্থূলতা। শরীরের অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনছে নানা শারীরিক রোগ। হৃদরোগ, কিডনির একাধিক সমস্যার কারণ যেমন স্থূলতা, তেমনি শরীরের অতিরিক্ত ওজনের জন্য হাড়ের শক্তি কমছে। বিশেষত হাঁটুর সমস্যার জন্য স্থূলতা দায়ী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব নয়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    কী ধরনের শারীরিক কসরতের পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত এক ঘণ্টা শারীরিক কসরতে সময় দিলেই বদলে যাবে পরিস্থিতি। ক্যালরি কমানোর সব চেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হল শারীরিক কসরত। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা যোগাভ্যাস আর আধ ঘণ্টা হাঁটলেই অন্তত ৩০২ কিলোক্যালরি কমবে। যা পাহাড়ে চড়ার চেয়েও বেশি কার্যকর। কারণ, একদিনে পাহাড়ে চড়লে সর্বোচ্চ ২৪৬ কিলোক্যালরি শক্তি কমে। 
    সম্প্রতি এক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন যোগাভ্যাস করলে ১৫১ কিলোক্যালরি কমবে। নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলেও ১৫১ কিলোক্যালরি কমে। তাই সব বয়সি মানুষের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই দুই শারীরিক কসরতকেই হাতিয়ার করতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ হাঁটাচলা এবং যোগাভ্যাসে যেমন শরীরের সমস্ত পেশি সচল থাকে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতেও এই দুই শারীরিক কসরত খুব উপকারে আসে।
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার (Obesity) সমস্যা এখন খুব কম বয়স থেকেই গ্রাস করছে। ফলে, শিশুদের সুস্থ রাখতে বাড়তি নজরদারি জরুরি। যদি টেনিস, বক্সিং, সাঁতার, তাইকোণ্ডোর মতো খেলার সঙ্গে কম বয়স থেকে যুক্ত থাকা যায়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ, এইসব খেলায় সবচেয়ে বেশি ক্যালরি কমে। তাছাড়া, ব্যাডমিন্টন, গল্ফের মতো খেলাও নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    শুধুই জিম, নাকি অন্য শারীরিক কসরত, সুস্থ থাকার উপায় কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুই জিম শরীর সুস্থ রাখতে পারে না। কারণ, পেশি বা শারীরিক গঠনের পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা। তাই নিয়মিত ব্যাডমিন্টন, গল্ফ, সাঁতারের মতো খেলার অভ্যাস থাকলে যে উপকার পাওয়া যাবে, তা কখনই জিমে হবে না। তাছাড়া অনেকেই বয়স বা অন্যান্য সমস্যার কারণে এই ধরনের খেলাধূলায় যুক্ত থাকতে পারেন না। তাঁদের জন্য যোগাভ্যাস আর নিয়মিত হাঁটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (Obesity)। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগ যেভাবে শরীর ও মনের মধ্যে সমতা বজায় রাখে, জিম তা করতে পারে না। তাই যোগাভ্যাসকেই এগিয়ে রাখছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    ওজন (Obesity) নিয়ন্ত্রণে শারীরিক কসরতের সঙ্গে সঙ্গী হোক খাদ্যাভ‍্যাস! 

    তবে, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে কত কিলোক্যালরি শরীর থেকে নির্গত হচ্ছে, সেই হিসাবের সঙ্গে, কত কিলোক্যালরি শরীর গ্রহণ করছে, সেটাও মিলিয়ে দেখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের মতো রোগ আটকাতে ওজন (Obesity) নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। চটজলটি খাবারে পুষ্টিগুণ কম। তাই বাড়িতে তৈরি খাবারেই অভ্যস্ত হতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার দীর্ঘ সুস্থ জীবন দিতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালি পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা কিশোরদের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। আর এর জেরে বাড়ছে বিপদ। প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা!

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সচেতনতার হার বেশ কম। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-২৫ বছর বয়সি ৫৪ শতাংশ ছেলের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কীভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয়, এই রোগের জেরে কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো কী নির্দেশ (HIV) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, স্কুল স্তর থেকেই সমস্ত পড়ুয়াদের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতেও রাখতে হবে। কীভাবে এই রোগ ছড়াতে পারে, এই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা তৈরি করতে হবে, যাতে সমাজে কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেই আটকে থাকলে চলবে না। পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন জরুরি। এই রোগে আক্রান্ত মানেই সে অস্পৃশ্য নয়, কিংবা এই রোগ গোপন রাখার প্রয়োজন নেই, সে সম্পর্কে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ (HIV) নির্ণয় ও তার চিকিৎসা কতখানি জরুরি সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মসূচি করতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানো সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়ে। কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব, সে সম্পর্কেও স্কুল স্তর থেকেই সচেতনতা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন কেন? 

    কিন্তু রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার হার কমার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। স্কুল স্তরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বইতে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও, এই নিয়ে কর্মশালা বা প্রয়োজনীয় আলোচনা স্কুলে হয় না বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনে এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা এক কর্তা জানান, গত দেড় বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। কীভাবে বিভিন্ন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই বছর করোনা মহামারির জেরে ঠিকমতো নিয়মিত স্কুল চালু হয়নি। অনিয়মিত স্কুলের জেরেই নানান কর্মসূচি আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই ঘাটতি পূরণ দ্রুত হবে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    কিন্তু রাজ্য সরকারের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা প্রসারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতাল জে এন এম মেডিক্যাল কলেজে ডায়লিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, এই ভাইরাস ঘটিত রোগ (HIV) সম্পর্কে মানুষের একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারপরেও যাঁরা এগিয়ে এসে এই রোগ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, যখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এই রোগ সম্পর্কে আদৌ সচেতনতা তৈরি করতে চায় কি রাজ্য? সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা গড়তে না পারলে, ভবিষ্যতে এইচআইভিও কিন্তু আরেক মহামারির রূপ ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমের মধ্যেই নানা দুঃস্বপ্ন। কিংবা যে কোনও একটি হাত ক্রমাগত নড়াচড়া করা। অন্যের কথা বুঝতে বা নিজের মনের ভাব বুঝিয়ে বলতে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটা হতে পারে পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease)! ভারতে বাড়ছে এই সমস্যা। বিশেষত ৬০-এর চৌকাঠ পেরলেই এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স এক ধরনের স্নায়ু ঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে এক ধরনের সমস্যার জেরে পার্কিনসন্স হয়। এর জন্য আক্রান্তের হাত-পা সহ দেহের একাধিক পেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ফলে, হাঁটাচলা কিংবা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঘটিত রোগের (Parkinson’s Disease) জেরে বাড়তে থাকে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।

    কারা এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই রোগে  (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রৌঢ়দের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ৬০ বছরের পরেই নানা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সেগুলো নজর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তখন চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ৩২ শতাংশ পার্কিনসন্স সমস্যায় জর্জরিত।

    কী কী উপসর্গ (Parkinson’s Disease) দেখা যায়? 

    পার্কিনসন্স আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন আক্রান্ত হলে, তাঁর হাত বা পা লাগাতার নড়বে। অনেক সময়ই সেগুলো নাড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতা পেশি হারিয়ে ফেলে। 
    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের ঘুম খুব কম হয়। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আবার অনেক সময় তাঁরা খুব দুঃস্বপ্ন দেখেন। ফলে, গভীর ঘুম হয় না। 
    কথা জড়িয়ে যাওয়া পার্কিনসন্সের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এটা স্নায়ু ঘটিত রোগ, তাই অনেক সময়ই তার প্রভাব মুখের পেশি ও স্বরযন্ত্রের উপর পড়ে। তাই কথা জড়িয়ে যাওয়া কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারার মতো সমস্যা দেখা যায়। 
    পার্কিনসন্স আক্রান্তের আরেকটি লক্ষণ হল সন্ধ্যায় একাকিত্ব বোধ করা। বিশেষত সূর্য ডোবার পরে, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে।

    এই ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাঁর প্রতি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের চিকিৎসা সম্ভব। শুধু তাই নয়, নানা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হলেও মানুষ দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই লক্ষণ বুঝতে পারলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই শুধু ওষুধ যথেষ্ট হয় না। পার্কিনসন্স রোগীদের জীবন যাপন ঠিক করতে দরকার হয় থেরাপির। বিশেষত একাধিক আক্রান্ত যদি একসঙ্গে নাচ-গান-কবিতা কিংবা কেক বানানোর মতো সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অনেকটাই তাঁরা উন্নতি করেন।
    এ প্রসঙ্গে পার্কিনসন্স নিয়ে কাজ করা স্নায়ু চিকিৎসক হৃষিকেশ কুমার বলেন, হাত-পায়ের পেশি সচল রাখা যেমন জরুরি, তেমনি দরকার রোগীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা। তাই থেরাপি আবশ্যক। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে স্নায়ুর সমস্যা কমানো যায়। কিন্তু থেরাপি মনকে ভালো রাখে। আর তখনই কাজ সহজ হয়। তাই পার্কিনসন রোগীদের নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হয়। তাহলে তাঁরা দীর্ঘ জীবন কাটাতে সক্ষম হবেন। 
    পার্কিনসন্স রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্কিনসন্স রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাঁরা একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের মনের কথা সবাই বুঝতে পারেন না। থেরাপি না হলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ে। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা বা থেরাপি হলে রোগী দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আতঙ্ক। অক্টোবরে প্রকোপ বাড়ে মারাত্মক! প্রত্যেক বছর ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ যেন রাজ্যবাসীর সঙ্গী হয়েছে। এ বছরে সেই ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, বর্ষার শুরুতেই দ্বিগুণ হয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম ছ’মাসের ডেঙ্গু (Dengue) ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছ’মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের কাছাকাছি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শুধু কলকাতাতেই গত ছ’মাসে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। কলকাতার যাদবপুর, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক এলাকায় নিয়মিত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর যে সব এলাকাকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার জন্য রেড জোন অর্থাৎ, অধিক বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথম ছ’মাসে সেই সব এলাকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিশেষ উন্নত হয়নি। বিশেষত উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম, হাবড়া, বসিরহাট, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক। আবার হুগলি, হাওড়া জেলায় ডেঙ্গুর পাশপাশি প্রকোপ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। যে হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা রাজ্যবাসীর জন্য উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? 

    স্বাস্থ্য দফতর ও সংশ্লিষ্ট পুরসভার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, হোর্ডিং আর ফ্লেক্স টাঙিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মহল। যেমন, উত্তরপাড়ার একাধিক রাস্তায় হোর্ডিং টাঙিয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা। আশপাশ পরিষ্কার রাখা, নোংরা না ফেলার জন্য সেখানে বলা হয়েছে। জমা জল মশার আঁতুড় ঘর, ডেঙ্গু (Dengue) নিয়েও রয়েছে সতর্কবার্তা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা, পার্ক কে পরিষ্কার করবে? উত্তরপাড়ার একাধিক পার্কে অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা হয় না। নোংরা হয়ে থাকে। ফলে, শিশুরা খেলতে গেলেই মশার কামড়ের আশঙ্কা থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের অভিযোগ। বৃষ্টি হলেই জল জমে। এই একই অভিযোগ হাওড়া ও কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের। গিরিশ পার্ক সহ উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে, জল জমতে দেওয়া যাবে না। এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার জল বাড়িতে উঠে আসছে। শুধু বিজ্ঞাপন কি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রুখতে পারবে?

    কী বলছেন স্বাস্থ্য কর্তারা? 

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সব রকম কাজ হচ্ছে। শুধুই হোর্ডিং টাঙিয়ে তাঁরা দায়িত্ব শেষ করছেন না। বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভার সাহায্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি জ্বর হয়েছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “ডেঙ্গু, (Dengue) ম্যালেরিয়া রুখতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মানুষ তার আশপাশ পরিষ্কার রাখলে অনেক সংক্রমণ কমবে। তাই সেদিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও একটানা বসে থাকলে নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। কোমরে ব্যথা হতে থাকে। আবার কখনও কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরেই বা কয়েক পা সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই হাঁটুর যন্ত্রণা শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলারা এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত, হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায় তাঁদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতিই বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, ভারতে ২৫ শতাংশ মহিলা বিপজ্জনক ভাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে ভুগছেন। ৭৫ শতাংশ মহিলা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন না। তবে, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়। যদিও মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি। বিশেষত, তিরিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বেশি দেখা যাচ্ছে।

    কীভাবে বুঝবেন ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাব হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটলে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, পেশির যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশির শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোনও ভারী জিনিস টানলে বা কোনও কাজ বেশি সময় একটানা করলে যন্ত্রণা শুরু হয়। কোমর ও হাঁটুর যন্ত্রণা হয়। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোমর ও হাঁটুর শক্তিক্ষয় হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায়। ফলে, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন কোন খাবার কমাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তবেই ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি কমানো যাবে। নিয়মিত দুগ্ধজাত জিনিস খাদ্যাভ্যাসে রাখলে তবেই কমবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। কারণ, দুধে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। তাই দুধ, দই, পনির, চিজের মতো খাবার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তবেই দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যাবে। দুধের পাশপাশি ডিমেও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। বিশেষত ডিমের সাদা অংশ। যাকে অ্যালবুমিন বলা হয়, তা দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলি, পুঁইশাকের মতো সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। 
    খাবারের তালিকায় নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, সোয়াবিন দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
    তাছাড়া, স্যালমন জাতীয় সামুদ্রিক মাছেও থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। 
    নিয়মিত এই খাবার দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হতে পারে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অনুষ্ঠানের শেষ পাতে গরম, নরম রসগোল্লা কিংবা অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদযাপন। মিষ্টি ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়। নতুন বছরের শুরু থেকে জন্মদিন, যে কোনও আনন্দে মিষ্টিমুখ করানোটা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, মিষ্টিতেই আছে যত বিপদ! বিশেষত হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে মিষ্টিপ্রেম বাড়াতে পারে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি! 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Stroke)? 

    সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে ইউরোপিয়ান কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলন হল। সেখানেই চিকিৎসকরা জানালেন, বিশ্ব জুড়ে হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় শুধু বয়স্করা নন, কমবয়সীরাও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই জীবন যাপনের ধারায় পরিবর্তন দরকার। খাদ্যাভ্যাস থেকে ঘুম, শারীরিক কসরত, সব কিছু নিয়েই সজাগ থাকা জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ (Stroke)!

    কোন বিপদের (Stroke) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। কারণ, হাইপারটেনশনের জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি (Stroke) বাড়ে। পাশপাশি বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। যার জেরে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

    কেন বাড়ছে হাইপারটেনশনের (Stroke) সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ। কাজের চাপের পাশপাশি আধুনিক জীবনে পারিবারিক চাপও বাড়ছে। তার জেরে যেমন অবসাদের মতো মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের (Stroke)। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের জেরেও দেহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    সাম্প্রতিক এই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। কেক, চকোলেট, হটডগ বা যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার হাইপারটেনশন রোগীর জন্য একেবারে ভালো নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও চর্বিজাতীয় মাংস, মাছ বা যে সব দুগ্ধজাত জিনিসে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিসমিস, খেজুর, পেস্তা, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাছাড়া, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক যব, ভূট্টার মতো দানাশস্য। ডাল, বিনস নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়া ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়। তাছাড়া, দুধ জাতীয় জিনিস যেমন পনির, টক দই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, প্রাণীজ প্রোটিনও শরীরের জন্য জরুরি। কারণ, শরীরে আয়রন, ভিটামিন, ফসফরাস প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম, চিকেন বা মাছ নিয়মিত খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই যেমন চর্বিজাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে, তেমনি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর দাপটের স্মৃতি এখনও তরতাজা! এর মধ্যেই আরেক আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশেষত শিশুদের জন্যই এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া এই বিপদ আটকানো যাবে না বলেও তারা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)?

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাম, মিজেলস ও রুবেলা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক দেশে কয়েক লাখ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ভারতের জন্যও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিশ্ব জুড়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের সুস্থ রাখতে এই তিন রোগ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন হচ্ছে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর ন’মাস বয়সের পরে এমএমআর ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক। তাহলেই এই বিপদ কমানো যাবে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে। আর আক্রান্ত হলেও বড় বিপদ হয় না। তাই ভ্যাকসিনকেই রোগ মোকাবিলার সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    কেন বাড়লো এই রোগের প্রকোপ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে একাধিক বিপর্যয় চলেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যু বিপর্যয় হয়নি। যারা সদ্যোজাত, তাদের জন্যও নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল করোনা। সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ বাবা-মা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। ফলে, তাদের অনেককে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়ে যে প্রচার হয়, সেটাও বন্ধ ছিল। অনেক সময়ই শিশুর ন’মাস বয়সে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। করোনার জেরে এক দিকে সদ্যোজাতদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তেমনি স্কুলেও ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বন্ধ ছিল। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীর ৮০ কোটি শিশু ২০২০-২২ সালের মধ্যে এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন হবে প্রথম হাতিয়ার। কিন্তু তার পরেও আক্রান্ত হলে, অযথা ভয় নয়। বরং সচেতনতার মাধ্যমে শিশু দ্রুত সুস্থ হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট হয়। যেমন, জ্বর, সর্দি-কাশি। মুখের ভিতরে সাদা গুটি দেখা যায়। দেহের একাধিক জায়গায় লাল গুটি স্পষ্ট হয়। বিশেষত, কানের পিছনে লাল গুটি দেখা যায়। এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (WHO)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল নিত্য সঙ্গী। কাজের প্রয়োজন থেকে বিনোদন, সবটাই এখন স্ক্রিনে বন্দি। স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে অফিসের মিটিং, সব কিছুতেই ভরসা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ! ভারতীয়দের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে! চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ড্রাই আই (Dry Eye) সমস্যায় ভুগছে প্রায় গোটা প্রজন্ম!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে চোখের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত, শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইয়ের (Dry Eye) সমস্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় ড্রাই আই সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষত, কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    শুষ্ক চোখ কী?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখে জল কমে যাওয়া হল শুষ্ক চোখ (Dry Eye)। এর জেরে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণা হয়। চোখে কড় কড় ভাব বাড়ে। ফলে, যে কোনও জিনিস লক্ষ্য করতেও সমস্যা হয়।

    কেন হয় চোখের শুষ্কতা? 

    ভারতে চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, স্ক্রিন টাইম! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় এখন মানুষ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন। আর একটানা তাকিয়ে থাকার জেরে স্ক্রিনে যে আলো থাকে, তার সরাসরি প্রভাব চোখের উপর পড়ে। আর সেই আলোর জেরেই চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নান শারীরিক জটিলতার কারণেও চোখের আর্দ্রতা কমতে থাকে। যেমন ডায়বেটিস থাকলে অনেক সময় চোখে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, বিভিন্ন হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলেও চোখের শুষ্কতার (Dry Eye) সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, একটানা আধঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম করা উচিত নয়। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁদের পরামর্শ, একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত নয়। আধ ঘণ্টা অন্তর চোখের বিশ্রাম জরুরি। 
    তবে, কাজের জন্য অনেকেই একটানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। তাঁদের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ, এক নাগাড়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। অন্তত বার বার চোখের পাতা ফেলা দরকার। চোখ বন্ধ-খোলা বার বার করলে ঝুঁকি (Dry Eye) কিছুটা কমবে। 
    পাশাপাশি, চিকিৎসকদের পরামর্শ, চোখের মণি গোল করে ঘোরানো দরকার। বিশেষত, যাঁরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার চোখের মণি গোল করে ঘুরিয়ে এই ব্যায়াম করতে পারেন। 
    বার বার চোখ জল দিয়ে ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে চোখের আরাম হয়। লাগাতার আলো পড়ার জেরে যে ক্লান্তি আসে, সেটাও কিছুটা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share