Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই কমছে হাঁটুর শক্তি। একটানা বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাড়ের শক্তি কমছে। হাড়ের ক্ষয় রোগ বাড়ার জেরেই পা, কোমর, হাঁটুর সমস্যা বাড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাব!

    ভিটামিন ডি (vitamins) কেন সমস্যা বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি হাড়ের শক্তি বাড়ায়। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি (vitamins) থাকলে, সেই ক্ষয় হয় না। হাড়ের ক্ষয় রুখতে ভিটামিন ডি বিশেষ সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় রুখতে পারলেই হাঁটু, কোমরের যন্ত্রণা কমবে। পাশপাশি হাঁটা বা বসে থাকতেও কষ্ট হবে না। হাড় মজবুত না হওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    তবে, ভিটামিন ডি শুধু হাড় মজবুত করে না। ভিটামিন ডি-র অভাব আরও নানা রকম সমস্যা তৈরি করে। ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দাঁতের যন্ত্রণা কিংবা অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পাশপাশি শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে চুল পড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও জায়গায় ঘা হলে, তা শুকোতে দেরি হয়। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিও থাকে।

    কোন খাবারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) ঘাটতি পূরণ সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে যাতে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রতি দিন অন্তত দশ থেকে পনেরো মিনিট সূর্যের আলোয় কাটাতে হবে। শরীরে নিয়মিত রোদ লাগালে ভিটামিন ডি-র (vitamins) চাহিদা সহজে পূরণ হয়। 
    তবে, এটাই যথেষ্ট নয়, খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ভিটামিন ডি-র অভাব বেশি দেখা যায়। তাই ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরে অর্থাৎ পোস্ট মেনোপজ পর্বে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের তালিকায় নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম আর দুধ রাখতে হবে। কারণ, এই খাবারগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। তাছাড়া, কড লিভার অয়েল যুক্ত যে কোনোও খাবার খেতে হবে। কারণ, এই খাবার ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। 
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেলে এবং নিয়মিত ডায়েটে নজরদারি রাখলে দ্রুত ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক ভাবে জীবন যাপন করলে অনেক সমস্যারই সহজে সমাধান করা সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও কয়েক ঘণ্টা পার হলেই খিদে পায়! বারবার খিদের (Nutrition) জন্য কোনও কাজেই মনস্থির করা যায় না! এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পরেও খিদে না মিটলে সজাগ হতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কোন কোন বিপদের (Nutrition) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পাওয়া (Nutrition) মোটেও সুস্থ থাকার লক্ষণ নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একাধিক কারণে এমন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যার শিকার হলে পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও খিদের ভাব থাকে। বিশেষত, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ, ভাত, রুটি এই সব খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। যেহেতু স্থূলতার জন্য পাকস্থলীতে খাদ্য ধারণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। যদিও তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, অতিরিক্ত খাবার হার্ট, কিডনি, লিভারের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। স্থূলতার সমস্যার জন্য দেহে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ হয়। যা সরাসরি হার্ট ও কিডনিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তাতে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেলে সতর্ক হতে হবে। কোন খাবার, কতটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুব প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    খিদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ

    খিদের (Nutrition) সঙ্গে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ভুগলে অকারণ খিদে পায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, অনেক সময়ই তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। ভরপেট খাওয়ার পরেও, তাঁরা পেস্ট্রি, কেক কিংবা যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। আবার অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ব্যবধান রাখতে পারেন না। কারণ, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় অনেক সময়ই ভুক্তভোগী খিদে, ঘুমের মতো শারীরিক চাহিদা ঠিক মতো অনুভব করতে পারেন না। তাই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছাড়াও ঠিক মতো ডায়েট না থাকলেও ভারী খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন ডায়েট সমস্যার (Nutrition) সমাধান করতে পারে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, কখন হচ্ছে, আর কত পরিমাণে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর দিলেই মুশকিল আসান হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না থাকলেই সমস্যা বাড়ে। অর্থাৎ, ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি থাকলে, সাময়িক পেট ভরলেও বারবার খিদে (Nutrition) পেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার ভারী থাকা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে সকালে দুধ-কনফ্লেক্স, ফল, ডিম সিদ্ধের মতো খাবার তালিকায় থাকুক। তাতে পেট ভরবে (Nutrition) আবার হজম সহজে হবে। রাতের খাবারে ডাল কিংবা পনির, চিকেনের মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাল, পনির, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। আবার যব, রাগির মতো দানা শস্যে থাকে ফাইবার। এগুলো খাবারের তালিকায় রাখলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার এগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি না থাকায়, হজমের সমস্যা বা স্থূলতার সমস্যা বাড়ার ঝুঁকিও কম হয়। তাই সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে শরীর ও মন সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নীল জল আর ঢেউ শুধু চোখের আরাম দেয় না, শরীর আর মনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। তাই মানসিক অবসাদ ও চাপ কাটাতে সমুদ্রের পাড়কেই সঙ্গী করতে বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।তাঁরা বলছেন, ব্লু স্পেস কাজ করবে থেরাপির মতো (Mental Health)।

    কী এই ব্লু স্পেস (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের পাড়, যেখানে বার বার ঢেউ আছড়ে পড়ছে, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র, একেই বলা হচ্ছে ব্লু স্পেস। সমুদ্রের ফাঁকা পাড় মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে আমেরিকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ব্লু স্পেস থেরাপির (Mental Health) মতো কাজ করে। মানসিক চাপ ও অবসাদগ্রস্ত রোগী সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

    কীভাবে সমুদ্র মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের অবিরত ঢেউ এক বহমানতা বজায় রাখার কথা বোঝায়। নীল জলের গভীরতা ও হাওয়া মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। সমুদ্রের কাছের আবহাওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই আবহাওয়া দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য এই আবহাওয়া খুব ভালো।মনোরোগ চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ তৈরি হয় মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য। দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকার জেরেই নানা মানসিক রোগ জন্মায়। আর সামুদ্রিক আবহাওয়া যেহেতু মস্তিষ্ক ও হরমোনের জন্য ভালো, তাই এই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সমুদ্র থেরাপির মতোই কাজ করে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল (Mental Health)? 

    মানসিক রোগীদের সুস্থ রাখতে প্রকৃতির সাহায্য সব সময় কাজে আসে বলে জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা! তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ক্রিন টাইম কমিয়ে গ্রিন টাইম বাড়ানোর কথা বার বার বলা হয়। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, মন সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে হবে। মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের স্ক্রিনের বদলে, সময় কাটাতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে। গাছপালা আছে এমন জায়গায়, বাগানের মধ্যে দিনের কিছু সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে। অবসাদের ঝুঁকিও কমে। তবে, সাম্প্রতিক এই গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, গ্রিন টাইমের মধ্যে ব্লু স্পেস মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। 
    তবে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু মনের সমস্যা একেক জনের জন্য একেক রকম, তাই মানসিক সমস্যায় সবার যে এক রকম জায়গায় সমান উপকার হবে, এমন নিশ্চয়তা নাও থাকতে পারে। সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই সময় কাটানো উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বদলে গিয়েছে প্রতিদিনের রুটিন। কাজের সময়, খাদ্যাভ্যাস কিংবা ঘুমানো, সবটাই বদলে যাচ্ছে। অফিসের নির্দিষ্ট সময় না থাকা, তার জেরে চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, আবার রাতে ঘুমের জন্য সময়ের স্বল্প বরাদ্দ! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের নানা অভ্যাসের জেরেই বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) মতো সমস্যা।

    সমস্যা (Infertility) কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পিসিওডি, ওভারির ক্যানসারের মতো একাধিক অসুখ।

    কী কারণে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব (Infertility)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভধারণের জন্য সুস্থ শরীর ও মন প্রয়োজন। আর সমস্যা হচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই মহিলারা জরায়ু ও ওভারির একাধিক অসুখে ভুগছেন। এই অসুখ বাড়ার অন্যতম কারণ, ফাস্টফুড।পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির মতো অতিরিক্ত তেলমশলার খাবার বা প্রিজারভেটিভ খাবারেই অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। আর এই ধরনের খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর হয় না। অধিকাংশ সময় কাজের চাপে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন। আর যখন খাবার সুযোগ হয়, তখন চটজলদি তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। আর তার ফলেই দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। অধিকাংশ সময় যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়, তাতে স্থূলতা বাড়ে। যেমন প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়, চিপস, হটডগ জাতীয় প্রসেসড খাবার। স্থূলতার সমস্যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যাকে বাড়াতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    মানসিক চাপ বন্ধ্যাত্বের (Infertility) অন্যতম কারণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গর্ভধারণের জন্য যেমন সুস্থ শরীর প্রয়োজন, তেমনি দরকার সুস্থ মন। কিন্তু, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যা। তাই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ব্যস্ত জীবনে কমছে ঘুমের সময়। অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন। অফিস চলে রাতে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য তৈরি হয়। যা দিনের বেলায় বা অসময়ে ঘুমালে হয় না। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

    কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা (Infertility)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে কমানো যায় ঝুঁকি (Infertility)। বিশেষত, যাদের কম বয়স থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, বা ঋতুস্রাবে জটিলতা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও রকম সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
    তবে, জীবনযাপনের ধরন বদলেও ঝুঁকি কমানো যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে খাবারের অভ্যাস রাখতে হবে। নিয়মিত ফল, ড্রাই ফ্রুটস রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। অতিরিক্ত তেলমশলা, চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পেঁপে, কলার মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। নিয়মিত সব্জি খাওয়া দরকার। এতে শরীর সুস্থ থাকে। 
    আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস রাখতে হবে। সকালে যোগাভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা আর যোগাভ্যাস শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetic: দেশে হু হু করে বাড়ছে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন! রিপোর্ট শুনলে চমকে যাবেন

    Diabetic: দেশে হু হু করে বাড়ছে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন! রিপোর্ট শুনলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে আমাদের দেশে। ডায়াবেটিস (Diabetic) শুধু নিজেই সমস্যার সৃষ্টি করে না, তার সঙ্গে অন্য বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। আর সেই কারণেই ডায়াবেটিস নিয়ে এত চিন্তা চিকিৎসকদের। অন্যদিকে হাইপারটেনশন বা হাইব্লাড প্রেশারও ব্যাপক বেড়েছে ভারতে। হালে সামনে এল ভারতে এই দুই রোগের পরিসংখ্যান। আর সেটিও রীতিমতো কপালে চিন্তা ভাঁজ ফেলেছে সকলের। 

    আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষা

    সম্প্রতি আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের উদ্যোগে ভারত জুড়ে চালানো হয় একটি সমীক্ষা। আর তাতেই উঠে এসেছে ভারতে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের ভয়ঙ্কর ছবি। এই রিপোর্ট ছাপা হয়েছে ল্যানসেট জার্নালে। কী বলা হয়েছে সেখানে?

    রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রায় ১১.৪ শতাংশ মানুষই ডায়াবেটিস  আক্রান্ত। সংখ্যার নিরিখে সেটি প্রায় ১০.১ কোটি। অন্যদিকে ৩১ কোটি মানুষ এদেশে হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৫.৩ শতাংশ অর্থাৎ ১৩.৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস  আক্রান্ত হওয়ার পথে। এমনই বলছে পরিসংখ্যান। ২০ বছরের উপরে যাঁদের বয়স তাঁধের নিয়েই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ৩১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে হয়েছে এই সমীক্ষা। ২০০৮ সালে এই পরিসংখ্যানের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে এই তা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।  

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    আরও কিছু তথ্য…

     

    ওই রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, এদেশে ৩১ কোটি মানুষ বর্তমানে ওবেসিটির শিকার। ২১ কোটি মানুষ ভুগছেন উচ্চ কোলেস্টেরলে। রাজ্যগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি অবস্থা খারাপ গোয়ার। এই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৬.৪ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। এর পরেই রয়েছে পুদুচেরি। সেখানকরা মোট জনসংখ্যার ২৬.৩ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অন্যদিকে শহুরে মানুষদের মধ্যেই হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে (Heat Wave) নাজেহাল আট থেকে আশি! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে! তা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খাচ্ছেন আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছেন এসি ঘরে! আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষত, ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের।

    কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা (Heat Wave)?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে একাধিক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার জেরে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। এই গরমে অনেকেই কাশির সমস্যায় ভুগছে। বিশেষত শিশুদের কাশি হলে, তা দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে। তাছাড়া গরম (Heat Wave) থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসি ঘরে থাকছেন। তার ফলে, ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে। সর্দি হলে তা ভোগাচ্ছে বেশি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে লাখ লাখ শিশু নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। এই আবহাওয়া তাদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যে সব শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে, একাধিক আইসক্রিম খেলে, ফের ফুসফুসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি থাকছে। 

    কীভাবে সুস্থ রাখবেন বাচ্চাদের (Heat Wave)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে (Heat Wave) যেমন শরীর ঠান্ডা রাখার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি নজর দিতে হবে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার জন্য যেন ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় জর্জরিত হতে না হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, একাধিক আইসক্রিম একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ, তাতে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাইরে মারাত্মক গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার, এই বৈপরীত্য শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত, শিশুদের জন্য তাই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। 
    তাছাড়া ঠান্ডা পানীয় সম্পূর্ণ এড়িয় চললেই ভালো, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয় যে সব উপাদানে তৈরি, তাতে শুধু সর্দি-কাশির সমস্যা নয়, স্থূলতার সমস্যাও দেখা যায়। সর্দি-কাশির সাময়িক সমস্যার পাশাপাশি স্থূলতার মতো দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরি করে ঠান্ডা পানীয়। তাই শিশুদের সুস্থ রাখতে ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
    এসি ঘরে থাকার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। শিশুরা থাকলে, সেই ঘরের তাপমাত্রা কখনই ২৫-২৬ ডিগ্রির বেশি কমানো যাবে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তাছাড়া, অবশ্যই চাদর ব্যবহার করতে হবে। বিশেষত রাতে ঘুমনোর সময় এসি চললে, যাতে বাচ্চা চাদর ঢেকে ঘুমোয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া, একটানা এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে পরিমাণমতো জল ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে শিশুদের নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ানো দরকার। তাতে একদিকে গরমে ডিহাইড্রেশন, সান বার্নের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে, তেমনি তাদের আরাম হবে। পাশপাশি নিয়মিত তরমুজ, আমের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। আর সর্দি-কাশি হলে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে সংক্রমণ ফুসফুসের জটিলতা তৈরি করতে না পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brain Tumor: কীভাবে বোঝা যায় ব্রেন টিউমার? দেরিতে চিকিৎসায় কি বাড়ছে বিপদ?

    Brain Tumor: কীভাবে বোঝা যায় ব্রেন টিউমার? দেরিতে চিকিৎসায় কি বাড়ছে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    যে কোনও বয়সেই হানা দিতে পারে এই রোগ। তবে, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে এড়ানো যেতে পারে বড় বিপদ। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। ৮ জুন ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার অ্যাওয়ারনেস ডে। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে একাধিক কর্মশালা। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে সময় নষ্ট নয়। বরং সময় মতো চিকিৎসা সারিয়ে তুলতে পারে ব্রেন টিউমারকেও (Brain Tumor)! 

    ব্রেন টিউমার কী? ভারতে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) কত সংখ্যক হয়?  

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, মস্তিষ্কের ভিতরে তৈরি হওয়া কিছু অতিরিক্ত কোষ হল ব্রেন টিউমার (Brain Tumor)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যানসার রেজিস্ট্রেশন-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ২৮ হাজার মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন। আর প্রতি বছর ২৪ হাজার রোগী মারা যান। 

    ব্রেন টিউমারের (Brain Tumor) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানা লক্ষণ খেয়াল করলেই সজাগ হওয়া যায়। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগী সেসব উপসর্গকে গুরুত্ব দেয় না। ফলে, রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। তাই বিপদ আরও বাড়ে। ব্রেন টিউমারের (Brain Tumor) সব চেয়ে বড় উপসর্গ হল মাথার যন্ত্রণা। নিয়মিত মাথার যন্ত্রণা হলে কখনই পেন কিলারের সাহায্যে তা ধামাচাপা দেওয়া উচিত নয়। গোটা মাথা বা মাথার নির্দিষ্ট কোনও অংশে নিয়মিত যন্ত্রণা হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানানো উচিত। তবে, শুধু মাথার যন্ত্রণা নয়, ব্রেন টিউমারের আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা খেয়াল রাখা জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যেমন, হাত-পায়ে দূর্বলতা, পেশির জোর কমে যাওয়া বা শরীরের কোনও একটি অংশ দুর্বল হয়ে যাওয়া। বারবার বমি হওয়া বা সব সময় গা গুলিয়ে ওঠার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম, অপরের কথা বুঝতে না পারা, যে কোনও চেনা জিনিস মনে রাখতে না পারা বা লাগাতার যে কোনও বস্তুকে উল্টোদিকে দেখা অর্থাৎ, দৃষ্টির সমস্যাও কিন্তু ব্রেন টিউমারের উপসর্গ। 

    ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) থেকে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) মানেই জীবন শেষ, এই ধারণা ভুল। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব। কোন বয়সে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কিংবা টিউমারের ধরন কেমন, কত দ্রুত টিউমার বড় হচ্ছে, এই সব কিছুর উপর সুস্থ হয়ে ওঠার হার নির্ভর করে। তাই আগেই রোগের নাম শুনে ভয় পাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পাশাপশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমার মানেই মস্তিষ্কে ক্যানসার নয়। সব টিউমার ক্যানসার হয় না। এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা হলে ব্রেন টিউমারের রোগীও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Autism: বাচ্চা একটু বেশিই মোবাইলের প্রতি আসক্ত? সময় থাকতে নজর দিন

    Autism: বাচ্চা একটু বেশিই মোবাইলের প্রতি আসক্ত? সময় থাকতে নজর দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার বাচ্চার মধ্যে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন নজর করছেন? দেখছেন, তার মধ্যে চঞ্চলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সমবয়সী বাচ্চার সাথে সে মেলামেশা করছে না, এমনকী কথা বলাও কমে গিয়েছে অনেকটাই। সব সময় যেন সে নিজের অন্য জগতে বিচরণ করছে? হঠাৎ এই ধরনের আচরণ দেখলে বুঝতে হবে, আপনার বাচ্চা অটিজমের (Autism) শিকার হতে পারে। আরও একটি বিষয় ইদানীং লক্ষ্য করা যায়, বর্তমানে বাচ্চারা একটু বেশিই মোবাইলের প্রতি আসক্ত। ফলে তারা এই মোবাইলে যে সব ভিডিও, ছবি দেখছে, সেগুলিকেই বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করছে। তার মস্তিষ্কে তৈরি হচ্ছে এক অন্য জগৎ। সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে পারছে না। খেলাধুলো করার ইচ্ছা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন এই মোবাইলের মধ্যেই বুঁদ হয়ে থাকছে। চিকিৎসকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই ধরনের রোগ ভার্চুয়াল অটিজম নামে পরিচিত।

    কী হয় এই অসুখে (Autism)?

    এই অসুখ নিয়ে অনেক গবেষণা করা হচ্ছে এখনও। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি এক ধরনের নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। এর প্রভাবে একটি বাচ্চার ব্যবহারে একগুঁয়েমি, চঞ্চল মনোভাব, কারও সাথে বেশি কথা না বলা, ইন্দ্রিয়গত সমস্যা ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়। অপরদিকে ভার্চুয়াল অটিজমের (Autism) প্রভাবে ঠিক ওই সমস্যাগুলিই থাকে। তার সাথে ছটফটে মনোভাব, কম কথা বলা, চোখে চোখ রেখে কথা না বলা ইত্যাদি থাকে। কিন্তু এর সাথে মোবাইল ফোনের একটি যোগসূত্র গবেষকরা খুঁজে পান। ভার্চুয়াল অটিজমের ক্ষেত্রে মোবাইলের নেশা সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলে বাচ্চাদের ওপর।

    আর কী পার্থক্য আছে অটিজম (Autism) আর ভার্চুয়াল অটিজমের মধ্যে?

    সাধারণত, সমস্ত বাচ্চার মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বোধ কম-বেশি থাকে। কিন্তু যে সব বাচ্চা অটিজমের (Autism) শিকার, তাদের সামাজিক সচেতনতা বোধ নেই বললেই চলে। তার আশপাশের পরিবেশগত উদ্দীপনা স্বাভাবিক থাকলেও তার প্রভাব কোনও ভাবেই বাচ্চার মধ্যে পড়ে না। অপরদিকে ভার্চুয়াল অটিজমের ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা বোধ বাচ্চাদের মধ্যে একটু হলেও বেশি। কিন্তু পরিবেশগত উদ্দীপনা এদের মস্তিষ্কে কোনও প্রভাব ফেলে না। তাই এদেরও অটিজমের শিকার হতে হয়।

    এর (Autism) থেকে মুক্তি পেতে কী করা উচিত?

    যদি আপনি সন্দেহ করেন যে আপনার বাচ্চা এই ভার্চুয়াল অটিজমের (Autism) শিকার, তাহলে দেরি না করে কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাচ্চার মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন। তাছাড়াও চিকিৎসকের কাছে অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ থেরাপি শুরু করা উচিত। চারপাশের মানুষের সাথে যাতে সহজে মেলামেশা করতে পারে, তার জন্য আপনার বাচ্চাকে অবগত করুন। এতেই আপনার বাচ্চার ইন্দ্রিয়গুলির কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে খুব তাড়াতাড়ি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গরমে বাড়ছে ত্বকের সমস্যা, সান বার্ন থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

    Heat Wave: গরমে বাড়ছে ত্বকের সমস্যা, সান বার্ন থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ চড়ছে (Heat Wave)! গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। আর তার জেরেই বাড়ছে সান বার্নের মতো একাধিক সমস্যা। বিশেষত শিশুদের ত্বকের নানা সমস্যা অনেক সময়ই চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে।

    গরমে (Heat Wave) কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই গরমে (Heat Wave) সান বার্নের সমস্যা সব চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। শরীরের অনাবৃত অংশে সূর্যের তাপে লাল দাগ হয়ে যাচ্ছে। গোল আকারের লাল দাগের সঙ্গে চুলকানি ও জ্বালা অনুভব করছেন অনেকেই। Rash থেকেই তৈরি হচ্ছে ত্বকের নানান সমস্যা। তবে অতিরিক্ত ঘামের জেরে শিশুদের নানান ত্বকের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চুলকানি, জ্বালা, Rash এর মতো একধিক ত্বকের সমস্যা হচ্ছে।

    গরমে (Heat Wave) কীভাবে সুস্থ রাখবেন ত্বক? 

    গরমে যেমন শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি যত্ন নিতে হয়, সেইভাবে ত্বকের জন্যও আলাদা যত্নের প্রয়োজন। এমনই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সান স্ক্রিন মাখতে হবে। রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে সান স্ক্রিন সাহায্য করবে। গরমে বাইরে থেকে ফেরার পরে অবশ্যই স্নান করা আবশ্যক। কারণ, বাইরে ঘামের জেরে নানান ব্যাকটেরিয়া ত্বকে বাসা বাঁধে। স্নান করলে সেই ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে দূর হয়। ত্বক ঠান্ডা থাকে। সান বার্নের মতো সমস্যা দূর হয়। পাশপাশি Rash এর ঝুঁকি ও কমে। তবে, শুধু বাইরে থেকে ফিরে নয়। বরং, বাড়িতে থেকেও যদি অতিরিক্ত ঘাম (Heat Wave) হয়, তাহলে একাধিকবার স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্য বারবার স্নান করানো সম্ভব না হলে, অতিরিক্ত ঘাম হলে পোশাক পরিবর্তন করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যাতে কোনও ভাবেই ঘাম থেকে ব্যাকটেরিয়া ত্বকে বাসা বাঁধতে না পারে, সে দিকে নজর রাখতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    খাবারে কীভাবে নজর দেবেন?

    স্নানের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে আরও কয়েকটি জিনিসে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যেমন, শশা ও টক দই-এই দুই ঘরোয়া খাবারের উপর তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিয়মিত শশা ও টক দই খেলে যেমন লিভার সুস্থ থাকবে, তেমনি ভালো থাকবে ত্বক। শশায় জলীয় উপাদান রয়েছে। ফলে, দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে শশা খুব উপকরী। আর শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকলে ত্বক ভালো থাকে। এই গরমে (Heat Wave) রোদের জন্য অতিরিক্ত সান ট্যান পড়ে গেলে টমেটোর ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, টমেটো পেস্ট করে মাখলে ত্বকের সান ট্যান খুব সহজেই উঠে যায়। তবে, ত্বক পরিষ্কার রাখাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ত্বক পরিষ্কার থাকলে Rashহওয়ার ঝুঁকি কমবে। তাই নিয়মিত মুখ ও ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। গরমে একাধিকবার তা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dehydration: গরমে বাড়ছে ডিহাইড্রেশন! কী ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে? কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা? 

    Dehydration: গরমে বাড়ছে ডিহাইড্রেশন! কী ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে? কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে! বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানাচ্ছে না আবহাওয়া দফতর! কিন্তু অফিস কিংবা অন্যান্য কাজে বাইরে যেতেই হচ্ছে। বাড়িতে থাকলেও এই গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি! যা মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

    ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কী? 

    অতিরিক্ত ঘাম কিংবা পর্যাপ্ত জলের অভাবে শরীর থেকে প্রয়োজনের বেশি তরল পদার্থ বেরিয়ে যাওয়াকেই বলা হয় ডিহাইড্রেশন (Dehydration)।

    ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কী ঝুঁকি তৈরি করে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে প্রাণ সংশয়ও হতে পারে। ডিহাইড্রেশন (Dehydration) হলে কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কে অক্সিজেন যায় না। ফলে মস্তিষ্কের শক্তি কমে। কিডনিতে হতে পারে স্টোন। এমনকী মস্তিষ্ক বিকল পর্যন্ত হতে পারে।

    কীভাবে বুঝবেন ডিহাইড্রেশন (Dehydration) হতে পারে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলেই ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে বমি, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাছাড়া, গলা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, কাশি এবং ক্লান্তি বোধ ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ।

    কীভাবে রুখবেন ডিহাইড্রেশন (Dehydration)? 

    এই গরমে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) রুখতে বাড়তি সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন না থাকলে বেলা বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত রাস্তায় না থাকাই ভালো। সরাসরি সূর্যের তাপ এই সময় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে, বাইরে থাকলে অবশ্যই সঙ্গে জলের বোতল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমাণ মতো জল খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধু বাইরে নয়, যাঁরা বাড়িতে থাকছেন, এই গরমে তাঁরাও কতটা পরিমাণ জল খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে নুন-চিনি দেওয়া সরবত বারবার খাওয়া দরকার। তাতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি অনেক কমে। ওআরএস খেলে আরও ভালো। তবে, ওআরএস কেনার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত পরিমাপে ওআরএস তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ প্যাকেটজাত পানীয় ওআরএস বলে বিক্রি করা হয়, যা ডিহাইড্রেশন রুখতে কোনও কাজ দেয় না। 
    এছাড়াও, প্রয়োজন নিয়মিত ডাব, তরমুজ, পেঁপের মতো ফল খাওয়া। ডাবের জলের একাধিক উপাদান ডিহাইড্রেশন রুখতে সাহায্য করে। তাছাড়া তরমুজও শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই নিয়ম করে এই ফল খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share