Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই সর্দি-কাশি আর জ্বরে অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত, শিশুদের জ্বর আর সর্দি নিয়ে জেরবার অধিকাংশ পরিবার। জ্বর কমে গেলেও থাকছে সর্দি-কাশি। আবার দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের ফিরে আসছে জ্বর! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) শক্তি বাড়ছে। এক সপ্তাহে কলকাতায় তিনজন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু, আরও বিপদের জানান দিচ্ছে। সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ একাধিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিন্তু, ডেঙ্গির (Dengue Fever) দাপটের জেরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বর ভেবে অবহেলা করা হয়। যার জেরে সময় মতো ডেঙ্গির চিকিৎসা করা হয় না। তাই বিপদ বাড়ে। এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সময় মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তিন দিন একটানা জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিত। তবেই সময় মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

    কোন কোন উপসর্গ ডেঙ্গির (Dengue Fever) ইঙ্গিত দেয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও ডেঙ্গির জানান দেয় বিশেষ কিছু উপসর্গ। সেগুলো নজরে রাখলেই প্রথম থেকে সতর্ক হওয়া যাবে। বড় বিপদ হয়তো আটকানো যাবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রায় ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠে। ফলে, অতিরিক্ত তাপ জানান দেয়, রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারেন। 
    গোটা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব হয়। ডেঙ্গি (Dengue Fever) আক্রান্ত হলে বিশেষত হাত ও পায়ের পেশিতে, কোমরের হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। শুয়ে থাকলেও সেই যন্ত্রণা থাকে। তাই জ্বরের সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা হলে, তা ডেঙ্গির লক্ষণ। 
    ডেঙ্গির আরেক ইঙ্গিত হল বমি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে বার বার বমি হয়। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের মাথার যন্ত্রণা এমনকী মাঝেমধ্যে চিনতে না পারার মতো লক্ষণও দেখা যায়। তাই জ্বরের মধ্যে জ্ঞান হারানো বা চিনতে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
    শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার লাল দাগ দেখা দিলে, তা ডেঙ্গির (Dengue Fever) লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই জ্বরের সময় ত্বকে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • West Bengal Health: তিন রোগের সংক্রমণে দুশ্চিন্তা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ কি মানছে রাজ্য?

    West Bengal Health: তিন রোগের সংক্রমণে দুশ্চিন্তা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ কি মানছে রাজ্য?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তিনটি রোগের সংক্রমণ (West Bengal Health) বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। পশ্চিমবঙ্গের গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য নিয়ে তাই বাড়তি উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যকে সে বিষয়ে জানানোও হয়েছে। রোগ যাতে মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের দেহে না পৌঁছায়, সে বিষয়ে বাড়তি নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছে মন্ত্রক। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন।

    কোন তিন রোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র? 

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি-এই তিন রোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই তিনটি রোগ রক্ত ও দেহরসের দ্বারা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। আর শিশুদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকেই তাদের দেহে এই রোগ সংক্রমিত হয়েছে।
    সূত্রের খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই এই তিন রোগ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। দেশের সমস্ত রাজ্যেই তাই রোগ নির্ণয় করার পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে, এ রাজ্যের পরিস্থিতি (West Bengal Health) বেশ উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে মন্ত্রক। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে গর্ভবতীদের এই তিন রোগের স্ক্রিনিংয়ের হার কম। অর্থাৎ, হবু মায়ের এই তিন রোগ আছে কিনা, অধিকাংশ সময় তা গর্ভস্থ অবস্থায় পরীক্ষা করা হয় না। ফলে, মায়ের থেকে অজান্তেই শিশুর শরীরে এই তিন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ভুগতে হয় পরবর্তী প্রজন্মকে।

    কী পরামর্শ (West Bengal Health) দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ, গর্ভবতী মায়ের শারীরিক পরীক্ষা বাড়াতে হবে। সরকারি নজরদারিতে প্রসূতির সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলে সিফিলিসের মতো রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব। তাই প্রথমেই এই রোগ নির্মূলকে গুরুত্ব দিতে হবে। গর্ভবতীর এই রোগ থাকলে, তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে হবে। সরকারের তরফ থেকে ওষুধ দেওয়া হবে। গর্ভস্থ শিশুর মধ্যে যাতে রোগ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। 
    তবে, এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি নির্মূল সম্ভব নয়। কিন্তু গর্ভবতীর রোগ নির্ণয় হলে, মায়ের থেকে শিশুর শরীরে রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মা হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত জানতে পারলে, শিশু জন্মানোর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর শরীরে হেপাটাইটিস বি টিকা দিতে হবে। তারপরে টিকার আরও দুটো ডোজ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সদ্যোজাতকে দিতে হয়। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি নির্মূল করা যেতে পারে। তবে, এইচআইভি সংক্রমিত হলে, মায়ের বাড়তি চিকিৎসা জরুরি। কারণ, শিশু গর্ভস্থ অবস্থায় চিকিৎসা শুরু না করলে, এইডস আক্রান্ত শিশু জন্মানোর ভয় থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে ৪০ শতাংশের বেশি। তাই গর্ভবতীর অ্যান্টি-রেস্ট্রাভাইরাল থেরাপি শুরু করা জরুরি। এই থেরাপি করলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ১ শতাংশের কম হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ, এই দুই রোগে গর্ভবতী আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করে জানতে হবে। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে পরিবারকে বিষয়টি জানাতে হবে। এই রোগের চিকিৎসার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। রোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি, রোগ যাতে সদ্যোজাতের শরীরে বাসা না বাঁধে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো ট্রিপলট্রিগার ক্যাম্পেন (West Bengal Health) চালাতে হবে। অর্থাৎ, এই তিন রোগের উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    কী পদক্ষেপ করবে রাজ্য (West Bengal Health) ? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা জানাচ্ছেন, গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই তিন রোগের দাপট রুখতে স্ক্রিনিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বীরভূমের মতো জেলাগুলোকে বাড়তি নজর (West Bengal Health) দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ১২ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গড়ে তোলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রতি মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স কিংবা নারী নাকি পুরুষ, কোনও বিশেষ পরিচয় নয়। যে কেউ এই বিপদের শিকার হতে পারেন। বাঁচার একমাত্র উপায় খাদ্যাভ্যাস! ভারতে ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০ বছরের পর থেকেই ডাযাবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তবে, ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। শুধুমাত্র খাবার নিয়ন্ত্রণ করেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রাশ টানা যেতে পারে এই ক্রনিক সমস্যার।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের অনুমান ছিল, ৭ কোটির বেশি ভারতীয় ডাাবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র রিপোর্ট জানাল, পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ। ১০ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিক। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে তাঁরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবেন। আর এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    উদ্বেগের কারণ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস (Diabetes) জীবন যাপনের মান কমায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, অন্য যে কোনও রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আর ডায়াবেটিস আক্রান্তের হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, চোখ সহ একাধিক অঙ্গের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি গর্ভবতীর ডায়াবেটিস থাকলে, তা গর্ভস্থ শিশুর জন্য নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভারতে যে বিপুল হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম কতখানি সুস্থ জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    নতুন গবেষণা মুক্তির কী পথ (Diabetes) দেখাচ্ছে? 

    ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উঠে এসেছে স্বস্তির বার্তা। ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমে। ২০ থেকে ৬০ বছরের নানা বয়সের ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়ে একদল ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ গবেষণা চালান। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র খাবারে রাশ টানলে এক বছরের মধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কোনও ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারকেই মূল হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নানা রকমের খাবার মেনুতে থাকুক। ডায়াবেটিস আক্রান্তকে কখনোই এক রকমের খাবার যেমন, ভাত, রুটি বা ন্যুডলস বেশি পরিমাণে দিয়ে পেট ভরানো যাবে না। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সব রকমের খাবার অল্প অল্প পরিমাণে দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পর্যাপ্ত সব্জি, চিকেন কিংবা ডিম, তার সঙ্গে রাখতে হবে খেজুর, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস। তাহলে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ফাইবার আবার ভিটামিন পাওয়া যাবে। আবার জলখাবারে পাউরুটি বা মুড়ি খেলেও সঙ্গে থাকুক কলা, বেদানা, আপেল, পেয়ারার মতো ফল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানা রকমের ফল যেমন, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, নাশপাতি এক সঙ্গে টুকরো করে কেটে টক দই মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত দুধ, টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। নিজের ওজন বুঝে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন, কেক, রসগোল্লা, পেস্ট্রি একেবারেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, সবচেয়ে জরুরি সময় মতো খাবার খাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর খাবারের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে। সেটা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের সমস্যায় জেরবার অধিকাংশ ভারতীয়। শুধু প্রৌঢ় কালের নয়। এই সমস্যা এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। আর ডায়াবেটিসের সঙ্গে হাজির হচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো হাজার সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসকে অনেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। খাবারে রাশ টানলে অনেক বিপদ কমবে, এই ভাবনা থেকেই নিজের মতো করে ডায়েট (Diet) করছেন। আর তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের অনভিজ্ঞ ডায়েট নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। এমনকী একাধিক রোগের কারণ হচ্ছে এই ইচ্ছে মতো অবৈজ্ঞানিক ডায়েট।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ডায়েটিক সোসাইটির এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয় প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। দিনে প্রয়োজনের তুলনায় ৬০ গ্রাম কম প্রোটিন (Diet) খান অধিকাংশ ভারতীয়। পাশপাশি, ফাইবারের ঘাটতিতেও ভুগছেন অধিকাংশ ভারতীয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন ৮ থেকে ১৫ গ্রাম কম ফাইবার খাওয়ার জেরে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবারের অভাবে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি সমস্ত রোগকেই প্রতিরোধ করতে দেহকে তৈরি করে। ফাইবার, প্রোটিনের মতো জরুরি উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে, একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোলেস্টেরল ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (Diet) না খেলে সমস্যা বাড়বে। এছাড়া ফাইবার হৃদরোগ রুখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। তাই ফাইবারের ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও ফাইবার সাহায্য করে। মহিলাদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    আর প্রোটিনের অভাব শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, প্রোটিন শরীরের পেশি, মাংস, হাড়ের শক্তি বাড়ায়। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে হাড়ের জোর কমে। হাড় ক্ষয় হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনও কাজেই ক্লান্তি বোধ হয়। পাশপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে। যার জেরে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা তৈরি হয়।

    কোন খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগের জন্য ডায়েট (Diet) করতে হলে, সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করা দরকার। অনভিজ্ঞ ডায়েট চার্ট বিপজ্জনক। ফাইবারের ঘাটতি কমাতে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত, আপেল, ন্যাশপাতি, স্ট্রবেরির মতো ফল খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোসা শুদ্ধ আপেল খেলে অনেকটাই ফাইবার শরীরে যায়। তবে, স্ট্রবেরিতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরির মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। 
    পাশপাশি গাজর, মিষ্টি আলু, শিম, ব্রোকলির মতো সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ধরনের সব্জি নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতি কমে। 
    এছাড়াও রয়েছে ছোলার মতো দানা শস্য। যা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। 
    প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কুসুম সহ ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। ডিমে ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে। তাই যে কোনও ভাবেই ডিম খেলে, প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছ, চিকেনের মতো খাবার থেকে প্রাণীজ প্রোটিন পাওয়া যায়। তাছাড়া পনির, সোয়াবিন, তফু থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টেনিদার প্যালারাম দিনরাত পেটের অসুখে ভুগত! শিঙি মাছের ঝোল ছাড়া তার আর কিছুই সহ্য হত না। তবে, বাঙলা সাহিত্যের অনবদ্য চরিত্র প্যালারাম একা নয়। পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি অনেকেই। ক্রমাগত পেটে অস্বস্তি, কিছু খেলেই পেটের অসুখ-এই সমস্যা (Irritable bowel syndrome) অনেকের। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। 

    ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কাকে বলে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেটের ক্রনিক এক ধরনের অসুখের নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। এর জেরে পেটে এক ধরনের অস্বস্তি, যন্ত্রণা অনুভব হয়। বার বার মলত্যাগের মতো সমস্যা হয়। সামান্য খাবার খাওয়ার পরেও পেটে সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবারের পরিবর্তন এই রোগের (Irritable bowel syndrome) উপশমে সাহায্য করবে। 

    কোন খাবারে উপকার পাওয়া যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন অনেক খাবার আছে, যা বহু সময়েই এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable bowel syndrome) সেগুলো থেকে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পপকর্ন, আলু ভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস জাতীয় খাবারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। এগুলো খেলে সমস্যা কমতে পারে। 
    সবজির মধ্যে নিয়মিত গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, শশার মতো খাবার মেনুতে রাখলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। কারণ, এইসব সবজি সহজে হজম হয়। আবার প্রচুর ভিটামিন থাকে। তাই এই রোগে উপকার পাওয়া যায়। 
    ফলের মধ্যে স্ট্রবেরি, আঙুর আর আনারসের মতো ফলে ফাইবারের মতো উপাদান থাকে। পাশাপাশি আঙুরে থাকে নানান খনিজ পদার্থ। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। 
    প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, চিকেন নিয়মিত খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। বিশেষত, মাখনে রান্না করা চিকেন বা ডিম পেটের এই ক্রনিক সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত বাদাম খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কমতে পারে বলেও জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চললে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কমে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার এড়িয়ে গেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable bowel syndrome) মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর বাদ দেওয়া খাবারের তালিকায় প্রথমেই বিনস, পিয়াজ আর রসুন এই তিন খাবারকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা বাড়ায়। 
    তরমুজ, পিচ জাতীয় ফলকে খাবারে তালিকায় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো ক্রনিক পেটের সমস্যা থাকলে এই ধরনের ফল বিপদ বাড়ায়। পেটে যন্ত্রণা, অস্বস্তি আরও বাড়ে। 
    জলখাবারে অনেকেই পাউরুটি, সসেজ, মাফেন খান। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে বাড়তে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। তাই এগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পেস্তা, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারও তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে সমস্যা বাড়তে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Malta Fruit: মাল্টা বেশি খেলে ঝুঁকি আছে কি? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    Malta Fruit: মাল্টা বেশি খেলে ঝুঁকি আছে কি? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমলালেবুর মতো গাঢ় রং! কিন্তু ভিতরে কমলালেবুর কোয়া নেই। বরং মুসুম্বি লেবুর মতো। তবে, গন্ধে আর স্বাদে মুসুম্বি লেবুকে কয়েক গোল দেবে। এর নাম মাল্টা (Malta Fruit)। এই লেবু মূলত উত্তরাখণ্ড থেকে আমদানি হয়। বর্ষার শুরু থেকেই বাজারে পাওয়া যায় মাল্টা। প্রায় পুজোর মরশুম পর্যন্ত, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভালো মানের মাল্টা বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এই লেবুর উপকার কতখানি? দেখতে সুন্দর। কিন্তু গুণে পরিপূর্ণ কী? বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য জানাচ্ছে, নিয়মিত একটা মাল্টা খেলে অনেক বিপদ এড়ানো যাবে।

    মাল্টা (Malta Fruit) খেলে কী উপকার পাওয়া যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ যাদের আছে, মাল্টা তাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী। মাল্টায় থাকে হেসপেরিডিন এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। যার জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায় মাল্টার রস। 
    তাছাড়া, মাল্টায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত মাল্টার (Malta Fruit) রস খাওয়ালে সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমবে। কারণ, ভিটামিন সি সর্দি-কাশি প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। আর বর্ষার মরশুমে শিশু ও বয়স্কদের সর্দি-কাশিতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সময়ে তাদের নিয়মিত মাল্টা খাওয়ালে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। 
    তাছাড়া, মাল্টা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটা ফল। যার জেরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শ্বেত কণিকা রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই মাল্টা খেলে দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। 
    মাল্টায় ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে প্রচুর অন্যান্য ভিটামিন। যেমন যার জেরে দাঁত, চুল, ও ত্বক ভালো থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাল্টা খেলে দাঁতের সমস্যা, জিহ্বায় ঘায়ের মতো সমস্যা কমে। পাশপাশি ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে মাল্টা। 
    যেহেতু মাল্টায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তাই মাল্টা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাল্টার মতো ফল নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, মাল্টা স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    অতিরিক্ত মাল্টা (Malta Fruit) খেলে কোনও সমস্যা হতে পারে কি? 

    বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য জানাচ্ছে, মাল্টার উপকার অনেক। কিন্তু অতিরিক্ত মাল্টা খেলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অতিরিক্ত মাল্টা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। মাল্টার রস পেটের জন্য বিশেষত লিভারের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত মাল্টার (Malta Fruit) রস খেলে পেটের সমস্যা বা বারবার মলত্যাগের মতো সমস্যা হতে পারে। 
    আবার যাদের রক্তচাপ ওঠা-নামা অর্থাৎ, রক্তচাপ নিম্নমুখীর প্রবণতা, তাদের অতিরিক্ত মাল্টা বিপদ বাড়াতে পারে। কারণ, তাতে রক্তচাপ কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, রোজ সকালে ভারী জলখাবারের পরে একটা মাল্টা খাওয়া যেতে পারে। তাতে শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শারীরিক নানা জটিলতা, নানা কারণে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সমস্যা বুঝতেই রোগীর দেরি হয়। তাই সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক সময়ই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকছে না। তাই আগে থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    কাদের কিডনির রোগে (Kidney Disease) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির রোগে যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতেই পারেন। কিন্তু ৪০ বছরের চৌকাঠ পেরলে বাড়তি সতর্ক হতে হয়। বিশেষত মহিলাদের কিডনির রোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশের কারণ কিডনি ফেলিওর (Kidney Disease)! তাছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মহিলা পঞ্চাশ বছরের পরে নানা ক্রনিক কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তবে, কিডনি ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়।

    কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনি সমস্যার (Kidney Disease) জানান দেয়?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ত্বকের সমস্যার কারণে অনেক সময়ই কিডনির রোগ (Kidney Disease) হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় তা বোঝা যায় না। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণ কিডনির সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ত্বকে নানা চুলকানি, কিংবা হাত-পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ সাধারণ বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিকমতো শারীরিক পরীক্ষা করলে জানা যায়, কিডনির সমস্যা থেকেও এগুলো হতে পারে। 
    রাতে ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যার কারণ কিডনির রোগ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানান, কিডনির সমস্যা থাকলে ঘুমের অসুবিধা হয়। তাই রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সতর্ক হতে হবে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘুম কম হতে পারে। 
    পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যা থাকলে দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান কমতে থাকে। তার জেরে দেহের একাধিক অংশ ফুলতে পারে। বিশেষত পা ফুলে যায়। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 
    বারবার মূত্রত্যাগ কিডনি সমস্যার আরেক উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বারবার মূত্রত্যাগকে শুধুমাত্র ডায়বেটিসের উপসর্গ বলে ভুল করেন। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলেও এই এক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা দরকার। 
    পেটের যন্ত্রণা কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ। বিশেষত পেটের নীচের অংশে প্রায় যন্ত্রণা অনুভব হলে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যে কোনও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stomach Disorder: বর্ষায় শিশুদের ভোগাচ্ছে পেটের অসুখ! কোন খাবারে বাড়ছে ভোগান্তি?

    Stomach Disorder: বর্ষায় শিশুদের ভোগাচ্ছে পেটের অসুখ! কোন খাবারে বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম! রোজকার বৃষ্টিতে আবহাওয়া স্বস্তি দিলেও, ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বর্ষার অসুখ! সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলছে পেটের অসুখ (Stomach Disorder)! বিশেষত, শিশুদের জন্য বাড়তি চিন্তার কারণ হচ্ছে পেটের অসুখ! তাই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    পেটের অসুখে (Stomach Disorder) বাড়তি চিন্তা কেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেটের অসুখে বাড়তি চিন্তা রয়েছে। বিশেষত শিশুদের জন্য এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগের। কারণ, পেটের সমস্যায় (Stomach Disorder) অতিরিক্ত ভুগলে ডায়ারিয়া, কলেরার মতো রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। যা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে। তাছাড়া, পেটের অসুখ অর্থাৎ বারবার মলত্যাগের মতো সমস্যা হলে, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। কারণ, অতিরিক্ত মলত্যাগের ফলে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়। তার জেরেই হয় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি। যা প্রাণঘাতীও হতে পারে। লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়াতে পারে লাগাতার পেটের সমস্যা। সব মিলিয়ে পেটের সমস্যা নানা জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    কোন খাবার বিপদ বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় মূলত জল থেকেই নানা সমস্যা তৈরি হয়। পেটের অসুখের (Stomach Disorder) অন্যতম কারণ, জল। বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গায় বন্যা হয়, জল জমে থাকে, নিকাশি নালার সঙ্গে মিশে যায় খাবার জলের পাইপ! সব মিলিয়ে পরিশ্রুত পানীয় জলের সঙ্কট অনেক ক্ষেত্রে তৈরি হয়। আর তার জেরেই বাড়ে বিপদ! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস, কলেরা, ডায়ারিয়া কিংবা সাধারণ পেটের অসুখ, এই সব রোগ আটকাতে জরুরি পরিশ্রুত জল। তাই প্রয়োজনে শিশুদের জল ফুটিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    বাইরের খাবার বিশেষত, রঙিন সরবত একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, রঙিন সরবতে কী ধরনের তরল ব্যবহার করা হয়, তা কতখানি পরিশুদ্ধ, সে ব্যাপারে সব সময় নিশ্চয়তা থাকে না। তাই বর্ষায় সুস্থ থাকতে শিশুদের রঙিন সরবত এড়িয়ে যেতে বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    যে কোনও বাইরের তৈরি চটজলদি খাবার, অর্থাৎ, চাউমিন, রোল, মোগলাই পরোটার মতো ফাস্ট ফুড বর্ষায় না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবার সহজপাচ্য নয়। শিশুদের হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার জেরেও পেটের অসুখ হতে পারে।

    ফি-দিনের মেনুতে কোন খাবার রাখলে ঝুঁকি কমবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পরিশ্রুত জল খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার ফি-দিন খেলে পেটের অসুখের (Stomach Disorder) ঝুঁকি কমবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাচ্চাদের খাবারের মেনুতে নিয়মিত কাঁচকলা আর পেঁপের মতো সবজি থাকুক। কারণ, এই দুই সবজিতে আছে আয়রন ও ভিটামিন। এই দুই সবজি সহজে হজম হয়। পেটের পক্ষে উপকারী। 
    খাবারের তালিকায় লাউ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাউ লিভারের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত লাউ খেলে পেটের সমস্যা কমবে। 
    সবুজ আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সবুজ আপেল পেটের জন্য উপকারী। 
    খাওয়ার পরে এক টুকরো আমলকি খেলে পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের। আমলকি সহজে হজম করায়। তাই আমলকি বিশেষ উপকারী। 
    তবে, পেটের সমস্যা দেখা দিলে বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনে নুন-চিনি মিশিয়ে জল খেতে হবে। যাতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি না হয়। তবে, সমস্যা বাড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Cold and Cough: বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি-কাশি! কোন কোন ঘরোয়া উপাদান কমাবে ভোগান্তি? 

    Monsoon Cold and Cough: বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি-কাশি! কোন কোন ঘরোয়া উপাদান কমাবে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম! কখন বৃষ্টি হবে, অনেক সময়ই আগাম বোঝার উপায় নেই। প্রায়ই স্কুল ফেরত কিংবা অফিস যাওয়ার সময় অঝোর বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশি, সর্দি, গলা ব্যথার মতো সমস্যা (Monsoon Cold and Cough) লেগেই থাকছে। এমনকী লাগাতার সর্দির জন্য নানা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তি বাড়ছে। সব মিলিয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু ঘরোয়া উপাদান সঙ্গে থাকলে এই ভোগান্তি কমতে পারে।

    কোন কোন উপাদান নিয়মিত সঙ্গী হলে ভোগান্তি (Monsoon Cold and Cough) কমে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু খাওয়া দরকার। যে কোনও ধরনের লেবুর রস নিয়মিত খেতে হবে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা সর্দি-কাশি প্রতিরোধে শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। তাই নিয়মিত লেবুর রস খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হয়। 
    যাঁরা অতিরিক্ত সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের সকালে মধু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধু খাওয়ার পরামর্শ তাঁরা দিচ্ছেন। মধুতে শরীর গরম থাকে। ফলে, সর্দির প্রকোপ (Monsoon Cold and Cough) কমে। 
    বৃষ্টিতে ভিজলে একটা গোটা লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। লবঙ্গ গলার জন্য খুবই উপকারী। তাই গলার আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন এড়াতে লবঙ্গ বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। 
    গোলমরিচ আর তুলসী পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে (Monsoon Cold and Cough) বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এগুলো শরীর গরম রাখে, আবার সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে।
    রাতে ঘুমনোর আগে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম আর হলুদে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা। এই দুটি এক সঙ্গে খেলে শরীর সুস্থ থাকে। 
    খাবারে আদা ও রসুন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আদা ও রসুনে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যার জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই খাবারে এই দুই উপকরণ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

    কোন কোন দিক এড়িয়ে চলা বিশেষ জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাবার ও ঘরোয়া উপকরণ রোগ (Monsoon Cold and Cough) প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে, সতর্ক ও সচেতন না হলে ভোগান্তি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় আইসক্রিম, ঠান্ডা নরম পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এগুলো খেলে দ্রুত আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    তাছাড়া, যেহেতু আবহাওয়ার খামখেয়ালি ধরন রয়েছে, দ্রুত তাপমাত্রা ওঠানামা করছে, তাই লাগাতার এসি ঘরে থাকা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষত, বৃষ্টিতে ভিজে গেলে তারপর কখনই এসি ঘরে থাকা চলবে না বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। এতে সর্দি-কাশির (Monsoon Cold and Cough) ঝুঁকি বাড়বে। 
    তাছাড়া, পরিবারের কেউ সর্দি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত হলে বাকিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাতে সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়। বিশেষত শিশুদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: কত ধরনের রক্তাল্পতা হতে পারে? মুক্তিরই বা দিশা কী?

    Anemia: কত ধরনের রক্তাল্পতা হতে পারে? মুক্তিরই বা দিশা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাল্পতার সমস্যা অনেকেরই আছে। তবে এর প্রবণতা মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই রক্তাল্পতা অ্যানিমিয়া (Anemia) নামে পরিচিত। এটা কোনও রোগ নয়, একে একটি সমস্যা বলা চলে। সাধারণত রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা বা আরবিসি-র পরিমাণ কমলেই অ্যানিমিয়ার সৃষ্টি হয়। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের তরফ থেকে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি মহিলা এই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। আর ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, পৃথিবীর প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।

    বিভিন্ন ধরনের রক্তাল্পতা (Anemia) এবং তার কারণগুলি কী কী?

    ১) লোহা বা আয়রনের অভাব জনিত রক্তাল্পতা: এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার একটি সাধারণ কারণ। মানব শরীরে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, যেটি রক্তে উপস্থিত থাকে। শরীরে এই আয়রনের ঘাটতি হলেই লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে ব্যাঘাত ঘটে। আর অ্যানিমিয়ার সৃষ্টি হয়।  
    ২) সিকেল সেল রক্তাল্পতা: এটি এক ধরনের বংশগত রক্তাল্পতার (Anemia) সমস্যা। এই ধরনের রক্তাল্পতায় শরীরে লোহিত কণিকার উৎপাদন অস্থিমজ্জায় উপস্থিত লাল রক্ত কণিকার গঠনের থেকে বেড়ে যায়। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
    ৩) ভিটামিন এ-র অভাব জনিত রক্তাল্পতা: মানব শরীরে ভিটামিনের অভাব ঘটলে এই ধরনের ভিটামিন জনিত রক্তাল্পতা সৃষ্টি হয়। মানব শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ফোলেট এবং ভিটামিন বি-12 এর দরকার। এগুলির ঘাটতি হলেই সৃষ্টি হয় অ্যানিমিয়া।
    ৪) অ্যাপ্লাস্টিক রক্তাল্পতা: এটি একটি খুব অস্বাভাবিক রক্তাল্পতার উদাহরণ। মানুষের শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত কণিকা উৎপাদন করতে পারে না, তখন এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আবার কোনও সংক্রমণ, এইডস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, কিডনি রোগ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থেকেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

    সমস্যা (Anemia) থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

    প্রথমত, যাদের শরীরে লোহা বা আয়রনের ঘাটতি আছে, তাদের লোহা এবং ভিটামিন সি সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যেমন এর মধ্যে পালং শাক ও মুসুর ডাল, মটরশুঁটি, লোহা সমৃদ্ধ দানাশস্য ও বিনস, খাসির মাংস খুবই উপকারী।
    মেয়েদের ঋতুস্রাব ছাড়াও অন্যান্য কোনও কারণে যদি রক্ত ক্ষরিত হয়, তার উৎস খুঁজে সেটিকে বন্ধ করা দরকার। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    যাদের ভিটামিনের অভাবে রক্তাল্পতা আছে, তাদের ভিটামিন B12 এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ  খাবার খেতে হবে। 
    চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যাদের এই সমস্যা গুরুতর অবস্থায় চলে গিয়েছে, তাদের অন্য ব্যক্তি দ্বারা রক্ত গ্রহণ ও কিডনি থেকে উৎপাদিত এরিথ্রোপয়েটিন হরমোন ইঞ্জেকশন দিলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও দুর্বলতা কমে। 
    সিকেল সেল রক্তাল্পতার (Anemia) ক্ষেত্রে ডাক্তাররা ফলিক অ্যাসিড সম্পূরক এবং অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া ক্যান্সার রোগে ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিউরিয়া নামক এক ওষুধ এই সিকেল সেল রক্তাল্পতা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। যদিও সেটি ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই খাওয়া উচিত।
    টক জাতীয় ফল যেমন টমেটো, স্ট্রবেরি, তাছাড়া তরমুজ এবং গোলমরিচ-এর মধ্যে ভিটামিন C এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এগুলির খাওয়া বাড়াতে হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share