Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বছরের শুরুতেই এই ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপটে নাজেহাল হয়েছিল রাজ্যবাসী। কয়েকশো শিশুর প্রাণহানি ঘটেছিল। কলকাতার হাসপাতালে শিশু ভর্তি নিয়ে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন বাবা-মায়েরা। সেই ভাইরাসের দাপট ফের দেখা দিয়েছে।

    কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    কলকাতার একাধিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের অ্যাডিনোর (Adeno Virus) উপসর্গ নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। ভর্তি থাকা রোগীদের বেশির ভাগের বয়স পাঁচ বছরের বেশি। তবে, ভর্তি থাকা রোগীদের জন্মগত বা ক্রনিক ফুসফুস ঘটিত সমস্যা থাকার জেরে, পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়েছে। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, পরিস্থিতি যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

    কোন কোন উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) আক্রান্ত হলে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। তার সঙ্গে জ্বর হয়। তাছাড়াও চোখে সংক্রমণ হয়। তার জেরে ভোগান্তি বাড়ে শিশুদের। তাই সর্দি-কাশির পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে উঠলে বা চোখে অস্বস্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক হতে হবে। তাছাড়া, যাদের হাপানি বা ফুসফুসের অন্য কোনও সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্ট জাতীয় কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে অ্যাডিনো বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। তাই জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই আর সময় নষ্ট করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    বর্ষাকাল কি অ্যাডিনো (Adeno Virus) আক্রমণে বাড়তি শক্তি জোগাবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে অ্যাডিনো বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করবে। কয়েক মাস আগে অ্যাডিনো যখন থাবা বসিয়েছিল, তখন শীতের শেষ ও গরমের শুরু ছিল। অর্থাৎ, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস দাপট বাড়িয়েছিল। এ বছর বর্ষায় দ্রুত তাপমাত্রার পারদ কমছে। আবহাওয়ার তারতম্য দ্রুত হচ্ছে। ফলে, ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। এই আবহাওয়ায় অ্যাডিনোও শক্তি বাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াতের সময় অনেকেই হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায়। ফলে, সর্দি-জ্বরের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বর্ষায় অ্যাডিনোর (Adeno Virus) ঝুঁকি বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    সন্তানকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তাপমাত্রার এই তারতম্যে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। অতিরিক্ত এসি না চালানোর পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোনও ভাবেই এই আবহাওয়ায় সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমনো চলবে না। এতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়বে। তাছাড়া, এসি চালালেও তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। 
    বৃষ্টিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়িতে ফিরে গরম জলে ফের স্নান করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাছাড়া গরম দুধ বা যে কোনও গরম পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ তাতে গলাব্যথা বা অন্যান্য সমস্যা কমে। 
    আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় এই আবহাওয়ায় বাচ্চাদের না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, তাতে ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
    এছাড়াও, বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই হাত-মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে। 
    চোখে কোনও রকম অস্বস্তি হলে কিংবা লাল হয়ে গেলে, বারবার চোখ পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এতে ভাইরাসের (Adeno Virus) শক্তি কমবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Body Pain: শরীরে যন্ত্রণা, হাঁটলেই পায়ে ব্যথা? পেশির যন্ত্রণা কমানোর উপায় কী? 

    Body Pain: শরীরে যন্ত্রণা, হাঁটলেই পায়ে ব্যথা? পেশির যন্ত্রণা কমানোর উপায় কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই বাড়ছে নানা সমস্যা। অধিকাংশ মানুষ এখন চেয়ারে বসে ল্যাপটপে কাজ করেন। দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটান। তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। তার মধ্যে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে পেশির সমস্যা (Body Pain)। হাত-পায়ে যন্ত্রণা, কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই পায়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া কিংবা ভারী কিছু তুলতে হলে কোমর বা হাতের পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হওয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই জীবন যাপনে বদল এনে পেশির সমস্যার সমাধান জরুরি, জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কোন কোন খাবারে পেশি মজবুত হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর এবং পরিমিত খাবার জীবন শক্তি বাড়াতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই পেশির দুর্বলতা কাটাতে নজরে থাকুক খাদ্যাভ্যাসে। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার তালিকায় থাকলে তবেই পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমবে। পেশি মজবুত হবে। তাই তাঁরা আটার রুটি, বাজরা, যবের মতো দানাশস্যের যে কোনও রকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আবার এগুলোতে স্থূলতার সমস্যাও হয় না। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আবার স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই সমতা আনতে যব, ভূট্টা, বাজরার মতো দানাশস্যের তৈরি রুটি, পাউরুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তাছাড়া নিয়মিত তরমুজ, আপেলের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পেশি মজবুত করতে এই দুই ফল বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত ডিমের কুসুম খাওয়া জরুরি। ডিমের কুসুমে থাকে একাধিক প্রোটিন ও ভিটামিনের উপাদান। এগুলো পেশিকে মজবুত করে। তাছাড়া মাংস বিশেষত চিকেন স্ট্র্যুর মতো খাবার পেশির জন্য বিশেষ উপকারী। তবে, চর্বিজাতীয় মাংস বা মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে পেশি মজবুত হলেও কোলেস্টেরল, রক্তচাপ সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে, নিয়মিত সোয়াবিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, সোয়াবিনে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। কিন্তু তাতে কোলেস্টেরল বা স্থূলতার সমস্যা হয় না। তাই সবদিক থেকেই উপকার পাওয়া যায়।

    পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমানোর উপায় কী? 

    পেশি দুর্বল হলেই হাতে-পায়ের যন্ত্রণা হয়। এমনকি পেশির সমস্যার জন্য কোমরেও নানান সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলেও ব্যথা হয়। তাই পেশির যন্ত্রণা কমানো জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমাতে মূল হাতিয়ার নিয়মিত ব্যায়াম। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, নিয়মিত হাত ও পায়ের কসরত জরুরি। অন্তত দিনে আধঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশি যত সচল থাকবে, তত খিঁচুনি বা অন্যান্য সমস্যা কম হবে। তাছাড়া নিয়মিত হাঁটতে হবে। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটলে পেশির যন্ত্রণার উপশম হবে। পাশপাশি, যাদের একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা অন্তত ঘণ্টাখানেক কাজ করার পরে, মিনিট দশেক হাঁটা চলা করেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। এক রকম ভাবে টানা বসে থাকলে, পেশির সমস্যা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Patient: রোগীর যত্ন নিতে নিতে নাজেহাল, ‘কেয়ার গিভারের’ যত্ন নেবেন কীভাবে? 

    Patient: রোগীর যত্ন নিতে নিতে নাজেহাল, ‘কেয়ার গিভারের’ যত্ন নেবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের দীর্ঘকালীন সমস্যা, পার্কিনসন্স কিংবা অ্যালজাইমার। বয়স বাড়লে এমন নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অধিকাংশ বয়স্ক মানুষ নানা শারীরিক ও মানসিক রোগে ভোগেন। যার জন্য তাঁদের নিয়মিত, সব সময় খেয়াল রাখা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর (Patient) কাছের মানুষ এই যত্নের দায়িত্ব নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন এক টানা রোগীকে দেখভালের জন্য তাঁদেরও নানা সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেয়ার গিভার কে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগী (Patient), যিনি দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত, তাঁকে সব সময় যিনি যত্ন করেন, দেখভাল করেন, তাঁকেই বলা হয় কেয়ার গিভার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারের মহিলারাই কেয়ার গিভারের দায়িত্ব সামলান।

    কী ধরনের সমস্যা কেয়ার গিভারের হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক বা মানসিক রোগ যেমন অ্যালজাইমার, পার্কিনসন্স, ডিমেনশিয়া, কিংবা হাড়ের সমস্যায় আক্রান্তদের মূল কেয়ার গিভারের দায়িত্ব সামলান আরেক জন বয়স্ক মানুষ। অর্থাৎ আক্রান্তের জীবনসঙ্গী। ফলে, দীর্ঘদিন দেখভালের কাজ করতে গিয়ে, সেই কেয়ার গিভার শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবনসঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়লে যে কোনও বয়স্ক মানুষের মানসিক চাপ তৈরি হয়। তার উপর তাঁকে (Patient) দীর্ঘদিন দেখভাল করতে হলে, চাপ আরও বাড়ে। বিশেষত, অ্যালজাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে পরিস্থিতি উন্নতির আশা খুব কম হয়। ফলে, কেয়ার গিভারের মধ্যে একটা হতাশা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেয়ার গিভার মানসিক অবসাদের শিকার হন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মধ্যে এক ধরনের রাগ বা উত্তেজনা তৈরি হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা পারেন না। দীর্ঘদিন মানসিক চাপ নেওয়ার জেরে তাঁরা যে কোনও ছোট ঘটনাতেও অস্থির হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। খিটখিটে হয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় রেগে যান। 
    মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জেরে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। লাগাতার মানসিক চাপ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময়ই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের সমস্যা তৈরি হয়। নানা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা তৈরি করে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে, কেয়ার গিভারের শারীরিক পরিস্থিতিও সমান উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। 

    কেয়ার গিভারকে সুস্থ রাখার পথ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগীকে (Patient) সুস্থ রাখার পাশাপাশি নজর রাখতে হবে কেয়ার গিভারের উপরেও। তাঁর শরীর ও মনের একই রকম যত্নের প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেয়ার গিভারের প্রতি অবহেলা বিপদ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কেয়ার গিভারের প্রতি যত্নের দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারকে। কেয়ার গিভারের ছুটির প্রয়োজন। সেটা পরিবারকেই মনে রাখতে হবে। অর্থাৎ, জীবনসঙ্গী কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে হয়তো বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আরেক জনকে মাঝে মধ্যে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। অন্তত প্রতিদিন বিকেলে পার্কে যাওয়া কিংবা কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটানোর সুযোগ কেয়ার গিভারকে দিতে হবে। তাহলে তাঁর মধ্যে একঘেয়েমি আসবে না। দিনের কিছুটা সময় মানসিক চাপ কমবে। 
    যিনি রোগীর যত্ন লাগাতার নিচ্ছেন, তাঁর খাবারের প্রতি বিশেষ নজরদারি জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, তাঁর দেখভালেই সব গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যিনি অসুস্থ ব্যক্তির দেখভাল করছেন, তিনি সময় মতো খাচ্ছেন কিনা বা পুষ্টিকর খাবার কতখানি খাচ্ছেন, সে দিকেও সমান নজরদারি জরুরি। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রয়োজনে পরিবারের কেয়ার গিভারের থেরাপি করা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে কেয়ার গিভার বয়স্ক হলে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়। দরকার হয় থেরাপির। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Protein Powder: কতখানি বাড়তি প্রোটিন জরুরি? কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য কি ক্ষতিকর?

    Protein Powder: কতখানি বাড়তি প্রোটিন জরুরি? কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য কি ক্ষতিকর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে জলখাবারের পরে বা অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) খাওয়া এখন রেওয়াজ! প্রোটিন সেক বা বিভিন্ন ধরনের খাবারে কৃত্রিম প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার ব্যবহার অনেকেই করেন। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন বিশেষত কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তৈরি করতে পারে বাড়তি বিপদ।

    কেন প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) থেকে বিপদ হতে পারে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন, খেলাধুলো করেন কিংবা জিমে যান, তাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়। ক্যালরি খরচ হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ করার শক্তি জোগাতে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। বিশেষত, যাঁরা পেশি শক্তির ব্যবহার বেশি করেন, তাঁদের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। যেমন জিমে গিয়ে ভারী জিনিস তোলা কিংবা নিয়মিত ফুটবল, ভলিবলের মতো দৈহিক পরিশ্রম হয়, এমন খেলাধুলা যাঁরা করেন, তাঁদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয় না। তখন তাঁদের জন্য প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) দরকার হয়। কিন্তু যাঁদের পেশি শক্তির ব্যবহার বিশেষ হয় না, তাঁদের জন্য এই পাউডার অপ্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার দেহে সমস্যা তৈরি করে।

    কী ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন (Protein Powder) দেহের ওজন বাড়াতে পারে। তৈরি করে কোলেস্টেরল। যার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়াও হতে পারে স্থূলতার সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও তৈরি হয়। পাশপাশি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন লিভার, কিডনি ও হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, যাঁরা দৈহিক পরিশ্রম বিশেষত পেশি শক্তির বিশেষ ব্যবহার করছেন না, অথচ অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন, তাঁদের হজম শক্তির সমস্যা হতে পারে। ফলে, পাকস্থলিতে সমস্যা, কিডনি স্টোন বা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা হতে পারে।

    প্রোটিনের প্রয়োজন কতখানি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অনুযায়ী প্রোটিনের প্রয়োজন নির্ধারিত হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনও ব্যক্তির দেহের ওজন যদি ৮০ কেজি হয়, তখন তাঁর নিয়মিত ৮০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করাই যথেষ্ট। কিন্তু সেই ব্যক্তির যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, যেমন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস কিংবা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, তাঁকে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, দেহের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয়। মাছ, মাংস, ডিম, সোয়াবিন, দুধ, দই কিংবা পনির জাতীয় খাবারে যে ধরনের প্রোটিন থাকে, সেটাই নিয়মিত খেলে শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ হয়। তবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, বিশেষত অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রম করলে বাড়তে পারে প্রোটিনের চাহিদা। তবে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) না খাওয়ার পক্ষে অধিকাংশ পুষ্টিবিদ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টিভির পর্দা, খবরের কাগজ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন, সর্বত্রই হিংসার দাপট (Political Violence)। রক্তের বন্যা। রাজনৈতিক নির্বাচন হোক কিংবা বিনোদনের ওটিটি চ্যানেল, হিংসার পাল্লা সর্বত্রই ভারী। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ, এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, হিংসা (Political Violence) প্রতিদিন বাড়ছে। রাজ্যে সবে শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। মনোনয়ন তোলা থেকে জমা দেওয়া, ভোট গ্রহণ থেকে ফল প্রকাশ, প্রত্যেক পর্বেই চলেছে হিংসা। শাসক দলের দাপটে কখনও বিরোধী দলের কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আবার কখনও গুলি চালানোর জেরে আহত অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তির খবর জানা গিয়েছে। লাগাতার হিংসার ঘটনার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। এই ধরনের হিংসার ঘটনার জেরে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রাজনৈতিক হিংসার পাশপাশি বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, বিনোদনের দুনিয়াতেও এখন হিংসাত্মক ঘটনা বেশি দেখানো হয়। বিশেষত ১৫-১৮ বছর বয়সি বহু ছেলেমেয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, সিরিজ দেখে। যেগুলোতে মূলত নানা ধরনের হিংসার ঘটনা বেশি দেখানো হয়। আর এই সব মিলিয়ে কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা।

    কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ, রাগ, মানসিক চাপ এবং সিদ্ধান্তহীনতার মতো সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব সামান্য ব্যাপারেই দেখা যাচ্ছে, কম বয়সি ছেলেমেয়েরা ভয়ানক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আবার ছোট কোনও সমস্যাতেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা এমন কিছু করে ফেলছে, যা অনভিপ্রেত। আসলে, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। কোনও কিছুর উপরে বিশ্বাস করতে পারছে না। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে হবে। সেটা সামাজিক হোক বা রাজনৈতিক (Political Violence)। নিয়মিত খবর দেখানো যেমন দরকার, তেমনি সেগুলো সম্পর্কে আলোচনাও জরুরি। কনসালট্যান্টদের মতে, হিংসার ঘটনা বাড়ির ছোটদের সামনে এলে, তাদের বোঝানো দরকার, যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। হিংসার মাধ্যমে আসলে সাফল্য পাওয়া যায় না। তবে, কখনই তাকে বাস্তব বিমুখ করা যাবে না। হিংসার ঘটনা (Political Violence) হচ্ছে বলে তা লুকিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কোন ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশে সে আছে, সে সম্পর্কে অবহিত থাকা জরুরি। তবে, বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত হিংসা যাতে কম বয়সিরা না দেখে, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা যাতে অপরাধমূলক অনুষ্ঠান বিশেষ না দেখে, সে সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে তারা এই ধরনের অপরাধ দেখে তা অনুকরণের চেষ্টা করে। যা তাদের জন্য মর্মান্তিক হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাসে ধুলোকণার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যার জেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা। বিশেষত ফুসফুস ঘটিত রোগের (Lungs Disease) সমস্যা আরও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো রোগের পাশপাশি একটানা কাশির সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ছে ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো রোগের দাপট বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা জরুরি। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    সম্প্রতি, এক সর্বভারতীয় সংস্থা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বড় শহরগুলোর শিশুদের বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা (Lungs Disease)। বড় শহরগুলোর ৫৩ শতাংশ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় ভোগে। যে তিনটি ফুসফুস ঘটিত সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি হচ্ছে, সেগুলো হলো, অ্যাস্থমা বা হাঁপানি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। সিওপিডি অর্থাৎ, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। এই রোগের জেরে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা আরও বেশি হয়। আর সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নিউমোনিয়ার জেরে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা শেষ হতে পারে। এছাড়াও বাড়ছে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ। সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যাও বড় বিপদ তৈরি করছে। 

    কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস (Lungs Disease) সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবার সুস্থ রাখে ফুসফুস। তাই শিশুদের সেই সব খাবার নিয়মিত দিলে অনেকটাই প্রতিষেধক (Lungs Disease) গড়ে তোলা যাবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ানো দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। দুধে থাকে একাধিক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। তাই এই দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। 
    নিয়মিত মধু ও তুলসি পাতা খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে। ফুসফুসও সুস্থ থাকে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের বাদাম ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ উপাদান ফুসফুসকে (Lungs Disease) সুস্থ রাখে। 
    পাশপাশি, যে কোনও রান্নায় আদা ও রসুন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, আদা ও রসুনে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের কার্যক্রম বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, শারীরিক জটিলতা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: স্থূলতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? বেশি উপকার যোগ এবং হাঁটার অভ্যাসে!

    Obesity: স্থূলতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? বেশি উপকার যোগ এবং হাঁটার অভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা স্থূলতা (Obesity)। ভারতের পাশপাশি গোটা বিশ্বের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে স্থূলতা। শরীরের অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনছে নানা শারীরিক রোগ। হৃদরোগ, কিডনির একাধিক সমস্যার কারণ যেমন স্থূলতা, তেমনি শরীরের অতিরিক্ত ওজনের জন্য হাড়ের শক্তি কমছে। বিশেষত হাঁটুর সমস্যার জন্য স্থূলতা দায়ী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব নয়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    কী ধরনের শারীরিক কসরতের পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত এক ঘণ্টা শারীরিক কসরতে সময় দিলেই বদলে যাবে পরিস্থিতি। ক্যালরি কমানোর সব চেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হল শারীরিক কসরত। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা যোগাভ্যাস আর আধ ঘণ্টা হাঁটলেই অন্তত ৩০২ কিলোক্যালরি কমবে। যা পাহাড়ে চড়ার চেয়েও বেশি কার্যকর। কারণ, একদিনে পাহাড়ে চড়লে সর্বোচ্চ ২৪৬ কিলোক্যালরি শক্তি কমে। 
    সম্প্রতি এক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন যোগাভ্যাস করলে ১৫১ কিলোক্যালরি কমবে। নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলেও ১৫১ কিলোক্যালরি কমে। তাই সব বয়সি মানুষের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই দুই শারীরিক কসরতকেই হাতিয়ার করতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ হাঁটাচলা এবং যোগাভ্যাসে যেমন শরীরের সমস্ত পেশি সচল থাকে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতেও এই দুই শারীরিক কসরত খুব উপকারে আসে।
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার (Obesity) সমস্যা এখন খুব কম বয়স থেকেই গ্রাস করছে। ফলে, শিশুদের সুস্থ রাখতে বাড়তি নজরদারি জরুরি। যদি টেনিস, বক্সিং, সাঁতার, তাইকোণ্ডোর মতো খেলার সঙ্গে কম বয়স থেকে যুক্ত থাকা যায়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ, এইসব খেলায় সবচেয়ে বেশি ক্যালরি কমে। তাছাড়া, ব্যাডমিন্টন, গল্ফের মতো খেলাও নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    শুধুই জিম, নাকি অন্য শারীরিক কসরত, সুস্থ থাকার উপায় কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুই জিম শরীর সুস্থ রাখতে পারে না। কারণ, পেশি বা শারীরিক গঠনের পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা। তাই নিয়মিত ব্যাডমিন্টন, গল্ফ, সাঁতারের মতো খেলার অভ্যাস থাকলে যে উপকার পাওয়া যাবে, তা কখনই জিমে হবে না। তাছাড়া অনেকেই বয়স বা অন্যান্য সমস্যার কারণে এই ধরনের খেলাধূলায় যুক্ত থাকতে পারেন না। তাঁদের জন্য যোগাভ্যাস আর নিয়মিত হাঁটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (Obesity)। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগ যেভাবে শরীর ও মনের মধ্যে সমতা বজায় রাখে, জিম তা করতে পারে না। তাই যোগাভ্যাসকেই এগিয়ে রাখছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    ওজন (Obesity) নিয়ন্ত্রণে শারীরিক কসরতের সঙ্গে সঙ্গী হোক খাদ্যাভ‍্যাস! 

    তবে, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে কত কিলোক্যালরি শরীর থেকে নির্গত হচ্ছে, সেই হিসাবের সঙ্গে, কত কিলোক্যালরি শরীর গ্রহণ করছে, সেটাও মিলিয়ে দেখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের মতো রোগ আটকাতে ওজন (Obesity) নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। চটজলটি খাবারে পুষ্টিগুণ কম। তাই বাড়িতে তৈরি খাবারেই অভ্যস্ত হতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার দীর্ঘ সুস্থ জীবন দিতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালি পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা কিশোরদের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। আর এর জেরে বাড়ছে বিপদ। প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা!

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সচেতনতার হার বেশ কম। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-২৫ বছর বয়সি ৫৪ শতাংশ ছেলের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কীভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয়, এই রোগের জেরে কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো কী নির্দেশ (HIV) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, স্কুল স্তর থেকেই সমস্ত পড়ুয়াদের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতেও রাখতে হবে। কীভাবে এই রোগ ছড়াতে পারে, এই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা তৈরি করতে হবে, যাতে সমাজে কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেই আটকে থাকলে চলবে না। পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন জরুরি। এই রোগে আক্রান্ত মানেই সে অস্পৃশ্য নয়, কিংবা এই রোগ গোপন রাখার প্রয়োজন নেই, সে সম্পর্কে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ (HIV) নির্ণয় ও তার চিকিৎসা কতখানি জরুরি সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মসূচি করতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানো সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়ে। কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব, সে সম্পর্কেও স্কুল স্তর থেকেই সচেতনতা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন কেন? 

    কিন্তু রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার হার কমার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। স্কুল স্তরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বইতে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও, এই নিয়ে কর্মশালা বা প্রয়োজনীয় আলোচনা স্কুলে হয় না বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনে এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা এক কর্তা জানান, গত দেড় বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। কীভাবে বিভিন্ন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই বছর করোনা মহামারির জেরে ঠিকমতো নিয়মিত স্কুল চালু হয়নি। অনিয়মিত স্কুলের জেরেই নানান কর্মসূচি আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই ঘাটতি পূরণ দ্রুত হবে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    কিন্তু রাজ্য সরকারের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা প্রসারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতাল জে এন এম মেডিক্যাল কলেজে ডায়লিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, এই ভাইরাস ঘটিত রোগ (HIV) সম্পর্কে মানুষের একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারপরেও যাঁরা এগিয়ে এসে এই রোগ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, যখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এই রোগ সম্পর্কে আদৌ সচেতনতা তৈরি করতে চায় কি রাজ্য? সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা গড়তে না পারলে, ভবিষ্যতে এইচআইভিও কিন্তু আরেক মহামারির রূপ ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমের মধ্যেই নানা দুঃস্বপ্ন। কিংবা যে কোনও একটি হাত ক্রমাগত নড়াচড়া করা। অন্যের কথা বুঝতে বা নিজের মনের ভাব বুঝিয়ে বলতে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটা হতে পারে পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease)! ভারতে বাড়ছে এই সমস্যা। বিশেষত ৬০-এর চৌকাঠ পেরলেই এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স এক ধরনের স্নায়ু ঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে এক ধরনের সমস্যার জেরে পার্কিনসন্স হয়। এর জন্য আক্রান্তের হাত-পা সহ দেহের একাধিক পেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ফলে, হাঁটাচলা কিংবা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঘটিত রোগের (Parkinson’s Disease) জেরে বাড়তে থাকে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।

    কারা এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই রোগে  (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রৌঢ়দের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ৬০ বছরের পরেই নানা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সেগুলো নজর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তখন চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ৩২ শতাংশ পার্কিনসন্স সমস্যায় জর্জরিত।

    কী কী উপসর্গ (Parkinson’s Disease) দেখা যায়? 

    পার্কিনসন্স আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন আক্রান্ত হলে, তাঁর হাত বা পা লাগাতার নড়বে। অনেক সময়ই সেগুলো নাড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতা পেশি হারিয়ে ফেলে। 
    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের ঘুম খুব কম হয়। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আবার অনেক সময় তাঁরা খুব দুঃস্বপ্ন দেখেন। ফলে, গভীর ঘুম হয় না। 
    কথা জড়িয়ে যাওয়া পার্কিনসন্সের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এটা স্নায়ু ঘটিত রোগ, তাই অনেক সময়ই তার প্রভাব মুখের পেশি ও স্বরযন্ত্রের উপর পড়ে। তাই কথা জড়িয়ে যাওয়া কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারার মতো সমস্যা দেখা যায়। 
    পার্কিনসন্স আক্রান্তের আরেকটি লক্ষণ হল সন্ধ্যায় একাকিত্ব বোধ করা। বিশেষত সূর্য ডোবার পরে, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে।

    এই ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাঁর প্রতি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের চিকিৎসা সম্ভব। শুধু তাই নয়, নানা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হলেও মানুষ দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই লক্ষণ বুঝতে পারলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই শুধু ওষুধ যথেষ্ট হয় না। পার্কিনসন্স রোগীদের জীবন যাপন ঠিক করতে দরকার হয় থেরাপির। বিশেষত একাধিক আক্রান্ত যদি একসঙ্গে নাচ-গান-কবিতা কিংবা কেক বানানোর মতো সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অনেকটাই তাঁরা উন্নতি করেন।
    এ প্রসঙ্গে পার্কিনসন্স নিয়ে কাজ করা স্নায়ু চিকিৎসক হৃষিকেশ কুমার বলেন, হাত-পায়ের পেশি সচল রাখা যেমন জরুরি, তেমনি দরকার রোগীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা। তাই থেরাপি আবশ্যক। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে স্নায়ুর সমস্যা কমানো যায়। কিন্তু থেরাপি মনকে ভালো রাখে। আর তখনই কাজ সহজ হয়। তাই পার্কিনসন রোগীদের নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হয়। তাহলে তাঁরা দীর্ঘ জীবন কাটাতে সক্ষম হবেন। 
    পার্কিনসন্স রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্কিনসন্স রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাঁরা একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের মনের কথা সবাই বুঝতে পারেন না। থেরাপি না হলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ে। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা বা থেরাপি হলে রোগী দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আতঙ্ক। অক্টোবরে প্রকোপ বাড়ে মারাত্মক! প্রত্যেক বছর ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ যেন রাজ্যবাসীর সঙ্গী হয়েছে। এ বছরে সেই ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, বর্ষার শুরুতেই দ্বিগুণ হয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম ছ’মাসের ডেঙ্গু (Dengue) ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছ’মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের কাছাকাছি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শুধু কলকাতাতেই গত ছ’মাসে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। কলকাতার যাদবপুর, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক এলাকায় নিয়মিত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর যে সব এলাকাকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার জন্য রেড জোন অর্থাৎ, অধিক বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথম ছ’মাসে সেই সব এলাকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিশেষ উন্নত হয়নি। বিশেষত উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম, হাবড়া, বসিরহাট, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক। আবার হুগলি, হাওড়া জেলায় ডেঙ্গুর পাশপাশি প্রকোপ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। যে হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা রাজ্যবাসীর জন্য উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? 

    স্বাস্থ্য দফতর ও সংশ্লিষ্ট পুরসভার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, হোর্ডিং আর ফ্লেক্স টাঙিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মহল। যেমন, উত্তরপাড়ার একাধিক রাস্তায় হোর্ডিং টাঙিয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা। আশপাশ পরিষ্কার রাখা, নোংরা না ফেলার জন্য সেখানে বলা হয়েছে। জমা জল মশার আঁতুড় ঘর, ডেঙ্গু (Dengue) নিয়েও রয়েছে সতর্কবার্তা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা, পার্ক কে পরিষ্কার করবে? উত্তরপাড়ার একাধিক পার্কে অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা হয় না। নোংরা হয়ে থাকে। ফলে, শিশুরা খেলতে গেলেই মশার কামড়ের আশঙ্কা থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের অভিযোগ। বৃষ্টি হলেই জল জমে। এই একই অভিযোগ হাওড়া ও কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের। গিরিশ পার্ক সহ উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে, জল জমতে দেওয়া যাবে না। এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার জল বাড়িতে উঠে আসছে। শুধু বিজ্ঞাপন কি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রুখতে পারবে?

    কী বলছেন স্বাস্থ্য কর্তারা? 

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সব রকম কাজ হচ্ছে। শুধুই হোর্ডিং টাঙিয়ে তাঁরা দায়িত্ব শেষ করছেন না। বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভার সাহায্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি জ্বর হয়েছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “ডেঙ্গু, (Dengue) ম্যালেরিয়া রুখতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মানুষ তার আশপাশ পরিষ্কার রাখলে অনেক সংক্রমণ কমবে। তাই সেদিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share