Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mango: গরমে পাতে দেদার পাকা আম? ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য কি বাড়তি ঝুঁকি?

    Mango: গরমে পাতে দেদার পাকা আম? ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য কি বাড়তি ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমকাল মানেই তাপমাত্রার পারদ চড়বে, এটাই স্বাভাবিক! থাকবে হাঁসফাঁস করা অস্বস্তিও। কিন্তু গরমকালের রোদ্দুরের সঙ্গে উচ্চারিত হয় সুস্বাদু নানা আমের (Mango) নামও! সকালের জলখাবার হোক কিংবা রাতের খাবার, শেষ পাতে থাকে পাকা আম! খাদ্যরসিক অধিকাংশ বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের ফল হল আম। তবে, বাঙালির বাড়ছে ডায়াবেটিস। কম বয়স থেকেই অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের জন্য কি বিপদ বাড়াচ্ছে পাকা আম!

    আম (Mango) কি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিপজ্জনক? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমে থাকে গ্লুকোজ, অর্থাৎ শর্করা। তাই ডায়াবেটিস থাকলে অতিরিক্ত আম (Mango) খেলে বিপদ বাড়তে পারে। নিয়মিত অনেকেই চারবেলা খাওয়ার পরে পাকা আম খান। সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকে। তাই একটু নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, যদি দিনে একটি আম খাওয়া হয়, তাহলে কিন্তু বিপদের ঝুঁকি কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমে শর্করা থাকলেও, তার পরিমাণ মারাত্মক নয়। অর্থাৎ, আলু বা চিনিতে যে পরিমাণ শর্করা থাকে, আমে কিন্তু সেই পরিমাণ থাকে না। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের আলু বা চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে যতখানি নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি, আমের ক্ষেত্রে ততটা না হলেও ক্ষতি নেই। তবে, অবশ্যই পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া দরকার।

    কোন কোন রোগ মোকাবিলায় আম (Mango) সাহায্য করে? 

    শুধুই স্বাদ আর গন্ধে নয়। পাকা আমের উপকারও তাকে অন্য ফলের থেকে এগিয়ে রাখছে। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আমের উপকার অনেক। নিয়মিত একটি পাকা আম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পাকা আম খুব উপকারী। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাদের ডায়বেটিস আছে, তাদের মধ্যে অনেকের উচ্চ রক্তচাপ থাকে। তাই তারা পাকা আম (Mango) খেলে, সেটা শরীরের পক্ষে ভালো। আবার গর্ভবতী মায়েদের জন্য পাকা আম খুব ভালো। আমের পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাছাড়া আমে আয়রন রয়েছে। তাই গর্ভবতীদের জন্য বাড়তি উপকারী হিসেবে এই ফল কাজ করে। তাছাড়া, রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুক্তভোগীদের জন্য আম খুব উপকারী। আমে থাকে ফাইবার, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম। আম মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই শিশুদের জন্য আম খুব উপকারী ফল। 
    তবে, আমে বাড়ে ওজন। তাই স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তাছাড়া, অতিরিক্ত আম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কারণ, আমে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়ামের মতো একাধিক উপাদান থাকে। আম হজম করতে সময় লাগে। দিনে একাধিক আম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, আমে (Mango) ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান থাকলেও প্রোটিন থাকে না। আমে মাত্র ১ শতাংশ প্রোটিন। তাই জলখাবার হোক বা দুপুর বা রাতের খাবারে আম খেলে, সঙ্গে থাকুক কোনও প্রোটিন যুক্ত খাবার। অর্থাৎ, একটা আম খেলে অবশ্যই সঙ্গে একটি সিদ্ধ ডিম, কিংবা ডাল, পনির বা সোয়াবিনের মতো খাবার থাকতে হবে। তবেই ব্যালান্স ডায়েট হবে। হজমেও অসুবিধা হবে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আম শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু গরম শেষেই ফুরিয়ে যাবে, এই ভেবে দিনে একাধিক আম খেলে তৈরি হতে পারে নানান শারীরিক সমস্যা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Spices: রান্নায় অবশ্যই রাখুন এলাচ! কোন পাঁচ রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে এই মশলা? 

    Spices: রান্নায় অবশ্যই রাখুন এলাচ! কোন পাঁচ রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে এই মশলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিরামিষ ঘরোয়া রান্না হোক, কিংবা জন্মদিনের পায়েস বা বিরিয়ানি, গরম মশলার (Spices) উপাদান হিসাবে রান্নায় অবশ্যই থাকে এলাচ। এই উপকরণটি রান্নায় আলাদা সুন্দর গন্ধ যোগ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু গন্ধ আর স্বাদেই এর গুণ আটকে নেই। এলাচের উপকারিতা অনেক। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হৃদরোগ হোক কিংবা শ্বাসকষ্ট বা পেশিতে টানের মতো সমস্যা। একাধিক রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে এলাচ। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত সঙ্গী হোক এলাচ।

    কোন রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এলাচ (Spices)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে এলাচ (Spices) খুব কার্যকর। নিয়মিত মধু আর লেবুর রসের সঙ্গে একটা এলাচ দিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমে যায়। ফুসফুস সুস্থ রাখতে এলাচ খুব উপকারী। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও এলাচকেই সঙ্গী করতে বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে এলাচ সাহায্য করে। কারণ, এলাচ রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই নিয়মিত এলাচ খেলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। তাতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে। এলাচে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতেও এলাচ খুব উপকারী। 
    পেটের সমস্যা কমাতেও এলাচ সাহায্য করে। হজমে সাহায্য করে এলাচ (Spices)। তাই অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরে যদি হজমের অসুবিধা হয় বা বমি বমি ভাব হয়, তাহলে একটা এলাচ চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হজম দ্রুত হয়। তাছাড়া, পেশির টানের কষ্ট দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। অনেক সময়ই ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে হাত, পা বা পিঠের পেশিতে টান লাগে। যন্ত্রণা হয়। গরম জলে এলাচ ফুটিয়ে খেলে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। যন্ত্রণা কমে। 
    ত্বকের জন্যও এলাচ খুব উপকারী। যেহেতু এলাচে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে ও দেহের টক্সিন পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, তাই নিয়মিত এলাচ খেলে ত্বক ভালো থাকে। পাশাপশি মুখে দুর্গন্ধ হলেও এলাচ সাহায্য করে। এলাচে সুন্দর গন্ধ রয়েছে। তাই এলাচ চিবিয়ে খেলে দুর্গন্ধ যাবে। 

    কীভাবে নিয়মিত এলাচ Spices খাবেন? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রান্না করা তরকারিতে এলাচ (Spices) সব সময় ব্যবহার হয় না। যদি দিনের যে কোনও একটি পদে এলাচের ব্যবহার হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। যে কোনও তরকারিতে এলাচ দিলে সেই গুণ শরীরে যায়। তবে, কেউ যদি খাওয়ার পরে মুখশুদ্ধি হিসাবে একটা এলাচ খান, তবে হজম, পেটের সমস্যা, সর্দি-কাশি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে যায়। তবে, অনেকেই শুকনো এলাচ চিবিয়ে খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা লেবুর সরবতে একটা এলাচ ফেলে খেতে পারেন। কিংবা গরম জলে এলাচ ভিজিয়েও খেতে পারেন। এতেও উপকার পাওয়া যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে (High Uric Acid) যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের  স্বাভাবিক মাত্রা হল ৬.৮ mg/dl’’ এর থেকে যখন মাত্রা বেড়ে যায় তখন নানা রকমের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। রয়েছে ক্যান্সারে ঝুঁকিও। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। এছাড়া কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব এমন পাঁচটি খাবার নিয়ে যা আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য রক্ষায়

    ১) নিয়মিত কলা খেলে কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিড (High Uric Acid) 

    প্রথমেই আসে কলা। চিকিৎসকদের মতে, কলা হল এক ধরনের কম পিউরাইন ফুড। এছাড়াও কলাতে ভরপুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে।

    ২) কম ফ্যাটের দুধ রাখুন ডায়েটে

    এরপরে আসে কম ফ্যাটের দুধ। যা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মোক্ষম ঔষধ, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। টক দইও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে ঠিকঠাক রাখে শরীরে।

    ৩) নিয়মিত কফি খান 

    কাজ করতে করতে কফির নেশা তো অনেকেরই আছে। সকালে তরতাজা থাকতেও কফি অনেকেই খান। চিকিৎসকরা বলছেন কফির মধ্যে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) উৎপাদনকে শরীরে কম করে দেয়।

    ৪) সাইট্রাস জাতীয় ফল খান

    সাইট্রাস জাতীয় যেকোনও ফল যেমন, আমলা,পাতিলেবু, কমলালেবু এই ফলগুলি ভিটামিন সি এ ভরপুর। চিকিৎসকরা বলছেন, এই জাতীয় ফলগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে শরীরে।

    ৫) ফাইবার জাতীয় খাবার খান

     ফাইবারে ভরপুর থাকে যেমন ওটস, চেরি, আপেল, স্ট্রবেরি ব্লুবেরী, শসা, বার্লি। এই জাতীয় খাবারগুলি শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রেকফাস্টের (Breakfast Mistakes) পুষ্টিগুণে সারাদিন সক্রিয় থাকার শক্তি মেলে। রাতের ডিনার যেমন স্বল্প পরিমাণে করতে হয় তেমনি ব্রেকফাস্টে ভারী খাবারই খেতে হয়। ব্যস্ততার জীবনে অনেকে একেবারে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ সারেন। বিশেষত হোস্টেল এবং মেসে থাকা ছাত্ররা তো জানেই না ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) কী জিনিস! শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্রেকফাস্ট যেমন অপরিহার্য তেমনি কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলিকে ব্রেকফাস্টে রাখতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    কোন কোন খাবার ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) এড়িয়ে যাবেন?

    ১) অত্যধিক চিনিযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    চিনির পরিমাণ অনেকটা আছে এমন খাবার খেতে ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাবারগুলি ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি করে এবং বাড়তি ওজন যে কোন রোগকে ডেকে আনে। এছাড়া চিনিযুক্ত অত্যধিক খাবারে খিদেও নষ্ট হয়ে যায়।

    ২) ফ্যাটযুক্ত খাবার বর্জন করুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে বর্জন করতে। তার পরিবর্তে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে রাখতে বলছেন।

    ৩) ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি একেবারেই চলবে না

    চিকিৎসকদের মতে, ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি খেলে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে এবং বাড়তে পারে ক্যান্সারে ঝুঁকিও।

    ৪) প্যাকেট করা জুস একেবারেই খাবেন না

    পুষ্টিবিদদের মতে বোতলবন্দী এই জুস শরীরে অত্যধিক ক্ষতি করে। কারণ এই জাতীয় পানীয়গুলোতে মেশানো থাকে কৃত্রিম চিনি যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।

    ৫) ফুলকো লুচিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    ফুলকো লুচি, আলুর দম জলখাবারে পেলে তো কথাই নেই! জমে যায় সকালটা। কিন্তু এমন খাবার খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এতে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে।

    ৬) সাম্বার বড়াও চলবে না ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes)

    এটি এক ধরনের দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। এখন আমাদের রাজ্যেও বহুল প্রচলিত। মুখের স্বাদ বদলাতে অনেকেই মাঝে মধ্যে দোকান থেকে এই খাবার কিনে খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় খাবার ডিপ ফ্রাই করা হয়। তাই সহজে হজম হয় না।

    ৭)  ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes) কর্নফ্লেক্সও খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, কর্নফ্লেক্সকে উপকারী মনে হলেও এতে দ্রুত সুগার বাড়ে। তাই ব্রেকফাস্টে এই খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

    ৮) সাদা পাউরুটিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    সকালে বাটার মেশানো পাউরুটি খেতে তো অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে গুরুতর অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। তাই এগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল ভারতে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞ মহলের। বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইউরোপীয় দেশগুলির অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer), যা এখন ভারতীয়দের জন্যও বেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মে মাসকে স্কিন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস মান্থ হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারতীয় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আমাদেরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। তাই মে মাস জুড়ে চলছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ক্যানসার নিয়ে কাজ করা এক সর্বভারতীয় সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতে বাড়ছে ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ শতাংশ। কিন্তু গত এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে, ৩.৫ শতাংশ।

    ভারতে কোন রাজ্যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত নাগাল্যান্ডে স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে। ভারতে যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে নাগাল্যান্ড। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ওই অঞ্চলের আবহাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের ধরন স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে বুঝবেন স্কিন ক্যানসার? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রংয়ের পরিবর্তন স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) প্রথম উপসর্গ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের যেসব জায়গা জামাকাপড়ে ঢাকা থাকে না, সূর্যের স্পর্শ পায়, সেখানে যদি চামড়ার রং দ্রুত বদলে যায়, আরও বাদামি বা কালো হতে থাকে, তাহলে তা স্কিন ক্যানসারের উপসর্গ বলা যেতে পারে। তার উপর যদি সাদা রঙের একাধিক শক্ত কিছু অনুভব হয়, তাহলে সেটাকেও চিকিৎসকরা উপসর্গ বলেই জানাচ্ছেন। আসলে, ওই শক্ত সাদা অংশ হল চামড়ার ভিতরের কোষগুলো কার্যহীন হয়ে পড়া। সেটা স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রং পরিবর্তন ছাড়াও স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হল, তিলের চেহারা বদল। দেহের কোনও অংশে তিল থাকলে, হঠাৎ তার আকার আর রং বদলে গেলে, সেটা স্কিন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সতর্কতা জরুরি। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এ দেশে এই সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। অনেক সময়ই চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু করা হয় না। ফলে, দেরি হয়ে যায়। প্রথম ধাপেই চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। তাই দেরি না করে, চামড়ায় কোনও রকম দাগ বা কোনও রকম বাড়তি মাংসপিণ্ড দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমেগা-৩ (Omega-3) এর অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ঝুঁকি দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পাওয়া এসবই হল ওমেগা-৩ এর ঘাটতির লক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত ভাবে যদি শরীরে ওমেগা-৩ প্রবেশ করানো যায়, তবে ব্রেস্ট ক্যান্সারকেও প্রতিহত করা যায়। যে কোনও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা-৩ খুব প্রয়োজনীয়। দৈনন্দিন অনেক খাবারেই ওমেগা-৩ থাকে। এর জন্য বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্ট এর কোন প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    আজকে আমরা আলোচনা করব কিছু খাবার নিয়ে যেগুলি ওমেগা-৩ তে ভরপুর থাকে

    ১) কড লিভার তেল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঙরের যকৃত নিঃসৃত তেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩ (Omega-3)।

    ২) স্যামন মাছ

    পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রামের একটি স্যামন মাছের পিসে চার গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। বাজারে খোঁজ করলেই মিলতে পারে এই মাছ। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    ৩) সার্ডিন মাছ

    আকারে ছোট এই মাছ ওমেগা-৩ তে ভরপুর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আটলান্টিক সার্ডিন নামের এই ধরনের দেড়শ গ্রাম মাছে, আড়াই গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) থাকে।

    ৪) আখরোট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমেগা-৩ (Omega-3) এর একটি ভালো উৎস হল আখরোট। যাঁরা মাছ খান না, তাঁরা আখরোট বেছে নিতেই পারেন। ম্যাঙ্গানিজ, কপারও এতে ভরপুর পরিমাণে থাকে।

    ৫) সামুদ্রিক মাছের ডিম

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ হল ওমেগা-৩ এর ভাণ্ডার। ঠিক তেমনই সামুদ্রিক মাছের ডিমেও প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে।

    ৬) সয়াবিন 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সয়াবিন একটি ফাইবারসম্মত খাবার যাতে ওমেগা-৩ অতি প্রয়োজনীয় উপাদানটি পাওয়া যায়। ৮৬ গ্রাম সয়াবিনে দেড় গ্রাম মতো ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।

    ৭) ম্যাকেরেল মাছ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যাকেরেল মাছে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩।

    ৮) চিয়া বীজ

    পুষ্টিবিদদের মতে, চিয়া বীজ হল পুষ্টিতে ভরপুর। এতে ওমেগা-৩ ছাড়াও থাকে সেলেনিয়াম এবং ৮ রকমের প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা এ দেশে কম। সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা দুইয়েরই অভাব যথেষ্ট। তাই অনেক সময়ই ঘটে বড় বিপদ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকলে, অনেক বড় সমস্যা এড়ানো যায়। চলছে সিজোফ্রেনিয়া অ্যাওয়ারনেস উইক। সপ্তাহ জুড়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা করছেন নানা কর্মশালা। কী বলছেন তাঁরা?

    সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) কী? 

    সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা নানা অবাস্তব ভাবনাচিন্তা করে আশঙ্কিত থাকেন। নানা ঘটনা তাঁরা ভাবেন ও সেগুলিই সত্যি হিসাবে বিশ্বাস করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভাবনাচিন্তা শুধু নিজের নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক (Schizophrenia) হয়ে ওঠে।

    ভারতে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তের সংখ্যা কত? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। ভারতে মোট মানসিক রোগীর ৭ শতাংশ রোগী সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরাই বেশি সিজোফ্রেনিয়ায় (Schizophrenia) ভোগেন। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা করেন।

    সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের উপসর্গ কী? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) মানসিক রোগ। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের ব্যবহারগত নানা পার্থক্য স্পষ্ট নজরে পড়বে। যেমন, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মেজাজ অকারণেই অনেক সময় খিটখিটে থাকে। পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে অকারণ ঝগড়া করা, দুর্ব্যবহার করা এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। একদম ঘর বন্ধ হয়ে দিনের পর দিন থাকেন। মেলামেশা বন্ধ করে দেন। আসলে, আচরণে মারাত্মক বৈপরীত্য সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কল্পনা করে নানা কথা বলার প্রবণতা থাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর। কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কিংবা কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে লাগাতার নানা আজগুবি কথাও বলে থাকেন। স্মৃতি হারানোর মতো ঘটনাও সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তের দেখা যায়। অনেক ঘটনা আক্রান্ত ভুলে যান। মানসিক অবসাদ, হ্যালোসিনেশন হল সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কী? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ সামান্য বোঝা গেলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। পরিবারের কেউ এই সমস্যায় ভুগলে, তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কারণ, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) রোগী শুধু নিজের নয়, অপরেরও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। কারণ, এই রোগীর মধ্যে যেমন আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে, তেমনি এই রোগী অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মারাত্মক রেগে যেতে পারেন। আর তখন অন্যকে মারধর করা বা বড় কোনও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। তাই রোগীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে বারবার কেউ মিথ্যা কথা বললে বা কল্পনা করে কোনও ঘটনা বললে, তাকে বকাবকি করা হয়। কেউ কাল্পনিক কোনও চরিত্রের কথা শুনতে পাচ্ছে, জানালে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। তাই তাদের অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। বরং তাদের মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। ধারাবাহিক চিকিৎসা করলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে নানা রোগ। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদসমস্যা। ব্যস্ত জীবনে কম ঘুম, ফাস্টফুডের অভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)! তাই হৃদসমস্যায় আক্রান্তের তালিকায় ভারত ক্রমশ বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হয়ে উঠছে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ভারতে হৃদরোগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের তালিকায় ভারত প্রথম সারিতেই আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ৩৫ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) আশঙ্কাও বাড়ছে। গোটা দেশের মধ্যে আবার কেরল আর পশ্চিমবঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২০ জনের হৃদসমস্যা রয়েছে। বিশেষত শহুরে বাঙালির ২০ শতাংশ হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে যে কোনও সময়েই। তবে, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ধরা হত। কিন্তু গত দশ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৩০ বছরের চৌকাঠ পেরলেই বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, যাঁদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ আছে, তাঁরা বাড়তি সতর্ক হন। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি। তাছাড়া, পরিবারের কেউ বিশেষত বাবা-মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, ৩০ পেরিয়ে অবশ্যই চেক-আপ জরুরি।

    কোন পাঁচটি উপসর্গ জানান দেয় হৃদরোগের? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বিপদ হওয়ার আগে শরীর ইঙ্গিত দেয়। তাই আগে থেকে উপসর্গ টের পেলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বিশেষত হৃদরোগের সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যে পাঁচ ইঙ্গিতের কথা চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার প্রথমেই হল বুকে ব্যথা বা চিনচিন করা (Heart Attack)। যদি, বুকের বাঁদিকে চিন চিনে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সময় নষ্ট না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
    দ্বিতীয়ত, মাথার ভিতরে কষ্ট ও বমি হওয়া। অনেক সময়েই হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে বমি হয়। যদি হঠাৎ বমি হয় ও মাথার ভিতরে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 
    তৃতীয়ত, শুধু বুকে নয়, লাগাতার পেট ও পিঠে যন্ত্রণা অনুভব হলেও সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশেষত, মহিলাদের হৃদরোগ দেখা দিলে এই উপসর্গ বেশি দেখা যায়। পেটের যন্ত্রণা অথবা পিঠের দিকে একটা খিচ ভাব অনুভব হয়। সেটা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ইঙ্গিত হতে পারে। 
    এসি রুম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসে থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের আরেক উপসর্গ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু হৃদরোগের অন্যতম কারণ রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হওয়া, তাই অনেক সময়ই আক্রান্তের অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। 
    দেখার সমস্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া বা বারবার ভুল দেখা ইঙ্গিত দেয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার।

    কীভাবে হৃদরোগ এড়িয়ে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত চেক আপ জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। 
    ডায়বেটিস থাকলেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ডায়বেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। ডায়বেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack) বাড়ায়। খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি। কী খাচ্ছি, কতখানি খাচ্ছি, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার, যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তা একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা থাকে, যেমন বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার খুব কম পরিমাণে খেলেই ভালো। কারণ, এগুলো হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া এগুলোতে তেল ও মশলা অনেক বেশি থাকে। 
    নিয়মিত আপেল, কমলালেবু, শশা, কলার মতো ফল খেতে হবে। 
    সবুজ সবজি ও কম চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    মানসিক চাপ কমাতে হবে। নিয়মিত গান শোনা, ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে কিছুটা সময় দিতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ কমবে। মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটাচলা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার প্রকোপ কমতে না কমতে ফের এক মারণ ভাইরাসের (H3N2 Virus) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের পর নতুন আতঙ্কের নাম এইচ৩এন২। বিশেষ করে পুদুচেরিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের’ মাধ্যমে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, এই ভাইরাস অনেকটাই ক্ষতিকারক ও মানব শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণ জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও তা আস্তে আস্তে মারণ রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানব শরীরকে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে এই H3N2 Influenza A Virus এ?

    এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি সাবটাইপ। এমনটাই গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর। আরও জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস (H3N2 Virus) ডিসেম্বর থেকেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সাধারণত ঠান্ডার সময় থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আবার কিছু মানুষের মধ্যে নিউমোনিয়া, খিচুনি, ডায়ারিয়া ও বমি ভাব থাকছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের সব থেকে বেশি আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। উপসর্গগুলি প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১০ই মার্চের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের আক্রমণে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কর্ণাটকের এবং অন্যজন হরিয়ানার। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৩৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ১২৪৫ জন জানুয়ারিতে, ১৩০৭ জন ফেব্রুয়ারিতে এবং ৪৮৬ জন মার্চে।

    এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?

    যেহেতু এটি করোনার মতোই ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস (H3N2 Virus), তাই এই রোগের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন নেওয়া। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। কোনও রকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়াই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার হেরফের হলেও ঘাম হচ্ছে অবিরত! গরমে নাজেহাল উত্তর থেকে দক্ষিণ। মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী সাময়িক স্বস্তি দিলেও ফের বাড়ছে তাপমাত্রা। আর তারমধ্যেই ঝুঁকি বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection)। বিশেষত করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, এমন রোগীদের সংক্রমণ ও ভোগান্তির আশঙ্কা বেশি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কী সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই প্রথমে উপসর্গ থাকছে। তবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশির সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। আর তারপরেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। যা (Lungs Infection) বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তন বা ঋতু পরিবর্তনের সময়ই ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection) মতো সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে, অনেকে এই গরমেও ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত, যাঁরা করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। তাঁরা অনেক সময়ই কাশি-সর্দির মতো উপসর্গকে অবহেলা করছেন।  ফলে পরে সেটা ফুসফুসের বড় কোনও সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে। বাড়ছে বিপদ।

    হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে? 

    শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুসফুসের সংক্রমণ (Lungs Infection) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা গত দু’সপ্তাহে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬০ বছরের বেশি রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা কিন্তু কোনও এক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নিউমোনিয়া কিংবা ফুসফুসে সর্দি জমে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁদের চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ছে। আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ফুসফুসের সংক্রমণে রোগী ভর্তি চোখে পড়ার মতো বাড়ছে। অধিকাংশ রোগীর হেলথ হিস্ট্রিতে কোভিড পজিটিভ রয়েছে। তারাও জানাচ্ছে, বয়স্ক রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণে বেশি ভুগছেন। এই সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি! 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহলের পরামর্শ, সামান্য উপসর্গকেও (Lungs Infection) অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত, যাঁরা করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে। কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, করোনা ভাইরাস সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলেছে ফুসফুসের উপরেই। তার উপর বায়ু দূষণের সমস্যা বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যশক্তি কমছে। সেজন্য করোনা আক্রান্তদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দি-কাশি মনে হলেও, পরবর্তীতে তা নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগ তৈরি করছে। ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে অতিরিক্ত এসিতে থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, লং টার্ম কোভিড এফেক্ট অর্থাৎ, করোনার সুদূর প্রভাব এড়াতে স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই থাকা ভালো। কারণ, বদ্ধ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনার সংক্রমণ এখনও হচ্ছে। ফলে, বাড়িতে কারও সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে, তাঁর আলাদা ঘরে থাকা দরকার। কারণ, সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে বিপদ বাড়বে। বিশেষ করে, যাঁর আগে করোনা হয়েছে, ফের যদি করোনা বা অন্য কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হন তিনি, তাহলে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার জন্য বিপদ আরও বাড়ে। তাই পরিবারকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share