Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাস তৈরি করছে নানা ঝুঁকি। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তেমনই একটা সমস্যা হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Liver Disease)। সপ্তাহ জুড়ে চলছে লিভার ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, শুধু মদ্যপান নয়, খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের জন্য লিভারের রোগের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের সমস্যায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় বেশি ভুগছেন। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়স থেকেই অনেকে এই লিভারের অসুখে কাবু হচ্ছেন। 

    ফ্যাটি লিভার কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাট বা অতিরিক্ত চর্বি জমাকেই সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যশক্তি কমতে থাকে। ফলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। 

    কী করে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? 

    সাধারণত খুব প্রকট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) থাকলে ওজন মারাত্মক বাড়ে অথবা কমে। তাছাড়া অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরে বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বারবার বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে, ফ্যাটি লিভার থাকলে প্রায়ই পেটের যন্ত্রণা হয়। সেটাও অন্যতম উপসর্গ বলেই ধরা হয়। জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কোন পাঁচ খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করবে? 

    আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরেই বাড়ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা। বিশেষত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ফাস্ট ফুড বিপদ বাড়াচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্য তালিকায় এই পাঁচটি খাবার নিয়ম করে রাখলে বিপদ করবে। প্রথমেই চিকিৎসকদের পরামর্শ তালিকায় থাকছে, শাক-সবজি। সবুজ সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত সবজি খেলে বিপদ কমবে। দ্বিতীয়ত, দানা শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা কমাতে ওটস, ডালিয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তৃতীয়ত, নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী। যে কোনও মাছ নিয়মিত খেতে বলছেন তাঁরা। তবে, ছোট মাছের উপকার বেশি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাই তাদের পরামর্শ, দুধ, পনির, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে থাকুক খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিকেনে শুধু প্রোটিন নয়, থাকে ফাইবার। আর ফাইবার ফ্যাটি লিভার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে, রেড মিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে দেহে চর্বি জমে। যা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন শহরের নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে, কেউ আবার চিকিৎসক (West Bengal Doctor) হিসাবে একাধিক এলাকায় পসার জমিয়েছেন, তৈরি করেছেন নিজের নার্সিংহোম! কিন্তু, তদন্ত করতেই দেখা গেল, কারও কারও ন্যূনতম যোগ্যতাটুকুও নেই। চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে দাবি করার বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা! ফলে, রোগী ঠকিয়ে রোজগারের ধান্দা চলছে রমরমিয়ে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের! তাই এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল এনএমসি!

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নতুন সিদ্ধান্ত কী? 

    সম্প্রতি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন জানিয়েছে, দেশের সমস্ত চিকিৎসককেই (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন যথেষ্ট নয়। সর্বভারতীয় ভাবেই এই রেজিস্ট্রেশন জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টারে সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত থাকবে। দেশের সমস্ত চিকিৎসক, যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, যা পাঁচ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। পাঁচ বছর পরে ফের আপডেট করা হবে।

    এই রেজিস্ট্রেশনের বিশেষত্ব কী? 

    এনএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রেজিস্ট্রেশনের পরে চিকিৎসকেরা (West Bengal Doctor) পাবেন ইউনিক আইডেন্টিটি নম্বর। অনেকটা আধার কার্ডের ধাঁচে হবে এই ব্যবস্থা! যোগ্য চিকিৎসকদের কাছেই থাকবে তাঁর নিজস্ব ইউডিআই! সেই নম্বর প্রমাণ দেবে, তিনি মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমর্থ কিনা।

    এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের সুবিধা কতখানি? 

    এনএমসি-র এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। কারণ, এই রেজিস্ট্রেশনের পূরোটাই এনএমসি-র নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে থাকবে। তাই যে কোনও রোগী তাঁর চিকিৎসক, কোন কলেজ থেকে পড়েছেন, কত বছর কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কী, কোথায় কাজ করেছেন, তাঁর যোগ্যতা ইত্যাদি সবকিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। 
    এর ফলে ভ্রান্তি দূর হবে। সর্বোপরি, ভুয়ো চিকিৎসকের (West Bengal Doctor) পরিষেবা নিতে হবে না এবং এই ধরনের অভিযোগ কমবে বলেই আশা করা যায়।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, গোটা দেশের জন্য একরকম রেজিস্ট্রেশন খুব জরুরি! অনেক রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল চিকিৎসকদের (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশনে বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। এমনকী রেজিস্ট্রেশন পুনরায় নথিভুক্তিকরণের বিষয়কেও অবহেলা করা হয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এরকম নিয়ম চালু হলে নিয়মমাফিক কাজ হবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়ে অভিযোগ একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো সক্রিয় থাকলে এ রাজ্যে কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক কাজ করতে পারতেন না। এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্য কাউন্সিল একেবারেই সক্রিয় নয়। তাই এই সব দিক বিবেচনা করলে কেন্দ্রীয় ভাবে একটি রেজিস্ট্রেশন চালু জরুরি।

    কী বলছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল? 

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অবশ্য মনে করছে, এনএমসি-র এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, জোর করে রাজ্য কাউন্সিলের ক্ষমতা খর্ব করা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম পদাধিকারী চিকিৎসক (West Bengal Doctor) নির্মল মাজি বলেন, “ভুয়ো চিকিৎসক তো আমরাই খুঁজে বের করেছিলাম। বছর পাঁচেক আগে রাজ্যে যখন কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছিলেন, তার খোঁজ কি এনএমসি দিয়েছিল? আমরাই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এসব নতুন রেজিস্ট্রেশন করানো ঝামেলা বাড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়। এতে চিকিৎসকদের হয়রানি বাড়বে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ভোগান্তি লেগেই থাকে! এবছর তা আরও বেড়েছে। বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা এবার আরও বেশি। কারণ, দুই রোগের (Tropical Disease) দাপটে কাবু হচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সময়ই দায় এড়াচ্ছে! তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা? 

    এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই গরমেও তাঁরা ডেঙ্গি সংক্রমণে নাজেহাল। আর এবছর ডেঙ্গির দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। এই দুই মশাবাহিত রোগের (Tropical Disease) দাপটে তাঁরা নাজেহাল। সূত্রের খবর, প্রতি বছর বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় ব্যাপকহারে ডেঙ্গি হয়। গত বছরও ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাড়ায় পাড়ায় চলেছিল মৃত্যুমিছিল। এবছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। তার সঙ্গে উপদ্রব বেড়েছে ম্যালেরিয়ার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশো হয়েছে। তারমধ্যে বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বহু বাসিন্দা রয়েছেন। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ কী? 

    বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে (Tropical Disease) মৃত্যুমিছিল হলেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের। তার উপর এবছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তারপরেও এক পরিস্থিতি। সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাটের বিস্তৃত এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। বিশেষত রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক পার্ক, বাগান রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে না। ফলে, অপরিচ্ছন্ন এলাকা মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, ওই এলাকায় একাধিক নার্সারি রয়েছে। অর্থাৎ, যেখানে চারাগাছ বিক্রি করা হয়। ওইসব জায়গায় জল জমে। প্রচুর টব থাকায়, সেখানে সহজেই জল জমা হয় ও মশার জন্ম হয়। কিন্তু সেইসব জায়গা যে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে, এলাকাবাসীর ভোগান্তি হয়। ফি-বছর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে পুরসভা এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেয়, বছরভর কাজ হবে। ডেঙ্গি নির্মূল হবে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না। যেমন  এবছরেও পুরসভার সক্রিয়তার অভাব স্পষ্ট বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। 

    সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষ কী বলছে? 

    বিধাননগর পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গি (Tropical Disease) সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক। তারা জানাচ্ছে, গত বছরও মে মাসে বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শেষ হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। তবে, ম্যালেরিয়া যে চিন্তার কারণ, সে কথা মেনে নিয়ে বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম কাজ বিধাননগর পুরসভা করছে। রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে, সব সমস্যা যে পুরসভা মেটাতে পারবে না, সে কথাও তারা জানিয়ে দিয়েছে! 

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার যৌথ দাপট কতখানি ভয়ানক? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    ম্যালেরিয়া (Tropical Disease) এবছর বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করবে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে! তবে, ম্যালেরিয়ার মোকাবিলা করতে এলাকার বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। জল জমতে না দেওয়া, চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বিশেষত পার্ক, বাগান এলাকার আগাছা কাটা, জঞ্জাল সাফ করা নিয়মিত জরুরি। তাছাড়া, নর্দমা পরিষ্কার রাখা, ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার মতো কাজগুলো নিয়ম করে করতে হবে। তবে, ডেঙ্গি রুখতেও প্রশাসনের এইসব ভূমিকা পালনের পরামর্শ একাধিকবার দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রত্যেক বছর সংক্রমণ বাড়লে, তবেই প্রশাসন কাজ শুরু করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই কাজগুলো বছরভর করতে হবে, তবেই সংক্রমণ কমবে। তা না হলে রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বলেই তাদের আশঙ্কা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের ঘাটতি কমাতে এবার তিন বছরের প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি করা হবে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! আর এতেই রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তির দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতেই তাঁরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করবেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা করবেন। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

    কী ভোগান্তির আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আরও ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের! কারণ, তিন বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পর্যাপ্ত পাঠ পাবেন না এই হেলথ প্রফেশনালরা। কিন্তু তাঁদের কাছে রোগমুক্তির জন্য আসবেন সাধারণ মানুষ। অথচ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারবেন না। ফলে, ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে পরিষেবা দেবেন। এর ফলে গ্রাম ও শহরের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বৈষম্য তৈরি হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কতখানি নৈতিক ও আইনসঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসক শারদ্বৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যক্ষেত্র (West Bengal Health) কার্যত ভেঙে পড়বে। এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর জন্য একেবারেই ইতিবাচক নয়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এমনিতেই তলানিতে। তার উপর এমনভাবে চিকিৎসক ঘাটতি কমাতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ, শরীরের জটিল রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ করতে হলে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রয়োজন। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসায় দেরিও হয়ে যেতে পারে!” চিকিৎসক পূর্ণব্রত গুণ বলছেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বাড়বে। স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রেও বঞ্চনা তৈরি হচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে! শহরের মানুষ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের থেকে পরিষেবা পাবেন। কিন্তু গ্রামের মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ করছে হাতুড়ে ডাক্তার! এ তো মৌলিক অধিকার খর্ব করা! শুধু রাজ্যবাসীর ভোগান্তিতেই এই সমস্যা শেষ নয়। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কেও এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত! তিনি বলেন, “রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক নানা ঘটনার জেরে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময় এরকম সিদ্ধান্ত সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। কারণ, অনেক সময়ই এই হেলথ প্রফেশনালরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় করতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো না থাকায় নানা জটিলতা তৈরি হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ চিকিৎসক ও হেলথ প্রফেশনালদের মধ্যে ফারাক হয়তো ঠিকমতো মনে রাখতে পারবেন না। ফলে, অবিশ্বাস তৈরির সুযোগ আরও বাড়বে।” 

    সবমিলিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাই করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

    Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ, মানসিক চাপ আর ব্যস্ততা নিত্যসঙ্গী। আর এসবের সঙ্গে শরীরে নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাইপারটেনশন (Hypertension) তার মধ্যে অন্যতম! ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন ভারতীয়র মধ্যে চারজন হাইপারটেনশনে ভোগেন। এরাজ্যেও বাড়ছে হাইপারটেনশনের সমস্যা। বয়স্কদের পাশাপাশি কমবয়সীদের মধ্যেও হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবন কাটাতে জরুরি সচেতনতা। আগামী ১৭ মে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে! তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বছরভর সতর্ক থাকলে কমতে পারে বিপদ!

    হাইপারটেনশন থাকলে কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    হাইপারটেনশনে (Hypertension) সবচেয়ে ঝুঁকি বাড়ে হার্টের! উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া, মানসিক অস্থিরতা, মানসিক চাপের মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার হাইপারটেনশন আছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের (Hypertension) কিছু উপসর্গ আছে। যা থেকে বোঝা যায়, কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত কিনা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের প্রধান উপসর্গ হল মাথার পিছনে যন্ত্রণা। মাঝেমধ্যেই, কয়েকদিনের ব্যবধানে মাথার পিছনের অংশে অসম্ভব যন্ত্রণা হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ! উচ্চ রক্তচাপ হাইপারটেনশনের উপসর্গ। শরীরে ক্লান্তি, কোনও কাজেই এনার্জি না পাওয়া হাইপারটেনশনের উপসর্গ।হাইপারটেনশন থাকলে বমি হয়। মানসিক অস্থিরতা হাইপারটেনশনের উপসর্গ। যদি মাঝেমধ্যেই অকারণ দুশ্চিন্তা গ্রাস করে, তবে সেটাও হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ।

    কোন কোন খাবার মেনুতে রাখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমবে? 

    সময়মতো চিকিৎসা যত জরুরি, তেমনি জরুরি জীবনযাপনের ধরন। বিশেষত খাবারের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি। কারণ, সঠিক খাবারের মেনু কমিয়ে দিতে পারে সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে, তাদের খাদ্য তালিকায় বাড়তি নজর থাকুক। বিশেষত নিয়মিত পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেস্তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ড্রাই ফ্রুটস কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হাইপারটেনশনে খুব উপকারী পেস্তা। যে কোনও ভাবে পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    উচ্চ রক্তচাপ কমানোর হাইপারটেনশনের (Hypertension) রোগীর খুব জরুরি। তাই নিয়মিত বিনস ও ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিনস ও ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই হাইপারটেনশন রুখতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় বিনস ও ডাল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। টমেটো হাইপারটেনশন রুখতে খুব উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, টমেটোতে থাকে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনালাইট। আর এই দুই উপাদান হাইপারটেনশন মোকাবিলায় সাহায্য করে। বিশেষত ক্যারোটিনালাইট হার্টের জন্য খুব উপকারী। খাবারের মেনুতে ব্রকোলি ও গাজর রাখলে হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য হবে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই এই সবজি খুব উপকারী। তাছাড়া গাজরে আছে ক্লোরোজোনিক ও ক্যাফেইক। এই উপাদানগুলো রক্তনালিকে ঠিকমতো কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই গাজর অত্যন্ত উপকারী। 
    কমলালেবু আর কলার মতো ফলও অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। এই দুই উপদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার কলায় থাকে সোডিয়াম। সোডিয়াম হাইপারটেনশন (Hypertension) রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে রসনা মেটাতে আমের বিকল্প খুব কমই আছে। তাইতো আমকে বলা হয় ফলের রাজা! পুষ্টিবিদদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আম (Diabetes & Mangoes) খুবই বড় ভূমিকা নেয়, ভিটামিন ই, কে, বি কমপ্লেক্সে ভরপুর থাকে আম। পাশাপাশি আমে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার। কিন্তু আমে শর্করা থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন? এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় আজকে আমরা আলোচনা করব এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন সে নিয়ে।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত…

    ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। মানতে হয় নানা স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েটে রয়েছে নানা বিধি নিষেধ। জীবনধারার এই রোগ সাধারণত তখনই হয় যখন রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং অগ্নাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা। চিকিৎসকরা বলছেন ‘‘ডায়াবেটিকদের শরীরের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয় এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খেতে হয়। প্রসঙ্গত, কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়ায় না।’’ তাই ডায়াবেটিসে যে কোনও ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ডায়াবেটিসে পরিমিত মাত্রায় আম (Diabetes & Mangoes) খাওয়া যেতেই পারে।’’ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হজমের কোন সমস্যা থাকলে আম তা নিরাময়ে সাহায্য করে। 

    ডায়াবেটিকরা কি আম (Diabetes & Mangoes) খেতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আমে (Diabetes & Mangoes) চিনির মাত্রা অনেক বেশি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাওয়া নিষিদ্ধ।’’ তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, আম যদি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতি করবে না। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, অল্প পরিমাণে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না, তাই চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘রোগীর শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তাঁরা পরিমিত আম খেতেই পারেন।’’

    সুগারে কতটা পরিমান আম খাওয়া যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তের শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সাধারণভাবে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অর্ধেক কাপ অর্থাৎ কিনা ৮২.৫ গ্রাম আম খেয়ে প্রথমে দেখতে হবে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়েছে কিনা, যদি বাড়ে তাহলে মাপতে হবে তা কতটা বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আম খাওয়ার পরিমাণ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের সাবধান বাণী, নিয়মিতভাবে সুগার লেভেল চেক করেই খাওয়া উচিত আম। তবে আমের জুশ একেবারেই নিষিদ্ধ বলছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Caesarean Delivery: সিজার করে প্রসবের প্রবণতা বাড়ছে রাজ্যে, হিসাব সহ ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্র 

    Caesarean Delivery: সিজার করে প্রসবের প্রবণতা বাড়ছে রাজ্যে, হিসাব সহ ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্র 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সিজার করে সন্তান প্রসবের (Caesarean Delivery) প্রবণতা বাড়ছে রাজ্যে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসূতিকে জানানো হচ্ছে, সিজার ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় সিজারের মাধ্যমে প্রসব করানো হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক সময়ে রোগীর পরিজন অভিযোগ জানিয়েছেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে তাই রাজ্যের কাছে সিজার অডিট পাঠানোর জন্য জানানো হয়েছে। কিন্তু সে নিয়েও চলছে নানা টালবাহানা!

    সমস্যা কোথায়? 

    এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি, সব হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে অপ্রয়োজনীয় সিজার (Caesarean Delivery) করানোর। প্রসূতি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও অনেক সময় সিজার করা হয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে তাই জানানো হয়েছে, রাজ্যকে সিজার অডিট পাঠাতে হবে। মন্ত্রক যাচাই করে দেখবে, সিজারের প্রয়োজন কতখানি হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সিজার করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মাফিক সিজার অডিট মন্ত্রকের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ।

    সিজার অডিট কী? কেন একে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও প্রসূতিকে সিজার করানোর পর চিকিৎসক স্পষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা দেবেন, কেন তার সিজার (Caesarean Delivery) করা হল। সেই ব্যাখ্যা জমা করতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। শুধু সরকারি ক্ষেত্রে নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও এই নিয়ম মানতে হবে। তারপরে রাজ্যে কতগুলো সিজার হচ্ছে, কেন হচ্ছে, সেই হিসাব স্পষ্ট হবে। আর সেই হিসাবকেই বলা হচ্ছে সিজার অডিট। যা রাজ্য থেকে চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অপ্রয়োজনীয় সিজার (Caesarean Delivery) মহিলাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়মে প্রসব করতে হলে একজন প্রসূতির ২৫০ মিলিলিটার রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সময় মায়ের ১০০০ মিলিলিটার রক্তক্ষরণ হয়। এই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ দেশে মহিলাদের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার প্রবণতা প্রবল। তার উপরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শরীরকে দূর্বল করে দেয়। যা সদ্যোজাত ও মা দুজনের জন্য ভালো নয়। তাছাড়া, সিজার করার জন্য মায়ের স্নায়ুতন্ত্রকে সাময়িক অজ্ঞান করা হয়। পরবর্তীতে তার জন্য মহিলাদের কোমরে নানা সমস্যা হয়।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাদের সিজার (Caesarean Delivery) করতে হবে, তা নিয়ে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। মন্ত্রকের তরফেও স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে, কখন প্রসূতির সিজারের প্রয়োজন হবে। বিশেষত যাঁরা দেরিতে মা হচ্ছেন, কোনওরকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে, কিংবা উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়বেটিস রয়েছে, এমন প্রসূতির সিজার প্রয়োজন। আবার গর্ভস্থ শিশুর কোনও শারীরিক জটিলতা থাকলেও সিজার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। দ্রুত প্রসব করানোর জন্য প্রথমেই সিজারের পথ বেছে নেওয়া হচ্ছে।

    কী বলছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল থেকে নথি আসতে সময় লাগবে। সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সিজার (Caesarean Delivery) অডিট হাতে পাওয়া দরকার। সময়মতো সবটাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে কেন্দ্রের কাছে কোনও রিপোর্ট কিংবা তথ্য পাঠানো নিয়ে টালবাহানা থাকছেই। সেটা ডেঙ্গির তথ্য হোক কিংবা সিজার অডিট! সবকিছুতেই থাকছে রাজনীতির জটিল হিসাব। আর তার জেরেই ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছর ২৯-এর যুবক। মাথার যন্ত্রণায় কাতর। শেষ পর্যন্ত নিলেন চরম সিদ্ধান্ত! মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ! সম্প্রতি হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকার এক যুবকের মৃত্যুর কারণ শুনে হতবাক হচ্ছেন অনেকেই। তবে, এই ঘটনাকে ব্যতিক্রম বলছেন না চিকিৎসকরা। আগেও একাধিকবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহু রোগী! তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ক্রনিক রোগের দীর্ঘকালীন চিকিৎসা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

    মাইগ্রেনের সমস্যা কী? 

    মাইগ্রেন একধরনের স্নায়ুঘটিত সমস্যা। একে নিউরোভাস্কুলার ডিসঅর্ডার বলা যায়। মাথার মাঝখানে কিংবা যে কোনও একটা পাশে এই যন্ত্রণা হয়। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা একটানা এই ধরনের যন্ত্রণা থাকে। মাসে একাধিকবার মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তথ্য বলছে, বিশ্বের প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। পুরুষের তুলনায় মহিলারাই এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি মাসে একাধিকবার মাথার যন্ত্রণা হলে বুঝতে হবে, তা মাইগ্রেনের লক্ষণ। বমি, মাথা ঝিমঝিম, মানসিক অস্থিরতার মতো উপসর্গও দেখা যায়। যন্ত্রণার সময় অনেকেই অনেক কিছু অবাস্তব কল্পনা করেন। তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাইগ্রেন ঔরা (aura) বলা হয়। যেমন, অনেকেই ভাবেন, তাকে কেউ হয়তো খুন করবে কিংবা তার চরম কোনও ক্ষতি করা হবে। এমন নানারকম আশঙ্কায় রোগী ভোগেন। খাবারের প্রতিও অনীহা তৈরি হয়।

    কীভাবে কমাবেন মাইগ্রেনের সমস্যা? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাইগ্রেনের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেকেই প্রথমে সাধারণ মাথার যন্ত্রণা বলে মাইগ্রেনকে অবহেলা করেন। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বিপদ কমে। কারণ, চিকিৎসক নানান শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারেন, মাইগ্রেন চরম নাকি মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সেইমতো চিকিৎসা করলে রোগী সুস্থ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ব্যথা কমার ওষুধ নয়। স্নায়ুঘটিত নানান ওষুধের প্রয়োজন হয়। তাই যন্ত্রণা কমাতে নিজেই ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়ায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, জীবনযাপনের বদল মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। অতিরিক্ত আওয়াজ বা অতিরিক্ত গরম মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। তাই সেরকম পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। সহজে হজম হয়, এমন খাবার খেতে হবে। হজমের অসুবিধা হলে মাইগ্রেনের ভোগান্তি বাড়তে পারে। 
    মানসিক চাপ মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত খারাপ। তাই যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক চাপ যাতে তৈরি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, মাস্ক ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন কি শেষ হয়ে গেল? 

    Covid 19: করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, মাস্ক ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন কি শেষ হয়ে গেল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ (Covid 19) চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। রাজ্যে পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক! পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছিল রাজ্যে! কিন্তু ৪ মে-র ঘোষণার পর সব হিসাব কি গোলমাল হয়ে গেল? করোনা কি শেষ? তাহলে দিন কয়েক আগে কীসের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক? ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনা মহামারি বা কোভিড-১৯ আর আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় নয়। ২০১৯ সালে চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তারপরে এই রোগ মহামারির আকার নিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ভারতেও এই মহামারি তীব্র আকার নিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় বা গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা আর আন্তর্জাতিক বিপর্যয় নয়। এই মহামারিকে মোকাবিলা করা গিয়েছে। 

    তাহলে কি আমরা বিপদমুক্ত? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক বিপর্যয় আর বলছে না। কারণ, এই রোগের (Covid 19) প্রকোপ অনেক কমেছে। কিন্তু আমরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত, এ কথা বলা যায় না। কারণ, কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আবার দাপট বাড়িয়েছিল। করোনার নতুন প্রজাতি আর্কটুরাস সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মতো জনবহুল দেশে যে কোনও সংক্রামক রোগ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই করোনা থেকে পুরোপুরি বিপদ আমাদের কাটেনি। 

    করোনার বিপদ কাটাতে কোন দুই দাওয়াইয়ে ভরসা করতে হবে? 

    করোনার বিপদ (Covid 19) থেকে মুক্তি দিতে পারে দুটি দাওয়াই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাস্ক আর ভ্যাকসিন-এই দুইয়েই ভরসা রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে বার্তা দিন দুয়েক আগে দিয়েছে, তার অর্থ কখনই এটা নয় যে, করোনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে, করোনার শক্তি কমেছে। তাই সচেতনতা বজায় রাখতেই হবে। করোনার শক্তি হ্রাস করতে ও সুস্থ থাকতে ভিড় এলাকায় মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। মাস্কের ঠিকমতো ব্যবহার সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আরেকটি ভরসা টিকা। করোনা ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। একদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রবীণ নাগরিকদের সময়মতো টিকার ডোজ নিতে হবে, আরেকদিকে স্কুল পড়ুয়াদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে। করোনা টিকাই পারবে এই রোগের শক্তি কমাতে। তাই করোনা টিকার উপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা করছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া, ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    সতর্কতা এড়ালেই বিপদ! 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তার অপব্যাখ্যা হলেই বিপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কখনই সচেতনতা কমাতে বলেনি। বরং এই পরিস্থিতিতে করোনা (Covid 19) নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। কারণ, এখন অতিরিক্ত সংক্রমণের জেরে নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হলে ফের বিশ্ব জুড়ে আরেক স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যে করোনার নতুন প্রজাতি চোখ রাঙাচ্ছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smoking: বাঙালি কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে ধূমপানের প্রবণতা? সিগারেটের সুখটান কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    Smoking: বাঙালি কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে ধূমপানের প্রবণতা? সিগারেটের সুখটান কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়ঃসন্ধির চৌকাঠ পেরিয়েই বাড়ছে সুখটানের (Smoking) হাতছানি! নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারা। কলকাতা বা আশপাশের শহর এলাকা নয়। গোটা রাজ্যেই কমবয়সি মেয়েদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর তার জেরেই নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কী বলছে সর্বভারতীয় সমীক্ষা?

    গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ধূমপানের (Smoking) প্রবণতা বেড়েছে। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশেষত ১৮ বছরের কমবয়সি মেয়েদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বাড়ছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এরাজ্যে ১০.৮ শতাংশ মহিলা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। শহরের তুলনায় গ্রামের মহিলাদের মধ্যে তামাকের নেশায় আসক্তির সংখ্যা বেশি। গ্রামের ১২.২ শতাংশ মহিলা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। ৮ শতাংশ শহুরে মহিলা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে অভ্যস্ত। ছেলেদের মধ্যে ধূমপান বা অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের প্রবণতা আগেও ছিল। তবে, গত কয়েক বছরে কিছুটা কমেছে। যদিও কমার পরেও এখনও সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তবে, কমবয়সি মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি হওয়ায় তা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে। কারণ, দেখা যাচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও তামাক সেবনের প্রবণতা কমছে না। এমনকী গর্ভাবস্থায় তামাক সেবন করছেন অনেকেই। ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ধূমপানে অভ্যস্ত মোট মহিলার মধ্যে ৫ শতাংশ গর্ভাবস্থায় তামাক সেবন করেন। ফলে, নিজের শরীরের পাশপাশি সন্তানের স্বাস্থ্যেও মারাত্মক কুপ্রভাব পড়ছে! 

    কম বয়স থেকে ধূমপান কোন কোন বিপদ বাড়াতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের (Smoking) প্রবণতা বাড়ছে। আর তার জেরেই মহিলাদের মধ্যে মুখ ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ছে। আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেদের গলা ও মুখের ক্যানসার হত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, মহিলারা যে তিনটি ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে একটি মুখ ও গলার ক্যানসার। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে ধূমপানের জন্য। ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ধূমপান। লাগাতার তামাক সেবনের জেরে ডিম্বানুর গুণগতমান কমছে। ফলে, গর্ভধারণে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। 

    ধূমপান ত্যাগ করলে কী কী লাভ হবে? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ধূমপান ত্যাগ করার পরের দিন থেকেই স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ধূমপান (Smoking) না করলে প্রথম ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ কমে। ফলে, দেহে রক্ত সঞ্চালন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। ধূমপান ছাড়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই কমতে থাকে হৃদরোগের ঝুঁকি। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যার জেরে কাশির সমস্যা কমে। ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগের এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সুস্থ, দীর্ঘ জীবন কাটাতে তামাক সেবনের অভ্যাস কমানো জরুরি। কম বয়স থেকে তামাকজাত জিনিসে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। অনেক সময়ই সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটানো কঠিন হয়ে যায়। তাই এ নিয়ে সরকারের তরফেও সক্রিয় ভূমিকা জরুরি। যাতে স্কুলপড়ুয়ারা কোনওভাবেই তামাকজাত দ্রব্য না পায়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share