Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও একটানা বসে থাকলে নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। কোমরে ব্যথা হতে থাকে। আবার কখনও কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরেই বা কয়েক পা সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই হাঁটুর যন্ত্রণা শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলারা এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত, হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায় তাঁদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতিই বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, ভারতে ২৫ শতাংশ মহিলা বিপজ্জনক ভাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে ভুগছেন। ৭৫ শতাংশ মহিলা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন না। তবে, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়। যদিও মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি। বিশেষত, তিরিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বেশি দেখা যাচ্ছে।

    কীভাবে বুঝবেন ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাব হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটলে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, পেশির যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশির শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোনও ভারী জিনিস টানলে বা কোনও কাজ বেশি সময় একটানা করলে যন্ত্রণা শুরু হয়। কোমর ও হাঁটুর যন্ত্রণা হয়। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোমর ও হাঁটুর শক্তিক্ষয় হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায়। ফলে, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন কোন খাবার কমাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তবেই ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি কমানো যাবে। নিয়মিত দুগ্ধজাত জিনিস খাদ্যাভ্যাসে রাখলে তবেই কমবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। কারণ, দুধে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। তাই দুধ, দই, পনির, চিজের মতো খাবার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তবেই দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যাবে। দুধের পাশপাশি ডিমেও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। বিশেষত ডিমের সাদা অংশ। যাকে অ্যালবুমিন বলা হয়, তা দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলি, পুঁইশাকের মতো সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। 
    খাবারের তালিকায় নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, সোয়াবিন দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
    তাছাড়া, স্যালমন জাতীয় সামুদ্রিক মাছেও থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। 
    নিয়মিত এই খাবার দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হতে পারে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অনুষ্ঠানের শেষ পাতে গরম, নরম রসগোল্লা কিংবা অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদযাপন। মিষ্টি ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়। নতুন বছরের শুরু থেকে জন্মদিন, যে কোনও আনন্দে মিষ্টিমুখ করানোটা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, মিষ্টিতেই আছে যত বিপদ! বিশেষত হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে মিষ্টিপ্রেম বাড়াতে পারে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি! 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Stroke)? 

    সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে ইউরোপিয়ান কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলন হল। সেখানেই চিকিৎসকরা জানালেন, বিশ্ব জুড়ে হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় শুধু বয়স্করা নন, কমবয়সীরাও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই জীবন যাপনের ধারায় পরিবর্তন দরকার। খাদ্যাভ্যাস থেকে ঘুম, শারীরিক কসরত, সব কিছু নিয়েই সজাগ থাকা জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ (Stroke)!

    কোন বিপদের (Stroke) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। কারণ, হাইপারটেনশনের জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি (Stroke) বাড়ে। পাশপাশি বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। যার জেরে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

    কেন বাড়ছে হাইপারটেনশনের (Stroke) সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ। কাজের চাপের পাশপাশি আধুনিক জীবনে পারিবারিক চাপও বাড়ছে। তার জেরে যেমন অবসাদের মতো মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের (Stroke)। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের জেরেও দেহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    সাম্প্রতিক এই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। কেক, চকোলেট, হটডগ বা যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার হাইপারটেনশন রোগীর জন্য একেবারে ভালো নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও চর্বিজাতীয় মাংস, মাছ বা যে সব দুগ্ধজাত জিনিসে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিসমিস, খেজুর, পেস্তা, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাছাড়া, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক যব, ভূট্টার মতো দানাশস্য। ডাল, বিনস নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়া ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়। তাছাড়া, দুধ জাতীয় জিনিস যেমন পনির, টক দই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, প্রাণীজ প্রোটিনও শরীরের জন্য জরুরি। কারণ, শরীরে আয়রন, ভিটামিন, ফসফরাস প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম, চিকেন বা মাছ নিয়মিত খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই যেমন চর্বিজাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে, তেমনি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর দাপটের স্মৃতি এখনও তরতাজা! এর মধ্যেই আরেক আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশেষত শিশুদের জন্যই এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া এই বিপদ আটকানো যাবে না বলেও তারা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)?

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাম, মিজেলস ও রুবেলা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক দেশে কয়েক লাখ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ভারতের জন্যও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিশ্ব জুড়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের সুস্থ রাখতে এই তিন রোগ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন হচ্ছে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর ন’মাস বয়সের পরে এমএমআর ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক। তাহলেই এই বিপদ কমানো যাবে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে। আর আক্রান্ত হলেও বড় বিপদ হয় না। তাই ভ্যাকসিনকেই রোগ মোকাবিলার সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    কেন বাড়লো এই রোগের প্রকোপ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে একাধিক বিপর্যয় চলেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যু বিপর্যয় হয়নি। যারা সদ্যোজাত, তাদের জন্যও নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল করোনা। সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ বাবা-মা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। ফলে, তাদের অনেককে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়ে যে প্রচার হয়, সেটাও বন্ধ ছিল। অনেক সময়ই শিশুর ন’মাস বয়সে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। করোনার জেরে এক দিকে সদ্যোজাতদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তেমনি স্কুলেও ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বন্ধ ছিল। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীর ৮০ কোটি শিশু ২০২০-২২ সালের মধ্যে এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন হবে প্রথম হাতিয়ার। কিন্তু তার পরেও আক্রান্ত হলে, অযথা ভয় নয়। বরং সচেতনতার মাধ্যমে শিশু দ্রুত সুস্থ হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট হয়। যেমন, জ্বর, সর্দি-কাশি। মুখের ভিতরে সাদা গুটি দেখা যায়। দেহের একাধিক জায়গায় লাল গুটি স্পষ্ট হয়। বিশেষত, কানের পিছনে লাল গুটি দেখা যায়। এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (WHO)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল নিত্য সঙ্গী। কাজের প্রয়োজন থেকে বিনোদন, সবটাই এখন স্ক্রিনে বন্দি। স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে অফিসের মিটিং, সব কিছুতেই ভরসা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ! ভারতীয়দের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে! চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ড্রাই আই (Dry Eye) সমস্যায় ভুগছে প্রায় গোটা প্রজন্ম!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে চোখের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত, শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইয়ের (Dry Eye) সমস্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় ড্রাই আই সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষত, কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    শুষ্ক চোখ কী?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখে জল কমে যাওয়া হল শুষ্ক চোখ (Dry Eye)। এর জেরে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণা হয়। চোখে কড় কড় ভাব বাড়ে। ফলে, যে কোনও জিনিস লক্ষ্য করতেও সমস্যা হয়।

    কেন হয় চোখের শুষ্কতা? 

    ভারতে চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, স্ক্রিন টাইম! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় এখন মানুষ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন। আর একটানা তাকিয়ে থাকার জেরে স্ক্রিনে যে আলো থাকে, তার সরাসরি প্রভাব চোখের উপর পড়ে। আর সেই আলোর জেরেই চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নান শারীরিক জটিলতার কারণেও চোখের আর্দ্রতা কমতে থাকে। যেমন ডায়বেটিস থাকলে অনেক সময় চোখে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, বিভিন্ন হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলেও চোখের শুষ্কতার (Dry Eye) সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, একটানা আধঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম করা উচিত নয়। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁদের পরামর্শ, একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত নয়। আধ ঘণ্টা অন্তর চোখের বিশ্রাম জরুরি। 
    তবে, কাজের জন্য অনেকেই একটানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। তাঁদের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ, এক নাগাড়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। অন্তত বার বার চোখের পাতা ফেলা দরকার। চোখ বন্ধ-খোলা বার বার করলে ঝুঁকি (Dry Eye) কিছুটা কমবে। 
    পাশাপাশি, চিকিৎসকদের পরামর্শ, চোখের মণি গোল করে ঘোরানো দরকার। বিশেষত, যাঁরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার চোখের মণি গোল করে ঘুরিয়ে এই ব্যায়াম করতে পারেন। 
    বার বার চোখ জল দিয়ে ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে চোখের আরাম হয়। লাগাতার আলো পড়ার জেরে যে ক্লান্তি আসে, সেটাও কিছুটা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তার কারণ ক্যান্সার। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা ইত্যাদির জেরে ক্যান্সার বিপদ বাড়ায়! তবে, আধুনিক জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই ক্যান্সার রুখতে তাঁরা খাবারের উপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হচ্ছে, ভারত সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মোট মৃত্যুহারের বড় অংশের কারণ ক্যান্সার। গলা, মুখ, ফুসফুস, অন্ত্র সহ দেহের একাধিক জায়গায় ক্যান্সারের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। কারণ, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, কত পরিমাণে তা শরীরে যাচ্ছে, এসবের জন্য নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়।

    কোন ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের প্রিজারভেটিভ ফুড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন পিৎজা, বার্গার, হটডগ জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রিজারভেটিভ খাবারে মাংস বা মাছের যে পুর দেওয়া হয়, সেখানে যে রাসায়নিক মেশানো হয়, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    এছাড়া অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন জাতীয় ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে, সেটাও শরীরে নানা রোগের কারণ হয়। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরে স্থূলতা বাড়ে। তাছাড়া, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ায়! তাই এই ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন দশ খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে? 

    ওই আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার হলে এই খাবার খেলেই সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে, এ ধারণা ভুল। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যার পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
    নিয়মিত কিসমিস কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিসমিসে যে ধরনের মিনারেল থাকে, তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত তাঁরা শিশুদের নিয়মিত অন্তত পাঁচটি কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে শিশুদের হজম ক্ষমতা বাড়বে ও অন্ত্র সুস্থ থাকবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    সব্জি বিশেষত পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন। তাই এই ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
    ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখা আপেল ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। 
    যে কোনও রান্নায় রসুন ও হলুদ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই দুই মশলা শরীরে একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত, হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। তাই হলুদ বিশেষ উপকারী। 
    যে কোনো ধরনের লেবু যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু নিয়মিত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম যা ত্বক ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 
    রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে ওই গবেষণা। তবে, তেল খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, নারকেল তেলের বেশি ব্যবহার আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া অলিভ অয়েলের ব্যবহার শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেও ওই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 
    ভুট্টা (কর্ন) বা ওটস জাতীয় দানাশস্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে শরীরের ওজন বাড়ে না। আবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট শরীর পায়। তাই এই ধরনের দানাশস্য খুব উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লাগাতার বৃষ্টি। ভিজে আবহাওয়া। এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ! কিন্তু বর্ষাকালে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়ছে নানান ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)। বিশেষত, এই সময়ে ছত্রাকঘটিত ত্বকের সমস্যা বাড়ে। তাই বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কেন বাড়ে ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ভিজে ভাব বাড়ে। তাই এই সময়ে নানান ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তার জেরেই হয় ত্বকের সমস্যা। তাছাড়া, বর্ষায় অনেক সময় জামা-কাপড় ভালোভাবে শুকনো হয় না। ফলে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকে। তার জেরে ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, সূর্যের তাপে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণের প্রকোপ কমে। বর্ষায় হয় ঠিক উল্টোটা। তাই বর্ষায় ত্বকের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাত, পা ও শরীরের যেসব অংশে ভাঁজ আছে, বেশির ভাগ সেই সব জায়গাতেই ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া, কানেও হতে পারে সংক্রমণ। অনেক সময় চোখের নিচেও সংক্রমণ হয়। চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এই সময়ে বেশি দেখা যায়।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা জলে বেশি কাজ করেন, তাঁদের এই ধরনের ত্বকের সমস্যা (Skin Infection) হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষত, বাড়ির মহিলাদের যেহেতু বেশি জল ব্যবহার করতে হয়, তাই তাঁদের হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    বর্ষায় কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে ক্রিম মাখতে হবে। ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত স্নান জরুরি। দেহের কোনও অংশ লাল হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে  র‍্যাশ বেশি না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই এই সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি কমানো যাবে। 
    তবে, খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি। পাতে নিয়মিত টক দই যেমন লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি ত্বক সুস্থ রাখে। আবার নিয়মিত লেবু খেলেও ত্বক ভালো থাকে। নানান সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বক সুস্থ রাখতে খুব জরুরি!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বৃষ্টি চলছে দিনভর! তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি! কারণ, বর্ষাকালে তিন জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়তে থাকে। যার জেরে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও হতে পারে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কোন তিন রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে। যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকে, নর্দমা ভরে যায়, অনেক সময়ই খাওয়ার জলের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে না। ফলে, সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময় ডায়রিয়া, কলেরা এবং জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ে। তাই জলবাহিত এই তিন রোগ থেকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে সতর্ক হবেন (Water Borne Diseases)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হলেই বড় বিপদ এড়ানো যায়। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও কমে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখ ও দেহের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের অন্যতম বড় লক্ষণ। তাই গায়ের রং বদল হলে, সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের মতোই কাশি, সর্দি, জ্বরের উপসর্গ (Water Borne Diseases) থাকে। তবে, তল পেটে যন্ত্রণা, প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে, সজাগ হওয়া জরুরি। কারণ এগুলো জন্ডিসের লক্ষণ বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ডায়ারিয়া হলেও জ্বর, পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তবে, বার বার বমি, পেটে খিঁচুনি ভাব অনুভব করা ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তার সঙ্গে একাধিকবার তরল মলত্যাগ ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তাই এই রকম লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডায়ারিয়ার মতোই কলেরার উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, কলেরা হলে ঝিমঝিম ভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হয় বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন (Water Borne Diseases)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই পারবে এই বিপদের (Water Borne Diseases) মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের বাড়তি নজরদারিতে রাখা দরকার। কারণ বর্ষায় শিশুদের নানান ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। পাঁচ বছরের কম বয়সিদের বর্ষায় ফোটানো বিশুদ্ধ জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ এড়াতে পানীয় জলের ব্যাপারে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। তাছাড়া, লাগাতার জ্বর, কাশি, পেটব্যথার মতো সমস্যা থাকলে, তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সহজে হজম হয়, এমন খাবার এই সময়ে খাওয়া উচিত। যাতে পেটের সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। জিমে গিয়ে শরীর চর্চাও করা হয়ে ওঠে না। তা সত্ত্বেও কমছে ওজন (Weight Loss)! এরকম হলে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত যদি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শরীরের ওজন ৫ শতাংশের বেশি কমে, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, দ্রুত এই ওজন কমার পিছনে থাকতে পারে নানা জটিল রোগ!

    কোন কোন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমে (Weight Loss)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে নানা রোগের কারণ যেমন স্থূলতা, তেমনি বিভিন্ন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমতেও পারে। আর তার জন্য নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই ওজনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলেও ওজন কমতে পারে। তাই দ্রুত ওজন কমলে ডায়বেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ওজন কমে। থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ দ্রুত ওজন কমা (Weight Loss) এবং ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়া। তাই ওজন দ্রুত হ্রাস হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। আবার এইচআইভি সংক্রমণের জেরেও দ্রুত ওজন কমতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। অবসাদ, মানসিক চাপের জেরে যেমন অনেক সময় স্থূলতার সমস্যা দেখা যায়, তেমনি ওজন হ্রাসের ঘটনাও ঘটে।্যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ না থাকলে ঠিকমতো খাওয়া হয় না। অনেক সময় অবসাদের জেরে রোগী অতিরিক্ত খাবার খান, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। ফলে, স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়। আবার অনেক সময় মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগী খাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে, ওজন কমতে থাকে। 
    তাছাড়া, দ্রুত ওজন কমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মদ্যপানের কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহের ওজন দ্রুত কমে। কারণ, মদ জিরো ক্যালোরি। আর মদ খেলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ফলে, নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহে প্রয়োজনীয় খাবার যায় না। ফলে, দ্রুত ওজন কমতে থাকে।

    দ্রুত ওজন কমলে (Weight Loss) কোন কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    স্থূলতা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি দ্রুত ওজন হ্রাস (Weight Loss) একাধিক শারীরিক ও মানসিক সঙ্কট তৈরি করে। 
    চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দ্রুত ওজন হ্রাস দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দ্রুত ওজন হ্রাস শরীরের জন্য বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ শরীরকে গ্রাস করে। ফলে, যে কোনও কাজ ঠিকমতো হয় না। জড়তা তৈরি হয়। 
    তাছাড়া, থাইরয়েড, ডায়বেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ওজন হ্রাস হলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে, নানা শারীরিক জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে। 
    মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও অসুবিধা হতে পারে। দ্রুত ওজন হ্রাসের ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে চিন্তা করার শক্তি কমে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ফলে, মানসিক স্থিতাবস্থা নষ্ট হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। ওজন দ্রুত কমলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করে, ওজন কমার Weight Loss কারণ সম্পর্কে জানা জরুরি। 
    তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বাড়তি নজর জরুরি। প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। বিশেষত ডিম, দুধ, সবজি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bladder Problem: ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা? ঘরবন্দি থাকাই একমাত্র সমাধান নয়

    Bladder Problem: ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা? ঘরবন্দি থাকাই একমাত্র সমাধান নয়

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা ভিজে যায়! শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় বার বার। এমনকী বাইরে বেশিক্ষণ থাকলেই অসুবিধা হয়। কারণ, বেশিক্ষণ মূত্রত্যাগ করতে না পারলেই সমস্যা হয়। আর এই সব সমস্যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন অনেকটাই ব্যাহত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা (Bladder Problem) অনেকেই লুকিয়ে রাখেন। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হয়। তেমনি আবার আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। তাই তৈরি হয় জড়তা।

    ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সমস্যা কী? 

    স্নায়ু্র সমস্যার জন্য মূত্রনালির সক্রিয়তা বেড়ে যায়। যার জেরে বার বার বাথরুমে যেতে হয়। অনেক সময়ই মূত্রত্যাগ হয়ে যায়। আর এই সমস্যাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম (Bladder Problem)।

    এই সমস্যায় ভোগান্তি কতখানি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম-এর (Bladder Problem) জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন মানুষের ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম থাকলে ১৬.৫ শতাংশ স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। ৪০ বছরের বেশি মহিলা ও পুরুষদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমে ভোগেন। তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র প্রৌঢ় বয়সেই এই সমস্যা দেখা যায়, এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষত মহিলাদের প্রসব পরবর্তী সময়ে এই ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রম দেখা দেয়।

    ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের উপসর্গ কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের (Bladder Problem) সব চেয়ে বড় উপসর্গ হল, বার বার মূত্রত্যাগ করা। শৌচালয়ে বার বার যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা। ইউরিন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। আবার অনেক সময় মূত্রত্যাগ না হলেও তার অনুভব হয়। এছাড়াও অনেক সময়েই মূত্রনালিতে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব হয়, যা ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের লক্ষণ বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    সমাধানের উপায় কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। অস্বস্তি এড়াতে বাইরে যেতে চান না। যার ফলে, তাঁদের জড়তা বেড়ে যায়। মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ, ঘরবন্দি থেকে এই সমস্যা এড়ানো যাবে না। বরং জীবন যাপনে পরিবর্তন বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার সিনড্রমের (Bladder Problem) উপসর্গ দেখা দিলেই তা চিকিৎসককে জানানো দরকার। এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই এই রোগ গোপন করা হয়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ফলে, ভোগান্তি বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার কমাতে ওজন কমানো জরুরি। স্থূলতার সমস্যা থাকলে মূত্রনালির উপরে চাপ বেশি পড়ে। ফলে, তার সক্রিয়তা বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। 
    এছাড়া কফি ও অ্যালকোহল এই দুই পানীয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ এগুলি মূত্রনালির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে। 
    নির্দিষ্ট কিছু যোগাভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেগুলো নিয়ম করে করলে পেশি শক্তি ফিরে আসে। স্নায়ু সচল থাকে। ফলে, ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
    এছাড়াও রয়েছে ব্লাডার ট্রেনিং। অর্থাৎ, প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর শৌচাগারে যেতে হবে। ধীরে ধীরে শৌচালয়ে যাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় ব্লাডার সক্রিয়তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
    নিয়মিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো চললে স্বাভাবিক জীবন ফিরে যাওয়া সম্ভব বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share