Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    Cancer: রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার! কোন তিন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে! দেশ জুড়ে ক্যান্সার অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এ রাজ্যে বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে! আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। অধিকাংশ সময়ই খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধরন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর তার উপরে রয়েছে অসচেতনতা। যার জেরেও বিপদ বাড়ছে। আক্রান্তের (Cancer) রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা, সবটাই অনেক দেরিতে হচ্ছে!

    কী জানাচ্ছে সমীক্ষার (Cancer) রিপোর্ট? 

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। শহরের পাশপাশি গ্রামেও মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত তিনটি ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার। আইসিএমআর-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের হার ২৪.৮%, জরায়ু ক্যান্সারের হার ৯.৯% এবং ওভারির ক্যান্সারের হার ৭.৬%।

    ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী? 

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের ধরনে বড় বদল হয়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক ব্যস্ত জীবন অনেক ক্ষেত্রেই সুস্বাস্থ্যের পক্ষে নয়। ফলে, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এখন ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত মানুষ। খুব কম বয়স থেকেই সকলে পিৎজা, বার্গার থেকে বিরিয়ানির মতো খাবারে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছেন। এই ধরনের খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনে। যা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা তৈরি করে। এগুলোই অনেক সময় ওভারি, জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অধিকাংশ মানুষ এখন নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন না। নিয়ম করে হাঁটাচলা করেন না। ফলে শরীরে নানা পেশির কার্যকারিতা কমে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে জরায়ু, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    দেরিতে রোগ (Cancer) নির্ণয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ! 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ ক্যান্সার আক্রান্তের অনেক দেরিতে রোগ নির্ণয় হয়। বিশেষত মহিলাদের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। যার ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। প্রাণনাশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপসর্গ দেখা দিলেও তাকে অবহেলা করা হয়। রোগীর অসচেতনতা এর সবচেয়ে বড় কারণ। ক্যান্সার (Cancer) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঋতুস্রাবের পরেও রক্তপাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে যন্ত্রণা, স্তন থেকে রক্তপাত বা দেহের কোনও অংশ অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এইসব উপসর্গ অবহেলা করেন। তাই রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।

    সরকারি তরফে পদক্ষেপ কতখানি? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সচেতনতা জরুরি। যে হারে রাজ্যে ক্যান্সার বাড়ছে, তাতে সর্বত্র সচেতনতা কর্মশালা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্কুল স্তর থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। তবে, সরকারকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য কর্তারা এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে ক্যান্সার আক্রান্তও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন। তাই সরকারি উদ্যোগ একান্ত জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Thyroid: শরীরে ক্লান্তি, হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা! সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান

    Thyroid: শরীরে ক্লান্তি, হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা! সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। যার প্রভাবে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে যায়। কিন্তু একটু সতর্কতাই এড়াতে পারে বড় বিপদ! কিছু ইঙ্গিত স্পষ্ট জানান দেয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে যায়। তেমনই হল থাইরয়েড (Thyroid)! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা হলে শরীরে তার একাধিক ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। কিন্তু অসচেতনতার জন্য চিকিৎসা শুরু করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়।

    কাদের ঝুঁকি বেশি (Thyroid)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুরুষ বা নারী, যে কোনও বয়সে, যে কেউ এই সমস্যার (Thyroid) শিকার হতে পারেন। তবে, ভারতে মহিলারা বেশি থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি থাইরয়েডের সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষত, ৩৫ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। তবে, খুব কম বয়স থেকেই অনেক মেয়ে এই সমস্যায় জর্জরিত।

    থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা কী? 

    থাইরয়েড হল মানুষের শরীরে একটি গ্রন্থি। গলার কাছে এই গ্রন্থি (Thyroid) থাকে। এর থেকে হরমোন বেরোয়। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তাদের এই গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ হয়। যার ফলে, দেহের শক্তি দ্রুত ক্ষয় হয়। বিপাক ক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে। কোলেস্টেরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। একাধিক অঙ্গহানির ঝুঁকি তৈরি হয়।

    কীভাবে বুঝবেন থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা রয়েছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট করে থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা রয়েছে কিনা। যেমন, শরীরে ক্লান্তি খুব বেশি হবে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে যে কোনও কাজ করলে, খুব অল্প সময়েই ক্লান্তি অনুভব হবে। পাশপাশি হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা অনুভব হয়। 
    থাইরয়েডের সমস্যা হলে মহিলাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। 
    চুল পড়া থাইরয়েডের অন্যতম সমস্যা। অতিরিক্ত চুল পড়লে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। 
    ওজন বৃদ্ধি থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া কিংবা মনে রাখার সমস্যাও থাইরয়েডের লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    তাছাড়া চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই সমস্যার (Thyroid)? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, লক্ষণ বুঝলে সতর্ক হতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে, থাইরয়েডের (Thyroid) মাত্রা কত? অর্থাৎ, দেহে কতখানি অতিরিক্ত থাইরয়েড নিঃসরণ হচ্ছে। সেই মতো চিকিৎসা শুরু করা হবে। 
    তবে, খাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়োডিন যুক্ত খাবার থাইরয়েড মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই পাতে থাকুক নুন। তাছাড়া, ডিম, দুধ, পনির, মাছ নিয়মিত খেলে থাইরয়েডের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Climate Change: বৃষ্টিতে পারদ-পতন! আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনে বিপদের আশঙ্কা?

    Climate Change: বৃষ্টিতে পারদ-পতন! আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনে বিপদের আশঙ্কা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি বদলে দিয়েছে আবহাওয়া (Climate Change)। সাময়িক স্বস্তি বঙ্গবাসীর। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    আশঙ্কা কোথায়? 

    রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে অবস্থার পরিবর্তন (Climate Change) হয়েছে। আর এত দ্রুত তাপমাত্রার পরিবর্তনে নানা ভাইরাসঘটিত রোগের হানার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সিজিনাল ফ্লু-র আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষত সর্দি-কাশিতে ভোগান্তি বাড়ে। তবে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি শিশুদের। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন তারা মানিয়ে নিতে পারে না। আর তার জেরেই তাদের ভাইরাসঘটিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। 
    করোনার ঝুঁকি কয়েক মাস আগেও ছিল। চিন্তায় ফেলেছিল নতুন প্রজাতি। তারপরে আবার শিশুদের উপর ছিল অ্যাডিনা ভাইরাসের প্রকোপ। তাদের জন্য এই ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এমনিতেই তাদের শরীর দুর্বল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই যে কোনও ভাইরাসঘটিত অসুখে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। তাই তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কীভাবে সুস্থ থাকবে (Climate Change)? 

    আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, স্বস্তি সাময়িক। তাপমাত্রার পারদ ফের বাড়বে (Climate Change)। চিকিৎসকরা তাই বলছেন, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। আর প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে এসির ব্যবহার নিয়ে। তাপমাত্রার এই রকমফেরে বাড়ির ছোটরা কতক্ষণ এসিতে থাকছে, এসির তাপমাত্রা কত, এইসব বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকার জেরে নানা ভাইরাসঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। আবার, এসির তাপমাত্রা যাতে ২৬-২৭ ডিগ্রির কম না হয়, সেটাও দেখা জরুরি। এসিতে ঘুমোলে অবশ্যই গায়ে চাদর ঢাকা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সর্দি-কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর সর্দি-কাশি হলে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। কারণ, স্কুলে গেলে একদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকে, আরেকদিকে পরিশ্রম বেশি হওয়ায় ক্লান্তি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি থাকে। 
    শিশুদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। যে কোনও সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচাতে ও বড় বিপদ এড়াতে এই টিকা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    আবহাওয়ার এই রকমফেরে রাশ থাকুক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়ে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনের (Climate Change) সময় আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খেলে, সহজেই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তার থেকে জ্বর-কাশির ঝুঁকি বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    Anemia: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, অল্পেই ক্লান্তি বোধ! কারণ কি অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অ্যানিমিয়া এ দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অধিকাংশ মেয়ে রক্তাল্পতার (Anemia) এই সমস্যায় ভোগে। আর তার জেরে পরবর্তীতে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই অ্যানিমিয়া নিয়ে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি কমে। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিই কমাতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা।

    কী বলছে সমীক্ষা (Anemia)? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি ৪৫ শতাংশ মেয়ে দেশে অ্যানিমিয়ার (Anemia) শিকার। আর ১৫ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, দেশের অর্ধেকের বেশি মহিলা এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলারা একা নন, সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তাই দেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হল রক্তাল্পতা।

    কীভাবে বুঝবেন অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ায় (Anemia) আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ হাত-পা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চামড়ার রং পরিবর্তন হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়া থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া হতে পারে ক্লান্তি বোধ। খুব সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হাঁটাচলা বা যে কোনও ভারী কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে না। এটা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।

    কোন ঘরোয়া পদ্ধতি কমাতে পারে এই সমস্যা (Anemia)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যা বেশি হলে অর্থাৎ, দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কমে গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু কিছু ঘরোয়া খাবার ও পদ্ধতি প্রথম থেকেই মেনে চললে সমস্যা কমানো সম্ভব। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিসমিস জাতীয় ড্রাই ফ্রূটস খেতে হবে। কারণ, এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। দেহে রক্ত সঞ্চালন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে এগুলো খুব সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া দরকার। 
    এছাড়া, আপেল, আঙুর, বেদানা, কলা জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সব ফলে থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যার ফলে, একদিকে রক্তাল্পতার সমস্যা কমে, আবার হাড় মজবুত হয়। তাই এই ধরনের যে কোনও একটি ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    নিয়মিত মাছ অথবা মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, এগুলোতে পর্যাপ্ত আয়রন শরীরে যায়। দেহে আয়রন ঘাটতি হলেই অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়বে। তাই যে সব খাবারে আয়রন আছে, তা নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই কমছে হাঁটুর শক্তি। একটানা বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাড়ের শক্তি কমছে। হাড়ের ক্ষয় রোগ বাড়ার জেরেই পা, কোমর, হাঁটুর সমস্যা বাড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাব!

    ভিটামিন ডি (vitamins) কেন সমস্যা বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি হাড়ের শক্তি বাড়ায়। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি (vitamins) থাকলে, সেই ক্ষয় হয় না। হাড়ের ক্ষয় রুখতে ভিটামিন ডি বিশেষ সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় রুখতে পারলেই হাঁটু, কোমরের যন্ত্রণা কমবে। পাশপাশি হাঁটা বা বসে থাকতেও কষ্ট হবে না। হাড় মজবুত না হওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    তবে, ভিটামিন ডি শুধু হাড় মজবুত করে না। ভিটামিন ডি-র অভাব আরও নানা রকম সমস্যা তৈরি করে। ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দাঁতের যন্ত্রণা কিংবা অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পাশপাশি শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে চুল পড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও জায়গায় ঘা হলে, তা শুকোতে দেরি হয়। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিও থাকে।

    কোন খাবারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) ঘাটতি পূরণ সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে যাতে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রতি দিন অন্তত দশ থেকে পনেরো মিনিট সূর্যের আলোয় কাটাতে হবে। শরীরে নিয়মিত রোদ লাগালে ভিটামিন ডি-র (vitamins) চাহিদা সহজে পূরণ হয়। 
    তবে, এটাই যথেষ্ট নয়, খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ভিটামিন ডি-র অভাব বেশি দেখা যায়। তাই ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরে অর্থাৎ পোস্ট মেনোপজ পর্বে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের তালিকায় নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম আর দুধ রাখতে হবে। কারণ, এই খাবারগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। তাছাড়া, কড লিভার অয়েল যুক্ত যে কোনোও খাবার খেতে হবে। কারণ, এই খাবার ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। 
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেলে এবং নিয়মিত ডায়েটে নজরদারি রাখলে দ্রুত ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক ভাবে জীবন যাপন করলে অনেক সমস্যারই সহজে সমাধান করা সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও কয়েক ঘণ্টা পার হলেই খিদে পায়! বারবার খিদের (Nutrition) জন্য কোনও কাজেই মনস্থির করা যায় না! এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পরেও খিদে না মিটলে সজাগ হতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কোন কোন বিপদের (Nutrition) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পাওয়া (Nutrition) মোটেও সুস্থ থাকার লক্ষণ নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একাধিক কারণে এমন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যার শিকার হলে পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও খিদের ভাব থাকে। বিশেষত, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ, ভাত, রুটি এই সব খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। যেহেতু স্থূলতার জন্য পাকস্থলীতে খাদ্য ধারণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। যদিও তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, অতিরিক্ত খাবার হার্ট, কিডনি, লিভারের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। স্থূলতার সমস্যার জন্য দেহে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ হয়। যা সরাসরি হার্ট ও কিডনিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তাতে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেলে সতর্ক হতে হবে। কোন খাবার, কতটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুব প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    খিদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ

    খিদের (Nutrition) সঙ্গে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ভুগলে অকারণ খিদে পায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, অনেক সময়ই তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। ভরপেট খাওয়ার পরেও, তাঁরা পেস্ট্রি, কেক কিংবা যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। আবার অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ব্যবধান রাখতে পারেন না। কারণ, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় অনেক সময়ই ভুক্তভোগী খিদে, ঘুমের মতো শারীরিক চাহিদা ঠিক মতো অনুভব করতে পারেন না। তাই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছাড়াও ঠিক মতো ডায়েট না থাকলেও ভারী খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন ডায়েট সমস্যার (Nutrition) সমাধান করতে পারে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, কখন হচ্ছে, আর কত পরিমাণে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর দিলেই মুশকিল আসান হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না থাকলেই সমস্যা বাড়ে। অর্থাৎ, ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি থাকলে, সাময়িক পেট ভরলেও বারবার খিদে (Nutrition) পেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার ভারী থাকা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে সকালে দুধ-কনফ্লেক্স, ফল, ডিম সিদ্ধের মতো খাবার তালিকায় থাকুক। তাতে পেট ভরবে (Nutrition) আবার হজম সহজে হবে। রাতের খাবারে ডাল কিংবা পনির, চিকেনের মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাল, পনির, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। আবার যব, রাগির মতো দানা শস্যে থাকে ফাইবার। এগুলো খাবারের তালিকায় রাখলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার এগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি না থাকায়, হজমের সমস্যা বা স্থূলতার সমস্যা বাড়ার ঝুঁকিও কম হয়। তাই সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে শরীর ও মন সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্লু স্পেসের নিদান! কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নীল জল আর ঢেউ শুধু চোখের আরাম দেয় না, শরীর আর মনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। তাই মানসিক অবসাদ ও চাপ কাটাতে সমুদ্রের পাড়কেই সঙ্গী করতে বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।তাঁরা বলছেন, ব্লু স্পেস কাজ করবে থেরাপির মতো (Mental Health)।

    কী এই ব্লু স্পেস (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের পাড়, যেখানে বার বার ঢেউ আছড়ে পড়ছে, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র, একেই বলা হচ্ছে ব্লু স্পেস। সমুদ্রের ফাঁকা পাড় মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে আমেরিকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ব্লু স্পেস থেরাপির (Mental Health) মতো কাজ করে। মানসিক চাপ ও অবসাদগ্রস্ত রোগী সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

    কীভাবে সমুদ্র মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে (Mental Health)? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের অবিরত ঢেউ এক বহমানতা বজায় রাখার কথা বোঝায়। নীল জলের গভীরতা ও হাওয়া মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। সমুদ্রের কাছের আবহাওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই আবহাওয়া দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য এই আবহাওয়া খুব ভালো।মনোরোগ চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ তৈরি হয় মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য। দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকার জেরেই নানা মানসিক রোগ জন্মায়। আর সামুদ্রিক আবহাওয়া যেহেতু মস্তিষ্ক ও হরমোনের জন্য ভালো, তাই এই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সমুদ্র থেরাপির মতোই কাজ করে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল (Mental Health)? 

    মানসিক রোগীদের সুস্থ রাখতে প্রকৃতির সাহায্য সব সময় কাজে আসে বলে জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা! তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ক্রিন টাইম কমিয়ে গ্রিন টাইম বাড়ানোর কথা বার বার বলা হয়। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, মন সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে হবে। মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের স্ক্রিনের বদলে, সময় কাটাতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে। গাছপালা আছে এমন জায়গায়, বাগানের মধ্যে দিনের কিছু সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে। অবসাদের ঝুঁকিও কমে। তবে, সাম্প্রতিক এই গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, গ্রিন টাইমের মধ্যে ব্লু স্পেস মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। 
    তবে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু মনের সমস্যা একেক জনের জন্য একেক রকম, তাই মানসিক সমস্যায় সবার যে এক রকম জায়গায় সমান উপকার হবে, এমন নিশ্চয়তা নাও থাকতে পারে। সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই সময় কাটানো উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    Infertility: জীবন যাপনের ধরন বদলে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বদলে গিয়েছে প্রতিদিনের রুটিন। কাজের সময়, খাদ্যাভ্যাস কিংবা ঘুমানো, সবটাই বদলে যাচ্ছে। অফিসের নির্দিষ্ট সময় না থাকা, তার জেরে চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, আবার রাতে ঘুমের জন্য সময়ের স্বল্প বরাদ্দ! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের নানা অভ্যাসের জেরেই বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) মতো সমস্যা।

    সমস্যা (Infertility) কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পিসিওডি, ওভারির ক্যানসারের মতো একাধিক অসুখ।

    কী কারণে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব (Infertility)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গর্ভধারণের জন্য সুস্থ শরীর ও মন প্রয়োজন। আর সমস্যা হচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই মহিলারা জরায়ু ও ওভারির একাধিক অসুখে ভুগছেন। এই অসুখ বাড়ার অন্যতম কারণ, ফাস্টফুড।পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির মতো অতিরিক্ত তেলমশলার খাবার বা প্রিজারভেটিভ খাবারেই অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। আর এই ধরনের খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর হয় না। অধিকাংশ সময় কাজের চাপে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন। আর যখন খাবার সুযোগ হয়, তখন চটজলদি তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। আর তার ফলেই দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। অধিকাংশ সময় যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়, তাতে স্থূলতা বাড়ে। যেমন প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়, চিপস, হটডগ জাতীয় প্রসেসড খাবার। স্থূলতার সমস্যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যাকে বাড়াতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    মানসিক চাপ বন্ধ্যাত্বের (Infertility) অন্যতম কারণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গর্ভধারণের জন্য যেমন সুস্থ শরীর প্রয়োজন, তেমনি দরকার সুস্থ মন। কিন্তু, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যা। তাই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ব্যস্ত জীবনে কমছে ঘুমের সময়। অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন। অফিস চলে রাতে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য তৈরি হয়। যা দিনের বেলায় বা অসময়ে ঘুমালে হয় না। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

    কীভাবে রুখবেন এই সমস্যা (Infertility)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে কমানো যায় ঝুঁকি (Infertility)। বিশেষত, যাদের কম বয়স থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, বা ঋতুস্রাবে জটিলতা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও রকম সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
    তবে, জীবনযাপনের ধরন বদলেও ঝুঁকি কমানো যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে খাবারের অভ্যাস রাখতে হবে। নিয়মিত ফল, ড্রাই ফ্রুটস রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। অতিরিক্ত তেলমশলা, চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পেঁপে, কলার মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। নিয়মিত সব্জি খাওয়া দরকার। এতে শরীর সুস্থ থাকে। 
    আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস রাখতে হবে। সকালে যোগাভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা আর যোগাভ্যাস শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetic: দেশে হু হু করে বাড়ছে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন! রিপোর্ট শুনলে চমকে যাবেন

    Diabetic: দেশে হু হু করে বাড়ছে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন! রিপোর্ট শুনলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে আমাদের দেশে। ডায়াবেটিস (Diabetic) শুধু নিজেই সমস্যার সৃষ্টি করে না, তার সঙ্গে অন্য বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। আর সেই কারণেই ডায়াবেটিস নিয়ে এত চিন্তা চিকিৎসকদের। অন্যদিকে হাইপারটেনশন বা হাইব্লাড প্রেশারও ব্যাপক বেড়েছে ভারতে। হালে সামনে এল ভারতে এই দুই রোগের পরিসংখ্যান। আর সেটিও রীতিমতো কপালে চিন্তা ভাঁজ ফেলেছে সকলের। 

    আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষা

    সম্প্রতি আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের উদ্যোগে ভারত জুড়ে চালানো হয় একটি সমীক্ষা। আর তাতেই উঠে এসেছে ভারতে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের ভয়ঙ্কর ছবি। এই রিপোর্ট ছাপা হয়েছে ল্যানসেট জার্নালে। কী বলা হয়েছে সেখানে?

    রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রায় ১১.৪ শতাংশ মানুষই ডায়াবেটিস  আক্রান্ত। সংখ্যার নিরিখে সেটি প্রায় ১০.১ কোটি। অন্যদিকে ৩১ কোটি মানুষ এদেশে হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৫.৩ শতাংশ অর্থাৎ ১৩.৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস  আক্রান্ত হওয়ার পথে। এমনই বলছে পরিসংখ্যান। ২০ বছরের উপরে যাঁদের বয়স তাঁধের নিয়েই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ৩১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে হয়েছে এই সমীক্ষা। ২০০৮ সালে এই পরিসংখ্যানের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে এই তা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।  

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    আরও কিছু তথ্য…

     

    ওই রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, এদেশে ৩১ কোটি মানুষ বর্তমানে ওবেসিটির শিকার। ২১ কোটি মানুষ ভুগছেন উচ্চ কোলেস্টেরলে। রাজ্যগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি অবস্থা খারাপ গোয়ার। এই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৬.৪ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। এর পরেই রয়েছে পুদুচেরি। সেখানকরা মোট জনসংখ্যার ২৬.৩ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অন্যদিকে শহুরে মানুষদের মধ্যেই হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে (Heat Wave) নাজেহাল আট থেকে আশি! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে! তা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খাচ্ছেন আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছেন এসি ঘরে! আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষত, ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের।

    কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা (Heat Wave)?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে একাধিক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার জেরে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। এই গরমে অনেকেই কাশির সমস্যায় ভুগছে। বিশেষত শিশুদের কাশি হলে, তা দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে। তাছাড়া গরম (Heat Wave) থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসি ঘরে থাকছেন। তার ফলে, ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে। সর্দি হলে তা ভোগাচ্ছে বেশি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে লাখ লাখ শিশু নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। এই আবহাওয়া তাদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যে সব শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে, একাধিক আইসক্রিম খেলে, ফের ফুসফুসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি থাকছে। 

    কীভাবে সুস্থ রাখবেন বাচ্চাদের (Heat Wave)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে (Heat Wave) যেমন শরীর ঠান্ডা রাখার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি নজর দিতে হবে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার জন্য যেন ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় জর্জরিত হতে না হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, একাধিক আইসক্রিম একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ, তাতে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাইরে মারাত্মক গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার, এই বৈপরীত্য শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত, শিশুদের জন্য তাই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। 
    তাছাড়া ঠান্ডা পানীয় সম্পূর্ণ এড়িয় চললেই ভালো, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয় যে সব উপাদানে তৈরি, তাতে শুধু সর্দি-কাশির সমস্যা নয়, স্থূলতার সমস্যাও দেখা যায়। সর্দি-কাশির সাময়িক সমস্যার পাশাপাশি স্থূলতার মতো দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরি করে ঠান্ডা পানীয়। তাই শিশুদের সুস্থ রাখতে ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
    এসি ঘরে থাকার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। শিশুরা থাকলে, সেই ঘরের তাপমাত্রা কখনই ২৫-২৬ ডিগ্রির বেশি কমানো যাবে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তাছাড়া, অবশ্যই চাদর ব্যবহার করতে হবে। বিশেষত রাতে ঘুমনোর সময় এসি চললে, যাতে বাচ্চা চাদর ঢেকে ঘুমোয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া, একটানা এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে পরিমাণমতো জল ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে শিশুদের নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ানো দরকার। তাতে একদিকে গরমে ডিহাইড্রেশন, সান বার্নের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে, তেমনি তাদের আরাম হবে। পাশপাশি নিয়মিত তরমুজ, আমের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। আর সর্দি-কাশি হলে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে সংক্রমণ ফুসফুসের জটিলতা তৈরি করতে না পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share