Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমের মধ্যেই নানা দুঃস্বপ্ন। কিংবা যে কোনও একটি হাত ক্রমাগত নড়াচড়া করা। অন্যের কথা বুঝতে বা নিজের মনের ভাব বুঝিয়ে বলতে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটা হতে পারে পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease)! ভারতে বাড়ছে এই সমস্যা। বিশেষত ৬০-এর চৌকাঠ পেরলেই এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স এক ধরনের স্নায়ু ঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে এক ধরনের সমস্যার জেরে পার্কিনসন্স হয়। এর জন্য আক্রান্তের হাত-পা সহ দেহের একাধিক পেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ফলে, হাঁটাচলা কিংবা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঘটিত রোগের (Parkinson’s Disease) জেরে বাড়তে থাকে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।

    কারা এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই রোগে  (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রৌঢ়দের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ৬০ বছরের পরেই নানা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সেগুলো নজর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তখন চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ৩২ শতাংশ পার্কিনসন্স সমস্যায় জর্জরিত।

    কী কী উপসর্গ (Parkinson’s Disease) দেখা যায়? 

    পার্কিনসন্স আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন আক্রান্ত হলে, তাঁর হাত বা পা লাগাতার নড়বে। অনেক সময়ই সেগুলো নাড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতা পেশি হারিয়ে ফেলে। 
    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের ঘুম খুব কম হয়। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আবার অনেক সময় তাঁরা খুব দুঃস্বপ্ন দেখেন। ফলে, গভীর ঘুম হয় না। 
    কথা জড়িয়ে যাওয়া পার্কিনসন্সের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এটা স্নায়ু ঘটিত রোগ, তাই অনেক সময়ই তার প্রভাব মুখের পেশি ও স্বরযন্ত্রের উপর পড়ে। তাই কথা জড়িয়ে যাওয়া কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারার মতো সমস্যা দেখা যায়। 
    পার্কিনসন্স আক্রান্তের আরেকটি লক্ষণ হল সন্ধ্যায় একাকিত্ব বোধ করা। বিশেষত সূর্য ডোবার পরে, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে।

    এই ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাঁর প্রতি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের চিকিৎসা সম্ভব। শুধু তাই নয়, নানা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হলেও মানুষ দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই লক্ষণ বুঝতে পারলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই শুধু ওষুধ যথেষ্ট হয় না। পার্কিনসন্স রোগীদের জীবন যাপন ঠিক করতে দরকার হয় থেরাপির। বিশেষত একাধিক আক্রান্ত যদি একসঙ্গে নাচ-গান-কবিতা কিংবা কেক বানানোর মতো সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অনেকটাই তাঁরা উন্নতি করেন।
    এ প্রসঙ্গে পার্কিনসন্স নিয়ে কাজ করা স্নায়ু চিকিৎসক হৃষিকেশ কুমার বলেন, হাত-পায়ের পেশি সচল রাখা যেমন জরুরি, তেমনি দরকার রোগীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা। তাই থেরাপি আবশ্যক। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে স্নায়ুর সমস্যা কমানো যায়। কিন্তু থেরাপি মনকে ভালো রাখে। আর তখনই কাজ সহজ হয়। তাই পার্কিনসন রোগীদের নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হয়। তাহলে তাঁরা দীর্ঘ জীবন কাটাতে সক্ষম হবেন। 
    পার্কিনসন্স রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্কিনসন্স রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাঁরা একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের মনের কথা সবাই বুঝতে পারেন না। থেরাপি না হলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ে। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা বা থেরাপি হলে রোগী দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আতঙ্ক। অক্টোবরে প্রকোপ বাড়ে মারাত্মক! প্রত্যেক বছর ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ যেন রাজ্যবাসীর সঙ্গী হয়েছে। এ বছরে সেই ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, বর্ষার শুরুতেই দ্বিগুণ হয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম ছ’মাসের ডেঙ্গু (Dengue) ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছ’মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের কাছাকাছি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শুধু কলকাতাতেই গত ছ’মাসে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। কলকাতার যাদবপুর, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক এলাকায় নিয়মিত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর যে সব এলাকাকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার জন্য রেড জোন অর্থাৎ, অধিক বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথম ছ’মাসে সেই সব এলাকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিশেষ উন্নত হয়নি। বিশেষত উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম, হাবড়া, বসিরহাট, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক। আবার হুগলি, হাওড়া জেলায় ডেঙ্গুর পাশপাশি প্রকোপ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। যে হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা রাজ্যবাসীর জন্য উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? 

    স্বাস্থ্য দফতর ও সংশ্লিষ্ট পুরসভার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, হোর্ডিং আর ফ্লেক্স টাঙিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মহল। যেমন, উত্তরপাড়ার একাধিক রাস্তায় হোর্ডিং টাঙিয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা। আশপাশ পরিষ্কার রাখা, নোংরা না ফেলার জন্য সেখানে বলা হয়েছে। জমা জল মশার আঁতুড় ঘর, ডেঙ্গু (Dengue) নিয়েও রয়েছে সতর্কবার্তা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা, পার্ক কে পরিষ্কার করবে? উত্তরপাড়ার একাধিক পার্কে অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা হয় না। নোংরা হয়ে থাকে। ফলে, শিশুরা খেলতে গেলেই মশার কামড়ের আশঙ্কা থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের অভিযোগ। বৃষ্টি হলেই জল জমে। এই একই অভিযোগ হাওড়া ও কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের। গিরিশ পার্ক সহ উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে, জল জমতে দেওয়া যাবে না। এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার জল বাড়িতে উঠে আসছে। শুধু বিজ্ঞাপন কি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রুখতে পারবে?

    কী বলছেন স্বাস্থ্য কর্তারা? 

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সব রকম কাজ হচ্ছে। শুধুই হোর্ডিং টাঙিয়ে তাঁরা দায়িত্ব শেষ করছেন না। বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভার সাহায্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি জ্বর হয়েছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “ডেঙ্গু, (Dengue) ম্যালেরিয়া রুখতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মানুষ তার আশপাশ পরিষ্কার রাখলে অনেক সংক্রমণ কমবে। তাই সেদিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    Calcium: তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই হাঁটু-কোমরের সমস্যা! কোন খাবারে মিলবে সমাধান? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও একটানা বসে থাকলে নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। কোমরে ব্যথা হতে থাকে। আবার কখনও কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরেই বা কয়েক পা সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই হাঁটুর যন্ত্রণা শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলারা এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত, হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায় তাঁদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতিই বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, ভারতে ২৫ শতাংশ মহিলা বিপজ্জনক ভাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে ভুগছেন। ৭৫ শতাংশ মহিলা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন না। তবে, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়। যদিও মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি। বিশেষত, তিরিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বেশি দেখা যাচ্ছে।

    কীভাবে বুঝবেন ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাব হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটলে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন, পেশির যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশির শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোনও ভারী জিনিস টানলে বা কোনও কাজ বেশি সময় একটানা করলে যন্ত্রণা শুরু হয়। কোমর ও হাঁটুর যন্ত্রণা হয়। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবে হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। ফলে, কোমর ও হাঁটুর শক্তিক্ষয় হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায়। ফলে, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন কোন খাবার কমাবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তবেই ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি কমানো যাবে। নিয়মিত দুগ্ধজাত জিনিস খাদ্যাভ্যাসে রাখলে তবেই কমবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। কারণ, দুধে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। তাই দুধ, দই, পনির, চিজের মতো খাবার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তবেই দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যাবে। দুধের পাশপাশি ডিমেও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। বিশেষত ডিমের সাদা অংশ। যাকে অ্যালবুমিন বলা হয়, তা দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকোলি, পুঁইশাকের মতো সবুজ সবজি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। 
    খাবারের তালিকায় নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, সোয়াবিন দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
    তাছাড়া, স্যালমন জাতীয় সামুদ্রিক মাছেও থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। 
    নিয়মিত এই খাবার দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হতে পারে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    Stroke: চকোলেট, কেক বা রসগোল্লা, মিষ্টিপ্রেম কি বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অনুষ্ঠানের শেষ পাতে গরম, নরম রসগোল্লা কিংবা অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদযাপন। মিষ্টি ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়। নতুন বছরের শুরু থেকে জন্মদিন, যে কোনও আনন্দে মিষ্টিমুখ করানোটা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, মিষ্টিতেই আছে যত বিপদ! বিশেষত হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে মিষ্টিপ্রেম বাড়াতে পারে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি! 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Stroke)? 

    সম্প্রতি ইতালির মিলান শহরে ইউরোপিয়ান কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলন হল। সেখানেই চিকিৎসকরা জানালেন, বিশ্ব জুড়ে হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় শুধু বয়স্করা নন, কমবয়সীরাও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই জীবন যাপনের ধারায় পরিবর্তন দরকার। খাদ্যাভ্যাস থেকে ঘুম, শারীরিক কসরত, সব কিছু নিয়েই সজাগ থাকা জরুরি। না হলে বাড়তে পারে বিপদ (Stroke)!

    কোন বিপদের (Stroke) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    ওই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। কারণ, হাইপারটেনশনের জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি (Stroke) বাড়ে। পাশপাশি বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। যার জেরে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

    কেন বাড়ছে হাইপারটেনশনের (Stroke) সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বাড়ছে মানসিক চাপ। কাজের চাপের পাশপাশি আধুনিক জীবনে পারিবারিক চাপও বাড়ছে। তার জেরে যেমন অবসাদের মতো মানসিক রোগ দেখা যাচ্ছে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিপদ বাড়াচ্ছে স্ট্রোকের (Stroke)। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের জেরেও দেহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    সাম্প্রতিক এই সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। কেক, চকোলেট, হটডগ বা যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার হাইপারটেনশন রোগীর জন্য একেবারে ভালো নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও চর্বিজাতীয় মাংস, মাছ বা যে সব দুগ্ধজাত জিনিসে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিসমিস, খেজুর, পেস্তা, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাছাড়া, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক যব, ভূট্টার মতো দানাশস্য। ডাল, বিনস নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়া ফল ও সবজি খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়। তাছাড়া, দুধ জাতীয় জিনিস যেমন পনির, টক দই এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, প্রাণীজ প্রোটিনও শরীরের জন্য জরুরি। কারণ, শরীরে আয়রন, ভিটামিন, ফসফরাস প্রাণীজ প্রোটিন থেকেই পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম, চিকেন বা মাছ নিয়মিত খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট যাতে না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। তাই যেমন চর্বিজাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে, তেমনি অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর দাপটের স্মৃতি এখনও তরতাজা! এর মধ্যেই আরেক আশঙ্কার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশেষত শিশুদের জন্যই এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া এই বিপদ আটকানো যাবে না বলেও তারা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সচেতনতাই পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)?

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাম, মিজেলস ও রুবেলা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক দেশে কয়েক লাখ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ভারতের জন্যও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিশ্ব জুড়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের সুস্থ রাখতে এই তিন রোগ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন হচ্ছে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর ন’মাস বয়সের পরে এমএমআর ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক। তাহলেই এই বিপদ কমানো যাবে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে। আর আক্রান্ত হলেও বড় বিপদ হয় না। তাই ভ্যাকসিনকেই রোগ মোকাবিলার সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    কেন বাড়লো এই রোগের প্রকোপ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে একাধিক বিপর্যয় চলেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যু বিপর্যয় হয়নি। যারা সদ্যোজাত, তাদের জন্যও নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল করোনা। সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ বাবা-মা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। ফলে, তাদের অনেককে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়ে যে প্রচার হয়, সেটাও বন্ধ ছিল। অনেক সময়ই শিশুর ন’মাস বয়সে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। করোনার জেরে এক দিকে সদ্যোজাতদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তেমনি স্কুলেও ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বন্ধ ছিল। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীর ৮০ কোটি শিশু ২০২০-২২ সালের মধ্যে এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন হবে প্রথম হাতিয়ার। কিন্তু তার পরেও আক্রান্ত হলে, অযথা ভয় নয়। বরং সচেতনতার মাধ্যমে শিশু দ্রুত সুস্থ হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট হয়। যেমন, জ্বর, সর্দি-কাশি। মুখের ভিতরে সাদা গুটি দেখা যায়। দেহের একাধিক জায়গায় লাল গুটি স্পষ্ট হয়। বিশেষত, কানের পিছনে লাল গুটি দেখা যায়। এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল (WHO)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল নিত্য সঙ্গী। কাজের প্রয়োজন থেকে বিনোদন, সবটাই এখন স্ক্রিনে বন্দি। স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে অফিসের মিটিং, সব কিছুতেই ভরসা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ! ভারতীয়দের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে! চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ড্রাই আই (Dry Eye) সমস্যায় ভুগছে প্রায় গোটা প্রজন্ম!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে চোখের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত, শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইয়ের (Dry Eye) সমস্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় ড্রাই আই সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষত, কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    শুষ্ক চোখ কী?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখে জল কমে যাওয়া হল শুষ্ক চোখ (Dry Eye)। এর জেরে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণা হয়। চোখে কড় কড় ভাব বাড়ে। ফলে, যে কোনও জিনিস লক্ষ্য করতেও সমস্যা হয়।

    কেন হয় চোখের শুষ্কতা? 

    ভারতে চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, স্ক্রিন টাইম! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় এখন মানুষ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন। আর একটানা তাকিয়ে থাকার জেরে স্ক্রিনে যে আলো থাকে, তার সরাসরি প্রভাব চোখের উপর পড়ে। আর সেই আলোর জেরেই চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নান শারীরিক জটিলতার কারণেও চোখের আর্দ্রতা কমতে থাকে। যেমন ডায়বেটিস থাকলে অনেক সময় চোখে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, বিভিন্ন হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলেও চোখের শুষ্কতার (Dry Eye) সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, একটানা আধঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম করা উচিত নয়। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁদের পরামর্শ, একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত নয়। আধ ঘণ্টা অন্তর চোখের বিশ্রাম জরুরি। 
    তবে, কাজের জন্য অনেকেই একটানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। তাঁদের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ, এক নাগাড়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। অন্তত বার বার চোখের পাতা ফেলা দরকার। চোখ বন্ধ-খোলা বার বার করলে ঝুঁকি (Dry Eye) কিছুটা কমবে। 
    পাশাপাশি, চিকিৎসকদের পরামর্শ, চোখের মণি গোল করে ঘোরানো দরকার। বিশেষত, যাঁরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার চোখের মণি গোল করে ঘুরিয়ে এই ব্যায়াম করতে পারেন। 
    বার বার চোখ জল দিয়ে ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে চোখের আরাম হয়। লাগাতার আলো পড়ার জেরে যে ক্লান্তি আসে, সেটাও কিছুটা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    Cancer: খাদ্যাভ্যাসের বদল কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে দুশ্চিন্তার কারণ ক্যান্সার। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা ইত্যাদির জেরে ক্যান্সার বিপদ বাড়ায়! তবে, আধুনিক জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই ক্যান্সার রুখতে তাঁরা খাবারের উপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হচ্ছে, ভারত সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মোট মৃত্যুহারের বড় অংশের কারণ ক্যান্সার। গলা, মুখ, ফুসফুস, অন্ত্র সহ দেহের একাধিক জায়গায় ক্যান্সারের অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। কারণ, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, কত পরিমাণে তা শরীরে যাচ্ছে, এসবের জন্য নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়।

    কোন ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের প্রিজারভেটিভ ফুড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন পিৎজা, বার্গার, হটডগ জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রিজারভেটিভ খাবারে মাংস বা মাছের যে পুর দেওয়া হয়, সেখানে যে রাসায়নিক মেশানো হয়, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    এছাড়া অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন জাতীয় ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে, সেটাও শরীরে নানা রোগের কারণ হয়। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরে স্থূলতা বাড়ে। তাছাড়া, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ায়! তাই এই ধরনের খাবার ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন দশ খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে? 

    ওই আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার হলে এই খাবার খেলেই সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে, এ ধারণা ভুল। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যার পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
    নিয়মিত কিসমিস কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিসমিসে যে ধরনের মিনারেল থাকে, তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত তাঁরা শিশুদের নিয়মিত অন্তত পাঁচটি কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাতে শিশুদের হজম ক্ষমতা বাড়বে ও অন্ত্র সুস্থ থাকবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    সব্জি বিশেষত পালং শাক নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন। তাই এই ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
    ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখা আপেল ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। 
    যে কোনও রান্নায় রসুন ও হলুদ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই দুই মশলা শরীরে একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত, হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। তাই হলুদ বিশেষ উপকারী। 
    যে কোনো ধরনের লেবু যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু নিয়মিত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম যা ত্বক ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 
    রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে ওই গবেষণা। তবে, তেল খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, নারকেল তেলের বেশি ব্যবহার আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া অলিভ অয়েলের ব্যবহার শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেও ওই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 
    ভুট্টা (কর্ন) বা ওটস জাতীয় দানাশস্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে শরীরের ওজন বাড়ে না। আবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট শরীর পায়। তাই এই ধরনের দানাশস্য খুব উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লাগাতার বৃষ্টি। ভিজে আবহাওয়া। এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ! কিন্তু বর্ষাকালে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়ছে নানান ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)। বিশেষত, এই সময়ে ছত্রাকঘটিত ত্বকের সমস্যা বাড়ে। তাই বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কেন বাড়ে ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ভিজে ভাব বাড়ে। তাই এই সময়ে নানান ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তার জেরেই হয় ত্বকের সমস্যা। তাছাড়া, বর্ষায় অনেক সময় জামা-কাপড় ভালোভাবে শুকনো হয় না। ফলে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকে। তার জেরে ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, সূর্যের তাপে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণের প্রকোপ কমে। বর্ষায় হয় ঠিক উল্টোটা। তাই বর্ষায় ত্বকের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাত, পা ও শরীরের যেসব অংশে ভাঁজ আছে, বেশির ভাগ সেই সব জায়গাতেই ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া, কানেও হতে পারে সংক্রমণ। অনেক সময় চোখের নিচেও সংক্রমণ হয়। চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এই সময়ে বেশি দেখা যায়।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা জলে বেশি কাজ করেন, তাঁদের এই ধরনের ত্বকের সমস্যা (Skin Infection) হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষত, বাড়ির মহিলাদের যেহেতু বেশি জল ব্যবহার করতে হয়, তাই তাঁদের হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    বর্ষায় কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে ক্রিম মাখতে হবে। ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত স্নান জরুরি। দেহের কোনও অংশ লাল হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে  র‍্যাশ বেশি না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই এই সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি কমানো যাবে। 
    তবে, খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি। পাতে নিয়মিত টক দই যেমন লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি ত্বক সুস্থ রাখে। আবার নিয়মিত লেবু খেলেও ত্বক ভালো থাকে। নানান সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বক সুস্থ রাখতে খুব জরুরি!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Water Borne Diseases: বর্ষাকালে জলবাহিত রোগ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বৃষ্টি চলছে দিনভর! তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি! কারণ, বর্ষাকালে তিন জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়তে থাকে। যার জেরে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও হতে পারে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কোন তিন রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ে। যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকে, নর্দমা ভরে যায়, অনেক সময়ই খাওয়ার জলের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে না। ফলে, সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময় ডায়রিয়া, কলেরা এবং জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ে। তাই জলবাহিত এই তিন রোগ থেকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে সতর্ক হবেন (Water Borne Diseases)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হলেই বড় বিপদ এড়ানো যায়। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও কমে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখ ও দেহের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের অন্যতম বড় লক্ষণ। তাই গায়ের রং বদল হলে, সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের মতোই কাশি, সর্দি, জ্বরের উপসর্গ (Water Borne Diseases) থাকে। তবে, তল পেটে যন্ত্রণা, প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে, সজাগ হওয়া জরুরি। কারণ এগুলো জন্ডিসের লক্ষণ বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    ডায়ারিয়া হলেও জ্বর, পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তবে, বার বার বমি, পেটে খিঁচুনি ভাব অনুভব করা ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তার সঙ্গে একাধিকবার তরল মলত্যাগ ডায়ারিয়ার অন্যতম উপসর্গ। তাই এই রকম লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডায়ারিয়ার মতোই কলেরার উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, কলেরা হলে ঝিমঝিম ভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হয় বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন (Water Borne Diseases)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই পারবে এই বিপদের (Water Borne Diseases) মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের বাড়তি নজরদারিতে রাখা দরকার। কারণ বর্ষায় শিশুদের নানান ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। পাঁচ বছরের কম বয়সিদের বর্ষায় ফোটানো বিশুদ্ধ জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ এড়াতে পানীয় জলের ব্যাপারে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। তাছাড়া, লাগাতার জ্বর, কাশি, পেটব্যথার মতো সমস্যা থাকলে, তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, সহজে হজম হয়, এমন খাবার এই সময়ে খাওয়া উচিত। যাতে পেটের সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share