Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা এ দেশে কম। সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা দুইয়েরই অভাব যথেষ্ট। তাই অনেক সময়ই ঘটে বড় বিপদ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকলে, অনেক বড় সমস্যা এড়ানো যায়। চলছে সিজোফ্রেনিয়া অ্যাওয়ারনেস উইক। সপ্তাহ জুড়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা করছেন নানা কর্মশালা। কী বলছেন তাঁরা?

    সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) কী? 

    সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা নানা অবাস্তব ভাবনাচিন্তা করে আশঙ্কিত থাকেন। নানা ঘটনা তাঁরা ভাবেন ও সেগুলিই সত্যি হিসাবে বিশ্বাস করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভাবনাচিন্তা শুধু নিজের নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক (Schizophrenia) হয়ে ওঠে।

    ভারতে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তের সংখ্যা কত? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। ভারতে মোট মানসিক রোগীর ৭ শতাংশ রোগী সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরাই বেশি সিজোফ্রেনিয়ায় (Schizophrenia) ভোগেন। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা করেন।

    সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের উপসর্গ কী? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) মানসিক রোগ। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের ব্যবহারগত নানা পার্থক্য স্পষ্ট নজরে পড়বে। যেমন, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মেজাজ অকারণেই অনেক সময় খিটখিটে থাকে। পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে অকারণ ঝগড়া করা, দুর্ব্যবহার করা এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। একদম ঘর বন্ধ হয়ে দিনের পর দিন থাকেন। মেলামেশা বন্ধ করে দেন। আসলে, আচরণে মারাত্মক বৈপরীত্য সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কল্পনা করে নানা কথা বলার প্রবণতা থাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর। কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কিংবা কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে লাগাতার নানা আজগুবি কথাও বলে থাকেন। স্মৃতি হারানোর মতো ঘটনাও সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তের দেখা যায়। অনেক ঘটনা আক্রান্ত ভুলে যান। মানসিক অবসাদ, হ্যালোসিনেশন হল সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কী? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ সামান্য বোঝা গেলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। পরিবারের কেউ এই সমস্যায় ভুগলে, তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কারণ, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) রোগী শুধু নিজের নয়, অপরেরও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। কারণ, এই রোগীর মধ্যে যেমন আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে, তেমনি এই রোগী অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মারাত্মক রেগে যেতে পারেন। আর তখন অন্যকে মারধর করা বা বড় কোনও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। তাই রোগীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে বারবার কেউ মিথ্যা কথা বললে বা কল্পনা করে কোনও ঘটনা বললে, তাকে বকাবকি করা হয়। কেউ কাল্পনিক কোনও চরিত্রের কথা শুনতে পাচ্ছে, জানালে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। তাই তাদের অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। বরং তাদের মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। ধারাবাহিক চিকিৎসা করলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে নানা রোগ। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদসমস্যা। ব্যস্ত জীবনে কম ঘুম, ফাস্টফুডের অভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)! তাই হৃদসমস্যায় আক্রান্তের তালিকায় ভারত ক্রমশ বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হয়ে উঠছে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ভারতে হৃদরোগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের তালিকায় ভারত প্রথম সারিতেই আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ৩৫ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) আশঙ্কাও বাড়ছে। গোটা দেশের মধ্যে আবার কেরল আর পশ্চিমবঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২০ জনের হৃদসমস্যা রয়েছে। বিশেষত শহুরে বাঙালির ২০ শতাংশ হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে যে কোনও সময়েই। তবে, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ধরা হত। কিন্তু গত দশ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৩০ বছরের চৌকাঠ পেরলেই বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, যাঁদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ আছে, তাঁরা বাড়তি সতর্ক হন। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি। তাছাড়া, পরিবারের কেউ বিশেষত বাবা-মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, ৩০ পেরিয়ে অবশ্যই চেক-আপ জরুরি।

    কোন পাঁচটি উপসর্গ জানান দেয় হৃদরোগের? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বিপদ হওয়ার আগে শরীর ইঙ্গিত দেয়। তাই আগে থেকে উপসর্গ টের পেলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বিশেষত হৃদরোগের সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যে পাঁচ ইঙ্গিতের কথা চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার প্রথমেই হল বুকে ব্যথা বা চিনচিন করা (Heart Attack)। যদি, বুকের বাঁদিকে চিন চিনে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সময় নষ্ট না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
    দ্বিতীয়ত, মাথার ভিতরে কষ্ট ও বমি হওয়া। অনেক সময়েই হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে বমি হয়। যদি হঠাৎ বমি হয় ও মাথার ভিতরে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 
    তৃতীয়ত, শুধু বুকে নয়, লাগাতার পেট ও পিঠে যন্ত্রণা অনুভব হলেও সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশেষত, মহিলাদের হৃদরোগ দেখা দিলে এই উপসর্গ বেশি দেখা যায়। পেটের যন্ত্রণা অথবা পিঠের দিকে একটা খিচ ভাব অনুভব হয়। সেটা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ইঙ্গিত হতে পারে। 
    এসি রুম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসে থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের আরেক উপসর্গ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু হৃদরোগের অন্যতম কারণ রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হওয়া, তাই অনেক সময়ই আক্রান্তের অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। 
    দেখার সমস্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া বা বারবার ভুল দেখা ইঙ্গিত দেয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার।

    কীভাবে হৃদরোগ এড়িয়ে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত চেক আপ জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। 
    ডায়বেটিস থাকলেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ডায়বেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। ডায়বেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack) বাড়ায়। খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি। কী খাচ্ছি, কতখানি খাচ্ছি, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার, যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তা একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা থাকে, যেমন বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার খুব কম পরিমাণে খেলেই ভালো। কারণ, এগুলো হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া এগুলোতে তেল ও মশলা অনেক বেশি থাকে। 
    নিয়মিত আপেল, কমলালেবু, শশা, কলার মতো ফল খেতে হবে। 
    সবুজ সবজি ও কম চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    মানসিক চাপ কমাতে হবে। নিয়মিত গান শোনা, ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে কিছুটা সময় দিতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ কমবে। মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটাচলা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার প্রকোপ কমতে না কমতে ফের এক মারণ ভাইরাসের (H3N2 Virus) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের পর নতুন আতঙ্কের নাম এইচ৩এন২। বিশেষ করে পুদুচেরিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের’ মাধ্যমে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, এই ভাইরাস অনেকটাই ক্ষতিকারক ও মানব শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণ জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও তা আস্তে আস্তে মারণ রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানব শরীরকে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে এই H3N2 Influenza A Virus এ?

    এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি সাবটাইপ। এমনটাই গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর। আরও জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস (H3N2 Virus) ডিসেম্বর থেকেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সাধারণত ঠান্ডার সময় থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আবার কিছু মানুষের মধ্যে নিউমোনিয়া, খিচুনি, ডায়ারিয়া ও বমি ভাব থাকছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের সব থেকে বেশি আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। উপসর্গগুলি প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১০ই মার্চের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের আক্রমণে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কর্ণাটকের এবং অন্যজন হরিয়ানার। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৩৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ১২৪৫ জন জানুয়ারিতে, ১৩০৭ জন ফেব্রুয়ারিতে এবং ৪৮৬ জন মার্চে।

    এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?

    যেহেতু এটি করোনার মতোই ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস (H3N2 Virus), তাই এই রোগের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন নেওয়া। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। কোনও রকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়াই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার হেরফের হলেও ঘাম হচ্ছে অবিরত! গরমে নাজেহাল উত্তর থেকে দক্ষিণ। মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী সাময়িক স্বস্তি দিলেও ফের বাড়ছে তাপমাত্রা। আর তারমধ্যেই ঝুঁকি বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection)। বিশেষত করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, এমন রোগীদের সংক্রমণ ও ভোগান্তির আশঙ্কা বেশি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কী সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই প্রথমে উপসর্গ থাকছে। তবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশির সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। আর তারপরেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। যা (Lungs Infection) বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তন বা ঋতু পরিবর্তনের সময়ই ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection) মতো সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে, অনেকে এই গরমেও ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত, যাঁরা করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। তাঁরা অনেক সময়ই কাশি-সর্দির মতো উপসর্গকে অবহেলা করছেন।  ফলে পরে সেটা ফুসফুসের বড় কোনও সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে। বাড়ছে বিপদ।

    হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে? 

    শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুসফুসের সংক্রমণ (Lungs Infection) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা গত দু’সপ্তাহে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬০ বছরের বেশি রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা কিন্তু কোনও এক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নিউমোনিয়া কিংবা ফুসফুসে সর্দি জমে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁদের চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ছে। আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ফুসফুসের সংক্রমণে রোগী ভর্তি চোখে পড়ার মতো বাড়ছে। অধিকাংশ রোগীর হেলথ হিস্ট্রিতে কোভিড পজিটিভ রয়েছে। তারাও জানাচ্ছে, বয়স্ক রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণে বেশি ভুগছেন। এই সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি! 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহলের পরামর্শ, সামান্য উপসর্গকেও (Lungs Infection) অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত, যাঁরা করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে। কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, করোনা ভাইরাস সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলেছে ফুসফুসের উপরেই। তার উপর বায়ু দূষণের সমস্যা বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যশক্তি কমছে। সেজন্য করোনা আক্রান্তদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দি-কাশি মনে হলেও, পরবর্তীতে তা নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগ তৈরি করছে। ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে অতিরিক্ত এসিতে থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, লং টার্ম কোভিড এফেক্ট অর্থাৎ, করোনার সুদূর প্রভাব এড়াতে স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই থাকা ভালো। কারণ, বদ্ধ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনার সংক্রমণ এখনও হচ্ছে। ফলে, বাড়িতে কারও সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে, তাঁর আলাদা ঘরে থাকা দরকার। কারণ, সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে বিপদ বাড়বে। বিশেষ করে, যাঁর আগে করোনা হয়েছে, ফের যদি করোনা বা অন্য কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হন তিনি, তাহলে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার জন্য বিপদ আরও বাড়ে। তাই পরিবারকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাস তৈরি করছে নানা ঝুঁকি। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তেমনই একটা সমস্যা হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Liver Disease)। সপ্তাহ জুড়ে চলছে লিভার ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, শুধু মদ্যপান নয়, খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের জন্য লিভারের রোগের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের সমস্যায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় বেশি ভুগছেন। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়স থেকেই অনেকে এই লিভারের অসুখে কাবু হচ্ছেন। 

    ফ্যাটি লিভার কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাট বা অতিরিক্ত চর্বি জমাকেই সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যশক্তি কমতে থাকে। ফলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। 

    কী করে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? 

    সাধারণত খুব প্রকট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) থাকলে ওজন মারাত্মক বাড়ে অথবা কমে। তাছাড়া অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরে বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বারবার বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে, ফ্যাটি লিভার থাকলে প্রায়ই পেটের যন্ত্রণা হয়। সেটাও অন্যতম উপসর্গ বলেই ধরা হয়। জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কোন পাঁচ খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করবে? 

    আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরেই বাড়ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা। বিশেষত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ফাস্ট ফুড বিপদ বাড়াচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্য তালিকায় এই পাঁচটি খাবার নিয়ম করে রাখলে বিপদ করবে। প্রথমেই চিকিৎসকদের পরামর্শ তালিকায় থাকছে, শাক-সবজি। সবুজ সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত সবজি খেলে বিপদ কমবে। দ্বিতীয়ত, দানা শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা কমাতে ওটস, ডালিয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তৃতীয়ত, নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী। যে কোনও মাছ নিয়মিত খেতে বলছেন তাঁরা। তবে, ছোট মাছের উপকার বেশি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাই তাদের পরামর্শ, দুধ, পনির, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে থাকুক খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিকেনে শুধু প্রোটিন নয়, থাকে ফাইবার। আর ফাইবার ফ্যাটি লিভার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে, রেড মিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে দেহে চর্বি জমে। যা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন শহরের নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে, কেউ আবার চিকিৎসক (West Bengal Doctor) হিসাবে একাধিক এলাকায় পসার জমিয়েছেন, তৈরি করেছেন নিজের নার্সিংহোম! কিন্তু, তদন্ত করতেই দেখা গেল, কারও কারও ন্যূনতম যোগ্যতাটুকুও নেই। চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে দাবি করার বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা! ফলে, রোগী ঠকিয়ে রোজগারের ধান্দা চলছে রমরমিয়ে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের! তাই এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল এনএমসি!

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নতুন সিদ্ধান্ত কী? 

    সম্প্রতি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন জানিয়েছে, দেশের সমস্ত চিকিৎসককেই (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন যথেষ্ট নয়। সর্বভারতীয় ভাবেই এই রেজিস্ট্রেশন জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টারে সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত থাকবে। দেশের সমস্ত চিকিৎসক, যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, যা পাঁচ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। পাঁচ বছর পরে ফের আপডেট করা হবে।

    এই রেজিস্ট্রেশনের বিশেষত্ব কী? 

    এনএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রেজিস্ট্রেশনের পরে চিকিৎসকেরা (West Bengal Doctor) পাবেন ইউনিক আইডেন্টিটি নম্বর। অনেকটা আধার কার্ডের ধাঁচে হবে এই ব্যবস্থা! যোগ্য চিকিৎসকদের কাছেই থাকবে তাঁর নিজস্ব ইউডিআই! সেই নম্বর প্রমাণ দেবে, তিনি মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমর্থ কিনা।

    এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের সুবিধা কতখানি? 

    এনএমসি-র এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। কারণ, এই রেজিস্ট্রেশনের পূরোটাই এনএমসি-র নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে থাকবে। তাই যে কোনও রোগী তাঁর চিকিৎসক, কোন কলেজ থেকে পড়েছেন, কত বছর কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কী, কোথায় কাজ করেছেন, তাঁর যোগ্যতা ইত্যাদি সবকিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। 
    এর ফলে ভ্রান্তি দূর হবে। সর্বোপরি, ভুয়ো চিকিৎসকের (West Bengal Doctor) পরিষেবা নিতে হবে না এবং এই ধরনের অভিযোগ কমবে বলেই আশা করা যায়।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, গোটা দেশের জন্য একরকম রেজিস্ট্রেশন খুব জরুরি! অনেক রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল চিকিৎসকদের (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশনে বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। এমনকী রেজিস্ট্রেশন পুনরায় নথিভুক্তিকরণের বিষয়কেও অবহেলা করা হয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এরকম নিয়ম চালু হলে নিয়মমাফিক কাজ হবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়ে অভিযোগ একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো সক্রিয় থাকলে এ রাজ্যে কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক কাজ করতে পারতেন না। এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্য কাউন্সিল একেবারেই সক্রিয় নয়। তাই এই সব দিক বিবেচনা করলে কেন্দ্রীয় ভাবে একটি রেজিস্ট্রেশন চালু জরুরি।

    কী বলছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল? 

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অবশ্য মনে করছে, এনএমসি-র এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, জোর করে রাজ্য কাউন্সিলের ক্ষমতা খর্ব করা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম পদাধিকারী চিকিৎসক (West Bengal Doctor) নির্মল মাজি বলেন, “ভুয়ো চিকিৎসক তো আমরাই খুঁজে বের করেছিলাম। বছর পাঁচেক আগে রাজ্যে যখন কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছিলেন, তার খোঁজ কি এনএমসি দিয়েছিল? আমরাই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এসব নতুন রেজিস্ট্রেশন করানো ঝামেলা বাড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়। এতে চিকিৎসকদের হয়রানি বাড়বে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ভোগান্তি লেগেই থাকে! এবছর তা আরও বেড়েছে। বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা এবার আরও বেশি। কারণ, দুই রোগের (Tropical Disease) দাপটে কাবু হচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সময়ই দায় এড়াচ্ছে! তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা? 

    এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই গরমেও তাঁরা ডেঙ্গি সংক্রমণে নাজেহাল। আর এবছর ডেঙ্গির দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। এই দুই মশাবাহিত রোগের (Tropical Disease) দাপটে তাঁরা নাজেহাল। সূত্রের খবর, প্রতি বছর বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় ব্যাপকহারে ডেঙ্গি হয়। গত বছরও ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাড়ায় পাড়ায় চলেছিল মৃত্যুমিছিল। এবছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। তার সঙ্গে উপদ্রব বেড়েছে ম্যালেরিয়ার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশো হয়েছে। তারমধ্যে বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বহু বাসিন্দা রয়েছেন। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ কী? 

    বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে (Tropical Disease) মৃত্যুমিছিল হলেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের। তার উপর এবছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তারপরেও এক পরিস্থিতি। সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাটের বিস্তৃত এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। বিশেষত রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক পার্ক, বাগান রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে না। ফলে, অপরিচ্ছন্ন এলাকা মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, ওই এলাকায় একাধিক নার্সারি রয়েছে। অর্থাৎ, যেখানে চারাগাছ বিক্রি করা হয়। ওইসব জায়গায় জল জমে। প্রচুর টব থাকায়, সেখানে সহজেই জল জমা হয় ও মশার জন্ম হয়। কিন্তু সেইসব জায়গা যে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে, এলাকাবাসীর ভোগান্তি হয়। ফি-বছর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে পুরসভা এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেয়, বছরভর কাজ হবে। ডেঙ্গি নির্মূল হবে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না। যেমন  এবছরেও পুরসভার সক্রিয়তার অভাব স্পষ্ট বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। 

    সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষ কী বলছে? 

    বিধাননগর পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গি (Tropical Disease) সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক। তারা জানাচ্ছে, গত বছরও মে মাসে বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শেষ হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। তবে, ম্যালেরিয়া যে চিন্তার কারণ, সে কথা মেনে নিয়ে বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম কাজ বিধাননগর পুরসভা করছে। রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে, সব সমস্যা যে পুরসভা মেটাতে পারবে না, সে কথাও তারা জানিয়ে দিয়েছে! 

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার যৌথ দাপট কতখানি ভয়ানক? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    ম্যালেরিয়া (Tropical Disease) এবছর বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করবে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে! তবে, ম্যালেরিয়ার মোকাবিলা করতে এলাকার বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। জল জমতে না দেওয়া, চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বিশেষত পার্ক, বাগান এলাকার আগাছা কাটা, জঞ্জাল সাফ করা নিয়মিত জরুরি। তাছাড়া, নর্দমা পরিষ্কার রাখা, ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার মতো কাজগুলো নিয়ম করে করতে হবে। তবে, ডেঙ্গি রুখতেও প্রশাসনের এইসব ভূমিকা পালনের পরামর্শ একাধিকবার দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রত্যেক বছর সংক্রমণ বাড়লে, তবেই প্রশাসন কাজ শুরু করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই কাজগুলো বছরভর করতে হবে, তবেই সংক্রমণ কমবে। তা না হলে রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বলেই তাদের আশঙ্কা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের ঘাটতি কমাতে এবার তিন বছরের প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি করা হবে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! আর এতেই রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তির দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতেই তাঁরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করবেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা করবেন। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

    কী ভোগান্তির আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আরও ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের! কারণ, তিন বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পর্যাপ্ত পাঠ পাবেন না এই হেলথ প্রফেশনালরা। কিন্তু তাঁদের কাছে রোগমুক্তির জন্য আসবেন সাধারণ মানুষ। অথচ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারবেন না। ফলে, ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে পরিষেবা দেবেন। এর ফলে গ্রাম ও শহরের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বৈষম্য তৈরি হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কতখানি নৈতিক ও আইনসঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসক শারদ্বৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যক্ষেত্র (West Bengal Health) কার্যত ভেঙে পড়বে। এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর জন্য একেবারেই ইতিবাচক নয়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এমনিতেই তলানিতে। তার উপর এমনভাবে চিকিৎসক ঘাটতি কমাতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ, শরীরের জটিল রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ করতে হলে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রয়োজন। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসায় দেরিও হয়ে যেতে পারে!” চিকিৎসক পূর্ণব্রত গুণ বলছেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বাড়বে। স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রেও বঞ্চনা তৈরি হচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে! শহরের মানুষ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের থেকে পরিষেবা পাবেন। কিন্তু গ্রামের মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ করছে হাতুড়ে ডাক্তার! এ তো মৌলিক অধিকার খর্ব করা! শুধু রাজ্যবাসীর ভোগান্তিতেই এই সমস্যা শেষ নয়। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কেও এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত! তিনি বলেন, “রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক নানা ঘটনার জেরে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময় এরকম সিদ্ধান্ত সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। কারণ, অনেক সময়ই এই হেলথ প্রফেশনালরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় করতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো না থাকায় নানা জটিলতা তৈরি হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ চিকিৎসক ও হেলথ প্রফেশনালদের মধ্যে ফারাক হয়তো ঠিকমতো মনে রাখতে পারবেন না। ফলে, অবিশ্বাস তৈরির সুযোগ আরও বাড়বে।” 

    সবমিলিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাই করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

    Hypertension: চাপ ও অস্থিরতায় বাড়ছে হাইপারটেনশন! কেমন জীবনযাপন কমাতে পারে এই রোগ? 

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ, মানসিক চাপ আর ব্যস্ততা নিত্যসঙ্গী। আর এসবের সঙ্গে শরীরে নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাইপারটেনশন (Hypertension) তার মধ্যে অন্যতম! ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন ভারতীয়র মধ্যে চারজন হাইপারটেনশনে ভোগেন। এরাজ্যেও বাড়ছে হাইপারটেনশনের সমস্যা। বয়স্কদের পাশাপাশি কমবয়সীদের মধ্যেও হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবন কাটাতে জরুরি সচেতনতা। আগামী ১৭ মে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে! তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বছরভর সতর্ক থাকলে কমতে পারে বিপদ!

    হাইপারটেনশন থাকলে কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    হাইপারটেনশনে (Hypertension) সবচেয়ে ঝুঁকি বাড়ে হার্টের! উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া, মানসিক অস্থিরতা, মানসিক চাপের মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার হাইপারটেনশন আছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের (Hypertension) কিছু উপসর্গ আছে। যা থেকে বোঝা যায়, কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত কিনা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশনের প্রধান উপসর্গ হল মাথার পিছনে যন্ত্রণা। মাঝেমধ্যেই, কয়েকদিনের ব্যবধানে মাথার পিছনের অংশে অসম্ভব যন্ত্রণা হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ! উচ্চ রক্তচাপ হাইপারটেনশনের উপসর্গ। শরীরে ক্লান্তি, কোনও কাজেই এনার্জি না পাওয়া হাইপারটেনশনের উপসর্গ।হাইপারটেনশন থাকলে বমি হয়। মানসিক অস্থিরতা হাইপারটেনশনের উপসর্গ। যদি মাঝেমধ্যেই অকারণ দুশ্চিন্তা গ্রাস করে, তবে সেটাও হাইপারটেনশনের অন্যতম উপসর্গ।

    কোন কোন খাবার মেনুতে রাখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমবে? 

    সময়মতো চিকিৎসা যত জরুরি, তেমনি জরুরি জীবনযাপনের ধরন। বিশেষত খাবারের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি। কারণ, সঠিক খাবারের মেনু কমিয়ে দিতে পারে সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে, তাদের খাদ্য তালিকায় বাড়তি নজর থাকুক। বিশেষত নিয়মিত পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেস্তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ড্রাই ফ্রুটস কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হাইপারটেনশনে খুব উপকারী পেস্তা। যে কোনও ভাবে পেস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    উচ্চ রক্তচাপ কমানোর হাইপারটেনশনের (Hypertension) রোগীর খুব জরুরি। তাই নিয়মিত বিনস ও ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিনস ও ডাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই হাইপারটেনশন রুখতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় বিনস ও ডাল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। টমেটো হাইপারটেনশন রুখতে খুব উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, টমেটোতে থাকে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনালাইট। আর এই দুই উপাদান হাইপারটেনশন মোকাবিলায় সাহায্য করে। বিশেষত ক্যারোটিনালাইট হার্টের জন্য খুব উপকারী। খাবারের মেনুতে ব্রকোলি ও গাজর রাখলে হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য হবে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই এই সবজি খুব উপকারী। তাছাড়া গাজরে আছে ক্লোরোজোনিক ও ক্যাফেইক। এই উপাদানগুলো রক্তনালিকে ঠিকমতো কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই গাজর অত্যন্ত উপকারী। 
    কমলালেবু আর কলার মতো ফলও অত্যন্ত উপকারী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। এই দুই উপদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার কলায় থাকে সোডিয়াম। সোডিয়াম হাইপারটেনশন (Hypertension) রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে রসনা মেটাতে আমের বিকল্প খুব কমই আছে। তাইতো আমকে বলা হয় ফলের রাজা! পুষ্টিবিদদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আম (Diabetes & Mangoes) খুবই বড় ভূমিকা নেয়, ভিটামিন ই, কে, বি কমপ্লেক্সে ভরপুর থাকে আম। পাশাপাশি আমে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার। কিন্তু আমে শর্করা থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন? এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় আজকে আমরা আলোচনা করব এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন সে নিয়ে।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত…

    ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। মানতে হয় নানা স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েটে রয়েছে নানা বিধি নিষেধ। জীবনধারার এই রোগ সাধারণত তখনই হয় যখন রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং অগ্নাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা। চিকিৎসকরা বলছেন ‘‘ডায়াবেটিকদের শরীরের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয় এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খেতে হয়। প্রসঙ্গত, কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়ায় না।’’ তাই ডায়াবেটিসে যে কোনও ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ডায়াবেটিসে পরিমিত মাত্রায় আম (Diabetes & Mangoes) খাওয়া যেতেই পারে।’’ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হজমের কোন সমস্যা থাকলে আম তা নিরাময়ে সাহায্য করে। 

    ডায়াবেটিকরা কি আম (Diabetes & Mangoes) খেতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আমে (Diabetes & Mangoes) চিনির মাত্রা অনেক বেশি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাওয়া নিষিদ্ধ।’’ তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, আম যদি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতি করবে না। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, অল্প পরিমাণে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না, তাই চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘রোগীর শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তাঁরা পরিমিত আম খেতেই পারেন।’’

    সুগারে কতটা পরিমান আম খাওয়া যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তের শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সাধারণভাবে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অর্ধেক কাপ অর্থাৎ কিনা ৮২.৫ গ্রাম আম খেয়ে প্রথমে দেখতে হবে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়েছে কিনা, যদি বাড়ে তাহলে মাপতে হবে তা কতটা বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আম খাওয়ার পরিমাণ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের সাবধান বাণী, নিয়মিতভাবে সুগার লেভেল চেক করেই খাওয়া উচিত আম। তবে আমের জুশ একেবারেই নিষিদ্ধ বলছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share