Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। সাতদিন বন্ধ থাকার পরে ফের সোমবার থেকে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল খুলছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ কয়েকদিন কম। তাই আপাতত তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে। হয়তো চলতি সপ্তাহে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে, চিকিৎসক মহলের চিন্তা করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রমের থেকেও দেড়গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর শক্তি আছে এর। তাই সচেতনতা আরও বেশি জরুরি। 

    কতখানি নিরাপদ পড়ুয়ারা?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহে যেমন তীব্র দাবদাহ ছিল, তাতে অনেকেই অসুস্থ। তারপরে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই আছে। ফলে অনেকের শরীর দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই করোনার (Covid 19) এই নতুন প্রজাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। তাছাড়া স্কুল পড়ুয়াদের বড় অংশের টিকাকরণ হয়নি। তাই তাদের জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেশি। 

    কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সর্দি-কাশি থাকলে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। কারণ, যে কোনও ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর যেমন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে, তেমনি অন্যদের রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করলে বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। পড়ুয়াদের স্কুল চলাকালীন মাস্ক (Covid 19) পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু স্কুল চত্বরে নয়, যাতায়াতের পথেও মাস্ক জরুরি। স্কুলে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, পড়ুয়াদের বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস যেন থাকে, সে দিকে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

    টিফিন নিয়ে কী পরামর্শ?

    সবচেয়ে জরুরি স্কুলের টিফিন পর্ব! কারণ ওই বিরতিতে যেমন চলে খাওয়া, আবার শিশুরা খেলাধূলার সুযোগ পায়। তখন শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক বিধি কতখানি বজায় থাকবে, সে নিয়ে সংশয় থাকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে, শিশুদের টিফিনে অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার কিংবা পিৎজা, বার্গার, হটডগের মতো প্রিজারভেটিভ খাবার একেবারেই দেওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরের তৈরি হাল্কা, সহজপাচ্য খাবার থাকুক টিফিনের মেনুতে। তার উপরে করোনা (Covid 19 সংক্রমণ রুখতে, স্কুলে খাওয়ার আগে পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে, সেদিকেও যেন নজর দেওয়া হয়। খাবার ভাগ করে এই সময়ে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে জরুরি টিকাকরণ। যে সব স্কুলপড়ুয়া টিকা নেওয়ার উপযুক্ত, তাদের টিকাকরণ হওয়া জরুরি। টিকা না নিলে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে। তাই পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্পর্কে জানা আর রোগ নির্ণয় করাই যথেষ্ট নয়। রোগীর শয্যার পাশে থেকে দিতে হবে পরিষেবা। রোগীর রোগ নির্ণয় করেই দায়িত্ব শেষ নয়। বরং রোগীর সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, প্রত্যেক রোগীর বিশেষ কোন ধরনের চাহিদা রয়েছে, তা বুঝে তবেই শুরু করতে হবে চিকিৎসা (Treatment)। এর জন্য জানতে হবে স্থানীয় ভাষা। যাতে রোগীর সমস্যা বোঝা এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন চিকিৎসা পড়ুয়াদের জন্য এক নয়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে। সেই নির্দেশিকাতেই চিকিৎসা পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতেই থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিভিন্ন বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় একদিকে যেমন তাঁদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, তেমনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের দক্ষ কর্মীর ঘাটতিও পূরণ হয়। বিশেষত এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই নির্ভর করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরেই। তাই তাঁদের প্রশিক্ষণ বিশেষ জরুরি। 

    সমস্যা কোথায়? 

    সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে বারবার রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে চিড় দেখা গিয়েছে। রোগী ও রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক হেনস্থার যেমন একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তেমনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নানান সময়ে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের এই অবনতি ঠেকানো জরুরি। তাই চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াকালীন পড়ুয়াদের নিজেদের দায়িত্ব (Treatment) ও পেশা সম্পর্ক বিশেষ ওয়াকিবহাল হতে হবে। আর সেই কারণেই সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন নতুন নির্দেশ জারি করছে।

    চিকিৎসক-পড়ুয়াদের জন্য কী নয়া নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)? 

    ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, রোগীর সমস্যা বুঝতে এবং রোগীকে ঠিকমতো পরামর্শ দেওয়ার জন্য যে এলাকায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করছেন, সেই এলাকার ভাষা অর্থাৎ স্থানীয় ভাষা অবশ্যই জানতে হবে। যাতে কথা বলতে কোনও অসুবিধা না হয়। অধিকাংশ সময়েই যোগাযোগের সমস্যা থেকেই নানান জটিলতা দেখা দেয়। ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্কের অবনতির ক্ষেত্রে যোগাযোগের সমস্যাই সবচেয়ে বড় কারণ। তাই রোগী যে ভাষায় কথা বললে বুঝতে পারবেন, সেই ভাষাতেই সহজে রোগীকে বোঝার দক্ষতা অর্জন করতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। পড়া চলাকালীন চিকিৎসক পড়ুয়াদের বোঝাতে হবে ভারতের আধুনিক চিকিৎসায় (Treatment) স্নাতক হওয়ার পরে, চিকিৎসক হিসাবে তার একটি বিশেষ সামাজিক দায়িত্ব থাকবে। তা সে কোনও পরিস্থিতিতেই অস্বীকার করতে পারবে না। রোগের উপসর্গ জানলেই হবে না। প্রত্যেক রোগীর নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকে। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর সেই বিশেষ চাহিদার দিকেও চিকিৎসককে নজর দিতে হবে। তবেই রোগীর চিকিৎসকের প্রতি আস্থা মজবুত হবে। রোগীর পরিষেবা দেওয়ার চাপে অনেক সময়েই চিকিৎসকেরা নিজেরাও মানসিক চাপ ও অবসাদে ভোগেন। তাই ছাত্রাবস্থা থেকেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রয়োজন মতো কাউন্সেলিং করতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁরা চিকিৎসক-শিক্ষকদের সাহায্য নেবেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, চিকিৎসক-পড়ুয়াদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এমন হতে হবে, যাতে তাঁরা সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। 

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কী বলছেন?

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের এই নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশেষত রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে বিশেষ উন্নতির পথ দেখাবে বলেই আশা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সঙ্গে হাসপাতালে অধিকাংশ সময়েই সরাসরি যোগাযোগ হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাই তাদের ভূমিকার প্রভাব সবচেয়ে বেশি রোগীর উপরে থাকে। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো নিলে জুনিয়র চিকিৎসকেরাও কীভাবে রোগীদের সামাল (Treatment) দেবেন, সেই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন ও স্পষ্ট ধারণা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Infection: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে ফুসফুসের বিপদ, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lungs Infection: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে ফুসফুসের বিপদ, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা বেশ চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। সপ্তাহের শুরুতে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে গিয়েছিল, এক ধাক্কায় তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে, কয়েক দিনের মধ্যে ফের শুরু হবে তাপপ্রবাহ, এমনই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর! আর তাপমাত্রার এই ঘনঘন রকমফের বাড়াচ্ছে বিপদ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমে অতিরিক্ত এসিতে থাকার কারণে ফুসফুসের নানা সংক্রমণঘটিত (Lungs Infection) রোগ বাড়ছে। তার উপরে আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন ভাইরাসঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপপ্রবাহের সময় মাথা ঝিমঝিম, ক্লান্তি বা পেশিতে টানের মতো সমস্যার পাশাপাশি জ্বর-সর্দি ও কাশির সমস্যাতেও অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত শিশুরা মারাত্মকভাবে ভাইরাসঘটিত রোগের শিকার হচ্ছে। 

    বিপদ কোথায়? 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম থেকে বাঁচতে অধিকাংশ সময়ই শিশুরা এসি ঘরে থাকছে। আবার হঠাৎ করেই তারা এসি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তারা এসি বন্ধ করে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে না। আর এতেই তাদের সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। তাছাড়া, অতিরিক্ত এসি ঘরে থাকলে ফুসফুসের সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, এসি ঘরে জানালা-দরজা বন্ধ থাকে। বদ্ধ পরিবেশ ও সূর্যের আলো ঢুকতে না পারায় ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কাশি দীর্ঘদিন থাকছে। 

    বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন?

    পালমনোলজিস্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগে রাজ্যজুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট ছিল। বহু শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। কখনও মারাত্মক গরম, আবার একদিনের ব্যবধানেই কয়েক ডিগ্রি পারদ নেমে যাওয়া, সব মিলিয়ে এই পরিবর্তনের সঙ্গে দেহ মানিয়ে নিতে পারছে না। তাই শিশুদের দেহে ফের ভাইরাস সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ভোগান্তি বেশি হবে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় বাচ্চাদের কাশি কমছে না। কাফ সিরাপ, এমনকী অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হচ্ছে না। 
    তবে শিশুদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও এই আবহাওয়া বিপদ বাড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত নানান শারীরিক সমস্যার পাশপাশি ভাইরাসঘটিত রোগে সংক্রমণও হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জ্বর ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের এসি ঘরে রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ঘরের তাপমাত্রা কখনই মারাত্মক কম করা যাবে না। তাঁদের পরামর্শ, ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এসি ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই গরমে ঘরের তাপমাত্রা ১৬-১৮ ডিগ্রি করে রাখেন। এটা শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। ফলে, নানান রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 
    শিশুদের কাশি বা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। কোনও রকম অবহেলা বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে বলেও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 
    শিশুদের ক্ষেত্রে আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অনেকেই ঠান্ডা পানীয় নিয়মিত খায়। এরফলে ফুসফুসে সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

    ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে উর্ধ্বমুখী! কিন্তু তার মধ্যেও কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে, ঘামও হচ্ছে প্রচুর। শরীর ঠান্ডা আর সুস্থ রাখতে অনেকেই তাই সঙ্গী করছেন ওআরএসের (ORS) প্যাকেট। গুঁড়ো প্যাকেট নয়, একেবারে তৈরি প্যাকিং ওআরএস। জলে গোলার ঝামেলা নেই। এমনকী আপেল, আনারস কিংবা কমলালেবুর নানান রকমারি স্বাদের তৈরি জিনিস! গরমে তেষ্টা মেটানোর সঙ্গে দিচ্ছে আরাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করছেন, সেখানে বিপদ লুকিয়ে আছে কি না, দেখে নিয়েছেন তো? আসুন, তার আগে শুরুতেই জেনে নিই, এই ওআরএস আসলে কী?

    ওআরএস কী? 

    শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে ওআরএস (ORS) অত্যন্ত কার্যকর। অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা কলেরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেহে ডিহাইড্রেশন রুখতে ওআরএস বিশেষ কাজ দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০২ সালে ওআরএস অর্থাৎ, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টে কী কী উপাদান কত পরিমাণ থাকবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, অনেক কোম্পানিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ওআরএস তৈরি করছে না। ফলে, সেসব ক্ষেত্রে উপকারের থেকে ক্ষতির ঝুঁকিই বাড়ছে। অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওআরএস-এর নামে যা বিক্রি করছেন, তা কেবল প্যাকিং ঠান্ডা পানীয় ছাড়া কিছুই নয়। তাতে শরীরের জন্য লাভ তো নেই। বরং, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। 

    সমস্যা কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু জায়গায় এমন কিছু সুস্বাদু পানীয় প্যাকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে, যাকে বিক্রেতারা ওআরএস বলছেন। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই ওআরএস (ORS) কিনা, তা যাচাই করছেন না। ওই প্যাকেট পানীয় শিশুদের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। শিশুদের পেটের সমস্যা হলে কিংবা অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে গেলে ওই ধরনের প্যাকেট পানীয় বিপদ বাড়াচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই সব পানীয়তে যে উপাদান থাকে, তাতে দেহে পটাসিয়াম, সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এমনকী ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের ওআরএস দেওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক ও যাচাই জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কীভাবে চিনবেন ওআরএস? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  ফর্মুলা ওআরএস-র (ORS) প্যাকেটে ছাপা আছে কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে ওষুধ দোকান কিংবা যে কোনও বিক্রেতার কথায় ওআরএস হিসাবে অন্য কোনও পানীয় কিনলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দোকানের প্যাকেট ওআরএস-এর পরিবর্তে বাড়িতে নুন-চিনি মিশিয়ে জল খেলেও একরকম উপকার হবে। তবে, যাদের ডায়বেটিসের বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের যে কোনও পানীয় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণ নুন, চিনি তাদের শরীরে অন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: আজ বিশ্ব লিভার দিবস, জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কী করবেন

    World Liver Day: আজ বিশ্ব লিভার দিবস, জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কী করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ এপ্রিল। বিশ্বজুড়ে পালিত হবে বিশ্ব লিভার দিবস (World Liver Day)। ইদানিং লিভার সংক্রান্ত নানা রোগে ভুগছেন বহু মানুষ। তাই লিভার ঠিক রাখতে গরমে কী কী খাওয়া প্রয়োজন, আর কী কী খাবেন না, তা জেনে রাখা দরকার। লিভার ঠিক রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন প্রতিদিন নিয়ম করে আমলকির রস খাওয়া। লিভার পরিষ্কার করতে এর জুড়ি মেলা ভার। আমলকিতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের পক্ষে বেশ উপকারী। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রতিদিন ১ কিংবা ২ কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। রসুনে রয়েছে এনজাইম। এনজাইম লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে।

    বিশ্ব লিভার দিবস (World Liver Day)…

    খাদ্য তালিকায় রাখুন এক বাটি করে পাকা পেঁপে। লিভার (World Liver Day) ভাল রাখতে পাকা পেঁপে নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকুক টক দইও। দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক্স, উপকারী ব্যাকটেরিয়া। লিভার ভাল রাখতে নিয়মিত এক বাটি করে দই খান। প্রতিদিন ব্রোকোলি, ফুলকপি এবং বাঁধাকপির মতো সবজিও খেতে পারেন। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারগুলি লিভার ভাল রাখে। প্রতিদিন এক বাটি করে এই সবজি সেদ্ধ খেলে লিভার ভাল থাকবে।

    নিয়মিত আখের রস খেলেও ভাল থাকে লিভার। লিভার ডিটক্স করতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মুলোও খান নিয়মিত। লিভারে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে নিত্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। লিভার ভাল রাখতে প্রতিদিন বিটের রস খান। এতে রয়েছে নাইট্রেট, বিটালাইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসবই লিভারের পক্ষে বেশ উপকারী। হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক। দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে ভাল থাকবে লিভার।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    লিভার ভাল রাখতে গরমে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিয়ম করে ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে একদিকে যেমন ভাল থাকবে লিভার (World Liver Day), তেমনি অন্যদিকে ভাল থাকবে শরীরও। নিত্যদিনের ডায়েটে দু থেকে তিনটি গোটা ফল খান। নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন। হাঁটা, সাঁতারকাটার মতো কাজগুলিও করলে ভাল। লিভার ভাল রাখতে চাইলে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত মদ্যপানে হতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Jackfruit: চলছে এঁচোড়-কাঁঠালের মরসুম! জানুন এর খাদ্যগুণ

    Jackfruit: চলছে এঁচোড়-কাঁঠালের মরসুম! জানুন এর খাদ্যগুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষকরা বলছেন যে এঁচোড় (Jackfruit) নিরামিষাশীদের জন্য ভরপুর প্রোটিনের উৎস। এঁচোড়কে নিরামিষ মাংস বা গাছ পাঁঠাও অনেকে বলে থাকেন, এঁচোড় (Jackfruit) থেকে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। অন্যান্য সবজির তুলনায় এতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

    এঁচোড়ের রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, থায়ামিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লাবিন, আয়রন, নিয়াসিন, ফাইবার এবং জিংক এর মত পুষ্টি উপাদান এঁচোড়ে থাকে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।

    এক নজরে আমরা জেনে নেব এঁচোড় (Jackfruit) স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী

    ১) এঁচোড় (Jackfruit) ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্বাস্থ্যবিদদের মতে, আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এক্ষেত্রে এঁচোড় খুব ভাল একটি খাদ্য উপাদান হতে পারে। এঁচোড়ে থাকে রেসভ্রাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মোটা হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

    ২) এঁচোড় (Jackfruit) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    ৩) এঁচোড় (Jackfruit) চোখের জন্য খুব উপকারী

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড়ে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এটি চোখের জন্য খুবই উপকারী মানা হয়।

    ৪) হার্টের জন্য উপকারী এঁচোড় (Jackfruit)

    পুষ্টিবিদরা বলছেন যে এঁচোড় হার্টের জন্য উপকারী।  এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

    ৫) হজমের জন্য উপকারী

    হজমের সমস্যা যদি থাকে তাহলে এঁচোড় খুব ভালো ফল দেয় বলে মনে করা হয়।

    ৬) ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৭) ত্বকের জন্য উপকারী

    এঁচোড়ে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলছেন চিকিৎসকরা।

    ৮) এঁচোড় (Jackfruit) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

    এঁচোড় ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়, এমনটাই বলছেন, পুষ্টিবিদরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙানি করোনার (Covid)। নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)  সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। মার্চ মাসে এ দেশের সংক্রমণের পরিসংখ্যান দেখে সে কথাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বা INSACOG বুলেটিন।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন এবং তার সাবভ্যারিয়েন্টরাই এখন দ্রুত হারে  সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি।
    ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট হল করোনা এক্সবিবি (XBB) প্রজাতির জিনগতভাবে পরিবর্তিত (Genetically Mutated) রূপ। এই প্রজাতিকে ওমিক্রনের এক্সবিবি উপরূপেরই নিকট আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওমিক্রনের BA.2.10.1 এবং BA.2.75 উপপ্রজাতির সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। বিশেষজ্ঞদের তাই অনুমান, ওই দুই উপপ্রজাতি বদলে গিয়েই এই নয়া রূপ তৈরি করেছে।
    জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

    আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    ১২ টি দেশেই চলছে নতুন প্রজাতির দাপট

    জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ১২টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি, নাম এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। INSACOG জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার আক্রান্তের থুতু-লালার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ওই প্রজাতির হদিশ মিলেছে। ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে সে জন্য করোনা টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Boost Brain Function: জানুন ৮ সুপারফুড সম্পর্কে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    Boost Brain Function: জানুন ৮ সুপারফুড সম্পর্কে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের মতে, মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরনগুলি দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রভাবিত হয়। চর্বি এবং শর্করা সমৃদ্ধ যেকোনও অস্বাস্থ্যকর খাবার মস্তিষ্কের নিউরনের ক্ষতি করতে পারে। এরফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার (Boost Brain Function) উপর প্রভাব পড়ে।

    অন্যদিকে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এই জাতীয় ডায়েট স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়। সুতরাং, সুষম খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে।

    এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে জানব যেগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    ১. ব্লুবেরি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ব্লুবেরি রাখুন এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা (Boost Brain Function) বাড়বে। এগুলিতে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ট্রেস থেকে আমাদের দূরে রাখে। 

    ২. আখরোট

    পুষ্টিবিদদের মতে,  আখরোট ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আখরোটে থাকে  পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই , যা আরেকটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 

    ৩. হলুদ

    গবেষকরা বলছেন, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, একটি একধরনের যৌগ যা প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

    ৪. পালং শাক

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, পালং শাক বা এই জাতীয় শাক-সবজিতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এগুলিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। পাশাপাশি এতে রয়েছে ফোলেট, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, তারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগগুলিতে উচ্চ।
    ৫. অ্যাভোকাডো

    চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাভোকাডো মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই ভাল। এগুলিতে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। 

    ৬. স্যামন মাছ

    স্যামন একটি ফ্যাটি মাছ যা ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ এবং ইপিএ সমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদদের মতে, এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    ৭. ডিম

    ডিমে থাকে পুষ্টি উপাদান কোলিন। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ডিমে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-ও থাকে।

    ৮. ডার্ক চকোলেট

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। এগুলিতে ক্যাফিন এবং থিওব্রোমাইনও রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Superfood: আম থেকে জাম! তাপপ্রবাহে নিজেকে সতেজ রাখতে কী কী খাবেন?

    Superfood: আম থেকে জাম! তাপপ্রবাহে নিজেকে সতেজ রাখতে কী কী খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরের ইমিউনিটি শক্তিশালী হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। বেশ কিছু খাদ্য আছে যেগুলি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রখর দাবদাহে শরীরে জলের পরিমাণও ঠিক রাখা জরুরি।

    আসুন আমরা জানি এমনই ৯টি সুপারফুড (Superfood) সম্পর্কে

    ১. তরমুজ

    তরমুজে থাকে প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় উপাদান এবং ৬ শতাংশ শর্করা সহ লাইকোপিন, ভিটামিন সি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নিয়মিত ডায়েটে রাখলে তরতাজা থাকা যায় এবং শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় থাকে।

    ২. কালো জাম

    বাঙালি বাড়িতে বেশ পরিচিত গাছ হল জাম। সাহিত্যে, গল্পে, কবিতাতেও এই জাম গাছের উল্লেখ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে থাকে প্রায় ৮০ শতাংশ জলীয় উপাদান এবং ১৬ শতাংশ শর্করা।

    ৩. আম

    ফলের রাজা আম! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা শুধু প্রদাহ কমায় না রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

    ৪. করলা

     জলীয় উপাদান ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, পাশাপাশি আয়রন, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং দ্রবণীয় ফাইবার। করলা হজমে সহায়তা করে।

    ৫. ডাবের জল

    ডাবের জলে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত কম থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর থাকে ডাবের জল।

    ৬. তুলসীর বীজ

    এগুলিতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা হাইড্রেশন, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হজমে সহায়তা করে।

    ৭. দই

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন দই প্রোবায়োটিক খাবার নয় তবে এতে থাকে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের একটি ভরপুর উৎস, যা দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। তাই, এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    ৮. ছাতু

    এটি একধরনের ভারতীয় সুপারফুড যা ছোলা বা যব থেকে তৈরি করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে ভরপুর প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। 

    ৯. কোকাম

    গ্রীষ্মকালে কোকাম ফলের শীতল শরবতের জুড়ি মেলা ভার। এটি একধরনের মালাবার তেঁতুল। এতে থাকে ভরপুর ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Kidney Day: জানেন কোন ১০টি অভ্যাস কিডনি সমস্যা ডেকে আনতে পারে?

    World Kidney Day: জানেন কোন ১০টি অভ্যাস কিডনি সমস্যা ডেকে আনতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ৯ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব কিডনি দিবস (World Kidney Day)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বেশ কিছু অভ্যাস রয়েছে। যেগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে কিডনিতে।

    আসুন জানা যাক এমন ১০টি অভ্যাস সম্পর্কে

    ১. ব্যথানাশক ওষুধের অত্যধিক ব্যবহার

    চিকিৎসকরা বলছেন, মাথাব্যথা হোক বা আর্থ্রাইটিস, আপনি যদি নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই তবে তা এখনই বন্ধ করুন। দীর্ঘমেয়াদিভাবে ব্যবহার করলে ব্যথানাশক ওষুধগুলি আপনার কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

    ২. অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ

    অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার সরাসরি একজনের রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। লবণ হল সোডিয়াম ক্লোরাইড যৌগ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে, এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

    ৩. খুব বেশি চিনি খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা 

    চিকিৎসকদের মতে, অত্যধিক চিনিতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এর ফলে প্রভাবিত হতে পারে কিডনি।
     
    ৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে প্রভাবিত হতে পারে কিডনি

    চিকিৎসকরা প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করতে বলছেন। কিডনি ভাল রাখার জন্য।

    ৫. নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া

    নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবারও ডেকে আনতে পারে কিডনি সমস্যা।

    ৬. পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকারি

    ভাল ঘুম যেমন আপনাকে নতুনভাবে এনার্জি দেয় তেমনি কিডনিকেও ভাল রাখে। এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

    ৭. ধূমপান একেবারে বন্ধ করুন

    শুধু হার্ট এবং ফুসফুস নয়, ধূমপানের ফলে কিডনিরও সমস্যা হতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৮. অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন

    অতিরিক্ত অ্যালকোহল কিডনির জন্য বিপজ্জনক। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    ৯. খুব বেশি মাংস খাওয়া
     
    অতিরিক্ত মাংস খেলেও প্রভাবিত হতে পারে কিডনি। চিকিৎসকদের তাই পরামর্শ মাংসের সঙ্গে শাক সবজি ফলমূলও পর্যাপ্ত খান। 

    ১০. শারীরিক অনুশীলন করুন

    চিকিৎসকরা বলছেন দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকা আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share