Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sitting Exercises: দীর্ঘক্ষণ ধরে চেয়ারে বসে থাকলে হতে পারে নানা রোগ, প্রতিকারের জন্য করুন এই ৫টি ব্যায়াম

    Sitting Exercises: দীর্ঘক্ষণ ধরে চেয়ারে বসে থাকলে হতে পারে নানা রোগ, প্রতিকারের জন্য করুন এই ৫টি ব্যায়াম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষকদের মতে, যাঁরা দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কোনো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ছাড়াই বসে থাকেন, তাঁদের স্থূলতা এবং ধূমপানের কারণে মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ২০১৩ সালে WHO-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর এই কারণে ৩.২ মিলিয়ন মানুষ অকালে মারা যান। 

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি গবেষণায় এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য শুধুমাত্র ক্ষতিকারক নয়, মারাত্মকও হতে পারে। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বসে থাকা আপনার অভ্যাস হয়, তবে আপনার জানা উচিত যে এটির কারণে ডায়াবেটিস, কিছু ধরণের ক্যান্সারও হতে পারে, বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে, রক্তচাপ বাড়তে পারে।

    ব্যায়াম (Sitting Exercises) করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এবার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম (Sitting Exercises) সম্পর্কে আমরা জেনে নেব।

    ১) পুশ আপ

    উপকারিতা: পুশ-আপ মূল পেশিগুলিকে সক্রিয় করে।

     কীভাবে করবেন

    –  হাত দিয়ে ঘরের দেওয়াল  ধরুন। 

    – পা পিছনে সরাতে থাকুন, যতক্ষণ না আপনার শরীর সোজা আপনার পায়ের দিকে ঝুঁকছে।

    – পা এখন মেঝেতে এবং বাহু সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত।

    – এবার পেটের পেশিকে শক্ত করে নিজেকে আবার শুরুর অবস্থানে নিয়ে চলুন।

    আরও পড়ুন: শীতে রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? দেখে নিন, এগুলো করছেন না তো?

    ২) সিটেড স্পাইন ট্যুইস্ট

    এই ব্যায়াম (Sitting Exercises) করলে মেরুদণ্ড শক্ত হয় এবং পেশি সক্রিয় থাকে।

    কীভাবে করবেন

    – মেঝেয় পা রেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন।

    –  ডান হাতটি ডান পাশের ব্যাকরেস্টে রাখুন এবং বাম হাতটি আপনার ডান উরুতে রাখুন।

    – ধীরে ধীরে আপনার শরীরকে ঘোরাতে থাকুন, যতক্ষণ না আপনার বাম কাঁধ আপনার ডান উরুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় । বারবার করতে থাকুন।

    ৩) সিটেড নি পুলস ইন

     এই ব্যায়াম (Sitting Exercises) করলে মূল পেশি শক্ত হয়, পিঠের ব্যথাও কম হয়।

     কীভাবে করবেন

    – চেয়ারের পিছনের দিকে পিঠ না রেখে সোজা চেয়ারে বসুন এবং চেয়ারের আর্মরেস্ট ধরে রাখুন।

    – আপনার পা একসাথে রাখুন, উভয় হাঁটু আপনার শরীরের দিকে ভাঁজ করুন।

    ৪. চেয়ার স্কোয়াটস

    চেয়ার স্কোয়াট করলে পেশি শক্ত হয়।

     কীভাবে করবেন

    – আপনার চেয়ার থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়ান।

    – আপনার উভয় গোড়ালি জয়েন্টের ওপর ভর দিন এবং চেয়ারে বসার ভঙ্গিমায় ৫ সেকেন্ডের জন্য অবস্থানটি ধরে রাখুন।

    ৫. হিল রাইস

     শিরা রোগে আক্রান্তদের শরীরে রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।

     কীভাবে করবেন

    – পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে ৩-৫ সেকেন্ডের জন্য দাঁড়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Palak Paneer: জানেন কি? ‘পালং পনীর’ একসঙ্গে খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    Palak Paneer: জানেন কি? ‘পালং পনীর’ একসঙ্গে খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালং পনীর (Palak Paneer),অনেকের কাছেই  শীতকালের অন্যতম ফেভারিট খাবার। পিঠেপুলির মতো আবার অনেকেই এই খাবারটির জন্য শীতকাল আসার অপেক্ষা করে থাকেন। নিয়মিত ডিনার থেকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বন্ধুর জন্মদিন পালন, পালং পনীর (Palak Paneer) নামের এই জনপ্রিয় রেসিপি প্রায় প্রতিটি মেনুতে স্থান পায়। পালং শাক আয়রন, পটাসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি একটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়, ডাক্তাররা প্রায়ই এই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। পনীরও প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী খাবার। পালং শাক এবং পনীর আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির  জন্য সহায়ক। তবে কিছু পুষ্টিবিদদের মত অনুসারে, পালং শাক এবং পনীর একসঙ্গে (Palak Paneer) থাকলে একে অপরের উপকারিতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। 
    জনৈক পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল তাঁর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পালং শাক এবং পনীর একসঙ্গে (Palak Paneer) না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আগরওয়াল বলেছেন যে কিছু খাবার এককভাবে স্বাস্থ্যকর, কিন্তু অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হলে তারা একে অন্যের পুষ্টির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পালং পনীরের ক্ষেত্রে, পালং এর আয়রন এবং পনিরের ক্যালসিয়াম আসলে একে অপরের পুষ্টিকে শোষণ করে নেয়।

    কেন পালং এবং পনীর (Palak Paneer) একসঙ্গে ভাল নয়?

    পালং পনীর (Palak Paneer) খেতে ভালোবাসেন? ঠিক আছে, কিন্তু জেনে রাখুন এটা সঠিক খাদ্য নয়। কারণ কিছু মিশ্রিত খাদ্য আছে যেগুলি একসঙ্গে থাকলে পুষ্টির ক্ষেত্রে ভাল নয়। এখন স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানে শুধুমাত্র সঠিক খাবার খাওয়া নয়। এর মানে হল সঠিক অনুপাতে যেন পুষ্টির আইটেম গুলো থাকে। কিছু কিছু মিশ্রিত খাদ্য আছে যেগুলো একসঙ্গে খেলে একে অপরের পুষ্টি কমিয়ে দেয়। যেমন, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে এবং পনীরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যখন এই দুটি খাবারের আইটেম একসঙ্গে খাওয়া হয়, তখন ক্যালসিয়াম আয়রনের পুষ্টির মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই, শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখতে পালং আলু বা পালং কর্ন খাওয়া যেতে পারে, এটাই বর্তমানে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ।

    আয়ুর্বেদ কী বলছে?

    আয়ুর্বেদেও  একটি ধারণা রয়েছে যেখানে  কলা এবং দুধ মিশিয়ে খেতে নিষেধ করা হয়েছে।  কারণ এগুলি একসাথে থাকলে বিপাকা (আয়ুর্বেদের ভাষা) নামক শক্তি নির্গত হতে পারে এবং শরীরে সমস্যা হতে পারে। মাছ এবং দুধ, মধু এবং ঘি সমান অনুপাতে, দই এবং পনীরের মিশ্রণকেও আয়ুর্বেদে বিরুদ্ধ আহার বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Food and Moon Connection: শরীরকে সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত 

    Food and Moon Connection: শরীরকে সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনকে সুন্দর, সুখময় ও সার্থক করে তুলতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সুস্থ, সবল ও সতেজ দেহ। সেই কারণেই শরীরে চাই যথাযথ পুষ্টির। বর্তমানে অনেকেই সুস্থ থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই কম খাবার খায়। অনেকের মনে ধারণা রয়েছে যে সুস্থ থাকার মানে রোগা হওয়া। কিন্তু প্রকৃত অর্থে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে শরীরে যে যে উপাদান প্রয়োজন, সেই সব উপাদান গ্রহণ করা উচিত।

    এখানে প্রাথমিক ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে কিছু টিপস দেওয়া হল…

    ১) সবুজ শাকসব্জি

    সবুজ শাক সব্জিতে প্রচুর পরিমানে উপকারী উপাদান থাকে। থাকে প্রচুর নিউট্রিশন। তবে এতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম থাকে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শাক সব্জি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে, চোখ ভালো রাখতে, ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা কমাতে শাক সব্জির জুড়ি মেলা ভার। তাই সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সব্জি খান। তবে অবশ্যই খাবার আগে ভালো করে সব্জি ধুয়ে তবে খাবেন।

    ২) যব বা ওটস

    উচ্চ ফাইবারযুক্ত ওটস শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফাইবার সহজে হজম না হওয়ায় বারবার করে খিদে পায় না, ফলে ওজন বৃদ্ধি কম হয়।

    ৩) বীজ

    শরীরকে শক্তিশালী করতে বা শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বীজ জাতীয় খাবারের তুলনা হয় না। যে কোনও বীজ জাতীয় খাবারই শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ব্লাড সুগারের মতো রোগকে প্রতিরোধ করতে বীজ জাতীয় খাবার খুব উপকার দেয়।

    ৪) পেঁয়াজ

    মাটির নিচে যে সমস্ত সব্জিগুলি জন্মায় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা প্রভৃতি। এই সমস্ত খাবার যে শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায়, তা নয়। পেঁয়াজ রসুন খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। বিশেষ করে ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে এই সমস্ত সব্জি খেলে।

    ৫) মাশরুম

    মাশরুমকে সুপারফুড বলা হয়। এর কারণ, মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ভিটামিন। চিকিৎসকেরাও মাশরুম খেতে বলেন। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে মাশরুম খুবই উপকারী।

    ৬) বেরী জাতীয় ফল

    শরীরে এনার্জি বাড়ানোর জন্য বেরী সবথেকে উপযোগী ফল। স্ট্রবেরী, Blueberry এবং এছাড়া এই জাতীয় যে কোনও ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে এই বেরী।

    ৭) বাদাম

    ফ্যাট, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে ভরা থাকে বাদাম। তাই বাদাম খেলে আমাদের শরীরের যাবতীয় সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ওজন ঠিক রাখতে এবং ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে বাদাম খুব কাজে দেয়।

    তবে পূর্বেই বলেছি, এই টিপস গুলি মানার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
  • Blood Sugar Control: সুগার কমানোর কিছু কার্যকরী টিপস

    Blood Sugar Control: সুগার কমানোর কিছু কার্যকরী টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে গবেষণা করলে দেখা যায় প্রত্যেকটি ঘরে অন্তত একজন করে সুগারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। সুগার এখন মহামারী আকার ধারন করেছে। এটি এমন একটি রোগ যা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সুগার বেড়ে গেলে যেমন সমস্যা আবার একেবারে কমে গেলেও কিন্তু বিপদ বাড়বে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাবারের তালিকার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা। এবং খাবারের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি সুগার নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

    ব্লাড সুগার কি (Blood Sugar)?

    ব্লাড সুগার বা গ্লুকোজ হল রক্তের প্রাথমিক উপাদান। রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাকে ডায়াবেটিস (Diabatic) বলে। শর্করা মূলত সৃষ্টি হয় কার্বোহাইড্রেট থেকে। আবার শরীরে শর্করার পরিমাণ কমে গেলেও শরীরের পেশী, অঙ্গ ও স্নায়ুতন্ত্রের পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়।

    ব্লাড সুগার কমানোর কিছু কার্যকর উপায়-

     

    ১)ব্লাড সুগার কমানোর জন্য ওষুধ:-

    টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে ইনসুলিন ইঞ্জেশনের মাধ্যমে রক্তে ইনজেক্ট করা প্রয়োজন। টাইপ ২ রোগীদের সামান্য কিছু ওষুধ গ্রহণ করলেই চলে। ইনসুলিন নেবার পর তার প্রকৃত কাজ হতে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। তারপরে ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে।

    ২) সুষম খাবার গ্রহণ:-

    উচ্চফাইবারযুক্ত, স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে যব বা ওটস খাওয়া উচিত। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে বারবার খিদে পায়না। এছাড়াও পুষ্টিকর চর্বি যুক্ত খাদ্য যেমন কাঠবাদাম, বাদাম এগুলো খাওয়া প্রয়োজন তবে অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশ মেনে তা করা প্রয়োজন।

    ৩) নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস:-

    ব্লাড সুগার কমানোর উপায় আলোচনা করতে গেলে আমরা হাঁটার কথা এড়িয়ে চলতে পারি না। নিয়মিত ২৫-৩০ মিনিট হাঁটলে সুগার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম ওজন হ্রাস করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।

    ৪)মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:-

    মিষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া সুগারের রোগীদের একদমই উচিত নয়। বিশেষত চিনি। চিনি ব্লাড সুগারের লেভেল হাই করে দেয়। চিনি ছাড়া চা পান করুন। এছাড়া আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড খাবেন না। কারন এই খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রায় ক্ষতি করতে পারে। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    ৫) প্রচুর জলপানের প্রয়োজন:-

    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করলে আপনার ব্লাড সুগার সুস্থ সীমায় থাকতে সহায়তা করবে। সুগারের রোগীদের শরীর হাইড্রেট রাখা প্রয়োজন। আর তা সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পানের মাধ্যমে। নিয়মিত জল পান করলে রক্ত পুনরায় হাইড্রয়েট হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।

    ৬)পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন:-

    পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহের ক্লান্তি এবং চাপ দূর করতে সক্ষম। অতিরিক্ত চাপের কারনে সুগার হাই হয়ে যায়। তাই আপনি যদি নিজের সুগার নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ থাকতে চান তাহলে সঠিক ঘুম এবং বিশ্রামের বিশেষ প্রয়োজন।

    ৭) গ্রিন টি:-

    সুগার রোগীরা গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল পাওয়া যায়। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

    নিজেরাই একটু সতর্ক হলে সুগারের মতো মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা যেতে পারে। সুগার কমানোর উপরের এই নির্দেশগুলি অবলম্বন করে চললে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং সময়মতো ঔষধ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Diet for Flat Stomach: ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন এই নির্দেশগুলি

    Diet for Flat Stomach: ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন এই নির্দেশগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের প্রচেষ্টায় কিন্তু মোটেও ওজন কমানো যায় না। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন সময় এবং ধৈর্য্যের। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক সময়ে পরিমিত  খাওয়া দাওয়া করা উচিত। প্রায় সকলের কাছেই শোনা যায় যে তিনি ডায়েট করছেন। কিন্তু সঠিক ডায়েট করার জন্য পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ও তা কঠোর ভাবে মেনে চলাও প্রয়োজন।

    তবে নিম্নে কিছু প্রাথমিক টিপস দেওয়া হল তা মেনে চললে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কিছুটা হলেও সম্ভব।

    ফ্যাট ডায়েট (Fat Diet)-

    কম ফ্যাট যুক্ত খাবার এবং পানীয়গুলো বেছে নেওয়ার কারণেও কিন্তু ওজন কমাতে সমস্যা হতে পারে।একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, জলপাইয়ের তেল, মাছের মতো অসম্পৃক্ত উপাদানগুলি ওজন হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত। এই নিয়মটি মেনে চলা প্রয়োজন।

    উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য(High fiber food)-

    ফাইবার হলো ফল, সবজি ও শস্যের এমন অংশ যা আমাদের পাকস্থলী হজম করতে পারে না। খাবারের এই অংশগুলো ক্যালরি, ভিটামিন অথবা মিনারেল বহন না করলেও, খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত ওজন, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও পাইলস এর মতো সমস্যা প্রতিরোধেও ফাইবারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যব বা ওটস ও বার্লি উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার। ওজন নিয়ন্ত্রণে যব মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

    সামুদ্রিক খাবার (Sea Food)-

    অনেকেই জানি সামুদ্রিক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে অনেকেই জানি না। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিনের বিশেষ উৎস পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে রয়েছে omega-3 ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন “এ” এবং ভিটামিন ‘ই’। ওজন কমানো ছাড়াও সামুদ্রিক খাবারে থাকা ওমেগা থ্রি বার্ধক্য লক্ষণ দূর করে।ত্বকের বলি রেখা, ব্রণ, পিগমেন্টেশ্যান, ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে।
    এছাড়াও সামুদ্রিক খাবার চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ এবং ওমেগা-৩, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

    কাঠবাদাম (Almond)-

    কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান থাকে। কাঠবাদামের উপকারী ফ্যাট শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অ্যার্টারিকে ক্ষতিকর প্রদাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।

    ব্ল্যাক কফি(Black Coffee)- কফির মত পানীয়তে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করেন তাহলে সেটা আরও উপকারী। এতে কোনও রকম ক্যালোরি জমবে না শরীরে। তবে বেশি পরিমাণে কফি পান করা উচিত নয়। তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মনে রাখবেন, কোনও জিনিসই অতিরিক্ত ভাল নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Diabetes Diet: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগীদের এই খাবারগুলি গ্রহন করা উচিত

    Diabetes Diet: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগীদের এই খাবারগুলি গ্রহন করা উচিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল রোগ। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রার সুস্থ পরিসর বজায় রাখলে এই রোগ সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীর চর্চা, পরিমাণ মতো জল খাওয়া, ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি সহ সামগ্রিক জীবনযাত্রার দিকে যত্ন রাখার পাশাপাশি খাদ্যাভাসের দিকটিও নজর রাখতে হবে। গবেষনায় জানা গিয়েছে কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দৈনিক খাবারে ২০ থেকে ৯০ গ্রামের মধ্যেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ উচিত। তবে কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া মানে এই নয় যে, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বন্ধ করে দেওয়া।কার্বোহাইড্রেটযুক্ত কিছু খাবারে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা একটি সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শিশুদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া উচিত নয় কারণ তা তাদের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য কেন উপকারী?

    ১৯২১ সালেও ইনসুলিন আবিস্কারের আগে ডাক্তাররা কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যগ্রহণের সুপারিশ করত। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য গ্রহণকে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বলে মনে করেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অন্তত তিন বছর কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে এর ভালো ফল পাবেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খুব কম দিনেই এর রেজাল্ট দেখতে পারে। 

    কম হাইড্রেটযুক্ত কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

    • সকালে উঠে- সারারাত ধরে জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জলটা ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
    • জলখাবার- ডিমের সাদা অংশ ,সব্জি দিয়ে ডিমভাজা, সরতোলা ঠান্ডা দুধের কফি এবং দুটো আখরোট।
    • দুপুরের খাবার- বেসন ও লাল আটা মিশিয়ে বানানো রুটি, তার সঙ্গে ডাল, শাক, দই আর সবুজ স্যালাড।
    • রাতের খাবার- পনির টিক্কা ও চিনি ছাড়া তাজা লেবুর শরবৎ।

    যে খাবারগুলি রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত

    যে সব খাবারে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে সেই সব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

    1. পাঁউরুটি, পাস্তা, ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্যজাত খাবার।
    2. শ্বেতসারযুক্ত সব্জি যেমন আলু, রাঙালু, ওল, কচু
    3. মটর, ডাল, বীনের মত সব্জি ( সবুজ বীন আর মটরশুঁটি ছাড়া)
    4. দুধ
    5. সোডা মিশ্রিত শরবৎ বা চিনি দেওয়া চা।
    6. বিয়ার এবং অন্যান্য অ্যালকোহলজাত পানীয়
    7. মিষ্টি বা আইস ক্রিম

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Brain Health: মানসিক উদ্বেগ কমাতে গ্রহন করুন এই খাবারগুলি

    Brain Health: মানসিক উদ্বেগ কমাতে গ্রহন করুন এই খাবারগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন হোক বা কর্মক্ষেত্রের কোনও জটিলতায় মানসিক উদ্বেগের শিকার কমবেশি সকলেই। বিশেষ করে এই কোভিড পরিস্থিতিতে অবসাদ যেন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরছে সকলকে। উদ্বেগের মেঘ কাটাতে কেউ চুমুক দেন মদের গ্লাসে আবার কেউ ভরসা রাখেন ধূমপানে। সাময়িক ভাবে এগুলি কাজে এলেও পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।মানসিক উদ্বেগ কমায় আবার একই সঙ্গে শরীরেরও যত্ন নেয়, রইল এমন কিছু সুস্বাদু খাবারের সন্ধান।

    অ্যাভোকাডো(Avocado)

    বাজারে অ্যাভোকাডোর বিভিন্ন জুস পাওয়া যায়। তবে মুখ কুঁচকে যদি এই দামী ফলটি খাওয়ার অভ্যাস রাখতে পারেন, তাহলে টেনশন নিয়ে ‘টেনশন’ দূরে চলে যাবে। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড। ফলে তা শরীরের পক্ষে খুবই ভাল।

    মদ নয়, পান করুন চা (Green Tea)

    চাপ বা চিন্তা থেকে দূরে থাকতে চায়ের কার্যকারিতার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।গ্রিন টি, ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইল ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ চা স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এ ছাড়াও চা পানের অভ্যাস শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে দেয়।

    ডার্ক চকোলেট (Dark Chocolate)

    ডার্ক চকোলেট স্ট্রেস কমানোর জন্য অন্যতম সেরা খাবার। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর এই খাবার স্ট্রেস হরমোনকে নামিয়ে দেয়।

    বাদাম (Nut)

    কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদামে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এবং সবচেয়ে উপকারী উপাদান ম্যাগনেশিয়াম, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সচল রাখতে সাহায্য করে।

    বেরি জাতীয় ফল (Berry)

    ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ফলগুলি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সচল ও সজীব রাখে।

    ভিটামিন সি (Vitamin C)

    কমলালেবু, আঙুর, গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি, লেটুস পাতার মতোকিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার স্নায়ুকে শান্ত রাখতে এবং উদ্বেগ কমাতে অত্যন্ত সহায়ক।

    আর নিউট্রিশিয়ানরা বলছেন, মাছ খেলে স্ট্রেস কমে। হার্ভাড হেল্থ ব্লগের তথ্য অনুযায়ী, ওমেগা থ্রি সম্পন্ন ‘ফ্যাটি ফিশ’ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Stroke Day: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    World Stroke Day: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী, গত কয়েক বছরে মানুষের স্ট্রোকের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।এটি এমন একটি রোগ যেটি রোগীকে আজীবন প্রতিবন্ধী করে তুলতে পারে এবং এমনকি স্ট্রোকের ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বিশ্বের সকল মানুষকে স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস'(World Stroke Day)পালন করা হয়।

    প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বের কোনো না কোনো প্রান্তে কেউ না কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি চারজনের একজন জীবন অন্তত একবার স্ট্রোকের কবলে পড়ে। প্রতি বছর অন্তত দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোক করে থাকেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করেছেন যে, ২০৩০ সালেই স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৭ মিলিয়নে বৃদ্ধি পাবে।

    চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ক্রমাগত পরিবর্তিত জীবনধারা এবং অনিয়মিত রুটিনের কারণে শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও স্ট্রোকের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে, ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ) দ্বারা প্রকাশিত একটি তথ্য জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, যারমধ্যে ৬.২ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় । মানুষ অক্ষম হয়ে পড়ে। উল্লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ভারতে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    স্ট্রোকের সময় আবহাওয়া কী ভূমিকা পালন করে?

    বেশ কিছু গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঠান্ডা আবহাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

    বিশেষজ্ঞরা আরও জানান যে, অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রার সময়, রক্ত ​​ঘন এবং আঠালো হয়ে যায়, ফলে রক্ত সহজেই জমাট বেঁধে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীকে বন্ধ করে দেয়।এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।

    স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণ

    • তীব্র মাথাব্যথা
    • শরীরে বিশেষ করে মুখ, পা অসাড়তা
    • পক্ষাঘাত
    • কথা বলতে বা বুঝতে সমস্যা হওয়া
    • দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, এবং কখনও কখনও দৃষ্টি কালো এবং ঝাপসা হয়ে যাওয়া
    • বমি বমি ভাব
    • মাথা ঘোরা

    প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস

    মদ্যপান কমানো পারলে বন্ধ করা : অ্যালকোহল রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। নিয়মিত অ্যালকোহল পানের ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    ধূমপান ত্যাগ: নিয়মিত ধূমপানের ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই ধূমপান কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ধূমপান ছাড়ার উপায় জানতে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

    জীবনযাত্রার পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাই কিন্তু স্ট্রোক প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল এবং শাকসবজি যোগ করুন। লবণ খাওয়া সীমিত করুন।

    শারীরিক কসরত: ওজন বজায় রাখতে, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন হালকা কার্ডিয়ো করুন। তবে ব্যায়াম অবশ্যই নিজের সক্ষমতার সীমার মধ্যে করুন। জোর করে শরীরকে কষ্ট দেবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Covid 2022: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    Covid 2022: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) হুশিয়ারির পরেই ফের করোনার গ্রাফ বাড়ল।শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার তিনশো চৌত্রিশ জন এবং ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনই কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা। যদিও এর মাঝে মন্ত্রক স্বস্তির খবর জানিয়েছে, ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সক্রিয় কেস কমেছে ১.৫২ শতাংশ হারে। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ২১৯.৫৬ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। 
    এদিকে শীতের মতো মরশুমে এমনিতেই ফ্লুয়ের সম্ভাবনা বেশী থাকে। এমন সময় করোনার প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগেভাগেই সতর্ক করেছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) করোনার এই প্রকোপ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের বুস্টার ডোজ নেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ভারতে এর আগে বয়স্ক ব্যক্তিরা এই রোগে বেশী সংক্রমিত হওয়ায় তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    [tw]


    [/tw] 

    বর্তমানে চিনেও নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।চিনের মঙ্গোলিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের বিএ.৫.১.৭ (Omicron BA 5.1.7) এবং বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    [tw]


    [/tw] 

    এদিকে উৎসবের মরশুমে লাগামছাড়া মনোভাবের কারণে ভারতে পুনরায় করোনার ঢেউ আসতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুজরাটে মারা গিয়েছেন এক ব্যক্তি।
    এমত অবস্থায় সরকারের কাছে পুনরায় জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Heart: হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন

    Healthy Heart: হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাপনের ফলে, হৃদজনিত সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কমবেশি দেখা দিচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের অভিযোগ বেশি করে থাকেন হার্টের রোগীরা।এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও আহারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনার জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন।

    হার্টকে (Healthy Heart) সুস্থ রাখতে এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে-

    ময়দা জাতীয় খাবার (Flour Related Food)

    ময়দা জাতীয় খাবার মূলত রুটি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।ময়দা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে, ময়দার তৈরী রুটি খাবারে সোডিয়ামের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।

    বাটার বা বাটার জাতীয় খাবার (Butter Related Food)

    হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাখন কখনোই ভালো নয়। অনেকেই ভেজিটেবল অয়েল থেকে তৈরী মার্জারিনকে ( Margarine) স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন। মার্জারিনে থাকা ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ায়। বাজারে পাম তেল দিয়ে তৈরী মার্জারিনে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহা্য্য করে।

    দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য (Dairy Food)

    দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যে দুধের চর্বিতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। বাদাম, কাজু বা সয়ার দুধের থাকা অসম্পৃক্ত চর্বি হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর।তবে গরুর দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে তবে ক্যালসিয়ামের জন্য বাদাম, ব্রোকলি, কমলা, মটরশুটি, এডামেম, ডুমুর খাওয়া যেতে পারে।

    ডিমের কুসুম (Egg Yolk)

    হার্টের রোগীদের অবশ্যই ডিমের কুসুম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে, ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনও ক্ষতি নেই। বরং, আচমকা ডিম খাওয়া বন্ধ করাও উচিত নয়। কারণ, তাতে ভিটামিন এ ও বি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলত, অল্পমাত্রায় ডিম খাওয়া যেতে পারে।

    মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় দ্রব্য (Sugar Related Foods)

    আপনি যদি বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি খান, তাহলে, শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা থেকে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ হতে পারে। ফলে, হার্টের রোগীদের বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

    তবে, এই নির্দেশ গুলি পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share