Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Heat Wave: আবার চড়ছে তাপমাত্রা! গরমে কোন পাঁচটি বিপদ থেকে সাবধান থাকবেন?

    Heat Wave: আবার চড়ছে তাপমাত্রা! গরমে কোন পাঁচটি বিপদ থেকে সাবধান থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঝড়-বৃষ্টির সাময়িক স্বস্তি কাটিয়ে ফের চড়ছে তাপমাত্রার পারদ (Heat Wave)। তীব্র তেজ আর ঘাম বাড়াচ্ছে অস্বস্তি। তার মধ্যেই চলছে স্কুল, কলেজ, অফিস। অনেকেই কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে থাকছেন। 

    কোন পাঁচ বিপদ অপেক্ষা করছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় (Heat Wave) বাইরে থাকলে পাঁচটি বিপদের ঝুঁকি তৈরি হয়। হিট স্ট্রোক, হিট এক্সশন, হিট ক্র্যাম্প, সান বার্ন আর হিট Rash। 

    হিট স্ট্রোকের উপসর্গ কী কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখেই বোঝা যাবে, গরমে (Heat Wave) হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে কিনা। উপসর্গগুলি হল শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাওয়া, জ্বর না থাকলেও আচমকা শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং হাত-পায়ে ঝিমঝিম ভাব, পেশির শক্তি হঠাৎ কমে আসা, চোখ-নাক লাল হয়ে ওঠা, নাক দিয়ে হঠাৎ জল পড়তে থাকা, জ্ঞান হারানো বা চেতনা কমে যাওয়া। 

    কোনও ব্যক্তির হিট স্ট্রোক হলে কীভাবে সাহায্য করবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরমে (Heat Wave) হঠাৎ কোনও ব্যক্তিকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখলে প্রথমেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ, হিট স্ট্রোক একটি জরুরি চিকিৎসার তালিকায় থাকা বিষয়! তাই রোগীর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে কয়েকটি প্রাথমিক চিকিৎসা করলে রোগী উপকার পাবেন। যেমন আক্রান্তকে ঠান্ডা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। তার শরীর ঠান্ডা করা জরুরি। তাই ভিজে কাপড় বা ভিজে তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিতে পারলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে, কখনই তাকে ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আগে শরীরের উত্তাপ কমাতে হবে, তারপর পানীয় দিতে হবে। 

    হিট এক্সশনের উপসর্গ কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমে (Heat Wave) হিট এক্সশন হলে ঘাম মারাত্মক হবে। চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। বমি ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। দুর্বলতা ও ক্লান্তি বোধ হবে। 

    হিট এক্সশন থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, অতিরিক্ত ঘাম হলেই জল খেতে হবে। পরিমাণ মতো জল পান করলে হিট এক্সশন এড়ানো যেতে পারে। গরমে (Heat Wave) শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বারবার স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    হিট ক্র্যাম্পের উপসর্গ কী? 

    গরমে (Heat Wave) হিট ক্র্যাম্পের সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ হিট ক্র্যাম্প স্পষ্ট করে। যেমন, পেশিতে টান ও যন্ত্রণা। গরমে বারবার পেশিতে টান ও যন্ত্রণা অনুভব হলে বুঝতে হবে হিট ক্র্যাম্প হয়েছে। 

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত গরমে (Heat Wave) শারীরিক কসরৎ কিছুটা কমানো জরুরি। বিশেষত যাঁদের হিট ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। তাতে শারীরিক অস্বস্তি কমবে। পাশপাশি ডাবের জল, ফলের সরবৎ খাওয়া দরকার। তাতে দূর্বলতা কমে এবং ঘামের ফলে যে ক্লান্তি বোধ হয়, তাও কমে যায়। 

    সান বার্ন ও হিট Rash এর উপসর্গ কী কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত সময় রোদে (Heat Wave) থাকলে সান বার্ন ও হিট Rash-এর মতো ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। চামড়ায় লাল দাগ। ঘাড়, মুখ ও গলায় ব্রণোর মতো গুটি দেখা দেয়। চামড়া অনেক সময় গরম হয়ে যায়। 

    কীভাবে কমাবেন সান বার্ন ও হিট Rash? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাইরে থেকে (Heat Wave) ফিরে অবশ্যই ঠান্ডা জলে স্নান করতে হবে। যেসব জায়গা লাল হয়ে গিয়েছে, তাতে বারবার জল দিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার লাগালে চামড়া নরম হয়, তাতে সান বার্ন কমে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্টোররুমে থেকে নষ্ট হয়েছে করোনা (Covid 19) টিকার ৫০ হাজার ডোজ। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ বাড়তেই টিকাকরণে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর সময়মতো বুস্টার ডোজ না মেলায় বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে করোনার নতুন প্রজাতি। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকার ভান্ডার প্রায় শূন্য। তাই বিশেষজ্ঞ মহল করোনার নতুন প্রজাতির মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। 

    করোনার নতুন প্রজাতির প্রকোপ কীভাবপ বাড়ছে রাজ্যে?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতির প্রকোপ বাড়ছে। করোনার পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিশেষত কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার যে করোনা টিকা, তা আপাতত পর্যাপ্ত নেই রাজ্যের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, সময়মতো বুস্টার ডোজ দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনওরকম উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নেওয়া হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন রাজ্যের বিভিন্ন সেন্টারে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন পড়ে ছিল। 

    কীভাবে নষ্ট হল করোনার টিকা?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের ভান্ডারে কয়েক লাখ করোনা (Covid 19) টিকা ছিল। কিন্তু সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ৩১ মার্চের মধ্যে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যেত। একদিকে যেমন এত টিকা নষ্ট হলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হত, তেমনি বহু মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন। তাই দিল্লির তরফে জানানো হয়, টিকা অন্য রাজ্যে পাঠানো হোক। রাজ্য ব্যবহার করতে না পারায়, কয়েক মাস আগে ১০ লাখ কোভিশিল্ড পাটনায় পাঠানো হয়েছে। আর আড়াই লাখ কোভিশিল্ড গিয়েছে হায়দরাবাদ। কিন্তু তারপরেও ৫০ হাজার টিকার ডোজ রাজ্যের স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। 

    টিকা দেওয়ার তৎপরতাই নেই

    করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার পরেও রাজ্যের তরফে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতা নজরে আসেনি বলেই অভিযোগ করছে একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যে করোনা টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গোটা রাজ্যে দৈনিক করোনা বুস্টার নেওয়ার সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২০০-২৫০ জন। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আপাতত করোনা টিকার ভান্ডার প্রায় খালি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও যে সংখ্যক ডোজ রয়েছে, তা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চললে এবং প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার জন্য আবেদন করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হতে পারত। 

    কী জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা?

    যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টিকা পাঠানোর আবেদনও করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য মনে করছে, রাজ্যের টিকাকরণের বিষয়ে আরও বেশি তৎপরতা জরুরি ছিল। করোনার মতো মহামারি রুখতে টিকা নেওয়ার জন্য লাগাতার প্রচার জরুরি। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এ তো স্পষ্ট। তাই করোনার (Covid 19) টিকা ও বুস্টার ডোজ নেওয়া কতখানি জরুরি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব সরকারের। ঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ নিলে মোকাবিলা আরও সহজ হত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। সাতদিন বন্ধ থাকার পরে ফের সোমবার থেকে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল খুলছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ কয়েকদিন কম। তাই আপাতত তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে। হয়তো চলতি সপ্তাহে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে, চিকিৎসক মহলের চিন্তা করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রমের থেকেও দেড়গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর শক্তি আছে এর। তাই সচেতনতা আরও বেশি জরুরি। 

    কতখানি নিরাপদ পড়ুয়ারা?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহে যেমন তীব্র দাবদাহ ছিল, তাতে অনেকেই অসুস্থ। তারপরে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই আছে। ফলে অনেকের শরীর দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই করোনার (Covid 19) এই নতুন প্রজাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। তাছাড়া স্কুল পড়ুয়াদের বড় অংশের টিকাকরণ হয়নি। তাই তাদের জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেশি। 

    কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সর্দি-কাশি থাকলে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। কারণ, যে কোনও ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর যেমন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে, তেমনি অন্যদের রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করলে বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। পড়ুয়াদের স্কুল চলাকালীন মাস্ক (Covid 19) পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু স্কুল চত্বরে নয়, যাতায়াতের পথেও মাস্ক জরুরি। স্কুলে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, পড়ুয়াদের বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস যেন থাকে, সে দিকে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

    টিফিন নিয়ে কী পরামর্শ?

    সবচেয়ে জরুরি স্কুলের টিফিন পর্ব! কারণ ওই বিরতিতে যেমন চলে খাওয়া, আবার শিশুরা খেলাধূলার সুযোগ পায়। তখন শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক বিধি কতখানি বজায় থাকবে, সে নিয়ে সংশয় থাকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে, শিশুদের টিফিনে অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার কিংবা পিৎজা, বার্গার, হটডগের মতো প্রিজারভেটিভ খাবার একেবারেই দেওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরের তৈরি হাল্কা, সহজপাচ্য খাবার থাকুক টিফিনের মেনুতে। তার উপরে করোনা (Covid 19 সংক্রমণ রুখতে, স্কুলে খাওয়ার আগে পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে, সেদিকেও যেন নজর দেওয়া হয়। খাবার ভাগ করে এই সময়ে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে জরুরি টিকাকরণ। যে সব স্কুলপড়ুয়া টিকা নেওয়ার উপযুক্ত, তাদের টিকাকরণ হওয়া জরুরি। টিকা না নিলে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে। তাই পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্পর্কে জানা আর রোগ নির্ণয় করাই যথেষ্ট নয়। রোগীর শয্যার পাশে থেকে দিতে হবে পরিষেবা। রোগীর রোগ নির্ণয় করেই দায়িত্ব শেষ নয়। বরং রোগীর সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, প্রত্যেক রোগীর বিশেষ কোন ধরনের চাহিদা রয়েছে, তা বুঝে তবেই শুরু করতে হবে চিকিৎসা (Treatment)। এর জন্য জানতে হবে স্থানীয় ভাষা। যাতে রোগীর সমস্যা বোঝা এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন চিকিৎসা পড়ুয়াদের জন্য এক নয়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে। সেই নির্দেশিকাতেই চিকিৎসা পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতেই থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিভিন্ন বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় একদিকে যেমন তাঁদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, তেমনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের দক্ষ কর্মীর ঘাটতিও পূরণ হয়। বিশেষত এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই নির্ভর করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরেই। তাই তাঁদের প্রশিক্ষণ বিশেষ জরুরি। 

    সমস্যা কোথায়? 

    সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে বারবার রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে চিড় দেখা গিয়েছে। রোগী ও রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক হেনস্থার যেমন একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তেমনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নানান সময়ে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের এই অবনতি ঠেকানো জরুরি। তাই চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াকালীন পড়ুয়াদের নিজেদের দায়িত্ব (Treatment) ও পেশা সম্পর্ক বিশেষ ওয়াকিবহাল হতে হবে। আর সেই কারণেই সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন নতুন নির্দেশ জারি করছে।

    চিকিৎসক-পড়ুয়াদের জন্য কী নয়া নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)? 

    ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, রোগীর সমস্যা বুঝতে এবং রোগীকে ঠিকমতো পরামর্শ দেওয়ার জন্য যে এলাকায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করছেন, সেই এলাকার ভাষা অর্থাৎ স্থানীয় ভাষা অবশ্যই জানতে হবে। যাতে কথা বলতে কোনও অসুবিধা না হয়। অধিকাংশ সময়েই যোগাযোগের সমস্যা থেকেই নানান জটিলতা দেখা দেয়। ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্কের অবনতির ক্ষেত্রে যোগাযোগের সমস্যাই সবচেয়ে বড় কারণ। তাই রোগী যে ভাষায় কথা বললে বুঝতে পারবেন, সেই ভাষাতেই সহজে রোগীকে বোঝার দক্ষতা অর্জন করতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। পড়া চলাকালীন চিকিৎসক পড়ুয়াদের বোঝাতে হবে ভারতের আধুনিক চিকিৎসায় (Treatment) স্নাতক হওয়ার পরে, চিকিৎসক হিসাবে তার একটি বিশেষ সামাজিক দায়িত্ব থাকবে। তা সে কোনও পরিস্থিতিতেই অস্বীকার করতে পারবে না। রোগের উপসর্গ জানলেই হবে না। প্রত্যেক রোগীর নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকে। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর সেই বিশেষ চাহিদার দিকেও চিকিৎসককে নজর দিতে হবে। তবেই রোগীর চিকিৎসকের প্রতি আস্থা মজবুত হবে। রোগীর পরিষেবা দেওয়ার চাপে অনেক সময়েই চিকিৎসকেরা নিজেরাও মানসিক চাপ ও অবসাদে ভোগেন। তাই ছাত্রাবস্থা থেকেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রয়োজন মতো কাউন্সেলিং করতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁরা চিকিৎসক-শিক্ষকদের সাহায্য নেবেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, চিকিৎসক-পড়ুয়াদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এমন হতে হবে, যাতে তাঁরা সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। 

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কী বলছেন?

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের এই নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশেষত রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে বিশেষ উন্নতির পথ দেখাবে বলেই আশা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সঙ্গে হাসপাতালে অধিকাংশ সময়েই সরাসরি যোগাযোগ হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাই তাদের ভূমিকার প্রভাব সবচেয়ে বেশি রোগীর উপরে থাকে। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো নিলে জুনিয়র চিকিৎসকেরাও কীভাবে রোগীদের সামাল (Treatment) দেবেন, সেই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন ও স্পষ্ট ধারণা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Infection: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে ফুসফুসের বিপদ, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lungs Infection: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে ফুসফুসের বিপদ, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা বেশ চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। সপ্তাহের শুরুতে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে গিয়েছিল, এক ধাক্কায় তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে, কয়েক দিনের মধ্যে ফের শুরু হবে তাপপ্রবাহ, এমনই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর! আর তাপমাত্রার এই ঘনঘন রকমফের বাড়াচ্ছে বিপদ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমে অতিরিক্ত এসিতে থাকার কারণে ফুসফুসের নানা সংক্রমণঘটিত (Lungs Infection) রোগ বাড়ছে। তার উপরে আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন ভাইরাসঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপপ্রবাহের সময় মাথা ঝিমঝিম, ক্লান্তি বা পেশিতে টানের মতো সমস্যার পাশাপাশি জ্বর-সর্দি ও কাশির সমস্যাতেও অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত শিশুরা মারাত্মকভাবে ভাইরাসঘটিত রোগের শিকার হচ্ছে। 

    বিপদ কোথায়? 

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম থেকে বাঁচতে অধিকাংশ সময়ই শিশুরা এসি ঘরে থাকছে। আবার হঠাৎ করেই তারা এসি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তারা এসি বন্ধ করে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে না। আর এতেই তাদের সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। তাছাড়া, অতিরিক্ত এসি ঘরে থাকলে ফুসফুসের সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, এসি ঘরে জানালা-দরজা বন্ধ থাকে। বদ্ধ পরিবেশ ও সূর্যের আলো ঢুকতে না পারায় ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কাশি দীর্ঘদিন থাকছে। 

    বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন?

    পালমনোলজিস্টদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগে রাজ্যজুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট ছিল। বহু শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। কখনও মারাত্মক গরম, আবার একদিনের ব্যবধানেই কয়েক ডিগ্রি পারদ নেমে যাওয়া, সব মিলিয়ে এই পরিবর্তনের সঙ্গে দেহ মানিয়ে নিতে পারছে না। তাই শিশুদের দেহে ফের ভাইরাস সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ভোগান্তি বেশি হবে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় বাচ্চাদের কাশি কমছে না। কাফ সিরাপ, এমনকী অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হচ্ছে না। 
    তবে শিশুদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও এই আবহাওয়া বিপদ বাড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত নানান শারীরিক সমস্যার পাশপাশি ভাইরাসঘটিত রোগে সংক্রমণও হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জ্বর ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের এসি ঘরে রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ঘরের তাপমাত্রা কখনই মারাত্মক কম করা যাবে না। তাঁদের পরামর্শ, ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এসি ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই গরমে ঘরের তাপমাত্রা ১৬-১৮ ডিগ্রি করে রাখেন। এটা শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না। ফলে, নানান রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 
    শিশুদের কাশি বা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। কোনও রকম অবহেলা বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে বলেও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 
    শিশুদের ক্ষেত্রে আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অনেকেই ঠান্ডা পানীয় নিয়মিত খায়। এরফলে ফুসফুসে সংক্রমণের (Lung Infection) ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

    ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে উর্ধ্বমুখী! কিন্তু তার মধ্যেও কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে, ঘামও হচ্ছে প্রচুর। শরীর ঠান্ডা আর সুস্থ রাখতে অনেকেই তাই সঙ্গী করছেন ওআরএসের (ORS) প্যাকেট। গুঁড়ো প্যাকেট নয়, একেবারে তৈরি প্যাকিং ওআরএস। জলে গোলার ঝামেলা নেই। এমনকী আপেল, আনারস কিংবা কমলালেবুর নানান রকমারি স্বাদের তৈরি জিনিস! গরমে তেষ্টা মেটানোর সঙ্গে দিচ্ছে আরাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করছেন, সেখানে বিপদ লুকিয়ে আছে কি না, দেখে নিয়েছেন তো? আসুন, তার আগে শুরুতেই জেনে নিই, এই ওআরএস আসলে কী?

    ওআরএস কী? 

    শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে ওআরএস (ORS) অত্যন্ত কার্যকর। অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা কলেরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেহে ডিহাইড্রেশন রুখতে ওআরএস বিশেষ কাজ দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০২ সালে ওআরএস অর্থাৎ, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টে কী কী উপাদান কত পরিমাণ থাকবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, অনেক কোম্পানিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ওআরএস তৈরি করছে না। ফলে, সেসব ক্ষেত্রে উপকারের থেকে ক্ষতির ঝুঁকিই বাড়ছে। অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওআরএস-এর নামে যা বিক্রি করছেন, তা কেবল প্যাকিং ঠান্ডা পানীয় ছাড়া কিছুই নয়। তাতে শরীরের জন্য লাভ তো নেই। বরং, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। 

    সমস্যা কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু জায়গায় এমন কিছু সুস্বাদু পানীয় প্যাকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে, যাকে বিক্রেতারা ওআরএস বলছেন। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই ওআরএস (ORS) কিনা, তা যাচাই করছেন না। ওই প্যাকেট পানীয় শিশুদের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। শিশুদের পেটের সমস্যা হলে কিংবা অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে গেলে ওই ধরনের প্যাকেট পানীয় বিপদ বাড়াচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই সব পানীয়তে যে উপাদান থাকে, তাতে দেহে পটাসিয়াম, সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এমনকী ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের ওআরএস দেওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক ও যাচাই জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কীভাবে চিনবেন ওআরএস? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  ফর্মুলা ওআরএস-র (ORS) প্যাকেটে ছাপা আছে কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে ওষুধ দোকান কিংবা যে কোনও বিক্রেতার কথায় ওআরএস হিসাবে অন্য কোনও পানীয় কিনলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দোকানের প্যাকেট ওআরএস-এর পরিবর্তে বাড়িতে নুন-চিনি মিশিয়ে জল খেলেও একরকম উপকার হবে। তবে, যাদের ডায়বেটিসের বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের যে কোনও পানীয় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণ নুন, চিনি তাদের শরীরে অন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: আজ বিশ্ব লিভার দিবস, জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কী করবেন

    World Liver Day: আজ বিশ্ব লিভার দিবস, জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কী করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ এপ্রিল। বিশ্বজুড়ে পালিত হবে বিশ্ব লিভার দিবস (World Liver Day)। ইদানিং লিভার সংক্রান্ত নানা রোগে ভুগছেন বহু মানুষ। তাই লিভার ঠিক রাখতে গরমে কী কী খাওয়া প্রয়োজন, আর কী কী খাবেন না, তা জেনে রাখা দরকার। লিভার ঠিক রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন প্রতিদিন নিয়ম করে আমলকির রস খাওয়া। লিভার পরিষ্কার করতে এর জুড়ি মেলা ভার। আমলকিতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের পক্ষে বেশ উপকারী। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রতিদিন ১ কিংবা ২ কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। রসুনে রয়েছে এনজাইম। এনজাইম লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে।

    বিশ্ব লিভার দিবস (World Liver Day)…

    খাদ্য তালিকায় রাখুন এক বাটি করে পাকা পেঁপে। লিভার (World Liver Day) ভাল রাখতে পাকা পেঁপে নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকুক টক দইও। দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক্স, উপকারী ব্যাকটেরিয়া। লিভার ভাল রাখতে নিয়মিত এক বাটি করে দই খান। প্রতিদিন ব্রোকোলি, ফুলকপি এবং বাঁধাকপির মতো সবজিও খেতে পারেন। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারগুলি লিভার ভাল রাখে। প্রতিদিন এক বাটি করে এই সবজি সেদ্ধ খেলে লিভার ভাল থাকবে।

    নিয়মিত আখের রস খেলেও ভাল থাকে লিভার। লিভার ডিটক্স করতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মুলোও খান নিয়মিত। লিভারে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে নিত্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। লিভার ভাল রাখতে প্রতিদিন বিটের রস খান। এতে রয়েছে নাইট্রেট, বিটালাইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসবই লিভারের পক্ষে বেশ উপকারী। হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক। দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে ভাল থাকবে লিভার।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    লিভার ভাল রাখতে গরমে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিয়ম করে ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে একদিকে যেমন ভাল থাকবে লিভার (World Liver Day), তেমনি অন্যদিকে ভাল থাকবে শরীরও। নিত্যদিনের ডায়েটে দু থেকে তিনটি গোটা ফল খান। নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন। হাঁটা, সাঁতারকাটার মতো কাজগুলিও করলে ভাল। লিভার ভাল রাখতে চাইলে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত মদ্যপানে হতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Jackfruit: চলছে এঁচোড়-কাঁঠালের মরসুম! জানুন এর খাদ্যগুণ

    Jackfruit: চলছে এঁচোড়-কাঁঠালের মরসুম! জানুন এর খাদ্যগুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষকরা বলছেন যে এঁচোড় (Jackfruit) নিরামিষাশীদের জন্য ভরপুর প্রোটিনের উৎস। এঁচোড়কে নিরামিষ মাংস বা গাছ পাঁঠাও অনেকে বলে থাকেন, এঁচোড় (Jackfruit) থেকে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। অন্যান্য সবজির তুলনায় এতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

    এঁচোড়ের রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, থায়ামিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লাবিন, আয়রন, নিয়াসিন, ফাইবার এবং জিংক এর মত পুষ্টি উপাদান এঁচোড়ে থাকে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।

    এক নজরে আমরা জেনে নেব এঁচোড় (Jackfruit) স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী

    ১) এঁচোড় (Jackfruit) ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্বাস্থ্যবিদদের মতে, আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এক্ষেত্রে এঁচোড় খুব ভাল একটি খাদ্য উপাদান হতে পারে। এঁচোড়ে থাকে রেসভ্রাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মোটা হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

    ২) এঁচোড় (Jackfruit) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    ৩) এঁচোড় (Jackfruit) চোখের জন্য খুব উপকারী

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড়ে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এটি চোখের জন্য খুবই উপকারী মানা হয়।

    ৪) হার্টের জন্য উপকারী এঁচোড় (Jackfruit)

    পুষ্টিবিদরা বলছেন যে এঁচোড় হার্টের জন্য উপকারী।  এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

    ৫) হজমের জন্য উপকারী

    হজমের সমস্যা যদি থাকে তাহলে এঁচোড় খুব ভালো ফল দেয় বলে মনে করা হয়।

    ৬) ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

    পুষ্টিবিদদের মতে এঁচোড় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৭) ত্বকের জন্য উপকারী

    এঁচোড়ে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলছেন চিকিৎসকরা।

    ৮) এঁচোড় (Jackfruit) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

    এঁচোড় ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়, এমনটাই বলছেন, পুষ্টিবিদরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙানি করোনার (Covid)। নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)  সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। মার্চ মাসে এ দেশের সংক্রমণের পরিসংখ্যান দেখে সে কথাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বা INSACOG বুলেটিন।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন এবং তার সাবভ্যারিয়েন্টরাই এখন দ্রুত হারে  সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি।
    ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট হল করোনা এক্সবিবি (XBB) প্রজাতির জিনগতভাবে পরিবর্তিত (Genetically Mutated) রূপ। এই প্রজাতিকে ওমিক্রনের এক্সবিবি উপরূপেরই নিকট আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওমিক্রনের BA.2.10.1 এবং BA.2.75 উপপ্রজাতির সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। বিশেষজ্ঞদের তাই অনুমান, ওই দুই উপপ্রজাতি বদলে গিয়েই এই নয়া রূপ তৈরি করেছে।
    জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

    আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    ১২ টি দেশেই চলছে নতুন প্রজাতির দাপট

    জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ১২টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি, নাম এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। INSACOG জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার আক্রান্তের থুতু-লালার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ওই প্রজাতির হদিশ মিলেছে। ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে সে জন্য করোনা টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Boost Brain Function: জানুন ৮ সুপারফুড সম্পর্কে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    Boost Brain Function: জানুন ৮ সুপারফুড সম্পর্কে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের মতে, মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরনগুলি দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রভাবিত হয়। চর্বি এবং শর্করা সমৃদ্ধ যেকোনও অস্বাস্থ্যকর খাবার মস্তিষ্কের নিউরনের ক্ষতি করতে পারে। এরফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার (Boost Brain Function) উপর প্রভাব পড়ে।

    অন্যদিকে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এই জাতীয় ডায়েট স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়। সুতরাং, সুষম খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে।

    এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে জানব যেগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

    ১. ব্লুবেরি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ব্লুবেরি রাখুন এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা (Boost Brain Function) বাড়বে। এগুলিতে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ট্রেস থেকে আমাদের দূরে রাখে। 

    ২. আখরোট

    পুষ্টিবিদদের মতে,  আখরোট ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আখরোটে থাকে  পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই , যা আরেকটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 

    ৩. হলুদ

    গবেষকরা বলছেন, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, একটি একধরনের যৌগ যা প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

    ৪. পালং শাক

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, পালং শাক বা এই জাতীয় শাক-সবজিতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এগুলিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। পাশাপাশি এতে রয়েছে ফোলেট, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, তারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগগুলিতে উচ্চ।
    ৫. অ্যাভোকাডো

    চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাভোকাডো মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই ভাল। এগুলিতে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। 

    ৬. স্যামন মাছ

    স্যামন একটি ফ্যাটি মাছ যা ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ এবং ইপিএ সমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদদের মতে, এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    ৭. ডিম

    ডিমে থাকে পুষ্টি উপাদান কোলিন। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ডিমে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-ও থাকে।

    ৮. ডার্ক চকোলেট

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। এগুলিতে ক্যাফিন এবং থিওব্রোমাইনও রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share