Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, এই দিবসটি প্রথম পালিত হয় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা জোনাস এডওয়ার্ড সল্কের জন্মবার্ষিকী স্মরণে।  জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক( ২৮ অক্টোবর ১৯১৪ -২৩ জুন ১৯৯৫) ছিলেন একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল গবেষক এবং ভাইরাসবিদ। যিনি পোলিও বা পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে একটি প্রথম  প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিলেন।
    পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এটি একব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এই ভাইরাস  শিশুসহ কিশোরদের বেশি সংক্রমিত করে। 

    [tw]


    [/tw] 

    পোলিও রোগের লক্ষণ-

    রোগীর প্রথম দিন সামান্য সর্দি, কাশি এবং জ্বর হলেও, দিন দুই পরে থেকে মাথা ব্যাথার সাথে সাথে  ঘাড় শক্ত হতে শুরু করে। এমনকি রোগীর হাত অথবা পা অবশ হয়ে যায়।রোগী দাঁড়াতে পারে না, দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়।রোগীর  আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশ দুর্বল হয় এবং পরে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
    ধীরে ধীরে এক বা একাধিক অঙ্গ অবশ হয়ে  যেতে শুরু করে আক্রান্ত অঙ্গের মাংসপেশী শিথিল হয়ে যায়, অনেক সময় চর্মসার হয়ে পরে । শ্বাস প্রশ্বাসের পেশী অবশ হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে রোগী মারাও যেতে পারে।
    তবে সবচেয়ে মারাত্মক এই যে শতকরা ৯৫ ভাগ পোলিও আক্রান্ত রোগীর শরীরে তেমন কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

    পোলিও ভ্যাকসিন ভারতে চালু করা হয়েছিল সম্প্রসারিত প্রোগ্রাম (ইপিআই, 1978) এবং ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম (ইউআইপি, 1985) এর সহায়তায় 1995 সালের অনেক আগে।
    কিন্তু জাতীয় টিকা দিবস, যা সাধারণত পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত,তা শ্রীমতী ইন্দিরা  এবং রাজীব গান্ধীর  আমলে ভারতে 1995 সালে চালু হয়েছিল। 

    [tw]


    [/tw] 

    সবচেয়ে সাফল্যের খবর হল  জানুয়ারি ২০১১ থেকে ভারতে আর কোনো পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি; ফলশ্রুতিতে ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে ভারতকে WHO এর পোলিও আক্রান্ত দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের মার্চে ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালের পর মাত্র তিনটি দেশে পোলিও মহামারী দেখা গেছে: নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ভারতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত না হলেই স্বার্থক হবে আজকের বিশ্ব পোলিও দিবস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Good Health Tips: দৈনিক হাঁটাহাঁটি কেন প্রয়োজন?

    Good Health Tips: দৈনিক হাঁটাহাঁটি কেন প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাঁটা সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। ছোট-বড় যে কেউ নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। প্রশ্ন জাগতে পারে ব্যায়ামের জন্য এত কিছু থাকতে হাঁটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? দিনে মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়। এইটুকু সময়ে হাঁটতে পারলে আপনার শরীর ও মন দুইই সুস্থ থাকবে বলে বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। আসলে হাঁটা (Walking Benefits) হল খুবই সহজ একটি এক্সারসাইজ। তেমন কোনও শারীরিক পরিশ্রম এর মধ্য়ে নেই। হাঁটার জন্য আলাদা কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই। আপনি যেখানে যেভাবে আছেন সেখান থেকেই হাঁটা শুরু করতে পারেন। আর সবথেকে বড় কথা, যে কোনও বয়সের, যে কোনও লিঙ্গের মানুষই হাঁটতে পারেন। এমনকী বহু কঠিন রোগে জর্জরিত মানুষও অন্তত হাঁটাতে পারেন। তাই চারিদিকে এখন হাঁটাচলা নিয়ে এত হইচই।

    হাঁটাচলার বহু উপকার (Good Health Tips) রয়েছে-

    • ফ্যাট দ্রুত কমায়। ফলে ওজন কমাতে হাঁটা দারুণ কার্যকরী।
    • হাঁটলে হৃৎপিণ্ডের উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। হার্ট ভালো থাকে। রক্ত সংবহন ভালো হয়। হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
    • ফুসফুস ভালো রাখতেও হাঁটার বিকল্প নেই। হাঁটলে শ্বাসযন্ত্রের প্রভূত উন্নতি হয়।
    • সুগার নিয়ন্ত্রণে হাঁটা হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। হাঁটলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকরিতা বাড়ে।
    • হাঁটলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
    • কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
    • হাড়ের জোর বাড়ায়।
    • পেশির ক্ষমতা বাড়ায়।
    • অস্থিসন্ধির ব্যথা কমে। কমাতে পারে পেশির ব্যথাও।

    চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতেই হবে। তার বেশি সময়ও হাঁটতে পারেন। তবে তার থেকে কম সময় হাঁটলে তেমন কোনও লাভ পাওয়া যাবে না। আর সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন হাঁটতে হবে। এর থেকে কম সময় হাঁটলেও তেমন লাভ মেলে না। অভ্যাস না থাকলে প্রথমদিনই ৩০ মিনিট হাঁটা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৩০ মিনিটকে ৩ ভাগে ভাগ করে নিন। ১০ মিনিট করে ৩ বার হাঁটুন। ধীরে ধীরে এভাবে শুরু করুন। তারপর সময় বাড়ান। একটু অভ্যাস হয়ে গেলে চিন্তা নেই। একবারেই পারবেন ৩০ মিনিট হাঁটতে।

    হাঁটার অভ্যাস তৈরি করতে এই নিয়মগুলি (Good Health Tips) মেনে চলবেন-

    • লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
    • হেঁটে বাস-ট্রাম ধরে অফিস যান।
    • ফেরার সময় বাড়ির এক স্টপ আগে নামুন। তারপর হেঁটে যান। হেঁটে দোকান যান। নিজের পোষ্যকে নিয়েও বেরাতে পারেন।
    • চেষ্টা করুন রুটিন বানিয়ে নেওযার। রোজ একই সময়ে হাঁটতে যান। তবেই অভ্যাস তৈরি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Variant: শীতের শুরুতেই ফের মাথাচাড়া করোনার নতুন প্রজাতির, জেনে নিন এর লক্ষণ

    Covid Variant: শীতের শুরুতেই ফের মাথাচাড়া করোনার নতুন প্রজাতির, জেনে নিন এর লক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই চিনের মঙ্গোলিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের বিএ.৫.১.৭ (Omicron BA 5.1.7) এবং বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই ‘ওমিক্রন স্পন’ বা বিএ.৫.১.৭ এবং বিএফ.৭ নামক একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনের বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের হার বেশ দ্রুত। দেশের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    অত্যধিক সংক্রমণযোগ্য নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বুকে ব্যাথা থেকে শুরু করে ঘ্রাণ ও শ্রবণে অসুবিধে দেখা যায়।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অভিযোজনের ফলে সৃষ্টি হওয়া এই নতুন প্রজাতির ওমিক্রন ভাইরাসটি মানব দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে এবং উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে সিদ্ধহস্ত।

    সবচেয়ে নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?

    এখন পর্যন্ত, বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট করা বিএফ.৭ সাবভেরিয়েন্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

    • একটানা কাশি
    • শুনতে অসুবিধা হওয়া
    • বুক ব্যাথা
    • কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
    • ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন

    উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ বাড়বে কি?

    করোনার বিধি-নিষেধে ছাড় এবং মানুষের লাগামছাড়া মনোভাব, নতুন করে সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সংখ্যাটি এক হলেও নতুন প্রজাতিটি কিন্তু দেশে ঢুকে পড়েছে। তার উপর শীতকাল আসছে। এটি এমনিই ফ্লুয়ের সময়। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা থাকতেই হবে। করোনা পরিস্থিতি বাড়লেও একটি সময় পর তা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসবে। তাই সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে থাকা কোনও সমাধান হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা গড়ে তোলাই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Lemon Juice: জেনে নিন লেবুর রসের অদ্ভুত গুণাগুণ

    Lemon Juice: জেনে নিন লেবুর রসের অদ্ভুত গুণাগুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়। লেবু আমাদের অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু জানেন কী লেবুর গুণাগুণ! লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক পরিষ্কারক রাখে এছাড়াও কিডনি পাথর রুখতে, ওজন কমাতে দারুণ উপকারি লেবু। বিশেষ করে গ্রীষ্মে লেবু ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কোষের ক্ষতিরোধ করে। সকালে হাল্কা গরম জলে লেবুর রস ও আদার রস মিশিয়ে খেলে শরীরের মেদ কমে যায়। কিন্তু এছাড়াও লেবুর হরেকরকম গুণাগুণ, যা জানা নেই অনেকেরই। 

    আসুন জেনে নিই লেবুর রসের হরেকরকম গুণাগুণগুলো—

    ১) ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধঃ

    ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লেবুর রস। তাই নিয়মিত ভাতের সঙ্গে লেবু খেতে পারেন। এত করে খাওয়ার রুচি বাড়বে।

    ২) ক্ষত সারাতেঃ

    লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। হাড়, তরুনাস্থি ও টিস্যুর স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

    ৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ

    লেবুর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিষ্কার করে হাঁপানি সমস্যার উপশম করে।

    ৪) হজমে সাহায্য করেঃ

    লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যাও সমাধান করে লেবু পানি। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

    ৫) ত্বক পরিষ্কার রাখতে লেবুঃ

    লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তাছাড়া লেবুর রস বয়সের বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর।

    ৬) ওজন কমাতেঃ

    লেবুতে থাকা পেকটিন ফাইবার খিদে কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।

    ৭) কিডনি পাথর সারাতেঃ

    লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক পাথর গঠনে বাধা দেয়। সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।

    ৮) লিভার পরিষ্কার রাখতেঃ

    লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

    ৯) মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করেঃ

    যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে  সাহায্য করবে।

    ১০) ক্যানসার প্রতিরোধঃ

    লেবু অনেক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Yoga Asanas: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ঘরে বসে করুন এই ৫ টি যোগাসন

    Yoga Asanas: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ঘরে বসে করুন এই ৫ টি যোগাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ হল এমন একটি আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা যা শরীর ও মনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে।যোগ শব্দটি সংস্কৃত মূল ‘যুজ’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘যোগ দেওয়া’ বা’একত্রিত হওয়া’। আধুনিক বিজ্ঞানীদের মতে, মহাবিশ্বের সবকিছুই একই কোয়ান্টাম ফার্মামেন্টের একটি প্রকাশ মাত্র। যিনি এই অস্তিত্বের একত্ব অনুভব করেন তাকেই যোগী বলা হয়। যোগের ইতিহাস খুঁজতে গেলে দেখা যায় বৈদিক যুগের পূর্বেই এই যোগের উৎপত্তি। আবার অনেকে বলেছেন মহর্ষি পতঞ্জলি যোগাসনার উদ্ভব করেছেন। এই নিয়ে তর্কবিতর্ক রয়েছে।

    সিন্ধু সভ্যতার বেশ কিছু শিলমোহরে যোগাসনরত চিত্র খোদাই করা রয়েছে। প্রাচীন এই যোগাভ্যাস ভারতে বাইরে প্রসিদ্ধ থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে  ভারতের এই প্রাচীন এই শরীরচর্চাবিদ্যা রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে সারা পৃথিবীতে বিশ্ব যোগ দিবস ( World Yoga Day) হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ২১ জুন থেকে রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে যুক্ত ৪৪ টি মুসলিম দেশ সহ মোট ১৯২ টি দেশ বিশ্ব যোগ দিবস পালন করেছিল।
    নিয়মিত যোগাভ্যাসে শরীর নিরোগ থাকে।

    বর্তমানে কর্মব্যস্ততার জীবনে নানা ধরনের চিন্তা, কাজের চাপে আজকাল অনেক কম বয়েসেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। যোগাব্যায়ামের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। 
    দেখে নিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কী কী যোগাভ্যাস করা প্রয়োজন।

    সূর্য নমস্কার

    সূর্য নমস্কার দিয়ে শুরু করুন। ভোর বেলায় খালিপেটে সূর্য নমস্কার করা সবচেয়ে ভাল। প্রথমে হাত জোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাতের তালুতে তালুতে খুব জোরে চাপুন যাতে বুকের পেশি শক্ত হয়। তার পর এই চাপ বজায় রেখে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে হাত তুলে পেছনে বেঁকান। ওখান থেকে সামনে ঝুঁকে হাত পায়ের সামনে মাটিতে রেখে পদহস্তাসন করুন। এই অবস্থায় হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন। ওই অবস্থায় ডান পা পেছনে সোজা করে দিন।এ বার হাঁটু থেকে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকান। বাঁ পা পেছনে সোজা করে দিন। এ বার ডনের ভঙ্গিতে হাতের জোরে নামুন। ডন থেকে আস্তে আস্তে উঠুন। বাঁ পা পূর্বের ভঙ্গিমায় ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন। মাথা নামান। ডান পা ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন। নিতম্ব গোড়ালিতে লাগিয়ে বসুন। আবার নিতম্ব তুলে সোজা রেখে পদহস্তাসন করুন। এ বার হাত তুলে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে পেছনে বেঁকান। সেখান থেকে সোজা হয়ে হাত জোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে ফিরে আসুন।

    শিশু আসন

    হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। এবার আস্তে আস্তে সারা শরীর পিছনে নিয়ে গিয়ে শরীরের পশ্চাদ্দেশ পায়ের গোড়ালির উপর রাখুন। কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দু’টো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই যোগাসন। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে।

    বজ্রাসন

    সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে প্রথমে পা ছড়িয়ে দিন। এবার একটা করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া রাখবেন এবং শিরদাঁড়া সোজা রাখবেনে। হাত দু’টো উরুর উপর সোজা করে রাখুন। দুপুর বা রাতের খাওয়ার পরেও এই যোগাসন করতে পারেন। এটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে।

    পশ্চিমোত্তানাসন

    প্রথমে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। ভাল করে শ্বাস নিন। এরপর মাথার উপরে হাত দু’টো সোজা করে নমস্কারের ভঙ্গিতে প্রসারিত করুন। এবার শ্বাস ছাড়ুন। শরীর বেঁকিয়ে হাত দু’টো পা অবধি নিয়ে যান, পা যেন না বেঁকে। এই অবস্থায় হাত দু’টো দিয়ে গোড়ালি জড়িয়ে ধরুন। এবার পায়ের উপর মাথা রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর হাত দু’টো আবার মাথা পর্যন্ত প্রসারিত করুন। দিয়ে প্রথমে যে ভাবে বসেছিলেন সেই ভঙ্গিতে ফিরে যান। ওজন কমানোর পাশাপাশি পেটের তলদেশের মেদও ঝরায় এই ব্যায়াম। মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপকেও কমায়।

    সুখাসন

    এই যোগ ব্যায়ামের ফলে শরীর ও মনে এক ধরনের সার্বিক ভারসাম্য আসে। মন ও মেজাজ ভাল থাকে। শিরদাঁড়া সোজা রেখে বাবু হয়ে বসুন। ধ্যানের ভঙ্গির এই আসন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Poha: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন রাখতে ও ওজন কমাতে সকালের জলখাবারে রাখুন পোহা

    Poha: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন রাখতে ও ওজন কমাতে সকালের জলখাবারে রাখুন পোহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোহা (Poha) হল একটি জনপ্রিয় খাবার। মহারাষ্ট্রে পোহা বলে পরিচিত এই খাবারটি বাংলায় চিঁড়ের পোলাও বলে জনপ্রিয়। খাদ্যরসিক বাঙ্গালী নিরামিষ পদ থেকে আমিষ পদ খেতে বেশী পছন্দ করলেও বর্তমানে শরীর স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে সকলেই খাবারদাবার নিয়ে সচেতন। কম তেল মশলাযুক্ত খাবার খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আজকের এই রেসিপিটি ঠিক সেই ধরনের। খুব অল্প তেলেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন পাশাপাশি খরচ‌ও খুব কম।সকালের জলখাবার হোক বা বিকেলের টিফিন, চিঁড়ের পোলাও যেকোনও সময়েই খাওয়া যেতে পারে।

    উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কিছু অংশে পোহা বা চিঁড়ের এই পোলাওকে ভুজিয়া ও ডালিম সহযোগে পরিবেশন করা হয় আবার মহারাষ্ট্রে সবুজ চাটনি ও আলু সহযোগে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

    পশ্চিমবঙ্গে আমরা এই চিঁড়ের পোলাওতে চিনি যুক্ত করা হয়। আবার অন্য রাজ্যে সবজির সাথে মিশিয়ে এই রেসিপি তৈরী করা হয়। উত্তর ভারতে সকালের জলখাবারে খুব উৎসাহের সাথে শিশু ও বৃদ্ধরা এই খাবার খেয়ে থাকেন।

    পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এক প্লেট পোহা (Poha) খেলে প্রায় এগারো ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা মেটে। বিশেষ করে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং ডি-এর ঘাটতি মিটতে সময় লাগে না। সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, উপকারী ফ্যাট এবং প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়।

    পোহা (Poha) খাওয়ার উপকারিতা-

    সহজে হজম হয়

    পোহা (Poha) সহজে হজম যোগ্য। এর মধ্যে থাকা ফাইবার শরীরকে সুস্থ করে রোগীর দূর্বল শরীরকে সতেজ করে তোলে। অনেক পুষ্টিবিদ সকালের জলখাবার, বিকেলে বা সন্ধ্যার জলখাবারে পোহা খাওয়ার পরামর্শ দেন।

    স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট

    পোহাতে (Poha) থাকা ৭৬.৯ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও ২৩ শতাংশ চর্বি শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। পোহাতে কার্বোহাইড্রেট ঘন ঘন খিদে পায় না ফলে ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

    আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন সেক্ষেত্রে আপনি পোহা খেতে পারেন। পোহাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা আপনার আয়রনের কখনোই ঘাটতি হতে দেয় না।পোহাতে লেবু চিপে খেলে শরীর ভালোভাবে আয়রন শোষণ করতে পারবে।

    রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রণ

    ফাইবার সমৃদ্ধ পোহা ডায়াবেটিস রোগীর সেরা বন্ধু। এটি রক্ত ​​​​প্রবাহে পোহা শরীরে রক্ত ​​​​এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Microplastics found in human breast milk: মায়ের দুধও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর জানাল বিশেষজ্ঞরা

    Microplastics found in human breast milk: মায়ের দুধও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর জানাল বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের বুকের দুধে (Breast Milk) প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক (Microplastic) (অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা) শনাক্ত করেছেন ইতালীয় বিজ্ঞানীরা। এতে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

    সম্প্রতি পলিমারস সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ের বুকের দুধে যেসব মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে পলিথিন, পিভিসি এবং পলিপ্রোপিলিনে মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান।

    বিজ্ঞানীরা ইতালিতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ৩৪ জন মায়ের বুকের দুধের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সন্তান জন্মদানের এক সপ্তাহ পরই মায়েরা নমুনা দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, তিন-চতুর্থাংশ নমুনার মধ্যেই মাইক্রোস্কপিক প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব আছে।এর আগে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় নবজাতকের মস্তিস্কে মাইক্লোপ্লাস্টিকের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত নবজাতকদের জন্য মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই। শিশুকে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে গুঁড়া দুধ বা অন্য যে কোনো ‘ফর্মুলা দুধ’ পান করানোর মাধ্যমেও শিশুর শরীরে উচ্চমাত্রায় প্লাস্টিক কণা প্রবেশ করতে পারে।

    [tw]


    [/tw] 

    গবেষণায় অংশ নেওয়া মায়েদের খাবারের ধরন, প্লাস্টিকের মোড়কজাত পানীয় পান ও সামুদ্রিক খাবার গ্রহণ, প্লাস্টিকের মোড়কজাত প্রসাধনীর ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে বুকের দুধে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতির সঙ্গে এগুলোর কোনো ধরনের সংযোগ পাওয়া যায়নি।

    ইতালির পলিটেকনিকা দেল মারচে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভ্যালেন্তিনা নোতারস্তেফানো বলেন, মায়েদের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির ফলে নবজাতকরা চরম বিপন্ন অবস্থায় পড়বে। ফলে নারী যখন গর্ভবতী থাকেন এবং শিশুকে বুকের দুধ পান করান তখন তার শরীরে যাতে প্লাস্টিকের উপস্থিতি না থাকে, তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে মায়ের বুকের দুধ শিশুকে পান করানো কমিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। কিন্তু রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা দূষণ কমিয়ে আনার জন্য আইন করেন।

    প্রসঙ্গত, প্লাস্টিকের কারণে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে প্লাস্টিককে নরম করতে ব্যবহার করা হয় পথালটেস নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এই পদার্থটি মানুষের যৌন হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Moderna vaccine increase cardiac arrest: কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার এমআরএনএ ভ্যাকসিন

    Moderna vaccine increase cardiac arrest: কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার এমআরএনএ ভ্যাকসিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস(Covid Virus) প্রতিরোধে এমআরএনএ (Moderna vaccine) ভ্যাকসিন হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ফ্লোরিডার শল্য চিকিৎসক জোসেপ এ লাদাপো। তিনি একটি প্রতিবেদনে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি দাবি করেছেন এমআরএনএ ভ্যাকসিনের ডোজ নেবার পর মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।

    এই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, COVID-19 mRNA ভ্যাকসিনগুলির (Vaccine) বিশ্লেষণ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। তাতে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। এই বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জেরে ১৮-৩৯ বছর বয়সীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথের তরফে করোনা ভ্যাকসিনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে।

    গবেষণায় জানা গিয়েছে এই এমআরএনএ টিকা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যেই ১৮-৩৯ এর কমবয়সী পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত (Cardiac arrest) হবার সম্ভাবনা ৮৪ শতাংশ অবধি বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আগে থেকে হৃদরোগের আক্রান্ত তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশী।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত খাদ্য

    গবেষণা অনুসারে চিকিৎসক লাদাপো জানিয়েছেন, এমআরএনএ নয় এমন ভ্যাকসিনগুলোও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সেরকম দেখতে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনগুল আর পাঁচটা ভ্যাকসিনের মতো ব্যবহার করে। লাদাপো জানিয়েছেন, শুধু ভ্যাকসিন উৎপাদন করলেই হল না। ভ্যাকসিনগুলো কতটা নিরাপদ, সেটা যাচাই করে নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা অবহেলা করা হয়েছে। যা কখনই কাম্য নয়।

    ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সময় মূলত এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে ভ্যাকসিন তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়। আমেরিকাতে প্রথম যে দুটি ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয়েছিল, তা এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছিল।

    এদিকে, ভারতের প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিন GEMCOVAC-19 জরুরি ব্যবহারের জন্য শীঘ্রই পাওয়া যাবে।ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল এই ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিক ব্যবহারে শীঘ্রই অনুমোদন দেবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। যেখানে প্রায় চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Mental Health Tips: এই চারটি পুষ্টির ঘাটতি যা মানসিক ভাবে প্রভাব ফেলে

    Mental Health Tips: এই চারটি পুষ্টির ঘাটতি যা মানসিক ভাবে প্রভাব ফেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টির ঘাটতি বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। এই ঘাটতিগুলো পূরণ না হলে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং নির্দিষ্ট কিছু রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের শরীরে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিতে পারে। পুষ্টির ঘাটতি শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করে।

    মানবদেহে সবচেয়ে বেশি পুষ্টির ঘাটতি হয় সাধারণত প্রোটিন, ভিটামিন এ, জিঙ্ক এবং আয়রনের অভাবে। তবে আশার কথা হলো সঠিক মাত্রায় পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে পুষ্টির ঘাটতিগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুষ্টির সাধারণ ঘাটতিগুলো এবং সেগুলো প্রতিরোধের উপায়-

     ১)প্রোটিন: সাধারণত ছোট শিশুরা প্রোটিন বা অপুষ্টি ভোগে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা অ্যানোরেক্সিয়া বা দীর্ঘ সময় ধরে উপবাস কিংবা অনাহারে থেকেছেন তারাও অপুষ্টিতে ভোগেন। বিভিন্ন বয়স অনুসারে সুষম খাদ্য গ্রহণ পুষ্টির এই ঘাটতিগুলো রোধে সহায়তা করতে পারে। শরীরের তাপ উত্পাদন, দেহের হজমক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, দেহতন্তুর ক্ষতিপূরণ ও শরীরস্থ উপাদানসমূহ নির্মাণ প্রোটিন খাদ্যের কাজ। শরীর গঠনের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। আমাশয় রোগে প্রোটিন বিশেষ প্রয়োজন।

    ২)আয়রণ: সাধারণত ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণের অভাবে আয়রণের ঘাটতি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আয়রণের অভার রক্তস্বল্পতা সৃষ্টির মূল কারণ।শরীরের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে হিমোগ্লোবিন। আর রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে আয়রন। গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গভর্বতী মহিলাদের আয়রনযুক্ত খাবার যেমন- মাছ,ডিম, ডাল খাওয়া প্রয়োজন।

    ৩) ভিটামিন এ: ভিটামিন এ চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন।ভিটামিন এ’কে রেটিনল বলা হয় কারণ এটি রঙ্গক (পিগমেন্ট) উৎপাদনে সহায়তা করে যা চোখের রেটিনার গঠনে সাহায্য করে। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে ভিটামিন এ’র অভাব বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের অন্যতম সাধারণ কারণ।ভিটামিন এ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আপনাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। আপনার শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ভিটামিন এ’র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়। তাই এই ভিটামিন শিশুদেরও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

    ৪)দস্তা: জিঙ্ক বা দস্তা প্রয়োজনীয় খনিজ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। মানবদেহের বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন ইমিউন ফাংশন, প্রোটিন সংশ্লেষণ, ডিএনএ সংশ্লেষণ, জিঙ্ক প্রকাশ এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য দস্তা প্রয়োজন। গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের বিশেষ করে শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য দস্তা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Health Tips: তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি পরামর্শ

    Health Tips: তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ: ডেস্ক বয়সকে ধরে রাখা (Age Control) যায় না। এটা সম্ভবও নয়। কারণ আমরা সময়কে বেঁধে রাখতে পারি না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ক্ষয় হয়ে যায়। কিন্তু আমরা যেটি করতে পারি প্রক্রিয়াটিকে ধীর করতে পারি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনযাত্রার ফলে মানুষ সহজেই বুড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যস্ততার জন্য রেস্টুরেন্টের জাঙ্ক ফুড দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সারাদিনের ক্লান্তির পর বিছানায় যখন শুতে যাওয়া হচ্ছে তখন ঘুম আসছে না। যার ফলে পরের দিনেও শরীরে ক্লান্তি থেকেই যাচ্ছে। দৈনন্দিন যতোই ব্যস্ততা থাকুক শারিরীক পরিশ্রম না থাকায় শরীরে কোলেস্টেরল, সুগার এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। আর এই সকল খারাপ অভ্যাসের ফলে বয়স দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।

    তবে নিম্নোক্ত এই নির্দেশগুলি (Health Tips) পালন করলে বয়স বাড়লেও তারুন্য ধরে রাখা যাবে-

    ১)পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করা প্রয়োজন-

    আজকালকার জীবনে এত ব্যস্ততার মধ্যে আমরা জলপান (Drinking Water) করতেই ভুলে যাই। আবার অনেকে রয়েছেন যাঁরা জলপান করতেই চান না। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে জলের ঘাটতি হলে দ্রুত দেখা দিতে পারে সমস্যা। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করা। এই শীতেও কিন্তু আপনাকে জলপান করে যেতে হবে। মোটামুটি ২ লিটার জলপান করতেই হবে। এবার এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, কার কতটা জলপান করা দরকার তা ঠিক হয় তিনি কী কাজ করেন দেখে। এই যেমন ধরুন, কেউ রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করেন আবার কেউ এসিতে। এবার এসিতে থাকা মানুষের জলের চাহিদা বাইরে রোদে কাজ করা মানুষের তুলনায় হবে কম।

    ​২)এক্সারসাইজ

    শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে এক্সারসাইজের (Exercise) থেকে ভালো কোনও পথ নেই। তাই আলস্যকে গুলি মারুন। চলে আসুন এক্সারসাইজ করতে। এক্সারসাইজ আপনার শরীরকে এনে দিতে পারে যৌবনের ক্ষমতা। এছাড়া বয়স ধরে রাখতেও এক্সারসাইজের কোনও জুরি নেই। তাই দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ হল মাস্ট। এক্ষেত্রে কোন ধরনের এক্সারসাইজ করবেন, তা ঠিক করবেন একজন বিশেষজ্ঞ। নিজের থেকে করতে চাইলে দৌড়াতে পারেন, হাঁটতে পারেন।

    ৩)ঘুম

    ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামের। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। কারণ ঘুম শরীর সুস্থ রাখে। যৌবনকে ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে রোজ রাতে ১০টা থেকে ১০টা ৩০-এর মধ্যে ঘুমাতে যান।

    ​৪)দুশ্চিন্তা দূর করুন

    দুশ্চিন্তা (Stress) দূর করতেই হবে। কারণ এই দুশ্চিন্তা ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষত, আপনাকে বুড়িয়ে দিতে পারে এই দুশ্চিন্তা। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি দুশ্চিন্তা দূর করায় জোর দিন। দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রাণায়াম বা মাইন্ডফুলনেস করতে হবে।

    ৫)জাঙ্কফুড বা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

    যৌবনকে ধরে রাখতে জাঙ্কফুড বা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার, বাইরের ফাস্টফুড ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। অল্প মসলা ও তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খান। এ ছাড়া টাটকা সবজি, টিফিন হিসেবে খান সবজির স্যুপ ও সামুদ্রিক মাছ। 

    ৬)মাছের তেল

    সপ্তাহে ৩-৪ দিন খান মাছের তেল। কারণ মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বয়সের ছাপ রুখতে সাহায্য করে। 

    ৭)ত্বক ও চুলের যত্ন

    বেশি বয়সেও তারুণ্যতা বজায় রাখতে অবশ্যই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। কারণ কোঁচকানো ত্বক ও পেকে যাওয়া চুল বার্ধক্যের চিহ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share