Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারিতে যে কোনও শাখার স্নাতককেই সমানভাবে দেখার নির্দেশ দিলো আদালত (Calcutta High Court)। বলা হয়েছে, এমবিবিএস চিকিৎসকদের সমান বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে আয়ুশ ডাক্তারদেরও। একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট  এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে এই নির্দেশ পালনের জন্য চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয় এই আয়ুশ চিকিৎসকদের। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎকদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে এদের নেওয়া হয়। আয়ুশের অধীন রয়েছে বিএএমএস (আয়ুর্বেদ), বিএইচএমএস (হোমিয়োপ্যাথি) এবং বিইউএমএস (ইউনানি)। অ্যালোপ্যাথি এমও-দের বেতন ৪০ হাজার টাকা হলেও আয়ুশ এমওদের বেতন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আয়ুশ এমওরা বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাড়েনি বেতন। এর পর ২০২০ সালে বেতন বাড়ে। অ্যালোপ্যাথ এমও-দের শুরুর বেতন করা হয়য় ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে আয়ুশ চিকিৎসকদের মাসিক বেতন হয় ৩২ হাজার টাকা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন ছ’ জন আয়ুশ এমও। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভা, জয়নগর-মাজিলপুর পুরসভা, দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক হাসপাতাল, নোয়াপাড়া ব্লক হাসপাতাল, রাধানগর গ্রামীণ হাসপাতল ও খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত আয়ুশ এমও-রা। সম্প্রতি সেই মামলায় রায় দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তখনই এই কথা বলে আদালত।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথী দেব

    শীর্ষ আদালতের পথেই রায়দান

    অ্যালোপ্যাথি-আয়ুশ বৈষম্য নিয়ে ২০২২-এই অবশ্য নৈনিতাল হাইকোর্টে একই ধরনের মামলা করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের আয়ুশ এমও-রা। সেখানেও রায় গিয়েছিল আয়ুশ চিকিৎসকদেরই পক্ষে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে উত্তরাখণ্ড সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টও (Calcutta High Court) সেই রায়কেই উদ্ধৃত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, চার মাসের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক অ্যালোপ্যাথি এমও-দের সমমর্যাদা দিতে হবে চুক্তভিত্তিক আয়ুশ এমও-দেরও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই রায়ে উপকৃত হবেন আরবিএসকে কর্মসূচিতে কর্মরত ১২১৯ জন আয়ুশ এমও। স্বাস্থ্যভবনের একাংশ মনে করছে, যেহেতু শীর্ষ আদালতের রায়েরই প্রতিফলন রয়েছে হাইকোর্টের এই রায়ে, তাই সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কথা সে ভাবে ভাবা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে। গরমের আমেজ ইতিমধ্যেই হাজির। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় জেরবার বঙ্গবাসী। আর আবহাওয়ার এই যখন-তখন পরিবর্তনের জেরে সবচেয়ে গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। সর্দি-কাশি আর জ্বরে কাবু সকলেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু আর বয়স্কদের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে। বক্ষঃরোগের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। পাশপাশি শ্বাসনালীতেও সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস (Healthy Food) নিয়মিত সঙ্গী করলেই ভোগান্তির ঝুঁকি কমবে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    নিয়মিত সঙ্গী হোক মধু আর তুলসী পাতা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে দু’চামচ মধু আর তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে এই পরিবেশে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তুলসী পাতা এবং মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু আর তুলসী পাতা খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পাশপাশি, তুলসী পাতা ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত তুলসী পাতা (Healthy Food) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রত্যেক দিন প্রাতঃরাশের পরে অন্তত একখানা লেবু থাকুক (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া খুবই শুষ্ক। শীতের শেষ আর গরমের শুরুর এই সময়ে প্রত্যেক বছর একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়ে। নানান রোগে মানুষ কাবু হন। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে। তবে খালি পেটে লেবু খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবারের পরে নিয়মিত একটা করে লেবু (Healthy Food) খাওয়া দরকার। এর জেরে একদিকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার লেবুর রস শরীরে জলের জোগান দেবে। ফলে শুষ্ক আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে।

    ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তরকারিতে থাকুক এলাচ
     
    তরকারিতে অনেকেই এলাচ দেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ে। সুন্দর গন্ধ হয়। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়। এলাচ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত তরকারিতে এলাচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ (Healthy Food) খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এলাচ ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

    নিয়মিত চারখানা খেজুর কমাতে পারে ভোগান্তি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান‌ ঠিকমতো থাকলে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন ঘটলেও শরীরে রোগের প্রকোপ কম হয়। আর খেজুর থেকে সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ থাকে খেজুর (Healthy Food)। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই মরশুমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে নিয়মিত চারখানা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ হল সুষম খাবার। অর্থাৎ, শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান দুধে থাকে। আবার হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে এতে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। রাতে এই খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়। ফলে শরীরের হরমোন ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19 Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিনের ২১৭টি ডোজ নিয়ে দিব্যি রয়েছেন! জার্মান প্রৌঢ়কে দেখে তাজ্জব সকলে

    Covid 19 Vaccine: কোভিড ভ্যাকসিনের ২১৭টি ডোজ নিয়ে দিব্যি রয়েছেন! জার্মান প্রৌঢ়কে দেখে তাজ্জব সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন (Covid 19 Vaccine) নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছেই। কোন ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী সে নিয়েও চলেছে দীর্ঘদিনের গবেষণা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ভারতের ভ্যাকসিন সব থেকে বেশি কার্যকরী। এবার ভ্যাকসিনের হাইপারডোজ (Vaccine Overdose) নিয়ে এক গবেষণায় উঠে এল রীতিমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    শরীরে কোভিড ভ্যাকসিনের ২১৭টি ডোজ (Vaccine Overdose)!

    করোনা ভ্যাকসিনের হাইপারডোজ কি শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে? এমন প্রশ্ন দানা বাঁধে অনেকেরই মনে। সম্প্রতি, এক গবেষণায় মিলল তারই উত্তর। একজন জার্মান নাগরিক যিনি দাবি করেছেন,  ভ্যাকসিনের (Covid 19 Vaccine) আটটি বিভিন্ন ধরনের ২১৭টি ডোজ তিনি নিয়েছেন নিজের শরীরে। এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি শরীরে। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই  জার্মান নাগরিক বিগত ২৯ মাস ধরে ২১৭টি ভ্যাকসিনের ডোজ (Vaccine Overdose) নিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩৪টি ডোজ গবেষকরা পরীক্ষা করেছিলেন।

    হাইপারডোজ শরীরে কি প্রভাব ফেলবে?

    এই এত হাইপারডোজ সত্যিই কি শরীরে কোনও প্রভাব ফেলে? বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ওই ব্যক্তি ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত জানতে পারেন, কোনও রকমের ইনফেকশন তাঁর শরীরে সংক্রমিত হয়নি। ভ্যাকসিনের (Covid 19 Vaccine) কোনও বিরূপ প্রভাবও তাঁর শরীরে পড়েনি। এর পাশাপাশি, গবেষকরা ওই ব্যক্তির কোনও কোষে কোনও রকমের আলাদা প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেননি। ওই কোষগুলি সেভাবেই কাজ করছিল যেমনটা ঠিক ভ্যাকসিনের আগে ছিল। এর পাশাপাশি যাঁরা চিকিৎসকদের অনুমোদনের পরে সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তাঁদের মতোই ওই কোষগুলি সক্রিয় ছিল। মস্তিষ্কের কোষগুলির ক্ষেত্রে গবেষকরা লক্ষ্য করেন, এগুলি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    কী বলছেন গবেষক?

    এ বিষয়ে গবেষক ডাক্তার কিলিয়ান সোবার জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনগুলি সত্যিই খুব কার্যকর এবং তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর পাশাপাশি, তিনি সতর্কও করেছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সীমিত পরিমাণ ভ্যাকসিনই নিতে হবে। তার বেশি যেন না নেওয়া হয়। শেষে ওই গবেষক এও জানিয়েছেন, হাইপারডোজের ভ্যাকসিনের (Covid 19 Vaccine) কারণে ইমিউনিটি সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে, এই ভেবে কেউ যেন অতিরিক্ত ভ্যাকসিন (Vaccine Overdose) না নেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer Research: ১০০ টাকায় ক্যান্সারের ওষুধ! গবেষণায় নয়া দিশা দেখাল মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল

    Cancer Research: ১০০ টাকায় ক্যান্সারের ওষুধ! গবেষণায় নয়া দিশা দেখাল মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্তদের (Cancer Research) নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারতের টাটা ইন্সটিটিউট। ১০ বছর ধরে গবেষণার পর ওষুধ আবিষ্কার করেছেন ভারতীয় চিকিৎসকেরা। মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় বার ক্যান্সারের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছে তারা। রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে ওই ওষুধ। 

    কীভাবে কাজ করবে নয়া ওষুধ

    টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিনিয়র ক্যান্সার (Cancer Research) সার্জন রাজেন্দ্র বড়ভে সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে জানান, “গবেষণার জন্য ইঁদুরের মধ্যে মানুষের ক্যান্সার কোষ ঢোকানো হয়েছিল। এই কোষ তাদের মধ্যে একটি টিউমার তৈরি করে। তখন ইঁদুরগুলিকে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। দেখা গিয়েছে, এই ক্যান্সার কোষগুলি মারা গেলে সেগুলি ক্রোমাটিন নামক ক্ষুদ্র কণায় টুকরো হয়। এই কণাগুলি রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশে যেতে পারে এবং সুস্থ কোষকে ক্যান্সারে পরিণত করতে পারে। এই ভাবে দ্বিতীয় বার ক্যান্সার হওয়ার পথ কী ভাবে রোখা যায়, তার সমাধান খুঁজতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা ইঁদুরকে রেসভিরাট্রল এবং কপার-সহ প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট দেন। দেখা যায়, এই ট্যাবলেট ক্রোমাটিন কণাকে ধ্বংস করতে সক্ষম হচ্ছে।” 

    কত টাকায় মিলবে ওষুধ

    ক্যান্সার (Cancer Research) নাম শুনলে সকলেরই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। অভাবের সংসারে অনেকে চিকিৎসার করানোর কথা ভাবতেই পারেন না। গবেষক বড়ভে জানান, ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই নতুন ট্যাবলেটটি সর্বত্র ১০০ টাকায় পাওয়া যাবে। এই ওষুধ কাজ করবে ফুসফুস, পাকস্থলী ও মুখের ক্যান্সারেও। আপাতত এফএসএসআই (Food Safety and Standards Authority of India)-র অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই ওষুধ। অনুমোদন পেলে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাস থেকেই সেটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। আধুনিক চিকিৎসায় ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব হলেও জটিলতা বাড়ায় ‘সাইড এফেক্ট’। সুস্থ হওয়ার পরও কঠিন হয়ে ওঠে বেঁচে থাকাটাই। মারণ ব্যাধিকে জব্দ করতে নিরন্তর গবেষণা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার ক্যান্সার নিয়ে গবেষণায় নতুন আলো দেখাল মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lifestyle diseases: ৪০ পেরিয়েই শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ! কীভাবে কমাবেন ঝুঁকি?

    Lifestyle diseases: ৪০ পেরিয়েই শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ! কীভাবে কমাবেন ঝুঁকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চল্লিশের চৌকাঠ পেরলেই দেখা দিচ্ছে নানা ঝুঁকি! হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, স্থূলতা কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগের পাশপাশি ক্যান্সার, কিডনির অসুখ কিংবা অন্ত্রের একাধিক জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে, জীবনযাপনের ধরনে কয়েকটি বদল আর খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন ঘটলেই কমবে রোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে (Lifestyle diseases) খাবার নিয়ে বাড়তি সচেতনতা জরুরি। কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রোগের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে‌। পাশপাশি, কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস থাকাও দরকার।

    কোন ধরনের খাদ্যাভ্যাস চল্লিশোর্ধ্বদের রোগের ঝুঁকি কমাবে?

    প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে (Lifestyle diseases) অধিকাংশের অন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলীর একাধিক সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হয় নিত্যসঙ্গী। তাই নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি। এতে প্রচুর ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা হজমে সাহায্য করে আবার অন্ত্র এবং পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই চল্লিশোর্ধ্বদের নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি।

    খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ খাবার!

    বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরলেই একাধিক হাড়ের সমস্যা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শরীরের প্রয়োজন খনিজ পদার্থ। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। হাড়ের ক্ষয় কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত অন্তত খান চারেক খেজুর, বাদাম কিংবা কিসমিস জাতীয় ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে (Lifestyle diseases)। যে কোনও ধরনের বাদাম, কিসমিস, পেস্তা, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে শরীর একাধিক রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।

    তেল কম খাওয়ার অভ্যাস!

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রান্নায় তেল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার। তাই চল্লিশোর্ধ্বদের তেলেভাজা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, লুচি, পরোটা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি, বিরিয়ানি, পিৎজা, মোগলাইয়ের মতো খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না (Lifestyle diseases) বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। কারণ, এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    মেনুতে থাকুক ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে অনেকের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে‌। আবার মহিলাদের হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাই নিয়মিত কিউই, লেবু জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি, পালং শাক, ব্রকোলি, গাজর, টমেটো, কুমড়োর মতো সব্জি এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকুক। তাতে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হবে (Lifestyle diseases)।

    ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে!

    চল্লিশের পরে সুস্থ জীবন‌যাপনের জন্য ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই কতখানি খাওয়া উচিত সেদিকে নজরদারি জরুরি। মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ এতে যেমন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনে (Lifestyle diseases)।‌ তাছাড়া অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন যেমন বিভিন্ন রকমের মাংস নিয়মিত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ এতে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের টিকা প্রায় তৈরি! চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লবের দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের টিকা প্রায় তৈরি! চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লবের দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারের ভ্যাকসিন (Cancer Vaccine) তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়া, এমনই দাবি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো ফোরামে বক্তৃতার সময় পুতিন বলেন, “নতুন প্রজন্মের ক্যান্সারের টিকা বানিয়েছি আমরা। ভ্যাকসিন তৈরি প্রায় শেষের দিকেই। আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।” তবে রাশিয়া কী ধরনের ভ্যাকসিন বানিয়েছে, কোন ধরনের ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে তা অবশ্য বলেননি পুতিন।

    ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা

    দেশ-বিদেশে একাধিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) চিকিৎসা নিয়ে নানান গবেষণা চালাচ্ছে। গত বছরেই, ব্রিটেনের সরকার, জার্মানির বায়োএনটেক নামের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ‘পার্সোনালাইসজ ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। যা ১০ হাজার রোগীর দেহে করা হবে। আর তা চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বিশ্বের অন্য দুই ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাও পরীক্ষামূলক ভাবে ক্যান্সারের টিকা তৈরি করেছে, যা ত্বকের ক্যান্সারে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছ’টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিকা রয়েছে। এই ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যান্সার-সহ অনেক ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ। একই সঙ্গে হেপাটাইটিস বি-র টিকাও রয়েছে, যা যকৃতের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: উপচে পড়া ভিড়! ভারত-কাতার বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে দোহায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ভারতে গবেষণা

    ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) নতুন ভ্যাকসিন আসছে যার নাম সার্ভাভ্যাক। এইচপিভি টাইপ ৬, ১১, ১৬ ও ১৮ প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে এই টিকা। ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের জন্য এই টিকার ২টি ডোজ আছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। আর ১৫ থেকে ২৬ বছর অবধি এই টিকার তিনটি ডোজ আছে। এবার ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরির খুব কাছে রাশিয়াও। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় বিপ্লবের ইঙ্গিত দিলেন পুতিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Poonam Pandey Death: সারভাইক্যাল ক্যান্সারে প্রয়াত পুনম পাণ্ডে! কী করে বাঁচবেন এই মারণরোগ থেকে?

    Poonam Pandey Death: সারভাইক্যাল ক্যান্সারে প্রয়াত পুনম পাণ্ডে! কী করে বাঁচবেন এই মারণরোগ থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই সারভাইক্যাল ক্যান্সারে (Cervical Cancer) টিকাদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর শুক্রবার সকালেই এই মারণ রোগ কাড়ল নীল ছবির তারকা বিতর্কিত মডেল পুনম পাণ্ডের জীবন।  মাত্র ৩২-এই থেমে গেল পথচলা। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে পুনমের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তাঁর সহকারী। বৃহস্পতিবার রাতেই নাকি মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর।

    কী হয়েছিল পুনমের

    পুনমের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকেই তাঁর মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করেন অভিনেত্রীর ম্যানেজার। তিনি জানান, পুনম সার্ভিকাল ক্যান্সার (Cervical Cancer) অর্থাৎ জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। জনপ্রিয় মডেল ছিলেন পুনম। ২০১১ সালে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ভারত বিশ্বকাপ জিতলে তিনি নগ্ন হবেন। তার পরেই চর্চায় আসেন পুনম। বি এবং সি গ্রেড ছবিতেই বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যান্সার বেশি হয়, তার মধ্যে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয় এই রোগে। চিকিৎসকেরা বলেন, অল্প বয়সে টিকা দিলেই এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। আর সেই কারণেই জরায়ু-মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    কীভাবে চিনবেন সারভাইক্যাল ক্যান্সার

    চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ক্যান্সার (Cervical Cancer) খুব সহজে ধরা পড়ে না। ভিতরে ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন ধরা পড়ে, তখন দেরি হয়ে যায়। তাই এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি জেনে রাখা জরুরি। ওজন কমে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা, কোমরে একনাগাড়ে যন্ত্রণা— এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে সোজা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ২০ বছরের কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায় না। ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সি মহিলাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে বয়স ৬০-এর কোঠা ছুঁলেও হানা দিতে পারে এই মারণরোগ। তাই সাবধানতা জরুরি। রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এসব মেনে চলতেই হবে। যোনিতে কোনও রকম ব্যথা বা সমস্যা হলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    Interim Budget 2024: ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও, বাজেট-ঘোষণার প্রশংসা হু-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সমস্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে (Interim Budget 2024) এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। পাশাপাশি জরায়ু ক্যান্সার ঠেকাতে টিকাকরণের কথাও বলেছেন তিনি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতে হু-র প্রতিনিধি ড: রডরিকো অফরিন জানান, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা একদম নীচু তলায় কাজ করেন, তাই তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অভূতপূর্ব।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সকলে আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতেন না। এবার তাঁদের সবাইকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে এই প্রকল্পে পরিবার পিছু বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ দিয়ে থাকে কেন্দ্র। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ কোটি পরিবারের ৫৫ কোটি সদস্য আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকার। রডরিকো বলেন, “হু-র লক্ষ্য হল সর্বত্র সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারত সরকার সকলের জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে কাজ করছে। সেই সঙ্গে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও সক্রিয় ও সচল করে তোলার জন্য বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় হু। “

    আরও পড়ুন: সারভাইক্যাল ক্যানসার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প

    অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্প। আয়ুষ্মান কার্ড থাকলে কেউ প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা পেতে পারেন বিনামূল্যে। এই বিমার সুবিধা পেতে হলে যে কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এটি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে কিশোরীদের টিকা, নির্মলার এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সারভাইক্যাল ক্যান্সার  (Cervical Cancer) প্রতিরোধে উদ্যোগী কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, ‘‘সারভাইক্যাল ক্যান্সার  প্রতিরোধের জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।’’ তাঁর এই ঘোষণায় খুশি চিকিৎসক মহল। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাও। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? দেশে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার বা সারভাইক্যাল ক্যান্সার একটা চিন্তার কারণ। মেয়েরা সবচেয়ে বেশি এই রোগের শিকার হন। তাই এর প্রতিরোধে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

    সারভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা

    দেশের নারীশক্তির উন্নয়নের জন্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী একাধিক ঘোষণা করেন। তার মধ্যেই সারভাইক্যাল ক্যান্সারের  (Cervical Cancer) কথা উল্লেখ করেন নির্মলা সীতারামন। টিকা নিলে এই বিশেষ ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। মেয়েদের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে সেই টিকা দিলে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। বাজেটে নির্মলা বলেন, সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকাকরণে উৎসাহ দেবে কেন্দ্র। তবে কীভাবে সেই উৎসাহ দেওয়া হবে, কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, সে নিয়ে এখনই কিছু বলা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সময় এ নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে। 

    কী বলছেন চিকিৎসকরা

    এই ঘোষণায় খুশি বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, এটি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। এরকম একটি পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল। কারণ তরুণীদের মধ্য়ে সারভাইক্যাল ক্যান্সারের (Cervical Cancer) সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের কথায়, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই টিকা খুবই কার্যকরী। সারভাইক্যাল ক্যান্সারের প্রতিরোধে এটি খুব উপকারী টিকা। এই টিকা প্রাথমিকভাবে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সারভাইক্যাল ক্যান্সার এইচপিভি ভাইরাসের জন্য হয়। টিকাটি নিলে ভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে যায়। বয়ঃসন্ধিক্ষণের সময় এই টিকা দেওয়া হলে তা সবচেয়ে কার্যকরী হয়। এই সময় দুটো ডোজ নিতে হয়।

    সারভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা কেন জরুরি

    ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যান্সার (Cervical Cancer) বেশি হয়, তার মধ্যে এই জরায়ু-মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা বলেন, অল্প বয়সেই টিকা দিলে এই ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমানো যায়। সেই কারণেই টিকা কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিন বছরের জন্য তিন দফায় এই কর্মসূচি চালানো হবে। অন্তত সাত কোটি টিকার জোগাড় হলেই কর্মসূচি শুরু হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যানসার হয়। এই ভাইরাসকে আটকানোর টিকা নিলে এবং প্রতিরোধবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই রোগটিকে নির্মূলও করা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Technology: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    AI Technology: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর বয়স ৬২। ফুসফুসে রক্ত জমে গিয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধেছে পায়ের শিরায়ও। এই অবস্থায় রোগীকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হল হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে। রোগীর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। তবে অভয় দিলেন চিকিৎসকরা।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে শরীর থেকে বের করলেন জমাট বাঁধা রক্ত। নয়া জীবন পেলেন রোগী। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মরণাপন্ন রোগীর আত্মীয়রা। মেদান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের মধ্যে প্রথম এই হাসপাতালেই এআই টেকনোলজি (AI Technology) কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা করা হল কোনও রোগীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এআই-চালিত ডিভাইস পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করা হয়েছিল রোগীর শরীর থেকে জমাট বাঁধা রক্ত বের করতে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত মেদান্ত হাসপাতালে পালমোনারি এমবলিজমের ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এই রোগে রোগীর ফুসফুসে জমাট বেঁধে যায় রক্ত। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রক্ত কম নষ্ট হয়, অ্যানিমিয়ার মতো জটিলতাও দেখা দেয় না। রোগীও সুস্থ হয়ে ওঠেন তাড়াতাড়ি। মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নরেশ ত্রেহান বলেন, “বুক ও আর্টারি খোলার চেয়ে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নেওয়া ভালো। এআই আসপেক্টের সাহায্যে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নিতে পারেন, রক্ত বের না করেই। অতীতে আমাদের যেসব বড়সড় অপারেশন করতে হয়েছে, সেখানে ঝুঁকিও ছিল অনেক বেশি। এখন সেটা অনেক কমেছে।”

    আরও পড়ুুন: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    চিকিৎসক তরুণ গ্রোভার বলেন, “পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করে এক বিমান চালকের জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়েছে শরীর থেকে। অপারেশনের পর পরই রোগীর যন্ত্রণা কমে যায়, কমতে থাকে ফোলা ভাবও।” তিনি বলেন, “আগে অপারেশন করতে হলে রোগীকে পুরোপুরি অ্যানাস্থেশিয়া করতে হত। এই পদ্ধতিতে আর তা করতে হয় না। লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করতে হয়। রোগী নিজেই চাক্ষুষ করতে পারেন পুরো অপারেশন প্রক্রিয়াটা।” এআই (AI Technology) ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছে খ্যাতনামাদের। এআইয়ের কারণেই চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের। সেই এআই ব্যবহার করেই নবজীবন দেওয়া হচ্ছে মরণাপন্ন রোগীদের।

    একই অঙ্গে দুই রূপ এআইয়েরও!   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share