Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তিনি বারবার করেন। একশো দিনের কাজ কিংবা আবাস যোজনা, নানা বিষয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প আটকে থাকছে। কিন্তু এবার তাঁর একটি সিদ্ধান্তের জেরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) আরও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।

    কী সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরি করা হবে। তাঁরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) দেবেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করে একে সিভিক চিকিৎসক বলেছেন। আর বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এই সিভিক চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের জেরেই আটকে যেতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ন্যাশনাল হেলথ মিশনে রাজ্য কেন্দ্রের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এবার সেই টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    কেন কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে? 

    প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্র কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির (West Bengal Health) পরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজ্যের কাছে আসে। কিন্তু ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা চালু হলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোই বদলে যাবে। তখন কেন্দ্রও বিবেচনা করে টাকা পাঠাবে। কারণ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলে, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে মান থাকে, ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা দিলে, সেই মান অন্যরকম হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করত, তারও পরিবর্তন হবে। তার জেরে বরাদ্দ অর্থেরও হেরফের হবে।

    কী ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা? 

    স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলে রাজ্যের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনিক মহল। নবান্নের অন্দরে খবর, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বরাদ্দের টাকা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই (West Bengal Health) খরচ করে না রাজ্য সরকার। এই টাকায় একাধিক অন্য বিভাগের খরচ চলে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া ও নানা পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ চলে কেন্দ্রের পাঠানো এই টাকা থেকে। তাই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ কমলে মুশকিলে পড়বে একাধিক বিভাগ। তাছাড়া, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষ। কারণ, একদিকে ‘সিভিক’ চিকিৎসকের পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, অন্যদিকে ঠিকমতো অর্থ না থাকলে নানা পরিকাঠামোগত ত্রুটিও দেখা দেবে। যা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলবে। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Benefits Of Exercise: প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন রেহাই দিতে পারে এই ১০টি রোগ থেকে!

    Benefits Of Exercise: প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন রেহাই দিতে পারে এই ১০টি রোগ থেকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনকার শারীরিক অনুশীলনের (Benefits Of Exercise) জুড়ি নেই।’’ ডায়াবেটিস হোক অথবা হাইপারটেনশন, দিনের কিছুক্ষণের শারীরিক অনুশীলনই হল এর অব্যর্থস ওষুধ। শুধুই কী তাই! মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও শারীরিক অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে স্ট্রেস যে বাড়ছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। শারীরিক অনুশীলন দিতে পারে এসব থেকে মুক্তি।

    আজকে আমরা আলোচনা করব প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন কী কী রোগ থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে?

    ১) নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে (Benefits Of Exercise) মিলতে পারে হৃদরোগ থেকে মুক্তি

    চিকিৎসকদের মতে, দিনের কয়েক ঘণ্টার শারীরিক অনুশীলন হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এবং এতে যে কোনও রকমের হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং এ সমস্ত কিছু করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে।

    ২) ওজন কমাতেও শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise) জরুরী

    আজকের দিনে একটি গুরুতর সমস্যা হল ওবেসিটি। ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের ফলে এ থেকে মিলতে পারে মুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের জগিং, সাঁতার কাটা বা সাইকিলিং করলে অনেক ক্যালোরি খরচ হয় এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে ওজন কমে।

    ৩) ডায়াবেটিস রোগের অব্যর্থ চিকিৎসা হল শারীরিক অনুশীলন

    ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়, প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise) রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪) অস্টেওপোরেসিস থেকেও মেলে মুক্তি

    অস্টেওপোরেসিস হল এক ধরনের হাড়ের রোগ। এই রোগে ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে হাড়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক কসরত (Benefits Of Exercise) অস্টেওপোরেসিস থেকে মুক্তি দিতে পারে।

    ৫) মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী হল শারীরিক অনুশীলন

    যেকোনও ধরনের ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি থেকে সহজে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৬) নিয়মিত শারীরিক কসরত ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনও ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি যেমন, ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, এ সমস্ত কিছুই এড়ানো যায় নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের (Benefits Of Exercise) মাধ্যমে।

    ৭) শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকেও মেলে মুক্তি

    প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক কসরত ফুসফুসের যেকোনও ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও সেটা থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে শারীরিক অনুশীলন।

    ৮) অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা সহজেই দূর হয়

    ব্যস্ত জীবনে এখনকার দিনে অনিদ্রা সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারাদিনের কাজ করার এনার্জি পাওয়ার জন্য রাত্রের একটি ভালো ঘুম সত্যিই জরুরি হয় আমাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিদ্রার সমস্যা দূর করে প্রতিদিনকার শারীরিক কসরত।

    ৯) আর্থারাইটিস থেকেও মেলে মুক্তি

    যেকোনও জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থারাইটিস এর সমস্যা থাকলেও শারীরিক অনুশীলনে এ থেকে পাওয়া যায় মুক্তি, এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

    ১০) শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা দেয় শারীরিক অনুশীলন

    শারীরিক অনুশীলন আপনাকে চির-তারুণ্য এনে দিতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনকার নিয়মিত এই অভ্যাস আপনার শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Morning Tea: বেড-টি মাস্ট! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন?

    Morning Tea: বেড-টি মাস্ট! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের শুরুটা চা ছাড়া হয়না! বেড-টি মাস্ট! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন? খালি পেটে চা খেলে খিদে মরে যায়। যাঁদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে কিংবা যাঁদের মনে হচ্ছে ডায়েট করেও ওজন বাড়ছে, তাঁদের কিন্তু আগেই এই খালি পেটে চা বন্ধ করতে হবে। খালি পেটে চা খেলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের সক্রিয়তা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। খালি পেটে কড়া চা খাওয়ার অভ্যাস আলসারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, দিনের শুরুতেই চা না খেয়ে দু’গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। এর ৩০ মিনিট পর চিনি ছাড়া লিকার চা খান। চলতে পারে আদা, কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ দেওয়া চা-ও।  চায়ের সঙ্গে একটা বিস্কুট অন্তত খাবেন। 

    লিকার চা-ও খারাপ

    খালি পেটে ব্ল্যাক টি খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে পেটে একটা অস্বস্তি তৈরি হয়। খালি পেটে চা খেলে অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা বাড়ে। খালি পেটে চা খেলে বাড়তে পারে গ্যাসট্রিকের সমস্যা। খালি পেটে চা খেলে চায়ে থাকা ট্যানিন শরীরে বমি বমি ভাব বা ওই রকম অস্বস্তি তৈরি করে।

    দুধ চা কখনওই নয়

    দুধের মধ্যে ক্যালোরি থাকে আর চা-এর মধ্যে যে পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে, তা শরীরের জন্য মারাত্মক। এই চা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর রক্তে ক্যাফেইনের মাত্রা বেড়ে যায়। খালি পেটে যদি এই চা খান তাহলে অতি দ্রুত পাকস্থলিতে অ্যাসিড তৈরি হয়। দিনভর লেগেই থাকে অ্যাসিডিটির সমস্যা। কোনও রকম দুধ দিয়েই চা বানিয়ে সকালে খাবেন না।  দুধ-চায়ের মধ্যে ক্যালোরি বেশি থাকে বলে তা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য যেমন খারাপ, তেমনই কিডনির রোগীদেরও কিন্তু খাওয়া ঠিক নয়। 

    আরও পড়ুন: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    ওয়ার্ক আউটের আগো ‘নো-টি’

    এছাড়াও ওয়ার্ক আউটের আগে খালি পেটে চা খাবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকখানি। ফলে ওয়ার্ক আউট শুরু করলে সহজে ক্লান্তি আসে। পেশিও দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Tips: ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর ক্লান্ত! এনার্জি পেতে কী করবেন? কী খাবেন?

    Health Tips: ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর ক্লান্ত! এনার্জি পেতে কী করবেন? কী খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনে ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে শরীর দ্রুত এনার্জি হারিয়ে ফেলে। বাসে ট্রেনে ঝুলে, অফিস থেকে ফিরে, বাড়ি এসে বোঝা যায় পা যেন আর চলছে না। ক্লান্তির গ্রাসে চলে যায় শরীর। আজকে আমরা আলোচনা করব ক্লান্তি দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবং খাবার (Health Tips) নিয়ে।   

    ক্লান্তি দূর কীভাবে করবেন?

    ১) ব্রেকফাস্ট এড়ানো যাবেনা

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেকফাস্ট না করলে শরীর দ্রুত এনার্জি (Health Tips) হারিয়ে ফেলে। তবে, ব্রেকফাস্টে যেন না থাকে ফাস্টফুড। তার পরিবর্তে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।

    ২) প্রচুর পরিমাণে জল খান

    প্রচুর জল খান-শরীর সুস্থ রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। ডিহাইড্রেশন শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাই সারাদিন জল খান, নিজেকে সতেজ রাখুন।

    ৩) ক্লান্তি দূর করার ঘরোয়া টোটকা (Health Tips)

    গরম ঠান্ডা জল মিশিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম জলে মিশিয়ে দিতে পারেন অল্প নুন। এতে শরীরের সমস্ত ক্লান্তি এক নিমেষে দূর হয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে, ঘুমও ভালো হয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪) স্বস্তির ঘুম খুব প্রয়োজন (Health Tips)

    চিকিৎসকরা বলছেন, সারাদিন কাজের পর রাতে স্বস্তির ঘুম প্রয়োজন। বেশি রাত জাগলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ফলে অবধারিত ভাবে ঘাড়ে, গা, হাত-পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তির সমস্যা বাড়তে থাকে। 

    ৫) ওজন কমান

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ক্লান্তি, অবসাদ, স্ট্রেস। এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে গুরুতর সমস্যা। তাই ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করে ওজন কমাতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    ক্লান্তি দূর করতে ঘরে আনুন এই সুপারফুডগুলি

    ১. ডিম খেলেই কমবে ক্লান্তি

    কম পয়সায় পুষ্টিকর খাবার হল ডিম। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ তে ভরপুর থাকে ডিম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্ত উপাদানগুলি একত্রে মিলে ক্লান্তি দূর করে।

    ২. কলাতেই শক্তি 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খেলে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয় (Health Tips)। এতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। এই সমস্ত উপাদানগুলি একত্রে মিলে শরীরকে শক্তি প্রদান করে। ফলে দ্রুত কেটে যায় ক্লান্তি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলা খাওয়ার পর চটজলদি শরীর এনার্জি পায়।

    ৩) আমন্ড

    আমন্ড হল এক ধরনের বাদাম। এতে রয়েছে ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন। এছাড়া আমন্ডে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন যা শারীরিক ক্লান্তি (Health Tips) দূর করে।

    ৪) তরমুজ

    ক্লান্তি দূর করতে গরমের দিনে তরমুজের বিকল্প নেই। এই ফলে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে জল যা তীব্র তাপদাহে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৫) পালং শাক

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম এবং  আয়রন। এই উপাদানগুলি ক্লান্তি দূর করে (Health Tips) শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য় করে। 

     ৬) বাদাম

    বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। শরীরে চটজলদি এনার্জি ফিরিয়ে আনতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার। তাই ক্লান্তি বোধ করলে একমুঠো বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

    Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লেখার মাঝেই হারিয়ে যায় শব্দ! এমনকী পরিচিত বর্ণ কীভাবে লিখতে হবে, সেও অনেক সময় মনে পড়ে না। দক্ষিণ কলকাতার বছর তেরোর স্কুল পড়ুয়ার স্কুল থেকে অভিভাবককে জানানো হচ্ছে, পরিচিত অনেক কিছুই হঠাৎ ভুলে যাচ্ছে সে। সত্তরের চৌকাঠ পার হওয়ার আগেই আবার নিজের বাড়ির ঠিকানা হামেশাই ভুলে যান বাগুইআটির এক প্রৌঢ়! এমনকী বিকেলে হেঁটে ফেরার পথে কোন গলিতে ঢুকছেন, সেটাও ঠিক বুঝতে পারেন না! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ব্যতিক্রম নয়। গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নতুন স্বাস্থ্য বিপর্যয়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬০ বছরের পর স্মৃতিশক্তি কমার প্রবণতা কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। ডিমেনশিয়ায় (Dementia) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবীণদের এই সমস্যা জীবনযাপনের মান কমাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা শুরু হয় দেরিতে। ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছর ধরে শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সীদের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।

    কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী (Dementia) হঠাৎ খুব সাধারণ বিষয় মনে করতে পারছেন না। সাধারণ ঘটনা বা খুব চেনা জিনিসও অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। মাঝেমধ্যে একটা খালি খালি ভাব মনে হওয়া! অর্থাৎ, কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারেন না। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেন ফগিং বলা হয়। অনেক সময় মাথা ঝিমঝিম করে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাস-বৃদ্ধির নেপথ্যে কী কারণ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষত কমবয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা প্রবল। আর তার অন্যতম কারণ করোনা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ব্রেন ফগিংয়ের মতো সমস্যা অর্থাৎ, হঠাৎ করে মস্তিষ্ক ঝাপসা হয়ে যাওয়া বেড়েছে। আর যে রোগীরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমবয়সী রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই বলা যেতে পারে, করোনামুক্তির পরেও শরীরে যে সব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্মৃতিশক্তি হ্রাস। তবে, করোনার পাশাপাশি দূষণকেও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, দূষণের জেরে মস্তিষ্কের কোষের কার্যক্ষমতা কমছে, আর তার জেরেই মনে রাখার ক্ষমতাও কমছে।

    কীভাবে বাড়বে স্মৃতিশক্তি? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কমবয়সীরা ব্রেন ফগিং কিংবা ভুলে যাওয়ার কোনও রকম উপসর্গ (Dementia) দেখলেই দেরি করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্দিষ্ট ওষুধ ও থেরাপির সাহায্যে এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রে রোগীরা চিকিৎসা অনেক দেরিতে শুরু করেন। ফলে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। সাধারণ বিষয় মনে রাখতে না পারার জেরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ফলে, মানসিক অবসাদ গ্রাস করে। তবে, জীবনযাপনের পরিবর্তন এই ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটানো কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে দিলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কারণ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে থাকে। নিয়মিত মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মনঃসংযোগের অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Banana in empty stomach: সকালে খালিপেটে কলা খান! জানেন, এতে লাভ হচ্ছে না ক্ষতি?

    Banana in empty stomach: সকালে খালিপেটে কলা খান! জানেন, এতে লাভ হচ্ছে না ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিবিদরা সবথেকে জোর দেন ব্রেকফাস্টের উপর। সারদিন শরীরকে এনার্জি সাপ্লাই করবে এমন খাবারই রাখতে বলেন তাঁরা ব্রেকফাস্টে। কিন্তু অনেক সময় কিছু সুপারফুডকে ব্রেকফাস্টে এড়িয়ে যেতে বলেন তাঁরা। যেমন কলা। পুষ্টিগুণের দিক থেকে কলা অনেক উপকারী। কলাতে থাকে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টি। তাছাড়া কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এটি পেশি গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলার কাজে দারুণ সাহায্য করে।  কিন্তু খালিপেটে কলা (Banana in empty stomach) অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে, এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের।

    কেন খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) খাবেন না?

     
    ১) খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) হার্টের ক্ষতি করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, তাই এটি খালি পেটে খেলে বিপাক ক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়তে পারে। হজমের গোলযোগও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় হার্টেরও ক্ষতি হয়।

    ২) ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়

    চিকিৎসকরা বলছেন, কলায় পুষ্টির পাশাপাশি শর্করাও রয়েছে। খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) খেলে এটি হঠাৎ করেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল বিষয় নয়। 

    ৩) খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়

    যদিও কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন খালি পেটে কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা উল্টে বেড়ে যেতে পারে। তাই খালি পেটে কলা না খাওয়াই ভাল।

    ৪) শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি তো ঘটে কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটা কমেও যায়। সুতরাং, দীর্ঘক্ষণ কিছু না খেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে।

    ৫) ব্রেকফাস্টে কলা খাবেন, তবে কিছু খাওয়ার পরে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা ব্রেকফার্সে খাওয়া যেতে পারে, তবে কিছু খেয়ে। প্রথমেই কলা খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, করোনার সংকট শেষ হয়েছে। হু (WHO)-এর এই ঘোষণার ফলে তিনবছর পরে করোনার দাপট ও উদ্বেগ থেকে রেহাই মিলল বিশ্ববাসীর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ থেকে করোনার দাপট শুরু হয়েছিল চিনে, পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে করোনা মোকাবিলা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও শুরু হয় লকডাউন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দেখা যেত। চিন, আমেরিকা সমেত কয়েকটি দেশে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো ভ্যাকসিন তৈরি করে।

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান…

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে, মৃত্যুর হার ছিল প্রতি সপ্তাহে ১,০০,০০০ সেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তা নেমে এসেছে ৩,৫০০। হু-এর মতে, কমপক্ষে ৭০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন অতিমারির কারণে। তবে এবার সেসব থেকে মুক্তি। হু (WHO)- এর মতে, বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এমন মানুষের সংখ্যা ৭৬ কোটি ৫০ লক্ষ।

    ৪ মে বৈঠকে বসেছিল হু (WHO)

    চলতি সপ্তাহের ৪ মে হু-এর করোনা সংকট মোকাবিলা কমিটি তাদের ১৫ তম বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঘোষণা করা হয় অতিমারি শেষ হয়েছে। হু- এর এই ঘোষণা বিগত তিন বছরে, বিশ্বজুড়ে অতিমারির ডেটা বিশ্লেষণ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হু (WHO) জানিয়েছে এই ঘোষণার ফলে একেবারেই যে আমরা বিপদমুক্ত এটা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটা দেশ এবার নিজেদের মতো করে করোনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিক বলেও জানিয়েছে হু।

    ভ্যাকসিনই কি করোনার দাপট রুখে দিল?

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দেশে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ফলেই মিটল করোনার দাপট। হু (WHO)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী ১৩০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বহু মানুষের মৃত্যু অথবা কঠিন স্বাস্থ্য সমস্যাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। হু-এর আক্ষেপ এখনও এমন দেশ রয়ে গেছে যেখানে সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Obesity: খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা কি বাড়ছে! কী জানা গেল সমীক্ষার রিপোর্টে?

    Obesity: খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা কি বাড়ছে! কী জানা গেল সমীক্ষার রিপোর্টে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্যরসিক বাঙালির স্থূলতা বাড়ছে। মেদ (Obesity) জমছে শরীরে। ভুঁড়ির ভারে দৌড়নো কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। এমনকী শরীরের ভার নিতে পারছে না হাঁটু! তাই হাঁটুর যন্ত্রণা, পায়ের পেশির নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে স্থূলতার সমস্যা। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে দেশজুড়ে স্থূলতার (Obesity) সমস্যা বেড়েছে। যে কয়েকটি রাজ্যে স্থূলতার সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা মারাত্মক বাড়ছে। প্রাক প্রাথমিক স্কুল থেকেই যে সব শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন দেখা দিচ্ছে, পরবর্তীতে তারা মারাত্মকভাবে স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। শহুরে শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেশি। এ রাজ্যের ৩০.৪ শতাংশ শহুরে বাসিন্দা স্থূলতার সমস্যায় জর্জরিত। বাদ নেই গ্রামীণ এলাকা। ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২২.৪ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ এ রাজ্যে স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। আর এই ভুক্তভোগীদের একটা বড় অংশ স্কুলপড়ুয়া। অর্থাৎ, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যেই স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

    স্থূলতা কি কেবল মোটা হওয়া? বিএমআই কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র শরীরের গঠন মোটা হলেই তাকে স্থূলতার (Obesity) সমস্যার শিকার বলা যায় না। বিএমআই হিসাব কষে জানা যায় স্থূলতায় আক্রান্ত কিনা! বিএমআই-এর পুরো নাম বডি মাস ইনডেক্স। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও মানুষের ওজন কিলোগ্রাম এককে নিয়ে তার সঙ্গে ওই ব্যক্তির উচ্চতার দ্বিগুণ ভাগ করলে তার শরীরের বিএমআই জানা যায়। প্রত্যেক মানুষের উচ্চতা আলাদা হয়। তার নিরিখে বোঝা যায়, সেই উচ্চতায় কতখানি ওজন শরীরের জন্য ঠিক! তাই এই বিএমআই হিসাব কষে তবেই চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন সেই ব্যক্তি স্থূলতার শিকার কিনা। 

    স্থূলতার সমস্যা কোন কোন ঝুঁকি বাড়াতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা (Obesity) ডেকে আনতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা। যেমন, স্থূলতার জেরে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ হৃদপিণ্ডের রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন করে, এমন শিরাগুলোতে চর্বি জমে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থূলতার সমস্যা হলে কাজের প্রতি অনীহা দেখা দেয়। ফলে, অনেক সময়েই পেশির কার্যশক্তি কমতে থাকে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ডায়বেটিস, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় স্থূলতা। 

    কীভাবে স্থূলতার মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের বদলেই পাওয়া যাবে মেদহীন সুস্থ জীবন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্থূলতার (Obesity) সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, প্রথমেই নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। কী খাচ্ছি, কতটা পরিমাণ খাচ্ছি আর কেন খাচ্ছি, এই তিন প্রশ্নকে মাথায় রেখেই নিজের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই নয়। বাদ দিতে হবে প্রিজারভেটিভ খাবার। বিরিয়ানি, পিৎজা কিংবা হটডগ, এই ধরণের ফাস্টফুডের অভ্যাস ডেকে আনছে বিপদ। দিনে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। তবে, নরম পানীয় কিংবা কৃত্রিম স্বাদযুক্ত বিভিন্ন পানীয় একেবারেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। কারণ, তাতেই শরীর এনার্জি পাবে। কিন্তু পরিমাণে সংযত হতে হবে। ভাত কিংবা রুটি নূন্যতম পরিমাণে খেয়ে শশা, ডাল, সব্জি খেতে হবে। 
    তবে, খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত যোগ্যাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই যোগ্যাভাসে অভ্যস্থ নন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতি দিন নিয়ম করে যোগাভ্যাস করতে হবে। শারীরিক কসরত করলে মেদ কমবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের পরামর্শ, প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। তবেই শরীর ও মন সচল থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতের সংজ্ঞা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। রাত বারোটাও এখন আর গভীর নয়! আধুনিক ব্যস্ত জীবনের দৌড়ঝাঁপ এখন আর শুধু দিনে নয়, রাতেও চলছে সমান তালে! দিনের মতোই রাতে হচ্ছে অফিস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। আর এর জেরেই কমছে ঘুমের সময় (Insomnia)। যা বিপজ্জনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    অনিদ্রা কী? 

    অনিদ্রার ইংরেজি প্রতিশব্দ ইনসোমনিয়া (Insomnia)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা আসলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি। অর্থাৎ, রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম।

    বাঙালির কি ঘুম কমছে? 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাঙালির অনিদ্রা (Insomnia) বাড়ছে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ইনসোমনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ৩৩ শতাংশ শহুরে বাসিন্দা ইনসোমনিয়াতে ভোগেন। এরমধ্যে অবশ্য কিশোর-কিশোরীরাও রয়েছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেও অনিদ্রা দেখা দিচ্ছে। 

    কতটা ঘুম পর্যাপ্ত? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম (Insomnia) জরুরি। তার বেশি হলেও সমস্যা নেই। বিশেষত শিশু ও কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেমেয়েরা যাতে ন্যূনতম  ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। 

    কম ঘুম কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা বা কম ঘুমানোর অভ্যাস (Insomnia) বিপদ বাড়াচ্ছে। শরীরে একাধিক রোগের কারণ এই অনিদ্রা। উচ্চ রক্তচাপ সেই তালিকায় অন্যতম। কম ঘুম শরীরে রক্ত সঞ্চালনে নানান সমস্যা তৈরি করে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। তার উপরে হাইপারটেনশনের ঝুঁকিও থাকে। হাইপারটেনশন ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করে নানান হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হৃদরোগ এড়াতেও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। কম বয়সি বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের অনিদ্রার সমস্যা স্মরণশক্তি হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, রাতে ঘুমের সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতের ঘুমের সময় কমলে হরমোন নিঃসরণ কমতে থাকে। দীর্ঘ সময় পরে যা স্মৃতিশক্তি কমার কারণ হতে পারে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অনিদ্রার সমস্যা। হজমের সমস্যা, তার থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অনিদ্রা। অতিরিক্ত রাত জাগলে অনেক সময়ই রাতের খাবার হজম হয় না। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যা থাকলে, সে থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে না ঘুমোনোর জেরে দেহে মেদ বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম প্রয়োজন। কারণ, অনিদ্রার জেরে অবসাদ, অস্থিরতার মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    কীভাবে হবে পর্যাপ্ত ঘুম? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যতই ব্যস্ততা থাকুক, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই প্রথমেই একটা স্বাস্থ্যকর রুটিন দরকার। স্কুলপড়ুয়া, যারা ভোরে স্কুলে যায়, তাদের রাতের ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় দরকার। অভিভাবকদের সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর দিকে নজর জরুরি। অর্থাৎ, প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে গেলে সহজেই অনিদ্রার (Insomnia) সমস্যা কমানো যাবে। কারণ, শরীরের একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি আছে। সে টের পাবে, কখন তার বিশ্রাম প্রয়োজন। দিনে যতটা সম্ভব ঘুমোনো যাবে না। তবেই রাতের ঘুম হবে। প্রত্যেক দিন শারীরিক কসরত করতে হবে। তবেই স্নায়ু ঠিক সময়ে ঠিকমতো কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Belly Fat: ভুঁড়ির সমস্যায় জেরবার! পাতে রাখুন এই ৯ সুপারফুড আর দেখুন তফাত

    Belly Fat: ভুঁড়ির সমস্যায় জেরবার! পাতে রাখুন এই ৯ সুপারফুড আর দেখুন তফাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুঁড়ি নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। শারীরিক সৌন্দর্য্য তো নষ্ট করেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত মেদের কারণে দেখা দেয় নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) চেষ্টার কসুর করেন না প্রায় কেউই। সকালে জিমে যাওয়া, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া সব কিছুই চলে। কিন্তু এতেও হতাশ হচ্ছেন অনেকে। কমছে না ভুঁড়ি।

    আজকে আমরা আলোচনা করব ৯টি সুপারফুড নিয়ে যা ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) উপকারী

    ১) ডিম

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম মেদ কমাতে সাহায্য করে। ডিম প্রোটিনে ভরপুর আর এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মেদ কমাতে (Belly Fat) কাজে আসে। ডিমের কুসুমে থাকা কোলাইন মেদ জমার প্রবণতাকেও আটকায়, এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের।

    ২) টক দই

    শরীর সুস্থ রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। অন্তত এমনটাই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের। টক দই মেদ কমাতে উপকারি বলেই মানা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, দইয়ে থাকা ল্যাক্টোবেসিলাস মেদ (Belly Fat) জমার প্রবণতা কম করে। এছাড়া, টক দই হল প্রোবায়োটিক, অর্থাৎ, এটি পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। যা, আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

    ৩) সাইট্রাস জাতীয় ফল

    কমলালেবু, মুসাম্বি, বাতাবি, পাতিলেবু ইত্যাদিতে ভরপুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং উদ্ভিদজাত যৌগ থাকে। পাশাপাশি এগুলি শরীরে জলের অভাব মেটায়। পুষ্টিবিদদের মতে, সাইট্রাস জাতীয় ফল খেলে কমে মেদও (Belly Fat)। 

    ৪) গ্রিন টি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি-তে রয়েছে বেশ ভালো মাত্রায় ক্যাফেইন ও ফ্লেবেনয়েড ক্যাটেকিনস, যা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে (Belly Fat) ফেলতে সাহায্য করে বলেই উঠে এসেছে নানা গবেষণায়।

    ৫) শাক-সবজি

    মরশুমি সবজিও শরীরের জন্য খুব উপকারী। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে ও শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। ভুঁড়িও কমাতেও (Belly Fat) সাহায্য করে।

    ৬) বিনস 

    বিনস বলতে কিন্তু এখানে কিডনি বিনস বা রাজমার কথা বলা হচ্ছে। এই খাবারটি এখন সহজলভ্য। এমনকী উত্তর ভারতে এর প্রচলন অনেকটাই বেশি। সেখানকার বাসিন্দারা বিনসের তরকারি দিয়ে রুটি খান। তবে বাঙালিদের মধ্যে এই খাবারের এতটাও প্রচলন নেই। কিন্তু মেদ (Belly Fat) কমাতে চাইলে অবশ্যই বিনস খেতে হবে, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।

    ৭) ব্রকোলি 

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, ব্রকোলির অনেক গুণ রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত খেতেই পারেন ব্রকোলি। এই সবজি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে খিদে পায় না। এই কারণে ওজন ও ভুঁড়ি (Belly Fat) দুইই কমে।

    ৮) ভিনিগার 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিনিগারের ভিতর থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, এই অ্যাসিড ফ্যাট মেটাবলিজম শুরু করে দেয়। ফলে দ্রুত ফ্যাট ঝরতে (Belly Fat) থাকে।

    ৯) ওটস এবং ডালিয়া

    পুষ্টিবিদদের মতে, এই দুই দানাশস্য ফাইবারে ভরপুর। আর এই ফাইবার শরীরের বিভিন্ন উপকার করে। তাই ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) চাইলে অবশ্যই ওটস এবং ডালিয়া খেতে হবে।

       

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share