Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    Covid: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আবারও ফিরল মাস্কযুগ। সূত্রের খবর সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন আর দেরি করা ঠিক হবেনা। সেইমতো করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার উপর জোর দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, করোনার (Covid) নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16) সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি, পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। জানা গিয়েছে, নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)।

    নবান্নে বৈঠক….

    গোটা দেশের সঙ্গেই এরাজ্যে ফের একবার করোনার  প্রকোপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার করোনা বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষভাবে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফের বিভিন্ন বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তারপরেই এদিন নবান্ন থেকে এই মর্মে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃদু সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে হলেও রোগ জটিল আকার নিচ্ছে, বিশেষ করে অত্যন্ত বয়স্ক এবং যাদের হার্ট, কিডনি বা লিভার জনিত সমস্যা রয়েছে বা ক্যান্সার এবং এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই তাদের আপাতত ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদেরও একই আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিড়ে বা গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করার এবং স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা যারা এখনও পর্যন্ত কোভিডের তৃতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেননি তাদের অবিলম্বে তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট হল করোনা এক্সবিবি (XBB) প্রজাতির জিনগতভাবে পরিবর্তিত (Genetically Mutated) রূপ। এই প্রজাতিকে ওমিক্রনের এক্সবিবি উপরূপেরই নিকট আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওমিক্রনের BA.2.10.1 এবং BA.2.75 উপপ্রজাতির সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। বিশেষজ্ঞদের তাই অনুমান, ওই দুই উপপ্রজাতি বদলে গিয়েই এই নয়া রূপ তৈরি করেছে। জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে আপাতত রেহাই মিলবে না, এমনটাই জানা গেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। বৃষ্টি নিয়েও কোনও সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে না হাওয়া অফিস। এমন অবস্থায় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। তবে ঘরেও যে খুব স্বস্তি এমনটা নয়। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়, সে নিয়েই আমরা আলোচনা করবো আজকে। 

    ১০টি সহজ উপায় যা আপানার ঘরের তাপমাত্রা বাড়তে দেবেনা (Room cooling without AC)

    ১. দরজা সবসময় খোলা রাখুন, ঘরের মেঝে মুছুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যথা সম্ভব দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারবার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা (Room cooling without AC)।

    ২. দিনের বেলায় জানলা বন্ধ রাখুন 

    তবে দরজার ক্ষেত্রে যা নিয়ম জানলার ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো। ঘরের হাওয়া চলাচলে বড় ভূমিকা পালন করে জানলা (Room cooling without AC)। গরমে যখন চারপাশ গরম হয়ে যাচ্ছে, তখন সবকটি জানালা বন্ধ করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঘরে তাপ আসে না বাইরে থেকে।

    ৩. সিন্থেটিক বিছানার চাদর এড়িয়ে চলুন 

    এই সময়ে সিন্থেিটক ধরণের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতবেন না। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি তাপ ধরে রাখে। সহজে ঠান্ডাও হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন।

    ৪. ঘরের উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত 

    ঘরে উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত (Room cooling without AC) থাকবে।

    ৫. এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবহার 

    রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায়, রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে।  ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমেও ব্যবহার করা যেতে পারে এক্সহস্ট ফ্যান (Room cooling without AC)।

    ৬. সন্ধ্যার পর দরজা জানলা খুলে দিন

    রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন।  কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই জানলা খুলে দিন। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে (Room cooling without AC)।

    ৭. গ্রিল জাতীয় রান্না কম করুন 

    রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে।

    ৮. বেশি পাওয়ারের আলো না ব্যবহার করাই ভাল

    এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না ব্য়বহার করাই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পাবে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্রা কম হয়।

    ৯. ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন (Room cooling without AC) 

    ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড় বা গামছাও রাখতে পারেন।

    ১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান

    গরম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল নিয়মিত ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন। এমনটাই মত রয়েছে পরিবেশবিদদের। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা (Covid-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ জন, যা গতকালের আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। দেশে একদিনেই ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৬২২-তে পৌঁছেছে। বিগত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে, দেশে একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু (COVID Deaths) হয়েছে ২৯ জনের। 

    নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে (Covid-19) মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখলেও ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। যে রাজ্যগুলির সংক্রমণ সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৭.৭৭ শতাংশ। সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৪ জন।

    আতঙ্কের কারণ নেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনার সাময়িক প্রভাব বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশ জুড়ে আগামী আট থেকে দশ দিনে ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়লেও তার পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আগামী মাসের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনার পরীক্ষা করানোর মতো বিধির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ভাবেই অসাবধান হওয়া যাবে না। 

    আরও পড়ুুন: শুরু সলতে পাকানোর কাজ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    এরই মধ্যে নতুন কোভিড (Covid-19) গাইডলাইন প্রকাশ করেছে হরিয়ানা। সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হসপিটাল, অফিস-সহ সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে থার্মাল টেম্পারেচার স্ক্যানার বসাতেই হবে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভিড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কিডনি, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অধিক সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে, যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি মেনেই করতে হবে। পাশাপাশি, কোনওরকম সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই সরকারি কর্মীদের অফিস না এসে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কোভিড টেস্ট করানোর কথাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রখর দাবদাহ, অন্যদিকে করোনা (Covid-19)—সাঁড়াশি আক্রমণে নববর্ষের প্রাক্কালে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস ওঠার উপক্রম। কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। নতুন বছরের গোড়ার দিকে করোনা নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারও। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। তবে আবার উদ্বেগ বাড়ল এক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘিরে। 

    কলকাতায় মৃত্যু

    কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ভাস্কর দাস (৭৬) করোনায় (Covid-19) সংক্রামিত হয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাঘাযতীনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। ওই দিনই বৃদ্ধর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনের দাবি, তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। তার মধ্যে কলকাতায় ১৭ জন। দিন কয়েক আগেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ষাটের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিক থেকে এটাই ইতিবাচক যে, সংক্রামিতের সংখ্যা কমছে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭০। তার মধ্যে কেউ বাড়িতে থেকে কেউ বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও।

    আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ

    গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩০ জন। বুধবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠায় করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ভিড় এলাকায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। শুধু তাই নয়, আম জনতার করোনার টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার (Covid-19) বাড় বাড়ন্তের পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়স্ক ও শিশুদের পক্ষে। তাই যাঁরা গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের অবিলম্বে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন মহলে করোনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, রাজ্যে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে, তা হল ওমিক্রন XBB.1.16। যা মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকতে পারছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে দিন পনেরোর মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনার (Covid-19) প্রকোপ। সংক্রামিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একদিনে দেশে কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। বুধবার, দেশে আগের দিন অর্থা‍ৎ মঙ্গলবারের তুলনায় দৈনিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭,৮৩০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি রাজ্যে ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা দেখে অনেকেই শঙ্কিত। কারণ, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। নড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।

    ফের করোনার দাপট

    দেশে করোনার (Covid-19) সংক্রমণ নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়ায় কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই ঠিক হয়, কীভাবে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব, তার রুপরেখাও স্থির হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে ফের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে আপাৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।

    কেরল অগ্রগণ্য

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশের যে রাজ্যগুলিতে করোনার (Covid-19) প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে কেরল অগ্রগণ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৮৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। তার পরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৮০ জন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। পশ্চিমের রাজ্যটিতে ৯১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। পশ্চিবঙ্গে সংখ্যাটা কম। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ৫৯ জন গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। তবে রাজ্য সরকার যদি চোখে ঢুলি বেঁধে থাকে, তাহলে অতীতের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যবাসীকেও।

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত ২২০.৬৬ কোটি কোভিড (Covid-19) টিকা দেওয়া হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে ২ জন করে এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের ১ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: ফের বাড়ছে করোনা! উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করান, পরামর্শ চিকিৎসকদের

    Covid-19: ফের বাড়ছে করোনা! উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করান, পরামর্শ চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কোভিডের (Covid-19) উপসর্গ থাকলেও, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাই আক্রান্তের সংখ্যার এই ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র রুখতে জ্বর, সর্দি-কাশিজনিত অসুস্থতা হলেই পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।

    কেন ফের এই সংক্রমণ?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত তিন বছরের অভিজ্ঞতায় মানুষের করোনাজনিত মৃত্যু-ভয় প্রায় চলে গিয়েছে। ফলে সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা গেলেও, তাঁরা তাতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। চিকিৎসকদের মতে, পরীক্ষা করলে দেখা যাবে এঁদের একটি বড় অংশই করোনা-আক্রান্ত। কিন্তু পরীক্ষা না করার ফলে নিজের অজান্তেই ওই আক্রান্তেরা বাইরে বার হচ্ছেন এবং অন্যদের সংক্রমিত করছেন। ওই শৃঙ্খল ভাঙার জন্য যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের হয় পরীক্ষা করা বা বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

    টিকা নিলেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নন

    চিকিৎসকদের মতে, বিশেষ করে প্রতিষেধক যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের করোনা থেকে সুরক্ষিত বলে মনে করছেন। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার টিকার কার্যকারিতা ছ’মাসের পর থেকে কমতে শুরু করে। করোনা মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অতীতে করোনা মোকাবিলায় যে নিয়মগুলি মেনে চলা হয়েছিল, তা পুনরায় পালন করতে বলা হচ্ছে। ভিড়ে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    বুস্টার হিসেবে কোভোভ্যাক্স

    দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধির আবহে শীঘ্রই কেন্দ্রের কোউইন অ্যাপে মিলতে পারে কোভোভ্যাক্স। ফলে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি আরও একটি টিকা বুস্টার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিনা জিএসটিতে টিকা প্রতি এর দাম হতে পারে ২২৫ টাকা। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি এই টিকায় ছাড়পত্র দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাক্সিনের ২টি টিকা নেওয়ার পর বুস্টার হিসাবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে অভিমত টিকা প্রস্তুতকারকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Health Day: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস! জানেন চলতি বছরের থিম কী ছিল? 

    World Health Day: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস! জানেন চলতি বছরের থিম কী ছিল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালিত হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়ে বহু বছর আসছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করাও এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা সম্পর্কে ব্যক্তিকে সচেতন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস

    ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। স্বাস্থ্য সমস্যায় নজর রাখা ও তার নিবারণ এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। তবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের প্রত্যেকটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এই দিনটি পালনের পিছনে অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

    এ বছরের থিম

    প্রতি বছরই কোনও না-কোনও থিমকে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day) পালিত হয়। গত কয়েক বছরে বিশ্ব করোনা সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তাও টের পাওয়া গিয়েছে। চলতি বছর এই দিবস পালনের থিম হল ‘সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য’। WHO-এর প্রতিষ্ঠা দিবসই প্রতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। যে স্বাস্থ্য সমস্যা কোনও নির্দিষ্ট বছরকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্য দিবসের থিম নির্ধারণ করা হয়। তাই এ বছরের থিমও তাই সকলের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। কারণ এটি ভালো করেই বোঝা গিয়েছে, এক জনের সঙ্গে সকলের স্বাস্থ্যের সূত্র জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত নাগরিক যাতে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন, তা নিশ্চিত করাই এই দিনটির উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Watermelon: ভুলে যান কোল্ড ড্রিঙ্কস! এই গ্রীষ্মে সতেজ থাকুন তরমুজে, জানেন উপকারিতা?

    Benefits of Watermelon: ভুলে যান কোল্ড ড্রিঙ্কস! এই গ্রীষ্মে সতেজ থাকুন তরমুজে, জানেন উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম পড়তেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। তাপমাত্রার পারদ যে ভাবে চড়ছে তাতে ভরসা এখন এই লাল ফলেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোল্ড ড্রিংস নয়, বরং সতেজ রাখে তরমুজই (Benefits of watermelon)! তরমুজের মধ্যে ৯২ শতাংশ রয়েছে জল। তরমুজের মধ্যে সামান্য ক্যালোরি থাকে। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার।

    একনজরে দেখে নিই তরমুজের উপকারিতা (Benefits of watermelon)

    ১. তরমুজ শরীরে জলের অভাব মেটায়

    তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জল থাকে। ফলে গরমে শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে কিন্তু তরমুজ খুব ভাল কাজ করে। সেই সঙ্গে কিন্তু হজমেও সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

    ২. তরমুজ বাড়তি ওজন কমায়

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম কাল ওজন কমানোর জন্য সেরা সময়। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। আর তাই গরমে বাজারে উপলুব্ধ ঠান্ডা নরম পানীয় না খেয়ে তরমুজ খান। উপকারে আসবে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে ওজন বাড়ারও ভয় নেই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল। ফাইবারের ফলে তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

    ৩. তরমুজ কিডনি সমস্যারও সমাধান করে 

    পুষ্টিবিদদের মতে, তরমুজের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। যা আমাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যা থেকেও দূরে রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

    ৪. তরমুজ ত্বক ভাল রাখে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে তা ত্বকেও প্রভাব ফেলবে। গরমে বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়া দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে ভিটামিন সি। মাড়ির টিস্যুতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রোধ করতে পারে এই ফল।

    ৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হল তরমুজ

    তরমুজে থাকা কোলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কোলিন বেশ সহায়ক।

    ৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে তরমুজ

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকাও রয়েছে তরমুজের। তরমুজের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে থাকে নিট্রিক অক্সাইড ডিলায়েটস- যা রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রোধ করে।

    ৭. হার্টের সমস্যার সমাধান করে তরমুজ

    হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য। কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।

    তরমুজের বীজের উপকারিতা…

    তরমুজের বীজ কিন্তুও খুব উপকারী। যা কপার, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজে সমৃদ্ধ। তরমুজের বীজে উচ্চ প্রোটিন রয়েছে। আপনার সারাদিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০% আপনি পাবেন এই এককাপ (৩০.৬ গ্রাম) তরমুজের দানায়। শরীরে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে এর মধ্যে। তার মধ্যে একটি হল আর্গিনাইন, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনারি হার্ট ডিজিজের চিকিত্‍‌সার ক্ষেত্রেও এটা একটা জরুরি উপাদান। এ ছাড়াও গ্লুটামিক অ্যাসিড, লাইসিন, ট্রিপ্টোফানের মতো প্রোটিনও রয়েছে তরমুজের বীজে। ভিটামিন বি-ও রয়েছে তরমুজের বীজে। 

    তরমুজের খোসার উপকারিতা…

    তরমুজের খোসায় (মূলত খোসার ভেতরের অংশ, অর্থাৎ, মূল শাঁস ও বাইরের আস্তরণের মাঝের অংশ) রয়েছে সিট্রুলিন, যা ফ্রি রেডিকেল দূর করতে ভালো কাজ করে। এটা এমিনো এসিডে পরিবর্তিত হয়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। বাড়তি ওজন কমাতে পারে। রক্তচাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে, তরমুজের খোসা খাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে বাইরের যে সবুজ অংশ, সেটা খাবেন না। এটা পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    তবে সাবধান! নিয়ন্ত্রণ অবলম্বনও জরুরি…

    তবে তরমুজ খেতে হবে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজ ফাইবারে ভরপুর। তাই  অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়াসহ পেটের নানা রোগ দেখা যেতে পারে।  বেশি তরমুজ খেলে অম্বল ও বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম। তাই ১ দিনে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ হজম করা সম্ভব।  এতে শরীরে ঢোকে ১৫০ গ্রাম ক্যালরি, যা শরীরের জন্য যথেষ্ট। এর থেকে বেশি তরমুজ খেলেই সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Covid 19: দেশে ফের বাড়ছে করোনার গ্রাফ! দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, মৃত ৬

    Covid 19: দেশে ফের বাড়ছে করোনার গ্রাফ! দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, মৃত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে দেশে। প্রায় প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে এক দিনে প্রায় ২ হাজার মানুষ নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের সপ্তাহেই সংখ্যাটি ছিল ১৯। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত মাস অর্থাৎ ২১০ দিনের মাথায় এটা সর্বোচ্চ। গত বছর অক্টোবর মাসে শেষ বার এক দিনে এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে, এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যে হারে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা ২ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।

    বিগত ৬ সপ্তাহ ধরেই করোনা ধীরে ধীরে মাথাচারা দিচ্ছে

    গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৮১ জন। তার আগের সপ্তাহের পরিসংখ্যানের চেয়ে যা ৭৮ শতাংশ বেশি। পূর্ববর্তী সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৯২৯ জন। সে ক্ষেত্রেও দৈনিক সংক্রমণে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। গত ৬ সপ্তাহ ধরেই করোনা ধীরে ধীরে মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

    সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আগামী দিনে নতুন করে অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধপত্র, অক্সিজেন এবং আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে কি না, যাচাই করে দেখা হবে এপ্রিলের মহড়ায়। আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। অনুষ্ঠিত হবে মহড়া। এবিষয়ে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share