Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যে আগামী কাল, বৃহষ্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থী যাতে সুস্থভাবে মাধ্যমিক দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সাবধানী ভূমিকা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে যাতে সর্দি কাশি কিংবা জ্বর নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে না যায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনও মূল্যেই পরীক্ষা দিতে চাইবেন ছাত্রছাত্রীরা। তাই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে “সিক রুম” রাখতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    সতর্ক পর্ষদ

    পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবরকম সতর্কতা নেবে পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকতে চলেছে “সিক রুম”। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করলে যাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই কারণেই এই সিক রুমের ব্যবস্থা থাকছে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই। সব কটি ভেন্যুতেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকবে। যেভাবে জ্বর বা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে, তার জেরেই এই বাড়তি ব্যবস্থা বলে জানান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ক্লান্ত লাগছে, দুর্বল! ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নয় তো?

    মার্চ পর্যন্ত সাবধানে থাকুন

    ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অ‌্যাডিনো (Adenovirus) সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই সকলকে আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রাজ‌্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন‌্য দায়ী অ‌্যাডিনো ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়নি। যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটি পুরনো। এবং আগেও ছিল, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৮ সালেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এবছর এই ভাইরাস সংক্রমণ লাগাম ছাড়া। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়। পেডিয়াট্রিক আউটডোরে থিক থিক করছে লোক। ভিড় উপচে পড়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। বি সি রায় হাসপাতালের আউটডোরে। তাই আপাতত আরও একমাস সকলকে সাবধানে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট শহর জুড়ে! জানুন এর উপসর্গ ও নিরাময়ের উপায়

    Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট শহর জুড়ে! জানুন এর উপসর্গ ও নিরাময়ের উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শহর কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ৫০ শতাংশ শিশু  জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে কাহিল। ৩ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুদের সংক্রমণ বেশি। ৩৪ শতাংশ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। একজন আক্রান্ত হলেই তার হাঁচি-কাশি থেকে অন্য শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।

    উল্লেখ্য, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো পাঁচশোরও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস আর প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে।

    অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ও নিরাময়

    তিনদিনের বেশি জ্বর,নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, কাশি, গা হাত পা ব্যথা, বমি, লুস মোশন, দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে কোনও একটিও উপসর্গ দেখা গেলে প্রচুর পরিমাণ জল কিংবা ORS খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। তবে দিনে সর্বাধিক পাঁচবার। নাক বন্ধ হয়ে গেলে নুন দিয়ে গারগেল। খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাবের পরিমাণেও।

    কাদের ঝুঁকি বেশি

    শিশু চিকিৎসকদের কথায়, ২ বছরের কমবয়সি শিশুদের মধ্যে যাদের জন্মগত কোনও হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে অথবা সময়ের আগে জন্মেছে কিংবা জন্মের সময়ে ওজন ২ কেজি-র কম ছিল, তাদেরই ঝুঁকি সব চেয়ে বেশি। সাধারণ সর্দি-কাশিটা ভয়াবহ শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে অনেক সময়ে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও নিচ্ছে না। তাই সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। এই ভাইরাস ঠেকানোর বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন পর শরীর থেকে বিদায় নিচ্ছে ভাইরাস। তবে কাশিটা থেকে যাচ্ছে। সতর্কতা জরুরি।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি

    অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) মূলত শিশুরা (Child)  আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে স্কুল থেকে শিশুদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে স্কুলে না পাঠানোই ভাল। শিশু সংক্রমিত হলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখুন। যাতে সকলের সংস্পর্শে সে আসতে না পারে, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adenovirus: মাস্ক পরুন, ভিড় এড়ান! অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত বহু শিশু, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    Adenovirus: মাস্ক পরুন, ভিড় এড়ান! অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত বহু শিশু, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভিড় বাড়ছে আক্রান্ত শিশুদের। কলকাতা শহরের সব সরকারি হাসপাতালেই শিশুবিভাগের শয্যা প্রায় ভর্তি । ১ থেকে ২ বছরের মধ্য শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। জ্বর- সর্দি-কাশি- হাঁচি নিয়ে হাসপাতালে আসছে শিশুরা। কারও অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে।  

    সরকারি নির্দেশিকা

    অ্যাডিনো ভাইরাস সম্পর্কে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, চিকিৎসকদের  অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটার এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনের জোগানে নজরদারির জন্য সিএম‌ওএইচ, মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।  বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শিশুবিভাগে অতিরিক্ত পিকু এবং নিকু খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শুধু তাই নয়, কোভিডের ধাঁচে ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস বা ইলি এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুখের ডেটা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়াও চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলিতে কত নতুন শিশু ভর্তি হচ্ছে, কতজনের মৃত্যু, নতুন-পুরোনো মিলিয়ে কতজন শিশু, চিকিৎসাধীন রয়েছে, পিকু, নিকু, সিসিইউ, এস‌এনসিইউয়ে কতজন রয়েছে, ভেন্টিলেটরে কতজন রয়েছে- সব তথ্য হাসপাতালগুলিকে জানাতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    বাবা-মায়েরা কী করবেন

    প্রসঙ্গত, শিশু চিকিৎসকেরা কোভিডের মতোই অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রামক জানিয়ে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা সহ বিশেষ নির্দেশিকা জারি করার প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। তাঁদের সেই প্রস্তাব মেনে সরকারি নির্দেশিকায় (Guidelines) বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে ৫টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল- অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন না। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাস-ট্রেন-সহ ভিড়বহুল জায়গায় মাস্কের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করা ঠিক নয়। জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশির উপসর্গ হলেই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে বা  রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম হলে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    Adeno: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা এবং কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ইমিউনিটি কমে যাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শহর জুড়ে দেখা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাসের দাপট। যার নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। শিশুদের উপর এরা বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, প্রাথমিক ভাবে এমনই লক্ষ্মণ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ভুল করে ফেলছেন চিকিৎসক থেকে রোগীর পরিবার।  সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শিশু হাসপাতালে আইসিইউয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আইসিইউয়ে বেডের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উপচে পড়ছে জেনারেল বেড।  কলকাতা মেডিক্যালে দেড় মাসে এই ভাইরাসের সংক্রমণে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। 

    অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ

    আচমকাই শহরে বেড়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তাঁরা বাড়তি সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আইসিইউ বেড যাতে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকে হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এক থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে আইসিইউতে। 

    আরও পড়ুন: পুষ্টিবিদরা দৈনন্দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখতে বলছেন, এর ৭টি পুষ্টিগুণ জানুন

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি। একইসঙ্গে পারদের ওঠানামা লেগেই রয়েছে। পিসিআর (polymerase chain reaction) টেস্ট করে অ্যাডিনোভাইরাস চিহ্নিত করা গেলেও এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডাইরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে রোগীর। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Beans Health Benefits: কেন প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখবেন কলাই জাতীয় শস্য? রইল ৫টি কারণ

    Beans Health Benefits: কেন প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখবেন কলাই জাতীয় শস্য? রইল ৫টি কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনস (Beans) বা কলাই জাতীয় শস্যদানাকে ‘সুপারফুড’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার একে পুষ্টির ‘পাওয়ারহাউস’ও বলেন। এই তালিকায় রয়েছে যেমন রাজমার মতো বিনস-জাতীয়, মাষ-মুগের মতো কলাই-জাতীয় শস্যদানা ও ছোলা-মটর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন পুষ্টির উপাদানে ভরপুর থাকে এই কলাই জাতীয় শস্যগুলি।

    আসুন জেনে নিই কলাই জাতীয় শস্যতে (Bean) পুষ্টির কী কী উপাদান থাকে—

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন কলাই শস্য (Bean) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে কলাই শস্য।

    ১. হার্টের জন্য ভাল

    বিশেষজ্ঞদের মতে কলাই শস্যের (Bean) বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। প্রতিটি প্রকারের শস্য আলাদা আলাদা গুণে সমৃদ্ধ।

    কলাই শস্যগুলি দানাদার হয় এবং আকারও আলাদা আলাদা হয়। তবে এগুলি হার্টের জন্য উপকারী এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

    ২. রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে কলাই-জাতীয় শস্য (Bean)

     বিশেষজ্ঞদের মতে কলাই শস্যগুলি (Bean) রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।


    শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও কলাই শস্যগুলি ভূমিকা নেয়।

    ৩. কড়াই শস্যগুলি (Bean) ফাইবারে পরিপূর্ণ

    পুষ্টিবিদরা বলছেন কলাই শস্যগুলি ফাইবারে পরিপূর্ণ।

    এগুলো কোলেস্টরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলো হজমে সহায়ক।

    ৪. হাড় মজবুত করে কলাই জাতীয় শস্য (Bean)

     বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলাই শস্য খুবই উপকারী।

    400

    ক্যান্সারের মতো রোগেরও ঝুঁকি কমায় কলাই শস্য।

    ৫. নিরামিষভোজীদের প্রোটিনের ভাল উৎস কলাই জাতীয় শস্য (Bean)


    আমিষ খাবার যাঁরা খান না, তাঁদের জন্য বিকল্প উদ্ভিজ প্রোটিনের ভরপুর উৎস হল কলাই জাতীয় শস্য অন্তত এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: পুষ্টিবিদরা দৈনন্দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখতে বলছেন, এর ৭টি পুষ্টিগুণ জানুন

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। মরশুম বদলের এই সময় সাবধান থাকাটা সকলের জন্যই আবশ্যিক। এই সময়ে যে রোগটি বেশি দেখা যায় সেটি হল চিকেন পক্স বা বসন্ত রোগ। ফলে চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে আপনি খেতে পারেন সজনে ফুল। সজনে ফুল এই বসন্তে ভীষণ উপকারি। এই ফুল বসন্ত- প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বসন্তে মরশুম বদলের সময় সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব কিছু থেকেও রক্ষা পেতে সজনে ফুল উপকারি।

    সজনে কেন উপকারি?

    সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। মোরিঙ্গা বা সজনে পাতা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রধানত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন এ, ডি, সি সমৃদ্ধ সজনে পাতা, ফুল ও ডাঁটা। সজনে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি প্রকৃতপক্ষে পুষ্টির পাওয়ার হাউস।

    এতে কী কী গুণ রয়েছে?

    সহজে ঠান্ডা লাগবে না- এই মরশুমে সর্দি,কাশির থেকে দূরে থাকতে সজনে ফুল উপকারি।

    বাতের ব্যথায় উপকারি- সজনে ডাঁটা বা ফলে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। বাতের রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারি। সজনের ডাঁটা থেকে বাতের তেল তৈরি হয়। যা বাত রোগীদের পক্ষে দারুন কার্যকরী।

    শক্তি বৃদ্ধি করে- শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দেয় সজনে পাতা। প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের দুর্বলতা ও তন্দ্রা কমাতে সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিসের জন্য ভালো– এই পাতায় শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল, লিপিড এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রাও কমাতে পারে যা মানবদেহে ডায়াবেটিসের বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

    স্বাস্থ্যকর চোখ- সজনে পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা সুস্থ চোখ, পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তি এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

    হার্টকে সুরক্ষিত রাখে- হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করতে ও কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে সজনে পাতা।

    লিভারকে সুস্থ রাখে- এই পাতায় পলিফেনলের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা লিভারকে যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদ্যতালিকায় মাশরুমের (Mushrooms) আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। মাশরুম নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। এবং প্রতিনিয়ত এর নতুন নতুন গুণাবলী আমাদের সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমের ব্যাপক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। মাশরুম রান্না করাও সহজ।

    আজ আমরা আলোচনা করব মাশরুমের (Mushrooms) বেশ কিছু পুষ্টিগত গুণ নিয়ে

    ১.মাশরুমে (Mushrooms)থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ হল ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে শরীরকে বাঁচানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সেলেনিয়াম নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাশরুমে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। 

    ২. ভিটামিন-ডি এর ভাল উৎস হল মাশরুম (Mushrooms)

    ভিটামিন ডি-এর একটি উদ্ভিজ্জ উৎস হল মাশরুম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির মধ্যে মাশরুমকে বেশ কয়েকঘণ্টা রোদে রাখলে এটি আরও ভাল ভিটামিন ডি এর উৎস হবে। 

    ৩. হার্টের জন্য খুবই ভাল

    বাড়তি ওজন কম করতে মাশরুমের (Mushrooms) জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মাশরুম খুবই ভাল। মাশরুম কোলেস্টরল কম করে এবং রক্তচাপ কমায়।

    ৪. অন্ত্রের জন্য খুবই ভাল

    মাশরুমে (Mushrooms) থাকে বিটা গ্লুকান, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অন্ত্রকে ভাল রাখে।

    ৫. মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপযোগী হল মাশরুম (Mushrooms)। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এর জুড়ি নেই।

    ৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে

    বাড়তি ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য মহৌষধ হল মাশরুম (Mushrooms), অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ৭. চুল এবং ত্বকের জন্য ভাল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও মাশরুম খুব উপকারী।

    ৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে মাশরুম (Mushrooms)।

    ৯. শরীরে অস্বস্তি কমায়

    মাশরুম (Mushrooms) খেলে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়না, অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ১০. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

    মাশরুমে (Mushrooms) পাওয়া যায় ভিটামিন বি৬, যা সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা (Tuberculosis) নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। একটি শীর্ষস্থানীয় বায়োটেক কোম্পানি ভারতের প্রথম পোর্টেবল এক্স-রে ডিভাইস চালু করতে প্রস্তুত। এই ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে এক মিনিটেই সংক্রামক রোগ নির্ণয় করা যাবে।    

    পুনে ভিত্তিক সংস্থা মাইল্যাব ডিসকভারি (Tuberculosis) সলিউশন, ১৪ ফেব্রুয়ারি Qure.ai-এর সঙ্গে যৌথভাবে ঘোষণা করেছে , মেডিকেল ইমেজিংয়ের সাহায্যে এআই সফ্টওয়্যারের একটি এক্সরে প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে। এর ফলে যক্ষ্মা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং ফুসফুসের সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: নতুন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ, এখন থেকে ফটো কোয়ালিটি পছন্দ করতে পারবেন ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরা

    মাইল্যাব এবং Qure.ai শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে ডিভাইস (Tuberculosis)। এর ফলে টিবি রোগ নির্ণয় অনেক বেশি নির্ভুল এবং দ্রুত হবে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা- নিরীক্ষার পরই বাজারে উপলব্ধ হবে এই ডিভাইস। এর খরচ সাধারণ এক্স-রে পরীক্ষার মতোই হবে বলে জানা গিয়েছে৷

    ভারতের যক্ষ্মা পরিস্থিতি 

    সংস্থা দুটি জানিয়েছে, পালমোনারি টিবি রোগীদের খুব দ্রুত সনাক্ত (Tuberculosis) করা যাবে। এর ফলে ২০২৫- এর মধ্যে ভারত যক্ষ্মামুক্ত দেশে পরিণত হবে। এনটিইপি এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল তিনটি। এক, ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যুহার কমানো, দুই, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নতুন করে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দূর করা এবং তিন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে টিবি চিকিৎসায় রোগীর খরচ শূন্য করা। এই প্রকল্প ধাক্কা খায় ২০২১ সালে। কোভিডের কারণে যক্ষ্মা রোগীর রোগনির্ণয় প্রক্রিয়া খানিক বাধাপ্রাপ্ত হয়। তার নেতিবাচক ফলাফলও নজরে আসে।

    ২০১৯ সালে সারা দেশে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষের আশপাশে। টিবি ইন্ডিয়া রিপোর্ট ২০২২–এর তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে টিউবারক্যুলোসিস রোগীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৯ লক্ষ ৩৩ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ রোগীর সংখ্যায় প্রায় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়া প্রাণহানির হারও বাড়ে। তবে লড়াই থেমে ছিল না। তারই ফলে যক্ষ্মা নির্মূলকরণের উদ্যোগে কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁচা পেঁপের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। কাঁচা পেঁপের রস শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি জ্বর নিরাময়ে, পেটের সমস্যা দূর করতে, গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজম দূর করতেও সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা একে ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে।

    হজমে সহায়ক

    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধে কাঁচা পেঁপে সহায়ক। এটি হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি করে। বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানান সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পাপাইন ও চিমোপাপাইন নামক এনজাইম এবং খাদ্য আঁশ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে  কেমোপেইন, প্যাপিন, পাইপাইন ও সাইমোপ্যাপিনের মতো উপাদান থাকে। এগুলো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যেমন—স্যাপোনিনস, টানিনস, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে আইজিএমের মাত্রা বাড়ায়। কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা কারডেনোলিডস ও স্যাপোনিনস উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা উপাদান স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্বাস্থ্যকর হার্টবিট মেইনটেইনে কার্যকর।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    কাঁচা পেঁপেতে কম ক্যালোরি ও উচ্চ মাত্রায় খাদ্য আঁশ রয়েছে। তাই কাঁচা পেঁপে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় এনজাইম প্রদাহ রোধে সহায়ক। কাঁচা পেঁপের জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত কাঁচা পেঁপের জুস খান। 

    ত্বকের জন্য উপকারী

    গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে ত্বকের জন্য উপকারী। এটি স্কিন আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে কাঁচা পেঁপে। সান ড্যামেজ, ব্রণ ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে কাঁচা পেঁপে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। কাঁচা পেঁপে মৃত কোষকে দূর করতে কার্যকরী। আর এতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতরেও পরিষ্কার করে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    কাঁচা পেঁপেতে গাজর ও টমেটোর চেয়েও অনেক বেশি ক্যারটিনয়েডস পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের শরীরের ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে হাঁপানি, অস্টিও আর্থারাইটিস, গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগের উপকারে এবং হার্টকে ভালো রাখতে অনেক কার্যকরী। তবে কাঁচা পেঁপে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে এলার্জি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে পরিমিত আহার শ্রেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chicken Pox: শীতের বিদায়বেলায় বাড়ছে চিকেনপক্স, কোন কোন খাবার খাবেন?

    Chicken Pox: শীতের বিদায়বেলায় বাড়ছে চিকেনপক্স, কোন কোন খাবার খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শীতকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। কখনও কম্বল নিতে হচ্ছে, কখনও আবার চালাতে হচ্ছে ফ্যান। এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। এই সময়ই বসন্তের সঙ্গে সঙ্গেই আসে চিকেন পক্স (Chicken Pox)। বায়ুবাহিত এই রোগ যাঁদের এর আগে হয়নি যাদের, তাদের ভয় আরও বেশি। বিশেষত শিশুদের অবশ্যই এই সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি। এমনকি যাদের এই রোগ আগেও হয়েছে তাদেরও সাবধানে থাকতে হবে। সতর্ক না থাকলে তাঁরাও শিকার হতে পারেন এই অসুখের। তাই সাবধান থাকাটা খুব জরুরি।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    এই সময় বেশ কিছু খাবার খেলে আপনি এই রোগকে দূরে রাখতে পারবেন। কী কী খাবেন?

    সজনে ফুল

    এই সময় মাঝেমাঝেই সজনে ফুল খেতে পারেন। বায়ুবাহিত নানা অসুখকে দূরে রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন খাওয়ার চেষ্টা করুন সজনে ফুল। 

    নিম

    নিম পাতা জীবাণুনাশক। স্নানের সময়ে জলে নিম পাতা দিয়ে স্নান করলে ও নিম পাতা ভাজা খেলে এই অসুখ ঠেকানো অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ‘ভ্যারিসেল্লা’ ভাইরাসেরর আক্রমণে এই রোগ হয়। নিমপাতা সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।  

    বাঁধাকপি

    বাঁধাকপি এই রোগকে দূরে রাখে। থাইরয়েডের সমস্যা না থাকলে বাঁধাকপি খেতে পারেন। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বসন্তের মতো বায়ুবাহিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে। 

    গাজর 

    শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাজর উপকারী। বিটা ক্যারোটিন এবং অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই সব্জি বসন্ত ঠেকাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া যে কোনও সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়তে গাজর খুবই কার্যকর।

    টক দই

    টক দই টক্সিন দূর করে, শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরীর ভিতর থেকে টক্সিন মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়। বসন্ত রোগ ঠেকাতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই ধরনের প্রোবায়োটিক উপাদান যুক্ত খাবারের উপর। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে নানাবিধ সংক্রমণ ঠেকায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share