Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BF.7: রাজ্যে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর হদিশ মিলল, আক্রান্ত ৪

    BF.7: রাজ্যে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর হদিশ মিলল, আক্রান্ত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7)। ইতিমধ্যে সমগ্র চিনে আতঙ্কের প্রধান কারণ হয়ে রয়েছে। নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের দাপটে সে দেশে শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7)  এর খোঁজ পাওয়া গেল। জানা যাচ্ছে যে রাজ্যে চারজনের দেহে সন্ধান পাওয়া গেছে নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7)-এর।

    ওই চারজনের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন এবং তাঁরা নদীয়া জেলার বাসিন্দা এবং অপর একজন কলকাতার বাসিন্দা বলেই জানা গেছে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে আক্রান্তরা এখন স্বাভাবিক আছেন। প্রসঙ্গত বিএফ.৭ এর এই সাব ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান এর আগেও দেশে পাওয়া গেছিল গুজরাট এবং ওড়িশাতে। উভয় রাজ্যের দুজন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেটা অবশ্য অনেক আগের কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম বিএফ.৭ (BF.7) -এর হদিশ মিলেছে।

    বিএফ.৭ (BF.7)  এর লক্ষণগুলি কী কী ?

    চিনে বর্তমানে দাপট দেখাচ্ছে বিএফ.৭ (BF.7)। সরকারি সূত্রে জানা গেছে যে করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং ১০ থেকে ১৮ জন ব্যক্তিকে সংক্রমণিত করতে পারে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি। করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির মতোই রয়েছে এর লক্ষণ। অর্থাৎ ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা ইত্যাদি।

    দেশের সার্বিক চিত্র

    ভারতবর্ষে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে করেনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮ জন। একথা জানা গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে। এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৫৪ জন। সুস্থ হওয়ার হার এখনও পর্যন্ত ৯৮.৮% রয়েছে। দেশে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়াল ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৫ জন। প্রসঙ্গত এখনো অবধি করোনাতে মোট ২২০.১২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫১ জনের। সারাদেশে মোট করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১.১৫ কোটি মানুষের।

    বিশ্বে আক্রান্ত ৬৬ কোটি ৬৬ লক্ষ…

    বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬৬ কোটি ৬৬ লক্ষ অতিক্রম করে গেছে। বুধবারে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩ হাজার ৪৮ জন। এখনও অবধি করোনার দাপটে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সারা বিশ্বে ৬৭ লক্ষ ৩ হাজার ৭৯৮। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত সে সেদেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১০ কোটি ২৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন অর্থাৎ সারা বিশ্বের ৬ ভাগের এক ভাগ আক্রান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, গত ২৫ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যুর হারও সবথেকে বেড়েছে গত বছরের এবং সেটা করোনার কারণেই। করোনার কারণে এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৪০ জনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • Omicron: ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট মস্তিষ্কের ক্ষতি করছে? কী জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

    Omicron: ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট মস্তিষ্কের ক্ষতি করছে? কী জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের (Omicron) নতুন ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ চিন। এর আগে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছিলেন, ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে করোনাভাইরাস। কিন্তু করোনার এই নতুর ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে। 

    তবে কি শক্তি আরও বাড়িয়ে ফিরে এল করোনা? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে মুখে মুখে। এই আতঙ্ক হঠাতই উদয় হয়নি। এই উদ্বেগের নেপথ্য রয়েছেন ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন গবেষক। কিছুদিন আগে এই গবেষকরা দাবি করেছিলেন যে, গবেষণায় উঠে এসেছে, মস্তিষ্ককেও আক্রমণ করছে করোনার এই নয়া রূপ। মস্তিষ্কে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ, এনসেফালাইটিসের মতো সমস্যা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিশ্ববাসী। চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। এই অবস্থায় দেশবাসীকে খুশির খবর দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই গবেষণার কোনও ভিত্তি নেই। করোনার নতুন উপরূপ মস্তিষ্কে কোনও প্রভাব ফেলছে না। গবেষণাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভ্রান্ত বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সমাজমাধ্যমে কোনও খবর দেখে তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতেও বারণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পাঞ্জাব সীমান্তে ১ কেজি মাদক-সহ পাকিস্তানি ড্রোন বাজেয়াপ্ত  

    গবেষণাটি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ এই গবেষণাটি একটি ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল। ইঁদুরের মস্তিষ্কে করোনা নয়া ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব ফেললেই, মানুষের ক্ষেত্রেও যে তাই হবে এমন কোনও মানে নেই। মানুষের দেহে আর ইঁদুরের দেহে যে ভাইরাস একই রকম আচরণ করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। যে ইঁদুরগুলির উপরে এই গবেষণা চালানো হয়, প্রতিটি ইঁদুরই মারা গিয়েছিল। অনেক গবেষকই অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

      
     

  • Covid Booster Dose: কোভিডের বুস্টার ডোজ অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব বাড়ায়, জানাচ্ছে গবেষণা

    Covid Booster Dose: কোভিডের বুস্টার ডোজ অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব বাড়ায়, জানাচ্ছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের সাম্প্রতিকতম গবেষণায় কোভিড-১৯ – এর বুস্টার ডোজের (Covid Booster Dose) উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সমীক্ষাটিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, কীভাবে ফাইজার এবং মর্ডানা বুস্টার ভ্যাকসিনগুলি শরীরে তৈরি হওয়া কোভিড -১৯- এর অ্যান্টিবডিগুলিকে প্রভাবিত করে। গবেষকদের মতে, একটি বুস্টার কোভিড-১৯ সংক্রমণ- এর বিরুদ্ধে শরীরে বেশি শক্তিশালী এবং টেকসই অ্যান্টিবডি তৈরি করে।  

    কী জানিয়েছেন গবেষকরা?

    গবেষকরা তাঁদের এই গবেষণা অ্যানালস অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা এবং ইমিউনোলজির বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন। প্রবীণ গবেষক জেফরি উইলসন বলেন, “এই ফলাফলগুলি অন্যান্য সাম্প্রতিক রিপোর্টের সঙ্গে মানানসই এবং এর থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, বুস্টার শটগুলি (Covid Booster Dose) ভ্যাকসিন দ্বারা উত্পাদিত অ্যান্টিবডিগুলির স্থায়িত্ব বাড়ায়।”   

    উইলসন এবং তাঁর ১১৭ জন সহকারী স্বেচ্ছা সেবকদের ওপরে একটি গবেষণা চালান। ২২৮ জন স্বেচ্ছা সেবকের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। প্রাথমিক সিরিজ এবং বুস্টারের (Covid Booster Dose) এক  সপ্তাহ থেকে ৩১ দিন পর অ্যান্টিবডির মাত্রা একই রকম ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তিদের শরীরে কোভিড-১৯ – এর ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষা না করেই অ্যান্টিবডিগুলি বহুক্ষণ শরীরে ছিল। 

    গবেষক স্যামুয়েল আইলসওয়ার্থ বলেন, “আমাদের প্রাথমিক ধারণা ছিল যে বুস্টার (Covid Booster Dose) প্রাথমিক ভ্যাকসিন সিরিজের তুলনায় উচ্চতর অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। আমরা দেখতে পেয়েছি যে বুস্টার দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে।”

    আরও পড়ুন: আহত ঋষভ পন্থকে সরানো হল কেবিনে, কিন্তু কেন?    

    সংক্রমণের পরে বা টিকা দেওয়ার পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়। তবে টিকার ফলে ভবিষ্যতের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন যে মডার্না বুস্টার (Covid Booster Dose) দ্বারা তৈরি অ্যান্টিবডিগুলি ফাইজার বুস্টার দ্বারা তৈরি অ্যান্টিবডিগুলির চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী। মডার্নার অ্যান্টিবডি ফাইজারের অ্যান্টিবডির থেকে পাঁচ মাস বেশি দীর্ঘস্থায়ী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Herd Immunity: হার্ড না হাইব্রিড, করোনা প্রতিরোধে কোন ইমিউনিটি বেশি কার্যকর?

    Herd Immunity: হার্ড না হাইব্রিড, করোনা প্রতিরোধে কোন ইমিউনিটি বেশি কার্যকর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএফ সেভেন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে চিনে এখন ভয়ঙ্কর অবস্থা চলছে। সেদেশে হাসপাতাল গুলিতে বেড পর্যন্ত খালি পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নথি বলছে ইতিমধ্যে সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ৫০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে প্রতিদিন। যদিও  বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র দাবি করেছে যে তথ্য গোপন করছে চিন। ওই সংবাদপত্রগুলির আরও দাবি,১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ২৫ কোটি মানুষ চিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক সেদেশের ২০১৯-২০২০ সালের কথা মনে করাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নাকি খুব বেশি কার্যকরী নয় এবং বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় এটি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই কার্যকরী। সে কারণেই চিনে এত বেশি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। চিনের এই পরিস্থিতির কারনে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নেওয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁরা যেন দাঁড়িয়ে থেকে হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চস্তরের একটি বৈঠক কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে মহড়া চলেছে, করোনা মোকাবিলাতে হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত রয়েছে সেটা দেখার জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity) নয় হাইব্রিড ইমিউনিটি ভারতীয়দের সুরক্ষা প্রদান করবে এই মহামারীর সময়। এবার আসুন আমরা জেনে নেই হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity)  এবং হাইব্রিড ইউনিটির মধ্যে পার্থক্য।

    হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity)  এবং হাইব্রিড ইউনিটি

    হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity)  কোভিড ইনফেকশন থেকে তৈরি হয়। যেখানে একটি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় জনসাধারণের বৃহত্তর অংশের মধ্যে। অতীতে কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে, তার ভিতরে হার্ড (Herd Immunity) ইমিউনিটি তৈরি হয়ে। অন্যদিকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে হাইব্রিড ইমিউনিটি। যদি কোনও ব্যক্তির ভ্যাকসিন ডোজ নেওয়া থাকে এবং অতীতে যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে শরীরের মধ্যে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। এটাই হল হাইব্রিড ইমিউনিটি।
    বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন যে ভারতবর্ষে বেশিরভাগ মানুষই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নিয়েছেন। আবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এই সংখ্যা কোটির উপরে। করোনার প্রথম তিনটি ঢেউয়ে ভারতবর্ষে হাইব্রিড ইমিউনিটি অনেকটাই তৈরি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিএফ সেভেনের যে দাপট চলছে সেটি ভারতবর্ষে অতটা কার্যকরী হবে না তার কারণ ভারতীয়দের মধ্যে হাইব্রিড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে।

  • Covid Immunity: ফের বাড়ছে করোনা, কেমন করে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা?

    Covid Immunity: ফের বাড়ছে করোনা, কেমন করে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা (Covid Immunity)। প্রতিবেশী দেশ চিনে ফের শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে আগে থেকেই তৎপর কেন্দ্র। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নেজাল ভ্যাকসিন। লাগু হয়েছে করোনা বিধিও। সরকারের তরফ থেকে মাস্ক পরার এবং করোনা বিধি মেনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেও, নিজের খেয়াল রাখতে হবে নিজেকেই। বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কী খেলে বাড়াবেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    কমলালেবু এবং আমলকী

    কমলালেবু এবং আমলকীতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি (Covid Immunity) করতে সাহায্য করে। এই সাইট্রিক অ্যাসিড আপনার রোজকার খাবারে রাখুন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তুলুন। 

    লবঙ্গ এবং হলুদ

    বিভিন্ন মশলাও আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Covid Immunity) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লবঙ্গ, হলুদ ছাড়াও খেতে পারেন গোলমরীচ, মৌরি, দারচিনি। এগুলি আপনার শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির 

    ব্রোকোলি

    খেতে খুব ভালো না হলেও, এই সবজি (Covid Immunity) স্বাস্থ্যের জন্যে ভীষণ উপকারী। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ খান ব্রোকোলি। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এই সবজিতে। 

    জোয়ান 

    জোয়ানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টি (Covid Immunity) থাকে প্রচুর পরিমাণে। হজমেও সাহায্য করে জোয়ান। খাবারে জোয়ান গুড়ো করে ছড়িয়ে দিতে পারেন খাবারে।

    আরও পড়ুন: বিচারাধীন মামলাগুলির তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তির জন্যে সম্পূর্ণ সহযোগীতা করবে মোদি সরকারে, বললেন আইনমন্ত্রী  

    ড্রাই ফ্রুটস

    ভিটামিন ই, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে ড্রাই ফ্রুটস- এ। নিয়মিত আমন্ড, কাজু, আখরোট, কিসমিস খেলে আপনার শরীর এনার্জেটিক থাকে। ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ (Covid Immunity) থেকে দূরে রাখে ড্রাই ফ্রুটস। অন্যান্য খাবারে দিয়েও খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Methi: শীতকালে মেথি শাক খান আর চিরতরুণ থাকুন

    Methi: শীতকালে মেথি শাক খান আর চিরতরুণ থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকাল মানেই খাওয়ার পাতে সবুজের সমাহার। মেথিতে (Methi) থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। যারা হতাশায় ভুগছেন কিংবা ডায়াবেটিসের রোগী, তারা নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন মেথিশাক।  

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ গ্রাম মেথি শাকে ৫০ ক্যালরি শক্তি থাকে। এ ছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম মেথি শাকে ১.৫ গ্রাম (৭%) স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ৬৭ মিলিগ্রাম (২%) সোডিয়াম, ৭৭০ মিলিগ্রাম (২২%) পটাশিয়াম, ৫৮ গ্রাম (১৯%) কার্বোহাইড্রেট এবং ২৩ গ্রাম (৪৬%) প্রোটিন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর যৌনালাপের অডিও প্রকাশ্যে, ভুয়ো বলে দাবি দলের

    ঠিক কী কী কারণে খাওয়া উচিৎ মেথি শাক?     

    ওজন কমায়

    মেথি শাকে হাই ফাইবার থাকে। মেথি (Methi) শাক খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। ফলে অনেকক্ষণ খিদে পায় না। ওজন  কমে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

    রক্তের লিপিড লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে মেথি শাক। এটি কোলেস্টেরলের এলডিএল এবং এইচডিএল-এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

    মেথি শরীরের গ্লুকোজ মেটাবলিজমকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে চিনির মাত্রাও বাড়তে দেয় না মেথিশাক। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারা এই শাক খেলে উপকৃত হবেন।

    হার্টকে সুস্থ রাখে

    মেথি শাক প্লেটলেট বৃদ্ধির গতিকে কমায়। ফলে হৃৎপিণ্ডে (Methi) রক্ত জমে যাওয়ার বিপদ কমে। তাই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথিশাক খেতে পারেন।  

    লিভারের সুরক্ষা

    লিভারের সমস্যার ক্ষেত্রে মেথিশাক খুবই কার্যকরী। গ্যাসের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া ও অন্ত্রের নানা সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন মেথিশাক।

    ত্বক ও চুলের জন্যে উপকারী

    ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খেতে পারেন মেথি শাক। নিয়মিত এই শাক (Methi) খেলে অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা কখনোই পড়বে না। সেই সঙ্গে মুখে ব্রণ, কালো বা ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে জুড়ি নেই মেথি শাকের। এছাড়াও মেথিশাকে থাকা আয়রন ও ভিটামিন চুলের সব সমস্যার সমাধান করে। মাথায় খুশকি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে অকালে চুল পেকে যাওয়ার মতো সমস্যাও কমায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Nutritionist: রান্না করা খাবার নাকি কাঁচা খাবার কোনটা বেশি পুষ্টিকর, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Nutritionist: রান্না করা খাবার নাকি কাঁচা খাবার কোনটা বেশি পুষ্টিকর, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবার আর বাঙালি যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বাঙালির রান্নার প্রশংসাও জগতজোড়া। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই রসিয়ে কষিয়ে রান্না করা খাবার কি সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো? তাতে কি পুষ্টিগুণ থাকে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা (Nutritionist)? 

    কাঁচা খাবার বনাম রান্না করা খাবারের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে কাঁচা খাবারই (Nutritionist)। রান্না করার সময় খাবারের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ চলে যায়। এছাড়া খাবার রান্না করার প্রক্রিয়াতেও অর্থাৎ কাটার সময় এবং ধোয়ার মাধ্যমে অনেক পুষ্টি বেরিয়ে যায়। তবে রান্না করলে যেমন খাবারের মধ্যে থেকে কিছু ভিটামিন চলে যায়, ঠিক তেমনি রান্না করা খাবারের মধ্যেও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা দেখা যায়।

    যেখানে কাঁচা খাবার এগিয়ে 

    র’ ফুড ডায়েট বলতে মূলত খাবারের মধ্যে খাবার অন্তত ৭০ শতাংশ কাঁচা রাখাকেই (Nutritionist) বোঝায়। কাঁচা খাবার বলতে একেবারে কাঁচা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া, রান্না না করা খাবারকেই বোঝায়। শাকসবজি, বাদাম, শস্য, ফল ইত্যাদিকেই বিশেষ করে র’ ফুড ডায়েটের মধ্যে ফেলা হয়। র’ ফুড ডায়েট বলতে অনেকে ভাবেন পুরোপুরিভাবে উদ্ভিজ্জ খাবারের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। কিন্তু আসলে বিষয়টা অন্যরকম। খানিকটা দুধ, মাছ এবং মাংস এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে আপনিও খেতে পারেন।

    আরও পড়ুন: কাউকে ভুল করে মেসেজ পাঠিয়েছেন? চিন্তা নেই, ‘আনডু’ ফিচার হোয়াটসঅ্যাপে 
     
    রান্না করা খাবারে এনজাইম থাকে না। সাধারণত, এনজাইম আমাদের শরীরে খাবারকে (Nutritionist) ভাঙতে সাহায্য করে। আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন প্রতিদিন, সেগুলোতেও এনজাইম থাকে। এই এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এনজাইম সাধারণত উষ্ণতা পেলে একটু একটু করে কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১১৭ ডিগ্রী ফারেনহাইটে এনজাইম একেবারের মতো চলে যায় খাবার থেকে। 

    কাঁচা খাবারের চাইতে রান্না করা খাবারে ভিটামিনের পরিমাণ কমে যায়। আর এর মূল কারণ হল ভিটামিনের প্রকৃতি। রান্না করার সময় কিছু ভিটামিন এমনিতেই উষ্ণতার ফলে চলে যায়। ভিটামিন ‘বি’ এবং ভিটামিন ‘সি’ এর মতো ভিটামিন জলে দ্রবণীয়। ফলে, রান্না করলে এই ভিটামিনগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, শাকসবজি জলে সেদ্ধ করা হলেও খাবারের ৫০-৬০ শতাংশ ভিটামিন চলে যায়। ভিটামিন ‘এ’ এর মতো ভিটামিনগুলো রান্না করার ফলে প্রভাবিত হলেও পুরোপুরি লুপ্ত হয় না। অন্যদিকে সবচাইতে বেশি প্রভাবিত হয় এক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’, ‘কে’, ‘ই’ এর মতো ভিটামিনগুলো।   

    রান্না করা খাবার যেখানে এগিয়ে 

    রান্না করা খাবার খেতে বেশ সহজ এবং হজম করাটাও (Nutritionist) সহজ হয়। অন্যদিকে কাঁচা খাবার, রান্না না করা খাবার এনজাইমপূর্ণ থাকলেও সেটা হজম করা কষ্টকর। কিছু খাবারে রান্না করার পর পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। খাবারের গন্ধ আর স্বাদ বৃদ্ধিও হয় রান্নার পরেই। খাবার রান্না করে খেলে খাবারের অনেক জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। 

    দুধ এবং মাংসের ক্ষেত্রে গরম করে খেলে জীবাণু নষ্ট হয়। খাবার রান্না করলে অনেক সময় এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন- বিটা ক্যারোটিন এবং ল্যুটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক গবেষণায় দেখা যায় যে, টমেটো রান্না করায় এর ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ কমে গেলেও লাইকোপেন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর রান্না করে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর নাকি নয়, এটা অনেকটা কোন খাবার রান্না করা হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করে। ব্রোকলি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ কিংবা রসুনের মতো খাবারগুলো কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া ভালো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • PCOD:  জীবন যাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি! জানেন পিসিওডি কী, কেন হয়?

    PCOD: জীবন যাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি! জানেন পিসিওডি কী, কেন হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বেড়েছে নানান সমস্যা। তার মধ্যে অন্যতম হল পিসিওডি। পিসিওডি হল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। মহিলাদের বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায়। দেহে হরমোনের পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যায় ভুগছেন বহু মহিলা। ভারতে এক নিঃশব্দ মহামারির মতো বাড়ছে এই সমস্যা। পিসিওডি একদিকে যেমন বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে, তেমনি স্থূলতা, অবসাদের মতো জীবনযাপনের সমস্যাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। চলতি বছরে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ৭ কোটি মহিলা পিসিওডি-র সমস্যায় ভুগছেন। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত মহিলারা এই সমস্যায় ভোগেন।

    পিসিওডি-র উপসর্গ

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঋতুস্রাবের পরেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব এই রোগের প্রধান উপসর্গ। নিয়মিত ঋতুস্রাব না হওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণ ঋতুস্রাব, দেহে অতিরিক্ত লোম এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে পিসিওডি-র লক্ষণ বুঝতে হবে। তাছাড়া, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও সেগুলো পিসিওডি-র উপসর্গ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

    কেন বাড়ছে বিপদ?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে বাড়ছে পিসিওডি-র সমস্যা। কারণ, ভারতে অধিকাংশ মহিলারাই নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না, যোগাভ্যাস নেই। তাই দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকছে না। নিয়মিত যোগাভ্যাস দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এই রোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে খাওয়ার ধরণ। তাই শরীরে তৈরি হচ্ছে নানান নতুন বিপদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যস্ত জীবনে খাবারের মেনুতে থাকে নানান চটজলদি খাবার। তাছাড়া প্রিজারভেটিভ খাবারে অধিকাংশ অভ্যস্ত। পিৎজা, বার্গার, হটডগ, নানা রকমের ফ্রাই এখন দিন রাতের সঙ্গী। আর এগুলো শরীরে নানান হরমোনের তারতম্য ঘটাচ্ছে। স্থূলতার সমস্যা ডেকে আনছে। আর তার ফলেই পিসিওডি-র মতো রোগ দেখা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শীতের খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন, জানুন এর গুণাগুণ

    মোকাবিলার উপায়

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র সম্পূর্ণ মুক্তি সম্ভব নয়। অর্থাৎ, পিসিওডি সারে না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জীবনযাপনের ধরণ বদলেই এই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই পিসিওডি-কে কাবু করতে হলে জীবনযাপনের নিয়ন্ত্রণ জরুরি। প্রথমেই নিয়মিত যোগাভ্যাস করতে হবে। এতে একদিকে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে, অন্যদিকে স্থূলতা কমবে। পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে দেহের ওজন কোনওভাবেই যাতে অতিরিক্ত না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। বিরিয়ানি, চাউমিন, পিৎজার মতো অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মাংস, মাছ খাওয়া চলবে না। প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। চিকেন খাবারের তালিকায় থাকলেও মটন, কাতলা মাছের মতো খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় কোনও খাবার একেবারেই উপযুক্ত নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মমাফিক চললে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রয়োজন মতো ওষুধ যেমন নিতে হবে, তেমনি জীবনযাপনেও বদল আনতে হবে। জীবনযাপনের বদলই পিসিওডি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বন্ধ্যাত্বের মতো বিপদও আটকানো সম্ভব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Root Vegetable: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি মূল-সবজি

    Root Vegetable: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি মূল-সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির তলার সবজি (Root Vegetable) বা মূল-জাতীয় সবজি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, এইগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে। রক্তে যদি শর্করার মাত্রা বেশি থাকে তবে খাদ্যতালিকায় মাটির তলার এই সবজিগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য । ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ এড়ানোর জন্য এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    অনেকেই জানেন না যে মাটির তলার সবজি (Root Vegetable) রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিস রোগীরা এই পাঁচটি মাটির তলার সবজি (Root Vegetable) খেতেই পারেন

    বিটরুট

    বিটরুট হল সবচেয়ে পুষ্টিকর সবজিগুলির (Root Vegetable) মধ্যে একটি যা ডায়াবেটিস রোগীরা নিজের ডায়েটে রাখতে পারেন। বিটরুট স্নায়ুর এবং চোখ ভাল রাখে। বিটরুটে রয়েছে বেটালাইন এবং নিও বেটানিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনতে  সাহায্য করে।

    গাজর

    গাজরে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে গাজর অত্যন্ত কার্যকরী।  অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর, গাজর স্যালাড এবং জুস আকারেও খাওয়া যেতে পারে।

    ওলকপি

     ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।  রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওলকপিতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

    পেঁয়াজ

    আপনার খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখতেই পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেঁয়াজে ক্যালোরি কম থাকে কিন্তু এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ পদার্থ। পেঁয়াজে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে বলে জানা যায় ।

    মূলা

    মূলার মধ্যে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট এবং আইসোথিওসায়ানেটের মতো রাসায়নিক যৌগ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মূলা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সবজি কারণ এটি শরীরের প্রাকৃতিক অ্যাডিপোনেক্টিন উৎপাদন বাড়ায়। এটি একটি হরমোন যা ইনসুলিনের স্বাভাবিক ক্ষরণে সাহায্য করে।

  • Winter Food: এই শীতে সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে চান? তালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার

    Winter Food: এই শীতে সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে চান? তালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠে-পুলি, নলেনগুড়ের ঋতু! ভ্রমনের জন্যও বাঙালির কাছে শীতের জুড়ি নেই। দু’দশক আগেও দূরদর্শনে বোরোলিনের বিজ্ঞাপন জানান দিত শীতের আগমন। ডিসেম্বরের আবির্ভাবের সঙ্গে, শীত পাকাপাকিভাবে চলে আসে।  উলের গরম পোশাক, লেপ, কম্বলের তখন বের করতে হয়। এই সময়টায় খাদ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। থার্মোমিটারে পারদের পতন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসে। শীতকালে ফুসফুসে ভাইরাসজনিত সমস্যা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রমণ বেশি হয়। এই সময় ডায়েটে এমন খাবার (Winter Food) রাখা উচিত যা আপনার শরীরকে কেবল ভিতর থেকে গরম রাখবে না বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে।

    এমনই ১০টি ‘সুপারফুড’ আছে যেগুলো শীতের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    ১) গাজর: গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে প্রবেশ করে  ভিটামিন-এ তৈরি করে। চোখের পক্ষেও গাজর খুব উপকারী। নিয়মিত গাজর খাওয়া (Winter Food) চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে। গাজর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ , গরম স্যুপ এবং তরকারিতে রান্না করা যায়।

    ২) মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। শীতের সময় এই আলু খাদ্য তালিকায় (Winter Food) রাখা খুবই উপকারী।

    ৩) ব্রোকলি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে ভরপুর হল ব্রোকলি। এটি একটি আদর্শ খাবার (Winter Food) যা শীতের সময় বিভিন্ন ফ্লু থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

    ৪) লাল ক্যাপসিকাম/বেল মরিচ: লাল ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ, লাল বেল মরিচ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে ।

    ৫) সাইট্রাস ফল: কমলালেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফলও শীতকালে খাওয়া (Winter Food) যেতেই পারে। সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

    ৬) ডালিম: ডালিম হল স্বাস্থ্যকর শীতকালীন ফল। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এছাড়াও ভিটামিন সি, ভিটামিন বি6, পটাসিয়াম এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।

    ৭) নাশপাতি: নাশপাতিতে ব্যাপক পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদান থাকে নাশপাতিতে।

    ৮) ওটস: শীতের খাবার (Winter Food) হিসেবে ওটস খুবই উপকারী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

    ৯) গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, এটি ফ্যাট কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের অসুস্থতা এবং এমনকি কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও এর জুড়ি নেই।

    ১০) বাদাম: ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ, ফসফরাস, ফাইবারে সমৃদ্ধ বাদাম। শীতকালে খুবই উপকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share