Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই!  প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই! প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue)পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবনও। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৬৬ জন। চলতি সপ্তাহে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৯৩৬ জন। সাপ্তাহিক আক্রান্তের রেখচিত্রে এই সপ্তাহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।  এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এ ছাড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    এরই মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Police) কর্মীর। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এএসআই (ASI) উৎপল নস্কর বৃহস্পতিবার থেকে সিএমআরআই হাসপাতালে (CMRI Hospital) ভর্তি ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর,পঞ্চাশোর্ধ ওই পুলিশ কর্মী শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ মারা যান। এদিকে পুলিশ বাহিনীর আরও কয়েকজন কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    ডেঙ্গির সঙ্গেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। চিকিত্‍সকরা বলছেন, একই সঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কমবয়সী ও মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রবণতা। ভালভাবে শীত না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ চলবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খ‍বর, বেশ কিছু জায়গায় মারাত্মক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি। তার মধ্যে, শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৫ জন। ব্যারাকপুর পুরসভায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬। শ্রীরামপুর পুরসভায় ৪৪০ জন।  বহু জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানুষ। আবার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে,সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পুরসভার পক্ষে  ডেঙ্গি ঠেকানো সম্ভব নয়। বাড়িতে জমা জল পরিষ্কারের ব্যাপারে নাগরিক অনিহাকে দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sleeping Tips: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

    Sleeping Tips: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স ৫০ বা তার বেশি হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, এই বয়সটা ঝুকিপূর্ণ। যদি ঘুমের (Sleeping Tips) পরিমাণ । পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোন তাহলে ঝুঁকি আরও বেশি। কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসারের মতো রোগের আশঙ্কা অনেক বেশি।     

    ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সি ৭,৮৬৪ জন ব্রিটিশ সরকারিদের কর্মীদের নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষকরা PLOS মেডিসিন জার্নালে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। ১৮ অক্টোবরের সংখ্যায় গবেষণার এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যাঁদের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন, গবেষকরা তাদের ২৫ বছরের ঘুমের সময়কাল জেনে নিয়েছেন।  

    বিভিন্ন রোগের সঙ্গে এই ঘুমের সম্পর্ক কমা বা বাড়ার বিষয়টিকে তুলনা করে দেখেছেন। মোট ১৩টি ক্রনিক রোগকে গবেষকরা তাঁদের তালিকায় রেখেছিলেন। তার মধ্যে দুটি বা তার বেশি দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা আরও দেখতে চেয়েছিলেন, ৫০ বছর বয়সে ঘুমের পরিমাণ কীভাবে একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের স্বাভাবিক গতিপথকে প্রভাবিত করে।

    ‘উদ্বেগজনক’, কেনিয়ায় দুই ভারতীয় খুন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    স্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে ক্রনিক রোগ, মাল্টিমরবিডিটি এবং মৃত্যু এই বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ঘুমের কতটা সম্পর্ক আছে, এই গবেষণার মাধ্যমে তা নির্ণয় করা অন্যতম লক্ষ্য ছিল গবেষকদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁরা পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমিয়েছিলেন, তাদের ক্রনিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।  

    আর, ২৫ বছরের মধ্যে দুই বা ততোধিক ক্রনিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। তুলনায় যাঁরা সাত ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমোন, তাঁদের ক্রনিক রোগের পরিমাণ কম। গবেষণায় ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁদের মাল্টিমরবিডিটির ঝুঁকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। 

    মোট ১৩টি ক্রনিক রোগকে গবেষকরা তাদের তালিকায় রেখেছিলেন। তার মধ্যে দুটি বা তার বেশি দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা। গর্ভনিরোধক কোনও কিছু ব্যবহার না করার কারণে কৈশোরে মা হচ্ছেন বহু কিশোরী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হিন্দুদের (Hindus) চেয়ে কৈশোরে মা হচ্ছেন বেশি মুসলিম (Muslim) কিশোরী। শরীর পুরোপুরি গঠন হওয়ার আগেই মা হওয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য হচ্ছেন কিশোরী মা। যা ভবিষ্যতে তাঁর নিজের শরীরের পক্ষেই ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সম্প্রতি ডেটা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS) ৫। তাতেই উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য। জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যেই মা হচ্ছেন ৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা। এঁদের মধ্যে আবার মুসলমানদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৮.৪। এর পরে রয়েছে খ্রিস্টান। শতাংশের হিসেবে তাঁরা ৬.৮। সব শেষে রয়েছেন হিন্দু। তাঁদের হার ৬.৫ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্ট যে হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলমানদের গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি। এই তথ্য থেকে এও স্পষ্ট গর্ভনিরোধক ব্যবহারে তাঁদের ঘোর অনীহা।

    আরও পড়ুন: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    প্রসঙ্গত, বাল্য বিবাহের কারণে হিন্দুদের শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু মুসলমানদের তা দেওয়া যায় না। কারণ তাঁদের পার্সোলান ল’ রয়েছে। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি। শিক্ষা এবং সম্পদ যাঁদের কম, তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রেই সচরাচর এটা দেখা যায়। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মহিলা ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে মা হন। কৈশোরে গর্ভবতী হওয়ার হার সব চেয়ে বেশি ত্রিপুরায়। শতাংশের হিসেবে ২২। এর পরেই রয়েছে বাংলা। সেখানে এই হার ১৬ শতাংশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড।

    সমাজকর্মীদের মতে, নাবালিকা বিবাহের কারণে দ্রুত বাড়ছে জনসংখ্যা। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুসলমানদের মধ্যে এই বয়সে সন্তান জন্মদানের হার ২.৪ শতাংশ। সেখানে হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে এই হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, ভারতে গত পাঁচ বছরে নাবালিকা বিয়ের হার ২২২ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UP Dengue: উত্তরপ্রদেশে ডেঙ্গি আক্রান্তকে প্লাজমার পাউচে মুসাম্বির রস! বেসরকারি হাসপাতাল সিল করল যোগী-প্রশাসন

    UP Dengue: উত্তরপ্রদেশে ডেঙ্গি আক্রান্তকে প্লাজমার পাউচে মুসাম্বির রস! বেসরকারি হাসপাতাল সিল করল যোগী-প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে (Prayagraj) ডেঙ্গি রোগীর (Dengue Patient) শরীরে প্লাজমার পরিবর্তে মুসাম্বির রস দেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্লেটলেটের বদলে মুসাম্বির রস ওই রোগীর শরীরে যেতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, প্রয়াগরাজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল সিল করে দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ঝালওয়া অঞ্চলের একটি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে গত ১৭ অক্টোবর থেকে ভর্তি ছিলেন ডেঙ্গি আক্রান্ত এক ব্যক্তি। গত ১৯ অক্টোবর হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্লাজমা দেওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ভুয়ো প্লাজমা দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওয় দেখা গেছে, প্লাজমার পাউচের ভিতরে ভরা রয়েছে মুসাম্বির রস। সেই রসই রোগী প্রদীপ পাণ্ডের হাত দিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক গোটা ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন। হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালে যে সমস্ত রোগীরা ভর্তি ছিলেন, তাদের ইতিমধ্যেই অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক (Uttar Pradesh Deputy Chief Minister Brajesh Pathak) । ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় একটি ভুয়ো ব্লাড ব্যাঙ্কের খোঁজ মিলেছিল। এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও জাল ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।প্লাজমার পরিবর্তে লেবুর রস এলো কী ভাবে তানিয়েই চলছে তদন্ত। প্লাজমা এবং মুসাম্বি লেবুর রস অনেকটা এক করম দেখতে, সেই মিলকে কাজে লাগিয়েই চলছিল প্রাণঘাতী জালিয়াতি কারবার চলছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গিতে কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন?

    Dengue: ডেঙ্গিতে কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৮০ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬২৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হুগলি। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭৬। কলকাতায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৬ জন। তারপর রয়েছে হাওড়া। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭২ জন।

    আরও পড়ুন: ২২ অক্টোবর শুরু হচ্ছে রোজগার মেলা, জানুন বিস্তারিত

    ডেঙ্গিতে নিজে বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে কীভাবে বাড়িতে থেকেই শরীরের যত্ন নেবেন? 

    প্রবল জ্বর, মাথাব‍্যথা, পেশিতে ব‍্যথা— ডেঙ্গির এই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করিয়ে নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে ঠান্ডা জল দিয়ে স্পঞ্জ করতে পারেন। 

    ডেঙ্গির কী কী লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন? 

    ১) প্রস্রাব কম হওয়া।

    ২) জিভ, ঠোঁট এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া।

    ৩) হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যাওয়া।

    ৪) হাতের আঙুল এবং গোড়ালি ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

    এই লক্ষণগুলো দেখলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হয়ে যান। 

    এই লক্ষণগুলো দেখলে কী করবেন বলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘‘এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে স‍্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হব। গলাব‍্যথা থাকলে জল হালকা গরম করে নিয়ে খাওয়াই ভাল। উপকার পাবেন। তবে জল খাওয়া কমিয়ে দিলে কোনও মতেই চলবে না।’’

    ডেঙ্গি ছোঁয়াচে না হলেও, রোগীকে যেন মশা না কামড়ায়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আক্রান্তকে কামড়ানো মশা অন‍্য কাউকে কামড়ালে তখন ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই রোগীকে সবসময় মশারীর মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোগীকে সারা ক্ষণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ভারী কোনও কাজ করা যাবে না। বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

       

  • Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর এডিস ইজিপ্টাই নামক মশাবাহিত রোগ। এই জ্বর সাধারণত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific ocean) দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে দেখা যায়। মূলত বর্ষাকালে জমা জলে বংশ বিস্তার করে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা। ডেঙ্গি জীবাণুবাহী এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ালে, আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন। অনেক সময় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এডিস মশা (Aedes Mosquito) কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ১.৫ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত প্লেটলেট থাকে। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট নেমে যায় ৫০ হাজারের নীচে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর জীবনে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। করোনার মতো মহামারির সময় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় ডাক্তারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

    ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে নিম্নে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত।

    পেঁপে

    যারা ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত তাদের জন্য পেঁপে পাতা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। পেঁপে পাতা গুঁড়ো করে ছেঁকে রস বের করে নিন। পেঁপে পাতার নির্যাস উল্লেখযোগ্যভাবে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। এছাড়াও আপনি পেঁপে পাতা জলে সিদ্ধ করে এর ছেঁকে রস বের পান করতে পারেন। এটি সম্ভবত ডেঙ্গি জ্বরের চিকিৎসার সেরা ঘরোয়া প্রতিকার।

    ডাবের জল

    ডাবের জল প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই পানীয়টি রিহাইড্রেটিং এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, সিস্টেমের ডিটক্সিফিকেশন এবং শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের বিকাশে সহায়তা করে।

    বেদানা/ডালিম

    এতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। বেদানা খেলে ক্লান্তির অনুভূতি দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি স্বাভাবিকভাবে রক্তের প্লেটলেট গণনা রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে, যা ডেঙ্গি থেকে দ্রুত নিরাময় করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Egg Day: বিশ্ব ডিম দিবসে জেনে নিন ডিমের দিয়ে তৈরী ৬টি রেসিপি

    World Egg Day: বিশ্ব ডিম দিবসে জেনে নিন ডিমের দিয়ে তৈরী ৬টি রেসিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিম (Egg) ছোটো থেকে বড়ো সকলেরই প্রিয়। বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনের দরুন ডিমের ব্যবহার বেড়েছে। আজ মায়েরাও চটজলদি ডিমের নানা পদ তৈরী করে বাচ্চাদের খেতে দেন। শুধুমাত্র ডিমের নানা পদ চটজলদি বানানো যায় বলেই যে ডিমের চাহিদা বেশি তা নয় ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন ও কুসুমে রয়েছে আয়রন, ফ্যাট ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে এবং বুদ্ধির বিকাশে ডিম খুবই কার্যকরী। ডিমে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। প্রতিবছর ডিমের গুনগতমান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে  ১৪ অক্টোবর ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ (World Egg Day) পালন করা হয়।

    ডিমপ্রেমীদের জন্য ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ (World Egg Day) উপলক্ষ্যে আমরা কিছু চটজলদি রেসিপি নিয়ে এসেছি যা আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।

    ১) ডিমের অমলেট

    ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে একে একে পরিমাণ মতো নুন, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টম্যাটো কুচি এবং সেদ্ধ আলুর স্লাইসগুলো দিয়ে একসঙ্গে মিক্স করে নিতে হবে। এরপর ওভেনে তাওয়া বসিয়ে গরম করে নিতে হবে। তাওয়া গরম গরম হয়ে এলে তাওয়াতে সর্ষের অথবা রিফাইন তেল দিয়ে তেলটা গরম করে নিতে হবে।

    ২) ডিমের পাতুরি

    ভেটকি বা চিংড়ি নয়, এই পাতুরি ডিমের। ডিম সিদ্ধ করে সরষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কলাপাতায় মুড়ে হালকা আঁচে রান্না করতে হবে। ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ লাগবে। চাইলে রুটি দিয়েও খেতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন! 

    ৩) ডিমের দোসা

    দোসার সঙ্গে ডিমের মিশ্রণ। দোসার উপকরণ দিয়েই বানাতে হবে এই রেসিপি। দোসার ব্যাটারের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে ডিমের ব্যাটার। এর পর ধনে পাতা কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করন।

    ৪) ডিমের কিমা

    তড়কার মতো তৈরি করতে হবে। ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন, আদা-মশলা দিয়ে কষিয়ে এর সঙ্গে সিদ্ধ গোটা ডিম দুভাগ করে দিয়ে দিন। চাইলে গ্রেভিতে মাংস বা সয়াবিন যোগ করতে পারেন।

    ৫) ডিমের বড়া

    প্রথমে সিদ্ধ ডিমের ভিতর থেকে কুসুম বার করে একটি পাত্রে নিন। এবার সাদা অংশ গুলি কে একটু লম্বা করে আলু ভাজার সাইজ করে নিন।পাত্রের কুসুম গুলি  হাতে করে ভেঙে দিন তবে খেয়াল রাখবেন একে বারে গুঁড়ো  গুঁড়ো  না হয়ে যায়। এখন ওই পাত্রে  পিয়াঁজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, আদা রসুন বাটা, পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, দু’চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার অথবা ময়দা যে কোনও একটি মিশিয়ে দিন। মিশ্রণ টিকে ভালো করে হাতে করে মিশিয়ে নিন। এরপর কড়াইতে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হলে হাতে করে গোল পাকিয়ে তারপর আলতো চাপ দিতে চ্যাপটা করে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন।

     

    ৬) নার্গিসি কোফতা

    নবাবি স্বাদের এই পদ। সিদ্ধ ডিমের পাশাপাশি আদা-রসুন-পেঁয়াজ মাংসের কিমা দিয়ে একটা পুর তৈরি করতে হবে। সেই পুর সিদ্ধ ডিমের সঙ্গে মুড়ে নিয়ে ব্যাটারে কোট করে কোফতার আকারে গড়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর গ্রেভি তৈরি করলে রেডি হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১২ অক্টোবর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day)। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আরথ্রাইটিস ডে’ পালন করে আসছে আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল। বহু প্রাচীনকাল থেকে এই রোগটির অস্তিত্ব থাকলেও ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই এটি নথিভুক্ত হওয়া শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের দিকে রোগটিকে‘আর্থ্রাইটিস’ নামকরণ করা হয়।  

    আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন, আটল্যান্টার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।   

    আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যাথাকেই বোঝানো হয়। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। সবচেয়ে বেশি হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।  

    কাদের হয় এই রোগ?  

    • যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 
    • ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়। 
    • অস্থিসন্ধিতে যেকোনও ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।   
    • যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
    • কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

    রোগ নির্ণয়

    রোগের ইতিহাস ও রোগের ধরন দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। যেমন এক্স-রে, জয়েন্ট অ্যাসপিরেশন ইত্যাদি। 

    রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কী? 

    এটি অটোইমিউন অসুখ। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্থিসন্ধির বহিরাবরণীতে প্রদাহ হয়। এ কারণে অস্থিসন্ধি ও এর আশপাশে ব্যথা হয়, জড়তা তৈরি হয়, ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। এতে অস্থিসন্ধির আকারের বিকৃতিও ঘটে। সময়ের সঙ্গে এটি তীব্র হতে থাকে। মাঝেমধ্যে ব্যথা ও ফোলা আপনিতেই কমে যায়, আবার বাড়ে।

    লক্ষণ 

    • ঘুম থেকে ওঠার পর অস্থিসন্ধিসহ শরীরের কিছু অংশে ব্যথা ও জড়তা থাকে।
    • হাতের আঙুল, কনুই, কাঁধ, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় বেশি সমস্যা হয়।
    • সাধারণত শরীরের উভয় পাশ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। যেমন- হাতে হলে দুই হাতের জয়েন্টই একসঙ্গে ব্যথা করে, ফুলে যায় ইত্যাদি।
    • শরীর দুর্বল লাগে, জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। ম্যাজম্যাজ করে।
    • কারও ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে এক ধরনের গুটি দেখা যায়, যা ধরলে ব্যথা পাওয়া যায় না।

    প্রতিরোধের উপায় 

    • শারীরিক তৎপরতা বাড়ানো। যেমন- বহুতল ভবনে ওঠার সময় মাঝেমধ্যেই লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করা এবং যানবাহনে ওঠার আগে অন্তত ৫০০ মিটার পথ পায়ে হেঁটে যাওয়া।
    • মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
    • মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন করা।
    • শরীরের জয়েন্টগুলোকে নতুনভাবে জখম হতে না দেওয়া এবং ইতিমধ্যেই জখমে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
    • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। 
    • যে কোনও ছোটখাটো জখমের চিকিৎসা করানো। 
    • ধূমপান বা মদ্যপান না করা। কারণ মদ হাড়ের স্বাস্থ্য ও কাঠামো দূর্বল করে দেয়।
    • নিয়মিত দুধ পান করুন। তবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য উপাদান হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম ও ব্রোকোলি জাতীয় খাবার বেশি খান।
    • মেনোপোজ পরবর্তী নারীদের জন্য হরমোন প্রতিস্থাপন, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    • সঠিক সাইজের ও নরম জুতা পরতে হবে।
    • প্রদাহসৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রায়ই দেখা যায় যে, লবন, চিনি, মিষ্টি, মদ, ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস, সাধারণ রান্নার তেল, ট্রান্স ফ্যাট ও লাল মাংস ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অসংখ্য রোগের জন্ম দেয়।
    • ঠান্ডায় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও সমস্যা বেড়ে যায়, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। উষ্ণ গরম জলের সেঁক ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী। উষ্ণ গরম জলে স্নানও করতে পারেন। 
  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়েটিশিয়ানরা সবসময় শরীর ডিটক্স করার কথা বলে থাকেন। তবে কী এই ডিটক্স? অনেকেরই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। টক্সিন ( Body Toxin) ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রতিদিনই পরিবেশ, খাবার থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে পৌঁছয়, আর এগুলোই টক্সিন। সুস্থ থাকার জন্য এইসব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা খুবই প্রয়োজন। অর্থাৎ, শরীরকে ডিটক্স (Detox) করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে ঘটতে পারে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ। আর এর ফলে শারীরিক অসুস্থতা বড় আকারে দেখা দিতে পারে। তাই সহজ উপায়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করার উপায় জেনে নিন।

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

    জল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। জলই শরীরের ভেতরটা ধুয়ে পরিস্কার করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কিডনির জন্য পরিমিত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে অর্থাৎ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খান জল।

    পুষ্টিকর খাবার খান

    আপনি যাই খান না কেন, তার প্রভাব শরীর, বিশেষ করে লিভারের ওপর পড়ে। তাই ডায়েটে সবসময় পুষ্টিকর খাবারই রাখা উচিত, নয়তো অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। আর এর ফলে শরীরে রোগ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত খাদ্য

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

    অতিরিক্ত চর্বি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ওজন বৃদ্ধির ফলেও শরীরে নানারকমের ব্যাধি দেখা যায়। ফলে অপুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও এর ফলে শরীরে টক্সিনও প্রবেশ করার সম্ভাবনা কম।

    পর্যাপ্ত ঘুম

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আর ঘুম শরীরকে সু্স্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের সঙ্গে পরোক্ষভাবে লিভারের স্বাস্থ্যও জুড়ে রয়েছে। তাই লিভার ভালো থাকলে বোঝা যাবে যে, শরীরও টক্সিন মুক্ত।

    পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা

    নিয়মিত ব্যায়াম করাও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। আর এর ফলেও দেহকে টক্সিন মুক্ত রাখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share