Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ নামলেও, হঠাৎ যেন ছন্দপতন। আবহাওয়া বদলে (Weather Change) গেল। শীতের দাপট অনেকটাই কম। শনিবার রাত থেকেই আবার গুমোট ভাব। বাড়ছে তাপমাত্রা (Tempareture)। আর আবহাওয়ার এই হঠাৎ বদলেই বাড়বে বিপদ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা (Doctors)।

    শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, ভাইরাস ঘটিত জ্বরে ভোগান্তি হয় শিশুদের। বয়স্করাও নানান সমস্যায় ভোগেন। তার উপরে যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পরিস্থিতি অনেক সময়ই উদ্বেগজনক হয়। আর আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি নজর দিতে হবে। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

    টিকাকরণ জরুরি…

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় টিকাকরণ জরুরি। যদি কোনও টিকা বিশেষত হাম, রুবেলা ভাইরাসের টিকা নেওয়া বাকি থাকে, তাহলে অবশ্যই নিতে হবে। দেরি করা যাবে না। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাপমাত্রার তারতম্যে শিশুরা খুব দ্রুত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে নিউমোনিয়ার মতো রোগেও কাবু হয়। তাই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে শিশুদের নিউমোনিয়ার ভয়াবহতা থেকে বাঁচানো যাবে। বড় বিপদ এড়ানো যাবে। শিশুদের মতো বয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন সময় মতো নিলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমবে।

    টিকাকরণ ছাড়াও সাধারণ কিছু সতর্কতার দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, হঠাৎ গরম লাগলেও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ফ্যান চালানো চলবে না। কিন্তু একেবারেই গরমের পোশাক বর্জন করে বাইরে যাওয়াও চলবে না। এতে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাছাড়া, যাঁদের ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, তাঁদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই রকম আবহাওয়ায় শুষ্কভাব বাড়ে। ফলে বাতাসে ধুলোর পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে, নিয়মিত স্কুল কিংবা বাইরে গেলে ধুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: হামকে আসন্ন বিপদ ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    খাবারের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি নজরদারি দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে নানান মেলা হয়, অনেকেই বেড়াতে যায়। কিন্তু শিশুদের কোনও ভাবেই আইসক্রিম কিংবা ঠাণ্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এতে নানান সমস্যা বাড়বে। পেটের অসুখ এড়িয়ে চলতে জরুরি কম মশলার খাবার খাওয়া। শীতে অনেকেই নানান বাইরের খাবার খান। কিন্তু অতিরিক্ত চটজলদি খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের অনেক সময়েই শীতে বাইরের খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়। হাতে-পায়ে লাল র‌্যাশ বের হয়, জ্বর হয়। তাই শরীরে কোনও রকম অ্যালার্জি দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    খাবারের পাশপাশি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই আবহাওয়া শুষ্ক। তাই শরীরে জলের চাহিদা বাড়বে। জল পর্যাপ্ত না খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো বিপদও ঘটতে পারে। তাছাড়া ভাইরাস ঘটিত জ্বরের থেকে মুক্তি পেতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। শীতের পারদ কমতেই কিন্তু ডেঙ্গির আশঙ্কা বাড়তে পারে। মশাবাহিত রোগের দাপট এড়িয়ে গেলে চলবে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে কী ধরণের জ্বর হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Paneer Pasanda: ২০২২ সালে গুগলে সব থেকে বেশি সার্চ হয়েছে পনীর পসন্দা

    Paneer Pasanda: ২০২২ সালে গুগলে সব থেকে বেশি সার্চ হয়েছে পনীর পসন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় খাবার বিশ্বব্যাপী পছন্দের শীর্ষে। সম্প্রতি গুগল, তাদের ‘ইয়ার ইন সার্চ ২০২২’ তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রতি বছর, tech giant একটি তালিকা প্রকাশ করে, বিভিন্ন দেশের লোকেরা কী শেয়ার করছে – তার উপর। তালিকার একটি সেকশন সেই খাবার রেসিপিগুলির বিবরণ দেয় যা লোকেরা সারা বছর  সবচেয়ে বেশি সার্চ করে। চলতি বছরে পনীর পসন্দ (Paneer Pasanda) শীর্ষে রয়েছে, এই সার্চে। 

    আরও পড়ুন: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    ওই তালিকা অনুসারে, এপ্রিল মাসে  এই রেসিপিটি (Paneer Pasanda) সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছিল। ভারতে মুঘল আমলে এই ডিশের (Paneer Pasanda) উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুন: জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা

    শীর্ষ পাঁচ-এ আর কোন কোন খাবার রয়েছে ?

    Google-এর  “শীর্ষ ৫” খাবার রেসিপি (Paneer Pasanda) সার্চের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে, পনীর পসন্দা (Paneer Pasanda)। “বোলো কেসিরো”, নামের এক ধরনের ঘরে তৈরি কেক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। “তুজলু কুরাবিয়ে” নামে তুর্কি সুস্বাদু বিস্কুট তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। চতুর্থ স্থান দখল করেছে “ওভারনাইট ওটস”। জার্মানির খাবার, “জিমটসনেকেন”, পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির রেকর্ড জয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে গুজরাট নির্বাচনের ফল

    পনীর পসন্দার (Paneer Pasanda) পাশাপাশি, ভারতীয় খাবার হিসেবে পরিচিত মোদক, চিকেন স্যুপ এবং মালাই কোফতাও তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

    কীভাবে বানাবেন পনীর পসন্দা ?

    -প্রথমে পেঁয়াজ, লংকা, আদা, রসুন, কাজু  একসাথে নিয়ে মিক্সি তে স্মুথ পেস্ট বানাতে হবে

    -এবার ১টা বাটি তে দই নিয়ে তারমধ্যে গরম মসলা পাউডার, লাল লংকার গুঁড়ো, নুন, কাসুরী মেথি যোগ করে স্মুথ ব্যাটার বানাতে হবে

    -এবার কড়াই গরম করে সাদা তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি ) দিতে হবে

    -একটু নেড়ে নিয়েই আগে থেকে বানানো পেস্ট টা যোগ করতে হবে

    -৫ মিনিট লো ফ্লেম এ রান্না করতে হবে

    -এরপর টক দই এর ব্যাটার টা দিতে হবে

    -কিছুক্ষন রান্না করার পরে একটু জল যোগ করতে হবে

    -নুন, চিনি স্বাদ মতো দিতে হবে

    -গ্রেভি ফুটে উঠলে পনীর কিউব গুলো দিতে হবে

    -৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে দিতে হবে

     

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Curd: সত্যিই কি শীতকালে দই খেলে অসুখ হয়? কিছু ভুল ধারণা ভাঙলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

    Curd: সত্যিই কি শীতকালে দই খেলে অসুখ হয়? কিছু ভুল ধারণা ভাঙলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা অনেকেই শীতকালে দই (Curd) খাওয়া এড়িয়ে চলি। মনে করি দই খেলে সর্দি-কাশি হয়। সত্যিই কি শীতে দই খেলে শরীর খারাপ হয়? কী বললেন বিশেষজ্ঞরা?

    টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। টক দই শরীরে ক্ষতিকর বর্জ্য জমতে দেয় না। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম শক্তিও উন্নত করে। টক দই (Curd) খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এহেন উপকারী দইকে আমরা শীতকালে দূরেই সরিয়ে রাখি। 

    জেনে নিন দই নিয়ে এই ধারণাগুলি সম্পর্কে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ধারণা: শীতকালে দই খেলে সর্দি-কাশি হয়?

    সত্যতা: শীতকালেও দই (Curd) দিয়ে মিষ্টি মুখ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। দইয়ে প্রো-বায়োটিক উপাদান, ভিটামিন সি রয়েছে। এই দুই-ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে তবেই খাবেন। ঠাণ্ডা দই খাবেন না। 

    ধারণা: রাতে দই খাওয়া ঠিক নয়। 

    সত্যতা: এটা ভুল ধারণা। রাতে সাইড ডিশ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে দই। এটি বিশেষ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের ক্ষরণে সাহায্য করে। যা মস্তিষ্ককে শান্ত করে। এবং মস্তিষ্ক শান্ত হলে কিছু ভাবতে সাহায্য হবে। 

    ধারণা: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে যে মায়েরা তাদের দই খাওয়া উচিত না। মা-বাচ্চা দুজনের শরীর খারাপ হতে পারে। 

    সত্যতা: এটিও একটি ভুল ধারণা। বুকের দুধের মাধ্যমে মায়ের শরীর থেকে শুধু পুষ্টিই পায় সন্তানরা। বুকের দুধে ইমিউনোগ্লোবিউলিন্স থাকে, তাই ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা নেই। দই- এ (Curd) ভিটামিন এবং প্রোটিন রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই মায়ের শরীরের ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ করে।

    আরও পড়ুন: ২০২৩-এ রুপোলী জগতে পা রাখবেন এই তারকা সন্তানরা!

    ধারণা: বাচ্চাদের শীতে দই খাওয়া উচিত নয়।

    সত্যতা: দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ঘরোয়া তাপমাত্রায় দই খেলে শিশুদের ঠাণ্ডা লাগার ভয় নেই। 

    ধারণা: ওজন কমাতে চাইলে দই এড়িয়ে চলুন।

    সত্যতা: এই ধারণাটিও সত্যি নয়। ওজন কমানোর জন্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়াও জরুরি। লো ফ্যাট দুধ থেকে তৈরি দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম এবং প্রোটিন রয়েছে। যা স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Migraines: মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন? এ জন্য কে দায়ী জানেন?

    Migraines: মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন? এ জন্য কে দায়ী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড মাথাব্যথা, তীব্র, দীর্ঘ বা ঘন ঘন এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর। সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হয় কারও কারও। এটাই মাইগ্রেনের (Migraines) প্রাথমিক লক্ষণ। যাইহোক, এটি অবিশ্বাস্যভাবে বেদনাদায়ক, মাইগ্রেনের (Migraines) সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁরা নিশ্চয় জানেন। যে কোনও স্থানে, যেকোনও সময়ে এই যন্ত্রণা (Migraines) শুরু হতে পারে। যদিও বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেগুলি মাইগ্রেনের (Migraines) জন্য দায়ী। তবে একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, এর অন্যতম কারণ হল আপনার খাদ্যাভ্যাস।

    নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্সের সমীক্ষা

    নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্সের একটি সমীক্ষায় প্রথম দেখা যায়, ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরীক্ষার সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮,৯৫৩ জনের মধ্যে ১,৮৩৮ জনই মাইগ্রেনের (Migraines) সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্ভাব্য কারণগুলি অনুসন্ধানের সময়, গবেষকরা খাদ্যাভাসকেই চিহ্নিত করেছেন। এক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের সঙ্গে সংযোগ খুঁজে পেতে, প্রগনোস্টিক নিউট্রিশনাল ইনডেক্স বা পিএনআই ব্যবহার করেছেন গবেষকরা।

    সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, মাঝারি এবং গুরুতর অপুষ্টিতে ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র মাথাব্যথা (Migraines) সব থেকে বেশি ছিল। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, তীব্র মাথাব্যথা (Migraines) এবং মাইগ্রেনের রোগীদের ডায়েটে ভিটামিন এবং পুষ্টি যেমন ডায়েটারি ফাইবার, টোটাল ফোলেট, রিবোফ্লাভিন, সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি 6, ভিটামিন বি 12 এর অভাব থাকে। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে- এর অভাবও লক্ষণীয়। গবেষকরা সবশেষে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ডায়েটের কারণেই মাইগ্রেনের (Migraines) ঝুঁকি বেশি থাকে।

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সাত সবজি

    “রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে খুব কমে গেলেও মাইগ্রেন (Migraines)হতে পারে”- এটাই বিশেষজ্ঞদের মত। “খাদ্য গ্রহণের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান থাকলে বা খাবার এড়িয়ে গেলে, বিশেষত কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে পারে।

    পুষ্টিবিদদের মতে  “কিছু ভিটামিনের ঘাটতি (বেশিরভাগ বি ভিটামিন) এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের কারণেও মাইগ্রেন (Migraines) হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

    .

  • Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল অসুখ। বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য এই অসুখকে ঠিক পাত্তা দিতে চান না। যদিও বিষয়টাকে একবারে অবহেলায় রেখে দিলে চলবে না। ডায়াবেটিস হলে মানুষকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এমনকী কিছু এমন খাবার খেতে হবে যা সুগার কমায়। আপনারও যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এখনই খাদ্যাভ্যাসের দিকে যত্ন নিন। ৭টি লো-কার্ব যুক্ত সবজির নাম জেনে নিন, 

    রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে লো-কার্ব যুক্ত সবজি

    গাজর

    গাজর নন-স্টার্চি সবজি গ্রুপের অন্তর্গত। তাই যাঁদের সুগার লেভেল হাই, তাঁরা এটি নিরাপদে খেতে পারেন। এই সবজি ফাইবার এবং ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ। এটি চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কারণ গাজরে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে।

    মাশরুম

    কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং গ্লাইসেমিক লোড কন্টেন্ট সহ, মাশরুম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো। মাশরুম একটি কম-ক্যালোরি, কম কার্বযুক্ত খাবার যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

    ব্রকলি

    এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত সবজি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। ব্রকলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং এতে উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

    বাঁধাকপি

    প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এতে, যা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।  বাঁধাকপি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল সবজি। ফাইবারে ভরপুর বাঁধাকপি খাবারের হজমকে ধীর করে দেয় এবং এইভাবে আপনার চিনির মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়।

    ফুলকপি

    বাঁধাকপির মত, ফুলকপিও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি যা ডায়াবেটিস রোগীরা নিরাপদে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    পালং শাক

    পালং শাক ফোলেট, ফাইবার এবং ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে এর একটি দুর্দান্ত উৎস। ফলে এটি  এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এই শাক রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।

    টোম্যাটো

    গাজরের মত, টোম্যাটোও স্টার্চবিহীন সবজি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার পরিমাণ যখন বাড়তে থাকে তখন তাকে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই ফ্যাটযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    স্বাস্থ্যবিদরা কী বলছেন?

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত পাঁচ থেকে ছ’শতাংশ চর্বি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে লিভারের। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলেই তা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) কারণ হতে পারে । ডাক্তারদের মতে, ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) ডেকে আনতে পারে ‘সিরোসিস অফ লিভার’- নামের ভয়ঙ্কর রোগকে। ওবেসিটি, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তেমন কোনও ওষুধ নেই, যা খেলেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) একেবারে সেরে যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং শারীরিক কসরত এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো ফল দেয়। গ্রেড ১, গ্রেড ২ এবং গ্রেড ৩ ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায় থাকে ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver)। গ্রেড ২ বা তার বেশি পর্যায়ে যদি এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে তখন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই চলতে হয়। তবে গ্রেড ১ ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) রোগ অত বিপজ্জনক নয়। জীবনের কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন এনেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন

    -ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।

    -নিয়মিত ৩ লিটার করে জল খেতে হবে।

    -খালি পেটে থাকা যাবে না। সময়ের খুব বেশি ব্যবধান রেখে খাওয়া দাওয়াও করা যাবে না। বার বার করে খেতে হবে।

    -ঘি, মাখন, চিজ, রেড মিট— এইগুলি একেবারেই খাওয়া যাবে না। 

    – শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ । দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় বার করে হাঁটাহাটি করলেও উপকার পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • World AIDS Day: আজ বিশ্ব এইডস দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    World AIDS Day: আজ বিশ্ব এইডস দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ ডিসেম্বর দিনটি প্রতি বছর বিশ্ব এইডস (World AIDS Day) দিবস হিসেবে বিশ্বে পালিত হয়। উদ্দেশ্য, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। বিশেষ এই দিনটি পালনের আরও কারণ হল, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো এবং যাঁরা এইডস-সম্পর্কিত (World AIDS Day) অসুস্থতার কারণে জীবন হারিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের নাম বদল করল ‘হু’, জানেন নতুন নাম কী?

    ইতিহাস

    বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day) ১৯৮৭ সালে প্রথম স্বীকৃত হয়। এই দিবস (World AIDS Day) উদযাপনের উদ্দেশ্য হল এইডস এবং এইচআইভি সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের সরকার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্যক্তিদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা। দিনটি সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দু’জন তথ্য অধিকর্তা জেমস ডব্লিউ বুন এবং টমাস নেটার দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। দিনটি (World AIDS Day) ১৯৯৬ সাল থেকে UNAIDS (এইচআইভি/এইডস সম্পর্কিত যৌথ জাতিসংঘের প্রোগ্রাম) এর অন্তর্গত। তারপরে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।

    তাৎপর্য

    ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্বে প্রায় ৩.৮৪ কোটি মানুষ এইচআইভিতে সংক্রমিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ৪,১৩৯ জনেরও বেশি লোক এইচআইভিতে আক্রান্ত হন। কলঙ্ক এবং বৈষম্য এখনও এই ভাইরাস আক্রান্তদের সঙ্গী।

    বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day) পালনের আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ হল, এটি প্রতিটি দেশের জনসাধারণ এবং সরকারকে মনে করিয়ে দেয় যে এটি একটি গুরুতর সমস্যা। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি হল অর্থায়ন, সচেতনতা, কুসংস্কার দূরীকরণ এবং উন্নত নৈতিক শিক্ষার সুযোগ।

    থিম

    এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের (World AIDS Day) মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমানতা’। UNAIDS এর মতে, এইডস মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে প্রত্যেকেরই সমানভাবে কাজ করা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Bengal Tuberculosis: কেন্দ্রের পরিকল্পনা মতো চলতে ‘ব্যর্থ’ রাজ্য! বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা

    Bengal Tuberculosis: কেন্দ্রের পরিকল্পনা মতো চলতে ‘ব্যর্থ’ রাজ্য! বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে টিবি। করোনার থেকেও সে  শক্তিশালী। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ পেয়েও ঠিকমতো বাস্তবায়নের অভাবে রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়ছে। রাজ্যে বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা রোগ মুক্ত করতে হবে। এর জন্য রোগী চিহ্নিতকরণ এবং ঠিকমতো সম্পূর্ণ চিকিৎসা করানোর দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বাস্তবে, এর কোনওটাই করতে পারছে না রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টিবি আক্রান্ত হয়ে ২৭৩০ জন রোগী মারা গিয়েছেন। প্রায় ১ লাখের বেশি টিবি রোগীকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে, এটা লক্ষ্যমাত্রার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী চিহ্নিতকরণ সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ৬৫ শতাংশ রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরে আসে না। ফলে, রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। ওই স্বাস্থ্য কর্তা জানান, চলতি বছরে ১৯,৫৮০ জন বেসরকারি হাসপাতালে টিবি চিকিৎসাধীন রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের আশঙ্কা, চিকিৎসাধীন ব্যক্তির সংখ্যাটা তার থেকেও অনেক বেশি। তাই তারা একাধিকবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সমস্ত তথ্য যাতে দ্রুত স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়, সে বিষয়ে জানানোও হয়েছে।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে টিবির প্রধান চ্যালেঞ্জ অসম্পূর্ণ চিকিৎসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসা সম্পূর্ণ করান না। তাই প্রাথমিকভাবে সুস্থ হলেও পরবর্তীকালে ফের আক্রান্ত হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা মারা যান। তাই রোগী চিহ্নিত করে রেকর্ড রাখার উপরে কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। শুধুমাত্র শহরের বড় হাসপাতাল নয়। গ্রামের একেবারে প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই কাজ করার কথা বলেছে কেন্দ্র। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার টিবি মুক্ত ভারতের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার জন্য কেন্দ্র প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দও করেছে। প্রত্যেক রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি মাসে টিবি রোগীর হিসাব নির্ণয় করার জন্য। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য এ রাজ্যে টিবি সংক্রমণ বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সাত সবজি

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শুধু সাধারণ মানুষ নন, এই রোগে চিকিৎসকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ চিহ্নিত হচ্ছে না। নভেম্বর মাসে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের এক চিকিৎসক পড়ুয়া টিবি আক্রান্ত হয়ে মারা যান।স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুধুমাত্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৬ জন পড়ুয়া চিকিৎসক যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছেন। রোগী চিহ্নিতকরণের কাজ দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে করতে না পারলে এই রোগ মুক্তি সম্ভব নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    তবে টিবি মুক্তি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেসরকারি হাসপাতাল কেন সময় মতো তথ্য পাঠাচ্ছে না, যারা তথ্য পাঠাচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন স্বাস্থ্য দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? সরকারি হাসপাতালে যাঁরা যক্ষ্মা চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ চিকিৎসা করছে কি? সে বিষয় স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চিত করতে পারছে কি? এই কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। করোনা কালে টিবির বিষয়টি অবহেলা হয়েছিলো। কিন্তু এখন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

  • Low Carbohydrate Vegetables: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সাত সবজি

    Low Carbohydrate Vegetables: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সাত সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা যদি না হয়, তবে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। শাকসবজি (Low Carbohydrate Vegetables) যে কোনও ডায়েটের একটি অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত। আসুন ৭টি সবজি সম্পর্কে পড়ি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব উপকারী।

    গাজর

    রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের খাবার তালিকায় গাজর (Low Carbohydrate Vegetables) রাখা উচিত। গাজরে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন-এ। যা কিনা শুধুমাত্র ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে না, বরং চোখের স্বাস্থ্যও উন্নত করতে সহায়তা করে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যে সবজিতে যত কম হয়, ওই সবজি রক্তে শর্করা বৃদ্ধি তত কম করে) গাজরে খুব কম থাকে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব উপকারী।

    মাশরুম

    গাজরের মতোই, মাশরুমেও গ্লাইসেমিক সূচকের মান কম হয়। মাশরুম (Low Carbohydrate Vegetables) খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না এবং তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত ভাল। মাশরুম একটি কম-ক্যালোরিযুক্ত খাবারও বটে।

    ব্রোকলি

    এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আরেকটি পছন্দের খাবার হতে পারে। ব্রোকলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ তৈরি হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। ব্রোকলির (Low Carbohydrate Vegetables) উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আপনার ডায়াবেটিস থাকলে এই সবজিটি খাদ্য তালিকায় রাখতেই পারেন।

    আরও পড়ুন: পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে? রইল রাত জাগার ৫টি দারুণ কলাকৌশল

    বাঁধাকপি

    প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে বাঁধাকপিতে (Low Carbohydrate Vegetables), যা হার্টের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর। বাঁধাকপি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও একটি ভাল সবজি। ফাইবারে ভরপুর, বাঁধাকপি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাধা দেয়। USDA-এর (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার) একটি রিপোর্ট অনুসারে, এক কাপ কাঁচা বাঁধাকপিতে প্রায় ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে।

    ফুলকপি

    বাঁধাকপির মতো, ফুলকপিও (Low Carbohydrate Vegetables) কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি যা ডায়াবেটিসের রোগীরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই পারেন। ইউএসডিএ নিউট্রিয়েন্ট ডেটা ল্যাবরেটরি অনুসারে, ১ কাপ কাঁচা বা রান্না করা ফুলকপিতে প্রায় ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটি সহায়তা করে।

    পালং শাক

    ফাইবার ছাড়াও পালং শাক (Low Carbohydrate Vegetables) ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে-তে সমৃদ্ধ। এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দের খাবার। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।

    টম্যাটো

    গাজরের মতো, টম্যাটোও (Low Carbohydrate Vegetables) স্টার্চবিহীন সবজি যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। USDA-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, একটি মাঝারি সাইজের টম্যাটোতে প্রায় ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা সহজেই তাদের খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • MonkeyPox: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    MonkeyPox: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাস জগতে অন্যান্য ভাইরাসের মত নামকরণ হয়নি তার। নামের কারণে নাকি অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। তাই নাম বদলের দাবিতে আগে থেকেই সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল। এবার একই দাবিতে মাঠে নেমেছে বাইডেন প্রশাসনও। মাঙ্কিপক্সের (MonkeyPox) নামকরণ নিয়ে অবশেষে ভাবনা শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।  ‌

     আমেরিকার চাপ

    মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) ভাইরাসের নাম বদলের পথে হাঁটতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের দাবি, এই নাম নিয়ে সামাজিক বিতর্ক এড়ানোর জন্য বাইডেন প্রশাসন সক্রিয়। সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে হু-এর উপর চাপও তৈরি করা হচ্ছে ভাইরাসের নাম বদল নিয়ে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাস নাগাদ এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই ‘হু’-এর তরফে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়। ভারতেও এই রোগের (MonkeyPox) হদিশ মিলেছিল কিছুদিনের মধ্যে। অগাস্ট মাস নাগাদ এই ভাইরাসের নাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে বিভিন্ন মহলে। এমন নামকরণের কারণে সামাজিক বিভাজন উস্কানি পেতে পারে, এই আশঙ্কাও তৈরি হতে থাকে। রোগে আক্রান্ত হলে কৃষ্ণবর্ণের মানুষ ও এলবিজিটিকিউরা চিকিৎসা এড়াতে পারেন, এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নামকরণ

    বৈজ্ঞানিক নামকরণ করে তখনকার মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিতর্কের নিষ্পত্তি করেছিল। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের (MonkeyPox) বদলে‌ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ক্লেডস ওয়ান, টুএ ও টুবি নাম রাখা হয়েছিল। দেশ ও ভাইরাসের প্রকৃতি অনুযায়ী এই নামকরণ করা হয়। তবে এতেও মেটেনি‌ সমস্যা। সাধারণের মধ্যে প্রচলিত নাম মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) থাকায় সমস্যা বাড়তে থাকে। মার্কিন প্রশাসনের তরফে তাই নাম বদলে ‘এমপক্স’ (mpox) রাখার আবেদন করা হয়।

    আসলে নামের কারণে অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। প্রশাসনের তরফে টিকার প্রকল্প বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও চিকিৎসা করাতে অনেকে রাজি হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। বিজ্ঞানীদের মতে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস একটি জু়নোটিক (Zoonotic) গোত্রের ভাইরাস।‌ অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে এসেছে। তাই প্রাথমিকভাবে এর এমন নামকরণ করা হয়। তবে নামকরণেই পরেই বিভিন্ন মহলে নাম বদলের দাবি ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share