Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Good Health Tips: হাজার চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? সকালে এই তিনটি ভুল করছেন না তো!

    Good Health Tips: হাজার চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? সকালে এই তিনটি ভুল করছেন না তো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কীভাবে আপনার সকাল শুরু করবেন তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে কী করছেন, তা আপনার ওজনের উপরে বড় প্রভাব ফেলে। যদি আপনি স্ফীতভাব, ওজনবৃদ্ধি, বদহজম, প্রদাহ, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তিত থেকে থাকেন, তবে তার জন্য আপনাকে আপনার কিছু বাজে অভ্যাস বন্ধ করতে হবে।

    অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে, ওজন কমানোর জন্য সব কিছুই তো করছেন আপনি, তবে কেন কমছে না ওজন? ওজন না কমার প্রধান কারণই হল আপনার কিছু বাজে অভ্যাস। আপনার পেটের মেদ কমানোর জন্য সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং ঘুম খুব দরকারি। কিন্তু আপনার সকাল সকাল কিছু ভুলের কারণেই ওজন কমানোর লক্ষ্য থেকে আপনি পিছিয়ে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে যেসব ভুলের জন্য আপনি নানা সমস্যায় ভুগছেন, সেগুলো হল-

    ১) ব্রেকফাস্ট না করা

    সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেটাবলিজম দ্রুত হয় এবং সারাদিন গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। আপনি যদি সকালের খাবার এড়িয়ে যান, তাহলে দিনের বেলা আপনার বেশি খিদে পাবে এবং এটা সেটা খেতে বেশি ইচ্ছা করবে। ফলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাবে। তাই ব্রেকফাস্ট পেট ভরে খাওয়া উচিত। আর সকালের খাবারে শর্করা কম যুক্ত ফল, প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবারগুলো বেছে নিন।

    ২) চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া

    ব্রেকফাস্টে চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সেরিয়াল বা অন্যান্য খাবার খেলে আপনার শরীরে এনার্জি পাবেন না। ডায়েটিসিয়ানদের মতে, উচ্চ চিনি এবং কম ফাইবারযুক্ত ব্রেকফাস্ট আপনার খিদে বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বেশি করে খিদে পায় ও পরে এটা ওটা খাওয়ার ইচ্ছে বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে পরে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি বদহজম ও স্ফীতভাবের মত সমস্যাও দেখা যায়। সাধারণত প্যাকেজযুক্ত জুসে চিনির  পরিমাণ খুব বেশি থাকে, তাই জুসের পরিবর্তে ফল খাওয়া বেশি উপকারি।

    ৩) কফিতে ক্রিম ও চিনি যোগ করা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি বিপাক এবং হজমের জন্য দুর্দান্ত।  এক কাপ ব্ল্যাক কফি স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস দিয়ে পূর্ণ এবং এর ক্যাফিন আপনার দিন শুরু করার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে। কিন্তু সমস্যাটি হয় তখনই যখন আপনি কফির মধ্যে চিনি বা ক্রিম অ্যাড করছেন। কারণ এতে ক্যালোরি বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি, বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়।

  • Weight Loss Tips: এই পাঁচ খাদ্যাভ্যাসে আপনার ওজন কমবে, শরীর ফিট থাকবে

    Weight Loss Tips: এই পাঁচ খাদ্যাভ্যাসে আপনার ওজন কমবে, শরীর ফিট থাকবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিকায় শরীর হল বিভিন্ন রোগ টেনে আনার অন্যতম কারণ। ইংরেজিতে একে বলে ওবেসিটি (obesity)। শুধু কি তাই! অতিরিক্ত মোটা বা রোগা এই দুধরনের শরীরই ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলে। টিন-এজ থেকে পৌঢ় প্রত্যেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকমের উপায় (Weight Loss Tips) খুঁজতে থাকে। সবথেকে জনপ্রিয়তা এক্ষেত্রে জিমের রয়েছে। ওয়েটলিফটিং হোক বা ফ্রি-হ্যান্ড, কার্ডিও হোক বা ক্যালিসথেনিক্স— এসব নিয়ে কসরত করতে দেখা যায় সব বয়সের মানুষদেরই। জমজমাট থাকে জিম। ছোট শহর থেকে মেট্রো সিটি— সর্বত্রই এমন ছবি আমাদের চোখে পড়ে। এছাড়াও ভোরে উঠে ছোটা, হাঁটা, সাইক্লিং কোনও কিছুই বাকি থাকে না মেদহীন, পেশীবহুল দৈহিক গঠন পেতে।

    কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কিছুই বৃথা হয়ে যাবে, মেদবহুল শরীর কমানোর ক্ষেত্রে, যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাস (Food Habit) অনুসরণ না করা হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানে এটাও নয় যে দৈনন্দিন খাবার সবকিছু বদলে ফেলা বা আপনার প্রিয় খাবারগুলিকে একেবারে ত্যাগ করা। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস (Weight Loss Tips), শরীরকে ফিট রাখা বা মেদ কমানো খুব কঠিন বা তপস্যার বিষয় নয়। রয়েছে একেবারেই আপনার হাতের মুঠোয়। 

    পাঁচ ধরনের এই খাদ্যাভ্যাস আমরা এবার জেনে নিই।

    ১) ওজন কমাতে খাওয়া দাওয়া না ছেড়ে,নির্দিষ্ট সময় অন্তর বেশি বার খান

    অনেকেরই ধারণা থাকে, ওজন কমাতে নাকি খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিতে হয়। এ ধারণা একেবারেই ভুল বরং উল্টো ফল হতে পারে যদি আপনি ব্রেকফাস্ট না করেন তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। এমনটাই মত রয়েছে অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানদের। তাঁরা বলছেন, একবারে বেশি করে না খেয়ে, (Weight Loss Tips) বেশি বার খেতে হবে, ধারাবাহিকভাবে। এতেই ওজন কমবে। আপনি পাবেন ফিট, ঝরঝরে শরীর।

    ২) ফাস্টফুড নয়, বাড়ির খাবারে সন্তুষ্ট থাকুন

    রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়াই আজকের দিনে বেশি অগ্রাধিকার পায় ভোজনরসিকদের। ডিনার হোক বা লাঞ্চ, রেস্টুরেন্টেই রসনা তৃপ্তি হয়। তবে ওজন কমাতে চাইলে (Weight Loss Tips) এই অভ্যাস যে আজ থেকেই ছাড়তে হবে আপনাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির তৈরি খাবারই হল সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত আহার। এতে আপনার পকেট যেমন বাঁচে তেমনি আপনি বুঝতে পারেন কী ধরনের খাবার আপনি খাচ্ছেন।

    ৩) ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে থাকুন

    গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফাইবার-যুক্ত খাবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওজন কমাতে (Weight Loss Tips)। বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূলে ভরপুর ফাইবার থাকে। শাকসবজি দেখে তাই নাক সিঁটকানো বন্ধ করুন। শরীর ফিট রাখতে এর জুড়ি নেই।

    ৪) বার্গার, স্ন্যাকস এর মতো আল্ট্রা প্রসেসড ফুড বর্জন করুন

    এই জাতীয় খাবারগুলি অবিলম্বে বর্জন করুন, যদি একটি ঝরঝরে শরীর পেতে চান (Weight Loss Tips)। ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ, বেশিমাত্রায় তেল জাতীয় উপাদান থাকে এই আল্ট্রা প্রসেসড ফুডগুলিতে। যা ক্রনিক রোগ ডেকে আনতে পারে এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।

    ৫) বেশি করে উদ্ভিদ প্রোটিন খেতে থাকুন

    ওজন কমাতে (Weight Loss Tips) এবং সুস্থ শরীর পেতে উদ্ভিজ প্রোটিনের বিকল্প নেই। উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের ডাল, ছোলা, কিনওয়া, সোয়া, বিনস, নানা ধরনের বাদাম ইত্যাদি।

     

  • Dry Skin: শীতে রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? দেখে নিন, এগুলো করছেন না তো?

    Dry Skin: শীতে রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? দেখে নিন, এগুলো করছেন না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকাল শুরু হয়েছে। ঠান্ডা বাতাসে এই সময় ত্বক রুক্ষ (Dry Skin) হয়ে যায়। পা ফাটা তো এক বড় সমস্যা। প্রতি ঘরেই রয়েছে। রুক্ষ ত্বককে তেলতেলে বানাতে বাজারে বডি লোশনের অভাব নেই।

    কিন্তু বডি লোশন বা আরও যেকোনও প্রসাধনী ব্যবহার করলেই কি রুক্ষ ত্বকের সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়? রুক্ষ ত্বকের (Dry Skin) জন্য দায়ী থাকে সাধারণত পাঁচ ধরনের অভ্যাস। সেগুলি জেনে নিন—

    ১) জল কম পান করা 

    যদি ঠিক পরিমাণ মতো জল না খেয়ে থাকেন, তাহলে ত্বক রুক্ষ (Dry Skin) হবেই। পরিমাণ মতো জল পান না করলে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। রুক্ষ ত্বকের (Dry Skin) সঙ্গে ডিহাইড্রেশনের যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেকোনও ডাক্তার বলুন অথবা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, তাঁরা পরিমাণ মতো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

    ২) পরিমাণ মতো মাছ রাখতে হবে খাবার পাতে

    স্বাস্থ্য বিশারদরা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে বলছেন। DHA এবং EPA omega-3 fatty acid, ‘Healthy fat’ মাছে থাকে। যার ফলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং হার্টের পক্ষেও ভাল। খাবার পাতে তৈলাক্ত মাছ ত্বককে আর্দ্র রাখে।

    আরও পড়ুন: এই পাঁচ খাদ্যাভ্যাসে আপনার ওজন কমবে, শরীর ফিট থাকবে 

    ৩) প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান ত্বককে শুষ্ক (Dry Skin) করে দেয়

    মদ্যপান যদি কারও অভ্যাসে পরিণত হয় তবে তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণ বলেও মনে করেন ডাক্তাররা। অতিরিক্ত মদ্যপানে ত্বক রুক্ষ (Dry Skin) হয়ে যায়।

    ৪) ডিম খাওয়ার সময় কুসুম বাদ দেবেন না

    ডিমের কুসুম হল পুষ্টির উৎস, ভিটামিন-ডি থাকে ডিমের কুসুমে। ভিটামিন-ডি আবার ত্বককে উজ্জ্বল এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বককে আর্দ্র রাখতে  ডিমের কুসুম কখনও এড়িয়ে যাবেন না। 

    ৫) বাজার চলতি হেল্থ সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলুন

    দৈহিক ওজন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য অনেকেই বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট নেন। খাবার অথবা পানীয়ের সঙ্গে। এগুলি শরীরকে রুক্ষ (Dry Skin) করে দেয়। অন্তত বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • MPOX: মাঙ্কিপক্সের নাম বদল করল ‘হু’, জানেন নতুন নাম কী?

    MPOX: মাঙ্কিপক্সের নাম বদল করল ‘হু’, জানেন নতুন নাম কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই নাম বদলের। বাইডেন প্রশাসনের চাপও ছিল। অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নাম বদল করল ‘মাঙ্কিপক্সের’ (MonkeyPox)। নতুন নাম হল ‘এমপক্স’ (MPOX)। বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডেটায় (ICD-10) এবার থেকে ‘এমপক্স'(MPOX) নাম দেখা যাবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডেটাতেও (ICD-11) থাকবে একই নাম। 

    বিভিন্ন মহল থেকে এই ভাইরাসের নাম বদলের (MPOX) দাবি উঠতে থাকে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল যে ভাইরাসটির নাম মাঙ্কিপক্স বলা ঠিক নয়। এমন নামের সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষমূলক ভাবনা জড়িত রয়েছে। এই নামের জন্য আক্রান্ত রোগীরা অনেক ক্ষেত্রে টিকা পর্যন্ত নিতে চাইছিলেন না। ব্যাহত হচ্ছিল টীকাদানের কর্মসূচি। নড়ে চড়ে বসে সব মহল। দাবি উঠতে থাকে ‘মাঙ্কিপক্সের’ এমন একটা নাম হওয়া উচিত যেটি হবে বৈষম্যহীন এবং কারও উপর অপবাদ আরোপ করবে না। মাঙ্কিপক্সের (MPOX) নতুন নাম কী হতে পারে, সেই আবেদন জানিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে ৩০ জন বিজ্ঞানী কে লিখিত পত্র দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সের (MPOX) রোগী শনাক্ত হতে থাকে

    চলতি বছরের মে মাস থেকে উত্তর আমেরিকা ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সের (MPOX) রোগী শনাক্ত হতে থাকে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের কোন টিকা বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত সেভাবে আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, স্মল পক্স বা গুটি বসন্তের জন্য যে টিকা ব্যবহার করা হয় মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে তা যথেষ্ট কার্যকর।

    এই ভাইরাস আক্রান্তদের জ্বর আসে, মাথাব্যথা হয়, ঘন ঘন ঘামতে থাকে রোগী, মাংসপেশীতে টান ধরে এবং রোগীর মধ্যে অবসাদ দেখা দেয়। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা যায় ফুসকুড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস (MPOX) সংক্রমণের সাথে অনেক মিল আছে গুটিবসন্তের। তবে এই ভাইরাস (MPOX) আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ বলেই জানা গেছে। বেশিরভাগ রোগী দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে বলে মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শীতকালে উজ্জ্বল ও ঝলমলে ত্বক পেতে মেনে চলুন এই পাঁচটি টিপস

    ভাইরাসের (MPOX) ইতিহাস

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে ‘মাঙ্কিপক্স’ (MPOX) ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ল্যাবরেটরিতে রাখা বানরের শরীরে। তাই এটি মাঙ্কিপক্স নামে তখন পরিচিতি পায়। ১৯৭০ সালে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yogas for Women: মেয়েদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্যে এই সাতটি আসন অবশ্যই করা উচিৎ

    Yogas for Women: মেয়েদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্যে এই সাতটি আসন অবশ্যই করা উচিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাসন আদতে উন্নততর জীবনশৈলি। যোগাসনে মন এবং শরীরই দুইই সুস্থ থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু আলাদা আলাদা আসন থাকে। মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্যে কোন আসনগুলি (Yogas for Women) আবশ্যিক জেনে নিন।  

    নৌকাসন

    এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একই সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। আপনার বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করবেন।

    উর্ধ্বমুখী শবাসন

    হাতের চেটো শিথিল ভাবে পাতা থাকবে। যে সকল আসন উপুড় হয়ে শুয়ে করতে হয় সে সকল আসনের পর এই শবাসন করণীয়। দ্র : প্রতি আসনের পর শবাসন অবশ্য করণীয়। উপকারিতা : হাই ব্লাডপ্রেসার, অনিদ্রা, একাগ্রতার অভাব, একটুতে রেগে যাওয়া, নার্ভাস, টেনশন ও স্নায়বিক দুর্বলতা ও উত্তেজনা প্রশমনে উপকারী।

    ভ্রামরী প্রাণায়াম

    ভ্রামরী প্রাণায়াম আসলে মনকে একাগ্র করে ধ্যান বা মেডিটেশন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। শব্দের কম্পন মন ও স্নায়ুকে শান্ত করে সুখকর অনুভুতি আনতে সাহায্য করে। সুতরাং অতিরিক্ত পরিশ্রম বা মানসিক চাপের পর ইচ্ছে মতো ভ্রামরী প্রাণায়াম অভ্যাস করে মন শান্ত রাখার পাশাপাশি তরতাজা করেও তোলা যায়।

    অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম

    শারীরিক কাজকর্মের উন্নতি হয় এবং বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ত্বকের জন্য: অনুলোম বিলোমের জন্য ব্রণ বা অ্যাকনি এবং ত্বকের রোগের উপশম হয় বলে ত্বকের উপকার হয়। চোখের জন্য: অনুলোম বিলোম প্রাণায়ামের ফলে চোখে রক্তপ্রবাহ বাড়ার দরুন চোখের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হয়, এবং দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয় না।

    উজ্জয়ী প্রাণায়াম

    এই প্রানায়ম অভ্যাসের ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস টানার সময় পেট এবং বুক উভয়ই বেশ ফুলে ওঠে, ঠিক যেন যুদ্ধ জয়ী গর্বিত এবং আত্মবিশ্বাসী একজন সৈনিক, যে কারনে একে ‘Breath of victory’ বলা হয়। শ্বাস প্রশ্বাসের ফলে গলার মধ্যে দিয়ে বাতাস চলাচলের সময় একটা শব্দ তৈরী হয়, সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে বাতাস এবং জলের সংমিশ্রনে তৈরী শব্দের সঙ্গে যার সাদৃশ্য পাওয়া যায় । এইকারনে একে ‘Ocean Breath’ ও বলা হয় ।

    কপালভাতি প্রাণায়াম

    কপালভাতি প্রাণায়াম এক প্রকারের ব্রিদিং এক্সারসাইজ যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। কপালভাতি, এই সংস্কৃত শব্দের অর্থ ‘উজ্জ্বল কপাল’ এবং প্রাণায়াম শব্দের অর্থ হল ‘শ্বাস নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি’। কপালভাতি প্রাণায়াম এর উপকারিতা অনেক, যেহেতু এই যোগব্যায়ামের সাহায্যে আমাদের মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় এবং মস্তিক অ্যাক্টিভ করতে সাহায্য করে, কাজেই এই এক্সারসাইজের নাম এমন। 

  • Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    Sports Medicine: রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল, ক্রিকেট হোক কিংবা যে কোনও অ্যাথলেটিক, খেলার সময় চোট স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু খেলোয়াড়কে দ্রুত সুস্থ করতে (Sports Medicine) কতখানি পরিকাঠামো রয়েছে সরকারি হাসপাতালে? 

    স্পোর্টস মেডিসিন কী?

    রাজ্য সরকার বারবার স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালু করার কথা ঘোষণা করলেও, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ নেই। ফলে, রাজ্যের খেলোয়াড়দের জন্য এ এক বড় প্রতিবন্ধকতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় কিংবা প্রস্তুতি পর্বে খেলোয়াড়দের নানা রকম চোট লাগে। হাড়, পেশি কিংবা স্নায়ুতে টান লাগা, ভেঙে যাওয়া অথবা পেশি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য দরকার বিশেষ চিকিৎসা। স্পোর্টস মেডিসিন সেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সক্ষম।
     
    স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগে, এক ছাদের তলায় মেডিসিন, অস্থি, স্নায়ু চিকিৎসকেরা কাজ করেন। তাছাড়া থাকেন ফিজিওথেরাপিস্ট। ফলে, রোগী দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান। হয়রানি কম হয়। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ও বেশি থাকে। কিন্তু এই রাজ্যের সরকার হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ চালু এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। 

    পরিকল্পনাই সার, থমকে বাস্তবায়ন

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতালের মতো প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) চালুর পরিকল্পনা হলেও, বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে, এখনও কোনও খেলোয়াড়ের সমস্যা হলে, তাকে একাধিক বিভাগের যেতে হয়। পরিষেবার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। 

    ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলকাতার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিনের (Sports Medicine) পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সব হাসপাতালের পরিষেবা নেওয়ার সামর্থ্য সকলের নেই। ফলে, তাদের জন্য রয়েছে শুধু ভোগান্তি। রাজ্যের একাধিক জেলায় রয়েছেন অ্যাথলেটিক্স। এশিয়ান গেমস থেকে অলিম্পিক, আন্তর্জাতিক নানান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন জেলার প্রতিভা। কিন্তু তাদের অন্যান্য সাহায্য তো দূর অস্ত, সামান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ও রাজ্য সরকার সুনিশ্চিত করতে পারেন না। এমনটাই মনে করছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু! 

    ফিজিওথেরাপিস্ট গুরুত্বপূর্ণ

    এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হচ্ছে। এদিকে সেখানে নূন্যতম পরিষেবা সুনিশ্চিত হচ্ছে না। স্পোর্টস মেডিসিন (Sports Medicine) বিভাগ নতুন করে চালু করা তো দূরের কথা, অস্থি বিভাগ, স্নায়ু বিভাগেও নিয়মিত পরিষেবা সুনিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগী আসতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খেলার সময় নানা রকম চোট পান খেলোয়াড়রা। ওষুধ কিংবা অস্ত্রোপচার ছাড়াও তাদের সুস্থ করতে অন্যতম জরুরি হল থেরাপি। তাই ফিজিওথেরাপিস্ট স্পোর্টস মেডিসিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, কিন্তু সরকার ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করেন কি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়। এই ধরণের পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শরীর চর্চা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই জিম করছে, যোগাভ্যাস করছে। এই ধরণের অভ্যাসের জন্য অনেক সময়েই তারা পেশি, স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন। সরকারি হাসপাতালে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ (Sports Medicine) থাকলে, অনেকটাই হয়রানি কম হয়। কিন্তু পরিকল্পনা থেকে কবে সেটা বাস্তবায়ন হবে, সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। 

  • Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিফিন বক্সে থাকে ন্যুডলস কিংবা পাস্তা। সপ্তাহান্তে ভালো-মন্দ খাওয়া মানেই চিকেন ফ্রাই কিংবা পিৎজা, বার্গার। আর মাঝেমধ্যে ডিনারে বিরিয়ানি, চাইনিজ তো চলতেই থাকে। মাঠে ছুটে খেলার সময় বিকেলে থাকে না। তাই বাড়িতেই ফ্রি-টাইম কাটাতে হয়। সঙ্গী হয় মোবাইল। বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে পরিবারের খুদে সদস্যের জীবন (Children Lifestyle)। তাই বয়স্কদের একাধিক সমস্যা এখন বাড়ির সবচেয়ে ছোটো সদস্যের শরীরেও দেখা দিচ্ছে। 

    শিশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের আগে টাইপ ১ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হতো। অর্থাৎ, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। জন্ম থেকেই এই রোগ অনেক শিশুর শরীরে বাসা বাঁধে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়বেটিস (Type 2 Diabetes) হচ্ছে। অর্থাৎ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন থেকে যে ধরণের সমস্যা হয়। ১০-১২ বছর বয়সিদের মধ্যে এই টাইপ ২ ডায়বেটিস হচ্ছে। ইনসুলিন নয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। 

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    কী কী খাবে না? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাড়ির বাচ্চাকে কী খেতে দেওয়া হচ্ছে এটা মনে রাখার থেকেও বেশি জরুরি হয়ে উঠছে কী কী খেতে দেওয়া যাবে না। নানান চটজলদি (Fast Foods) ও প্রসেসড্ খাবার (Processed Foods) এখন সব সময় হাজির। সেগুলো খেতেও সুস্বাদু হয়। বাচ্চারা পছন্দ করে। তাই বাড়ির লোকেরাই তাদের সেই সব খাবার খাওয়াচ্ছে। আর এতেই বাড়ছে বিপদ। 
    এই সব চটজলদি খাবারে একদিকে দেহের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— হটডগ, বার্গার, পিৎজা, ইনস্ট্যান্ট ন্যুডলস এগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। 

    বিরিয়ানি, রোল, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত তেল মশলার খাবারে এখন অনেক পরিবারের ছোটরাই অভ্যস্ত। কিন্তু এই খাবার সপ্তাহে একাধিকবার খেলে স্থূলতার সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা আছে। আর স্থূলতা ডায়বেটিস (Diabetes in Children) ডেকে আনে। তাই একেবারেই এই অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবারে অভ্যস্থ হওয়া উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    কী কী খাবে? 

    শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস (Diabetes in Children) রুখতে নিয়মিত ফলকে খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, যে কোনও দুটি ফল শিশুকে রোজ খাওয়ানো দরকার। বিশেষত কলা, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল বিশেষ উপকারী। কারণ, এগুলো আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে একদিকে যেন পুষ্টি বাড়বে, তেমনি হজম করার ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে। তাই নিয়মিত খাবারের মেনুতে ফল আবশ্যক। 

    ডায়াবেটিসের (Diabetes in Children) হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে স্কুল থেকে ফিরে ন্যুডলস বা পিৎজার বদলে রুটি কিংবা স্যালাড খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, বাড়ির তৈরি রুটি-সব্জির একদিকে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি সহজ পাচ্য। তাই শরীরের জন্য উপকারি। আলু, গাজর, পেপের মতো সব্জি দিয়ে স্যালাড ও শরীরের জন্য উপকারী। 

    শরীর চর্চা 

    শিশুদের টাইপ ২ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) থেকে বাচাতে প্রথম থেকেই শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীর চর্চার অভ্যাস থাকলে দেহের ওজন অতিরিক্ত হবে না। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকিও থাকবে না। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হওয়ার ঝুঁকি কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেও নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সুস্থ থাকা যাবে। বিভিন্ন যোগ ব্যায়াম আছে, যা বাড়িতে করা যায়। সেগুলো নিয়মিত করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। প্রত্যেক দিন যাতে বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য যোগাভ্যাসে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    নভেম্বর মাস ডায়বেটিস অ্যাওয়ারনেস মান্থ (Diabetes Awareness)! একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে, শিশুদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে এই রোগ (Diabetes in Children)। অথচ জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণ বদলে দিতে পারে এই প্রবণতা। জীবনভর রোগের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারে শিশুরা। তাই জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। 

  • Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মশার (Dengue mosquito)আতঙ্কে ভুগছে সারা রাজ্য। ডেঙ্গি রোগের বাহক মশার নাম এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) । বলা হয়ে থাকে এডিস মশার (Dengue Mosquito) প্রথম উৎপত্তি স্থান ছিল আফ্রিকায়। বর্ষাকাল এবং অতিরিক্ত আর্দ্র পরিবেশে এডিস মশার(Dengue Mosquito) দ্রুত বংশ বিস্তার হয়।  একসময় আফ্রিকা থেকে জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে আমেরিকা এবং এশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই মশা। 

    কীভাবে চিনবেন এডিস মশা (Dengue mosquito)? 

    এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) মশা খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব। কিভাবে শনাক্ত করবেন আসুন জানা যাক।

    ১) ডেঙ্গি রোগ বহনকারী এই মশার (Dengue mosquito) দেহে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে, তাই এটিকে অনেক সময়  টাইগার মশাও বলা হয়ে থাকে। খালি চোখে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

    ২) এডিস মশা (Dengue mosquito) মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। অর্থাৎ খুব বড়ো বা খুব ছোট হয়না। 

    ৩) এডিশ মশার (Dengue Mosquito) অ্যান্টেনা বা শুঙ্গটি কিছুটা লোমশ দেখতে হয়।

    ৪) এডিস মশার(Dengue mosquito) অ্যান্টেনায় অনেকটা দাড়ির মত থাকে। পুরুষ মশার অ্যান্টেনা স্ত্রী মশার চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি লোমশ দেখতে হয়।

    ৫) পুরনো টায়ার, লন্ড্রি ট্যাংক, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, অন্যান্য জলাধার, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা (Dengue Mosquito) জন্ম নেয়।

    এডিস মশা (Dengue Mosquito) কখন কামড়ায়?

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে বলেই বিশেষজ্ঞ দের মত রয়েছে। বলা হয় যে সকাল ও বিকেলে ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ানোর সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। গবেষণা অনুসারে, মশা দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, সূর্যোদয়ের প্রায় ২ ঘন্টা পরে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘন্টা আগে। যদিও, এডিস ইজিপ্টাই (Dengue Mosquito) মশা সূর্যাস্তের পরেও মানুষকে কামড়াতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এডিস মশা (Dengue Mosquito) একাধিক বার কামড়াতে পারে, যখন তাদের ডিম পাড়ার সময় হয়। ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন পায়ের গোড়ালি, কনুইয়ের চারপাশে কামড়ায়। ডেঙ্গি মশার(Dengue Mosquito) একটি কামড়ই একজন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আসামে নাবালিকা পরিচারিকা খুন মামলায় নয়া মোড়, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার জেলাশাসক

    ‘ডেঙ্গি’ শব্দটি এলো কোথা থেকে 

    আফ্রিকার সোয়াহিলি ভাষায় একটি  প্রবাদ আছে ‘কান্ডডিঙ্গা পেপো’। এখান থেকেই থেকে ‘ডেঙ্গি’ নামটি এসেছে বলে মনে করা হয়। এই শব্দের অর্থ- শয়তানের শক্তির কাছে আটকে যাওয়ার মতো ব্যথা। ডেঙ্গি হলে শরীরে ব্যাথা যন্ত্রণা হয় যে। কারও কারও ধারণা স্প্যানিশ ডেঙ্গি শব্দ থেকে এ রোগের নামকরণ করা হয়, যার অর্থ ‘হাড়ভাঙা জ্বর’। ‘দুষ্ট আত্মার সংস্পর্শে এলে মানুষের হাড়গোড় ভাঙার ব্যাথার যন্ত্রণা সমেত জ্বর হয়। অনেকের ধারণা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গোলাম বা দাসরা এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা এঁকে বেঁকে হাঁটতো, তখন তাদের হাঁটার ভঙ্গিমা ডান্ডি নৌকার মতো হতো বলে, এই জ্বরকে বলা হতো ‘ডান্ডি ফিভার’, সেখান থেকে ডেঙ্গি নাম। 

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ের লক্ষণ 

    সাধারণ ডেঙ্গি মশা কামড় দিলে (Dengue Mosquito)  চোখে পড়ে মূলত নিম্নলিখিত এই লক্ষণগুলি-

    ১.  তীব্র জ্বর এবং এই জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
    ২. মাথায় তীব্র যন্ত্রণা
    ৩. চোখের পেছনের অংশে যন্ত্রণা।
    ৪. জ্বরের পাশাপাশি সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
    ৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা সঙ্গে কোমরে ব্যথা।
    ৬. গা বমি দেওয়া।
    ৭. ত্বকে র‌্যাশ কিংবা লাল লাল দানা  দেখা দেয়া।

    রক্তপাতসহ ডেঙ্গিজ্বরের ক্ষেত্রে :

    ১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ কিংবা বমির সঙ্গে রক্তপাত।
    ২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে কিংবা পেটে জল জমে যাওয়া।

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে করণীয়:

    একথা মনে রাখতে হবে যে ডেঙ্গি ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। সুতরাং জীবাণুবাহী ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করা এবং তার কামড় থেকে নিজে সুরক্ষিত রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি কর্মসূচীর সুপারিশ করেছে: (১) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণে প্রচার, সামাজিক সক্রিয়তা, এবং জনস্বাস্থ্য সংগঠন গুলিকে শক্তিশালী করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি দেশকে। (২) স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিটি বেসরকারি সংস্থার সাথে সরকার কে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। (৩) প্রতিটি দেশের সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে হবে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের জন্য। (৪) ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব এর সময় সরকার কে প্রমাণ ভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা। জল জমার জায়গা খালি করে অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করে অথবা এইসব জায়গায় বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্টপ্রয়োগ করে, ডেঙ্গি মশাকে (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানব স্বাস্থ্যের উপর কীটনাশকের কুপ্রভাব ব্যাপক। তাই এই কথাকে মাথায় রেখে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি তে  জমা জল কম করাটাই ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল উপায়। বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার  করে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় এড়ানো যেতে পারে।

    আমরা কী কী করতে পারিে? 

    ১. বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।

    ২.  ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং জল জমার পাত্র থেকে দ্রুত জল বের করতে হবে।

    ৩. ডেঙ্গু মশা (Dengue Mosquito) নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন বার স্প্রে বা ফগিং করতে হবে‌।

    ৪. পাড়ার আশপাশে কোথাও জল জমে থাকলে, সকলে মিলে পরিষ্কার করতে হবে‌।

    ৫. রাত্রি বা দিনে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

    ৬. বৃষ্টির জল দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে কোথাও জমতে দেওয়া যাবেনা । কারণ , এডিস মশা (Dengue Mosquito) এই জায়গাতেই ডিম পাড়ে।

    ৭. ডেঙ্গু মশার(Dengue Mosquito) প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

    ৮. এডিস মশা(Dengue Mosquito) যেহেতু দিনের বেলাতে কামড়ায় তাই , দিনের বেলায় সাবধানতা বেশী অবলম্বন করতে হবে।

    কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

    মশা তাহলে আমাদের জন্য শুধু বিরক্তির কারণই নয় বরং ক্ষুদ্র এই পতঙ্গ থেকে যেকোনো মানুষের জীবন নাশের ঝুঁকিও থাকছে। এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। তাই সাবধানতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মশা, মশাবাহিত রোগ, মশার দমনে এখন আর উদাসীন থাকলে চলবে না। যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডেঙ্গি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় খেয়ে হাসপাতাল যাওয়ার থেকে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাটা বেশি জরুরী। ডেঙ্গি প্রতিকারের চেয়ে মশার প্রতিরোধই হবে যুক্তিযুক্ত। মশা নিয়ন্ত্রণ সফল করতে পারলে নিশ্চিত ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা কমবে এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই এ বছর ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মশা দমনে আমাদেরকে বেশী মনোযোগী হতে হবে। আর এ জন্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নাই।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কিন্তু আমাদের ঘরের ভেতরেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে যেমন- আমাদের  ঘরের ভিতরে ফুলদানি, রান্নাঘরে বা বাথরুমে জমে থাকাজল, কলসি বা বালতিতে রেখে দেওয়া পানি প্রভৃতিতে। তাই ঘরের ভিতরের এসব স্থানগুলো আমাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে মশারা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। বাড়ির মহিলারা এ কাজে বেশি সচেতন হতে পারেন। ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়াতে মশা সর্ম্পকে আমাদেরকে কিছু সাধারণ জ্ঞান রাখতে হবে যেমন- কোন প্রজাতির মশা আমাদের জন্য ক্ষতিকর বা কোন মশা কখন কামড়ায়, মশাদের জীবনচক্র কেমন, কোথায় কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে ইত্যাদি। মশা সম্পর্কে ধারণা থাকলে মশা দমন কিছুটা সহজ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে ঘুম ভাঙার পরই হাতে এক গ্লাস প্রোটিন সেক (Protein Shake)! সঙ্গে বাড়ির ট্রেডমিলে (Trademill) আধ ঘণ্টা সময় কাটানো। কিংবা সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে নিয়ম করে জিমে (Gym) যাওয়া। জিম ইনস্ট্রাক্টরের পরামর্শ মতো চলছে স্টেরয়েড! পেশিবহুল শরীরে ক্রমশ মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো?

    ফিটনেস ফ্রিক…

    সিদ্ধার্থ শুল্কা, সিদ্ধান্ত সূরিয়াবংশীর মতো অভিনেতারা নিয়মিত জিম করতেন। প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে অভ্যস্ত ছিলেন। দেখে আপাদমস্তক ‘ফিট’। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠও পেরোয়নি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ (Fitness frick) এখন ট্রেন্ড। নিয়ম মতো জিমে যাওয়াতেই বিষয়টি আটকে নেই। অনেকেই প্রোটিন পাউডার খান। সঙ্গে চলে স্টেরয়েড। সব মিলিয়ে কতখানি স্বাস্থ্য সম্মত এই ‘ফিটনেস ফ্রিক’ জীবন?

    চিকিৎসকদের একাংশ কিন্তু জানাচ্ছেন, এতে বিপদ বাড়ছে। হৃদরোগ চিকিৎসক রবীন চক্রবর্তী বলেন, “নিজের শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কোনও বন্ধু জিমে ভর্তি হয়েছে বলেই নিজেকে হতে হবে, এই মানসিকতা থেকে বেরতে হবে। আমি কতখানি কসরত করতে সক্ষম। কতখানি ওজন তুলতে পারবে আমার শরীর, এইগুলো জানা দরকার।” তবে, সবচেয়ে বেশি জরুরি নিজেকে সময় দেওয়া। চিকিৎসক চক্রবর্তীর কথায়, “কোনও কিছু চটজলদি করতে গেলেই বিপদ। আজকে জিমে ভর্তি হয়ে, কালকেই দারুণ পেশিবহুল হয়ে উঠবো, এই ভাবনাই বিপদ ডাকছে। অতিরিক্ত শারীরিক কসরত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধীরে ধীরে ওজন তোলার ক্ষমতা বাড়ানো কিংবা ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বাড়ানোর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করতে শুরু করেন। ফলে, তখনই শরীর নিতে পারে না। শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি হয়।”

    আরও পড়ুন: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে লুকিয়ে বিপদ!

    অতিরিক্ত জিমের পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার আর স্টেরয়েড আরও বিপদ বাড়িয়ে তুলছে বলেই মনে করছেন মেডিসিনের চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতিকারক। বিশেষত সেই প্রোটিন যদি কৃত্রিম হয়, তাহলে তো আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। টাটকা ফল, সবজি, মাছ, মাংস থেকে শরীর যেভাবে তার প্রয়োজনীয় উপাদান নেয়, সেটা এই কৃত্রিম পাউডার পূরণ করতে পারে না। বরং এই কৃত্রিম পাউডার লিভার, কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই দ্রুত শক্তিশালী শরীর তৈরির জন্য নিয়মিত প্রোটিন পাউডারে অভ্যস্ত হলে নানান ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে।”

    তাছাড়া, অনেকেই নিয়মিত স্টেরয়েড নেন। জিমে অতিরিক্ত কসরতের ফলে পেশিতে টান ধরা কিংবা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই তাঁরা এমন পেন কিলার খান, যাতে স্টেরয়েড আছে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরণের স্টেরয়েডে নিয়মিত অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই কিন্তু আরও সমস্যা বাড়ছে।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যাকে দেখে সম্পূর্ণ সুস্থ ও শারীরিক ভাবে ভীষণ শক্তিশালী মনে হচ্ছে, সেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ এই ধরণের স্টেরয়েড দীর্ঘদিন ব্যবহার করা। এতে একদিকে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়। তেমনি চোখ, কিডনি, লিভারের সমস্যা ডেকে আনে।

    চক্ষু রোগ চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “চিকিৎসক একজন রোগীর অনেক দিক পরীক্ষা করে, তারপরে স্টেরয়েড দেন। কিন্তু অনেক সময়েই জিম ইনস্ট্রাক্টরের সেই সব দিক বিবেচনা করার মতো অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে বিপদ কিন্তু সুদুর প্রসারি। দিনের পর দিন স্টেরয়েডের ব্যবহার অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।”

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজের শরীর কতখানি পরিশ্রম করতে পারছে, সেটা বিবেচনা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারপরে শারীরিক কসরতের সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। তবে, শরীর সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস কিন্তু শরীরকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখে। শুধু শরীর নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও যোগ অত্যন্ত ভালো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কৃত্রিম উপাদানের বাইরে নিয়মিত রাস্তায় হাঁটা, মাঠে দৌড়নো আর যোগাভ্যাসও সুস্থ এবং ‘ফিট’ শরীর গড়তে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (World Diabetes Day)। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও ডায়েবেটিস থেকে আজও নিষ্কৃতি পায়নি মানবজাতি। একবার ডায়েবেটিস হলে তা থেকে মুক্তি নেই আজও। কিন্তু জীবনযাত্রায় বদল এনে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগ। ডায়াবেটিস মূলত ২ প্রকার। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত কারণে হয়। যাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডায়াবেটিস থাকে, তাঁদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ অনিয়মিত জীবন যাত্রা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কোনও রকম ডায়েট না মেনে চলা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা হল ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। আর তাই এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মেনে খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যাদের ডায়াবেটিস বর্ডার লাইনে, তাদের বলা হয় প্রি-ডায়াবেটিক। প্রি-ডায়াবেটিকরা মূলত খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করলে ডায়াবেটিক হওয়া আটকাতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    প্রি-ডায়াবেটিকদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ?

    ফলের রস: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে ফল ভালো হলেও ফলের রস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ফলের রসে ফাইবারের পরিমাণ কমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফ্রুকটোজ সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। 

    প্যাকেজড খাবার: কোনও প্যাকেজড বা প্রসেসড খাবার মূলত স্ন্যাকস বা মাংস জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যেগুলি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল নয়। 

    শর্করা প্রধান খাবার: হোয়াইট ব্রেড, হোয়াইট রাইস, পাস্তা, বেকারির যেকোনও খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে একেবারেই ভালো নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এইসব খাবারগুলো খেলে।    

    জাঙ্ক ফুড: যেকোনও ডিপ ফ্রায়েড খাবার এড়িয়ে চলুন।   

    ফ্রোজেন ডেজার্ট: ইয়োগার্ট বিশেষ করে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট একেবারেই খাবেন না। কারণ এর মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে।

    চর্বি জাতীয় খাবার: যেকোনও ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফুল ফ্যাট মিল্ক ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কারণ এই অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

    ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল: ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। 
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
LinkedIn
Share