Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid-19: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    Covid-19: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই এক স্বস্তির খবর পাওয়া গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। বুধবার হু (WHO) থেকে জানানো হয়েছে যে, কোভিড (Covid-19) এখনও পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে চলে না গেলেও করোনাভাইরাসের শেষ হওয়ার কিছু আশা দেখা যাচ্ছে। কারণ হু থেকে দাবি করা হয়েছে যে, গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাসে মৃতের সংখ্যা, ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সবচেয়ে কম রিপোর্ট করা হয়েছে, ফলে এটি গোটা বিশ্বের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। কারণ প্রায় তিনবছর ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষ লড়াই করে চলছে করোনা মহামারীর সঙ্গে।

    জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেছেন, ‘মহামরারী ইতি টানার ক্ষেত্রে এর থেকে আর কখনও ভালো জায়গায় ছিলাম না। আমরা এখনও শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কিন্তু শেষটা দেখা যাচ্ছে।’ হু-এর থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ।

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    হু থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা পরীক্ষা করার হার কমে গিয়েছে, করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সব জায়গায় সমান নয়। ফলে এখন থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়তে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলাতে হবে। কারণ শীতকাল চলে আসলেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে হুর প্রধান। টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘আমরা যদি এখন সেই সুযোগ না নিই, আমাদের সামনে আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও মৃত্যু, আরও বিপদ এবং আরও বেশি অনিশ্চয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’

    ফলে শীত আসার আগেই এক আগাম সতর্কতা হু-এর তরফে গোটা বিশ্ববাসীকে দেওয়া হল। আপাতত বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১০,০৯২,৪৮২। মৃত্যু হয়েছে ৬,৫১৯,০৩২ জনের। যদিও অনেক মহলের দাবি যে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মোট মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি, এবং আসল তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।

  • National Digital Health Card: তথ্য ডিজিটালাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু, কীভাবে পাবেন ডিজিটাল হেলথ কার্ড, জানুন

    National Digital Health Card: তথ্য ডিজিটালাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু, কীভাবে পাবেন ডিজিটাল হেলথ কার্ড, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবেই ভারত সরকার চালু করেছে ডিজিটাল হেলথ কার্ড। এবার হেলথ কার্ডের মাধ্যমে রোগীর সমস্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের অধীনে, ভারত সরকার ডিজিটাল হেলথ কার্ড ২০২২-এর উদ্যোগ চালু করেছে।

    এই স্বাস্থ্য কার্ড গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মানুষকে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ডিজিটালভাবে এক জায়গায় সংরক্ষণ রাখার সুবিধা দেয়। সম্প্রতি ভারত সরকার ডিজিটাল হেলথ কার্ড ২০২২ দিয়ে মেডিকেল রেকর্ড ডিজিটাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকার থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যে কোনও সময় তাদের ডিজিটাল হেলথ কার্ড থেকে সেই সমস্ত তথ্য ডিলিট করে দিতে পারবে। 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে জানান, এর মাধ্যমে সকল দেশবাসীর মেডিক্যাল রেকর্ডস এক জায়গায় রাখবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশবাসীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই চালু করা হয়েছে এই ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন। দেশের সকলেই পাবে এই ডিজিটাল হেলথ কার্ড।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    ডিজিটাল হেলথ কার্ড বানানোর জন্য কী কী দরকার?

    ডিজিটাল হেলথ কার্ডের জন্য রেজিস্টার করার জন্য, নাগরিকদের একটি আধার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ডের সাথে লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর, জন্মের সার্টিফিকেট এবং ঠিকানার প্রমাণ থাকতে হবে। এছাড়াও আধার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে অনলাইনে ডিজিটাল হেলথ কার্ড ২০২২ এর জন্য আবেদন করা যায় এবং তারপরে ডিজিটাল হেলথ কার্ড রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ২০২২ পূরণ করতে হবে। এরপর একটি ABHA ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।

    ডিজিটাল হেলথ কার্ডের জন্য কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন?

    • প্রথমেই হেলথ আইডি পোর্টালে (https://healthid.ndhm.gov.in/) যান।
    • ক্রিয়েট ডিজিটাল হেলথ কার্ডে ক্লিক করুন।
    • আধার কার্ড বা ড্রাইভারের লাইসেন্সে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী অপশনটি ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
    • আধার কার্ড নম্বর বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর লিখুন এবং পরবর্তী অপশনে যান৷ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, প্রাপ্ত ওটিপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সম্পূর্ণ বিবরণ পূরণ করুন। এতে প্রোফাইলটি সম্পূর্ণ হবে।
    • এরপর একটি অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন এবং এরপরেই ডিজিটাল হেলথ কার্ডের ABHA নম্বর তৈরি হবে।
    • ABHA নম্বর তৈরির বিষয়ে একটি নোটিফিকেশন আসবে এবং ওয়েবসাইট থেকে হেলথ আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
  • Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ও সুস্থভাবে বাঁচতে বিশ্বের প্রায় সব মানুষই চান। অনেকে তো আবার ১০০ বছর পর্যন্তও বেঁচে থাকতেন চান। কিন্তু কতজনই বা বাঁচেন। খুব বেশি হলে ৯০, এর বেশি বয়সেও মানুষ বেঁচে আছেন এমনটা খুব কমই দেখা যায়। তবে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে ২০২১ সালে সারা বিশ্ব থেকে ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়সী ৫০০,০০০ এরও বেশি লোক ছিল।

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশ করে যে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯৭,০০০ শতবর্ষী বাস করে,  সুতরাং এখানেই বেশি শতবর্ষী মানুষ বাস করে। এরপরে জাপানের স্থান। এখানে ৭৯০০০ শতবর্ষী বাস করেন। ১১৯ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন জাপানের এক বসবাসকারী। যার নাম ছিল কেন তানাকা। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিলে তানাকার মৃত্যুর পর, লুসিল র‌্যান্ডন নামে এক সন্ন্যাসী যিনি সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি ১১৮ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। ফলে তাঁর নাম যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    সুতরাং বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায়। তবে মেনে চলতে হবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

    1. দীর্ঘ জীবন যাপনের চাবিকাঠি হল সুস্থ জীবনযাপন করা। অবশ্যই, একটি ফিট, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ডায়েট এবং ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সিস্টার আন্দ্রে থেকে কিছু অনুপ্রেরণা নিতে বলা হয়েছে। কারণ তিনি প্রতিদিন এক গ্লাস রেড ওয়াইন ও চকোলেট খেতেন। তাই মনে করা হয়েছে, তাঁর দীর্ঘায়ুর পেছনে চকোলেট ওরেড ওয়াইনের অবদান থাকতে পারে।
    2. একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ব্যক্তিরা খুব হাঁটা-চলা করা যায় এমন এলাকায় বসবাস করেন তাদের বয়স ১০০-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং সামাজিক এবং পরিবেশগত কারণগুলিও দীর্ঘায়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।
    3. জীবনে সবসময় পজিটিভ বা ইতিবাচক থাকতে হয়, দীর্ঘ জীবনের পেছেনে এই পজিটিভিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    4. বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার জন্য চিনাবাদামের গুরুত্ব অনেক। কারণ একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চিনাবাদাম খেয়ে থাকেন, তাঁদের তাড়াতাড়ি মৃত্যুর সম্ভবনা কমে যায়।
    5. দীর্ঘায়ুর জন্য সবসময় ফিট থাকতে হবে। আর ফিট থাকার জন্য কোনও না কোনও অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকা উচিত। বিভিন্ন খেলা টেনিস, ফুটবল, সুইমিং, দৌড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাক্টিভ থাকা যায় ও বেশিদিন পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • Guava Leaf Tea: পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    Guava Leaf Tea: পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেয়ারা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন ও এই ফল ভিটামিনে ভরপুর। তাই এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী, এই কথা প্রায় সবাই জানে। পেয়ারা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস। এগুলিতে ক্যালোরি কম এবং প্রোটিন এবং ফাইবারেও সমৃদ্ধ। দস্তা, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজগুলিও অল্প পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

    কিন্তু জানেন কী পেয়ারার পাশাপাশি পেয়ারার পাতাও খুব উপকারী? পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চায়ের এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

    পেয়ারা পাতার চা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে গ্লুকোজের শোষণকে পরিমিত করে। পাতাগুলি বেশ কিছু এনজাইমকেও বাধা দেয় যা হজমের সময় কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে, যা টাইপ-2 ডায়াবেটিস মেলিটাসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী হবে।

    ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পান

    গবেষণা অনুসারে এটি দেখা গেছে যে পেয়ারা পাতার চা খাওয়ার পরে ডায়রিয়া দ্রুত নিরাময় হয়। কারণ ডায়রিয়ার স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এটি পেটের ব্যথা কম করতে সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগছেন? ফিজিওথেরাপি নিন, সুস্থ থাকুন

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    পেয়ারা পাতার রস বিভিন্ন এনজাইমকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে যা কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে, যার ফলে ওজন কমতে সুবিধে হয়। এছাড়াও  এতে ক্যালোরি কম।

    অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য

    পেয়ারার পাতার রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পাতায় বেশ কিছু উপাদান – ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিন এবং অ্যাসিড রয়েছে। ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলির চিকিৎসা করতে সহায়তা করে।

    কোলেস্টেরল কমায়

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতার চা LDL (লো-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা “খারাপ কোলেস্টেরল” নামেও পরিচিত। আবার ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    ভিটামিন সি-এর একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে পেয়ারা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বা একটি ইমিউনো সিস্টেম বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    ঋতুস্রাবের ক্র্যাম্প কম করে

    একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মহিলারা পিরিয়ডের সময় পেয়ারা পাতার চা খেলে যন্ত্রণাদায়ক ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পায়।

    পেয়ারা পাতা দিয়ে কীভাবে চা বানাবেন?

    চারটি বড় পেয়ারা পাতা ধুয়ে নিন, একটি প্যানে এক কাপ জল গরম করে তাতে পেয়ারা পাতা দিন। পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। পাতাগুলো ছেঁকে জলে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। এরপর স্বাদ অনুযায়ী কিছু মধু যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: সচেতন ও সর্তক ভাবেই হোক যৌন সম্পর্ক। বাঙালি মহিলারা (Bengali Women) কিন্তু নিরাপদ যৌন সংসর্গে (Protective Sex) যেতেই অধিক আগ্রহী। বাঙালি পুরুষের (Bengali Men) তুলনায় মহিলারাই যৌন নিরাপত্তা (Safe Sex) নিয়ে অধিক সচেতন। অন্তত দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট সে রকম ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ ( NFHS 5 Report) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি (HIV) নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষেরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনায় এগিয়ে মহিলারা। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। তাছাড়া কন্ডোমের ব্যবহার এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে, এগুলো সম্পর্কে এ রাজ্যের মহিলারাই অধিক সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারি’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিঃশব্দে দেশে শক্তিশালী হচ্ছে এই ‘মহামারি’। রাজ্যেও তার প্রকোপও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    তবে, এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা করলে অনেক সময়েই গর্ভস্থ শিশু এইচআইভি রোগ থেকে বাঁচানো যায়। ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-র চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এইচআইভি চিকিৎসা চালানোর পাশপাশি এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ও চালানো হচ্ছে। এক চিকিৎসকের কথায়, “মায়েরা সচেতন হচ্ছেন। নিজেরাই সময় মতো এসে চিকিৎসা করান। পরবর্তী প্রজন্মকে এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে চান। এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক দিক।”

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তার কথায়, স্কুল স্তর থেকেই এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে দেখাচ্ছে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের মেয়েরা যৌন নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হচ্ছে। নিরাপদ যৌন সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। তবে শুধু মেয়েরা সতর্ক হলেই চলবে না। ছেলেদেরও এই নিয়ে সচেতন হতে হবে, তবেই এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা যাবে। তবে, এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল পরিযায়ী শ্রমিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ভারতে এ রাজ্যের একটি বড় অংশের পুরুষেরা কাজ করতে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সেখানে নানান সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময় কিন্তু বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে মহিলাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মহিলারা যদি নিরাপদ যৌন সম্পর্কে অধিক আগ্রহী হন, তাহলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। যার ফলে, এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ও কমবে। সেটাও যথেষ্ট ইতিবাচক দিক। 

  • Hair Fall: কোভিড মুক্ত হতেই বেশি পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে চুল! কারণ জানেন?

    Hair Fall: কোভিড মুক্ত হতেই বেশি পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে চুল! কারণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত চুল উঠে যাওয়ার (Hair Fall) সমস্যায় ভুগছেন আট থেকে আশি। তবে কোভিড আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ কোভিড থেকে সেরে যাওয়ার পর অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম।

    কোভিডের পর এই চুল পড়ার সমস্যাটি টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামে পরিচিত। আমাদের মাথার ত্বকের প্রায় ৯০% চুল বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকে, যাকে বলা অ্যানাজেন, এবং প্রায় ১০% চুল স্থায়ী পর্যায়ে থাকে, যাকে টেলোজেন বলা হয়। আমাদের স্ক্যাল্পে, অ্যানাজেন প্রায় তিন বছর স্থায়ী হয় এবং তারপরে চুল টেলোজেনে রূপান্তরিত হতে শুরু করে, যা দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়। টেলোজেনের শেষে, আমাদের চুলগুলি তাদের ফলিকল থেকে ঝরে যায় এবং নতুন অ্যানাজেন চুল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। তারপরে, এই বৃদ্ধি চক্র চলতে থাকে। কিন্তু কোভিডের ফলেই এই চক্রে ব্যাঘাত ঘটে ও চুল পড়ার সমস্যা বেসি দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: চুল ঝরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো…

    তবে এই চুল পড়া রোধে কোন তেল ও শ্যাম্পু উপকারী, জানেন?

    নারকেল তেল চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় তেল প্রয়োগ করলে চুলের বৃদ্ধি বাড়তে পারে। যেমন, কুমড়ার বীজের তেল, জোজোবা তেল, ল্যাভেন্ডার তেল, পেপারমিন্ট তেল, টি ট্রি ওয়েল চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ক্যাফিন-ভিত্তিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা স্ক্যাল্প ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায়।

    কেমন ধরণের খাবার চুল পড়া রোধ করতে পারে?

    খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু ভিটামিন এবং খনিজ যা সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে: সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি, ডি, এ, সি, ই, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি।

    এছাড়াও কোভিড ছাড়াও চুল পড়ার অন্য কারণও হতে পারে। তাই রক্ত পরীক্ষা, পুল টেস্ট, স্ক্যাল্প বায়োপসি, লাইট মাইক্রোস্কোপি ইত্যাদি পরীক্ষাাগুলো করিয়ে চুল পড়ার আসল কারণ জানা যেতে পারে।

  • Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি বা পেটের গণ্ডগোল চাই চটজলদি নিরাময়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাচ্চার স্কুলে পরীক্ষা তাই তার শরীর খারপ হলে বেশিদিন স্কুলে ছুটি হয়ে যাবে। নিজের শরীর খারাপ হলে অফিসে ছুটি নিতে হবে। তাই দ্রুত নিরাময়ের হাতিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক। ছোটখাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় নেই। নিজের জানা একটি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই চট করে রোগ সেরে যাবে। এই ধারণা নিয়ে চলেন বশিরভাগ ভারতীয়ই। 

    আরও পড়ুন: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল?

    সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি সমীক্ষার ফল বলছে, নিজেদের ইচ্ছেমতো সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন ভারতীয়রাই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিডের আগে এবং কোভিড চলাকালীন ভারতীদের মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত নয়। গবেষকরা ভারতের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজনে নিয়মকানুনের সংস্কারমূলক আইন আনা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ কাম্য নয়। উপযুক্ত  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ল্যানসেটের সমীক্ষা মতে, ভারতীয়দর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার চল সবচেয়ে বেশি। আর তার পরেই সেফিক্সাইম ২০০ নামক ওষুধটির উপর নির্ভর করে ভারতীয়রা। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলে শরীরে তৈরি হয়, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। আগামী দিনে তা বিপদ ডেকে আনে। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আর ওই অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার বয়স যতই হোক না কেন, আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন কিনা, সেই দিকে নজর রাখা বিশেষ জরুরী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন কোষ, পেশী তৈরি করতে, আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শক্তি জোগাতে, বিপাকক্রিয়া সঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে বয়স ৫০-এর বেশী হলে কী কী প্রোটিন জাতীয় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, তা নিয়ে পুষ্টিবিদরা কিছু খাবারের উল্লেখ করেছেন সেগুলো হল-

    দুগ্ধজাত খাবার

    যাদের দুগ্ধজাত খাবারে কোনও অ্যালার্জি নেই, তাদের জন্য এই ধরণের খাবার খুবই উপকারী। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, এছাড়াও এতে ক্যালশিয়াম রয়েছে। ফলে শরীরে উপকারী প্রোটিন সরবরাহ করে পেশি তৈরিতে সাহায্য করার পাশাপাশি হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে।

    কুইনোয়া

    এটি একটি গোটা শস্য, যা তৈরি করতে খুব সহজ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কুইনোয়াতে উপস্থিত প্রোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে, বার্ধক্যজনিত রোগ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে।

    আরও পড়ুন: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    ডিম

    পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ডিমে ৬-৭ গ্রাম প্রোটিনের সঙ্গে, আয়রন, ভিটামিন বি-12 এবং ডি আছে। ফলে ডিম মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    মটরশুটি ও লেগুম

    এই খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি ২০ টি অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। এই জাতীয় খাবারগুলো ফাইবারেও সমৃদ্ধ। ফলে এই খাবারগুলো অনেক পেট ভরা থাকে, ফলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে না, ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে, কোলেস্টেরল কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো উপকারী. বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল জাঙ্ক ফুড খাওয়াার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, জাঙ্ক ফুড খেতে সুস্বাদু হলেও এর উপকারিতা কম, ক্ষতিই বেশি। এর একটি কারণ হল আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা, যার কারণে আমাদের সময় কম, আমরা এমন খাবারের দিকে চলে যাই যা পাওয়া সহজ, তৈরি করাও সহজ। তাই এই ধরনের খাবারকে ফাস্ট ফুডও বলা হয়। তবে জানেন কী জাঙ্ক ফুড খাওয়া আমাদের শরীরের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

    জাঙ্ক ফুড খুব তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এটি খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, তাই এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়াই ঠিক। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ইত্যাদির মত রোগ দেখা যায়, তেমনি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    গবেষকরা জানিয়েছেন, মনের অবস্থা অবশ্যই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে। আমরা কী খাচ্ছি তা আমাদের ডিপ্রেশনের মাত্রাকে বাড়িতে বা কমিয়ে আনে। কারও ক্ষেত্রে নতুন করে স্ট্রেস দেয়। আমাদের খাবারের অভ্যাসের ফলে শরীর মোটা-রোগা হয়। শরীরে পুষ্টির কমতি দেখা যায়। এইসব কিছুই বিষণ্ণতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

    কিছু আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যারাই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি পরিমাণে খায়, তাদেরই মানসিক অবস্থা ঠিক থাকে না। তাদের স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বেড়ে যায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের অতি-প্রক্রিয়াজাতকরণ তার পুষ্টির মানকে কমিয়ে দেয় এবং ক্যালোরির সংখ্যাও বাড়ায়, কারণ অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যেখানে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল কম থাকে। ফলে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায় ও এর পাশাপাশি উদ্বেগ, ডিপ্রেশনের শিকার হয় মানুষ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

  • Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (CoronaVirus) আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে কোনো সময় এর সংখ্যা বাড়তে পারে। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, তবে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলার ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হল এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট।

    কিন্তু, এরই মধ্যে গবেষকরা এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন যা করোনার প্রতিটি ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এর নাম SP1-77 (sp1-77 অ্যান্টিবডি)। SP1-77 নামক এই অ্যান্টিবডিটি বোস্টন চিলড্রেন’স হাসপাতাল এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা (Researchers at Boston Children’s Hospital and Duke University) আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কারের গবেষণাটি সায়েন্স ইমিউনোলজি জার্নালে (journal Science Immunology) প্রকাশিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    কী এই SP1-77 অ্যান্টিবডি?

    SP1-77 অ্যান্টিবডি গবেষকদের দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টিবডি যা এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2-এর সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এটি মূলত এইচআইভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার জন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল। পরে এই অ্যান্টবডি একটি মাউস মডেলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা তৈরি করেছেন।

    এখন এটি মিউটেশন করা হয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত ইঁদুরের মানুষের মতো একই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল এবং তারপরে তাদের উপর অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছিল। গবেষকরা ইঁদুরের মধ্যে দুটি মানব জিন প্রবেশ করান, যা তারপরে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যেটি মানুষও তৈরি করতে পারে। ইঁদুরগুলি তখন SARS-CoV-2 এর স্পাইক প্রোটিনের সংস্পর্শে আসে এবং গবেষকরা দেখতে পান যে এটি নয়টি ভিন্ন পরিবারের অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে যা করোনার অনেক স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে।  তারপরে এটি করোনার বিভিন্ন স্পাইক প্রোটিনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে এটি SP1-77- COVID-19-এর ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সমস্ত ভেরিয়েন্টেও কাজ করে।

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যেই ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share