Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১২ অক্টোবর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day)। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আরথ্রাইটিস ডে’ পালন করে আসছে আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল। বহু প্রাচীনকাল থেকে এই রোগটির অস্তিত্ব থাকলেও ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই এটি নথিভুক্ত হওয়া শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের দিকে রোগটিকে‘আর্থ্রাইটিস’ নামকরণ করা হয়।  

    আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন, আটল্যান্টার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।   

    আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যাথাকেই বোঝানো হয়। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। সবচেয়ে বেশি হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।  

    কাদের হয় এই রোগ?  

    • যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 
    • ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়। 
    • অস্থিসন্ধিতে যেকোনও ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।   
    • যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
    • কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

    রোগ নির্ণয়

    রোগের ইতিহাস ও রোগের ধরন দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। যেমন এক্স-রে, জয়েন্ট অ্যাসপিরেশন ইত্যাদি। 

    রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কী? 

    এটি অটোইমিউন অসুখ। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্থিসন্ধির বহিরাবরণীতে প্রদাহ হয়। এ কারণে অস্থিসন্ধি ও এর আশপাশে ব্যথা হয়, জড়তা তৈরি হয়, ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। এতে অস্থিসন্ধির আকারের বিকৃতিও ঘটে। সময়ের সঙ্গে এটি তীব্র হতে থাকে। মাঝেমধ্যে ব্যথা ও ফোলা আপনিতেই কমে যায়, আবার বাড়ে।

    লক্ষণ 

    • ঘুম থেকে ওঠার পর অস্থিসন্ধিসহ শরীরের কিছু অংশে ব্যথা ও জড়তা থাকে।
    • হাতের আঙুল, কনুই, কাঁধ, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় বেশি সমস্যা হয়।
    • সাধারণত শরীরের উভয় পাশ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। যেমন- হাতে হলে দুই হাতের জয়েন্টই একসঙ্গে ব্যথা করে, ফুলে যায় ইত্যাদি।
    • শরীর দুর্বল লাগে, জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। ম্যাজম্যাজ করে।
    • কারও ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে এক ধরনের গুটি দেখা যায়, যা ধরলে ব্যথা পাওয়া যায় না।

    প্রতিরোধের উপায় 

    • শারীরিক তৎপরতা বাড়ানো। যেমন- বহুতল ভবনে ওঠার সময় মাঝেমধ্যেই লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করা এবং যানবাহনে ওঠার আগে অন্তত ৫০০ মিটার পথ পায়ে হেঁটে যাওয়া।
    • মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
    • মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন করা।
    • শরীরের জয়েন্টগুলোকে নতুনভাবে জখম হতে না দেওয়া এবং ইতিমধ্যেই জখমে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
    • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। 
    • যে কোনও ছোটখাটো জখমের চিকিৎসা করানো। 
    • ধূমপান বা মদ্যপান না করা। কারণ মদ হাড়ের স্বাস্থ্য ও কাঠামো দূর্বল করে দেয়।
    • নিয়মিত দুধ পান করুন। তবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য উপাদান হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম ও ব্রোকোলি জাতীয় খাবার বেশি খান।
    • মেনোপোজ পরবর্তী নারীদের জন্য হরমোন প্রতিস্থাপন, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    • সঠিক সাইজের ও নরম জুতা পরতে হবে।
    • প্রদাহসৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রায়ই দেখা যায় যে, লবন, চিনি, মিষ্টি, মদ, ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস, সাধারণ রান্নার তেল, ট্রান্স ফ্যাট ও লাল মাংস ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অসংখ্য রোগের জন্ম দেয়।
    • ঠান্ডায় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও সমস্যা বেড়ে যায়, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। উষ্ণ গরম জলের সেঁক ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী। উষ্ণ গরম জলে স্নানও করতে পারেন। 
  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়েটিশিয়ানরা সবসময় শরীর ডিটক্স করার কথা বলে থাকেন। তবে কী এই ডিটক্স? অনেকেরই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। টক্সিন ( Body Toxin) ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রতিদিনই পরিবেশ, খাবার থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে পৌঁছয়, আর এগুলোই টক্সিন। সুস্থ থাকার জন্য এইসব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা খুবই প্রয়োজন। অর্থাৎ, শরীরকে ডিটক্স (Detox) করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে ঘটতে পারে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ। আর এর ফলে শারীরিক অসুস্থতা বড় আকারে দেখা দিতে পারে। তাই সহজ উপায়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করার উপায় জেনে নিন।

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

    জল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। জলই শরীরের ভেতরটা ধুয়ে পরিস্কার করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কিডনির জন্য পরিমিত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে অর্থাৎ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খান জল।

    পুষ্টিকর খাবার খান

    আপনি যাই খান না কেন, তার প্রভাব শরীর, বিশেষ করে লিভারের ওপর পড়ে। তাই ডায়েটে সবসময় পুষ্টিকর খাবারই রাখা উচিত, নয়তো অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। আর এর ফলে শরীরে রোগ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত খাদ্য

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

    অতিরিক্ত চর্বি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ওজন বৃদ্ধির ফলেও শরীরে নানারকমের ব্যাধি দেখা যায়। ফলে অপুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও এর ফলে শরীরে টক্সিনও প্রবেশ করার সম্ভাবনা কম।

    পর্যাপ্ত ঘুম

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আর ঘুম শরীরকে সু্স্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের সঙ্গে পরোক্ষভাবে লিভারের স্বাস্থ্যও জুড়ে রয়েছে। তাই লিভার ভালো থাকলে বোঝা যাবে যে, শরীরও টক্সিন মুক্ত।

    পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা

    নিয়মিত ব্যায়াম করাও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। আর এর ফলেও দেহকে টক্সিন মুক্ত রাখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Pumpkin Seed: কুমড়োর বীজে লুকিয়ে ক্যান্সারের ওষুধ? জেনে নিন খাবেন কীভাবে

    Pumpkin Seed: কুমড়োর বীজে লুকিয়ে ক্যান্সারের ওষুধ? জেনে নিন খাবেন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার থেকে শুরু করে হৃদরোগের মতো মারণ রোগের মোকাবিলা করতে কুমড়োর বীজের তুলনা নেই। আকৃতিতে ছোট হলেও কুমড়োর বীজে রয়েছে অফুরন্ত পুষ্টি। বর্তমানে কুমড়োর বীজ একটি জনপ্রিয় জলখাবার বিদেশে। জলখাবারে লুচি, পরোটার বদলে কুমড়োর বীজ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। ১০০ গ্রাম কুমড়োর বীজে প্রায় ৫৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। পুষ্টির পাওয়ার হাউস মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। বীজে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

    কুমড়োর বীজের উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক-

    হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে: কুমড়োর বীজে রয়েছে শরীরের প্রয়োজনীয় চর্বি এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। বীজে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শরীর থেকে নির্গত করে সুস্থতা বাড়ায়। বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে!  

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে: শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভের চাপ কমায়। এছাড়া খাদ্য হজমে সহায়তা করে এমন প্রোটিনও রয়েছে কুমড়োর বীজে। ফলে রক্তে শর্করা নিয়ত্রণে থাকে।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে: ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়োর বীজ। আঁশ জাতীয় খাদ্য হওয়ায় হজম হতেও সময় লাগে। তাই সহজে খিদে না পাওয়ায় ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কম।

    ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে: কুমড়োর বীজে রয়েছে সেরোটেনিন। এই পদার্থকে প্রাকৃতিক ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। যা মানুষকে ঘুমোতে সাহায্য করে।

    কীভাবে খাবেন এই কুমড়োর বীজ? 

    সাধারণ জলখাবার হিসেবে: কুমড়োর বীজগুলিকে ছোট বয়ামে ভরে রেখে জলখাবারের সময় শুকনো এই বীজগুলো চিবিয়ে জল খেয়ে নিতে পারেন। লবণ মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা লবণ বা কোনও কিছু না মিশিয়েই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

    টপিং হিসেবে: মিষ্টি এই কুমড়োর বীজকে কাপ কেক বা পুডিংয়ের ওপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এই বীজ ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসবে কেকে।

    তেলে ভেজে:  জলপাই তেলে মুচমুচ করে ভেজে খালি মুখে খেতে পারেন।

    কুমড়ো বীজের চাট তৈরি করা যেতে পারে: পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা এবং লেবুর রস দিয়ে স্বাদ মতো লবণ দিয়ে দুর্দান্ত কুমড়ো বীজের চাট তৈরি করতে পারেন।

    সকালে খাবার সময় ব্রেকফাস্ট স্মুদি হিসেবে: কলা, আঙুর বা আমের সময় আম দিয়ে তার সঙ্গে এক মুঠো ভেজানো কুমড়োর বীজ মিশিয়ে ব্রেকফাস্ট স্মুদি খাওয়া যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেড মিলে দৌড়নোর সময়ে আচমকা জ্ঞান হারান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাক্তন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখেন, তিনি স্থুল নন। তারপরেও তার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও স্টেন বসিয়ে আপাতত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বাঙালির আইকন।

    তবে, সৌরভের মতো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বিগ বস ১৩ বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লার বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ বছর। নিয়মিত জিমে যেতেন। স্বাস্থ্য চর্চা করতেন। কিন্তু বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বছর পঞ্চাশের অভিনেতা।

    ভারতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ ও পান না।

    আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে (World Heart Day)। হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে তাই আজ বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরা।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্যস্ত জীবন যাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুডে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়াই বিপদ বাড়াচ্ছে। তার উপরে বাড়ছে হাইপারটেনশন, অবসাদের মতো মানসিক রোগ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই তিরিশের কোঠায় পৌঁছলেই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হৃদরোগের বংশানুক্রমিক ইতিহাস থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তাই যাদের পরিবারে আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    খাদ্যাভাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততার জেরে অনেকেই নির্দিষ্ট সময় খাবার খান না। দীর্ঘদিন খাওয়ার অনিয়ম হৃদরোগ ডেকে আনে। সকালের জলখাবার কখনওই বাদ দেওয়া যাবে না। তাদের পরামর্শ, সকালে ভারি জলখাবার জরুরি। দুপুরে হালকা খাবার। সন্ধ্যায় একটু ভারি খাবার। রাতের মেনু অবশ্যই হালকা হতে হবে। অনেক রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলে হজমে অসুবিধা হয়। দিনের পর দিন অসময়ে খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

    সময় মতো খাবার খাওয়ার পাশপাশি কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই তালিকায় রাখা উচিত নয়। তাছাড়া চর্বি জাতীয় খাবার ও কম খাওয়া দরকার। তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর স্থুলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশপাশি, বিরিয়ানি, চপ-কাটলেট, বার্গার, পিৎজার মতো খাবারগুলোকে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের তালিকা থেকে বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোর পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো ওবেসিটি ডেকে আনে।

    তবে, খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। তবে, শারীরিক কসরত বলতে শুধুই জিমে যাওয়া বোঝাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো অভ্যাস। শরীর ওজন বাড়তে দেয় না। হজমে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ফি-দিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, মানসিক চাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতে অবসাদ ও হাইপারটেনশন মহামারির আকার ধারণ করছে। অধিকাংশ মানুষ মানসিক চাপের শিকার। তাই নিয়মিত সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি।

    চিকিৎসকেরা পরামর্শ, সতর্ক থাকার পাশপাশি দরকার নিয়মিত চেক আপ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। যদি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নিয়ম মাফিক ওষুধ ও খেতে হবে। তবেই হৃদরোগের বড় বিপদ এড়ানো যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পর বছর পঁয়তাল্লিশের রোগীকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁকে বাঁচাতে স্টেন্টিং করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই রোগী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকেও কম। কিন্তু আসল সত্যটা হল কোলেস্টেরলের মাত্রা সব সময় হার্টের বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরে না। কারণ রক্তে প্রবাহিত কোলেস্টেরল যে কোনও সময়ই জমাট বেঁধে যেতে পারে ধমনীতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রার হার কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপদ, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মূলত যে ভুলটি করে, তা হল কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা দিয়ে হার্টের ভালো বা মন্দ বিচার করে। কিন্তু হার্টের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে রোগীকে অন্যান্য লক্ষণগুলির ওপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয়দের শরীরে এইচডিএল যেহেতু কম, সেহেতু ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও (LDL) এদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা কখনওই ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার  অতিক্রম করা উচিত নয়। এজন্য আমাদের শুধুমাত্র ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। 

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন!

    আন্তর্জাতিক (International) মাপকাঠি অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক রোগীর আছেন যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক, অথচ তাঁদেরও হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জিনগত কারণও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। যদি রোগী মনে করেন যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাববেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু অত্যধিক ধূমপান (Smoking) ও মদ্যপান করেন, তাঁদের প্রতি ছ মাস পর পর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। যাঁরা স্থুলকায়, তাঁদের দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ তাঁদেরও হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পালং শাক থেকে শুরু করে মাশরুম, ডিম থেকে শুরু করে দুধের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) জানিয়েছেন, কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে সংমিশ্রণ করলে ভালো পুষ্টি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন:ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    কলা ও দই: কলা ও দইয়ের (Curd) সংমিশ্রণ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। কলা এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে পেশীর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কলাতে (Banana) উপস্থিত ইনুলিন ও দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।


    মাশরুম ও তিলের বীজ: ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাশরুম (Mushroom) ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম ও তিলের বীজ (Til seed) একসঙ্গে খেলে হাড় শক্ত হয়। ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের জারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    পালংশাক ও জলপাই তেল: অলিভ অয়েল (Olive Oil) দিয়ে পালং শাক (Spinach) রান্না করলে অলিভ অয়েলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও পালং শাকের মতো ভিটামিন-এ (Vitamin A) সমৃদ্ধ রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

    শাকসবজি ও লেবুর রস: শাকসবজির সবজির (Leafy vegetables) সঙ্গে লেবুর রস (Lemon Juice) মিশিয়ে খেলে লেবুতে (Lemon) উপস্থিত ভিটামিন-সি ও শাকসবজিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


    কাঠবাদাম এবং কমলালেবু: কাঠবাদাম (Chestnut) ও কমলালেবু (Orange) এক সঙ্গে দৈনন্দিন খেলে ভিটামিন-সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন-ই (Vitamin E) সমৃদ্ধ খাদ্য সংমিশ্রণটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে ও ক্ষত নিরাময় তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পর বছর পঁয়তাল্লিশের রোগীকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁকে বাঁচাতে স্টেন্টিং করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই রোগী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকেও কম। কিন্তু আসল সত্যটা হল কোলেস্টেরলের মাত্রা সব সময় হার্টের বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরে না। কারণ রক্তে প্রবাহিত কোলেস্টেরল যে কোনও সময়ই জমাট বেঁধে যেতে পারে ধমনীতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রার হার কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপদ, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মূলত যে ভুলটি করে, তা হল কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা দিয়ে হার্টের ভালো বা মন্দ বিচার করে। কিন্তু হার্টের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে রোগীকে অন্যান্য লক্ষণগুলির ওপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয়দের শরীরে এইচডিএল যেহেতু কম, সেহেতু ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও (LDL) এদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা কখনওই ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার  অতিক্রম করা উচিত নয়। এজন্য আমাদের শুধুমাত্র ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। 

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন!

    আন্তর্জাতিক (International) মাপকাঠি অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক রোগীর আছেন যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক, অথচ তাঁদেরও হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জিনগত কারণও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। যদি রোগী মনে করেন যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাববেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু অত্যধিক ধূমপান (Smoking) ও মদ্যপান করেন, তাঁদের প্রতি ছ মাস পর পর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। যাঁরা স্থুলকায়, তাঁদের দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ তাঁদেরও হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পালং শাক থেকে শুরু করে মাশরুম, ডিম থেকে শুরু করে দুধের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) জানিয়েছেন, কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে সংমিশ্রণ করলে ভালো পুষ্টি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন:ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    কলা ও দই: কলা ও দইয়ের (Curd) সংমিশ্রণ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। কলা এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে পেশীর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কলাতে (Banana) উপস্থিত ইনুলিন ও দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।


    মাশরুম ও তিলের বীজ: ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাশরুম (Mushroom) ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম ও তিলের বীজ (Til seed) একসঙ্গে খেলে হাড় শক্ত হয়। ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের জারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    পালংশাক ও জলপাই তেল: অলিভ অয়েল (Olive Oil) দিয়ে পালং শাক (Spinach) রান্না করলে অলিভ অয়েলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও পালং শাকের মতো ভিটামিন-এ (Vitamin A) সমৃদ্ধ রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

    শাকসবজি ও লেবুর রস: শাকসবজির সবজির (Leafy vegetables) সঙ্গে লেবুর রস (Lemon Juice) মিশিয়ে খেলে লেবুতে (Lemon) উপস্থিত ভিটামিন-সি ও শাকসবজিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


    কাঠবাদাম এবং কমলালেবু: কাঠবাদাম (Chestnut) ও কমলালেবু (Orange) এক সঙ্গে দৈনন্দিন খেলে ভিটামিন-সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন-ই (Vitamin E) সমৃদ্ধ খাদ্য সংমিশ্রণটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে ও ক্ষত নিরাময় তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Lung Day 2022: আজ বিশ্ব ফুসফুস দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    World Lung Day 2022: আজ বিশ্ব ফুসফুস দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিশ্ব ফুসফুস দিবস (World Lung day 2022)। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস-সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি দিনটিকে ফুসফুস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফুসফুস আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেওয়া, এবং বাইরে থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরে সরবরাহ করা। ফলে আপনার বেঁচে থাকার জন্য ফুসফুসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

    আপনার ফুসফুসের অবস্থা এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলি জেনেটিক্স, অসুস্থতা এবং পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ফলে ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা, ফুসফুসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করেতই এই দিনটি পালন করা হয়। ফুসফুস রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্র্যতা, সামাজিক সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    ক্যান্সার ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ কারণ হয়ে উঠেছিল। আর অন্যান্য ক্যান্সারের মতো ফুসফুসের ক্যান্সারও দেখা দেয়। ফুসফুসের ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণ হল ধূমপান। সিগারেটের ধোঁয়া বা এর কিছু উপাদানের সংস্পর্শে অনেকের ফুসফুসে পরিবর্তন ঘটায় যা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। এই পরিবর্তনগুলি ফুসফুসে একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে এও দেখা গিয়েছে যে, ধূমপান না করলেও অনেকের ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে। সারা বিশ্বের গবেষণা অনুসারে, ২৫ শতাংশ মানুষ যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হয়। ফুসফুসের ক্যান্সার ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের বেশি প্রাভাবিত করে।

    তবে ফুসফুসের ক্যান্সার হলে আপনারা আগেই জানতে পারবেন না। তাই ফুসফুস ক্যান্সারের কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও ফুসফুসের স্ক্রীনিং করান। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছ কিনা বা এটি নিরাময়যোগ্য কিনা। অনেক সময় এই ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা হলে কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফুসফুসের ক্যান্সারের উপসর্গ হল দীঘস্থায়ী কাশি, এছাড়া শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা নিউমোনিয়া, গলা বসে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, হঠাৎ ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, নাক বা মুখ ফুলে যাওয়া, আঙ্গুলের আকার পরিবর্তন বা কাঁধে ব্যথা ইত্যাদি। ফলে এই উপসর্গ ও কাশি চার সপ্তাহের বেশি থাকলে অবহেলা না করে শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যান।

LinkedIn
Share