Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাইবার (Fibre) হল এমন একটি কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) যা সাধারণত উদ্ভিদজাত খাবার থেকে পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার (Sugar) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকায় এই সব রোগীদের যব (Oat), আপেল ও ফুলকপির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ডায়াবেটিক রোগীদের শুধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও ফাইবার যুক্ত খাবারের ভূমিকা অপরিসীম।

    যব ও বার্লি: যব ও বার্লি (Barley) এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রেচন ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নির্গত হয়ে শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ১/৪ কাপ বার্লিতে ৭ গ্রাম ফাইবার, ৩৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৭০ ক্যালোরি থাকে। ১/২ কাপ যবে থাকে ৪ গ্রাম ফাইবার, ১৫০ ক্যালোরি ও ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমী শৌচাগারের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর ভারতীয় স্টাইল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মটর: মটরের (Peas) মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে। সাদা মটর কোলেস্টেরল হ্রাসের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। মটর ও পুদিনা এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

    বেরি: বেরি ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। ব্ল্যাকবেরিতে (Blackberry) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি-৬ থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই বেরি। শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও বিশেষ সহায়তা করে এই ফল।

    আরও পড়ুন: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    মসুর ডাল: যাঁদের রক্তে শর্করা রয়েছে, তাঁদের জন্য মসুর ডাল বিশেষ উপকারি। মসুর ডালে (Lentil) রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ ফাইবার। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই ডাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মসুর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশের জন্য সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই হেলদি ডায়েট ভীষণ প্রয়োজন। ছাত্র জীবনে জ্ঞান অর্জনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। সুস্থ থাকতে এবং পড়াশোনার দিক ঠিক রাখতে বাজার চলতি ফাস্ট ফুড (Fast Food) এড়িয়ে চলাই ভাল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশ হয়। বজায় থাকে মানসিক স্থিতিও। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন—

    সব রকমের বাদাম: সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার কথা প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন। কাঁচা বাদাম মাংসপেশি মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদামে প্রোটিন, ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন-ই সহ আরও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। আখরোটেও (Walnut) রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। আখরোটে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাট মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

    ডিম: সিদ্ধ ডিম (Boil Egg) সবচেয়ে উপকারি। সিদ্ধ ডিম খাবার হজমে, হাড় সুদৃঢ় করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকায় চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ফ্যাট। সিদ্ধ ডিম শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশে বিশেষ কার্যকরী।

    তৈলাক্ত  মাছ:  চর্বি যুক্ত মাছে (Fatty Fish) প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ওমেগা-থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আর্থারাইটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

    আরও পড়ুন:ত্বকে ট্যান পড়েছে? রইল কিছু ঘরোয়া উপায়

    বিট ও বেরি: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আয়রন। বিট ও বেরিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিট ও বেরিতে (Berry) রয়েছে নাইট্রেট নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। নাইট্রিক আসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

    শাকসবজি: দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি যুক্ত করা উচিত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন খাবারের পাতে শাকসবজি অবশ্যই রাখতে হবে। পালং শাক রক্তে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। লাল শাক খেলে বজায় থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। ডাটা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (Vitamin C) ও ফলিক অ্যাসিড। এগুলি ত্বক ও চুলের (Skin & Hair) ক্ষয় রোধ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
  • Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু সুজি (Sooji)। ভারতের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরেই দেখা মেলে এই খাবারের। সুজি ওজন এবং ডায়াবেটিস (Diabates) নিয়ন্ত্রণে রাখে।  পাচনতন্ত্র ও হার্টের জন্যও সুজি উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত সুজি। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুজিতে ক্যলোরি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। ৬০ গ্রাম সুজিতে ১৯৮ ক্যালোরি থাকে। থাকে ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম প্রোটিন সহ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানও। 

    আরও পড়ুন: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    সুজির পুষ্টিগুণ

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুজি হল আদর্শ খাদ্য। সুজিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) এবং ফাইবার যা শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সহজে হজম হয়ে যাওয়ায় শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।

    হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: সুজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে সুজি। পাব মেড সেন্ট্রাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত সুজি খেলে হৃদরোগের সমস্যা কমে যায়।

    হজমে সাহায্য করে: ফাইবার (Fibre) সমৃদ্ধ সুজি হজম প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। ন্যশানাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে, পাচনতন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির কাজে সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের পাশাপাশি রক্তে পুষ্টির শোষক হিসেবেও ভাল কাজ করে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দু সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সুজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলি কমে। 

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুজি থালামিন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি-র ভালো উৎস। সুজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ওজন কমানোর ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।

    কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ক্ষারকে শরীর থেকে নির্গত করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। পটাসিয়াম যুক্ত খাবার কিডনিকে সুস্থ রাখে।

    হাড় মজবুত করে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের (Phosphorus) মতো উপাদানগুলি পেশীকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

    রক্তাল্পতা কমায়: সুজিতে থাকা আয়রন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যাগুলির সমাধান হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Work Stress: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    Work Stress: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অফিসে কাজের চাপ আর নিরাপত্তাহীনতার শিকার বিশ্বের বহু কর্মরত মানুষ। কখনও কখনও স্ট্রেস এতটাই বেড়ে যায়, যে এটির ফলে দেখা দিতে পারে কঠিন কঠিন রোগ। অফিসে কাজের চাপ তো থাকেই, সঙ্গে অফিসে যখন-তখন চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অধিকাংশ মানুষ। আবার বেতনের পরিমাণও মন মত না হলে তারা একটি চাকরি করার পাশাপাশি অন্য পার্ট-টাইম কাজ করার দিকে চলে যায়। আর তখনই ঘটে বিপদ। এমনই ঘটনা ঘটে গেল দেশের অন্যতম সেরা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো (Wipro)-এর ৩০০ জন কর্মীদের সঙ্গে।

    সংস্থার ৩০০ কর্মীকে ‘মুনলাইটিং’-এর অভিযোগে বরখাস্ত করেছে এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। তবে কী এই মুনলাইটিং (Moonlighting)? কোনও এক সংস্থায় কর্মরত এবং সেই সংস্থা থেকে বেতন নেওয়ার পরও যখন কোনও কর্মী অর্থের বিনিময়ে অন্য কোনও সংস্থার হয়ে কাজ করে, তখন তাকে ‘মুনলাইটিং’ বলে। আর এই মুনলাইটিং-এর অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যে, এই কর্মীরা উইপ্রোর প্রতিদ্বন্দ্বী এক সংস্থার সঙ্গেই কাজ করেছে। আর এই কথা জানিয়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি (Rishad Premji)।

    কোভিডের পর থেকেই বহু সংস্থায় হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, বেতন কমানো হয়েছে বা বেতন দেওয়া হয়নি। আর এসবের কারণেই বহু কর্মী একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও অন্য সংস্থায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মুনলাইটিং-এর জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু দুই চাকরিতেই একই ধরনের কাজ করলে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয় এবং এটি তখন বেআইনি।

    আরও পড়ুন: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে কাজের ফলে আপনি মানসিক চাপে রয়েছেন?

    ক্লান্তি, পেশীতে টান, মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, যেমন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, বিরক্তি ইত্যদি দেখে বুঝবেন যে আপনি স্ট্রেসে রয়েছেন।

    কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস প্রতিরোধ করার উপায়

    • বাকিদের সঙ্গে আপনার উদ্বেগ নিয়ে কথা বলুন।
    • স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে আপনার খাদ্য ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
    • যোগাসন করার চেষ্টা করুন।
    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং অন্যান্য কাজ নির্দিষ্ট সময় মত করুন।
    • ধূমপান, অ্যালকোহল এবং ড্রাগের নেশা দূরে থাকুন।
    • এর পাশাপাশি সাইকোলজিস্টের থেকে পরামর্শ নিন।
  • Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র কয়েক দিন। সপ্তাহান্তেই শুরু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব — দুর্গা পুজো (Durga Puja 2022)। তবে উৎসবের মরশুমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে সুস্থ রাখা। সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসকদের ছুটি নেওয়ার হিড়িক। তাই অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসক ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষত সপ্তমী থেকে দশমী অধিকাংশ হাসপাতালের বেশ কিছু বিভাগ চিকিৎসক শূন্য থাকে। তাই বড় বিপদ ঘটলে বাড়তি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়। পুজোর সময় তাই বড় বিপদ এড়াতে বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা আগাম সর্তক হোন। নিয়মিত ওষুধগুলো কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষত যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা নিয়ম করে ওষুধ খাবেন। কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিয়ম মাফিক ওষুধের পাশাপাশি জল খাওয়ার ক্ষেত্রে ও বাড়তি নজর দেবেন। 

    পুজোর সময় ডায়ালিসিস সেন্টারগুলোতে কর্মীদের ছুটির জন্য পরিষেবা অনিয়মিত যায়। তাই কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। ডায়বেটিস আক্রান্তদের শারীরিক সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। ইনসুলিন নিলে, তা কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। তাহলেই বাড়তি বিপদ হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    তবে, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের বড় বিপদ এড়াতে খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে গোলমাল হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। অনেক সময়েই দেখা যায়, পুজোর সময় অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই খাবারে রাশ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার বা অতিরিক্ত প্রোটিন অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আনে। পুজোর সময় কমবেশি সকলেই বাইরের খাবার খান। কিন্তু পরপর অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। তাই পুজোর সময় বাইরের খাবার বিশেষত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে। বার্গার, হট ডগ থেকে বিরিয়ানি, যে কোনও তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
     
    তবে, ক্রনিক রোগের পাশপাশি রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। পুজোর মরশুমে মশাবাহিত এই রোগের দাপট যেন কয়েক গুণ বেড়েছে। তাই জ্বর নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ডেঙ্গি হলে সাধারণ দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই জ্বর হলে দেরি করা চলবে না। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ প্রথম থেকেই রোগ নির্ণয় না করলে বিপদ বাড়তে পারে। উৎসবের মরশুমে ভোগান্তি আরও বেশি হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    তাই জ্বর এলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করা গেলে অন্তত টেলি যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা জানাতে হবে। পাশাপাশি, এলাকার ব্লাড ব্যাংকের যোগাযোগ নম্বর রাখতে হবে। যাতে প্লেটলেটের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করা যায়। তবে, ডেঙ্গি ছাড়াও এই সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। তাই বেশি পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকা জরুরি। 

    তবে, অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী পরিষেবায় অসুবিধা হবে না। জরুরি পরিষেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য সবরকম পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিশেষ ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে, সচেতনতা অবলম্বন করলে উৎসবের দিনে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Toilet: পশ্চিমী শৌচাগারের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর ভারতীয় স্টাইল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Indian Toilet: পশ্চিমী শৌচাগারের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর ভারতীয় স্টাইল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমী সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। পশ্চিমী সভ্যতার (Western Culture) জীবনধারাকে অন্ধভাবে গ্রহণ করার ফলে ভারতীয়রা নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়েছে। আজ আমরা পাশ্চাত্যের জীবনযাত্রাকে অনুসরণ করতে গিয়ে পশ্চিমী শৌচাগারের ধরণটিরও অনুকরণ করে ফেলেছি। যদি আরামের দিকটি যদি বলা হয় সেক্ষেত্রে পশ্চিমী শৌচাগার (Western Toilet) আরামদায়ক।কিন্তু ভারতীয় শৌচাগার আরামদায়ক না হলেও এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল ও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অন্তত এখন এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, আমরা সাধারণত এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করে থাকি। কিন্তু শৌচাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করা উচিত। ভারতীয় শৌচাগার (Indian Toilet) স্বাস্থ্যের পক্ষে কেন ভাল তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    ভারতীয় শৌচাগার স্বাস্থ্যকর (Indian-toilets more hygienic)

    অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন যে ভারতীয় শৌচাগার পশ্চিমী শৌচাগারের থেকে স্বাস্থ্যকর। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় স্টাইলের শৌচাগার ব্যবহার করা উচিত। ভারতীয় শৌচাগারের সিটের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ না থাকায় মূত্রনালীতে সংক্রমণের (UTI) সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু অপরদিকে পশ্চিমী শৌচাগারে শরীরের সঙ্গে শৌচাগারের সিটের সরাসরি সংযোগ থাকে। ফলত এই শৌচাগারের (Toilet) সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও যাঁরা পশ্চিমী শৌচাগার ব্যবহার করেন, তাঁরা মূলত টয়লেট পেপার ব্যবহার করে থাকেন। আর ভারতীয়রা পরিষ্কারের জন্য সাধারণত ব্যবহার করেন জল, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।

    ভারতীয় শৌচাগার শরীরকে সুস্থ রাখে (Indian Toilets keep body fit)

    ভারতীয় টয়লেট ব্যবহার করাও এক ধরনের ব্যায়াম। এই ধরনের পজিশনে (Squatting) বসলে আমাদের পায়ের ব্যথা দূর হয় এবং শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন ঠিক থাকে। জিমে গিয়ে কসরত না করেও শারীরিক ব্যায়াম হয়ে যায়। অন্যদিকে পশ্চিমী শৌচাগারে সিটে বসে কোনও নড়াচড়া না হওয়ায় শারীরিক দিক থেকে আরামদায়ক হলেও শরীরের কোন উপকারিতা নেই।

     ভারতীয় শৌচাগার শরীরের বর্জ্যকে সহজেই নির্গত করে (Indian Toilets help in digestion)

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ভারতীয়দের তুলনায় পাশ্চাত্যের মানুষেরা পেটের সমস্যায় বেশি ভোগেন। ভারতীয় শৌচাগারে বৈঠকের দেওয়ার মতো (Squat) করে বসায় সঠিক ভাবে খাবার হজম হয়ে যায়। এই পজিশনে বসলে সহজেই বর্জ্য শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পেটে মল জমে থাকে না, শরীর সুস্থ থাকে কিন্তু অপরদিকে পশ্চিমী শৌচাগার ব্যবহারকারীদের শরীরে এমন কোন চাপ সৃষ্টি হয় না যা মলত্যাগে সহায়তা করায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
  • Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :মানুষের শরীরে যে কোনও সময় ক্লান্তি (Fatigue) আসতে পারে। একটানা কোনও একটি কাজ করার পর তাতে একঘেয়েমি চলে এলে শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসে। এছাড়া অনিদ্রা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও শরীরে ক্লান্তি দেখা যায়। ব্যায়াম করলে প্রায়শই ক্লান্তি আসে যদিও পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমে এই ক্লান্তি কেটে যেতে পারে।

    শরীরে ক্লান্তি চলে এলে দৈনন্দিন রুটিনে (Daily Routine) এর প্রভাব পড়ে। তাই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি কাটাতে খাবারের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রনের (Iron) ঘাটতি হলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। শর্করা জাতীয় খাদ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এই জাতীয় খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। শরীরে কার্যকারিতা বাড়াতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। আয়রন সহ ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium), জিঙ্ক (Zinc), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি যুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করলে ক্লান্তি দূর হয়।

    ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরকে উজ্জীবিত রাখার জন্য কিছু সহজ টিপস রয়েছে (Health Tips of beat Fatigue and keep body fit):

    প্রোটিন যুক্ত খাবার (Protein Diet)- দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন (Protein) শরীরের স্ট্যামিনাকে ঠিক রাখে। প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের পেশী গঠনে ও হাড়ের ক্ষয় মেরামতে সহায়তা করে। সেই কারণে খেলোয়াড়েরা প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন।

    হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় (Hydrating Drinks)- শরীরে পাচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় গ্রহণ করতে হবে। লেবুজল, ফলের রস বা গরুর দুধের মতো পানীয় গ্রহণ করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কমে। শরীরে ডিহাইড্রেশন ঘটলে ক্লান্তির বৃদ্ধি ঘটে এমনকি মানুষের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। মহিলাদের উপর ডিহাইড্রেশনের প্রভাব সর্বাধিক।

    আরও পড়ুন: কোন কোন খাবারের যুগলবন্দী শরীরে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়? জেনে নিন

    কফি খাওয়া কমাতে হবে (Reduce Coffee Intake)-  কফি প্রেমীরা এই পরামর্শটি মানতে অবশ্যই নারাজ। সকলের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কফি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। কফি খেলে সাময়িকভাবে শরীরে উদ্দীপনা এলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে শরীরে ক্লান্তি ভাব দেখা যায়। কফি বেশি পান করলে অনিদ্রার মতো রোগ দেখা যায়। তাই এক কাপ কফি খেলে দুই কাপ জল খেতে হবে।

    অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে (Stay away from Alcohol)- অ্যালকোহল (Alcohol) শরীরে এনার্জির মাত্রা শেষ করে দিতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অ্যালকোহল শরীরে এপিনেফ্রিনের মাত্রারও বৃদ্ধি ঘটায় ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

    সুষম আহার গ্রহণ (Balanced Food)- বাজারের ফাস্টফুড (Fast Food) থেকে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।

    সুষম ডায়েটের (Balanced Diet) পাশাপাশি শারীরিক কসরত করাও প্রয়োজন। স্থুলকায় ব্যক্তিদের দৈনিক ১০ মিনিট হাটাচলা করা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Alzheimer’s Day 2022: আজ বিশ্ব অ্যালজাইমার্স দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    World Alzheimer’s Day 2022: আজ বিশ্ব অ্যালজাইমার্স দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালজাইমার্স (Alzheimer’s) এক ধরনের মস্তিষ্কের রোগ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের মূল কারণ হল অ্যালজাইমার্স। এই রোগ ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি বা চিন্তাভাবনার শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়। অবশেষে সহজ কাজগুলি করার ক্ষমতাও চলে যায়। আর দিন দিন এই রোগ গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই যাতে সাধারণ মানুষ এই রোগটা নিয়ে সচেতন হয়, সতর্ক হয়, তার জন্যই ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় অ্যালজাইমার্স ডে (World Alzheimer’s Day)। বিশ্বে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এটি ডিমেনশিয়ার মূল কারণ।

    এই দিনের গুরুত্ব

    বিশ্ব অ্যালজাইমার রিপোর্ট, ২০০৯ সালের অ্যালজাইমার্স দিবসের দিন প্রকাশ্যে আনা হয়, যাতে সেটার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা যায়। এর পর থেকে প্রতি বছরই এই দিন রিপোর্টটি প্রকাশ করা হতে থাকে। ফলে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে ও কীভাবে এই রোগ ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে, তা সম্পর্কে সতর্ক করতেই এই দিনটি পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার

    অ্যালজাইমারের উপসর্গ

    • স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া হচ্ছে অ্যালজাইমারের প্রাথমিক লক্ষণ। কোথাও কোনও জিনিস রেখে ভুলে যাওয়া, কারও নাম ভুলে যাওয়া, গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যাওয়া বা তারিখ, একই প্রশ্ন বারবার করার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
    • এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সময়, তারিখ, মরশুম, দিক- ইত্যাদি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
    • প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে না পারা, এই রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এছাড়াও কোনও জিনিস বুঝতে, আলোচনা করতে সমস্যা দেখা যায়।
    • অ্যালজাইমার্সে  আক্রান্ত ব্যক্তির মেজাজে পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন- বিভ্রান্ত, সন্দেহ করা, হতাশ, ভীত বা চিন্তিত ইত্যাদির মত লক্ষণ দেখা যায়।

    অ্যালজাইমারের কারণ

    • মস্তিষ্কের বয়সজনিত পরিবর্তন।
    • জেনেটিক, পরিবেশগত এবং বংশগত হতে পারে এই রোগ।
    • বার্ধক্য এই রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলজাইমারের ঝুঁকি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
    • এছাড়াও মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    এই রোগ প্রতিরোধের উপায়

    যদিও এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন। তবে জীবনধারায় পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর খাবার এই রোগের মোকাবিলায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

     

  • Covid Mask: বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাস শনাক্ত করবে বিশেষ মাস্ক! এবিষয়ে কী জানালেন বিজ্ঞানীরা?

    Covid Mask: বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাস শনাক্ত করবে বিশেষ মাস্ক! এবিষয়ে কী জানালেন বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে, আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বলে দেবে মোবাইলের অ্যাপ। আর এখন জানা গিয়েছে, বাতাসে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা শনাক্ত করবে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা একটি মাস্ক। আর ১০ মিনিটের মধ্যেই সেই বিষয়ে জানতে পারবেন আপনার মোবাইল থেকে।

    প্রায় তিনবছর ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষ এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আগের থেকে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। তবুও মাঝে মাঝেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। আবার এমনটাও দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে করোনার উপসর্গ দেখেও পরীক্ষা করাতে চান না অনেকেই। ফলে এবারে জনতার সুবিধার্থে এই ধরণের মাস্ক তৈরি করা হল যা বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    জানা গিয়েছে, এই মাস্ক শুধুমাত্র বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাসই শনাক্ত করবে না, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভাইরাসের উপস্থিতিও জানিয়ে দেবে মোবাইলে। সাংহাই টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী ইয়িন ফাং জানিয়েছেন, আগের স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, মাস্কই করোনা ভাইরাস ছড়ানো ও সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই তাঁরা এমন একটি মাস্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবে ও যে মাস্ক পরে আছে তাকে সতর্ক করতে পারবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে তাদের তৈরি করা মাস্ক বদ্ধ জায়গায়, যেখানে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেখানে ভালো কাজ করতে পারে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর দলের পরবর্তী লক্ষ্য হল মাস্কের পলিমার এবং ট্রানজিস্টরগুলির নকশাকে অপ্টিমাইজ করা ও সেন্সরের সেন্সিটিভিটিকে বৃদ্ধি করা, যাতে মাস্কের ভাইরাস শনাক্ত করতে বেশি সময় না লাগে। তাঁরা এই মাস্কে অ্যাপটামারস নামে এক সেন্সর ব্যবহার করেছে, এটি এক ধরেণের সিন্থেটিক অণু যা ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে। এই অ্যাপটামারস বাতাসে ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে সংশ্লিষ্ট আয়ন-গেটেড ট্রানজিস্টর সিগন্যালকে বুস্ট করবে এবং ফোনের মাধ্যমে মাস্ক পরা ব্যক্তিকে সতর্ক করবে। বিজ্ঞানীরা এই সেন্সরের আরও পরিবর্তন করতে চলেছে, যাতে ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি মাস্কটি H5N1 এবং H1N1 ভাইরাসকেও শনাক্ত করতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

LinkedIn
Share