Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এতদিন কোভিডের টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ব্যবহার করা হত। করোনা (Corona) প্রতিষেধক হিসেবে বুস্টার ডোজেও অনুমোদন পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড। এবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের সঙ্গে অনুমোদন পেল কর্বেভ্যাক্সও (Corbevax)। দেশে এই প্রথম বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে কর্বেভ্যাক্সকে। এই টিকা এতদিন প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই প্রথমবার যে, করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রথম ভ্যাকসিন থেকে অন্য ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর থেকে কর্বেভ্যাক্সকে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই কর্বেভ্যাক্স (Biological E’s Corbevax) ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যেসব ব্যক্তিরা কোভিড ভ্যাক্সিনে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা এখন থেকে তৃতীয় ডোজে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের

    জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (NTAGI) সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাস বা ২৬ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর কর্বেভ্যাক্স সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে।

    সূত্রের খবর, এই কর্বেভ্যাক্স হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি আরবিডি প্রোটিন সাবুনিট ভ্যাকসিন যা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি ডাবল ব্লাইন্ড ব়্যান্ডমাইজড ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল স্টাডি থেকে তথ্য নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, করোনার সতর্কতামূলক বুস্টার ডোজ হিসেবে এই কর্বেভ্যাক্স মানব শরীরে ইমিউনিটি গড়ে তুলতে পারছে। এমনকি অ্যান্টিবডি গঠনেও সাহায্য করছে। ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি স্বেচ্ছাসেবক যাঁরা আগে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের শরীর এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হয়, এর ফলে তাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (Drugs Controller General of India) বা ডিজিসিআই কর্বেভ্যাক্সকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ্য ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড ১৯ টিকার প্রফিল্যাকটিক ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

     

     

  • Suicide and Mental Health: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, কী করে প্রতিহত করবেন? 

    Suicide and Mental Health: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, কী করে প্রতিহত করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গত বছরের চেয়ে ৬.১% বেড়েছে আত্মহত্যার হার! সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB Report)। ভারতে ২০২১ সালে আত্মহত্যার (Suicide) হার এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যানের নিরিখে সব চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে তারা। এই নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।  

    করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, কিছুদিন আগে এমনই তথ্য সামনে এসেছিল। এনসিআরবির তথ্য যেন উল্টো পুরাণ।

    আরও পড়ুন: মাছ-মাংস-ডিমের চেয়েও বেশি উপকারী সয়াবিন, জানেন কেন?  

    তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, মূলত ছাত্র এবং ছোট ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে আত্মহত্যার জন্যে অতিমারীকেই দায়ী করা হয়েছিল। কিছু এখন সেই সমস্যাও নেই। তাও আত্মহত্যার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বাড়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

    আত্মহত্যাকে প্রতিহত করা সম্ভব। আত্মহত্যার চিন্তাকে প্রতিহত করার মধ্যে দিয়ে আত্মহত্যাকে আটকানো করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    কী করে প্রতিহত করবেন আত্মহত্যা?

    সমস্যাকে চিহ্নিত করুন: কোন বিষয়টিতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে তা চিহ্নিত করা ভীষণ জরুরী। আগে সমস্যা খুঁজে বের করুন।

    চিকিৎসা করান: আপনার শরীরের মতো মনেরও অসুখ হয়। চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 

    নিজের জবাব দিন: নিজের যত্ন নিন। শরীর এবং মনের খেয়াল রাখুন। ভালো খাবার খান, রোজ ব্যায়াম করুন, প্রয়োজন মতো ঘুমোন এবং নেশার অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসুন।

    সময়ে ওষুধ খান: চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। সময় মতো ওষুধ খান। ওষুধ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, তা থামিয়ে না দিয়ে চিকিৎসককে জানান। 

    নিয়ম মেনে চলুন: জীবনের নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখুন। রোজ সকালে উঠুন, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান এবং নিয়ম মেনে সারা দিনের কাজ করুন।

    মানুষের সঙ্গে মিশুন: সবার সঙ্গে মিশুন, গল্প করুন, আড্ডা দিন। যতটা সম্ভব একা থাকা এড়িয়ে চলুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Covid 19: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    Covid 19: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশজুড়ে ১৬,১৬৭ জন করোনায় (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। হঠাতই নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। সাতটি রাজ্যকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দিল্লি, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু- এই সাতটি রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে দেশে পর পর বেশ কয়েকটি উৎসব আসতে চলেছে। তার আগে রাজ্যগুলিকে সাবধান থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    আরও পড়ুন: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    ৬ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশের সাপ্তাহিক মোট করোনা সংক্রমণের ৮.২% দিল্লিতে হচ্ছে। ৫ অগাস্টও ১.৮৬ গুণ বেড়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। 

    কোভিডের নতুন করে এই বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত চিকিৎসকরা। পরীক্ষা এবং কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিড়ের মধ্যে গেলে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কোভিড পরীক্ষাও করতে হবে। 

    চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যখনই কোনও উপসর্গ (Symptoms) চোখে পড়বে তখনই আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে নিন। এবং নিজেকে আইসোলেটেড করে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    সরকারি নির্দেশিকায় সম্প্রতি কোভিডের ১৩টি উপসর্গের কথা বলা হয়েছে।

    কী কী সেই উপসর্গগুলি?

    • জ্বর
    • শ্বাসকষ্ট
    • কাশি
    • বুকে চাপ অনুভব করা
    • সর্দি
    • মাথা ব্যথা
    • অস্বস্থি
    • নিউমোনিয়া
    • কিডনি ফেইলিওর
    • স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া
    • শ্বাস নিতে অসুবিধে
    • অক্সিজেন স্যাচুরেশন নীচে নেমে যাওয়া
    • শরীরে ব্যথা  

    করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওপরের দিকে উঠলেও তাতে এখনই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট ডাঃ নিখিল মোদি বলেছেন, “করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এটা ঠিক, কিন্তু উপসর্গ মৃদু। একদিন আগেই দিল্লিতে ২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms) রয়েছে।”

    যাদের কোমর্বিলিটি রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে ডাঃ মোদি বলেন, “৮০-৯০ বছরের রোগীরা, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদেরও অত্যন্ত মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে।” 

  • HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ। সম্প্রতি স্থানীয় পার্লার থেকে ট্যাটু করার পরে ১৪ জনের শরীরে এইচআইভির হদিশ মিলেছে। উত্তরপ্রদেশের বারানসীতে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী খরচ বাঁচানোর জন্যে একই সূচ ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই ট্যাটু করার আগে সবাইকে খেয়াল করতে হবে যে নতুন সূচ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    এইচআইভি এক অন্যতম মারণ ভাইরাস। এর পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাস থেকেই জন্ম দেয় এইডস (AIDS) রোগ। এইচআইভি মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর আঘাত করে। সময়মত চিকিৎসা না হলে এই ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের টি সেল কমে যায়। এই টি সেলই রোগের সঙ্গে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিশ্চিন্তে বাসা বাঁধে শরীরের আনাচে কানাচে। 

    পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলির মধ্যে এটি একটি। এবং এই রোগের এখনও অবধি কোনও চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ থেকে কী করে নিজেকে দূরে রাখা যায়, সেদিকে নজর রাখাই সব থেকে জরুরী। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    কী ভাবে দূরে থাকবেন এইচআইভি থেকে?  

    ১। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ছড়ায় এই রোগ। তাই শারীরিক সম্পর্কের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। শারীরিক সম্পর্কের আগে নিজের এবং সঙ্গীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে নিন। কন্ডোমের ব্যবহার সেক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন। 

    ২। রক্তের মাধ্যমেও দ্রুত ছড়ায় এই রোগ। যদি রক্ত দেওয়া বা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতা দুজনকেই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষা না করে রক্ত নেওয়া যাবে না। এছাড়া একই সূচের ব্যবহারেও এই রোগ ছড়ায়। সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সূচ, ব্লেড একাধিক ব্যক্তির শরীরে ঠেকানো যাবে না। নতুন সূচ বা ব্লেড ব্যবহার করতে হবে। 

    ৩। মায়ের থেকে সন্তানের শরীরেও ছড়ায় এইচআইভি। তাই যে মায়েরা এই রোগে আক্রান্ত তাঁরা শিশুকে স্তন্যপান করাবেন না। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

    ৪। বডিলি ফ্লুইডের মাধ্যমেও ছড়ায় এই রোগ। তাই সতর্ক থাকুন। মাঝে মাঝেই এই রোগের পরীক্ষা করান। তাহলেই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। 

  • ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। কোভিড-১৯ (Covid-19) এখনও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যাও সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে ফের নয়া প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে চিনে। এই ভাইরাসের নাম হল ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus), যাকে LayV ও বলা হচ্ছে। চিনের হেনান ও শানডং প্রদেশে ৩৫ জনের শরীরে এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সোমবার এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। মূলত মানবদেহের গলায় এই ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে তিন-চতুর্থাংশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই ভাইরাসটি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যাংয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেনি কারও। বেশিরভাগ রোগীরই উপসর্গ মৃদু। রোগীদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল যে, এখনও এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য কোনও টিকা বের হয়নি। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসার কোনও পদ্ধতিও নেই।

    আরও পড়ুন:মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    কী এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস?

    ল্যাংয়া ভাইরাস বা LayV হল নিপা ভাইরাসেরই (Nipah Virus) আরও একটি অংশ। এই ভাইরাসও খানিকটা নিপা ভাইরাসের মতোই। হেনিপাভাইরাস বেশিরভাগই প্রাণী থেকে প্রাণীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সম্প্রতি এটি মানুষের মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রামক কি না, অর্থাৎ, এটি একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চিনা গবেষকরা। যদিও এখনও অবধি কোনও সংক্রমণই গুরুতর হয়নি।

    ল্যাংয়া ভাইরাসের লক্ষণ

    এই ভাইরাস সাধারণত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। বেজিং ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তাছাড়া কাশি, ক্লান্তি, পেশীতে ব্যথা, বমির মতো উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ল্যাংয়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এই ভাইরাসে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা এই বছর লক্ষ্য করা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিপা ভাইরাস করোনার থেকেও বেশি মারাত্মক। কারণ আক্রান্তদের তিন-চতুর্থাংশ প্রাণ হারান। তাই এই ল্যাংয়া ভাইরাসও নিপাহ ভাইরাসের পরিবারের সদস্য হওয়ায় এটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চিনা গবেষকরা জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২% ছাগল এবং ৫% কুকুর এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে।

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেই লিভারের অসুখ হল “হেপাটাইটিস”। মূলত লিভারের প্রদাহ। লিভারের প্রদাহ দেখা দিলে, একটা সময় ক্ষতর সৃষ্টি হয় এবং লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, টক্সিন, ওষুধ এইসব হেপাটাটাইটিসের কারণ হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণেও হেপাটাইটিস হতে পারে। তবে, হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হল ভাইরাল সংক্রমণ। ভারতে সবথেকে বেশী যে ভাইরাল হেপাটাইটিস (Viral Hepatitis) দেখা যায়, সেগুলি হল, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি ও হেপাটাইটিস ই।  

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? 

    ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।  

    এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?

    • ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গগুলি (Symptoms) অনেকটাই ফ্লুয়ের মতো। 
    • এছাড়াও রয়েছে ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের প্রস্রাব, জ্বর, বমি ও জণ্ডিসের (ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় ) মতো উপসর্গ। 
    • তবে, এই ভাইরাসগুলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না এবং অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় না। 
    • বিরল ক্ষেত্রে, তীব্র ভাইরাস হেপাটাইটিসের ফলে লিভারের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে লিভারের কার্যকারিতার চরম অবনতি ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    শারীরিক সম্পর্কে কী হেপাটাইটিস ছড়ায়?

    সবচেয়ে বেশি যে সংক্রমণ ছড়ায় তা হল হেপাটাইটিস এ। এই হেপাটাইটিস এ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। স্পর্শে সবসময় হেপাটাইটিস না ছড়ালেও বডি ফ্লুইডের আদানপ্রদানে ছড়াতে পারে এই রোগ। যারা ড্রাগ নেন, একই সূচের ব্যবহারে তাঁদের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ। 

     

  • World Lung Cancer Day 2022: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    World Lung Cancer Day 2022: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। আর শ্বাস নিতে কাজ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংক্রমণ হচ্ছে ক্যান্সার। বর্তমান বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার (Lung Cancer) সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। হু- এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর মধ্যে ২৫%-ই ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। আজ ১ অগাস্ট, বিশ্ব ফুসফুসে ক্যান্সার দিবস (World Lung Cancer Day 2022)। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো না বুঝেই অবহেলা করেন। আবার ফুসফুসের ক্যান্সার উপসর্গ সবসময় প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা নাও দিতে পারে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি আপনি বুঝতে পারবেন, এটির চিকিৎসাও তত তাড়াতাড়ি করা সহজ হবে। 

    আজ জেনে নিন এই ফুসুফুসে ক্যান্সার সংক্রান্ত কিছু তথ্য

    ফুসফুসে ক্যান্সার কত রকম?

    ফুসফুসে ক্যান্সার মূলত দুধরণের হয়। স্মল সেল ক্যান্সার এবং নন-স্মল সেল ক্যান্সার।

    নন- স্মল সেল ক্যান্সারেরও আবার কিছু ভাগ রয়েছে। অ্যাডিনোকারসিনোমাস, স্কুয়ামাস সেল কারসিনোমাস এবং লার্জ সেল কারসিনোমাস। 

    আরও পড়ুন: ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চান? আজ থেকেই ব্যবহার করুন ডাবের জল

    ফুসফুসে ক্যান্সারের উপসর্গগুলি কী কী?

    ফুসফুসে ক্যান্সারে বুক এবং পাঁজরে ব্যাথা হয়।

    কাশি, কাশির সঙ্গে রক্তের মত লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

    দুর্বল লাগতে পারে, খাবার ইচ্ছে চলে যায়।

    শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ওজন কমা, গলায় অস্বস্থি, গলা ফোলা, দুর্বল হওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। 

    চিকিৎসা 

    ক্যান্সার কোন স্টেজে রয়েছে তার ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। ফুসফুসে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চার রকমের চিকিৎসা হতে পারে। সার্জারি, কেমো থেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি। চিকিৎসকই ঠিক করেন, কোন রোগীর কোন চিকিৎসা প্রয়োজন।

    কী কী করলে ফুসফুসে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন? 

    ধুমপান ছাড়ুন।

    প্যাসিভ স্মোকিং থেকেও বিরত থাকুন।

    স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

    রোজ ব্যায়াম করুন।

    টক্সিক কেমিক্যাল থেকে দূরে থাকুন। 

     

     

     

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে।  

    ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে কী কী করবেন (Prevention)?

    পরিষ্কার জল পান করুন 

    পানীয় জল যেন পরিষ্কার হয়। ভালো ব্র্যান্ডের ইউভি, ক্যান্ডেল যুক্ত ফিল্টার ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের ও বিশ্বাসযোগ্য রিটেলারের জল পান করুন।   

    রাস্তার ধারের খাবার এড়িয়ে চলুন 

    রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ফলের রস, মিল্কশেক। 

    স্যালনে গেলে সাবধান থাকুন 

    নাপিতের দোকান, বিউটি স্যালনে যেন ভালোভাবে স্টেরিলাইজ না করে একই ক্ষুর, মেটাল স্ক্র্যাপার একাধিক ব্যক্তির ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর ফলে সংক্রমণের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।  

    সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস

    এইচসিভির তুলনায় হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণ বেশী হয়। সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। 

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ থেকে সচেতনতা  

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ ব্যবহার ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সূচ দিয়ে ড্রাগ নেন একাধিক ব্যক্তি। এর ঝুঁকি সম্পর্কে নিজের সন্তানদের সচেতন করুন। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    টিকা  

    হেপাটাইটিস এ ও বি টিকার দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার দ্বারা প্রতিরোধক্ষম একমাত্র ক্যান্সার হল হেপাটাইটিস বি-র ফলে হওয়া লিভার ক্যান্সার। 
     
    শনাক্তকরণ

    এইচবিভি ও এইচসিভিকে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। উভয় ভাইরাসের জন্যই কার্যকরী চিকিৎসা উপলব্ধ আছে। ঠিক সময় শনাক্ত করা না গেলে, এর থেকে লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। 
     

  • Fitness Tips: জন আব্রাহামের মত বডি পেতে চান? তবে মেনে চলুন এই ৪টি ফিটনেস টিপস

    Fitness Tips: জন আব্রাহামের মত বডি পেতে চান? তবে মেনে চলুন এই ৪টি ফিটনেস টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর, ফিট ও সুস্থ চেহারা সকলেই চায়। কিন্তু জিমে যাওয়া আর হয়ে ওঠে না, তাই তো? তবে আর চিন্তা নেই। একমাত্র জিম করলেই যে ফিট থাকা যায়, এটি একদমই ভুল ধারণা। দৈনিক জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে আপনিও হয়ে উঠবেন ফিট। এমনই কিছু ভালো অভ্যাসের কথা বলেছেন বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম (John Abraham)। বলিউড সেনসেশন হওয়ার আগেও, জন আব্রাহাম তাঁর ফিট বডির জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর মত বডি, সিক্স প্যাক সবাই পেতে চান। তাই যদি আপনিও জনের মতই ফিট হতে চান, মেনে চলুন কিছু নিয়ম। এক সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা তাঁর ওয়ার্কআউটের ৪টি টিপস সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

    রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন- জন সাধারণত রাতে বেশিক্ষণ জেগে থাকেতে পছন্দ করেবন না। তিনি রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঘুমোতে যান এবং ভোর সাড়ে চার টায় ওঠেন। মনে করা হয় যারা আর্লি রাইজার তাঁরা বেশি প্রোডাক্টিভ হন। ফলে সকাল সকাল উঠলে মনও ভালো থাকে, আর মন ভালো থাকলেই শরীরও সুস্থ থাকে।

    আরও পড়ুন: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    চিনি না খাওয়া- জন মনে করেন সিগারেট খাওয়ার চেয়ে চিনি বেশি বিপজ্জনক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসের অতিরিক্ত গ্রহণ হৃদরোগ এবং রক্তে শর্করার সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে চিনি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

    সকালের ব্রেকফাস্ট স্কিপ না করা- কখনওই ব্রেকফাস্ট বাদ দেওয়া উচিত নয়। আর সকালের খাবার সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে যদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয় তা হলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে, প্রচুর এনার্জিও পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    খেলাধুলা করা- সবসময় কোনও না কোনও খেলাধুলার মধ্যে থাকতে হয়, যাতে শরীর অ্যাক্টিভ থাকে। এর ফলস্বরূপ আপনার পুরো শরীর আরও ফিট হয়ে ওঠে ও আপনি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। জনও ফুটবল খেলার সঙ্গে জড়িত।

  • Coconut Water: ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চান? আজ থেকেই ব্যবহার করুন ডাবের জল

    Coconut Water: ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চান? আজ থেকেই ব্যবহার করুন ডাবের জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে আপনারা সবসময় ডাবের জলকেই বেছে নেন। তবে জানেন কী ডাবের জল যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তেমনি ত্বক ও চুলের জন্যও বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রূপচর্চার জন্য ডাবের জলকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আপনারা যেসব দামি ক্রিম, চুলের জন্য শ্যাম্পু, কনডিশনার ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে থাকেন, তার ফলে অনেক ক্ষতি হয় চুল ও ত্বকের। তাই এবারে বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। দুধ, গোলাপ জল, হলুদের মত প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের জন্য ব্যবহার করলেও এবারে ব্যবহার করুন ডাবের জল আর তফাৎ নিজের চোখেই দেখে নিন।

    আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ত্বক চান? রোজ খান এই জুসটি, পরিবর্তন দেখুন এক সপ্তাহে

    ত্বকের জন্য ডাবের জলের উপকারিতা

    নিয়মিত ডাবের জল (Coconut Water) মাখলে ত্বক ভালো থাকে। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ফেস প্যাকে ডাবের জল ব্যবহার করেন। ডাবের জলে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যামিনো অ্যসিড, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ২চামচ ডাবের জল, দেড় চামচ হলুদ, দেড় চামচ চন্দন মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলেই ব্রণ কমে যায়। শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী ডাবের জল। শুষ্ক ত্বককে কোমল করে তুলতে ব্যবহার করুন ডাবের জল।

    চুলের জন্য ডাবের জলের উপকারিতা

    ডাবের জলের মধ্যে প্রচুর প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। চুল পড়া কমাতে ডাবের জল চুলে দিয়ে ২৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। ডাবের জল চুলে ম্যাসাজ করলে এতে চুলের ফলিকলগুলি আরও মজবুত হয় ও কোচকানো চুলের জন্যও এটি উপকারী। ডাবের জলে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার কারণে খুশকি কমাতে, স্ক্যাল্প ইনফেকশন কমাতে ডাবের জল উপকারী। ভিনিগারের সঙ্গে ডাবেল জল মিশিয়ে চুলে মাখলে তা আপনার চুলের জন্য উপকারী।

     

LinkedIn
Share