Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cholesterol: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    Cholesterol: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলেস্টেরল (Cholesterol)। শরীরে উপস্থিত চার ভাগের তিন ভাগ কোলেস্টেরল স্বাভাবিকভাবে দেহেই তৈরি হয়। বাকি এক ভাগ আসে বিভিন্ন প্রাণীজ খাবার থেকে। রক্তে দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে। LDL (লো ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল) ও HDL (হাই ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল)। এরমধ্যে HDL-কে বলা হয় ‘গুড কোলেস্টেরল’ আর LDL-কে বলা হয় ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’।
     
    এই গুড এবং ব্যাড কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব ঘটলেই শরীরে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়। হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কিছু খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা এবং জীবনশৈলীতেও কিছু পরিবর্তন আনা।

    আরও পড়ুন: এই ছটি ফল খান, আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক

    নিয়মিত এই অভ্যেসগুলো মেনে চললেই আপনার শরীরের কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

    খাবারে ফাইবারের মাত্রা বাড়ান

    ফাইবার কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবারযুক্ত খাবার খান। হোল গ্রেইন, বার্লি, ব্র্যান, ফ্ল্যাকস সিড এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।

    ট্রান্স ফ্যাট

    ট্রান্স ফ্যাটকে খাবারের তালিকা থেকে একেবারে সরিয়ে ফেলুন। এতে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মূলত ভাজা খাবারে থাকে এই ট্রান্স ফ্যাট। এছাড়াও প্যাকেট করা বেকারির খাবারেও থাকে ট্রান্স ফ্যাট। যেমন, কুকিজ, কেক, ক্র্যাকার।

    খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

    স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ খাবারে বেশি থাকলে শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। চিজ, রেড মিটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ডায়েটে রাখুন এই সুপারফুড

    স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান 

    আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই বাটার, ক্রিম, মেয়নিজের বদলে খান অলিভ তেল, পিনাট বাটার, অ্যাভোকাডো, ক্যানোলা তেল, সরষের তেল। 

    রোজ ব্যায়াম করুন

    নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।  

    শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন

    অতিরিক্ত ওজন থাকলে, তা কমানোর চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

    ধুমপান ত্যাগ করুন

    হাই কোলেস্টেরলের অন্যতম বড় কারণ ধুমপান। তাই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সবার আগে ধুমপান পরিত্যাগ করুন।

    পরিমিত মদ্যপান করুন 

    বেশি পরিমাণে মদ্যপান স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এতে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। তাই মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 

     

  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে জানুন এই রোগ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে জানুন এই রোগ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস (World Hepatitis Day)। সারা বিশ্বে আজ অর্থাৎ ২৮ জুলাই এই দিনটিকে হেপাটাইটিস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। হেপাটাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই দিনটিকে পালন করা হয়। কারণ এখনও পৃথিবীর অনেক জায়াগায় মানুষ এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। তাই আজ জেনে নিন, হেপাটাইটিস রোগ সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য।

    হেপাটাইটিস হল লিভারের রোগ, যাতে লিভার দুর্বল হয়ে পড়ে। হেপাটাইটিস সাধারণত এ, বি, সি প্রকৃতির হয়ে থাকে। লিভার দুর্বল হয়ে গেলে হজমও ঠিকমত হয় না। আর সেখান থেকে শুরু হয় একাধিক সমস্যা। তাই হেপাটাইটিস হলে খাাদ্যতালিকাতে বিশেষ নজর রাখা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৩ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় হেপাটাইটিস বি আর সি-এ। তবুও মানুষ বিষয়টি নিয়ে সেভাবে সতর্ক নন। আর তাই হেপাটাইটিস দিবসের উদ্দেশ্য হল মানুষকে এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন করা।

    হেপাটাইটিস এ: এই ভাইরাস সাধারণত খাবার ও জল থেকেই হয়। দূষিত জল ,অপরিচ্ছন্ন খাবার থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হেপাটাইটিস এ (Hepatitis A) তে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সংক্রমিত ব্যক্তির যেসব উপসর্গগুলো দেখা যায়, সেগুলো হল জ্বর, ক্লান্তি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, জয়েন্টে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, জন্ডিস ইত্যাদি। তবে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য টিকা রয়েছে।

    হেপাটাইটিস বি: এই ভাইরাস সাধারণত শরীরের রক্ত, দেহের কোনও তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও যৌন মিলনের ফলে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালে, খাবার একসঙ্গে খেলে, চুম্বন, কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বেশ কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন-জন্ডিস (ত্বক ও চোখের হলুদ হওয়া),গাঢ় রঙের প্রস্রাব, ক্লান্তি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি। হেপাটাইটিস বি থাকলে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত, নয়তো এটি পরে বিপজ্জনক হতে পারে।

    হেপাটাইটিস সি: বি -এর মত এই ভাইরাসও রক্ত, যৌন মিলন, গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের থেকে শিশুর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এটি হেপাটাইটিস এ ও বি এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের ফলে লিভারের ক্ষত ও বেশ কয়েক বছর পর সিরোসিস সৃষ্টি করে। এছাড়াও হেপাটাইটিস ডি ও ই রয়েছে, যা আগের তিন রকমের তুলনায় কম বিপজ্জনক।

  • Health Tips: হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ‘নর্ডিক ওয়াকিং’-এর গুরুত্ব জেনে নিন…

    Health Tips: হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ‘নর্ডিক ওয়াকিং’-এর গুরুত্ব জেনে নিন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাঁটার জন্য আলাদা কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যেখানে যেভাবে আছেন সেখান থেকেই হাঁটা শুরু করতে পারেন। আসলে হাঁটা হল খুবই সহজ একটি এক্সারসাইজ। তাই সুস্থ থাকার জন্য ও হার্ট ভালো রাখার ক্ষেত্রেও হাঁটার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে জানেন কী ঠিক কতটা হাঁটা দরকার? কারণ অতিরিক্ত হাঁটালেও অনেক সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে কতক্ষণ হাঁটা আপনার হার্টের জন্য উপযুক্ত, সেটি জানা দরকার।

    চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাসে শরীরের সব অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অনেক রোগ দূরে থাকে। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস হার্টও সুস্থ রাখে। হৃদরোগের কারণে অকালে বহু মানুষ প্রাণ হারান। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক- এসবের মাত্রাও বর্তমানে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে হৃদরোগ দূরে রাখতে নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরাও।

    আরও পড়ুন: সাবধান! ভুলেও অবহেলা করবেন না, হার্ট অ্যাটাকের এই ৮টি লক্ষণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতি সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা হাঁটা যায়, তবে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়, অর্থাৎ হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন মাত্র ২১ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট। তাদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য যেমন খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হয়। তেমনই শরীরচর্চা করাও খুবই জরুরি। কিন্তু অনেক মানুষই কাজের চাপে শরীরচর্চায় বিশেষ নজর দিয়ে উঠতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

    এছাড়াও এক নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওয়ার্কআউটের চেয়েও নর্ডিক হাঁটা (Nordic Walking) আপনার হার্টের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। নর্ডিক ওয়াকিং-এ লাঠি নিয়ে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে হাঁটতে হয়। আর এইভাবে হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে, উচ্চ রক্তচাপকেও  নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

    আরও পড়ুন: হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

  • Monkey Pox: শারীরিক সম্পর্কে ছড়াতে পারে মাঙ্কি পক্স? জানুন

    Monkey Pox: শারীরিক সম্পর্কে ছড়াতে পারে মাঙ্কি পক্স? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) প্রথম কেসটি সামনে আসার পর থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে এই রোগ। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। দেশে আক্রান্ত হওয়া চতুর্থ ব্যক্তির কোনও বিদেশ সফরেরও ইতিহাস নেই। তাহলে কী এবার গোষ্ঠী সংক্রমণের পথে মাঙ্কি পক্স? 

    কী করে ছড়াচ্ছে এই রোগ? 

    মূলত বন্য প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে এই রোগ। মানুষ এবং বাঁদর এই রোগের আদর্শ বাহক। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এই রোগ এসেছে। এটি বায়ুবাহিত রোগ নয়। কোনও ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। মূলত দুজনের মধ্যে দূরত্ব যদি ২ মিটারের কম হয়, তাহলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। লালার দ্বারা এই রোগ ছড়ায়। একজনের থেকে অপর জনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা ৭%। এই রোগ চিকেন পক্স এবং স্মল পক্সের থেকে কম সংক্রামক। বাঁদর, কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীদের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকলে বা এইসব প্রাণীর মাংস খেলে এই রোগ ছড়াতে পারে।

    আরও পড়ুন: দেশে চতুর্থ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ, এবার দিল্লিতে  

    কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি?

    পুরুষদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে।

    পুরুষে-পুরুষে শারীরিক সম্পর্ক (STD) হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। ইতিমধ্যেই LGBTQ কমিউনিটিকে সাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

    আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।  

    শারীরিকভাবে আক্রান্ত মানুষরাও খুব সহজে আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে মাঙ্কিপক্স, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 

    শারীরিক সম্পর্কের কারণে ছড়াতে পারে এই রোগ?

    হু-এর (WHO) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটি সরাসরি যৌনবাহিত সংক্রমণ নয়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করলে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাঙ্কি পক্স ৯৫ শতাংশ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে।  

    মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে কী করবেন?

    ৪ দিনের মধ্যে যদি স্মল পক্সের টিকা নেওয়া যায়, তাহলে সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে। ১৪ দিনের মধ্যে টিকা নিলে রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য হতে পারে। যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল বা ৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা বা যেই মায়েরা বাচ্চাকে স্তন পান করান, তাঁদের বিশেষভাবে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কী করে সংক্রমণ আটকাবেন?

    আপনি যদি মনে করে আপনি এই রোগে আক্রান্ত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তিন সপ্তাহের জন্যে নিজেকে আইসোলেটেড করে নিন। সাধারণত ৫-১৩ দিনেই সেরে যায় এই রোগ। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে ২১ দিন অবধি থাকতে পারে এই রোগের উপসর্গ। 

     

     

     

     

  • Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের চোখরাঙানি রোজ বাড়ছে। ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট করোনা টিকার সুরক্ষা রেখাকে দূর্বল করছে। ২০ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২,৪৫৫ জন। অর্থাৎ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাদ নেই শিশুরাও। করোনা পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে।
     
    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিত্যদিন করোনার নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই অনেক সময় চিকিৎসা দেরিতে শুরু হচ্ছে। ফলে, জটিলতা বাড়ছে। এমনকি, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের যেভাবে শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, তা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে যেভাবে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো হল, তা গোটা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    গত দু’বছর রাজ্যের শাসক দল ২১ জুলাই, তাদের শহিদ দিবস ভার্চুয়ালভাবে সমাবেশ করেছিল। কিন্তু এই বছর ধর্মতলায় সভা হয়। বৃহস্পতিবারের এই সভা উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সোমবার থেকেই মানুষ কলকাতায় আসতে শুরু করেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকেন। দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখারও তোয়াক্কা তাঁরা করেননি। পাশপাশি বসে তিনদিন ধরে খাওয়া, ঘুম সব চলছে। এমনকি পুরসভার যেসব কর্মীরা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম স্যানিটাইজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেভাবে নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সেখানে শুধু স্যানিটাইজার ছড়িয়ে বিশেষ কাজ হবে না।
     
    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় তৃণমূলের লম্বা মিছিল ধর্মতলামুখী ছিল। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। অধিকাংশ নেতা, কর্মী, সমর্থক মাস্ক পরেননি। গত কয়েক মাস করোনা রুখতে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি অতিমারির জেরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়েও নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। আজকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রাজ্যের শাসক দলের সমাবেশ দেখে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, এই সমাবেশের জেরে আবার করোনা বাড়লে কি স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে? অসচেতন রাজনৈতিক কর্মসূচির খেসারত দেবে পড়ুয়ারা?

    আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের পর এবার বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ, চলবে আগামী ৭৫ দিন

    যদিও শাসক দল এই সব অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সভা করেছে। স্যানিটাইজ গেট তৈরি করা হয়েছিল। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো প্রথম সারির নেতারা সব সময় মাস্ক পরেই যাবতীয় কাজ করেছেন। তাঁদের মাস্ক পরতে দেখে কর্মীরা সচেতন হবেন। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “কয়েক লাখ মানুষ আজ এসেছিলেন। প্রত্যেকের মুখে তো মাস্ক পরিয়ে দিতে পারব না। তবে, করোনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হয়নি।”

  • Covid 19: ভাবাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সতর্ক করলেন হু প্রধান

    Covid 19: ভাবাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সতর্ক করলেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করলেন হু (WHO) প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। মার্চ মাসের দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে কমতে শুরু করেছিল করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। অতিমারীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এখনই নিষ্কৃতি দিচ্ছে না করোনা। এমনটাই জানিয়েছেন হু প্রধান। উল্টে বিশ্বের একাধিক জায়গায় সংক্রমণ বাড়বে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    ডাঃ ঘেব্রেইসাস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীকে আরও একবার সাবধান করে বলেছেন যে, দুবছর অতিক্রান্ত হলেও করোনা ভাইরাসের একের পর এক নয়া স্ট্রেনের দাপটে সারা বিশ্বেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে যা নতুন করে এই ভাইরাসকে নিয়ে ভাবাতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের  

    হু প্রধান বলেন, “ভারত সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন! কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের যে ভাবেই হোক আটকাতে হবে তা না হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর ফের চাপ আসতে শুরু করবে। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও যা নিয়ে নতুন করে সারা বিশ্বের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে”।

    তিনি আরও বলেন, “যে সকল দেশে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সেই সকল দেশের সরকারের উচিত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড আক্রান্তদের খুঁজে বের করা। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিকাহীনদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা। আমরা আগের থেকে বর্তমানে অনেক ভাল আছি আমাদের প্রত্যেকের টিকা নেওয়া এবং কোভিড বিধি মেনে চলা উচিৎ।” 

    BA.4 এবং BA.5 ভ্যারিয়েন্টের প্রসঙ্গে হু প্রধান এদিন বলেন, “এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। টিকাহীনদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের টিকার আওতায় আনা উচিত।”    

    গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যেকদিনই কার্যত দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা ১৫ হাজারের উপরে। যা দেখে উদ্বিগ্ন দেশের চিকিৎসকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হয়নি। 

     

     

  • Benefits of Drinking Water: সকালে উঠে কখন জল খাবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞ

    Benefits of Drinking Water: সকালে উঠে কখন জল খাবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা অনেকেই সকালে উঠেই বেড টি বা কফিতে অভ্যস্ত। আবার অনেকেই সকালে উঠে দাঁত মেজে, তবেই জলস্পর্শ করেন। কোনও অভ্যেস আপনার শরীরে জন্যে বেশি উপযোগী? সার্টিফায়েড যোগ ইনস্ট্রাক্টর ডাঃ নুপূর রোহতাগী (Dr Noopor Rohatgi) সম্প্রতি জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে সবার আগে যে কাজটি করা উচিত, তা হল খালি পেটে জল খাওয়া। তিনি বলেন, “সকালে উঠে দাঁত মাজারও আগে খালি পেটে জল পান করুন।”  

    আরও পড়ুন: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    সারাদিনে বারে বারে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। শুধুমাত্র শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে জল তা নয়, জল শরীরের অপ্রজনীয়, ক্ষতিকারক পদার্থগুলিকেও কিডনি থেকে বের করতে সাহায্য করে। এছাড়া স্যালাইভা তৈরিতে এবং খাবারের পুষ্টিগুণকে শরীরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। 

    আরও পড়ুন: ভাবাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সতর্ক করলেন হু প্রধান

    [insta]

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by DrNoopur Rohatgi|Yoga&Wellness (@yogabydrnoopur)


    [/insta]

    খালি পেটে জল খাওয়ার উপকারিতা কী? 

    • সারা রাতে মুখে যে ব্যাক্টেরিয়াগুলি তৈরি হয়, তা সকালে উঠে খালিপেটে জল খেলে পেটে চলে যায়। এতে ইমিউন সিস্টেমের উপকার হয়। বিশেষ করে যারা ঠান্ডা ও সাধারণ জ্বরে বেশি ভোগেন তাদের জন্যে উপকারি। 
    • হজমে সাহায্য করে। 
    • খালি পেটে জল খেলে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যাবে। 
    • কোষ্ঠকাঠিন্য , মুখের ঘা বা হজমের সমস্যায় ভোগেন যারা, তাদের জন্য খালি পেটে জল খাওয়া খুবই উপকারী। 
    • ওজন বাড়ার সমস্যাতেও খালি পেটে জল খাওয়া অত্যন্ত উপকারি।  
    • উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন সকালে জল খেলে উপকার পাবেন। 
    • মুখের ভিতের নানান রকম সংক্রমণের প্রবনতা হ্রাস পায়।  
    • মুখের গন্ধ, স্যালাইভা না তৈরি হওয়ার মত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

    [insta]

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by DtF @ Sonia Bakshi (@_dancetofitness_)


    [/insta]

    কেমন জল খাওয়া উচিত?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, খালি পেটে উষ্ণ গরম জল খাওয়া উচিত। ডাঃ রোহতাগী বলেন, “ঘুম থেকে উঠে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দু গ্লাস উষ্ণ গরম জল খাওয়া উচিত। সবসময় বসে জল খান।” 

     

     

  • cervical cancer vaccine: করোনার পর সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেশের মাটিতে

    cervical cancer vaccine: করোনার পর সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেশের মাটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই স্বপ্ন সব ক্ষেত্রেই পূরণ করতে চায় দেশবাসী। চিকিৎসা পরিষেবাও তার বাইরে নয়। দেশের মাটিতেই উৎপাদন করা হয়েছে করোনার ভ‌্যাকসিন (COVID vaccine)। এর পর এবার হিউম‌্যান প‌্যাপিলোমা ভাইরাস মোকাবিলায় টিকা আনতে চলেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India) সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁদের সবুজ সংকেত দিয়েছে ডিসিজিআই (Drugs Controller General)। বিশ্বে আপাত নিরীহ কিন্তু ভয়াবহ প্রাণঘাতী ক‌্যানসারের (Cancer) অন‌্যতম সারভাইক‌্যাল ক‌্যানসার (Cervical cancer)। এখনও পর্যন্ত এই ক‌্যানসারের ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়েছে টিকার প্রয়োগ।  এই ক‌্যানসারের সঙ্গেই সরাসরি ভাইরাসের যোগ মিলেছে। ভাইরাসটি হল হিউম‌্যান প‌্যাপিলোমা ভাইরাস।

    [tw]


    [/tw]

    সাধারণভাবে কৈশোরে যৌনসংসর্গে লিপ্ত হওয়ার আগেই এই ভ‌্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেওয়া গেলে সারভাইক‌্যাল ক‌্যানসার প্রতিরোধে তা অনেকাংশে কার্যকর হয়। এতদিন পর্যন্ত দেশের বাজারে প্রাপ্ত ক‌্যানসারের দুটি টিকা সার্ভারিক্স এবং গার্ডাসিল এইচপিভি-র দু’টি স্ট্রেনের সঙ্গে মোকাবিলায় উপযোগী। কিন্তু তা আনতে হত বিদেশ থেকেই। আর সেরাম ইনস্টিটিউট যে ভ‌্যাকসিনটি আনতে চলেছে তা চারটি স্ট্রেনের মোকাবিলায় উপযুক্ত। পুনাওয়ালা বলেছেন, “এই প্রথম ভারতে এইচপিভি-র টিকা আসতে চলেছে। এই বছরের শেষের দিকেই এটি বাজারে এসে যাবে বলে আমরা আশা করছি।” অনুমোদন দেওয়ায় ডিসিজিআই এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য ও পরিবার কল‌্যাণ মন্ত্রককে ধন‌্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: সাবধান! ভুলেও অবহেলা করবেন না, হার্ট অ্যাটাকের এই ৮টি লক্ষণ

  • Sperm Count: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    Sperm Count: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক পুরুষই চান বাবা হতে। তবে সন্তানের (Baby) জন্ম দিতে গেলে প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শুক্রাণু বা স্পার্ম (Sperm)। লো স্পার্ম কাউন্টের (Low Sperm Count) সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকভাবে সন্তানের বাবা হতে পারেন না ওই পুরুষ। তখন তাঁকে সাহায্য নিতে হয় কৃত্রিম কোনও পদ্ধতির।

    কেন কমে যায় শুক্রাণু? গবেষকদের মতে, স্পার্মের সংখ্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক নিবিড়। কিছু কু-অভ্যাসের ফলেই কমে যায় পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা। যদিও কোনও পুরুষই বুঝতে পারেন না, কেন কমছে তাঁর শুক্রাণুর সংখ্যা।

    আরও পড়ুন : শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না কোনও পুরুষ। তখন ওই দম্পতিকে ছুটতে হয় প্রজননবিদদের কাছে। চিকিৎসা করাতে ইনফার্টিলিটির। প্রয়োজনে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের সাহায্যও নিতে হয় তাঁদের। এতে খরচ হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। অথচ একটু সচেতন হলেই আটকানো যায় লো স্পার্ম কাউন্টের সমস্যা।

    বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণভাবে প্রতি মিলিলিটার সিমেনে স্পার্ম থাকা উচিত এক কোটি ৫০ লক্ষ। যত বেশি সুস্থ শুক্রাণু থাকবে, তত বেশি মাত্রায় ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্ভাবনাও বাড়বে। শুধু তাই নয়, স্পার্মের সচলতাও স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কারণে কমে যায় স্পার্মের সংখ্যা।

    শরীর চর্চায় অনীহা: আমরা জানি নিয়মিত শরীর চর্চা করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উন্নতি হয় প্রজনন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের।

    ধূমপান: তামাক সেবন ও ধূমপান যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, তা আমরা জানি। তবে এই দুই ক্ষতিকারণ অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। স্পার্মের স্বাস্থ্যহানিও ঘটায় এই দুই কু-অভ্যাস। দুর্বল স্পার্ম কখনওই ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে না। লো স্পার্ম কাউন্টের সমস্যা কমাতে এখনও ছেড়ে দিন তামাক সেবন ও ধূমপান।  

    আরও পড়ুন : নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    স্বাস্থ্যকর খাবার: প্রচুর পরিমাণে তেল-মশলা দেওয়া খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার, সফট ড্রিংক পানও কমিয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যা। সমস্যা এড়াতে বিশেষজ্ঞরা সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন। পাতে রাখতে হবে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার। গবেষকদের মতে, আটা দিয়ে তৈরি খাবার, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, রঙিন শাকসবজি খেলে স্পার্ম কাউন্ট বাড়ে।      

    স্ট্রেস: অতিরিক্ত মানসিক চাপও কমিয়ে দিতে পারে স্পার্ম কাউন্ট। সব সময় নেতিবাচক চিন্তাভাবনাও কমিয়ে দিতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। স্ট্রেস কমাতে যোগসন, ধ্যান করা জরুরি। তাহলেও বাড়বে শুক্রাণুর সংখ্যা।

     

  • Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    Alcohol Consumption: বয়স ৪০-এর নীচে? সাবধান! মদ্যপানে হতে পারে বেশি ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপান করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু একটি গবেষণায় বলা হয়েছে,  ৪০-এর বেশি বয়সের ব্যক্তিদের তুলনায় ৪০-এর নীচে বয়সের ব্যক্তিদের জন্যে মদ বেশি ক্ষতিকারক। যাঁরা ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের এই তথ্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। তবে তা একেবারেই নয়। তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি হলেও, অতিরিক্ত মদ্যপানে ক্ষতি হয়, তা যে বয়সই হোন না কেন। যদিও, অনেক গবেষণা বলছে, অল্প পরিমাণ মদ্যপানে ক্ষতি খুব একটা হয় না।

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল খাওয়ার বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। আবার রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের জন্য মদ্যপান কিছুটা উপকারী হতে পারে। তবে এর নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। পরিমিত মদ খেলেই একমাত্র উপকার পাওয়া যেতে পারে। মদ খেলে ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এটি পৃথিবীর সমস্ত জায়গারই ৪০-এর কম বয়সি ব্যক্তিদের জন্যে প্রযোজ্য যে, ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মদ উপকার করে থাকলেও, এর কম বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক।

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, মদ খেয়ে কোনও দুর্ঘটনা যেমন- গাড়ির দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা এই বয়সি মানুষের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সুতরাং এককথায় এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, তরুণদের মদ খাওয়া উচিত নয় কিন্তু ৪০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিরা মদ স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন ও এটি তাঁদের শরীরে উপকারী হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অ্যালকোহল পরীক্ষায় ফেল! সাসপেন্ড একাধিক এয়ারলাইন্সের ৯ পাইলট ও ৩২ ক্রু 

     

     

     

LinkedIn
Share