Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Good Health During Monsoon: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    Good Health During Monsoon: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় সর্দি-জ্বর-কাশি, ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া,বমির মতো বিভিন্ন জলবাহিত রোগও দেখা যায়। বদহজম,গ্যাস-অম্বলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত বেশি হয়। তাই এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে বা উপযুক্ত খাবার খেলে শরীর সুস্থ রাখা যায়। জেনে নিন বর্ষায় সুস্থ থাকার পাঁচ দাওয়াই:

    ১) জল ফুটিয়ে খান। ফিল্টারের জল হলেও খাওয়ার আগে এক বার গরম করে নিন। ফুটিয়ে নিলে জলে থাকা সব জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা আর থাকবে না।

    ২) বর্ষায় তিতকুটে বা হালকা ঝাঁঝ আছে এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। করলা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। তাই এই সময় উচ্ছে, করলা খান। খেতে ভাল না হলেও আপনি এর উপকারিতা উপেক্ষা করতে পারবেন না। বর্ষাকালে যেখানে রোগের ঝুঁকি বাড়ে সেখানে করলা খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। হালকা ঝাঁঝ রয়েছে এমন খাবার হল রসুন। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। রান্নায় রসুন ব্যবহার করুন। পুরো পরিবারের জন্য রসুনের চাটনি তৈরি করতে পারেন।

    ৩)ভাজাপোড়া নয় সবজি খান। বিশেষত আলু, পটল, কচু এসব বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কুমড়ো, উচ্ছে বা করলা, ঝিঙে, লাউ ইত্যাদি খাবার তালিকায় রাখুন। এর সঙ্গে গোলমরিচ, তুলসি, পুদিনা, নিম ইত্যাদিও খেলে শরীর থাকবে তরতাজা। বিভিন্ন পেটের রোগ ও অনান্য সমস্যা দূর করতে এসব খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, কাঁচা অবস্থায় কোনও সব্জি বা খাবার খাবেন না। পুরোপুরি সেদ্ধ হলে তার পরেই খান।

    আরও পড়ুন: অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো

    ৪) হজমশক্তি বাড়ায় এমন মশলা যেমন আদা, রসুন, জিরা, ধনে, হলুদ এগুলো রান্নায় বেশি ব্যবহার করুন। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাতে কোনও সন্দেহ নেই। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ-হলুদ খেতে পারেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।

    ৫) সামুদ্রিক খাবার এই বর্ষায় বেশি না খাওয়াই ভাল। চিংড়ি, কাঁকড়া এড়িয়ে চলা ভাল। এগুলো হজম করা কষ্টকর। এতে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

  • Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই রোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সারাজীবন ছাড়ে না। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় বা শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা যতটা ইনসুলিন তৈরি হয় তা ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না। টাইপ ১ ও টাইপ ২ এই দুধরণের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। ঝাপসা দৃষ্টি, গ্লুকোমা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি, ক্লান্তি, ঘন ঘন মাথাব্যথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ। তবে আরও অনেক রকমের ডায়াবেটিসের ধরণ দেখা যায়। আর সেই ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় ও পায়ের এই লক্ষণগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    পায়ে ব্যথা, অসাড়তা- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে পা, পায়ের পাতায়, হাতে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ডায়াবেটিসে সাধারণত পায়ের নার্ভগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

    ফুট আলসার- ডায়াবেটিক আলসার হলে আক্রান্ত স্থানের চামড়া পুরু হয়ে লাল গর্তের মতো সৃষ্টি হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে এই গর্ত গভীর হয় ও হাড় পর্যন্ত ক্ষত পৌঁছে যায়। তখন যন্ত্রণার কারণে পা ফুলে যায় ও প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

    অ্যাথলেটস ফুট- এই ক্ষেত্রে পায়ে চুলকানি, পা লাল হয়ে যাওয়া, পা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায়।

    ফাঙ্গাল ইনফেকশন- ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রায়ই দেখা যায়। এর ফলে নখের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, নখ পাতলা হয়ে যায় ও সহজেই ভেঙে যায়।

    গ্যাংগ্রিন- গ্যাংগ্রিন বলতে বোঝায় আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে শরীরের কোনো অংশে টিস্যুর মৃত্যু। যেখানেই রক্ত সরবরাহ হতে পারে না সেখানেই গ্যাংগ্রিন হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? এই ভেষজ খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা 

     

     

  • Healthy Diet Tips: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    Healthy Diet Tips: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবসময়ই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে? আরও বিশেষ করে ডায়েটের সময় তো খিদে খিদে ভাব লেগেই থাকে। তাই তো! এর ফলে অনেকের মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে, আর এমন সময়ে যা সামনে পড়ে তা-ই খেতে শুরু করা, সারাক্ষণ তেলে ভাজা বা শর্করা-জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করলেই তখনই নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এতে একদিকে যেমন ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে নানা রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    তবে কি খিদে লাগলে না খেয়ে থাকবেন? অবশ্যই না। খেতে ইচ্ছে করলে এমন কিছু খান, যা শরীরের জন্য ভালো হবে। আবার তা আপনার জন্য ক্ষতিকরও হবে না। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, এমন সময়ে কী কী খাবার খাবেন তা জেনে নিন।

    আমন্ড বাদাম

    আমন্ডকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। এই বাদাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম, উপকারী ফ্যাট, প্রোটিন ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ। ফলে আমন্ড যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী তেমনই খিদে পেলে এটি খেলে খিদেও কমে যায়।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    নারকেল

    পুষ্টিবিদদরা জানিয়েছেন, নারকেল দেহের ফ্যাট দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নারকেল খেলে খিদেও কমে ও এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

    স্প্রাউট

    ছোলার স্প্রাউট বা অঙ্কুর প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে হজম হতে সময় লাগে। ফলে খুব সহজে খিদে পায় না।

    বাটারমিল্ক

    প্রোবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ খাবার হল বাটারমিল্ক। এছাড়াও এটি প্রোটিন, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ তাই এটি খিদে কমানোর পাশাপাশি সারাদিন শরীরকে হাইড্রেটেড ও এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করে।

    তিসি বীজের সঙ্গে ভেজিটেবিল জুস

    ভেজিটেবিল জুস ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আর তিসি বীজ স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ। এই জুসের সঙ্গে তিসি বীজ মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় ও খিদেও কম পায়। 

     

  • Ayurveda Detox Tips: আয়ুর্বেদিক উপায়ে শরীরকে ডিটক্স করে তুলবেন কীভাবে?

    Ayurveda Detox Tips: আয়ুর্বেদিক উপায়ে শরীরকে ডিটক্স করে তুলবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরকে ডিটক্স করার কথা সমস্ত ডায়েটেসিয়ানরাই বলে থাকেন। তবে অনেকেই ডিটক্সের আসল অর্থ জানেন না। আমাদের শরীরে অনবরত টক্সিক পদার্থ বা বিষাক্ত পদার্থ খাবার, পানীয়, শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করে। আর এই বিষাক্ত পদার্থকে শরীর থেকে বের করে দেওয়া মানেই শরীরকে ডিটক্স করা। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা প্রয়োজন। অর্থাৎ, শরীরকে ডিটক্স করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা থেকে বড়সড় রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের ত্বকের, অন্ত্রের, ফুসফুসের, কিডনির এবং লিভারের থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলেই শরীরে এই ডিটক্সিফিকেশন হয়।  আয়ুর্বেদের কিছু টোটকা মেনে চললেই শরীরকে ডিটক্স করা খুব সহজ।

    শরীরকে ডিটক্স করার জন্য আমাদের সবসময় খাবার ও পানীয়ের প্রতি বেশি নজর রাখা উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার জন্য ফাইবার, ভিটামিন সি, সালফার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক এবং হাইড্রেটিং সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। কিডনি থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে হাইড্রেট থাকাও জরুরি। কিছু খাবার যেমন- সেলেরি, ডাবের জল, তরমুজ ইত্যাদি কিডনির জন্য উপকারী।

    আরও পড়ুন: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

    আবার কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের ফলেও শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হয়। এতে ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে উপোস বা ইন্টারমিটেন্ট উপোস করলেও শরীরের জন্য ভালো। তবে উপোস করলে সঠিক নিয়ম মেনে করতে হবে। আবার যোগব্যায়ামও শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং প্রাণায়াম ফুসফুসকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এগুলোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদে কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন সহজ হয়।

    • সন্ধ্যা ৭টার আগে রাতের খাবার খেতে হবে। ঘুমনোর ৪-৫ ঘণ্টা আগে ডিনার করা জরুরি। এতে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।
    • সকালে খালি পেটে সবজি বা ফলের রস খান। শসা, করলা বা লাউয়ের ডিটক্স জুস খাওয়া বেশি উপকারি। এগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
    • সপ্তাহে একবার লিক্যুইড ডায়েট মেনে চলুন। তরল খাবার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, ওজন কমায় এবং হজমশক্তিকে উন্নত করে। পাশাপাশি এটি ক্যালোরির বদলে পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লিক্যুইড ডায়েট করা উচিত।

      

  • Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এতদিন কোভিডের টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ব্যবহার করা হত। করোনা (Corona) প্রতিষেধক হিসেবে বুস্টার ডোজেও অনুমোদন পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড। এবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের সঙ্গে অনুমোদন পেল কর্বেভ্যাক্সও (Corbevax)। দেশে এই প্রথম বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে কর্বেভ্যাক্সকে। এই টিকা এতদিন প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই প্রথমবার যে, করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রথম ভ্যাকসিন থেকে অন্য ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর থেকে কর্বেভ্যাক্সকে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই কর্বেভ্যাক্স (Biological E’s Corbevax) ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যেসব ব্যক্তিরা কোভিড ভ্যাক্সিনে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা এখন থেকে তৃতীয় ডোজে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের

    জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (NTAGI) সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাস বা ২৬ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর কর্বেভ্যাক্স সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে।

    সূত্রের খবর, এই কর্বেভ্যাক্স হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি আরবিডি প্রোটিন সাবুনিট ভ্যাকসিন যা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি ডাবল ব্লাইন্ড ব়্যান্ডমাইজড ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল স্টাডি থেকে তথ্য নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, করোনার সতর্কতামূলক বুস্টার ডোজ হিসেবে এই কর্বেভ্যাক্স মানব শরীরে ইমিউনিটি গড়ে তুলতে পারছে। এমনকি অ্যান্টিবডি গঠনেও সাহায্য করছে। ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি স্বেচ্ছাসেবক যাঁরা আগে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের শরীর এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হয়, এর ফলে তাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (Drugs Controller General of India) বা ডিজিসিআই কর্বেভ্যাক্সকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ্য ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড ১৯ টিকার প্রফিল্যাকটিক ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

     

     

  • Suicide and Mental Health: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, কী করে প্রতিহত করবেন? 

    Suicide and Mental Health: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, কী করে প্রতিহত করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গত বছরের চেয়ে ৬.১% বেড়েছে আত্মহত্যার হার! সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB Report)। ভারতে ২০২১ সালে আত্মহত্যার (Suicide) হার এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যানের নিরিখে সব চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে তারা। এই নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ।  

    করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, কিছুদিন আগে এমনই তথ্য সামনে এসেছিল। এনসিআরবির তথ্য যেন উল্টো পুরাণ।

    আরও পড়ুন: মাছ-মাংস-ডিমের চেয়েও বেশি উপকারী সয়াবিন, জানেন কেন?  

    তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, মূলত ছাত্র এবং ছোট ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে আত্মহত্যার জন্যে অতিমারীকেই দায়ী করা হয়েছিল। কিছু এখন সেই সমস্যাও নেই। তাও আত্মহত্যার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বাড়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

    আত্মহত্যাকে প্রতিহত করা সম্ভব। আত্মহত্যার চিন্তাকে প্রতিহত করার মধ্যে দিয়ে আত্মহত্যাকে আটকানো করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    কী করে প্রতিহত করবেন আত্মহত্যা?

    সমস্যাকে চিহ্নিত করুন: কোন বিষয়টিতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে তা চিহ্নিত করা ভীষণ জরুরী। আগে সমস্যা খুঁজে বের করুন।

    চিকিৎসা করান: আপনার শরীরের মতো মনেরও অসুখ হয়। চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 

    নিজের জবাব দিন: নিজের যত্ন নিন। শরীর এবং মনের খেয়াল রাখুন। ভালো খাবার খান, রোজ ব্যায়াম করুন, প্রয়োজন মতো ঘুমোন এবং নেশার অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসুন।

    সময়ে ওষুধ খান: চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। সময় মতো ওষুধ খান। ওষুধ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, তা থামিয়ে না দিয়ে চিকিৎসককে জানান। 

    নিয়ম মেনে চলুন: জীবনের নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখুন। রোজ সকালে উঠুন, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান এবং নিয়ম মেনে সারা দিনের কাজ করুন।

    মানুষের সঙ্গে মিশুন: সবার সঙ্গে মিশুন, গল্প করুন, আড্ডা দিন। যতটা সম্ভব একা থাকা এড়িয়ে চলুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Covid 19: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    Covid 19: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশজুড়ে ১৬,১৬৭ জন করোনায় (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। হঠাতই নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। সাতটি রাজ্যকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দিল্লি, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু- এই সাতটি রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে দেশে পর পর বেশ কয়েকটি উৎসব আসতে চলেছে। তার আগে রাজ্যগুলিকে সাবধান থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    আরও পড়ুন: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    ৬ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশের সাপ্তাহিক মোট করোনা সংক্রমণের ৮.২% দিল্লিতে হচ্ছে। ৫ অগাস্টও ১.৮৬ গুণ বেড়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। 

    কোভিডের নতুন করে এই বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত চিকিৎসকরা। পরীক্ষা এবং কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিড়ের মধ্যে গেলে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কোভিড পরীক্ষাও করতে হবে। 

    চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যখনই কোনও উপসর্গ (Symptoms) চোখে পড়বে তখনই আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে নিন। এবং নিজেকে আইসোলেটেড করে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    সরকারি নির্দেশিকায় সম্প্রতি কোভিডের ১৩টি উপসর্গের কথা বলা হয়েছে।

    কী কী সেই উপসর্গগুলি?

    • জ্বর
    • শ্বাসকষ্ট
    • কাশি
    • বুকে চাপ অনুভব করা
    • সর্দি
    • মাথা ব্যথা
    • অস্বস্থি
    • নিউমোনিয়া
    • কিডনি ফেইলিওর
    • স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া
    • শ্বাস নিতে অসুবিধে
    • অক্সিজেন স্যাচুরেশন নীচে নেমে যাওয়া
    • শরীরে ব্যথা  

    করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওপরের দিকে উঠলেও তাতে এখনই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট ডাঃ নিখিল মোদি বলেছেন, “করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এটা ঠিক, কিন্তু উপসর্গ মৃদু। একদিন আগেই দিল্লিতে ২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms) রয়েছে।”

    যাদের কোমর্বিলিটি রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে ডাঃ মোদি বলেন, “৮০-৯০ বছরের রোগীরা, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদেরও অত্যন্ত মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে।” 

  • HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ। সম্প্রতি স্থানীয় পার্লার থেকে ট্যাটু করার পরে ১৪ জনের শরীরে এইচআইভির হদিশ মিলেছে। উত্তরপ্রদেশের বারানসীতে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী খরচ বাঁচানোর জন্যে একই সূচ ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই ট্যাটু করার আগে সবাইকে খেয়াল করতে হবে যে নতুন সূচ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    এইচআইভি এক অন্যতম মারণ ভাইরাস। এর পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাস থেকেই জন্ম দেয় এইডস (AIDS) রোগ। এইচআইভি মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর আঘাত করে। সময়মত চিকিৎসা না হলে এই ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের টি সেল কমে যায়। এই টি সেলই রোগের সঙ্গে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিশ্চিন্তে বাসা বাঁধে শরীরের আনাচে কানাচে। 

    পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলির মধ্যে এটি একটি। এবং এই রোগের এখনও অবধি কোনও চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ থেকে কী করে নিজেকে দূরে রাখা যায়, সেদিকে নজর রাখাই সব থেকে জরুরী। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    কী ভাবে দূরে থাকবেন এইচআইভি থেকে?  

    ১। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ছড়ায় এই রোগ। তাই শারীরিক সম্পর্কের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। শারীরিক সম্পর্কের আগে নিজের এবং সঙ্গীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে নিন। কন্ডোমের ব্যবহার সেক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন। 

    ২। রক্তের মাধ্যমেও দ্রুত ছড়ায় এই রোগ। যদি রক্ত দেওয়া বা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতা দুজনকেই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষা না করে রক্ত নেওয়া যাবে না। এছাড়া একই সূচের ব্যবহারেও এই রোগ ছড়ায়। সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সূচ, ব্লেড একাধিক ব্যক্তির শরীরে ঠেকানো যাবে না। নতুন সূচ বা ব্লেড ব্যবহার করতে হবে। 

    ৩। মায়ের থেকে সন্তানের শরীরেও ছড়ায় এইচআইভি। তাই যে মায়েরা এই রোগে আক্রান্ত তাঁরা শিশুকে স্তন্যপান করাবেন না। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

    ৪। বডিলি ফ্লুইডের মাধ্যমেও ছড়ায় এই রোগ। তাই সতর্ক থাকুন। মাঝে মাঝেই এই রোগের পরীক্ষা করান। তাহলেই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। 

  • ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। কোভিড-১৯ (Covid-19) এখনও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যাও সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে ফের নয়া প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে চিনে। এই ভাইরাসের নাম হল ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus), যাকে LayV ও বলা হচ্ছে। চিনের হেনান ও শানডং প্রদেশে ৩৫ জনের শরীরে এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সোমবার এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। মূলত মানবদেহের গলায় এই ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে তিন-চতুর্থাংশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই ভাইরাসটি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যাংয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেনি কারও। বেশিরভাগ রোগীরই উপসর্গ মৃদু। রোগীদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল যে, এখনও এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য কোনও টিকা বের হয়নি। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসার কোনও পদ্ধতিও নেই।

    আরও পড়ুন:মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    কী এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস?

    ল্যাংয়া ভাইরাস বা LayV হল নিপা ভাইরাসেরই (Nipah Virus) আরও একটি অংশ। এই ভাইরাসও খানিকটা নিপা ভাইরাসের মতোই। হেনিপাভাইরাস বেশিরভাগই প্রাণী থেকে প্রাণীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সম্প্রতি এটি মানুষের মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রামক কি না, অর্থাৎ, এটি একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চিনা গবেষকরা। যদিও এখনও অবধি কোনও সংক্রমণই গুরুতর হয়নি।

    ল্যাংয়া ভাইরাসের লক্ষণ

    এই ভাইরাস সাধারণত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। বেজিং ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তাছাড়া কাশি, ক্লান্তি, পেশীতে ব্যথা, বমির মতো উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ল্যাংয়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এই ভাইরাসে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা এই বছর লক্ষ্য করা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিপা ভাইরাস করোনার থেকেও বেশি মারাত্মক। কারণ আক্রান্তদের তিন-চতুর্থাংশ প্রাণ হারান। তাই এই ল্যাংয়া ভাইরাসও নিপাহ ভাইরাসের পরিবারের সদস্য হওয়ায় এটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চিনা গবেষকরা জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২% ছাগল এবং ৫% কুকুর এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে।

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেই লিভারের অসুখ হল “হেপাটাইটিস”। মূলত লিভারের প্রদাহ। লিভারের প্রদাহ দেখা দিলে, একটা সময় ক্ষতর সৃষ্টি হয় এবং লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, টক্সিন, ওষুধ এইসব হেপাটাটাইটিসের কারণ হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণেও হেপাটাইটিস হতে পারে। তবে, হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হল ভাইরাল সংক্রমণ। ভারতে সবথেকে বেশী যে ভাইরাল হেপাটাইটিস (Viral Hepatitis) দেখা যায়, সেগুলি হল, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি ও হেপাটাইটিস ই।  

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? 

    ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।  

    এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?

    • ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গগুলি (Symptoms) অনেকটাই ফ্লুয়ের মতো। 
    • এছাড়াও রয়েছে ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের প্রস্রাব, জ্বর, বমি ও জণ্ডিসের (ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় ) মতো উপসর্গ। 
    • তবে, এই ভাইরাসগুলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না এবং অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় না। 
    • বিরল ক্ষেত্রে, তীব্র ভাইরাস হেপাটাইটিসের ফলে লিভারের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে লিভারের কার্যকারিতার চরম অবনতি ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    শারীরিক সম্পর্কে কী হেপাটাইটিস ছড়ায়?

    সবচেয়ে বেশি যে সংক্রমণ ছড়ায় তা হল হেপাটাইটিস এ। এই হেপাটাইটিস এ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। স্পর্শে সবসময় হেপাটাইটিস না ছড়ালেও বডি ফ্লুইডের আদানপ্রদানে ছড়াতে পারে এই রোগ। যারা ড্রাগ নেন, একই সূচের ব্যবহারে তাঁদের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ। 

     

LinkedIn
Share