Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে। যদিও ভারতে (India) এখনও থাবা বসাতে পারেনি এই বিরল ভাইরাল রোগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মতো ছোঁয়াচে নয় এই রোগ। তাই গোটা বিশ্বের এই রোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।

    কোভিড (Covid-19) কার্যকরী কমিটি এনটাগি-র (NTAGI) চেয়ারপার্সন ডাঃ এনকে আরোরা এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই রোগ তা চিন্তার বিষয়। যদিও ভারতে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না সেদিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। ডাঃ আরোরা বলেন, “কোভিড ১৯- এর মতো এই রোগের ওপর নজরদারি চালাতেও বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্য কোনও রোগ আছে তাদের জন্যে মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে এই রোগ।” 

    মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে এমন কোনও দেশ থেকে ভারতে আসছেন যাঁঁরা, তাঁদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আরোরা। তিনি বলেন, “মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এমন দেশ থেকে যাঁরা এদেশে আসছেন তাঁদের বিষয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে।” 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ধীরে ধীরে ‘কোভিড’ নামের অভিশাপ থেকে সেরে উঠছে বিশ্ব। তার মধ্যেই আবার এক নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বাড়ছে।

    সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে। মাঙ্কিপক্সের প্রথম কেসটি ধরা পড়েছিল ৭ মে। লন্ডনে এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই কেসটি ধরা পড়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রোগের আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই রোগ আফ্রিকায় দেখা গেলেও তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ফের করোনার মতোই ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে। 

     

  • Covid-19: বদ্ধ ঘরেই বেশি ছড়ায় করোনা, বলছে গবেষণা

    Covid-19: বদ্ধ ঘরেই বেশি ছড়ায় করোনা, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, করোনাভাইরাস নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা চালিয়েছেন ভারতের একদল বিজ্ঞানী। ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অফ অ্যারোজল সায়েন্স’ পত্রিকায়। তাতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে করোনা (SARS CoV-2) বায়ুবাহিত (Airborne) রোগ। 

    গবেষকদের মতে, হাসপাতালের জেনারাল বেড, আইসিইউ বা হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর ঘরের বায়ুর নমুনা সংগ্রহ করে গবেষকরা দেখেছেন করোনা রোগীর পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় কোভিড ১৯ (covid 19) ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট স্থানে করোনা রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে বায়ুতে করোনা ভাইরাসের পরিমাণও ততই বাড়ছে।

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড রোগীর আশেপাশের বায়ুমণ্ডলে করোনা ভাইরাসের পরিমাণ এতই বেশি থাকে যে খুব সহজেই সুস্থ মানুষ তাতে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি, অনেক দূর থেকেও আক্রমণ করতে পারে এই মারণ ভাইরাস। তাই করোনা রোগীর সামনে সবসময় মাস্ক পরার পরামর্শই দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। 

    গবেষকদের মধ্যে অন্যতম ডাঃ শিবরঞ্জনী মোহারির বলেন, “আমাদের গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে করোনা ভাইরাস হাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে। বিশেষ করে বদ্ধ জায়গায় ভাইরাসটির বেঁচে থাকার প্রবণতা বেশি। আমরা দেখেছি দুই বা তার বেশি করোনা রোগী একটি ঘরে থাকলে হাওয়ায় ৭৫% অবধি করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু একজন রোগী থাকলে সেই পরিমাণ অনেকটাই কম, ১৫.৮%।”

    গবেষক দলের আরেক সদস্য ডাঃ রেকেশ মিশ্র বলেন, যেহেতু আমরা আবার পুরনো জীবনে ফিরে যাচ্ছি। সব কাজই আবার অফলাইনে হওয়া শুরু হয়েছে, তাই এখন বাতাসের ওপর নজরদারি চালানো খুব গুরুত্বপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এর ফলে সংক্রমণে রাশ টানা যাবে।

     

     

  • Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি গরমেই ফের এক বার গোটা বিশ্ব করোনার ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইজরায়েলের (Israel) বেন-গুরিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ben-Gurion University) গবেষকেরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ (Science of The Total Environment) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি। তাতে বেন-গুরিয়েনের ভাইরোলজির (Virology) একদল গবেষক বলেছেন, সাধারণত ভাইরাসের কোনও প্রজাতি যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তা পূর্ববর্তী প্রজাতিকে ধ্বংস করেই নিজের বিস্তার ঘটায়। ডেল্টার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুতে ইজরায়েলের বির-শিবা শহরের নিকাশির জলে পাওয়া করোনাভাইরাসের নমুনায় দেখা গিয়েছে, সেখানে ওমিক্রনের পাশাপাশি রয়েছে ডেল্টা প্রজাতিও। নিজেদের মডেল অনুযায়ী গবেষকদের অনুমান, ওমিক্রনের উপস্থিতি কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত মুছে যাবে। কিন্তু তখনও ডেল্টা প্রজাতি নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখবে। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে ডেল্টার হানায় নতুন করে বড় মাপের সংক্রমণের শিকার হতে পারে অনেক দেশই।

    এই মডেলিং স্টাডিতে বলা হয়েছে যে গরমের কারণে ওমিক্রনের (Omicron) সমস্যা হয়তো কমতে পারে। কিন্তু ডেল্টা বা অন্যান্য নতুন কোনও স্ট্রেন এক্ষেত্রে তৈরি করে দিতে পারে সমস্যা। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একটা নতুন স্ট্রেন আসলে পুরনো স্ট্রেন ধ্বংস হয়ে যায়। ডেল্টার (Delta) ক্ষেত্রে প্রথমে তাই হয়েছিল মনে হলেও পরে দেখা যায় তা সত্যি নয়। এমনকী ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি আসার পরও ঘটনা ঘটেছে অন্যরকম। এই গবেষণায় বিভিন্ন দিক দেখা হয়েছে। এমনকী মডেলিং-এর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে যে সমস্যা হতে পারে ঠিক কোন ভাইরাসের জন্য। এবার সেই গবেষণায় বলা হচ্ছে, যখন ডেল্টা এসেছিল, তখন আগের সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের পাঠ চুকে যায়। অপরদিকে ওমিক্রন (Omicron) কিন্তু ডেল্টার দিকে এই কাজটা করতে পারেনি। তাই এবার গরমেও ডেল্টার বাড়াবাড়ি হতেই পারে।

    তাই এখনই করোনার প্রকোপ কনতে পারে বা এটি স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশির রূপ নেবে ভাবলে ভুল করবে সাধারণ মানুষ, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। দেশেও প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তাই সকলকে সতর্ক থাকার আবেদন জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তরফে কোভিড-বিধি মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে।

    কোভিশিল্ড টিকার নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা মনে করছেন, করোনা নিয়ে ভীতি অনেকটা কমে যাওয়ার জন্য বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারও মেনে নিয়েছে যে, প্রথম দু’টি ডোজের টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, সতর্কতামূলক (বুস্টার) ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। এই প্রসঙ্গে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে এত দ্রুত আত্মতুষ্টিতে ভোগা উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে, অতিমারি এখনও শেষ হয়নি। তাই বছরে অন্তত একটি বুস্টার নেওয়া উচিত প্রত্যেকের।’’ পুনাওয়ালার দাবি, দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে বুস্টার ডোজ অনেক বেশি কার্যকর।

  • Antiviral Drug on Monkeypox: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা 

    Antiviral Drug on Monkeypox: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিরল ভাইরাল রোগ নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। রোগটির নাম মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। রোগটি নতুন না হলেও এই রোগ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। এর আগেও বহুবার আফ্রিকায় এই রোগের হদিশ মিলেছে। কিন্তু তা কখনও বাইরের কোনও দেশে ছড়ায়নি। সম্প্রতি আফ্রিকার বাইরেও ইউরোপ, আমেরিকায় এই রোগের আক্রান্তদের খোঁজ মেলায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। এই রোগই পরবর্তী মহামারী ডেকে আনবে কী? রোগের চিকিৎসাই বা কী? কতোটা বিপদ ডেকে আনবে এই বিরল রোগ? এই প্রশ্ন নিয়েই আতঙ্কিত বিশ্ব। 

    চিন্তা একটু হলেও কমবে। কারণ অ্যান্টিভাইরাল (Antiviral) ওষুধে মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, জানাচ্ছে গবেষণা। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সাতজনের ওপর গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায়। এই গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আছে যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করা সম্ভব। এমনকি এই ওষুধগুলির প্রয়োগে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন রোগীরা বলেও দাবি করছেন গবেষকরা। এই রোগের ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে রোগীদের ওপর ওই গবেষণায়। ওষুধদুটি হল,  ব্রিনসিডোফোভির এবং টেকোভিরিমাট।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?  
     
    গবেষণায় ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধটির কার্যকারীতা সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হতে পেরেছেন গবেষকরা। কিন্তু অপর ওষুধটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও খানিকটা গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।   

    আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেই ছড়াচ্ছে এই রোগ বলেই প্রাথমিক পর্যায়ে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এমন অনেক আক্রান্তরই হদিশ মিলেছে যারা অন্য কোথাও ভ্রমণেও যাননি বা আক্রান্তদের সংস্পর্শেও আসেননি। তাঁরা কীভাবে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়টিই এখন খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রোগটি মূলত এসেছে আফ্রিকা থেকে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ওই অঞ্চলে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন।

    এবার টমেটো ফ্লু, নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা

    এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর ও গোটা শরীরে ব্যাথার লক্ষণ। কাঁপুনি ও ক্লান্তিও দেখা দিতে পারে। শরীরে র‍্যাশ দেখা যায় এই রোগে। ত্বকের সংস্পর্শে এলে এবং যৌন মিলনে এই রোগ ছড়াতে পারে। 

    আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মল পক্সের টিকার মাধ্যমেও এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। 

     

  • Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে সবারই কোনও না কোনও সমস্যা দেখা যায়। একদিকে যেমন শারীরিক ক্লান্তি থেকে শুরু করে শক্তির অভাব, মাথা ব্যথা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তেমনি অ্যাসিডিটি বা বদহজম প্রায়ই অস্বস্তি তৈরি করে। গরমকালে খাবার হজম করা খুবই কঠিন, ফলে হজমের গোলমাল বেশিই দেখা যায়।

    ছোটবেলায় আপনার যখন হজমের সমস্যা দেখা যেত, মনে করে দেখুন তো, আপনার মা দ্রুত স্বস্তির জন্য কী কী করতেন। সাধারণত খাবারে দই-ভাত, খিচুড়ি খেতে দিতেন। আপেল, কলা কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা নিয়ে বলতেন। সম্ভবত ঠাকুরমা কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিতেন। সেইসঙ্গে বাবাও ফাস্টফুড না খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

    এবারে জেনে নেওয়া যাক আপনার খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার থাকলে বদহজম থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হচ্ছে যা আপনার গ্যাসের সমস্যা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্য়াসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সবরকমের সমস্যা দূর করে সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করবে।

    ১) যেসব ফলে কম পরিমাণ ফ্রুক্টোজ রয়েছে সেসব ফল খাওয়া উচিত। যেমন- আঙুর, আপেল, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। কারণ কম ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফল গ্যাস, স্ফীতভাবের সমস্যার প্রবণতাকে কম করে। বেশি ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফলগুলি হল- আম, তরমুজ, চেরি, কলা ইত্যাদি।

    ২) উপযুক্ত পরিমাণে শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে- দিনে তিনবার শস্যজাতীয় খাবার খেলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। 

    ৩) বেশি করে সবুজ শাকসবজি যেমন- পালং শাক,বাঁধাকপি খাওয়া উচিত। এই ধরণের শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখতে উপকারি ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াগুলি কীভাবে কাজ করবে তা আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে।

    ৪) খাদ্যে প্রোবায়োটিক যা কার্যকরী খাদ্য নামে পরিচিত সেগুলি বৃহদান্ত্রের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক খাবার যেমন- দই, চিজ ইত্যাদি। 

    দই- বাড়িতে তৈরি দই, বাটারমিল্ক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    কেফির – কেফিরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী।
     
    চিজ-খাদ্যতালিকায় চিজ রাখা উচিত কারণ এর প্রোবায়োটিক শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

    ৫) শেষে যার কথা না বললেই নয়, তা হল জল। জল ছাড়া সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয়। জল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।  তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ৬-৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত।

    এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো উচিত। পুষ্টিকর খাদ্য় খাওয়া উচিত। সঙ্গে ব্যায়ামও করা উচিত। আবার সময়মত ডাক্তারের পরামর্শও নেওয়া উচিত।

     

  • Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবার বাড়ল কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন দু’হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৪৭ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। দিল্লিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

    সংক্রমণের জেরেই আবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মাস্ক। বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হল এই কথা। বলা হল, আবার মাস্ক পরতেই হবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল দিল্লিতে। এভাবেই আপাতত চতুর্থ ঢেউ আটকানোর কথা ভাবছে সরকার। তার সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণেও।

    তবে এর মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল কি আবার বন্ধ হবে?

    এখনই তার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই বলা হয়েছে। স্কুল খোলাই থাকবে। ক্লাসও হবে নিয়ম করে। আগামী সময়ে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে রাস্তায় বেরোতে গেলে তো বটেই স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেও পরে থাকতে হবে মাস্ক। নতুবা জরিমানা দিতে হবে। মাস্ক না পরা অবস্থায় কাউকে দেখা গেলেই ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

    ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই, দেশের পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এই রাজ্যগুলি থেকেই ভারতের মোট কেসলোড এবং উচ্চ হারে সংক্রমণের খবর আসছে। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণের বিস্তারের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার এবং কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মের উপর বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    রাজ্যগুলিকে কোভিডের টিকাকরণের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে।  ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভূষণ আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনও বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্বেগজনক ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষনিক ফলোআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি । উদ্বেগ বেড়েছে কেরলকে নিয়েও। কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। সে রাজ্যে এক দিনে ৪৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

  • Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এবার একটি গ্লোবাল কনসালটেন্সি ( global consultancy)সংস্থার হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ই ওয়াই (আর্নাস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ্গ) নামে ওই সংস্থা এই প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে এই প্রকপ্লের পরিমার্জন সম্ভব তা-ও জানাবে তারা। 
    স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির (private hospital)বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব (health secretery)। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্য পড়ে নাভিশ্বাস উঠছিল রোগী এবং তার পরিবারের।  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ। 
    স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi scheme )কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়, বলে দাবি করে বহু রোগীর পরিবার। অনেকে আবার তা-ও পায় না। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই দিন কেটে যায়। হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়,  এই প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গ চুক্তি অনুযায়ী, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা থাকে তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সবসময় বেড (beds at hospital) পাওয়া যায় না। 
     জনসাধারণের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কোনও রোগের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়,  করোনা পরিস্থিতির পরে চিকিৎসার খরচ অনেকাংশে বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। না হলে, বর্তমান চিকিৎসার খরচে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৩ বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচের পুনর্মূল্যায়ন করেছিল রাজ্য সরকার। ১৫ মাস আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন ফের খরচের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

      

     

  • Vitamin C: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    Vitamin C: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিটামিন সি Vitamin C) আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। পুষ্টির অভাব, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ নানা কারণে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ডায়েটে রাখা উচিত। কারণ ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের যত্নেও এর জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    অনেকে আবার করোনা (Corona) আবহের থেকে ভিটামিন সি-এর ট্যাবলেট খেতে শুরু করেছেন ও রোজই খাচ্ছেন। ফলে এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে কিছু সমস্যা। কারণ মনে রাখতে হবে যে কোনও ভিটামিনই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই এটা কখনওই ঠিক নয় যে ভিটামিন যত খাবেন তত ভালো। ফলে ভিটামিন সি খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন আছে ক্ষতিকর প্রভাবও।

    ভিটামিন সি-এর উপকারিতা-

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি একটি কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকারক কণাগুলিকে দূর করে। এটি আঘাত বা সংক্রমণের পর দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

    ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করে

    ভিটামিন সি রোগ সংক্রমন থেকে দূরে রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, রোগ কমাতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    ক্যান্সার প্রতিরোধ

    ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত লোকেদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ ভিটামিন সি ক্যান্সার রোগীদের জন্যও সহায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    ভিটামিন সি অতিরিক্ত খেলে কী কী হতে পারে?

    কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়

    ভিটামিন সি-তে অক্সালেটস রয়েছে। তা থেকে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।

    পাকস্থলীর সমস্যা

    দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় ভিটামিন সি খেলে শরীরে  তা জমা হতে পারে এবং পেটে ব্যথা, বমি, অম্বল এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷

  • Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্লান্তি শব্দটি সকলের কাছেই আলাদা। অর্থাৎ, অনেকেই মনে করেন ক্লান্তি মানে পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ক্লান্তি অর্থাৎ মানসিক চাপ, কিংবা কোনও একধরনের অস্বস্তি। অনেক সময় বহুদিন নড়াচড়া না করলেও শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়।  যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনের পর ক্লান্ত লাগা খুবই সাধারণ সমস্যা। আর করোনা পরবর্তী সময়ে (Post covid syndrom)প্রায় সকলেই ক্লান্তি অনুভব করেছেন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) লড়াই করতে থাকে, তখন থেকেই শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে বেশি দুর্বল লাগে। প্যান্ডামিকের (pandemic)শুরু থেকেই মানুষ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কম করে ৮৫% মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে দীর্ঘদিন ক্লান্তিভাব থাকলে তা চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। মনে হতেই পারে, হাজার বিশ্রাম নিয়েও শরীর ভাল হচ্ছে না তাহলে করণীয়। মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম। সেরে উঠবেন সহজেই। 

    বেশি করে জলপান করুন
    করোনায় শরীর শুকিয়ে যায়। তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন। সঙ্গে ফলের রস, দইয়ের ঘোল জাতীয় পানীয়ও গ্রহণ করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। 

    প্রোটিন জাতীয় খাবার খান
    ক্লান্তি দূর করতে প্রোটিন (protin) জাতীয় খাবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার খাদ্য তালিকায় উদ্ভিজ ও প্রাণীজ, দু’ ধরনের প্রোটিনই রাখুন। প্রাতঃরাশের সময় ডিম খান। মাছ, কিংবা মাংস খান একবেলা। লাঞ্চ ও ডিনারে ১ বাটি করে ডাল খেতে পারেন। সঙ্গে সয়াবিন, পনির, দুধ থাকুক খাদ্যতালিকায়। 

    নিয়মিত ফল খান
    ভিটামিন সি-যুক্ত ফল লেবু, আপেল, কলা, বাদাম  প্রতিদিন খান। মরসুমি ফল খুবই উপকারী। ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

    বিশ্রাম নিন
    করোনা নেগেটিভ মানেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং, সেরে উঠতে অনেকেরই মাসখানেক লেগে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। পারলে বাড়ি থেকে কাজ করুন। নিজের যত্ন নিন। এই সময় খুব বেশি শরীরচর্চা না করাই ভালো।  হালকা যোগাসন (yoga), ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।  ঘুমের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। একেবারে ক্লান্ত লাগলে ঘুম নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। তবে আবার দীর্ঘদিন নিজেকে অসুস্থ ভেবে ভয় পাবেন না। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করুন। নিজের গতিশীলতা বাড়ান। অল্প অল্প করে বাইরে যান। সকলের সঙ্গে মিশুন। দ্রুত সরে উঠবেন। 

    মন ভালো রাখুন
    অনেকেই করোনা থেকে সেরে উঠে অবসাদে ভুগছেন। আসলে অনেকের মনে করোনা নিয়ে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে।  তাই এসময়ে মন ভালো রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা যা ভাল লাগে করুন।

  • orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম (well sleep)। তবে ঘুম থেকে উঠে যদি মাটিতে পা ফেলতে কষ্ট হয়, পিঠের শিড়দাঁড়া বেঁকে যায়, কোমর যদি যন্ত্রণায় ফেটে পড়ে তাহলে শুয়ে লাভ কী?
    ডাক্তার দেখালেই জানা যায় শোওয়ার দোষে অথবা উপযুক্ত গদি বা ম্যাট্রেসের অভাবেই শরীরের এই হাল হয়েছে। সারাদিন বাড়ি ও অফিসের কাজ সামলাবার পর, ক্লান্ত শরীর চায় একটু আরামের ঘুম। তাই প্রয়োজন উপযুক্ত বিছানা এবং বিছানার কমফর্টের জন্য সঠিক সরঞ্জাম, যার মধ্যে ম্যাট্রেস এবং বালিশ সবথেকে জরুরি। শরীরের আরাম হলেই ব্যথা, যন্ত্রণার হাত থেকেও অব্যাহতি মেলে। 

    কেন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    উপযুক্ত গদি অথবা ম্যাট্রেস ভালো ঘুম হতে যেমন সাহায্য করে তেমনি স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস শিরদাঁড়ার হাড়ে চাপ সৃষ্টি হতে দেয় না, তাই কোমরের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই চিকিৎসকেরা এই ম্যাট্রেস ব্যবহারের উপর জোড় দিচ্ছেন।   যাদের শিরদাঁড়ায় ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে পেন কেয়ার ম্যাট্রেস অত্যন্ত উপযোগী। বাজারে এই ম্যাট্রেসের চাহিদা বেশ ভালো। এর বাজার মূল্য সাধারণত ১৫ থেকে শুরু করে ২৫ -৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

    ব্যাথা থাকলেই কী অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    সুস্থ থাকার জন্য সবাই এই ধরনের ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে পারেন। এখন বিশেষ কিছু কোম্পানি বাজারে এমন ম্যাট্রেস নিয়ে আসছে, যেগুলি আকুপাংচারের সঙ্গে স্পা-এর চাহিদাও অনেকটা মেটায়। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস কেনার আগে একবার চিকিসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তাহলে কোনটা আপনার জন্য প্রযোজ্য তা বুঝতে পারবেন।

LinkedIn
Share