Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার শট দেওয়ার পর উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলি আগের করোনভাইরাস স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। 

    ভারতেও দেখা গিয়েছে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডিগুলি নতুন এই প্রজাতির কাছে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১৮ জন সুস্থ এবং কোভিডের বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই দেখা যায়, ১৪ থেকে ৯২ দিনের মধ্যে তাঁরা আবারও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এঁরা সকলেই কোভিড টিকা ও বুস্টার ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কোভিডের কোনও সংক্রমণের আঁচ তাঁদের উপর এসে পড়েনি।

    জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক সিনিয়র লেখক ড. জোয়েল ব্ল্যাঙ্কসন জানান, এই রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি রয়েছে যা করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কোষের উপরিভাগে বাঁধতে বাধা দেয়, কিন্তু অ্যান্টিবডিগুলি আসল স্ট্রেনের তুলনায় ‘ওমিক্রন স্ট্রেনের সাথে প্রতিক্রিয়ার সময় সেই কাজটি সম্পাদন করেনি। গবেষকরা জানান, সার্স কোভ-২-এর ভাইরাস আমাদের শরীরে মূল স্ট্রেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। ভাইরাসের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (সাধারণত ACE2 নামে পরিচিত) এর সঙ্গে তা যুক্ত হলেই কোভিড সংক্রমণ হয়। ওমিক্রনের ভাইরাস এই ACE2 এপ স্পাইপ প্রোটিনের সঙ্গে কোভিড অ্যান্টিবডিকে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। যা সংক্রমণের প্রধান কারণ। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই টি-কোশই প্রধান ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ততটাও শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। 

  • World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia)সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন (Heart beat) মানব শরীরে স্বাভাবিক আছে কিনা এই সতর্কবার্তা দিতে বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’ ৬ ই জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত পালন করা হয়।   কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কী এই অ্যারিথমিয়া। নীচে এই বিষয়েই বিস্তারিত বলা হল-

    অ্যারিথমিয়া কী?

    এককথায় বলতে গেলে, অ্যারিথমিয়া হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যা। অর্থাৎ নানা কারণে আমাদের হৃদস্পন্দর অনিয়মিত হয়। কখনও দ্রুত হৃদস্পন্দন চলে। কখনও আবার খুব ধীরে চলে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাকেই অ্যারিথমিয়া বলা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি মিনিটে সাধারণ হৃদস্পন্দন ৬০-১০০ বিট। স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন বেশী হলে একে বলা হয় ট্যাচিকার্ডিয়া(Tachycardia) ও স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন কম হলে একে বলা হয় ব্যাডিকার্ডিয়া (Bradycardia)। তবে কখনও কখনও এই সমস্যা আমাদের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। আবার কখনও কখনও স্ট্রোক, ব্ল্যাকআউট কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অ্যারিথমিয়া।

    আরও পড়ুন: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    হৃদস্পন্দন অনিয়মতার কারণ কী?

    বুক ধড়ফড় করলে হৃদস্পন্দনে অনিয়মতা দেখা যায়। হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটলেই বুকে ধড়ফড়ানি শুরু হয় ও ফলে অ্যারিথমিয়া রোগটি দেখা যায়। এর ফলে অনেকসময় কার্ডিওভাসকুলার ডিসওর্ডার দেখা যায়।

    এটির প্রধান লক্ষ্মণগুলো কী কী?

    অ্যারিথমিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল-

    • বুক ধড়ফড় করা
    • ক্লান্তিভাব
    • বুক ব্যথা
    • শ্বাসকষ্ট
    • মাথা ঘোরা

    এই রোগটি কীভাবে ধরা যায়?

    এই রোগ ইসিজি (electrocardiogram )-র মাধ্যমে বোঝা যায়। এটির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদস্পন্দন সম্পর্কে জানা যায়।

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কী কী করণীয়?

    প্রথমেই যা করণীয় তা হল আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম করা, মদ, কফি সেবন না করা। এছাড়াও আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো দরকার। আবার হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করাও দরকার। তবে যদি প্রায়শই এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

LinkedIn
Share