Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2023: সাড়ে চারশো বছরের বনেদি বাড়ির পুজো, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থের অভাবে!

    Durga Puja 2023: সাড়ে চারশো বছরের বনেদি বাড়ির পুজো, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থের অভাবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৫৫ সালে জনৈক গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশের বরিশালের ২০০ বছরের প্রাচীন বুড়ো মা নামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) তরফদার বাড়িতে সূচনা করেন। এ দেশ ও দেশ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো। তরফদার বাড়ির সদস্যরা জীবন-জীবিকা এবং পেশার টানে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেন। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা মাঝে মধ্যে এক-আধবার আসলেও শেষ কুড়ি বছর তাঁদেরও আর দেখা যায়নি। স্থানীয় বসবাসকারী এক শরিক প্রদীপ তরফদারদের পক্ষে ব্যয়বহুল দুর্গাপুজো চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। তার উপর পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় বন্ধ ছিল এক বছর।

    কীভাবে এল ক্লাব?

    তবে পাড়ার লিডার্স ক্লাবের সদস্যরা ঠাকুরদালান এবং সংলগ্ন ছোট্ট একটু জায়গা, অর্থের বিনিময়ে শরিকদের কাছ থেকে কিনে নেন। ফের মহা সাড়ম্বরে পুজো শুরু করেন তাঁরা। এ বিষয়ে বর্তমান এক শরিক জানাচ্ছেন, পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে ক্লাব এই পুজোর (Durga Puja 2023) দায়িত্ব নেয়। তারপর থেকে তা আর ফেরেনি পরিবারের হাতে। যদিও এতে তাঁদের প্রবল আপত্তি আছে, এমন নয়। বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে ক্লাব পরিচালিত পুজোয় তাঁরাও অংশগ্রহণ করেন প্রতি বছরই। যদিও বিগত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আর পাঁচটা পুজোর মতোই, আড়ম্বরবিহীন ভাবে পুজো করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এ বছর তাদের বাড়তি পাওনা, সরকারি অনুদান। সম্প্রতি শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সরকারি সহযোগিতার অনুমতিপত্র দিয়ে গেছেন তাঁদের হাতে। তাই ক্লাবের মহিলা সদস্যরা ঠিক করেছেন, চার দিন ধরে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে বহিরাগত কোনও শিল্পী নয়, পাড়া এবং শান্তিপুরের বিভিন্ন কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করবে তাতে।

    রীতি মেনে ভোগ (Durga Puja 2023)

    পুরনো রীতি অনুযায়ী, অষ্টমীতে মহাভোগ বিতরণ করা হবে সকলের জন্য। থোরের তরকারি, চালতার টক এবং চাল-কুমড়োর ভোগ হবে নবমী ও দশমীতে। তবে ডাকের সাজ বর্জিত, সম্পূর্ণ সাবেকিআনায় একচালার দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্যোক্তাদের। কারণ মাটির সাজে সময় এবং ধৈর্য লাগে অনেক। তাই মৃৎশিল্পীর অভাব হয়ে পড়ছে ইদানিং। তাই আরও বেশি সময় নিয়ে রীতি অনুযায়ী জন্মাষ্টমীতে পাট পুজোর বদলে, পয়লা বৈশাখে পাট পুজোর (Durga Puja 2023) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রতিমা নির্মাণের উদ্দেশ্যে। যদিও রংয়ের কাজ বাদে সমস্তটাই মোটামুটি ভাবে প্রস্তুত হয়ে গেছে। একই সাথে প্রস্তুত রয়েছে কালী প্রতিমাও। কালীপুজোর আগে তা রং হবে।

    সিঁদুর খেলার বিশেষ রীতি 

    এই পুজোর আরও এক বিশেষ রীতি, ষষ্ঠীর দিন পুজো (Durga Puja 2023) শুরুর আগে এবং দ্বাদশীতে বিসর্জনের আগে বরণ পরিবারেরই কোনও সধবা মহিলা করে থাকেন প্রথমে। তারপর পাড়া-প্রতিবেশী বহিরাগত সকলেই। এখানে সিঁদুর খেলতে আসেন শান্তিপুরের বিভিন্ন পাড়ার মহিলারা । 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: একচালার প্রতিমায় দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর আছে, নেই শুধু কার্তিক-গণেশ!

    Durga Puja 2023: একচালার প্রতিমায় দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর আছে, নেই শুধু কার্তিক-গণেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবপুরের চৌধুরীবাড়়ি। বনেদি পরিবার। সেই বাড়ির মেয়ে কল্যাণী। সারা বছর স্বামীর ঘরে থাকলেও পুজোর কটা দিন তাঁর জন্মভিটেয় কুলদেবতার কাছে না থাকলে তাঁর মন ভালো থাকে না। সেই ছোটবেলায় স্কুলশিক্ষক বাবা পাঁচকড়ি চৌধুরীর মুখে সে শুনেছিল বাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস। দিনক্ষণ আর তাঁর মনে নেই। তবে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগের কথা। তাঁদের পূর্বসূরি দুজন মহিলা এই পুজোর (Durga Puja 2023) সূচনা করেছিলেন। তাঁরা তন্ত্রসাধনা করতেন। একচালার প্রতিমা। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর থাকলেও কার্তিক, গণেশ নেই। এই পুজোর সূচনাপর্ব থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। কার্তিক, গণেশ কেন নেই, তার ব্যাখ্যা সঠিকভাবে কেউ দিতে পারেননি।

    চট্টোপাধ্যায় থেকে চৌধুরী কীভাবে?

    এখন চৌধুরীবাড়ির পুজো বললেও আদতে তাঁদের পদবী ছিল চট্টোপাধ্যায়। এই পরিবারের সন্তান রূপচাঁদ চট্টোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের নবাবি দরবারে সুপ্রসিদ্ধ গায়ক ছিলেন। নবাবি আমলেই তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই আর্থিকভাবে তিনি বেশ কিছুটা সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর আমলেই এই বাড়িতে দুর্গাপুজো অনেক জাঁকজমকভাবে হত। বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই পুজোয় (Durga Puja 2023) অংশ নিতে আসতেন। সেই সময় অষ্টমী আর নবমীতে পুজোয় ছাগ বলি হত। পুজোর কদিন কয়েকশো মানুষের পাত পড়ত এই বাড়িতে। আর রূপচাঁদের মতো স্বনামধন্য গায়কের বাড়ি হওয়ায় পুজোর সময় ফি বছর গানের আসরও বসত। আশপাশের গ্রামের মানুষের ভিড়ে সেই আসর গমগম করত। তাঁর উত্তরসূরী ছিলেন পঞ্চানন্দ চট্টোপাধ্যায়। গায়ক হিসেবে তিনিও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁর প্রতিভার জন্যই চট্টোপাধ্যায় থেকে চৌধুরী উপাধি দেওয়া হয়। নবাবি আমলে পাওয়া সেই পদবীই এখনও এই পরিবারের সদস্যরা বহন করে চলেছেন। মন্দিরের উঁচু দালান, মাটির দেওয়াল, খড়ের চাল ফি বছর ঠিক করা হত। চৌধুরীবাড়়ির বর্তমান বংশধর স্কুল শিক্ষক জয়ন্ত চৌধুরীর কথায়, আমাদের প্রপিতামহ ইন্দ্রভূষণ চৌধুরীর সময় থেকেই ছাগ বলি বন্ধ হয়ে আখ, চালকুমড়ো বলি শুরু হয়।

    এখনও বলির শঙ্খচিল আকাশে ওড়ে

    শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই এখনও ষষ্ঠীর দিন সকালে ধোপাপুকুরে গিয়ে ঘটে জল ভরা হয়। সেই ঘট মন্দিরে রেখে পুজো হয়। রাতে ষষ্ঠীর কল্পনা হয়। মহা সপ্তমীর দিন কলাবউকে বাড়ির ঠাকুরঘরে গঙ্গার জলে স্নান করানো হয়। এরপর মন্দিরের সামনেই উঠানে নিয়ে এসে এক কোণে কলা বউয়ের পুজো হয়। পরে, মন্দিরে মা দুর্গার ডানদিকে এক কোণে কলা বউকে রাখা হয়। প্রতিদিন মায়ের ভোগ হিসেবে প়ঞ্চব্যঞ্জন পদ ও মাছের ভোগ (Durga Puja 2023) নিবেদন করা হয়। আগের ছাগ বলি আর নেই। এখন সপ্তমী, অষ্টমীর দিন চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। আর মহাষ্টমীতে চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। তবে, যখন গ্রাম বাংলায় ঘড়ির চল ছিল না, তখন এই বলির আগে আকাশে নিয়ম করে শঙ্খচিল আর শিয়াল আসত। তারা আসার পরই নির্দিষ্ট একটি সময়ের পরই বলিদান হত। এখনও বলির শঙ্খচিল আকাশে ওড়ে। পরিবারের সকলের সঙ্গে কল্যাণী তাঁর দুই সন্তানকে তা দেখিয়েছেনও।

    নবমীর দিন আখ আর চাল কুমড়ো বলি

    এই চৌধুরীবাড়ির বর্তমান বংশধর সত্যব্রত চৌধুরী, দেবব্রত চৌধুরী, ধর্মব্রত চৌধুরী। ধর্মব্রত চৌধুরী এখন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। খুব ছোট থেকেই তিনি এই পুজো করে আসছেন। কোনও কামার নয়, চৌধুরী পরিবারের সদস্যের হাতেই মা বলিও গ্রহণ করেন। পুজো (Durga Puja 2023) শেষে বাড়িতে মায়ের ভোগ খাওয়ানো হয়। নবমীর দিন আখ আর চাল কুমড়ো বলি হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত সন্ধ্যায় লুচি, ক্ষীর, ছানা ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন খই, দই ভোগ নিবেদন করা হয়। পাড়ার ছেলেমেয়েরা সাত সকালে স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে মন্দিরে চলে আসেন। বেলপাতায় সরের কলমে কালি দিয়ে মা দুর্গার নাম লিখে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে মায়ের পায়ে তা নিবেদন করেন। বিকেলের দিকে ধোপা পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। একাদশীর দিনে বাপেরবাড়ি ছেড়ে যেতে কল্যাণীর চোখ ছল ছল করে।

    মা দুর্গার নিরঞ্জন হয় না

    তালিবপুর ডাঙাপাড়ায় মাটির দোতলা বাড়িতে পাঁচকড়ি চৌধুরীর ভরা সংসার। তাঁর চার সন্তান সত্যব্রত, কল্যাণী, দেবব্রত এবং ধর্মব্রত। তিন ভাই, বোন মিলেই এই পুজোর আয়োজন করতেন। পাঁচকড়ি চৌধুরী বহু বছর আগে গত হয়েছেন। রূপচাঁদের উত্তরসূরী হিসেবে কল্যাণীর পাশাপাশি সত্যব্রত, ধর্মব্রত ও তাঁর সন্তানরা এখনও নিয়মিত গান, বাজনার রেওয়াজ করেন। এখন আর খড়ের চালের মন্দির নেই। সেখানে মাথা তুলেছে ইট, সিমেন্টের কংক্রিটের মন্দির। দেবব্রত আর ধর্মব্রত এখন সেই পুরানো ঐতিহ্য মেনেই দুর্গাপুজো করে আসছে্ন। তবে, করোনাকালের সময় থেকেই চৌধুরীবাড়ির মা দুর্গার (Durga Puja 2023) আর নিরঞ্জন হয় না। পরিবারের বর্তমান বংশধর তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধর্মব্রত চৌধুরী বলেন, মায়ের আদেশ মেনেই আর নিরঞ্জন হয় না। এখন বছরের চারদিন নয়, সারা বছর ধরেই মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের জামিরতা গ্রাম থেকে বনমালী সাহা চালের ব্যবসা করার জন্য আত্রেয়ী নদী ধরে মাঝে মাঝেই বালুরঘাট আসতেন। তখন বালুরঘাটের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ছিল নিবিড়। আত্রেয়ী তখন ছিল পূর্ণ যৌবনসম্পন্না কিন্তু কালের গতির সঙ্গেই যেমন তার চেহারা বদলেছে, তেমনি ১৮৪ বছর আগে বনমালী সাহার তৈরি জমিদারিও আজ প্রায় শেষের দিকে। একমাত্র বংশধর কালীকৃষ্ণ সাহা রায় কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য (Durga Puja 2023)।

    দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) আজও নিয়ম-নীতি মেনেই

    ১৮৪ বছরের পারিবারিক দুর্গাপুজো আজও নিয়ম-নীতি এবং রেওয়াজ মেনেই পালন করার চেষ্টা করে সাহা পরিবার। চালের ব্যবসায়ী থেকে হঠাৎ করে এলাকায় জমিদারি লাভ করে বনমালী সাহা বালুরঘাট শহরেই তাঁর ব্যবসার কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এরপর আত্রেয়ী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে, বদলেছে সময়। এখন আর জমিদারি নেই। কিন্তু দুর্গাপুজোর যে পারিবারিক রীতি-রেওয়াজ, সেক্ষেত্রে কোনও রকম ছেদ পড়েনি। পুজোর কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দেবী প্রতিমার গঠনেরও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কার্তিক-গণেশের যে দিকে থাকার কথা, সাহাবাড়ির পুজোতে (Durga Puja 2023) দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ। এ ছাড়াও পুজোর ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ রীতি মেনে চলে সাহা পরিবার। 

    গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন কেন?

    বনমালী সাহা যখন এই পুজো করতেন, তখন মৃৎশিল্পী অন্য দুর্গা প্রতিমার মতো সাহাবাড়ির দুর্গা প্রতিমা করেছিলেন। কিন্তু পর দিন সকালে সবার নজরে আসে, গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে। মৃৎশিল্পী পুনরায় তাঁদের স্থান পরিবর্তন করেন। কিন্তু পর দিন সকালে গণেশ ও কার্তিকের আবার স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে দেখে বনমালী সাহা রায় নির্দেশ দেন, এই ভাবেই মায়ের পুজো হবে। সেই থেকে একই নিয়মনিষ্ঠা সহকারে সাহাবাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। এছাড়াও মন্থন ষষ্ঠীতে কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। প্রতিমার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয় ও প্রতিমার রং সব শেষ করতে হয়। পাশাপাশি এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। এখানে পরমান্ন ভোগ হয়। পুজোর কয়েকদিন নিরামিশ খাবার হয়।

    ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধনের ছবি

    সাহাবাড়ির এই পুজোকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনের ছবি ফুটে ওঠে। পুজোর (Durga Puja 2023) কদিন এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলে যায় সাহা পরিবারের অঙ্গনে। আপাতত বালুরঘাটের সাহা পরিবারের সদস্যরা পথ চেয়ে সেই পাঁচদিনের জন্য। এই বিষয়ে কালীকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমাদের এই পুজো এবার ১৮৪ বছরে পড়ল। আমাদের এই পুজোর বিশেষত্ব হল গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন। প্রত্যেক বছরে যে নিয়মে পুজো করা হয়, এবারেও সেই নিয়ম অনুযায়ী পুজো করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranna Puja: ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’, কী এই রান্না পুজো? কোন দেবীর পুজো করা হয়?

    Ranna Puja: ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’, কী এই রান্না পুজো? কোন দেবীর পুজো করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই ১৩ পার্বণের অন্যতম পার্বণ হল অরন্ধন উৎসব। দুর্গাপুজোর মরশুম শুরু হওয়ার আগে বাঙালির শেষ উৎসব এটিই। এই উৎসবকে একটি বিশেষ নামে সম্বোধন করা হয়, যেটি ‘ভাদ্র মাসে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া’ নামে পরিচিত। এই উৎসবে বিশেষত দেবী মনসার পুজো করা হয়। ঠিক বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন সারা রাত জেগে চলে রান্নাবান্না (Ranna Puja)।

    কী এই অরন্ধন বা রান্নাপুজো?

    বাঙালির দুর্গাপূজোর মরশুম শুরু হওয়ার আগে এই রান্না পুজোই (Ranna Puja) শেষ উৎসব। এটি হয়ে থাকে সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতের অমাবস্যার দিনে। এই দিন সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে রান্নাবান্না করে এই পার্বণ পালন করা হয়। আর এই রান্না পুজোর পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোয় বাসি খাবার খাওয়ার রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। এই পার্বণে সাধারণত আমিষ ও নিরামিষ উভয় পদই রান্না করা হয়। আমিষ রান্নার মধ্যে থাকে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ। এছাড়াও আরও অন্যান্য মাছ রান্না করা হয়। আর অপরদিকে নিরামিষ পদে নানা রকম ভাজা, ডাল, নারকেল দিয়ে কচু শাক, পান্তা ভাত, চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি রান্না করা হয়।

    বছরে দু’বার পালন হয় এই অরন্ধন উৎসব (Ranna Puja)

    শুধু বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনই নয়, সরস্বতী পুজোর পরের দিনও এই উৎসব (Ranna Puja) পালিত হয়, যেটি শীতল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। এই দিন অনেক বাড়িতে গোটা ও সিদ্ধ খাওয়ার রীতি চলে আসছে, এই দিনেও বাসি খাবার খাওয়ার চল আছে।

    কীভাবে ও সাধারণত কেন এই পুজো (Ranna Puja) করা হয়?

    এই উৎসব শহরাঞ্চলে অনেকটা বিলুপ্ত হলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক বাড়িতে হয়ে থাকে। এই দিন অনেকের বাড়িতে পঞ্চ সাপের ফণা যুক্ত মনসা প্রতিমা পুজো করা হয়। এর সাথে ফনিমনসা গাছের ডালও পুজো করা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালের এক উৎসব যা শস্য উৎসব নামে পরিচিতি, এই উৎসবেরও কিছুটা স্মৃতি বহন করে এই অরন্ধন পার্বণ। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বর্ষাকালে প্রচণ্ড সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে সবাইকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে দেবী মনসার পুজো করা হয় ঠিক ভাদ্র মসের শেষ দিন। আর এই মনসা দেবীর প্রতীক হিসেবে সিঁদুর ও তেল দিয়ে রান্নাঘর ও উনুনকে পুজো (Ranna Puja) করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তেরো পার্বণের এক পার্বণ বিশ্বকর্মা পুজো। আর এই বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। নানা কলকারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই পুজো হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ঘুড়ি ওড়ানোর পার্বণ (Kite Flying In Vishwakarma puja)। বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেই এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল আছে। এই দিনে আকাশে চলে ঘুড়ির লড়াই, কানে ভেসে আছে ভোকাট্টা শব্দ। আকাশে চোখ দিলেই দেখা যায় রং বেরঙের নানান ঘুড়ি। কিন্তু কখনও মনে প্রশ্ন এসেছে, কেন এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানো হয়?

    বিশ্বকর্মা পুজোয় কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয়? 

    এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এই বিশেষ দিনেই ঘুড়ি ওড়ানো হয়? আসলে এর পিছনে কিছুটা পৌরাণিক কাহিনিও আছে আর কিছুটা পরম্পরা। বিশ্বকর্মা হল প্রকৌশলীর দেবতা, সমস্ত দেবতাদের অস্ত্র থেকে শরু করে দেবতাদের রথ তৈরি, সব কিছু বিশ্বকর্মাই করে থাকেন। ঋগবেদ অনুসারে তিনি হলেন স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যার জনক। পুরাণ মতে, তিনিই নাকি কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারকা নগরী তৈরি করেছিলেন। আর তিনি তৈরি করেছিলেন দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ। এই উড়ন্ত রথকেই স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে। এই দিনে অনেক বছর ধরেই বাংলার আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি (Kite Flying In Vishwakarma puja) চলে আসছে। 

    বাংলায় কবে শুরু?

    বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর আছে আরও কিছু ইতিহাস। শোনা যায়, বাংলার আকাশে ১৮৫০ সাল থেকে এই ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন শরু হয়। আগে এই ঘুড়ি ওড়ানো ছিল প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিদের একটি বিশেষ বিনোদন। বাংলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজদের আর্থিক শক্তি ও প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়িতে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন। এমনকি জমিদার থেকে শরু করে রাজারাও টাকা দিয়ে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে ওড়াতেন।

    বর্ধমান রাজবাড়ির ইতিহাস

    এক সময় বর্ধমান রাজবাড়িতে ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন ছিল। বর্ধমানের রাজা এসেছিলেন পঞ্জাব থেকে, আর পঞ্জাবে অনেক দিন যাবত এই ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি ছিল। সেই সূত্রেই বর্ধমানের রাজা বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু করেন। এটাই আস্তে আস্তে ঘুড়ি উৎসবে পরিণত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ganesh Chaturthi 2023: গণেশ চতুর্থী কেন পালিত হয়? কীভাবে জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি?

    Ganesh Chaturthi 2023: গণেশ চতুর্থী কেন পালিত হয়? কীভাবে জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান গণেশকে বিঘ্ন বিনাশক বলা হয়ে থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, জীবনে চলার পথে সকল বাধা দূর করেন গণপতি বাপ্পা। পার্বতী নন্দনের সঙ্গে আবার দেশের জাতীয়তাবোধের উন্মেষ সরাসরি সম্পর্কিত। পরাধীন ভারতে মহারাষ্ট্রে গণপতি উৎসব (Ganesh Chaturthi 2023) শুরু করেন বাল গঙ্গাধর তিলক। হিন্দু জাতীয়তাবাদী উৎসব হিসেবে তা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের আগে শিবাজি মহারাজও সপ্তদশ শতকে মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসব করতেন বলে জানা যায়। কয়েক ফুটের গণপতি বাপ্পার প্রতিমা নিয়ে, গেরুয়া পতাকা, বাজনার সহযোগে শোভাযাত্রা মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসবের বড় আকর্ষণ। পিছিয়ে নেই বাংলাও, বিগত বছরগুলিতে গণেশ চতুর্থী পালন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। প্যান্ডেল, প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো আলোর মালা এসব দিয়েই বাঙালি মেতে ওঠে গণপতি বাপ্পার আরাধনায়। এমনিতে গণেশ পুজো বাঙালি বাড়িতে সারা বছরের বিভিন্ন সময়েই হয়। যে কোনও শুভকাজে বাড়িতে গণেশ আরাধনা করেই থাকেন বাঙালি।

    গণেশ চতুর্থীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2023) হল গণপতি বাপ্পার জন্মতিথি। এদিনই মা পার্বতীর কোলে এসেছিল গণেশ। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি (Ganesh Chaturthi 2023) তাই গণেশ চতুর্থী নামে জনপ্রিয়। এই দিনটি আবার বিনায়ক চতুর্থী নামেও পরিচিত। ভক্তদের বিশ্বাস, গণেশের পুজো ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে আসে। তবে গণেশ চতুর্থী নিয়ে পুরাণেও মতভেদ দেখা যায়। শিব পুরাণে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে গণেশের জন্মতিথি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে গণেশ পুরাণ অনুযায়ী, পার্বতী নন্দনের আবির্ভাব ঘটেছিল ভাদ্রের শুক্লা চতুর্থীতে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে রাতে চাঁদ দর্শন নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে এই রাতে যে ব্যক্তি চাঁদের দিকে তাকায়, সে মিথ্যা কলঙ্ক পায়।

    গণেশ চতুর্থীর ব্রত কীভাবে রাখবেন?

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের গণেশ চতুর্থী শুরু হচ্ছে  ১৮ সেপ্টেম্বর ঠিক বেলা ১২ টা ৩৯ মিনিটে এবং তা চলবে পরের দিন মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর রাত্রি ৮ টা ৪৩ পর্যন্ত। 

    ১) গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2023) দিন সকালে উঠেই স্নান করুন। এরপর গণেশের মূর্তিতে সিঁদুর অর্পণ করে ২১টি লাড্ডু অর্পণ করুন। রীতি অনুযায়ী, এর মধ্যে পাঁচটি লাড্ডু গণেশের মূর্তির কাছে রাখতে হবে এবং বাকিগুলো ব্রাহ্মণদের দান করতে হবে।

    ৩) যাঁরা গণেশ চতুর্থীর উপবাস রাখবেন (Ganesh Chaturthi 2023), তাঁরা ভক্তিভরে ব্রতকথার গল্প শুনুন। বিশ্বাস মতে, গণেশ চতুর্থীর উপবাস পালনের পর ব্রতকথার গল্প শুনলে  জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল বিশ্বকর্মা পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, পরের দিন দুপুরে মাংসভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা। অন্যান্য বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপিত হবে।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী 

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দশভূজা দুর্গা মায়ের পুজো (Durga Puja 2023) আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মৃৎশিল্পীদের কাজের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আকাশে বাতাসে বইতে শুরু করেছে আগমনীর বার্তা। কিন্তু মা দশভূজার দশ হাতে অসুর বধের জন্য যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তার তাৎপর্য কী? অস্ত্রের বাহ্যিক এবং অন্তর্নিহিত মাহাত্ম্য কী? অশুভ শক্তিকে জয় করে, শুভ শক্তির জাগরণে এই অস্ত্রের গুরুত্ব কেমন? আসুন জানি এই অস্ত্রের উৎস এবং গুরুত্ব।

    ১. ত্রিশূল

    পুরাণে কথিত রয়েছে যে মহাদেব নিজে ত্রিশূল দিয়েছিলেন। এই ত্রিশূলের তিন মাথায় তিন রকম গুণ রয়েছে। সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ। দেবী দুর্গা এই ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন।

    ২. সুদর্শন চক্র

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2023) হাতে আরেক অস্ত্র হল সুদর্শন চক্র। ভগবান বিষ্ণু ত্রিকালজয়ী মহিষাসুরকে বিনাশ করার জন্য এই চক্র প্রদান করেন। জগতের সকল সৃষ্টি এবং বিনাশের ভার অর্পিত থাকে এই সুদর্শন চক্রের উপর।

    ৩. পদ্ম ফুল

    সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা স্বয়ং নিজে দেবী দুর্গার হাতে পদ্ম ফুল তুলে দেন। এই পদ্ম ফুল হল মহাজ্ঞান বা প্রজ্ঞার প্রতীক। পদ্ম মনের আধ্যাত্মিক ভাব জাগরণে বিশেষ ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৪. তীর-ধনুক

    তীর-ধনুক শক্তির গতিময়তাকে বিশেষ গতি দান করে। দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) পবনদেব এবং সূর্যদেব উভয়ে মিলে এই অস্ত্র প্রদান করেন। মহাজগতে সকল শক্তির আধার হল দেবী দুর্গা। তাই এই অস্ত্র বিশেষ ভাবে শক্তির আধার।

    ৫. তলোয়ার

    তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    ৬. বজ্র

    দেবরাজ ইন্দ্র স্বয়ং দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) এই অস্ত্র প্রদান করেন। মেঘ থেকে বজ্র ঘর্ষণ হলে যেমন শক্তি অর্জন হয়, সেই রকম ভাবে অশুভকে জয় করতে শক্তির উদ্ভব করে বজ্র। মহিষাসুরকে বধ করতে দেবী দুর্গা যখন নানান অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছিলেন, সেই সময় দেবী বজ্র অস্ত্রে সজ্জিত হন। এই বজ্র হল দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। জীবন লক্ষ্যকে অবিচল রাখার জন্য এই অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়।

    ৭. বর্শা

    আগ্নিদেব নিজে দেবী দুর্গার হাতে বর্শা প্রদান করেন। সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের জন্য বর্শা অস্ত্র কাজ করে থাকে। এই বর্শা প্রজ্বলিত শক্তিকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে ব্যাপক ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৮. সর্প

    নাগ দেবতা শেষনাগ নিজে অসুরকে দমন করতে নাগপাশ দিয়েছেন। মনের ভাবকে শুদ্ধ করতে চেতনার প্রয়োজন হয়, তাই হল সাপ অস্ত্রের প্রতীক। এই চেতনা সর্প দেবতার গুণে সাধকের নিজের সাধনা নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের দিকে এগিয়ে যায়।

    ৯. কুঠার

    সমাজের জন্য যা হিতকর নয়, তাকে ধ্বংস করতে কুঠার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই অস্ত্র প্রদান করেন। সকল ভয় ভীতিকে দূর করতে কুঠার অস্ত্রের প্রয়োজন।

    ১০. গদা

    যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় অনেক জেলাতেই তাদের নিজস্ব জনপ্রিয় মিষ্টি (Bengali Sweet) আছে। যেমন বীরভূমের মোরব্বা, বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগ, বাঁকুড়ার মেচা সন্দেশ সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু অনেকেরই অজানা বীরভূমের মোরব্বা ছাড়াও আরও একটি মিষ্টি জনপ্রিয়। সেটি হল সিউড়ির তাঁতিপাড়ার বিউলির ডালের জিলিপি। যা কিনা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়। তাই এই মিষ্টিটি সিউড়ির মোরব্বার পাশাপাশি নিজস্ব একটি ঐতিহ্য বহন করে। কিন্তু তা এখনও থেকে গিয়েছে অনেকের অজানা।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপির ইতিহাস কী? কেন এটি জনপ্রিয়?

    প্রায় এক শতক পেরিয়ে গেলেও আজও এই জিলিপি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বীরভূমের একটি স্বনামধন্য মুসলিম ধর্মীয় স্থান “পাথর চাপুরি”। এখানে দাতাবাবার উদ্দেশে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তা বর্তমানে সমগ্র দেশ এমনকী বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। এই মেলা থেকেই জনপ্রিয় হয় তাঁতিপাড়ার দে পরিবারের জিলিপি (Bengali Sweet)। এই পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ও বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য অমৃতলাল দে জানান, তাঁতিপাড়া থেকে খাঁকি বাবার মাধ্যমেই পাথর চাপুরির জন্য মিষ্টির দোকান ডেকে এনেছিলেন স্বয়ং দাতাবাবা। এই খাঁকি বাবা ছিলেন বীরভূমের বক্রেশ্বরের একজন সাধক। তিনি তাঁতিপাড়া থেকে জিলিপি নিয়ে দাতাবাবাকে উপহার দেন। দু’জনের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল বলে জানা যায়। তার পর থেকেই দাতাবাবার আমন্ত্রণে পাথর চাপুরি মেলায় এই দে পরিবারের বিখ্যাত জিলিপির দোকান খোলা হয়। আর ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথম জিলিপি দাতাবাবাকে তুলে দিয়ে তারপরে মেলায় বেচাকেনা করত দে পরিবার। এখনও পর্যন্ত সেই রীতি চলে আসছে ১০০ বছর ধরে। প্রথমে দাতাবাবার মাজারে জিলিপি উৎসর্গ করে তবেই মেলাতে সাধারণের জন্য বিক্রি শুরু হয়।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপি কতটা আলাদা?

    সাধারণত এই জিলিপি অন্যান্য জিলিপির থেকে অনেকটাই আলাদা। এই জিলিপি তৈরি হয় বিউলির ডাল আর চালগুঁড়ো সহযোগে। মেলাতে দোকান করার এক মাস আগে থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। প্রথমে বিউলির ডাল, আতপ চালের গুঁড়ো তৈরি করতে হয়। ডাল ও চাল যোগে তৈরি হয় এই অনন্য জিলিপি (Bengali Sweet), যা দূর দূরান্তের অনেক মানুষের পছন্দের খাবার। মেলা ছাড়াও বারো মাস পাওয়া যায় এই জিলিপি।

    কোথায় এই তাঁতিপাড়া?

    বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত সতীর একান্ন পিঠের অন্যতম পিঠ বক্রেশ্বর ধাম। এর কাছে অবস্থিত তাঁতিপাড়া। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে বাস সহযোগে পৌঁছানো যায় এখানে। যেখানে সকাল সকাল এই বিউলির ডালের জিলিপির (Bengali Sweet) দেখা মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Belur Math: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, কুমারী পুজো কটায় শুরু?

    Belur Math: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, কুমারী পুজো কটায় শুরু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গাপুজোয় (Belur Math)। সারা পৃথিবীতে  ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজোর উৎসব হল শ্রেষ্ঠ। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম অথবা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, সর্বত্রই বাঙালিরা দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বেলুড় মঠের (Belur Math) দুর্গাপুজোর এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ব্যাপক সমাগম সেখানে লক্ষ্য করা যায়। ইতিমধ্যে বেলুড় মঠ দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। বেলুড় মঠে পুজোর কয়দিন সন্ধ্যায় শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আরতির পরে দেবী দুর্গার আরতি করা হয়। ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। দিনভর চলে নানা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমেত নাম সংকীর্তন। পাশাপাশি বেলুড় মঠের কুমারী পুজো খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয়ে থাকে। 

    এক নজরে দেখে নিন বেলুড়মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট

    ২১ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার সপ্তমী, পুজো শুরু ভোর সাড়ে ৫টা

    ২২ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার মহাষ্টমী, পুজোর শুরু হবে ভোর সাড়ে ৫টা
    সকাল ৯টায় শুরু হবে কুমারী পুজো, আর সন্ধিপুজো হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে রাত্রি ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত

    ২৩ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার নবমী, পুজো শুরুর সময় ভোর সাড়ে ৫টা

    বেলুর মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানেন?

    জানা যায়, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে শারদীয়া দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। ওই বছর থেকেই বেলুড়মঠে অষ্টমী পুজোর দিন পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী এক কন্যা কুমারীকে প্রতিমার পাশে বসিয়ে পুজো করা হয়। প্রসঙ্গত, অধিকাংশ দুর্গা পুজোতে দেখা যায় নবমীর দিনে কুমারী পুজোর রীতি। তবে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয় অষ্টমীর দিনেই। বেনারসি শাড়ি পরিয়ে কুমারীকে মা দুর্গা জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে বয়স অনুযায়ী কুমারীদের নামকরণও হয়। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন বালিকাকে কুমারী রূপে পুজো করেছিলেন। জানা যায়, স্বামী বিবেকানন্দ নিজে কুমারীদের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং পুজো শেষে তাদের প্রণামীও দেন। স্বামীজীর পুজো পদ্ধতি অনুসরণ করে আজও একইভাবে সমান রীতিতে সেখানে কুমারী পুজো চলছে (Belur Math)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share