Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 326: “যে দিব্যচক্ষু পাইয়া অর্জুন বিশ্বরূপ-দর্শন করেছিলেন, যে চক্ষুর দ্বারা ঋষিরা আত্মার সাক্ষাৎকার করেছিলেন”

    Ramakrishna 326: “যে দিব্যচক্ষু পাইয়া অর্জুন বিশ্বরূপ-দর্শন করেছিলেন, যে চক্ষুর দ্বারা ঋষিরা আত্মার সাক্ষাৎকার করেছিলেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর

    সেবক হৃদয়ে “ঠাকুরের (Ramakrishna) ভক্তির কথা যত ভাবিতেছি, ততই অবাক্‌ হইতেছি। কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন,—অমনি কেশব আপনার লোক হলেন। তখন কাপ্তেনের কথা আর শুনলেন না। তিনি বিলাতে গিয়াছিলেন, সাহেবদের সঙ্গে খেয়েছেন, কন্যাকে ভিন্ন জাতিতে বিবাহ দিয়াছেন—এ-সব কথা ভেসে গেল! কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ (Kathamrita)?

    ভক্তিসূত্রে সাকারবাদী, নিরাকারবাদী এক হয়; হিন্দু মুসলমান, খ্রীষ্টান এক হয়; চারি বর্ণ এক হয়। ভক্তিরই জয়। ধন্য শ্রীরামকৃষ্ণ! তোমারই জয়। তুমি সনাতন ধর্মের এই বিশ্বজনীন ভাব আবার মূর্তিমান করিলে। তাই বুঝি তোমার এত আকর্ষণ! সকল ধর্মাবলম্বীদের তুমি পরমাত্মীয়-নির্বিশেষে আলিঙ্গন করিতেছ! তোমার এক কষ্টিপাথর ভক্তি। তুমি কেবল দেখ—অন্তরে ঈশ্বরে ভালবাসা ও ভক্তি আছে কিনা। যদি তা থাকে অমনি সে তোমার পরম আত্মীয়—হিন্দুর যদি ভক্তি দেখ, অমনি সে তোমার আত্মীয়—মুসলমানের যদি আল্লার উপর ভক্তি থাকে, সেও তোমার আপনার লোক—খ্রীষ্টানদের যদি যীশুর উপর ভক্তি থাকে, সেও তোমার পরম আত্মীয়। তুমি বল (Kathamrita) যে, সব নদীই ভিন্ন দিগ্‌দেশ হইতে আসিয়া এক সমুদ্রমধ্যে পড়িতেছে। সকলেরই উদ্দেশ্য এক সমুদ্র।

    “ঠাকুর (Ramakrishna) এই জগৎ স্বপ্নবৎ বলছেন না। বলেন, ‘তাহলে ওজনে কম পড়ে’। মায়াবাদ নয়। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ। কেন না, জীবজগৎ অলীক বলছেন না, মনের ভুল বলছেন না। ঈশ্বর সত্য আবার মানুষ সত্য, জগৎ সত্য। জীবজগৎবিশিষ্ট ব্রহ্ম। বিচি খোলা বাদ দিলে সব বেলটা (Kathamrita) পাওয়া যায় না।

    “শুনিলাম, এই জগৎব্রহ্মাণ্ড মহাচিদাকাশে আবির্ভূত হইতেছে আবার কালে লয় হইতেছে — মহাসমুদ্রে তরঙ্গ উঠিতেছে আবার কালে লয় হইতেছে! আনন্দসিন্ধুনীরে অনন্ত-লীলাহরী! এ লীলার আদি কোথায়? অন্ত কোথায়? তাহা মুখে বলিবার জো নাই—মনে চিন্তা করিবার জো নাই। মানুষ কতটুকু! তার বুদ্ধিই বা কতটুকু! শুনিলাম মহাপুরুষেরা সমাধিস্থ হয়ে সেই নিত্য পরমপুরুষকে দর্শন করেছেন—নিত্য লীলাময় হরিকে সাক্ষাৎকার করেছেন। অবশ্য করেছেন, কেননা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও বলিতেছেন। তবে এ-চর্মচক্ষে নয়, বোধ হয় দিব্যচক্ষু যাহাকে বলে তাহার দ্বারা; যে দিব্যচক্ষু পাইয়া অর্জুন বিশ্বরূপ-দর্শন করেছিলেন, যে চক্ষুর দ্বারা ঋষিরা আত্মার সাক্ষাৎকার করেছিলেন, যে দিব্যচক্ষুর দ্বারা ঈশা তাঁহার স্বর্গীয় পিতাকে অহরহ দর্শন করিতেন। সে চক্ষু কিসে হয়? ঠাকুরের (Ramakrishna) মুখে শুনিলাম ব্যাকুলতার দ্বারা হয়। এখন সে ব্যাকুলতা হয় কেমন করে, সংসার কি ত্যাগ করতে হবে? কই, তাও তো আজ বললেন না।”

  • Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    সেবক হৃদয়ে

    সন্ধ্যার পূর্বে মণি বেড়াইতেছেন ও ভাবিতেছেন—“রামের ইচ্ছা” এটি তো বেশ কথা! এতে তো Predestination আর Free will, Liberty আর—Necessity এ-সব ঝগড়া মিটে যাচ্ছে। আমায় ডাকাতে ধরে নিলে “রামের ইচ্ছায়”; আবার আমি তামাক খাচ্ছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি ডাকাতি করছি “রামের ইচ্ছায়। আমায় পুলিসে ধরলে “রামের ইচ্ছায় (Ramakrishna)”, আমি সাধু হয়েছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি প্রার্থনা করছি, “হে প্রভু আমায় অসদ্বুদ্ধি দিও না—আমাকে দিয়ে ডাকাতি করিয়ো না”—এও “রামের ইচ্ছা”। সৎ ইচ্ছা, অসৎ ইচ্ছা তিনি দিচ্ছেন। তবে একটা কথা আছে, অসৎ ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন—ডাকাতি করবার ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন? তার উত্তরে ঠাকুর বলেন এই,—তিনি জানোয়ারের ভিতর যেমন বাঘ, সিংহ, সাপ করেছেন; গাছের ভিতর যেমন বিষগাছও করেছেন, সেইরূপ মানুষের ভিতর চোর, ডাকাতও করেছেন। কেন করেছেন? কেন করেছেন, তা কে বলবে (Kathamrita)? ঈশ্বরকে কে বুঝবে?

    “কিন্তু তিনি যদি সব করেছেন, Sense of responsibility তো যায়; তা কেন যাবে? ঈশ্বরকে না জানলে, তাঁর দর্শন হলে “রামের ইচ্ছা (Ramakrishna)”, এটি ষোল আনা বোধই হবে না। তাঁকে লাভ না করলে এটি এক-একবার বোধ হয়; আবার ভূল হয়ে যাবে। যতক্ষণ না পূর্ণ বিশ্বাস হয়, ততক্ষণ পাপ-পুণ্য বোধ, responsibility বোধ, থাকবেই থাকবে। ঠাকুর বুঝালেন, “রামের ইচ্ছা”। তোতা পাখির মতো “রামের ইচ্ছা” মুখে বললে হয় না। যতক্ষণ ঈশ্বরকে জানা না হয়, তাঁর ইচ্ছায় আমার ইচ্ছায় এক না হয়, যতক্ষণ না “আমি যন্ত্র” ঠিক বোধ হয়, ততক্ষণ তিনি পাপ-পুণ্য বোধ, সুখ-দুঃখ বোধ, শুচি-অশুচি বোধ, ভাল-মন্দ বোধ রেখে দেন; Sense of responsibility রেখে দেন; তা না হলে তাঁর মায়ার সংসার কেমন করে চলবে?

    “ঠাকুরের ভক্তির কথা (Kathamrita) যত ভাবিতেছি, ততই অবাক্‌ হইতেছি। কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন,—অমনি কেশব আপনার লোক হলেন। তখন কাপ্তেনের কথা আর শুনলেন না। তিনি বিলাতে গিয়াছিলেন, সাহেবদের সঙ্গে খেয়েছেন, কন্যাকে ভিন্ন জাতিতে বিবাহ দিয়াছেন—এ-সব কথা ভেসে গেল! কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ?

  • Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার চৈত্র সংক্রান্তি। এদিনই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। কোথাও কোথাও এই উৎসব উপলক্ষে মেলাও বসে। নীলষষ্ঠীর পরের দিনই হয় চড়ক উৎসব। তাই অনেকেই একে শিবের (Lord Shiva) গাজনের অঙ্গ হিসেবেই বিবেচনা করেন।

    চড়ক উৎসব (Charak Puja)…

    ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী, দ্বারকাধীশ কৃষ্ণের সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের একনিষ্ঠ ভক্ত বাণরাজার যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ শুরুর আগে মহাদেবের স্তব-স্তুতি করেন রাজা বাণ। যুদ্ধে যাতে তিনি জয়ী হন এবং অমরত্ব লাভ করেন, তাই নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে তুষ্ট করেন ভগবান শঙ্করকে। তাঁর এই কৃচ্ছসাধনায় সন্তুষ্ট হন ভোলানাথ। রাজা বাণকে অমরত্বের আশীর্বাদ দেন তিনি। সেই শুরু চড়ক উৎসবের। তবে পুরাণ কথিত এই উৎসবের প্রচলন হয় ১৪৮৫ সালে, সূচনা করেন রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর। তার পর থেকে মূলত শৈবরাই পালন করতেন চড়ক উৎসব। বর্তমানে এই উৎসব হয়েছে সর্বজনীন।

    একটি লম্বা কাষ্ঠখণ্ডকে (Charak Puja) বছরভর ডুবিয়ে রাখা হয় জলে। এই কাষ্ঠখণ্ডকে বলে চড়ক কাঠ। চড়ক পুজোর আগের দিন জলেই পুজো করা হয় সেই কাঠকে। তার পরে জল থেকে তুলে নিয়ে এসে পোঁতা হয় কোনও মাঠে। এই চড়ক কাঠের মাথায় থাকে লম্বা একটি বাঁশ। এই বাঁশের একদিকে ঝোলেন কোনও এক সন্ন্যাসী। অন্যদিকে ঝুলতে থাকে মস্ত বড় দড়ি। এই দড়ি ধরে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। বাঁশে ঝুলন্ত সন্ন্যাসী শূন্যে ভাসতে ভাসতে ছড়াতে থাকেন বাতাসা। সেই বাতাসাকেই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন ভক্তরা।

    কোথাও কোথাও আবার জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে যান সন্ন্যাসীরা। লৌহশলাকা পিঠে ফুটিয়ে নৃত্য করতে থাকেন কোনও কোনও সন্ন্যাসী। কোথাও কোথাও আবার সন্ন্যাসীরা কাঁটা গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। যেহেতু এই পুজোর মূল কথাই হল কৃচ্ছসাধন, তাই নানা প্রকারে এদিন দেবাদিদেবকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন সন্ন্যাসীরা। এ রাজ্যের বহু জায়গায় এখনও ঘটা করে পালিত হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া এবং হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে পালিত হয় চড়ক উৎসব। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়ও হয় এই উৎসব।

  • Ramakrishna 324: “যিনি দুর্গানাম করে বাড়ি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে শূলপাণি শূলহস্তে যান, বিপদে ভয় কি? শিব নিজে রক্ষা করেন”

    Ramakrishna 324: “যিনি দুর্গানাম করে বাড়ি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে শূলপাণি শূলহস্তে যান, বিপদে ভয় কি? শিব নিজে রক্ষা করেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    সন্ধ্যাসঙ্গীত ও ঈশান সংবাদ

    সন্ধ্যা আগতপ্রায়। ঠাকুর পাদচারণ করিতেছেন। মণি একাকী বসিয়া আছেন ও চিন্তা করিতেছেন দেখিয়া, ঠাকুর হঠাৎ তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া সস্নেহে বলিতেছেন, “গোটা দু-এক মার্কিনের জামা দিও, সকলের জামা তো পরি না—কাপ্তেনকে বলব মনে করেছিলাম, তা তুমিই দিও।” মণি দাঁড়াইয়া উঠিয়াছিলেন, বলিলেন, “যে আজ্ঞা।”

    সন্ধ্যা হইল। শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) ঘরে ধুনা দেওয়া হইল। তিনি ঠাকুরদের প্রণাম করিয়া, বীজমন্ত্র জপিয়া, নামগান করিতেছেন। ঘরের বাহিরে অপূর্ব শোভা! কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথি। বিমল চন্দ্রকিরণে একদিকে ঠাকুরবাড়ি হাসিতেছে, আর-একদিকে ভাগীরথীবক্ষ সুপ্ত শিশুর বক্ষের ন্যায় ঈষৎ বিকম্পিত হইতেছে। জোয়ার পূর্ণ হইয়া আসিল। আরতির শব্দ গঙ্গার স্নিগ্ধোজ্জ্বল প্রবাহসমুদ্ভূত কলকলনাদ সঙ্গে মিলিত হইয়া বহুদূর পর্যন্ত গমন করিয়া লয়প্রাপ্ত হইতেছিল। ঠাকুরবাড়িতে এককালে তিন মন্দিরে আরতি — কালীমন্দিরে, বিষ্ণুমন্দিরে ও শিবমন্দিরে। দ্বাদশ শিবমন্দিরে এক-একটি করিয়া শিবলিঙ্গের আরতি। পুরোহিত শিবের একঘর হইতে আর-একঘরে যাইতেছেন (Kathamrita)। বাম হস্তে ঘণ্টা, দক্ষিণ হস্তে পঞ্চপ্রদীপ, সঙ্গে পরিচারক—তাহার হস্তে কাঁসর। আরতি হইতেছে, তৎসঙ্গে ঠাকুরবাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ হইতে রোশনচৌকির সুমধুর নিনাদ শুনা যাইতেছে। সেখানে নহবতখানা, সন্ধ্যাকালীন রাগরাগিণী বাজিতেছে। আনন্দময়ীর নিত্য উৎসব—যেন জীবকে স্মরণ করাইয়া দিতেছে—কেহ নিরানন্দ হইও না—ঐহিকের সুখ-দুঃখ আছেই; থাকে থাকুক—জগদম্বা আছেন। আমাদের মা আছেন! আনন্দ কর! দাসীপুত্র ভাল খেতে পায় না, ভাল পরতে পায় না, বাড়ি নাই ঘর নাই,—তবু বুকে জোর আছে; তার যে মা আছে। মার কোলে নির্ভর। পাতানো মা নয়, সত্যকার মা। আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আমার কি হবে, আমি কোথায় জাব, সব মা জানেন। কে অত ভাবে! আমার মা জানেন(Kathamrita)—আমার মা, যিনি দেহ, মন, প্রাণ, আত্মা দিয়ে আমায় গড়েছেন। আমি জানতেও চাই না। যদি জানবার দরকার হয় তিনি জানিয়ে দিবেন। অত কে ভাবে? মায়ের ছেলেরা সব আনন্দ কর!

    বাহিরে কৌমুদীপ্লাবিত জগৎ হাসিতেছে; কক্ষমধ্যে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হরিপ্রেমানন্দে বসিয়া আছেন। ঈশান কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন, আবার ইশ্বরীয় কথা হইতেছে। ঈশানের ভারী বিশ্বাস। বলেন, একবার যিনি দুর্গানাম করে বাড়ি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে শূলপাণি শূলহস্তে যান। বিপদে ভয় কি? শিব নিজে রক্ষা করেন।

    বিশ্বাসে ঈশ্বরলাভ—ঈশানকে কর্মযোগ উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ঈশানের প্রতি)—তোমার খুব বিশ্বাস—আমাদের কিন্তু অত নাই। (সকলের হাস্য) বিশ্বাসেই তাঁকে পাওয়া যায়।

    ঈশান—আজ্ঞা হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি জপ, আহ্নিক, উপবাস, পুরশ্চরণ—এই সব কর্ম করছ তা বেশ। যার আন্তরিক ঈশ্বরের উপর টান থাকে, তাকে দিয়ে তিনি এই সব কর্ম করিয়ে লন। ফলকামনা না করে এই সব কর্ম করে জেতে পারলে নিশ্চিত তাঁকে লাভ (Kathamrita) হয়।

    বৈধীভক্তি ও রাগভক্তি—কর্মত্যাগ কখন?

    “শাস্ত্র অনেক কর্ম করতে বলে গেছে—তাই করছি; এরূপ ভক্তিকে বৈধীভক্তি বলে। আর-এক আছে, রাগভক্তি। সেটি অনুরাগ থেকে হয়, ঈশ্বরে (Ramakrishna) ভালবাসা থেকে হয়—যেমন প্রহ্লাদের। সে ভক্তি যদি আসে, আর বৈধী কর্মের প্রয়োজন হয় না।”

  • Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে বাংলা নববর্ষ। পয়লা বৈশাখ (Pohela Boishakh 2025), বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। ইতিহাস বলে, বাংলা নববর্ষের প্রচলন করেছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। এতদিন ধরে আমরা যা জেনে এসেছি, পড়ে এসেছি, তা একটি মিথ্যে তথ্য, তা-ই আজ প্রমাণ করবে মাধ্যম

    মহারাজ শশাঙ্ক (Pohela Boishakh 2025)

    বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক মহারাজ শশাঙ্ক। স্বাধীন বাংলার শাসক ছিলেন তিনি।! হিন্দু এই রাজা কালগণনার ক্ষেত্রে সূর্য সিদ্ধান্ত পদ্ধতি চালু করেছিলেন। শশাঙ্কই যে বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক, তা আঁক কষেই বলে দেওয়া যায়। এটা বাংলায় ১৪৩১ সাল। ইংরেজিতে ২০২৫। এই দুই সালের পার্থক্য করলে ফারাক কত দাঁড়ায়? ২০২৫-১৪৩১ = ৫৯৪। এই ৫৯৪ সালে কে রাজত্ব করতেন? তখন তো মুঘলরা ভারতই আক্রমণ করেনি! আসলে এই সময় ছিল হিন্দু রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকাল। ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গাব্দ চালুর কারণ হল ওই বৈশাখের প্রথম দিনেই রাজ্যাভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেদিন ছিল সোমবার। আনুমানিক ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল শশাঙ্কের রাজত্বকাল। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন ছিল ১লা বৈশাখ ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ এপ্রিল, সোমবার। পরবর্তীকালে পঞ্জিকার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পয়লা বৈশাখ ১২ এপ্রিল থেকে বদলে এখন পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।

    হাজার বছরের পার্থক্য কেন?

    প্রশ্ন হল, যদি আকবর বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা হন, তাহলে কালগণনায় প্রায় এক হাজার বছরের পার্থক্য কেন? ইতিহাস থেকেই জানা যায়, বাংলায় যে অজস্র ছোটো-ছোটো রাজ্যগুলি ছিল, সেগুলিকে একত্রিত করে প্রথম স্বাধীন বাঙালি সাম্রাজ্য স্থাপন করে সিংহাসনে বসেছিলেন মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক। রাজধানী ছিল আজকের মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণতে। শশাঙ্কের অধীনে ছিল বাংলা, বিহার, ওড়িশা এবং অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রথম বাঙ্গালি সম্রাট শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক থেকেই বাঙালির নিজস্ব ক্যালেন্ডার বঙ্গাব্দর সূচনা। তাই বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক আকবর নন, শশাঙ্ক। বঙ্গাব্দ প্রচলন এবং বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ইসলামের কোনও যোগই নেই। এই ভাবনা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

    শশাঙ্কের রাজত্বকাল (Pohela Boishakh 2025) চলাকালীন ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ শুরু হয়। ২০২৫-এর সঙ্গে হিসেব মিলিয়ে করলে কত দাঁড়ায়? ২০২৫-৫৯৩=১৪৩২। দুদিন পরেই সেই ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। আর সম্রাট আকবরের শাসনকাল ছিল ১৫৫৬ থেকে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দ। অর্থাৎ সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন!

    প্রাচীন ওড়িশার গঞ্জাম থেকে পাওয়া তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, শৈলোদ্ভববংশীয় দ্বিতীয় মাধববর্মা মহারাজ শশাঙ্কদেবের সামন্ত ছিলেন। এই তাম্রশাসন মাধববর্মা ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে লিখেছিলেন। সুতরাং ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের আগেই শশাঙ্ক পূর্ব ভারতের রাজ্যপাটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। শশাঙ্ক সম্পর্কে যেটুকু তথ্য পাওয়া যায় তার অনেকটাই হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্ট রচিত ‘হর্ষচরিত’ থেকে। সেই সঙ্গে চিনা পরিব্রাজক হিউএনসাঙের ভারত ভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকেও জানা যায়।

    শশাঙ্কের রাজকার্যের প্রচলিত ভাষা ছিল বাংলা। রাজধর্ম ছিল হিন্দু। তিনিই প্রথম অপরাজিত (Pohela Boishakh 2025) এবং বিস্তৃত বঙ্গের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মসংরক্ষক এবং পরধর্মসহিষ্ণু। বাঙালি হিন্দু রাজাদের মধ্যে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক।

  • Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী’! শুধু পুত্র নয়, পুত্র-কন্যা সবার জন্যই এই ব্রত রাখেন বাংলার মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রতি বছর পালিত হয় নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi 2025)। বাংলার ১২ মাসের ১৩ পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। এটি বাংলার একটি নিজস্ব লোকায়ত ধর্মীয় উত্‍সব। এই বছর আজ, রবিবার, ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীল ষষ্ঠী।

    কেন নাম নীল ষষ্ঠী

    নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasthi 2025) পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। তার পরের দিন বাংলা নববর্ষের শুরু। পুরাণ অনুসারে, নীল ষষ্ঠীর দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকার বিয়ে হয়। নীলকণ্ঠ, মহাদেবের সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ের কারণেই এই দিনটি নীলষষ্ঠী নামে পরিচিত। আর এই ষষ্ঠীর পুজোকে নীল পুজো বলা হয়। গ্রামীন অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো উপলক্ষে গাজনের মেলাও বসে।

    কীভাবে পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী

    চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখতে হয়। সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢেলে মহাদেবের পুজোর প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙা হয়। উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল, সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠী তিথি নয়। তা হলেও এদিন নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা হয়। নীল ষষ্ঠীতে (Nil Sasthi Brata) ষষ্ঠী দেবীর সঙ্গেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করে মহাদেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে। শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। অপরাজিতা বা আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

    নীল ষষ্ঠী ২০২৫ পুজোর সময়

    ১৩ এপ্রিল ২০২৫, বাংলা ক্যালেন্ডারে ৩০ চৈত্র ১৪৩১ রবিবার পালিত হবে নীল পুজো। প্রতিপদ পড়েছে রবিবার ভোর ৫টা ৫২ মিনিটে। পঞ্জিকা অনুসারে নীলকণ্ঠ শিবের পুজো করুন কাল সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের মধ্যে। তবে দেবীর ষোড়শ যাত্রার মধ্যে অন্যতম হল নীলযাত্রা। দেবী নীলাবতীর পুজো করতে হবে সন্ধেবেলা। নীলের পুজোয় অবশ্যই পঞ্চামৃত নিবেদন করতে হবে। এই পঞ্চামৃত হল দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি। এর সঙ্গে একটু কালো তিল ও সিদ্ধি পাতা মিশিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া গঙ্গাজল, আকন্দ ফুল, ধুতরো, নীল অপরাজিতা ও কাঁচা আম দিয়ে এ দিন মহাদেবের পুজো করুন।

  • Ramakrishna 323: “শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে, চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়”

    Ramakrishna 323: “শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে, চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    মাতৃসেবা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—হাজরা মহাশয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওর মা রামলালের কাছে অনেক দুঃখ করেছে; তাই বললুম, তিনদিনের জন্য না হয় যাও, একবার দেখা দিয়ে এসো; মাকে কষ্ট দিয়ে কি ইশ্বরসাধনা হয়? আমি বৃন্দাবনে রয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মাকে মনে পড়ল; ভাবলুম—মা যে কাঁদবে; তখন আবার সেজোবাবুর সঙ্গে এখানে চলে এলুম।

    “আর সংসারে যেতে জ্ঞানীর ভয় কি (Kathamrita)?”

    মহিমাচরণ (সহাস্যে)—মহাশয়! জ্ঞান হলে তো।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—হাজরার সবই হয়েছে, একটু সংসারে মন আছে—ছেলেরা রয়েছে, কিছু টাকা ধার রয়েছে। মামীর সব অসুখ সেরে গেছে, একটু কসুর আছে! (মহিমাচরণ প্রভৃতি সকলের হাস্য)

    মহিমা—কোথায় জ্ঞান হয়েছে, মহাশয় (Ramakrishna)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিয়া)—না— গো তুমি জান না। সব্বাই বলে, হাজরা একটি লোক, রাসমণির ঠাকুরবাড়িতে আছে। হাজরারই নাম করে, এখানকার নাম কেউ করে? (সকলের হাস্য)

    হাজরা—আপনি নিরুপম—আপনার উপমা নাই, তাই কেউ আপনাকে বুঝতে পারে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তবেই নিরুপমের সঙ্গে কোন কাজ হয় না; তা এখানকার নাম কেউ করবে কেন?

    মহিমা—মহাশয়! ও কি জানে? আপনি যেরূপ উপদেশ দেবেন ও তাই করবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, তুমি ওকে বরং জিজ্ঞাসা কর; ও আমায় বলেছে, তোমার সঙ্গে আমার লেনা-দেনা নাই।

    মহিমা—ভারী তর্ক করে (Kathamrita)!

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও মাঝে মাঝে আমায় আবার শিক্ষা দেয়। (সকলের হাস্য) তর্ক যখন করে, হয়তো আমি গালাগালি দিয়ে বসলুম। তর্কের পর মশারির ভিতর হয়তো শুয়েছি; আবার কি বলেছি মনে করে বেরিয়ে এসে হাজরাকে প্রণাম করে যাই, তবে হয় (Kathamrita)!

    বেদান্ত ও শুদ্ধাত্মা 

    (হাজরার প্রতি)—“তুমি শুদ্ধাত্মাকে ঈশ্বর বল কেন? শুদ্ধাত্মা নিষ্ক্রিয়, তিন অবস্থার সাক্ষিস্বরূপ। যখন সৃষ্টি, স্থিতি প্রলয় কার্য ভাবি তখন তাঁকে ঈশ্বর বলি। শুদ্ধাত্মা কিরূপ—যেমন চুম্বক পাথর অনেক দূরে আছে, কিন্তু ছুঁচ নড়ছে—চুম্বক পাথর চুপ করে আছে নিষ্ক্রিয়।”

  • Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ভক্তদের বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস মতে, এই পবিত্র দিনে হনুমান চালিশা পাঠ করে বজরংবলীর পুজো করলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়। দেশজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন। হনুমানজিকে বলা হয় সংকটমোচন। বিশ্বাস করা হয়, রামভক্ত হনুমান কলিযুগেও জীবিত আছেন। তাঁর নাম শুনলেই সকল প্রকার কষ্ট ও ভয় দূর হয়ে যায়। হনুমান ভক্তরা দর্শনের জন্য মন্দিরের বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব

    হনুমানজিকে শ্রী রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর সাহায্যে শ্রী রাম রাবণকে বধ করেন এবং মাতা সীতাকে অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি এবং অপরিসীম শক্তির জন্য পরিচিত, হনুমান সাহস, নিঃস্বার্থ সেবা এবং নিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর উপাসনা জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

    হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ তারিখ এবং শুভ সময়

    এই বছর হনুমান জন্মোৎসব ১২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। এবার পূর্ণিমা তিথি ১২ এপ্রিল ব্রহ্ম মুহুর্তে ০৩:২১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৩ এপ্রিল ভোর ০৫:৫১ মিনিটে শেষ হবে। হনুমান জয়ন্তীতে পুজোর প্রথম শুভ সময় ১২ এপ্রিল সকাল ৭:৩৪ টা থেকে ৯:১২ টা পর্যন্ত। এর পরে, দ্বিতীয় শুভ সময় হবে সন্ধে ৬.৪৬ থেকে রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত।

    হনুমান চালিশা পাঠ ও পুজো পদ্ধতি

    হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান করুন। পরিষ্কার পোশাক পরে পুজো করুন। এরপর হনুমানজিকে তাঁর প্রিয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করুন। তাতে বোঁদের লাড্ডু, মিষ্টি পান, গুড় এবং কলা দিতে ভুলবেন না। অনেক ভক্ত এই উপলক্ষে উপোসও করেন। এই দিনে, যদি কেউ সত্যিকারের হৃদয়ে হনুমান চালিশা বা সুন্দর কাণ্ড কাণ্ড পাঠ করে, তার সমস্ত ইচ্ছা হনুমানজি নিজেই পূরণ করেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, হনুমান চালিশার এমন কিছু শ্লোক আছে, যা পাঠ করলে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। এর সঙ্গে ভক্তরা সম্পদ এবং বুদ্ধিমত্তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। ভক্তদের বিশ্বাস হনুমান চালিশা দ্বারা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কোনও ব্যক্তি হয়তো সমস্যায় পড়েছেন এবং সামনের দিকের সমস্ত পথ বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। সেই সময় তিনি যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকী, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।

  • Ramakrishna 322: “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এস, মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়?”

    Ramakrishna 322: “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এস, মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়?”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    মাতৃসেবা ও শ্রীরামকৃষ্ণ—হাজরা মহাশয়

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) ঘরের পূর্ব বারান্দায় হাজরা মহাশয় বসিয়া জপ করেন। বয়স ৪৬।৪৭ হইবে। ঠাকুরের দেশের লোক। অনেকদিন হইতে বৈরাগ্য হইয়াছে—বাহিরে বাহিরে বেড়ান, কখন কখন বাড়িতে গিয়া থাকেন। বাড়িতে কিছু জমি-টমি আছে, তাতেই স্ত্রী-পুত্রকন্যাদের ভরণপোষণ হয়। তবে প্রায় হাজার টাকা দেনা আছে, তজ্জন্য হাজরা মহাশয় সর্বদা চিন্তিত থাকেন ও কিসে শোধ যায়, সর্বদা চেষ্টা করেন। কলিকাতায় সর্বদা যাতায়াত আছে, সেখানে ঠনঠনে নিবাসী শ্রীযুক্ত ঈশানচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাঁহাকে সাতিশয় যত্ন করেন ও সাধুর ন্যায় সেবা করেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহাকে যত্ন করে রেখেছেন, কাপড় ছিঁড়ে গেলে কাপড় কিনে দেওয়ান, সর্বদা সংবাদ লন ও ঈশ্বরীয় কথা তাঁহার সঙ্গে সর্বদা হয়ে থাকে। হাজরা মহাশয় বড় তার্কিক। প্রায় কথা (Kathamrita) কহিতে কহিতে তর্কের তরঙ্গে ভেসে একদিকে চলে যেতেন। বারান্দায় আসন করে সর্বদা জপের মালা লয়ে জপ করতেন।

    হাজরা মহাশয়ের মাতাঠাকুরানীর (Ramakrishna) অসুখ সংবাদ আসিয়াছে। রামলালকে দেশ থেকে আসবার সময় তিনি হাতে ধরে অনেক করে বলেছিলেন, খুড়ো মহাশয়কে আমার কাকুতি জানিয়ে বলো তিনি যেন প্রতাপকে বলে-কয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন; একবার যেন আমার সঙ্গে দেখা হয়। ঠাকুর তাই হাজরাকে বলেছিলেন, “একবার বাড়িতে গিয়ে মার সঙ্গে দেখা করে এসো; তিনি রামলালকে অনেক করে বলে দিয়েছেন। মাকে কষ্ট দিয়ে কখন ঈশ্বরকে ডাকা হয়? একবার দেখা দিয়ে বরং চলে এসো।”

    ভক্তের মজলিস ভাঙিলে পর, মহিমাচরণ হাজরাকে সঙ্গে করিয়া ঠাকুরের কাছে উপস্থিত হইলেন। মাস্টারও আছেন।

    মহিমাচরণ (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি, সহাস্যে) — মহাশয়! আপনার কাছে দরবার আছে। আপনি কেন হাজরাকে বাড়ি যেতে বলছেন? আবার সংসারে (Kathamrita) যেতে ওর ইচ্ছা নাই।

  • Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে গাজনের ঢাক (Gajan Utsav)। গ্রাম থেকে শহর শোনা যাচ্ছে ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। বাংলা বছরের শেষ উৎসব হল গাজন। এই উৎসবে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। গাজন উৎসবে জাতপাতের বেড়াজাল টপকে সকলেই সামিল হন শিব আরাধনায়। এবছরের গাজন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, মদন ত্রয়োদশী থেকে। চলবে সোমবার, চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, মদন ত্রয়োদশী হল হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি। যা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয়। এই ত্রয়োদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। একইসঙ্গে প্রেমদেব মদন বা কামদেবের নামও যুক্ত, তাই এটি মদন ত্রয়োদশী নামেই পরিচিত।

    গাজন (Gajan) শব্দের উৎপত্তি

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, গাজন (Gajan Utsav) শব্দের উৎপত্তি ‘গর্জন’ থেকে। অনেকের ধারণা, শিব সাধনার সময় সন্ন্যাসীদের হুঙ্কার বা রব থেকেই গাজন শব্দের উৎপত্তি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও মেলে গাজনের উল্লেখ। পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে লেখা রয়েছে, ‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী। করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।। মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা। দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ এর অর্থ চৈত্রে কিংবা মাঘে এক-সাত দশ-পনেরো কিংবা তিরিশ দিন হাতে বেতের লাঠি নিয়ে শিবব্রতী হয়ে নৃত্য ইত্যাদি করলে মানুষের শিবলোক প্রাপ্ত হয়।

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়

    অনেক গবেষকের ধারণা, গাজন (Gajan Utsav) উৎসবে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। আবার বাংলার মঙ্গলকাব্যতেও গাজনের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধর্মমঙ্গল কাব্যে রয়েছে এর বিস্তৃত বিবরণ। তবে অন্য একটি অংশের মতে, গা শব্দ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর, জন শব্দ বলতে জনসাধারণকে বোঝায়। অর্থাৎ গ্রামের জনসাধারণের যা উৎসব তাই গাজন। জনশ্রুতি রয়েছে, গাজনই হল সেই দিন যেদিন শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়। আরও লৌকিক কথা হল, গাজনের সন্ন্যাসীরা হলেন আসলে শিবের বরপক্ষ।

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ থাকে। যথা- ঘাট সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। অনেক জায়গাতে গাজন উৎসব (Gajan Utsav) চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকেই ভক্ত সন্ন্যাসীরা পালন করতেন, সেটা অনেক আগেকার কথা অবশ্য। তবে বর্তমান সময়ে চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে অথবা তিন দিন আগে থেকেই কঠোরব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই সময়ে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন সন্ন্যাসীরা। এবছর নীলব্রত পড়েছে রবিবার, ১৩ এপ্রিল। পরের দিন, অর্থাৎ, সোমবার ১৪ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তির দিন অনুষ্ঠিত হবে চড়ক পুুজো।

    অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়

    গাজনে অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়। যা স্থানীয় ভাষায় বোলান গান নামেও পরিচিত। এগুলি বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া বীরভূম জেলাতে দেখা যায়। এই সময়ে শিব-গৌরী সাজেন অনেকেই। এর পাশাপাশি নন্দী, ভৃঙ্গি ভুত-প্রেত, দৈত্য, দানব প্রভৃতি ধরনের সং সেজেও নৃত্য করেন সবাই (Gajan Utsav)। লৌকিক ছড়া, আবৃত্তি গানও করা হয়। গাজনের ঠিক পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় নীল পুজো। গ্রাম্য মহিলারা সন্তানদের মঙ্গল কামনায় এ দিন ফল, আতপ চাল, অর্থ দান করে থাকেন।

    প্রথম গাজন পুজোর প্রচলন কবে

    পৌরাণিকভাবে গাজন উৎসবের (Gajan Utsav) সূচনা নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, বান নামে এক রাজা ছিলেন প্রবল শিব ভক্ত। তিনি দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করতে কঠোর তপস্যা করেন। শিব ভক্তির সেই সূত্র মেনে এখনও পর্যন্ত সন্ন্যাসীরা চড়কের বান পরেন। কাঁটার উপরে ঝাঁপও দেন। গাজন যেন এক প্রকার কৃচ্ছসাধনের ব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। আগুন ঝাঁপ, কাঁটা ঝাঁপ কপাল ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, ১৪৮৫ সালের রাজা সুন্দর আনন্দ ঠাকুর প্রথম চড়ক পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই এই প্রথা মেনে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

    অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন

    গাজনের এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভূত-প্রেত, পুনর্জন্ম প্রভৃতি বিষয়। এক সময়ে গাজনের (Gajan Utsav) সন্ন্যাসীরা হুড়কো দিয়ে নিজেদেরকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুত বেগে ঘুরতেন। সেসময় ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে এই নিয়ম-নীতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে আজও অনেক স্থানে এই রীতি দেখা যায়। গাজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই সময়ে অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় শিব-পার্বতী সেজে কেউ কেউ ভিক্ষা পাত্র নিয়ে বের হন। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আতপ চাল, কাঁচা আম, কাঁচা কলা প্রভৃতি সংগ্রহ করেন।

    গ্রামবাংলায় লোকপ্রিয় গাজন

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই গাজন উৎসব দেখা যায়। মালদা জেলায় গম্ভিরা উৎসব (Gajan Utsav) পালিত হয় এই সময়। কোথাও তা চৈত্র সংক্রান্তি থেকে হয়, কোথাও তা আবার পয়লা বৈশাখে হয়। চার দিন ধরে চলে এই উৎসব। একদিকে যেমন শিব আরাধনা চলে, তেমনই অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার কথা ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে বলতে থাকেন। সেখানে সমস্ত ধরনের কথাই খোলামেলা বলা হয়। রাজনীতি থেকে জীবনের বঞ্চনা কোনও কিছুই বাদ যায় না। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতাতেও দেখা যায় চৈত্র সংক্রান্তির সং সাজা। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে সঙ বের হয়। কলকাতার জেলে পাড়ার সঙ্গে কথাও কম বেশি সকলেই জানেন। এর পাশাপাশি কালীঘাটের নকুলেশ্বর তলা সহ বেশ কিছু জায়গায় আজও গাজন পালিত হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত গাজনের মেলা

    চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা। চৈত্রসংক্রান্তির গাজনে কালী নাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড বা গলিত শব নিয়ে নৃত্য বা মড়াখেলা (কালিকা পাতারি নাচ)। জ্যৈষ্ঠমাসে মনসার গাজনে মহিলা সন্ন্যাসী বা ভক্ত্যারা অংশ নেয়, তারা চড়কের সন্ন্যাসীদের মতোই অনুষ্ঠান পালন করে। বর্ধমান জেলার পাঁড়ুই গ্রামের শিবের গাজন যা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গাজন এর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতি বছর আঠাশ ফলের দিন অর্থাৎ আঠাশে চৈত্র, শ্মশান চিরন নামে বিশাল আচার অনুষ্ঠান হয়। যা প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো।

    বাংলার কয়েকটি জনপ্রিয় গাজন উৎসব

    পূর্ব বর্ধমান: শ্রীখণ্ড গ্রামের গাজন বাবা দুগ্ধ কুমার শিবের গাজন হিসেবে বিখ্যাত।
    মালদা: মালদায় গাজনের নাম গম্ভীরা।
    জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে গাজনের নাম গমীরা।
    বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার ঝাঁটিপাহাড়ী গ্রামের গাজনও খুব বিখ্যাত। তবে তা চৈত্র মাসে নয়, বরং জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৫/২৬ তারিখ নাগাদ পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান হুজুগে গাজন উৎসব নামে পরিচিত।

LinkedIn
Share