Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 420: যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিনী শ্যামা মাকে

    Ramakrishna 420: যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিনী শ্যামা মাকে

    শকুনি খুব উঁচুতে উড়ে, কিন্তু নজর থাকে ভাগাড়ে — কোথায় মরা।

    নরেন্দ্র খুব ভালো — গাইতে, বাজাতে, পড়াশোনায়, বিদ্যায়। এদিকে জিতেন্দ্র, বিবেক, বৈরাগ্য আছে। সত্যবাদী, অনেক গুণ।

    মাস্টারের প্রতি কেমন রে? কেমন গা? খুব ভালো নয়।

    মাস্টার: “আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব ভালো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “মাস্টারের প্রতি দেখো — ওর (গিরিশের) খুব অনুরাগ আর বিশ্বাস।”

    মাস্টার অবাক হইয়া গিরিশকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন। গিরিশ ঠাকুরের কাছে কয়েকদিন আসিতেছেন মাত্র। মাস্টার কিন্তু দেখিলেন — যেন পূর্ব পরিচিত, অনেক দিনের আলাপ। পরম আত্মীয় যেন — এক সূত্রে গাঁথা মণিগণের একটি মণি।

    নারান বলিলেন, “মহাশয়, আপনার গান হবে না।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ সেই মধুর কণ্ঠে মায়ের নাম ও গুণগান করিতেছেন:

    “যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিনী শ্যামা মাকে,
    মাকে তুমি দেখো, আর আমি দেখি—আর যেন কেউ নাহি দেখে।
    কামাদিরে দিয়ে থাকি, আয় মন, বিরলে দেখি।
    রচনার সঙ্গে রাখি—সে যেন ‘মা’ বলে ডাকে।
    কুরুচি, কুমন্ত্রী যত, নিকট হতে দিও না কো;
    জ্ঞাননয়নকে প্রহরী রেখো—সে যেন সাবধানে থাকে।”

    ঠাকুর ত্রিতাপে স্থবির সংসারী জীবের ভাব আরোপ করিয়া মার কাছে অভিমান করিয়া গাহিতেছেন:

    “গো আনন্দময় হয়ে মা, আমায় নিরানন্দ করো না।
    ও মা, ও দুটি চরণ বিনে আমার মন অন্য কিছু আর জানে না।
    তপন তনয় আমায় মন্দ কয়—কি বলিব, তাই বলো না।
    ভবানী বলিয়ে ভবে যাব চলে—মনে ছিল এই বাসনা।
    অতল পাতালে ডুবাবি আমায়, স্বপ্নেও তা তো জানি না।
    অহর্নিশি শ্রী দুর্গা নামে ভাসি, তবু দুঃখরাশি গেল না।
    এবার যদি মরি, ও হরসুন্দরী, তোর ‘দুর্গা’ নাম আর কেউ লবে না।”

  • Ramakrishna 419: শকুনি খুব উঁচুতে উড়ে, কিন্তু নজর থাকে ভাগাড়ে — কোথায় মরা

    Ramakrishna 419: শকুনি খুব উঁচুতে উড়ে, কিন্তু নজর থাকে ভাগাড়ে — কোথায় মরা

    কর্তাটি তখন খুব ব্যস্ত হয়ে চিঠির খোঁজ শুরু করলেন। অনেকক্ষণ ধরে, অনেকজন মিলে খুঁজে শেষে চিঠিখানা পাওয়া গেল। তখন তিনি খুব আনন্দে, অতি যত্নে চিঠিখানা হাতে নিয়ে পড়তে লাগলেন—দেখতে লাগলেন কী লেখা রয়েছে। লেখা ছিল: ‘পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে, একখানা কাপড় পাঠাবে’—আরও কত কী!

    তখন আর চিঠির দরকার রইল না। চিঠি ফেলে দিয়ে তিনি সন্দেশ, কাপড় আর অন্যান্য জিনিস কিনতে বেরিয়ে পড়লেন।

    চিঠির দরকার কতক্ষণ? যতক্ষণ সন্দেশ, কাপড় ইত্যাদির খবর জানা না যায়। খবর জেনে গেলে নিজে কর্মে প্রবৃত্ত হতে হয়।

    ঠিক এইরকমই—শাস্ত্রও কেবল ঈশ্বরকে পাবার উপায়ের কথা বলে। কিন্তু খবর সব জেনে গেলে নিজে সাধনা শুরু করতে হয়। তবেই তো বস্তু (ঈশ্বর) লাভ হয়।

    শুধু পাণ্ডিত্যে কী হবে?
    অনেক শ্লোক, অনেক ছাত্র পণ্ডিতের জানা থাকতে পারে, কিন্তু যার সংসারে আসক্তি আছে,
    যার কামিনী-কাঞ্চনে মনে মনে ভালোবাসা আছে,
    তার শাস্ত্রধারণা হয় নাই।
    মিছে পড়া।
    পাঁজিতে লিখেছে — “বিচারে জল”, কিন্তু পাঁজি টিপলে এক ফোঁটাও পড়ে না।
    সকলের হাস্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):”পণ্ডিত খুব লম্বা লম্বা কথা বলে, কিন্তু নজর কোথায়? কামিনির, কাঞ্চনের, দেহের, সোনার (টাকার) প্রতি।”

    শকুনি খুব উঁচুতে উড়ে, কিন্তু নজর থাকে ভাগাড়ে — কোথায় মরা।

    নরেন্দ্র খুব ভালো — গাইতে, বাজাতে, পড়াশোনায়, বিদ্যায়।
    এদিকে জিতেন্দ্র, বিবেক, বৈরাগ্য আছে।
    সত্যবাদী, অনেক গুণ।

    মাস্টারের প্রতি কেমন রে? কেমন গা? খুব ভালো নয়।

    মাস্টার: “আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব ভালো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “মাস্টারের প্রতি দেখো — ওর (গিরিশের) খুব অনুরাগ আর বিশ্বাস।”

    মাস্টার অবাক হইয়া গিরিশকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।
    গিরিশ ঠাকুরের কাছে কয়েকদিন আসিতেছেন মাত্র।
    মাস্টার কিন্তু দেখিলেন — যেন পূর্ব পরিচিত, অনেক দিনের আলাপ।
    পরম আত্মীয় যেন — এক সূত্রে গাঁথা মণিগণের একটি মণি।

  • Ramakrishna 418: পথ ও উপায় জেনে নেওয়ার পর আর বই-শাস্ত্রের কী দরকার?

    Ramakrishna 418: পথ ও উপায় জেনে নেওয়ার পর আর বই-শাস্ত্রের কী দরকার?

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “সুরেশ তুমি তো! কে ইনি?”

    সুরেশ (হাসিতে হাসিতে): “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আমার বরদা।”

    (সকলের হাস্য।)

    গিরিশ (ঠাকুরের প্রতি): “আচ্ছা মহাশয়, আমি ছেলেবেলায় কিছু লেখাপড়া করিনি, তবু লোকে বলে বিদ্বান।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “মহিমা চক্রবর্তী অনেক শাস্ত্র-অস্ত্র দেখেছে, শুনেছে। খুব আধার।” “কেমন গা?”

    মাস্টার: “আজ্ঞে, হ্যাঁ।”

    গিরিশ: “কি বিদ্যা! ও অনেক দেখেছে—ওতে আর ভুলি না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে) – এখানকার ভাব কী জানো? বই, শাস্ত্র—এইসব কেবল ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাবার পথ বলে দেয়। পথ ও উপায় জেনে নেওয়ার পর আর বই-শাস্ত্রের কী দরকার? তখন নিজে কাজ করতে হয়।

    একজন একখানা চিঠি পেয়েছিল। কুটুমবাড়িতে তত্ত্ব করতে হবে—কী কী জিনিস নিতে হবে, চিঠিতে সব লেখা ছিল। কিন্তু জিনিস কিনতে যাবার সময় চিঠিখানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

    কর্তাটি তখন খুব ব্যস্ত হয়ে চিঠির খোঁজ শুরু করলেন। অনেকক্ষণ ধরে, অনেকজন মিলে খুঁজে শেষে চিঠিখানা পাওয়া গেল। তখন তিনি খুব আনন্দে, অতি যত্নে চিঠিখানা হাতে নিয়ে পড়তে লাগলেন—দেখতে লাগলেন কী লেখা রয়েছে। লেখা ছিল: ‘পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে, একখানা কাপড় পাঠাবে’—আরও কত কী!

    তখন আর চিঠির দরকার রইল না। চিঠি ফেলে দিয়ে তিনি সন্দেশ, কাপড় আর অন্যান্য জিনিস কিনতে বেরিয়ে পড়লেন।

    চিঠির দরকার কতক্ষণ? যতক্ষণ সন্দেশ, কাপড় ইত্যাদির খবর জানা না যায়। খবর জেনে গেলে নিজে কর্মে প্রবৃত্ত হতে হয়।

    ঠিক এইরকমই—শাস্ত্রও কেবল ঈশ্বরকে পাবার উপায়ের কথা বলে। কিন্তু খবর সব জেনে গেলে নিজে সাধনা শুরু করতে হয়। তবেই তো বস্তু (ঈশ্বর) লাভ হয়।

  • Ramakrishna 417: শ্রী রামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) “ও! স্কুলে দাঁত বার করবে, গান গাইতে যত লজ্জা!”

    Ramakrishna 417: শ্রী রামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) “ও! স্কুলে দাঁত বার করবে, গান গাইতে যত লজ্জা!”

    ১৮৮৫, ১১ই মার্চ — ভক্ত সংঘে ভজনানন্দে ঠাকুর গান শুনিবেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। বলরামের বৈঠকখানার এক ঘর লোক; সকলেই তাঁহার পানে চাহিয়া আছেন—কি বলেন, শুনিবেন? কি করেন, দেখিবেন।

    শ্রীযুক্ত তারাপদ গাইতেছেন: “কেশব গুরু করুণাধীনে কুঞ্জকাননচারি মাধব, মনমোহন, মুরলীধারী। হরিবল, হরিবল, হরিবল মন আমার। ব্রজকিশোর, কালীয়-হর, কাতর-ভয়-ভঞ্জন, নয়ন বাঁকা বাঁকা, শিখী পাখা, রাধিকা হৃদয়রঞ্জন। গোবর্ধন-ধারণ, বন-কুসুম-ভূষণ, দামোদর, কংস-দর্প-হারী— শ্যামরসো রসবিহারী। হরিবোল, হরিবোল…”

    শ্রীরামকৃষ্ণ গিরিশের প্রতি: এই গানটি খুব উতরেছে। গায়কের প্রতি— “নিতাই-এর গান গাইতে পারো।”

    আবার গান হইল, নিতাই গাইতেছেন: “কিশোরীর প্রেম নিবি আয়, প্রেমের জোয়ার বয়ে যায়। বই ছেড়ে প্রেম শতধারে, যে যত চায়, তত পায়। প্রেমের কিশোরী প্রেম বিলায়, সাধ করি রাধার প্রেমে বল রে হরি। প্রেমে প্রাণ মত্ত করে, প্রেম তরঙ্গে প্রাণ না চায়— রাধার প্রেমে হরি বলি, আয়, আয়, আয়।”

    সকলেই মাস্টারকে অনুরোধ করিতেছেন, “তুমি একটি গান গাও।”
    মাস্টার একটু লাজুক, ফিসফিস করে মাফ চাহিতেছেন।

    গিরিশ (ঠাকুরের প্রতি সহাস্য): “মহাশয়, মাস্টার কোন মতে গান গাইছে না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিরক্ত হইয়া, “ও! স্কুলে দাঁত বার করবে, গান গাইতে যত লজ্জা!”

    মাস্টার মুখ চুন করে খানিকক্ষণ বসিয়া রহিলেন।

    শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্র একটু দূরে বসে ছিলেন।
    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ তাহার দিকে সস্নেহ দৃষ্টিপাত করিয়া শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষকে দেখাইয়া সহস্র বদনে কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    “সুরেশ তুমি তো! কে ইনি?”

    সুরেশ (হাসিতে হাসিতে):
    “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আমার বরদা।”

    (সকলের হাস্য।)

    গিরিশ (ঠাকুরের প্রতি):
    “আচ্ছা মহাশয়, আমি ছেলেবেলায় কিছু লেখাপড়া করিনি, তবু লোকে বলে বিদ্বান।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “মহিমা চক্রবর্তী অনেক শাস্ত্র-অস্ত্র দেখেছে, শুনেছে। খুব আধার।” “কেমন গা?”

    মাস্টার: “আজ্ঞে, হ্যাঁ।”

    গিরিশ: “কি বিদ্যা! ও অনেক দেখেছে—ওতে আর ভুলি না।”

  • Shravan Somvar: আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার, কোন কোন নিয়ম মেনে শিবের পুজো করবেন?

    Shravan Somvar: আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার, কোন কোন নিয়ম মেনে শিবের পুজো করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয় মাস হল শ্রাবণ (Shravan Somvar)। এই মাসেই শিবভক্তরা উপোস করে প্রতি সোমবার ভগবানের উদ্দেশে পুজো নিবেদন করেন। মহাদেবের মাথায় জল ঢালা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, শিবের মাথায় সোমবার জল ঢাললে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। জীবনে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বিশেষ কিছু রীতি মেনে চললে তুষ্ট হন মহাদেব, সে নিয়েই আজকে জানব আমরা।

    শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের পুজো (Lord Shiva) করার বিশেষ কিছু নিয়ম

    ১) সোমবার সকালে স্নান করার পরে শিবের মন্দিরে যান। এক্ষেত্রে খালি পায়ে মন্দিরে যেতে পারলে ভালো হয়। জল ভর্তি পাত্র বাড়ি থেকে নিয়ে যান। মন্দিরের শিবলিঙ্গে তা অর্পণ করুন। ১০৮ বার শিব মন্ত্র জপ করুন। দিনে অন্ন গ্রহণ না করাই ভালো, শুধু ফল খান। সন্ধ্যায় (Shravan Somvar) আবার দেবাদিবের মন্ত্রগুলি জপ করুন।

    ২) ভগবান শিবকে (Shravan Somvar) খুশি করতে শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী নিবেদন করুন। গঙ্গাজল, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, ভাঙ, কর্পূর, দুধ, রুদ্রাক্ষ, ভস্ম নিবেদন করুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই জিনিসগুলি অর্পণ করলে ব্যক্তির সৌভাগ্য জাগ্রত হয়।

    ৩) শিবের (Lord Shiva) মাথায় জল ঢালার পর প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে আরতি। পুজো শেষে উপোস ভাঙতে পারেন ফল খেয়ে। ভক্তি দিয়ে পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

    ৪) শাস্ত্রবিদদের মতে, শিবের পুজোতে চন্দন, অখন্ড চাল, ধুতুরা ফুল, আকন্দ, বেলপাতা, দুধ ও গঙ্গাজল অর্পণ করলে প্রসন্ন হন মহাদেব।

    ৫) শ্রাবণ মাসের ব্রত পালন করার সময় ঠাকুরঘরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। পুজোর সময় ঘর অন্ধকার রাখবেন না।

    ৬) সন্ধ্যাবেলার চেয়ে শ্রাবণ মাসের (Shravan Somvar) পুজো সকালে করে নেওয়াই ভালো।

    ৭) শাস্ত্রবিদদের মতে, ফল খেয়ে এই পুজো করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই দিন খাবারের তালিকায় আলু, লাউ এবং কুমড়ো অবশ্যই রাখুন।

    ৮) ব্রত পালনের দিনটি যতটা সৎ জীবনযাপন করুন।

    ৯) শিবপুজোর সময় অবশ্যই ঘি, মধু, সিদ্ধি, দুধ এবং গঙ্গাজল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করুন।

    ১০) বেলপাতা, ধুতুরা এবং আকন্দ ফুল শিবের সবচেয়ে প্রিয়। এই জিনিসগুলো পুজোয় অর্পণ করতে কখনও ভুলবেন না।

    ১১) শিবপুজোর সময় শিবলিঙ্গে আতপ চাল এবং যব অর্পণ করলে মিলবে শুভ ফল।

    ১২) শিবপুজো করার আগে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করেন শাস্ত্রবিদরা।

    শিবের পুজো করার সময় যা করতে নেই (Shravan Somvar)

    ১) মহাদেবকে কখনও কেতকী ফুল অর্পণ করতে নেই বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    ২) তুলসীপাতা শিবের পুজোয় কখনও ব্যবহার করবেন না।

    ৩) শিবের পুজোয় সব কিছু সাদা রঙের জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, এমনটাই মত শাস্ত্রবিশারদদের।

    ৪) শিবলিঙ্গে কখনই হলুদ, সিঁদুর, তুলসী, ডাল, কুমকুম, তিল, চাল, লাল ফুল, শঙ্খ সহ গঙ্গাজল অর্পণ করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ৫) শিবলিঙ্গ কখনও প্রদক্ষিণ করবেন না। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাদেব তাঁকে প্রদক্ষিণ করা পছন্দ করেন না। তাই শিবলিঙ্গ বা মহাদেবের মূর্তিকে ভুলেও প্রদক্ষিণ করবেন না।

    ৬) মহাদেবের আরাধনায় বেলপাতা জরুরি হলেও সোমবার ভুলেও বেলপাতা ছিঁড়বেন না। আপনি সোমবার পুজো করলে আগের দিন বেলপাতা গাছ থেকে তুলে রাখুন।

    ৭) শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে জল এবং দুধ ঢালতে হয়। কিন্তু তার জন্য ভুলেও স্টিল বা তামার পাত্র থেকে শিবলিঙ্গে জল দেবেন না। কেবলমাত্র পেতলের পাত্র থেকেই শিবলিঙ্গে জল ঢালুন।

    ৮) উপবাসের সময় ভুলেও দুধ খাবেন না। শ্রাবণ মাসে মহাদেবকে দুধ নিবেদন করুন, শিবলিঙ্গে দুধ ঢালুন। এর ফলে কোষ্ঠী থেকে চন্দ্র দোষ দূর হবে এবং মনের অশান্তি কমবে।

  • Ramakrishna 416: ঠাকুর গান শুনিবেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন, বলরামের বৈঠকখানায় এক ঘর লোক

    Ramakrishna 416: ঠাকুর গান শুনিবেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন, বলরামের বৈঠকখানায় এক ঘর লোক

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।

    অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।

    আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।

    একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।

    বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।

    একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।

    বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।

    ১৮৮৫, ১১ই মার্চ — ভক্ত সংঘে ভজনানন্দে
    ঠাকুর গান শুনিবেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। বলরামের বৈঠকখানার এক ঘর লোক; সকলেই তাঁহার পানে চাহিয়া আছেন—কি বলেন, শুনিবেন? কি করেন, দেখিবেন।

    শ্রীযুক্ত তারাপদ গাইতেছেন:
    “কেশব গুরু করুণাধীনে কুঞ্জকাননচারি
    মাধব, মনমোহন, মুরলীধারী।
    হরিবল, হরিবল, হরিবল মন আমার।
    ব্রজকিশোর, কালীয়-হর, কাতর-ভয়-ভঞ্জন,
    নয়ন বাঁকা বাঁকা, শিখী পাখা, রাধিকা হৃদয়রঞ্জন।
    গোবর্ধন-ধারণ, বন-কুসুম-ভূষণ,
    দামোদর, কংস-দর্প-হারী—
    শ্যামরসো রসবিহারী।
    হরিবোল, হরিবোল…”

    শ্রীরামকৃষ্ণ গিরিশের প্রতি:
    এই গানটি খুব উতরেছে।
    গায়কের প্রতি— “নিতাই-এর গান গাইতে পারো।”

    আবার গান হইল, নিতাই গাইতেছেন:
    “কিশোরীর প্রেম নিবি আয়, প্রেমের জোয়ার বয়ে যায়।
    বই ছেড়ে প্রেম শতধারে,
    যে যত চায়, তত পায়।
    প্রেমের কিশোরী প্রেম বিলায়,
    সাধ করি রাধার প্রেমে বল রে হরি।
    প্রেমে প্রাণ মত্ত করে, প্রেম তরঙ্গে প্রাণ না চায়—
    রাধার প্রেমে হরি বলি,
    আয়, আয়, আয়।”

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    Ramakrishna 415: একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়, সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল। নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন। তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন। নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

    গিরিশ (নারায়ণ দৃষ্টে-) কে খবর দিলে? মাস্টারি দেখছি সব ছাড়লে, সকলের হাস্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।

    অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।

    আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।

    একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।

    বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।

    একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।

    বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।

  • Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর। এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়। তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি? তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।” এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

    গিরিশ — মহাশয়, শ্লোকটি কী বললেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এই ক’টি লোকের থেকে সাবধান হবে।
    প্রথম — মুখে হোলসা, হল হল করে কথা বলে।
    দ্বিতীয় — ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না।
    তৃতীয় — কান তুলসে, মানে কানে তুলসী দেয় ভক্তি দেখাবার জন্য।

    এরপর দীঘল ঘোমটা — লম্বা ঘোমটা দেখলেই লোকে ভাবে ভারী সতি, আসলে তা নয়। আর “পানা পুকুরে জল না থাকলে সান্নিপাতিক হয়” —

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল।
    নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে।
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন।
    তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন।
    নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

  • Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের (Shravan Maas) গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রাবণকে বলা হয় দেবাদিদেব শিবের (Lord Shiva) মাস। মহাদেব পুজিত হন এই মাসে। ভগবান শিবের উপাসনা করার শ্রেষ্ঠ সময় কাল-প্রদোষ বলে মনে করা হয়। পুণ্যার্থীরা শ্রাবণের প্রতি সোমবার, শিবের জন্যে ব্রত পালন করেন। সাধারণত মাসভর চলে নানা ধর্মীয় রীতি পালন। শ্রাবণ মাস শুরু হল আজ শুক্রবার ১৮ জুলাই থেকে।

    মোট চারটি সোমবার (Shravan Maas)

    চলতি বছরের শ্রাবণে শিবভক্তরা মোট চারটে সোমবার পাবেন।

    প্রথম সোমবারের উপবাস: ২১ জুলাই।

    দ্বিতীয় সোমবারের উপবাস: ২৮ জুলাই।

    তৃতীয় সোমবারের উপবাস: ৪ অগাস্ট।

    শেষ সোমবারের উপবাস: ১১ অগাস্ট।

    শিব মন্দির ছাড়াও, বাড়িতে বাড়িতেও (Shravan Maas) পুজো হয় মহাদেবের। ‘হর হর মহাদেব’ উচ্চারণ করে দেশের ভিন্ন প্রান্তে ভোলেবাবার মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের সমাগম হয়। শিবের পুজোয় গঙ্গাজল দিয়ে শিবকে অভিষেককে ‘রুদ্রাভিষেক’ বলে। একেই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পুজোর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।

    শ্রাবণ মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয়

    মনে করা হয়, শ্রাবণ মাস (Shravan Maas) শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করে ভক্তরা কোনও ত্রুটি রাখেন না। উপবাস করে শিবের মাথায় গঙ্গার জল বা দুধ ঢালেন শিবভক্তরা। বিশ্বাস করা হয়, এই মাসে ভক্তি মনে মহাদেবকে ডাকলে তিনি তুষ্ট হন ও মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পবিত্র এই মাসে শিবের আরাধনায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। শিবের কৃপা পেতে মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন এই নিয়ম মেনে শিব পুজো করতে হবে। তাতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে, তেমনই সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে।

    শ্রাবণ মাসে শিব পুজোর পদ্ধতি-

    শ্রাবণ মাসে বিশেষ নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করুন। প্রতিদিন, বিশেষ করে সোমবারে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্বচ্ছ পোশাক পরে নিন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। শিবের আরতি করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়। ডান হাতে জল নিয়ে শ্রাবণ মাসের সোমবারের ব্রতর সংকল্প করুন। এর পর সমস্ত দেবতাদের ওপর গঙ্গাজল অর্পণ করুন। ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে শিব শঙ্করের অভিষেক করুন।

    শ্রাবণের সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত

    ভোলানাথকে সাদা ফুল, সাদা চন্দন, ভাঙ, ধুতুরা, গরুর দুধ, পঞ্চামৃত, সুপুরি, বিল্ব পত্র (বেলপাতা) ও জল অর্পণ করুন। পুজো সামগ্রী অর্পণ করার সময় ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। শ্রাবণ সোমবারের পুজোয় সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত। শেষে আরতি করতে ভুলবেন না। প্রসাদ হিসেবে শিবকে ঘি ও চিনির ভোগ অর্পণ করুন। তার পর সেই প্রসাদ বিতরণ করুন ও নিজেও তা গ্রহণ করুন।

    যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন

    শাস্ত্র মতে, বিল্বের মূলে স্বয়ং শিব বসবাস করে। এই নিয়ম মেনে পুজো করতে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। শ্রাবণ মাসে এই নিয়ম মেনে পুজো করুন। সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সারা বছরই অনেকে শিব পুজো করে থাকেন। সোমবার করে দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন।

    কী কী নিবেদন করলে মিলবে সুফল?

    বিশেষভাবে শিবলিঙ্গে রৌপ্য বা পিতলের পদ্ম দিয়ে দুধ নিবেদন করা উচিত। এ ছাড়া জল, বিল্ব পাতা , আকন্দ ফুল, ধুতুরা যা শিবের প্রিয় ফুল, চন্দন, মধু, ছাই নিবেদন করুন (Shravan Maas)। এছাড়া শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন— চিনি, জাফরান, গব্য ঘি।

LinkedIn
Share