Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 413: কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়

    Ramakrishna 413: কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “ঈশ্বরের সব ধারণা কে করতে পারে? তাঁর বড় ভাবটাও পারে না, আবার ছোট ভাবটাও পারে না। আর সব ধারণা করা কি দরকার? তাঁকে প্রত্যক্ষ করতে পারলেই হলো। তাঁর অবতারকে দেখলেই তাঁকে দেখা হলো। যদি কেউ গঙ্গার কাছে গিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করে, সে বলে—’গঙ্গা দর্শন, স্পর্শ করে এলুম।’ সব গঙ্গাটা হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত হাত দিয়ে ছুঁতে হয় না। তোমার পা-টা যদি ছুঁই, তোমায় ছোঁয়া হলো। যদি সাগরের কাছে গিয়ে একটু জল স্পর্শ করো, তাহলে সাগর স্পর্শ করাই হল। অগ্নিতত্ত্ব সব জায়গায় আছে, তবে কাঠে বেশি।”

    গিরিশ (হাসিতে হাসিতে): “যেখানে আগুন পাব, সেইখানেই আমার দরকার।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে): “অগ্নিতত্ত্ব কাঠে বেশি, ঈশ্বরতত্ত্ব খোঁজো—মানুষে খুঁজবে, মানুষের মধ্যেই তিনি বেশি প্রকাশ হন। যে মানুষকে দেখলে ভক্তি উথলে পড়ে ঈশ্বরের জন্য, তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন।”

    প্রেমে ভক্তি উথলে পড়ছে ঈশ্বরের জন্য; তার প্রেমে মাতোয়ারা হলে, সেই মানুষে যেন নিশ্চিতভাবে ঈশ্বর অবতীর্ণ হয়েছেন।
    “মাস্টার” (শ্রী রামকৃষ্ণ) তো আছেনই, তবে তাঁর শক্তির প্রকাশ কোথাও কম, কোথাও বেশি। অবতারে তাঁর শক্তি বেশি প্রকাশ পায়। কখনো কখনো সেই শক্তি পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়—তখন তা শক্তিরই অবতার।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর।
    এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়।
    তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি?
    তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।”
    এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

  • Ramakrishna 412: যদি কেউ গঙ্গার কাছে গিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করে, সে বলে—গঙ্গা দর্শন, স্পর্শ করে এলুম

    Ramakrishna 412: যদি কেউ গঙ্গার কাছে গিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করে, সে বলে—গঙ্গা দর্শন, স্পর্শ করে এলুম

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “তুমি একবার নরেন্দ্রের সঙ্গে বিচার করে দেখো, সে কি বলে।”

    গিরিশ: “স্বাচ্ছন্দ্যে—নরেন্দ্র বলে, ঈশ্বর অনন্ত। যা কিছু আমরা দেখি, শুনি—জিনিসটি কি, ব্যক্তিটি কি—সবই তাঁর অংশ। এপর্যন্ত আমাদের বলবার জো নাই।
    অনন্ত আকাশ, তার আবার অংশ কী? অংশ হয় না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ঈশ্বর অনন্ত, হোন আর যত বড়—তিনি ইচ্ছা করলে তাঁর ভিতরের সারবস্তু মানুষের ভিতর দিয়ে আসতে পারেন, ও আসেন। তিনি অবতার হয়ে থাকেন। এটি উপমা দিয়ে বুঝানো যায় না, অনুভব হওয়া চাই, প্রত্যক্ষ হওয়া চাই।
    উপমার দ্বারা কতটা আভাস পাওয়া যায়। গরুর মধ্যে সিমটা যদি ছোঁয়াও, গরুকে ছোঁয়া হলো। পা-টা বা লেজটা ছুঁলেও গরুটাকে ছোঁয়া হলো।
    কিন্তু আমাদের পক্ষে গরুর ভিতরের সারপদার্থ হচ্ছে দুধ। সেই দুধ বাটিতে দিয়ে আসে।
    সেইরূপ, প্রেমেও ভক্ত শেখাবার জন্য ঈশ্বর মানুষ-দেহ ধারণ করে, সময়ে সময়ে অবতীর্ণ হন।”

    গিরিশ: “নরেন্দ্র বলে, তাঁকে কি সব ধারণা করা যায়? তিনি তো অনন্ত।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “ঈশ্বরের সব ধারণা কে করতে পারে? তাঁর বড় ভাবটাও পারে না, আবার ছোট ভাবটাও পারে না।
    আর সব ধারণা করা কি দরকার? তাঁকে প্রত্যক্ষ করতে পারলেই হলো। তাঁর অবতারকে দেখলেই তাঁকে দেখা হলো।
    যদি কেউ গঙ্গার কাছে গিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করে, সে বলে—’গঙ্গা দর্শন, স্পর্শ করে এলুম।’
    সব গঙ্গাটা হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত হাত দিয়ে ছুঁতে হয় না।
    তোমার পা-টা যদি ছুঁই, তোমায় ছোঁয়া হলো।
    যদি সাগরের কাছে গিয়ে একটু জল স্পর্শ করো, তাহলে সাগর স্পর্শ করাই হল।
    অগ্নিতত্ত্ব সব জায়গায় আছে, তবে কাঠে বেশি।”

    গিরিশ (হাসিতে হাসিতে):
    “যেখানে আগুন পাব, সেইখানেই আমার দরকার।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে):
    “অগ্নিতত্ত্ব কাঠে বেশি, ঈশ্বরতত্ত্ব খোঁজো—মানুষে খুঁজবে, মানুষের মধ্যেই তিনি বেশি প্রকাশ হন। যে মানুষকে দেখলে ভক্তি উথলে পড়ে ঈশ্বরের জন্য, তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন।”

  • Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

    অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    স্কুলের ছুটির পর মাস্টার আসিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বলরামের বৈঠকখানায় ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন। ঠাকুরের মুখে মধুর হাসি, সেই হাসি ভক্তদের মুখে প্রতিবিম্বিত হইতেছে। মাস্টারকে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া, তিনি প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাকে তাহার কাছে আসিয়া বসিতে ইঙ্গিত করিলেন।

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ, মিত্র, বলরাম, লাডু, চুনিলাল ইত্যাদি ভক্ত উপস্থিত আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “তুমি একবার নরেন্দ্রের সঙ্গে বিচার করে দেখো, সে কি বলে।”

    গিরিশ: “স্বাচ্ছন্দ্যে—নরেন্দ্র বলে, ঈশ্বর অনন্ত। যা কিছু আমরা দেখি, শুনি—জিনিসটি কি, ব্যক্তিটি কি—সবই তাঁর অংশ। এপর্যন্ত আমাদের বলবার জো নাই।
    অনন্ত আকাশ, তার আবার অংশ কী? অংশ হয় না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ঈশ্বর অনন্ত, হোন আর যত বড়—তিনি ইচ্ছা করলে তাঁর ভিতরের সারবস্তু মানুষের ভিতর দিয়ে আসতে পারেন, ও আসেন। তিনি অবতার হয়ে থাকেন। এটি উপমা দিয়ে বুঝানো যায় না, অনুভব হওয়া চাই, প্রত্যক্ষ হওয়া চাই।
    উপমার দ্বারা কতটা আভাস পাওয়া যায়। গরুর মধ্যে সিমটা যদি ছোঁয়াও, গরুকে ছোঁয়া হলো। পা-টা বা লেজটা ছুঁলেও গরুটাকে ছোঁয়া হলো।
    কিন্তু আমাদের পক্ষে গরুর ভিতরের সারপদার্থ হচ্ছে দুধ। সেই দুধ বাটিতে দিয়ে আসে।
    সেইরূপ, প্রেমেও ভক্ত শেখাবার জন্য ঈশ্বর মানুষ-দেহ ধারণ করে, সময়ে সময়ে অবতীর্ণ হন।”

  • Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম,  ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):
    “হ্যা গা, ছোট নরেন এসেছে। আশা করছে, বাড়িতে গিয়ে কিছু বলবে। খুব শুদ্ধ ছেলে— মেয়েদের সঙ্গ সে করে না।”

    মাস্টার: “আর খোলটা খুব বড়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “হ্যাঁ। আবার বলি, ঈশ্বরের কথা একবার শুনলে আমার মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ‘ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না?’ ”

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

  • Ramakrishna 409: মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন

    Ramakrishna 409: মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন

    তখন ঠাকুর আহার করার জন্য বৈঠকখানায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। মাঝে মাঝে থলি থেকে কিছু মসলা, কাবাব বা চিনি ইত্যাদি খাচ্ছেন। অল্পবয়স্ক ভক্তরা চারদিকে ঘিরে বসে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসতে হাসতে): “হে, তুমি যে এখন এলে! স্কুল নেই?”

    মাস্টার: “স্কুল থেকে আসছি, এখন বিশেষ কাজ নেই।”

    ভক্ত (হাসতে হাসতে): “মহাশয় স্কুল পালিয়ে এসেছেন!”

    (সকলের হাস্য)

    মাস্টার (হাসি): “হায়! কে যেন টেনে আনলে!”

    ঠাকুর যেন কিছুটা চিন্তিত হয়ে উঠলেন। তারপর মাস্টারকে পাশে বসিয়ে কত কথা বললেন। তারপর বললেন,
    “আমার গামছাটা একটু নিংড়ে দাও তো গো, আর জামাটা শুকোতে দাও। পাটা একটু কামড়াচ্ছে, একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারো?”

    মাস্টার সেবা করিতে জানেন না, তাই ঠাকুর নিজেই তাঁকে সেবা শেখাচ্ছেন। মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

  • Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের (Shivaji Maharaj) বারোটি দুর্গ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তিনি ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তকে রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    দুর্গগুলির নাম কী কী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৭তম বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় যে দুর্গগুলো স্থান পেয়েছে, সেগুলি হল— মহারাষ্ট্রের সালহের, শিবনেরি, লোহগড়, খান্দেরি, রায়গড়, রাজগড়, প্রতাপগড়, সুবর্ণ দুর্গ, পানহালা, বিজয়দুর্গ, সিন্ধুদুর্গ
    এবং তামিলনাড়ুর জিঞ্জি দুর্গ (Shivaji Maharaj)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এই উপলক্ষে নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ লেখেন: “মহারাষ্ট্রের সকল নাগরিক এবং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভক্তদের আন্তরিক অভিনন্দন। মহারাষ্ট্র সরকার আমাদের প্রিয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে (Shivaji Maharaj) প্রণাম জানাচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন, “শিবাজী মহারাজ স্বরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুর্গগুলি নির্মাণ (UNESCO World Heritage List) করেছিলেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমত, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। তিনি আমাদের যে সমর্থন দিয়েছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রচুর সাহায্য করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত দাদা পাওয়ারও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী অসীস সেলার ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতও করেছেন।”

    উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিবৃতি

    এ বিষয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, “এই দুর্গগুলি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ (Shivaji Maharaj) এবং মারাঠা যোদ্ধাদের বীরত্ব ও ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে। এখন এই দুর্গগুলির ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার সারা বিশ্বে পরিচিত হলো এবং সম্মান লাভ করলো।” তিনি এই বিষয়ে সক্রিয় সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীকে ধন্যবাদ জানান এবং মহারাষ্ট্রের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

  • Ramakrishna 408: মাস্টার এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন

    Ramakrishna 408: মাস্টার এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর। কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন। রাত্রে ঘুম হত না। মাকে বলতেন— “মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা। একবার এখানে এনে দাও। সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো। আমি গিয়ে দেখে আসি।”

    এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন। লোককে বলতেন— “বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ। যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান— ‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো। এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়। এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ। তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”

    বলরামের আলয়ে শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষের সঙ্গে প্রথম বসে আলাপ।
    এইখানে রথের সময় কীর্তন, আনন্দ; এইখানে কতবার প্রেমের দরবারে আনন্দের মেলা হয়েছে।

    ‘মাস্টার’ নিকটবর্তী একটি বিদ্যালয়ে পড়ান। শুনেছি, তিনি আজ সকাল দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বাটিতে আসবেন। অধ্যাপনার মাঝখানে কিছু অবসর পেয়ে, বেলা প্রায় দুই প্রহর পার হলে তিনি সেখানে এসে উপস্থিত হন।

    এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন। তখন ঠাকুর আহার করার জন্য বৈঠকখানায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। মাঝে মাঝে থলি থেকে কিছু মসলা, কাবাব বা চিনি ইত্যাদি খাচ্ছেন। অল্পবয়স্ক ভক্তরা চারদিকে ঘিরে বসে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসতে হাসতে):
    “হে, তুমি যে এখন এলে! স্কুল নেই?”

    মাস্টার:
    “স্কুল থেকে আসছি, এখন বিশেষ কাজ নেই।”

    ভক্ত (হাসতে হাসতে):
    “মহাশয় স্কুল পালিয়ে এসেছেন!”

    (সকলের হাস্য)

    মাস্টার (হাসি):
    “হায়! কে যেন টেনে আনলে!”

  • Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- এখানে থাকবেন।

    পরিবার- এসে কিছুদিন থাকব—নহবতে মা আছেন, তাঁর কাছেই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ তখন বলছেন—
    “তুমি যে বল, মরবার কথা—তাই ভয় হয়।”
    আবার পাশে গঙ্গা

    বসু, বলরাম মন্দিরে, গিরিশ মন্দিরে ও দেবেন্দ্র ভবনে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ।

    ১৮৮৫ সালের ১১ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের বলরামের গৃহে আগমন এবং তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তদের কথোপকথন ও আনন্দময় সময়।

    তিথি: ফাল্গুন কৃষ্ণ দশমী, নক্ষত্র: পূর্বাষাঢ়া,
    তারিখ: ২৯শে ফাল্গুন, বুধবার, ইংরেজি ১১ই মার্চ, ১৮৮৫।

    আজ আনুমানিক বেলা দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর হতে বলরাম বসুর গৃহে (বলরাম মন্দিরে) আগমন করেন।
    সেখানে শ্রী শ্রী জগন্নাথের প্রসাদ গ্রহণ করেন।
    সঙ্গে ছিলেন লাটু প্রভৃতি ভক্ত।

    ধন্য বলরাম! তোমারই আলোয় আজ ঠাকুরের প্রধান কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
    কত নতুন নতুন ভক্তকে আকর্ষণ করে প্রেমের বন্ধনে বেঁধে ফেললেন!
    ভক্তদের সঙ্গে ছিলেন, গান গাইলেন—যেন শ্রীগৌরাঙ্গ শ্রীবাস মন্দিরে প্রেমের হাট বসিয়েছেন।

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর।
    কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন।
    রাত্রে ঘুম হত না।
    মাকে বলতেন—
    “মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা।
    একবার এখানে এনে দাও।
    সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো।
    আমি গিয়ে দেখে আসি।”

    এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন।
    লোককে বলতেন—
    “বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ।
    যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান—
    ‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো।
    এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়।
    এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ।
    তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”

  • Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    তবে “ঈশ্বরের পথে যেতে যেও না”—এই কথা ছাড়া বাকি সব কথা শুনবি।
    “দেখি তোর হাত দেখি,”—এই বলিয়া ঠাকুর তারকের হাত দেখিতেছেন।
    হাত যেন খুব ভারি, মনোযোগ দিয়ে দেখিয়া একটু পরে বলিলেন,
    “একটু আড় আছে… কিন্তু ওটুকু কেটে যাবে। একটু প্রার্থনা করিস, আর এখানে একবার আসিস—ওটুকু চলে যাবে।”

    ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন:
    “কলকাতার বহুবাজারে বাসা তুই করেছিস?”
    তারক উত্তর দিল:
    “আমি আগে করিনি, তারা করেছিল।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে বলিলেন:
    “তুই করেছিস—তাড়াতাড়ি, বাঘের ভয়ে!”
    (ঠাকুর কামিনীকে কি বাঘ বলিতেছেন?)

    তারক প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    ঠাকুর তখন ছোট খাটে শুয়ে ছিলেন, যেন ভাবিতেছেন তারকের কথা। হঠাৎ মাস্টার-কে বলিলেন,
    “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন, যেন কী উত্তর দিবেন ভাবিতেছেন।
    ঠাকুর আবার জিজ্ঞাসা করিলেন,
    “বল না!”

    এই সময় মোহিনী মোহনের পরিবার ঠাকুরের ঘরে আসিয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাদের এক পাশে বসতে দিলেন।

    ঠাকুর তখন তারকের সঙ্গীর কথা মাস্টার-কে বলিতেছেন:
    “ওকেও কেন সঙ্গে আনলি?”
    মাস্টার বলিলেন:
    “রাস্তার সঙ্গী ছিল, অনেকটা পথ একসঙ্গে এসেছে, তাই সঙ্গে আনতে হয়েছে।”

    এই কথার মধ্যে হঠাৎ ঠাকুর মোহিনীর পরিবারকে উদ্দেশ করে বলিলেন,
    “অপঘাত মৃত্যু হলে পেত্নী হয়। সাবধান! মনকে বুঝাবি। এত কিছু দেখলি, শুনলি, শেষে কী—এই হলো?”

    মোহিনী এবার বিদায় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করিলেন, পরিবারও প্রণাম করিল।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে উত্তর দিকের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।
    পরিবারটি মাথায় কাপড় ঢেকে আস্তে আস্তে ঠাকুরকে কিছু বলিতেছেন।

  • Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার, গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025)। ফি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত (Rituals) হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’। ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। তাই ‘গুরু’ শব্দের অর্থ হল, ‘যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন’। গুরু আমাদের আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন। এক অর্থে তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। কেবল হিন্দুধর্ম নয়, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই এই তিন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছেন, তাঁরাই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন দিনটি। গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও।

    গুরুপূর্ণিমার তিথি (Guru Purnima 2025)

    হিন্দুদের একটি অংশ আদিগুরু মানেন মহর্ষি বেদব্যাসকে। এই তিথিতেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলেন। এই ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋক, সাম, যর্জু এবং অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ করেন। এ বছর গুরুপূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে, পূর্ণিমা ছাড়বে ১১ জুলাই রাত ২টো ৬ মিনিটে। হিন্দুদের বিশ্বাস, গুরুপূর্ণিমার দিনটি যে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করার জন্য শুভ। এদিন বাড়িতে যে কোনও শুভ কর্ম করলে গৃহের উন্নতি হয়। ধর্মীয় কাজের জন্যও দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপ গুরুমূর্তি

    হিন্দুদের আর একটি মতে, শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে গুরুমূর্তি বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং সপ্তঋষি এই দিনটিতে মহাদেবের কাছ থেকে পরম জ্ঞান লাভ করেন। তাই শিবই হলেন আদি গুরু। হিন্দুদের পাশাপাশি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন বৌদ্ধরাও। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পরে বুদ্ধগয়া থেকে সারনাথে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর পাঁচ পুরানো সঙ্গীকে প্রথম তাঁর বাণী প্রদান করেন। কারণ, বুদ্ধদেবের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজন তাঁর ধর্মের বাণী সহজে বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে পারবেন। এই দিনটিতেই তিনি তাঁদের সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন। তার ফলে ওই পাঁচজনও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন গুরুপূর্ণিমা তিথিতেই। বৌদ্ধরা অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করেন। এই দিনে তাঁরা বিপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধনা করেন গুরু নির্দেশিত পথে। নেপালে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনটি সে দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপাদেয় খাবার, মালা এবং দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি টপি নামক এক বিশেষ টুপি দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানান (Rituals)।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন জৈনরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন জৈনরাও। তাঁরা এই দিনটিকে পালন করেন ট্রিনোক গুহ পূর্ণিমা হিসেবে। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে এই দিনে চতুর্মার শুরুতে চার মাসের বর্ষাকালের পশ্চাদপসরণে ভগবান মহাবীর চব্বিশতম তীর্থঙ্কর কৈবল্য প্রাপ্তির পর ইন্দ্রভূতি গৌতমকে, পরে গৌতম স্বামী নামে পরিচিত, একজন গণধরা, তাঁর প্রথম শিষ্য, এভাবেই তিনি নিজেই একজন ট্রিনোক গুহ হয়ে ওঠেন।

    ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন সিংহলিরা

    সিংহলিরা এই  দিন থেকে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী। আর তাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা। জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন তাঁরা। ভিয়েতনাম, তিব্বত এবং কোরিয়ার বেশ কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠী এই সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র যান না। মায়ানমারেও অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন গুরু পূর্ণিমা।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) পালন করেন শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। এটি গুরু বা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। শিখ ধর্মে গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এদিন গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান ও নির্দেশনা লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয় (Rituals)। শিখদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল গুরুপূর্ণিমা। এদিন থেকেই গুরুদের দেখানো পথে চলতে প্রাণিত হন শিখেরা। গুরু পূর্ণিমা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ। এই দিনে শিখেরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে গুরুদের পূজা করে এবং তাঁদের শিক্ষাগুলি স্মরণ করে। গুরু পূর্ণিমার দিনে শিখেরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ করেন। গুরুদের জীবনী আলোচনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। গুরুপূর্ণিমা শিখদের জন্য একটি পবিত্র দিন (Rituals), যা তাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য উৎসর্গীকৃত (Guru Purnima 2025)।

LinkedIn
Share