Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                               (গীতা, ৩।৬)

    নরেন্দ্র প্রভৃতি নিত্যসিদ্ধ—তাদের ভক্তি আজন্ম 

    (অমৃত ও ত্রৈলোক্যের প্রতি)—নরেন্দ্র, রাখাল-টাখাল এই সব ছোকরা, এরা নিত্যসিদ্ধ, এরা জন্মে ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্ত। অনেকের সাধ্যসাধনা করে একটু ভক্তি হয়, এদের কিন্তু আজন্ম ঈশ্বরে ভালবাসা। যেন পাতাল ফোঁড়া শিব—বসানো শিব নয়।

    নিত্যসিদ্ধ একটি থাক আলাদা। সব পাখির ঠোঁট বাঁকা নয়। এরা কখনও সংসারে আসক্ত (Kathamrita) হয় না। যেমন প্রহ্লাদ।

    সাধারণ লোক সাধন করে, ঈশ্বরে ভক্তিও করে। আবার সংসারেও আসক্ত হয়, কামিনী-কাঞ্চনে মুগ্ধ হয়। মাছি যেমন ফুলে বসে, সন্দেশে বসে, আবার বিষ্ঠাতেও বসে। (সকলে স্তব্ধ)

    নিত্যসিদ্ধ যেমন মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে। নিত্যসিদ্ধ হরিরস পান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না।

    সাধ্য-সাধনা করে যে ভক্তি, এদের সে ভক্তি নয়। এত জপ, এত ধ্যান করতে হবে, এইরূপ পূজা করতে হবে—এ-সব ‘বিধিবাদীয়’ ভক্তি। যেমন ধান হলে মাঠ পার হতে গেলে আল দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। আবার যেমন সম্মুখের গাঁয়ে যাবে, কিন্তু বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।

    রাগভক্তি প্রেমাভক্তি ঈশ্বরে আত্মীয়ের ন্যায় ভালবাসা(Kathamrita), এলে আর কোন বিধিনিয়ম থাকে না। তখন ধানকাটা মাঠ যেমন পার হওয়া। আল দিয়ে যেতে হয় না। সোজা একদিক দিয়ে গেলেই হল।

    বন্যে এলে আর বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হয় না। তখন মাঠের উপর এক বাঁশ জল! সোজা নৌকা চালিয়ে দিলেই হল।

    “এই রাগভক্তি, অনুরাগ, ভালবাসা না এলে ঈশ্বরলাভ হয় না।”

    সমাধিতত্ত্ব—সবিকল্প ও নির্বিকল্প 

    অমৃত—মহাশয়! আপনার এই সমাধি অবস্থায় কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শুনেছ, কুমুরে পোকা চিন্তা করে আরশুলা কুমুরে পোকা হয়ে যায়, কিরকম জানো? যেমন হাঁড়ির মাছ গঙ্গায় ছেড়ে দিলে হয়।

    অমৃত—একটুও কি অহং থাকে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, আমার প্রায় একটু অহং থাকে। সোনার একটু কণা, সোনার চাপে যত ঘষ না কেন, তবু একটু কণা থেকে যায়। আর যেমন বড় আগুন আর তার একটি ফিনকি। বাহ্যজ্ঞান চলে যায়, কিন্তু প্রায় তিনি একটু  ‘অহং’ রেখে দেন—বিলাসের জন্য! আমি তুমি থাকলে তবে আস্বাদন হয়। কখন কখন সে আমিটুকুও তিনি পুঁছে ফেলেন। এর নাম ‘জড়সমাধি—নির্বিকল্পসমাধি। তখন কি অবস্থা হয় মুখে বলা যায় না। নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল, একটু নেমেই গলে গেল। ‘তদাকারকারিত’। তখন কে আর উপরে এসে সংবাদ দেবে, সমুদ্র কত গভীর!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরাণে দেবী লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) আবির্ভাবের কথা বিশদে উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ অনুসারে দেব ও অসুরের ক্ষীরসাগর মন্থন কালে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) উঠে আসেন। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে দেবী লক্ষ্মীর আটটি রূপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রূপই পার্থিব এবং অপার্থিব আট ধরনের সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা যায়। নীচে আট রূপের বর্ণনা দেওয়া হল-

    আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী:

    পুরাণ অনুসারে দেবী আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মীর (Maa Lakshmi) চারটি হাত। এক হাতে থাকে পদ্ম, এক হাতে থাকে সাদা পতাকা, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় ও বরদা মুদ্রা। জ্যোতিষরা বলেন, আদিলক্ষ্মী (Lakshmi Puja 2024) বা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে বৃহস্পতি গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে।

    ধনলক্ষ্মী:

    লালবসনা দেবী ধনলক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) ছয় হাতে ছয়টি জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, তির-ধনুক, পদ্ম, সোনার মুদ্রা এবং অভয় মুদ্রা। দেবী ধনলক্ষ্মীর শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমনটাই মনে করেন জ্যোতিষীরা। 

    ধান্যলক্ষ্মী:

    সবুজ বসনা দেবী ধান্যলক্ষ্মীর আটটি হাত রয়েছে। আট হাতের দু’টি হাতে থাকে পদ্ম। অন্যান্য হাতগুলিতে থাকে গদা, ধান, আখ গাছ, কলা, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। দেবী ধান্যলক্ষ্মীর সূর্য এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা।

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী:

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর চারটি হাতের দুই হাতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় এবং বরদা মুদ্রা। দেবীর দুই পাশে দুই হাতি কলসি দিয়ে দেবীকে জল অর্পণ করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মীর সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

    সন্তানলক্ষ্মী:

    সন্তানলক্ষ্মীর ছয় হাতের ওপরের দু’টি হাতে থাকে আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, নীচের হাতগুলিতে থাকে ঢাল ও তরোয়াল। মাঝের হাত দু’টির একটি হাত কোলে বসানো শিশুকে ধরে রাখে, শিশুর হাতে থাকে একটি পদ্ম। দেবীর অপর হাতে থাকে অভয় মুদ্রা। দেবী সন্তানলক্ষ্মীর বৃহস্পতি এবং শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী:

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর আট হাতে যথাক্রমে চক্র, শঙ্খ, তির, ধনুক, ত্রিশূল, তালপাতার ধর্মগ্রন্থ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা থাকে। বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মীর মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী:

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী হলেন লালবসনা। দেবীর আটটি হাতে আট রকমের জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, শঙ্খ, তরোয়াল, ঢাল, পদ্ম, পাশ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মীর সূর্য এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিদ্যালক্ষ্মী:

    দেবী বিদ্যালক্ষ্মী শুভ্রবসনা। দেবীর চার হাতের দু’টিতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে বরদা মুদ্রা এবং আভাস মুদ্রা। দেবী বিদ্যালক্ষ্মীর সঙ্গে দেবী সরস্বতীর অনেকটাই মিল আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                                 (গীতা, ৩।৬)

    গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী—অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়

    পরমহংসদেবের (Ramakrishna) সমাধী ক্রমে ভঙ্গ হইতে লাগিল। ভাবস্থ হইয়াই কথা কহিতেছেন (Kathamrita)। আপনা-আপনি বলিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গেরুয়াদৃষ্টে)—আবার গেরুয়া কেন? একটা কি পরলেই হল? (হাস্য) একজন বলেছিল, চন্ডী ছেড়ে হলুম ঢাকী—আগে চণ্ডির গান গাইত, এখন ঢাক বাজায়! (সকলের হাস্য)

    বৈরাগ্য তিন-চার প্রকার। সংসারের জ্বালায় জ্বলে গেরুয়াবসন পরেছে—সে বৈরাগ্য বেশিদিন থাকে না। হয়তো কর্ম নাই, গেরুয়া পরে কাশী চলে গেল। তিনমাস পরে ঘরে পত্র এল, আমার একটি কর্ম হইয়াছে, কিছুদিন পরে বাড়ি যাইব, তোমরা ভাবিত হইও না। আবার সব আছে, কোন অভাব নাই, কিন্তু কিছুভাল লাগে না। ভগবানের জন্য একলা একলা কাঁদে। সে বৈরাগ্য যথার্থ বৈরাগ্য।

    মিথ্যা কিছুই ভাল নয়। মিথ্যা ভেক ভাল নয়। ভেকের মতো যদি মনটা না হয়, ক্রমে সর্বনাশ হয়। মিথ্যা বলতে বা করতে ক্রমে ভয় ভেঙে যায়। তার চেয়ে সাদা কাপড় ভাল। মনে আসক্তি, মাঝে মাঝে পতন হচ্ছে, আর বাহিরে গেরুয়া! বড় ভয়ঙ্কর!”

    কেশবের বাড়ি গমন ও নববৃন্দাবন-দর্শন 

    এমনকি, যারা সৎ, অভিনয়েও তাদের মিথ্যা কথা বা কাজ ভাল নয়। কেশব সেনের ওখানে নববৃন্দাবন নাটক দেখতে গিছলাম। কি একটা আনলে ক্রস (cross); আবার জল ছড়াতে লাগল, বলে শান্তিজল। একজন দেখি মাতাল সেজে মাতলামি করছে!”

    ব্রাহ্মভক্ত—কু—বাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তের পক্ষে ওরূপ সাজাও ভাল নয়। ও-সব বিষয়ে মন অনেকক্ষণ ফেলে রাখায় দোষ হয়। মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়। মিথ্যাতে অনেকক্ষণ ফেলে রাখলে মিথ্যার রঙ ধরে যাবে।

    আর-একদিন নিমাই-সন্ন্যাস, কেশবের বাড়িতে দেখতে গিছিলাম। যাত্রাটি কেশবের কতকগুলো খোশামুদে শিষ্য জুটে খারাপ করেছিল। একজন কেশবকে বললে, কলির চৈতন্য হচ্ছেন আপনি! কেশব আমার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে বললে, ‘তাহলে ইনি কি হলেন?’ আমি বললুম (Kathamrita), ‘আমি তোমাদের দাসের দাস। রেণুর রেণু।’ কেশবের লোকমান্য হবার ইচ্ছা ছিল।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সঙ্গে কথোপকথন

    সমাধিমন্দিরে 

    ফাল্গুনের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি, বৃসস্পতিবার, ১৬ই চৈত্র; ইংরেজী ২৯শে মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিতেছেন। দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘর। সম্মুখে পশ্চিমদিকে গঙ্গা। চৈত্র মাসের গঙ্গা। বেলা দুইটার সময় জোয়ার আসিতে আরম্ভ হইয়াছে। ভক্তেরা কেহ কেহ আসিয়াছেন। তন্মধ্যে ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত অমৃত ও মধুরকন্ঠ (Kathamrita) শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য, যিনি কেশবের ব্রাহ্মসমাজে ভগবল্লীলাগুণগান করিয়া আবালবৃদ্ধের কতবার মন হরণ করিয়াছেন।

    রাখালের অসুখ। এই কথা শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই দেখ, রাখালের অসুখ। সোডা খেলে কি ভাল হয় গা? কি হবে বাপু! রাখাল তুই জগন্নাথের (Kathamrita) প্রসাদ খা।

    এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর অদ্ভুতভাবে ভাবিত হইলেন। বুঝি দেখিতে লাগিলেন, সাক্ষাৎ নারায়ণ সম্মুখে রাখালরূপে বালকের দেহধারণ করে এসেছেন! একদিকে কামিনী-কাঞ্চনত্যাগী শুদ্ধাত্মা বালকভক্ত রাখাল, অপরদিকে ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের সেই প্রেমের চক্ষু—সহজেই বাৎসল্যভাবের উদয় হইল। তিনি সেই বালক রাখালকে বাৎসল্যভাবে দেখিতে লাগিলেন ও ‘গোবিন্দ’ ‘গোবিন্দ’ এই নাম প্রেমভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। শ্রীকৃষ্ণকে দেখিয়া যশোদার যে-ভাবের উদয় হইত এ বুঝি সেই ভাব! ভক্তেরা এই অদ্ভুত ব্যাপার দর্শন করিতেছেন, এমন সময়ে সব স্থির! ‘গোবিন্দ’ নাম করিতে করিতে ভক্তাবতার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সমাধি হইয়াছে। শরীর চিত্রার্পিতের ন্যায় স্থির! ইনিদ্রয়গণ কাজে জবাব দিয়া যেন চলিয়া গিয়াছে! নাসিকাগ্রে দৃষ্টি স্থির। নিঃশ্বাস বহিছে, কি না বহিছে। শরীরমাত্র ইহলোকে পড়িয়া আছে! আত্মাপক্ষী বুঝি চিদাকাশে বিচরণ করিতেছে। এতক্ষণ যিনি সাক্ষাৎ মায়ের ন্যায় সন্তানের জন্য ব্যস্ত হইয়াছিলেন, তিনি এখন কোথায়? এই অদ্ভুত ভাবান্তরের নাম কি সমাধি (Kathamrita)?

    এই সময়ে গেরুয়া কাপড়-পরা অপরিচিত একটি বাঙালী আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’’-এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা (Lakshmi Puja) তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তি প্রদানকারী দেবী। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। আসুন জেনে নিই এই বছরের লক্ষ্মী পুজোর নির্ঘণ্ট।

    এবছর লক্ষ্মীপুজোর সময়সূচি কেমন (Kojagori Lakshmi Puja 2024)?

    বৈদিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী পুজোর উৎসব পালিত হয়। এইবার পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার ১৬ অক্টোবর, রাত ০৮টা ৪০ মিনিট থেকে এবং এই তিথি চলবে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর, বিকেল ০৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। ফলে উদয় তিথিতে ১৬ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পুজোর নিশীথ কাল মুহূর্ত হল রাত ১১টা ৪২ মিনিট থেকে ১২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এদিন চন্দ্রোদয় হবে বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে।

    ‘কোজাগরী’ কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja 2024) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী (Lakshmi Puja)। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ (Kojagori Lakshmi Puja 2024) এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    পুজোর বিভিন্ন রীতি (Kojagori Lakshmi Puja 2024)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা বা পটচিত্র আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja) ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয়, গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম

    প্রায় সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। ভক্তদের দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সংসারত্যাগী সাধু—সে তো হরিনাম করবেই। তার তো আর কোন কাজ নাই। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা (Kathamrita) করে তো, আশ্চর্যের বিষয় নয়। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা না করে, সে যদি হরিনাম না করে তাহলে বরং সকলে নিন্দা করবে।

    সংসারী লোক যদি হরিনাম করে, তাহলে বাহাদুরি আছে। দেখ, জনক রাজা খুব বাহাদুর। সে দুখানি তরবার ঘুরাত। একখানা জ্ঞান ও একখানা কর্ম। এক দিকে পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান, আর-একদিকে সংসারে কর্ম করছে। নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ খুঁটিয়ে করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতিকে চিন্তা করে।

    সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) করে দেন।

    কেদার—আজ্ঞে হাঁ! মহাপুরুষ (Ramakrishna) জীবের উদ্ধারের জন্য আসেন। যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়। অথবা যেমন নদী বা তড়াগ, কত জীবের পিপাসা শান্তি করে।

    ক্রমে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একে একে সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ভবনাথকে দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, তুই আজ আর যাস নাই। তোদের দেখেই উদ্দীপন!

    ভবনাথ এখনও সংসারে প্রবেশ করেন নাই। বয়স উনিশ-কুড়ি, গৌরবর্ণ, সুন্দর দেহ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে তাঁহার চক্ষে জল আসে। ঠাকুর তাঁহাকে সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 163: “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    Ramakrishna 163: “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে

    অপরাহ্নে ভক্তেরা পঞ্চবটীমূলে কীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) তাঁহাদের সহিত যোগদান করিলেন। আজ ভক্তসঙ্গে মার নামকীর্তন করিতে করিতে আনন্দে ভাসিলেন (Kathamrita):

    শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল ৷
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল ॥
    মায়াকান্নি হল ভারী, আর আমি উঠাতে নারি ৷
    দারাসুত কলের দড়ি, ফাঁস লেগে সে ফেঁসে গেল ॥
    জ্ঞান-মুণ্ড গেছে ছিঁড়ে, উঠিয়ে দিলে অমনি পড়ে ৷
    মাথা নেই সে আর কি উড়ে, সঙ্গের ছজন জয়ী হল ॥
    ভক্তি ডোরে ছিল বাঁধা, খেলতে এসে লাগল ধাঁধা ৷
    নরেশচন্দ্রের হাসা-কাঁদা, না আসা এক ছিল ভাল ॥

    আবার গান হইল। গানের সঙ্গে সঙ্গে খোল-করতাল বাজিতে লাগিল। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে নাচিতেছেন:

    মজলো আমার মনভ্রমরা শ্যামাপদ নীলকমলে ৷
    (শ্যামাপদ নীলকমলে, কালীপদ নীলকমলে!)
    যত বিষয়মধু তুচ্ছ হল কামাদি কুসুম সকলে ॥
    চরণ কালো, ভ্রমর কালো, কালোয় কালো মিশে গেল ৷
    পঞ্চতত্ত্ব, প্রধান মত্ত, রঙ্গ দেখে ভঙ্গ দিলে ॥
    কমলাকান্তেরই মনে, আশাপূর্ণ এতদিনে ৷
    তায় সুখ-দুঃখ সমান হলে আনন্দ সাগর উথলে ॥

    কীর্তন চলিতেছে। ভক্তেরা গাহিতেছেন:

    (১)      শ্যামা মা কি এক কল করেছে।
    (কালী মা কি এক কল করেছে)
    চোদ্দপোয়া কলের ভিতরি, কল ঘুরায় ধরে কলডুরি,
    কল বলে আপনি ঘুরি, জানে না কে ঘুরাতেছে।
    যে কলে জেনেছে তারে, কল হতে হবে না তারে,
    কোন কলের ভক্তিডোরে আপনি শ্যামা বাঁধা আছে।

    (২)       ভবে আসা খেলতে পাশা কত আশা করেছিলাম।
    আশার আশা ভাঙা দশা প্রথমে পঞ্জুড়ি পেলাম ॥
    পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল ৷
    শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম ॥

    ভক্তেরা আনন্দ করিতে লাগিলেন। তাহারা একটু থামিলে ঠাকুর গাত্রোত্থান করিলেন। ঘরে ও আশেপাশে এখনও অনেকগুলি ভক্ত আছেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পঞ্চবটী হইতে দক্ষিণাস্য হইয়া নিজের ঘরের দিকে যাইতেছেন। সঙ্গে মাস্টার। বকুলতলায় আসিলে পর শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্যের সহিত দেখা হইল। তিনি প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—পঞ্চবটীতে ওরা গান গাচ্চে (Kathamrita)। চল না একবার —

    ত্রৈলোক্য—আমি গিয়ে কি করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, বেশ একবার দেখতে।

    ত্রৈলোক্য—একবার দেখে এসেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আচ্ছা, আচ্ছা বেশ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশকে সুখ-সমৃদ্ধি প্রদানকারী দেবতা বলে মনে করা হয়। তাঁর অপর নাম বিঘ্নহর্তা। অর্থাৎ নিজের ভক্তদের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর করেন গণেশ, এমনটাই বিশ্বাস। বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী, গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাড়িতে কেমন গণেশ মূর্তি রাখবেন? আবার কোন দিকে গণেশের মূর্তি রাখবেন? সে বিষয়েও বিশেষ বিধান রয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। এই প্রতিবেদনে সে বিষয়েই আলোচনা করব আমরা।

    কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখবেন?

    আম-অশ্বত্থ-নিম কাঠের গণপতি মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে আম, অশ্বত্থ ও নিম গাছের গণেশ মূর্তি অবশ্যই রাখা উচিত। এতে গৃহে সুখ-শান্তি প্রবেশ করে।

    শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত। বাড়িতে এ ধরনের মূর্তি লাগালে ধন-সম্পদের কোনও অভাব থাকে না।

    ক্রিস্টালের গণেশ প্রতিমা: বাস্তু শাস্ত্রে ক্রিস্টালকে সবচেয়ে উত্তম ধাতু মনে করা হয়। বাড়িতে ক্রিস্টালের গণেশ মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    বসে থাকা গণেশমূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে সব সময় বসে থাকা মুদ্রায় গণেশ মূর্তি রাখা উচিত। এতে যে কোনও কাজে সাফল্য আসে বলে মনে করা হয়।

    লাল রঙের গণেশ মূর্তি: বিভিন্ন রঙের গণেশ মূর্তি বাড়িতে পাওয়া যায়। উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য বাড়িতে সিঁদুর লাল রঙের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা।

    কোন দিকে রাখবেন গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol)?

    ১. সুখ-সমৃদ্ধি ও বৈভবের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে বা ঈশান কোণে গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত।

    ২. বাড়ির পূর্ব বা পশ্চিম দিকেও গণেশ মূর্তি রাখা যেতে পারে। বাড়ি বা দোকানে মূর্তি রাখার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে, গণেশের পা যেন মাটি স্পর্শ করে।

    ৩. বাড়ির দক্ষিণ দিকে কখনও গণেশ মূর্তি রাখতে নেই। গণেশ মূর্তি এবং ঠাকুরঘরের আশপাশও যাতে নোংরা না-থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

    ৪. সিঁড়ির নীচে বা পাশে গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol) স্থাপন করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তু শাস্ত্রবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি বানিয়েছেন অথবা ফ্ল্যাট কিনেছেন, কিংবা ধরুন নতুন করে ভাড়াবাড়িতে উঠেছেন। বাড়িতে ঠাকুরঘর (Pooja Room) অপরিহার্য! প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতে ঠাকুরঘর (Vastu Tips) থাকেই। কিন্তু এটা জানেন কি, বাস্তুমতে ঠাকুর ঘর বাড়ির ঠিক কোন দিকে হওয়া দরকার? যাতে প্রার্থনার ইতিবাচক প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়তে পারে সেই সংসারের ওপর! বাস্তুবিদরা জানাচ্ছেন, ঈশ্বরের মঙ্গলময় আশীর্বাদ পেতে পুজোর জন্য সঠিক দিক হল, উত্তর-পূর্ব কোণ। শাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে বলে ঈশান কোণ। শাস্ত্রবিদদের (Vastu Tips) মতে, ওই দিককার অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন বৃহস্পতি। ফলতঃ, পুজোপাঠের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঘর বানানো সবচেয়ে সঠিক।

    দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে

    পুজোপাঠের গুরুত্ব (Pooja Room) হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের নানা ওঠাপড়া, সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ, সার্বিক উন্নতি— সব কিছুর জন্য আমরা আরাধ্য দেব-দেবীর ওপর নির্ভরশীল। কেউ শিবের পুজো করেন তো কেউ বজরঙ্গবলির, কেউ বা আবার দেবী দুর্গার।  তার জন্যই বাড়িতে ঠাকুরঘর বানানো অতি আবশ্যক। বাস্তুবিদদের মতে, সেই ঠাকুরঘর বাড়ির সঠিক দিকে থাকা উচিত। দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে। সেটা ভুল হলে জীবনে তার কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেটা সঠিক হলে সাংসারিক জীবনে সুখশান্তি আসার সম্ভাবনা, মানসিক দিকও সঠিক থাকে।

    শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখবেন না (Vastu Tips)!

    বাস্তুবিদরা শোওয়ার ঘরে ঠাকুর না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে যে বাড়িতে জায়গার একান্ত অভাব রয়েছে, বাধ্য হয়ে শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখতে হয়, সেরকম সংসারে প্রতি রাতে শোওয়ার সময় ঠাকু্রের সামনে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া অতি আবশ্যক, এমনটাই জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, প্রতি বাড়িতেই বাস্তু পুরুষের অস্তিত্ব রয়েছে। যাঁর মাথা থাকে উত্তর-পূর্ব দিকে, মানে ঈশান কোণে (Vastu Tips) থাকে। সেই ভাবনায়, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করলে তবেই আমরা জীবনে ভালো ভালো কাজ করতে পারি। ঠিক সেই মতোই গৃহস্থ সংসারে ইতিবাচক পরিবেশ-আবহ বজায় রাখার জন্য বাড়ির বাস্তু পুরুষের মাথা সঠিক তথা ইতিবাচক দিকে থাকা ভীষণ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেই সঠিক-ইতিবাচক দিক হল উত্তর-পূর্ব দিক বা ঈশান কোণ। বাড়ির ঠাকুরঘরের ঠিক ওপরে বা ঠিক নীচে, কিংবা ঠাকুরঘরের পাশেই বাথরুম বানানো কখনও উচিত নয় বলেও জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা (Vastu Tips)। এছাড়াও পুজোর ঘরে অদরকারি জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়। এগুলোতে ঠাকুরঘর থেকে বা ইতিবাচক ভাব ক্রমশ দূরে সরে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য

    যদি বল, বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, তবে এমন ভক্তি—এমন জ্ঞান হয় কেমন করে? তার মানে আছে। বিষ্ঠাকুড়ে যদি ছোলা পড়ে, তাহলে তাতে ছোলাগাছই হয়। সে ছোলাতে কত ভাল কাজ হয়। বিষ্ঠাকুড়ে পড়েছে বলে কি অন্য গাছ হবে?

    আহা, রাখালের স্বভাব আজকাল কেমন হয়েছে। তা হবে নাই বা কেন? ওল যদি ভাল হয়, তার মুখিটিও ভাল হয়। (সকলের হাস্য) যেমন বাপ, তার তেমনি ছেলে!

    মাস্টার (একান্ত গিরীন্দ্রের প্রতি)—সাকার-নিরাকারের কথাটি ইনি কেমন বুঝিয়ে দিলেন। বৈষ্ণবেরা বুঝি কেবল সাকার বলে?

    গিরীন্দ্র—তা হবে। ওরা একঘেয়ে।

    মাস্টার—নিত্য সাকার, আপনি বুঝেছেন? স্ফটিকের কথা? আমি ওটা ভাল বুঝতে পারছি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—হ্যাঁগা, তোমরা কি বলাবলি কচ্ছ?

    মাস্টার ও গিরীন্দ্র একটু হাসিয়া চুপ করিয়া রহিলেন।

    বৃন্দে ঝি (রামলালের প্রতি)—ও রামলাল, এ-লোকটিকে এখন খাবার দেও, আমার খাবার তার পরে দিও।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বৃন্দেকে খাবার এখনও দেয় নাই?

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে

    অপরাহ্নে ভক্তেরা পঞ্চবটীমূলে কীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহাদের সহিত যোগদান করিলেন। আজ ভক্তসঙ্গে মার নামকীর্তন করিতে করিতে আনন্দে ভাসিলেন:

    শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল ৷
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল ॥
    মায়াকান্নি হল ভারী, আর আমি উঠাতে নারি ৷
    দারাসুত কলের দড়ি, ফাঁস লেগে সে ফেঁসে গেল ॥
    জ্ঞান-মুণ্ড গেছে ছিঁড়ে, উঠিয়ে দিলে অমনি পড়ে ৷
    মাথা নেই সে আর কি উড়ে, সঙ্গের ছজন জয়ী হল ॥
    ভক্তি ডোরে ছিল বাঁধা, খেলতে এসে লাগল ধাঁধা ৷
    নরেশচন্দ্রের হাসা-কাঁদা, না আসা এক ছিল ভাল ॥

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ“ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share