Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2024: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    Durga Puja 2024: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Maha Nabami) মানেই মন খারাপের দিন। কারণ এর পরেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়। নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে (Durga Puja 2024) দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    মহানবমীর (Durga Puja 2024) আগে হয় সন্ধিপুজো

    মহানবমীর (Durga Puja 2024) আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের (Maha Nabami) উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয়, সেটি হল শত্রু বলি

    নবমীতে (Durga Puja 2024) আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর (Durga Puja 2024) পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমী। দশমী মানেই দুর্গাপুজোর শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রাত পর্যন্ত মণ্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি-সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌। অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে, যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে বিজয়া দশমী (Durga Puja 2024) বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি (Durga Puja 2024)

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি উল্লেখযোগ্য। রানি রাসমণির জামাতা মথুরবাবু এক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024) বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবী মা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন, এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    মহিষাসুর বধ, দেবকূল মাতে উৎসবে (Bijoya Dashmi)

    দশমী (Durga Puja 2024) ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভাপুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনি আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতাকূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি

    অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী-নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ। ৫১টি অংশে সতীর মৃতদেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য শিব বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবতকন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2024) দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই এই দিনটি পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এই তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয়প্রাপ্ত করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি  (Bijoya Dashmi)
     দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Durga Puja 2024)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন (Dashera)। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই (Dashera) আশ্বিন মাসে মা দুর্গার (Durga Puja 2024) অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি (Durga Puja 2024) তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয় না। ঘট (Ghot Puja) বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো (Durga Puja 2024), যে দেবতার উদ্দেশে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হল আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে, জেনে নেওয়া যাক ঘটের প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল। এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসেবে এবং নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সঙ্গে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষকে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    ঘটের বিশ্লেষণ (Durga Puja 2024)

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ (Durga Puja 2024) তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ি হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক। এক কথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশস্য। এগুলি হল মানুষের পাঁচটা বৃত্তি-কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য-এর প্রতীক। ঘটের ভিতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা-এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর ওপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘটকে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়। তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয়, সবটাই ঘটে রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হল এখানে দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায় না, যখন ঘটের ওপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হল মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের (Ghot Puja) শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন, মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ-নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় মুখমণ্ডলের প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, ঘটে স্বয়ং দেব-দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যে কোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচার

    -ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি। গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পণ্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে পবিত্র কোনও পুকুরের মাটি লাগে।

    -ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা (Durga Puja 2024)। পাতাগুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    -পণ্ডিতদের মতে তেল, ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের ওপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের ওপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা। চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠিগুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ
    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব

    প্রভাতে ভক্তসঙ্গে 

    কালীবাড়িতে আজ শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) জন্মমহোৎসব—ফাল্গুন শুক্লা দ্বিতীয়া, রবিবার, ১১ই মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। আজ ঠাকুরের অন্তরঙ্গ ভক্তগণ সাক্ষাৎ তাঁহাকে লইয়া জন্মোৎসব করিবেন।

    প্রভাত হইতে ভক্তেরা একে একে আসিয়া জুটিতেছেন। সম্মুখে মা ভবতারিণীর মন্দির। মঙ্গলারতির পরই প্রভাতী রাগে নহবতখানায় মধুর তানে রোশনচৌকি বাজিতেছে। একে বসন্তকাল, বৃক্ষলতা সকলই নূতন বেশ পরিধান করিয়াছে; তাহাতে ভক্তহৃদয় ঠাকুরের জন্মদিন স্মরণ করিয়া নৃত্য করিতেছে। চতুর্দিকে আনন্দের সমীরণ বহিতেছে। মাস্টার গিয়া দেখিতেছেন; ভবনাথ, রাখাল, ভবনাথের বন্ধু কালীকৃষ্ণ বসিয়া সহাস্যে আলাপ করিতেছেন। মাস্টার পৌঁছিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি এসেছ। (ভক্তদিগকে) লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়। আজ কত আনন্দ হবে। কিন্তু যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না। ঈশ্বরের (Kathamrita) কথায় লজ্জা কি, ভয় কি? নে, এখন তোরা গা।

    ভবনাথ ও কালীকৃষ্ণ (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    ধন্য ধন্য ধন্য আজি দিন আনন্দকারী,
    সব মিলে তব সত্যধর্ম ভারতে প্রচারি।
    হৃদয়ে হৃদয়ে তোমারি ধাম, দিশি দিশি তব পুণ্য নাম;
    ভক্তজনসমাজ আজি স্তুতি করে তোমারি।
    নাহি চাহি প্রভু ধন জন মান, নাহি প্রভু অন্য কাম;
    প্রার্থনা করে তোমারে আকুল নরনারী।
    তব পদে প্রভু লইনু শরণ, কি ভয় বিপদে কি ভয় মরণ,
    অমৃতের খনি পাইনু যখন জয় জয় তোমারি।

    ঠাকুর বদ্ধাঞ্জলি হইয়া বসিয়া একমনে গান শুনিতেছেন। গান শুনিতে শুনিতে মন একেবারে ভাবরাজ্যে চলিয়া গিয়াছে। ঠাকুরের মন শুষ্ক দিয়াশলাই—একবার ঘষিলেই উদ্দীপন। প্রাকৃত লোকের মন ভিজে দিয়াশলাইয়ের ন্যায়, যত ঘষো জ্বলে না—কেন না মন বিষয়াসক্ত। ঠাকুর অনেকক্ষণ ধ্যানে নিমগ্ন। কিয়ৎক্ষণ পরে কালীকৃষ্ণ ভবনাথের কানে কানে কি বলিতেছেন।

    আগে হরিনাম না শ্রমজীবীদের শিক্ষা? 

    কালীকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া গাত্রোত্থান করিলেন। ঠাকুর বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় যাবে?”

    ভবনাথ—আজ্ঞা (Kathamrita), একটু প্রয়োজন আছে, তাই যাবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি দরকার?

    ভবনাথ—আজ্ঞা, শ্রমজীবীদের শিক্ষালয়ে (Baranagore Workingmen’s Institute) যাবে। কালীকৃষ্ণের প্রস্থান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ওর কপালে নাই। আজ হরিনামে কত আনন্দ হবে দেখত (Kathamrita)? ওর কপালে নাই!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    অবস্থা ও অহিংসা 

    অধর (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়, আমার একটি জিজ্ঞাস্য (Kathamrit) আছে; বলিদান করা কি ভাল? এতে তো জীবহিংসা করা হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বিশেষ বিশেষ অবস্থায় শাস্ত্রে আছে, বলি দেওয়া যেতে পারে। ‘বিধিবাদীয়’ বলিতে দোষ নাই। যেমন অষ্টমীতে একটি পাঁঠা। কিন্তু সকল অবস্থাতে হয় না। আমার এখন এমন অবস্থা, দাঁড়িয়ে বলি দেখতে পারি না। মার প্রসাদী মাংস, এ-অবস্থায় খেতে পারি না। তাই আঙুলে করে একটু ছুঁয়ে মাথায় ফোঁটা কাটি; পাছে মা রাগ করেন।

    আবার এমন অবস্থা হয় যে, দেখি সর্বভূতে ঈশ্বর, পিঁপড়েতেও তিনি। এ-অবস্থায় হঠাৎ কোন প্রাণী মরলে এই সান্ত্বনা হয় যে, তার দেহমাত্র বিনাশ হল। আত্মার জন্ম মৃত্যু নাই।

    অধরকে উপদেশ—বেশি বিচার করো না

    বেশি বিচার করা ভাল নয়, মার পাদপদ্মে ভক্তি থাকলেই হল। বেশি বিচার করতে গেলে সব গুলিয়ে যায়। এ-দেশে পুকুরের জল উপর উপর খাও, বেশ পরিষ্কার জল পাবে। বেশি নিচে হাত দিয়ে নাড়লে জল ঘুলিয়ে যায়। তাই তাঁর কাছে ভক্তি প্রার্থনা কর। ধ্রুবর ভক্তি সকাম। রাজ্যলাভের জন্য তপস্যা করেছিলেন। প্রহ্লাদের কিন্তু নিষ্কাম অহেতুকী ভক্তি (Kathamrit)।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কিরূপে লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওই ভক্তির দ্বারা। তবে তাঁর কাছে জোর করতে হয়। দেখা দিবিনি, গলায় ছুরি দেব—এর নাম ভক্তির তমঃ।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কি দেখা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, অবশ্য দেখা যায় (Kathamrit)। নিরাকার, সাকার—দুই দেখা যায়। সাকার চিন্ময়রূপ দর্শন হয়। আবার সাকার মানুষ তাতেও তিনি প্রতক্ষ্য। অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা। ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তসঙ্গে গঙ্গায় বানদর্শন 

    ঠাকুর (Ramakrishna) এইভাবে বসিয়া আছেন, এমন সময় একজন আসিয়া সংবাদ দিল যে, বান আসিতেছে। ঠাকুর, রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি সকলে বান দেখিবার জন্য পঞ্চবটী অভিমুখে দৌড়াইতে লাগিলেন। পঞ্চবটীমূলে আসিয়া সকলে বান দেখিতেছেন (Kathamrita) । বেলা প্রায় ১০ টা হইবে। একখানা নৌকার অবস্থা দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, দেখ, দেখ, ওই নৌকাখানার অবস্থা বা কি হয়।

    এইবার ঠাকুর পঞ্চবটীর রাস্তার উপরে মাস্টার, রাখাল প্রভৃতির সহিত বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি—আচ্ছা, বান কি রকম করে হয়?

    মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, মাধ্যাকর্ষণ, জোয়ার, ভাটা; পূর্ণিমা, অমাবস্যা, গ্রহণ ইত্যাদি বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন (Kathamrita) ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বাল্যকালে ও পাঠশালায়—The Yogi is beyond all finite relations of number, quantity, cause, effect

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—ওই যা! বুঝতে পারছি না; মাথা ঘুরে আসছে! টনটন করছে! আচ্ছা, এত দূরের কথা কেমন করে জানলে?

    দেখ, আমি ছেলেবেলায় চিত্র আঁকতে বেশ পারতুম, কিন্তু শুভঙ্করী আঁক ধাঁধা লাগত! গণনা অঙ্ক পারলাম না।

    এইবার ঠাকুর নিজের ঘরে ফিরিয়া আসিয়াছেন। দেওয়ালে টাঙানো যশোদার ছবি দেখিয়া বলিতেছেন, ছবি ভাল হয় নাই, ঠিক যেন মেলেনীমাসী করেছে।

    শ্রীঅধর সেনের প্রথম দর্শন ও বলির কথা 

    মধ্যাহ্ন-সেবার পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিয়াছেন। অধর ও অন্যান্য ভক্তরা ক্রমে ক্রমে আসিয়া জুটিলেন। অধর সেন এই প্রথম ঠাকুরকে দর্শন (Kathamrita) করিতেছেন। অধরের বাড়ি কলিকাতা বেনেটোলায়। তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বয়স ২৯।৩০।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তি নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize)। অথচ, তাঁর নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। আবার তিনিই পেয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ‘ম্যান অফ দ্য ইয়ার’ শিরোপা। তিনি আর কেউ নন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাঁর অহিংসার আদর্শ এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে (Gandhi Jayanti 2024) আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই মহাত্মা গান্ধীর জীবনের নানা জানা-অজানা কাহিনি।

    আইনজীবী হিসেবে আন্দোলন শুরু (Gandhi Jayanti 2024)

    দক্ষিণ আফ্রিকার সামন্ততান্ত্রিক দাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন দিয়ে নিজের রাজনৈতিক সংঘর্ষময় জীবন শুরু করেছিলেন গান্ধীজি। আইনজীবী হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের হয়ে লড়াই করে ছিলেন। এরপর ভারতে এসে পরাধীন ব্রিটিশ ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে সরব হন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল অহিংসা। তাঁর (Gandhi Jayanti 2024) আদর্শের কথা দেশ-বিদেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয়ে থাকে। গোটা বিশ্বকে আন্দোলন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ভাষা হিসেবে অহিংসা দ্বারা কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, সেই ভাবনাকে ভারত থেকে বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্ব তাঁর মতকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণও করেছে। কিন্তু তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পাননি। তবে একবার-দুবার নয়, পরপর পাঁচ-পাঁচবার তাঁকে মনোনীত করা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই সম্মান প্রাপকের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবশ্য এই গল্প অনেকের কাছেই অজানা।

    বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা তাঁর নামে

    গুজরাটের পোরবন্দর এলাকায় ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ভারত তথা বিশ্বের যে কোনও স্থানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার হরণ হলে অহিংসার পথে আন্দোলনে নেমেছেন তিনি। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সব সময় অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ঔপনিবেশিক পরাধীন ভারতেকে মুক্ত করতে একাধিক স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বদেশী আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, লবণ সত্তাগ্রহ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, অগাস্ট আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকার একাধিকবার তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল। এমনকী পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে আমরণ অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চোখের বদলে চোখ নিলে গোটা বিশ্বটাই একদিন অন্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর জন্মদিনকে স্মরণে রেখে ইউনাইটেড নেশনস আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। গান্ধীজির নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। ভারতের বিভিন্ন অংশ জুড়ে ৫৩টি এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ৪৮টি রাস্তা রয়েছে তাঁর নামে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিলেন। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, ফোর্ড মোটরসের কর্ণধার হেনরি ফোর্ড।

    আরও পড়ুনঃ তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়! জন্মদিনে স্মরণ ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতাজিকে

    নানা মহলে সমালোচনা

    তবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ছিল তাঁর, ঠিক তেমনিই দেশভাগে নেতিবাচক প্রভাবের কথাও সামালোচকরা করে থাকেন। যদিও দেশভাগের আগে নিজের শরীরকে দুই টুকরোর কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নিজের ভাবনায় স্থির থাকতে পারেননি গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান এবং ভারত বিভাজন হয়। মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের দ্বিজাতিতত্ত্বের ভাবনাকে শেষ পর্যন্ত পরোক্ষভাবে মান্যতা দিয়েছিলেন তিনি। সশস্ত্র বিপ্লবীদের সমর্থন করেননি। ব্রিটিশদের কাছে তাঁর আবেদনে অনেক বিপ্লবীদের ফাঁসির সাজা মুক্ত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সদর্থক ভূমিকা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে, দেশভাগের পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে পারেননি তিনি। নেহরুর থেকে বেশি ভোট পেয়েও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না, এইসব প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। অবশেষে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজিকে গুলি করে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। তবে বর্তমান সময়ে তাঁর অহিংসার আদর্শ একান্তভাবে প্রয়োজনীয়। তাই তাঁকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    Durga Puja 2024: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) দেবী কীসে চড়ে মর্ত্যে আসছেন? ফিরছেনই বা কীসে? সাধারণত গজ অর্থাৎ হাতি, ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়া, নৌকা এবং দোলা- এই চার ধরনের বাহনেই (Vahan) দেবীর আগমন ও গমন ঘটে থাকে। কোন বছর দেবী কীসে আসবেন এবং কীসে যাবেন, সেটার ওপরে নির্ভর করে অনেক কিছুই, এমনটাই মত শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে দেবী দুর্গার দোলায় আগমন এবং গজে গমন। কিন্তু কীভাবে নির্ণয় করা হয়, দেবী দুর্গা কীসে আসছেন এবং কীসে গমন করছেন? শাস্ত্রকাররা জানাচ্ছেন, সপ্তমী ও দশমী কোন দিন পড়েছে, সেটা দেখে নির্ণয় করা হয় দেবী (Durga Puja 2024) কীসে আসছেন ও কীসে গমন করছেন। অন্যদিকে একই বাহনে আগমন এবং গমন অশুভ ইঙ্গিত বলে ধরা হয়। এখন আমরা এক নজরে দেখে নেব, দেবী দুর্গার আগমন ও গমন বাহন ভেদে কী কী ফল দেয়।

    দোলা–দোলা অর্থাৎ সাধারণ বাংলায় যাকে বলে পালকি। এই বাহনে (Vahan) দেবীর আগমন বা গমনের বিষয়ে শাস্ত্রে লেখা রয়েছে, ‘দোলায়াং মড়কং ভবেৎ’— অর্থাৎ দেবী দোলায় এলে মহামারি বা মরকতুল্য বিষয়ে ভোগার আশঙ্কা থাকে।

    গজ-গজ মানে হাতি। হাতিতে আগমন বা গমনের বিষয়ে শাস্ত্রে লেখা রয়েছে, ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা’। শাস্ত্রকাররা বলছেন, গজে গমন বা আগমনে সমৃদ্ধির নির্দেশ করা হয়।

    ঘোটক-ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন বা গমনের ফলের বিষয়ে শাস্ত্রে লেখা রয়েছে, ‘ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে অর্থাৎ ছত্রভঙ্গ’— ধ্বংস বা ছন্নছাড়া বা ধ্বংসাত্মক কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়া বোঝায়।

    নৌকা-নৌকায় মা দুর্গা এলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে, নৌকায় আগমন বা গমনের ফল হিসেবে শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা বোঝানো হয়। কারণ, বন্যার পরবর্তীকালে পলিপূর্ণ ভূমিতে ফলনের বৃদ্ধি হয়।

    দেবী কীসে আসছেন বা কীসে যাচ্ছেন, কীভাবে নির্ণয় করা হয় (Durga Puja 2024)?

    প্রতিবেদনের শুরুতে যেমন আলোচনা করা হয়েছে, দেবী কীসে আসছেন অথবা কীসে যাচ্ছেন, তা নির্ণয় করার পদ্ধতি রয়েছে। সেটাই এবার জেনে নেওয়া যাক।

    -সপ্তমী এবং দশমী তিথি যদি রবিবার বা সোমবার হয়, তাহলে গজে আগমন বা গমন নির্দেশ করে।

    -সপ্তমী এবং দশমী তিথি যদি মঙ্গলবার বা শনিবার হয়, তাহলে ঘোটকে বা ঘোড়ায় (Durga Puja 2024) আগমন বা গমন নির্দেশ করে।

    -সপ্তমী এবং দশমী তিথি যদি বুধবার হয়, তাহলে নৌকায় আগমন বা গমন নির্দেশ করে।

    -সপ্তমী এবং দশমী তিথি যদি বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার হয়, তাহলে দোলায় আগমন বা গমন নির্দেশ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2024: তর্পণ কি শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য? নাকি পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনাও মিশে থাকে?

    Mahalaya 2024: তর্পণ কি শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য? নাকি পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনাও মিশে থাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya 2024) তর্পণ। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

    কেন এই দিনে তর্পণ?

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ (Tarpan) করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

    পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ (Mahalaya 2024)

    অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন (Mahalaya 2024)। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

    পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন (Mahalaya 2024) শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    তর্পণের নিয়ম

    অনেকে পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন। আবার অনেকে যে তিথিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে শ্রাদ্ধ করান। পিতৃপক্ষে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল-জল দিয়ে তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত। ব্রাহ্মণ ভোজনের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের বাড়িতে ডেকে ভোজন করাতে পারেন ও সাধ্যমতো দান করতে পারেন। পিতৃপক্ষের দিনে ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়। এ সময় তেল লাগানো যাবে না বা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share