Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2024: মা দুর্গার আরাধনার পর রাজা ফিরে পেয়েছিলেন রাজত্ব! জানেন সেই কাহিনি?

    Durga Puja 2024: মা দুর্গার আরাধনার পর রাজা ফিরে পেয়েছিলেন রাজত্ব! জানেন সেই কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর শিউলি ফুলের গন্ধই বলে দেয়, মা আসছেন। পুজোর এই চারটে দিনের জন্যই যেন সারা বছর হা পিত্যেশ করে বসে থাকা। কিন্তু যে উৎসব ঘিরে এত আয়োজন, এত উন্মাদনা, এত আবেগ, তা শুরু হয়েছিল কার হাতে? এই প্রশ্নটা আমাদের অনেককেই মাঝে মধ্যে ভাবায়। আসুন, পুরাণ ঘেঁটে দেখে নিই, বাংলায় কে প্রথম এই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেছিলেন? পুরাণে উল্লেখ রয়েছে বলিপুর নামক একটি জায়গার নাম। অনেকেই জানিয়েছেন, এই বলিপুর আসলে বীরভূম জেলার বোলপুর শহর, যা ছিল রাজা সুরথের রাজধানী‌‌। মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মর্ত্যলোকের এই রাজা মর্ত্যবাসীদের মধ্যে দেবীর মাহাত্ম্য তথা লীলা প্রচার করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম উদ্যোক্তা এবং প্রথম সংগঠক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে, কেন রাজা সুরথ দুর্গাপুজো শুরু করেন? এবং কোথায় তা শুরু করেন?

    দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল (Durga Puja 2024)

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কন্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সব কিছুই হারিয়েছিলেন। দাস-দাসী, আত্মীয়স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনত না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের। ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া ছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা (King Suratha), অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সাথে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির।

    মেধস মুনির আশ্রম কোথায় ছিল?

    একটি মত অনুযায়ী, মেধস মুনির আশ্রম বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হল এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম। প্রতি বছর দুর্গাপুজোতে (Durga Puja 2024) ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেকগুলি মন্দির রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রম ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের অন্যতম বড় এই তীর্থস্থান থেকেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। অপর একটি মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের কাছে গড় জঙ্গল নামক স্থানে ছিল মেধস মুনির আশ্রম‌। আশ্রমের অবস্থান নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত থাকলেও এই মেধস মুনির আশ্রমেই যে দুর্গাপুজো প্রথম শুরু হয়েছিল, এ ব্যাপারে পন্ডিত থেকে ঐতিহাসিক সকলেই একমত।

    পুজো হয়েছিল বসন্ত কালে (Durga Puja 2024)

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ (King Suratha) তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
       (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    তীব্র বৈরাগ্য (Ramakrishna) কাকে বলে, একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে দিল। মেয়ে বললে (Kathamrita), বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, তুই যা আমার এখন কাজ আছে। বেলা দুই প্রহর একটা হল, তখনও চাষা মাঠে কাজ করছে। স্নান করার নামটি নাই। তার স্ত্রী তখন মাঠে এসে বললে, এখনও নাও নাই কেন? ভাত জুড়িয়ে গেল, তোমার যে সবই বাড়াবাড়ি! না হয় কাল করবে, কি খেয়ে-দেয়েই করবে। গালাগালি দিয়ে চাষা কোদাল হাতে করে তাড়া করলে; আর বললে, তোর আক্কেল নেই? বৃষ্টি হয় নাই। চাষবাস কিছুই হল না, এবার ছেলেপুলে কি খাবে? না খেয়ে সব মারা যাবি! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, মাঠে আজ জল আনব তবে আজ নাওয়া-খাওয়ার কথা কবো। স্ত্রী গতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল। চাষা সমস্ত দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, সন্ধ্যার সময় খানার সঙ্গে নদীর যোগ করে দিলে। তখন একধারে বসে দেখতে লাগল যে, নদীর জল মাঠে কুলকুল করে আসছে। তার মন তখন শান্ত আর আনন্দে পূর্ণ হল। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ডেকে বললে, নে এখন তেল দে আর একটু তামাক সাজ। তারপর নিশ্চিন্ত হয়ে নেয়ে খেয়ে সুখে ভোঁসভোঁস করে নিদ্রা যেতে লাগল! এই রোখ তীব্র বৈরাগ্যের (Ramakrishna) উপমা।

    আর একজন চাষা—সেও মাঠে জল আনছিল। তার স্ত্রী যখন গেল আর বললে (Kathamrita), অনেক বেলা হয়েছে এখন এস, এত বাড়াবাড়িতে কাজ নাই। তখন সে বেশি উচ্চবাচ্য না করে কোদাল রেখে স্ত্রীকে বললে, তুই যখন বলছিস তো চল! (সকলের হাস্য) সে চাষার আর মাঠে জল আনা হল না। এটি মন্দ বৈরাগ্যের উপমা।

    খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ! মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    Durga Puja 2024: প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ! মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। হাতে গোনা আর মাত্র এক মাসের কয়েকটা দিন বেশি বাকি। দেবী দশভুজা চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মর্তে আসেন। মর্ত্যবাসী তাঁকে নিজের মেয়ের মতো মনে করেই বরণ করে নেন। তাই এখন থেকেই দিকে দিকে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকের মনেই যে প্রশ্ন জাগে, তা হল, কবে এই দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়েছিল? এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পুরাণের (Puranas) দিকে। কারণ বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থই এসবের উত্তর বের করার মূল রাস্তা। এছাড়া এ ব্যাপারে আর নির্ভর করার মতো তেমন কিছু নেই।

    প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ

    ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তিনি পুজো করেছিলেন বৈকুণ্ঠের মহারাস মণ্ডলে। ওই শাস্ত্রের প্রমাণ বাক্যটি হল, প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। শ্রীকৃষ্ণের পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহামায়ার পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহাদেবও। ত্রিপুরাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে তিনি পুজো করেছিলেন দেবী দুর্গার। মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রও। তার অনেক পরে মর্ত্যে শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা (Worship of Mahamaya)।

    দেবী ভাগবত পুরাণ কী বলছে?

    দেবী ভাগবত পুরাণ মতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো প্রচলন করেন। শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, রাজা সুরথ রাজ্য লাভের আশায় দেবী দুর্গার পুজো করেন। বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গাপুজোর কোনও বর্ণনা নেই। তবে কৃত্তিবাস ওঝা বিরচিত রামায়ণে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে। বাসন্ত কালে দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণও। মৈথিলি কবি বিদ্যাপতি দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনীতে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে।

    আরও নানা মত (Durga Puja 2024)

    কারও কারও মতে, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপুজো করেন। কারও কারও মতে আবার ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংস নারাযণ প্রথম দুর্গাপুজো করেন মর্তে। কোচবিহারে ১৫১০ সালে দুর্গাপুজো করেন রাজসিংহ। কেউ কেউ মনে করেন, ১৬০৬ সালে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার। কলকাতার বরিশাল রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বলেও মনে করেন অনেকে। আবার কারও কারও মতে, ১৬১০ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিল কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার। তাঁরা মহিষমর্দিনী দুর্গার পুজো করেননি। ওই পরিবারে দেবীর আগমন (Durga Puja 2024) ঘটেছিল ছেলেমেয়ে সহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 123: “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    Ramakrishna 123: “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

     তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
             (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    বিজয়—বদ্ধজীবের মনের কি অবস্থা হলে মুক্তি হতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের কৃপায় তীব্র বৈরাগ্য হলে, এই কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি থেকে নিস্তার হতে পারে। তীব্র বৈরাগ্য কাকে বলে? হচ্ছে হবে, ঈশ্বরের নাম করা যাক—এ-সব মন্দ বৈরাগ্য। যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল। যার তীব্র বৈরাগ্য, সে ভগবান ভিন্ন আর কিছু চায় (Kathamrita) না। সংসারকে পাতকুয়া দেখে: তার মনে হয়, বুঝি ডুবে গেলুম। আত্মীয়দের কাল সাপ দেখে, তাদের কাছ থেকে পালাতে ইচ্ছা হয়; আর পালায়ও। বাড়ির বন্দোবস্ত করি, তারপর ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করব—এ-কথা ভাবেই না। ভিতরে খুব রোখ।

    “তীব্র বৈরাগ্য কাকে বলে (Kathamrita), একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে (Kathamrita) দিল। মেয়ে বললে, বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, ‘তুই যা আমার এখন কাজ আছে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: স্বপ্নাদেশে স্থান বদল গণেশ ও কার্তিকের, লুচি-মিষ্টি-ফল দিয়েই পাঁচদিনের পুজো!

    Durga Puja 2024: স্বপ্নাদেশে স্থান বদল গণেশ ও কার্তিকের, লুচি-মিষ্টি-ফল দিয়েই পাঁচদিনের পুজো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহরের আর দশটা পুজোর থেকে একটু আলাদা সাহা বাড়ির পুজো। এবার ১৮৬তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো (Durga Puja 2024)। সেই জমিদারি থাকাকালীন শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। তারপর থেকেই পুজো হয়ে আসছে, বংশধররা সেই ধারা বজায় রেখেছেন এখনও পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই প্রচুর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে সাহা বাড়িতে। বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার জামির্তা গ্রাম থেকে নৌকাযোগে কোনও এক সময় সাহা পরিবার এসেছিল বালুরঘাটে ব্যবসার জন্য। তারপর এখানেই পরিবারের একটা অংশ থেকে গিয়েছে। ক্রমেই তাদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। এমনকী কথিত আছে, কিছুটা অংশের জমিদারিও লাভ করেন পরিবারের বংশধরেরা। তারপর ১৮৬ বছর আগে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ক্রমেই তা সাহা পরিবারের সকলের পুজো হয়ে ওঠে।

    প্রচুর মানুষ আজও ভিড় জমান (Durga Puja 2024)

    দেশ ভাগ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ থেকে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা এসেছেন বেশ কয়েকবার। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সাহা পরিবার কার্যত মিলন মেলায় পরিণত হত। সময় বদলেছে, চলে গিয়েছে জমিদারি, কিন্তু বদলায়নি পুজোর রীতি-রেওয়াজ। স্বপ্নাদেশে গণেশ ও কার্তিকের (Ganesh and Kartik) স্থান বদল হয়েছে। দুর্গা প্রতিমা অর্থাৎ দেবীর ডানদিকে থাকবেন কার্তিক, বাঁদিকে থাকবেন গণেশ। সাহা বাড়ির পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব, এখানে কোনও অন্নভোগ হয় না। লুচি-মিষ্টি এবং ফল দিয়েই দেবীর পাঁচদিনের পুজো হয়। জমিদারি যখন ছিল, তখন শাহ বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ প্রসাদ পেতেন। এখন জমিদারি নেই, আর্থিক সচ্ছলতাও কমেছে। পুরনো বাড়িতে এখন শুধুই শূন্যতা। দুর্গামণ্ডপ বহু পুরনো। আগে পুজোর কদিন প্রায় প্রতিদিনই গান-বাজনার আসর বসত। বাইরে থেকে আসতেন শিল্পীরা। এখন এসবও অতীত। নিয়ম মেনে দেবীর পুজো হয়। ব্যতিক্রমী এই পুজো দেখতে এবং প্রতিমা দর্শন করতে প্রচুর মানুষ আজও ভিড় জমান সাহা বাড়ির দুর্গা দালানে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই পাঁচদিনের দুর্গা উৎসবের জন্য।

    কী জানালেন পুজোর উদ্যোক্তারা?

    এই বিষয়ে পুজোর উদ্যোক্তা কালীকৃষ্ণ সাহা চৌধুরী বলেন, আমাদের এবারের দুর্গা পুজো ১৮৬তম বছরে পড়ল (Durga Puja 2024)। আমাদের এই পুজোর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল স্বপ্নাদেশে গণেশ ও কার্তিকের স্থান বদল হয়েছে। দুর্গা প্রতিমার অর্থাৎ দেবীর ডানদিকে থাকে কার্তিক, বাঁদিকে থাকে গণেশ এবং আমাদের এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব, এখানে কোনও অন্নভোগ  হয় না। লুচি-মিষ্টি এবং ফল দিয়েই দেবীর পাঁচদিনের পুজো হয়। তিনি আরও বলেন, এই পুজোতে নবমীর দিন যজ্ঞ করা হয়। তবে কোনও বলি হয় না। আর দশমীর দিন শ্যাপলা ফুল ও ভ্যাটের খৈ দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
       (গীতা—৯।৩৩)

    জীব চার থাক—বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন (Ramakrishna)

    উট কাঁটা ঘাস বড় ভালবাসে। কিন্তু যত খায় মুখ দিয়ে রক্ত দরদর করে পড়ে; তবুও সেই কাঁটা ঘাসই খাবে, ছাড়বে না। সংসারী লোক এত শোক-তাপ পায়, তবু কিছুদিনের পর যেমন তেমনি। স্ত্রী মরে গেল, কি অসতী হল, তবু আবার বিয়ে করবে। ছেলে মরে গেল কত শোক পেলে, কিছুদিন পরেই সব ভুলে (Kathamrita) গেল। সেই ছেলের মা, যে শোকে অধীর হয়েছিল, আবার কিছুদিন পরে চুল বাঁধল, গয়না পরল! এরকম লোক মেয়ের বিয়েতে সর্বস্বান্ত হয়, আবার বছরে বছরে তাদের মেয়ে ছেলেও হয়! মোকদ্দমা করে সর্বস্বান্ত হয়, আবার মোকদ্দমা করে! যা ছেলে হয়েছে তাদেরই খাওয়াতে পারে না, পরাতে পারে না, ভাল ঘরে রাখতে পারে না, আবার বছরে বছরে ছেলে হয়!

    আবার কখনও কখনও যেন সাপে ছুঁচো গেলা হয়। গিলতেও পারে না, আবার উগরাতেও পারে না। বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া। তবু ছাড়তে পারে না। তবুও ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে মন দিতে পারে না!

    কেশব সেনের একজন আত্মীয় পঞ্চাশ বছর বয়স, দেখি, তাস খেলছে। যেন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করবার সময় হয় নাই!

    বদ্ধজীবের আর-একটি লক্ষণ (Kathamrita): তাকে যদি সংসার থেকে সরিয়ে ভাল জায়গায় রাখা যায়, তাহলে হেদিয়ে হেদিয়ে মারা যাবে। বিষ্ঠার পোকা বিষ্ঠাতেই বেশ আনন্দ। ওইতেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়। যদি সেই পোকাকে ভাতের হাঁড়িতে রাখ, মরে যাবে।” (সকলে স্তব্ধ)

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান চালিশায় (Hanuman Chalisa) উল্লেখ রয়েছে, ‘‘জো য়াহ পড়ে হনুমান চালিশা, হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা’’। অর্থাৎ যিনি এই হনুমান চালিশা ভক্তি সহকারে পাঠ করেন, স্বয়ং ভগবান শিব সাক্ষী, তিনি অবশ্যই সিদ্ধিলাভ করেন। মঙ্গলবার অনেকেই হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন। ভক্তি ও নিষ্ঠাভরে পুজো করেন বজরঙ্গবলিকে। হনুমানজিকে (Lord Hanuman) খুশি করার অনেক উপায় হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। সেই সব পদ্ধতি মেনে পুজো করলে সঠিক উপকারও পাবেন। হনুমান চালিশা পাঠে মনের জোর বাড়ে, জীবনের সকল বাধা দূর হয়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমান চালিশা পাঠ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে আপনি চাইলে প্রতিদিনও করতে পারেন।

    হনুমানজিকে কী কী অর্পণ করবেন

    শাস্ত্র মতে, বজরঙ্গবলীর পুজো করতে হলে স্নান সেরে ১১টি পিপল গাছের পাতা নিতে বলছেন পণ্ডিতরা। গঙ্গাজল দিয়ে এই পাতাগুলি পরিষ্কার করার পরে কুমকুম বা চন্দন দিয়ে শ্রী রাম লিখে তা মালা বানিয়ে হনুমানজিকে অর্পণ করলে জীবনে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। রীতি অনুযায়ী লাড্ডুতে তুলসী পাতা দিয়ে হনুমান মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোনও কাজ আটকে থাকলে বা কোনও বিশেষ কাজে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার হনুমানজিকে (Lord Hanuman) পান অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। বিশ্বাস, এর ফলে প্রতিটি কাজে সাফল্য আসে। এর পাশাপাশি হনুমানজিকে জুঁই তেল ও ফুল নিবেদন করলেও তিনি প্রসন্ন হন। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

    শনির খারাপ দৃষ্টি রোধ করে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    অনেক ব্যক্তির কোষ্ঠীতে শনি খারাপ অবস্থানে থাকে। ফলে পদে পদে বাধা আসে। তাই শনির দশা কাটাতেও হনুমান চালিশা পাঠ বিশেষ ফল দেয় বলে বিশ্বাস। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, একবার শনিদেবের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন হনুমান। প্রসন্ন শনিদেব জানিয়েছিলেন, হনুমানের সত্যিকারের ভক্তের তিনি কখনও কোনও ক্ষতি করবেন না। এছাড়া দুষ্টদমনে হনুমান চালিশা খুব কাজে দেয়। এখানেই উল্লেখ রয়েছে, ‘‘ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে।’’ যে কোনও ধরনের ভয়, আতঙ্ক কাটে এই মন্ত্রে। এই কারণে শিশুদেরও এই মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।

    হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের পদ্ধতি

    হনুমান চালিশা পাঠের নানা নিয়ম-বিধিও রয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আচার মেনে মঙ্গল ও শনিবার ভোরে স্নান করে সকালেই হনুমান মন্ত্র জপ করে থাকেন ভক্তরা। বিশ্বাস, এতে কেটে যায় জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি। এক নজরে দেখে নিন, কীভাবে পুজো করবেন বজরঙ্গবলির।

    সকালে স্নান করে উঠে পুজোর আয়োজন করুন।

    শুদ্ধবস্ত্রে একটি চৌকি নিয়ে, তার ওপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে দিন।

    হনুমানজিকে সেই আসনের ওপর রাখুন।

    ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে লাড্ডু নিবেদন করুন।

    এরপর হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করুন।

    সন্ধ্যাবেলাতে হনুমানালিশা পাঠ করলে একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করুন।

    বজরঙ্গবলির পুজো করার দিনে অবশ্যই নিরামিশ আহার করুন।

    হনুমান চালিশার শুরুতে এবং শেষে ভগবান রামের নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন।

    হনুমান চালিশা পাঠে কী কী ফল মেলে?

    কর্মক্ষেত্রে সাফল্য

    ভক্তদের বিশ্বাস, হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের আরাধনা করা যায়, সৌভাগ্য প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় খুব তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো।

    মনের জোর বাড়ে

    এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মঙ্গল ও শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারপাশে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব খুবই বেড়ে যায়। মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবনের পথে চলতে চলতে যতই বাধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।

    বাধা কেটে যায়

    জীবনে যে কোনও বাধা আপনি টপকে যেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠের দ্বারা। বাধার পরিস্থিতিতে হনুমান চালিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় খুব তাড়াতাড়ি সরে যেতে বাধ্য হয়। কোনও সমস্যায় যদি বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চালিশা পড়া শুরু করুন।

    নেগেটিভ শক্তি দূর হয়

    নেগেটিভ এনার্জি আমাদের চিন্তাভাবনাকেও নেতিবাচক করে তোলে। চারপাশ থেকে নেগেটিভ এনার্জিকে সরাতে ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের আশীর্বাদে সর্বদাই ইতিবাচক শক্তি মেলে।

    স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে

    আধুনিক জীবনে মানুষের বড় রোগ হল স্ট্রেস। যে কোনও শারীরিক রোগের সঙ্গেও স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থ ভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কাটাতেই হবে। নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া শুরু করলে দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনেও গভীর শান্তি অনুভব করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
      (গীতা — ৯।৩৩)

    জীব চার থাক —বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীব চার থাক বলেছে—বদ্ধ, মুমুক্ষু, মুক্ত, নিত্য। সংসার জালের স্বরূপ, জীব যেন মাছ, ঈশ্বর (যাঁর মায়া এই সংসার) তিনি জেলে। জেলের জালে যখন মাছ পড়ে, কতকগুলো মাছ জাল ছিঁড়ে পালাবার অর্থাৎ মুক্ত হবার চেষ্টা করে। এদের মুমুক্ষু জীব বলা যায়। যারা পালাবার চেষ্টা করছে, সকলেই পালাতে পারে না। দু-চারটা মাছ ধপাঙ্‌ শব্দ করে পালায়; তখন লোকেরা বলে (Kathamrita), “ওই মাছটা বড়, পালিয়ে গেল!” এই দু-চারটা লোক মুক্তজীব। কতকগুলি মাছ স্বভাবত এত সাবধান যে, কখনও জালে পড়ে না। নারদাদি নিত্যজীব কখনও সংসারজালে পড়ে না। কিন্তু অধিকাংশ মাছ জালে পড়ে; অথচ এ-বোধ নাই যে, জালে পড়েছে মরতে হবে। জালে পড়েই জাল-শুদ্ধ চোঁ-চা দৌড় মারে ও একেবারে পাঁকে গিয়ে শরীর লোকোবার চেষ্টা করে। পালাবার কোন চেষ্টা নাই বরং আরও পাঁকে গিয়ে পড়ে। এরাই বদ্ধজীব। জালে এরা রয়েছে, কিন্তু মনে করে, হেথায় বেশ আছি। বদ্ধজীব, সংসারে—অর্থাৎ কামিনী-কাঞ্চনে—আসক্ত হয়ে আছে; কলঙ্ক-সাগরে মগ্ন, কিন্তু মনে করে বেশ আছি! যারা মুমুক্ষু বা মুক্ত সংসার (Ramakrishna) তাদের পাতকুয়া বোধ হয়; ভাল লাগে না। তাই কেউ কেউ জ্ঞানলাভের (Kathamrita) পর, ভগবানলাভের পর শরীরত্যাগ করে। কিন্তু সে-রকম শরীরত্যাগ অনেক দূরের কথা।

    “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না। এত দুঃখ, এত দাগা পায়, এত বিপদে পড়ে, তবুও চৈতন্য হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 120: “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    Ramakrishna 120: “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেস

    প্রথম অধ্যায়

    ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বাঽভবিতা বা ন ভূয়ঃ ৷
    অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঽয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥
                                                                                    (গীতা—২।২০)

    মুক্তপুরুষের শরীরত্যাগ কি আত্মহত্যা?

    বিষ্ণুর এঁড়েদয়ে বাড়ি, তিনি গলায় ক্ষুর দিয়া শরীরত্যাগ করিয়াছেন। আজ প্রথমে তাঁহারই কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়, মাস্টার ও ভক্তদের প্রতি)—দেখ, এই ছেলেটি শরীরত্যাগ করেছে শুনলুম, মনটা খারাপ হয়ে রয়েছে। এখানে আসত, স্কুলে পড়ত, কিন্তু বলত—সংসার ভাল লাগে না। পশ্চিমে গিয়ে কোন আত্মীয়ের কাছে কিছুদিন ছিল—সেখানে নির্জনে মাঠে, বনে, পাহাড়ে সর্বদা বসে ধ্যান করত। বলেছিল যে, কত কি ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) রূপ দর্শন করি।

    “বোধ হয়—শেষ জন্ম। পূর্বজন্মে অনেক কাজ করা ছিল। একটু বাকী ছিল, সেইটুকু বুঝি এবার হয়ে গেল।

    পূর্বজন্মের সংস্কার মানতে হয়। শুনেছি (Kathamrita), একজন শবসাধন করছিল, গভীর বনে ভগবতীর আরাধনা করছিল। কিন্তু সে অনেক বিভীষিকা দেখতে লাগল; শেষে তাকে বাঘে নিয়ে গেল। আর-একজন বাঘের ভয়ে নিকটে একটা গাছের উপরে উঠেছিল। শব আর অন্যান্য পূজার উপকরণ তৈয়ার দেখে সে নেমে এসে আচমন করে শবের উপরে বসে গেল। একটু জপ করতে করতে মা সাক্ষাৎকার হলেন ও বললেন—আমি তোমার উপর প্রসন্ন হয়েছি, তুমি বর নাও। মার পাদপদ্মে প্রণত হয়ে সে বললে—মা, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, তোমার কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছি! সে ব্যক্তি এত খেটে, এত আয়োজন করে, এতদিন ধরে তোমার সাধনা করছিল, তাকে তোমার দয়া হল না! আর আমি কিছু জানি না, শুনি না, ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন, আমার উপর এত কৃপা হল! ভগবতী হাসতে হাসতে বললেন, বাছা! তোমার জন্মান্তরের কথা স্মরণ নাই, তুমি জন্ম জন্ম আমার তপস্যা করেছিলে, সেই সাধনবলে তোমার এরূপ জোটপাট হয়েছে, তাই আমার দর্শন (Ramakrishna) পেলে। এখন বল কি বর চাও?

    একজন ভক্ত বলিলেন (Kathamrita), আত্মহত্যা করেছে শুনে ভয় হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে, আর এই সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।

    “তবে যদি ইশ্বরের দর্শন হয়ে কেউ শরীরত্যাগ করে, তাকে আত্মহত্যা বলে না। সে শরীরত্যাগে দোষ নাই। জ্ঞানলাভের পর কেউ কেউ শরীর ত্যাগ করে। যখন সোনার প্রতিমা একবার মাটির ছাঁচে ঢালাই হয়, তখন মাটির ছাঁচ রাখতেও পারে, ভেঙে ফেলতেও পারে।

    “অনেক বছর আগে বরাহনগর থেকে একটি ছোকরা আসত, উমের কুড়ি বছর হবে। গোপাল সেন যখন এখানে আসত তখন এত ভাব হত যে, হৃদয় কে ধরতে হত—পাছে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে যায়! সে ছোকরা একদিন হঠাৎ আমার পায়ে হাত দিয়ে বললে, আর আমি আসতে পারব না—তবে আমি চললুম। কিছুদিন পরে শুনলাম যে, সে শরীরত্যাগ করেছে।”

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    প্রথম অধ্যায়

    ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বাঽভবিতা বা ন ভূয়ঃ ৷
    অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঽয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥
                                                                                    (গীতা— ২।২০)

    মুক্তপুরুষের শরীরত্যাগ কি আত্মহত্যা?

    দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে আসিয়াছেন। সঙ্গে তিন-চারটি ব্রাহ্মভক্ত। ২৯শে অগ্রহায়ণ, শুক্লা চতুর্থী তিথি। বৃহস্পতিবার, ইংরেজী ১৪ ডিসেম্বর ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ। পরমহংসদেবের পরমভক্ত শ্রীযুক্ত বলরামের সহিত ইঁহারা নৌকা করিয়া কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ মধ্যাহ্নকালে সবে মাত্র একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রবিবারেই বেশি লোক সমাগম হয়। যে-সকল ভক্তেরা একান্তে তাঁহার সহিত কথোপকথন (Kathamrita) করিতে চান, তাঁহারা প্রায় অন্য দিনেই আসেন।

    পরমহংসদেব (Ramakrishna) তক্তপোশের উপর উপবিষ্ট। বিজয়, বলরাম, মাস্টার ও অন্যান্য ভক্তেরা পশ্চিমাস্য হইয়া, তাঁহার দিকে মুখ করিয়া কেহ মাদুরের উপর। কেহ শুধু মেঝের উপর বসিয়া আছেন। ঘরের পশ্চিমদিকের দ্বারমধ্য দিয়া ভাগীরথী দেখা যাইতেছিল। শীতকালের স্থিরা স্বচ্ছলসলিলা ভাগীরথী। দ্বারের পরই পশ্চিমের অর্ধমণ্ডলাকার বারান্দা, তৎপরেই পুষ্পোদ্যান, তারপর পোস্তা। পোস্তার পশ্চিমগায়ে পুণ্যসলিলা কলুষহারিণী গঙ্গা, যেন ঈশ্বর মন্দিরের পাদমূল আনন্দে ধৌত করিতে করিতে যাইতেছিলেন।

    শীতকাল, তাই সকলের গায়ে গরম কাপড়। বিজয় শূলবেদনায় দারুণ যন্ত্রণা পান; তাই সঙ্গে শিশি করিয়া ঔষধ আনিয়াছেন—ঔষধ সেবনের সময় হইলে খাইবেন। বিজয় এখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের একজন বেতনভোগী আচার্য। সমাজের বেদীর উপর বসিয়া তাঁহাকে উপদেশ দিতে হয়। তবে এখন সমাজের সহিত নানা বিষয়ে মতভেদ হইতেছে। কর্ম স্বীকার করিয়াছেন, কি করেন, স্বাধীনভাবে কথাবার্তা (Kathamrita) বা কার্য করিতে পারেন না। বিজয় অতি পবিত্র বংশে—অদ্বৈত গোস্বামীর বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। অদ্বৈত গোস্বামী জ্ঞানী ছিলেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করিতেন, আবার ভক্তির পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া গিয়াছেন! তিনি ভগবান চৈতন্যদেবের একজন প্রধান পার্ষদ—হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতে করিতে পরিধানবস্ত্র খসিয়া যাইত। বিজয়ও ব্রাহ্মসমাজে আসিয়াছেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করেন; কিন্তু মহাভক্ত পূর্বপুরুষ শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত হইতেছিল, শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ—কেবল কাল প্রতীক্ষা করিতেছে! তাই তিনি ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দেবদুর্লভ হরিপ্রেমে “গরগর মতোয়ারা” অবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন। মন্ত্রমুগ্ধ সর্প যেমন ফণা ধরিয়া সাপুড়ের কাছে বসিয়া থাকে, বিজয়ও পরমহংসদেবের শ্রীমুখনিঃসৃত ভাগবত শুনিতে শুনিতে (Kathamrita) মুগ্ধ হইয়া তাঁহার নিকটে বসিয়া থাকেন। আবার যখন তিনি হরিপ্রেমে বালকের ন্যায় নৃত্য করিতে থাকেন, বিজয়ও তাঁহার সঙ্গে নৃত্য করিতে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share